নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিপদজনক ব্লগ

কৌশিক

নিদারুণ প্রহসনের দিনগুলি

কৌশিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর সকল এটিএম মেশিনই চাঁদে চলে গেছে

০৭ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

পুঁজিহীন পকেট নিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে গিয়ে দাঁড়ালাম এটিএম বুথের সামনে। ঝাপ বন্ধ। সাধারণত মেশিনে টাকা না থাকলে সিকিউরিটিরা জানিয়ে দেয়। কিন্তু এ-যে একেবারে এটিম বুথের দোকানখানি সাটার দিয়ে বন্ধ করা! বেদূরে দন্ডায়মান সিকিউরিটি বললো, নাই নাই।



বিনা সাহস ব্যয়ে একটা সিএনজি নিয়ে ভাবলাম পথিমধ্যে কোনো বুথে থামবো। এবং থামলাম। যথারীতি ঝাপ বন্ধ। মানে কাহিনী অন্য। সিকিউরিটি জানালো টাকা নাই একদিন যাবত।



পরেরটাতে যখন থামলাম তখন সাহস সঞ্চয় করতে প্যান্টের পকেটে হাত ঢুকাতে হলো। এটারও ঝাপি আটা। এমন কাহিনী একমাত্র তৈলচিত্রেই সম্ভব। এটিএম বুথের মুখ সাটা! চারদিকে কোনো সিকিউরিটি নাই, সিগারেট-বাণিজ্যকর্তার দিকে সমীহমাখা দৃষ্টিতে জিজ্ঞেস করলাম, ঘটনা কি? পকেটে সিগারেট খাবার পয়সাও নাই যেহেতু, তিনি বেশ রুক্ষ্মভাবে জবাবা দিলেন - হরতালে টাকার গাড়ি আসতে পারে নাই!



লে খালেদা! যে অফিসে মিটিং সেখানে ফোন করে ভদ্রলোককে বললাম, ২০০ টাকা নিয়ে গেটের কাছে দাঁড়ান ভাই দয়া করে। কতক্ষণ পরে সে ফোন করে বললো, ভাই - ইয়ে মানে, মানিব্যাগ আজকে ভুলে বাসায় রেখে এসেছি! তবে চিন্তা কইরেন না, ব্যবস্থা করতেছি।



মিটিং শেষে বাসায় ফেরার গাড়ির একটা লিফট পাওয়া গেলো। বাসার সামনে বিশাল ফাস্ট ট্রাক। পৃথিবীর সকল টাকার মেসিন চাঁদে গেলেও এটা খোলা থাকতেই হবে। প্লেটোর আমল থেকে চলতে দেখছি। একদিনও মিসস্প্যামিং হয় নাই। কিন্তু..। আর বলতে হবে?



চমকে দেবার মতই ঘটনা। ফাস্ট ট্রাক খানা খোলা। সেখানের এটিএমে টাকাও আছে। আমি মহানন্দে টাকা তুলে বাসায় ফিরলাম।



কিন্তু দু:খজনক বিষয় হলো উপরের প্যারাটাই ভুয়া। পৃথিবীর সকল এটিএম মেশিনই চাঁদে চলে গেছে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.