নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১. গণজাগরণ মঞ্চে প্রতিদিন নতুন মানুষ আসছে। রাজনৈতিক চেতনায় ঋদ্ধ হচ্ছে। তাদের নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল এড্রেস সংগ্রহ করা উচিত। এসএমএস, ইমেইলের মাধ্যমে গণজাগরণ মঞ্চের কার্যসূচী তাদেরকে প্রতিনিয়ত আপডেট করা হবে এমন একটা উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।
২. প্রত্যেকটা জেলা-উপজেলা-পাড়া-মহল্লার জন্য আলাদা ফেসবুজ গ্রুপ (নট পেজ) ওপেন করে সেগুলোর একটা কেন্দ্রীয় কাঠামোর মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। যেসব জায়গায় করা হয়েছে সেগুলোকে একটা ওপেন ডিরেক্টরীতে অন্তর্ভূক্ত করা এবং যেসমস্ত জায়গায় করা হয়নি সেসব জায়গায় গ্রুপ করার জন্য আহবান জানানো যেতে পারে। সকল গ্রুপগুলোর ঠিকানা সমন্বয় করার দায়িত্ব নিতে পারে গণজাগরণ মঞ্চের নির্ধারিত কোনো ওয়েব পোর্টাল। আহবান জানানো যেতে পারে গ্রুপসমূহের লিংক প্রদান করার জন্য।
৩. একটা শক্তিশালী স্থানীয় ভিত্তিক কমিটি গঠন করা দরকার। দেশের সবগুলো জেলার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটা জাতিয় কমিটি। তাদের নিয়ে এই মুহূর্তে একটা কাউন্সিল করা প্রয়োজন। তারা কিভাবে কাজ করবে স্থানীয় পর্যায়ে তার বিস্তারিত কার্যসূচী প্রণয়ন করা দরকার।
৪. কেবল ঢাকার জন্য থানা/ওয়ার্ড ভিত্তিক একটা কমিটি তৈরী করা প্রয়োজন। এই কমিটি স্থানীয় জনসাধারণ ও সংগঠনকে নিয়ে গণজাগরণ সাংস্কৃতিক মঞ্চ তৈরী করবে।
৫. আমাদের দেশের কোথাও সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। ক্ষুদ্র কয়েকটা জায়গায় কেন্দ্রিভূত। অথচ প্রত্যেকটা পাড়া-মহল্লায় হাজারো মানুষ কেবল ঘরের মধ্যে বসে টিভি দেখা ছাড়া অন্য কোনো সুস্থ্য সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত হতে পারে না। ক্লাব-পার্ক-বিনোদন কেন্দ্র বলতে কিছুই নেই। যা আছে সেসবের ব্যবস্থাপনা এত দূর্বল ও অনিরাপাদ যে সাধারণ মানুষ সেখানে গিয়ে কোনো সুস্থ্য পরিবেশ কল্পনা করতে পারে না। এইসমস্ত গণজাগরণ মঞ্চগুলো হতে পারে পাড়ায়-মহল্লার মানুষের জন্য সৃষ্টিশীল কর্মকান্ডের অনুপ্রেরণা। তৈরী হতে পারে স্থায়ী কোনো অবকাঠামো, পার্কের জায়গা দখল করার বিরুদ্ধে জনমত সংগঠিত হতে পারে। হতে পারে শিশুর জন্য খোলা মাঠ, থিয়েটার, পাঠ-চক্র, নিজের মতামত প্রকাশের জন্য মুক্ত-মঞ্চ যেখানে এসে যে কেউ তার কথা বলতে পারবে।
৬. দরকার জামাত-অধ্যুষিত অঞ্চলের জন্য বিশেষ জাগরণী কর্মসূচী। মানুষের মধ্যে প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানভিত্তিক আলোচনার ব্যবস্থা। তাদের নিজেদের কথা বলতে দেয়া ও তার সমাধানের জন্য সম্মিলিত ও সহনশীল উদ্যোগ।
৭. দরকার আরো আরো আইডিয়াবাজদের, দরকার ভলান্টিয়ারদের সংখ্যাবৃদ্ধি, দরকার সাধারণ মানুষের স্বতস্ফুর্ত চাদায় সবকিছুর পরিচালনা। দরকার সেসব হিসাবের স্বচ্ছতার।
দীর্ঘমেয়াদী জাগরণের জন্য দরকার সুপরিকল্পনা, স্থিরতা আর ধৈর্য্য। আমটি পেড়ে খাওয়া এক লাফে সম্ভব হবে না।
২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬
সালটু বলেছেন: সেলিম ভাইয়ের সাথে ১০০% সহমত।
৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
পথহারা সৈকত বলেছেন: সালটু ও কি খাওয়া লাগবে ?
৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৫
আমিনুর রহমান বলেছেন: দারুন বলেছেন। এতদিনে প্রতি ওয়ার্ডে একটা কমিটি করে ফেলতে পারলে মানুষের মাঝে দ্রুত পৌছে দেয়া যেত গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে যেসব অপপ্রচার হচ্ছে তা মিথ্যা আর গুজব এবং তাতে মানুষের সম্পৃক্ততাও অনেক বেশী হত।
তবে এখন সময় আছে। আমার নিজ থেকেই বলতে হয় আমার মত একজন সামান্য ব্লগারের অন্য বিভাগীয় শহর ও কিছু জেলা শহরের গণজাগরণ মঞ্চের সাথে যতখানি যোগাযোগ আছে। শাহবাগের সাথে তা নেই।
৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০০
পথ-হারা এক পথিক বলেছেন: ভালো পোস্ট। পয়েন্টগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে আন্দোলনের একটা বিশাল আউটপুট পাওয়া সম্ভব।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুপ্রিয় ব্লগার অত্যন্ত গুরুত্ব পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। যুদ্ধাপরাধীদের দাবী গনদাবী জনতার দাবী সেটা ও নিষ্চিৎ করতে হবে।এটা কোন রাজনৈতিক দলের ট্রাম্পকার্ড নয় সেটির ও ব্যাখ্যা থাকা লাগবে।
নাহলে ফলাফল টেকসই হবে না ।সকল প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের লিস্ট করতে হবে ।অন্যায়ের ধরণ ও প্রকৃতির উপর শাস্তি নিষ্চিৎ করতে হবে।