নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণের খবর প্রচারে মিডিয়া গুরুত্ব দিচ্ছে বলে সম্ভবত আমাদের কাছে মহামারীর মত মনে হচ্ছে। নইলে পরিসংখ্যান যতদূর মনে পড়ে গতবছরও কম ছিলো না, এর আগের বছরের পরিমাণ ও কম না।
সমাজে রেপ-ভিক্টিমদের স্টিগমাটাইজড করা হয় বলে সম্ভবত বেঁচে যাওয়া নারীরা সামাজিক কোনো সালিশীর ফলে মুখ বন্ধ করে ফেলে। এবং এর ফলে বড় ধরণের শাস্তির কথাও আমরা শুনি নাই।
আইনেও বড় ধরণের কোনো ঝামেলা আছে। রেপিস্টদের শাস্তিকে দৃষ্টান্তমূলক না করা হলে এটা কমবে না।
সামাজিক অনুশাসনে, মহল্লা-ভিত্তিক কোনো কাঠামোতে, সুস্থ্য সাংস্কৃতিক ও মননশীলতা বিকাশের কোনো চর্চা নাই। এর বিপরীতে আছে ধর্মীয় উন্মাদনার প্রচারণা, স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত, যেখানে নারীর প্রতি থাকছে অশ্লীলতার প্রচারণা। যা রেপিস্ট হায়েনা তৈরীতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
এছাড়া, দেখতে হবে ড্রাগের সহজলভ্যতা। যেভাবে ড্রাগ রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিক্রি হচ্ছে, এবং ঝিমানো টাইপের ড্রাগের বদলে উত্তেজনা বর্ধক ড্রাগ এখন যেভাবে সহজলভ্য হচ্ছে - তার একটা প্রভাব ধর্ষণে রয়েছে বলে ধারণা করি।
এর সাথে ঢাকা শহরে কোনো বৈধ ব্রথেল না থাকাটাও একটা কারণ হতে পারে। এখন যৌনকর্মীরা রাস্তার মোড়ে মোড়ে, এসব যৌনকর্মীদের বেশীরভাগই ধর্ষণের শিকার হয়। যাদের মধ্যে আছে পুলিশ থেকে শুরু করে উঠতি মাস্তান। তাদের কেস কোনো থানায় নথিভূক্ত হয় না।
আমি মনে করি সময় এসেছে এখনই -
১. আইনে কি আছে, আর কি শাস্তি হওয়া উচিত তার একটা খসড়া তৈরী করে ফেলা;
২. ঢাকা শহর এবং ঢাকার বাইরে স্থানীয় ভিত্তিক ক্যাম্পেইন, র্যানডম ডোর টু ডোর লিফলেট বিতরণ;
৩. স্থানীয় পর্যায়ে জন-প্রশাসনের সাথে, (বিশেষত রাজনৈতিক নেতা, মহল্লার প্রভাবশালী মহল) সাংস্কৃতিক কর্মীদের নিয়ে কমপক্ষে ছ'মাস ব্যাপী নানান মহল্লায় গণসংযোগের একটা ক্যালেন্ডার ও তার জন্য ভলান্টিয়ার সংগ্রহ;
৪. মাদক সরবরাহ ও বিক্রয়ের স্থানগুলো চিহ্নিত ও উন্মোচন করা, সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দেয়া;
৫. ধর্ষকদের পরিচয় ও তার জীবন বৃত্তান্ত, তার পরিবারের ভেতরে ধর্ষকামীতার উৎস অনুসন্ধান ও তার ব্যাপক প্রচার;
৬. থানায় ভিক্টিমদের সহায়তার বিষয়ে প্রচলিত ব্যবস্থাকে আধুনিকায়নের ব্যবস্থা করা;
৭. ভিক্টিমরা যেনো মুখ খুলতে সাহস পায় সেজন্য সরকার, এনজিও ও মিডিয়াতে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে বাধ্য করা।
২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩০
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: +++++++++++++
একমত ।
'' ধর্ষকদের জন্য একটাই আইন চাই , ৯০ দিনের মধ্যে ফাঁসী চাই । যাবজ্জীবন কিংবা জরিমানা নয় । কোন প্রকার ক্ষমা / বিশেষ ক্ষমা / সাধারণ ক্ষমা নয় । ''
আসুন আমরা প্রতিবাদ করি ভার্চুয়ালি কিংবা রাজপথে , শান্তিপূর্ণভাবে ।
ভালো থাকবেন ।
৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৮
অনীনদিতা বলেছেন: '' ধর্ষকদের জন্য একটাই আইন চাই , ৯০ দিনের মধ্যে ফাঁসী চাই । যাবজ্জীবন কিংবা জরিমানা নয় । কোন প্রকার ক্ষমা / বিশেষ ক্ষমা / সাধারণ ক্ষমা নয় । ''
আসুন আমরা প্রতিবাদ করি ভার্চুয়ালি কিংবা রাজপথে , শান্তিপূর্ণভাবে ।
৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
ইখতামিন বলেছেন: হুম... ৯০ দিনের মধ্যেই ফাঁসী চাই।
কৌশিক দা..
"এখন যদি, মোবাইলে বা কম্পিউটারে ঘড়ি দেখে, যদি দেখি, যদি সময়টা দেখে ফেলি আর তারপরেও দেখি সময়টা স্থির, স্থিরের মত সময়, এবং যে যার জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, বসে আছে, যে মুখটা হা করে ছিলো - তার তেমনই আছে, যার হাতে বাঁশি ছিলো সে হুইসেল দিয়েই যাচ্ছে, এখন যদি এসব দেখি, সময় দেখে ঠিক দুপুর বারোটায় - তার অর্থ, আমিও দাঁড়িয়ে আছি।"
বলেন তো এটা কার লেখা.
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: আর কত হবে অন্যায়
স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত
আজ ধুলির ধরায়