নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
"যত দোষ নন্দ ঘোষ"....
বাংলায় প্রচলিত প্রবাদগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’। যে যত দোষ করুক না কেন, সব নন্দ ঘোষের ঘাড়েই যায়! এ প্রবাদের সহজ অর্থ হচ্ছে, দুর্বল মানুষের ঘাড়ে দোষ চাপানো। আবার অনেকের মতে, সব দোষ ঘুরে-ফিরে একজনের ওপর দেয়া। যা-ই হোক, কিন্তু এ নন্দ ঘোষটা কে? কিংবা কেন তার ঘাড়ের ওপর সব দোষ পড়ে?
চলুন, গল্পটা তাহলে জেনে নিই।
এই গল্পের প্রেক্ষাপট বৃন্দাবন। মথুরাপতি কংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য কৃষ্ণকে জন্মের পরপরই বৃন্দাবনের ঘোষপল্লীতে নন্দ ঘোষের বাড়িতে রেখে আসেন বাসুদেব। তারপর সেখানেই নন্দ আর যশোদার কোলে বেড়ে উঠতে থাকে দেবকী পুত্র কৃষ্ণ।
ছোটবেলা থেকেই অসম্ভব দুরন্ত কৃষ্ণ।কখনো লোকের বাড়ি থেকে মাখন-ননী চুরি করে খেয়ে নিচ্ছে, কিংবা হয়তো সরোবরে স্নান করতে নামা নারীদের পোশাক লুকিয়ে ফেলছে। তো বৃন্দাবনবাসীর ঘুম হারাম করে দিচ্ছিল ছোট্ট নন্দলাল।
সবাই নিজেদের নালিশ নিয়ে যেত পিতা নন্দ ঘোষের কাছে। নন্দ ঘোষও খুব মনোযোগ দিয়ে এই সমস্ত নালিশ শুনতেন। কিন্তু পুত্রকে তিনি এতই স্নেহ করতেন যে ছোট্ট কৃষ্ণের মুখের দিকে চেয়ে কিছুই বলতে পারতেন না।
ফলে সব রাগ-ক্ষোভ গিয়ে পড়তো নন্দ ঘোষের উপর। বৃন্দাবনবাসী মনে করলো, এই নন্দ ঘোষের প্রশ্রয় পেয়েই এত বাড় বেড়েছে কৃষ্ণের। ঘোষ মশাইও অম্লান বদনে মাথা পেতে নিতেন সমস্ত দোষ।
আর সেখান থেকেই এল ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’।
বিষ্ণুপুরাণ বা মহাভারতে শ্রীকৃষ্ণের বাল্যলীলার কাহিনী তেমন ভাবে না থাকলেও; ভক্তদের লেখা ভাগবতে শ্রীকৃষ্ণের ননী-মাখন চুরি ও দুষ্টুমির কথা লেখা আছে। এসব ঘটনা থেকেই এ প্রবাদের সৃষ্টি।
১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: আমাদের দৈনন্দিন জীবন ধারায় বাগধারা, প্রবাদ বা প্রবচন অনেক বড়ো কিছু তুলে ধরে- যা ব্যাখ্যাতীত প্রয়োগ ছাড়া বুঝতে পারি না।
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০
ফেনা বলেছেন: দারুন তথ্য। ভাল লাগল।
১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩১
ঢাবিয়ান বলেছেন: জানা ছিল না এই প্রবাদ এর পেছনের ইতিহাস ।
১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭
জুল ভার্ন বলেছেন: এই ধরনের লোকজ প্রবাদ, প্রবচন এবং বাক ধারার পেছনে বেশ ভালো একটা ভূমিকা আছে। খনার বচন গুলো চমৎকার উদাহরণ।
৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাহ, ইতিহাসটা জানা হলো।
আমার রবিকাকা তার এক কবিতায় লিখেছিলেন, 'যা কিছু হারায়, গিন্নি বলেন, কেষ্ট বেটাই চোর।' রবিকাকার কথাটার একটা মডার্ন ভার্সন লিখেছিলেন আরেক অর্বাচীন - স্বয়ং আমিই সেই অর্বাচীন পুরাতন ভৃত্যা। তবে, কবিতাটার একটা পটভূমিকা আছে, যা অন্য কোথাও বলি নি, পোস্টেও কেউ সেটা ধরতে পারেন নি বলে উল্লেখও করেন নি। কোনো একসময় আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে, যে-কোনো অঘটন, দুর্বিপাক ঘটলেই হাসিনা আপা, ওকা আর হাছান মাহমুদ ভাইয়া ইন্সট্যান্টলি বলে বসতেন, এটা বিএনপির কাজ, এর পেছনে বিএনপি'র হাত আছে (যদিও আমি কোনো রাজনীতি করি না, তবু তাদের এই কথাগুলো বড্ড বিরক্তি সৃষ্টি করতো)। এ প্রেক্ষাপটে পুরাতন ভৃত্যা লেখা হয়েছিল।
জুল ভার্ন ভাই, আপনার পোস্টে একই কথা দু'বার এসেছে। একটু চেক করে দেখুন প্লিজ।
সুন্দর তথ্য জানানোর জন্য ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই। শুভেচ্ছা।
১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৫৯
জুল ভার্ন বলেছেন: জ্বি সোনা ভাই, একই বাক্য একাধিক বার এসেছে.... ফোন থেকে লিখে ছিলাম। এডিট করতে যেয়ে আরও প্যাচ লেগেছে.....
আপনার রবিকাকা তার এক কবিতায়, 'যা কিছু হারায়, গিন্নি বলেন, কেষ্ট বেটাই চোর।' রবিকাকার কথাটার একটা মডার্ন ভার্সন লিখেছিলেন আরেক অর্বাচীন - এর লিংক দিবেন।
৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:০৯
মামুন ইসলাম বলেছেন: জানা ছিলো না আপনার জন্য জানতে পারলাম।
১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:৫৩
জুল ভার্ন বলেছেন: আমিও পড়ে জেনেছি।
ধন্যবাদ।
৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:৫৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যথার্থ শিরোনাম ।
১২ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:০৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৫২
শায়মা বলেছেন: এতদিনে বুঝলাম এই বাগধারা প্রবাদ প্রবচনের পিছের ইতিহাস!!!