নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এপিটাফ এক নিঃশব্দ প্রচ্ছদে ঢাকা আছে আমার জীবনের উপন্যাস... খুঁজে নিও আমার অবর্তমানে... কোনো এক বর্তমানের মায়াবী রূপকথায়। আমার অদক্ষ কলমে... যদি পারো ভালোবেসো তাকে... ভালোবেসো সেই অদক্ষ প্রচেষ্টা কে, যে অকারণে লিখেছিল মানব শ্রাবণের ধারা.... অঝোর শ্রাবণে।।
৮৮০ খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন একজন মুসলিম নারী।
এক মুসলিম নারী ১২০০ বছর আগে, ৮৮০ খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন যার নাম ফাতিমা আল ফিহরি। (আল-কারাউইন ইউনিভার্সিটি, মরক্কো)। অনেকে বলেন আল আজহার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু আল আজহার প্রতিষ্ঠিত হয় ৯৭২ খ্রি আর ফাতেমা আল ফিহরী মারা যান ৮৮০ খ্রি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এবং ইউনেস্কোর মতে এটি শুধু বিশ্বের সবথেকে পুরানো ও ক্রমাগত পরিচালিত ইউনিভার্সিটিই নয়, বরং কোনো নারীর দ্বারা স্থাপিত প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। নারী পুরুষ উভয়েই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতো কোনো ধরনের বৈষম্য ছাড়া। প্রথমে শুরু হয় চিকিৎসা, সঙ্গীত, জ্যোতির্বিদ্যা, সুফিবাদ, যুক্তিবিদ্যা, ব্যাকরণ, গণিত, ধর্মীয় নির্দেশনা ও কুরআন মুখস্থ দিয়ে। এরপর যোগ হয় বিজ্ঞানের ভিন্ন ভিন্ন ডিপার্টমেন্ট৷ ডিগ্রী/সার্টিফিকেট প্রদানের ধারণাটাও এখান থেকেই শুরু! এমনকি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আল-কারাউইয়িনে নিয়মিত বিতর্ক, কনফারেন্স আয়োজন করে জ্ঞান বিনিময় ও বিজ্ঞানের বিকাশ করা হতো! কিংবদন্তী এই নারী বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিতI
.
উচ্চ শিক্ষার ধারণা নিয়ে যেমনটি আমরা এখন জানি। তার লক্ষ্য ছিলো প্রগতিশীল শিক্ষা দিয়ে একটি ইন্টেলেকচুয়াল বা বুদ্ধিজীবী সমাজ তৈরি করা। তার কনসেপ্ট ও দৃষ্টিতে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছিলো ইউরোপ। এর বহু পরে (২০০ বছর পর) তারা স্থাপিত করে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি (ইংল্যান্ড) এবং বোলোগনা ইউনিভার্সিটি (ইতালি)। কিন্ত ৬০০ বছরেও কোনো নারী শিক্ষা অর্জনের অনুমতি পায়নি, শুধুমাত্র পুরুষের জন্যই উচ্চশিক্ষা। ১৬০০ শতকে এসে ইউরোপ প্রথমবারের মতো এক নারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়!
.
যেখানে ইউরোপের নারীরা উচ্চ শিক্ষা অর্জন করার অনুমতিই পেয়েছে ৪০০ বছর আগে, সেখানে ১২০০ বছর আগে মুসলিম নারীরা শুধু ইউনিভার্সিটিতেই যাননি, বরং দুনিয়ার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এটি ছিলো ইসলামের সোনালী যুগ।
.
====================================
List of oldest universities in continuous operation
বিশ্বের পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস।
৮৮০ খ্রিস্টাব্দে পৃথিবীর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন একজন মুসলিম নারী। এটি ১২০০ বছর আগের ঘটনা। বিদুষী এই নারীর নাম ফাতিমা আল ফিহরি। (আল-কারাউইন ইউনিভার্সিটি, মরক্কো)। অনেকে বলেন আল আজহার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় কিন্তু আল আজহার প্রতিষ্ঠিত হয় ৯৭২ খ্রি আর ফাতেমা আল ফিহরী মারা যান ৮৮০ খ্রি।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড এবং ইউনেস্কোর মতে এটি শুধু বিশ্বের সবথেকে পুরানো ও ক্রমাগত পরিচালিত ইউনিভার্সিটিই নয়, বরং কোনো নারীর দ্বারা স্থাপিত প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। নারী পুরুষ উভয়েই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতো কোনো ধরনের বৈষম্য ছাড়া। প্রথমে শুরু হয় চিকিৎসা, সঙ্গীত, জ্যোতির্বিদ্যা, সুফিবাদ, যুক্তিবিদ্যা, ব্যাকরণ, গণিত, ধর্মীয় নির্দেশনা ও কুরআন মুখস্থ দিয়ে। এরপর যোগ হয় বিজ্ঞানের ভিন্ন ভিন্ন ডিপার্টমেন্ট।৷ ডিগ্রী/সার্টিফিকেট প্রদানের ধারণাটাও এখান থেকেই শুরু! এমনকি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আল-কারাউইয়িনে নিয়মিত বিতর্ক, কনফারেন্স আয়োজন করে জ্ঞান বিনিময় ও বিজ্ঞানের বিকাশ করা হতো! কিংবদন্তী এই নারী বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন উচ্চ শিক্ষার ধারণা নিয়ে যেমনটি আমরা এখন জানি। তার লক্ষ্য ছিলো প্রগতিশীল শিক্ষা দিয়ে একটি ইন্টেলেকচুয়াল বা বুদ্ধিজীবী সমাজ তৈরি করা। তার কনসেপ্ট ও দৃষ্টিতে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছিলো ইউরোপ। এর বহু পরে (২০০ বছর পর) তারা স্থাপিত করে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি (ইংল্যান্ড) এবং বোলোগনা ইউনিভার্সিটি (ইতালি)। কিন্ত আজ শুনলে অবাক হতে হবে যে - ৬০০ বছরেও তখন কোনো নারী শিক্ষা অর্জনের অনুমতি পায়নি, শুধুমাত্র পুরুষের জন্যই ছিল উচ্চশিক্ষা। ১৬০০ শতকে এসে ইউরোপ প্রথমবারের মতো এক নারীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হয়!
ইউরোপের নারীরা উচ্চ শিক্ষা অর্জন করার অনুমতি পেয়েছে আজ থেকে ৪০০ বছর আগে, সেখানে ১২০০ বছর আগে মুসলিম নারীরা শুধু মাত্র ইউনিভার্সিটিতেই যাননি, বরং দুনিয়ার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মও দিয়েছিলেন । এরূপ একটি ঘটনা যা রূপ কথার গল্প কাহিনীকেও হার মানায়। এই সময়কে তাই কেউ ইসলামের সোনালী যুগ বলতেই পারেন।
* Oldest Universities in the World
০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:২৪
জুল ভার্ন বলেছেন: পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৪১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
মুসলিম নারী পৃথিবীতে তেমন কিছু করে থাকলে, আমরা জানতাম না কেন? সমস্যা কোথায়?
০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: প্রথমত আমাদের জানার সীমাবদ্ধতা। দ্বিতীয়ত, প্রচারের সীমাবদ্ধতা।
৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চমৎকার তথ্য। আমরা মুসলিমরা বিজ্ঞান চর্চায় একেবারে পিছিয়ে পড়ছি।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৭
জুল ভার্ন বলেছেন: মুসলিম বিত্তশালী দেশগুলো পৃথিবীর সবচাইতে উঁচু ভবন বানায়, বিশ্বের সব চাইতে দামী প্রোমোদ তরী বানায়, বিশ্বের দামী ফুটবল ক্লাব কেনে। কিন্তু একটা বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল বানায় না!
৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৩
আজব লিংকন বলেছেন: ইসলামের গৌরবময় ইতিহাস তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ভাই। গুগলে আমি যতগুলো ডকুমেন্ট পড়েছি সবগুলো ডকুমেন্টের কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা সাল ৮৫৯ খৃঃ বলা হয়েছে।
ফাতিমা আল-ফিহরি তিউনিসিয়ার কাইরাওয়ান শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম ফাতিমা বিনতে মুহাম্মাদ আল-ফিহরিয়া আল-কুরাইশিয়া। তার নামের কুরাইশিয়া অংশ থেকে অনেকেই ধারণা করেন উনি ছিলেন কুরাইশ বংশের উত্তরাধিকারী।
ফেজ শহরের একজন ধনী ব্যবসায়ীর সঙ্গে ফাতিমার বিয়ে হয়। বিয়ের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ফাতিমার বাবা, স্বামী ও ভাই মারা যান। ফাতিমা ও তার বোন মারইয়াম তাদের বংশে একমাত্র জীবিত থাকেন। তার স্বামীর রেখে যাওয়া বিপুল সম্পদ ফাতিমা মুসলমানদের শিক্ষার উন্নয়নে ব্যয় করার জন্য পরিকল্পনা করেন।
আফ্রিকা অঞ্চলের ফেজ শহরে ৮৫৯ খ্রিস্টাব্দে ফাতিমা আল-ফিহরি প্রতিষ্ঠা করেন সবচেয়ে বড় মসজিদ। যার নাম কারাউইন। অনেকের মতে মসজিদটি নির্মাণের জন্য সময় লেগেছিল ১৮ বছর অনেকের মতে ১১ বছর। মসজিদের সঙ্গে তিনি মাদ্রাসাও নির্মাণ করেন যেখানে ইসলাম শিক্ষা, আরবি ব্যাকরণ, গণিত, চিকিৎসা, জ্যোতির্বিদ্যা, ইতিহাস, রসায়ন, ভূগোলসহ অসংখ্য বিষয় শিক্ষাদান করা হতো। দশম শতাব্দীতে মাদ্রাসাটির খ্যাতি আফ্রিকা থেকে ইউরোপ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে ধীরে ধীরে কারাউইন মাদ্রাসাটি সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় পরিণত হয়। শুধু মুসলমান নন, মধ্য যুগের অনেক খ্যাতিমান ইহুদি, খ্রিস্টান মনীষীরা এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বেরিয়েছেন।
বিশ্বের প্রাচীনতম লাইব্রেরিও হচ্ছে কারাউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি। ১৩২৩ সালের এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে কারাউইন লাইব্রেরির অধিকাংশ প্রাচীন পাণ্ডুলিপি নষ্ট হয়ে যায়। বেঁচে যাওয়া পান্ডুলিপির মধ্যে প্রায় ৪ হাজার প্রাচীন ও দুর্লভ কিছু পাণ্ডুলিপি রয়েছে। যার মধ্যে নবম শতকে লেখা কোরআন শরিফ, ইবনে ইসহাকের লেখা রাসুল (সা.)-এর জীবনী, হাদিসের সংকলন, ইমাম মালিকের মুয়াত্তা, ইবনে খালদুনের কিতাবুল ইবার এবং আল-মুকাদ্দিমার মূল পাণ্ডুলিপিসহ বিভিন্ন দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ রয়েছে।
বর্তমান ইউনেসকো ও গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুযায়ী কারাউইনই বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২০
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি আমার পোস্টের ওপেন সোর্স উল্লেখ করেছি। আপনার মন্তব্যেও আরও কিছু জেনে নুজের জানার পরিধি ঋদ্ধ করেছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৯
মেঘনা বলেছেন: নালন্দা, তক্ষশীলা এগুলো কি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না ?
০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:১৬
জুল ভার্ন বলেছেন: আমি কি তেমন কিছু বলেছি? পোস্ট না পড়ে কিম্বা শিরোনাম / আংশিক পড়ে মন্তব্য করেছেন!
৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৫৬
আজব লিংকন বলেছেন: @মেঘনা আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দিক দিয়ে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের প্রথম হিসেবে ধরা হয়।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৮:২৯
জুল ভার্ন বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:১১
ফেনা বলেছেন: জানা ছিল না। ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি সুন্দর তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করারা জন্য।