নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘রুমির কথামঞ্জরি’
অনুবাদ - জয়দেব কর
আসছে ..
জালাল উদ্দীন রুমি :
যারা প্রাচ্যের অতীন্দ্রিয়বাদ, বিশেষত সুফিবাদ, সম্পর্কে আগ্রহী তাদের কাছে মাওলানা জালাল উদ্দীন রুমি এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে বিদিত। সর্বকালের সেরা একজন সুফিগুরু হিসেবে ইতিহাসে তাঁর আসন। কবিতার একনিষ্ঠ পাঠক, বিশেষ করে ফার্সি সাহিত্যের গুণগ্রাহীরা, তাঁর কাব্যকে উচ্চমানের কাব্য হিসেবে মর্যাদা দিয়ে থাকেন। জীবন ও জগত সম্পর্কে তাঁর অন্তর্ভেদী প্রেমময় দৃষ্টিভঙ্গি যেকোনও কালের মানুষের বোধ ও চিন্তার উৎকর্ষ সাধনে প্রাসঙ্গিক। প্রাচীন পারস্যের খোরসান প্রদেশের বালখ শহরে (বর্তমানে আফগানিস্তানে অবস্থিত) ১২০৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ সেপ্টেম্বর সুলতান-উল-উলামা বাহা উদ্দিন ওয়ালাদ এবং মুইমিনা খাতুনের কোল জুড়ে আসে এক ফুটফুটে সন্তান। বাবা তাঁর নাম রাখেন জালাল উদ্দিন। বালখে জন্ম হওয়ার কারণে তার পুরো নাম হয়ে ওঠে জালাল উদ্দীন বালখি। জালাল উদ্দীন যখন শিশু, তখন তাঁর পিতার সাথে খোরসানের শাসকের মতান্তর ঘটায় তারা দেশ ত্যাগ করেন। পশ্চিম এশিয়ার রুম প্রদেশের কুনিয়ায় (বর্তমান তুরস্কে) তাঁরা স্থায়ী নিবাস গড়েন। রুমের বিখ্যাত মাওলানা ও কবি হয়ে উঠলে তাঁর নাম হয়ে যায় মাওলানা জালাল উদ্দীন রুমি। আফগানরা তাঁকে আফগান দাবি করে আবার পারসিয়ানরা পারসিয়ান হিসেবে। তাঁর পারসিয়ান পরিচিতিটাই ইতিহাসবিদরা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেন। কারণ তাঁর জন্মকালে ওই শহরটি পারস্য শাসনের অধীন ছিল এবং তিনি তাঁর সিংহভাগ সাহিত্য ফার্সি ভাষায় রচনা করেছিলেন। তাঁর জাতীয়তা, জন্মস্থান এসব বিষয় তাঁর বিশ্বজনীন সৃষ্টিকর্মের নিকট নেহাৎ গৌণ। পিতা সেই সময়ের বিখ্যাত উলামা এবং আইনজ্ঞ হওয়ার কারণে ছোটোবেলা থেকেই রুমির সুযোগ ঘটে ইসলামি শাস্ত্রের বিভিন্ন বিষয়ে গভীরভাবে জ্ঞান অর্জন করার। তাঁর বর্ণাঢ্য আধ্যাত্মিক জীবনে লোকোত্তর জ্ঞানান্বেষণের পথ বহু গুরুত্বপূর্ণ সুফি সাধকের সঙ্গ ও প্রেমে সমৃদ্ধ। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন বিখ্যাত সাধক কবি আত্তার, শামস্ তাবরিজি, সালাউদ্দিন জাকুব এবং হুসাম আল চেলেবী। শামস তাবরিজির সংস্পর্শ শরিয়তপন্থী রুমির জীবনে এক বিশাল বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আসে। তাঁর রচিত গ্রন্থাবলির মধ্যে দিওয়ান-ই-শামস্ তাবরিজ, মসনবী, ফিহী মা ফিহী সুপ্রসিদ্ধ। মসনবী রুমির লেখা সবচেয়ে জনপ্রিয় গ্রন্থ। এটি সৃষ্টির পর আর বেশিদিন বাঁচেননি তিনি। ১৭ ডিসেম্বর ১২৭৩ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর মহাপ্রয়াণ ঘটে এই মহান সুফি সাধকের। তাঁর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় মুসলিম, খ্রিষ্টান ও ইহুদিসহ প্রায় সব ধর্মের মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তাঁকে তাঁর বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা হয়। তাঁর কবরের এপিটাফটিতে উজ্জ্বল হরফে লেখা রয়েছে, ‘যখন আমরা মরে যাব, তখন আমাদের কবর পৃথিবীতে খুঁজো না, তা মানুষের হৃদয়ে সন্ধান কোরো’।
২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪০
জয়দেব কর বলেছেন: ইংরেজী
২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ একটা ভালো উদ্যোগ নিয়েছেন, অভিনন্দন!
পোস্টটি হ্রস্ব, তবে সুলিখিত। + +
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: সুখপাঠ্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৩
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনি কী এটা ফার্সি থেকে সরাসরি অনুবাদ করেছেন নাকি ইংরেজি থেকে ??