নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।
আচ্ছা না হয় আমি মেনেই নিলাম বিবর্তনই ঘটেছে । ধীরে ধীরে বিবর্তিত হয়ে মানুষ সৃষ্টি হয়েছে! আবার আরেকটু বিষয় ভাবতে পারি না হোমোসেপিয়েন্স ব্যাতিরেকে তাদের সাধারণ পূর্বপুরুষরা হারিয়ে গেল কেনো? পৃথিবী থেকে হোমো অস্ট্রালোপিথ্যাকাস,হোমো ইরেকটাস,হোমো নিয়ানর্ডাথাল হারিয়ে গেলো টিকে গেলো শুধু হোমো সেপিয়েন্স? নিয়ান্ডারথাল ও হোমোসেপিয়েন্স সাধারণ পূর্বপুরুষও ছিল একই পূর্বপুরুষ হোমো ইরেক্টাস হয়ে হোমো অস্ট্রালোপিথ্যাকাস্দের থেকে বিবর্তিত হয়েছি আমরা উভয়েই বিবর্তনবাদতত্ত্ব যা বলে। জেনেটিক গবেষণাও নাকি প্রমাণ করে। আবার লক্ষ্য করুন জার্মানির জাঁ জ্যাক লিপজিগ বিবর্তনমূলক নৃ-বিজ্ঞান ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউটের হাবলিন বলেন, হোমো স্যাপিয়েন্সরা তাদের বাসস্থান দখলে নিয়ে নিলে নিয়ান্ডারথালরা খুব শিগগিরই বাস্তুচ্যুত হয়।ফলে আধুনিক মানুষের কাছে প্রতিযোগিতায় হেরেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেয় তারা।আসলে কি ব্যাপারটি এটাই নাকি অন্য কিছু? নিয়ানর্ডাথালদের জেনেটিকগত প্রবলেম,টিকে থাকার সামর্থ্য বা প্রজন্ম বৃদ্ধির ঘাটতিই তাদের দুনিয়া থেকে হারিয়ে দিয়েছে? বছরের পর বছর ধরে চলা গবেষণায় জেনেটিক কোড ম্যাপিং করে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, হোমো নিয়ান্ডারথ্যালেন্সিস্ হল ডিএনএ এনকোডেড হওয়া প্রথম বিলুপ্ত মানব প্রজাতি। নিয়ান্ডারথাল ডিএনএ’র সঙ্গে আমাদের জিনোমের তুলনা করে তারা এখন বলছেন, আধুনিক মানব প্রজাতি (হোমোস্যাপিয়েন্স) জেনেটিকালি অনন্য। তাই জেনেটিক্যাল দুর্বলতাও নিয়ান্ডারথাল হারিয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী। তাদের মতে হোমো সেপিয়েন্স এর জীবনে কিছু পরিবর্তন ঘটে। এই পরিবর্তন হোমো সেপিয়েন্সকে টিকিয়ে রাখে। কিন্তু এখন প্রশ্ন মানবজাতির জীবনে এমন কি পরিবর্তন হয়েছিলো? এই পরিবর্তন কি কোন পরিব্যাক্তি ছিলো? আধুনিক মানুষ যারা হোমো সেপিয়েন্স থেকে এসেছে তারা হঠাৎ করে এত বিশাল জ্ঞানের অধিকারী বা জ্ঞানবিপ্লব ঘটাতে সক্ষম হলো কিভাবে? অভিজ্ঞতালক্ধ জ্ঞান ধরে রাখার ক্ষমতা এবং মানবীয় অভ্যন্তরস্থ্য জ্ঞান আকস্মিকভাবে হোমো সেপিয়েন্স নামের প্রাচীন মানুষের জীবনকে রাতারাতি তারকা বানিয়ে দিলো? যদি এমন কোন পরিব্যাক্তি ঘটে থাকে তাহলে সেই পরিব্যাক্তিটি কেমন ছিলো? সেটাই কি জ্ঞান বৃক্ষ? (ধর্মীয় দৃষ্টিকোনে মানুষকে যে বৃক্ষের কাছে যেতে নিষেধ করা হয়েছিলো।) জ্ঞানবৃক্ষজনিত পরিব্যাক্তিই কি আধুনিক মানবজাতির সৃষ্টি করে?
বিবর্তনবাদ মেনে নিলেও কিছু প্রশ্ন বিবর্তনবাদকে প্রশ্নের সম্মুখিন করে তোলে! একটি জীবনকে সম্ভব করার জন্য জীন এবং ডিএনএর যে রহস্যময় কারুকাজ তা কি করে সম্ভব এই প্রশ্ন করেছেন বিশিষ্ট নাস্তিক বিজ্ঞানি ফ্লিও। তিনি বলেন “আমি মনে করি ডিএনএ তে বিদ্যমান এই বহুমাত্রিক মৌলিক উপাদানকে একটি সুবিন্যস্ত পরিসরে সাজানোর পিছনে অবশ্যই একজন বুদ্ধিমান সত্ত্বার অস্তিত্ব রয়েছে। এ বহুমাত্রিক জটিল বিন্যাস আমাকে এ সিদ্ধান্তে উপনীত করেছে যে, অবশ্যই তা এক বুদ্ধিমান সত্ত্বার কাজ”। আবার বিশিষ্ট বিজ্ঞানবাদী স্টিফেন সি মেয়ার ঠিক একই ভাষায় কথা বলছেন। তিনি বলেন “ জীববিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে মহাবিশ্বটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে, ডিএনএতে উপস্থিত প্রচুর পরিমাণে জিনগত তথ্য অবশ্যই জীবনকে সম্ভব করার জন্য উত্থিত হয়েছিল” । স্টিফেন সি মায়ারের কথা আমাদের বুঝতে শেখায় যে এত জটিল ডিএনএর প্রোগ্রামিং কিভাবে আপনাআপনি সম্ভব হলো? একটি কোষকে সৃষ্টি করার জন্য প্রাণ স্থাপিত করার জন্য এত জটিল প্রোগ্রামিং কি করে আপনা আপনি ঘটলো? যেখানে মাইক্রোসফ্ট এর প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেছেন ‘ আমাদের বিশ্বের সবচেয়ে সেরা সফটওয়্যারটির প্রোগ্রামিং এর চেয়ে ডিএনএর প্রোগ্রামিং অনেকগুন উন্নত। তাহলে এই উন্নত প্রোগ্রামিং কি আপনা আপনি ঘটতে পারে? আদ্যৗ কি সম্ভব? জীববিজ্ঞানী মাইকেল ডেল্টন আমাদের আরো অবাক করে দেয়। প্রকৃতির এই রহস্যময়তা তাকে বুঝতে দেয় প্রকৃতির এত কিছুর আয়োজন মানুষের আগমনের জন্যই। তিনি বলেন “কোষের অলৌকিক ঘটনা আমাদের গ্রহে প্রাণের আবির্ভাবের অনেক আগে থেকেই, সমস্ত জীবনের এই মৌলিক এককের জন্য প্রকৃতির নিয়মের সূক্ষ্ম ফিটনেসে,প্রকৃতির ক্রমানুসারে, কার্বন-ভিত্তিক কোষের নকশার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। পৃথিবী কোষের মূল পারমাণবিক উপাদানগুলির বৈশিষ্ট্যগুলির চেয়ে এই ফিটনেসটি আর কোথাও স্পষ্ট নয়। জীবনের প্রতিটি পরমাণু-কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন সহ, সেইসাথে বেশ কিছু ধাতব উপাদান-কোষে অত্যন্ত সুনির্দিষ্ট, অপরিহার্য ভূমিকা পালন করার জন্য সূক্ষ্মভাবে সাজানো অনন্য বৈশিষ্ট্যগুলির একটি স্যুট বৈশিষ্ট্যযুক্ত। তদুপরি,এই বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে কিছু বিশেষভাবে আমাদের মতো উন্নত বায়বীয় জীবের কোষে অপরিহার্য ভূমিকার জন্য উপযুক্ত” ।
জেনেটিক্যালি অনন্য বিষয়টি প্রকৃতি বুঝতে পারে কি করে তাহলে কি প্রকৃতির এই চেতনা বা কনসাসনেস আছে? আবার বিবর্তনবাদ আজকের Developmental Gene Regulatory Network এবং Epigenetic Information এর ব্যাক্ষা করতে পারে নাই? বিষয়বস্তু এমন প্রাণিদেহ সৃষ্টি বা ডিএনএর তথ্য তার অপারেটিং সিষ্টেম এবং জেনেটিক কার্যক্রম যা কিছু আছে সমস্তটাই যেনো এই মহাবিশ্বে এইরুপই প্রয়োজন ছিল! কি সুন্দর তথ্যসমৃদ্ধ ডিজাইনে নির্মিত মানুষের বডি স্টাকচার। মানুষের কোষ আর ডিএনএতে অবস্থিত জিনগত তথ্য। কে এই প্রানিদেহ নির্মানের জন্য কমান্ডিং সিষ্টেম এর তথ্যগুলো সুশৃংখলা সাজালো? আপনা আপনি কি সম্ভব? আইডি’র এই বক্তব্যগুলো একেবারে ফাঁকাবুলি নয়। যুক্তিসংগত বটেই। কেননা ম্যাক্রো ইভ্যুলেশন ঘটতে হলে নতুন বডি স্টাকচার বা অপারেটিং সিষ্টেম বির্নিমানে প্রকৃতির অভ্যন্তরে অবশ্যই অতিপ্রাকৃতিক এজেন্সির (some supernatural agencies) বা একটি মাত্র এজেন্সির হাত আছে। নইলে প্রাণির বডিস্টাকচার এবং নতুন নতুন ডিজাইন এবং কমান্ড সিষ্টেমের নান্দনিকতা কখনই সম্ভব হতো না। ঠিক সেই হিসেবেই প্রকৃতির যতটুকু দরকার ছিলো ঠিক ততটুকুই রেখেছে বাকীটা ডিলেট করে দিয়েছে। আর এই কারনেই আধুনিক মানুষ সেই হোমো সেপিয়েন্স এর জিন বহন করে চলেছে। শিপ্পাঞ্জি থেকে শুরু করে হোমো ইরেক্টাস হয়ে হোমো অস্ট্রালোপিথ্যাকাস্দের মধ্য থেকে বিবর্তিত হয়ে হোমো নিয়ানর্ডার্থাল এবং হোমো সেপিয়েন্স হয়ে আমরা আধুনিক মানুষ। কিন্তু প্রকৃতির বুকে আমরা হোমো সেপিয়েন্স এর জিন বহন করে চলেছি। কিন্তু অন্য কোন জীন নিয়ে কোন প্রাণি পৃথিবীতে অবশিষ্ট নেই। এ যেনো মানুষ সৃষ্টি করতে ঠিক যতটুকু প্রয়োজন ছিলো প্রকৃতি ঠিক ততটুকুই রেখেছে। বাকি প্রজাতি প্রকৃতি ইচ্ছে করে বিনাশ করে দিয়েছে। এতেই প্রমান হয় প্রকৃতির ছদ্মবেশে প্রকৃতির মাঝে কোন সত্ত্বার উপস্থিতি বিদ্যমান ছিলো? যা মানুষের জ্ঞানবৃক্ষ পরিব্যাপ্তি ঘটার পর মানুষ সৃষ্টি সম্পন্ন বিধায় হারিয়ে দিলো অন্য সকল প্রজাতি! নইলে কি এমন কারন হতে পারে যে আধুনিক মানুষ শুধুমাত্র সেপিয়েন্স এর জীন বহন করছে? বিখ্যাত নাস্তিক জীববিজ্ঞানী রিচার্ড ডকিন্স ইদানিং ভীনগ্রহের প্রানীদের দ্বারা মানবদেহ ডিজাইনকৃত বলে মন্তব্য করছেন। অথচ মানুষ সৃষ্টির পর থেকে ফেরেস্তা বা দেবতাদের পৃথিবীতে আগমনের বিষয়টি ধর্মগ্রন্থগুলোতে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও আমরা ভীন গ্রহের প্রাণি নিয়ে নাচানাচি করছি অথচ ফেরেস্তা নামক প্রানিটির কথা আমাদের মাথায় আসেছে না।
নৃতাত্ত্বিক জটিলতা এই বিবৃতি প্রকাশ করে যে, আমাদের বসবাস করার জন্য এই জগৎ ও মহাবিশ্ব “অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো-গোছান”অবস্থায় বিরাজমান। পৃথিবীর উপর প্রবাহমান বাতাসের উপাদানগুলোর অনুপাত যদি সামান্যতম পরিবর্তীত হতো তাহলে পৃথিবীর উপর থেকে অনেক প্রজাতি খুব দ্রুতই তাদের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলতো। আবার যদি পৃথিবী সূযের খুব কাছে অথবা অনেক দূরে থাকতো তাহলেও পৃথিবীর উপর থেকে অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেত কিংবা সম্পূর্ণভাবে তাদের অস্তিত্ব হারাতো কিংবা কোন প্রাণ উৎপাদনই সম্ভব হতো না। পৃথিবীতে বসবাসরত প্রাণ ও প্রাণীর অস্তিত্ব এবং উন্নয়নের জন্য সঠিকভাবে সুশৃঙ্খলিত না থাকলে পৃথিবীতে প্রান উৎপাদন এবং টিকে থাকা অসম্ভবপর হয়ে উঠতো! অতএব এই সুন্দর পৃথিবী এবং মানুষ সৃষ্টির জন্য একজন কনসাসনেস অবশ্যই রয়েছে এবং তার সাহায্যকারী হায়ার ডাইমেনশনাল কোন প্রাণি ফেরেস্তা রয়েছে। নইলে এই মানুষ আমরা এই পৃথিবীতে আসতাম না এবং এত উন্নত আচরনসমৃদ্ধ জ্ঞান বিজ্ঞানও জানতে পারতাম না।
এই মানবজাতিকে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। কথা বলা শেখা, লিখন পদ্ধতি শেখা, রাষ্ট্রিয় পদ্ধতি সহ নগর নির্মান, প্রাচীন ব্যাবিলনের হাম্বুলি আইন নির্মান। এখানে দেবতাদের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়। আবার ব্যাবিলনের হারুত মারুত দুজন ফেরেস্তার মানব জাতিকে হিপটোনাইজ শেখানোর বিষয়টি উল্লেখ্য। যুগে যুগে পৃথিবীতে অশরীরি প্রানির আনাগোনা ঘটেছে মানুষের উন্নয়নের প্রয়োজনে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ সহ বিভিন্ন পূরনে উল্লেখ থাকার পরও কেনো আমরা বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না অথচ ভীনগ্রহের প্রাণি নামক একটি কল্পনাকে আশ্রয় প্রশ্রয় করে রুপকথার গল্প ফাদছে। আমি পূবেই বলেছি মানবজাতি আপনা আপনি এত জ্ঞান পাই নাই। এত জ্ঞান আহরনের পিছনে তার মজ্জাগত উন্নয়ন ব্যতিরেকেও জ্ঞান অজর্নের জন্য তার শিক্ষক মনোনীত করার প্রয়োজন হয়েছিলো। যুগে যুগে যারা পৃথিবীতে এসেছে শুধু মানবজাতির উন্নয়নের প্রয়োজনে। ইতিহাসের বিভিন্ন পেক্ষাপটে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রমান ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। মানবজাতি তো পশুদের মতোই একশ্রেণির প্রাণী মাত্র। কিন্তু তার এই অগাধ জ্ঞান এলো কোথা থেকে? কিভাবে সে মুহুত্বের মধ্যে পৃথিবীর মধ্যে জ্ঞানবিপ্লব ঘটাতে পারলো? কথা বলা শেখা,বিশেষ শব্দ তৈরীর কৌশল বা বিভিন্ন বস্তুর নামকরণ করা,আবার একই সময়ে পোষাক পরার চিন্তা মাথায় এলো কিভাবে? আর এই যে পোষাক পরার চিন্তা কথা বলার জন্য শব্দ চয়ন বা নামকরন করা শিক্ষা যা ধর্মগ্রন্থগুলোর সাথে সামহ্জস্যপূর্ন। ধর্মগ্রন্থগুলোর বক্তব্যর সাথে পৃথিবীতে আর্বিভূত হওয়া হোমো সেপিয়েন্স মানুষের দৃষ্টান্ত একই। তবে কি এদের মধ্যে কি কেউ ছিলো আদম? আমিতো মানুষের এই উন্নয়নের পিছনে স্রষ্টার হস্তক্ষেপ স্পষ্ট লক্ষ্য করছি?
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যাবাদ আপনার লেখাটি আমাকে পড়ানো জন্য।
আধুনিক বিজ্ঞান বলে শুন্য থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়। (আসলে আধুনিক বিজ্ঞান না বলে বিজ্ঞানের একটি অংশ বলাই যুক্তিসংগত) কিন্তু যেখানে স্থান নেই কাল নেই সেখানে শুনাত্য এলো কোথা থেকে। পরে আসে ইনফ্লেশন থিওরি কেউ কোউ বলে আরেক মহাবিশ্নের শুন্যতা। আসলে বুঝি না ভাই। ক্ষুদ্র মস্তিস্কে এত বড় চিন্তা আমার মাথায় ধরে না।
তাহলে আরেক মহাবিশ্বটা আবার এলৈা কোথা থেকে? সেই মহাবিশ্ব থেকে এই মহাবিশ্বের স্পেস গঠিত হলো। দারুন আজব বিষয়! মাথায় কাজ করে না। ঐ আরেক মহাবিশ্বে কি আল্লা থাকে? নইলে কে সৃষ্টি করলো এই মহাবিশ্ব?
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ভালো একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন । এখন বিবর্তনবাদীদের থেকে কোন মন্তব্য আসলে ভালো হত !! হয়তো আসবে !!
আমার প্রশ্ন হলো পিথেক্যানথ্রপাসকে নিয়ে । পিথেক্যানথ্রপাসের যে ফসিল পাওয়া যায় তাতে তো একদম নিশ্চিত হওয়া যায় না এই সেই পিথেক্যানথ্রপাস , ফসিলগুলোকে স্বতঃসিদ্ধভাবে পিথেক্যানথ্রপাস বিশ্বাস করে নিয়ে পরবর্তী গবেষণা চলেছে , যেটা আসলেই কিছুটা অসংলগ্ন ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ক্যামব্রিয়ান বিস্ফোরন নিয়ে একটু পড়লেই বুঝতে পারবেন বিবর্তনবাদের গলদ। আসলে শুরুতেই বডি স্টাকচার আলাদা আলাদা ভাবে গঠিত হয়েছে। তারপর এসেছে বিবর্তন। ফাক ফোকর অনেক আছে। আপনা আপনি ভাবে এতটা জটিল প্রাণ সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয়।
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩১
নীল আকাশ বলেছেন: খুব দুর্দান্ত একটা লেখা পড়লাম। সহজ কোনো টপিক না, লেখাও সহজ নয়।
মূল বিষয়টা হচ্ছে আপনি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করবেন, নাকি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করবেন।
আপনি যদি ধর্মীয় দৃষ্টি থেকে ব্যাখ্যা করতে চান, তাহলে সৃষ্টির শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সবকিছুর খুব সুশৃংখলভাবে পরিবর্তনের বিশদ ব্যাখ্যা দেয়া আছে। আদম আ: কে পৃথিবীর মাটিতে নেমে নামিয়ে দেওয়ার পর থেকে বহুবার বহু কারণে সৃষ্টিকর্তা মানুষের মাঝে শাস্তির প্রবর্তন করেছেন, সম্প্রদায়ের পর সম্প্রদায়, জাতির পর জাতিকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন কিংবা ধ্বংস করে পুরোপুরি নির্মূল করে দিয়েছেন। পরিবর্তন বা বিবর্তন অবশ্যই হয়েছে এর মাঝে।
কিন্তু বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করতে গেলে, বিষয়টা বেশ জটিল। যেহেতু বিজ্ঞান প্রথমেই ধরে নিয়েছে সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই, তখন সবকিছুই পিছনে তারা কোন যুক্তি খুঁজে। তাদের যুক্তিগুলো যে সব সময় যৌক্তিক হয় এটাও নয়। ৪০০ বছর আগের বৈজ্ঞানিক যুক্তিগুলো এখন আসলে হাস্যকর। হয়তো ভবিষ্যতে এখনকার যুক্তিগুলো হাস্যকর প্রমাণিত হবে।
বিজ্ঞান সদা পরিবর্তনশীল, বিজ্ঞান বিবর্তিত হবে, নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করবে এবং সৃষ্টিকর্তার অপার রহস্যের সোপান ধরে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাবে চূড়ান্ত উৎকর্ষের দিকে। ভুলে যাওয়া চলবে না মানুষের এই জ্ঞান বুদ্ধি এবং উৎকর্ষতা মহান প্রভুর দেয়া একটা দান। কখনো কোনদিনও সৃষ্টি তার স্রষ্টার সমান হতে পারবে না।
শুভ কামনা।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৩২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: হ্যা ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন।
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
সোনাগাজী বলেছেন:
অপ্রয়োজনীয় রূপকথা নিয়ে জাবরকাটা
৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
সোনাগাজী বলেছেন:
ধর্মগ্রন্হগুলো মানুষের লেখা। আপনি যেভাবে লিখছেন, ঠিক এভাবেই লেখা হয়েছে।
৬| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০৬
কামাল১৮ বলেছেন: আপনি কি মেনে নিলেন আর কি মেনে নিলেন না তার উপর প্রকৃতির কোন কিছুই নির্ভর করে না।সেটা একান্তই আপনার নিজস্ব মতা মত।
বিবর্তন হয়ে কোন কিছু সৃষ্টি হয় না,কেবল মাত্র বিবর্তীত হয়।যখনি আপনি সৃষ্টি শব্দটি আনবেন তখনি আপনাকে সৃষ্টি শব্দটির সংজ্ঞা দিতে হবে।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বিবর্তন হয়ে কোন কিছু সৃষ্টি হয় না,কেবল মাত্র বিবর্তীত হয়। যখনি আপনি সৃষ্টি শব্দটি আনবেন তখনি আপনাকে সৃষ্টি শব্দটির সংজ্ঞা দিতে হবে। বিবর্তন হতে হতে একটি স্থানে এসে বিবর্তন প্রক্রিয়া থেকে যায়। আমার লেখাটা হয়তো বুঝতে পারেন নি। আমি প্রশ্ন করেছি হোমোসেপিয়েন্স এ এসে থেমে গেছে বিবর্তন পরবর্তী কোন রুপায়ন নেই। হোমো নিয়ানডার্থাল বা হোমো ইরেক্টাস, হোমো অষ্ট্রোলোপেথিকাস এদের অস্তিত্ব কোথায়? এত দীর্ঘদিন পর বোঝা গোলো বিবর্তন একটা সীমানায় এসে থেমে যায়। ম্যাক্রো এভ্যুলেশন আর ঘটে না। তার মানে হোমো সেপিয়েন্স নির্ধারিত। প্রকৃতি এটাকেই নির্ধারন করেছে। এর পূর্বে অনেক প্রানির ক্ষেত্রেও এমনটিই ঘটেছে।
এই যেমন ধরেন ইভেন্টের সময়, "ক্যামব্রিয়ান বিস্ফোরণ," অনেক প্রাণী হঠাৎ করে জীবাশ্ম রেকর্ডে আবির্ভূত হয়েছিল পূর্বপুরুষ ছাড়াই শিলার পূর্ব স্তরে। আলাদা আলাদা বডি স্টাকচার আলাদা আলাদা কমান্ডিং সিস্টেম বা অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে। এই সকল বডি স্টাকচারগুলো এলো কিভাবে? এক একটা প্রানির আলাদা আলাদা উপলদ্ধি বোধ বা অপারেটিং সিস্টেম। একটু গভীর ভাবে ভা্বুন না ভাই? আবার যেমন ধরুন বিবর্তন ব্যাক্ষা দিলেন আপনি কিন্তু পৃথিবীতে প্রান উৎপাদনের কারন ব্যাক্ষা করতে পারনে না। তাহলে কি প্রমান হয়? গাছ আছে গাছের শিকড় নেই। প্যানর্প ামিয়া এর ব্যাক্ষা করতে পারে। আসলে প্রানের আদি কারন যা মহাজাগতিক উৎস থেকে। অথাৎ মহাজগৎ থেকে প্রাণ এসেছে। আপনি তো বিবর্ত নটা পেলেন পৃথিবীতে। কিন্তু তার আগের উৎসটা পেলেন না।
তো যাই হোক ভালো থাকুন। স্রস্টার প্রতি ভরসা করুন। আল্লাহ আপানর ঈমান দিক।
৭| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৬
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: @কামাল১৮
বিবর্তন হয়ে কোন কিছু সৃষ্টি হয় না,কেবল মাত্র বিবর্তীত হয়।
সে নাহয় ঠিক , কিন্তু এটাও তো সত্য যে বিবর্তনবাদীদের মতে মানব সৃষ্টির পেছনে মূল অনুঘটক হলো বিবর্তন । সৃষ্টি না বলে যদি আবির্ভাব বলি তবেও তো আভিধানিক অর্থের কোন পরিবর্তন হয় না । তবে বিবর্তনের মধ্য দিয়ে মানুষের মত এমন একটি উন্নত প্রজাতির আবির্ভাব হবার ব্যাপারটা কেমন যেন রূপকথা বলেই মনে হয় , কারণ বিবর্তন কোন প্রভাবহীন সক্রিয় প্রক্রিয়া নয় । এর প্রক্রিয়ার পেছনে অনেক প্রভাবক আছে । সম প্রভাবক থাকা সত্ত্বেও কী করে কেবল মানুষের বিবর্তনের মাধ্যমে আবির্ভাব ঘটল ? কেন অন্যরা হলো না ? এটাও তো একটা ভাববার বিষয় !!
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কেন অন্যরা হলো না ? এটাও তো একটা ভাববার বিষয় !! আসলেও এটা ভাববার বিষয়? আর এই বিষয়টাই প্রমান করে বিবর্তন নিয়ন্ত্রিত একটি প্রক্রিয়া। মানুষকেই নির্ধ্ারিন করা হয়েছিলো।
৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১১
তানভির জুমার বলেছেন: সোজা বাংলায় বললে বিবর্তনবাদীদের যদি জিজ্ঞেস করা হয়, গত ৫০০-৬০০ বছরের মধ্যে কোন বানর মানুষ হয়েছে বা কোন মানুষ বানর হয়েছে এরকম প্রমান কি কেউ দেখাতে পেরেছে? ওরা বলে এমনি এমনি কোনকিছু হতে পারে না, আবার বিগব্যাং ও বিশ্বাস করে।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:২৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
জীববিজ্ঞান ও বিবর্তন মেনে নিলে কোরান, বাইবেল, এবং ওল্ডটেষ্টমেন্ট মিছে হয়ে যায়।
এরপর কল্পিত একটি 'শৃষ্টিকর্তা' কে নিয়ে করবেনটা কি?
এই ধর্মের নাম কি হবে?
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: জীববিজ্ঞান ও বিবর্তন মেনে নিলে কোরান, বাইবেল, এবং ওল্ডটেষ্টমেন্ট মিছে হয়ে যায়। এরপর কল্পিত একটি 'শৃষ্টিকর্তা' কে নিয়ে করবেনটা কি? ভাই কেনো? জীববিজ্ঞান ও বিবর্তন মানলে কোরান বাইবেল ওল্ডটেষ্টামেন্ট মিছে হয়ে যায় কেনো? জীববিজ্ঞান তো বিজ্ঞান! বিবর্তন একটি তত্ত্ব! এই তত্ত্বের সমস্তটাতো মানা যায় না কিছু অংশ মানা যায়। বিবর্তন একটি কারন। হতে পারে একটি লক্ষ্যে পৌছনোর অভিযাত্রা। ম্যাক্রো ইভ্যুলেশন নিয়ে সমস্যা আছে? আর সেই সমস্যাতেই বোঝা যায়। আর যাই বলেন ভাই প্রানের সূচনা ঘটেছিলো মহাকাশ থেকে উল্কাপিন্ডের মাধ্যমে। তাহলে আপনি কি পাচ্ছেন ? আদম তো উপর থেকে এসেছে শুধু মাত্র গঠনকাঠামো র্নিমান দুনিয়াতে! এত সহজে সৃষ্টিকর্তাকে হারাতে পারবো না।
"আমি তোমাদের প্রত্যেককে একটি আইন ও পথ দিয়েছি। যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে তোমাদের সবাইকে এক উম্মত করে দিতেন, কিন্তু এরূপ করেননি- যাতে তোমাদের যে ধর্ম দিয়েছেন, তাতে তোমাদের পরীক্ষা নেন। অতএব দৌঁড়ে কল্যাণকর বিষয়াদি অর্জন কর। তোমাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তণ করতে হবে। অতঃপর তিনি অবহিত করবেন সে বিষয়, যাতে তোমরা মতবিরোধ করতে।"-(৫:৪৮) অতএব ধর্ম মানুষে সৃষ্টি করেছে। ভিন্ন ভিন্ন করেছে। স্রষ্টা জানলেও কিছু বলেন নাই। কারন জ্ঞানের প্রতিযোগীতা। এবং এক পর্যায়ে ধর্ম সংক্রান্ত মতবিরোধ তিনিই সমাধান করবেন।
ভাইগো। স্রষ্টার রিসালাত কে এত তাড়াতাড়ি হারাতে চাইছেন কেনো্? জ্ঞান আরো গভীর হোক। তারপর দেখেন।
১০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৩৬
অন্ধঘোড়া বলেছেন: বর্তমান বিজ্ঞানের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, লিমিটেশন আছে। অনেক কিছুই আছে যা আমরা এখনো জানিনা, অনেক কিছু আছে যা বর্তমান বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করতে পারে না। বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করতে পারে না এটা বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা, মানুষের জ্ঞান আরো বাড়বে সময়ের সাথে সাথে। আরো হাজার বছর পরে হয়তো দেখা যাবে আমরা অনেক রহস্যই উদঘাটন করতে পেরেছি। আর বিজ্ঞান বদলায় অনেক। হাজার বছর পর দেখা যাবে আমরা এখন যেসব বৈজ্ঞানিক তত্ব দিয়ে অনেক বিষয় ব্যাখ্যা করি, তখন এসব তত্ব ভুল প্রমাণিত হবে। এমন ইতিহাস আছে। মানুষ আগে জানতো পৃথিবীর চারিদিকে সূর্য ঘুরে, এখন আসল ঘটনা জানে; আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ব বনাম নিউটনের তত্ব- এগুলা খুবই সাধারণ দুটো উদাহরণ মাত্র। বর্তমান বিবর্তনবাদের দুর্বলতা আছে, তবে আমি মনে করি একসময় মানুষ এতোটাই উন্নত হবে যখন এসব দুর্বলতা থাকবে না। এখনি সৃষ্টিকর্তার সাথে মানুষের অস্তিত্ব টেনে আনতে নারাজ আমি। আর এলিয়েন হলো আষাঢ়ে গল্প।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আর এলিয়েন হলো আষাঢ়ে গল্প। আর এই আষাঢ়ে গল্পই এখন ঘটনার কারন হয়ে পড়েছে। যা অন্ধবিশ্বাসের চেয়ে ভয়াবহ।
১১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৪৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: হোমো সেপিয়েন্স আর বিবর্তিত হচ্ছে না এটা কিসের উপর ভিত্তি করে বলছেন?
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বিবর্তন হয় না সঠিক নয়। বিবর্তন হয়। মাইক্রো বিবর্তন হচ্ছে। তাতে আমাদের আকার অকৃতি বা আচরন কিছুটা পরিবতর্ন হ্েচ্ছ। কিন্তু ম্যাক্রো বিবর্তন হচ্চে না। সেপিয়েন্স প্রজাতি পরিবর্তন হয়ে অন্য কোন প্রজাতিতে পরিনত হয় নি। যেমন হোমো ফ্লোরেসিয়েনসিস। যাদে উদ্ভব প্রায় এক লক্ষ বছর আগে। সেই মানব প্রজাতির জীবনকালও সবচেয়ে কম। আজ থেকে ১২ হাজার বছর আগে যখন সে মারা যাচ্ছে তখন দেখা যাচ্ছে পৃথিবীতে এই প্রজাতি থেকেছে মাত্র আশি হাজার বছর। এত কম আয়ু আর অন্য কোনও প্রজাতির ছিল না। কিন্তু হোমো সেপিয়েন্স প্রায় দু লাখ বছর আগে উদ্ভব ঘটে থাকলেও তার নিজস্ব জীন নিয়ে দুদার্ন্ত দাপটে পৃথিবী রাজত্ব করে যাচ্ছে। আমি আপনাকে নীচে মানুষের অন্যন্য প্রজাতিগুলোর সময়কাল তুলে ধরলাম।-
অস্ট্রালোপিথেকানস দের অন্য প্রজাতি ধরে নিলে মানব জাতির বড়ভাই সবচেয়ে প্রাচীন প্রজাতি সম্ভবত হোমো হাবিলিস। ২৪ লক্ষ বছর আগে তাদের উদ্ভব। দশ লক্ষ বছর পৃথিবীতে টিঁকে থাকার পর এই প্রজাতিটির মৃত্যু হয়। সে প্রায় আজ থেকে ১৪ লক্ষ বছর আগে।
মেজভাই বলা যায় হোমো ইরগাস্টারকে। আবির্ভাব ১৯ লক্ষ বছর আগে আর লয় ১৫ লক্ষ বছর আগে।
এরপর আবির্ভাব হোমো ইরেক্টাস প্রজাতির। সবচেয়ে দীর্ঘজীবনের অধিকারী এরা। ১৮ লক্ষ বছর আগে তাদের উদ্ভব। মাত্র তিরিশ হাজার বছর আগে তারা বিলুপ্ত হয়ে গেল। সতেরো লক্ষ বছরের বেশি সময়কাল জুড়ে আর কোনও মানব প্রজাতিই টিঁকে থাকে নি।
হোমো অ্যান্টেসেসর এর আবির্ভাব ৮ লক্ষ বছর আগে। লয় ৫ লক্ষ বছর আগে।
হোমো হাইডেলবার্গেনসিস এর আবির্ভাব ৬ লক্ষ বছর আগে। লয় ১ লক্ষ বছর আগে।
হোমো নিয়ানডারথেলেনিস এর আবির্ভাব চার লক্ষ বছর আগে। এরাও বিলুপ্ত হল হোমো ইরেক্টাস যখন বিপুপ্ত হচ্ছে সেই সময়টাতেই। হাজার তিরিশ বছর আগে।
আজ থেকে দু লক্ষ বছর আগে আমাদের প্রজন্ম হোমো স্যাপিয়েন্স এর আবির্ভাব। কিন্তু তার পরেও জন্ম নিয়েছে হোমো ফ্লোরেসিয়েনসিস। এক লক্ষ বছর আগে। সেই মানব প্রজাতির সবচেয়ে কনিষ্ঠ ভাই বা বোন। তার জীবনকালও সবচেয়ে কম। আজ থেকে ১২ হাজার বছর আগে যখন সে মারা যাচ্ছে তখন দেখা যাচ্ছে পৃথিবীতে এই প্রজাতি থেকেছে মাত্র আশি হাজার বছর। এত কম আয়ু আর অন্য কোনও প্রজাতির ছিল না।
মানব জাতির অন্যান্য ভাই বোনেরা বেশ কয়েক লক্ষ বছর আগে ধরাধাম থেকে বিদায় নিলেও এই সেদিন মানে তিরিশ হাজার বছর আগে পর্যন্তও যারা টিঁকে ছিল তারা হল - হোমো ইরেক্টাস, হোমো নিয়ান্ডারথালেনসিস, হোমো ফ্লোরেসিয়েনসিস এবং হোমো স্যাপিয়েন্স। এদের মধ্যে হোমো সেপিয়েন্স এখনো ব্যাট করে চলেছে। এখনো সেই একমাত্র নট আউট।
আসলে আমি যেটা বলতে চাইছি এত প্রজাতি পৃথিবীতে এসেছিলো আবার বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আসলে প্রানিগুলোর নিদীষ্ট সময়কাল ছিলো। তাদের টিকে থাকার একটি সীমারেখা। আধুনিক মানুস বা হোমো সেপিষেন্স নির্ধারিত ছিলো।
১২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৫৯
অনল চৌধুরী বলেছেন: মানুষের সৃষ্টি পুরোটাই একটা রহস্য।
কেনো তাদের সৃষ্টি হয়েছে , সেটার বাখা শুধু ধর্ম দেয়, বিজ্ঞান এ
ব্যাপারে কিছু বলেনা।
নিউটন,আইনষ্টাইন বা হকিংও না।
অনেকের ধারণা , আমরা সবাই যা দেখছি, পুরোটাই আসলে স্বপ্ন, একটা মায়ার জগতে আছি আমরা , যার কিছু্ই বাস্তব না !!!
তানভির জুমার বলেছেন: সোজা বাংলায় বললে বিবর্তনবাদীদের যদি জিজ্ঞেস করা হয়, গত ৫০০-৬০০ বছরের মধ্যে কোন বানর মানুষ হয়েছে বা কোন মানুষ বানর হয়েছে এরকম প্রমান কি কেউ দেখাতে পেরেছে? - বিবর্তন ঘটতে ৫-৬০০ বছর না , লক্ষ লক্ষ বছর লেগেছে।
আরো ১ লাখ বছর পরে যদি পৃথিবী থাকে, তাহলে মানুষের গঠন বর্তমানের মতো থাকবে না।
হয় আবার বনমানুষ হবে বা অন্যকিছু্।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: অনেকের ধারণা , আমরা সবাই যা দেখছি, পুরোটাই আসলে স্বপ্ন, একটা মায়ার জগতে আছি আমরা যার কিছু্ই বাস্তব না !!! হ্যা এ ব্যাপারে একটি বই পড়েছিলাম অনেকদিন আগে “হলোগ্রাফিকস ইউনিভাস”। লেখকের নাম মনে করতে পারছি না। এবার আপনাকে একটি প্রসঙ্গে বলি। আমাদের আল কোরআনে আছে “ আল্লার সত্ত্বা ব্যাতিরেকে সমস্ত কিছুই ধ্বংশশীল। আসলে এখানে ধ্বংশশীল যা তা বিনাশ হয়ে যায় বা মায়া। কিন্তু প্রকৃত যে বিষয়টি বা সারমর্ম তা থেকে যায়। সেখান থেকে নতুন শুরু হয় বিচার হয়।
১৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: কারো কারো জন্য কনটেন্ট-টা একটু দুর্বোধ্য, সেজন্য প্যারা ভাগ ভাগ করে দিলে ভাল হোত।
শক্তিশালী যুক্তি দেবার চেষ্টা করেছেন কিন্তু প্রথমেই ঈশ্বরের প্রতি বিশেষ আস্থা প্রকাশ করে ও বারবার নাস্তিক বিজ্ঞানী লেখাতে পোস্টের নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। বিশেষ কিছু প্রমানের আগেই সবাই বুঝে গেছে আপনি ঘুরে ফিরে ঈশ্বরের অস্তিত্ব প্রমাণের চেষ্টা করবেন।
তবে লেখায় অনেক কিছু জানার আছে বোঝার আছে।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: প্রথমেই ঈশ্বরের প্রতি বিশেষ আস্থা প্রকাশ করে ও বারবার নাস্তিক বিজ্ঞানী লেখাতে পোস্টের নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। কিন্তু কি করবো ভাই। নাস্তিক বিজ্ঞানীদের তো নাস্তিকই তো বলতে হবে। আমি তো লোখার নামকরন করেছি “ মানতে পারছি না ঈশ্বরবিহীনতা”। সুতরাং আমি যে ঈশ্বরের পক্ষে লিখবো এটা শুরুতেই সবাই বুঝে নিয়েছি। তারপরও আমার মন্তব্যটা আমার মনে থাকবে পরবর্তী লেখা গুলো লিখতে গেলে আপনার কথা মাথায় রাখবো।
ধন্যবাদ ভাই।
১৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: অসুস্থ মানুষেরা মনে করে, তাদের ঘরের খাটের নিচে একটা ভূত আছে। এই বিশ্বাস টা তাদের খুব তীব্র। একসময় তাঁরা সত্যি সত্যি খাটের নিচে ভূত দেখতে শুরু করে। সমস্যা হলো এই ভূত সকলে দেখতে পায় না। এক বিশেষ শ্রেনীর মানুষ ছাড়া।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এই বিশেষ শ্রেণির মধ্যে কি আপনি আছেন নাকি? আপনার কথা আমি বুঝলাম না। নাকি আমি দেখতে পাই? খুলে বলুন।
১৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০৪
ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী। বলেছেন: ধর্ম, আল্লাহ, ভগবান, গড, ঈশ্বর, ফারাতেরা, কোরআন, গিতা,বাইবেল, ত্রিপিটক, মাঝে মাঝে অবিশ্বাস করতে মন চায় (সন্দেহ জাগে, সংশয় দেখা দেয়) - যখন দেখি আপন মা কে মেরে ঘরের মধ্যে পুতে রেখে - স্বাভাবিক জিবন যাপন করে -হাজার কোটি টাকা অবৈধ ্আয় করে মা কে না খাইয়ে রাখে - হাজার কোটি টাকা পাচার করে - মা কে না খাইয়ে রাখে সাভাবিক জিবন যাপন করে- মাকে লাথি মেরে ঘর থেকে বের করে দেয় - মা কে হাসপাতালে নেবার কথা বলে পথে ফেলে বাড়ি চলে আসে - সাভাবিক জিবন যাপান করে - সকল ধর্মে বলেছে মা’য়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেশত - সন্তানের জন্যে হাত তুলে আল্লাহর দরবারে দোয়া চাইলে, আল্লাহ ফেরৎ দিতে লজ্ঝা পান- প্রভৃতি যখন মিথ্যা বলে মনে হয় - ব্যর্থ করে - তখোন বিশ্বাসের পাল্লা হালকা হোয়ে যায় -
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বিচার তো এই কারনেই! ভাই। আপনি সৎ থাকুন । রিটার্ন পাবেন।
১৬| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৬
রানার ব্লগ বলেছেন: আচ্ছা সব মেনে নিলাম কিন্তু একটা ব্যাপার আমার মাথায় আসে না । তাহলো কথিত আছে এক সময় মানুষের সাইজ ছিলো একশত হাত লম্বা। তো এত্ত প্রানীর ফসিল পাওয়া যায় কিন্তু সেই সব শ হাতি মানুষের ফসিল কেনো পাওয়া যায় না !!!! ঘটনা কি ? তারা কি কর্পূরের মতো উবে গেলো না কি বিবর্তন হয়ে জিরাফ হয়ে গেলো ।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: তাহলো কথিত আছে এক সময় মানুষের সাইজ ছিলো একশত হাত লম্বা। তো এত্ত প্রানীর ফসিল পাওয়া যায় কিন্তু সেই সব শ হাতি মানুষের ফসিল কেনো পাওয়া যায় না !!!!
এই কথা আপনি কোথায় পেয়েছেন? আমি তো আল কোরআনে কোথাও পেলাম না। আপনি আমাকে বলেন কোথায় উল্লোখ আছে? আমারও জানার দরকার।
১৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬
রানার ব্লগ বলেছেন: আদমের সাইজ কতো ছিলো ? কথিত আছে শিষ (আঃ) এর কবরের সাইজ একশো ফুট লম্বা যা ভারতে অবস্থিত !!! তাদের ঔরষজাত সন্তানদের সাইজ তাহলে কতো হবে ?
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনাকে এসব কে বলেছে? কোথায় পাইলেন? আমি তো পাইলাম না।
১৮| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৫
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: এই ব্লগ এ একজন নৃ-বিজ্ঞানী আছেন। সম্ভবত উনার নিক সায়েমার ব্লগ। তিনি পোস্টটিতে যোগ দিলে আরো কিছু তথ্য জানা যেত।
০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৩২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বুঝলাম!
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১২
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: চমৎকার আর্টিকেল! আমিও একজনকে কিছু প্রশ্ন করেছিলাম তারও কোনো উত্তর পাইনি। বিগব্যাং সংগঠিত হওয়ার আগে কি ছিল? এর পেছনের মহাশক্তিই বা কি? এই মহাজগত ও গ্যালাক্সি এগুলো কে সৃষ্টি করল? এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ড কোটি কোটি নক্ষত্র কে সৃষ্টি করল? এগুলো কি শূন্য থেকে এমনি এমনি হয়ে গেল?? শূন্য থেকে কোন কিছু সৃষ্টি করা যায়??? এ ব্যাপারে বিজ্ঞান কি বলে??