নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্ট্রিং তত্ত্বের প্রকাশ। ধর্মতত্ত্বকেই প্রতিষ্ঠা করতে চলেছে। পর্ব-১

২৬ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৯

মহাবিশ্বটি কি সাউন্ড ইনফরমেশন? শব্দের তথ্য দ্বারা মহাবিশ্বটি কি সজ্জিত? অনেকদিন ধরে এই বিষয় নিয়ে লিখবো বলে ভাবছিলাম ।ষ্ট্রিং থিওরির কিছু বক্তব্য ইদানিং আমাকে এই বিষয় নিয়ে লিখতে উৎসাহ দিতেছিলো। কারন স্ট্রি থিওরির বক্তব্য শব্দ দ্বারা মহাবিশ্বের সকল তথ্য পরিব্যপ্ত। আমরা এই মহাবিশ্ব জুড়ে যা দেখি সবই শব্দের মায়াজাল? শব্দের বুননে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি।মহাবিশ্বের প্রতিটি বস্তু প্রতিটা পরমানু স্ট্রিং এর কম্পনের ফল। এই কম্পন বা কম্পনের ভিন্নতা ভিন্ন ভিন্ন কনা বা ভিন্ন ভিন্ন বস্তু সৃষ্টি করে। এই বস্তুুর সৃষ্টির সকল তথ্যও ষ্ট্রিং দ্বারা নির্ধারনকৃত।যদি তাই হয় তাহলে সৃষ্টির শুরুতে কোন একটি শব্দ উচ্চারিত হয়ে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হওয়া শুরু হয়েছিলো। আর সেই শব্দটিই সমগ্র মহাবিশ্বজুড়ে বিদ্যমান? হয়তো আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন যে আমি সমগ্র মহাবিশ্ব জুড়ে শব্দ বা সাউন্ড ইনফরমেশন বলতে আসলে কি বোঝাচ্ছি? শব্দ বা কম্পন কি করে বস্তুর রুপায়ন ঘটাতে পারে। কিন্তু আসলে এমনটিই ঘটছে ষ্ট্রিং তত্বের গনিত ঠিক এমনটিই বলছে


বিজ্ঞান বস্তুর চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে গেছে সেখানে পাওয়া যাচ্ছে পরমানু । পরমানুর মাঝে আছে ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন।প্রোটন ও নিউটন কোয়ার্ক নামের কনিকা দিয়ে গঠিত আর ইলেকট্রন নিজেই একটি কনিকা। যেমন আমরা যদি কোন বস্তু একটি আপেলকে ভেঙ্গে টুকরো করতে থাকি তাহলে একসময় এসে পরমানুতে পৌছাবে । এবার এই পরমাণুকেও যদি আবার ভাঙ্গা হয় তাহলে ইলেকট্রন ও কোয়ার্কের মত মৌলিক কণিকা পাওয়া যাবে; যাদের আর ভাঙ্গা সম্ভব নয় ।পদার্থবিদ্যার প্রচলিত ধারনা অনুসারে এসব মৌলিক কণিকাদের আমরা মাত্রা-বিহীন বিন্দুর মত ভাবলেও এরা আসলে বিন্দু নয়, আমাদের দৃষ্টির সীমাবদ্ধতার কারণে এদেরকে আমরা বিন্দু হিসেবে দেখি ।যদি এদেরকে কোন সুপার মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে বহুগুণে বিবর্ধিত করা সম্ভব হয় (প্রায় বিলিয়ন বিলিয়ন গুন বেশি) তাহলে আমরা এদেরকে একমাত্রিক লম্বা তার আকারে দেখব ।এগুলো একধরনের অতি ক্ষুদ্র তন্তু (স্ট্রিং) ছাড়া আর কিছু না।এই তন্তুর বিভিন্ন ধরনের কম্পনের ফলে ভিন্ন ভিন্ন কণার উৎপত্তি হয়।এই ক্ষুদ্র ১০^-৩৩ সে.মি. তারগুলোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এদের কম্পনের ধরন ।প্রতিটি মৌলিক কণা একটি স্ট্রিং দিয়ে গঠিত অর্থাৎ প্রতিটি মৌলিক কণা বিভিন্ন রকম আচরণ করে। তাদের স্ট্রিংগুলোর কম্পনের ধরন ভিন্ন ভিন্ন (Different resonant vibrational pattern) ।প্রকৃতিতে ৬০ টির মতো মৌলিক কণার একমাত্র মৌলিক সত্তা হলো স্ট্রিং যা থেকেই মহাবিশ্বের সকল বস্তু ও শক্তির সৃষ্টি হয়েছে বলেই আধুনিক বিজ্ঞানের স্ট্রিং থিওরি ঘোষনা দেয়।এসব তারে ব্যাসার্ধ ও কম্পাংকের ভিন্নতার কারণেই বিভিন্ন রকম আকার-প্রকার বৈশিষ্ট্যের মৌলিক কনিকা তৈরী হচ্ছে এবং তারের কম্পনের পার্থক্যই এদের আধান, ভর নির্দিষ্ট করে দিচ্ছে।বিজ্ঞানীরা যখন প্রথমবারের মতো স্ট্রিংগুলোর আচরণ নিয়ে গবেষণা করছিলেন তখন দেখতে পেলেন, স্থান-কালের মধ্যে স্ট্রিংগুলো ইচ্ছা মতো চলাফেরা করতে পারে না। বরং সুনির্দিষ্ট কিছু গাণিতিক নিয়ম মেনে এরা স্থান-কালের মধ্যে কিছুর জটিল গতির সৃষ্টি করে। স্ট্রিংগুলোর এসব গতি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তো বিজ্ঞানীদের চোখ একেবারে কপালে।প্রতিটি কনা কোন না কোন শব্দ বা আওয়াজ করছে। সেই হিসেব যদি আমরা করি তাহনে মহাজাগতিক সকল বস্তুর সকল কনার সম্মিলিত একটি বক্তব্য বা আওয়াজ আছে। যার অর্থ দাড়ায় মহাবিশ্বের সকল বস্তু সম্মিলিত ভাবে একটি শব্দ উচ্চারন করেচে। তবে কি সেটি ধর্ম তত্ত্বের সেই প্রচলিত স্রষ্টার কন্ঠস্বর “কুন ফাইয়াকুন” ।



প্রিয় পাঠকবৃন্দ, শব্দের ইংরেজি যদি word হয়, তাহলে সেটার অর্থ হচ্ছে একাধিক বর্ণ দিয়ে গঠিত অর্থবহ কোনো কিছু। অন্যদিকে শব্দের ইংরেজি যদি sound হয়, তাহলে সেটার অর্থ হচ্ছে পদার্থের কম্পনের ফলে সৃষ্ট তরঙ্গ। পদার্থের কম্পনের ফলে সৃষ্ট তরঙ্গকে আওয়াজ বলাটা অধিক যুক্তিযুক্ত বলে আমি মনে আবার মানুষ যখন কোনো বাক্য, শব্দ, অক্ষর বা বর্ণ মুখ দিয়ে উচ্চারণ করে, তখনও কিন্তু কম্পনের ফলে তরঙ্গের সৃষ্টি হয়! তাই শব্দ (word) ও আওয়াজ (sound) কিছুটা হলেও একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত! অনেকটা একই রকম।সৃষ্টির শুরুতে একটি সাউন্ডের প্রয়োজনীয়তা ছিলো বলে আমাদের ধর্মতত্ব বলে। আসরা জানি আল্লাহ “হও” বললেন আর সমস্তাটাই সৃষ্টি হয়ে গেলেন। তাহলে এখন আমি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চাইছি। সৃষ্টির সময় আল্লার হও বলার আর সমগ্র মহাবিশ্ব জুড়ে স্ট্রিং এর কম্পন এর ফলে সৃস্টি হওয়া একটি আওয়াজ এর কি কোন যুক্তিযুক্ত কারন থাকতে পারে? অবশ্যই কারন থাকতে পারে। কারন আল্লার হও বলাটাই সমগ্র মহাবিশ্ব জুড়ে একটি মহাজাগতিক মায়া সৃষ্টি করে রেখেছে।যে মায়াটকেই আমরা মহাবিশ্ব রুপে দেখছি।সেই মায়াটাই হলো আমাদের মহাবিশ্ব। মহাবিশ্বকে যদি আমরা মায়া ধরি তাহলে প্রকৃত সত্য কি? প্রকৃত সত্য হলো আল্লা হতে বস্তুর উপাদানের আগমন আল্লাহ হতে শব্দের আগমন। যে শব্দ পরবর্তীতে মহাবিশ্ব রুপে দেখা গেছে।মায়ারুপী মহাবিশ্বের প্রকাশ।
(চলবে)

মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮

কামাল৮০ বলেছেন: আল্লাহ হও বলাতে সব কিছু হয়ে গেলো।আল্লাহ হলো কি বলাতে?

২৬ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: স্ট্রিং থিওরি সম্পর্কে সম্ভবত আপনার কোন ধারনা নেই তাই এই জাতীয় মন্তব্য করছেন। স্ট্রিং থিওরির গভীরতা অন্য কথা বলছে।
বলছে এই মহবিশ্ব এ্যাবসুলেট মিনিমাম নয় এ্টা লোকাল মিনিমাম। স্ট্রিং থিওরি এটাই প্রমান করে। স্ট্রিং তত্ত্বমতে, মহাবিশ্বের কণাগুলো যে বিন্দুতে বসে আছে, ওগুলো অ্যাবসুলেট মিনিমাম নয়। লোকাল মিনিমাম। একটা সময় গিয়ে লোকাল মিনিমাম অবস্থা ভেঙ্গে পড়তে পারে। তখন কণাগুলো আর এই বিন্দুতে থাকতে পারবে না। চলে যাবে অ্যাবসুলেট মিনিমাম শক্তির বিন্দুতে। আর সেই বিন্দুগুলো আসলে আলাদা আরেকটা মহাবিশ্বের (যেটা আসলে অ্যাকচুয়াল মহাবিশ্ব) অংশ। তাই লোকাল অবস্থা ভেঙ্গে পড়লে (কুল্লুমান আলাইয়া ফান) আমাদের বর্তমান মহাবিশ্বের আর অস্তিত্ব থাকবেনা। এই মহাবিশ্বের সব উপাদান চলে যাবে আরেকটা মহাবিশ্বে....এটা যদি ঘটে, তাহলে মহাবিশ্বের তাপীয় মৃত্যুর আগেই আমরা অ্যাকচুয়াল মহাবিশ্বে চলে যাব। (বিচি, জানুয়ারি ২০২০, পৃঃ ৪৮)। এখচুয়েল মহাবিশ্ব আসলে চিরন্তন।

২৬ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আল কোরআন বলে “ আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সব কিছু ধ্বংসশীল। বিধান তাঁরই এবং তাঁরই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। (২৮:৮৮)

২| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৪

কামাল৮০ বলেছেন: চিরন্তন কিছুই না।সমস্ত কিছুই পরিবর্তনশীল

২৬ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:২৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ত্রি-মাত্রিক জগতের বাইরে হয়তো আপনার ধারনা নেই। স্ট্রিং থিওরির মতে ১০ মাত্রার কোন কিছু মানেই সৃষ্টি কর্তা। সব ক্ষমতা আছে যার। এবং যার ধ্বংশ নেই। অথাৎ চিরন্তন।

৩| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:২৪

সাসুম বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্‌! শোভানাল্লাহ!

লিওনার্দ সাস্কাইন্ড, গ্যাব্রিয়েল ভিনি, মিচিও কাকু দের শত বছরের সাধনা অবশেষে আল্লাহ্‌র কুদ্রত হিসেবে বিবেচিত হল। এতদিন কেউ স্ট্রিং থিউরির লুকিয়ে থাকা রহস্য বের করতে না পারলেও অবশেষে প্রমাণিত হত আল্লাহ আর ইসলাম ই এই থিউরির আসল কথা।

ইনশাল্লাহ এভাবেই নাস্তেক নাসারা বিজ্ঞানীরা সকল কিছু আবিস্কার এর পরে, আগে , মধ্যে সব কিছুই ইসলামের মহত্ত্ব তুলে ধরবে খালি।

সব কিছুই আল্লাহ হও কইছে হয়ে গেছে, নাস্তেক নাসারা বিজ্ঞানীরা না জানলেও এসব বাংগুস্তান এর মোমিন বেজ্ঞানীরা জেনে ফেলেছে।

এভাবেই যুগে যুগে যত আবিস্কার হবে , জ্ঞান বিজ্ঞান যত নাস্তেক নাসারা বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করবে ততই ইসলামের আর আল্লাহ্‌র শ্রেষ্টত্ব প্রমাণিত হবে বার বার।

জাজাকাল্লাহ খায়রান ।

আপনাকে ধন্যবাদ পিয় ভাই এভাবে জ্ঞান বিজ্ঞানের মহান সব থিউরি তত্ত্ব আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য।

২৬ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:২৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সাসুম ব্যাতিরেকে আমরা ব্লগ বেমানান।

৪| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪০

নতুন বলেছেন:

ছবি :- dreamstime.com

২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বুঝলাম না।

৫| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৫০

জ্যাকেল বলেছেন: আপনি যা বলতে চাচ্ছেন সেটা অস্বিকারকারীরা নিতে পারবে না। পদার্থবিদ্যার মৌলিক বিষয়ে জানতে গিয়ে আমি বারবার সৃষ্টিকর্তার প্রমাণ পেয়েছি যা আপনিও পাচ্ছেন। জানার কারণে আমরা বলি- We hear and obey.

২৭ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমরা বলি- We hear and obey.

৬| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১০

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: স্ট্রিং থিউরি তো Multiverse Universe বা বহু বিশ্ব ধারনা করে ধর্মে এবিষয়ে কিছু বলেছে?

২৬ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১৪

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এ বিষয়ে আল কোরআন বলছে “যিনি আদিতে সৃষ্টি করেন তিনি আবারও সৃষ্টি করিবেন” (২৭:৬৪) তাহারা কি লক্ষ্য করে না কিভাবে আল্লাহ যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীকে সৃষ্টি করিয়াছেন তিনি অনুরুপ সৃষ্টি করিতে সক্ষম। তিনি উহাদের জন্য স্থির করিয়াছেন একটি কাল। ইহাতে কোন সন্দেহ নাই।” (১৭:৯৯) “সেইদিন আকাশকে গুটাইয়া ফেলিব যেভাবে গুটানো হয় লিখিত দফতর, যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সূচনা করিয়াছিলাম, সেইভাবে পূনরায় সৃষ্টি করিবো।” (২১:১০৪) এই আয়াত গুলো দিয়ে প্রমানিত হয় এই মহাবিশ্ব একটি সময়ের চক্রে সৃষ্টি করা হয়েছে। এবং তিনি এই মহাবিশ্ব আবারও সৃষ্টি করিবেন একই রুপে একই রকম। তাহলে এখন প্রশ্ন হলো আসমান জমিন আবার কেনো সৃষ্টি হবে? মানুষ বিহীন তো আসমান জমিন হয় না। তাহলে মানুষ সৃষ্টি আবার হতে হবে। আল কোরআন বলে “আমি উহাদের আঙ্গলের ছাপও পুঙ্খানুপুংখ সৃষ্টি করতে সক্ষম।” আবার ও বলছে “ উহাদের একজনের পুনরুত্থান উহাদের সকলের পুনরুত্থানের অনুরুপ। যেহেতু আল কোরআন আবার মানুষ সৃষ্টির কথা বলছে অতএব মানুষ আবার সৃষ্টি হবে। ‘যেদিন পরিবর্তিত করা হবে এ পৃথিবীকে অন্য পৃথিবীতে এবং পরিবর্তিত করা হবে আকাশসমূহকে’ (ইবরাহীম ৪৮)।

২৬ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: অতএব মহাবিশ্বটা মাল্টিভার্স। বারে বার সৃষ্টি হয় বারেবার ধ্বংশ হয়।

৭| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

হও বলাতে সব কিছু হয়ে যায়।
অতচ সামান্য একটি ল্যাট্রিন একটি বদনা হয় না, মহিলাদের পর্যন্ত অনিরাপদ উম্মুক্ত মরুভুমিতে ... ...

২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি তো গায়ের জোরের কথা বলছেন। আপনার এই গায়ের জোরের কথার কি এ্যানসার দিবো।

২৭ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: অতচ সামান্য একটি ল্যাট্রিন একটি বদনা হয় না, মহিলাদের পর্যন্ত অনিরাপদ উম্মুক্ত মরুভুমিতে ... ...
আপনাকে আমি আসলে কি লিখবো বুঝতে পারছিনা। আপনি কি আমার লেখাটা সম্পূন পড়েছেন? নাকি অল্প পড়েই কমেন্ট করার দরকার তাই কমেন্ট করলেন? আপনি কি বোঝাতে চাইলেন তাও বুঝলাম না!

৮| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৪৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এখন যদি রোজ কিয়ামতে আল্লাহ বলেন তুমি আমার নামে এত বড় মিথ্যে চালিয়ে দিলে কেনো? আমি তো এভাবে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করিনি করেছি এভাবে(অন্য কোনো পদ্ধতিদেখিয়ে)। তখন কি জবাব দিবেন আল্লাহর কাছে? তাই আল্লাহ যা উনার এবং উনার সৃষ্টি সম্পর্কে আমাদের জানাননি সেটা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করাই উত্তম।

২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৫২

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ‘নিশ্চয়ই মহাকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টিতে এবং দিবা-রাত্রির আবর্তনের মধ্যে বোধসম্পন্ন লোকদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং মহাকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা-গবেষণা করে এবং বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! এ সবকিছু তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সব পবিত্রতা একমাত্র তোমারই। আমাদের তুমি দোজখের শাস্তি হতে বাঁচাও। (সূরা আল-ইমরান ১৯০-৯১
‘হে নবী! বলে দাও, আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে, তার প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করো।’ (সূরা ইউনুস, আয়াত ১০১)
'তারা কি কোরআন নিয়ে গভীর চিন্তা-ভাবনা করে না, নাকি তাদের অন্তর তালাবদ্ধ? (সূরা মুহাম্মদ : ২৪)
‘নিশ্চয় আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীতে মুমিনদের জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা জাছিয়া :৩)

আপনি আপনাকে বেশ কয়টি আয়াত তুলে ধরলাম কারন আল্লাহ তার বান্দাদের বারেবরে মহাকাশ এবং তার সৃষ্টি নিয়ে গবেষনা করতে বলেছেন। তার সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করতে বলেছেন।
আপনি বিজ্ঞানীদের বলে দেন এটা আল্লাহর সৃষ্টি উনি যেভাবে সৃষ্টি করেছেন সেটি উনার উনার সৃষ্টি নিয়ে আপনাদের গবেষনা করার দরকার নেই। গবেষনা করা মানুষের প্রেষনা। গবেণনা মানুষ নিজের তাগিদে করে। সত্য মিথ্যার মধ্য দিয়েই মানুষ সঠিক সত্যটা খোজার চেষ্ট করে। আল্লা মানুষের অন্তরের খবর রাখেন।

৯| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞানের থিউরি পরিবর্তন হতে পারে অথবা বাতিলও হতে পারে। স্ট্রিং থিউরিকে একটা অনুমান বলা যেতে পারে। এই থিউরি অনেক বিজ্ঞানী মানে না। কোয়ান্টাম মেকানিক্স এখনও শিশু পর্যায়ে আছে। মানুষের এই অল্প জ্ঞানের ভিত্তিতে কোরআনের বর্ণনাকে বিজ্ঞানের সাথে মিলানোর চেষ্টা পরবর্তীতে ভুল প্রমাণিত হতে পারে।

স্ট্রিং থিউরির সাথে শব্দের কোন সম্পর্ক নেই। শব্দ সাব-এটমিক পর্যায়ের কোন ঘটনা না। সাব-এটমিক কণার কম্পনকে শব্দ বলে না। শব্দ বস্তুর কম্পন থেকে সৃষ্টি হয়। সাব-এটমিক কণার কম্পনকে শব্দ বলে না।

আপনি বলেছেন;
স্ট্রিংগুলোর এসব গতি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে তো বিজ্ঞানীদের চোখ একেবারে কপালে।প্রতিটি কনা কোন না কোন শব্দ বা আওয়াজ করছে। সেই হিসেব যদি আমরা করি তাহনে মহাজাগতিক সকল বস্তুর সকল কনার সম্মিলিত একটি বক্তব্য বা আওয়াজ আছে। যার অর্থ দাড়ায় মহাবিশ্বের সকল বস্তু সম্মিলিত ভাবে একটি শব্দ উচ্চারন করেচে। তবে কি সেটি ধর্ম তত্ত্বের সেই প্রচলিত স্রষ্টার কন্ঠস্বর “কুন ফাইয়াকুন”


কণার কম্পন আর আওয়াজ/শব্দ এক জিনিস না। যেটা আমি আগেই বলেছি। তাই সকল বস্তুর সম্মিলিত আওয়াজ বলে কিছু নাই।
যদিও অনুমান করা হচ্ছে কণাগুলি গীটারের তারের মত কম্পিত হচ্ছে। আল্লাহ বলেন হও আর তা হয়ে যায়। এই কথার সাথে বর্তমানে সাব -এটমিক পর্যায়ে কণার কম্পনের কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। আল্লাহর কথার অর্থ হোল শূন্য থেকে কোন কিছু আল্লাহর হুকুমে সৃষ্টি হয়ে যায়। 'কুন ফাইয়া কুন' কে কণার কম্পনের সাথে মিলানোর মত জ্ঞান এখনও আমাদের নেই। তাই অনুমান নির্ভর কথা না বলাই ভালো।

২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:১৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: স্ট্রিং থিউরির সাথে শব্দের কোন সম্পর্ক নেই। শব্দ সাব-এটমিক পর্যায়ের কোন ঘটনা না। সাব-এটমিক কণার কম্পনকে শব্দ বলে না। শব্দ বস্তুর কম্পন থেকে সৃষ্টি হয়। সাব-এটমিক কণার কম্পনকে শব্দ বলে না।
আপনার কমেন্ট পড়েই বুঝতে পারলাম আপনি আমার সাথে ঝগড়া করতে এসেছেন। সাব-এটমিক কনার কম্পনকে শব্দ বলে না তো কি বলে? হয়তো আপনি প্রশ্ন করতে পারেন মহাবিশ্ব এর সকল কনিকা বা সম্মিলিত মহাবিশ্ব যদি একটি “আওয়াজ” হয় তাহলে আমরা সেই শব্দ শুনি না কেনো? কিন্তু শব্দ বলে না কথাটি আপনি বলতে পারেন না। সরাসরি বলা হচ্ছে গীটারের কম্পনের মতো সুরেলা শব্দ করে। সেই শব্দকে অবশ্যই শব্দ বলে। আমরা শুনি না। কারন বেশি মাত্রায় কাপে বিধায় সেই শব্দ আমরা শুনতে পারি না।

একক সময়ে অর্থাৎ এক সেকেন্ডের মধ্যে যতবার পূর্ণতরঙ্গ সম্পন্ন করে তাকে কম্পাঙ্ক (n) বলা হয় যদি কোনো বস্তু প্রতি সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০ বার কাঁপে তবে সেই বস্তু থেকে উৎপন্ন শব্দ শোনা যাবে। এভাবে আবার কম্পন যদি প্রতি সেকেন্ডে ২০,০০০ বার এর বেশি হয় তাহলেও শব্দ শোনা যাবে না। সুতরাং আমাদের কানে যে শব্দ শোনা যায় তার কম্পাঙ্কের সীমা হলো ২০ Hz থেকে ২০,০০০ Hz। কম্পাঙ্কের এই পাল্লাকপ শ্রাব্যতার পাল্লা বলে। যদি কম্পাঙ্ক ২০ Hz এর কম হয় তবে তাকে শব্দেতর কম্পন বলে। যদি কম্পাঙ্ক ২০,০০০Hz এর বেশি হয় তবে তাকে শব্দোত্তর কম্পন ব আমাদের অন্তঃকর্ণের মধ্যে এই পর্দায় শব্দ পৌঁছালে আমরা শুনতে পাই। ২০ হাজার হার্জের শব্দ আমাদের শ্রবণা অনভূত সৃষ্টি করে না। যেমন উচ্চ শব্দের কোনো মাধ্যম থেকে আমরা শব্দ পাই না। আমাদের মস্তিষ্ক তা গ্রহণ করে না।

আল্লাহর কথার অর্থ হোল শূন্য থেকে কোন কিছু আল্লাহর হুকুমে সৃষ্টি হয়ে যায়। 'কুন ফাইয়া কুন' কে কণার কম্পনের সাথে মিলানোর মত জ্ঞান এখনও আমাদের নেই।
আপনার মুখে নাস্তেকদের মতো শুন্য থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হওয়ার তত্ত্ব শুনে অবাক হলাম। একজন আস্তিক মানুষ শুন্য থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হওয়ার কথা শুনলে আগেই ভাববে তাহলে তো বিচারের কোন প্রশ্নই আসে না। ধ্বংশ হওয়ার পর যদি কিচুই না থাকে তবে বিচার হবে কিসের? “ আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সব কিছু ধ্বংসশীল। বিধান তাঁরই এবং তাঁরই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। (২৮:৮৮) আয়াতটিতে বলছে আল্লাহর সত্ত্বা (চেহারা) ব্যতিত সব কিছুই ধ্বংশশীল। বিধান ( বিধান শব্দের অর্থ সুত্র) এবং আমরা তার (মানে আল্লাহর) কাছে প্রত্যাবর্তিত হবো। সুতরাং কিচু না কিচু ছিলো।

আধুনিক বিজ্ঞান বলছে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে ইনফ্লেশন থেকে কিন্তু এই মহাস্ফিফতি বা ইনফ্লেশন কেন ঘটে? গানিতিকভাবে হয়তো অনেকে উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এই ইনফ্লেশন কেনো শুরু হয় ? ইনফ্লেশনের পিছনে আদি কারন কি? কি হতে পারে ইনফ্লেশনের পিছনের ঘটনা ? এর সঠিক কোন ব্যাক্ষা নেই তবে আধুনিক বিজ্ঞানীরা এ ব্যাপারে কিছু সম্ভাবনার কথা ভাবছেন। স্ফীতির প্রাথমিক বীজ আসতে পারে আনুবীক্ষনিক আকারের কোন বিকষণমূলক পদার্থ থেকে। যে বীজ মহাবিশ্ব সৃষ্টির কারন হয়ে দাড়াতে পারে। এ্যালেন গুথ তার গবেষনায় দেখিয়েছিলেন মাত্র এক আউন্স ওজনের একটি ভর থেকে ইনফ্লেশন যাত্রা শুরু করতে পারে যার ব্যাস হতে পারে একটি প্রোটনের চেয়েও একশত কোটি গুন ছোট কিছু। স্ফীতির সেই ছোট বীজ ট্রিয়ন বর্নিত ভ্যাকুয়াম ফ্লাকচুয়েশনের সমান।

হয়তো কোয়ান্টাম শুন্যতার কথা বলবেন কোয়ান্টাম শুন্যতা প্রকৃত শুন্যতা নয়।

১০| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:০৭

তানভির জুমার বলেছেন: মেহেদি_হাসান. বলেছেন: স্ট্রিং থিউরি তো Multiverse Universe বা বহু বিশ্ব ধারনা করে ধর্মে এবিষয়ে কিছু বলেছে?

কোরআনে এই বিষয়ে একটা ইঙ্গিত দেওয়া আছে একটা আয়াতের শেষে।
সূরা নাহল (১৬) আয়াত-৮: আর তিনি এমন জিনিস সৃষ্টি করেন যা তোমরা জান না।

নাস্তিকদের একটা হাস্যরস কথা হচ্ছে কোনকিছু আবিস্কার হলেই নাকি তা কোনআরে পাওয়া যায় এর আগে নাকি পাওয়া যায়না। আসল কথা হচ্ছে নাস্তিকরা কখনোই নিউট্রিয়াল হয়ে কোরআন পড়ে না। এরা কোরআন এবং ইসলামের নামে মিথ্যা তথ্য ছড়ায়, অন্য নাস্তিকের কাছ থেকে শুনা কথা বলে। নিউট্রিয়াল হয়ে কখনোই তথ্য যাচাই বাছাই করে না।

২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ তানভীর জুমার।

১১| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: থিউরিটা ইন্টারেস্টিং - জানা ছিলনা এবিষয়ে আগে।

২৭ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৩৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো থাকুন।

১২| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাশিদুল ইসলাম লাবলু,





ষ্ট্রীং থিওরীর ব্যাখ্যা আপনি যেভাবে করেছেন তার বিপরীতে যা বলতে চেয়েছিলুম তা সহব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর বলে গিয়েছেন।

তবুও বলি - ষ্ট্রীং থিওরী নিয়ে আপনি যখন গবেষনা করেছেন তাতে নিশ্চয়ই জানেন, বিশ্বব্রহ্মান্ডের সকল বস্তুই কনা দিয়ে গঠিত। সাধারন আপেক্ষিক তথ্য দিয়ে এইসব দৃশ্যমান বস্তুর আচরণ বিশ্লেষন করা যায়। আর কনা যে সব “সাব - এটমিক পার্টিকেল” দিয়ে গঠিত তাদের আচরণ ব্যাখ্যা করতে লাগে কোয়ান্টাম ফিজিক্সের থিওরী । এই দু’টি থিওরীর সাহায্যে বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম পর্যায়ে বস্তুর সকল আচরণ ব্যাখ্যা করা হয় নিখুত ভাবে।
আপনি এও জানেন নিশ্চয়ই, মহাবিশ্বে মৌলিক বল রয়েছে ৪টি ।
১) মহাকর্ষ বল বা গ্রাভিটি
২) ত্বড়িৎ চুম্বকিয় বল বা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বল
৩) সবল নিওক্লিয়ার বল বা ষ্ট্রং নিওক্লিয়ার ফোর্স বা বল
৪) দূর্বল নিওক্লিয়ার বল বা উইক নিওক্লিয়ার ফোর্স বা বল

ফার্মিয়নস কনা দিয়ে আমাদের দৃশ্যমান সকল বস্তুই গঠিত। আর বোসন, গ্লুয়ন, ফোটন কনা দিয়ে গঠিত হয়েছে বল বা ফোর্স। এরাই সাব এটমিক কনাগুলোর চরিত্র বা ধরন।
ত্বড়িৎ চুম্বকীয়, সবল আর দূর্বল নিওক্লিয়ার বল ব্যাখ্যায় কোয়ান্টাম ফিজিক্সের সাহায্যে নিতে হয়। কিন্তু মহাকর্ষ বলকে কোয়ান্টাম ফিজিক্স দ্বারা ব্যাখ্যা করা যায়না, সেখানে লাগে সাধারন আপেক্ষিক তথ্য।
বিজ্ঞানীরা তাই এই দু’টি থিওরীর সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে তুলতেই একটি “ইউনিফাইড” থিওরীর কথা বলেছেন যা “ থিওরী অব এভরিথিং” নামে আপনি চেনেন, যাতে করে দু’টি থিওরীর বদলে একটি দিয়েই “সাব-এটমিক” পর্যায়ে নিখুঁত ভাবে বস্তু সমূহের আচরণ, গতি- প্রকৃতি নির্ণয় করতে পারা যায়।
এই থিওরীতে বলা হয়েছে, সব সাব এটমিক পার্টিকেলই শক্তির অতিক্ষুদ্র একমুখি কম্পমান এক একটি ষ্ট্রীং। আপনি এটাকে “সুতো”ও বলতে পারেন বা বলতে পারেন “তরঙ্গ”। এই শক্তি তরঙ্গ বিভিন্ন ভাবে কম্পমান হতে পারে। বিভিন্ন ভাবে কম্পনের দরুন বিভিন্ন বস্তুর সৃষ্টি হয় যা দৃশ্যমান। কোনও ভাবেই এরা শব্দ তৈরী করেনা বা এই তরঙ্গ শব্দ থেকেও উৎপন্ন নয়।

সহ ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর এটাই বলেছেন। কোনও ভাবেই এই “ষ্ট্রীং” শব্দ তরঙ্গ নয়। শব্দ বস্তুর কম্পন থেকেই সৃষ্টি হয় । সকল ধরনের আলোও কিন্তু বিভিন্ন কম্পন মাত্রার তরঙ্গ আকারে প্রবাহিত হয়। আলো তো শব্দ থেকে উৎপন্ন হয় না। হয় কি ?

সব শেষে বলি- “ থিওরী অব এভরিথিং” একটি অনুমান। আর কোয়ান্টাম ফিজিক্সও সবেমাত্র হাটতে শুরু করেছে যদিও যথেষ্ট তীব্র বেগেই। তাই কোনও কিছুকেই এ্যাবসোলিউট ধরে নেয়া ঠিক নয়।

২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি কিন্তু ডাইরেক্ট বলি নাই -- সেই হিসেব যদি আমরা করি তাহনে মহাজাগতিক সকল বস্তুর সকল কনার সম্মিলিত একটি বক্তব্য বা আওয়াজ আছে। যার অর্থ দাড়ায় মহাবিশ্বের সকল বস্তু সম্মিলিত ভাবে একটি শব্দ উচ্চারন করেচে। তবে কি সেটি ধর্ম তত্ত্বের সেই প্রচলিত স্রষ্টার কন্ঠস্বর “কুন ফাইয়াকুন” আমি কিন্তু প্রশ্ন করেছি। আমি কিন্তু সরাসরি বলি নাই এটাই হবে বা এটাই হতে হবে। স্ট্রিং বিশারদদের বক্তব্য মতে স্ট্রিং কম্পন করছে। এবং এটা একপ্রকার সুর সৃষ্টি করছে। তরঙ্গ এর একপ্রকার শব্দ বা সুর থাকে হয়তো আমাদের মস্তিস্ক ঐ পরিমান শব্দ শুনতে পারে না।

একক সময়ে অর্থাৎ এক সেকেন্ডের মধ্যে যতবার পূর্ণতরঙ্গ সম্পন্ন করে তাকে কম্পাঙ্ক (n) বলা হয় যদি কোনো বস্তু প্রতি সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০ বার কাঁপে তবে সেই বস্তু থেকে উৎপন্ন শব্দ শোনা যাবে। এভাবে আবার কম্পন যদি প্রতি সেকেন্ডে ২০,০০০ বার এর বেশি হয় তাহলেও শব্দ শোনা যাবে না। সুতরাং আমাদের কানে যে শব্দ শোনা যায় তার কম্পাঙ্কের সীমা হলো ২০ Hz থেকে ২০,০০০ Hz। কম্পাঙ্কের এই পাল্লাকপ শ্রাব্যতার পাল্লা বলে। যদি কম্পাঙ্ক ২০ Hz এর কম হয় তবে তাকে শব্দেতর কম্পন বলে। যদি কম্পাঙ্ক ২০,০০০Hz এর বেশি হয় তবে তাকে শব্দোত্তর কম্পন বলে আমাদের অন্তঃকর্ণের মধ্যে এই পর্দায় শব্দ পৌঁছালে আমরা শুনতে পাই। ২০ হাজার হার্জের শব্দ আমাদের শ্রবণা অনভূত সৃষ্টি করে না। যেমন উচ্চ শব্দের কোনো মাধ্যম থেকে আমরা শব্দ পাই না। আমাদের মস্তিষ্ক তা গ্রহণ করে না।

আমরা শুনিনা বলে যে তাকে শব্দ বলে না এটা ঠিক নয়।
https://www.youtube.com/watch?v=fW6JFKgbAF4

১৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩১

খাঁজা বাবা বলেছেন: কঠিন কঠিন কথা,
আপাতত কিছুই বুঝি নাই
পরে আবার ট্রাই করব।

২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ট্রাই করুন। ভালো থাকুন।

১৪| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এটাও একটা থিউরি হিসেবে ভাবা যেতেই পারে।
সে ক্ষেত্রে বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণও দাবী করে বৈকি।
যদি করার সক্ষমতা বা পরিবেশ থাকে চালিয়ে যেতে পারেন।

সকল আবিস্কারেই তিরস্কারের মালা গলায় পরেছে। তাই নো টেনশন ;)

আর মূল কথা হলো ভাই সেই আয়াত- যেখানে আল্লাহ বলছেন- আমি যদি আকাশ থেকে
সিড়ি নামিয়ে দেই, এবং অবিশ্বাসীরা তাতে চড়ে আকাশে উঠতেও থাকে, বলবে-
আমরা যাদু গ্রস্থ। তারা বিশ্বাস করবে না।

তাই, বিশ্বাস করানো নিয়ে অস্থির হবার কিছু নাই। এটা আপেক্ষিক এবং তাকদীরের বিষয়।

২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৫০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই বিদ্রোহী ভৃগু,
ভালো থাকুন।

১৫| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:



ষ্ট্রিংতত্ব ভালো বুঝেতেছেন আফগানীরা, ইয়েমেনীরা, সিরিয়ানরা; ওরা এসব নিয়ে গভীর গবেষণা করছেন!

২৭ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৫২

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কেনো সোনাগাজী, চাঁদগাজী, মোহন গাজীরা বোঝে না?
কি জানি ভাই! তবে ওরা যে চূলকাইতে ভালো বোঝে এটা আমি জানি।

১৬| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৪৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: মিচিও কাকু আমার বিশ্ববিদ্যালয়েরই প্রফেসর। স্ট্রিং থিওরি নিয়ে তার বেশ কিছু বক্তব্য সহ ডকুমেন্টারি দেখেছি। স্যারের কথাগুলো শুনতে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ।

২৭ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ ইফতেখার ভূইয়া, ধন্যবাদ ভালো থাকুন।

১৭| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:০৩

সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এটা কি আপনার মৌলিক লেখা? যদি হয় তাহলে বলবো, মাশা আল্লাহ খুব ভালো লিখেছেন। সব তত্ত্বই একটি ধারণা মাত্র

২৭ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: জ্বী এটা আমার মৌলিক লেখা। যে চিন্তাগুলো আমার মাথায় এসেছে। আমি এমন অনেক বিষয় নিয়েই লিখেছি। আমার লেখা গুলো দয়া করে পড়ুন। ধন্যবাদ ভালো থাকুন।

১৮| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৪১

সোনাগাজী বলেছেন:



যারা ধর্ম প্রচার করে গেছেন, তাদের বেশীর ভাগের অক্ষর জ্ঞানও ছিলো না; তাদের "ষ্ট্রিং থিওরী" ছিলো পাতা দিয়ে ঘর-বাঁধা।

১৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:২৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি খুব সহজে আরেকজনকে নাস্তিক, নাস্তিকের মত, অবিশ্বাসী এসব বলে পেলেন। সাড়ে চুয়াত্তর সঠিক মন্তব্যই করেছেন আপনার পোস্টের উপর, আপনি বুঝতে সক্ষম হয়ননি।
যেখানে স্ট্রিং তত্ত্বটিকে এখনো অনেকে হাইপোথিসিস মনে করেন সেখানে সে ত্ত্বওকে কোরআনের সাথে রিলেট করা অনুচিত।

২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কেনো ভাই! আমি আপনাকে নাস্তিক, নাস্তিকের মতো কেনো বলবো? আপনিতো খারাপ কিছু বলেন নি?

সাড়ে চুয়াত্তর এর মন্তব্য কিচুটা সঠিক হলেও তিনি যেভাবে বলছেন- “শব্দ বস্তুর কম্পন থেকে সৃষ্টি হয়। সাব-এটমিক কণার কম্পনকে শব্দ বলে না।” আমি এটা মেনে নিতে পারি নাই। কারন স্ট্রিং থিওরির ভাষায় বস্তুু বলে কিছু নেই এগুলো স্ট্রিং এর মেলবন্ধন। কনা বিজ্ঞানীদের ভাষায় আপনি কনার সমাহার বলতে পারেন বা স্ট্রিং তাত্ত্বিকদের ভাষায় এককথায় স্ট্রিং। যদি কোনো বস্তু প্রতি সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০ বার কাঁপে তবে সেই বস্তু থেকে উৎপন্ন শব্দ শোনা যাবে। এভাবে আবার কম্পন যদি প্রতি সেকেন্ডে ২০,০০০ বার এর বেশি হয় তাহলেও শব্দ শোনা যাবে না। আমাদের কানে শোনার সক্ষমতা নেই বলে সেটা শব্দ নয় এটা কিন্তু মেনে নেওয়া যাবে না।

তবে আমি সাড়ে চুয়াত্তর এর এর মন্তব্যের সাথে একম ত মন্তব্যটি হলো- “ বিজ্ঞানের থিউরি পরিবর্তন হতে পারে অথবা বাতিলও হতে পারে। স্ট্রিং থিউরিকে একটা অনুমান বলা যেতে পারে। এই থিউরি অনেক বিজ্ঞানী মানে না। কোয়ান্টাম মেকানিক্স এখনও শিশু পর্যায়ে আছে। মানুষের এই অল্প জ্ঞানের ভিত্তিতে কোরআনের বর্ণনাকে বিজ্ঞানের সাথে মিলানোর চেষ্টা পরবর্তীতে ভুল প্রমাণিত হতে পারে। “ হ্যা ভাই সাড়ে চুয়াত্তর এর কথার সাথে আমি একমত। কারন মানুষের জ্ঞান এখনও সেই পর্যায়ে পৌছায় নাই যে জ্ঞান নিয়ে আমরা কোন বিষয়কে সিদ্ধান্ত দিতে পারি। স্ট্রিং থিওরির এই সিদ্ধান্ত ভূল ও হতে পারে।

আমি কিন্তু এই বিষয় নিয়ে কোন ফোর্স করতে পারি না। সেই হিসেব যদি আমরা করি তাহনে মহাজাগতিক সকল বস্তুর সকল কনার সম্মিলিত একটি বক্তব্য বা আওয়াজ আছে। যার অর্থ দাড়ায় মহাবিশ্বের সকল বস্তু সম্মিলিত ভাবে একটি শব্দ উচ্চারন করেচে। তবে কি সেটি ধর্ম তত্ত্বের সেই প্রচলিত স্রষ্টার কন্ঠস্বর “কুন ফাইয়াকুন” আমি কিন্তু প্রশ্ন করেছি। আমি কিন্তু সরাসরি বলি নাই এটাই হবে বা এটাই হতে হবে। আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন করেছি-এমনটি নয় তো?

আপনার এই কথাটাও ঠিক আছে। আপনি বলেছেন- “যেখানে স্ট্রিং তত্ত্বটিকে এখনো অনেকে হাইপোথিসিস মনে করেন সেখানে সে ত্ত্বওকে কোরআনের সাথে রিলেট করা অনুচিত।” আমি কেবল আপনাদের কাছে প্রশ্ন করেছি স্ট্রিং তত্ত্ব যদি ঠিক হয় তাহলে এই মহাবিশ্ব স্রষ্টার “ কুন ফাইয়াকুন” শব্দের প্রতিচিত্র নয় কি?

কিন্তু আপনি যদি বলেন বস্তুর কম্পনকে শব্দ বলে। সাব এটমিক পর্যায়ে এটাকে শব্দ বলে না তাহলে আমি সেটা মানবো না কারন কারন স্ট্রিং থিওরির ভাষায় সমস্তটাই স্ট্রিং। এবং এর হারমনি আছে। আপনি মিচিও কাকুর লেখা গুলো পড়বেন। এই ভিডিওটা দেখুন। https://www.youtube.com/watch?v=fW6JFKgbAF4

ধন্যবাদ ভালো থাকুন।

২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি যাই বলেন ভাই বিজ্ঞান কিন্তু ক্রমাগত ধমতত্ত্‌ব দিকে যাচ্ছে। সময়ই সেটা প্রমান করবে...................

২০| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮

নিমো বলেছেন: চাঁদে কোনও শব্দ শোনা যায় না, আর আপনি শব্দ দিয়ে মহাশূন্য বানিয়ে ফেলছেন ? গাঁজার পুরিয়া কি বেশি সস্তা হয়েছে ?

৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: In string theory, all particles are vibrations on a tiny rubber band; physics is the harmonies on the string; chemistry is the melodies we play on vibrating strings; the universe is a symphony of strings, and the 'Mind of God' is cosmic music resonating in 11-dimensional hyperspace.---Michio Kaku
https://twitter.com/michiokaku/status/1373683657500721161

প্রিয় নিমো ভাই, আমি আপনাকে মিচিওকাকুর একটি বক্তব্য শোনালাম। কারন মিচিও কাকুর মতো একজন বিজ্ঞানী যদি মহাবিশ্বকে যদি ‘সিম্ফনি অফ ইউনিভাস” বলে আখ্যায়িত করতে পারেন তবে আমি করলে গাঞ্জা খোর হবো কেনো?

প্রিয় নিমো ভাই, ধরেন একজন বধির রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন হঠাৎ তার পাশে বিকট শব্দে বোমা ফাটলো। সাবাই দৌড়ে পালালো কিন্তু সে পালালো না । বধির বোমার শব্দ শুনতে পারে না তাই বলে যদি বলে বোমা ফোটে নাই বা যদি বলে বোমা ফাটলে আবার শব্দ হয় নাকি? তাহলে সেটা কিন্তু ভিন্ন কথা।

স্ট্রিং এর কম্পন বেশি মাত্রায় করে তার পরিমান বেশি। যদি কোনো বস্তু প্রতি সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০ বার কাঁপে তবে সেই বস্তু থেকে উৎপন্ন শব্দ শোনা যাবে। এভাবে আবার কম্পন যদি প্রতি সেকেন্ডে ২০,০০০ বার এর বেশি হয় তাহলেও শব্দ শোনা যাবে না। বিষয়টি তাই বেশি মাত্রায় কম্পন করে। তাই আমরা শুনতে পারি না। আমদের শোনার সক্ষমতা নেই বলে যদি বলেন সেটা শব্দ নয় তাহলে সেটা কিন্তু মেনে নেওয়া যাবে না।

আপনি চাঁদের প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। চাঁদে বায়ুমন্ডল নেই বলে শব্দ শোনা যাই না। তাই বলে চাদের বুকে কোন উল্কাপিন্ড আঘাত হানলে কি শব্দ হয় না? অবশ্যই হয়। বায়ুমন্ডল নেই বলে শব্দটা শোনা যাই না। কিন্তু প্রকৃত সত্য বিষয়টি উপেক্ষা করছেন কেনো?

https://www.overgrownpath.com/2017/05/the-universe-is-symphony-of-vibrating.html

Michio Kaku: The Universe Is a Symphony of Vibrating Strings | Big Think
https://www.youtube.com/watch?v=fW6JFKgbAF4

২১| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:১০

নিমো বলেছেন: আপনি আমাকে অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল শিখিয়েছেন, এজন্য আমি যারপরনাই কৃতজ্ঞ। আপনাকেও একটা বইয়ের নাম দিচ্ছি সময় সুযোগ পেলে ঘেঁটে ঘ করে দিয়েন, যেহেতু আপনি ব্যস্ত মানুষ। Data Communication and Computer Networks: A Business User's Approach।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ভূগোল শিখিয়েছি বলে ক্ষমা করবেন। তবে কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং সম্পর্কে আমার একটু জানা দরকার। আমি পড়বো। সত্যিই পড়বো।
ভালো থাকুন।

২২| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৯

নিমো বলেছেন: আপনি স্পন্দন বা কম্পনকে শব্দ কেন ধরে নিচ্ছেন ? স্পন্দন বা কম্পন হচ্ছে যে কোন ধরণের তরঙ্গের বৈশিষ্ট্য। শব্দ এক ধরণের যান্ত্রিক তরঙ্গ যা জড় মাধ্যমের স্পন্দন বা কম্পনের ফলে সৃষ্ট। কিন্তু মহাশূন্যে জড় মাধ্যম নেই, তাই শব্দ কোথা থেকে আসলো ? আহমেদ জী এস আর সাড়ে চুয়াত্তর এর বক্তব্যের পরও আপনার গোঁ ধরে বসে থাকবার মানে কী ? আর মিচিও কাকুর সাথে ই-মেইল চারিতার পর আমি ওটা নিয়ে কিছু বলার আশা রাখি।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৩৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: "The Universe Is a Symphony of Vibrating String" স্ট্রিং থিওরিতে মিচিও কাকু কেন মহাবিশ্বকে একটি সুর বলে অভিহিত করলো ? আপনি মিচিও কাকুর সুর মানছেন আমার শব্দ বলাটা মানছেন না কেনো?
আপনি বলুন আমি অপেক্ষায় আছি?

Nothing but Music: The Essentials of Superstring Theory
The standard model, which describes the elementary particles of the universe as amorphous, zero-dimensional points, is not comprehensive because it ignores gravity. Superstring theory, on the other hand, describes the most basic ingredients of matter as Planck-length strings that vibrate perpetually, like tiny rubber bands.--------Brian Greene
https://www.sparknotes.com/lit/elegantuniverse/section3/

ব্রেইন ্গ্রীন তার লেখাতে মহাবিশ্বকে সংগীতের সাথে তুলনা করেছেন। অথচ আপনার মানতে চাইছেন না।

২৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৫২

রানার ব্লগ বলেছেন: এ বিষয়ে আল কোরআন বলছে “যিনি আদিতে সৃষ্টি করেন তিনি আবারও সৃষ্টি করিবেন” (২৭:৬৪) তাহারা কি লক্ষ্য করে না কিভাবে আল্লাহ যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীকে সৃষ্টি করিয়াছেন তিনি অনুরুপ সৃষ্টি করিতে সক্ষম। তিনি উহাদের জন্য স্থির করিয়াছেন একটি কাল। ইহাতে কোন সন্দেহ নাই।” (১৭:৯৯) “সেইদিন আকাশকে গুটাইয়া ফেলিব যেভাবে গুটানো হয় লিখিত দফতর, যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সূচনা করিয়াছিলাম, সেইভাবে পূনরায় সৃষ্টি করিবো।” (২১:১০৪) এই আয়াত গুলো দিয়ে প্রমানিত হয় এই মহাবিশ্ব একটি সময়ের চক্রে সৃষ্টি করা হয়েছে। এবং তিনি এই মহাবিশ্ব আবারও সৃষ্টি করিবেন একই রুপে একই রকম। তাহলে এখন প্রশ্ন হলো আসমান জমিন আবার কেনো সৃষ্টি হবে? মানুষ বিহীন তো আসমান জমিন হয় না। তাহলে মানুষ সৃষ্টি আবার হতে হবে। আল কোরআন বলে “আমি উহাদের আঙ্গলের ছাপও পুঙ্খানুপুংখ সৃষ্টি করতে সক্ষম।” আবার ও বলছে “ উহাদের একজনের পুনরুত্থান উহাদের সকলের পুনরুত্থানের অনুরুপ। যেহেতু আল কোরআন আবার মানুষ সৃষ্টির কথা বলছে অতএব মানুষ আবার সৃষ্টি হবে। ‘যেদিন পরিবর্তিত করা হবে এ পৃথিবীকে অন্য পৃথিবীতে এবং পরিবর্তিত করা হবে আকাশসমূহকে’ (ইবরাহীম ৪৮)।

ইহা কি পুনর্জন্মকে স্বিকৃতি দিলো ??

২৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:০৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ঠিক পূনজন্ম নয়। হিন্দু ধর্মে যে ভূলটি সেটি হলো কোন ব্যাক্তি আজ মারা গেলো ১০০ বৎসর পর বা ৩০০ বৎসর পর আবার জন্ম নিলো। কিন্তু ইসলাম ঠিক এই বিষয়টি তুলে ধরে না। আমি আল কোরআন থেকে যতটুকু পড়েছি বা জেনেছি তাতে বুঝতে পেরেছি এই মহাবিশ্ব ধ্বংশ হবে এবং পূনরায় মহাবিশ্ব সৃষ্টি হবে। তখন নতুন মহাবিশ্বে মানুষের আবার পূনরুত্থান হবে অথাৎ আবার ধারাবহিকভা্াবে মানুষ সকলে পৃথিবীতে আবার পুনরুত্থান হবে। তার মানে নতুন আকাশ নতুন পৃথিবী। ‘যেদিন পরিবর্তিত করা হবে এ পৃথিবীকে অন্য পৃথিবীতে এবং পরিবর্তিত করা হবে আকাশসমূহকে’।

আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের চূড়ান্ত কিছু সীদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে চক্রাকার মহাবিশ্ব নামক একটি তত্ত্ব। পল স্টেইনহার্ট ও নেইল টুরকের চক্রাকার মহাবিশ্ব নামক একটি তত্ত্বে বলেছেন এই মহাবিশ্ব বারে বার সৃষ্টি এবং ধ্বংশ হয়। ষ্ট্রিং তাত্তিকদের উদ্ভাবিত মেমব্রেন এই সৃষ্টি ও ধ্বংশের কারন। তারা তাদের “Endless Universe” বইয়ের মাধ্যমে এসকল তথ্য জানিয়েছেন। তাদের মতে এ মহাবিশ্বের কোন শুরু নেই শেষ ন্ইে। এ এক চলমান বিষয়, অনন্ত, অফুরন্ত। সৃষ্টি এবং ধ্বংশের চক্রে আবদ্ধ। এই মহাবিশ্ব যেমন একদা সৃষ্টি হয়েছিলো এবং আবারও তা হবে; শুরু করবে নতুন চক্রের। আজ থেকে ট্রিয়ন বছর পর আবারও শুরু হবে নতুন চক্রের। ঘটবে নতুন সূচনা। একেকটি চক্র একেকবার মহাবিশ্বকে সৃষ্টি এবং ধ্বংশ করে। মহাবিশ্ব সৃষ্টির পর ধ্বংশ হয় কিন্তু ধ্বংশের পর জীবনের মূল সত্ত্বাটি ধ্বংশ হয় না। তা টিকে থাকে অন্য কোন মহাবিশ্ব সৃষ্টি হওয়ার মধ্য দিয়ে।


বিশিষ্ট বিজ্ঞাণী টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ভিলেংকিন তার গবেষনায় মহাবিশ্বের সৃষ্টির পিছনে পূর্বের মহাবিশ্বের ওয়েভ ফাংশন কে কারন হিসেবে উল্লেখ করছেন। তার বক্তব্য মতে পূর্বের মহাবিশ্বের ওয়েভ ফাংশন যা সংকুচিত হয়ে শুন্যতায় মিলিয়ে গিয়ে সেই কেইওস থেকে নতুন মহাবিশ্বের স্পেস টাইম টানেল করে আবির্ভাব হতে পারে। ভিলেংকিনের দৃষ্টিভঙ্গিতে শুন্যতা বলতে শুধু এম্পটি স্পেস নয় একেবারেই পরম শুন্যতা যাকে বলে নাথিং। সেই শুন্যতা বা নাথিং থেকে কোয়ান্টাম টানেলিং প্রক্রিয়ায় মহাবিশ্বের উদ্ভব হতে পারে। কোয়ান্টাম টানেলিং প্রক্রিয়ায় মহাবিশ্ব সৃষ্টি এই কনসেপ্ট নিয়ে ভিলেংকিন সহ আরো অনেকেই গবেষনা করছেন। তাদের সকলেই প্রায় একই বেসিক কনসেপ্টের মধ্য দিয়ে ভাবছেন। তাদের প্রস্তবনাটা হলো আমাদের এই মহাবিশ্বটা কোয়ান্টাম টানেলিং নামক প্রক্রিয়ায় অপর একটি মহাবিশ্ব থেকে উদ্ভুত হয়েছে। যে মহাবিশ্বের টাইম axis আমাদের উল্টা। পূর্বের মহাবিশ্বের ওয়েভ ফাংশন যেটা শুন্যতায় মিলিয়ে গিয়ে সংকুচিত হয়ে প্লাংক লেন্থে চলে গিয়ে ম্যাক্সিমাম এ্যানট্রোপি বা ক্লেইওসে পরিনত হয়। এমনই পরম absolute শুন্যতা সৃষ্টি হয় যে অবস্থান নির্দীষ্ট ভাবে ডিফাইন করা সম্ভব। সেই অবস্থানে থেকে পূর্বের মহাবিশ্বের ওয়েভ ফাংশন নতুন মহাবিশ্বের স্পেস টাইমকে আর্বিভ’ত করে। এই বেসিক কনসেপ্টটি একটি মহাবিশ্ব থেকে আরেকটি মহাবিশ্বের transition । তাহলে পূর্বের মহাবিশ্বটি কোথা থেকে এলো? এ ক্ষেত্রে আমাদের মেনে নিতে হয় পূর্বের মহাবিশ্বটি তারও পূর্বের একটি মহাবিশ্ব হতে উদ্্ভুত। এই ধারাবাহিকতা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে একটি মহাবিশ্বের হিসাব নিকাশ উপর ভিত্তি করে পরের মহাবিশ্বের আবির্ভাব ঘটে। এব্যাপারে আলকোরআন বলে “আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সমস্ত কিছুই ধ্বংশশীল”(২৮:৮৮) আধুনিক বিজ্ঞান যেভাবে অনুমান করছে জীবনের মূল সত্ত্বাটি টিকে থাকে।আল কোরআন ঠিক এমন কথাটিই বলছে।

২৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩১

জ্যাকেল বলেছেন: জেমস ওয়েব নিয়ে কিছু লিখেন।

১৫ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৪১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ। লিখবো ইনশার্লাহ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.