নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তি। একটি পরিমাপকৃত হিসাব। যা বায়ুমন্ডল ধরে রাখে। এই সুক্ষ সমন্ময়ই বলে দেয় মহাবিশ্ব একটি পরিকল্পিত সৃষ্টি!

১৩ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৬



Geologist- গন একটি গবেষনায় প্রমান করেছেন যে পৃথিবীর অভ্যন্তরে রয়েছে অত্যধিক ভারী বস্তুতে পরিপূর্ন যেমন নিকেল, লৌহ আর অনেক ধরনের যৌগিক ওজনদার বস্তু। গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণ পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগের কেন্দ্রের নিকেল, লৌহ ভারী বস্তু। আকর্ষণ বল অতীব শক্তিশালী হবার অন্যতম কারন হলো পৃথীবির আভ্যন্তরীক বস্তুগুলো ওজন। ওজন যত ভারী হবে আর্কষন ক্ষমতা ততোধিক শক্তিশালী ও প্রবলতর হবে।ওজন যত কম হবে আকর্সন তত কম হবে। তাদের গবেষনালব্ধ ফলাফল আমাদের বলে- আমরা যত মাটির নিচে নামছি ওজন তত বাড়ছে, বর্তমানে অতি কঠিন সব টেকনোলজী আমাদের নাগালে দিন দিন সহজলভ্য বিজ্ঞানীগন পৃথিবীর গভীরে এক ধরনের ভারী তরল পদার্থ পেয়েছেন যা সেখানে অবিরত পাক খেয়ে স্থান পরিবর্তন করে চলছে। অভ্যন্তরে তার এই চলাচলটা একটা পথে পরিণত হয়েছে, যাকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় বলা হয় Magnetic running root অথবা চুম্বকপথ ।আর পৃথিবীর এই অাকর্ষন শক্তির যথাযথ অনুপাতের কারনে পৃথিবীর বুকে আমাদের প্রাণিী জগত টিকে আছে এবং বায়ুমন্ডলের এই জটিল কম্পোজিশনটাও এই পৃথিবীর চুম্বকত্ব শক্তির কারনে।

পিয় পাঠক একবার গভীর ভাবে ভাবুন তো পৃথিবীর যে ম্যাগনেটিক ফিল্ড আছে সেই ফিল্ড এর চুম্বকত্ব শক্তি যদি যথাযথ ও পরিমাপকৃত না হতো তবে কি আমরা মানুষেরা স্বাচ্ছন্দ্যময় ভাবে পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারতাম। আধুনিক বিজ্ঞানের গননা মতে পৃথিবীর ম্ধ্যাকর্ষন শক্তির উপর ডিপেন্ড করে মহাজাগতিক এবং প্রাণময় হিসেব। এই মধ্যাকর্ষন শক্তির পরিমান নির্ধারিত হয়েছে পৃথিবীর অভ্যান্তরন্থ কঠিন পর্দাথের অনুপাতের উপর। পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তি যদি নির্ধারিত ধ্রুবকের চেয়ে ০.১% বেশি হতো তবে অত্যাধিক মধ্যাকর্ষন এর চাপের কারনে পৃথিবীর বুকে কোন ভাবেই বায়ুমন্ডল সৃষ্টি হওয়া সম্ভব হতো না আবার যদি পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তি যদি নির্ধারিত ধ্রুবকের চেয়ে ০.১% কম হতো তবে পৃথিবীকে ঘিরে বায়ুমন্ডলের বলয় তৈরী না হয়ে বরং তা মহাশুন্যে উড়ে হারিয়ে যেতো। ফলে বায়য়ুমন্ডলের এই অভাবে পৃথিবীর বুকে কখনই ঘটতো না কার্বন ভিত্তিক নান্দনিক প্রাণের মহাযাত্রা। শুধুমাত্র যথাযথ মধ্যাকর্ষন শক্তির কারনে প্রকৃথি নির্মান করতে পেরেছি বার্যমন্ডলের এমন একটি মহান কম্পোজিশন সাজানো প্যাটান ।

পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ চুম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত হয় এই পৃথিবীর বায়ুমন্ডল। পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ ভাগ বা এর কেন্দ্রের (আইরন কোর) চুম্¦ক ক্ষেত্র তৈরীতে গুরুত্বর্র্পূণ ভূমীকা রাখে। এই চুম্বক ক্ষেত্রটি পৃথিবীর কেন্দ্রের চুম্বকীয় ধাতু লোহা নিকেল দ্বারা সৃষ্টি হয়। এই Iron Core টির দুটি অংশ আছে Outer Core এবং Inner Core । ইনার কোর কঠিন পর্দাথ দ্বারা তৈরী এবং Outer Core তরল পদার্থ। এ দুটি লেয়ার পরস্পর বিপরীত দিকে ঘুরতে থাকে এবং তাদের এই ঘুর্ননের কারনে ভূচুম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরী হয়। আধুনিক বিজ্ঞানের প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে আমরা জানতে পেরেছি The Van Allan Belt পৃথিবী রক্ষাকারী দূর্গ হিসেবে কাজ করে। এই বুহ্য মহাবিশ্ব থেকে আসা সূর্য এবং অন্যান্য নক্ষত্র থেকে আসা ক্ষতিকর রেডিয়েশন থেকে রক্ষা করে। এই The Van Allan Belt মহাবিশ্ব থেকে আসা মাত্র ০.১ % রেডিয়েশন পৃথিবীতে প্রবেশ করতে দেয় এবং বাকী অংশ রেডিয়েশন তা মহাশুল্যে ফেরত পাঠায়। গামা রে, এক্স রে সহ এমন ভয়াবহ ক্ষতিকর রেডিয়েশন যদি ফেরত না পাঠাতো তবে এই পৃথিবীতে প্রাণীকুল এর আর্বিভাব কোনভাবেই সম্ভব হতো না। The Van Allan Belt নামক এই প্রানীকূল রক্ষাকারী বুহ্যটি পৃথিবী হতে ১০০০ কি:মি: পর্যন্ত বিস্তুত যা এই চুম্বকীয় ক্ষেত্র বায়ুমন্ডলের স্তরকে ধরে রাখে এবং মহাজাগতিক কসমিক রেডিয়েশন হতে পৃথিবীকে প্রাণীকুল এবং বৃক্ষজগতকে রক্ষা করে। পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ ভাগ সুষম তাপীয় ইঞ্জিন ব্যবস্থা Radioactivity দ্বারা পরিচালিত। যদি এই তাপীয় ব্যবস্থা কিছুটা ধীর গতিতে চলতো তবে কোনভাবেই Inner Core সৃষ্টি হতো না। আর যদি এই তাপীয় ব্যবস্থা কিছুটা দ্রুতগতিতে হতো তবে এই পৃথিবীতে প্রতিদিন ভূমীকম্প ও অগ্নুপাত হতো। এবং প্রতিদিনের ভূমীকম্পের ফলে পৃথিবীতে প্রাণীকুলের টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে উঠতো। প্রাণীকূলের বিনাশ ঘটতো।


বিশিষ্ট বিজ্ঞানী Hugh Ross তার একটি গবেষনাপত্রে পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ড সম্পকে Earth, an Extraordinary Magnet for Life প্রবন্ধে বলেন-Earth’s magnetosphere deflects charged particles in the solar wind away from Earth (see figure 1). It also acts as a protective bubble shielding life on Earth from both deadly solar and cosmic radiation.

Figure 1: Earth’s Magnetosphere. Exposure to deadly radiation occurs beyond the outer red lines. Image credit: NASA
Earth’s magnetosphere not only protects Earth’s life from deadly radiation, but also prevents solar particles from sputtering away much of Earth’s atmosphere. It is particularly critical for maintaining liquid water on Earth’s surface. Without that liquid water, life cannot survive on Earth.


আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তিতে অনুমিত যে পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ কঠিন পর্দাথ ডিপেন্ড করে পৃথিবীর আয়তনের উপর। প্ৃথিবীর চুম্বকত্ব যেমন সঠিক এবং যথাযথ ঠিক তেমনি পৃথিবীর সঠিক আয়তনই পৃথিবীর সঠিক মধ্যাকর্ষন সৃষ্টি করেছে। পৃথিবীর আয়তনও একটি সুক্ষসমন্ময়কৃত বিষয়। আমেরিকান ভূতত্ত্ববিদ ফ্রাংক প্রেস এবং সিলভার তাদের গবেষনার মাধ্যমে প্রাপ্ত ডাটার উপর ভিত্তি করে বলেন “পৃথিবীর আয়তন একে জীবনধারনের উপযোগী করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যদি পৃথিবীর আয়তন কিছুটা কম হতো তবে এটি এর বর্তমান বাযূমন্ডল ধরে রাখতে পারত না। কারন এর অভিকর্ষীয় শক্তি গ্যাস সমূহকে ধরে রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট হতো না। আবার যদি এর ভর কিছুটা বেশি হতো তবে এর শক্তিশালী অভিকর্ষীয় আকর্ষন শক্তির দ্বারা এটি বেশি পরিমান গ্যাস (ক্ষতিকর গ্যাস সমূহ) বায়ুমন্ডলে ধারণ করত। পৃথিবীর আকৃতি এবং অভ্যন্তরের পদার্থ সমহের উপরও প্রাণীকুলের অস্তিত্ব নির্ভরশীল। এইগুলো যদি এক বিন্দু এদিক ওদিক হতো তাহলে কোনভাবেই এ পৃথিবীতেই প্রানিকুলের আবির্ভাব ঘটতো না।


প্রিয় পাঠক এই মহাবিশ্বের এমন কিছু কিছু বিষয়বস্তু রয়েছে যার প্যারামিটার এক চুল পরিমান এদিক ওদিক হলে সব এলো মেলো হয়ে যেতো। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী স্টিভেন ওয়েনবাগ “Scientific American”, ম্যাগাজিনের একটি সাক্ষাতকারে বলেন-how surprising it is that the laws of nature and the initial conditions of the universe should allow for the existence of beings who could observe it. Life as we know it would be impossible if any one of several physical quantities had slightly different values. আধুনিক বিজ্ঞানিদের ফাইন টিউনিং আগুমেন্ট আমাদেরকে নতুন করে ভাবতে শেখাচ্ছে।আসলে এই মহাবিশ্বটি সুক্ষসমন্ময়কৃত। প্রৃতিটি বিষয় একটি সুক্ষ পরিমাপ লক্ষ্য করা যায়। আর এই সুক্ষ পরিমাপই প্রমান করে যে এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির পুর্বে ব্যপক ভাবনা চিন্তা করেই সৃষ্টি করা হয়েঠিলো । সৃষ্টির পূর্বেই করা হয়েছিলো একটি ডিজাইন একটি পরিকল্পনা।হঠাৎ হয়ে গেছে বলে যারা এই রহস্যময় ফাইন টিউনড ইউনিভার্স হাইপোথিসিস গুলো বিরোধীতা করে আসছেন তারা কোন ভাবেই প্রমান করতে পারছেন না এতগুলো প্যারামিটার রহস্যজনক ভাবে মিলে যায় কিভাবে? আধুনিক বিজ্ঞান কসমোলজিক্যাল বিভিন্ন বিষয়বস্থু তুলে ধরেছে যেই বিষয় গুলোর প্যারামিটার একটি এদিক ওদিক হলে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হতো না অথবা মহাবিশ্ব সৃষ্টি হলেও হয়তো মানুষ সৃষ্টি হতো না। এবাং বিজ্ঞানীগন এ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি তালিকাও তৈরী করা করেছেন। সেই নির্দীষ্ট বিষয় বস্তুগুলো। JAY W. RICHARDS এর একটি গবেষনা পত্র থেকে আমি নিম্নে উল্লেখ করলাম সেই তালিকা - Cosmic Constants (1) Gravitational force constant (2) Electromagnetic force constant (3) Strong nuclear force constant (4) Weak nuclear force constant (5) Cosmological constant Initial Conditions and “Brute Facts” (6) Initial distribution of mass energy (7) Ratio of masses for protons and electrons (8) Velocity of light (9) Mass excess of neutron over proton “Local” Planetary Conditions 285 (10) Steady plate tectonics with right kind of geological interior (11) Right amount of water in crust (12) Large moon with right rotation period (13) Proper concentration of sulfur (14) Right planetary mass (15) Near inner edge of circumstellar habitable zone (16) Low-eccentricity orbit outside spin-orbit and giant planet resonances (17) A few, large Jupiter-mass planetary neighbors in large circular orbits (18) Outside spiral arm of galaxy (19) Near co-rotation circle of galaxy, in circular orbit around galactic center (20) Within the galactic habitable zone (21) During the cosmic habitable age Effects of Primary Fine-Tuning Parameters (22) The polarity of the water molecule .

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি যতটুকু ভাবেন, আপনি নিশ্চয় পরিকল্পনা করেই এই মহাবিশ্ব তৈরি করেছেন।

১৩ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনার মাথার স্ক্রৃ ঢিলা আছে। তবে এটা সত্য আপনি সবার আগে আগেই থাকেন। চাঁদগাজী থেকে সোনাগাজী। আবার সোনাগাজী থেকে মোহনহগাজী হবার দরকার কি। এত পাট পরিবর্তন কেনো ভাই? এ্ক স্থানে থাকেন নিা!

পরিকল্পনা করেছেন হায়ার ডাইমেনশনার কোন স্বত্তা।

২| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:০৬

কামাল৮০ বলেছেন: সব কিছুই হয়েছে প্রাকৃতিক নিয়মে।বিজ্ঞানীরা তাই বলেছেন এবং প্রমান করেছেন।এগুলো পুরনো কথা নতুন করে বিতর্কের প্রয়োজন নাই।ধর্ম বলে অন্য কথা এটা তাদের বিশ্বাস বা দাবি।

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সব কিছুই হয়েছে প্রাকৃতিক নিয়মে। বিজ্ঞানীরা তাই বলেছেন এবং প্রমান করেছেন।এগুলো পুরনো কথা নতুন করে বিতর্কের প্রয়োজন নাই।
প্রাকৃতিক নিয়মে সব হয়ে গেছে বিজ্ঞানীরা সব প্রমান করে দিয়েছেন আপনার এই প্রসঙ্গ কিছু বুঝলাম না। কোন বিজ্ঞানীরা প্রমান করেছেন ভাই? বিজ্ঞানীরা কিভাবে হয়েছে জানার চেষ্টা করে তবে প্রকৃতিক নিয়মে সৃষ্টি হয়েছে প্রমান করলো কে? বিজ্ঞানী আন্দ্রে
লিন্ডের একটি বক্তব্য শোনায়- Why is the universe so big? If one takes a universe of a typical initial size given by the Planck length and a typical initial density equal to the Planck density, then, using the standard big bang theory, one can calculate how many elementary particles such a universe might encompass. The answer is rather unexpected: the entire universe should only be large enough to accommodate just one elementary particle or at most 10 of them. It would be unable to house even a single reader of Scientific American, who consists of about 1029 elementary particles. Obviously, -----------------------------Andre Linde
বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আন্দ্রেলিন্ডের একটি লেখা তুলে ধরলাম এই কারনেই যে অতি উত্তপ্ত অবস্থা থেকে যদি মহাবিশ্বের উৎপত্তি হয়ে থাকে’ তবে এটি সবচেয়ে বেশি হলেও ১০ টি কনিকা তৈরী করতে পারে না। কিন্তু মহাসম্প্রসারনের এই চুড়ান্ত পরিনতি তাকে এত বিশালত্বের পরিমাপে বর্ধিত করলো কি করে? এই শুন্য হতে উদ্ভুত কনিকা কি করে ভয়াবহ মূর্তীতে জেগে ওঠেতে পারে মহাবিশ্বরুপে? এখন পযর্ন্ত আমাদের জ্ঞাত জ্ঞান সে প্রশ্নের উত্তর দিতে অক্ষম!

ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং তার গ্রান্ড ডিজাইন ব্ইতে উল্লেখ করেছেন “ দেখা যাচ্ছে সম্ভাব্য মহাবিশ্বের এক বিশাল চারণভুমি রয়েছে। অবশ্য আমরা পরের অধ্যায়েই দেখবো, এদের মধ্যে যেসব মহাবিশ্বে আমাদেও মতো জীবনের অস্তিত্বে সম্ভব তারা রীতিমত র্দূলভ। আমরা এমন এক মহাবিশ্বে বাস করি যেখানে জীবনের সম্ভব হয়েছে, কিন্তু এটা যদি একটু সুক্ষভাবেও আলাদা হতো, তাহলে আমাদের মতো সত্ত্বা এখানে টিকতো না। এই যে সুক্ষ সমন্ময় এ থেকে আমরা কি বুঝি? এতে কি প্রমানিত হয় যে মহাবিশ্ব আসলে কোন দয়াময় সৃষ্টিকর্তার মহান নকশার তৈরী? নাকি বিজ্ঞান আমাদের অন্য কোনো ব্যাক্ষা দিতে পারে? ”
আদৌ কি কোন উত্তর দিতে পেরেছে? বলুন কেনো এত মিল পরিকল্পনার ছোয়া তার উত্তর কি?

ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং তার গ্রান্ড ডিজাইন বইতে উল্লেখ করেছেন “ তাহলে এসব কাকতাল থেকে আমরা কি বুঝবো? ভাগ্যক্রমে এসব নিয়মসমূহের খুটিনাটির যে মিলন সেটা পরিবেশোদ্ভুত চলকসমূহের ভাগ্রক্রমে মিলে যাওয়া থেকে আলাদা। একে তো এটাকে এত সহজে ব্যাক্ষা করা সম্ভব নয়, তার উপর এতে গভীর ভৌত ও দাশর্নিক ইঙ্গিত নিহিত রয়েছে? আমাদের মহাবিশ্ব ও তার আইন সমূহ দেখে মনে হয় যেন একেবারে নকশা অনুযায়ী একেবারে দর্জির হাতে বানানো! যেমনটা হলে এখানে জীবনের অস্তিত্ব সম্ভব হবে। আর কেনোই বা এম তত্ত্ব ১০’৫০০ সেট প্রকাশ্য নিয়মের জন্ম দেয় তার মধ্য থেকে ঠিক এই সেট নিয়ে এই মহাবিশ্বে আমরা কিভাবে হাজির হলাম?”

ভাগ্যক্রমে মিলে যাওয়া নিয়ে আর কতদিন চালাবেন? দু’ এক জন নাস্তিকদের লেখা পড়ে সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েন না। সেটা ভূল সিদ্ধান্ত হবে।

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: নিয়ম বলতে আসলে আমরা কি বুজি? বিভিন্ন ভৌত ধ্রুবক, যেমন ইলেক্ট্রনের চার্জ ও মৌলিক কনিকাসমূহের মিথস্ক্রিয়া ইত্যাদির মান। যা দ্বারা মহাবিশ্ব চালিত একবার গভীরে গিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন এই নিয়ম বা বিধান আপনা আপনি সৃষ্টি হলো নাকি একে কন্ট্রোল করার কিছু আছে? কন্ট্রোল বিহীন ব্যাতিরেকে কি করে মহাবিশ্ব এত সুন্দর নিয়মের অধীন হয়ে এবং ফাইন টিউনিং এর সামঞ্জস্যতা রেখে পরিচালিত হতে পারে? সেই প্রশ্নের উত্তর ইদানিং দিচ্ছে স্ট্রিং থিওরি। আধুনিক বিজ্ঞানের চুড়ান্ত কিচু সিদ্ধান্তের জনক এই স্ট্রিং থিওরি বা এম থিওরি। স্ট্রিং থিওরি মনে করে আমাদের এই মহাবিশ্ব ৩ মাত্রার নয়। আমাদের মহাবিশ্ব মোট ১০ মাত্রার। আর এক মাত্রার সময়। তাদের ধারনা মতে ৩ মাত্রিক এই বস্তু জগত
আর ৭ মাত্রার গোপন একটি জগত আছে যাকে স্ট্রিং থিওরি বলছে অর্ন্তবর্তী জগৎ। এই অন্তবর্তী জগৎ আমদের ত্রিমাত্রিক জগতের নিয়মকে কন্ট্রোল করছে। নিয়ম কেমন হবে ৭ মাত্রার অনত্ববর্তী জগত তা নির্ধারন করে। ষ্ট্রিং তত্ত্বের মতে ৭ মাত্রার অর্ন্তবতী জগতের পেচানো আকার আকৃতিই ত্রিমাতিক জগতের বিভিন্ন বিষয়বস্তু নির্ধারন করে’ এটি এম তত্ত্বে গানিতিক ভাবে দেখানো হয়েছে। এই তত্ত্ব আমাদের বলছে আমরা যদিও এই অতিরিক্ত মাত্রাগুলোকে দেখাতে পাচ্ছি না বা কোন পরীক্ষার দ্বারা এদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতেও পারছি না, কিন্তু আমাদের স্ট্রিং থিয়োরির গনিত বলছে যে তারা আছে। অতিরিক্ত স্থানিক মাত্রাগুলো স্থানের খুব সংকীর্ণ জায়গায় জরিয়ে-পেচিয়ে এমনভাবে আছে যে তাই আমরা তাদেরকে দেখতে পারছিনা। মহাবিশ্বগুলো কেমন হবে, তা নির্ভর করে স্ট্রিং তত্ত্বের অতিরিক্ত মাত্রাগুলো কিভাবে পেঁচিয়ে আছে তার উপর।

আমরা আগেই জেনেছি স্ট্রিং তত্ত্বের অতিরিক্ত মাত্রাগুলো চাইলেই ইচ্ছেমত জড়িয়ে পেঁচিয়ে থাকতে পারে না। এই প্যাঁচের আকৃতিই প্রকৃতির দৃশ্যমান নিয়ম গুলো নিয়ন্ত্রণ করে। এখানে দৃশ্যমান নিয়ম বলতে, মৌলিক চারটি বল ও তাদের পরস্পরের সাথে মিথস্ক্রিয়ার ধরন, মৌলিক কণিকা যেমন, কোয়ার্ক বা নিউট্রিনোর ভর, আধান ইত্যাদির কথা বোঝানো হচ্ছে । অর্ন্তবতী জগৎ তার নিজস্ব স্টাইলে পেচিয়ে থাকার কারনে তার নিয়ম উদ্ভুত হয়। কিন্ত আমাদের এই মহাবিশ্বের অর্ন্তবর্তী জগতের প্যাচ কেনো এমন হলো? আমরা কি ভাবতে পারিনা এই পেচিয়ে থাাকার নিয়মটি কোন এক অদৃশ্য হাতের দ্বারা নির্ধারন করে দেওয়া বিষয় একটি বিষয়। যদি তা নাই হয় তাহলে এক একটি মহাবিশ্ব একেক রকম নিয়ম কেনো হয়? কে নির্ধারন করে এই নিয়ম?
তবে কি স্টিফেন ডব্লিউ হকিং এর মতো আমাদের বলতে হয়- ‘প্রশ্ন আসে আমাদের মহাবিশ্বকে চালনাকারী মৌলিক নিয়ম (প্রকাশ্য নিয়ম সমূহ নয়) কিভাবে নির্ধারিত হলো?’ আর এই মহাবিশ্বের খেলায় এই মহাবিশ্বের নিয়ম নির্ধারনে নিশ্চয় একটি সত্ত্বা বিরাজিত রয়েছেন একটি চেতনা জাগ্রত রয়েছেন যিনি সকল মহাবিশ্বের নিয়ম নির্ধারন করে দেন অদৃশ্যের আড়াল থেকেই।

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ব্বিজ্ঞান একদিন ধর্মের বারোটা বাজিয়ে দিবে।

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকুন।

৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৫৪

সাসুম বলেছেন: সহমত ভাই। আসলে সকল জ্ঞান বিজ্ঞান ঐ এক গ্রন্থে লিখা আছে, এবং সকল কিছু ঐ এক গ্রন্থের স্রষ্টার নিয়মানুসারে চলে।

আপনি বিজ্ঞানী ভাই চালিয়ে যান , আপনার সাথে আছি।

নাস্তেক নাসারা পশ্চিমাদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাত করে এগিয়ে যান, এই কামনা করছি।

জাজাকাল্লাহ খায়রান

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনিই তো আমার একমাত্র ভক্ত। আপনি ছাড়া আমার পক্ষে আর কে আছে বলেন?
ভালো থাকবেন।

২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৪৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আর কাফিররা বলে, তোমরা এ কুরআনের নির্দেশ শোন না এবং তা আবৃত্তির সময় শোরগোল সৃষ্টি কর, যাতে তোমরা জয়ী হতে পার। (হামীম আল সিজদাহ ২৬)

৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২৬

নিমো বলেছেন: ভাইজান মধ্যাকর্ষন শক্তিটা কী ? অভিকর্ষ বা অভিকর্ষ বল বা মাধ্যাকর্ষণ বলটা কী ? বল ও শক্তিটাই কী ?

১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: অভিকর্ষজ বল হলো পৃথিবী তার কেন্দ্রাভিমুখে উপরস্থ সকল বস্তুকে যে বলে আকর্ষণ করে সেই বল। সর্বপ্রথম নিউটন অভিকর্ষজ বল সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন ।কথিত আছে,একদিন নিউটন আপেল গাছের নিচে বসে ভাবছিলেন এমন সময় তার মাথায় একটি আপেল এসে পড়ে। আপেলটি কেন মাটিতে পড়ল এই নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করেই তিনি অভিকর্ষ বা মহাকর্ষ বল সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন।এইসৌরজগতের যে কোনো দুটি বস্তুর মধ্যে যে আকর্ষণ বল কাজ করে তাকে মহাকর্ষীয় বল বলে।আর এই দুটি বস্তুর মধ্যে একটি যদি পৃথিবী হয় তখনি এই বলকে অভিকর্ষজ বল বলে। অভিকর্ষজ বল “মাধ্যাকর্ষণ শক্তি” নামেও সাধারণের কাছে পরিচিত,যদিও বল ও শক্তি এক জিনিস নয়।সুতরাং অভিকর্ষ বল মহাকর্ষ বলের একটি অংশ। বিশ্বে যে চার প্রকারের মৌলিক বল রয়েছে তার মধ্যে একটি হল মহাকর্ষীয় বল।

বাকী অংশ @জ্যাকেল ৮ নং কমেন্ট

১৪ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: তবে আমি লেখাটা সাধারণ মানুষের জন্য লিখেছি। যারা অনেকেই বিজ্ঞান বোঝে না। অনেক ক্ষেত্রে আমি পৃথিবীর চুম্বকত্ব শক্তিকেও মধ্যাকর্ষন হিসেবে বুঝিয়েছি সাধারনের বোধগম্যের জন্য কেবলমাত্র সাধারন পাঠকদের জন্য। তবে মহাকর্ষ বল এবং ম্যাগনেটিক ফিল্ড দুটি ভিন্ন ভাবে কাজ করে।

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: অভিকর্ষ কি আপনি আমাকে প্রশ্ন করেছেন? তাই অবাক হলাম। আমরা তো মাদ্রাসার পড়ি। পরে মাথায় এলো গুগুল করি। গুগুল করে উইকপিডিয়ায় অভিকর্স কি বিষয়ের পেজ দিতে আপনাকে চেষ্টা করলাম কেনো যেনো নিলো না। উইকপিডিয়ার পাথ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম দিতে পারি নাই, কেনো জানিনা পাথ টা কমেন্ট আকারে গেলো না। তাই উইকপিডিয়া থেকে কপি করে অভিকর্ষ বল কাকে বলে আপনাকে শেখালাম। তবে এবার মনে ক্লাস এইটের জিওগ্রাফি আপনাকে শেখালে আপনি বুঝতে পারবেন। https://www.youtube.com/watch?v=XfpEwn7jTWk

আমরা তো মাদ্ররাসায় পড়ি। আমরা ভালো বিজ্ঞান জানি না। আমাদের কাছে বিজ্ঞানের প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে পারবো না।
সরি দুঃখিত।

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১:৫৫

সত্যপীরবাবা বলেছেন: "গবেষণার মাধ্যমে জানা যায় মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণ পৃথিবীর অভ্যন্তর ভাগের কেন্দ্রর আয়রন কোর ও আউটার ও ইনার কোর।"
@লেখক, কোন গবেষনা? গবেষক কে কে? গ্যাস জায়ান্টদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারন কি?
ব্লগার নিমোর কমেন্টের কি উত্তর পা্ওয়া যায় লেখকের কাছ থেকে সেই প্রতিক্ষায় রইলাম।

১৪ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি বুঝতে পেরেছি আপনি আমার কোন বিষয়টি ধরেছেন। আমার অজান্তেই “নিকেল, লৌহ ভারী বস্ত “ না লিখে “আয়রন কোর ও আউটার ও ইনার কোর” লিখেছি। এই বিষয়টি আমি কিছুক্ষন আগেও দেখেছি অথচ প্রুফ রিডিং মিসটেক।
আর্থ গ্রাভিটি ও ম্যাগনেটিক ফিল্ড দুটি আলাদা বিষয় সেটি আমি বুঝি। আমি মাদরাসায় পড়ি নাই।

৭| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:১৬

জ্যাকেল বলেছেন: উপরে কেহ কেহ দেখা যাইতেছে যে পোস্টের সাথে সংগতিপুর্ণ কিছু না বলে শুধু ব্যাং বিদ্রুপ করতেই বেশি মনযোগি। ওরে বাপরে চামচিকাও একটা পাখি আর ইহারাও এক একটা ব্লগার!

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এরা আমাকে প্রশ্ন করে অভিকর্ষ কি? যাচাই করছে?
কি বলবো বলেন?

ভালো থাকুন।

৮| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:২২

জ্যাকেল বলেছেন: @নিমো

A force is a push or pull that acts upon an object as a result of that objects interactions with its surroundings.


In physics, power is the amount of energy transferred or converted per unit time. In the International System of Units, the unit of power is the watt, equal to one joule per second.

P = E/t; P = F·v; P = V·I; P = τ·ω



যেহেতু পোস্ট না পড়ে মন্তব্য করেছেন বুঝা যাইতেছে তাই বলি- গ্রাভিটির পরিমাণ ভরের কারণে ভিন্ন হয়। পৃথিবীর যে ভর সেটা যদি কম বা বেশি হইত তবে বায়ুমন্ডল প্রাণ ধারণের উপযোগী না হইতে পারত।
আবার সুর্যের বিকিরিত রশ্মি প্প্রাণিদেহ ধ্বংস করে ফেলত যদি না ভু-চৌম্বক না থাকত।

১৫ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:১৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার সহায়তা সকল ক্ষেত্রেই কাম্য।
ভালো থাকুন।

৯| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪১

বিটপি বলেছেন: প্রাণ ধারণের উপযোগী পরিবেশ হবার জন্য যা যা লাগবেঃ
১। নক্ষত্র থেকে নিরাপদ দূরত্বে অর্থাৎ হ্যাবিটেবল জোনে থাকতে হবে
২। মেরু অক্ষ ঠিক ২৩ দশমিক ৪ ডিগ্রী হেলে থাকতে হবে, না হলে ঋতু পরিবর্তনের প্রভাব পড়বেনা।
৩। বায়ুমণ্ডলকে আটকে রাখার মত পারফেক্ট ভর ও বেগ থাকতে হবে।
৪। বায়ুমন্ডলে নাইট্রোজেন এবং অক্সিজেনের রেশিও ৪ঃ১ থাকতে হবে।
৫। বায়ুতে কমপক্ষে ২৫% জলীয় বাষ্পের অস্তিত্ব থাকতে হবে।
৬। পুরো গ্রহের ৬৭% সমুদ্র থাকতে হবে
৭। মাটিতে পরিমিত পরিমাণ কার্বনের উপস্থিতি থাকতে হবে।

আপনার কি মনে হয় মহাবিশ্বের আর কোথাও এত হিসাব নিকাশ করে আর একটি গ্রহের উপস্থিতি থাকা সম্ভব?

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:২৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনার কি মনে হয় মহাবিশ্বের আর কোথাও এত হিসাব নিকাশ করে আর একটি গ্রহের উপস্থিতি থাকা সম্ভব?
আমি তো ধার্মিক মনের মানুষ। আমি স্রষ্টার পক্ষে। আমার মতে এমন গ্রহ অসংখ্য আছে কিন্তু প্রান নেই। আমি মনে করি স্রশ্টা এত বিশাল মহাবিশ্ব বানিয়েছেন মানুষের জন্য। মানুষ সেই সকল থাকবার মতো গ্রতে গুলোতে গিয়ে বিচরন করবে। আর্ন্তমহাজাগতিক একটি মানব সোসাইটি হবে। গ্যালাক্সি থেকে গ্যালাক্সিতে মানুষ ঘুরে বেড়াবে। এটিই আমার বিশ্বাস।

১০| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৪

তানভির জুমার বলেছেন: উপরে কিছু নাস্তিক আপনার পোষ্টের যৌক্তিক কোন আলোচনা না করতে পেরে, আপনাকে ব্যাক্তি আক্রমন এবং মগজহীনদের মত কিছু কথা বলেছে। সামুতে প্রায় সব নাস্তিকদের মাল্টিনিক আছে, এরা মাল্টিনিক দিয়ে কমেন্ট করে।

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৩৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: হ্যা তাই দেখছি, নাস্তিকেরা অদ্ভুদ জোট। এরা একজনা বহুরুপে কমেন্ট করে।

আমাকে প্রশ্ন করে অভিকর্ষ কি? মধ্যাকর্ষন কি? আমি ভেবেছিলাম ক্লাস এইট এর ই-জিওগ্রাফি বই পাঠিয়ে দিবো। তারপর আর কি করবো। উইকপিডিয়া থেকে অভিকর্ষ শব্দের অর্থ কপি করে দিয়ে দিলাম।

আমাদেরকে কেনো যে নাস্তিকেরা মূর্খ ভাবে! আল্রা জানে!

ভালো থাকুন।

১১| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫৬

তানভির জুমার বলেছেন: কামাল৮০ বলেছেন: সব কিছুই হয়েছে প্রাকৃতিক নিয়মে।বিজ্ঞানীরা তাই বলেছেন এবং প্রমান করেছেন।এগুলো পুরনো কথা নতুন করে বিতর্কের প্রয়োজন নাই।ধর্ম বলে অন্য কথা এটা তাদের বিশ্বাস বা দাবি।

প্রাকৃতিক নিয়ম বলতে পৃথীবিতে কোন কিছু নেই। বিজ্ঞান এরকম কোনকিছু আজ পর্যন্ত প্রমান করতে পারেনি।

১৪ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এখন প্রশ্ন হচ্ছে মহাবিশ্বের জন্য কি আপনা আপনি নিয়ম সৃষ্টি হচ্ছে নাকি কোন সত্ত্বাকে এই সকল নিয়ম নির্ধারন করতে হচ্ছে।

এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আমাদের যেতে হবে সেলুলার অটোমেশন এবং তৎসংক্রান্ত বিষয়ে। ১৯৪৭ সালের দিকে জন ভন নিউম্যান (১৯৩০-১৯৫৭) এমন এক ধরনের যন্ত্রের কথা চিন্তা করলেন যা নিজেই নিজের প্রতিলিপি তৈরী করতে পারবেন। এরকম একটি যন্ত্রকে প্রয়োজনীয় প্রয়োজনীয় জিনিষ দিয়ে একটি কক্ষে ছেড়ে দিলে নিজের মতো আরেকটি যন্ত্র তৈরী করে ফেলবে। তখন ঐ দুটি যন্ত্র পৃথকভাবে আরো চারটি যন্ত্র তৈরী করে ফেলবে। আর এভাবেই বাড়তে থাকবে। এধরনের যন্ত্রকে এখন ভন নিউম্যান মেশিন বলা হয়। ভন নিউম্যানের সেই নিজ প্রতিলিপি নির্মানকারী যন্ত্রেও সেলুলার মডেলই ছিলো সেলুলার অটোমেটা বা কোষীয় স্বয়ংচল যন্ত্র বা সি.এ। একটা একমাত্রিক কোষীয় স্থান বা সেলুলার স্পেস হচ্ছে এক রেখায় সারিবদ্ধ কোষ। একটি দ্বিমাত্রিক সিএ ধারাবাহিক পরিবর্তনে ত্রিমাত্রিক আকৃতি সৃষ্টি করে। এই দ্বিমাত্রিক সিএ এর ত্রিমাত্রিক রুপায়ন মহাবিশ্বের ক্ষেত্রেও হতে পারে। সিএ গুলো যেমন সরল কিছু নিয়ম দ্বারা পরিচালিত আমাদের মহাবিশ্বটাও ঠিক এমন। আমাদের মহাবিশ্বটা এরুপ হাইপার ডাইমেনশনাল সেলুলার স্পেসে অবস্থিত কিনা তা বোঝা যায় “জীবনের গেম” নামক সি এর কোষগুলোর পরিবর্তন এবং বিভাজনের মাধ্যমে। ১৯৭০ সালে সায়েন্টিফিক আমেরিকান ম্যাগাজিনে একটি কলাম প্রকাশিত হয়। সেই কলামে জন কনওয়ে দ্বিমাত্রিক সিএ এর নামকরন করেন “গেম অফ লাইফ” বা জীবনের খেলা। গেম অফ লাইফের বিভিন্ন নিয়মসমূহের অসংখ্য সেটের সাথে মহাবিশ্বের সাদৃশ্যময়তা রয়েছে। যেমন গেম অফ লাইফের এক সেট সরলতম বৈশিষ্টের বিকাশ ঘটাতে পারে। গেম অফ লাইফ বা জীবনের খেলার আপনাকে নির্ধারন করে দিতে হচ্ছে আপনি কোন সেটটি চাইছেন। আপনি যে সেটটি চাইছেন গেম অফ লাইফে ঠিক সেই সেটটি আপনার সামনে প্রকাশ ঘটবে। গেম অফ লাইফ যদি আপনার দেওয়া নির্ধারিত সেটটিই প্রকাশ ঘটায় তাহলে অসংখ্য মহাবিশ্বের ক্ষেত্রে এই নিয়ম বা সুত্র অথবা মহাবিশ্বটা কেমন হবে তা নির্ধারনের দায়িত্ব পালন করলো কে? আর আল কোরআন বলে “আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সমস্ত কিছুই ধ্বংশশীল, বিধান তাহার এবং তাহারই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হইবে।”(২৮:৮৮) এই আয়াতে বিধান বা বিধি বা সুত্র তার এবং তিনিই এটা নির্ধারন করেছেন বলা হচ্ছে। আল্লাই যে এ সুত্র নির্ধারনের ক্ষেত্রে গ্রহনযোগ্য ব্যাক্ষা তা একটু বিবেক খাটালেই বোঝা যায়। একবার গভীওে গিয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন কে এই নিয়ম বা বিধান কে নাযিল করলো? এই মহাবিশ্ব কি করে এত সুন্দর নিয়মের অধীন হয়ে এবং ফাইন টিউনিং এর সামঞ্জস্যতা রেখে এই প্রানী জগতের বিকাশে ভূমীকা রাখতে পারলো! নি:সন্দেহে অতি জাগতিক এটি শক্তির হস্তক্ষেপ এখানে বিদ্যমান। এই প্রশ্নের উত্তরে স্বয়ং ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং তার গ্রান্ড ডিজাইন বইতে বলছেন “ কনওয়ের জীবনের খেলা থেকে দেখা যাচ্ছে যে একেবারে সরলতম এক সেট জটিল সব বৈশিষ্টের বিকাশ ঘটাতে পারে যেটা বুদ্ধিমান জীবনের সমতুল্য। নিশ্চয় এধরনের বৈশিষ্ট সমৃদ্ধ এমন অনেক সেট নিয়ম সম্ভব। প্রশ্ন আসে আমাদের মহাবিশ্বকে চালনাকারী মৌলিক নিয়ম (প্রকাশ্য নিয়ম সমূহ নয়) কিভাবে নির্ধারিত হলো? কনওয়ের মহাবিশ্বের মতো আমাদের মহাবিশ্বের বিবর্তনও একটা নির্দীষ্ট অবস্থা থেকে এসব নিয়ম মেনেই ঘটে। কনওয়ের জগতে আমরাই হচ্ছি সৃষ্টিকর্তা। যারা ঐ মহাবিশ্বের আদি অবস্থায় ব্স্তুমূহের অবস্থান ও প্রকৃতি নির্ধারন করে দিচ্ছি।” ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং এর যখন কনওয়ের জীবনের খেলা সৃষ্টিকর্তা হতে পারলে অবশ্যই এই মহাবিশ্বের খেলায় একটি সত্ত্বা বিরাজিত রয়েছেন একটি চেতনা জাগ্রত রয়েছেন যিনি সকল মহাবিশ্বের নিয়ম নির্ধারন করে দেন।

১২| ১৪ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:০৭

নতুন বলেছেন: পিয় পাঠক একবার গভীর ভাবে ভাবুন তো পৃথিবীর যে ম্যাগনেটিক ফিল্ড আছে সেই ফিল্ড এর চুম্বকত্ব শক্তি যদি যথাযথ ও পরিমাপকৃত না হতো তবে কি আমরা মানুষেরা স্বাচ্ছন্দ্যময় ভাবে পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারতাম। আধুনিক বিজ্ঞানের গননা মতে পৃথিবীর ম্ধ্যাকর্ষন শক্তির উপর ডিপেন্ড করে মহাজাগতিক এবং প্রাণময় হিসেব। এই মধ্যাকর্ষন শক্তির পরিমান নির্ধারিত হয়েছে পৃথিবীর অভ্যান্তরন্থ কঠিন পর্দাথের অনুপাতের উপর। পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তি যদি নির্ধারিত ধ্রুবকের চেয়ে ০.১% বেশি হতো তবে অত্যাধিক মধ্যাকর্ষন এর চাপের কারনে পৃথিবীর বুকে কোন ভাবেই বায়ুমন্ডল সৃষ্টি হওয়া সম্ভব হতো না আবার যদি পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তি যদি নির্ধারিত ধ্রুবকের চেয়ে ০.১% কম হতো তবে পৃথিবীকে ঘিরে বায়ুমন্ডলের বলয় তৈরী না হয়ে বরং তা মহাশুন্যে উড়ে হারিয়ে যেতো। ফলে বায়য়ুমন্ডলের এই অভাবে পৃথিবীর বুকে কখনই ঘটতো না কার্বন ভিত্তিক নান্দনিক প্রাণের মহাযাত্রা। শুধুমাত্র যথাযথ মধ্যাকর্ষন শক্তির কারনে প্রকৃথি নির্মান করতে পেরেছি বার্যমন্ডলের এমন একটি মহান কম্পোজিশন সাজানো প্যাটান ।

কি করিলে কি হইতো, কি না করিলে কি না হইতো এমনটা ভাবা কতটুকু ঠিক।

যখন কোন একটা প্যারামিটার কম বেশি হতো তখন হিসাবও আলাদা হইতো, তখন হয়তো পৃথিবিতে জীবন থাকতো না, বা হয়তো অন্য রকমের হতো।

আপনার পাশে যেই মানুষটি বসে আছে তার দিকে দেখুন। তিনি এই সময় যে আপনার পাশে বসে আছে সেটা কি পরিকল্পিত? এটাও পরিকল্পনার অংশ?

তার জীবনে প্রতিটি মূহুত্বের মাঝে অনেক সময় এসেছে যে সেই সময়ে ঐ কাজটা বা ঐ ঘটনাটা বা ঐ জিনিসটা না পেলে বা হলে তার এখানে আপনার পাসে থাকা হতো না।

এখন যদি আমি যদি বলি " একবার গভীর ভাবে ভাবুন তো ঐ ব্যক্তিটা এখানে বসে আছে সেটার পেছনে সৃস্টিকতার ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইনের ফলেই হয়েছে?? ""

আমাদের আকাশগঙ্গায় ৬ বিলিওন পৃথিবির মতন গ্রহ থাকতে পারে, এবং পৃথিবির মতন বাসযোগ্য ৩০০ মিলিওন গ্রহ থাকতে পারে মহাবিশ্বে।

https://www.bbvaopenmind.com/en/science/physics/how-many-earth-like-planets-are-in-the-universe-video-infographic/
One 2020 study that analyzed Kepler data calculated that the Milky Way could harbor as many as six billion Earth-like planets, while another estimated the number of potentially habitable planets in our galaxy at about 300 million

১৫ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: নতুন ভাই, ব্যাস্ত মানুষ। সময় দিতে পারিনা। আপনার কমেন্টের এ্যানসার দিতে দেরী হয়ে গেলো। নিশ্চয় ভালো আছেন?

আপনার পাশে যেই মানুষটি বসে আছে তার দিকে দেখুন। তিনি এই সময় যে আপনার পাশে বসে আছে সেটা কি পরিকল্পিত? এটাও পরিকল্পনার অংশ?
তার জীবনে প্রতিটি মূহুত্বের মাঝে অনেক সময় এসেছে যে সেই সময়ে ঐ কাজটা বা ঐ ঘটনাটা বা ঐ জিনিসটা না পেলে বা হলে তার এখানে আপনার পাসে থাকা হতো না।
এখন যদি আমি যদি বলি " একবার গভীর ভাবে ভাবুন তো ঐ ব্যক্তিটা এখানে বসে আছে সেটার পেছনে সৃস্টিকতার ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইনের ফলেই হয়েছে?? ""
র্
আসলে আপনার বিষয়বস্তুটি বুঝতে পারি নাই। তারপরেও যতটুকু বলেছি তাতে বোঝায়। (এই একটি বিষয় আমি আপনাকে অনেকবার বুঝিয়েছি)। মানবদেহে নন কোডিং ডিএনএ বোঝেন (জিনোমে ননকোডিং ডিএনএ হ'ল অন্য ধরণের ডিএনএ, যা মানব জিনোমের 99% অংশ হিসাবে থাকে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এটি প্রোটিন-কোডিং জিনগুলির জন্য এনকোড করে না। এর মাধ্যমে এটি প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য নির্দেশনা সরবরাহ করে না।) যে গুলো ফালতু যার কোন কাজ নেই আর কোডিং ডিএনএ যার কাজ আছে অথাৎ প্রোটিন তৈরী করে। একসময় ভাবা হতো নন কোডিং ডিএনএ গুলো ফালতু মাল বা জাঙ্ক। কিন্তু পরবর্তী
তে বোঝা গেলো ৯৯% ডিএনএ ফালতু নয় এদের কাজ আছে। আধুনিক বিজ্ঞান তাদের কাজের বিভিন্ন কার্যক্রম বুঝতে পেরেছে- যেমন, ভ্রূণ থেকে আমাদের হাতের আঙুল তৈরির সময় একটা রেগুলেটরি জিন গুচ্ছ কাজ করে, যার নাম হক্স ডি (HoxD)। এই হক্স ডি জিনগুলির এক্সপ্রেশান নির্ভর করে নন-কোডিং ডিএনএ সিকোয়েন্সের উপর। এই এলাকার নন-কোডিং ডিএনএ’র কোন সমস্যা বিকৃত আঙুল তৈরি করবে। The Encyclopedia of DNA Elements (ENCODE) প্রজেক্ট বলছে মানুষের ডিএনএ’র ৮০% ই (কোডিং, নন-কোডিং জিন) কোন না কোন কাজ করে। তার মানে হল, প্রোটিন তৈরি না করলেও ডিএনএ-গুলির কোন না কোন কাজ আছে, নাহলে এত বিপুল সংখ্যায় আমাদের জেনোমে থাকার কোন কারন নাই। নন-কোডিং ডিএনএ সব জীবে একই শতাংশে বিদ্যমান নেই। জীব অবস্থা ভেদে ভিন্ন। যেমন, ব্যাকটেরিয়াতে থাকে মাত্র ২%। এখন পর্যন্ত এদের কাজের মধ্যে যেগুলি খুঁজে পাওয়া গেছে তার বেশিরভাগই হল জিনের এক্সপ্রেশান নিয়ন্ত্রণ করা, মানে কোন জিন কিভাবে, কখন প্রকাশিত হবে সেটা ঠিক করা।

ভাইগো আমি নন কোডিং ডিএনএ এর উদাহরন আমি আপনাকে অসংখ্যবার দিয়েছি শুধু একটি কারনে। আর সেই কারনটি হলো কোটি কোটি গ্রহ উপগ্রহ নক্ষত্র থাকলেই তো হবে না। এগুলোকে অপচয় ভাবেন না এগুলোর পিছনে কারন আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.