নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাবিশ্বে পৃথিবীর অবস্থান রহস্যময় হেবিটেবল জোনে! এটা কি পরিকল্পনাকারীর পরিকল্পিত সৃষ্টি নয়?

২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:৪০

হেবিটেবল জোন! শব্দটির সাথে যারা পরিচিত আছেন তারা হয়তো জানেন যে হেবিটেবল জোন শব্দটি একটি দুরত্ব ও অবস্থানকে বোঝায়্। অথাৎ বিজ্ঞানীরা যে কোন নক্ষত্রের জন্য একটি নির্দীস্ট দুরত্ব নির্ধারন করেন যে স্থানটিতে পানি তরল অবস্থায় থাকতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা ধারনা করেন। যে স্থানটির তাপমাত্রা স্বচ্ছ এবং একটি সুক্ষ সমন্মিত নিরাপদ বাসযোগ্য স্থান হিসেবে অনুমান করে থাকেন । বিজ্ঞানীরা সেই স্থানটির নামকরণ করেন “গোল্ডিলকস্ জোন” বা “হেবিটেবল জোন” । কোন নক্ষত্র থেকে ঠিক যতটুকু দুরত্ব প্রাণ বিকাশের জন্য প্রয়োজনে আমাদের সৌরজগত এবং সত্যি করে বলতে কি আমাদের পৃথিবী ঠিক সেই স্থানেই পড়েছে! এই রহস্যময় বিষয়টিকে কি আপনি আপনা আপনি বা দূর্ঘটনা বলেই চালিয়ে দিবেন?



স্যার মার্টিন রীস এর লিখিত জাস্ট সিক্স নাম্বার (Just Six Numbers) নামের এ্কটি বইতে উল্লেখ করেছিলেন “এই মহাবিশ্বের কতিপয় ধ্রুবক এর মান এমন কেনো? এতটাই রহস্যময় যে এই ধ্রুবকের মান এমন হওয়ার দরকার ছিলো! যদি এমন না হয়ে অন্যরকম হতো তবে এই মহাবিশ্বটাকে আমরা যেভাবে দেখছি সেভাবে হয়তো দেখা হতো না। ধ্রুবক গুলোর মান এমন না হলে প্রানের নান্দনিক স্পন্দন হতো না এই পৃথিবীতে!” স্যার মার্টিন রীস 114 টি ধ্রুবকের মধ্যে ৬ টি ধ্রুবককে খুব গুরুত্ব দিয়ে উল্লখ করেছেন।এই সকল বিষয়গুলো কেনো এমন হলো ! প্রশ্ন করলে উত্তর দেওয়া যায় না। একটি ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়া যায় কিন্তু শত শত ধ্রুবক এর মান যখন রহস্যময় হয়ে ওঠে তখন তাকে কি আদৌ আকস্মিক বা দূর্ঘটনা বলা যায়?

এমনই একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় যেটি নিযে এখন আমরা আলোচনা করবো। সেটি হলো পৃথিবীর রহস্যময় অবস্থান। যেখানে আমাদের বসবাস হেবিটেবিল জোন বা গোল্ডিলক জোনে। আমাদের এই পৃথিবী সূর্য থেকে ১৪৭,৫৯৭,৮৭০,৭০০ মিটার অথবা ১৫ কোটি কিলোমিটার দুরে অবস্থিত থেকে সুর্যকে কেন্দ্র করে উপবৃত্তাকার পথে ঘুরছে।এই অবস্থানে পৃথিবীর থাকার কারনে যদি সৃষ্টির শুরুতে সূর্য থেকে পৃথিবীর দুরত্ব কিছুটা কম হতো বা কোন কারনে সূর্য থেকে পৃথিবী ১% কাছে অবস্থান করতো তাহলে এই পৃথিবী সূর্যের অত্যাধিক তাপ ও চাপের কারনে জ্বলে পুড়ে শুক্র গ্রহের রুপ ধারণ করতো। ফলে কখনই বায়ুমন্ডল সৃষ্টি হতো না। আর বায়ুমন্ডল সৃষ্টি না হলে কোনভাবেই এই পৃথিবীতে প্রাণ উতপাদন সম্ভব হতো না । শুধু বায়ুমন্ডল সৃষ্টি হওয়াই বড় কথা নয় অত্যাধিক তাপ ও চাপের কারনে পৃথিবীর অভ্যন্তরস্ত জল বাষ্প আকারে ধুমায়িত হয়ে মহাশুন্যে হারিয়ে যেতো । আর যদি পৃথিবী সূর্য হতে ১% দুরে অবস্থান করতো তাহলে সূযের তাপ ও চাপ এর অভাবে পৃথিবী হিম শীতল হয়ে মঙ্গল গ্রহের মতো তুষারাচ্ছন্ন হয়ে পড়তো । পৃথিবীর অভ্যন্তরস্ত জল ঠান্ডায় বরফে পরিনত হয়ে পড়তো ।ফলে তরল জল না থাকার কারনে এককোষি প্রাণিই উৎপাদিত হতো না বহুকোষি প্রাণিতো পরের কথা।এককথায় প্রাণ উতপাদনের প্রতিটি শর্ত্ই ভঙ্গ হতো।পৃথিবীর এই যথাযথ অবস্থানের কারনেই পৃথিবীতে তরল জল বিদ্যমান। আর তরল জল মানেই প্রাণ। The Astronomical Journal এর 1998 এর ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাসের সঙ্কলনে বলা হয় ‘Our basic finding is nevertheless an indication of the need for some sort of rudimentary "design" in the solar system to ensure long-term stability”

এবার আসুন আমরা আমাদের সৌরজগতের অবস্থান নিয়ে আলোচনা করি। আমাদের গ্যালাক্সিতে সৌরজগতের অবস্থান রহস্যময় স্থানে। নীচের চিত্রের দিকে লক্ষ্য করুন।



আমাদের অবস্থান নিয়ে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী কাল্ স্যাগান বলেছেন “আমরা কারা? আমরা বুঝতে পেরেছি, আমরা বাস করি একটি গ্যালাক্সির সীমান্তে দুটি সর্পিলাকার বাহুর মাঝে হারিয়ে যাওয়া এক গতানুগতিক নক্ষত্রের এক সামান্য গ্রহে। যার থেকে বহুদুর পর্যন্ত রয়েছে মানব সংখ্যার চেয়েও অধিক সংখ্যক গ্যালাক্সি।” – কসমস । কাল স্যাগান আমাদের সুর্যের অবস্থানকে হারিয়ে যাওয়া নক্ষত্র বলে অভিহিতে করেছেন। গ্যালাক্সির মধ্যবর্তী কেন্দ্র থেকে যথেষ্ট দুরবর্তী স্থানের স্বল্প তাপমাত্রায় এলাকায় অবস্থিত বলেই কাল স্যাগান তাকে হারিয়ে যাওয়া অবস্থান বলেই অভিহিত করেছেন। গ্যালাক্সি জুড়েই চালিদিকে নক্ষত্র আর নক্ষত্র। একটির গায়ে আরেকটি নক্ষত্র সজ্জিত। উজ্জলতা ও তাপমাত্রা এতটাই ব্যাপক যে সেই সকল স্থানের প্রচন্ড তাপমাত্রা কোনভাবেই কোন গ্রহের হেবিটেবল জোন সৃষ্টি করে প্রান উৎপাদন করা সম্ভব করে উঠতে পারতো না! অথচ পৃথিবীর অবস্থান স্বল্প তাপমাত্রার এমন একটি স্থানে যে স্থানটি প্রাণ উৎপাদনের উপযুক্ত স্থান। সুর্য থেকে অন্যান্য নক্ষত্রসমূহ যথেষ্ট দুরে অবস্থিত।সুর্য থেকে যে নক্ষত্রটি সবচেয়ে কাছে সেই নক্ষত্রটির নাম প্রক্সিমা সেন্টরাই।স্কটিশ জোতিবিদ রবার্ট আইনেস কম ভরের এই লাল বামন তারা আবিস্কার করেন যার সুর্য থেকে দুরত্ব প্রায় 4.23 আলোকবর্ষ । আধুনিক বিজ্ঞানের ধারনা আমাদের সৌরজগতের পার্শ্ববতী কোথাও যদি কোন নক্ষত্র অবস্থান করতো তাহলে পৃথিবী প্রতি মূহুত্ব সুর্য থেকে যে পরিমান আলোক কনা বা ফোটন কনা গ্রহন করে আরেকটি নক্ষত্র অবস্থান করার কারনে ফোটন কনার পরিমান দ্বিগুন হতো ফলে পৃথিবী অত্যাধিক তাপ ও চাপের কারনে রাতের শীতলতা দিনের উঞ্চতাকে সমতার ভিত্তিতে শোষন করতে পারতো না, তাই দিন দিন পৃথিবীর উঞ্চতা বৃদ্ধি পেতো ফলে কখনই পৃথিবীতে প্রাণ উৎপাদনের পরিবেশ সৃষ্টি হতো না। যথেষ্ট দুরবর্তী স্থানে অন্য নক্ষত্র অবস্থান করায় পৃথিবী পর্যাপ্ত আলোক কনা শোষিত করতে পারে নাই।ফলে শিতলতা উঞ্চতার এক সুক্ষ সন্মময় পৃথিবীকে প্রাণ উৎপাদনের চারনভূমীতে পরিনত করতে পেরেছে। আধুনিক বিজ্ঞানের মতে আমাদের সৌরজগতের অবস্থান এতটাই পারফেক্ট যে ঠিক এই অবস্থানে আছে বলেই পর্যাপ্ত তাপমাত্রা ও পর্যাপ্ত উজ্জলতা হেবিটেবল জোন সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমীকা পালন করেছে। বিজ্ঞানীরা আমাদের সৌরজগত এবং গ্রহ উপগ্রহের একটি মডেল তৈরী করে দেখেছেন আমাদের সৌরজগতের প্রতিটি গ্রহ উপগ্রহের ভর এবং অবস্থান সুক্ষ পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্যর্পূন। আর এই ভর এবং অবস্থানের নিত্যতা ১৪০০ কোটি বৎসরের সৌরব্যবস্থার সাম্যতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমীকা পালন করে। নক্ষত্রবিদ্যা থেকে জানা যায় সৌরজগতের গ্রহ উপগ্রহের অবস্থান ও ভর এতটাই পারফেক্ট যে এই পারফেক্টনেসই পৃথিবীর বুকে প্রাণ উৎপাদনের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এই প্রসঙ্গ নিয়ে বিশিষ্ট বিশিষ্ট মহাকাশ বিজ্ঞানী জর্জ গ্রিনস্টেইন বলেন “ যদি তারকাগুলোর মধ্যবর্তী দূরত্ব কিছুটা কম হতো তবে astrophysics খুব একটা পরিবর্তন হতো না। পদার্থ বিদ্যার নিয়ম, যেসব নক্ষত্র, নেবুলা ইত্যাদির মধ্যে ক্রিয়াশীল সেসব ও খুব একটা পরিবর্তন হতো না। শুধুমাত্র ছোট খাট কিছু পরিবর্তন হতো। যেমন, রাতে ঘাসের মেঝেতে শুয়ে রাতের যে আকাশটা দেখি তা কিছুটা উজ্বল দেখাত। আর আরেকটি ছোট্ট পরিবর্তন হতো। তা হচ্ছে, রাতের এই আকাশ আরো উজ্জল দেখাত আর আরেকটি ছোট পরিবর্তন হতো তা হচ্ছে, রাতের এই উজ্জল আকাশ দেখার জন্য আমি বা আপনি কেউই থাকতাম না।”

আমাদের এই সৌরজগৎ ও সৌরব্যবস্থার উপর আমাদের পৃথিবীর নিরাপত্তার বিষয়টি নির্ভর করে। েএবং অন্যান্য গ্রহগুলোও পৃথিবীকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। এবং তাদের অবস্থানের উপর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নির্ভরশীল। যেমন ধরি বৃহস্পতি গ্রহটি। বৃহস্পতি গ্রহটি যেনো সৌর পরিবারে মা এর মতো দায়িত্ব পালন করে চলছে। এই গ্রহটি এমন একটি অবস্থানে অবস্থান করছে যে এই গ্রহটির বর্তমান অবস্থান অন্যান্য গ্রহগুলোকে তাদের অবস্থানে থাকতে সাহায্য করছে। পৃথিবীর উপর বৃহস্পতি গ্রহের প্রভার এতটাই বেশি যে তার অবস্থানের উপর পৃথিবীর প্রাণ সৃষ্টির কৃতিত্ব নির্ভর করে। এই গ্রহটি যদি না থাকতো তবে পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টির শুরুতেই তা ধ্বংশলীলাতে নিপতিত হতো। বৃহস্পতি গ্রহের সৃষ্ট চুম্বকীয় ক্ষেত্র উল্কা এবং ধূমকেতুগুলোর গতিপথ বদল করে আমাদের সৌরব্যবস্থার প্রবেশে বাধার সৃষ্টি করে এবং আমাদের পৃথিবীকে এসব উল্কা এবং ধূমকেতুর হাত থেকে রক্ষা করছে। বৃহস্পতিগ্রহের আরেকটি গুরুত্¦পূর্ন কাজের কথা উল্লেখ করেন নক্ষত্রবিদ জর্জ ওয়েদারহিল তার How Special Jupiter Is” আর্টিকেলে তিনি বলেন “Without a large planet positioned precisely where Jupiter is, the earth would have been struck a thousand times more frequently in the past by comets and meteors and other interplanetary debris. If it were not for Jupiter, we wouldn't be around to study the origin of the solar system.”

এবার আসুন আমরা আমাদের মিল্কীওয়ে গ্যালাক্সির অবস্থান নিয়ে আলোচনা করি। আমাদের গ্যালাক্সি অবস্থান এমন একটি আশ্চযজনক অবস্থায় আছে যে বিষয়টি ভাবলেই থমকে যেতে হয় । নীচের চিত্রের দিকে লক্ষ্য করুন।



চারিদিকে গ্যালাক্সি ফিলামেন্টের ব্যাপক উজ্জল্যময়তার মাঝে ব্যপক স্থান জুড়ে রয়েছে একটি বিশাল শুণ্যস্থান । কালো মতো সেই ফাকা স্থানকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় কসমিক ভয়েড । ২০১৩ সালে নেওয়া পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে একটি গবেষণায় নিশ্চিত করা হয় যে পৃথিবীর ছায়াপথ, মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি একটি তথাকথিত মহাজাগতিক শূন্যতার (কসমিক ভয়েড) অংশ৷ এই শূন্যতাগুলি মহাবিশ্বের বৃহৎ আকারের কাঠামোর অংশ, যা দেখতে অনেকটা সুইস পনিরের একটি ব্লকের মতো, অপেক্ষাকৃত ফাঁকা অঞ্চলগুলির চারপাশে গ্যালাক্সিগুলির বিশাল সংগ্রহ ধারণকারী ঘন ফিলামেন্ট দ্বারা গঠিত। আমাদের পৃথিবী, সৌরজগৎ এবং গ্যালাক্সি কেবিসি নামক একটি কসমিক ভয়েড এর অভ্যন্তরে অবস্থিত।কসমিক ভয়েড এর মাঝে যে সকল গ্যালাক্সি থাকে তাদের পরিমান বা ঘনত্ব অত্যন্ত কম হয়ে থাকে। মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় ভয়েড বুটিস ভয়েড যা পৃথিবী থেকে হতে ৭০ কোটি আলোকবর্স দুরে অবস্থিত এতে মোট ৬০ টি গ্যালাক্সি খুজে পাওয়া যায়। এখানে গড়ে ১ কোটি আলোকবর্ষের ভিতরে মাত্র একটি গ্যালাক্সি পাওয়া যায যা স্বাভাবিক হতে অনেক কম।যেমন আমাদের পাশ্ববর্তী এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি প্রায় ২৫ লক্ষ আলোকবর্স দুরে অবস্থিত।তাহলে কেনো আমাদের গ্যালাক্সিটা ভয়েড বা শুন্যস্থানের মধ্যে সৃষ্টি হলো? এই প্রশ্নের উত্তরে আধুনিক বিজ্ঞানের উত্তর একেকটি গ্যালাক্সির এত বিশাল দুরত্ব বলেই আমাদের সৌরজগৎ এমন ফুলে ফলে সুন্দর বাসযোগ্য পৃথিবীকে উপহার দিতে পেরেছিলো।নইলে অত্যাধিক তাপ বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে উঠতো।

প্রিয় পাঠক, আমি পৃথিবীর অবস্থান তুলে ধরে বোঝানোর চেষ্ট করেছি কেনো আমাদের পৃথিবীর অবস্থান সৌরমন্ডলের এমন এক সুবিধাজনক স্থানে অবস্থিত হলো? যেখানে সুর্যের তাপ খুব বেশি নয় আবার খুব বেশি ঠান্ডার প্রকোপও নেই। যা জীবন ধারনের জন্য উপযুক্ত।এটা কি কোন মিরাকল নয়? কেনো সৃষ্টি এমন হলো? নাও তো হতে পারত? সৌরজগতের অবস্থান কি করে গানিতিক রুল মেনে স্বল্প তাপীয় অবস্থানে অবস্থিত হয়? আর আমাদের গ্যালাক্সিটাই বা কেনো তাপহীন একটি বিশাল ভয়েডের মাঝে অবস্থিত হলো? এগুলো কি মিরাকল নয়? আসলে আমরা স্রষ্টাকে যতই এড়িয়ে যেতে চাইছি স্রষ্টা ততই আমাদের সামনে তার অস্তিত্বকে প্রকাশ করে দিচ্ছেন।একটু গভীরে ভাবেন কিভাবে এই ব্রক্ষান্ডে সবকিছু এক নির্দিষ্ট প্যাটার্ন মেনে সুন্দর নিয়মে সাজানো গোছানো রয়েছে? যাকে বলে একবারে পারফেক্ট। বিগব্যাং এর পর থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টির প্রতিটি পর্যায়ে সুষ্ঠ পরিকল্পনার দ্বারা এই মহাবিশ্ব নিয়ন্ত্রিত। প্রতিটি পদক্ষেপই একটি নিয়ম দ্বারা নির্ধারিত। সুগভীর পরিকল্পনার ছাপ স্পষ্ট! কে যেনো গানিতিক নিয়ম সহ একটি রুল দিয়ে একটি মহাজাগতিক পান্ডুলিপিতে পূনাঙ্গ ভাবে পরিস্ফুটিত করে রেখেছে। একজন পরিকল্পনাকারীর অস্তিত্বকে আমরা এড়িয়ে গেলেই কি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব? এই সুজলা সুফলা পৃথিবীকে গড়ার জন্য এতটা হিসেব করে সৃষ্টির নান্দনিকতা শুরু করতে হয়েছে একটি উদ্দেশ্য নিয়ে। যদি সৃষ্টির ক্ষেত্রে স্রষ্টার যদি কোন উদ্দেশ্য না থাকতো তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এতটা সুক্ষ সমন্ময় থাকতো ? তাহলে সেই উদ্দেশ্যটা কি? আধুনিক বিজ্ঞানের চুড়ান্ত কিছু গবেষনা প্রমান করে দিচ্ছে সেই উদ্দেশ্যটি হলো এই পৃথিবীর অবস্থিত প্রানীকূল নিদীষ্ট করে বললে “মানুষ” । বিগব্যাংগ এর সৃষ্টি হয়েছে একটি বাসযোগ্য পৃথিবীর জন্য, যা মানুষের বসবাসের উপযোগী। এই মানুষ সৃষ্টি করার জন্য সমগ্র মহাবিশ্বটাকে সৃষ্টি করা হয়েছে সুপরিকল্পিত, নিয়মতান্ত্রিক ও নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এই জন্য বিশিষ্ট বিজ্ঞানী পল ডেভিস বলছেন: “এমন ধারণা মনে স্থান দেয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখা খুবই কঠিন যে, বিশ্বজগতের বিদ্যমান কাঠামো যা কিনা ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম পরিবর্তনের ব্যাপারের স্পর্শকাতর যত্নের সঙ্গে চিন্তা-ভাবনা করেই অস্তিত্বে আনা হয়েছে।”-(Paul Davies, God and the New Physics, New York: Simon & Schuster, 1983, p.189)

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:


মানুষ বানার জন্য, মিলিলিয়ন মিলিয়ন ইউনিভার্স ও তাদের কয়েক ট্রিলিয়ন গ্রহ সৃষ্টির পর, ১টি গ্রহকে বসবাসযোগ্য করা হয়েছে? এই ডিজাইনারের জন্য ভাত কে রান্না করবে?

৩০ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:৫৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি আকাশ, পৃথিবী এবং উভয়ের অন্তর্বর্তী কোন কিছুই অনর্থক সৃষ্টি করিনি; এ তো অবিশ্বাসীদের ধারণা। সুতরাং অবিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের দুর্ভোগ। সূরাঃ সোয়াদ আয়াত ২৭ আল কোরআন

২| ২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:০১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট, নিঃসন্দেহে চিন্তার উদ্রেগ ঘটাবে। কিন্তু এত চিন্তা করে কি লাভ, আমি তো কসমোলজিস্ট নই।
মহাবিশ্ব এক অপার রহস্যময়তায় পূর্ণ, এক জীবনে কতটুকুই বা জানা সম্ভব। যে বিষয়গুলো আমাকে সবসময় ভাবায় তা হচ্ছে; পৃথিবীর আবস্থান নিয়ে এবং লক্ষ কোটি গ্রহ নক্ষত্রের ভিড়ে শুধুমাত্র এক পৃথিবীই কেন বসবাস যোগ্য? বিশাল বিশাল এই গ্রহপুঞ্জের ভিড়ে কেন এখন পর্যন্ত কোথাও কোন প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না? প্রকৃতির এ কেমন অপচয়; নাকি যাবতীয় সব কর্মযজ্ঞ শুধুমাত্র পৃথিবীর উদ্দ্যেশ্যে? ইত্যাদি।

যা হোক, সময়ের সাথে সাথে মানুষ ইতিমধ্যে অনেক রহস্যের উদঘাটন ঘটিয়েছে, ভবিষ্যতে আরও অনেক কিছু জানতে পারবে, হয়তো পুরোটা কখনোই জানা সম্ভব হবে না, তবে, আশার কথা হচ্ছে মানুষের জানার এই অগ্রযাত্রা কখনো থেমে নেই দিন দিন বেড়েই চলছে। সবকিছু যদি আমরাই জেনে যাই তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম করবেটা কি? :P

চিন্তা জাগানিয়া পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৩০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: খুব সুন্দর একটি কমেন্ট করলেন।
যারা আল্লাহকে দন্ডায়মান, উপবিষ্ট এবং শায়িত অবস্থায় স্মরণ করে থাকে এবং আসমান ও যমীনের সৃষ্টির ব্যাপারে চিন্তা করে (ও বলে) ; ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি এসব অনর্থক সৃষ্টি করনি, তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি, সুতরাং আমাদেরকে অগ্নির শাস্তি হতে রক্ষা কর। আল ইমরান শ্লোক ১৯১
আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী এবং এ দুইয়ের মধ্যবর্তী কোনো কিছুই আমি অযথা সৃষ্টি করিনি। আর কিয়ামত অবশ্যই আসবে। সুতরাং তুমি অত্যন্ত সৌজন্যের সঙ্গে তাদের (গর্হিত কার্যকলাপ) ক্ষমা করো। নিশ্চয়ই তোমার প্রতিপালক মহাস্রষ্টা, মহাজ্ঞানী। (সুরা : হিজর, আয়াত : ৮৫-৮৬)
আল কোরআনের অসংখ্য আয়াতে এই একটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। আমিও একসময় এটাকে অপচয় বলে ভাবতাম। আপনার মতোন একসময় আমার মনে এই প্রশ্ন উদয় হতো। যদি ব্যপক প্রচেষ্টা আমাকে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে। আসলে ভাই এটা প্রকৃতির একরকমই সিষ্টেম। প্রকৃতিকে এরকম নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই সৃষ্টি করা হয়েছে। এই চক্র এর পুনরাবিত ঘটে।

প্রকৃতি এমনই। সৃষ্টির এই চক্র বিভিন্ন ক্ষেত্রে একই রকমভাবেই ঘুরে ফিরে আসছে। আমি উদাহরন সহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরতে পারি যেমন পুরুষের শুক্রানু। পুরুষের ক্ষেত্রে কোটি কোটি শুক্রানু নির্গত হয় অথচ একটি মাত্র শুক্রানু ডিম্বানুর সাথে সংস্পর্ষ পায়। পুং জনন কোষ থেকে অসংখ্য শুক্রানু বের হয়। কিন্তু তার মধ্যে একটি মাত্র শুক্রানু সন্তান উৎপাদন কাজে ব্যবহত হয়। তাহলে সেটা ভূল হবে। কারন শুক্রানু সৃষ্টি হয়েছে সন্তান উৎপাদন হবার জন্য 99% অথবা কোটিতে ১% হোক। এখানে কি আমরা প্রশ্ন করতে পারি এত অপচয় কেনো? পারি না আসলে এটা অপচয় নয় এটা সিষ্টেম। সৃষ্টির ধরনটাই এমনটি করা হয়েছে। এবার আরেকটি দৃষ্টান্ত আপনাকে তুলে ধরি। মানবদেহে নন কোডিং ডিএনএ বোঝেন? (ক্ষমা করবেন প্রশ্ন করার জন্য) মানব দেহে যে অংশ প্রোটিন তৈরী করে সেই অংশকে কোডিং ডিএনএ বলা হয়। এবং মানব দেহের যে ডিএনএ গুলো কোডিং তৈরী করে না তাদেরকে নন কোডিং ডিএনএ বলা হয়। যা মানব জিনোমের 99% অংশ হিসাবে থাকে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এটি প্রোটিন-কোডিং জিনগুলির জন্য এনকোড করে না। এর মাধ্যমে এটি প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য নির্দেশনা সরবরাহ করে না। যে গুলো ফালতু যার কোন কাজ নেই আর কোডিং ডিএনএ যার কাজ আছে অথাৎ প্রোটিন তৈরী করে। তাহলে তো আমি প্রশ্ন করতেই পারি এসকল ফালতু অপ্রয়োজনী বিষয় দিয়ে স্রষ্টা কেনো মানবদেহ বানিয়েছেন? স্রষ্টা কেনো এত অপচয় করছেন?

কিন্তু আসলে কি এটি অপচয়? নাকি এর মধ্যে রয়েছে অনর্তনিহিত। লক্ষ্য করুন আল কোরানে অসংখ্য আয়াতে বারে বার বোঝানো হয়েছে তিনি অযথা এসব সৃষ্টি করে নাই এর পিচনে কারন আছে। অতএব কারন আছে।

“একসময় ভাবা হত মানব জেনোমের ৯৮% কোন কাজের না, মানে ফালতু মাল (junk DNA or junk element)। এই ৯৮ সংখ্যা টা এসেছে ডিএনএ’র যেই অংশ প্রোটিন তৈরি করতে পারেনা তার পরিমান থেকে। আমরা যদি সম্পূর্ণ ডিএনএ কে একটা বড় সুতার মত ধরি, তবে সুতার কিছু অংশ থেকে প্রোটিন তৈরি হবে আর বেশিরভাগ অংশ থেকে হবেনা। ডিএনএ’র যেই অংশ প্রোটিন তৈরি করে তাকে বলে জিন, বা প্রোটিন কোডিং ডিএনএ। এই অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারন প্রোটিন তৈরি না হলে কিছুই করতে পারতোনা কোন জীব, এমনকি একটি কোষও গঠন হতো না। তাহলে মানুষের এই ৯৮% নন-কোডিং ডিএনএ’র কি কোন কাজ নাই? সম্প্রতি দেখা গেছে এই নন-কোডিং ডিএনএ গুলো অনেকাংশই অনেকগুলি প্রাণীতে সংরক্ষিত। মানে, যদি একটা পান্ডা’র ডিএনএ’র সাথে আমাদের ডিএনএ পাশাপাশি রাখতে পারি তবে দেখতে পাবো যে, দুইজন এরই নন-কোডিং ডিএনএ-গুলোর যায়গাগুলোতে সিকোয়েন্সে মিল আছে। এই সংরক্ষণে মিল থাকার গুরুত্বটা কি? যেমন, ভ্রূণ থেকে আমাদের হাতের আঙুল তৈরির সময় একটা রেগুলেটরি জিন গুচ্ছ কাজ করে, যার নাম হক্স ডি (HoxD)। এই হক্স ডি জিনগুলির এক্সপ্রেশান নির্ভর করে নন-কোডিং ডিএনএ সিকোয়েন্সের উপর। দেখা গেছে এই নন-কোডিং ডিএনএ সিকোয়েন্সগুলির কয়েকটির মিল সরীসৃপের সিয়োন্সের সঙ্গেও আছে (স্তন্যপায়ীর কথা বাদই দিলাম)। এই এলাকার নন-কোডিং ডিএনএ’র কোন সমস্যা বিকৃত আঙুল তৈরি করবে।”
@ জ্যাক স্মিথ, আপনি কি বুঝতে পারলেন মানব দেহের ৯৯% জাঙ্ক ডিএনএ কে আমরা একসময় ফালতু মাল বলে উপহাস করতাম কিন্তু এখন বুঝতে পারছি জাংক্স ডিএনএ বা নন কোডিং ডিএনএ সাজানোর সিকোয়েন্সে উপর গঠিত হয়ে দেহ গঠন। কোন ভাবে সিকোয়েন্সএ কোন ভুল থাকলে দেহ গঠন বিকৃত হয়ে যায়।

@ জ্যাক স্মিথ, এবার কি আপনি বুঝতে পারছেণ। এটা প্রকৃতির সিষ্টেম। অতএব এত গ্রহ নক্ষত্র গ্যালাক্সি সৃষ্টির পিছনে অবশ্যই উদ্দেশ্য াাছে। এমন হতে পারে এত কিছু গ্রহ উপগ্রহ সৃষ্টির মধ্যে এবং সেগুলো সাজানোর মধ্যে হয়তো মহাজাগতিক সময় নিধ্যারন করা হচ্ছে। এমন হতে পারে হিন্দু ধর্মের সেই প্রাচীন ঋঝিরা যারা বলতো গ্রহ উপগ্রহের অবস্থানের উপর পৃথিবীতে মানুষের জীবনের পট পরিবর্তন ঘটে। হয়তো ওদের বক্তব্যটা ঠিক হতে পারে। হতেই পারে? কারন সময় যদি একটি মাত্রা হয়। তাহলে এই মাত্রা দ্বারাই অবস্থান পরিবর্তন হয়। যেমন আমি আপনাকে সিনেমা বা টিভির ফ্রেমিং দিয়ে বোঝায়। এক সেকেন্ডে ২৫ টি ফ্রেম হয়। ধরেন আমি হাত উপর থেকে নীচে নামাচ্ছেন। এক সেকেন্ডে ২৫ টি ফ্রেমের প্রতিটি ফ্রেমে একটু একটু করে হাত নীচে নেমেছে। ঠিক তেমনি মহাবিশ্বর হিসেবে সময়কে যদি আপনি একটি মাত্রা ভাবেন এবং এই মাত্রার প্রতিটি পয়েন্টে মহাজাগতিক অবস্থান পরিবর্তন ঘটে। আর এই অবস্থান পরিবর্তন পৃথিবীর সময়কালকে কোন পরিবর্তন ঘটাতে পারে কিনা? সেটাই এখন প্রশ্ন। প্রশ্নের উত্তর জানতে আধুনিক বিজ্ঞানকেই সময় মাত্রা নিয়ে গবেষনা করতে হবে।

তবে মহাবিশ্ব যে হাই লেভেলের প্রোগ্রামিং গেম সেটা বোঝা যায়।

৩| ২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:২৭

কামাল৮০ বলেছেন: মানুষ প্রতিনিয়ত নতুন কিছু শিখছে।পৃথিবী সৃষ্টির বহু বছর পর প্রানের বিকাশ।তারও বহু বছর পর বিবর্তন হতে হতে মানুষের আগমন।মানুষের মস্তিষ্ক আজকের পর্যায়ে আসতে বহু বছর লেছেছে।একদিন মানুষ আরো অনেক রহস্য জানতে পারবে।জানা শেষ হয়ে যায় নি।

৩০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সহমত।

৪| ৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:২৭

সোনাগাজী বলেছেন:


১ নং মন্তব্যে টাইপো:

মানুষ বানানোর জন্য, মিলিলিয়ন মিলিয়ন গ্যালাক্সি ও তাদের কয়েক ট্রিলিয়ন গ্রহ সৃষ্টির পর, ১টি গ্রহকে বসবাসযোগ্য করা হয়েছে মাত্র; এই ডিজাইনারের জন্য ভাত কে রান্না করবে?

৩০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ২ নং মন্তব্যে উত্তর আছে। পড়ুন। আর একটি কথা বলি আমার কোন পোষ্টে আপনি চুলকানি দেখাবেন না তাহলে আপনার কমেন্ট আমি ডিলেট করে দিবো। অসংলগ্ন কথাবার্তার কোন কমেন্ট আমার পছন্দ নয়।

৫| ৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ১:৩১

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: তথ্য বহুল পোস্ট। +

৩০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:১৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৬| ৩০ শে জুন, ২০২২ ভোর ৬:২৭

অগ্নিবেশ বলেছেন: বুঝলাম কেউ একজন বানাইছে, সেটা কে এটা আগে ঠিক করেন তার পরে মানুম। কেউ কয় আল্লা, কেউ কয় ভগবান, কেউ কয় ঈশ্বর, এই তিন জন আবার একে অন্যকে সহ্য করতে পারে না। আগে এরা মারামারি করে একটা ফয়সলা করুক তারপর মানুম।

৩০ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: পৃথিবীতে যদি একটি ভাষা থাকতো। তাহলে তো আল্লা ভগবান খোদা এত নাম হতো না। এত নামে আমরা ডাকতাম না। কারন মানুষ ভাষাকে অনেক ভাগে ভাগ করে ফেলেছে।

ঠিক তেমনি মানুষই ধর্ম তৈরী করেছে আল্লা কোন ধর্ম বানাইনি। আমি উদাহরন দিই হিন্দু ধর্ম দিয়ে। আমাদের জানামতে প্রাচীন ঋষিরা নিয়ে এসেছিলো বেদ। তারা কি কখন্ও হিন্দু একটি ধর্ম বলেছে? না তারা সনাতন বলতো। সনাতন বলতে বোঝানো হতো যা যুগে যুগে আসে। হিন্দু শব্দটি পরবর্তীতে উৎপত্তি। প্রাচীন আফগানরা এই হিন্দু শব্দটির উৎপত্তি ঘটায়। প্রাচীন ঋষিরা যখন সিন্ধু সভ্যাতার সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় ধ্যানে বসতেন। তাদেরকে দেখে প্রাচীন আফগানরা হিন্দু বলে সম্মোধন করতেন। কারন প্রাচীন আফগানরা তাদের ভাষায় “স” শব্দটি উচ্চারন করতে পারতেন না তাদের উচ্চারনে “স” “হ” তে পরিনত হয়ে পড়তো। কথিত আছে এই ঋষিরা ধ্যানযোগে বেদ গ্রন্থ প্রাপ্ত হয়। এরাই সেই আর্য জাতি যারা ভারতে অনুপ্রবেশ করে।

কিন্তু পরবর্তীতে কয়েকশত বৎসর পর যখন আর্য এবং দ্রাবীড় জাতির (দ্রাবীড় জাতি আর্য জাতি অনুপ্রবেশের পুর্বে ভারতে অবস্থান করতো। তারা মূর্তী পুজারী ছিলো। কিন্তু আর্য জাতি এক ঈশ্বরে বিশ্বাস করতো। তাদের ধর্ম বেদ তারা সাথে করে নিয়ে এসেছিলো। আর্য জাতি ভারতে অনুপ্রবেশ করার পর শক্তি বল দিয়ে দ্রাবিড় জাতিকে দমিয়ে রেখেছিলো ) মধ্যে একটি কম্প্রোমাইজ হয় তখন থেকেই প্রাচীন সেই সনাতন বিষয়টি পরিবর্তিত পরিবর্ধিত হতে থাকে এবং দু জাতির সংমিশ্রনে নতুন একটি ধর্মে প্রবর্তন হয়। পরবর্তীতে নামকরন হয় হিন্দু। সৃষ্টি হয় নতুন একটি ধর্মের যেখানে এক ইশ্বরও থাকলো আবার মূতী পুজা ও থাকলো। জগাখিচুড়ী।
স্রষ্টা কখন ধর্ম সৃষ্টি করে নাই ধর্ম সৃষ্টি করেছে মানুষ। মানুষেরাই একেকটি গোত্রে বিভক্ত করেছে। স্রষ্টা শুধুমাত্র একেক যুগে একেকজন মহামানব কে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। কিছু জ্ঞান দান করেছেন। মানুষের মনের খোরাক বা জিঙ্গাসার উত্তর দিয়েছেন। কিন্তু সেই মহামানবদের মৃত্যুর পর তার অনুসারীরা ধর্ম সৃষ্টি করে একটি গোত্র তৈরী করেছে।
এবার আসুন খ্রিষ্টান ধর্ম প্রসঙ্গে । আপনি কি নিউ টেষ্টামেন্টে কোথাও দেখাতে পারবেন যে ঈশ্বর বলেছেন তোমরা খ্রীষ্টান ধর্মের অনুসারী। তোমাদের ধর্ম খ্রিষ্টন। এমন কোথাও নেই। নিউ টেস্টামেন্টে বারবার যিশু বলেছে আমি ইহুদীদের জন্য এসেছি। শুধু তাই নয় সে নিজেকে ইহুদীদের রাজা ঘোষনা করেছিলো। কিন্তু যিশু অনুপস্থিতিতে এলো জন পল। খ্রীষ্টান ধর্ম প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত হলেন। যে সকল এলাকায় ইহুদী নেই সেই সকল এলাকায় অনুসারী পাঠালেন খ্রীষ্ট ধর্ম প্রচারের জন্য। সৃষ্টি করলেন খ্রিষ্ট ধর্ম। অথচ এমনটি যিশু কখন বলেন নাই। জন পলের অনুসারীরাই সৃষ্টি করেছে খ্রিষ্ট ধর্ম।
আমাদের মুসলিম ধর্মেও দলিয়করণ হয়েছে। রাসুলের মৃত্যুর ৩০০ ব’সর পর হাদীস সংগ্রহ করা শুরু করা হয়। অথচ রাসুল নিজেও হাদীস বিষয় টি নিষেধ করেছিলেন। তার ৪ খলিফার আমলেও হাদীস বিষয়টি আসে নি অথচ ৩০০ বৎসর পর হাদীস সৃষ্টির মধ্য দিয়ে শুরু হয় দলাদলি। এবং এই হাদীস দিয়েই সৃষ্টি করা হয় শরিয়ত আইন। শরিয়া আইনে স্থান পেলো আল কোরআনের ৩ ভাগ হাদীসের ২৭ ভাগ আর ইজমা কিয়াস ফিকাহ র্সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্থান পেলো ৭০ ভাগ। আর এসব নিয়ে বলা হয় আল্লার আইন। আল্রাহ কি মানব জাতিকে আইন দিয়েছে? দিয়েছে কিছু উপদেশ। সত্য মিথ্যা হাদীস আর ৭০ ভাগ মানুষের ইজমা কিয়াস ফিকাহ নামক মানুসের সিদ্ধান্ত এটা কে কি আল্লাহর আইন বলা যায়? এভাবে আমরা আমাদের মাঝেও ভূল ভ্রান্তি প্রবেশ করিয়েছে। করেছি দলীয়করন। “মুসলিম” শব্দের অর্থ “আল্লার প্রতি আত্মসর্মপন কারী”। আপনি আল্রার প্রতি বিশ্বাসী কিনা? আপনি সকল নবী রাসুল মানেন কিনা? আপনি কেয়ামতে বিশ্বাস করেন কিনা? যদি করেন তবেই আপনি মুসলিম। এত জাত ফাত দলীয়করন বা গোত্র তৈরীর কি আছে? তুমি বিশ্বাসী আস্তিক কিনা তবে তুমি মুসলিম।

আমাদের ভূল ভ্রান্তিগুলোও ভাবতে হবে। বিশ্বকে এক কাতারে দাড় করতে হবে সাথে থাক আল কোরআন। কারন আল কোরআন ম্যাসেজ ফ্রম গড।

এখন হয়তো আপনি প্রশ্ন করতে পারেন এত ধর্ম সৃষ্টি হলো আল্লাহ এই প্রতিক্রিয়া জানালেন না কেনো? আর কোরআন বলছে “আমি যদি ইচ্ছা করিতাম পৃথিবীতে একটি ধর্ম প্রতিষ্টিত করিতে পারিতাম”। তাহলে আল্লাহ চাই নাই। হয়তোবা বেশ কিছু ধর্ম
থাকার কারনে যদি ওদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয় । ধমীয় জ্ঞান গরিমা বা মহাজাগতিক ধমীয় জ্ঞান প্রবৃদ্ধির স্বার্থে হয়তো স্রস্টা বেশি একটা নজর দেয় নাই। তবে আল কোরআনে এ বিষয়ে বলা হয়েছে “ এ রাসুল আরো অন্য জাতির জন্য যাহারা এখনও তাদের সাথে মিলিত হয় নাই। তার মানে সমগ্র জাতিস্বত্তা এক কাতারে দাড়াবে। হয়তো সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। এটা আমার বিশ্বাস।

৭| ৩০ শে জুন, ২০২২ সকাল ৯:৫৩

সাসুম বলেছেন: পোকিত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতেই হবে। আপনাকে ধন্যবাদ জ্ঞান বিজ্ঞানের এমন আবিস্কার করার জন্য।

পুরা দুনিয়ার তাবৎ বিজ্ঞানীরা কি সব বালছাল করে বুঝিনা, আপনার মত বিজ্ঞানী এত বড় আবিস্কার ও প্রমান করার পরেও তারা আজতক এটা স্বীকার করবেনা যে কোন এক মহা জ্ঞানী এবং মহা পাওয়ারফুল বিজ্ঞানী আমাদের এই পৃথিবীকে হ্যাবিটেবল জোনে ফেলে রেখেছেন।
যদিও এই দৃশ্যমান ইউনিভার্সের এরকম নক্ষত্র কেন্দ্রিক হেবিটেবল জোন আরো কোটি কোটি আছে বলে তাদের ধারনা। এই সব নাস্তেক নাসারা দের ধারনাই সব হবে আসল প্রমান তো একমাত্র আপনি বিজ্ঞানী সাহেব ই দিতে পারবেন।

আসলে আমাদের পি এম যেমন ডাক্তার ইউনুস এর ষড়যন্ত্রের কারনে নোবেল পাচ্ছেন না, আপ্নিও তেমন করে এইসব গাঞ্জাখোর নাস্তেক নাসারা বিজ্ঞানী দের ষড়যন্ত্রের কারনে নোবেল পাচ্ছেন না।

এটা আমরা বুঝি বিজ্ঞানী সাব। আপনার জন্য আমাদের মন থেকে ভালোবাসা থাকবে আজীবন।

ঐসব গাঞ্জাখোর নাস্তেক নাসারা রা হল সব পশ্চিমা দের দালাল, তাই তাদের জ্ঞান বিজ্ঞান সব ভুয়া একমাত্র বাংগু দেশের গান্ডু মোমিন বিজ্ঞানী হিসেবে আপনার আবিস্কার সত্য।

জাজাকাল্লাহ খায়রান

৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:৪৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৮| ৩০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৩৭

বিটপি বলেছেন: ব্যাপারটা উলটো করেও চিন্তা করা যায়। প্রাণ সৃষ্টির জন্য পৃথিবীকে হ্যাবিটেবল জোনে এনে রাখা হয়নি, বরং পৃথিবী হ্যাবিটেবল জোনে আছে বলেই এখানে প্রাণ সৃষ্টি হয়েছে।

তবে এখানে প্রাণ সৃষ্টি হবার পেছনে একক নক্ষত্র ব্যবস্থাও কিছুটা দায়ী। আমাদের সৌরজগত যদি আলফা সেঞ্চুরি, সিরিয়ুস বা পুলাক্সের মত বাইনারী/ট্রাইনারী সিস্টেমের হত, তবে দিন রাতের পার্থক্যের জন্য এখানে প্রাণ সৃষ্টি বাধাগত হতে পারত।

আজ থেকে পাঁচ বিলিয়ন বছরের মধ্যে পৃথিবীও হ্যাবিটেবল জোন থেকে বেরিয়ে যাবে। বিজ্ঞানীরা সেজন্য শনির উপগ্রহ টাইটানকে প্রস্তুত করছেন মানবজাতির পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে।

৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:৪২

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ব্যাপারটা উলটো করেও চিন্তা করা যায়। প্রাণ সৃষ্টির জন্য পৃথিবীকে হ্যাবিটেবল জোনে এনে রাখা হয়নি, বরং পৃথিবী হ্যাবিটেবল জোনে আছে বলেই এখানে প্রাণ সৃষ্টি হয়েছে।
আমি তো আপনাদের কাছে এই প্রশ্ন করছি আমাদের এই পৃথিবীটা কেনো হেবিটেবল জোনে অবস্থান করছে? তাকে প্রান সংশ্লিষ্ট করার জন্য এত নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হলো কেনো? খাপে খাপ ঘটলো কি করে? আমাদের গ্যালাক্সি, সৌরজগত আর এই পৃথিবীটা প্রাণ সংশ্লিষ্ট করার জন্য এতটা পারফেক্টনেস পেলো কি ভাবে? আর যতটুকু পরিমান আয়তনের কারনে পৃথিবীর ভ্যান এ্যালেন বেল্ট পৃথিবীর বাযূমন্ডল ধরে রাখতে পারে পৃথিবী ঠিক ততটুকু আয়তন পেলো কি করে? এই সব কিছু কি আকস্মিক?

তবে এখানে প্রাণ সৃষ্টি হবার পেছনে একক নক্ষত্র ব্যবস্থাও কিছুটা দায়ী। আমাদের সৌরজগত যদি আলফা সেঞ্চুরি, সিরিয়ুস বা পুলাক্সের মত বাইনারী/ট্রাইনারী সিস্টেমের হত, তবে দিন রাতের পার্থক্যের জন্য এখানে প্রাণ সৃষ্টি বাধাগত হতে পারত। হ্যা আপনার কথা ঠিক আছে। অথাৎ পৃথিবীর আহিৃক গতি সময়সীমাটিা পারফেক্ট। পৃথিবীর গতিশীলতা সময় নামক ধ্রুবকটি যথাযথ ছিলো বলেই পৃথিবী সুর্যর আলোককনা পযাপ্ত শোষন করতে পেরেছে। আর সঠিক শুষ্কতা প্রাণ সৃষ্টির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। তাহলে মেনে নিতে হয় পৃথিবীর বার্ষিক গতি এবং আহিৃক গতি দুটি পারফেক্ট। এত পারফেক্সনেস কি করে ঘটলো? এগুলো কি আকস্মিক?

আজ থেকে পাঁচ বিলিয়ন বছরের মধ্যে পৃথিবীও হ্যাবিটেবল জোন থেকে বেরিয়ে যাবে। বিজ্ঞানীরা সেজন্য শনির উপগ্রহ টাইটানকে প্রস্তুত করছেন মানবজাতির পরবর্তী গন্তব্য হিসেবে।

এটা তো খুব স্বাভাবিক ব্যাপার পৃথিবী আজীবন নাও টিকে থাকতে পারে। তাতে কি সমস্যা? মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে সমগ্র মহাবিশ্ব ঘুরে বেড়ানো জন্য। মানুষ চারিদিকে ছড়িয়ে যাবে। তাদের বসতি গড়ে তুলবে। মহাজাগতিক যো্গাযোগ কলোনী গড়ে তুলবে এটাই সত্য। আল কোরআনের একটি গল্প আছে পড়েছেন কিনা জানিনা? সেখানে আল্লাহ ফেরেস্তাদের বলছে আমি পৃথিবীতে আমার প্রতিনিধি সৃষ্টি করতে চাচ্ছি? ফেরেস্তারা বলে তারা তো পৃথিবী জুড়ে রক্তারক্তি করবে। আল্লাহ বলে আমি যা জানি তোমরা তা জান না। তখন আল্লাহ আদককে আকাশের তারাদের নাম জিজ্ঞাসা করলো আদম সকল তারার নাম বলে দিলো।” আসলে এগুলো আল কোরানের গল্প বা রুপক অর্থ। মানুষ ঠিক এমনটাই। মহাবিশ্ব মানুষের দখলে চলে যাবে।

০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৩৪

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনার দেওয়া বক্তব্য মতে আমাদের সুয একক নক্ষত্র ব্যবস্থা কেনো হলো? সুয কি বুঝতে পেরেছিলো আমাকে একক নক্ষত্র সিস্টেমের হতে হবে! কেনো আমাদের সৌরজগত একক নক্ষত্র ব্যবস্থা দ্বারা গঠিত হলো?
বাইনারী ট্রাইনারী সিস্টেমের কেন হলো না? সৌরজগৎ কি বুঝতে পেরেছিলো ?

৯| ৩০ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:০৬

রানার ব্লগ বলেছেন: বিটপি বলেছেন: ব্যাপারটা উলটো করেও চিন্তা করা যায়। প্রাণ সৃষ্টির জন্য পৃথিবীকে হ্যাবিটেবল জোনে এনে রাখা হয়নি, বরং পৃথিবী হ্যাবিটেবল জোনে আছে বলেই এখানে প্রাণ সৃষ্টি হয়েছে।

ইহাই সত্য !!!

বিজ্ঞানীরা এমনো ভাবছেন পৃথিবী একদিন কক্ষচুত্ব্য হবে এবং তা অনেক টা একা একাই মহাবিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুড়ে বেড়াবে। অবশ্য এই পরিভ্রমনে মানুষ নামের প্রানী সঙ্গী হতে পারবে না কারন পৃথিবী কক্ষচুত্ব্য হবার ১৮ সেকেন্দের মধ্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা -১৭২ ডিগ্রীতে চলে যাবে। অর্থাৎ মানব জাতি ১৮ সেকেন্ডে শেষ।

এর সবই ভাবনা । আসলেই কি হবে কে জানে?

এত্ত বড় একটা মহাবিশ্বে হ্যাবিটেবল জোন কি একজায়গাতেই আছে না কি অন্যান্য জায়গায়ও আছে এটা জানার ব্যাপার । আমার মনেহয় না ব্ল্যাকহোল যেমন মহাবিশ্বের কোনায় কোনায় লুকিয়ে আছে ঠিক তেমনি হ্যাবিটেবল জোনও মহাকাশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে আছে।

৩০ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:২৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এত্ত বড় একটা মহাবিশ্বে হ্যাবিটেবল জোন কি একজায়গাতেই আছে না কি অন্যান্য জায়গায়ও আছে এটা জানার ব্যাপার । আমার মনেহয় না ব্ল্যাকহোল যেমন মহাবিশ্বের কোনায় কোনায় লুকিয়ে আছে ঠিক তেমনি হ্যাবিটেবল জোনও মহাকাশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে আছে।
ছড়িয়ে যদি থাকতো তাহলে প্রান ও থাকতো। আমাদের জ্ঞান তো যথেস্ট পর্যায়ে পৌছে গেছে।
শুধুমাত্র গ্রহটির অবস্থানের কথা ভাবলেই বা হবে কি? আয়তনের কথা ভাবতে হবে। যাতে বাযূমন্ডল হতে হবে। গ্রহটির ম্যাগনেটিক বা চুম্বক শক্তির পারফেক্টনেস থাকতে হবে যাতে প্রাণীকুল পৃথিবীতে লেপটে থাকে। বার্ষিক গতি আহিৃক গতির পর্যাপ্ত পর্যাপ্ত পারফেক্টনেস থাকতে হবে। না থাকলে সঠিক পরিমান আলোক কনা শোষন করতে পারবে না। অতএব প্রতিটি বিষয় পারফেক্টনেস হতে হবে। তবেই প্রাণ জন্ম নিবে। যাই বলুন ভাই এটা একটি মিরাকল। অলৌকিক। এত কিচু হুবহু মিলে যাই কি করে?

১০| ৩০ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:২৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: প্রথমে ভেবেছিলাম এটা নিছকই এক বিজ্ঞানভিত্তিক পোস্ট, কিন্তু পরে বুঝতে পারলাম বিজ্ঞানের আড়ালে ধর্মকে ঢুকিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে যা আমাকে হাতাশ করেছে। প্রকৃতিতে রেন্ডমলি ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা প্রবাহকে কোন এক সত্তার সাথে জুড়ে দেয়ার চষ্টা করা হচ্ছে বইবেলের প্রভাবে প্রভাবিত কিছু বিজ্ঞানির ব্যক্তিগত অভিমতের উপর ভিত্তি করে।
বাস্তবতা হচ্ছে এখন পর্যন্ত এমন কোন কিছু পাওয়া যায়নি যা কিনা প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। সবকিছুই খেয়ালি প্রকৃতির খেলা মাত্র এর পিছনে নিদ্রিষ্ট কোন সত্তার হাত পাওয়া যায় নি।
কেউ যদি দাবী করে- "আকাশ ও জমিন এবং এ দুয়ের মধ্যবর্তী স্থানে যাহা কিছু রহিয়াছে এর সবকিছুই আমি সৃষ্টি করিয়াছি, সুতরাং তোমরা আমাকে ও আমার শিষ্যকে মানিয়া চলো"। তাহলে এসব দাবির কারণে যাবতীয় সবকিছু সৃষ্টির পিছনে উক্ত দাবিকারীর হাত রয়েছে তা প্রমাণ হয়ে যায় না, এসব কথাবার্তা বর্তমান সময়ে যায় না একদমই যায় না।
ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।

০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ১:১৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আচ্ছা আপনার কাছে একটি প্রশ্ন করি। আমাদের সৌরজগত। সুর্য থেকে পৃথিবীর দুরত্ব। এটাকে বলে গোল্ডলিক্স জোন। অথাৎ এক মিটার আগেও নয় এক মিটার পরেও নয়। ঠিক এতটুকু দুরত্বে থাকার কারনে পৃথিবীতে পানি তরল আকারে গঠিত হলো? এক মিটার আগে পানি বাষ্প আকারে পরমানু আলাদা হয়ে যেতো উড়ে যেতো। এক মিটার পরে হলে বরফ হয়ে যেতো। পানিতো মহাবিশ্বে অসংখ্য গ্রহে আছে। তরল পানি নেই। কারন হলো দুরত্ব। খাপে খাপে মিলে গেলো।
অথাৎ একটি নক্ষত্র থেকে একটি গ্রহ যে দুরত্বে অবস্থান করলে পানি তরল আকারে গঠিত হয়। আমাদের পৃথিবী ঠিক নির্ধারিত অবস্থানে অবস্থিত কেনো?

যতটুকু আয়তন হলে পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফোস পৃথিবীর বায়ুমন্ডলকে ধরে রাখতে পারবে। পৃথিবী ঠিক ততটুকুই আয়তনে গঠিত হলো কেনো? মধ্যকষন শক্তির এই মিরাকলের ব্যাক্ষা কি?

পৃথিবীর বাষিক গতি ও আহিৃক গতি একবারে পারফেক্ট। যেমন ধরি আহিৃক গতির কারনে রাত ও দিন হয়। রাত ও দিনের সঠিক সময়কালের জন্য পৃথিবী দিনের পযাপ্ত সময় আলো সংগ্রত করে এবং রাতের সময় কালে তাপ শোষন করে শীতল হয় আবার পরবতীি দিন একই ব্যবস্থা। যদি কোন কারনে দিনে সময়কাল বেশি হতো রাতের সময় কাল কম হতো তাহলে প্রতিদিন পৃথিবীর তাপ শোষন করে কিছুটার উঞ্চতা থেকে যেতো । এবং দিনে দিনে উঞ্চতা বেশি অবশিষ্ট থাকবার কারনে পৃথিবীর অভ্যন্তরীন তাপমাত্রা বেড়ে যেতো ফলে প্রাণ উৎপাদনে বাধাগ্রস্থ হতো। এর উল্টা হলে পৃথিবী দিন দিন হীমশীতল হয়ে পড়তো প্রাণ উৎপাদন বাধা গ্রস্থ হতো। পৃথিবীর বার্ষিক গতি ও আহিৃক গতির সময়কাল সঠিক হলো কি করে?

{খুব ঘুম আসছে । কালকে আবার লিখবো আরো কিছু প্রশ্ন আছে কালকে লিখবো}

১১| ০১ লা জুলাই, ২০২২ রাত ২:৫৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমাদের পৃথিবী ঠিক নির্ধারিত অবস্থানে অবস্থিত কেনো?
কারণ বর্তমনে আমরা Habitable zone এ আছি তাই, আর এ জোনটা পুর্ব নির্ধারিত ছিল না, কিন্তু বর্তমানে আমরা ঠিক এই জোনে আছি বিধায় এটাকে খুব পার্ফেক্ট মনে হচ্ছে, বিলিয়ন বিলিয়ন বছর পূর্বে পৃথিবী আজকের এ অবস্থানে ছিল না তখন পৃথিবীতে প্রাণের ছিটে ফোঁটাও ছিল না সে পথ ধরে আজ থেকে ১ বিলিয়ন বছর পরে পৃথিবী আর Habitable zone এ থাকবে না তখন হয়তো অন্য কোন গ্রহ বসবাসযোগ্য হবে।

পৃথিবী ঠিক ততটুকুই আয়তনে গঠিত হলো কেনো?
কারণ আমরা ভাগ্যবান তাই। আর আয়াতনের তারতম্য হলে বায়ুমন্ডলকে ধরে রাখতে পারতো কি না বিষয়টি আমার জানা নেই।

পৃথিবীর বাষিক গতি ও আহিৃক গতি একবারে পারফেক্ট।
না পৃথিবীর বাষিক গতি ও আহিৃক গতি একবারে পারফেক্ট নয়।

হুমম, আমারও ঘুম পাচ্ছে।

০২ রা জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সরি একুটু ব্যস্ততার কারনে লিখতে পারি নাই। প্রথমে ক্ষমা চেয়ে নিই।
কারণ বর্তমনে আমরা Habitable zone এ আছি তাই, আর এ জোনটা পুর্ব নির্ধারিত ছিল না, কিন্তু বর্তমানে আমরা ঠিক এই জোনে আছি বিধায় এটাকে খুব পার্ফেক্ট মনে হচ্ছে, বিলিয়ন বিলিয়ন বছর পূর্বে পৃথিবী আজকের এ অবস্থানে ছিল না তখন পৃথিবীতে প্রাণের ছিটে ফোঁটাও ছিল না সে পথ ধরে আজ থেকে ১ বিলিয়ন বছর পরে পৃথিবী আর Habitable zone এ থাকবে না তখন হয়তো অন্য কোন গ্রহ বসবাসযোগ্য হবে।
এটা কি একটা কথা বললেন আমরা হেবিটেবল জোনে আছি? তাই সেখানে প্রাণ জন্মেছে। কিন্তু এ প্রশ্নটা করলেন না আমরা হেবিটেবল জোনে কেনো আছি? আপনি আবার বলছেন বিলিয়ন বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী আজকের এ অবস্থা ছিলো না। এই বিষয় টি নেয়ে আমি আমি আমার র্পুবের অনেক পোষ্টে লিখেছি। “আল কোরআনের আসমান ও জমিন রুপক দুটি শব্দ নিয়ে এবং সৃষ্টি নিয়ে নাস্তিকদের হিপোক্রেসি। (পর্ব-১) ” Click This Link লেখাটা পড়লে আপনি বুঝতে পারতেন। আমি আমার একটি পোষ্টের একটি অংশে আমি আল কোরআনে একটি বৈজ্ঞানিক তাফসীরে বোঝনোর চেষ্টা করেছিলাম।
“ তিনি ওকে (আকাশকে) ও পৃথিবীকে বললেন, ‘তোমরা উভয়ে ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এস। ওরা বলল, ‘আমরা তো অনুগত হয়ে আসলাম| ” এই আয়াতটিতে সৃষ্টিশীলতার একটি পর্যায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আল্রাহ আকাশ ও পৃথিবীকে আদেশ করলেন নির্দীষ্ট কোন স্থানে আসতে। ( এখানে আকাশ বলে নাই বলেছে ওকে “ অরথাৎ আকাশের কোন অংশকে। কিন্তু আমরা এখানে আকাশ বুঝে নিয়েছি ) ‘তোমরা উভয়ে ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এস’ তার মানে পৃথিবী সৃষ্টির শুরুতে তার নিজস্ব কক্ষপথ থেকে কোন কারনে বিচ্যুতি ঘটেছিলো । শুধুমাত্র পৃথিবী নয় আকাশকেও আসতে বলেছিলেন। কিন্তু আকাশ আসুক আর আকাশের কোন অংশ আসুক এসেছিলো আল্লাহর নিদের্শনা মানতে। আমি পূর্বেই বলেছি আকাশ বলতে আরবী ব্যকরনে উপরে বোঝানো হয়। এই আয়াত দ্বারা উপরের একটি অংশকে বোঝানো হয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞান পৃথিবীর সৃষ্টি নিয়ে এবং চাঁদের সৃষ্টি নিয়ে একটি তত্ব প্রকাশ করে। সে তত্ব মোতাবেক ধারনা করা হয় পৃথিবীর অবস্থানে থাকা একটি গ্রহের সাথে থিয়া নামক একটি গ্রহের সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষ এতটাই ব্যাপক ছিলো যে দুটি সমানুপাতের গ্রহতে পরিনত হয়ে যায এবং আবার সংঘর্ষ ঘটে দুটি গ্রহ একটি গ্রহতে পরিনত হয়ে যায় এবং পৃথিবীর চারপাশ ঘিরে একটি ডিস্ক সৃষ্টি হয় যা পরবতীতে চাঁদে পরিনত হয়ে যায়। ঠিক ঐ সময়ে থিয়া গ্রহের ধাক্কাতেই পৃথিবী তার কক্ষপথ পরিবর্তিত করে আল্লাহর নিধারিত কোন স্থানে গমন করে যে স্থান টি ছিলো হেরিটেবল জোন বা বাসযোগ্য স্থান। হেরিটেবল জোন তাকেই বলা হয় অর্থাৎ একটি নক্ষত্র থেকে যতটুকু দুরত্বে একটি গ্রহ অবস্থান করলে পানি বরফ অবস্থা থেকে তরল অবস্থায় পরিনত হতে পারে। শুধু তাই নয় আরো একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো দুটি গ্রহের এক ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি গ্রহে পরিনত হওয়ার কারনে পৃথিবী পর্যাপ্ত এবং পারফেক্ট আয়তন গঠন করে যে আয়তনের কারনে পরবর্তী পর্যায়ে পৃথিবীতে ম্যাগনেটিক ফিল্ড গঠন করে বায়ুমন্ডল সৃষ্টিতে সহায়ক হয়।
আপনি বলছেন পৃথিবী হেবিটেবল জোন থেকে বেরিয়ে যাবে তখন মানুষ অন্য কোথাও চলে যাবে। এটা তো খুব স্বাভাবিক ব্যাপার পৃথিবী আজীবন নাও টিকে থাকতে পারে। তাতে কি সমস্যা? মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে সমগ্র মহাবিশ্ব ঘুরে বেড়ানো জন্য। মানুষ চারিদিকে ছড়িয়ে যাবে। তাদের বসতি গড়ে তুলবে। মহাজাগতিক যো্গাযোগ কলোনী গড়ে তুলবে এটাই সত্য। আল কোরআনের একটি গল্প আছে পড়েছেন কিনা জানিনা? সেখানে আল্লাহ ফেরেস্তাদের বলছে আমি পৃথিবীতে আমার প্রতিনিধি সৃষ্টি করতে চাচ্ছি? ফেরেস্তারা বলে তারা তো পৃথিবী জুড়ে রক্তারক্তি করবে। আল্লাহ বলে আমি যা জানি তোমরা তা জান না। তখন আল্লাহ আদমকে আকাশের তারাদের নাম জিজ্ঞাসা করলো আদম সকল তারার নাম বলে দিলো।”আসলে এগুলো আল কোরানের গল্প বা রুপক অর্থ। মানুষ ঠিক এমনটাই। মানুষ এমন একটি প্রাণী মহাবিশ্ব মানুষের দখলে নিয়ে নিবে। চারিদিকে হেবিটেবল জোন এ ছড়িয়ে যাবে বেচে থাকার জন্য। মহাজাগতিক কমিউনিটি সৃষ্টি হয়ে যাবে।েএইটাই স্বাভাবিক। কারন আপনাকে মনে রাখতে হবে এত বিশাল মহাবিশ্ব সৃষ্টি স্রষ্টা এমনি এমনি করে নাই।
কারণ আমরা ভাগ্যবান তাই।
https://phys.org/news/2015-09-lucky-universe.html We are lucky to live in a universe made for us এই লেখাটা আপনার পড়[ উচিত। কারণ আমরা ভাগ্যবান তাই। কথাটি আপনি ঠিক বলেছেন।
আর আয়াতনের তারতম্য হলে বায়ুমন্ডলকে ধরে রাখতে পারতো কি না বিষয়টি আমার জানা নেই।
হ্যা ভাই আয়তনের তারতম্যের জন্য পৃথিবীর মধ্যাকর্ষনের পরিমান এলোমেলো হতো। পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ড দুটি কারনে যথাযথ সুক্ষ পরিমান মধ্যাকর্ষন সৃষ্টি করে যার একটি কারন হলো হলো পৃথিবীর সঠিক আয়তন আরেকটি হলো পৃথিবীর যথাযথ আহিৃক গতি। এই দুটি কারন পৃথিবীর সঠিক মধ্যার্কন সৃষ্টি করে। যেমন ধরি পৃথিবী তার আয়তন যদি বেশি হতো তবে তাহলে পৃথিবীর আভ্যন্তরীন আইরন কোর ইনার কোর মধ্যাকর্ষন শক্তির পরিমান এলোমেলো করে ফেলতো । পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তি যদি নির্ধারিত ধ্রুবকের চেয়ে ০.১% বেশি হতো তবে অত্যাধিক মধ্যাকর্ষন এর চাপের কারনে পৃথিবীর বুকে কোন ভাবেই বায়ুমন্ডল সৃষ্টি হওয়া সম্ভব হতো না আবার যদি পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তি যদি নির্ধারিত ধ্রুবকের চেয়ে ০.১% কম হতো তবে পৃথিবীকে ঘিরে বায়ুমন্ডলের বলয় তৈরী না হয়ে বরং তা মহাশুন্যে উড়ে হারিয়ে যেতো। ফলে বায়ুমন্ডলের এই অভাবে পৃথিবীর বুকে কখনই ঘটতো না কার্বন ভিত্তিক নান্দনিক প্রাণের মহাযাত্রা। আমেরিকান ভূতত্ত্ববিদ ফ্রাংক প্রেস এবং সিলভার তাদের গবেষনার মাধ্যমে প্রাপ্ত ডাটার উপর ভিত্তি করে বলেন “পৃথিবীর আয়তন একে জীবনধারনের উপযোগী করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যদি পৃথিবীর আয়তন কিছুটা কম হতো তবে এটি এর বর্তমান বাযূমন্ডল ধরে রাখতে পারত না। কারন এর অভিকষিয় শক্তি গ্যাস সমূহকে ধরে রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট হতো না। আবার যদি এর ভর কিছুটা বেশি হতো তবে এর শক্তিশালী অভিকর্ষীয় আকর্ষন শক্তির দ্বারা এটি বেশি পরিমান গ্যাস (ক্ষতিকর গ্যাস সমূহ) বায়ুমন্ডলে ধারণ করত। পৃথিবীর আকৃতি এবং অভ্যন্তরের পদার্থ সমহের উপরও প্রাণীকুলের অস্তিত্ব নির্ভরশীল। এইগুলো যদি এক বিন্দু এদিক ওদিক হতো তাহলে কোনভাবেই এ পৃথিবীতেই প্রানিকুলের আবির্ভাব ঘটতো না।


না পৃথিবীর বাষিক গতি ও আহিৃক গতি একবারে পারফেক্ট নয়।
এই কথাটি কেনো বললেন সত্যিই বুঝলাম না। ধর্মের প্রতি বিদ্ধেশ বশত সত্যি একটি বিষয়কে আপনি এভাবে অস্বীকার করলেন কেনো সত্যিই বুঝলাম না?
পৃথিবীর আহিৃক গতি যদি বেশি হতো তাহলে সুর্যের আলো বেশি ধারন করতো । ফলে পৃথিবীর দেহ সুযের বেশি আলোতে উত্তপ্ত হতো তাপমাত্রার এই এলোমেলোর কারনে পৃথিবীর বুকে জমিন শুস্ক পরিনত হতো বৃক্ষ লতা গুল্ম জন্মাতো না আর না জন্মালে পৃথিবী সঠিক অক্সিজেন পেতো না ফলে অক্সিজেন নির্ভর প্রাণ সৃষ্টি বিঘ্ন ঘটতো। আর এর উল্টোটি ঘটলে পৃথিবীর সঠিক তাপমাত্রা বিঘ্ন ঘটলে বা হীমশীতলতা বৃদ্ধি পেতো প্রাণ উৎপাদন ব্যহত হতো।
তাপমাত্রার তারতম্য হলে সমুদ্রস্রোত, জোয়ার ভাটা ও বায়ু প্রবাহ সৃষ্টিতে বিঘ্ন ঘটতো। এ সব প্রাকৃতিক ঘটনার কারণে পৃথিবীতে বৈচিত্র্য আসছে। এ সব কিছুই সম্পন্ন হচ্ছে আহ্নিক গতির কারণে। আহ্নিক গতির ফলে আলো ও উত্তাপের পরিবর্তনের সঙ্গে উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর জন্ম, বৃদ্ধি, স্বভাব ইত্যাদি জড়িত। আবার কোন কোন স্থানে সূর্যরশ্মি গড়ে উত্তাপে সবকিছু মরু প্রায় হয়ে পড়ত। আহ্নিক গতির কারনে পৃথিবীতে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী ও উদ্ভিদের জন্ম, বৃদ্ধি, বিকাশ ব্যহত হতো । তাছাড়া আধুনিক বিজ্ঞান মনে করে পৃথিবীর আহিৃক গতি কারনে পৃথিবীর চারিদিকে একটি চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরী হয় যা সুর্যের থেকে আগত গরম সৌরবাতাসের ঝরকানির হাত থেকে আমাদের পৃথিবীকে রক্ষা করে। পৃথিবীর আহিৃক গতির হেরফেল হলে সুর্যের থেকে আগম গরম সৌরবাতাস পৃথিবীকে তছনছ করে দিতো। প্রাণ উৎপাদন অসম্ভব হযে পড়তো। তাছাড়া বার্ষিক গতির হেরফেল হলে ব্যপক সমস্যা হতো ঋতু পরিবর্তনে ব্যপক সমস্যা সৃষ্টি হতো। আমি আর বলতে পারছি না। আমেরিকান ভুতত্ত্ববিদ ফ্রাংক প্রেস ও সিলভার কিছু লেখা পড়লেই আরো বিষয়টি বুঝতে পারতেন। আহিৃক গতি বার্ষিক গতি নিয়ে একটু পড়লেই বুঝতে পারবেন সুন্দর পৃথিবী বির্নিমানে এদের গুরুত্ব কতটুকু?

০২ রা জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: “ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং অনুমান করছেন এই মহাবিশ্ব নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করেছে। ” তিনি তার গ্রান্ড ডিজাইন বইতে এক স্থানে উল্লেখ করেছেন “এটা (মহাবিশ্ব) যদি সসীম হয়। এই সসীমতা এখনও প্রমান করা বাকী। তাহলে এটা হবে মহাবিশ্বের এমন এক রুপায়ন, যে মহাবিশ্ব নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করে। আর আমরা বাধ্য হয়েই এই মহাবিশ্বের একটি অংশ কারন এ ছাড়া আর কোন সুসংহত রুপায়ন নেই।” লক্ষ্য করুন বলছে মহাবিশ্ব নিজেই নিজেকেই সৃষ্টি করেছে। যার অর্থ দাড়ায় মহাবিশ্ব কোডিং কৃত একটি বিষয় যা কোডিং দ্বারা লিপিবদ্ধ। কোডিং অনুসারে মহাবিশ্ব আপনা আপনি সৃষ্টি হয়েছে। আল কোরআন সম্পর্কে হয়তো জানেন আল্লা কলমকে বললেন লিখ আর কলম লিখতে শুরু করলো। আবার আল কোরআনে লাওহে মাহফুজ নামক একটি স্থান আছে যেখানে সমস্ত কিছু সংরক্ষন করা হয়। যেটি মহাবিশ্বের হার্ডডিস্ক। এই মহাবিশ্ব প্রোগ্রামিং কৃত একটি প্রোডাক্ট এখানে আপনি স্রস্টাকে কোন ভাবেই পাবেন না। তার অস্তিত্ব আপনাদের তিনি দেখতে দেবেন না। মহাবিশ্বের সৃষ্টি এবং পরিচালন পদ্ধতি সমস্তটাই কোডিংকৃত।
প্রফেসর এডওয়ার্ড ফ্রেডকিন একজন কম্পিউটার জিনিয়াস তিনি একটি খেয়ালি তত্ত্ব প্রদান করেছেন তার তত্ত্বের নাম দিয়েছেন Digital Physics।তিনি গুরুত্বপূণ একটি বই লিখেছেন শুধু তাই নয় তার এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে একটি হাইপোথিসিস রয়েছে । এর “ফিনিট নেচার”হাইপোথিসিস অনুযায়ী তার বক্তব্য হলো “ স্থান কাল সসীম সংখ্যক বিচ্ছিন্ন উপাদান দ্বারা গঠিত।“ এডওয়ার্ড ফ্রেডকিন এর ধারনা স্থান-কাল আসলে বিচ্ছিন্ন এবং সসীম। প্রত্যেক পরিমান যোগ্য ভৌত বিচ্ছিন্ন আর সসীম। প্রত্যেক পরিমান যোগ্য ভৌত পরিমান প্ল্য্ংক স্বেল দ্বারা গঠিত। স্থান কাল সসীম সংখ্যক বিচ্ছিন্ন উপাদান দ্বারা গঠিত হলে স্থান-কালে নির্দিষ্ট অঞ্চল ধারনকৃত তথ্যের পরিমান সসীম হবে। অপরদিকে নিরবচ্ছিন্ন স্থানে নির্দিষ্ট অঞ্চলে তথ্যের পরিমান অসীম। লুপ কোয়ান্টাম গ্রাভিটি নামে মহাকর্ষের একটি কোয়ান্টাম তত্ত্বে “সময় বিচিছন্ন ভাবে চলমান” ।
করুন। চার কোনা একটি বাক্স। যার মধ্যে মহাবিশ্ব। বিষয়টিকে আমরা টিভি স্কিনের পিক্সেল এর ন্যায় প্লাংক স্পেস কল্পনা করি। মনে করি প্রথম মাত্রাতে পূর্ব হতে পশ্চিম পযর্ন্ত আয়তনের মহাবিশ্বে পিক্সেল এর ন্যায় প্লাংক স্পেস রয়েছে । দ্বিতীয় মাত্রাতে অনুরুপ ভাবে উত্তর হতে দক্ষিন পযর্ন্ত অনুরুপ নিদীষ্ট প্লাংক স্পেস রয়েছে এবং এর সাথে আছে উপর থেকে নীচে উচ্চতা নামের আরেক মাত্রা বা তৃতীয় মাত্রার অনুরুপ নিদীষ্ট প্লাংক স্পেস রয়েছে। সেই হিসেবে ত্রিমাত্রার এই মহাবিশ্বের প্রতি বর্গ প্লাংক স্পেসের পরিবর্তন এবং পরিবর্ধন ঘটাতে থাকে। আর পরিবর্তন ঘটে প্রতি প্লাংক টাইমে। এই মহাবিশ্বের টোটাল টাইমকে বিভক্ত করে একটি নির্দীষ্ট টাইম হিসেবে ধরে প্লাংক টাইম নির্ধারন করা হয়েছে। প্রতি প্লাংক টাইম প্রতি স্পেসকে পরিবর্তন করে অথাৎ প্রতি প্লাংক টাইমে সমগ্র মহাবিশ্ব নতুন রুপে রুপান্তর হয়। এ্ভাবে প্রতিটি প্লাংক টাইম মহাবিশ্বকে নতুন রুপে দেয়। প্রতি প্লাংক টাইমেই এই রুপান্তর ঘটে। প্রতি প্লাংক টাইম প্রতিটি প্লাংক স্পেসকে ধরে ধরে সমগ্র মহাবিশ্বে একই সাথে রুপান্তর ঘটাতে থাকে। আলাদা আলাদা ভাবেই মহাবিশ্বের প্রতি প্লাংক স্পেস পরিবর্তিত ও রুপান্তর ঘটে। এভাবে প্রতি প্লাংক টাইম প্রতি প্লাংক স্পেসকে বিবর্তন করে।
সেলুলার অটোমেশন এর মতো বস্তু আর শুন্যস্থান (এনার্জি) এর আয়োজন এবং বিয়োজনের মাধ্যমে মহাবিশ্বকে প্রতি প্লাংক টাইম নতুন থেকে নতুন করে তোলে। যা পূর্বে থেকে নির্মান করা একপ্রকার কম্পিউটার সিমুলেশন করা কোন মুভির মতো কোন কিছু। সমস্তটাই পূর্বে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর সেই সৃষ্টিটাই কেবলমাত্র মহাবিশ্ব নামক পর্দায় প্রক্ষিপ্ত হচ্ছে। মহাবিশ্বটা কম্পিউটার জেনেলেটেড সিমুলেশন করার মতো এক প্রকারের ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ছাড়া কিছুই নয়।
বিশিষ্ট কম্পিউটার বিজ্ঞানীদের গবেষনা অনুসারে যদি ভাবতে হয় মহাবিশ্বটা কম্পিউটার সিমুলেশন করা ধরনের অথবা 3d কাটুনের মতো। যদি তাই হয়ে থাকে তবে এটা মেনে নিতে হয় মহাবিশ্বটি পূর্ব থেকেই নির্মান করা কোন বিষয় এবং নি:সন্দেহে তার নিমার্তার প্রশ্ন চলে আসে? আর সেই নির্মাতার আলাদা কোন অস্তিত্ব থাকতে হবে! যিনি মহাবিশ্বকে সৃষ্টি করে মহাজাগতিক পর্দাতে প্রতিফলিত করছেন মাত্র। আমরা সকলে এই মুভির একেক জন অভিনেতা। এবং আমরা নিজেরাই নিজেদের মহাবিশ্ব নামক মঞ্চে আগমনের বন্দোবস্ত করছি। এভাবেই মহাবিশ্ব মঞ্চায়নের শেষ হবে। যা পূর্ব থেকেই নির্ধারিত। সেলুলার অটোমেশন প্রক্রিয়ার যদি মহাবিশ্বের আর্বিভাব ঘটতে হয় তাহলে সৃষ্টির শুরুতে একটি মাত্র সেল গঠনেই জরুরী ছিলো। একটি সেল প্রবৃদ্ধি ঘটিয়ে অসংখ্য সেলের পূণৎপাদন ঘটিয়ে মহাবিশ্বের সৃষ্টির সূচনা ঘটানো সম্ভব।
তাহলে আপনি স্রষ্টার অস্তিত্ব এই ত্রিমাত্রিক পৃথিবীতে পাবেন কি করে?

বাস্তবতা হচ্ছে এখন পর্যন্ত এমন কোন কিছু পাওয়া যায়নি যা কিনা প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। সবকিছুই খেয়ালি প্রকৃতির খেলা মাত্র এর পিছনে নিদ্রিষ্ট কোন সত্তার হাত পাওয়া যায় নি। আপনি বললেন না এগুলো খেয়ালি প্রকৃতির খেলা। এ প্রসঙ্গে আল কোরআনে বলছে-“ আমি যদি মনোরঞ্জনের জন্য এগুলো সৃষ্টি করিতাম তবে তা আমাদের ভিতরেই পারতাম”। তারমানে বুঝতে পারলেন আমাদের এই ত্রিমাত্রিক মহাবিশ্ব স্রষ্টার স্পেসের বাইরে আলাদা কোন স্পেস সৃষ্টি করা হয়েছে।

এবার আসুন আমাদের মহাবিশ্ব কোথা থেকে এলো এ বিষয় নিয়ে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী শন ক্যারল লস এ্যাঞ্জেলস টাইমস্ এর সাথে একটি সাক্ষাতকারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছিলেন । তিনি বলে ছিলেন- আপনি যদি বিশ্বাস করে নেন যে মহাবিস্ফোরনের মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে এবং এর আগে কিছুই ছিলো না, তাহলে সমস্যাটা ব্যাক্ষা করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। পর্দাথবিজ্ঞানে এমন কোন সুত্র নেই যাতে বলা হয়েছে, মহাবিশ্বকে নিম্নে এনট্রপি থেকে শুরু হতে হবে এবং ধীরে ধীরে এনট্রপির পরিমান বাড়তে থাকবে। কিন্তু বাস্তবে মহাবিশ্ব এমন আচরনই করেছে। আমার অনেক স্মার্ট কলিগ ঠিক এ কথাটাই বলেন। তারা বলেন “তুমি এটা নিয়ে কেনো চিন্তা করছ? আদি মহাবিশ্ব ছোট ছিলো এবং তার এনট্রপি ছিলো খুব কম, এটাই তো সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত”। কিন্তু আমি এটা মনে করি এটা এক ধরনের প্রেজুডিস। আমাদের মহাবিশ্বে বিষয়টা এরকম, এ কারনে আমরা মনে করি এটাই প্রাকৃতিক তথা স্বাভাবিক, অন্য কথায় এটাই প্রকৃতির নিয়ম। হ্যা, পর্দাথবিজ্ঞানের বর্তমান সুত্রগুলো দিয়ে এর ব্যাক্ষা করা সম্ভব না। কিন্তু আমি বলতে চাচ্ছি, বিষয়টা ধ্রুব সত্য বলে মেনে নেওয়াও উচিত নয়। এক প্যাকেট কার্ড নিয়ে প্যাকেট থেকে সেগুলো বের করলে হয়তো দেখা যাবে, সবগুলো ক্রমান্ময়ে সাজানো আছে। কিন্তু, এক প্যাকেট কার্ড থেকে দৈবভাবে কিছু কার্ড নিলে এটাই স্বাভাবিক যে, সেগুলো অগোছালো হবে। নিম্নে এনট্রপির সাথে উচ্চ এনট্রপির সংর্ঘষটাও এখানে। কার্ডেও প্যাকেট খুললে সবগুলো কার্ড সাজানো অবস্থায় দেখা যায়। এটা দেখে আপনি আশ্চার্যান্বিত হন না। কারন এটা নয় যে, সাজানো অবস্থায় থাকাই স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক। বরং মূল কারন হচ্ছে, কার্ডের প্যাকেট কোন বদ্ধ ব্যবস্থা নয়। প্যাকেটটাও এ থেকে বড় কোন ব্যবস্থা থেকে এসেছে যে ব্যবস্থায় একটা কারখানা ছিলো আর সে কারখানাতেই কার্ডগুলো সাজানো হয়েছে। তাই আমি মনে করি, এর আগে আরেকটি মহাবিশ্ব ছিলো যা আমাদের তৈরী করেছে। এক কথা, আমরা সেই বৃহৎ মহাবিশ্ব থেকে বেরিয়েছি। এটা বৃহত্তর কোন স্থান-কাল থেকে এসেছে যাকে আমরা পর্যবেক্ষন করতে পারি না। উচ্চ এনট্র্রপির কোন বৃহত্তর স্থানের অতি সামান্য এক অংশ থেকে আমাদের মহাবিশ্ব এসেছে। এটা এমন এক বিষয় যা নিয়ে চিন্তা করার যথেষ্ট কারন আছে”।

অতএব স্রষ্টার স্থান কাল ভিন্নরে ভাই এখানে আপনি স্রষ্টাকে খুজে পাবেন না। স্রষ্টার স্থান কাল ভিন্ন। এইটি ত্রিমাত্রিক এবং সময় নামক একটি মাত্রা দিয়ে বন্ধনকৃত একটি ডাইমেনশনাল ক্রিয়েট। আমাদের এই ত্রিমাত্রায় যদি স্রষ্টা তার অস্তিত্ব প্রকাশ করেন তাহলে সবাই তো আস্তিক হয়ে যাবে নাস্তিক বলে কেউ থাকবে না। তাহলে স্রষ্টার দোজখের কি হবে? তাই কখনই স্রশ্টা তার অস্তিত্ব প্রকাশ করবেন না। তাকে খুজে নিতে হয় ভাই তাকে খুজে নিতে হয়।

ধন্যবাদ ভালো থাকুন।

১২| ০৩ রা জুলাই, ২০২২ রাত ৮:২৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: জ্বী, কুরাআন, বাইবেল এবং গীতায় সবকিছু বলা আছে, ভূত এবং ভবিষ্যতের যাবতীয় বিজ্ঞানের রহস্য এই বইগুলোতে আগেই উল্ল্যেখ আছে, যেমন-
1: Modern Science and the Bible

2: Bhagavad Gita: Modern Reading and Scientific Study

3: আর কুরআন এ তো শুধু বিজ্ঞান আর বিজ্ঞান যার প্রমাণ আপনার পোস্টগুলো তথা পুরা সাহয়্যারইন ব্লগ ।

এসব ছাড়াও আমার বেশ কিছু বন্ধু রয়েছেন যারা বাইবেলের বাণী টানী ছাড়া বিজ্ঞান বিষয়ক কোন কথা বলেন না, সব জয়গায় শুধু বাইবেল আর বিজ্ঞান, ঠিক যেন আপনার কার্বন কপি শুধু বই দুটি ভিন্ন। এই বিষয়গুলো আমার জন্য একদমই নতুন কিছু নয়। তাই আশা করব, বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনায় ধর্মীয় পুস্তকগুলো সাইডে রাখাই ভাল হবে। এগুলোতে বিজ্ঞানের লেশ মাত্র নেই, ধুর্ত মানুষগুলো প্রয়োজন অনুসারে নিজ নিজ গ্রন্থের আয়াত/ শ্লোকের বিভিন্ন অংশ অর্থ, ব্যখ্যা এগুলা নিজ ইচ্ছে মত পরিবর্তন, পরিমর্জন করে জায়গা মত জুড়ে দিয়ে বিজ্ঞানময় করার চেষ্টা করে; যা কিছু মানুষের জন্য খুবই হাস্যকর আর কিছু মানুষের জন্য খুবই আবেগের বিষয়।

আপনি বলেছেন- কিন্তু এ প্রশ্নটা করলেন না আমরা হেবিটেবল জোনে কেনো আছি?
হুম উদ্দ্যেশ্যহীন ভাবেই আমরা এই জোনে আছি, এসবের পিছনে উদ্দ্যেশ্য থাকতেই হবে এটা সম্পূর্ণ অমূলক একটি ধারণা।
যদি অমূলক ভাবে ধরেই নেই, কেউ একজন উদ্দ্যেশ মূলক ভাবে এই পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন; তাহলে বিশাল এক জট লাগবে শুধু মাত্র এই অমূলক ধারণার করণে। প্রথমত তার সেই উদ্দ্যেশ্য কখনোই মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব হবে না, দ্বীতিয়ত, তার সৃষ্টি কিভাবে হলো, সে এই বিশাল ব্রহ্মাণ্ড কিভাবে সৃষ্টি করলেন. ইত্যাদি। বলা হয়; তার কোন সৃষ্টি নেই, তার কার্যক্রম মানুষের বুঝার ক্ষমতার বাইরে। যদি তাই হয় তাহলে অহেতুক তার উদ্দ্যেশ্য, তার কার্যক্রম নিয়ে ত্যানা পেঁচিয়ে লাভ কি? যা কখনোই জানা এবং বুঝা সম্ভব হবে না তা নিয়ে মারামারি করার যুক্তিটা কি?
যদিও বলা হয়, স্রষ্টার কার্যক্রম বুঝার জ্ঞান মানুষের নেই, কিন্তু আমি তো দেখি ধার্মীকেরা করে ঠিক তার উল্টোটা, তারা তার সম্পর্কে সবকিছু জানে, কি তার উদ্দ্যেশ্য, কি তার কার্যক্রম, তিনি কখন খুশি হন, কখন নাখোাশ হন ইত্যাদি বিষয়ে সবকিছুরই
জ্ঞান রাখেন ধার্মীকেরা। যে যতবেশী ধার্মিক স্রষ্টার বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয় সম্পর্কে সে ততবেশি বিজ্ঞ।

যা হোক কথা বলছিলাম হ্যাবিটেবল জোন নিয়ে- এটাকে বড় জোড় লাক বা বাই চাঞ্চ বলতে পারেন এর চেয়ে বেশি কিছু না। পৃথিবীর আজকের এ অবস্থানে আসতে এ রকম হাজারো লাকি ফ্যক্টস রয়েছে 13 Incredibly Lucky Earth Facts l যা পুরোটাই খেয়ালি প্রকৃতির খেলা এর পিছনে নির্দিষ্ট কোন সত্তার হাত পাওয়া যায় নি। ফিলোসফিক্যালি অনেক ভাবনা টাবনা আছে বা ভাবলে অনেক কিছুই ভাবা যায়, কিন্তু ওগুলা শুধুই ভাবনা মাত্র এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।

পূর্বে পৃথিবী হেবিটেবল জোনে ছিল না এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না এটা সদা পরিবর্তনশীল এবং সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন মহাজগাতিক প্রভাবের কারণে ধীরে ধীরে একসময় বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। সুতরাং সমস্যা হলো আপনার ওইসব বিজ্ঞানী যেভাবে মেজরম্যান্ট করে নানা গানিতিক ফ্যক্ট ট্যাক্ট দেখাইছে আজ সেগুলো নাতুন করে পরিমাপ করলে তা ভুল প্রমাণ হতে বাধ্যে, কারণ পৃথিবী আর আগের অবস্থানে নেই। স্বল্প সময়ের হিসেবে এই পর্থক্য হয়তো বুঝা যাবে না কিন্তু দীর্ঘ সময়ের পরিক্রমায় তাদের যাবতীয় হিসেবে অনেক বড় গড়মিল পরিলক্ষিত হবে কারণ প্রতি বছর পৃথিবী সূর্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছে
১: Earth Is Drifting Away From The Sun

২: Why is the Earth moving away from the sun?

কাজেই হ্যবিটেবল জোনে পৃথিবীকে পূর্ব থেকে কেউ বসিয়ে রাখেনি এটা প্রকৃতির নিয়ম অনুসারেই স্থানান্তরিত হচ্ছে। সুতরাং হ্যাবিটেবল জোনের যে পারফেকশন দেখানো হয়েছে, সময়ের সাথে সাথে তা অবান্তর হিসেবে প্রমাণিত হয় অথাবা নতুন করে মেজরমেন্ট করে গোজামিল দিয়ে এটাকে পুর্ব পরিকল্পিত এবং পরেফেক্ট বলে প্রামাণ করতে হবে। তাই সদা পরিবর্তনশীল একটা বিষয়কে আজকের দিনের মেজনমেন্ট দিয়ে সর্বকালের জন্য পারফেক্ট বলা যায় না। এসব যুক্তিতর্ক বাদ দিয়েও যদি পৃথবীকে পর্ফেক্ট হিসেবে চিন্তা করি তাহলে এর বিপরীতে হাজারটা গ্রহ, উপগ্রহকে ইম্পার্ফেক্ট হিসেবে স্পট আউট করা যায়।
"আমিই সবকিছু সৃষ্টি করিয়াছি, আমিই সবকিছু সঠিক নিয়মে ঘুরাইতেছি, আমার হুকুমেই সূর্য গরম থাকছে, আমার হুকুম ছড়া পৃথিবীতে প্রাণের সৃষ্টি হতো না" ইত্যাদি এসব কথামালা কোন বইয়ে লেখা থাকলেই তা স্রষ্টার লিখিত বই হিসেবে প্রমাণ হয় না, যদিও মানুষ তা মনে করে।

হ্যাবিটেবল জোনের সহজ একটা উদাহারন দিচ্ছি: আপনি হাতে এক মুঠো মার্বেল নিন, তারপর মাটিতে ১ মিটার ব্যসার্ধে গোল দাগ দিন, তরপর হাতের মর্বেলগুলোকে উক্ত বৃত্তের মধ্যে ছুড়ে ফেলে দিন। দেখা যাবে কিছু মার্বেল বৃত্তের মধ্যে আছে আর কিছু বাইরে চলে গেছে, এখন বৃত্তের কেন্দ্র থেকে তৃতীয় দূরত্বের মার্বেলটিকে যদি আমরা হ্যবিটেবল জোনে আছে ধরি, তাহলে কি প্রমাণ হয় আপনি ইচ্ছে করে উক্ত মার্বেলটকে হ্যবিটেবল জোনে রেখেছেন? ঠিক তেমনই পৃথিবীর হ্যবিটেবল জোনে থাকাটাও কারো পূর্বপরিকল্পিত নয়, এটা সম্পূর্ণ প্রকৃতিক ব্যাপার যার উপর কারো কোন হাত নেই। তাই এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডকে কেউ নিয়নন্ত্রণ করে না, বিশ্বব্রহ্মাণ্ড চলে তার আপন মহিমায়। এই মহাবিশ্বে হাজারো অজানা বিষয় রয়েছে, কিন্তু এগুলা যদি আমরা ধর্মগ্রন্থ দিয়ে আবিষ্কার করতে যাই তাহলে যথারীতি লেজে গোবরে হয়ে যাবে।
হুমম, পৃথিবীর আয়াতন, ওজন, সুর্য থেকে দূরত্ব ইত্যাদির তারতম্য হলে অনেক কিছুই হতে পারতো কিন্তু এগুলা তো সব যদি, কিন্তু নির্ভলশীল প্রশ্ন। যদি, কিন্তুর উপর ভিত্তি করে প্রশ্ন তৈরী করে তারপর তার উত্তর দিয়ে আবার সে উত্তরের উপর ভিত্তি করে ধর্মগ্রন্থকেই সঠিক প্রমাণ করা যেতে পারে বৈজ্ঞানিক তত্ব নয়। আর মানুষ কোথায় বাস করবে না করবে তা একান্তই মানুষের ব্যাপার, তারা চাঁদে বসবার করবে, না মঙ্গল গ্রহে, না শনি গ্রহে এটা একান্তই মানুষের ব্যাপার। ধর্মগ্রন্থে কি লেখা আছে বা না আছে তার উপর ভিত্তি করে তারা টেকনোলজী বানাবে না। ভবিষ্যতে ভিন্ন ভিন্ন গ্রহে যদি মানুষ বসতি স্থাপন করে তাহলে বাইবেল অনুসারীরা টিকে থাকার জন্য গোজামিল দিতেই পারে এই বলে "মানুষ চারিদিকে ছড়িয়ে পরবে" এই কথা বহু আগেই আমাগো বাইবেলে লেখা আছিল। এখানে চারিদিকে বলতে গ্রহ, নক্ষত্রকে বুঝানো হইছে, সুতরাং বাইবেলই একমাত্র বিজ্ঞানময় গ্রন্থ, ইত্যাদি। =p~

কুরআনকে দাবী করা হয় স্বয়ং সম্পূর্ণ একটি গ্রন্থ বলে, কিন্তু আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি আপনার সবগুলো পোস্টে কুরআনকে বিজ্ঞানময় করে তোলার জন্য বৈজ্ঞানিক যত যুক্তি তর্ক, সমস্ত সোর্স গুলো বইবেল বিশ্বাসীদের কাছ থেকে ধার করা, বিষয়টা হাস্যকর হয়ে গেলো না? কুরআনের প্রতিপক্ষ বাইবেল অনুসারীদের বৈজ্ঞানীক যুক্তি তর্ক, সোর্সের মাধ্যমে কুরআনকে বিজ্ঞানময় করে তোলার চেষ্টা হা হা B-) । মহাগ্রন্থ কুরআন গবেষণা করে কি একজন বিজ্ঞানিও সৃষ্টি হয়নি এই পৃথিবীতে?
এসব ধর্মীয় কথামালার উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানকে যাচাই বাচাই করতে গেলে অপবিজ্ঞানেরই সৃষ্টি হয় শুধু।


এবার আসি আহ্নিক গতি এবং বার্ষিক গতি নিয়ে: নাহ এটা একেবারেই ভুল ধারণা, আহ্নিক গতি এবং বার্ষিক গতি মোটেও পার্ফেক্ট নয়, এটাও ক্রমাগত পরিবর্তনশীল আর এই পরিবর্তনের ফল কখনো ভাল হয় আবার কখনো প্রকৃতিতে বিপর্যয় নেমে আসে। লক্ষ বছরের অতীত ইতিহাসে পৃথিবীর বায়ুমন্ডল, আবাহওয়া, জলবায়ূ, তাপমাত্রার এবং ভৌগলিক অবস্থানের ব্যাপক পরিবর্তনের নিদর্শন পাওয়া যায় যা আহ্নিক, এবং বার্ষিক গতির ক্রমাগত পরিবর্তনেরই জন্যই হয়ে থাকে। তাই আহ্নিক গতি এবং বার্ষিক গতিকে সর্বকালের জন্য একদম পারফেক্ট ভাবার ধারনাটা একেবারেই অবান্তর ছাড়া আর কিছুই নয়, প্রকৃতিতে যার ভুঁড়ি ভুঁড়ি উদাহরণ রয়েছে, যা কম বেশি সবাই জানে। অহেতুক সোর্স টোর্স এবং কমন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে কমেন্ট বড় করতে চাই না। শুধু এতটুকুই বলবো আজ থেকে ৬ শত মিলয়ন বছর আগের পৃথিবীর দিন আজকের মত ২৪ ঘন্টায় হতো না তখন ২১ ঘন্টায় পৃথিবী সুর্যকে একবার প্রদক্ষীণ করতো কারণ তখন পৃথিবীর আহ্নিক গতি আজকের তুলনায় অনেক বেশি ছিল বা দ্রুত ঘুরতো তাই দ্রুতই দিন শেষ হয়ে যেতো, নিশ্চই সে সময়ের পৃথিবী আর বর্তমানের পৃথিবীর মধ্যে রয়েছে বিস্তর ব্যবধান। ঠিক তেমনই ভবিষ্যতের পৃথিবী আজকের দিনের পৃথিবীর মত থাকবে না, যে কারণে পৃথিবীর ইতিহাসে একসময় যেখানে মরুভুমি আজকের দিনে সেখানে সাগর, একসময় যেখানে বনঞ্চল আজকের দিনে সেখানে মরুভুমি, লক্ষ লক্ষ জনপদ পানিতে তলিয়ে গেছে, বরফে ঢেকে গেছে, তাপে ধ্বংস হয়ে গেছে শুধুমাত্র আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতির তারতম্যের কারণেই। লক্ষ বছরের ইতিহাসে অনেক বসবাসযোগ্য স্থান যেমন বসবাস উপোযোগিতা হারিয়েছে অপর দিকে অনেক অবসবাসযোগ্য স্থানও বসবাসের উপযোগি হয়েছে। সুতরাং আজকের দিনের হিসবে দিয়ে সর্বকালের আহ্নিক গতিকে পাফেক্ট বলা যায় না।
চাঁদ, সূর্য ও অন্যন মহাজাগতিক প্রভাবের কারণে দিন দিন পৃথিবীর আহ্নিক গতি কমেই চলছে। আমি কমেন্ট যাথাসাধ্য ছোট করার চেষ্টা করছি। আহ্নিক গতি নিয়ে নিচে কিছু লিংক দিচ্ছি, বাকিটা নিজে ঘাঁটাঘাটি করে জেনে নিবেন আশা করি।

১: লক্ষাধিক বছর ধরে চাঁদের মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে পৃথিবীর ঘূর্ণনশক্তি ও কৌণিক বেগ খুব ধীর গতিতে কমে চলেছে। বিস্তারিত

২: We define a day as 86,400 seconds, or 24 hours – the time it takes for Earth to rotate once. However, the Earth doesn’t rotate perfectly uniformly. Usually, the Earth’s rotation is actually slowing down so that the length of the day increases by about 1.8 milliseconds per century, on average. This means that 600 million years ago a day lasted only 21 hours. For more details.

৩: Measurement of the Earth's rotation: 720 BC to AD 2015. Click here.

৪: Change in the length of the day. Visit here.

৫: Ancient eclipses show Earth's rotation is slowing. Jump here.

উপরে আমি শুধু আহ্নিক গতির ইম্পার্ফেকশনের কিছু নমুনা দিলাম মাত্র, আর এই পরিবর্তেনর ফলে প্রকৃতিতে কি কি প্রভাব পড়ে তার বিস্তারিত নিজ গুনে জেনে নিবেন, বলে আশা রাখি। ঠিক একই কথা বার্ষিক গতির ক্ষেত্রেও, এটা নিয়েও একটু ঘাঁটাঘাঁটি করবেন আশা করি। বাই দ্যা ওয়ে, কোন বিজ্ঞনির ব্যক্তিগত অভিমত কখনো বিজ্ঞান নয়, ব্যক্তিগত ভাবে অনেক বিজ্ঞানী ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাসে বিশ্বাসী হতে পারে আর তাদের ওই ব্যক্তিগত বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে কথামালাগুলো কখনো বিজ্ঞান নয়, আর এসব কথামালার উপর নির্ভর করে নিজ ধর্মগ্রন্থ যাচই করা তো চরম বোকামি। :-B

ধন্যবাদ ভালো থাকবেন, আপনার বিজ্ঞানভিত্তিক পোস্ট চালিযে যান, কিন্তু আমি এই পোস্টে আর কোন কমেন্ট করে আমার এবং আপনার দুজনেরই সময় নষ্ট করছি না, আমি বরং কবিতা পড়তে যাই।

০৫ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ঠিক তেমনই ভবিষ্যতের পৃথিবী আজকের দিনের পৃথিবীর মত থাকবে না, যে কারণে পৃথিবীর ইতিহাসে একসময় যেখানে মরুভুমি আজকের দিনে সেখানে সাগর, একসময় যেখানে বনঞ্চল আজকের দিনে সেখানে মরুভুমি, লক্ষ লক্ষ জনপদ পানিতে তলিয়ে গেছে, বরফে ঢেকে গেছে, তাপে ধ্বংস হয়ে গেছে শুধুমাত্র আহ্নিক গতি ও বার্ষিক গতির তারতম্যের কারণেই। লক্ষ বছরের ইতিহাসে অনেক বসবাসযোগ্য স্থান যেমন বসবাস উপোযোগিতা হারিয়েছে অপর দিকে অনেক অবসবাসযোগ্য স্থানও বসবাসের উপযোগি হয়েছে।
আপনি নিজে আহিৃক গতি ও বার্ষিক গতির তারতম্যের কারনে ভয়াবহ ক্ষতির কথা তুলে ধরেছেন। অথচ আপনি এ দুটি গতি এর সঠিকত্ব স্বিকার করছেন না। ছোটখাট পার্থক্যতে এতবড় ঘটনা ঘটেছে। বড় কোন পাথর্ক্য হলে কি এ পৃথিবীতে কি প্রাণ উৎপাদন সম্ভব হতো? পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে আহিৃক গতির সামান্য হেরফের তো হয়েছেই। এর সাথে সাথে পৃথিবীতে ভূমীর স্থানান্তরজনিত কারনও রয়েছে। কিন্তু ৬০০ মিলিয়ন বৎসর পূবে পৃথিবী একটি মহাদেশ ছিলো। মানুষতো ছিলো না! মাত্র ৫০ বৎসার পূর্বে ডাইনোসর বিরুপ্ত ঘটেছে। https://www.bbc.com/bengali/news-49654812 তাহলে সেই সময়কার উদাহরন কেনো দিলেন, বুঝলাম না? আপনি আসলে ধর্ম বিরোধীতা করার জন্য অন্ধ হয়ে আছেন আপনাকে বোঝানো সম্ভব নয়।
কোন বিজ্ঞনির ব্যক্তিগত অভিমত কখনো বিজ্ঞান নয়, ব্যক্তিগত ভাবে অনেক বিজ্ঞানী ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাসে বিশ্বাসী হতে পারে আর তাদের ওই ব্যক্তিগত বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে কথামালাগুলো কখনো বিজ্ঞান নয়, আমি অবাক হচ্ছি ফাইনটিউনিং বিষয়টিকে আপনি কোন কোন বিজ্ঞানীর অভিমত বলে অভিহিত করলেন। অথচ ফাইন টিউনিং বিষয়টি আধুনিক বিজ্ঞানে একটি ফ্যাক্ট। আধুনিক বিজ্ঞানের চুড়ান্ত দিকপাল একটি বিষয়কে আপনি ব্যাক্তিগত অভিমত বললেন! আপনার আরো পড়ালেখা করার দরকার ফাইন টিউনিং সংক্রান্ত বিষয়ে। তো যাই হোক আপনার সাথে কমেন্ট বাড়িয়ে লাভ নেই কারন “তাল গাছ আমার” মানসিকতা সম্পন্ন আপনি। ফাইন টিউনিং বিষয়টি সম্পর্কে ভালোভাবে জানুন- https://plato.stanford.edu/entries/fine-tuning/ Click This Link.
অযথা সময় নষ্ট করে লাভ নেই। ভালো থাকুন।

১৩| ২৭ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:২৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: হেবিটেবল জোন ছাড়াও পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ড একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা আমাদেরকে সোলার উইন্ড বা রেডিয়েশন থেকে রক্ষা করে। কেন কিছু গ্রহের এই ফিল্ড নেই বা কেন কিছু গ্রহের ফিল্ড পৃথিবীর তুলনায় অনেক কম শক্তিশালী আর কেনই বা পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ড তুলনামূলকভাবে বেশী শক্তিশালী, বিষয়গুলো ভেবে দেখার মতোই বটে।

যারা আজীবন টাইডালি লক্ড WASP-12b এর ডার্ক সাইডে থেকে ভাবে আলো কোথায়? তাদের জন্য আসলেই কোন আলো নেই। মহান সৃষ্টিকর্তা যাকে চান তাকে আলোকিত করেন, যাকে ইচ্ছে এই পৃথিবীতে বাঁচিয়ে রেখেও আজীবন অন্ধকারেই রেখে দেন। সুতরাং জেনে রাখুন কিছু মানুষ চিরকালই মহান রাব্বুল আলামিনের বিস্মকর সৃষ্টিকেও অস্বীকার করবে। কেবল তিনিই সর্বজ্ঞাণী।

লিখার জন্য ধন্যবাদ।

২৭ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩২

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। কারন আপনি আমার লেখাগুলো পড়ছেন। ভালো থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.