নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।
হঠাৎ, একটি আলো হতে দ্রুত গতিতে সম্প্রসারিত হয়। একে বলা হয় কসমিক ইনফ্লেশন। এর স্থায়িত্বকাল 10^-32 সেকেন্ড। এ ক্ষুদ্র সময়েই আমাদের মহাবিশ্ব পূর্বের তুলনায় 10^26 গুণ বড় হয়েছে। কিন্তু এর পর মুহুর্তে তা স্বাভাবিকভাবে প্রসারিত হতে থাকে।
বিগব্যাং এর পর থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টির প্রতিটি পর্যায়ে এক পরিকল্পনাকারীর সুষ্ঠ পরিকল্পনার দ্বারা এই মহাাবিশ্ব নিয়ন্ত্রিত। প্রতিটি পদক্ষেপই একটি নিয়ম দ্বারা নির্ধারিত।
প্রকৃতই সৃষ্টির শুরুতে প্রকৃতির মাঝে একটি উদ্দেশ্য নিয়োজিত ছিলো প্রাণীজগত এবং মানুষ। এবং এই মানুষ সৃষ্টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের কারনে সৃষ্টিকূলে এতটা সুশৃংখলা নির্ধারিত রয়েছে। যদি মানুষ সৃষ্টিই স্রষ্টার উদ্দেশ্য না হতো তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এতটা সুক্ষ সমন্ময় থাকতো না। সুগভীর পরিকল্পনার ছাপ এতটা প্রকট আকারে দেখা দিতো না। গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে বিগব্যাাংগ এর সৃষ্টি হয়েছে একটি বাসযোাগ্য পৃথিবীর জন্য, যা মানুষের বসবাসের উপযোগী। বর্তমানের আধুনিক বিজ্ঞান প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে যে বিগব্যাংগ বা মহাবিস্ফোরনটিও ছিলো হিসেবের নিত্যতা এবং সুক্ষসমন্ময় দ্বারা গড়া একটি মহৎ পরিকল্পনা। বিগব্যাংগ ঘটেছিলো একটি নির্দীষ্ট গতিতে। বিগব্যাং ঘটার পরে মহাবিশ্বটি সম্প্রসারিত হতে থাকে। ষ্ট্যার্ন্ডাড বিগব্যাং মডেল অনুসারে এক মহাক্ষুদ্র আদি ঘনায়িত শক্তি পিন্ড মহাগর্জন করে এক মহাবিস্ফোরনের মাধ্যমে ১০^-৪৩ সেকেন্ড সময়কালে সৃষ্টি করে এই মহাবিশ্ব। সৃষ্টির সময় মহাবিশ্ব ১০^-৩২ k কেলভিন উত্তপ্ত অবস্থায় ছিলো।
অকল্পনীয় শক্তির ঘনায়নে থাকা অবস্থায় এক মহাবিস্ফোরনের সাথে সাথে আশ্চার্য রকম গতিতে মহাসম্প্রসারন হতে শুরু করে। যা আজো পযর্ন্ত সেই মহাসম্প্রসারন চলছে। সেই মহাসম্পসারণটি একটি নির্দীষ্ট গতিতে ঘটেছে বলেই চরম উত্তপ্ত মহাবিশ্বটি গ্যালাক্সি, নক্ষত্র গ্রহ পৃথিবী সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। নিদীষ্ট ও পরিকল্পিত একটি গতিতে মহাবিশ্বটি সম্প্রসারিত হয়েছে। গতিটি ১০০% পারফেক্ট ছিলো বলেই মহাবিশ্ব, পৃথিবী এবং মানুষ সৃষ্টি হতে পেরেছে। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এ্যালেন গুথ মহাবিশ্বের এই সুনিয়ন্ত্রিত সম্প্রসারণ হার দেখে স্তম্ভিত হয়ে বললেন “এই সম্প্রসারনের হার এতটাই সুনিয়ন্ত্রিত, যেখানে ভুলের সম্ভাবনা ১/১০^৫৫। এত সুক্ষ এবং সুনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা বা বা প্রক্রিয়া কোনো হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা হতে পাওয়া অসম্ভব। বিগব্যাং যদি হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো অনিয়ন্ত্রিত ঘটনা হতো তবে এই প্রক্রিয়া এতটা সঠিক এবং উপযুক্ত ভাবে চলতে পারতো না। তাই বলা যায় এটি অবশ্যই একটি নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়া।”
মহাবিশ্ব সম্প্রসারনের এই নিখুত গানিতিক বিষয়টি পর্যলোকন করে অনেকেই চমকে ওঠেন! বিশিষ্ট পর্দাথবিজ্ঞানী পল ডেভিস বিগব্যাংগের পর মহাবিশ্ব যে গতিতে সম্পসারিত হচ্ছে তা নিয়ে চমকপ্রদ এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মতে সম্প্রসারনের গতিটি ১০০% পারফেক্ট ছিলো। তার হিসাব মতে সেই গতিবেগের কোটি ভাগের ১ ভাগ যদি কম বেশি হতো তবে এই (habitable universe) বাসযোগ্য বিশ্বজগত সৃষ্টি হতো না। এ প্রসঙ্গে পল ডেভিস বলেন “ সুক্ষভাবে হিসেব-নিকেশ করে দেখা যাচ্ছে যে বিগব্যাং এর পর বিশ্বজগতের সম্প্রসারনের গতির মাত্রা ছিলো ঠিক ততোটুক্ইু যে মাত্রায় সম্প্রসারিত হওয়া শুরু করলে বিশ্বজগত তার নিজস্ব মাধ্যাকর্ষন-শক্তির কবল থেকে মুক্ত হয়ে অনন্তকালের জন্য সুশৃংখলভাবে সম্প্রসারিত হতে পারে। সম্প্রসারণের গতিবেগ সামান্যতম কম হলে এ বিশ্¦জগত ধ্বংশ হয়ে যেতো। আবার গতিবেগ সামান্যতম বেশি হলেও বিশ্বজগতেরর সবকিছু বহু আগেই বিশৃংখলভাবে ছড়িযে ছিটিয়ে অদৃশ্য হয়ে যেতো।
স্পষ্টতই বিগ ব্যাং কোনো সাধারণ বিস্ফোরন ছিলো না, ছিলো সুক্ষভাবে পরিকল্পিত একটি বিশাল ঘটনা - W.R.Bird, The Origin of Species Revisited, Nashville: Thomas Nelson, 1991; originally published by Philosophical Library in 1987, p.405-406) পল ডেভিসের ভাষায় “সাধারন বিস্ফোরন ছিলো না, ছিলো সুক্ষভাবে পরিকল্পিত একটি বিশাল বিস্ফোরন”। বিস্ফোরনের গতিবেগের উপর নির্ভর করেছিলো সম্প্রসারনের গতিবেগের হার। বিস্ফোরনের গতিবেগ যদি কম হতো তবে সম্প্রসারণের হার হতো কম গতিতে ফলে আইনষ্টাইনের রিলেটিভিটি সুত্র অনুযায়ী মহার্কষ আকর্ষনের কারনে বস্তু সমূহ সম্প্রসারিত হতে থাকলেও সৌরজগতের নির্মানের আগেই পুরো মহাবিশ্ব পূনরায় আবার সংকুচিত হয়ে মিশে যেতো। আর যদি বিস্ফোরনের গতিবেগ বেশি হতো তবে সমস্ত কিছু এলোপাথালি ভাবে ছড়িযে ছিটিয়ে যেতো। অতিরিক্ত সম্প্রসারণের কারনে বস্তুকনাগুলো একে অপরকে আকর্ষন করে সৌরজগত, তারকারাজি, ছায়াপথ এসব গড়ে উঠার সুযোাগ পেত না। এ্ই সকল বিভিন্ন প্রাপ্ত তথ্য থেকে এতটুকু নিশ্চিত হওয়া যায় যে এই সম্প্রসারনের হার ঠিক ততটুক্ইু যতটুকু হলে মহাবিশ্ব নিজের মহাকর্ষ আকর্ষন শক্তি অতিক্রম করতে পারে। এই কারনেই পল ডেভিস এটিকে একটি পরিকল্পনার ফসল বলে অভিহিত করেছেন। তার ধারনা এটাকে সৃষ্টি করা হয়েছে হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোন ঘটনার ফল নয়। পল ডেভিস বলছেন: “এমন ধারণা মনে স্থান দেয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখা খুবই কঠিন যে, বিশ্বজগতের বিদ্যমান কাঠামো যা কিনা ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম পরিবর্তনের ব্যাপারের স্পর্শকাতর যত্নের সঙ্গে চিন্তা-ভাবনা করেই অস্তিত্বে আনা হয়েছে।”-(Paul Davies, God and the New Physics, New York: Simon & Schuster, 1983, p.189)
একই ধরনের সিদ্ধান্তে উপনীত হতে দেখা যায় জর্জ গ্রিনস্টেইনকেও (George Greenstein)। আমেরিকার এই জ্যোতির্বিদ প্রফেসর তার The Symbiotic Universe নামক গ্রন্থে বলছেন: “(বিশ্বজগতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা) বিভিন্ন সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করবার পর, তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের মনে যে-চিন্তার উদয় হয় তা হচ্ছে: (বিশ্বজগত সৃষ্টির পেছনে) নিশ্চয়ই কিছু অতিপ্রাকৃতিক এজেন্সির(some supernatural agencies) হাত আছে।”-(দেখুন: Hugh Ross, The Fingerprint of God, 2nd ed., Orange, CA: Promise Publishing Co., 1991, p.114-115)
১৩ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
২| ১৩ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫২
সোনাগাজী বলেছেন:
মানুষের জ্ঞানের মাঝে অজ্ঞানের কলুষতা যোগ করার চেষ্টা করছেন আপনি।
১৩ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনাকে যোগ করবো না। ভয় পাবেন না। কারন আপনি জ্ঞান পাপী মানুষ।
৩| ১৩ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এই বিষয় নিয়ে অনেকে লিখেছেন। আপনারটার গুণগত মাণ ভালো।
১৩ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন।
৪| ১৩ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
মহাবিশ্বের নিয়মকানুন মানুষ কতভাগ বুঝতে পেরেছে?
১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:১০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধৈয্য ধরুন মানুষ প্রমান করবে মহাবিশ্ব একটি পরিকল্পিত সৃষ্টি।
৫| ১৩ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪৩
সিয়াম হোসেন মোল্লা বলেছেন: তিনি মহাপরিকল্পনাকারী।
১৩ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:০৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: তিনি সর্বময় কর্তত্বের অধিকারী। আল্রাহ মহান।
ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
৬| ১৩ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪৭
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার পোষ্টে মানুষের দীর্ঘ সময়ের সায়েন্টিক ভাবনা, থিওরী, গবেষনা, সিদ্ধান্ত যোগ করেছেন; কিন্তু সেইসব বড় বড় ভাবনার সাথে আপনার ক্ষীণ ধারণাকে যোগ করে, গবেষনাকারীদের উদ্দেশ্য ও আদর্শকে কলুষিত করেছেন।
১৩ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৪৩
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: প্রতিটা কেনো এর একটি কারন আছে? এই কেনো এব্ং এই কারন নিয়ে পাঠকেরা ভাববে? পাঠকদেরই সিদ্ধান্ত নেবার সুযোগ দিন। এই ‘কেনো’ কেনো হয় পাঠকেরা সেটা বুঝতে পারবে।
“এই লোকদের সামনে সে অবস্থা এসে গেছে, যাতে খোদাদ্রোহিতা হতে বিরত রাখার বহু শিক্ষাপ্রদ উপকরণই নিহিত রয়েছে এবং এমন পূর্ণতাপ্রাপ্ত বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিও (বৈজ্ঞানিক আবিস্কার) রয়েছে যা উপদেশ দানের পূর্ণমাত্রায় পূরণ করে।” (৫৪:৪-৫ ‘আল-কোরআন)
৭| ১৩ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৪৮
শ্রাবণধারা বলেছেন: কিছু মনে করবেন না জনাব, আপনি যে বইগুলো রেফারেন্স হিসেবে দিয়েছেন, এই বইগুলো কি আপনি নিজে পড়ে দেখেছেন?
১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:১২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কেনো ভাই হঠাৎ সংশয় কেনো? পৃষ্টা নম্বরও দিয়ে দিয়েছি। আপনি পৃষ্ঠা নম্বর অনুসারে যাচাই করে নিলেও তো পারেন। আল্লাহ আপনাকে ভালো রাখুক। ধন্যবাদ।
৮| ১৩ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:১৫
জ্যাকেল বলেছেন: কতিপয় মুর্খ আছেন যাহারা বিজ্ঞানের খাপে সৃষ্টিকর্তার ব্যাপার দেখলেই বাম হাত ঢুকানর চেস্টা করেন। উহারা আসলে মানুষ জাতের নিকৃষ্ট শ্রেণির হন কারণ উহারা নিজেরা সত্য জানতে/শিখতে যেমন আগ্রহী না, অন্যদেরও এ থেকে দূরে রাখতে সচেষ্ট হন। খুবই দুঃখজনক এইরকম মাউন্ট ইস্টুপিড ব্লগেও দেখা যাইতেছে।
আপনার এই পোস্ট স্টিফেন হকিং সাহেবের ঐ যে ব্রিফ হিস্টরি অফ টাইম উহাতে পেয়েছিলাম বেশ খানেক বৎসর আগে। যাক, আবার পড়িয়া রিভাইজ দিলাম।
ভাল থাকবেন।
১৪ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:০৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ব্লগে কয়েকজন বন্ধুর মধ্যে আপনি একজন।
একসময় নাস্তিক ছিলাম। আল্লাহ মান্তাম না। ডাকার আজিক সুপার মার্কেট আর পাবলিক লাইব্রেরীতে নাস্তিকদের নিয়ে কত হৈচৈ। কিন্তু জ্ঞানের চুড়ান্ত পর্যায় আমাকে আস্তিক করে দেয়। আমি স্পষ্ট বুঝতে পারি এগুলো পরিকল্পনা। একটি অদৃশ্য শক্তি চারিদিকে বিদ্যমান অথচ সেই অদৃশ্য শক্তি লুকায়িত। সেই অদৃশ্য শক্তির সন্ধানে আবার নুতন করে জ্ঞান আহরনে রত হই। আল্রাহ আমাকে সহায় হোন।
কিন্তু নাস্তিকদের অত্যাচার ৩ বৎসার আগে মন ভেঙ্গে দিয়েছিলো। কিন্তু এবার মন শক্ত করে এসেছি।
৯| ১৩ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:১৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
চালাকি করে লাভ হবে না।
কোন একাডেমিক শিক্ষিত বিজ্ঞানী কখনো বলতে পারেন না এটি পরিকল্পিত সৃষ্টি।
হকিং সাহেব এব্যাপারে সঠিক ব্যাখ্যা করে গেছেন।
প্রকৃতি ও মহাবিশ্ব গঠিত হতে কোন ঈশ্বরের দরকার হয়নি।
বিশ্বভ্রমান্ড প্রাকৃতিক নিয়মে যেভাবে এলোমেলো চলার কথা সেভাবেই এলোমেলভাবেই চলছে।
বিগব্যাং একাধিক বার হয়েছে। মহাবিষ্ফোরন হয়ে কনাগুলো ডিসইন্ট্রিগেটেড হয়ে ছড়িয়ে গেছে, পরবর্তিতে আবার কেন্দ্রিভুত হয়ে আবার মহাবিষ্ফোরন ...
ছায়াপথ হয়েছে, সৌরযগত হয়েছে। আবার সব কেন্দ্রিভুত হবে আবার বিগব্যাং ... এখনো চলমান। প্রকৃতির নিয়মেই চলছে। ইউনিফর্ম (আপনার কথায় পরিকল্পিত) গতিপথে চললে এক গ্যালাক্সি থেকে গ্যালাক্সি লেগে সংঘর্ষ হতো না, তারকার সাথে তারকার লেগে বিষ্ফোরন নেবুলা, মহাকাশ আবর্জনার শৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃতির সাধারণ নিয়মে এলোমেলো যেভাবে হওয়ার কথা সেভাবেই হচ্ছে।
কোথাও কারো বা ঈশ্বরের হস্তক্ষেপ প্রয়জন হয়নি।
সৌরজগতের গ্রহগুলোর মাত্র একটি ঠান্ডা হওয়ার পর অনেক বিশৃক্ষলা একটি গ্রহ চলন্ত উল্কার সাথে সংঘর্ষে বিধ্বস্ত হয়ে এস্ট্রয়েড বেল্ট হয়ে ঘুরছে।
দৈবক্রমে একটি গ্রহ সঠিক সাইজ ও সুর্যদুরত্ত থাকায় অনেক পরে এই গ্রহটি পানি ও অক্সিজেন সমৃদ্ধ গ্রহে পরিনত।
এরপর প্রানের আবির্ভাব
এসব ঘটনা গুলো প্রকৃতির সাধারন নিয়মেই ঘটেছে।
পরবর্তিতেও প্রাকৃতিক কর্মকান্ডে এপর্যন্ত ঈশ্বরের কোন হস্তক্ষেপ হয়নি বলে মনে হয়। কারন পদার্থবিদ্যার নীতি বিরুদ্ধ উলটো পথে যাওয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি, তবে সীমিত জ্ঞ্যানের কারনে অনেক ঘটনা আনসল্ভ। সময়ে সেগুলোও সল্ভ হবে।
এর পর মহাবিশ্বের বাকি ব্যাপারগুলো প্রাকৃতিক ভাবেই ডেভোলপ করছে। এজাবৎ বড় কোন অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয়নি। কারো হস্তক্ষেপ দৃশ্বমান নেই।
বিজ্ঞানের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। বিরামহীন গবেষনা এখনো চলছে, মানুষ এখুনি সবকিছু জেনে ফেলবে সেই সুদিন এখনো আসেনি।
তবে এজাবৎ এটা নিশ্চিত যে প্রকৃতির উপর কেউ হস্তক্ষেপ করছে না।
বিবর্তন সহ অন্যান্ন প্রাকৃতিক ব্যাপারগুলো নিয়ে বিজ্ঞানিদের মধ্যে কিছু টেকনিক্যাল টার্ম ছাড়া মুল ব্যাপারটি (বিবর্তন) নিয়েও খুব একটা বিতর্ক নাই।
এজাবৎ প্রাপ্ত মাটিখুড়ে পাওয়া প্রাচিন কংকাল, জিবাষ্ম গুলো প্রাকৃতিক স্বাভাবিক বিবর্তনগুলো সমর্থন করে।
শতকোটি, প্রায় ৫শ কোটি বছর আগে পৃথিবী নামক গ্রহে প্রানের আবির্ভাব
প্রথমে বৃষ্টির পানি, এরপর এমাইনো এসিড+পানি
তারপর জীবানু সদৃস্য প্রাণ
এককোষি জীব
এরপর এমিবা
তারপর বহুকোষী স্পঞ্জ আকৃতির সামুদ্রিক ... জীব
এরপর গিরিগিটির মত হয়ে ডাঙ্গায় উঠা
তারপর আরো কোটিকোটি বছর পর স্তন্যপায়ী জীব
এরপর বহুকটি বছর বিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন প্রজাতিতে ভাগহয়ে এসেছে। কিছু টিকে আছে। অধিকাংশই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
৫০ কোটি বছর আগে ডাইনাশোর জাতীয় প্রানী রাজত্ত্ব করে ১২ কোটি বছর আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে, খাদ্যাভাবে।
মানুষ জাতীয় প্রানীর আবির্ভাব মাত্র আড়াই কোটি বছর আগে।
বহুভাগে বিভক্ত বিলুপ্ত হয়ে .. একটি প্রজাতি প্রায় ২০ লাখ বছর আগে মানুষের মত প্রানীর আবির্ভাব।
এরপর আফ্রিকার দক্ষীনাঞ্চলে হোমোসেপিয়েন্স মত দুপেয়ে মানুষের আবির্ভাব
ধর্মহীন ঈশ্বরহীন সমাজহীন ভাবেই ... খাদ্য সন্ধানে শিকারেরপিছে হাটতে হাটতে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়া। লাখ লাখ বছর কেটে যায়।
আর মাত্র ১০ হাজার বছর আগে মানুষ কিছুটা সভ্য হতে সুরু করে, ছোট ছোট সমাজ গঠন করে,
টেক্সটাইল, পাথরাস্ত্র, আগুন জালাতে শিখে। শিকার পেলেই মেরে ফেলে না, বেধে রাখে, সঞ্চয় করা শিখে।
তবে মানুষ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভয় পায়, ভাবে কেউ কিছু করছে কিনা। সমাজের কিছু চতুর বুজুর্গি দেখায়। কিছু সমাজপ্রধান মুলত নেতৃত ও শৃক্ষলা বজায় রাখতেই পর্বত আগুন সুর্য চন্দ্র ইত্যাদিকে ঈশ্বর বলে বা অশরিরির কিছু ভয় দেখায়। পরে সেসব ভয় কেটে গেলে আসে মুর্তি ঈশ্বর। একসময় মুর্তি ভয় কেটে গেলে আসে অদৃশ্ব ঈশ্বর। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে স্বর্গ-নরকের স্বপ্ন দেখিয়ে কিছু দুর্বল মানুষকে মানুষকে দাস বানায়। যুদ্ধে লিপ্ত হয়।
এরপর সমাজ গোত্র আরো বড় হয়, গোত্রের মাস্তান চতুররা নিজেকে ঈশ্বররের প্রতিনিধি দাবি করে, একজন তো নিজেকে ঈশ্বরপুত্র দাবি করে বসে! এভাবেই মুলত মানব মননে ঈশ্বরের আবির্ভাব।
১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ৩:০০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: চালাকি করে লাভ হবে না। কোন একাডেমিক শিক্ষিত বিজ্ঞানী কখনো বলতে পারেন না এটি পরিকল্পিত সৃষ্টি।
আপনার বিশাল রচনা পড়লাম। তবে সব পড়ার পর বুঝলাম আপনি আগামীতে দৈবক্রমে আপনার এই লেখাগুলো আর লিখতে পারবেন না। কারন ফাইন টিউনিং বিষয় টি আধুনিক বিজ্ঞানে ফ্যাক্ট হয়ে পড়েছে। বিজ্ঞানীরা বুঝতে পেরেছেন এই মহাজাগতিক সুক্ষ সমন্ময়গুলো পিছনে রয়েছে একটি রহস্যময়তা। আর সেই রহস্যময়তা নিয়েই বিভিন্ন বিজ্ঞানী তাদের বইতে লিখেছেন। আপনি পড়ুন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী পল ডেভিস এর “গড এন্ড দি নিউ ফিজিক্স” আমি পৃষ্ঠা নম্বরও দিয়ে দিয়েছি। পড়ুন বিশিষ্ট আমেরিকান বিজ্ঞানী জজ গ্রীনস্টেইন এর সিমবায়েটিক ইউনিভাস। পৃষ্টা নম্বর দিয়ে দিয়েছি। তারপর এসে বলুন আমি চালাকি করছি নাকি?
হকিং সাহেব এব্যাপারে সঠিক ব্যাখ্যা করে গেছেন। প্রকৃতি ও মহাবিশ্ব গঠিত হতে কোন ঈশ্বরের দরকার হয়নি।
আমি অবাক হচ্ছি ইশ্বরকে বোঝার মতো মানসিকতা আপনার তৈরী হয় নাই তবে বুঝবেন কি করে? কিন্তু আমি অবাক হচ্ছি যে আপনি কি ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং কে বোঝার চেষ্টা করেছেন। আপনি কি তার লাষ্ট বই গ্রান্ড ডিজাইন বইটা পড়েছেন। আপনার এই বক্তব্যটি তিনি তার গ্রান্ড ডিজাইন বইতে লিখেছিলেন। তিনি কিন্তু কোথাও ইশ্বর নাই শব্দটি ব্যবহার করেন নাই। ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং তার গ্রান্ড ডিজাইন ব্ইতে উল্লেখ করেছেন “ আমরা এমন এক মহাবিশ্বে বাস করি যেখানে জীবনের সম্ভব হয়েছে, কিন্তু এটা যদি একটু সুক্ষভাবেও আলাদা হতো, তাহলে আমাদের মতো সত্ত্বা এখানে টিকতো না। এই যে সুক্ষ সমন্ময় এ থেকে আমরা কি বুঝি? এতে কি প্রমানিত হয় যে মহাবিশ্ব আসলে কোন দয়াময় সৃষ্টিকর্তার মহান নকশার তৈরী? নাকি বিজ্ঞান আমাদের অন্য কোনো ব্যাক্ষা দিতে পারে? ” এবার আপনি বলুন তো বিজ্ঞান কি আমাদের কোন ব্যাক্ষা দিতে পেরেছে? আর যে ব্যাক্ষা দিয়েছে সে ব্যাক্ষা কি আদৌ ধোপে টিকেছে? নাস্তিক্যবাদী বিজ্ঞান বলে বসলো অসংখ্য বিগব্যাং এর মধ্যে এবং অসংখ্য মহাবিশ্বের মধ্যে একটি মহাবিশ্ব মিলে গেছে । যুক্তি হিসেবে বললো ইনফ্লেশন যখন শুরু হয়ে তখন অসংখ্য বিগব্যাং ঘটে এবং অসংখ্য মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়। তার ভিতরে আমাদের এই মহাবিশ্ব যোগ্য ছিলৈা তাই এমনটি হয়ে গেছে। ঠিক যেনো পূরুষের শুক্রানুর দৃষ্টান্ত দিয়ে উদাহরন দিলো। কিন্তু এই উদাহরনও কিন্তু সত্যের পথে দেখায় না। আসলে অসংখ্য শুক্রানুর মধ্যে একটি শ্রক্রানু ডিম্বানুকে নিষিক্ত করে। সব শুক্রানুই তো ডিম্বানুর দিকে যাত্রা করে কিন্তু সকলে ডিম্বানুকে পাই না কেনো? আর কেনোই বা সেই শুক্রানু পায়। সঠিক সত্য হলে ওই শুক্রানুটি নির্ারিত ছিলো। সে নিধারিত ছিলো বলেই তার গতিটি ছিলো পারফেক্ট। তার গতিটি নিধারিত ছিলো বলেই অসংখ্য শুক্রানুর মধ্যে সেই ডিম্বানুর কাছে পৌছতে পারে। ঠিক তেমন অসংখ্য মহাবিশ্বের মধ্যে এই মহাবিশ্ব নিধ্যারিত পরিকল্পিত ছিলো বলেই সে বাসযোগ্য মহাবিশ্ব গঠন করেছে। এই সকল বিষয় দৈবক্রমে নাকি পরিকল্পিত এই সব ভাবতে গিয়েই স্যার মার্টিন রীস এর লিখিত “দি সিক্স নাম্বার” নামের এ্কটি বই লিখলেন।বই টি বেশ আড়োলন করে তুলেছিলো। তিনি তার বইতে উল্লেখ করেছেন- “এই মহাবিশ্বের কতিপয় ধ্রুবক এর মান এমন কেনো? এতটাই রহস্যময় যে এই ধ্রুবকের মান এমন হওয়ার দরকার ছিলো মানুষের আর্বিভাবের জন্য। যদি এমন না হয়ে অন্যরকম হতো তবে এই মহাবিশ্বটাকে আমরা যেভাবে দেখছি সেভাবে হয়তো দেখা হতো না। ধ্রুবক গুলোর মান এমন না হলে প্রানের নান্দনিক স্পন্দন হতো না এই পৃথিবীতে!” অতএব আপনারা নাস্তিকরা যতই লটর পটর করেন না কেনো এই মহাবিশ্ব জুড়ে এমন অসংখ্য প্রমান বিদ্যমান যা থেকে প্রমানিত হয় এ মহাবিশ্বটা মানুষকে উদ্দেশ্য করেই নিমিত হয়।কারন মানুষ মহাবিশ্নে রাম রাজত্ব করবে।
স্টিফেন ডব্লিু হকিং সাহেব তার গ্রান্ড ডিজাইন বইতে বলেছেন “অন্যেরা বিশ্বাস করতো মহাবিশ্বের একটা সূচনা ছিলো এবং এই সূচনাকে তারা ঈশ্বরের অস্তিত্বের বড় নিদর্শন হিসেবে উপস্থাপন করতো। মহাবিশ্বের সুচনাতে কোনো ইশ্বরের সবকিছুকে ঠিকঠাক মতো শুরু করিয়ে দেবার প্রয়োজন নেই।” কারন হিসেবে তিনি বলেছেন “মহাজাগতিক নিয়ম। এই নিয়মই মহাবিশ্বকে সৃষ্টি করেছেন। অতএব শুরু তে ইশ্বর নামক কাউকে মহাবিশ্ব শুরু করিয়ে দেবার প্রয়োজন নেই।” আচ্ছা না হয় আমি মেনেই নিলাম । আমি মেনে নিলেও কি তার এই বক্তব্যের সাথে কোন সংঘাত থাকে? আমি তো দেখি থাকে না। কারন হিসেবে আমরা জানি তিনি যখন কোন কিছু সৃষ্টি করতে ইচ্ছা করেন তখন বলেন হও আর তা আপনা আপনি তা হয়ে যায়। সৃষ্টি করতে সম্পূনভবে ঈশ্বরের অংশগ্রহন ব্যতিরেকেই তো সৃষ্টি সম্ভব! তার হও বলাতে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হতে পারে। শুধু প্রয়োজন নিয়ম। পাঠক এবার আসি নিয়ম বা সুত্র সংক্রান্ত বিষয়ে। পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম নীতিগুলো আসলে কী? এবং এর উদ্ভব কীভাবে ঘটতে পারে? এটা এখনো বিজ্ঞানীদের গবেষণার পর্যায়ে। শূন্যতার মধ্যে যদি কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন ঘটে তবে কোয়ান্টাম বলবিদ্যার সূত্রগুলোই বা আসলো কোত্থেকে?’। ‘কে নাজিল করল এই সব নিয়ম?’ খুব স্বাভাবিক প্রশ্ন? সাধারন শুন্যতা কি করে সৃষ্টির সকল নিয়ম কানুন পেলো? স্পেসশূন্যতা এবং সময়শূন্যতার যে পরমশূন্য অবস্থা থেকে আমাদের এই মহাবিশ্ব এসেছে সেই শূন্যতা থেকে মহাবিশ্বের উৎপত্তি তো বিজ্ঞানের কিছু সূত্র মেনেই আসতেছে। তাহলে এই শুন্যতা কি করে এই সকল নিয়ম কে নির্ধারন করে দিতে পারে! অথবা তাতে মহাকর্ষ, কিংবা কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মত রীতি গুলো বলবত থাকে কি করে? ঐগুলো কি এমনি এমনি সেই শুণ্যের আদলে বসে গেছে? এমনি অসংখ্য প্রশ্নের সঠিক উত্তর বিজ্ঞান আজো পর্যন্ত দিতে ব্যার্থ। কিন্তু আল কোরআন বলে “আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সমস্ত কিছুই ধ্বংশশীল। বিধান তাহার এবং তাহারই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হইবে।”(২৮:৮৮) যার অর্থ দাড়ায় চিরন্তন একটি সত্ত্বা যা কখনও ধ্বংশ হয় না এবং তারই বিধান বা নিয়ম দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই সকল কিছু। অতএব স্টিফেন ডব্লিউ হকিং সাহেব যে নিয়ম বা সুত্রের উপর ভর করে সমস্যার সমাধান করতে চান। সেই নিয়মটা প্রকৃতি প্রদত্ত। আল্লাহ প্রদত্ত। অতএব আল্রাহ হও বললেই নিয়ম জারী হয় এবং বস্তুর উদ্ভব হয়।
এখন আপনি কি বলতে চান আল্রাহ হও বলেন নাই? বলতে পারেন নাই। আল্লাহ হও বলতে পারেন। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞান তো এমনই একটি পয়েন্ট দাড় করিয়ে ফেলেছে।স্বনামধন্য বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আন্দ্রে লিন্ডে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন করেছেন ইনফ্লেশন সবদিকে সমভাবে একই সঙ্গে এতসুক্ষভাবে সম্প্রসারিত হলো কি করে? তিনি জোর দিয়ে বলেন একটি আদেশ এর প্রয়োজন ছিলো যে আদেশ বা কমান্ডের কারনেই মহাবিশ্ব এত সুক্ষভাবে বেড়ে উঠতে পারে। আন্দ্রে লিন্ডের ভাষায়-Why is the universe so big? If one takes a universe of a typical initial size given by the Planck length and a typical initial density equal to the Planck density, then, using the standard big bang theory, one can calculate how many elementary particles such a universe might encompass. The answer is rather unexpected: the entire universe should only be large enough to accommodate just one elementary particle or at most 10 of them. It would be unable to house even a single reader of Scientific American, who consists of about 1029 elementary particles. Obviously, something is wrong with this theory. The fourth problem deals with the timing of the expansion. In its standard form, the big bang theory assumes that all parts of the universe began expanding simultaneously. But how could all the different parts of the universe synchronize the beginning of their expansion? Who gave the command? অথচ আন্দ্রে লিন্ডের ভাষায় একটি আদেশের দরকার ছিলো। মহাবিশ্ব শুরুর সময় অথাৎ বিগব্যাংগ এর সময় এমন কোন আদেশদাতার প্রয়োজন ছিলো যার কমান্ড মহাবিশ্ব শুরুর গতিটি নিখুত ও নির্ভূল করে তোলে। এই গতিটি এতটাই নিখুত ও এতটাই সুক্ষ ছিলো যে একজন পরিকল্পনাকারীর গানিতিক মাপ না থাকলে এই মহাবিশ্ব কোনভাবেই সৃষ্টি হতে পারতো না।
আপনার আর কিছুই জবার দেওয়ার প্রয়োজন মনে করলাম না। কারন ওগুলো আজিজ সুপার মাকেটের আতেলি মারকা স্বস্থা জ্ঞান।
১০| ১৩ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:২৫
জ্যাকেল বলেছেন: মানুষের মধ্যে একটা ভয়াবহ মানসিক রোগ আছে যে সে যাহা বিশ্বাস করে তাহা অন্যের নিকট অকাট্য হিসাবেই বর্ণনা করতে চায়। একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী যেমন হরে রাম, হরে কৃষ্ণের মহাত্ম প্রকাশ করতে চায় হোক যতই ক্রটিযুক্ত সে উহা বলবেই।
ঠিক তেমনি উপরে একজন খুব চেস্টা করে গেলেন যে মানুষের এই বুঝ, জ্ঞান, মস্তিষ্ক সবই প্রাকৃতিক নিয়মে সৃষ্টি। অথচ সামান্য একটা জীবকোষে যে কি বিশাল আকারের টেকনোলজি তৈয়ার আছে উহা কি এইসকল মুর্খ জানে না? দৈবক্রমে বলিয়া একটা শব্দ পাওয়া গেছে। এটা দ্বারা কি সহজে স্রষ্টার কারসাজি অস্বিকার করা যায়। আরে বেটা তুই যদি দেখস সবই দৈবক্রমে হয় তাইলে দৈবক্রমে এই দুনিয়ার সব দুঃখ দারিদ্র কেন যায় না? কেন একমাত্র মানুষ জাতিকেই সব চিন্তা মাথায় নিয়ে দুনিয়া পরিচালনা করতে হয়? কেন এই সভ্যতার সৃষ্টি হইলো? কেন কম্পিউটারে বসে ব্লগ লেখাটা দৈবক্রমে হই না?
১৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১:৫১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সহমত।
১১| ১৩ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৪২
সাসুম বলেছেন: ব্লগে এসে নতুন নতুন জ্ঞান আহরন করতে খুব ভাল লাগে। এই দুনিয়া যে একজন মহা পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে সেটা এতদিন কোন প্রমান করতে পারেনি কেউ।
অবশেষে আপনার লেখায় সেই সব প্রমান পেলাম। দুনিয়ার বাকী বিজ্ঞানীরা আপনার মত এগিয়ে এলেই ইসলাম যে একটা বৈজ্ঞানিক ধর্ম এবং বিজ্ঞান যে ইসলাম মেনে চলে সেটার প্রমান সকলের কাছে আরো ভাল ভাবে ফুটে উঠত।
জ্ঞান বিজ্ঞানের এহেন অবদানের জন্য আপনাদের মত বিজ্ঞানীদের অবদান সোনার অক্ষরে লিখা থাকবে ইতিহাসের পাতায়।
জাজাকাল্লা খায়রান ভাইজান।
১৪ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:০০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ব্লগে এসে নতুন নতুন জ্ঞান আহরন করতে খুব ভাল লাগে। এই দুনিয়া যে একজন মহা পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে সেটা এতদিন কোন প্রমান করতে পারেনি কেউ। অবশেষে আপনার লেখায় সেই সব প্রমান পেলাম।
এই সব প্রমান আজকাল করা হয় নাই। পল ডেভিস এর গড এন্ড নিউ ফিজিক্স বই টি তো আজকে প্রকাশ হয় নাই। Paul Davies, God and the New Physics, New York: Simon & Schuster, 1983, জর্জ গ্রিন স্টেইন এর সিম বায়োটিক ইউনিভার্স আজকের বই নয়। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আপনাদের নাস্তিক্যবাদী বিজ্ঞানীগনের ডিস্টার্ব আস্তিক্যবাদী বিজ্ঞানীদের মন ভেঙ্গে দেয়। প্রচারে নিরুৎসাহিত করে।
বিজ্ঞানী ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং তার গ্রান্ড ডিজাইন ব্ইতে উল্লেখ করেছেন “ আমরা এমন এক মহাবিশ্বে বাস করি যেখানে জীবনের সম্ভব হয়েছে, কিন্তু এটা যদি একটু সুক্ষভাবেও আলাদা হতো, তাহলে আমাদের মতো সত্ত্বা এখানে টিকতো না। এই যে সুক্ষ সমন্ময় এ থেকে আমরা কি বুঝি? এতে কি প্রমানিত হয় যে মহাবিশ্ব আসলে কোন দয়াময় সৃষ্টিকর্তার মহান নকশার তৈরী? নাকি বিজ্ঞান আমাদের অন্য কোনো ব্যাক্ষা দিতে পারে? ” এবার আপনি বলুন তো বিজ্ঞান কি আমাদের কোন ব্যাক্ষা দিতে পেরেছে? বলুন কি ব্যাক্ষা দেবেন কেনো এত সুক্ষ সমন্ময়?
স্যার মার্টিন রীস এর লিখিত “দি সিক্স নাম্বার” নামের এ্কটি বইতে তিনি উল্লেখ করেছেন- “এই মহাবিশ্বের কতিপয় ধ্রুবক এর মান এমন কেনো? এতটাই রহস্যময় যে এই ধ্রুবকের মান এমন হওয়ার দরকার ছিলো মানুষের আর্বিভাবের জন্য। যদি এমন না হয়ে অন্যরকম হতো তবে এই মহাবিশ্বটাকে আমরা যেভাবে দেখছি সেভাবে হয়তো দেখা হতো না। ধ্রুবক গুলোর মান এমন না হলে প্রানের নান্দনিক স্পন্দন হতো না এই পৃথিবীতে!” বলেন নাস্তিক ভাই, বলেন প্রশ্নের উত্তর দেন? কেনো ধ্রুবকগুলোর মান এমন।
আচ্ছা আপনার কাছে একটি প্রশ্ন করি। আমাদের সৌরজগত। সুর্য থেকে পৃথিবীর দুরত্ব। এটাকে বলে গোল্ডলিক্স জোন। অথাৎ এক মিটার আগেও নয় এক মিটার পরেও নয়। ঠিক এতটুকু দুরত্বে থাকার কারনে পৃথিবীতে পানি তরল আকারে গঠিত হলো? এক মিটার আগে পানি বাষ্প আকারে পরমানু আলাদা হয়ে যেতো উড়ে যেতো। এক মিটার পরে হলে বরফ হয়ে যেতো। পানিতো মহাবিশ্বে অসংখ্য গ্রহে আছে। তরল পানি নেই। কারন হলো দুরত্ব। খাপে খাপে মিলে গেলো।
অথাৎ একটি নক্ষত্র থেকে একটি গ্রহ যে দুরত্বে অবস্থান করলে পানি তরল আকারে গঠিত হয়। আমাদের পৃথিবী ঠিক নির্ধারিত অবস্থানে অবস্থিত কেনো?
১২| ১৩ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৫৩
সোনাগাজী বলেছেন:
নামকরা বিজ্ঞানীদের লেখায়, আপনার ২ পয়সার বক্তব্য যোগ করে, লেখাগুলোর ১২টা বাজাবেন না।
১৪ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:০১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনার মতো চুলকানী রোগ গ্রস্থ পাবলিকের প্রশ্নের এ্যান্সার দেওয়ার মানসিকতা আমার নেই। আমার কোন ভূল আছে নাকি তাই বলেন।
১৩| ১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ১:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: পৃথিবীতে সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ আমি বলবো আইনস্টাইন। তিনি তার আবিস্কার দিয়ে পুরো পৃথিবী পাল্টে দিছেন। তার পদাঙ্ক অনুসরন করে হকিং সহ অজস্র বিজ্ঞানী পৃথিবীর মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আলোর জগতে।
১৪ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:০৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কেনো ভাই আইনস্টাইন কি বলে গেছেন আল্লাহ ইশ্বর নেই। ওসব বাজে কথা। আপনার হকিং সাহেব কি বলে গেছেন আল্রাহ নেই। অযথা ব্লগে লটর পটল করেন কেনো? কে আলো ছড়াবে আর কে আলো ছড়াবে না সেটা কি আপনার কাছে আমি জানতে চেয়েছি? আমার লেখার মধ্যে কোন ভূল আছে কিনা এ প্রসঙ্গ বলুন। আপনার ওসব বক্তব্যের জন্য আলাদা পোষ্ট তৈরী করুন।
অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা। বিষয়বস্তু ঠিক করে কথা বলুন। আপনি যে টা বলছেন সেটা পোণ্ট আকারে বলুন।
১৪| ১৪ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:৩৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: মহাবিশ্ব সুশৃঙ্খল নয়, যা কিছু সুশৃঙ্খল দেখছেন সেটাও মহাবিশ্বের বিশৃঙ্খলার অংশ। এই পৃথিবীতেই তো কতো প্রাকৃতিক বিশৃঙ্খলা ঘটে প্রতিনিয়ত। একটা মহাবিশ্বকে আপনি সুশৃঙ্খল বলতে হলে আপনাকে আরেকটা মহাবিশ্বের সাথে তুলনা করে বলতে হবে। আপনি যখন অন্য আরেকটা বিশৃঙ্খল মহাবিশ্ব দেখিয়ে তুলনা করতে পারছেন না ততক্ষণ পর্যন্ত এই মহাবিশ্বকে সুশৃঙ্খল বলতে পারবেন না।
১৪ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৩৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি সম্ভবত নতুন নাস্তিক। তাই এই ক্ষেত্রে সুশ্ৃংখল অর্থটি বুঝতে পারেন নি। অভিজিৎ রায়ের লেখা পড়ে সুশৃংখল বিষয়টি অন্যদিক নিয়ে গিয়ে বিশৃংখলা শব্দটি যোগ করেছেন।
আপনি আমাকে মহাব্শ্বি সুশৃংখল নয় বলে যে জ্ঞান দিছেন। সেই জ্ঞান নিয়ে আমি কি করবো? বরং আপনি বিশিষ্ট বিজ্ঞানী লন্ডনের বিখ্যাত ইউনির্ভাসিটি ক্যামব্রিজ ইউনিভাসিটির ফিজিস্ট পল ডেভিসকে দিবেন। তাকে বলবেন একটা মহাবিশ্বকে আপনি সুশৃঙ্খল বলতে হলে আপনাকে আরেকটা মহাবিশ্বের সাথে তুলনা করে বলতে হবে। আপনি যখন অন্য আরেকটা বিশৃঙ্খল মহাবিশ্ব দেখিয়ে তুলনা করতে পারছেন না ততক্ষণ পর্যন্ত এই মহাবিশ্বকে সুশৃঙ্খল বলতে পারবেন না। সুশৃংখল শব্দটি তো আমি যোগ করি নাই। এটি পল ডেভিস তার “গড এন্ড নিউ ফিজিক্স” বইতে উল্লেখ করেছেন। আমি আপনাকে পল ডেভিসের উইকপিডিয়া তুলে ধরলাম। প্রয়োজনে গুগুল করেন তার মোবাইল নাম্বারও পাওয়া যাবে। আপনি তাকে ফোন করে বলেন মহাবিশ্ব সুশৃংখল নয়। আপনি আপনার গড এন্ড নিউ ফিজিক্স বই থেকে মহাবিশ্ব সুশৃংখল শব্দটি বাদ দিয়ে দেন।
https://en.wikipedia.org/wiki/Paul_Davies
১৫| ১৪ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:১৮
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: আপনার একাডেমিক পড়াশোনা কতদূর ?
১৪ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪৩
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: তবে নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করি নাই। খুব বেশি লেখাপড়াও করি নাই।
লেখাপাড়ার কথা জানতে চাইছেন কেনো ভাই। চাকরী দেবেন নাকি?
অথবা আমার লেখার কোন সমস্যা আছে নাকি ভাই?
১৬| ১৪ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:৩৯
সোনালি কাবিন বলেছেন: আফসুস !! এত শক্তিমান লেখক বিজ্ঞানীর কদর অনেকেই বুঝলো না । উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে বলছি বা অনুরোধ করছি যে, উনাকে জায়গামত স্থাপন করা উচিত ।
১৪ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: অন্তত আপনি আমাকে বুঝতে পেরেছেন জেনে আমি খুব খুশি হয়েছি। “শক্তিমান লেখ “ শব্দটি আমাকে আরো বেশি উৎসাহিত করবে। দোয়া করেন আমি যেনো আরো বেশি লিখতে পারি।
১৭| ১৪ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:১১
নীল আকাশ বলেছেন: শুনুন, এইসব টপিক নিয়ে লিখে গেলে অনেক জ্ঞানশূন্য কিংবা জ্ঞানপাপী এসে পোস্টে বিভিন্নভাবে গড়া দেবে। অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করে আপনাকে ও পোস্টকে ডিসট্র্যাক্ট করা চেষ্টা করবে।
আপনি এইসব মন্তব্য এড়িয়ে যাবেন। এরা প্রতিমন্তব্য পড়তে আসে না আসে। আসে ঝামেলা পাঁকাতে।
আপনার এত সুন্দর একটা পোস্টে অযথা একগাদা ফালতু মন্তব্য দেখলাম। যেহেতু ধর্মীয় ঘেষা তাই এইসব আপদ এসে ঝামেলা পাঁকাচ্ছে। কিন্তু আপনি যদি ধর্ম বিরোধী কোন পোস্ট দিতেন তাহলে এসে আপনার পিঠ এরাই চাপ্রে দিত। ব্লগে এদের চিনে রাখুন। কাজে লাগবে।
আপনার ব্লগ বাড়িতে আগে সম্ভবত আমি আসিনি। আপনার আরো পোস্ট পড়ার ইচ্ছে আছে। মনে রাখবেন আল্লাহ ভাল কাজে সহায়তা করে এবং খারাপ কাজে শয়তান সহায়তা করে।
শুভ কামনা।
১৪ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
১৮| ১৪ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:১২
নীল আকাশ বলেছেন: যথাযথ সূত্র উল্লেখ করার পরেও যারা লেখার মান নিয়ে কিংবা সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন করে তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন।
১৪ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমাকে জায়গামতো স্থানে পাঠানোর মন্তব্য কেউ কেউ করছে। বলেন আর কি বলবো। তবে আল্লাহ ধেয্যশীলদের পছন্দ করেন।
১৯| ১৪ ই জুন, ২০২২ দুপুর ২:৩৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আমাদের সৌরজগত। সুর্য থেকে পৃথিবীর দুরত্ব। এক মিটার আগেও নয় এক মিটার পরেও নয়।
সাসুমের কমেন্টের উত্তরে এটা কি বললেন? কোন মাদ্রাসা থেকে লেখাপড়া করেছেন
বিজ্ঞান সম্মন্ধে কোন ধারণা বাদেই ইউটিউবের ওয়াজ শুনে বিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করলে যা হয়।
আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি সুর্য থেকে পৃথিবীর দুরত্ব মোটেই নির্দিষ্ট নয়।
আবর্তন গতি পথটিও সুসম নয়। অনেকটা ডিম্বাকৃতি। ডিম্বাকৃতিও বলা যায় না, বৃত্যটি ধুমকেতুর পথের মত মত এত লম্বা নাহলেও জটিল লম্বাটে বৃত্যাকৃতি ভাবে আবর্তিত হয়। জানুয়ারিতে পৃথিবী সুর্যের সবচেয়ে কাছে আসে।
প্রতি বছরই পরিবর্তিত হচ্ছে। ইহার ডিফারেন্স ১ মিটার নয়, মিলিয়ন কিলোমিটার। অল্প কথায় বোঝানো মুসকিল। ওয়াজ না শুনে একটু লেখাপড়া করুন।
নীচে এটা গত বছরের হিসেব, আগামী বছর ভিন্ন ভিন্ন রকম হবে।
distance between Earth and the Sun changes during a year.
At its closest, the Sun is 91.4 million miles (147.1 million km) away from us.
At its farthest, the Sun is 94.5 million miles (152.1 million km) away.
১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:২৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমাদের সৌরজগত। সুর্য থেকে পৃথিবীর দুরত্ব। এটাকে বলে গোল্ডলিক্স জোন। অথাৎ এক মিটার আগেও নয় এক মিটার পরেও নয়। ঠিক এতটুকু দুরত্বে থাকার কারনে পৃথিবীতে পানি তরল আকারে গঠিত হলো? এক মিটার আগে পানি বাষ্প আকারে পরমানু আলাদা হয়ে যেতো উড়ে যেতো। এক মিটার পরে হলে বরফ হয়ে যেতো। পানিতো মহাবিশ্বে অসংখ্য গ্রহে আছে। তরল পানি নেই। কারন হলো দুরত্ব। খাপে খাপে মিলে গেলো।
অথাৎ একটি নক্ষত্র থেকে একটি গ্রহ যে দুরত্বে অবস্থান করলে পানি তরল আকারে গঠিত হয়। আমাদের পৃথিবী ঠিক নির্ধারিত অবস্থানে অবস্থিত কেনো?
আপনি কি আমার কথা বুঝতে পেরেছিলেন? গোল্ডলিক্স জোনের ক্ষেত্রে এক মিটার বুঝিয়েছি। ভাইগো সুর্য থেকে পৃথিবীর যে দুরত্বএর কথা আপনি বলেছেণ সেটা তো ক্লাস এইটের একটি স্কুলে পড়া ছেলেও তো জানে। আপনি যে দুরত্বের কথা বলেছেন সেটি তো সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব। কিন্তু যখন গোল্ডলক জোনের হিসাব ধরা হয় তখন স্বাভাবিকভাবেই সূয থেকে পৃথিবীর গড় দুরত্ব ধরা হয়( কক্ষপথের গড় দুরত্ব।)। গড় দুরত্ব তো বোঝেন? আমি এই গড় দুরত্বকে বুঝিয়েছি? আপনি ভূল করেছেন।
হেরিটেবল জোন বা গোল্ডলক জোন হওয়ার অন্যতম কারন হলো এই পৃথিবীর কক্ষপথের দুরত্ব। কক্ষপথের দুরত্বটা যদি কম বা বেশি হতো তবে সেই ক্ষেত্রে এই পৃথিবীতে পানি তরল থাকতো না।
তবে আমি মাদরাসায় পড়ি নাই ভাই। অথবা কোন হুজুরের ইউটিউব ভিডিও দেখেও কিচু শিখি নাই।
২০| ১৪ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১৩
সোনালি কাবিন বলেছেন: জনাব, দুঃখ পাইলাম । আমি কইলাম জায়গামত স্থাপন আর আপনি একজায়গায় উল্লেখ করলেন - জায়গামত পাঠানো । আপ্নি নিশ্চয় স্বীকার করবেন যে 'স্থাপন' আর 'পাঠানো'র মানে এক না ।
১৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১:৫২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ
২১| ১৪ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৫২
রানার ব্লগ বলেছেন: ভাই এইবার ইশ্বর বেচারা কে মাফ করুন । তাহাকে যে ভাবে আপনারা টানা হ্যাচড়া করছেন তাতে তিনি মহাবিশ্ব কেন সৃস্টি হলো এটা নিয়েই নিজেই বেকায়দায় পরে যাবেন ।
১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:২৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: “এই লোকদের সামনে সে অবস্থা এসে গেছে, যাতে খোদাদ্রোহিতা হতে বিরত রাখার বহু শিক্ষাপ্রদ উপকরণই নিহিত রয়েছে এবং এমন পূর্ণতাপ্রাপ্ত বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিও (বৈজ্ঞানিক আবিস্কার) রয়েছে যা উপদেশ দানের পূর্ণমাত্রায় পূরণ করে।” (৫৪:৪-৫ ‘আল-কোরআন)
২২| ১৪ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:১৫
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: বইগুলো কি নিজে সম্পূর্ণ পড়েছেন নাকি খালি আপনার প্রয়োজনীয় অংশগুলোর উদ্ধৃতি ব্যবহার করেছেন ?
১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৩১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি পড়ে না হয় আপনার মতো আপনার প্রয়োজনীয় অংশ গুলো গ্রহন করে আরেকটি পোষ্ট করে প্রমান করুন যে তারা আমার এই বিষয়বস্তুর উল্টা কথা বলেছেন। প্রমান করুন। প্রমান করুন আমার ....................।
২৩| ১৪ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পষ্টের সাথে আমার লেখার সামঞ্জস্য আছে।
১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৩৩
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি কি অবিজ্ঞানীদের কথা লিখেছি? নাকি আইনস্টাইন হকিং এক গ্রুপ আর পল ডেভিস, গ্রীন স্টেইনম্যান আলাদা গ্রুপ। আমি আসলে আপনার কথাই বুঝতে পারি নাই। ক্ষমা করবেন।
২৪| ১৪ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:১৩
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি কি মনে করে আমাকে নতুন নাস্তিক বলে সম্বোধন করলেন? আমি একটা যুক্তির কথা বললাম সেটা ভুল নাকি সঠিক সেটা বলবেন। কথাটি আপনি বলেননি কিন্তু আরেকজনের কথা এখানে আপনি উদ্ধৃতি দিয়েছেন কিন্তু ডিপেন্ড করতে পারছেন না এটা আপনার পোস্টকে অর্থহীন করে দিচ্ছে। কারন তার সে যুক্তির উপরেই আপনি পোস্টটি সাজিয়েছেন!
১৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১:৪৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ঠিক আছে। সরি।
কিন্তু সুশৃংথল মহাবিশ্ব এটি আমি কোথায় বললাম। জায়গাটি আমাকে ইন্ডিকেট করে দেন।
আমি আপনার প্রশ্নের এ্যানসার দেবো।
২৫| ১৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:২১
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: স্টিফেন হকিং-এর দ্য গ্রান্ড ডিজাইন গোঁজামিল, অপ্রমাণিত, নতুন বোতলে পুরাতন মদ ও হামবড়া তথ্যে ভরপুর। এই বইয়ের তথ্য নিয়ে বিতর্কে নিশ্চিত ভাব না ধরাই ভালো।
১৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১:৪৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সহমত। আমার কাছেও বইটির খুব বেশি গ্রহনযোগ্যতা নাই। ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং এর অন্যান্য বই এর থেকে এই বইটা সম্পূন আলাদা প্যাটানের কেনো যেনো আমার মনে হয় এই বই টি বেচারা বিজ্ঞানী লিখে নাই।
২৬| ১৫ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৩৯
নীল আকাশ বলেছেন: আপনার প্রতি মন্তব্যে কিংবা পাল্টা উত্তর দেয়া ভালো লেগেছে।
আপনাকে খোচাখুচি করে মনে হয় এরা বেশি একটা মজা পায়নি।
তবে আপনি এখন থেকে এদের নজরে থাকবেন।
শুভ কামনা।
১৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৪৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাাই।
২৭| ১৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:২৮
নূর আলম হিরণ বলেছেন: লেখক বলেছেন: "ঠিক আছে। সরি।
কিন্তু সুশৃংথল মহাবিশ্ব এটি আমি কোথায় বললাম। জায়গাটি আমাকে ইন্ডিকেট করে দেন।
আমি আপনার প্রশ্নের এ্যানসার দেবো।”
এই কথা গুলো দিয়ে কি বুঝিয়েছেন?
প্রকৃতই সৃষ্টির শুরুতে প্রকৃতির মাঝে একটি উদ্দেশ্য নিয়োজিত ছিলো প্রাণীজগত এবং মানুষ। এবং এই মানুষ সৃষ্টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের কারনে সৃষ্টিকূলে এতটা সুশৃংখলা নির্ধারিত রয়েছে। যদি মানুষ সৃষ্টিই স্রষ্টার উদ্দেশ্য না হতো তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এতটা সুক্ষ সমন্ময় থাকতো না। সুগভীর পরিকল্পনার ছাপ এতটা প্রকট আকারে দেখা দিতো না।
১৫ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৪৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সুশৃংখলা নির্ধারিত থাকা বলতে মহাজাগতিক সুৃক্ষসমন্ময় কেই বুঝিয়েছি। যেমন সুর্য থেকে পৃথিবীর দুরত্ব সঠিক দুরত্ব বলেই পৃথিবী হেবিটেবল জোনের তালিকায়। পৃথিবীর আয়তন এবং ভ্যান এ্যালেন বেল্টের সঠিক চুম্বকত্ব ক্ষমতা পৃথিবীর বায়ুমন্ডলকে নিদীষ্ট করে রাখছে। বায়মন্ডল আবদ্ধ হয়ে থাকছে একটি নির্দীষ্ট সীমানা পর্যন্ত শুন্যে হারিয়ে যেতে পারছে না। মহাজাগতিব গতির পারফেক্টনেস। আমাদের সৌরজগতের সঠিক অবস্থান। একটি ভল্টের মধ্যে আমাদের গ্যালাক্সির অবস্থান যেমন আশ্চর্য জনক আবার গ্যালাক্সির এক কোনে সৌরজগতের অবস্থান এ সকলকে কি আমরা দূঘটনা বলে কি কাটিয়ে দিতে পারি? পারি না। এ সকল বিষয়কে ই সুশৃংখলা বলতে বঝিয়েছি।
২৮| ১৫ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:২১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: এই পুরো অবজারভেবল ইউনিভার্সেল তুলনায় আপনি যে সৌরজগতের সুশৃংখল বা সূক্ষ্ম সমন্বয় বলছেন সেটা পরিমাপে কতটুকু? এই পুরো মহাবিশ্বের বালু পরিমান একটা অংশকে আপনি সূক্ষ্ম সমন্বয় বলছেন সেটা এই মহাবিশ্বে কাছে কোন কিছুই নয়! যেমন করে এটা সৃষ্টি হয়েছে আবার তেমনি কোন একটি উল্কাপিণ্ডের আঘাতে এই কথিত সমন্বয় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অথবা সূর্য নামক ধূলিকণাসম নক্ষত্রটি তার অন্তিম মুহূর্তে এসে ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই এটাকে এত বড় মহাবিশ্বের তুলনায় সূক্ষ সমন্বয় বা সুশৃঙ্খল বলাটা কতটুকু যৌক্তিক?
১৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১২:১০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এই মহাবিশ্বটি তো আমাদের ফুটবল খেলার জায়গা হিসেবে অনন্ত কাল ধরে রেখে দেওয়ার পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে সৃষ্টি করা হয় নাই। যে এটা ধ্বংশ হবে না বা এমন গ্যারান্টি আমি আপনাকে দিই নাই।
যেমন করে এটা সৃষ্টি হয়েছে আবার তেমনি কোন একটি উল্কাপিণ্ডের আঘাতে এই কথিত সমন্বয় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অথবা সূর্য নামক ধূলিকণাসম নক্ষত্রটি তার অন্তিম মুহূর্তে এসে ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই এটাকে এত বড় মহাবিশ্বের তুলনায় সূক্ষ সমন্বয় বা সুশৃঙ্খল বলাটা কতটুকু যৌক্তিক?
আপনি যে প্রসঙ্গ নিয়ে আমার সাথে কথা বলতে এসেছেণ তা আসলে কিছু একটা বলতে হয় তাই বলতে এসেছেন?
উল্কাপিন্ড দ্বারা পৃথিবী ধ্বংশ হবে না এমন কথা আমি আপনাকে বলি নাই। আল কোরআন বলছে “ তোমরা কি জান সেই আঘাতকারী কি? সেটি একটি প্রজ্জলিত জোতিস্ক?” অথবা আরেক জায়গা বলছে “ হে মানুষ তোমরা কি নিশ্চিত যে আমি তোমাদের উপর প্রস্তর খন্ড নিক্ষিপ্ত করবো না”। (প্রস্তরখন্ড মানে গুহানু বা এস্টেরয়েড এর আঘাত)
সূর্য নামক নক্ষত্রটি যে জ্বালানী শেষ করে ধ্বংশ হবে আপনার কি মনে হয় সে বিষয়টি আমি জানি না? আমি জানি। কিন্তু তাই বলে পৃথিবী ধ্বংশ হলো বা সুর্য ধ্বংশ হলো তাতে মহাবিশ্বের কি? মহাবিশ্ব তার জিবনীকাল অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত টিকে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আর পৃথিবী ধ্বংশ হয়ে গেলে যে মানুষ ধ্বংশ হয়ে যাবে এটাই বা আমরা কেনো ভাবছি এমনতো হতে পারে মানুষ আরেক গ্রহে বসবাস শুরু করলো বা সবত্র ছড়িয়ে যেতে পারে। মানুষের জ্ঞান বিজ্ঞান যথা আদমকে যা দান করেছিলো সেই জ্ঞান বিজ্ঞান নিয়ে আপনার যথেষ্ট সংশয় আছে। আমি বুঝতে পারছি।
এবার বলি “সুক্ষ সমন্ময়” শব্দ টি নিয়ে আপনার অভিযোগ। কারন সুক্ষ সমন্ময় বা সুশৃংখল নিয়ে প্রশ্ন করছেন এটাকে আমি হুদাই প্যাচাল মনে করি। কারন এই সুক্ষ সমন্ময় বিষয়টি আধুনিক বিজ্ঞানের একটি ফ্যাক্ট বলেই দেখা দিয়েছে। বাঘা বাঘা বিজ্ঞানী মহাবিশ্বের এই ফাইন টিউনড বিষয়টি মেনে নিয়েছে আর আপনি আমাকে এতদিন পর প্রশ্ন করছেন সূক্ষ সমন্বয় বা সুশৃঙ্খল বলাটা কতটুকু যৌক্তিক?
সূক্ষ্ম সমন্যুময়যুক্ত মহাবিশ্বের ভিত্তিটি হ'ল বেশ কয়েকটি শারীরিক ধ্রুবকের একটি সামান্য পরিবর্তন মহাবিশ্বকে আমূলভাবে আলাদা করে তুলবে। যেমন স্টিফেন হকিং উল্লেখ করেছেন, "বিজ্ঞানের আইনগুলি যেমন আমরা বর্তমানে জানি তাদের মধ্যে অনেকগুলি মৌলিক সংখ্যা রয়েছে, যেমন বৈদ্যুতিনের বৈদ্যুতিক চার্জের আকার এবং প্রোটন এবং ইলেকট্রনের জনগণের অনুপাতের মতো। ... লক্ষণীয় সত্য এই যে এই সংখ্যার মানগুলি জীবনের বিকাশকে সম্ভব করার জন্য খুব সূক্ষ্মভাবে সামঞ্জস্য করা হয়েছে বলে মনে হয়। বিজ্ঞানী ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং তার গ্রান্ড ডিজাইন ব্ইতে উল্লেখ করেছেন “ আমরা এমন এক মহাবিশ্বে বাস করি যেখানে জীবনের সম্ভব হয়েছে, কিন্তু এটা যদি একটু সুক্ষভাবেও আলাদা হতো, তাহলে আমাদের মতো সত্ত্বা এখানে টিকতো না। এই যে সুক্ষ সমন্ময় এ থেকে আমরা কি বুঝি? এতে কি প্রমানিত হয় যে মহাবিশ্ব আসলে কোন দয়াময় সৃষ্টিকর্তার মহান নকশার তৈরী? নাকি বিজ্ঞান আমাদের অন্য কোনো ব্যাক্ষা দিতে পারে? ”
বিজ্ঞান কিন্তু এখনও অবধি কোন ব্যাক্ষা দিতে পারে নাই।
টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নোবেল পুরস্কারপ্রান্ত বিজ্ঞান লেখক ও বর্তমান সময়ের আলোচিত নাস্তিক দার্শনিক স্টিভেন ওয়েইনবাগ বলেছেন “এমন একটা ধ্রুবক আছে একদম জীবন সৃষ্টির উপযোগী করেই সাজানো বলে মনে হয়। সেটা হল মহাজাগতিক ধ্রুবক বা কসমোলজিক্যাল কন্সট্যান্ট যা আসলে শুন্য স্থানের এনার্জিটিক ডেনসিটি। এর মান এর মান ধনাত্বক বা ঋনাত্বক হতে পারে বড় বা ছোট হতে পারে।যদি বড় বা ধনাত্বক হতো তবে বিশ্বসৃষ্টির পরের মূহুত্ব থেকেই সব পদার্থকে একে অপরের থেকে দুরে সরিয়ে দিতো যার ফলে পদার্থ একত্র হতে কোন সুযোগ পেতো না। পরে তা থেকে নক্ষত্র, গ্রহ বা প্রাণ তৈরী হতো না। আবার যদি এর মান ঋনাত্বক হতো তাহলে মহাকর্ষকে প্রতিরোধ করার কোন ক্ষমতাই তৈরী হতো হা এবং মহাবিস্ফোরনের সৃষ্টি কিচুক্ষনের মধ্যে তা আবার চুপসে যেত একে অপরের ঘাড়ে এসে পড়তো জীবন সৃষ্টি হবার পর্যাপ্ত সময় পেতো না। পর্যবেক্ষন থেকে দেখা গেছে আমাদের কসমোলজিক্যাল কন্সটেন্ট এর মান যথেষ্ট কম যা ফলে উপরোক্ত এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। অথচ প্রাথমিক ধারনা থেকে আমাদের ধারনা হয়েছিলো যে এর মান যথেষ্ট বড় হওয়া সম্ভব। এখনো আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয় যে কেন কসমোলজিক্যাল কনস্ট্যান্ট এর মান এত কম। কোনো সুত্র এখনো অবধি এর মান কম হবার ব্যাক্ষা দেয় নি। কিন্ত সাম্প্রতিক কিছু গবেষনায় প্রকাশিক তথ্য থেকে কিচুটা অনুমান করা সম্ভব কে আমাদের মহাবিশ্বে ধ্রুবকগুলোর মান এত নিখুতভাবে সজ্জিত “
স্যার মার্টিন রীস এর লিখিত “দি সিক্স নাম্বার” নামের এ্কটি বইতে তিনি উল্লেখ করেছেন- “এই মহাবিশ্বের কতিপয় ধ্রুবক এর মান এমন কেনো? এতটাই রহস্যময় যে এই ধ্রুবকের মান এমন হওয়ার দরকার ছিলো মানুষের আর্বিভাবের জন্য। যদি এমন না হয়ে অন্যরকম হতো তবে এই মহাবিশ্বটাকে আমরা যেভাবে দেখছি সেভাবে হয়তো দেখা হতো না। ধ্রুবক গুলোর মান এমন না হলে প্রানের নান্দনিক স্পন্দন হতো না এই পৃথিবীতে!”
আধুনিক বিজ্ঞানে ফাইন টিউনিং বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। এটি একটি ফ্যাক্ট। ফাইন টিউনিং নিয়ে একুট পড়াশোনা করেন সব বুঝতে পারবেন। সুক্ষ সম্ন্ময় কেনো বলছি? এ প্রশ্ন আপনার আমাকে করা মানাই না। আমি একটা ক্ষুদ্র মানুষ। বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীরা আপনার এই প্রশ্নের উত্তর বহু পূবেই দিয়ে দিয়েছে।
ছোটখাট কিছু লিংক দিলাম। সুক্ষ সমন্ময় কেনো বলা হয়? আর বিজ্ঞানীরা কেনো ফাইন টিউনিং বিষয়টি মেনে নিচ্ছে। সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সাচ করুন পড়াশোনা করুন তখন ঠিক বুঝতে পারবেন বিষয়টি। আমাকে এত বিষয় তুলে ধরে আপনাকে বোঝাতে হবে না।
https://plato.stanford.edu/entries/fine-tuning/
https://www.universetoday.com/153083/is-the-universe-fine-tuned-for-life/
https://www.sciencealert.com/we-could-have-a-new-way-to-explain-why-our-universe-is-as-finely-tuned-for-life-as-it-is
২৯| ১৬ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:২৪
রাসেল বলেছেন: আপনার বিষয়ের জন্য অনেক ধন্যবাদ. আশা করি রেফারেন্স সহ আরো লিখবেন। অনুগ্রহ করে বোকা মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নিরুৎসাহিত হবেন না।
১৬ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:০৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।
৩০| ২৪ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:১৩
জ্যাকেল বলেছেন:
আপনি যে এত ধৈর্য ধরে উত্তর দিচ্ছেন এটা প্রশংসনীয়!
২৬ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৩৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৮
শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল লাগলো পড়ে । আরও লিখুন ।