নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।
“আমি আকাশমন্ডল সৃষ্টি করেছি আমার শক্তি বলে এবং আমিই মহাসম্প্রসারণকারী। আর ভূমী! আমি উহাকে বিছাইয়া দিয়াছি। আমি কত সুন্দর প্রসরণকারী” (৫১.৪৭-৪৮)
“আমি আকাশমন্ডল সৃষ্টি করেছি আমার শক্তি বলে এবং আমিই মহাসম্প্রসারণকারী। আল কোরআনের এই আয়াতটি আমাদের বিজ্ঞানীদের উদ্ঘাটিত বেশ কয়েকটি বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের সত্যতা নিরুপন করে। আমি আকাশমন্ডল সৃষ্টি করেছি আমার শক্তিতে। আল কোরআনে প্রথমে আসমান সৃষ্টির প্রসঙ্গ কেনো এলো? বলতে পারেন। আর ভুমী আমি উহাকে বিছিয়ে দিয়েছি। একটি অদ্ভুদ উদাহরন। সিনেমা হলে যেমন আমরা পর্দা দেখি এবং সেই পর্দার উপর প্রক্ষিপ্ত আলোককনা গিয়ে পড়ে সেখানে রঙিন সিনেমা দেখা যায়। এই উদাহরনটি আমি দিলাম এই কারনে যে বিষয়টি ঠিখ এরকম। এমনি একটি ক্ষেত্র যার উপরে বস্তুগুলো বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাহলে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করুন। তিনি আসমানকে সৃষ্টি করেছেন শক্তি দ্বারা । অতএব আসমান বলতে টোটাল মহাবিশ্ব এর সীমানা বোঝানো হচ্ছে যা অদ্ভুদ এক শক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত অথবা এনার্জিটিক কোন কনাও হতে পারে। এমন এনার্জি বা শক্তিময় কনার মধ্যে বস্তুগুলো বিছেয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমন কনা কি হতে পারে যা দ্বারা একটি সীমানা গঠন করা হয়েছে?
বিজ্ঞানী হিগস ১৯৬৪ সালে শক্তি হিসেবে এমন একটি কণার ধারণা দেন, যা বস্তুর ভর সৃষ্টি করে। এটা এমন একটা উপাদান যার সাহায্যে ভরের উৎপত্তি সম্ভব হয় অথাৎ বস্তুকনা গুলো এক ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভর এবং এর ফলেই এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি সম্ভব হয়েছে। ধারনা করা হয়ে থাকে বিগ ব্যাং এর সাথে সাথে কিছু কনার উৎপত্তি ঘটেছিল যারা ছিল ভরবিহীন। কিন্তু পরবর্তীতে এরা ভর লাভ করে। আর মহাবিশ্বের সুচনালগ্নের এই ভরহিন কণার জন্য হিগস ফিল্ড নামক একটি সীমানা গঠন করে।
এ কণাটিই ‘ঈশ্বর কণা’ নামে পরিচিতি পায়। বিজ্ঞানী পিটার হিগস এর নামানুসারে এর নামকরন করা হয়। এই সীমানাকে আমি হিগস ফিল্ড ধরলাম কেনো? হিগস ফিল্ড ধরার যুক্তিসংগত কারন হলো হিগস ফিল্ড এমন একটা তাত্ত্বিক ক্ষেত্র যা অদৃশ্যমান এবং চুম্বক শক্তি এর মতো যা মহাবিশ্বের সীমানা নির্ধারন করে। হিগস ফিল্ডই একমাত্র ক্ষেত্র যে স্থানেই বস্তুকে বিছিয়ে দেওয়া যায় বা হিগস ফিল্ডের সাথে ইন্টেরেক্ট ঘটিয়ে এনার্জি থেকে ভর সৃষ্টি হয়ে বস্তু গঠন হয় । যেখানে হিগস ফির্ড নেই সেখানে বস্তু গঠন হয় না অথাৎ বস্তুর ভর পাইনা। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্চে হিগস ফিল্ডই একমাত্র ক্ষেত্র যা মহাবিশ্ব সম্প্রসারনের সাথে সম্প্রসারিত হচ্ছে । হিগস ফিল্ড যদি না থাকতো, তাহলে মহাবিশ্বে হয়তো আলো ছাড়া আর কিছুই থাকতো না। আমরা যাকে 'ম্যাস' বা 'ভর' বলি, কোন বস্তুরই সেই 'ভর' থাকতো না অথাৎ কঠিন আকারে তৈরী হতো না। কিন্তু এখন আমরা জানি যে, বস্তুর ভর কোত্থেকে আসে, সে সম্পর্কে আমরা এতদিন যে ধারায় চিন্তা করছিলাম, সেই চিন্তা সঠিক। কারন হিগস ফিল্ডের সাথে ডার্ক এনাজি, ডার্ক মেটাল এবং কোয়ান্টাম গ্রাভিটির একটি সম্পৃক্ততা আছে। হিগস ক্ষেত্রই পরমাণুর ভর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে মহাবিশ্ব গঠনের কারন। তাছাড়া হিগস্ ফিল্ড ই হলো আকাশমন্ডল শব্দটির একমাত্র গ্রহণযোগ্য ব্যাক্ষা।
প্রিয় পাঠক, এবার আসুন আল কোরানের এই আয়াতটির পরবতী অংশে ‘এবং আমিই মহাসম্প্রসারণকারী।’ তাহলে এখন প্রশ্ন এই সীমারেখার মধ্যে এমন কিছু আছে যা এই সীমারেখাকে মহাসম্প্রসারন করতে বাধ্য করছে? এই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আন্দ্রে লিন্ডে। তিনি উপলদ্ধি করতে পারছেলেন সৃষ্টির শুরুতে একটি একটি অদৃশ্য শক্তির আগমন ঘটেছিলো যে শক্তি সমগ্র মহাবিশ্বকে সকল দিক থেকে একই সাথে সমান ভাবে সম্প্রসারন করেছিলো। এই সম্প্রসারনের পিছনে একটি শক্তি কাজ করেছিলো? যে শক্তি বলে এই মহাবিশ্ব এত বিশাল হয়েছে এবং এখনও সম্প্রসারিত হয়েই চলেছে। আধুনিক বিজ্ঞানের বর্তমান উদ্ঘাটিত তথ্য উপাত্ত দ্বারা এটা প্রমানিত হচ্ছে যে মহাবিশ্ব সম্প্রসারনের পিছনে কাজ করছে একটি গুপ্ত শক্তি। তারা দীর্ঘদিন ধরে উপলদ্ধি করতে লাগলেন মহাকর্ষের টানে বস্তুর প্রসারনের হার কমে কিন্ত তা না ঘটে, ঘটছে ঠিক তার উল্টাটা। কোন রহস্যময় শক্তির প্রভাবে এই মহাকর্ষ বলকে পাশ কাটিয়ে বস্তুর ক্রমশ প্রসারণই ঘটছে। ব্যাপক পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ ও গবেষনার একপর্যায়ে বিজ্ঞানীরা এই সীদ্ধান্তে উপনীত হন এই সমগ্র মহাবিশ্বের ৭৩% অংশজুড়ে গুপ্ত একটি শক্তি বিদ্যমান। বিজ্ঞানীরা তার নামকরণ করলেন “ডার্ক এনার্জি”এবং এই গুপ্ত শক্তিই মহাকর্ষ বলকে পাশ কাটিয়ে মহাবিশ্ব প্রসারণের কারন।
বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আন্দ্রেলিন্ডে বিগ ব্যাং থিওরির কিছু ভূল ভ্রানিত তুলে ধরতে তার একটি লেখাতে তিনি বলেন “ অতি উত্তপ্ত অবস্থা থেকে যদি মহাবিশ্বের উৎপত্তি হয়ে থাকে তবে এটি সবচেয়ে বেশি হলেও ১০ টি কনিকা তৈরী করতে পারে না। কিন্তু মহাসম্প্রসারনের এই চুড়ান্ত পরিনতি তাকে এত বিশালত্বের পরিমাপে বর্ধিত করলো কি করে? শুন্য হতে উদ্ভুত কনিকা কি করে ভয়াবহ মূর্তীতে জেগে ওঠেতে পারে মহাবিশ্বরুপে ? এমনকি ষ্টার্ন্ডাড বিগ ব্যাং তত্ত্ব এই সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হচ্ছিলো না। এই প্রশ্নের উত্তর ভাবতে গিয়েই বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এ্যালেন গুথ ধারনা করলেন কিছু কিছু সময় মধ্যাকর্ষন শক্তি শুধু ধ্বনাত্বক চাপই সৃষ্টি করে না ঋনাত্বক চাপও সৃষ্টি করে। আর এই ঋনাত্বক চাপ সৃষ্টির জন্য মহাবিশ্বের শুরুতে একটি মেকি ভ্যাকুয়ামের প্রয়োজন ছিলো। এই মেকি ভ্যাকুয়ামের ঋনাত্বক চাপ মহাবিশ্বকে এত দ্রুত বর্ধিত করে প্রসারিত করে দিতে পেরেছে। এই মেকি ভ্যাকুয়ামের তীব্র বির্কষন মূলক শক্তির মান আর্কষন শক্তির ৩ গুন। সুপ্ততাপের মাধ্যমে অতিরিক্ত শক্তির যে যোগানটা এসেছিলো সেটাই দিয়েছিলো বির্কষন মুলক ধাক্কা। এই তীব্র বিকর্ষন তৈরী হয়েছিলো বলেই মহাবিশ্ব এতটা দ্রুত সম্প্রসারিত হতে পেরেছিলো। যে ধাক্কা মহাবিশ্বকে তার ক্ষুদ্র প্লাঙ্ক লেন্থ থেকে ১০(৩৫) সেকেন্ডের মধ্যে মহাবিশ্বকে বাড়িয়ে দিলো ১০(২৬) গুনিতক হারে। বিজ্ঞানী এ্যালেন গুথের ধারনা বিকষর্ণমূলক কোন পদার্থ থেকে এই ইনফ্লেশন ঘটতে পারে। ইনফ্লেশনের এই প্রাথমিক বীজ আসতে পারে আনুবীক্ষনিক আকারের কোন পদার্থ থেকে। এ্যালেন গুথ তার গবেষনায় দেখিয়েছিলেন মাত্র এক আউন্স ওজনের একটি ভর থেকে ইনফ্লেশন যাত্রা শুরু করতে পারে। আর সেই থেকে ধারনা করা হয় বিগব্যাংগের পূর্বে কিছু একটা ছিলো অথবা বিগব্যাং ইনফ্লেশনের কারন নয় বরং ইনফ্লেশনের কারনে বিগব্যাং ঘটেছিলো । অতএব বিগব্যাংই ঘটনার মূল কারন নয়।
বিজ্ঞানী এ্যালেন গুথের মতে আমাদের চোখের পলক ফেলতে যে সময় লাগে তার চেয়ে ঢের কম সময়ে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিলো। আল কোরআন ঠিক একই কথা বলছে “ আমার আদেশ একবারই মাত্র যাহা চোখের পলকের ন্যায়- আল কামার আয়াত ৫১” । এত কম সময়ে এই সম্প্রসারন কিভাবে ঘটতে পারে? এই গবেষনা করতে গিয়ে এ্যালেন গুথ দেখেন’ সুপ্ততাপের মাধ্যমে অতিরিক্ত শক্তির যে যোগানটা এসেছিলো সেটাই দিয়েছিলো বির্কষন মুলক ধাক্কা আর এই ধাক্কার ফলে মহাবিশ্বটি সম্প্রসারিত হয়েছে। এখনও পযর্ন্ত সেই সম্প্রসারণ মহজগতে বিরাজমান।
প্রিয় পাঠক, এবারে আমরা এই আয়াতের পরবতী অংশ নিয়ে আলোচনা করবো। “আর ভূমী! আমি উহাকে বিছাইয়া দিয়াছি। আমি কত সুন্দর প্রসরণকারী ”। আয়াতের এই অংশে ভুমী বলতে কিন্তু পৃথিবী বোঝানো হয় নাই। আয়াতের এই অংশে ভূমী বা জমিন বলতে বোঝানো হয়েছে মহাজাগতিক সকল বস্তু সমূহকে। জমিন বলতে এখানে বস্তু সমূহকে বোঝানো হয়েছে। মহাকাশে যত গ্যালাক্সি থেকে শুরু করে গ্রহ,উপগ্রত, স্টার, নেবুলা আছে এককথায় যা কিছু বস্তু জগৎ এই সকল বস্তু সমূহকে জমিন বলা হচ্ছে। যে বিষয়টি আমরা লক্ষ্য করছি সেই বিষয়টি হলো ভূমী উহাকে বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে অনেক তাফসীরকারক বা অনেকেই ভূমী শব্দটি বলতে পৃথিবী বোঝাচ্ছেন কিন্তু এটি ঠিক নয়। কারন পৃথিবীকে বিছিয়ে দেওয়া যায় না। আবার অনেকেই এখানে ভূমন্ডল আবার কেউ জমিন জাতীয় শব্দ অনুবাদ করছেন। ভূমন্ডল বলেন আর জমিন বলেন যা বিছিয়ে দেওয়া যায় বা ছড়িয়ে দেওয়া যায় অর্থে সমগ্র মহাবিশ্নের বস্তুজগত বোঝানো হয়েছে। মহাবিশ্নে যা কিছু বিরাজিত যা কিছু দেখা যায় অর্থে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে কানাডার ফিজিক্স এন্ড এ্যাষ্ট্রোনমি ডিপার্টমেন্ট এর বিজ্ঞানীগন ‘কিভাবে এই মহাবিশ্ব নাস্তি থেকে প্রকাশিত হলো, কিভাবে এতবড় হলো এই বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষনা শুরু করেন। বিখ্যাত সায়েন্স ম্যাগাজিন Physics-Astronomy ‘ওয়াটারলু ইউনির্ভানিটির প্রফেসর মির ফজল এর সাক্ষাতকার গ্রহন করেন। ম্যাগাজিনটির সংবাদের কিছু অংশ তুলে ধরলাম---
A group of scientists led by Prof Mir Faizal, at the Dept of Physics and Astronomy, at the University Of Waterloo, Canada, has positively applied the theory to the very creation of existence itself. Prof Mir Faizal: “Virtual particles contain a very small amount of energy and exist for a very small amount of time. However what was difficult to explain was how did such a small amount of energy give rise to a big universe like ours?”
Prof Mir used some mind-bending mathematics and two current theories:
• The Minimum Length Scale – a size so infinitesimally small that space and time cease to exist.
• Doubly Special Relativity – which takes advantage of the massive energies available just after the birth of the universe.
Under Inflation Theory the minute energies and lifetime of the virtual particle become infinitely magnified, finally resulting in our 13.8 Billion-year-old universe. Just to make things more complex Dr Mir says we have been trying to answer the question ‘how did the universe come from nothing?’ all wrong. According to the astonishing findings, the question is irrelevant as the universe STILL is nothing. Dr Mir Faizal said: “Something did not come from nothing. The universe still is nothing, it’s just more elegantly ordered nothing.” He also added that the negative gravitational energy of the cosmos and the positive matter energy of the cosmos essentially balanced out and generated a zero sum.
পাঠক লক্ষ্য করুন গবেষক বিজ্ঞানী মীর ফজল বলছেন মহাবিশ্বের negative gravitational energy এবং positive matter energy সমতার ভিত্তিতে এই মহাবিশ্বের সম্প্রসারন ঘটিয়েছে।
পাঠক লক্ষ্য করুন আল কোরআন ঠিক একই কথা বলছে। আল কোরআন বলছে- “আমি আকাশমন্ডল সৃষ্টি করেছি আমার শক্তি বলে এবং আমিই মহাসম্প্রসারণকারী। আর ভূমী! আমি উহাকে বিছাইয়া দিয়াছি। আমি কত সুন্দর প্রসরণকারী” (৫১.৪৭-৪৮)। ‘আসমান’ বলতে এখানে মহাবিশ্বের হিগস ফিল্ডের সীমারেখা বোঝানো হচ্ছে। যে সীমারেখাকে ডার্ক এনার্জী নামক গুপ্ত শক্তি দিয়ে মহাবিশ্বকে সম্প্রসারণ ঘটিয়ে এত বিশাল করে তুলেছেন। তাহলে আমরা উপলদ্ধি করতে পারছি মহাবিশ্ব সৃশ্টির শুরুতে একটি বিকর্ষণ মূলক শক্তি কাজ করেছিলো। আল কোরআন ও বিজ্ঞান একই কথা বলছে। অথাৎ আল্লা তার শক্তি হতে চোখের পলকে negative gravitational energy দ্বারা মহাবিশ্বকে সম্প্রসারন করেছেন । যখন প্রাথমিক সম্প্রসারন হয়ে গেছে তখন তিনি ভূমী গুলোকে মহাবিশ্বের মাঝে বিছিয়ে দিয়েছেন। এই বিছিয়ে দিতে বা ছড়িয়ে দিতে তিনি positive matter energy কে ব্যবহার করেছেন। হিগস ফিল্ডের ইন্টারেক্ট এখানে গুরুত্বপূর্ন বিষয়। পরবর্তী আয়াতটি লক্ষ করুন। বলা হচ্ছে “ভূমীকে তিনি বিছাইয়া দিয়েছেন এবং তিনিই সুন্দর প্রসারণকারী”। ভূমী বলতে এখানে বোঝানো হচ্ছে মহাজাগতিক বস্তুসমূহ। এই বস্তুসমূহ positive matter energy নামক শক্তির কারনে বা এক ঐক্যবদ্ধ থাকছে। উদাহরনস্বরুপ বলা যায় গ্যালাক্সি সমূহ। অসংখ্য নক্ষত্রসমূহ গ্যাস মহাজাগতিক ধুলীকনা নিয়ে এক একটি গ্যালাক্সি এক ঐক্যবদ্ধ থাকছে। একটি আকৃতি তৈরী করছে। এই সকল আকৃতি সমুহ বস্তু সমূহকে তিনি মহাবিশ্বের সীমারেখার মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন এবং তাদের অভ্যন্তরস্থ এক শক্তির কারনে তাদের আলাদা আলাদা আকৃতি গঠন করেছেন। আল কোরআনও ঠিক এখানে negative gravitational energy এবং positive matter energy এই দুটি বিষয়কে উত্থাপিত করেছে।
বিজ্ঞানীদের বক্তব্য ও তাদের গবেষনা থেকে এটা বোঝা যায় এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির জন্য একটি শক্তির প্রয়োজন ছিলো আর সেই শক্তিই এই মহাবিশ্বকে বিকর্ষনমূলক শক্তিরুপে এত বিশাল রুপে সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে, সৃষ্টি করেছে সীমারেখা। আল কোরআন ও এমন বলছে “আমার শক্তি বলে-আমি সম্প্রসারণকারী”। সেই শক্তি আকর্ষনমূলক শক্তিরুপে মহাবিশ্বের সকল বস্তুসমূহের খন্ড খন্ড প্রতিচিত্র সৃষ্টি করেছে। সৃষ্টি করেছে আলাদা আলাদা সত্ত্বা, আলাদা আলাদা গ্যালাক্সি। বিজ্ঞানীদের এই বক্তব্যই যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে একথা অনস্বীকার্য যে আল কোরআনই আমাদেরকে সঠিক সত্য পথ দেখাচ্ছে জ্ঞানচক্ষু রুপে। এক্ষেত্রে কানাডার পর্দাথবিজ্ঞানী মীর ফজল এর উক্তিই সত্য “Something did not come from nothing. The universe still is nothing, it’s just more elegantly ordered nothing.” He also added that the negative gravitational energy of the cosmos and the positive matter energy of the cosmos essentially balanced out and generated a zero sum.”
১১ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:২৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ভাই এ প্রশ্ন আমাকে বলছেন কোনে? এটাতো বিজ্ঞানী এ্যালেন গুথ কে করবেন। গুগুলে সার্চ করুন এ্যালেন গুথের অনেক পেপার পেয়ে যাবেন। বিভিন্ন সায়েন্স ম্যাগাজিনে এ্যালেন গুথের বিভিন্ন লেখা পড়লে বুঝবেন তিনি কেনো এটি বলেছেন?
বিজ্ঞানীর কথা বাদ দিবো। আমি কি মনে করি এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইছেন?
আমার মতে ব্যাপারটি ঠিক আছে। কারন আমরা যেটিকে বিগ ব্যাং বলছি আসলে সেটি ঘটছে ইরফ্লেশনের কারনে। মহাবিশ্ব সৃষ্টি বলতে আপনি কি বুঝলেন আমি জানি না। তবে এখানে চোখের পলকে মহাবিশ্বের সৃষ্টি বোঝাতে মহাবিশ্নের সৃষ্টির একটি সীমানা, একটি ডিজাইন বা স্ট্রাকচার সৃষ্টি করা হয়েছিলো বোঝানো হয়েছে। এতটুকু চোখের পলকে ঘটেছিলো। আর এতটুকুই তো সৃষ্টি। কিন্তু এর পরের যে বিষয়টি সেটি হলো মহাজাগতিক বিবর্তনের ধারাতে ধীরে ধীরে মহাবিশ্বের মূল চেহারায় ফিরে আসা। মূল চেহারায় ফিরে আসাতে আপনার ঔ সময়কাল লেগেছে। আপনি হয়তো চোখের পলকে সমগ্র মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়ে গেছে এটি বুঝেছেন। ঠিক তা নয়। মহাবিশ্বের স্ট্রাকচার তার ক্ষুদ্র প্লাঙ্ক লেন্থ থেকে ১০(৩৫) সেকেন্ডের মধ্যে মহাবিশ্বকে বাড়িয়ে দিলো ১০(২৬) গুনিতক হারে। আর স্ট্রাকচার গঠনের পর মহাবিশ্ব কিন্তু র্দীঘসময় ধরে সম্প্রসারিত হয়েছে। ধীরে ধীরে তার আসল চেহারা ফিরে পেতে। আর এই পরিবর্ধনটাই দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার ছিলো।
আপনার প্রশ্নের উত্তর এ্যালেন গুথ কি বলেন?
https://web.mit.edu/8.286/www/lecn18/ln10-euf18.pdf
এত কম সময়ে এই সম্প্রসারন কিভাবে ঘটতে পারে? এই গবেষনা করতে গিয়ে তিনি দেখেন’ সুপ্ততাপের মাধ্যমে অতিরিক্ত শক্তির যে যোগানটা এসেছিলো সেটাই দিয়েছিলো বির্কষন মুলক ধাক্কা। এ্যালেন গুথের ভাষায় যাকে মেকি ভ্যাক্যুয়াম বলা হয়। আর এই মেকি ভ্যাকুয়ামের ধাক্কার ফলে মহাবিশ্বটি সম্প্রসারিত হয়ে চলেছে। এখনও পযর্ন্ত সেই সম্প্রসারণ মহজগতে বিরাজমান। যে ধাক্কা মহাবিশ্বকে তার ক্ষুদ্র প্লাঙ্ক লেন্থ থেকে ১০(৩৫) সেকেন্ডের মধ্যে মহাবিশ্বকে বাড়িয়ে দিলো ১০(২৬) গুনিতক হারে। বিজ্ঞানী এ্যালেন গুথের ধারনা বিকষর্ণমূলক কোন পদার্থ থেকে এই ইনফ্লেশন ঘটতে পারে। ইনফ্লেশনের এই প্রাথমিক বীজ আসতে পারে আনুবীক্ষনিক আকারের কোন পদার্থ থেকে। এ্যালেন গুথ তার গবেষনায় দেখিয়েছিলেন মাত্র এক আউন্স ওজনের একটি ভর থেকে ইনফ্লেশন যাত্রা শুরু করতে পারে।
ধণ্যবাদ। ভালো থাকুন।
২| ১১ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: সোনাগাজীর এই পোষ্টের মন্তব্যের উত্তর গুলো পড়ুন।
৩| ১১ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:০৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নাস্তিকদের এড়িয়ে চলাই ভালো।
অন্য ধর্মের অনুসারীরা বিতর্ক এড়িয়ে
নাস্তিকদেরকে ছাড় দিয়ে চলার নীতি
গ্রহণ করে। তবে মুসলমানরা সেটা
করে না বলেই হয়তো নাস্তিকরা
মুসলিম আর ইসলামের প্রতি
বিদ্বেষী হয়ে থাকেন।
১১ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৪৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: হ্যা নুরু ভাই। তবে প্রশ্নের উত্তর তো দিতেই হবে। আমরা তো ভূয়া পাবলিক নয়। যে একটু ধমক দিয়ে যাচাই করে নিবে ভয় পাই কি না? এ লেখা টি যখন লিখতে পারছি তখন এই লেখা সংক্রান্ত যে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো।
ওরা ইসলামের প্রতি বিদ্বেষি হয়ে ইসলামের কিছু করতে পারবে না। কারন আল কোরআন একটি বড় অস্ত্র। ১০০% সায়েন্টিফিক যদি আমরা বুঝতে পারি।
“এই লোকদের সামনে সে অবস্থা এসে গেছে, যাতে খোদাদ্রোহিতা হতে বিরত রাখার বহু শিক্ষাপ্রদ উপকরণই নিহিত রয়েছে এবং এমন পূর্ণতাপ্রাপ্ত বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিও (বৈজ্ঞানিক আবিস্কার) রয়েছে যা উপদেশ দানের পূর্ণমাত্রায় পূরণ করে।” (৫৪:৪-৫ ‘আল-কোরআন)
৪| ১১ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৪৪
খাঁজা বাবা বলেছেন: কঠিন কঠিন কথা
১২ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:৪৩
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বুঝতে কষ্ট হচ্ছে? সহজ করে লিখতে পারলাম না। ভাই।
৫| ১২ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:৩৮
সোনাগাজী বলেছেন:
সুরা ফাতিহা লেখার জন্য ১ জন সাহিত্যিকের কত সময় লাগবে?
১২ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:৫১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনার চুলকানি রোগ আছে এ তথ্যটি আমার জানা আছে। কিন্তু বিষয়বস্তু হলো যে আপনি চুলকানির ঔষধ খান না। কেনো খান না এই প্রশ্নের উত্তরে জানা গেছে আপনার চামড়ায় যখন চুলকানি হয় তখন চুলকানি হয় বা চূলকায় তখন আপনার চামড়ায় চুলকাতে ভালো লাগে। এই ভালো লাগে বলেই দীর্ঘদিন হয়ে গেলো আপনি চুলকানির ঔষধ খান না।
তবে আমি বলি এই ভালো লাগা ভালো নয়। চূলকাতে চুলকাতে কখন কখন ইনফেকশন হয়ে যায়। সেটা কি বলা যায়? তাই বলি ঔষধ খান। ঔষধ খাওয়াটাই বুদ্ধিমানের লক্ষন।
৬| ১২ ই জুন, ২০২২ সকাল ১১:০৮
বিটপি বলেছেন: কুরআনে নাস্তিকেরা অনেক অবৈজ্ঞানিক আয়াত খুঁজে পান।
১। 'জমিনে যা কিছু আছে সেসব তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি আকাশের দিকে মনোসংযোগ করেছেন। বস্তুত তিনি তৈরি করেছেন সাত আসমান।' (সুরা বাকারা : আয়াত ২৯)
এখানে জমিন কি আর আকাশ কি?
২। ‘বলুন, তোমরা কি সেই সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুই দিনে?’ (সুরা হা-মিম সাজদা : আয়াত ৯)
চোখের পলকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়ে গেল, আর পৃথিবী সৃষ্টি করতে দুই দিন লাগল?
৩। ‘অতপর তিনি আকাশমণ্ডলীকে দুই দিনে সাত আকাশে পরিণত করে দিলেন। আর প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ পাঠালেন। আমি কাছাকাছি আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।’ (সুরা হা-মিম সাজদা : আয়াত ১২)
সাত আকাশে পরিণত করতে দুইদিন সময় কেন লাগল?
৪। তোমাদের সৃষ্টি অধিক কঠিন না আকাশের, যা তিনি নির্মাণ করেছেন? তিনি একে উচ্চ করেছেন ও সুবিন্যস্ত করেছেন। তিনি এর রাত্রিকে করেছেন অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং এর সূর্যোলোক প্রকাশ করেছেন। পৃথিবীকে এর পরে বিস্তৃত করেছেন। তিনি এর মধ্য থেকে এর পানি ও ঘাম নির্গত করেছেন। পাহাড় তিনি দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। (সুরা নাজিয়াত : আয়াত ২৭-৩২)
আকাশ উচ্চ করেছেন মানে কি? পৃথিবীকে বিস্তৃত কিভাবে করে? পাহাড় প্রতিষ্ঠিত হল কিভাবে? পাহাড় তো ভূমি থেকে জেগে ওঠে টেকটোনিক প্লেটের কলিশনের মাধ্যমে।
১২ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৫২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ১ নং উত্তর : 'জমিনে যা কিছু আছে সেসব তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন। তারপর তিনি আকাশের দিকে মনোসংযোগ করেছেন। বস্তুত তিনি তৈরি করেছেন সাত আসমান।' (সুরা বাকারা : আয়াত ২৯)
এখানে জমিন কি আর আকাশ কি?
আরবী ব্যকরণে আকাশ শব্দের অর্থ উপরে।
আপনার উল্লেখিত এই আয়াতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে এখানে জমিন বলতে পৃথিবী বোঝানো হয়েছে এবং আকাশ বলতে বায়ুমন্ডল বোঝানো হয়েছে।
২ নং উত্তর : ‘বলুন, তোমরা কি সেই সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুই দিনে?’ (সুরা হা-মিম সাজদা : আয়াত ৯) চোখের পলকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়ে গেল, আর পৃথিবী সৃষ্টি করতে দুই দিন লাগল?
এই প্রশ্নটি আপনার ভূল বোঝা থেকে সৃষ্টি হয়েছে। চোখের পলকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়ে গেছে কথাটি বিজ্ঞানী এ্যালেন গুথ বলেছেন। কিন্তু তার বলাল বিষয়টি ভিন্ন ধরনের। হয়তো আমার লেখা সম্পূর্ণ পড়েন নাই অথবা বুঝতে পারেন নি অথবা আমি বোঝাতে পারি নাই। এ্যালেন গুথের ধারনা কোন এক বিকর্ষ ন মূলক ধাক্কা মহাবিশ্বকে তার ক্ষুদ্র প্লাঙ্ক লেন্থ থেকে ১০(৩৫) সেকেন্ডের মধ্যে মহাবিশ্বকে বাড়িয়ে দিলো ১০(২৬) গুনিতক হারে। বিজ্ঞানী এ্যালেন গুথের ধারনা বিকষর্ণমূলক কোন পদার্থ থেকে এই ইনফ্লেশন ঘটতে পারে। ইনফ্লেশনের এই প্রাথমিক বীজ আসতে পারে আনুবীক্ষনিক আকারের কোন পদার্থ থেকে। এ্যালেন গুথ তার গবেষনায় দেখিয়েছিলেন মাত্র এক আউন্স ওজনের একটি ভর থেকে ইনফ্লেশন যাত্রা শুরু করতে পারে। এ্যালেন গুথের বক্তব্য মতে ইনফ্লেশন যখন শুরু হয় তখন মহাবিশ্বকে তার ক্ষুদ্র প্লাঙ্ক লেন্থ থেকে ১০(৩৫) সেকেন্ডের মধ্যে মহাবিশ্বকে বাড়িয়ে দিলো ১০(২৬) গুনিতক হারে। এই স্বল্প সময়ের মধ্যে মহাবিশ্বের স্টাকচার সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিলো। তারপর থেকে চলতে থাকে মহাসম্প্রসারন এবং মহাবিশ্বের পরিবর্তন, পরিবর্ধন তথা পরিপূর্ণতা। এই সম্প্রসারন এবং পরিপূনর্তার মধ্য দিয়েই মহাবিশ্বের পথ চলা।
আল কোরআন কিন্তু কখনই বলে নাই চোখের পলকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি। এটি আপনাদের আল কোরআন সম্পর্কে অজ্ঞতার কারনে ঘটেছে। আল কোরআন বলছে “ আমার আদেশ একবারই মাত্র যাহা চোখের পলকের ন্যায়- আল কামার আয়াত ৫১” অথাৎ
চোখের পলকের সময় ধরে আল্রা আদেশ করেছেন। আর এই সময়ের মধ্যে অ্যালেন গুথের মতে মহাবিশ্বের স্ট্রাকচার দাড়িয়ে গেছিলো।
আপনি এখন হয়তো প্রশ্ন করবেন আল্লা আবার আদেশ করেন কিভাবে? আপনার এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আন্দ্রে লিন্ডে। বিগব্যাংগের পূর্বে কিছু একটা ছিলো অথবা বিগব্যাং ইনফ্লেশনের কারন নয়। বরং ইনফ্লেশনের কারনে বিগব্যাং ঘটেছিলো এই অভিমত থেকে বিজ্ঞানী অন্দ্রে লিন্ডে বিগব্যাং এর বেশ কিছু সমস্যা খুজে পান। আন্দ্রেলিন্ডে তার “The Self-Reproducing Inflationary Universe” প্রবন্ধে তার লেখাতে বিগব্যাং থিওরি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিগব্যাং এর সমস্যা খুজতে গিয়ে বলেন- something is wrong with this theory. The fourth problem deals with the timing of the expansion. In its standard form, the big bang theory assumes that all parts of the universe began expanding simultaneously. But how could all the different parts of the universe synchronize the beginning of their expansion? Who gave the command? আন্দ্রেলিন্ডের প্রশ্নটি অতীব গুরুত্বপূর্ন। কি করে মহাবিশ্বের সকল অংশ একই সাথে সকল দিকে সমান ভাবে সম্প্রসারিত হতে পারে? শুরুর সময়কালটি সত্যিই একটি গুরুত্বপূণ বিষয়! সমানভাবে সম্প্রসারিত হতে গেলে নিশ্চয় এর একটি নির্দেশনা ছিলো। একটি কমান্ড ছিলো’ যা সম্প্রসারন ঘটার সময়কাল নির্ধারণ করে দিয়েছিলো। যে কমান্ড বা আদেশ মহাবিশ্বকে তার ক্ষুদ্র প্লাঙ্ক লেন্থ থেকে ১০(৩৫) সেকেন্ডের মধ্যে বাড়িযে দিয়েছিলো ১০(২৬) গুনিতক হারে।
আদেশ বোঝেন তো! ধরেন একটি দৌড় প্রতিযোগীতা সকলে লাইন দিয়ে দাড়িয়ে আছে। আপনি বাশি বাজালেন আর সকলে দৌড় শুরু করলেন। ব্যাপারটি ঠিক এরকম। এমনই একটি কমান্ড ছিলো ফলে সেই কমান্ডকে পয়েন্ট ধরে মহাবিশ্বের সকল বল সকল এনার্জি তাদের কাযক্রম শুরু করে।
এত স্বল্প সময়ে মহাবিশ্বের প্রকাশ হওয়া কোন কঠিন বিষয়ই নয়। আপনি বিগব্যাং ধরলেও আল কোরআন তো এটাকে বিস্ফোরন হিসেবে ধরে না। আল কোরআনের ভাষায় “অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে প্রকাশ”। এবং দেখেন আধুনিক বিজ্ঞানীরা কিন্তু ঠিকই আপনাদের বিগব্যাং নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। ইনফ্লেশন থিউরি আগমনে।
১২ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:২৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ৩ নং প্রশ্নের উত্তর : ‘অতপর তিনি আকাশমণ্ডলীকে দুই দিনে সাত আকাশে পরিণত করে দিলেন। আর প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ পাঠালেন। আমি কাছাকাছি আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।’ (সুরা হা-মিম সাজদা : আয়াত ১২)
সাত আকাশে পরিণত করতে দুইদিন সময় কেন লাগল?
এ প্রশ্ন টি আমাকে আপনি করতেন না যদি আপনি আমার এই লেখাটার ১ম পর্ব পড়তেন। আমার প্রথম পর্ব থেকে কিচু অংশ তুলে ধরলাম।
“তিনি দু’দিনে আসমানসমূহকে সাত আসমানে পরিণত করলেন। আর প্রত্যেক আসমানে তার কার্যাবলী ওহীর মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন।” আয়াতের এই অংশের মাঝেও ব্যপক বৈজ্ঞানিক তথ্য পাওয়া যায়। আর সেটি হলো এই আয়াতে আসমান বলতে দুই টি সময়কাল অতিবাহিত করে বায়ুমন্ডলের সাতটি স্তর সৃষ্টির কথা বলা হলেও এই বায়ুমন্ডলের সৃষ্টির সাথে সবচেয়ে গুরুত্বর্ণ যে বিষয়টি জড়িত সে বিষয়টি হলো The Van Allan Belt নামক পৃথিবীর চুম্বকক্ষেত্র সৃষ্টির বিষয়টি বোঝানো হয়েছে। এই চুম্বকক্ষেত্রের নিদির্ষ্ট পরিমান আকষর্নের কারনে বায়ুমন্ডল পৃথিবীর একটি নির্দীষ্ট সীমানা জুড়ে ব্যাপ্ত থাকে। আধুনিক বিজ্ঞানের প্রাপ্ত তথ্য থেকে যা জানা যায় পৃথিবীর আয়তন এর উপর ডিপেন্ড করে চুম্বক শক্তির আকষর্ন। অর্থাৎ দুটি গ্রহ এক হয়ে একটি গ্রহ হয়ে ঠিক সঠিক আয়তন না পেলে পৃথিবী পারফেক্ট ম্যাগনেটিক ফিল্ড বা যথাযোগ্য চুম্বক শক্তি হতো না। আর সঠিক চুম্বক শক্তি সৃষ্টি না হলে বায়ুমন্ডলের স্তর বিন্যাস কোনভাবেই সম্ভব হতো না। পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তি বা চুম্বক শক্তির আকষর্ন যদি নির্ধারিত ধ্রুবকের চেয়ে ০.১% বেশি হতো তবে অত্যাধিক মধ্যাকর্ষন এর চাপের কারনে পৃথিবীর বুকে কোন ভাবেই বায়ুমন্ডল সৃষ্টি হওয়া সম্ভব হতো না আবার যদি পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তি যদি নির্ধারিত ধ্রুবকের চেয়ে ০.১% কম হতো তবে পৃথিবীকে ঘিরে বায়ুমন্ডলের বলয় তৈরী না হয়ে বরং তা মহাশুন্যে উড়ে হারিয়ে যেতো। ফলে বায়ুমন্ডলের এই অভাবে পৃথিবীর বুকে কখনই ঘটতো না কার্বন ভিত্তিক নান্দনিক প্রাণের মহাযাত্রা। আমেরিকান ভূতত্ত্ববিদ ফ্রাংক প্রেস এবং সিলভার তাদের গবেষনার মাধ্যমে প্রাপ্ত ডাটার উপর ভিত্তি করে বলেন “পৃথিবীর আয়তন একে জীবনধারনের উপযোগী করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যদি পৃথিবীর আয়তন কিছুটা কম হতো তবে এটি এর বর্তমান বাযূমন্ডল ধরে রাখতে পারত না। কারন এর অভিকষিয় শক্তি গ্যাস সমূহকে ধরে রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট হতো না। আবার যদি এর ভর কিছুটা বেশি হতো তবে এর শক্তিশালী অভিকর্ষীয় আকর্ষন শক্তির দ্বারা এটি বেশি পরিমান গ্যাস (ক্ষতিকর গ্যাস সমূহ) বায়ুমন্ডলে ধারণ করত। পৃথিবীর আয়তন এবং অভ্যন্তরের পদার্থ সমহের উপরও প্রাণীকুলের অস্তিত্ব নির্ভরশীল। এইগুলো যদি এক বিন্দু এদিক ওদিক হতো তাহলে কোনভাবেই এ পৃথিবীতেই প্রানিকুলের আবির্ভাব ঘটতো না।
সঠিক অনুপাতের চুম্বক ক্ষেত্র তৈরী হতে দুটি সময়কাল অতিবাহিত হয়েছে। এই চৌম্বৈক ক্ষেত্র মহাবিশ্ব থেকে আসা মাত্র ০.১ % রেডিয়েশন পৃথিবীতে প্রবেশ করতে দেয় এবং বাকী অংশ রেডিয়েশন তা মহাশুল্যে ফেরত পাঠায়। সূর্য থেকে বিস্ফোরিত হয়ে ক্ষতিকর রে ধেয়ে চলেছে মহাকাশের দিকে৷ সেই সকল রে পৃথিবীর উপর আঘাত হেনে চলেছে ৷ আমাদের গ্রহের চৌম্বক ক্ষেত্র সেই ধাক্কা সামলাচ্ছে৷ সুর্য্যরে মধ্যে প্রতি মুহুর্তে যে বিভিন্ন রাসায়নিক গ্যাসের মহাবিস্ফোরণ ক্রমাগত ঘটে চলেছে এবং বিভিন্ন শক্তি নির্গত হচ্ছে গামা রে, এক্স রে সহ এমন ভয়াবহ ক্ষতিকর রেডিয়েশন যদি আমাদের বায়ুমন্ডল এবং চৌম্বক ক্ষেত্র ফেরত না পাঠাতো তবে এই পৃথিবীতে প্রাণীকুল এর আর্বিভাব কোনভাবেই সম্ভব হতো না। ডঃ হাগরস্ ভ্যান এ্যালেন বেল্ট সম্পর্কে মন্তব্য করতে যেয়ে বলেছেন যে ‘প্রকৃতপক্ষে আমাদের পৃথিবীর ঘনত্ব পৃথিবীর সৌরমন্ডলে যে কোন গ্রহ উপগ্রহগুলোর চেয়ে সব থেকে বেশী । পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলের বৃহৎ নিকেল ও লৌহ স্তর এই চুম্বকীয় ক্ষেত্রের জন্যই সৃষ্টি হয় । এই চুম্বকীয় ক্ষেত্রই ভ্যান এ্যালেন বিকীরণ ঢাল বা রক্ষাকবচ তৈরী করে । যা পৃথিবীকে সমস্ত ধরনের বিস্ফোরনের ক্ষতিকারক বিকীরণের হাত থেকে রক্ষা করে বা করছে । The Van Allan Belt নামক এই প্রানীকূল রক্ষাকারী বুহ্যটি পৃথিবী হতে ১০০০ কি:মি: পযর্ন্ত বিস্তৃত যা পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ চুম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত। পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ ভাগ বা এর কেন্দ্রের Iron Core (আইরন কোর) টির দুটি অংশ আছে Outer Core এবং Inner Core।Inner Core কঠিন পর্দাথ দ্বারা তৈরী এবং Outer Core তরল পদার্থ। এ দুটি লেয়ার পরস্পর বিপরীত দিকে ঘুরতে থাকে এবং তাদের এই ঘুর্ননের কারনে ভূচুম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরী হয়। এই চুম্বকীয় ক্ষেত্র বায়ুমন্ডলের স্তরকে ধরে রাখে এবং মহাজাগতিক কসমিক রেডিয়েশন হতে পৃথিবীকে প্রাণীকুল এবং বৃক্ষজগতকে রক্ষা করে।"তারা কী দেখেনা তাদের উপরের আকাশের দিকে, কিভাবে আমি তা সৃষ্টি করেছি ও তাকে সজ্জিত করেছি, এবং এতে কোনো ফাটল নেই।" যদি কোন ভাবেই পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে ফাটল বা ছিদ্র থাকতো তাহলে গ্রীণ হাউজ এফেক্টের দ্বারা মহাবিম্বের আল্ট্রাভায়োলেট রে গামা রে প্রবেশ করে মুহুত্বের মধ্যে পৃথিবীর প্রাণীজগত বিনষ্ট করে দিতো। অতএব আসমান সৃষ্টি বলতে বায়ুমন্ডল সৃষ্টি সৃষ্টি জগতের সবচেয়ে গুরুত্বপূন একটি বিষয় কারন আসমান সৃষ্টির সাথে প্রা্ণীজগতের অস্তিত্ব নিভর্রশীল।
এবার লক্ষ্য করুন ১১ নং আয়াতের পরবর্তী অংশ“ আর আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপমালার দ্বারা সুসজ্জিত করেছি আর সুরক্ষিত করেছি।” আমি আর কোরআনে অসংখ্যবার লক্ষ্য করেছি কোন বিষয়বস্তু নিয়ে যদি অসম্পূর্ণতা থাকে তাহলে সেই সর্ম্পুনতা আনতে আল কোরআনে আরেকটি আয়াত নাজিল করা হয়ে থাকে। অনুরুপ একটি দৃষ্টান্ত ঘটেছে এই ক্ষেত্রে। বিষয়টিকে আরো সুন্দর ভাবে উপস্থাপিত করা আছে আল কোরআনে আরেকটি আয়াতে। “আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করিয়াছি প্রদীপমালা দ্বারা এবং উহাদেরকে করিয়াছি শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ এবং উহাদের জন্য প্রস্তুত রাখিয়াছি জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তি”। সুরা মূলক আয়াত নং ৫। আরবী এবং ইংরেজীতেও তুলে ধরলাম।
وَلَقَدْ زَيَّنَّا السَّمَاءَ الدُّنْيَا بِمَصَابِيحَ وَجَعَلْنَاهَا رُجُومًا لِّلشَّيَاطِينِ ۖ وَأَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ السَّعِيرِ
And we have, (from of old), adorned the lowest heaven with Lamps, and We have made such (Lamps) (as) missiles to drive away the Evil Ones, and have prepared for them the Penalty of the Blazing Fire.
খুবই প্রাঞ্জল ভাষায় একটি কথা বলা আছে। যার মধ্যে লুকিয়ে আছে ব্যপক বৈজ্ঞানিক তথ্য। আল্লা আকাশে এমন কিছু উপকরণ প্রদীপমালা রেখেছেন যা শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপ করা যায়। বলুনতো প্রিয় পাঠক আকাশে বা উপরে এমনকি কোন উপকরণ আছে যা দিয়ে শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপ করা যায়? শয়তান বলতে কি আজাজিল বা ইবলিশ বুজছেন নাকি? না। এই শয়তান আযাযিল বা ইবলিশ নয় এই শয়তানেরা মানুষরুপী শয়তান। লক্ষ্য করুন আল কোরআনের আরেকটি আয়াত -“আর যখন তারা মুমিনদের সাথে মিলিত হয়, তখন বলে ‘আমরা ঈমান এনেছি এবং যখন তাদের শয়তানদের সাথে একান্তে মিলিত হয়, তখন বলে, ‘নিশ্চয় আমরা তোমাদের সাথে আছি। আমরা তো কেবল উপহাসকারী “। এ আয়াতে শয়তান বলতে মানুষেরই একটি শ্রেণিকে বোঝানো হয়েছে। এই শয়তান মনুষ্যরুপী শয়তানদেরকে বোঝানো হচ্ছে। শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ হিসেবে জলন্ত অগ্নির শাস্তি স্বরুপ আল্রাহ সৃষ্টি করেছেন েএস্টিরয়েড বেল্টের উল্কাপিন্ড ও গ্রহানসমূহ। এ গুলো কি পৃথিবীতে আঘাত হানে নাই? এমন বহু সভ্যতা ধ্বংশ হয়েছে উল্কাপিন্ড বা গ্রহানুর আঘাতে। গ্রহানুর আঘাতে ফলে ভুমিকম্প সুনামি বহু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনে বিলীন হয়ে গেছে মনুষ্য সভ্যতা! আল কোরআনের এমন অসংখ্য জাতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যারা আল্লার ক্রোধে দ্বারা এস্টিরয়েডের আঘাতে ধ্বংশস্তুপে পরিনত হয়েছে, বিলীন হয়েছে। যার জলজ্যান্ত উদাহরন জর্দানের ডেড সী বা মৃত সাগরের স্থানটিতে। আল কোরআনে বলা আছে “৭৩. সূর্যোদয়ের সময় মহানাদ তাদের আঘাত করে। “৭৪. অতঃপর আমি জনপদটিকে উল্টে দিলাম ও তাদের ওপর কঙ্কর বর্ষণ করলাম। ৭৫. নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শনাবলি রয়েছে। ৭৬. পথের পাশে ওই জনপদের ধ্বংসাবশেষ এখনো বিদ্যমান। (সুরা : হিজর)
আজ থেকে ৩১০০ বছল পূর্বে বর্তমান জর্দান ও ঈসরাইলের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ডেড সী বা মৃত সাগরের স্থানটিতে ছিলো সদম ও গোমরাহ নগর। তারা উন্নতির চরম শিখরে উন্নীত হওয়ার কারণে সীমা লঙ্ঘনকারী জাতিতে পরিণত হয়েছিল। পূর্বেকার ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিগুলির ন্যায় তারা চূড়ান্ত বিলাস-ব্যসনে গা ভাসিয়ে দিয়েছিল। অন্যায়-অনাচার ও নানাবিধ দুষ্কর্ম তাদের মজ্জাগত অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছিল। এমনকি পুংমৈথুন বা সমকামিতার মত নোংরামিতে তারা লিপ্ত হয়েছিল, যা ইতিপূর্বেকার কোন জাতি এতটা ব্যাভিচার করতো না। লুত আঃ এই জাতিকে ক্ষ্যান্ত হতে বলে এবং আল্লার পথে আসতে বলে। এই সকল পাপ মুক্ত সুন্দর জীবন ব্যবস্থার কথা বলে। ক তারা সমূলে ধ্বংস হয়ে যায়। লুত (আ.)-এর জাতির পাপীদের ওপর সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশাল এক গ্রহানুর আঘাত এসে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে এক শক্তিশালী ভূমিকম্প পুরো নগরটি সম্পূর্ণ উল্টিয়ে ধ্বংশস্তুপে পরিনত করে দেন পাশাপাশি আকাশ থেকে বৃষ্টির মতো গ্রহানু নিক্ষিপ্ত হওয়ার ফলে সমগ্র সভ্যতা বিলীন হয়ে যায় এবং সেখানে একটি মৃত সাগরে পরনিত হয়। যা আজ ডেড সী নামে পরিচিত। ফিলিস্তিন ও জর্দান নদীর মধ্যবর্তী স্থানে বিশাল অঞ্চলজুড়ে নদীর রূপ ধারণ করে আছে এটি। জায়গাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে বেশ নিচু। এর পানিতে তেলজাতীয় পদার্থ বেশি। এই পানিতে কোন কিছু ডোবে না। এতে কোনো মাছ, ব্যাঙ, এমনকি কোনো জলজ প্রাণীও বেঁচে থাকতে পারে না। এ কারণেই একে ‘মৃত সাগর’ বলা হয়। সাদুম উপসাগরবেষ্টিত এলাকায় এক ধরনের অপরিচিত উদ্ভিদের বীজ পাওয়া যায়, সেগুলো মাটির স্তরে স্তরে সমাধিস্থ হয়ে আছে। সেখানে শ্যামল উদ্ভিদ পাওয়া যায়, যার ফল কাটলে তার মধ্যে পাওয়া যায় ধুলাবালি ও ছাই। এখানকার মাটিতে প্রচুর গন্ধক পাওয়া যায়। এই গন্ধক উল্কাপতনের অকাট্য প্রমাণ। এ শাস্তি এসেছিল গ্রহানুর আঘাত, ভয়ানক ভূমিকম্প, সুনামি ও অগ্নি উদিগরণকারী বিস্ফোরণ আকারে। ভূমিকম্প সে জনপদকে ওলটপালট করে দিয়েছিল।
১২ নং আয়াতে “ আর আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপমালার দ্বারা সুসজ্জিত করেছি আর সুরক্ষিত করেছি। এ হল মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নির্ধারণ।” তিনি আসমানকে প্রদীপমালা দিয়ে সজ্জিত করেছেরন বলেছেন আবার ১৩ নং আয়াতে বলা হচ্ছে। “এর পরেও যদি ওরা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে (ওদেরকে) বল, আমি তো তোমাদেরকে এক ধ্বংসকর শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করেছি; যেরূপ শাস্তির সম্মুখীন হয়েছিল আ’দ ও সামূদ;”। তাহলে আদ ও সামুদ জাতিকে ধ্বংশ করা হয়েছিলো গ্রহানুর আঘাতে যে গ্রহানু সৃষ্টি করার কথা তিনি বলেছিলেন প্রদিপমালা রুপে। আল কোরআনকে বুঝতে হবে। আল কোরআনের রুপক অর্থ বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে। আমি কি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি? আপনি কি বুঝতে পারছেন সেই প্রদীপমালা কি যা শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপ করার জন্য সৃষ্টি করা! বুঝলেন না! হামীম সিজদার পরবর্তী আয়াত শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ টা দিয়ে আদ ও সামুদ জাতিকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিলো? বুঝলেন কি? আকাশে এমন কিছু প্রদীপমালা সৃষ্টি করেছেন যা দিয়ে পৃথিবীতে শয়তান দ্বারা প্রলুদ্ধ জাতি স্বত্ত্বা ধ্বংশ করে দেওয়া হয়। আল কোরআনের উল্লেখিত প্রদীপমালা বলতে উল্কাপিন্ড বা গ্রহানুর এস্টেরয়েড বেল্ট কাইপার বেল্ট সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে।
৭| ১২ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৩৯
রানার ব্লগ বলেছেন: ই সাত আসমান বিষয় নিয়ে আমার ব্যাপক দ্বন্দ আছে। সাত আসমান বলতে সাতটা মহাকাশ বুঝিয়েছে নাকি সাতটা গ্রহ বুঝিয়েছে ??
১৩ ই জুন, ২০২২ রাত ১:৪৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আরবী সাহিত্যে আসমান শব্দের অথ উপরে। সাত শব্দের অর্ বহু । এক্ষেত্রে অসংখ্য মহাবিশ্ব বোঝানো হয়েছে। কিন্তু অস্তিত্বহীন। এই মহাবিশ্বটাই অস্তিত্ববান।
৮| ১৩ ই জুন, ২০২২ সকাল ৮:৫৫
বিটপি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে বৈজ্ঞানিক তথ্য দিয়ে বুঝানোর জন্য। বুঝি কম, তাই পুরোটা বুঝিনি। তবে ধৈর্য্য নিয়ে পড়লে হয়তোবা অনেক কিছু শিখতে পারতাম।
@রানার, ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন গ্যালাক্সি নিয়ে আমাদের অব্জার্ভ্যাবল ইউনিভার্স, যা প্রথম আকাশের অন্তর্গত। এই আকাশের ব্যাপ্তি প্রায় ২৬ বিলিয়ন আলোকবর্ষ। এরকম বিলিয়ন বিলিয়ন প্রথম আকাশ নিয়ে গঠিত দ্বিতীয় আকাশ, এরকম বিলিয়ন বিলিয়ন দ্বিতীয় আকাশ নিয়ে গঠিত তৃতীয় আকাশ। এভাবে সব শেষ স্তর হচ্ছে সপ্তম আকাশ।
১৩ ই জুন, ২০২২ সকাল ১০:৫১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @বিটপি, আপনি রানার কে যেভাবে আসমানের ব্যাক্ষা দিলেন আমি কিন্তু সেভাবে দিই নাই। আ্পনি কি উপহাস করলেন নাকি বুঝলাম না। সাতটি আসমান বলে কাটিয়ে দিলেন সাতটি জমিনের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন কেনো?
তবে ধৈর্য্য নিয়ে পড়লে হয়তোবা অনেক কিছু শিখতে পারতাম। আপনাকে শেখানোটা আমার দায়িত্ব নই আপনার বিশাল প্রশ্নের লিষ্ট অনুসারে বিশাল উত্তর দিয়েছে। কিন্তু আপনি পড়েন নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬
শেরজা তপন বলেছেন:
ইউনিভার্সের বয়স যদি ধরে নিই ১৪ বিলিয়ন বছর - আর এর আকার বৈজ্ঞানিকদের কল্পনায় ২৩ ট্রিলিয়ন আলোকবর্ষ। যেহেতু এটা শুরু থেকে আকারে বাড়ছে তখন এর সাইজ ছিল ১ ট্রিলিয়ন আলোক বর্ষ (ধারনা)। বিজ্ঞানীর কথা বাদ দিন আপনি কি মনে করেন একটা চোখের পলকে ১ ট্রিলিয়ন আলোকবর্ষব্যাপী মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়ে গেল!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!