নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।
আজ সামুর এক বন্ধু ব্লগারের একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মনে পড়ে গেলো। আল কোরআনের দৃষ্টিতে মহাবিশ্ব এব তার পূনরাবির্ভাব এই বিষয়গুলো নিয়ে একটি পোষ্ট দেওয়া উচিত। আপনার এ প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলতে পারি। দোজখ রুপক শব্দ। আমরা তো বলতে পারি না দোজখ কেমন হতে পারে অথবা এর প্রকৃত রুপ কি? প্রিয় পাঠক আমি যতটুকু জানি দোজখ শাস্তি কেন্দ্র মানুষের মৃত্যুর পর সেখানে রাখা হবে। ও বেহেস্ত পূন্যের প্রতিদান প্রাপ্তি কেন্দ্র। কিন্তু এই দোজখ বেহেস্ত যে চিরন্তন বিষয় ঠিক তা নয়। এই মহাবিশ্ব যতদিন টিাকে থাককে ততদিন দোজখ বেহেস্ত থাকবে। মহাবিশ্ব ধ্বংশের পর দোজখ বেহেস্তের অস্তিত্ব থাকবে না। লক্ষ্য করুন আল কোরআন বলে “যারা হতভাগা হবে তারা জাহান্নামে যাবে, সেখানে তাদের জন্য আছে হা-হুতাশ আর আর্ত চীৎকার। সেখানে তারা স্থায়ী হবে, যতদিন পর্যন্ত আসমানসমূহ ও যমীন থাকবে, অবশ্য তোমার রব যা চান। নিশ্চয় তোমার রব তা-ই করে যা তিনি ইচ্ছা করেন। আর যারা ভাগ্যবান হয়েছে, তারা জান্নাতে থাকবে, সেখানে তারা স্থায়ী হবে যতদিন পর্যন্ত আসমানসমূহ ও যমীন থাকবে, অবশ্য তোমার রব যা চান, অব্যাহত প্রতিদানস্বরূপ। ” সূরাঃ হূদ আয়াতঃ ১০৬-১০৮ । অতএব দোজখ বেহেস্ত চিরন্তন বিষয় নয়। যদি তাই হয় তাহলে মানুষের পাপাচারের শাস্তি স্বরুপ দোজখ এবং পূন্যকর্মের জন্য বেহেস্ত। কিন্তু এখানেই কি শেষ? এরপর কি কিছু নেই?
এখানেই তো আমাদের নির্বাকতা। থমকে যাই। মহাবিশ্ব ধ্বংশ হয়ে যাবে। এখানেই কি শেষ ? না এখানেই শেষ নয়। এই মহাবিশ্ব আবার সৃষ্টি হবে। মানুষের আবারও পুনরুত্থান ঘটবে। এ বিষয়ে আল কোরআন বলছে “যিনি আদিতে সৃষ্টি করেন তিনি আবারও সৃষ্টি করিবেন” (২৭:৬৪) তাহারা কি লক্ষ্য করে না কিভাবে আল্লাহ যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীকে সৃষ্টি করিয়াছেন তিনি অনুরুপ সৃষ্টি করিতে সক্ষম। তিনি উহাদের জন্য স্থির করিয়াছেন একটি কাল। ইহাতে কোন সন্দেহ নাই।” (১৭:৯৯) “সেইদিন আকাশকে গুটাইয়া ফেলিব যেভাবে গুটানো হয় লিখিত দফতর, যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সূচনা করিয়াছিলাম, সেইভাবে পূনরায় সৃষ্টি করিবো।” (২১:১০৪) এই আয়াত গুলো দিয়ে প্রমানিত হয় এই মহাবিশ্ব একটি সময়ের চক্রে সৃষ্টি করা হয়েছে। এবং তিনি এই মহাবিশ্ব আবারও সৃষ্টি করিবেন একই রুপে একই রকম। তাহলে এখন প্রশ্ন হলো আসমান জমিন আবার কেনো সৃষ্টি হবে? মানুষ বিহীন তো আসমান জমিন হয় না। তাহলে মানুষ সৃষ্টি আবার হতে হবে। আল কোরআন বলে “আমি উহাদের আঙ্গলের ছাপও পুঙ্খানুপুংখ সৃষ্টি করতে সক্ষম।” আবার ও বলছে “ উহাদের একজনের পুনরুত্থান উহাদের সকলের পুনরুত্থানের অনুরুপ। যেহেতু আল কোরআন আবার মানুষ সৃষ্টির কথা বলছে অতএব মানুষ আবার সৃষ্টি হবে। ‘যেদিন পরিবর্তিত করা হবে এ পৃথিবীকে অন্য পৃথিবীতে এবং পরিবর্তিত করা হবে আকাশসমূহকে’ (ইবরাহীম ৪৮)।
বাস্তবিক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে বিচার করলে দেখা যায় সব সময় কিছু না কিছু ছিলো। অথাৎ বিগব্যাংগই সৃষ্টির মূল কারন নয়। এর পূর্বে কিছ ছিলো। এবং আমাদের মহাবিশ্ব ও তার অর্ন্তভুক্ত সকল কিছুই সেই কিছুর বিবর্তিত অবস্থা মাত্র যা সদা সর্বদা বিবর্তনশীল? এটা পরির্স্কার আধুনিক বিজ্ঞানের মতে স্পেস টাইমে চরম শুন্যতা থাকতে পারে না। কোন না কোন কারন বা বিষয় স্পেস টাইমে চরম শুন্যতা সৃষ্টি হতে বাধা দিচ্ছে ? এই বাধা দেওয়ার অর্থ হচ্ছে মহাবিশ্ব বারেবার সৃষ্টি হচ্ছে। যদি তাই হয় তাহলে এটা ভেবে নিতে হয় যে আমরা একটা সাইক্লিক মহাবিশ্বে বসবাস করছি। যা পূন:পূনিক: মিলিয়ে গিয়ে পূনরায় বিগব্যাঙের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করছে? ঠিক সাইক্লিক নয়, একটি মহাবিশ্ব যা নিরাকারে মিলিয়ে গিয়ে সেই মহাবিশ্বের হিসেবের উপর ভিত্তি করে নতুন মহাবিশ্বের আত্মপ্রকাশ। বিশিষ্ট বিজ্ঞানি ভিলেংকিন সহ অনেকেই কোয়ান্টাম টানেলিং প্রক্রিয়ায় মহাবিশ্ব সৃষ্টি এই কনসেপ্ট নিয়ে গবেষনা করছেন। তাদের সকলেই প্রায় একই বেসিক কনসেপ্টের মধ্য দিয়ে ভাবছেন। তাদের প্রস্তবনাটা হলো আমাদের এই মহাবিশ্বটা কোয়ান্টাম টানেলিং নামক প্রক্রিয়ায় অপর একটি মহাবিশ্ব থেকে উদ্ভুত হয়েছে। যে মহাবিশ্বের টাইম axis আমাদের উল্টা। পূর্বের মহাবিশ্বের ওয়েভ ফাংশন যেটা শুন্যতায় মিলিয়ে গিয়ে নতুন মহাবিশ্বের স্পেস টাইমকে আর্বিভ’ত করে। এই বেসিক কনসেপ্টটি একটি মহাবিশ্ব থেকে আরেকটি মহাবিশ্বের transition। তাহলে তার পূর্বের মহাবিশ্বটি কোথা থেকে এলো? এ ক্ষেত্রে আমাদের মেনে নিতে হয় পূর্বের মহাবিশ্বটি তারও পূর্বের একটি মহাবিশ্ব হতে উদ্ভুত। এই ধারাবাহিকতা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় যে একটি মহাবিশ্বের হিসাব নিকাশ তথা পাপ পূন্যের উপর ভিত্তি করে আবার সৃষ্টি হবে। পরের মহাবিশ্বের আবির্ভাব ঘটে।
এমনটি যদি হয় তবে আপনার এ জগতের পাপ পূন্যের উপর ভিত্তি করে আপনার আগামীর মহাবিশ্বর এবং আপনার আগামীর জীবন গঠিত হবে। সেই জগতে আপনার অসহায়ত্ব আপনাকে কষ্ট দিবো। হয়তো জীবনটা চরম কস্টের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হবে। অথবা হবে চরম সুখের।
আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের চূড়ান্ত কিছু সীদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে চক্রাকার মহাবিশ্ব নামক একটি তত্ত্ব। পল স্টেইনহার্ট ও নেইল টুরকের চক্রাকার মহাবিশ্ব নামক একটি তত্ত্বে বলেছেন এই মহাবিশ্ব বারে বার সৃষ্টি এবং ধ্বংশ হয়। ষ্ট্রিং তাত্তিকদের উদ্ভাবিত মেমব্রেন এই সৃষ্টি ও ধ্বংশের কারন। তারা তাদের “Endless Universe” বইয়ের মাধ্যমে এসকল তথ্য জানিয়েছেন। তাদের মতে এ মহাবিশ্বের কোন শুরু নেই শেষ ন্ইে। এ এক চলমান বিষয়, অনন্ত, অফুরন্ত। সৃষ্টি এবং ধ্বংশের চক্রে আবদ্ধ। এই মহাবিশ্ব যেমন একদা সৃষ্টি হয়েছিলো এবং আবারও তা হবে; শুরু করবে নতুন চক্রের। আজ থেকে ট্রিয়ন বছর পর আবারও শুরু হবে নতুন চক্রের। ঘটবে নতুন সূচনা। একেকটি চক্র একেকবার মহাবিশ্বকে সৃষ্টি এবং ধ্বংশ করে। শুধু টিকে থাকে একটি চিরন্তন সত্ত্বা।মহাবিশ্ব সৃষ্টির পর ধ্বংশ হয় কিন্তু ধ্বংশের পর জীবনের মূল সত্ত্বাটি ধ্বংশ হয় না। তা টিকে থাকে অন্য কোন মহাবিশ্ব সৃষ্টি হওয়ার মধ্য দিয়ে। তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে এ বিষয়টি মেনে নিতে হয় মহাবিশ্ব ধ্বংশের পর একটি বিষয় টিকে থাকে যা চিরন্তন যা কখনও ধ্বংশ হয় না। টিকে থাকে চক্রের পর চক্র ধরে। যাকে আমরা অভিহিত করি সৃষ্টির মূল কারন আদি কারন। যার কোন ধ্বংশ নেই চিরন্তন এক সত্ত্বা। যে চেতনার প্রকাশ ঘটে শক্তি ও জ্ঞানের মহা সম্মিলন রুপে।
০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৪৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনার কথা ঠিক বুঝলাম না। আসলে মানুষের প্রাপ্ত জ্ঞান অনুসারে মানুষ কিন্তু তার জ্ঞানকে সাজায়। যেমন কম্পিউটারে এক্সপি উইনডোজ ব্যবহার করা হতো। এখন করা হয় উইনডোজ ১১।
আল কোরআন বলছে ইহা বিজ্ঞানময় কোরআন। তাই আমরা কোরআন পড়তে গেলে আগে বিজ্ঞান পড়ি।
বিজ্ঞান তো আবার আপনাদের ধর্মগ্রন্থ অথবা আপনি কি ঐ দলে নাকি?
২| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৩৬
নতুন বলেছেন: এই সব বিষয়ে এতো চিন্তা করার দরকার নাই।
জীবনটা সবাইকে নিয়ে সুখী হয়ে জাপন করুন। মানুষ এবং বিশ্বের জন্য ভালো কিছু করার চেস্টা করুন, কারুর ক্ষতি না করে নিজে একটা সুখী জীবন পার করে যেতে পারলেই মানুষের জীবনের উদ্দেশ অনেকটাই পূর্ণ হবে।
এতো কিছু চিন্তা করে আপনার জীবনে কস্ট নিয়ে আসবে না প্লিজ।
০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:০০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি কি বিতর্কিত কিছু বলছি? জানিনা। তবে আমার মন বলে আমার কিছু বলার দরকার তাই আমি বলি। আমার এই বলার জন্য কি কারো জীবনের কোন ক্ষতি হবে? কিংবা আমারই কোন কষ্ট আসবে?
অথবা আমি বুঝলাম না আপনার কমেন্ট।
৩| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৪৪
সোনাগাজী বলেছেন:
দামেস্ক, জেরুসালেম, আলেকসান্দ্রিয়া, রোম, এথেন্স তখন বেশ শিক্ষিত ও উন্নত ছিলো; আল্লাহ কেন তাদেরকে আলকোরানের দায়িত্ব দিলো না?
০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৫২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কেনো আমি দায়িত্ব নিলাম জানিনা। তবে এটুকু জানি আল কোরআনে বলছে “ আমি যখন কাউকে কোরআন বোঝার ক্ষমতা দিই যখন সে বুঝতে পারে তখন সে সিজদা অবনত হয়।”--হয়তো আমি বুঝতে পারছি। তাই আল্লার সিজদাতে অবনত হয়ে পড়েছি। জানিনা ভূল করছি কিনা। আল্লা জানে।
০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:০০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি লেখাটা সর্ম্পূন পড়েন। অনুরোধ রইল।
৪| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:০৩
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন, "আল কোরআন বলছে ইহা বিজ্ঞানময় কোরআন। তাই আমরা কোরআন পড়তে গেলে আগে বিজ্ঞান পড়ি। "
-মক্তবে ও মাদ্রাসায় কি আগে সায়েন্সে মাষ্টার্স করানো হয়, তারপর কোরান শেখানো হয়?
০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:০৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এই পড়ানো হয় না বলেই তো আজ আপনি আমাকে এতগুলো কথা বললেন?
সমস্যা তো গোড়াতেই।
৫| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:০৪
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার লেখার ছবিটা কি শিল্পির অংকন করা, নাকি দোযখ থেকে তোলা?
০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:০৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: দোজখ একটি রুপক শব্দ। উদাহরন দিয়ে বোঝানো হয়। এই দোজখের ছবিটা উদাহরন দিয়ে অংকন করা হয়েছে।
৬| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:২৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।প্রচলিত মোল্লারা কোরানের সঠিক অনুবাদ করতে পারছে কিনা সন্দেহ। তারা যে আয়াতের অনুবাদ কে কেয়ামতের দিনের পুনরুত্থান বলছেন, আপনি একই আয়াতের অনুবাদ করছেন, নতুন মহাবিশ্ব সৃস্টি বলে। যদিও আপনি কোন রেফারেন্স দেন নি তবুও 'নতুন মহা বিশ্ব সৃষ্টি' বিষয়টা আমার কাছে গ্রহণ যোগ্য মনে হচ্ছে।
০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৫২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: খুব খুশি হলাম ভাই অন্তত আপনি আমাকে বুঝতে পেরেছেন।
তবে রেফারেন্স এর কোন প্রয়োজন পড়ছে না। করান আপনি সহজ সরল ভাবে আর কোরআনের বঙ্গাব্দ পড়লেই তো আপনি বুঝতে পারছেন আসলে আল কোরআন কি বলছে। আগের আয়াত পরের আয়াত পড়লেই তো বোঝা যায় আল কোরআন কি বলছে? বুঝতে তো কোন সমস্যাই থাকার কথা নয়।
৭| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা যদি এই মূহুর্তে আপনার মনের একটি ইচ্ছে পূরণ করতে চান, তাহলে আপনি কী চাইবেন?
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:১২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: চাইবো আপনি যেনো আমাকে বোঝার চেষ্টা করেন। প্রকৃত সত্য উপলদ্ধি করানোটাই আমার উদ্দেশ্য হোক।
৮| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: একজন মৌলবাদী মুসলিমের কোন অবস্থাতেই অমুসলিম লেখক কিংবা নিরপেক্ষ যুক্তিবাদী লেখকের বই পড়া উচিত নয়। এতে ঈমান চলে যেতে পারে
মুসলিমদের উচিত জাকির নায়েকের মতো ধর্মান্ধ ও গোজামিল বিশেষ অজ্ঞদের বই পড়ে নেকীর পাল্লা ভারী করা।
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:১৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আজকের এই লেখাটা আসলে আপনার একটি কমেন্টের কারনে আমার মাথায় এসেছে। আপনিই সেই মানুষ লেখার শুরুতে যাকে ব্ন্ধু ব্লগার বলেছি।
৯| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৪৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: যুক্তি তর্ক আলোচনা চলুক। ব্যক্তি আক্রমণ বা ট্যাগবাজী বা গালাগালি পরিহার এগুলো নিয়ে আলোচনা হলে ব্লগ খুবই উপভোগ্য লাগে।
০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:১৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সহমত। আপনাকে ধন্যবাদ।
১০| ০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ১:১৬
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আল্লাহ আমদের সবাইকে তার
পৃথিবীর সৃষ্টি রহস্য বোঝবার এবং
তার হেদায়েত নসীব করুন।
আমিন।
০৯ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমিন।
১১| ০৯ ই জুন, ২০২২ রাত ৩:১৬
সোনাগাজী বলেছেন:
একটা মহাবিশ্ব থেকে অন্য আরেকটি মহাবিশ্ব তৈরি হওয়া সম্ভব, কোন কোন মহাবিশ্বর ধ্বংসও সম্ভব; কিন্তু ইহার ভেতর "পাপ, পুন্যের হিসেব" ( ৩য় প্যারাগ্রাফের শেষ ২ লাইন ) কিভাবে আপনি যোগ করলেন?
০৯ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৩৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: “এই লোকদের সামনে সে অবস্থা এসে গেছে, যাতে খোদাদ্রোহিতা হতে বিরত রাখার বহু শিক্ষাপ্রদ উপকরণই নিহিত রয়েছে এবং এমন পূর্ণতাপ্রাপ্ত বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিও (বৈজ্ঞানিক আবিস্কার) রয়েছে যা উপদেশ দানের পূর্ণমাত্রায় পূরণ করে।” (৫৪:৪-৫ ‘আল-কোরআন)
বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আন্দ্রে লিন্ডে ভাষায় “মহাবিশ্ব যদি কখন ধ্বংশ হয়ে যাইও জীবনের মূল সত্ত্বাটি হয়তো টিকে থাকবে অন্য কোন মহাবিশ্বে অন্য কোন ভাবে।” ভিলেংকিনের মতো “আমাদের মহাবিশ্বের ধ্বংশের পর এই মহাবিশ্বের ওয়েভ ফাংশনের সারাংশ হতে সৃষ্টি হতে পারে আরেকটি মহাবিশ্ব”। মহাবিশ্বের ওয়েভ ফাংশন এর ফ্রিকোয়েন্সি নির্ধারন করবে পরবর্তী মহাবিশ্ব এর প্রকৃতি। সেখানে আবার আমরা পুনরাত্থিত হতে পারি। শুরু হতে পারে আমাদের নতুন জীবন। সেই জীবনের সুখ দুঃখ আমাদের নিকট হতে পারে শাস্তি অথবা পুরস্কার।
প্রশ্ন করছেন সেটি কিভাবে সম্ভব? "পাপ, পুন্যের হিসেব" কিভাবে আপনি যোগ করলেন? পাপ পূন্যের সম্পর্কটি কেনো যোগ করলাম? আসলে যোগ করা লাগে না আপনা আপনি যোগ হয়ে যায়। উদাহরনসহ বোঝায় আমি যখন স্কুলে পড়েছি ক্লাস সেভেনে যখন পড়েছি আমার রোণ ছিলো ৫। আমি সামনের ছিটে বসেছি যার রোল ছিলো ৩৪ সে কিন্তু পিছের সিটে বসেছে। ক্লাস ৮ এ যখন আমার ১ রোল হলো আমি সবার প্রথম ছিটে বসলাম আর আমি হলাম ক্লাস মনিটর। আসলে মানুষের কর্মের উপর তার প্রাপ্তি ঘটে। পাপ পূন্যের হিসাবটিও আমি বোঝাচ্ছি।
প্রতিটা মানব দেহ থেকে প্রতি মুহুত্ব ইলেকট্রম্যাগনেটিক ওয়েভ বের হচ্ছে। জনৈক সেমিউন দাভিদোভিচ কিরলিন নামক তুখোর এক ইলেকট্রেসিয়ান কতৃক আবিষ্কৃত অদ্ভুত এক ক্যামেরায় প্রাণি দেহ থেকে বিচ্ছুরিত আলোক রশ্মির ছবি তোলা সম্ভব হয়েছে। এই আলো সূর্য বা ইলেকট্রিক বাল্বের আলোর ন্যায় সাধারন আলো নয় বরং সেটা অনেক দীপ্ত,চঞ্চল ও বর্ণিল। আরো দেখা গিয়েছে সে আলোক রশ্মির ঔজ্জল্যের উপর নির্ভর করে দেহের সামগ্রিক জিবনি শক্তি বা সুস্থতার পরিমাপ করা যায়। কিরলিন ফটোগ্রফি আরও দেখিয়েছে যে,মানুষের শরিরে বিভিন্ন গুরত্বপুর্ন বিন্দু রয়েছে সেখান থেকে তুলনামুলক ভাবে অনেক বেশি আলোক রশ্মি বিচ্ছুরিত হয়, মনে হয় সে সব বিন্দু থেকে যেন আগ্নেয়গিরির অগ্নুতপাত হচ্ছে। কিরলিন তার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে মানব দেহে তেমন ৭০০ টি বিন্দু চিহ্নিত করেন। যেখান থেকে ইলেকট্রম্যাগনিটিক ওয়েভ বেরুচ্ছে। কিছু পয়েন্ট আছে যা মানুষের মস্তিস্ক এর সাথে সম্পৃক্ত। মানব মস্তিস্কের ওয়েভ লেভেল সততা ও স্বচ্চতার উপর ডিপেন্ড করে। যেমন নিয়মিত প্রাথনারত থাকা মানুষদের ঔজ্জলতার পরিমান বৃদ্ধি পায়। একটি গবেষনায় দেখা গেছে সৎ প্রকৃতির মানুষদের এবং নিয়মিত প্রাথনা করা মানুষদের ওয়েভের ঔজ্জলতা অনেক অনেক বেশি। এবং অসৎ অপরাধী শ্রেণীর মানুষদের ওয়েভের ঔজ্জলতা যথেষ্ট ম্রিয়মান তুলনামূলক কম।
নূরানী চেহারা বোঝেন তো? ইলেকট্রম্যেগনিটিক ওয়েভের ঔজ্জলতা যাদের বেশি তাদের নুরানী চেহারা বলা হয়। যারা বেশি বেশি প্রাথর্না করে তাদের ওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সি যথেষ্ট বর্ণিল এবং ঔজ্জল। মানুষের ইলেকট্র্যোগনেটিক ওয়েভ প্রকৃতি ধারন করে। প্রকৃতি ধ্বংশের পর প্রকৃতির ওরেভ সারাংশ থেকে আরেক মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়। আসলে ওয়েভই ঘটনার কারন। পুলসিরাত বলে বোঝেন তো? পুলসিরাত ওয়েভের ভাষা বোঝে!
১২| ০৯ ই জুন, ২০২২ ভোর ৫:৪১
বেবিফেস বলেছেন: সুন্দর একটা বিষয় উপস্থাপন করেছেন, আপনাকে ধন্যবাদ।
০৯ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৪০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকুন।
১৩| ০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৪২
পাউডার বলেছেন: আপনার এই লেখার জন্য ধন্যবাদ। সৃষ্টিকর্তার শুরু আর শেষ নাই। অনেকদিন থেকেই মনে হচ্ছিলো যে মানুষের তো শুরু আছে, শেষ না থাকলে কিভাবে হবে। আপনার লেখা চোখ খুলে দিল।
০৯ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: হ্যা ভাই বিজ্ঞানী ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং এর প্রশ্নটার উত্তর পাওয়া যায়। এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির পুর্বে ইশ্বর কি করছিলেন? প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেলো।
১৪| ০৯ ই জুন, ২০২২ দুপুর ১:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।
০৯ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।
১৫| ১০ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:১০
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি কি বিজ্ঞানী লিন্ডের সে গবেষণা পত্রটি ভালো করে অরিজিনাল লেখা পড়েছেন? উনি কি সত্ত্বা ব্যবহার করেছেন নাকি এটা আপনি যোগ করেছেন?
১০ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: Click This Link
https://pos.sissa.it/335/040/pdf
আমি তো স্বত্তা বুজেছি আপনি সারাংশ বুঝলে বুঝুন সমস্যা নােই।
১০ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: Click This Link
১৬| ১৩ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:১৭
জ্যাকেল বলেছেন: পর্যবেক্ষণযোগ্য পুরো মহাবিশ্ব কিন্তু যেকোন মুহুর্তেই ভেঙে যেতে পারে। মানে ধংস হইতে পারে। একমত?
১৩ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:০১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: হ্যা। একমত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৩৪
সোনাগাজী বলেছেন:
আল কোরানে যা বলা হয়েছে, এসব বিষয় কি তার আগের মানব সমাজ জানতো, নাকি জানতো না? যখন আল কোরানের শুরু ( ধরলাম ৬১০ সাল ) তখন আরবের বাহিরের পৃথিবী অনেক উন্নত; সিরিয়া, জেরুসালেমে রোমানরা, গ্রীকরা নিজদেশে অনেক উন্নত; তারা কি উন্নত সমাজের কথা জানতো না?