নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।
আল কোরানের সিজদা সুরার আয়াত ৮ থেকে ১৩ নং আয়াত নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করা হলো অন্য এক লেখায়। সুরা সিজদার আয়াত গুলো অনুসারে মহাবিশ্ব সৃষ্টির বর্ননা আমি এ লেখাটাতে প্রকাশ করলাম।
“বলুন, তোমরা কি তাঁর সাথেই কুফারী করবে। যিনি যমীন সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ তৈরী করছ? তিনি সৃষ্টিকুলের রব্ব্!” আয়াত ৯
এ আয়াতটি আপনাদের বলা হচ্ছে কারন যারা স্রষ্টার বিপক্ষে বিজ্ঞানকে দাড় করাচ্ছে। মানুষেরই সৃষ্টি বিজ্ঞানকে মানুষেরই দেবতা বানায়ে দিচ্ছেন। আয়াতটিতে দুটি দিনের বর্ননা করা হচ্ছে।
১ম ইওম বা দিন : ১৩.৫ বিলিয়ন বছর আগে বিগ ব্যাংয়ের সংঘটন। এর মাধ্যমে বস্তু ও শক্তি অস্তিত্ব লাভ করে। বিজ্ঞানের মতে সৃষ্টির শুরুতে এই মহাবিশ্ব ক্ষুদ্র একক বিন্দুর মত ছিল এবং কোন অন্তর্বস্তু ছিল না, অর্থাৎ সৃষ্টির শুরু হয়েছিল শুন্যতা বা অনস্তিত্ব থেকে। (২:১১৬), (২:১১৭) ও (২০:৩০) ইত্যাদি আয়াতগুলো পর্যালোচনা করলে এই ইংগিত পাওয়া যায় যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং এর মাঝে যা কিছু আছে সবই সর্বশক্তিমান আল্লহতায়ালার অসীম শক্তির মাঝে বিলীন ছিল এবং তাঁরই একান্ত অনুগত ছিল। (৫১:৪৭) নং আয়াতে দেয়া তথ্য অনুসারে যেহেতু সকল শক্তির আধার আল্লাহ মহান স্রষ্টা, সুতরাং শক্তি থেকেই যে সৃষ্টির শুরু হয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর বিজ্ঞানও অর্থাৎ অপেক্ষবাদ এবং কণাবাদী বলবিদ্যা শক্তি থেকে বস্তু সৃষ্টি অনুমোদন করে। মহান আল্লহতায়ালা যখন সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তখন থেকেই অর্থাৎ সেই অসীম শুন্যতা বা অনস্তিত্ব (২:১১৭) বা বস্তুহীন পরিবেশে কোন এক অজ্ঞাত ক্ষণে সৃষ্টিকালীন সময়ের ( ১ম ইওম বা দিনের ) সূচনা ঘটে। (৫১:৪৭) নং আয়াতে সামা- আ বলতে সম্ভবত এমন এক আকাশকে বোঝান হয়েছে যে আকাশ শুধুমাত্র বলবাহী মৌল-কণিকা দ্বারা ভরপুর ছিল এবং ডাইমেনশন বা মাত্রাগত পার্থক্য না থাকায় সেই আদি একক আকাশে কোন স্তর-ভেদ ছিল না। ফলে সপ্ত-আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির আদি পর্যায়ে একক আকাশ রূপে একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল। পরবর্তীতে মহান আল্লাহতায়ালা তাঁর অসীম ক্ষমতাবলে সেই একক আকাশকে মহাসমপ্রসারীত করেন এবং ডাইমেনশন বা মাত্রাগত ছকে সাজিয়ে পৃথিবী ও সপ্ত-আকাশমন্ডলী সৃষ্টি করেন। আমরা হয়ত সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনার ক্ষণটি অর্থাৎ ভরবাহী মৌল কণিকা গঠনের ক্ষণটিকে সঠিকভাবে খুঁজে পাবার সামর্থ রাখি। কিন্তু মহাবিশ্ব সৃষ্টির ক্ষেত্রে বস্তুহীনতা বা অনস্তিত্ব বা চরম শুন্যতার একটা পর্যায় ছিল এবং সেই অসীম শুন্যতায় শুধু অসীম শক্তি বিরাজমান ছিল। এভাবে যে কতটা সময় অতিবাহিত হয়েছে তা সঠিকভাবে নিরুপণ করা কখনই সম্ভব নয়। কারন আমাদের জীবন ও পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা স্থান ও কালের যে মাত্রা বা ডাইমেনশনের বেড়াজালে আবদ্ধ, সৃষ্টিকালীন আদি বা প্রাথমিক পর্যায়টি ছিল সেই মাত্রা বা ডাইমেনশন বহির্ভূত ঘটনা। কারণ তখন স্থানের কোন অস্তিত্ব ছিল না। সুতরাং মহাবিশ্ব সৃষ্টির আদি পর্যায়ের ঘটনাচক্র ও আদি কাল বা সৃষ্টি শুরুর সময় সম্পর্কে আমরা অনুভবের আলোকে কিছুটা ব্যাখ্যা করতে পারলেও পূংখ্যাণুপূংখভাবে বিশ্লেষণ করা সত্যিই অসম্ভব।
উপরের আলোচনা থেকে বুঝে নেয়া যায় যে, সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনার ইচ্ছা থেকে কোন এক অজ্ঞাত সময়ে সৃষ্টিকালীন ১ম-ইওম বা দিনের সূচনা ঘটে এবং তখন আল্লাহতায়ালার ইচ্ছায় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মহাশক্তি অর্থাৎ (২৪:৩৫) জ্যোতির উপর জ্যোতি সম্ভবত প্রচন্ডতম তাপশক্তি একটি নির্দিষ্ট সময়কাল ব্যাপী প্রয়োগের ফলে বিভিন্ন পরিবর্তন ও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ বলবাহি মৌল কণিকাগুলো ( গ্লুয়ন, ফোটন ইত্যাদি ) (২:১১৬) সম্মিলিতভাবে ঘনিভূত ও তরলিত শক্তিরূপে বিরাজ করছিল। বিজ্ঞানের বর্ণনায় আমরা দেখেছি যে, বলবাহী মৌল কণিকাগুলো অপবর্জন নীতি ( Exclusion principle ) মানে না। আর যে কণিকাগুলো অপবর্জন নীতি মানে না তারা সবাই চুপসে মোটামুটি একরকম ঘন একটি স্যুপ ( Soup = hot, dense plasma) তৈরী করে। সুতরাং সৃষ্টিকালীন প্রাথমিক পর্যায়ে কল্পিত বলবাহী মৌল কণিকাগুলো অপবর্জন নীতি বিবর্জিত অবস্থায় উত্তপ্ত, ঘনিভূত ও তরলিত (hot, dense plasma) শক্তিরূপে একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ ছিল এবং তখন (১১:৭) সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহতায়ালার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (আরশ) সেই স্যুপ অর্থাৎ উত্তপ্ত, ঘনিভূত ও তরলিত গন্ডিবদ্ধ শক্তির (পানির) উপর নিবদ্ধ ছিল। সৃষ্টির আদি পর্যায় থেকেই যে এই মহাবিশ্বে পানির উপস্থিতি ছিল (১১:০৭) নং আয়াতটি সেই সাক্ষীই বহন করছে। এভাবে একটি নির্দিষ্ট সময় ( অতি ক্ষুদ্র বা বৃহৎ কাল ) অতিবাহিত হবার ফলে *[ দূর্বল কেন্দ্রকীয় বলের ( Weak neuclear force ) উদ্ভব হবার পূর্বে ]* বলবাহী মৌল কণিকাসমূহের মধ্যে পারস্পরিক অভিক্রিয়া শুরু হয় এবং ১ম-ইওম বা দিনের সমাপ্তি ঘটে।
২য়-ইওম বা দিন সৃষ্টিকালীন ১ম-দিনের সমাপ্তির সাথে সাথে ৯ বিলিয়ন বছর আগে বলবাহী মৌল কণিকাগুলোর মধ্যকার পারস্পরিক অভিক্রিয়া শুরুর ক্ষণ থেকে ২য়-ইওম বা দিনের সূচনা ঘটে এবং একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মহাশক্তি ( নিয়ন্ত্রিত তাপশক্তি+বলবাহী মৌল কণিকাসমূহের মধ্যকার পারস্পরিক অভিক্রিয়া ) একটি নির্দিষ্ট সময়কাল ( ২য় দিন ) ব্যাপী প্রয়োগের ফলে দূর্বল কেন্দ্রকীয় বলের ( Weak nuclear force ) উদ্ভব ঘটে। এই বলের প্রভাবে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ভরবাহী মৌল কণিকা ( কার্ক, নিউট্রিনো ইত্যাদি ) সৃষ্টি করা হয়। যেহেতু বিজ্ঞানের বর্ণনায় আমরা দেখেছি যে, অর্ধেক চক্রণ বিশিষ্ট কণিকা অর্থাৎ ভরবাহী মৌল কণিকাগুলো দিয়ে পৃথিবীর সমস্ত পদার্থ গঠিত হয়েছে। সুতরাং (৪১:৯) নং আয়াত অনুসারে সৃষ্টিকালীন দুই দিনে অর্থাৎ ১ম ও ২য় দিনের ( দুটি নির্দিষ্ট সময়েয় ) পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন ও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অর্ধেক চক্রণ বিশিষ্ট ভরবাহী মৌল কণিকা যেমন কার্ক, নিউট্রিনো ইত্যাদি সৃষ্টির ক্ষণ থেকেই পৃথিবী সৃষ্টির ভিত্তি বা সূচনা ঘটে।
এবার আমি সুরা সিজদার ১০ নং আয়াতের ব্যাক্ষা দিচ্ছি। শোনেন.......।
“আর তিনি স্থাপন করেছেন অটল পর্বতমালা ভূপৃষ্ঠে এবং তাতে দিয়েছেন বরকত এবং চার দিনের মধ্যে এতে খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন সমভাবে যাচ্ঞাকারীদের জন্য।”
এই আয়াতের ব্যাক্ষা আপনাকে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আপনি যথেষ্ট বোঝেন। তারপরও আপনাকে বলতে হবে কারন আপনি নাস্তিক। নীহারিকা মতবাদে পৃথিবী বা জমিন সৃষ্টি হলেও মেঘ বায়ুমন্ডল সমস্তটাই এক ঐক্যবদ্ধ ছিলো। ঐক্যবদ্ধতার মধ্যদিয়েই পবর্ত সৃষ্টি হতে থাকে ভুকম্পন অনুভূত হয়। পর্বত সৃষ্টির কারণ হলো ভূ-ত্বকের শিলারাশিতে প্রবল পার্শ্ব চাপ। তবে এই পার্শ্ব চাপের উদ্ভব ঠিক কিভাবে ঘটেছে সেই সম্পর্কে অবশ্য ভূ-ত্ত্ববিদগণের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। এই সম্পর্কিত প্রধান প্রধান ধারণাগুলো হলোঃ উত্তপ্ত পৃথিবীর শীতলতা লাভের সময় এর শিলাসমূহের গাঠনিক ও ভৌতগুণাবলীর ভিন্নতার কারণে কোনো কোনো শিলা বা স্থান অধিক দ্রুত শীতল হলেও এর পার্শ্ববর্তী শিলা বা স্থানগুলো তখনও উত্তপ্ত অবস্থায় থাকার ফলে তাদের মধ্যে একপ্রকার টানের সৃষ্টি হয়; যার ফলে এধরনের স্থানগুলোতে অসমান ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়। আলফ্রেড ওয়েগনার তার ভাসমান ভূ-ভাগ বিষয়ক ধারনায় এই মতবাদ ব্যক্ত করেন যে, পৃথিবীর প্রধান প্রধান প্লেটগুলো সর্বদা সচল থাকার ফলে যখন সেগুলো পরস্পর সন্নিকটবর্তী হয় ভূ-ভাগ প্রবল চাপে উথ্খিত ও অবনত হয়ে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি করে। তাছাড়া পৃথিবীর অন্তর্জাত শক্তির ফলে সৃষ্ট টান বা প্রসারন এবং সংকোচন বা পার্শ্বচাপের ফলে ভূত্বকে যে ফাটল বা চ্যুতির সৃষ্টি হয় সেই ফাটল বা চ্যুতি বরাবর ভূত্বকের কোন একটি অংশ উপরে উঠে গিয়ে বা পার্শ্ববর্তী অংশ নিচে বসে গিয়েও পর্বতের সৃষ্টি হয়। এই পর্বত সৃষ্চির কালে জমিনের অভ্যন্তস্থ মেঘমা পৃথিবীর অভ্যন্তরে ক্রীয়া বিক্রীয়া ঘটাতে থাকে। তারা ভূমীর অভ্যন্তরস্থ জমাট বাধলেও ভূমীর অভ্যন্তর থেকে বেরেোতে পারে নাাই। পর্বত সৃষ্টির সাথে বরকত শব্দটির অর্থ কি বুঝলেন বিভিন্ন খনিজ সম্পদ যা ভুমীর অভ্যন্তরে এবং পবর্তময় সৃষ্টি হয়েছিলো। ভূমীর অভ্যন্তরে এমন কিছু উপাদান ছিলো যা পৃথিবীতে প্রাণ উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছিলো। জমিনের অভ্যন্তরে এমন কোন ব্যপক চাপ সৃষ্টি করতে পারে নাই যাতে পৃথিবীময় অগ্নুৎপাত ঘটবে। আর এই ব্যপক তাপ ও চাপের কারনে ভূমীর অভন্তরে সৃষ্টি হতে থাকে উদ্ভিদ জাতীয় প্রান ও প্রাণ সৃষ্টির বিভিন্ন উপকরণ যা পরবতীর্তে প্রাণ সৃষ্টিতে ভূমীকা রেখেছে এই প্রাণ সৃষ্টির উপাদানকে খাবার বলে অভিহিত করা হয়েছে।
“অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন, যা ছিল ধূম্রপুঞ্জবিশেষ। অতঃপর তিনি ওকে (আকাশকে) ও পৃথিবীকে বললেন, ‘তোমরা উভয়ে ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এস।’ ওরা বলল, ‘আমরা তো অনুগত হয়ে আসলাম” আয়াত নং ১১
“তারপর তিনি দু’দিনে আসমানসমূহকে সাত আসমানে পরিণত করলেন। আর প্রত্যেক আসমানে তার কার্যাবলী ওহীর মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন। আর আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপমালার দ্বারা সুসজ্জিত করেছি আর সুরক্ষিত করেছি। এ হল মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নির্ধারণ।” আয়াত নং ১২
১১ নং আয়াতে আপনি আসমান বলতে সুর্য গ্যালাক্সি এসব বুঝলেন কেনো আমি বুঝলাম না? আল কোরানে আসমান বলতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে বোঝানো হয়েছে। কোথাও আসমান জমিন বলতে শক্তি ও বস্তু মিনিং করা হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে আসমান বলতে বায়ুমন্ডল বোঝানো হয়েছে। ঠিক এরকমই একটি আয়াত আছে আলকোরানে এই আয়াতটির সাপেক্ষে। এরপর সুরা আম্বিয়ার ৩২ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে , ⦁ وَجَعَلْنَا السَّمَاءَ سَقْفًا مَحْفُوظًا ۖ وَهُمْ عَنْ آيَاتِهَا مُعْرِضُونَ ⦁“ আর আমি আকাশকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ, কিন্তু এ সবের নিদর্শন থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়। ” এখন এই আয়াতে উল্লিখিত একটি শব্দ পাওয়া যাচ্ছে যেটা হচ্ছে ( سَقْفًا ) সাক্কফান । এই শব্দের দুটি অর্থ আছে সেই দুটি অর্থ নিম্নরূপঃ ⦁ ছাদ , চাল , ছাউনি ⦁ আচ্ছাদান , আবরণ । প্রথমেই বলে নেয়া ভালো যে , এখানে সুরক্ষিত বলা হয়েছে একটি কারণে । এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন যে , আকাশ কিভাবে সুরক্ষা প্রদান করে ? তাহলে এর উত্তর টা বেশ সহজ । প্রথমেই বলে নেয়া ভালো যে , এখানে সুরক্ষিত বলা হয়েছে একটি কারণে । অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন যে , আকাশ কিভাবে সুরক্ষা প্রদান করে ? এর উত্তর টা বেশ সহজ । আমরা জানি আকাশকে বিজ্ঞানীরা বেশ কিছু স্তরে ভাগ করেছেন এইসকল স্তরগুলো হচ্ছে , ⦁ ট্রপোস্ফিয়ার Troposphere) ⦁ স্ট্রেটোস্ফিয়ার (Stratosphere) ⦁ ওজোন স্তর ( Ozone Layer ) ⦁ মেসোস্ফিয়ার (Mesosphere)
⦁ থার্মোস্ফিয়ার(Thermosphere) ⦁ আয়নোস্ফিয়ার(Ionosphere) ⦁ এক্সোস্ফিয়ার( Exosphere) ( সূত্রঃ উইকিপিডিয়া ) ।
এখন প্রশ্ন হল এইসকল স্তর কিভাবে পৃথিবীকে সুরক্ষতি রাখবে ? আসলে স্তরসমূহ পৃথিবীর জন্য ঢালের ( Shield ) এর মত কাজ করে । এই স্তরের মধ্যে ওজোন স্তর (Ozone layer) হচ্ছে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের একটি স্তর যেখানে তুলনামূলকভাবে বেশি মাত্রায় ওজোন গ্যাস থাকে। এই স্তর থাকে প্রধানতঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের নিচের অংশে, যা ভূপৃষ্ঠ থেকে কমবেশি ২০-৩০ কি:মি: উপরে অবস্থিত । বায়ুমণ্ডলে ওজোনের প্রায় ৯০ শতাংশ স্ট্রাটোস্ফিয়ারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওজোনস্তরে ওজোনের ঘনত্ব খুবই কম হলেও জীবনের জন্যে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি এটি শোষণ করে নেয়। ওজোন স্তর সূর্যের ক্ষতিকর মধ্যম মাত্রার(তরঙ্গদৈর্ঘ্যের) শতকরা ৯৭-৯৯ অংশই শোষণ করে নেয়, যা কিনা ভূ-পৃষ্ঠে অবস্থানরত উদ্ভাসিত জীবনসমূহের সমূহ ক্ষতিসাধন করতে সক্ষম। ঠিক এভাবে বিভিন্ন স্তর আকাশের অর্থাৎ এককথায় আকাশ পৃথিবীকে সুরক্ষিত করে রেখেছে। আচ্ছাদিত করে । এই আয়াত দ্বারা আমরা বুঝলাম আকাশ বলতে বায়ুমন্ডল যা মানুষকে ছাদ হিসেবে রক্ষা করছে মহাকাশের বিভিন্ন রে থেকে। বায়ুমন্ডলই হচ্ছে েএকমাত্র ব্যাক্ষা।
“অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন, যা ছিল ধূম্রপুঞ্জবিশেষ। অতঃপর তিনি ওকে (আকাশকে) ও পৃথিবীকে বললেন, ‘তোমরা উভয়ে ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এস।’ ওরা বলল, ‘আমরা তো অনুগত হয়ে আসলাম” পুথিবীর বায়ুমন্ডল এবং পানি যা অক্সিজেন হাইড্রোজেন গ্যাস রুপে পৃথিবীর সাথে সাথেই গতিময় ছিলো। পৃথিবী নামক উত্তপ্ত গ্রহ সাথে ধুম্রপুঞ্জ রুপে গ্যাসিয় বায়ুমন্ডল দুটিকে আল্লাহ এক ও ঐক্যবদ্ধ করার বাসনা করলেন। সৃষ্টি করলেন বায়ুমন্ডলের ৭ টি স্তর। এবং মেঘমালা। যা পৃথিবীর সাথে এক ঐক্যবদ্ধ একটি সিষ্টেমে পরিনত করলেন। এবার লক্ষ্য করুন 12 নং আয়াতের পরবর্তী অংশ“
আর আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপমালার দ্বারা সুসজ্জিত করেছি আর সুরক্ষিত করেছি। এ হল মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নির্ধারণ।” আয়াতের এই অংশটুকু নিয়েও দেখলাম হাসাহাসি করেছেন। আসলে অংশটুকু বোঝার চেষ্টা করেন নাই। এই সুসজ্জিতি প্রদীপমালা তিনি কিভাবে সৃষ্টি করলেন? আসলে বিষয়টি বোঝেন। পৃথিবীর পাশ্ববর্তী একটি বৃহৎ সাইজের গ্রহ ছিলো যা অকস্মাৎ ভেঙ্গে টুকরা টুকরা হয়ে এস্টেরিয়েড বেল্টে পরিনত হলো। যা পৃথিবীর মতো ঘুরতে থাকলো। আমি আল কোরানের আরেকটি আয়াত দ্বারা প্রমান করার চেষ্টা করি।
“আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করিয়াছি প্রদীপমালা দ্বারা এবং উহাদেরকে করিয়াছি শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ এবং উহাদের জন্য প্রস্তুত রাখিয়াছি জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তি” । সিুরা মূলক আয়াত নং ৫।আরবী এবং ইংরেজীতেও তুলে ধরলাম।
وَلَقَدْ زَيَّنَّا السَّمَاءَ الدُّنْيَا بِمَصَابِيحَ وَجَعَلْنَاهَا رُجُومًا لِّلشَّيَاطِينِ ۖ وَأَعْتَدْنَا لَهُمْ عَذَابَ السَّعِيرِ
And we have, (from of old), adorned the lowest heaven with Lamps, and We have made such (Lamps) (as) missiles to drive away the Evil Ones, and have prepared for them the Penalty of the Blazing Fire.
খুবই প্রাঞ্জল ভাষায় একটি কথা বলা আছে। যার মধ্যে লুকিয়ে আছে ব্যপক বৈজ্ঞানিক তথ্য। আল কোরআন বুঝলে তো কোন সমস্যা থাকে না।যার অর্থ দাড়ায় “আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করিয়াছি প্রদীপমালা দ্বারা এবং উহাদেরকে করিয়াছি শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ এবং উহাদের জন্য প্রস্তুত রাখিয়াছি জ্বলন্ত অগ্নির শাস্তি” । আল্লা আকাশে এমন কিছু উপকরন প্রদীপমালা রেখেছে যা শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপ করা যায়। এমনকি কোন উপকরণ নাই যা দিয়ে শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপ করা যায়? মনুষ্যরুপী শয়তানদের কথা বা ভূলে যাচ্ছেন কোনো? এ গুলো কি পৃথিবীতে আঘাত হানে নাই? এমন বহু সভ্যতা ধ্বংশ হয়েছে উল্কাপিন্ড বা গ্রহানুর আঘাতে। গ্রহানুর আঘাতে ফলে ভুমিকম্প সুনামি বহু প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনে বিলীন হয়ে গেছে মনুষ্য সভ্যতা!
১২ নং আয়াতে “ আর আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপমালার দ্বারা সুসজ্জিত করেছি আর সুরক্ষিত করেছি। এ হল মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নির্ধারণ।” তিনি আসমানকে প্রদীপমালা দিয়ে সজ্জিত করেছেরন বলেছেন আবার ১৩ নং আয়াতে বলা হচ্ছে। “এর পরেও যদি ওরা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে (ওদেরকে) বল, আমি তো তোমাদেরকে এক ধ্বংসকর শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করেছি; যেরূপ শাস্তির সম্মুখীন হয়েছিল আ’দ ও সামূদ;”। তাহলে আদ ও সামুদ জাতিকে ধ্বংশ করা হয়েছিলো গ্রহানুর আঘাতে যে গ্রহানু সৃষ্টি করার কথা তিনি বলেছিলেন প্রদিপমালা রুপে। আল কোরআনকে বুঝতে হবে। আল কোরআনের রুপক অর্থ বোঝার ক্ষমতা থাকতে হবে। আমি কি আপনাকে বোঝাতে পেরেছি? আপনি কি বুঝতে পারছেন সেই প্রদীপমালা কি যা শয়তানদের প্রতি নিক্ষেপ করার জন্য সৃষ্টি করা! বুঝলেন না! হামীম সিজদার পরবর্তী আয়াত শয়তানের প্রতি নিক্ষেপের উপকরণ টা দিয়ে আদ ও সামুদ জাতিকে শাস্তি দেওয়া হয়েছিলো? বুঝলেন কি? আকাশে এমন কিছু প্রদীপমালা সৃষ্টি করেছেন যা দিয়ে পৃথিবীতে শয়তান দ্বারা প্রলুদ্ধ জাতি স্বত্ত্বা ধ্বংশ করে দেওয়া হয়।
আল কোরআনের এমন অসংখ্য জাতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যারা আল্লার ক্রোধে দ্বারা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনে ধ্বংশস্তুপে পরিনত হয়েছে, বিলীন হয়েছে। আল কোরআনে বলা আছে “৭৩. সূর্যোদয়ের সময় মহানাদ তাদের আঘাত করে। “৭৪. অতঃপর আমি জনপদটিকে উল্টে দিলাম ও তাদের ওপর কঙ্কর বর্ষণ করলাম। ৭৫. নিশ্চয়ই এতে চিন্তাশীলদের জন্য নিদর্শনাবলি রয়েছে। ৭৬. পথের পাশে ওই জনপদের ধ্বংসাবশেষ এখনো বিদ্যমান। (সুরা : হিজর)
শেষ হলো হামিম সিজদা সুরা আপনার নির্ধারিত আয়াত গুলো ব্যাক্ষা । এরপরও যদি আপনি না বোঝেন তাহলে আমি ভাববো আপনি হলেন সেই লোক যাকে আলকোরআনের ভাষায় মানসিক অসুস্থ অভিহিত করছে। আল কোরআন বলে তুমি তাকে যতই বোঝাতে চেষ্টা কর সে বুঝিবে না। কারন আমি তাকে দু চোখে পর্দা দিয়েছি দু কানে পর্দা দিয়েছি”।
২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:১২
এভো বলেছেন: ৪১--৯ বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
এখানে সবার আগে আল্লাহ পৃথিবীকে সৃষ্ঠি দুই দিনে , এবং পৃথিবীকে যে সবার আগে তৈরী করা হয়েছে সেটা সমর্থন করে এই আয়াত ---- সুরা আম্বিয়া আয়াত ৩০
কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না? ------ এই আয়াত থেকে বোঝা যায় আকাশ মন্ডলি এবং পৃথিবী আগে থেকেই তৈরি ছিল কিন্তু তাদের মুখ বন্ধ ছিল । যখন আল্লাহ মুখ খুলে দেয় তখন পৃথিবী এবং আকাশমন্ডলি ( যেটা ধুম্রকুঞ্জ ছিল ৪১-১১) বেরিয়ে আসে , সে হিসাবে পৃথিবীর বয়স ১৪ বিলিয়ন বৎসর হওয়ার কথা ।
৪১-১০ তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
------ এই আয়াত থেকে বোঝা যায় প্রথম দুই দিনে পৃথিবীকে ফর্ম করার পরে তৃতিয় দিনে অটল পর্বত মালা স্থাপন করা হয় এবং চতুর্থ দিনে খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন । তারে মানে চতুর্থ দিনে সব প্রাণী গাছ পালা সৃষ্ঠি করেছেন , তানা হোলে কাদের জন্য ৪ নং দিনে খাদ্যের ব্যবস্থা কোরলেন ।
৪১-১১ অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম
---- চার দিন পার হওয়ার পরে আল্লাহ আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যেটা ছিল ধুম্রকুঞ্জ ---- তারমানে তখন কোন তারা সুর্য নক্ষত্র সৃষ্ঠি হয় নি , সব ছিল ধুম্রকুঞ্জ
৪১-১২ অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।
-- তার আকাশকে বিন্যাশ করলেন সুর্য নক্ষত্র সৃষ্ঠি কোরলেন ।
কি বুঝলেন এখন ? পৃথিবী সৃষ্ঠি হয়েছে সূর্যের আগে , সুর্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথিবী সৃস্ঠি হয় নি । সুর্য এবং তারাকা রাজি সৃষ্ঠি হওয়ার আগে পৃথিবীতে জীব যন্তু গাছ পালা সৃষ্ঠি হয়ে গেছে এবং তাদের খাদ্যের ব্যবস্থ হয়েছে চতুর্থ দিনে ।
তাহোলে ৫ম দিনে সুর্য নক্ষত্ররাজিকে সৃষ্ঠি করা হয়েছিল ।
এবার বলুন চারদিন পর্যন্ত তো কোন সুর্যই ছিল না -- তাহোলে দিন টা হোল কি করে সুর্যের আলো ছাড়া । সুর্যের আলো এবং তাপ ছাড়া পানি বাস্পায়িত হোয়ে তারপর মেঘ হয়ে বৃষ্ঠি পাত কি করে হোল এবং গাছ গাছরা কি ভাবে শালোক সংশ্লেসন করে খাদ্য গ্রহন করে বাচা থাকলো ।
বিজ্ঞান বলে ৪ বিলিয়ন বৎসর আগে পৃথিবী সুর্য হতে বিছিন্ন হয়ে সৃষ্ঠি হয়েছে কিন্তু কোরান অনুযায়ি পৃথিবীকে প্রথম ২ দিনে বানান হয়েছে -- ৩য় ও দিনে পাহাড় পর্বত এবং ৪র্থ দিনে প্রাণী সৃষ্ঠি করে , তাদের খাদ্যের ব্যবস্থা করে , ৫ম দিন হতে সুর্য নক্ষত্র কে সৃষ্ঠি করে বিন্যাশ করা হয়েছে ।
সুর্য আলো সৃষ্ঠি হয় ৫ম দিন হতে -- তাহোলে প্রথম ৪ টা দিন কি করে দিন হোল যদি সুর্য ৫ম দিনে সৃষ্ঠ হয় ? প্রথম চারটা তথাকথিত দিনে তো সুর্যই ছিল না ।
৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:৩১
সোবুজ বলেছেন: আল্লাহ যখন হও বললেই হয়ে যায় তখন——-মতো ছয় পরিশ্রম করতে গেলো কেনো।যার জন্য তাকে আবার বিশ্রামে যেত হলো।কি পরিশ্রমটাইনা করেছিল।এই সব বড় বড় পাহাড় নাড়াচাড়া করা,আবার সেই গুলি পোঁতা ।কম পরিশ্রমের কাজ না।
৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:২৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ এভো কেউ যদি মনে করে আমি বুঝি না আমাকে বোঝায় কোন ব্যাটা? তাহলে তাকে আর বোঝানো যাবে না।
পূবের ২টি ইয়াওমকালে জমিন সৃষ্টি হয়েছে। যেহেতু বিজ্ঞানের বর্ণনায় আমরা দেখেছি যে, অর্ধেক চক্রণ বিশিষ্ট কণিকা অর্থাৎ ভরবাহী মৌল কণিকাগুলো দিয়ে পৃথিবীর সমস্ত পদার্থ গঠিত হয়েছে। সুতরাং (৪১:৯) নং আয়াত অনুসারে সৃষ্টিকালীন দুই দিনে অর্থাৎ ১ম ও ২য় দিনের ( দুটি নির্দিষ্ট সময়েয় ) পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন ও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অর্ধেক চক্রণ বিশিষ্ট ভরবাহী মৌল কণিকা যেমন কার্ক, নিউট্রিনো ইত্যাদি সৃষ্টির ক্ষণ থেকেই পৃথিবী সৃষ্টির ভিত্তি বা সূচনা ঘটে। পৃথিবী সৃষ্টি করতে গিয়ে সমস্ত কিছু সুষ্টি ধারাবাহিকভাবে দরকার ছিলো।
সুরা সিজদাহ তে পৃথিবী মানুষ নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে। তাই এই আলোচনাতে গ্যালাক্সি জগৎ এর প্রয়োজনীয়তা দরকার ছিলো না। তাই সুর্য চন্দ্র নিয়ে কথা বলা হয় নাই। এই আয়াতে অবিশ্বাসী শ্রেণির উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে। তোমরা যদি আমার সমকক্ষ দাড় করাতে চাও তবে আমি অতীতে গ্রহানুর আঘাতে অসংখ্য জাতি সত্ত্বা ধ্বংশ করেছি তেমনি আবারো ধ্বংশ করবো।
আমার লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন। অযথা প্যাচায়েন না।
আর আপনার ভিডিওটা আমি দেখতে পারবো না কারন আমার কম্পিউটারে কোন স্পিকার নাই্ কিছুই শুনতে পারবো না। অতএব ভিডিওটা নিয়ে আলোচনা করতে পারবো না।
৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৩৯
রানার ব্লগ বলেছেন: আলোচনা হোক !!! রমজান মাসে এই রকম আলোচনা ভালই লাগে । কিন্তু দয়া করে বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা করবেন, হঠাত করে গালাগাল দেবেন না ।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০৩
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ রানার।
৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৫৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @সোবুজ, “ আল্লাহ যখন হও বললেই হয়ে যায় তখন——-মতো ছয় পরিশ্রম করতে গেলো কেনো। যার জন্য তাকে আবার বিশ্রামে যেত হলো।কি পরিশ্রমটাইনা করেছিল।এই সব বড় বড় পাহাড় নাড়াচাড়া করা,আবার সেই গুলি পোঁতা । কম পরিশ্রমের কাজ না”
স্বনামধন্য বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আন্দ্রে লিন্ডে বিভিন্ন সময় প্রশ্ন করেছেন ইনফ্লেশন সবদিকে সমভাবে একই সঙ্গে এতসুক্ষভাবে সম্প্রসারিত হলো কি করে? তিনি জোর দিয়ে বলেন একটি আদেশ এর প্রয়োজন ছিলো যে আদেশ বা কমান্ডের কারনেই মহাবিশ্ব এত সুক্ষভাবে বেড়ে উঠতে পারে। আন্দ্রে লিন্ডের ভাষায়-Why is the universe so big? If one takes a universe of a typical initial size given by the Planck length and a typical initial density equal to the Planck density, then, using the standard big bang theory, one can calculate how many elementary particles such a universe might encompass. The answer is rather unexpected: the entire universe should only be large enough to accommodate just one elementary particle or at most 10 of them. It would be unable to house even a single reader of Scientific American, who consists of about 1029 elementary particles. Obviously, something is wrong with this theory. The fourth problem deals with the timing of the expansion. In its standard form, the big bang theory assumes that all parts of the universe began expanding simultaneously. But how could all the different parts of the universe synchronize the beginning of their expansion? Who gave the command?
আন্দ্রে লিন্ডে সত্যিই সেদিন অবাক হয়েছিলো। একটি ক্ষুদ্র কনা কি করে এত বড় মহাবিশ্ব সৃষ্টি করলো? একটি কনা ১০ টি সৃষ্টি করতে সক্ষম নয়। সেখানে এত কনা এতবড় মহাবিশ্ব! তিনি আবারো প্রশ্ন করলেন বিস্ফোরনই ঘটলো কি করে চারিদিকে সমভাবে সমান ভাবে। এতটা সুক্ষ কি করে সম্ভব? তাহলে সৃষ্টির শুরুতে কি কোন কমান্ড ছিলো। (আদেশ ছিলো)। যে আদেশকে ষ্টাটিং পয়েন্ট ধরে নিয়ে মহাবিশ্ব সমভাবে সব দিক দিয়েই সুন্দরভাবে প্রবৃদ্ধি ঘটেছে।
আন্দ্রে লিন্ডের ভাষায় একটি আদেশের দরকার ছিলো। মহাবিশ্ব শুরুর সময় অথাৎ বিগব্যাংগ এর সময় এমন কোন আদেশদাতার প্রয়োজন ছিলো যার কমান্ড মহাবিশ্ব শুরুর গতিটি নিখুত ও নির্ভূল করে তোলে। এই গতিটি এতটাই নিখুত ও এতটাই সুক্ষ ছিলো যে একজন পরিকল্পনাকারীর গানিতিক মাপ না থাকলে এই মহাবিশ্ব কোনভাবেই সৃষ্টি হতে পারতো না। মহাবিশ্ব সম্প্রসারনের এই নিখুত গানিতিক বিষয়টি পর্যলোকন করে অনেকেই চমকে ওঠেন!
বিশিষ্ট পর্দাথবিজ্ঞানী পল ডেভিস বিগব্যাংগের পর মহাবিশ্ব যে গতিতে সম্পসারিত হচ্ছে তা নিয়ে চমকপ্রদ এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মতে সম্প্রসারনের গতিটি ১০০% পারফেক্ট ছিলো। তার হিসাব মতে সেই গতিবেগের কোটি ভাগের ১ ভাগ যদি কম বেশি হতো তবে এই (habitable universe) বাসযোগ্য বিশ্বজগত সৃষ্টি হতো না। এ প্রসঙ্গে পল ডেভিস বলেন “ সুক্ষভাবে হিসেব-নিকেশ করে দেখা যাচ্ছে যে বিগব্যাং এর পর বিশ্বজগতের সম্প্রসারনের গতির মাত্রা ছিলো ঠিক ততোটুক্ইু যে মাত্রায় সম্প্রসারিত হওয়া শুরু করলে বিশ্বজগত তার নিজস্ব মাধ্যাকর্ষন-শক্তির কবল থেকে মুক্ত হয়ে অনন্তকালের জন্য সুশৃংখলভাবে সম্প্রসারিত হতে পারে। সম্প্রসারণের গতিবেগ সামান্যতম কম হলে এ বিশ্¦জগত ধ্বংশ হয়ে যেতো। আবার গতিবেগ সামান্যতম বেশি হলেও বিশ্বজগতেরর সবকিছু বহু আগেই বিশৃংখলভাবে ছড়িযে ছিটিয়ে অদৃশ্য হয়ে যেতো।,,,,,,,, স্পষ্টতই বিগ ব্যাং কোনো সাধারণ বিস্ফোরন ছিলো না, ছিলো সুক্ষভাবে পরিকল্পিত একটি বিশাল ঘটনা - W.R.Bird, The Origin of Species Revisited, Nashville: Thomas Nelson, 1991; originally published by Philosophical Library in 1987, p.405-406) পল ডেভিসের ভাষায় “সাধারন বিস্ফোরন ছিলো না, ছিলো সুক্ষভাবে পরিকল্পিত একটি বিশাল বিস্ফোরন”।
বিস্ফোরনের গতিবেগের উপর নির্ভর করেছিলো সম্প্রসারনের গতিবেগের হার। বিস্ফোরনের গতিবেগ যদি কম হতো তবে সম্প্রসারণের হার হতো কম গতিতে ফলে আইনষ্টাইনের রিলেটিভিটি সুত্র অনুযায়ী মহার্কষ আকর্ষনের কারনে বস্তু সমূহ সম্প্রসারিত হতে থাকলেও সৌরজগতের নির্মানের আগেই পুরো মহাবিশ্ব পূনরায় আবার সংকুচিত হয়ে মিশে যেতো। আর যদি বিস্ফোরনের গতিবেগ বেশি হতো তবে সমস্ত কিছু এলোপাথালি ভাবে ছড়িযে ছিটিয়ে যেতো। অতিরিক্ত সম্প্রসারণের কারনে বস্তুকনাগুলো একে অপরকে আকর্ষন করে সৌরজগত, তারকারাজি, ছায়াপথ এসব গড়ে উঠার সুযোাগ পেত না। এ্ই সকল বিভিন্ন প্রাপ্ত তথ্য থেকে এতটুকু নিশ্চিত হওয়া যায় যে এই সম্প্রসারনের হার ঠিক ততটুক্ইু যতটুকু হলে মহাবিশ্ব নিজের মহাকর্ষ আকর্ষন শক্তি অতিক্রম করতে পারে আর এই কারনেই পল ডেভিস এটিকে একটি পরিকল্পনার ফসল বলে অভিহিত করেছেন। তার ধারনা এটাকে সৃষ্টি করা হয়েছে হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোন ঘটনার ফল নয়। পল ডেভিস বলছেন: “এমন ধারণা মনে স্থান দেয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখা খুবই কঠিন যে, বিশ্বজগতের বিদ্যমান কাঠামো যা কিনা ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম পরিবর্তনের ব্যাপারের স্পর্শকাতর যত্নের সঙ্গে চিন্তা-ভাবনা করেই অস্তিত্বে আনা হয়েছে।”-(Paul Davies, God and the New Physics, New York: Simon & Schuster, 1983, p.189)
@সোবুজ, আদেশদাতার প্রয়োজন ছিলো। সৃষ্টিকর্তার ও প্রয়োজন ছিলো। পাহাড় সৃষ্টি করতে কষ্ট করা লাগে না। যার আদেশেে এত বিশাল বিস্ফোরন ঘটে। তার আদেশে দুটি পাতের একটি পেরেকের ঢুকে গিয়ে পাহাড় সৃষ্টি হবে না এটা ভাবলেন কি করে?
৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:১০
রানার ব্লগ বলেছেন: বিস্ফোরনই চারিদিকে সমভাবে সমান ভাবে যে ঘোটছে এর কোন বৈজ্ঞানিক প্রমান আছে ? আমরাতো কেউই জানি না বিস্ফোরন ঘটার পরে এর ব্যাপ্তি কি ভাবে ঘটেছে ? এটা একমুখি না চতুর্মুখি অথবা সমান ভাবে না বিচ্ছিন্নভাবে না কি তির্যকভাবে । আমরা কেবল ধারনা করি যে বিষ্ফোরন ঘটার পরে তা সমান ভাবে খালি জায়গা পুরন করেছে ।
সম্পুর্ন মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে কেবল এই চিমটি সাইজের পৃথিবীর জন্য , আমার চরম সন্দেহ আছে এই ব্যাপারে ।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:০১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বিস্ফোরনই চারিদিকে সমভাবে সমান ভাবে যে ঘোটছে এর কোন বৈজ্ঞানিক প্রমান আছে ?
বিজ্ঞানীদের ল্যাবে বিগ ব্যাং এর থ্রিডি ভার্সন তৈরী করে বিভিন্নভাবে পরীক্ষা করে নিরীক্ষা করে দেখেছে! বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এ্যালেন গুথ, আন্দ্রে লিন্ডে, পল ডেভিস বিশেষ করে যারা বিগ ব্যাংগ নিয়ে গবেষনা করেছে তারাই প্রমান করেছে।
বিজ্ঞানী এ্যালেন গুথ মহাবিশ্বের এই সুনিয়ন্ত্রিত সম্প্রসারণ হার দেখে স্তম্ভিত হয়ে বললেন “এই সম্প্রসারনের হার এতটাই সুনিয়ন্ত্রিত, যেখানে ভুলের সম্ভাবনা ১/১০^৫৫। এত সুক্ষ এবং সুনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা বা বা প্রক্রিয়া কোনো হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা হতে পাওয়া অসম্ভব। বিগব্যাং যদি হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো অনিয়ন্ত্রিত ঘটনা হতো তবে এই প্রক্রিয়া এতটা সঠিক এবং উপযুক্ত ভাবে চলতে পারতো না। তাই বলা যায় এটি অবশ্যই একটি নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়া।”
মহাবিশ্বে মহাজাগতিক বসতু সমূহের অবস্থান এবং এদের মধ্যে দূরত্ব পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্বর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কসমিক বল দ্বারা নক্ষত্রগুলোর মধ্যকার দূরত্ব পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রেখেছে। কসমিক বল দ্বারা নক্ষত্রগুলোর মধ্যকার দূরত্ব এমনভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে যা পৃথিবীকে মানুষের জীবনধারনের উপযোগী করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অতি গুরুতবপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। মহাজাগতিক বস্তু সমূহের মধ্যকার দুরত্ব যদি কিছু কম হোাতো তবে মহাকষীয় আকর্ষন, তাপমাত্রা ইত্যাদির ব্যপক পরিবর্তন ঘটতো। আর যদি মহাজাগতিক বসতু সমূহের মধ্যে দুরত্ব কিছুটা বেশি হতো তবে বস্তুগুলো সুপারনোভা অবস্থায় ছড়িযে ছিটিয়ে যেতো। ফলে গ্রহানুগুলো একত্রীত হতে পারত নাা এবং আমাদের পৃথিবীর মতো গ্রহ তৈরী হওয়ার জন্য প্রযোজনীয় ঘনত্বে পৌছাতে পারত না। এই প্রসঙ্গ নিয়ে বিশিষ্ট বিশিষ্ট মহাকাশ বিজ্ঞানী জর্জ গ্রিনস্টেইন বলেন “ যদি তারকাগুলোর মধ্যবর্তী দূরত্ব কিছুটা কম হতো তবে astrophysics খুব একটা পরিবর্তন হতো না। পদার্থ বিদ্যার নিয়ম, যেসব নক্ষত্র, নেবুলা ইত্যাদির মধ্যে ক্রিয়াশীল সেসব ও খুব একটা পরিবর্তন হতো না। শুধুমাত্র ছোট খাট কিছু পরিবর্তন হতো। যেমন, রাতে ঘাসের মেঝেতে শুয়ে রাতের যে আকাশটা দেখি তা কিছুটা উজ্বল দেখাত। আর আরেকটি ছোট্ট পরিবর্তন হতো। তা হচ্ছে, রাতের এই উজ্জল আকাশ দেখার জন্য আমি বা আপনি কেউই থাকতাম না।”
৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:০৭
রাজীব নুর বলেছেন: সব ধর্মই মিথ্যা।
কারন যে ওপর ওয়ালার অস্তিত্বের কোন প্রমান নেই তার আরাধনা করতে শেখায় ধর্ম। স্বর্গ- নরকের লোভ আর ভীতি দেখিয়ে জীবনকে অবহেলা করতে শেখায় ধর্ম।
ধর্ম শেখায় পৃথিবী কারাগার, পরীক্ষাগার জাতীয় সমস্ত আজব কথা। আচ্ছা ধর্মগুলো কি এক একটা উদ্ভট প্রথা তৈরী করে মানুষে মানুষে পার্থক্য তৈরী করে না?
প্রাকৃতিক জগতে, অন্যান্য প্রানীর জীবনে ধর্মের কোন জায়গাই নেই। এর থেকে কি প্রমান হয়না যে ধর্মগুলোর ভিত্তিই হলো মিথ্যা?
১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৫১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সব ধর্মই মিথ্যা।
সব ধর্ম মিথ্যা বলতে আপনি পারেন না। বলতে পারেন কালের প্রবাহে ধর্মের গ্রন্থ গুলোতে সংযোজন বিয়োজন করে ধর্মের মূল উদ্দেশ্য রহিত করা হয়েছে। আমাদের সংযোজন বিয়োজনের কারনে ধর্মের সঠিকতা হারিয়ে গেছে।
ওপর ওয়ালার অস্তিত্বের কোন প্রমান নেই তার আরাধনা করতে শেখায় ধর্ম। স্বর্গ- নরকের লোভ আর ভীতি দেখিয়ে জীবনকে অবহেলা করতে শেখায় ধর্ম।
ওপরওয়ালার অস্তিত্ব নেই এটকি আপনি প্রমান করতে পারবোন? পারবেন না। অনেক বিজ্ঞানী চেষ্ট করেছে? পেরেছে কি? বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমান করুন। যে সৎ কর্ম করবে সে পুরস্কার পাবে। তার পুরস্কার প্রাপ্তির ব্যাপারটা লোভের কি? সৎ কাজ করবেন সৎ পথে চলবেন এতি ভীতির কি আছে? না কি ডাকাতি করে অন্যের সম্পদ লুটপাট করতে স্বাাধীনতা চান বলে ধর্ম
খারাপ? ব্যাভিচারি করে সমাজে এইডস ভাইরাস সহ অসংখ্যা ভাইরাস পৃথিবীতে সৃষ্টি করে মানুষের যৌন নিরাপত্তা লংঘিত করতে চান বলে ধর্ম খারাপ? সৎ কাজ করবেন কোন ভীতি নাই অসৎ কাজ করবেন আপনার জন্য ভীতি থাকবে। তাহলে ধর্মটা খারাপ কই?
ধর্ম শেখায় পৃথিবী কারাগার, পরীক্ষাগার জাতীয় সমস্ত আজব কথা। আচ্ছা ধর্মগুলো কি এক একটা উদ্ভট প্রথা তৈরী করে মানুষে মানুষে পার্থক্য তৈরী করে না?
কারাগার কেনো বলছেন! সৎভাবে চলার নিয়ম রুল মেনে চলার কথা বলছে। মেনে চললে তো আপনার কোন সমস্যা নেই আর যদি মনে করেন চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রাহাজানী করবেন তাহলে সে তো আপনার জন্য কারাগার হবেই।
আপনি পশুর মতো হতে চাচ্ছেন কেনো? কারন আপনি পশুর মতো ব্যাভিচারী করতে চান? কিন্তু আমরা মানুষ। পশু থেকে আলাদা হয়েছি।
আজ স্বামী স্ত্রি বিচ্ছেদের হিড়িক পাশ্চত্য দেশ সমূহের একটি প্রধান সমস্যা। ইংল্যান্ডে প্রতি ১০০ জন নারীর মধ্যে ৮৬ জন নারী বিয়ে ছাড়াই যৌন সম্পর্ক স্থাপন করছে। প্রতি ৩ জন নারীর একজন বিয়ের পূবেই সত্বিত্ব সম্পদ হারিয়ে বসে। আমেরিকার বিদ্যালয় সমূহে অশ্লীল ম্যাগাজিনের চাহিদা এত বেশি যে এগুলো অধ্যায়ন করে আমেরিকার স্কুল কলেজের নারীরা চরম যৌন উত্তেজনায় ভূগতে থাকে। ফলে ব্যাভিচারের পরিধি চরমে পৌছেছে। হাইস্কুলের শতকরা ৪০ জন ছাত্রী স্কুল ত্যাগ করার পূর্বেই চরিত্রভ্রষ্ট হয়ে পড়ে। অবাধ যৌনাচারে সমগ্র আমেরিকা ছেয়ে গেছে। আমেরিকার গড়ে ১ জন মানুষ ৮ জন মানুষের সাথে যৌন সম্ভোগের পর একজনের সাথে থাকার ব্যবস্থা শুরু করে। ব্রিটেনেও শতকরা ৮৬ জন যুবতী বিয়ের সময় কুমারী থাকে না। সত্বীত্ত যেনো এখন অতীতের একটি স্মৃতি। চীনে যৌন স্বাধীনতার দাবী সম্বলিত পোষ্টারে যার সাথে খুশি যৌন মিলনে কুণ্ঠিত না হবার আহ্বান জানানো হয়। ইউরোপে যৌন স্বাধীনতার দাবীতে পুরুষের মত নারীরাও নৈতিকতা হারিয়ে উচ্ছৃংখল ও অনাচারী হয়ে পড়েছে এবং সুযোগ পেলেই হন্যে হয়ে তৃপ্ত করছে যৌনক্ষুধা।এমনটি কেনো হচ্ছে? তাহলে মানুষ আর পশুর মধ্যে পাথর্ক থাকলো কোথায়? এ্ই পরিস্থিতির কি শেষ হবে না? মানুষ কি বুঝতে পারবে না সে পশূ থেকে আলাদা!
আপনি তাহলে কেনো পশুদের মতো স্বাধীনতা চাচ্ছেন।
৯| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:২৭
এভো বলেছেন:
ভাই আপনি যে কুযুক্তির আশ্রয় নিয়েছেন তার নাম স্ট্রম্যান ফালাসি। মুল ইসুকে এড়িয়ে অযথা অপ্রসংগিক বর্ণনা দিয়ে, সিকোয়েন্সকে হাইড করাই উদ্দেশ্য।
মনে আমি ২ মাসে একটা বাড়ির সিভিল কন্সট্রাক্সন করেছি। বাস এখানেই প্রসংগ শেষ কিন্তু আপনি যেটা করছেন সেটা হোল,,,, আরে আরে বাড়ি বানাতে আমার দশ হাজার ইট লেগেছে, ৫ জন রাজমিস্ত্রী কাজ করেছে, বারো জন লোক লেবার দিয়েছে, করিম মিয়া ইট সাপ্লাই দিয়েছে, এম এক্স হার্ডওয়ার লোহা দিয়েছে, আর্কিটেক্ট মনির ডিজাইন করেছে,,,,,,,, ইত্যাদি।
এই ধরনের গরুর রচনা ফেদেছেন মুলত পাঠকে বিভ্রান্ত করতে।
আল্লাহ দুই দিনে পৃথিবী বানিয়েছে,, প্রসঙ্গ এখানে শেষ,,, আপনি শুরু করেছেন,,,,, আরে আরে দুই দিন মানে ২ বিলিয়ন ইয়ার, তখন গামা রে, ফোটন, কোয়ার্রক
লাম ছাম বিভিন্ন ক্রিয়া করেছে ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা। এই রচনার তো কোন দরকার নেই।
২ দিন ২ বিলিয়ন ইয়ার না ২ লক্ষ ইয়ার,, এই কাহিনি বলার কোন দরকার আছে।
আসল বিষয় হোল প্রথম দুই দিনে পৃথিবীকে বানান হয়েছে,,, এটাকে টেনে লম্বা করার পিছনে, একটা অসৎ উদ্দেশ্য কাজ করেছে।
আকাশ নিয়ে কচলিয়েছেন। আয়াতে বলে দিয়েছে আকাশের অবস্থা কেমন ছিল। সেটা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, তারমানে প্রথম চার দিন বা ৪ বিলিয়ন ইয়ার জগতে ছিল পৃথিবী এবং ধুম্রকুঞ্জ ময় আকাশ। সুর্য নক্ষত্র ধুমকেতু কিছুই ছিল না।
৫ম দিনে ধুম্রময় আকাশকে বিন্যাস করেছে সুর্য নক্ষত্র সহ বাকি সব সৃষ্টি করেছে।
ছয় দিনে কমপ্লিট করেছে।
এই সিম্পল জিনিসটাকে লুকাবার জন্য স্ট্রম্যান ফালাসি শুরু করেছন।
আপনি যে ভাবে বর্ণনা করেছেন, সেটা কোন তফসিরে আছে।
সব নামকরা তফসিরে বলা হয়েছে
প্রথম দুইদিনে বানান হয়েছে পৃথিবি
তৃতীয় দিন পাহাড়
৪র্থ দিন জিব জন্তু প্রাণের সঞ্চার এবং খাদ্য ব্যবস্থা
৫ & ৬ দিনে ধুম্রকুঞ্জ ময় আকাশ হতে সুর্য নক্ষত্র ইত্যাদি।
সব নামকরা তফসিরে এইভাবে বলা আছে।
আপনি শুরু করেছেন নিজের বা ধার করা কপি পেস্ট।
আপনি এই পন্থা নিয়েছেন যাতে পাঠকরা আসল সত্যটা ধরতে না পারে।
পাবলিকের কাছে যদি প্রকাশ পেয়ে যায়৷, সুর্যের আগে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে, জীবনের উদ্ভব হয়েছে এবং বিজ্ঞানের সাথে মিলে না তখন বিপদ হয়ে যাবে।
সে কারনে এই স্ট্রম্যান ফালাসি।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৫৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বারেবার তাফসীরের কথা বলছেন। কারন আপনাদের নাস্তিক্যবাদ চরম ধাক্কা খাচ্ছে। হেরে যাচ্ছে সে জন্য ধর্ম ব্যবসায়ীদের হাত ধরে নিজেদের জয়ী করতে চাচ্ছেণ। অথচ আল কোরআন বলে “ আমি যাদের কোরআন বোঝার ক্ষমতা দিয়ে থাকি তারাই বোঝে এবং সিজদাই নত হয়ে লুটিয়ে পড়ে।”
আমি কুযুক্তি দিচ্ছি না। আপনি কি বলতে চান ? মাদ্রাসা থেকে আরবী পড়লেই কেবল তাফসীর করার ক্ষমতা থাকে? না ভাই তাফসীর একজন আরবী না জানা লোকও করতে পারে যাদি আল্লা তাকে তাফসীর করার বা কোরআন বোঝার ক্ষমতা দিয়ে থাকে। ধর্মব্যবসায়ীদের তাফসীর পড়েন বলেই তো আপনারা ধর্মেরে বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন।
ভাইরে অযথা কেনো পেচাচ্ছেন? সুরা সিজদাতে গ্যালাক্সি সুর্য নিয়ে কথা বলার কোন প্রয়োজন ছিলো না। শুধুমাত্র পৃথিবী এবং এবং স্রষ্টাকে কেনে সিজদা করতে হবে এই বিষয়টাই অোলোচনা কেরা হয়েছে। সিজদা না করলে আদ ও সামুদ জাতিকে যেভাবে ধ্বংশ করা হয়েছিলো। এই পৃথিবীর কতিপয় জাতিস্বত্ত্বকে আবারো ধ্বংশ করা হবে। লক্ষ্য করুন এই সুরাতে রাসুল কে আল্রাহ বলছেন সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী। কিন্তু কেনো সতর্ককারী। কিন্ত কিসের সতর্ককারী। সেটা এক ভয়াবহ এক ধ্বংশলীলার সম্ভাবনাময় সতর্কবার্তা। ধর্ম মানবেন ভালো। আর যদি না মানেন তবে মাথায় রাখবেন এমন এক ভয়াবহ আঘাত আসছে।
গ্রহানু সৃষ্টির কারন আল্লাহ সুরাতে বর্ননা করেছেন এবং গ্রহানুর আঘাতে আদ ও সামুদ জাতির মতো ধ্বংশলীলার কথা বর্ননা করেছেণ।
ধুম্রপুঞ্জ বলতে আপনি বারেবার কেনো নেবুলা বা নক্ষত্রদের মতো ভা্বছেন। ১৪০০ বৎসরের পুরানো মানুষ তারা কতটুকুই বা বুঝতো? তাদেরকে বোঝাতে যতটুকু শব্দ প্রয়োগ দরকার ছিলো। ধুম্রপুঞ্জ কে গ্যাসীয় অবস্থায় ভাবছেন না কেনো? বায়ুমন্ডল এবং পানি সৃষ্টির জন্য অক্সিজেন হাইড্রোজেনের গ্যাসিয় অবস্থায় থাকাকালীন সময়কে বোঝানো হয়েছে। যে সময়কালে ভ্যান এ্যালেন বেল্ট সৃষ্টি হয় নাই। ফলে পৃথিবীর সাথে বায়ুমন্ডলের গ্যাসিয় অবস্থাকে ওতপ্রোতভাবে থাকা অবস্থাকে বোঝানো হয়েছে। তারপর ভ্যান এ্যালেন বেল্ট সৃষ্টি হবার পর পানি সৃষ্টি অর্ধেক সমুদ্র রুপে পৃথিবীতে আর অর্ধেক মেঘমালা রুপে আকাশে।
মনে রাখবেন আদি যুগের মানুষেরা মেঘ উড়ে বেড়ানো স্থানকেই স্বর্গ মানতো। আসমান বলতে ঐ সীমারেখাকেই বোঝানো হয়েছে। গভীরে বোঝার চেষ্টা করুন।
আমি আমার বিভিন্ন লেখা থেকেই আমি আপনাকে এত কিচু বলছি। আসলে আমি ব্যস্ত মানুষ এত কিছু লেখার সময় আমার নেই।
সত্যের পথে থাকুন। ধর্মব্যবসায়ীদের এড়িয়ে চলুন সঠিক সত্য আল্লা আপনাকে দেখাবে। যুগে যুগে এত নবী রাসুল আসবার কারনই হলো ধর্মব্যবসায়ীরা ধর্মটাকে নষ্ট করে।
১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:২৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আল্লাহ দুই দিনে পৃথিবী বানিয়েছে,, প্রসঙ্গ এখানে শেষ,,, আপনি শুরু করেছেন,,,,, আরে আরে দুই দিন মানে ২ বিলিয়ন ইয়ার, তখন গামা রে, ফোটন, কোয়ার্রক
লাম ছাম বিভিন্ন ক্রিয়া করেছে ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা। এই রচনার তো কোন দরকার নেই।
২ দিন ২ বিলিয়ন ইয়ার না ২ লক্ষ ইয়ার,, এই কাহিনি বলার কোন দরকার আছে।
আসল বিষয় হোল প্রথম দুই দিনে পৃথিবীকে বানান হয়েছে,,, এটাকে টেনে লম্বা করার পিছনে, একটা অসৎ উদ্দেশ্য কাজ করেছে।
ধরেন আপনার মনে হলো আপনার পকেট বানাতে হবে। টাকা রাখবার জন্য পকেট বানাতে হবে। কিন্তু ভাই পকেট বানালে কি হবে? আপনাকে পকেট বানাতে গেলে প্যান্টও বানাতে হবে। প্যান্ট-এ পায়া আছে, মাজা আছে, চেইন আছে, পকেট আছে এত কিছু নিয়েই তো প্যান্ট। ঠিক তেমনি পৃথিবী সৃষ্টি করার কথা বলা হলেও পৃথিবী সৃষ্টির সাথেই গ্যালাক্সি সমূহ সৃষ্টি করার দরকার ছিলো। এ আয়াতে পৃথিবীর কথাই বলা হয়েছে। কারন পৃথিবীর মানুষ সিজদা করে। সিজদা না করলে পৃথিবীর মানুষের উপর আল্লার সতর্ক মোতাবেক র্ধ্বংশলীলা আরোপিত হবে।
ভালো থাকুন। ধর্ম ব্যবসায়ী ও ধর্ম বিরোধী নাস্তিকদের বিরুদ্ধে যান। এরা দুজনেই সমাজের ক্ষতির কারন।
১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৩৮
এভো বলেছেন:
১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৪১
এভো বলেছেন: দেখলেন, তফসিরে জাকারিয়া কি বলছে, তার মানে পঞ্চম দিনে সুর্য চন্দ্র তারা বানান হয়েছে।
১২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:১৪
জ্যাকেল বলেছেন: গড়ল বলেছেন: আবার সেই একই ঘ্যান ঘ্যান প্যান প্যান, ধর্ম বিজ্ঞান দুইটাই ঝেটিয়ে বিদায় করে দেন, প্যান প্যানানির শেষ হোক। যার ধর্ম দরকার নাই সে ধর্ম করবে না আর যার বিজ্ঞান দরকার নাই সে বিজ্ঞান পড়বে না। কেউ আবার দয়া বিজ্ঞান নিয়ে এসে নতুন ঘ্যান ঘ্যান শুরু কইরেন না। যার যেটা ভালো লাগে ভাবুক সমস্যা কোথায়?
আপনার ভাল না লাগলে ইগনোর করবেন। পা দিয়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চাহিবেন কেন? এটা স্পষ্টতই মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপেরে চেস্টা।
১৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:২৮
এভো বলেছেন:
১৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৩৭
জ্যাকেল বলেছেন: আমি বাবা অতো তেনা পেচানোতে জড়িত হইতে রাজি নহি। দেখুনঃ- সহজ কথায় আল্লাহ আমাদের কি বলতেছেন-
Ask ˹them, O Prophet˺, “How can you disbelieve in the One Who created the earth in two Days? And how can you set up equals with Him? That is the Lord of all worlds.
He placed on the earth firm mountains, standing high, showered His blessings upon it, and ordained ˹all˺ its means of sustenance—totaling four Days exactly1—for all who ask.
Then He turned towards the heaven when it was ˹still like˺ smoke, saying to it and to the earth, ‘Submit, willingly or unwillingly.’ They both responded, ‘We submit willingly.’
So He formed the heaven into seven heavens in two Days, assigning to each its mandate. And We adorned the lowest heaven with ˹stars like˺ lamps ˹for beauty˺ and for protection. That is the design of the Almighty, All-Knowing.”1
উপরোক্ত আয়াহ থেকে আমি যা বুঝি তাহা তুলে ধরতেছিঃ
আল্লাহ অবিশ্বাসীদের জন্য বলতেছেন তিনি পৃথিবী ২ একক সময়ে সৃষ্টি করেছেন। এরপর পৃথিবীর পর্বতমালা, সমতল ভুমি এইগুলো ৪ একক সময়ে সম্পন্ন করেছেন।
এরপর আবারো তিনি মহাশুন্যের দিকে মনোনিবেশ করেছেন যা যা ধুম্রপুঞ্জ আকারে ছিল। জমীন বলতে তিনি আমাদের বসবাসের স্থান পৃথিবীকেই বুঝিয়েছেন। জমীন ছাড়া বাকি মহাবিশ্ব (পর্যবেক্ষণ যোগ্য) হচ্ছে আসমান। আল্লাহ আসমান ও জমীন উভয়কে নিজের অধীনে নিয়ে আসেন।
So (সময় ক্রম নাই এখানে) অতএব, আল্লাহ পাক মহাবিশ্বকে সাত স্তরে বিভক্ত করেছেন দুই দিনে। সর্বশেষ স্তর যেটা আমরা দেখি এখানে আল্লাহ তারা সন্নিবেশ করে দিয়েছেন যা সৌন্দর্য এবং সুরক্ষার জন্য কাজ করে। কারণ মহাবিশ্ব অতি ভয়ংকর এক জায়গা। আমরা কি পরিমান সুরক্ষা পাইতেছি তাহা এক আল্লাহ ছাড়া আর জ্ঞানী লোক ছাড়া কেহ জানে না।
ওজোন স্তর, ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক সুরক্ষা বলয় ছাড়াও এই পৃথিবী বসবাস যোগ্য হইবার জন্য কি পরিমাণ সেইফটি আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য নিযুক্ত করেছেন তাহা নাস্তিক লোকেরা জেনেও অস্বীকার করবে। তবে ঈমানদারদের জন্য এইগুলো হচ্ছে স্বস্তি।
কমন সেন্স থেকে কোরআন পড়লে মোটেও সিকোয়েন্স সংক্রান্ত ঝামেলা লাগবার কথা না তবে পেচকি লাগানোর ধান্দা থাকলে তিল'কে তাল বানানো সম্ভব। তাই বিভ্রান্তকারীদের পেচকি খুলতে চেস্টা না করে বরং কোরআনের সরল অনুবাদে থাকাই সঠিক কর্ম বলে আমি বোধ করি।
১৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৩৮
নতুন বলেছেন: মহাবিশ্বের তুলনায় এই পৃথিবি কিছুই না।
এখন যারা মনে করে সৃস্টিকতা এই পৃথিবিতে মানুষ পাঠানোর জন্য, যে তারা সৃস্টিকতার গুনগান করবে, আর যারা করবে না তাদের অনন্তকাল আগুনে পুড়িয়ে সাজা দেবে আর বাকিদের সকল প্রকারের আরাম আয়েশের ব্যবস্থা করবে।
এবরং এই্ জিনিস করার জন্যই্ মহাবিশ্ব, পৃথিবি, মানুষ, সৃস্টি তবে কিছুই বলার নাই।
১৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৪৮
জ্যাকেল বলেছেন: নতুন বলেছেন: মহাবিশ্বের তুলনায় এই পৃথিবি কিছুই না।
এখন যারা মনে করে সৃস্টিকতা এই পৃথিবিতে মানুষ পাঠানোর জন্য, যে তারা সৃস্টিকতার গুনগান করবে, আর যারা করবে না তাদের অনন্তকাল আগুনে পুড়িয়ে সাজা দেবে আর বাকিদের সকল প্রকারের আরাম আয়েশের ব্যবস্থা করবে।
এবরং এই্ জিনিস করার জন্যই্ মহাবিশ্ব, পৃথিবি, মানুষ, সৃস্টি তবে কিছুই বলার নাই।
যারা যারা মনে করেন তারা তাদের মনে করা নিয়ে থাকতে পারেন। তবে আমার জানা মতে আল্লাহ সমগ্র মহাবিশ্বের রব। তিনি অচিরেই পৃথিবীর দিকে ফোকাস করবেন(মানে এর শেষ শুরু হইবে)। এর মানে আল্লাহ পৃথিবী ছাড়াও আরো অনেক রকম অনেক মাত্রার সৃষ্টিজগত নিয়ে ব্যস্ত থাকার সম্ভাবনা। তাই এলিয়েন থাকার সম্ভাবনাও অনেক বেশি আমার মতে। মহাবিশ্বের যে পিকচার আপনি দেখাইছেন প্রকৃত মহাবিশ্বের সাথে মোটেও এটা তুলনীয় না।
পুরো মহাবিশ্ব এত বিশাল যে এক বালুকনা যদি হয় সমগ্র পৃথিবী তবে সারা পৃথিবীর যত পাহার পর্বত মাটি ধুলি বালি আছে সব কিছুর এগেইন্স্টে মাত্র এক কনা বালি যার আয়তন হবে সর্বোচ্চ এক মিলিমিটার।
১৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৫০
জ্যাকেল বলেছেন: *যার আয়তন হবে সর্বোচ্চ ১ কিউব মিলিমিটার।
১৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ এভো আপনি তাফসীর দেখার চেষ্টা করছেন কেনো? প্রজ্ঞা ব্যবহার করুন। আল কোরআন পড়তে কি তাফসীর লাগে? কোরআর সরাসরি পড়ার চেষ্টা করেন এবং সিকোয়েন্স কোঝার চেষ্টা করুন।
আপনি আসলে ধর্ম ব্যবসায়ী আর ধর্ম বিরোধী এই দুই এর পাল্লায় পড়েছেন। এরা কেউই ধর্মের ক্ষতি করতে পারবে না। ধর্মব্যবসায়ীরা বিভিন্ন রকম চেষ্ট করেও পারবে না। কারন ধর্ম হলো সনাতন। যা আগেও ছিলো এখনও আছে। ধর্মের কোন পরিবর্তন নেই। পরিবর্তন করতে কেউ কখনই পারবে না। পরিবর্তন করার চেষ্টার কারনে যুগে যুগে ধর্মের এত আগমন।
যাই হোক আসল কথাই আসি। আজ থেকে ১৪০০ বৎসর পুর্বে যখন কোরআন নাজিল হয়েছিল তখনকার অজ্ঞাত মানুষেরা আসমান বলতে বুঝতো মেঘ মন্ডল। তাদের ধারনা ছিলো মেঘের উপর দেবতারা বসত করে। মেঘ সীমারেখাকে তারা আসমানের সীমারেখা মনে করে। তারা মনে করে মেঘের জগৎে রয়েছে অনেক তারার মেলা।
আলকোরআনে একটি আয়াতে বলা হচ্ছে “ তোমাদের উপর যদি আকাশের খন্ড ভাঙিয়া পড়ে তোমরা দেখিয়া বলিবে ইহাতো পুঞ্জিভুত মেঘ।”
আসমান বলতে বায়ূমন্ডল এর সীমানাকে বলা হচ্ছে। যা সাতটি স্তরে নিমীত। যাকে আল কোরাানে ছাকনী বলে বা ছাদ বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
তাফসীর নিয়ে এত চিন্তা করেন না ভাই। প্রজ্ঞাময় হন। নিজের প্রজ্ঞাকে কাজে লাগান। আল কোরআনকে বোঝার চেষ্টা করুন।
১৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৩৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ৪১-১১ অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম”
---- চার দিন পার হওয়ার পরে আল্লাহ আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যেটা ছিল ধুম্রকুঞ্জ ---- তারমানে তখন কোন তারা সুর্য নক্ষত্র সৃষ্ঠি হয় নি , সব ছিল ধুম্রকুঞ্জ
@এভো-------বারে বার শুধু সুয নক্ষত্র এর প্রশ্ন আসছে কেনো? আসমান ছিলো ধুম্রপুঞ্জ। আসমান সহ পৃথিবীকে আসতে বলা হলো। কিন্তু কেনো আসতে বলা হলো? কোথায় আসতে বলা হলো? এটিই হলো প্রজ্ঞার পরিচয়। পৃথিবী এমন একটি স্থানে সরে গেছিলো। যে স্থানটিকে বলা হয় গোল্ডলিকস্ জোন। গোল্ডলিক্স জোন এমন একটি স্থান যেখানে অক্সিজেন হাইড্রোজেন মিথস্ক্রিয়া পানি উৎপাদন ঘটায়। ধ্রুমকুঞ্জ থেকে পানি উৎপাদন তখনই শুরু হয়েছিলো। https://www.youtube.com/watch?v=J04YN9azln8
১২ নং আয়াত বলছে -অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্তাকাশে পরিণত করলেন এবং প্রত্যেক আকাশের নিকট তার কর্তব্য ব্যক্ত করলেন। আর আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করলাম প্রদীপমালা দ্বারা এবং তাকে করলাম সুরক্ষিত। এ সব পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।” লক্ষ্য করুন নিকটবর্তী আসমান বলতে বায়ুমন্ডলের শেষ স্তরকে বুঝানো হয়েছে। তার পর মঙ্গল গ্রহ এবং এস্টিরয়েড বেল্টের বিশাল স্পেস। এই স্পেসকেই প্রদীপমালা বলা হয়েছে। পরবর্তীতে বলা হচ্ছে ‘তাকে করলাম সুরক্ষিত” । এখানে সুরক্ষিত বলতে কে বোঝানো হয়েছে তা পরবর্তী আয়াত পড়লেই বুঝবেন।
১৩ নং আয়াত-১৩. অতঃপর তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে বলুন, আমি তো তোমাদেরকে সতর্ক করছি এক ধ্বংসকর শাস্তি সম্পর্কে, আদ ও সামূদের শাস্তির অনুরূপ।”
আদ জাতির উপর গ্রহানুর এক ভয়াবহ আঘাতে ব্যাপক ধ্বংশলীলা হয়েছিলো। ইতিহাস তাই বলে। শয়তান বা শয়তান দ্বারা প্রভাবিত মানুষের ধ্বংশে এস্টেরয়েড বেল্ট সৃষ্টি। পৃথিবীকে সুরক্ষায় তিনি এটা বানিয়েছেন।
২০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৪৩
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @এভো-----আপনাদের নাস্তিক্যবাদ বেড়ে গেছে। আাল্লার প্রতিশ্রতিময় ধ্বংশের সময়কালও এগিয়ে আসছে। আপনাদের আসমান উচু পাপের কারনে আমাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। এখনও সময় আছে ফিরে আসুন । প্রকৃত সত্যকে বোঝার চেষ্টা করুন।
আপনা আপনি এত কিছু হয় না। হতে পারে না।
আল্রাহ আপনার জ্ঞান বাড়িয়ে দিক। সত্য উপলদ্ধির হেদায়েত দিক।
২১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:২২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ নতুন, এ প্রশ্নের উত্তর আমি আপনাকে বহুবার দিয়েছি। আমি বুঝিনা আপনি কেনো বৃহৎ আর ক্ষুদ্র বিবেচনা করেন? বিশাল প্রাণি হাতিও ক্ষুদ্র প্রানি মানুষকে প্রভুভক্ত করে।
এখন যারা মনে করে সৃস্টিকতা এই পৃথিবিতে মানুষ পাঠানোর জন্য, যে তারা সৃস্টিকতার গুনগান করবে, আর যারা করবে না তাদের অনন্তকাল আগুনে পুড়িয়ে সাজা দেবে আর বাকিদের সকল প্রকারের আরাম আয়েশের ব্যবস্থা করবে।
ছোটো বেলায় পড়তাম “ পড়ালেখা করে যে গাড়ী ঘোড়া চড়ে সে” ভালো কাজ করলে ভালো প্রতিদান সেতো চিরন্তন ব্যপার। তবে আপনি বারেবার স্রষ্টার গুনগান বলছেন কেনো? সৎপথে চলবেন-সত্য কথা বলবেন বেহেস্ত পাবেন। ইহুদী খ্রীষ্টান হলেও পাবেন। শর্ত শুধু সততা।
২২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৫২
এভো বলেছেন:
আয়াতে আপনি আসমান বলতে সুর্য গ্যালাক্সি এসব বুঝলেন কেনো আমি বুঝলাম না? আল কোরানে আসমান বলতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে বোঝানো হয়েছে। কোথাও আসমান জমিন বলতে শক্তি ও বস্তু মিনিং করা হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে আসমান বলতে বায়ুমন্ডল বোঝানো হয়েছে।
আকাশ বলতে বায়ুমন্ডল বোঝানো হয়েছে --- এটা কোন তফসিরে আছে জানাবেন কি ? আপনার নিজের ব্যক্তি মতামত তো এখানে চলবে না । ৪১--৯ তে যে আকাশের কথা বলা হয়েছে সেটি কি বায়ুমন্ডল ? যার মুখ বন্ধ ছিল, খুলে দেওয়া হয়েছে ।
এরপর সুরা আম্বিয়ার ৩২ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে , ⦁ وَجَعَلْنَا السَّمَاءَ سَقْفًا مَحْفُوظًا ۖ وَهُمْ عَنْ آيَاتِهَا مُعْرِضُونَ ⦁“ আর আমি আকাশকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ, কিন্তু এ সবের নিদর্শন থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়। ” এখন এই আয়াতে উল্লিখিত একটি শব্দ পাওয়া যাচ্ছে যেটা হচ্ছে ( سَقْفًا ) সাক্কফান । এই শব্দের দুটি অর্থ আছে সেই দুটি অর্থ নিম্নরূপঃ ⦁ ছাদ , চাল , ছাউনি ⦁ আচ্ছাদান , আবরণ
তাহোেল আকাশ হোল শক্ত বস্তু, তানা হোলে ছাদ হয় কি করে । মহাবিশ্বের শূণ্য স্থান যেখানে কোন গ্রহ নক্ষত্র এবং অন্য সলিড বস্তুবিহীন অংশকে আকাশ বলা হয় , সেটা তাহোলে ছাদের মত শক্ত বস্তু ?
“অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোনিবেশ করেন, যা ছিল ধূম্রপুঞ্জবিশেষ। অতঃপর তিনি ওকে (আকাশকে) ও পৃথিবীকে বললেন, ‘তোমরা উভয়ে ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় এস।’ আয়াতটিতে ধুম্রপুঞ্জ বা গ্যাসীয় অবস্থায় থাকার কথা বলা হয়েছে। নিম্নের চিত্রের দিকে লক্ষ করুন । A অংশ টুকু লক্ষ করুন। আগুন আগুন ধোয়া ধোয়া। যেটি একটি নীহারিকা। এই নীহারিকা পরবর্তী রুপ B অংশ। অগ্নিময় ধোয়াময় গ্যাসীয় নীহারীকার মাঝে অগ্নিময় হয়ে উঠছে ও সকল দিকে ঠান্ডা হচ্ছে। পরবর্তী C অংশ দেখুন সকল অংশ প্রায় ঠান্ডা হয়ে গেছে শুধু সূর্য অংশটুকুই অগ্নিময়। তারপর দেখুন D অংশটুকু ঠান্ডা হয়ে গ্রহ জন্ম নেওয়া শুরু করেছে । এবং পরবর্তী E অংশে সকল গ্রহের সৃষ্টি হয়ে গেছে এবং গ্রহের গতিশীলতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
E অংশে গ্রহ সমূহের সৃষ্ঠি হয়েছে কিন্তু ৪১-৯ এ যে বল্লো A অংশে পৃথিবীর সৃষ্ঠি হয়েছে , তাহোলে পৃথিবী কি গ্রহ নহে -- আগুন আগুন ধোয়া ধোয়া। যেটি একটি নীহারিকা । তাহোলে বুঝলাম পৃথিবী একটা গ্রহ নহে , আসলে ওটা একটা নিহারিকা !!!
এভো আপনি তাফসীর দেখার চেষ্টা করছেন কেনো? প্রজ্ঞা ব্যবহার করুন
তাহোলে আপনি তফসির মানেন না !! নাকি ঠেলার পরলে চোখ উল্টান ? তফসির না মানলে তো আপনি কাফের মুরতাদ !!!! তাহোলে আমরা কি বলতে পারি -- ঐ বেটা কাফের মুরতাদ । এখন তো আপনি কাফের মুরতাদ হয়ে গেছেন ।
প্রজ্ঞা ব্যবহার করে আপনি যা দেখালেন , তাতে তো আমাদের টাকসা উল্টে গেছে । পৃথিবীকে নিহারিকা বানিয়ে দিয়েছেন । আকাশের নতুন ব্যাখা নিয়ে হাজির হয়েছেন । আকশের সাত স্তর বলতে আপনি বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন স্থর বুঝেছেন , তাহোলে পৃথিবীর বায়ু মন্ডলের উপরে আল্লাহর আরস , যেহেতু সাত আসমানের উপরে আল্লাহর আরস , সেখানে তো কোন পানি নেই , তাহোলে আল্লাহর আরস কোথায় ? পানির উপরে নাকি আল্লাহর আরস ?
২৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৪০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ভিডিও টা ডিলিট করলেন কেন ? সবাই দেখুক শুনুক ? ঈমাণ এত দুর্বল হোলে চলে । দেন না ভিডিওটার দাত ভাঙ্গা জবাব
দেখেছি আপনার এই বিডিওটা। আপনি যা বলছেন ওই বেটা একই কথা বলছেন। আমার কথাগুলো যদি আপনি বুঝে থাকেন তাহলে আপনি পেযে গেছেন দাত ভাঙ্গা জবাব। লালু পাগলের প্রতিটি প্রশ্নের জবাব দেওয়ার মতো যোগ্যতা আমরা রাখি। এমন শত শত ভিডিওর জবাব দেওয়ার মতো জ্ঞান আমাদের হস্তগত। আমরা ভিডিওকারী কে লালু পাগল বলেই অভিহিত করি। লালু পাগলের মতো আরো ২/৩টা পাগল নিয়ে আসেন প্রতিটা প্রশ্নেরই জবাবই আমি দিতে সক্ষম!
আপনি সম্ভবত ভূল করছেন। এই লেখাতে আপনি কোন ভিডিও দেন নাই। আগের লেখার ঐ পোষ্টে দিয়েছিলেন। আমি প্রথমে ভিডিও টা দেখতে পারিনাই পরে আমার মোবাইলে ভিডিওটা দেখেছি। জ্ঞানের গভীরতা আমি ভিডিওতে খুজে পাই নাই।
“এই লোকদের সামনে সে অবস্থা এসে গেছে, যাতে খোদাদ্রোহিতা হতে বিরত রাথার বহু শিক্ষাপ্রদ উপকরণই নিহিত রয়েছে এবং এমন পূর্ণতাপ্রাপ্ত বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিও (বৈজ্ঞানিক আবিস্কার) রয়েছে যা উপদেশ দানের পূর্ণমাত্রায় পূরণ করে।” (৫৪:৪-৫ ‘আল-কোরআন
এখন যদি বলেন আমি বুঝি নাই আমাকে বোঝাবে কে তাহলে মাফ চাই?
২৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:০২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @এভো--“ তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাজিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিতনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে তন্মধ্যকার রূপকগুলোর। ”
“ আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তারা বলে, আমরা এর প্রতি ইমান এনেছি। এ সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তিসম্পন্নরা ছাড়া অন্য কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না।” সুরা আল ইমরান
আমি আপনাকে সুরা আল ইমরান এর এই আয়াত পড়তে দিলাম আপনার ভিতর যে সমস্যা চলছে তা ইতিপুর্বে আল কোরআনে বলা আছে। কারন আল কোরআনের রুপক অর্থকে আপনারা সরাসরি ধরে এমন হাস্যরসের ঘটনা ঘটাচ্ছেন যে তা দেখে আমারও হাসি পাচ্ছে।
E অংশে গ্রহ সমূহের সৃষ্ঠি হয়েছে কিন্তু ৪১-৯ এ যে বল্লো A অংশে পৃথিবীর সৃষ্ঠি হয়েছে , তাহোলে পৃথিবী কি গ্রহ নহে -- আগুন আগুন ধোয়া ধোয়া। যেটি একটি নীহারিকা । তাহোলে বুঝলাম পৃথিবী একটা গ্রহ নহে , আসলে ওটা একটা নিহারিকা !!! আপনি আমাকে হারাতেই পন ধরেছেন। কিন্তু প্রজ্ঞা দিয়ে তর্ক করতে আসেন নাই। ভাই এটার তো সহজ ব্যক্ষা সবাই বুজতে পারছে আপনি কেনো বুঝতে পারছেন না? দুই দিনে পুথিবী সৃষ্টি হয়েছে। কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে উপরোক্ত চিত্রে সেটা দেখানো হয়েছে । “এ” হলো নিহারীকা ধীরে ধীরে ঠান্ডা হতে লাগলো বি, সি, ডি, ই প্রতিটি পর্বের মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত সকল গ্রহ উপগ্রহ সুর্যের সৃষ্টি হওয়া। পৃথিবী সৃষ্টি হতে যে সময়টি এখানে সেই সময়টিই তুলে ধরা হয়েছে।
২৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:৫৩
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: প্রজ্ঞা ব্যবহার করে আপনি যা দেখালেন , তাতে তো আমাদের টাকসা উল্টে গেছে । পৃথিবীকে নিহারিকা বানিয়ে দিয়েছেন । আকাশের নতুন ব্যাখা নিয়ে হাজির হয়েছেন । আকশের সাত স্তর বলতে আপনি বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন স্থর বুঝেছেন , তাহোলে পৃথিবীর বায়ু মন্ডলের উপরে আল্লাহর আরস , যেহেতু সাত আসমানের উপরে আল্লাহর আরস , সেখানে তো কোন পানি নেই , তাহোলে আল্লাহর আরস কোথায় ? পানির উপরে নাকি আল্লাহর আরস ?
পৃথিবীকে নিহারীকা বানাইনি বরং নিহারীকা হতে র্দীঘদিনের প্রক্রিয়ায় কিভাবে পৃথিবী সৃষ্টি হয় সে বিষয়টি বুঝিয়েছি। সুর্য, চন্দ্র অন্যান্য গ্রহ সহ সমস্তটা সৃষ্টিতেই একই সময় লেগেছে একই সময় সমস্ত কিছু সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এই আয়াতে শুধুমাত্র পৃথিবী সংক্রান্ত বিষয় বলা হয়েছে। আল কোরআন আমি বারে বার পড়েছি আসমান জমিন বিষয়টি বোঝার জন্য। দেখেছি আসমান জমিন দুরকম অর্থে বোঝানো হচ্ছে। কিচু আয়াতে আসমান বলতে মেঘমন্ডল বায়ুমন্ডল সহ একটি সীমারেখা।
আরেকটিক্ষেত্রে আসমান জমিন শব্দটা ব্যবহার হয়েছে। সেটি ব্যপক অর্থে। সেই অর্থে আসমান বলতে বোঝানো হচ্ছে অদৃশ্য এক সীমারেখা আর জমিন বলতে সমগ্র বস্তুজগৎ বোঝানো হচ্ছে। গ্যালাক্সিমন্ডল সহ সমস্ত বস্তু জগতকেই জমিন বোঝানো হচ্ছে আর আসমান বলতে এক এনার্জিটিক অদৃশ্যমন্ডল চুম্বকীয় সীমারেখা (যে সম্পর্কে আমাদের ধারানা কম) যা স্তরে স্তরে সাজানো বস্তুজগৎ সম্প্রসারনে ভূমীকা রাখছে। লক্ষ্য করুন আল কোরআনের একটি আয়াত “আমি আকাশমন্ডল সৃষ্টি করেছি আমার শক্তি বলে এবং আমিই মহাসম্প্রসারণকারী। আর জমিন! আমি উহাকে বিছাইয়া দিয়াছি। আমি কত সুন্দর প্রসরণকারী (বিছিয়ে দিয়েছি)” (৫১.৪৭-৪৮)। যার অর্থ এক্ষেত্রে আসমান অদৃশ্য কেমন শক্তি দ্বারা নির্মিত সীমারেখা। হতে পারে ডার্ক এনাজি, হতে পারে কসমিক স্ট্রিং জাতীয় এমন কিছু (অথবা যে সম্পর্কে আমরা জানিনা) আর ভূমী বলতে মহাজাগতি বস্তু সমূহ। এক্ষেত্রে আসমান মানে শক্তি আর জমিন মানে বস্তুসমূহ ।
ধন্যবাদ। তবে মনে রাখবেন মিঃ এভো ধর্মান্ধ ও ধর্মবিদ্বেশী দুটি শ্রেণি খারাপ আপনারা ধমার্ন্ধ দ্বারা অনুপ্রানিত হয়ে ধর্মবিদ্বেশ সৃষ্টি করে চলেছেন।
২৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৫৫
এভো বলেছেন:
আপনি আমাকে হারাতেই পন ধরেছেন। কিন্তু প্রজ্ঞা দিয়ে তর্ক করতে আসেন নাই। ভাই এটার তো সহজ ব্যক্ষা সবাই বুজতে পারছে আপনি কেনো বুঝতে পারছেন না? দুই দিনে পুথিবী সৃষ্টি হয়েছে। কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে উপরোক্ত চিত্রে সেটা দেখানো হয়েছে । “এ” হলো নিহারীকা ধীরে ধীরে ঠান্ডা হতে লাগলো বি, সি, ডি, ই প্রতিটি পর্বের মধ্য দিয়ে শেষ পর্যন্ত সকল গ্রহ উপগ্রহ সুর্যের সৃষ্টি হওয়া। পৃথিবী সৃষ্টি হতে যে সময়টি এখানে সেই সময়টিই তুলে ধরা হয়েছে।
জী না কাফের মুরতাদ সাহেব ( যিনি তফসির মানেন না ) , আপনার এই ব্যাখা খাটে না কারন , পৃথিবী এবং আকাশ মন্ডলী আগে থেকে প্রস্তুত করে মুখবন্ধ অবস্থায় ছিল এবং তফসিরে ও আছে পৃথিবীকে আকাশের আগে বানান হয়েছে ( কমেন্ট নং ১৩তে দেওয়া হয়েছে )।
সুরা আম্বিয়া আয়াত ৩০
কাফেররা কি ভেবে দেখে না যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর মুখ বন্ধ ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে খুলে দিলাম এবং প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না?
Do not the Unbelievers see that the heavens and the earth were joined together (as one unit of creation), before we clove them asunder? We made from water every living thing. Will they not then believe?
১০ নং কমেন্টে যে তফসির দিয়েছি সেখানে ৪১--১২ স্পষ্ঠ বলা হয়েছে , আকাশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সূর্য, চন্দ্র, তারা সমূহকে বের করতে ।
আপনি প্রজ্ঞা ব্যবহার করতে বলে যে ভয়ংকর কথাটা বললেন, সেটা হোল তফসিরকারিদের কোন প্রজ্ঞা নেই !!!!!!! আপনি তফসিরকারীদের চেয়ে বেশি প্রজ্ঞাবান দাবি করলেন ----- সেটা কোন বুদ্ধিমান ব্যক্তি কখনো করে না ।
আপনি ৪২-৯ আয়াতের ২দিনের ব্যাখা যে ভাবে সাজাতে চান সেটাকে নাকচ করে দেয় সুরা আম্বিয়ার ৩০ তম আয়াত ।
২৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৫৯
এভো বলেছেন: @ এভো ১১ নং আয়াতে আপনি আসমান বলতে সুর্য গ্যালাক্সি এসব বুঝলেন কেনো আমি বুঝলাম না? আল কোরানে আসমান বলতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে বোঝানো হয়েছে। কোথাও আসমান জমিন বলতে শক্তি ও বস্তু মিনিং করা হয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে আসমান বলতে বায়ুমন্ডল বোঝানো হয়েছে। ঠিক এরকমই একটি আয়াত আছে আলকোরানে এই আয়াতটির সাপেক্ষে। এরপর সুরা আম্বিয়ার ৩২ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে , ⦁ وَجَعَلْنَا السَّمَاءَ سَقْفًا مَحْفُوظًا ۖ وَهُمْ عَنْ آيَاتِهَا مُعْرِضُونَ ⦁“ আর আমি আকাশকে করেছি সুরক্ষিত ছাদ, কিন্তু এ সবের নিদর্শন থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়। ” এখন এই আয়াতে উল্লিখিত একটি শব্দ পাওয়া যাচ্ছে যেটা হচ্ছে ( سَقْفًا ) সাক্কফান । এই শব্দের দুটি অর্থ আছে সেই দুটি অর্থ নিম্নরূপঃ ⦁ ছাদ , চাল , ছাউনি ⦁ আচ্ছাদান , আবরণ । প্রথমেই বলে নেয়া ভালো যে , এখানে সুরক্ষিত বলা হয়েছে একটি কারণে । এখন অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন যে , আকাশ কিভাবে সুরক্ষা প্রদান করে ? তাহলে এর উত্তর টা বেশ সহজ । প্রথমেই বলে নেয়া ভালো যে , এখানে সুরক্ষিত বলা হয়েছে একটি কারণে । অনেকে প্রশ্ন করতে পারেন যে , আকাশ কিভাবে সুরক্ষা প্রদান করে ? এর উত্তর টা বেশ সহজ । আমরা জানি আকাশকে বিজ্ঞানীরা বেশ কিছু স্তরে ভাগ করেছেন এইসকল স্তরগুলো হচ্ছে , ⦁ ট্রপোস্ফিয়ার Troposphere) ⦁ স্ট্রেটোস্ফিয়ার (Stratosphere) ⦁ ওজোন স্তর ( Ozone Layer ) ⦁ মেসোস্ফিয়ার (Mesosphere)
⦁ থার্মোস্ফিয়ার(Thermosphere) ⦁ আয়নোস্ফিয়ার(Ionosphere) ⦁ এক্সোস্ফিয়ার( Exosphere) ( সূত্রঃ উইকিপিডিয়া ) ।
এখন প্রশ্ন হল এইসকল স্তর কিভাবে পৃথিবীকে সুরক্ষতি রাখবে ? আসলে স্তরসমূহ পৃথিবীর জন্য ঢালের ( Shield ) এর মত কাজ করে । এই স্তরের মধ্যে ওজোন স্তর (Ozone layer) হচ্ছে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের একটি স্তর যেখানে তুলনামূলকভাবে বেশি মাত্রায় ওজোন গ্যাস থাকে। এই স্তর থাকে প্রধানতঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের নিচের অংশে, যা ভূপৃষ্ঠ থেকে কমবেশি ২০-৩০ কি:মি: উপরে অবস্থিত । বায়ুমণ্ডলে ওজোনের প্রায় ৯০ শতাংশ স্ট্রাটোস্ফিয়ারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওজোনস্তরে ওজোনের ঘনত্ব খুবই কম হলেও জীবনের জন্যে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সূর্য থেকে আগত ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি এটি শোষণ করে নেয়। ওজোন স্তর সূর্যের ক্ষতিকর মধ্যম মাত্রার(তরঙ্গদৈর্ঘ্যের) শতকরা ৯৭-৯৯ অংশই শোষণ করে নেয়, যা কিনা ভূ-পৃষ্ঠে অবস্থানরত উদ্ভাসিত জীবনসমূহের সমূহ ক্ষতিসাধন করতে সক্ষম।
----------- আপনার দাবি অনুযায়ি --- ৫ম দিনে এই সমস্ত স্তর বিন্যাস করা হয়েছে । ওজন স্তর সহ যত স্তর আছে ঐ সমস্ত ৫ম দিনে বানান হয়েছে -- এগুলো তো আকশের স্তর নহে বায়ুমন্ডলের স্তর । আপনার দাবি ( ইসলামের কোন দলিল সমর্থন করে না ) আকাশের সাত স্তর বলতে বায়ুমন্ডলের ৭ টা স্তরকে বোঝান হয়েছে । তাহোলে আল্লাহর আরস -- পৃথিবীর বায়ু মন্ডলের ঠিক বাহিরে কারন এটা সাত আসমানের উপরে ।
এবার আমার মূল প্রশ্ন , আপনি বলেছে ওজন স্তর সহ বাকি সব স্তর ৫ম দিনে বানান হয়েছে তাহোলে ৪র্থ দিনে পৃথিবীতে খাদ্য ব্যবস্থা হোল কি করে ? খাদ্য ব্যবস্থা তো প্রাণীদের জন্য । যেহেতু খাদ্য ব্যবস্থা করা হয়েছে , তারমানি ৪র্থ দিনে প্রাণী জগত পৃথিবীতে ছিল । ৪র্থ দিনে ওজন স্তর ছিল না এবং অনান্য বায়ুর স্তর ছিল না , তাহোলে কি করে ওজন স্তর বিহীন পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভব হোল ?
২৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি বারে বার ‘ মুখবন্ধ মুখবন্ধ’ বলছেন কেনো? আলকোরআনের কোন আয়াতে আপনি এরকম অনুবাদ পেয়েছেন জানিনা। অনুবাদটি হবে এরকম। “অবিশ্বাসীরা কি দেখে না যে, আসমানসমূহ ও যমীন ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম এবং প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম পানি হতে; তবুও কি তারা বিশ্বাস করবেনা?” সুরা আম্বিয়ার ৩০ তম আয়াত। এ আয়াতে মুখবন্ধ হয় না অর্থ হয় “ওতপ্রোতভাবে মিশে থাকা”। আপনি যেখোনে মুখবন্ধ হিসেবে পড়েছেন অনুবাদক মুখবন্ধ শব্দটা ব্যবহার করেছেন মুখ খুলে বের হয়েছে আসমান এমনটি বোঝাতে তারপুরও অনুবাদ ঠিকমতো হয় না।
“অবিশ্বাসীরা কি দেখে না যে, আসমানসমূহ ও যমীন ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম এবং প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম পানি হতে; তবুও কি তারা বিশ্বাস করবেনা?” সুরা আম্বিয়ার ৩০ তম আয়াত।
লক্ষ্য করুন এই আয়াতে “প্রাণবন্ত সবকিছু আমি পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। এরপরও কি তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না” পানি প্রসঙ্গে কথা বলছে কারন এখানে আসমান বলতে মেঘমন্ডল বায়ুমন্ডল সীমানা বোঝাচ্ছে। আসমান সৃষ্টি হওয়া মানে বায়ুমন্ডল এবং মেঘমন্ডল সৃষ্টি হলে পানিতে প্রাণ সৃষ্টির সুচনা ঘটানো হয়েছিল।
আকশের সাত স্তর বলতে আপনি বায়ুমন্ডলের বিভিন্ন স্থর বুঝেছেন , তাহোলে পৃথিবীর বায়ু মন্ডলের উপরে আল্লাহর আরস , যেহেতু সাত আসমানের উপরে আল্লাহর আরস , সেখানে তো কোন পানি নেই , তাহোলে আল্লাহর আরস কোথায় ? পানির উপরে নাকি আল্লাহর আরস ? ২২ নং কমেন্টে আপনি বলেছেন আল্লার আরশ পানির উপর নাকি?”
আপনি যে কোরআন পড়েন না। এসকল লালু পাগল টাগলের ভিডিও দেখেই শিখেছেন। শোনেন সৃষ্টির শুরুতে তাহার আরশ ছিলো পানির উপর। এই পানিটা হলো মেঘমন্ডল। আরশ মানে বোঝেন তো?
২৯| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৩৮
এভো বলেছেন: সুরা ২১--৩০
Sahih International: Have those who disbelieved not considered that the heavens and the earth were a joined entity, and We separated them and made from water every living thing? Then will they not believe?
Pickthall: Have not those who disbelieve known that the heavens and the earth were of one piece, then We parted them, and we made every living thing of water? Will they not then believe?
Yusuf Ali: Do not the Unbelievers see that the heavens and the earth were joined together (as one unit of creation), before we clove them asunder? We made from water every living thing. Will they not then believe?
Shakir: Do not those who disbelieve see that the heavens and the earth were closed up, but We have opened them; and We have made of water everything living, will they not then believe?
Muhammad Sarwar: Have the unbelievers not ever considered that the heavens and the earth were one piece and that We tore them apart from one another. From water We have created all living things. Will they then have no faith?
Mohsin Khan: Have not those who disbelieve known that the heavens and the earth were joined together as one united piece, then We parted them? And We have made from water every living thing. Will they not then believe?
Arberry: Have not the unbelievers then beheld that the heavens and the earth were a mass all sewn up, and then We unstitched them and of water fashioned every living thing? Will they not believe?
পৃথক করা বা মুখ খুলে দেওয়া যেটাই বলুন না কেন --- পৃথিবী এবং আকাশ আগে থেকে তৈরী কোরে একত্র জড়িয়ে রাখা হয়েছিল এবং পরে একে পৃথক করা হয় বা মুখ খুলে দেওয়া হয় ।
আপনি ৪১-- ৯ যে ব্যাখা কপি করেছেন প্যারা মজিদের কাছে থেকে সেটা নাকচ হয়ে যায় ।
আর প্যারা মজিদের ৪১-১২ এর ব্যাখাটা ৪১-১০ দ্বারা বাতিল হয়ে যায় । যদি ৫ম দিনে ওজন স্তর সহ অনান্য বাযু মন্ডল স্তর বানান হয় তাহোলে ৪র্থ দিনে প্রাণী জগত সৃষ্ঠি হয় কি করে ?
এবার বলি আপনার লেখাটা যে কপি পেষ্ঠ নিজের লিখা নহে সেটা বোঝা যায় , অন্য একটি ব্লগে যখন বিবর্তন বাদের উপরে মন্তব্য করেছিলেন তখন । মানুষ বাদর হতে এসেছে এই জাতীয় কথা লিখেছিলেন । থিউরী এবং হাইপোথিসিস কি জিনিস সেটাই জানেন না বোঝা গিয়েছিল ।
আপনি যে কথা গুলো বোলতে চেয়েছিলেন , সেটাকে আরে ছোট করে এক পাতাতে লিখা যেত , যেহেতু আপনি কপি পেষ্ঠ করেছেন তাই লেখাটা এত বড় অহেতুক বর্ণনাময় হয়ে গেছে ।
৩০| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৩৯
এভো বলেছেন: ২২ নং কমেন্টে আপনি বলেছেন আল্লার আরশ পানির উপর নাকি?”
পানি ও আরশ এ দু’টি বিশ্ব সৃষ্টির সূচনা
গ্রন্থের নামঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
হাদিস নম্বরঃ (79)
অধ্যায়ঃ পর্ব-১ঃ ঈমান (বিশ্বাস)
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ – তাক্বদীরের প্রতি ঈমান
ক্বদর (কদর) বা তাক্বদীর তাই, যা আল্লাহ ফায়সালা করেছেন এবং কোন বিষয়ে নির্দেশ জারী করেছেন।
তাক্বদীরের প্রতি ঈমান আনার অর্থঃ এ বিশ্বাস রাখা যে, পৃথিবীতে যা কিছু ঘটে তা ভালো হোক আর মন্দ হোক, ক্ষতিকর হোক বা উপকারী হোক তা’ নির্ধারিত। এমনকি বান্দার কর্মকান্ড যার মধ্যে ঈমান আনা, কুফরী করা, আনুগত্য করা, অবাধ্য হওয়া, পথভ্রষ্ট হওয়া ও সৎ পথে চলা- সব কিছুই আল্লাহর ফায়সালা। এসব তাঁরই নির্ধারণ, ইচ্ছা, সৃষ্টি ও প্রভাবের ফল। তবে তিনি ঈমান আনয়নে ও তাঁর আনুগত্যে সন্তুষ্ট হন এবং এজন্য তিনি প্রতিদানের অঙ্গীকারও করেছেন। পক্ষান্তরে কুফরী ও অবাধ্যতায় সন্তুষ্ট হন না বরং এজন্য তিনি শাস্তির ভয়প্রদর্শন করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা সবকিছু নির্ধারণ করেছেন। অর্থাৎ- তিনি কোন কিছু অস্তিত্বে আনার আগেই তার পরিমাণ, অবস্থা ও তার অস্তিত্বে আসার কাল বা সময় সম্পর্কে অবহিত। অতঃপর তিনি তা অস্তিত্বে এনেছেন। অতএব উর্ধ্বজগতে বা অধঃজগতে আল্লাহ ব্যতীত কোন স্রষ্টা ও নির্ধারণকারী নেই। সবকিছুই তাঁর জ্ঞান, ক্ষমতা ও ইচ্ছানুযায়ী হয়। এতে সৃষ্টি জগতের কারো ইচ্ছা বা প্রভাব নেই।
৭৯-(১) ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা আসমানসমূহ ও জমিন সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বে মাখলূক্বের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো বলেছেন, (তখন) আল্লাহর ‘আরশ (সিংহাসন) পানির উপর ছিল। (মুসলিম)(1)
(1) সহীহ : মুসলিম ২৬৫৩।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
ব্যাখ্যাঃ
ব্যাখ্যা: (كَانَ عَرْشُهٗ عَلَى الْمَاءِ) অর্থাৎ- আকাশ ও জমিন সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ তা‘আলার ‘আর্শ (আরশ) পানির উপরে ছিল। এ থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, পানি ও আরশ এ দু’টি বিশ্ব সৃষ্টির সূচনা। যেহেতু এ দু’টিকে আসমান ও জমিন সৃষ্টির আগেই সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে এমনটা প্রতীয়মান হতে পারে যে, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর সৃষ্টির কোন কিছুই পানির আগে সৃষ্টি করেননি।
গ্রন্থের নামঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
হাদিস নম্বরঃ (94)
অধ্যায়ঃ পর্ব-১ঃ ঈমান (বিশ্বাস)
পাবলিশারঃ হাদিস একাডেমি
পরিচ্ছদঃ ৩. দ্বিতীয় ‘অনুচ্ছেদ – তাক্বদীরের প্রতি ঈমান
৯৪-(১৬) ‘উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ সর্বপ্রথম যে বস্ত্তটি সৃষ্টি করেছিলেন তা হচ্ছে কলম। অতঃপর তিনি কলমকে বললেন, লিখ। কলম বলল, কী লিখব? আল্লাহ বললেন, ক্বদর (কদর) (তাক্বদীর) সম্পর্কে লিখ। সুতরাং কলম- যা ছিল ও ভবিষ্যতে যা হবে, সবকিছুই লিখে ফেলল। (তিরমিযী; ইমাম তিরমিযী বলেছেন, হাদীসটি সানাদ হিসেবে গরীব)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
ব্যাখ্যাঃ
ব্যাখ্যা: (أَوَّلَ مَا خَلَقَ اللّهُ الْقَلَمُ) ‘আল্ আযহার’ গ্রন্থে উল্লেখ রয়েছে যে, আল্লাহ তা‘আলা সর্বপ্রথম কলম সৃষ্টি করেছেন। অর্থাৎ- ‘আর্শ (আরশ), পানি ও বায়ু সৃষ্টির পরে প্রথম কলম সৃষ্টি করেছেন। কেননা সহীহ মুসলিমে বর্ণিত আছে যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘‘আকাশ ও জমিন সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বৎসর পূর্বে আল্লাহ তা‘আরা মাখলূক্বের তাক্বদীর নির্ধারণ করেছেন।’’ তখন আল্লাহর ‘আর্শ (আরশ) ছিল পানির উপরে।
বায়হাক্বীতে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, আল্লাহর ‘আর্শ (আরশ) পানির উপরে ছিল। তাহলে পানি কিসের উপর ছিল? তিনি বললেনঃ (পানি) বায়ুর পিঠে ছিল। হাফিয ইবনু হাজার ফাতহুল বারীর ১৩ খণ্ডের ১৮৬ পৃষ্ঠায় মারফূ‘ সূত্রে উল্লেখ করেছেন যে, ‘‘আর্শ (আরশ) সৃষ্টির পূর্বে পানি সৃষ্টি করা হয়েছে’’। হাদীসটি ইমাম আহমাদ ও তিরমিযী বর্ণনা করেছেন।
তবে মুসনাদে আহমাদ ও তিরমিযীতে ‘উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত (রাঃ) থেকে সহীহ সানাদে মারফূ‘ সূত্রে বর্ণিত হাদীস। আল্লাহ তা‘আলা প্রথমে কলম সৃষ্টি করলেন। অতঃপর বললেন, তুমি লিখ। অতঃপর কলম ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) পর্যন্ত যা ঘটবে তা লিখলো।
এ হাদীস পূর্বে উল্লিখিত হাদীসের মধ্যে সমন্বয় এই যে, পানি ও ‘আর্শ (আরশ) ব্যতীত যা সৃষ্টি করা হয়েছে তন্মধ্যে কলম প্রথম সৃষ্টি। ‘আর্শ (আরশ) ও কলম এ দু’টির মধ্যে কোন বস্ত্ত আগে সৃষ্টি করা হয়েছে- এ সম্পর্কেও মতভেদ রয়েছে। অধিকাংশ ‘আলিমের মতে ‘আর্শ (আরশ) আগে সৃষ্টি করা হয়েছে। ইবনু জারীর ও তার অনুসারীদের মতে কলম আগে সৃষ্টি করা হয়েছে।
৩১| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০৯
এভো বলেছেন: ২য়-ইওম বা দিন সৃষ্টিকালীন ১ম-দিনের সমাপ্তির সাথে সাথে ৯ বিলিয়ন বছর আগে বলবাহী মৌল কণিকাগুলোর মধ্যকার পারস্পরিক অভিক্রিয়া শুরুর ক্ষণ থেকে ২য়-ইওম বা দিনের সূচনা ঘটে এবং একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মহাশক্তি ( নিয়ন্ত্রিত তাপশক্তি+বলবাহী মৌল কণিকাসমূহের মধ্যকার পারস্পরিক অভিক্রিয়া ) একটি নির্দিষ্ট সময়কাল ( ২য় দিন )
আপনি একেকটা দিনকে কয়েক বিলিয়ন ইয়ার বানিয়ে দিয়েছেন, অতচ কোরানে লিখা আছে -- আল্লাহর একদিন সমান পৃথিবীর ১০০০ বৎসর ।
২২--৪৭
সূরা আল-হাজ্ব আয়াত ৪৭
وَيَسْتَعْجِلُونَكَ بِٱلْعَذَابِ وَلَن يُخْلِفَ ٱللَّهُ وَعْدَهُۥ وَإِنَّ يَوْمًا عِندَ رَبِّكَ كَأَلْفِ سَنَةٍ مِّمَّا تَعُدُّونَ
তারা আপনাকে আযাব ত্বরান্বিত করতে বলে। অথচ আল্লাহ কখনও তাঁর ওয়াদা ভঙ্গ করেন না। আপনার পালনকর্তার কাছে একদিন তোমাদের গণনার এক হাজার বছরের সমান
তার মানে প্রথম ২ দিন সমান ২০০০ বৎসর ।
৩২| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ৪র্থ দিনে পৃথিবীতে খাদ্য ব্যবস্থা হোল কি করে ? খাদ্য ব্যবস্থা তো প্রাণীদের জন্য । যেহেতু খাদ্য ব্যবস্থা করা হয়েছে , তারমানি ৪র্থ দিনে প্রাণী জগত পৃথিবীতে ছিল । ৪র্থ দিনে ওজন স্তর ছিল না এবং অনান্য বায়ুর স্তর ছিল না , তাহোলে কি করে ওজন স্তর বিহীন পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভব হোল ? কমেন্ট নং ২৮
আপনি আসলে বুঝতে পারেন না! অথবা আমি আপনাকে বোঝাতে পারি নাই। আপনি যেভাবে ২য় দিন, ৩য় দিন ৪র্থ দিন ভাবছেন। ব্যাপার টি ঠিক এমনটি নয়। আল কোরআনে ২ দিন করে হিসাব করা হয়েছে। ৪র্থ দিন প্রাণিজগৎ পৃথিবীতে ছিলো বলে যে দাবী করছেন সেটা কি কোরআনে বলছে? বলছে না! প্রাণীদের খাবার কি নির্দীষ্ট করে বলছে? তাহলে আপনি বুঝলেন কি করে খাবারটা প্রানিদের জন্য? বলা হচ্ছে প্রাথীদের জন্য। খাবার বলতে যা গ্রহন করা হয়। আবার এক্ষেত্রে আগামীর প্রাণীদের জন্য খাবারের সংকুলানের একটা প্রচেষ্টা হতে পারে। তবে আমি যেটা মনে করি এই সময় কালে সমগ্র মহা্বিশ্ব জুড়ে অনুজীব সৃষ্টির সূচনা শুরু হয়েছিলো। মহাজাগতিক সবর্ত্র অনুজীব সৃষ্টির সময়কাল ছিলো এটা। এই অনুজীবই পরবর্তীতে প্রাণ সৃষ্টির সুচন করে। উদ্ভিদ এবং স্তন্যপাায়ী প্রাণী।
৩৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৫৪
এভো বলেছেন: আপনি আসলে বুঝতে পারেন না! অথবা আমি আপনাকে বোঝাতে পারি নাই। আপনি যেভাবে ২য় দিন, ৩য় দিন ৪র্থ দিন ভাবছেন। ব্যাপার টি ঠিক এমনটি নয়। আল কোরআনে ২ দিন করে হিসাব করা হয়েছে। ৪র্থ দিন প্রাণিজগৎ পৃথিবীতে ছিলো বলে যে দাবী করছেন সেটা কি কোরআনে বলছে? বলছে না! প্রাণীদের খাবার কি নির্দীষ্ট করে বলছে? তাহলে আপনি বুঝলেন কি করে খাবারটা প্রানিদের জন্য? বলা হচ্ছে প্রাথীদের জন্য। খাবার বলতে যা গ্রহন করা হয়। আবার এক্ষেত্রে আগামীর প্রাণীদের জন্য খাবারের সংকুলানের একটা প্রচেষ্টা হতে পারে। তবে আমি যেটা মনে করি এই সময় কালে সমগ্র মহা্বিশ্ব জুড়ে অনুজীব সৃষ্টির সূচনা শুরু হয়েছিলো। মহাজাগতিক সবর্ত্র অনুজীব সৃষ্টির সময়কাল ছিলো এটা। এই অনুজীবই পরবর্তীতে প্রাণ সৃষ্টির সুচন করে। উদ্ভিদ এবং স্তন্যপাায়ী প্রাণী।
সকল প্রাণীর খাদ্যটা কি --- এক প্রাণীর খাদ্য অন্য একটা প্রাণী --- যেমন মানুষের খাদ্য ভাত, রুটি , সাগসব্জি যা উদ্ভিদ নামক প্রাণী থেকে আসে , মাংস আসে গরু, ছাগল মুরগি ইত্যাদি থেকে , আমরা মাছ খাই সেটা ও প্রাণী , গরু ছাগল ঘাস লতা পাতা খেয়ে বেচে থাকে , বাঘ সিংহ শিয়াল অন্য প্রাণী হত্যা করে বেচে থাকে । এটাই হোল পৃথিবীর খাদ্য ব্যবস্থা । সুতরাং কোন প্রাণ না থাকলে খাদ্য ব্যবস্থ হতে পারে না ।
৪১-১০
তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
He set on the (earth), mountains standing firm, high above it, and bestowed blessings on the earth, and measure therein all things to give them nourishment in due proportion, in four Days, in accordance with (the needs of) those who seek (Sustenance).
৩৪| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:০৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: وَيَسْتَعْجِلُونَكَ بِٱلْعَذَابِ وَلَن يُخْلِفَ ٱللَّهُ وَعْدَهُۥ وَإِنَّ يَوْمًا عِندَ رَبِّكَ كَأَلْفِ سَنَةٍ مِّمَّا تَعُدُّونَ
তারা আপনাকে আযাব ত্বরান্বিত করতে বলে। অথচ আল্লাহ কখনও তাঁর ওয়াদা ভঙ্গ করেন না। আপনার পালনকর্তার কাছে একদিন তোমাদের গণনার এক হাজার বছরের সমান।- সূরা আল-হাজ্ব আয়াত ৪৭
(يُدَبِّرُ الْأَمْرَ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ ثُمَّ يَعْرُجُ إِلَيْهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ أَلْفَ سَنَةٍ مِمَّا تَعُدُّونَ) “আল্লাহ্ তা’আলা কাজ-কর্ম করে আকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত অতঃপর তাঁর দিকে উর্ধ্বগমন করেন এমন এক দিনে যা তোমাদের হিসাব অনুযায়ী এক হাজার বছরের সমান।” [সূরা আস-সাজদাহ: ৫]
ফিরিশতা এবং রূহ তাঁর দিকে ঊর্ধ্বগামী হয় এক দিনে যা (পার্থিব) পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। সুরা মা আরিজ আয়াত নং ৪
(The angels and the Spirit will ascend to Him during a Day the extent of which is fifty thousand years. )
ভাইরে আপনি ১ হাজার বৎসর হিসাব পেয়ে তো চমকে গেছেন। ভে বে নিলেন। পাইছি আস্তিকদের এক হাত দেখে নিবো এবার।
ভাইজান আপনি আল কোরআনকে এত হাল্কা ভাবছেন কেনো? আল্লার সৃষ্টিশীল দিন যে কত হাজার বৎসর তা আল্রাই ভালো জানেন। আমি আর কি লিখবো?
৩৫| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:১৩
এভো বলেছেন:
প্রার্থী
প্রার্থী
প্রার্থী a praying for, asking for; applying for; desiring. ☐ n. one who prays for or asks for; an applicant; a candidate; a desirer.
candidate, applicant, praying, candidacy, candidature, postulant, desiring, pretender, asking for, applying for
candidate
প্রার্থী, পদপ্রার্থী, নির্বাচনপ্রার্থী, পরীক্ষার্থী, উমেদার, অভ্যর্থী
applicant
প্রার্থী, পদপ্রার্থী, উমেদার, আবেদনকারী, আবেদক, দরখাস্তকারী, অর্থী, কার্পট
praying
প্রার্থনা, প্রার্থী
candidacy
প্রার্থী
candidature
প্রার্থী, উমেদারি, প্রার্থী হওয়া
postulant
প্রার্থী, আবেদক
desiring
প্রার্থী, চাহন
pretender
ধ্বজা, প্রার্থী, উমেদার, ভণ্ড, ভানকারী, ভণ্ড ব্যক্তি, দাবিদার
asking for
প্রার্থী
applying for
প্রার্থী
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
খাদ্যের প্রার্থী করার ----- সকল প্রাণী ই খাদ্যের প্রার্থী ।
৩৬| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:১৬
এভো বলেছেন:
ফিরিশতা এবং রূহ তাঁর দিকে ঊর্ধ্বগামী হয় এক দিনে যা (পার্থিব) পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। সুরা মা আরিজ আয়াত নং ৪
(The angels and the Spirit will ascend to Him during a Day the extent of which is fifty thousand years. )
ভাইরে আপনি ১ হাজার বৎসর হিসাব পেয়ে তো চমকে গেছেন। ভে বে নিলেন। পাইছি আস্তিকদের এক হাত দেখে নিবো এবার।
ভাইজান আপনি আল কোরআনকে এত হাল্কা ভাবছেন কেনো? আল্লার সৃষ্টিশীল দিন যে কত হাজার বৎসর তা আল্রাই ভালো জানেন। আমি আর কি লিখবো?
যদি একদিন ৫০০০০ বৎসর হয় তাহোলে ২ দিন হবে ১ লক্ষ বৎসর এবং ছয় দিন হবে ৩ লক্ষ বৎসর -- বিলিয়ন ইয়ার তো দুরে থাক মিলয়ন ইয়ার ও হয় না ।
৩৭| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৩০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: যদি একদিন ৫০০০০ বৎসর হয় তাহোলে ২ দিন হবে ১ লক্ষ বৎসর এবং ছয় দিন হবে ৩ লক্ষ বৎসর -- বিলিয়ন ইয়ার তো দুরে থাক মিলয়ন ইয়ার ও হয় না ।
ফিরিশতা এবং রূহ তাঁর দিকে ঊর্ধ্বগামী হয় এক দিনে যা (পার্থিব) পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। সুরা মা আরিজ আয়াত নং ৪
আপনি কি ভালোভাবে পড়েন না নাকি বোঝেন না? এটাতো ফেরেস্তার সময় কাল। আল্লার সৃষ্টিশীল ফেরেস্তা বা রুহ এর উদ্ধাগমন এর সময় কাল।
তাহলে আল্লার সৃষ্টির সময়কাল আরো কতবেশি হতে পারে ভেবে দেখুন।
৩৮| ২২ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৪৭
এভো বলেছেন: ফিরিশতা এবং রূহ তাঁর দিকে ঊর্ধ্বগামী হয় এক দিনে যা (পার্থিব) পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান। সুরা মা আরিজ আয়াত নং ৪
ফেরেশতা এবং রুহ যখন আল্লাহর দিকে উর্ধগামী হয় একদিনে সেটা পৃথিবীর ৫০০০০ বৎসর ।
তবে আল্লাহর একদিন সমান ১০০০ বৎসর
-- (يُدَبِّرُ الْأَمْرَ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ ثُمَّ يَعْرُجُ إِلَيْهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ أَلْفَ سَنَةٍ مِمَّا تَعُدُّونَ) “আল্লাহ্ তা’আলা কাজ-কর্ম করে আকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত অতঃপর তাঁর দিকে উর্ধ্বগমন করেন এমন এক দিনে যা তোমাদের হিসাব অনুযায়ী এক হাজার বছরের সমান।” [সূরা আস-সাজদাহ: ৫]
সূরা আল-হাজ্ব আয়াত ৪৭
وَيَسْتَعْجِلُونَكَ بِٱلْعَذَابِ وَلَن يُخْلِفَ ٱللَّهُ وَعْدَهُۥ وَإِنَّ يَوْمًا عِندَ رَبِّكَ كَأَلْفِ سَنَةٍ مِّمَّا تَعُدُّونَ
তারা আপনাকে আযাব ত্বরান্বিত করতে বলে। অথচ আল্লাহ কখনও তাঁর ওয়াদা ভঙ্গ করেন না। আপনার পালনকর্তার কাছে একদিন তোমাদের গণনার এক হাজার বছরের সমান
তার মানে আল্লাহর একদিন মানে ১০০০ বৎসর ।
ফেরেশতা ও রুহের এক দিন হোল ৫০০০০ বৎসর ।
৩৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:১৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ এভো,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
-- (يُدَبِّرُ الْأَمْرَ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ ثُمَّ يَعْرُجُ إِلَيْهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ أَلْفَ سَنَةٍ مِمَّا تَعُدُّونَ) “আল্লাহ্ তাআলা কাজ-কর্ম করে আকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত অতঃপর তাঁর দিকে উর্ধ্বগমন করেন এমন এক দিনে যা তোমাদের হিসাব অনুযায়ী এক হাজার বছরের সমান।” [সূরা আস-সাজদাহ: ৫]
এই আয়াতে একটু কমন সেন্স কাজে লাগিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। দেখেন বুঝবেন। যার অর্থ হচ্ছে আল্লাহ তায়অলা সমগ্র কিছু সৃষ্টি করবার পর থেকে একটি নিদীষ্ট সময় থেকে সমগ্র বস্তুজগৎ যে উদ্ধগমন করেন তার একটা সময়কাল নিধ্যারন করা হয়েছে। অর্থাৎ মহাবিশ্ব সৃষ্টির পর থেকে সকল গ্যালাক্সিমন্ডল একটি দিকে ধাবিত হচ্ছে। সকল বস্তুর সম্প্রসারণ ঘটছে সেই সম্প্রসারনের গতিময়তাকে বোঝানো হয়েছে।
এবার আসি বিজ্ঞানের ভাষায়। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আন্দ্রে লিন্ডে বলেন ‘আমরা উপলদ্ধি করছি সৃষ্টির শুরুতে একটি একটি অদৃশ্য শক্তির আগমন ঘটেছিলো যে শক্তি সমগ্র মহাবিশ্বকে সকল দিক থেকে একই সাথে সমান ভাবে সম্প্রসারন করেছিলো। এই সম্প্রসারনের পিছনে কি আদৌ কোন শক্তি কাজ করেছিলো? যে শক্তি বলে এই মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হয়েই চলেছে। আধুনিক বিজ্ঞানের বর্তমান উদ্ঘাটিত তথ্য উপাত্ত দ্বারা এটা প্রমানিত হচ্ছে যে মহাবিশ্ব সম্প্রসারনের পিছনে কাজ করছে একটি গুপ্ত শক্তি। তারা দীর্ঘদিন ধরে উপলদ্ধি করতে লাগলেন মহাকর্ষের টানে বস্তুর প্রসারনের হার কমে কিন্ত তা না ঘটে, ঘটছে ঠিক তার উল্টাটা। কোন রহস্যময় শক্তির প্রভাবে এই মহাকর্ষ বলকে পাশ কাটিয়ে বস্তুর ক্রমশ প্রসারণই ঘটছে। ব্যাপক পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ ও গবেষনার একপর্যায়ে বিজ্ঞানীরা এই সীদ্ধান্তে উপনীত হন এই সমগ্র মহাবিশ্বের ৭৩% অংশজুড়ে গুপ্ত একটি শক্তি বিদ্যমান। বিজ্ঞানীরা তার নামকরণ করলেন “ডার্ক এনার্জি” এবং এই গুপ্ত শক্তিই মহাকর্ষ বলকে পাশ কাটিয়ে মহাবিশ্ব প্রসারণের কারন।’
আমি খুব ব্যস্ত মানুষ ভাই। যতটুকু পারছি প্রশ্নের উত্তর দিছ্চি।
৪০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৯:৫৯
এভো বলেছেন: একটি নিদীষ্ট সময় থেকে সমগ্র বস্তুজগৎ যে উদ্ধগমন করেন তার একটা সময়কাল নিধ্যারন করা হয়েছে। অর্থাৎ মহাবিশ্ব সৃষ্টির পর থেকে সকল গ্যালাক্সিমন্ডল একটি দিকে ধাবিত হচ্ছে। সকল বস্তুর সম্প্রসারণ ঘটছে সেই সম্প্রসারনের গতিময়তাকে বোঝানো হয়েছে
-------- আপনি কি কারনে অন্য প্রসংগ এনে কমপ্লিকেট করতে চাচ্ছেন? আপনি ১ দিন সমান কয়েক বিলিয়ন ইয়ার দাবি করেছিলেন, আমি দেখিয়ে দিলাম কোরান অনুযায়ী এক দিন সমান ১০০০ বৎসর।
কোরানের বিগব্যাং বিজ্ঞানের সাথে মিলে না।
মহাজগতের প্রেক্ষাপটে উর্ধ বা নিম্ন মুখি বলে কিছুই নেই, আছে সম্প্রসারন এবং সংকোচন। আমেরিকাতে যে আকাশ মাথার উপরে, বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে সেই আকাশ পায়ের নীচে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে যে উর্ধমুখি, আমেরিকার প্রেক্ষিতে নিম্ন মুখি।
মহাজগতের বিবেচনায় উর্ধ নিম্ন মুখি বলে কিছুই নেই।
আপনার দাবি যে বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল, সেটা যদি না বোঝেন, তাহোলে বলার কিছুই নেই।
৪১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @এভো, আপনি না বুঝে শুধু তর্ক করেন!‘অতঃপর তাঁর দিকে উর্ধ্বগমন করে’ এখানে আপনার আমার কোন বিষয় নয়। তার দিকে অথাৎ তার (আল্লার) পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে উদ্ধমুখি বলা হচ্ছে। তার বক্তব্য অনুসারে তিনি উপরে আছে এবং সমগ্র জগৎ তার দিকে ধাবিত হচ্ছে অথাৎ উদ্ধমুখী হচ্ছে। সমগ্র মহাবিশ্ব কোন দিকে যাচ্ছে তা আমাদের বিজ্ঞান এখনো জানে না। তবে একদিক সম্প্রসারিত হচ্ছে এটাই বোঝা যাচ্ছে। তবে আরোকটি আয়াতে বলা হচ্ছে মহাবিশ্বের সকল দিকে আল্রার চেহারা বা স্বত্ত্বা। অতেএব মহাবিশ্ব যেদিকে সম্প্রসারিত হোক না কেনো সকল দিকে উদ্ধমুখী।
আপনি এই ১০০০ বছরকে কোন ভাবেই আল্লার সৃষ্টির দিনের হিসেব বলতে পারেন না। কারন সম্প্রসারনের গতির হিসাব তুলে ধরে আপনি আল্লার সৃষ্টির সময়কাল বলে দিলেই কি সেটি আমি মেনে নিবো? আমি প্রসঙ্গ অন্য দিকে নিয়ে যাই নাই। জাষ্ট আপনার আয়াতের প্রসঙ্গ তুলে ধরে সঠিক ব্যাক্ষা দিলাম। আপনি যে আয়াত বোঝেন নাই সেটাই বোঝালাম।
৪২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: “ফিরিশতা এবং রূহ তাঁর দিকে ঊর্ধ্বগামী হয় এক দিনে যা (পার্থিব) পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান”। সুরা মা আরিজ আয়াত নং ৪
এই আয়াতে অর্থ আপনি বোঝেন নাই। আপনি এ আয়াতেরও অর্থ বোঝেন নাই ভূল ব্যাক্ষা দিয়েছেন। ফেরেস্তার রুহের ১ দিন নয়। ফেরেস্তা বা রুহের জগৎ হায়ার ডাইমেনশনাল। তাদের জগৎকে রুহানী জগৎ বলে। রুহানী জগতে বসে ফেরেস্তারা তাদের কার্যকরন পরিচালিত করে। এই রুহানী জগৎ সম্পর্কে ইদানিংকালের বিজ্ঞান অবগত হয়েছে। বিশেষ করে ষ্ট্রিং থিওরির বিশেষজ্ঞবৃন্দের এম থিওরিতে উঠে এসেছে এ বিষয়টি। তাদের মতের সেটি হলো-অর্ন্তবতী জগৎ। আধুনিক বিজ্ঞানের ষ্ট্রিং তত্ত্বের গুরুত্বপূর্ন একটি বিষয় হলো এই অর্ন্তবতী জগৎ। এম থিওরি মতে আমাদের এই দৃশ্যমান জগৎ ৩ মাত্রিক ১ মাত্রিক সময়। আর এই ৩ মাত্রিক জগৎকে পরিচালনার জন্য ৭ মাত্রার অর্ন্তবতী জগৎ এই মহাবিশ্বে গুপ্ত ভাবে বিদ্যমান আছে। ৭ মাত্রার এই অর্ন্তবতী জগতের আকার আকৃতির উপর ত্রিমাতিক জগতের বিভিন্ন বিষয়বস্তু নির্ধারন করে’। ষ্ট্রিং থিওরির এম তত্ত্ব আমাদের বলছে আমরা যদিও এই অতিরিক্ত মাত্রাগুলোকে দেখাতে পাচ্ছি না বা কোন পরীক্ষার দ্বারা এদের অস্তিত্ব প্রমাণ করতেও পারছি না, কিন্তু আমাদের স্ট্রিং থিয়োরির গনিত বলছে যে তারা আছে। অতিরিক্ত স্থানিক মাত্রাগুলো স্থানের খুব সংকীর্ণ জায়গায় জরিয়ে-পেচিয়ে এমনভাবে আছে যে তাই আমরা তাদেরকে দেখতে পারছিনা। আমাদের মহাবিশ্বকে আমরা ঠিক ত্রিমাত্রিক অবস্থায় দেখি এবং বাকী ৭ মাত্রা খুব সংকীর্ণ জায়গায় জরিয়ে-পেচিয়ে অর্ন্তবর্তী জগৎ হয়ে আছে। মহাবিশ্ব কেমন হবে, তা নির্ভর করে স্ট্রিং তত্ত্বের অতিরিক্ত মাত্রাগুলো কিভাবে পেঁচিয়ে আছে তার উপর।
@এভো, আমাদের ধর্মীয় দৃষ্টিকোনে এটি একটি রুহানী জগৎ। এই জগৎটিও সম্প্রসারিত হচ্ছে। “ ফিরিশতা এবং রূহ তাঁর দিকে ঊর্ধ্বগামী হয় এক দিনে যা (পার্থিব) পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান” । জগৎটির সম্প্রসারন কাল (পার্থিব) পঞ্চাশ হাজার বছরের সমান।
এসব বিষয় ল্যাবে প্রমান করতে পারবেন না। অতএব আপনার ভালো লাগবেনা ।
এই কারনে আল কোরআন বলে “তাহারা যে বিষয়ে জ্ঞান র্অজন করে নাই –তাহা অস্বীকার করে”(১০:৩৯)।
৪৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০৬
নতুন বলেছেন: রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ নতুন, এ প্রশ্নের উত্তর আমি আপনাকে বহুবার দিয়েছি। আমি বুঝিনা আপনি কেনো বৃহৎ আর ক্ষুদ্র বিবেচনা করেন? বিশাল প্রাণি হাতিও ক্ষুদ্র প্রানি মানুষকে প্রভুভক্ত করে।
এখন যারা মনে করে সৃস্টিকতা এই পৃথিবিতে মানুষ পাঠানোর জন্য, যে তারা সৃস্টিকতার গুনগান করবে, আর যারা করবে না তাদের অনন্তকাল আগুনে পুড়িয়ে সাজা দেবে আর বাকিদের সকল প্রকারের আরাম আয়েশের ব্যবস্থা করবে।
ছোটো বেলায় পড়তাম “ পড়ালেখা করে যে গাড়ী ঘোড়া চড়ে সে” ভালো কাজ করলে ভালো প্রতিদান সেতো চিরন্তন ব্যপার। তবে আপনি বারেবার স্রষ্টার গুনগান বলছেন কেনো? সৎপথে চলবেন-সত্য কথা বলবেন বেহেস্ত পাবেন। ইহুদী খ্রীষ্টান হলেও পাবেন। শর্ত শুধু সততা।
আপনি যেটা বিশ্বাস করেন সেটাই ঠিক। সমস্যা নাই।
৪৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:০২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ এভো, আল্রাহর সৃষ্টি কালীন সময়ে সৃষ্টির ১ দিন সমান আমাদের সময়ের কত দিন এমন কোন হিসেব আল্রা আমাদের দেন নাই। অতএব এ বিষয় টি মানুষেরা বের করতে পারবে।
৪৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৪:১৩
এভো বলেছেন:
৪৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৪:১৬
এভো বলেছেন: Big Bang theory in Hindu Puran
বেদে মহাবিশব সৃষ্টি তত্ত
৪৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫১
এভো বলেছেন:
@ এভো, আল্রাহর সৃষ্টি কালীন সময়ে সৃষ্টির ১ দিন সমান আমাদের সময়ের কত দিন এমন কোন হিসেব আল্রা আমাদের দেন নাই। অতএব এ বিষয় টি মানুষেরা বের করতে পারবে।
অবশ্যই বলে দেওয়া হয়েছে আল্লাহর এক দিন সমান -- পৃথিবীর ১০০০ বৎসর । আপনার পালনকর্তার কাছে একদিন তোমাদের গণনার এক হাজার বছরের সমান ------- এই বাক্য দ্বারা সৃষ্ঠির শুরু থেকে কেয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর যে কোন দিনকে বুঝিয়েছে ।
সূরা আল-হাজ্ব আয়াত ৪৭
وَيَسْتَعْجِلُونَكَ بِٱلْعَذَابِ وَلَن يُخْلِفَ ٱللَّهُ وَعْدَهُۥ وَإِنَّ يَوْمًا عِندَ رَبِّكَ كَأَلْفِ سَنَةٍ مِّمَّا تَعُدُّونَ
তারা আপনাকে আযাব ত্বরান্বিত করতে বলে। অথচ আল্লাহ কখনও তাঁর ওয়াদা ভঙ্গ করেন না। আপনার পালনকর্তার কাছে একদিন তোমাদের গণনার এক হাজার বছরের সমান
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
এবার আমি জানতে চাই , আপনার ব্যাখায় ১ দিন সমান কয়েক বিলিয়ন বৎসর --- আপনি এই হিসাবের যে ব্যাখা দিয়েছেন সেটা কে তো নাকচ করা হয়েছে সুরা আম্বিয়ার ৩০ তম আয়াত দ্বারা, সুতরাং এক দিন সমান কয়েক বিলিয়ন ইয়ার ধরে নিলেও আপনার ব্যাখা বাতিল হয়ে যায় সুরা আম্বিয়ার ৩০ তম আয়াত দ্বারা ।
-------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি আরো পরে আমার ৩২ নং মন্তব্যে ১ দিন সমান ১০০০ বৎসরের কথা উঠিয়েছি । ৩২ নাম্বার কমেন্ট করার আগেই বলে দিয়েছি আপনার এই ব্যাখা ২১-৩০ দ্বারা নাকচ হয়ে যায় ।
৪৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:২০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: অবশ্যই বলে দেওয়া হয়েছে আল্লাহর এক দিন সমান -- পৃথিবীর ১০০০ বৎসর । আপনার পালনকর্তার কাছে একদিন তোমাদের গণনার এক হাজার বছরের সমান ------- এই বাক্য দ্বারা সৃষ্ঠির শুরু থেকে কেয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর যে কোন দিনকে বুঝিয়েছে ।
সূরা আল-হাজ্ব আয়াত ৪৭
وَيَسْتَعْجِلُونَكَ بِٱلْعَذَابِ وَلَن يُخْلِفَ ٱللَّهُ وَعْدَهُۥ وَإِنَّ يَوْمًا عِندَ رَبِّكَ كَأَلْفِ سَنَةٍ مِّمَّا تَعُدُّونَ
তারা আপনাকে আযাব ত্বরান্বিত করতে বলে। অথচ আল্লাহ কখনও তাঁর ওয়াদা ভঙ্গ করেন না। আপনার পালনকর্তার কাছে একদিন তোমাদের গণনার এক হাজার বছরের সমান।
আমি অবাক হলাম আবার আপনি জোর দিয়ে কথা বললেন কোরআনের আয়াত না বুঝে। “তারা আপনাকে আযাব ত্বরান্মিত করতে বলে’ আয়াতের এই অংশ কি আপনি বুঝতে পারছেন? আমার তো মনে হলো আপনি না বুঝেই আবারও ঝগড়াঝাটি করছেন। আপনি যে আয়াতের সময়কাল তুলে ধরে সৃষ্টি সময়কালীন দিন বলে বিভ্রান্তই করছেন । আপনি কেনো বুঝতে পারেন আল কোরআনের আয়াত! আল কোরআনের প্রতি ভক্তিহীনতার কারনে আপনি সত্যটা উপলদ্ধি করতে পারছেন না।
আপনি যে আয়াতের কথা বলছেন এই আয়াতটি নাযিল হয়েছে প্রলয়কাল বিবেচনা সাপেক্ষে। মহাজগতে নিদিষ্ট সময় পর পর পৃথিবীতে গজব নাজিল হয় এটাকে প্রলয় চক্র বলে। ব্যপক ধ্বংশলীলা নাজিল হয় সেই সময়কালে। (“অতঃপর কত জনপদ আমি ধ্বংস করেছি যেগুলির বাসিন্দারা ছিল যালিম, তাই এইসব জনপদ তাদের ঘরের ছাদসহ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল, কত কূপ পরিত্যক্ত হয়েছে এবং কত সুদৃঢ় প্রাসাদ ধ্বংস হয়েছে! ২২:৪৫ “তারা কি যমীনে ভ্রমণ করেনি? তাহলে তাদের হত এমন হৃদয় যা দ্বারা তারা উপলব্ধি করতে পারত এবং এমন কান যা দ্বারা তারা শুনতে পারত। বস্ত্তত চোখ তো অন্ধ হয় না, বরং অন্ধ হয় বক্ষস্থিত হৃদয়।২২:৪৬ “আর তারা তোমাকে আযাব তরান্বিত করতে বলে, অথচ আল্লাহ কখনো তাঁর ওয়াদা খেলাফ করেন না। আর তোমার রবের নিকট নিশ্চয় এক দিন তোমাদের গণনায় হাজার বছরের সমান। ”২২:৪৭ ‘আর আমি কত জনপদকে অবকাশ দিয়েছি, অথচ তারা ছিল যালিম; অতঃপর আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছি। আর আমারই নিকট প্রত্যাবর্তনস্থল। ২২:৪৮)
আমি ধারাবাহিকভাবে আপনাকে আয়াত গুলো পড়ে শোনালাম। কারন আয়াতগুলোতে শুধুমাত্র ধ্বংশলীলা এবং গজব সংক্রান্ত বিষয়ে বলা হচ্চে। প্রাকৃতিক ভাবে পৃথিবীর উপর আল্রার গজব নাজিল হয় নির্দিষ্ট সময় পর পর। এই প্রলয়চক্রের নিকটি নির্দীষ্ট সময় আছে। এই আয়াতের দ্বারা আল্লা বোঝাচ্ছে উহারা তাড়াতাড়ি গজব চাইতেছে কিন্তু চাইলেও তো হলো না প্রতিটি প্রলয়চক্রের একটি নির্দীষ্ট সময়কাল আছে নির্দীষ্ট সময়পর কেয়ামত হবে। (প্রলয় মানে কেয়ামত) এই আয়াতে ‘আপনার পালনকর্তার কাছে একদিন তোমাদের গণনার এক হাজার বছরের সমান।’ আপনাকে বুঝতে হবে এই সময়কালটি সৃষ্টি চলাকালীন সময়ের নয় সৃষ্টির পর এটি সম্প্রসারনকালের সময়। অথাৎ সৃষ্টি হবার পর থেকে যখন থেকে (আল্রার দিকে উদ্ধমুখি) সম্প্রসারন শুরু হয় তখন থেকে আমাদের সময়কাল শুরু। ““আর তারা তোমাকে আযাব তরান্বিত করতে বলে, অথচ আল্লাহ কখনো তাঁর ওয়াদা খেলাফ করেন না। আর তোমার রবের নিকট নিশ্চয় এক দিন তোমাদের গণনায় হাজার বছরের সমান। ” এই সময়কালটি ত্রিমাত্রিক জগতের সময়কাল আল্লার নির্ধারিত সময়কাল যে সময়কাল দ্বারা স্রষ্টা এই ত্রিমাত্রিক জগৎ পরিচালনা করেন।
সৃষ্টিচলাকালীন সময়ের জন্য নির্ধারিত একটি সময়কাল আছে যেটি কোরানে উল্লেখ করা নেই। সেই সময়কালটা কত লম্বা তা উল্লেখ করা হয় না। আমি বুঝতে পেরেছি যে আপনি আল্লার সৃষ্টিকালীন সময়কাল বা সৃষ্টিদিন সময়কালের ব্যাপ্তিকে বোঝাতে চেয়েছেন।
৪৯| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:০২
এভো বলেছেন: প্রেক্ষাপট যা হোক না কেন --- এই বাক্যটা একটা স্টান্ডার রুল হিসাবে এসেছে --- আপনার পালনকর্তার কাছে একদিন তোমাদের গণনার এক হাজার বছরের সমান। ----- এটা একটা স্টান্ডার রুল স্টেটমেন্ট বাই গড এবং এটা যে কোন সময়ের জন্য প্রযোজ্য ।
আমার মনে আপনাকে ত্যানাবাজিতে ওয়াল্ড চাম্পিয়ান পুরুস্কার দেওয়া উচিৎ । ত্যানা বাজী কত প্রকার এবং কি কি -- সবাই এখানে এসে দেখে যেতে পারে ।
সৃষ্টিচলাকালীন সময়ের জন্য নির্ধারিত একটি সময়কাল আছে যেটি কোরানে উল্লেখ করা নেই
কেন থাকবে ? স্টান্ডার রুলিংতো দিয়ে দেওয়া হয়েছে । আপনাদের কোন নীতি নেই , মানে বিজ্ঞান যদি বলতো বিগব্যাংগ হওয়ার পর পৃথিবী সৃস্ঠি হতে ১০ বৎসর লাগছে --- সাথে সাথে দাবি করতেন আল্লাহর একদিন সমান ৫ বৎসর , যদি বলতো ১০০ বৎসর লাগছে -- তখন আল্লাহর একদিন সমান ৫০ বৎসর ,, ইত্যাদি । বিজ্ঞান এখন বলছে ৯ বিলিয়ন বৎসর পরে পৃথিবী সৃষ্ঠি হয়েছে -- সাথে সাথে আপনার দিনের হিসাব ৪.৫০ বিলিয়ান বৎসর এক দিনের সমান হয়ে গেছে , যদি পরে সংশোধন করে বলে ৪ বিলিয়ন বা ২০ বিলিয়ন বা ১৬ বিলিয়ন তাহোলে সাথে সাথে ২দিয়ে ভাগ করে আল্লাহর একদিনের মান নিয়ে হাজির হতেন ।
এই ধরনের চিটিংবাজি কি মানুষ বুঝে না । ত্যানা বাজি চিটিংবাজি করে বেশি দুর যেতে পারবেন না , জায়গা মত ধরা খাবেন এবং ধরা খেয়ে গেছেন অলরেডি ।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:০৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি ইচ্ছে করেই কযদিন প্রশ্নের উত্তর দিই নাই। সস্তা নাস্তিকদের মতো আপনার কথাবার্তাতে আমি খুবই মর্মাহত। তারপরও আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা আমার দায়িতব তাই লিখলাম। আমি না লিখলেই তো আপনি ভেবে নিবেন ব্যাটা হেরে গেছে। ব্যাটা পালাইছে। এইসব ভেবে আবার লিখলাম। কিন্তু ত্যানাবাজি কি? আপনার এই শব্দর অর্থ আমি বুঝলাম না। এসকল অপশব্দ ব্যবহার না করলেও পারতেন আপনি। এসকল অপশব্দ ব্যবহার করছেন বলেই আমি পরবর্তীতে প্রতিউত্তর দেবো কিনা ভাববো!
প্রেক্ষাপট যা হোক না কেন --- এই বাক্যটা একটা স্টান্ডার রুল হিসাবে এসেছে --- আপনার পালনকর্তার কাছে একদিন তোমাদের গণনার এক হাজার বছরের সমান। ----- এটা একটা স্টান্ডার রুল স্টেটমেন্ট বাই গড এবং এটা যে কোন সময়ের জন্য প্রযোজ্য ।আমার মনে আপনাকে ত্যানাবাজিতে ওয়াল্ড চাম্পিয়ান পুরুস্কার দেওয়া উচিৎ । ত্যানা বাজী কত প্রকার এবং কি কি -- সবাই এখানে এসে দেখে যেতে পারে ।
আপনিতো আমাকে একহাত নিয়ে নিলেন কিন্তু জেনে শুনে কি নিলেন? নাকি জয়ী হতেই হবে সে জন্যেই নিলেন। ধর্ম নিয়ে তর্ক করতে গেলে ধর্ম সম্পর্কে তো কিছু জানতে হবে! ধর্মের গভীর জ্ঞান (মারেফতে ইলম) কিছুই জানেন না রুপক অর্থ বোঝেন না, ধর্মীয় ইলম বলে কিছু নেই তাহলে আপনার সাথে ধর্ম নিয়ে আলোচনা করবো কেমন করে। আপনাকে শেখাতে শেখাতে তো আর আলোচনা করা যায় না!
“আপনার পালনকর্তার কাছে একদিন তোমাদের গণনার এক হাজার বছরের” এই আয়াতের কারনে আপনি আমাকে ত্যানাবিশারদ বানায়ে দিলেন।আপনার কাছে আমার প্রশ্ন উপরোক্ত এই আয়াতটিতে কি ‘আল্লাহ’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে নাকি পালনকর্তা বলা হয়েছে? (মানুষ এতটা বোকা কেমন করে হয়?) তাহলে এ্ই আয়াতে পালনকর্তা শব্দ ব্যাবহার করা হয়েছে কেনো? সমগ্র আল কোরানে ২৫৮৪ বার আল্রাহ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে এবং পালনকর্তা শব্দটি ব্যবহার হয়েছে ৯০০ বার। এই আয়াতে পালনকর্তা শব্দটি ব্যবহার করা হলো কেনো? পালনকর্তা শব্দের অর্থ কি আপনি জানেন? আল্লাহ ও পালনকর্তা শব্দ দুটির মধ্যে পাথর্ক্য কি তা আপনি জানেন? মনে হয় জানেন না। কারন লালু পাগল বা জার্মানে থাকা আরেক পাগলের কাছ থেকে যতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছেন তাতে আল কোরআনের গভীরতা জানার মতো সৌভাগ্য পাবেন না। ফুটো খুজে বেড়ানো ছাড়া আর কিছু করার নাই আপনাদের।
পালনকর্তা হলো আল্রাহর একটি গুনবাচক নাম (গুনবাচক নাম কি বোঝেন?)। পালনকর্তা শব্দের অর্থ হলো যিনি লালন পালন করেন। আল্লাহর এই গুনবাচক নামটি মানুষ প্রানিটির সাথে সম্পৃক্ত। এই গুনবাচক নামটি মানুষের দেখা শোনার সাথে সম্পৃক্ত। মানুষকে শিক্ষা দিয়ে দিয়ে একটি স্বাভাবিক প্রাণী থেকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে তৈরী করেছেন। মানবজাতির আজ এহেন উন্নয়েনের কারুকাজ করেছেন পালনকর্তা। তিনি সৃষ্টি জগতকে অসংখ্য নিয়ামত সহকারে প্রতিপালন করেন আর তার প্রিয়ভাজনদেরকে এমনভাবে প্রতিপালন করেন যেন তাদের অন্তরগুলো সঠিক পথে প্রতিষ্ঠিত থাকে। তিনিই সৃষ্টিকুলকে তাঁর নেয়ামতরাজি দিয়ে প্রতিপালন করেন, তাদেরকে ধীরে ধীরে গড়ে তোলেন। তিনি মুমিন বন্ধুদের অন্তর যেভাবে সংশোধন হয় সেভাবে যত্নসহকারে লালন-পালন করেন। যেমন, আল্লাহ তায়ালা বলেন:الْحَمْدُ لِلَّـهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ “যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।” (সূরা ফাতিহা: ২)
এগুলো আল কোরআনের গভীরের জ্ঞান।আল কোরানে আল্রাহর অসংখ্য গুনাবলীর বর্ননা দেওয়া আছে।এ সকল গুনাবলীর ভিতর সৃষ্টিকর্তা ও পালনকর্তা দুটি দুই গুনাবলী। আমি আল কোরআনের দুটি আয়াত দিয়ে আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করি। সুরা তোহা’র ১১-১৪ নং আয়াত নিয়ে আলোচনা করি। “১১. তারপর যখন তিনি আগুনের কাছে আসলেন তখন ডেকে বলা হল, হে মূসা! ১২. নিশ্চয় আমি আপনার রব, অতএব আপনার জুতা জোড়া খুলে ফেলুন, কারণ আপনি পবিত্ৰ ‘তুওয়া’ উপত্যকায় রয়েছেন। ১৩. আর আমি আপনাকে মনোনীত করেছি। অতএব যা ওহী পাঠানো হচ্ছে আপনি তা মনোযোগের সাথে শুনুন। ১৪. আমিই আল্লাহ্, আমি ছাড়া অন্য কোন হক্ব ইলাহ নেই। অতএব আমারই ইবাদাত করুন এবং আমার স্মরণার্থে সালাত কায়েম করুন।” লক্ষ্য করুন ১২ নং আয়াতে বলা হচ্ছে তিনি রব আবার ১৪ নং আয়াতে বলা হচ্ছে তিনিই আল্লাহ। মনে রাখবেন সৃষ্টি করেন সৃষ্টিকর্তা যা আল্লার একটি গুনাবলী আবার পালনকর্তা আল্লাহর আরেকটি গুনাবলী যা সমগ্র বিশ্বের পালন করেন।
পালনকর্তা নামক এই গুনবাচক নামটির কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। মহাবিশ্ব সৃষ্টি হবার পর যেদিন থেকে আল্লাহর দিকে বস্তু সকলের উদ্ধগতি সম্পন্ন হয়ছিলো অথাৎ সম্প্রসারন যেদিন থেকে শুরু হয়েছিলো। পালনকর্তা গুনবাচক নামটি সৃষ্টি পরবর্তীকালে প্রতিপালনে সীমাবদ্ধ।অতএব প্রতিপালন যিনি করেন তার সময়কাল মহাসম্প্রসারনের সময় কাল থেকে আর যিনি সৃস্টিকর্তা তার হিসাব আসবে মহাসম্প্রসারনের আগের মুহুত্ব পযর্ন্ত। সৃষ্টিকর্তা আল্রার আরেকটি গুনবাচক নাম ইনি সৃষ্টি করেন সময়হীন একটি সময়ে। সৃষ্টির শুরুতে সময়হীন একটি সময়ে সমগ্র জগৎ সৃষ্টি। সময়হীন সময়টি আমাদের কাছে সময়হীন হলেও এর একটা সময় আছে সৃষ্টিকর্তা বা আল্লার কাছে। এই সময়টা কত হতে পারে তা সৃষ্টি মানুষের জানার কি প্রয়োজন আছে? আল্লাহ কল্যাণময়, যিনি পালনকর্তা সমগ্র সৃষ্টির।’ (সূরা আ’রাফ : আয়াত ৫৪)। সূরা যুমারে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহই যাবতীয় বস্তুসামগ্রীর সৃষ্টিকর্তা এবং তিনিই যাবতীয় বিষয়ের দায়িত্বশীল। নভোমন্ডল ও ভু-মন্ডলের (সমস্ত ভান্ডার ও তার) চাবি তারই হাতে।’ (সূরা যুমার : আয়াত ৬২-৬৩)।
আমার নিদর্শনাবলীতে কেবল তারাই বিশ্বাস করে যাদেরকে এর দ্বারা উপদেশ দেয়া হলে সিজদায় লুটিয়ে পড়ে আর তাদের প্রতিপালকের প্রশংসা সহকারে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে আর তারা অহংকার করে না।[সাজদাহ 32]
৫০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৫৩
এভো বলেছেন:
আসুন একটু ত্যানাবাজী করি -
বিগব্যাং এর ৯ বিলিয়ন বৎসর পর পৃথিবী সৃষ্ঠি হয়েছে । এই ৯ বিলিয়ন বৎসর যদি আল্লাহর ২ দিনের সমান হয় , তাহোলে আল্লাহর ১ দিন সমান হবে ৪.৫০ বিলিয়ন ইয়ার ।
তাহোলে আল্লাহ সমগ্র মহাবিশ্বকে সৃষ্ঠি করেছেন ৬ দিনে ।
তাহোলে আল্লাহর ৬ দিন সমান -- ২৭ বিলিয়ন ইয়ার ।
কিন্তু মহাবিশ্বের বয়স ১৪ বিলিয়ন ইয়ার ।
ভাই আপনার কাছে আর কি কি ত্যানা আছে এই হিসাবটাকে ডিভাইন মত করার ।
নাকি প্রথম ৯ বিলিয়ন ইয়ার সমান আল্লাহর দুই দিন এবং শেষের চার দিন সমান ৫ বিলিয়ন ইয়ার । তাহোলে ১৪ বিলিয়ন ইয়ার হয়ে যায় ।
আপনি লিখেছেন --- সৃষ্টিচলাকালীন সময়ের জন্য নির্ধারিত একটি সময়কাল আছে যেটি কোরানে উল্লেখ করা নেই।
সুতরাং বিগব্যাং এর পর প্রথম ৯ বিলিয়ন ইয়ার সমান ২ দিন এবং শেষের ৫ বিলিয়ন ইয়ার সমান ৪ দিন ।
২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:২৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: একটি বিষয় সরি না বলে উপার নেই যে আমার লেখার একটি স্থানে আমি সময়কাল তুলে ধরেছিলাম ।
“ সুতরাং বিগব্যাং এর পর প্রথম ৯ বিলিয়ন ইয়ার সমান ২ দিন এবং শেষের ৫ বিলিয়ন ইয়ার সমান ৪ দিন । “
আসলে এই সময়কাল বিজ্ঞানের সময়কালকে ধরে লিখেছি। সময় ধরে নেওয়াটা ঠিক হয় নাই।
৫১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮
এভো বলেছেন: এবার আরেক নতুন ত্যানে নিয়ে হাজির হয়েছেন ---- সৃষ্ঠিকর্তা বনাম পালন কর্তা সমাচার ।
সৃষ্টিকর্তা আল্রার আরেকটি গুনবাচক নাম ইনি সৃষ্টি করেন সময়হীন একটি সময়ে।
তখন সময় ছিল ---- বিগ ব্যাংগের সাথে সাথে সময়ের শুরু , তার আগে কোন সময় ছিলনা । তার মানে সময়ের মান শুণ্য
সৃষ্টির শুরুতে সময়হীন একটি সময়ে সমগ্র জগৎ সৃষ্টি। সময়হীন সময়টি আমাদের কাছে সময়হীন হলেও এর একটা সময় আছে সৃষ্টিকর্তা বা আল্লার কাছে।
সৃষ্ঠিকর্তা বা আল্লাহ লিখলেন -- পালনকর্তা বা সৃষ্ঠিকর্তা বা আল্লাহ কেন লিখলেন না ? বিগব্যাংগের আগে বিধাতার কাছে সময় ছিল -- এই ত্যানটা কোথা থেকে আমদানি করেছেন ?
এই আয়াতটিতে কি ‘আল্লাহ’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে নাকি পালনকর্তা বলা হয়েছে?
তবে এই আয়াতে আল্লাহ শব্দ ব্যবহার হয়েছে ---- “আল্লাহ্ তাআলা কাজ-কর্ম করে আকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত অতঃপর তাঁর দিকে উর্ধ্বগমন করেন এমন এক দিনে যা তোমাদের হিসাব অনুযায়ী এক হাজার বছরের সমান।” [সূরা আস-সাজদাহ: ৫]
------- এই আয়াত থেকে আপনি একটা ত্যানে বাহির করে দাবি করবেন --- উর্ধ্বগমনের এক দিন সমান এক হাজার বৎসর , এই ১০০০ বৎসর এবং পালন কর্তার ১০০০ এক নয় তবে সৃষ্ঠি কর্তার একদিন অরেকটা --- বিগব্যাংগের আগের সময় ইত্যাদি । যেহেতু আমার কোরান সম্পর্কে গভির জ্ঞান নেই , তাই আমি বুঝব না ।
৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৩৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: “আল্লাহ্ তাআলা কাজ-কর্ম করে আকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত অতঃপর তাঁর দিকে উর্ধ্বগমন করেন এমন এক দিনে যা তোমাদের হিসাব অনুযায়ী এক হাজার বছরের সমান।” [সূরা আস-সাজদাহ: ৫]
আপনার অনুবাদ ভূল। যা ভূল অর্থ মিনিং করে। আল্লাহ তায়ালা কাজ কর্ম করে আকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত অতঃপর তার দিকে উর্দ্ধগমন করেন - কিন্তু কি উদ্ধগমন করেন এটা স্পষ্ট নয়। “তিনি আকাশ হতে পৃথিবী পর্যন্ত সমুদয় বিষয় পরিচালনা করেন, অতঃপর একদিন সব কিছুই তাঁর সমীপে সমুত্থিত হবে, যে দিনের পরিমাপ হবে তোমাদের হিসাবে হাজার বছরের সমান” এখানে যা কিচু পরচিালনা করেন তা উথ্তি হবে। অথাৎ সমগ্র মহাবিশ্ব গ্যালাক্সি মন্ডল উদ্ধগমন করেন অর্থাৎ সম্প্রসারন করেন। এককথায় সম্প্রসারন সময়কালকে বোঝানো হয়েছে। পূর্বের আয়াতটি পড়ুন বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে। “আল্লাহ, যিনি আসমানসমূহ, যমীন ও এ দু'য়ের অন্তর্বর্তী সব কিছু সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে। তারপর তিনি আরশের উপর উঠেছেন। তিনি ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক নেই এবং সুপারিশকারীও নেই; তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্ৰহণ করবে না? [সূরা আস-সাজদাহ: 4] আয়াতটিতে বলছেন তিনি ৬ দিনে সকল বস্তু সৃষ্টি করে আরশে গিয়ে বসেন। পরবর্তী আয়াতে বলছেন আকাশ থেতে পৃথিবী পর্যন্ত সকল কিছু ঠিকঠাক হবার পর আল্লার দিকে উদ্ধাগমন করেন সকল বস্তু যার সময়কাল আমাদের হিসাব অনুযায়ী এক হাজার বছরের সমান।”
আমি ৪০ নং কমেন্টে এ প্রশ্নের উত্তর আমি আপনাকে দিয়েছি। আবার আপনি এ প্রশ্ন করলেন? প্রশ্ন বোধহয় খুজে পাচ্ছেন না ! কি করেই বা পাবেন? ফুটো খোজা জ্ঞান দিয়ে! যাইহোক ৪০ নং কমেন্ট-এ যা বলেছিলাম তাই আবার তুলে ধরলাম।
@ এভো,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
-- (يُدَبِّرُ الْأَمْرَ مِنَ السَّمَاءِ إِلَى الْأَرْضِ ثُمَّ يَعْرُجُ إِلَيْهِ فِي يَوْمٍ كَانَ مِقْدَارُهُ أَلْفَ سَنَةٍ مِمَّا تَعُدُّونَ) “আল্লাহ্ তাআলা কাজ-কর্ম করে আকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত অতঃপর তাঁর দিকে উর্ধ্বগমন করেন এমন এক দিনে যা তোমাদের হিসাব অনুযায়ী এক হাজার বছরের সমান।” [সূরা আস-সাজদাহ: ৫]
এই আয়াতে একটু কমন সেন্স কাজে লাগিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। দেখেন বুঝবেন। যার অর্থ হচ্ছে আল্লাহ তায়ালা সমগ্র কিছু সৃষ্টি করবার পর থেকে একটি নিদীষ্ট সময় থেকে সমগ্র বস্তুজগৎ যে উদ্ধগমন করেন তার একটা সময়কাল নিধ্যারন করা হয়েছে। অর্থাৎ মহাবিশ্ব সৃষ্টির পর থেকে সকল গ্যালাক্সিমন্ডল একটি দিকে ধাবিত হচ্ছে। সকল বস্তুর সম্প্রসারণ ঘটছে সেই সম্প্রসারনের গতিময়তাকে বোঝানো হয়েছে।
এবার আসি বিজ্ঞানের ভাষায়। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আন্দ্রে লিন্ডে বলেন ‘আমরা উপলদ্ধি করছি সৃষ্টির শুরুতে একটি একটি অদৃশ্য শক্তির আগমন ঘটেছিলো যে শক্তি সমগ্র মহাবিশ্বকে সকল দিক থেকে একই সাথে সমান ভাবে সম্প্রসারন করেছিলো। এই সম্প্রসারনের পিছনে কি আদৌ কোন শক্তি কাজ করেছিলো? যে শক্তি বলে এই মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হয়েই চলেছে। আধুনিক বিজ্ঞানের বর্তমান উদ্ঘাটিত তথ্য উপাত্ত দ্বারা এটা প্রমানিত হচ্ছে যে মহাবিশ্ব সম্প্রসারনের পিছনে কাজ করছে একটি গুপ্ত শক্তি। তারা দীর্ঘদিন ধরে উপলদ্ধি করতে লাগলেন মহাকর্ষের টানে বস্তুর প্রসারনের হার কমে কিন্ত তা না ঘটে, ঘটছে ঠিক তার উল্টাটা। কোন রহস্যময় শক্তির প্রভাবে এই মহাকর্ষ বলকে পাশ কাটিয়ে বস্তুর ক্রমশ প্রসারণই ঘটছে। ব্যাপক পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ ও গবেষনার একপর্যায়ে বিজ্ঞানীরা এই সীদ্ধান্তে উপনীত হন এই সমগ্র মহাবিশ্বের ৭৩% অংশজুড়ে গুপ্ত একটি শক্তি বিদ্যমান। বিজ্ঞানীরা তার নামকরণ করলেন “ডার্ক এনার্জি” এবং এই গুপ্ত শক্তিই মহাকর্ষ বলকে পাশ কাটিয়ে মহাবিশ্ব প্রসারণের কারন।’
‘আপনি বুঝবেন না’ আমি কিন্ত এ কথাটা আপনাকে বলি নাই।তবে আমি বলতে পারি আপনি বেশি বোঝা পাবলিক তাই বোধগম্যতার অভাব বিশেষ করে আল কোরআনের ক্ষেত্রে। তাই দয়া করে আর বোঝা বুঝির দরকার নেই। এবার আপনি একটু থামুন। বারেবার একই প্রশ্ন উত্তর দিতে দিতে আমি ক্লান্ত। আপাতত থামুন। ভালো থাকুন। শুভ কামনা।
৫২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:১৯
এভো বলেছেন: আমি যে বিষয়টা জানতে চাই ,,, আপনি তার ধারে কাছে দিয়ে যান নাই ।
আপনি বলেছেন -- পালনকর্তার ১ দিন সমান ১০০০ বৎসর হলে , সৃষ্ঠি কর্তার একদিন নাকি আলাদা ।
তারপর পেলাম আল্লাহর একদিন সমান ১০০০ [সূরা আস-সাজদাহ: ৫]
তারমানে পালনকর্তা আর আল্লাহর একদিন সমান কারন উভয় পৃথিবীর ১০০০ বৎসরের সমান ।
সৃষ্ঠি কর্তার একদিন সমান বিলিয়ন ইয়ার সম্ভবত ৪.৫০ বিলিয়ন ইয়ার ।
এবার জানতে চাই
রিজিকদাতা, পরম ন্যায় বিচারক , পরম করুনাময় ইত্যাদির একদিন সমান কত বৎসর ?
------------------------------------------------------------------------------------------------------------
পরিশেষে কি মেনে নিলেন যে বিজ্ঞানের সৃষ্ঠি তত্ত্বের সাথে কোরানে সৃষ্ঠি তত্ত্ব মিলে না ?
০২ রা মে, ২০২২ দুপুর ২:০৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনার মতো বেহায়া আমি সত্যিই জীবনেও দেখি নাই।
(পালনকর্তার ১ দিন সমান ১০০০ বৎসর} আবারও সেই তালগাছ আমার। বারেবার এই দিনটাকে আল্রার দিন বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন কেনো? বারেবার আপনাকে বোঝানোর পর আপনি বলছেন তালগাছ আপনার। যেটা হাস্যকর বিষয়।
আপনি যে আয়াতের কথা বলছেন এই আয়াতটি নাযিল হয়েছে প্রলয়কাল বিবেচনা সাপেক্ষে। মহাজগতে নিদিষ্ট সময় পর পর পৃথিবীতে গজব নাজিল হয় এটাকে প্রলয় চক্র বলে। ব্যপক ধ্বংশলীলা নাজিল হয় সেই সময়কালে। (“অতঃপর কত জনপদ আমি ধ্বংস করেছি যেগুলির বাসিন্দারা ছিল যালিম, তাই এইসব জনপদ তাদের ঘরের ছাদসহ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল, কত কূপ পরিত্যক্ত হয়েছে এবং কত সুদৃঢ় প্রাসাদ ধ্বংস হয়েছে! ২২:৪৫ “তারা কি যমীনে ভ্রমণ করেনি? তাহলে তাদের হত এমন হৃদয় যা দ্বারা তারা উপলব্ধি করতে পারত এবং এমন কান যা দ্বারা তারা শুনতে পারত। বস্ত্তত চোখ তো অন্ধ হয় না, বরং অন্ধ হয় বক্ষস্থিত হৃদয়।২২:৪৬ “আর তারা তোমাকে আযাব তরান্বিত করতে বলে, অথচ আল্লাহ কখনো তাঁর ওয়াদা খেলাফ করেন না। আর তোমার পালনকর্তার নিকট নিশ্চয় এক দিন তোমাদের গণনায় হাজার বছরের সমান। ”২২:৪৭ ‘আর আমি কত জনপদকে অবকাশ দিয়েছি, অথচ তারা ছিল যালিম; অতঃপর আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছি। আর আমারই নিকট প্রত্যাবর্তনস্থল। ২২:৪৮) সর্ম্পুর্ণ আয়াত পড়ে ব্যাক্ষা দিন। একটু আয়াত পড়ে বলে দিয়েন না আল্লার এক দিন সমান আমাদের 1000 দিন। এই আয়াতের মাঝে আল্রাহ প্রলয়চক্রের একটি নির্ধারিত সময়সীমা তুলে ধরেছেন। প্রতি 1000 বছর পর পর প্রকৃতির একেকটি দিবস হয় এবং নির্দীষ্ট কতিপয় দিবস পরপর প্রকৃতির বুকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয় যেটা স্বয়ং আল্লাহর তরফ থেকে। আর এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা ধ্বংশলীলাকেই কেয়ামত বলা হয়। যা অতীতে আদ, সামুদ সহ অসংখ্য জাতিস্বত্তার উপর এই গজব নাজিল হয়েছিলো।
সুরা সিজদাহ-এর ৫ নং আয়াত তুলে ধরে আবারো আল্লার ১ দিন বানায়ে ছাড়লেন। আপনি পারেন বটে। কোরআন বললো ‘অ’ আর আপনি বুঝে নিলেন অজগর। এতটা নির্বোধ মানুষের সাথে কি আলোচনা করা যায়? সত্যি কথা বলতে কি? বিভ্রান্তময় বিষ ছড়ানো আপনার স্বভাব।
আল্লাহ যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং এ দু’ এর মাঝে যা কিছু আছে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন- অতঃপর তিনি ‘আরশে সমুন্নত হন। তিনি ব্যতীত তোমাদের জন্য কোন অভিভাবক নেই, সুপারিশকারীও নেই। তবুও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না? [সূরা আস-সাজদাহ: 4] তিনি আকাশ হতে পৃথিবী পর্যন্ত সকল বিষয় পরিচালনা করেন, অতঃপর সমস্ত কিছুই তাঁর দিকে ঊর্ধ্বগামী হয় এমন এক দিনে-যা তোমাদের গণনায় হাজার বছরের সমান। [সূরা আস-সাজদাহ: ৫] তিনিই দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা, পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।[সূরা আস-সাজদাহ: 6]
একটা ছোট ছেলেকেও এ আয়াতগুলো পড়ে শোনালে সে বলবে আয়াতের সারাংশ “ আল্লাহ ৬ দিনে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করে আরশে গিয়ে বসেন মহাবিশ্ব পরিচালনা করার জন্য। যেদিন থেকে আরশে বসেন সেদিন থেকে মহাবিশ্বের সকল বস্তুর তার দিকে উদ্ধগামী হতে শুরু করে। উদ্ধগামী মানে মহাবিশ্বের এই মহাসম্প্রসারন শুরু হতে থাকে দৃশ্যময় বস্তু ও অদৃশ্যময় বস্তুর এক যৌথ প্রভাবে। অদৃশ্য বস্তুর ইন্ধনে যে মহাসম্প্রসারণ শুরু হয়েছে সেটা বিজ্ঞান স্বীকার করে।
বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আন্দ্রে লিন্ডে বলেন ‘আমরা উপলদ্ধি করছি সৃষ্টির শুরুতে একটি একটি অদৃশ্য শক্তির আগমন ঘটেছিলো যে শক্তি সমগ্র মহাবিশ্বকে সকল দিক থেকে একই সাথে সমান ভাবে সম্প্রসারন করেছিলো। এই সম্প্রসারনের পিছনে কি আদৌ কোন শক্তি কাজ করেছিলো? যে শক্তি বলে এই মহাবিশ্ব সম্প্রসারিত হয়েই চলেছে। আধুনিক বিজ্ঞানের বর্তমান উদ্ঘাটিত তথ্য উপাত্ত দ্বারা এটা প্রমানিত হচ্ছে যে মহাবিশ্ব সম্প্রসারনের পিছনে কাজ করছে একটি গুপ্ত শক্তি। তারা দীর্ঘদিন ধরে উপলদ্ধি করতে লাগলেন মহাকর্ষের টানে বস্তুর প্রসারনের হার কমে কিন্ত তা না ঘটে, ঘটছে ঠিক তার উল্টাটা। কোন রহস্যময় শক্তির প্রভাবে এই মহাকর্ষ বলকে পাশ কাটিয়ে বস্তুর ক্রমশ প্রসারণই ঘটছে। ব্যাপক পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ ও গবেষনার একপর্যায়ে বিজ্ঞানীরা এই সীদ্ধান্তে উপনীত হন এই সমগ্র মহাবিশ্বের ৭৩% অংশজুড়ে গুপ্ত একটি শক্তি বিদ্যমান। বিজ্ঞানীরা তার নামকরণ করলেন “ডার্ক এনার্জি” এবং এই গুপ্ত শক্তিই মহাকর্ষ বলকে পাশ কাটিয়ে মহাবিশ্ব প্রসারণের কারন’।
আপনি আল্লার ১ দিন খুজে বেড়াচ্ছেন? অবাক হই আপনার মানসিকতা দেখে। আর কোরআনে বলে “ হে মুহাম্মদ তুমি তাকে যতই নসীহত কর সে বুঝিবে না কারন তার দু চোখে পর্দা দিয়েছে সে দেখিবে না তার দু কানে পর্দা দিয়েছি সে শুনিবে না।” আপনার সে অবস্থা হয়েছে। আপনাকে যতই বোঝায় তালগাছ আপনারই বলে আপনি দাবী করেন। আলকোরআন আরেকটি আয়াতে বলছে-“ উহাদের অন্তর ব্যাধীগ্রস্থ”। নাস্তিকতার প্রভাবে আপনার মনোবিকাশ অনেকটা ব্যাধীগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। আপনার সাথে আর কোনভাবেই আলোচনা করা যাবে না। কারন আপনাকে বোঝানো যাবে না।
আপনি দয়া করে আর কোন কমেন্ট করবেন না। করলে আমি সেটা ডিলেট করে দিতে বাধ্য হবো।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:০৬
গরল বলেছেন: আবার সেই একই ঘ্যান ঘ্যান প্যান প্যান, ধর্ম বিজ্ঞান দুইটাই ঝেটিয়ে বিদায় করে দেন, প্যান প্যানানির শেষ হোক। যার ধর্ম দরকার নাই সে ধর্ম করবে না আর যার বিজ্ঞান দরকার নাই সে বিজ্ঞান পড়বে না। কেউ আবার দয়া বিজ্ঞান নিয়ে এসে নতুন ঘ্যান ঘ্যান শুরু কইরেন না। যার যেটা ভালো লাগে ভাবুক সমস্যা কোথায়?