নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

“অবিনাশের স্বপ্ন”

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৫



“বিশ্ব যখন উথাল পাথাল। করোনার কারনে সকল শ্রেণির মানুষ যখন স্থবির হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে আবার যাত্রা পালার নামে নতর্কীর নগ্ন নৃত্য! ছিঃ ওদের উপর আল্লার গজব আইবো! গজব।” আপনমনে কথা আওড়াতে আওড়াতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল অবিনাশ। জীবনে কখনও যাত্রা দেখে নাই। যাত্রা বলতে হয়তো এক রকম নাটকই মনে করতো। কিন্তু যাত্রার ভিতর মেয়েমানুষের অর্ধনগ্ন নৃত্য দেখে নিজেকে আর স্থির রাখতে পারলো না অবিনাশ ভাবতে লাগলো “এটা কেমন কথা! বাংলাদেশের মতো একটি রাষ্ট্রেও যাত্রা প্যান্ডেলে মেয়ে মানুষের অর্ধ্বনগ্ন নাচানাচি! আর সেই নাচানাচির সাথে উঠতি বয়সি যুবকদের খিস্তি খেউর।ছিঃ কি নোংরামি। একজন যুবক তো স্টেজে উঠে গিয়ে মেয়েটার সাথে নাচতেই শুরু করে দিলো! মেযেটিও বুক দুলিয়ে দুলিয়ে অশ্লীল ভঙ্গীমায় যুবকটির সাথে নাচলো! অবিনাশ কোন ভাবেই এটা মেনে নিতে পারছে না।”
যতরাজ্যের চিন্তার ঝড় বইছে তার মাথায়। ঢাকা থেকে অনেক দুর কুষ্টিয়া জেলার আমলাতে বন্ধুর বোনের বিয়ে উৎসবে বেড়াতে এসেছে সে। অনেকটা গ্রামীণ ছোয়া রয়েছে এ এলাকাতে ।দুই দিন হয়ে গেলো বন্ধুর বাড়িতে আছে। বন্ধু রফিক অবিনাশকে নিয়ে লালন শাহ এর মাজার, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বসত ভিটা ঘুরে ঘুরে সব কিছুই দেখিয়েছে। যাত্রা চলছে শুনে অবিনাশই রফিককে যাত্রা দেখার তাগাদা দিতে থাকে।সমস্ত রাত্রি ধরে যাত্রা চলবে জেনে রফিক অবিনাশকে শর্ত দিয়েছিলো যে যাত্রা প্যান্ডেলে রেখে সে চলে আসবে। অগত্যা বাধ্য হয়েই অবিনাশ শর্ত মেনে নিয়ে সারা রাত্রি জেগে যাত্রা দেখেছে । কিছুক্ষণ পুর্বেই যাত্রা শেষ হলো।
এখন ভোর। অবিনাশ হাটতে হাটতে রফিকের বাড়ির দিকে রওয়ানা দিলো। চারিদিকে আলো আধারির খেলা। সূর্য উঠছে। সূর্য়ের মনোরম আলো আর লালচে আকাশ একটা অভুতপূব পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। অবিনাশ হাটতে হাটতে কিছু সময়ের জন্য থামলো। রাস্তার ধারে থরে থরে ধানক্ষেত। মৃদু বাতাসে ধানক্ষেতের হেলান দুলান দেখতে অবিনাশের খুব ভালো লাগছে। ভোরের এই সময়টাতে সুর্যের উদয় হওয়া পযবেক্ষন করতে অবিনাশের খুব ইচ্ছে হলো। আগে মনে প্রশ্ন জাগতো সুর্য যখন উদয় হয় তখন সুয়ের আলো লাল হয় কেনো? কিন্তু এখন জানে "সূর্য যখন দিগন্তের নিচের দিকে অবস্থান করে, তখন নীল আর সবুজ রং ভেঙে যায় এবং আমরা কমলা এবং লাল রং-এর আভা দেখতে পাই। সেখান থেকেই শুরু হয় সূর্যের আলোর "ম্যাজিক"। সুর্যের এই লাল কমলা রং ছড়নো সময়টা অবিনাশকে মোহগ্রস্থ করে তুললো। সুন্দর এই সময়টা বসে উপভোগ করলে কেমন হয়? রাস্তার পাশে ধানক্ষেতের দিকে মুখ করে অবিনাশ কিছুসময়ের জণ্য বসলো।সুর্য উঠার অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করতে করতে অবিনাশ ভাবতে থাকে সূযের এই আলোর মতো পৃথিবীর বুক যদি আলোকিত হতো সততা স্বচ্ছতা সৌন্দর্যবোধ মহানুভতার সুর্য দিয়ে। যদি নগ্ন নৃত্যের মতো সকল নোংরা চিন্তা, নোংরা কর্ম নামক অন্ধকার হারিয়ে গিয়ে সততা নামক সভ্যতার নতুন আলোয় পৃথিবী জেগে উঠতো। মানুষের মধ্যে মানবিকতা-সততা বোধ দিকে দিকে উদ্ভাসিত হয়ে উঠতো। এমন পৃথিবী কি হওয়া সম্ভব?

কিছুদিন পূর্বেও ঠিক এমনই একটি ঘটনা ঘটেছিলো। অবিনাশ ঢাকায় এরকম অধ্বনগ্ননৃত্য দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে সরাসরি থানায় গিয়ে অভিযোগ করে। ভাগ্যিস সেদিন বন্ধু সৈকত বিষয়টিকে ধামাচাপা দিয়ে মিটমাট করে।এঘটনার কারনে অবিনাশকে প্রিয় বন্ধুদের সঙ্গ ছাড়তে হয়েছিলো।ছাড়তে হয়েছিলো মেস। রাস্তার ধারে বসে সেদিনের কথা ভাবতে লাগলো অবিনাশ। অবিনাশের সেই দিনের হেরে যাওয়াতে অবিনাশ ধরেই নিয়েছিলো সততা সবসময় বোধ হয়ে হেরে যাই।
মনে পড়ে সেই দিনের ঘটনা। অবিনাশ বন্ধু সৈকত, জুয়েল, রুবেল সহ মনিরের সাথে মেস থেক বের হলো। কথা ছিলো ওরা নতুন এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাবে। কিন্তু ওরা সবাই গুলশান-১ এর একটি বাসায় এলে একটি মহিলা এসে ওদের দরজা খুলে দেয়। সকলে ড্রয়িং রুমে বসে। চা-বিস্কিটের আপ্যায়ন পর্ব শেষ হলে মহিলাটি এসে সকলকে আরেকটি রুমে নিয়ে গেলো। রুমটির ডেকোরেশন সত্যিই অদ্ভুদ ঠিক যেনো আদি যুগের জমিদার বাড়ির বাঈজীখানা। চারিদিকে সাদা কাপড়ে মোড়ানো তোষক সাথে একটি বালিশ। প্রত্যেকের বসবার জন্য একটি একটি তোষক ও সুন্দর পারিপাটি করে সাজানো হেলান দেওয়া একটি কোল বালিশ। ঠিক যেনো জমিদারদের বসবার স্টাইল। আর এক পাশে সুন্দর করে সাজানো আছে সাউন্ড স্পিকার। অবিনাশ কিছু বুঝতে পারছে না। ফ্যাল ফ্যাল করে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। ভাবছে এখানে সম্ভবত গান হয় নইলে এত বড় বড় স্পিকার কেনো? সাকিব অবিনাশের চাহনি দেখে বললো ‘দোস্ত এখানে যাই ঘটুক তুই কোন কথা বলবি না। কিছু বলার থাকলে বাইরে গিয়ে বলবি। কোন সিন্ক্রেট ঘটাবি না।’ অবিনাশ বললো ‘দোস্ত আমরা এখানেই বা কেনো এলাম? কি ব্যাপার? সাকিব বললো চুপ করে থাক। কিছক্ষন পর বুঝতে পারবি কেনো এসেছি!’ অবিনাশ হতভম্ব ভঙ্গিমায় এদিক ওদিক তাকাচ্ছে। বন্ধুরা সকলেই অবিনাশকে দেখে মুচকি হাসছে। অবিনাশ বুঝতে পারলো কোন কিছু লুকোচুরি চলছে। বন্ধুরা মজা করার জন্য এমন কোথাও নিয়ে এসেছে যেখানে সে জানলে আসতো না তাই বন্ধুরা সে বিষয়টি গোপন রেখেছিলো।
বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করার পর অবিনাশ দেখলো একজন সুন্দরী মেয়ে মর্ডান বাঈজী পোষাক পরে রুমে এলো। পোষাকটি ঠিক অদ্ভুদ। আগেকার আমলের বাঈজী পোষাকও নই আবার মর্ডান পোষাকও নই। এক কথায় খোলামেলা অদ্ভুতুরে একটি পোষাক। মেয়েটি সকলকে অভিবাদন দেওয়ার ভঙ্গিমায় হাত উচুঁ করলো। বন্ধূরাও সকলে হাত উচু করে অভিবাদন জানালো। মেয়েটি এসে তার বসবার জায়গায় বসলো। বন্ধুরা সকলে উৎফুল্ল। অবিনাশ লক্ষ্য করলো মেয়েটির পিছনে র‌্যাক জুড়ে শুধু বিভিন্ন মদের বোতল থরে থরে সাজানো। মেয়েটি বিদেশি স্কটিশ মদের বোতল হাতে নিয়ে এসে সকলের সামনে রাখা গ্লাসে মদ ঢালতে লাগলো। সৈকত, জুয়েল, রুবেল সহ মনিরের গ্লাসে মদ দেওয়ার পর মেয়েটি এবার অবিনাশের গ্লাসে মদ ঢালতে যাবে ঠিক তখন অবিনাশ মেয়েটিকে প্রশ্ন করলো ‘এটা কি?’ মেয়েটি অবাক দৃষ্টিতে অবিনাশের দিকে তাকায় বলে “বিদেশী স্কচ। আমরা দামী মদ ছাড়া কাষ্টমারদের আপ্যায়ন করাই না। আমাদের খেদমতে কোন ত্রুটি পাবেন না স্যার।” অবিনাশ বললো ‘আমি মদ খাই না।’ মেয়েটি এবার আরো বেশি অবাক হলো! ঠিক যেনো ভুত দেখার ভঙ্গিমায় বললো “মদ না খাইলে এখানে আইলেন কেনো? মেয়েটির কথা শেষ না হতেই রুবেল বললো ‘অবিনাশ খেয়ে নে একদিন খাইলে কিছু হয় না। খেয়ে নে।’ অবিনাশ এবার মেয়েটিকে খুব কাছ থেকে দেখলো। মেয়েটি অতীব সুন্দরী। মুখের লালচে চামড়ার মাঝে কিসের যেনো এক জাদু আছে। হাসিতে টোল পড়া মুখ আরো সুন্দর দেখায়! এত সুন্দর একটি মেয়ে ৪/৫ জন পরপূরুষকে মদ পরিবেশন করছে। অবিনাশ ভাবতে লাগলো পৃথিবী জুড়ে কেনো এত নগ্নতার ঢেউ বিন্যাস। কেনো নারীত্বের এত অবমাননা চলছে। নারীরাই যেনো নারীদের অস্তিত্বের বিপক্ষে। বিজ্ঞাপনের পাতা খুললেই দেখা যায় নারীর যৌনতার বর্হিপ্রকাশই পন্যের প্রসার ঘটাচ্ছে। একটি গাড়ীর বিজ্ঞাপন যেখানে নগ্ন প্রায় একটি নারী’ গাড়ী ধরে দাড়িয়ে আছে। নগ্ন নারীটির গাড়ীর পাশে দাড়িয়ে থাকা যৌক্তিকতার খুজে পাওয়া যায় না। আসলে আমাদের সমাজ ব্যবস্থাকে আমরা এমন ভাবেই তৈরী করে ফেলেছি যেখানে নারী দেহ প্রদর্শনি একটি নিত্যনৈমত্তিক বিষয় আর এই দেহ প্রদর্শনি সমাজে দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব ফেলছে।ফলে ধর্ষন ও ব্যাভিচার চরমে পৌছেছে। একটি জরিপে পাওয়া গেছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এবং ক্ষমতাধর দেশ আমেরিকায় প্রতি মিনিটে ২ টি নারী ধর্ষিত হচ্ছে। এসব ভাবতে ভাবতে ভাবনার জগতে কোথায় যেনো হারিয়ে গিয়েছিলো অবিনাশ। সাকিবের কন্ঠস্বর শুনে চেতনা ফিরে এলো। সাকিব বলছে ‘এই অবিনাশ খেয়ে নে।’ অবিনাশ বললো ‘না আমি মদ খাই না’। মেয়েটি অবিনাশের কথা শুনে প্রতিউত্তর না দিকে সাকিবের গ্লাসে মদ ঢেলে দিলো। সকলে মদ খেতে শুরু করলো। মেয়েটি উঠে গিয়ে সাউন্ড স্পিকারের কাছে গিয়ে সুইচ অন করে দিলো। শুরু হলো ডিসকো মিউজিক। সকলে উল্লাস করে উঠলো। মেয়েটি শুরু করলো ড্যান্স। নোংরা ভঙ্গিমায় ড্যান্স করতে দেখে অবিনাশ চমকে উঠলো।সে ভাবতে লাগলো এ কি হচ্ছে! একটা মেয়ে মানুষ কি ৫/৬ জন পরপুরুষের সামনে এভাবে অধ্বনগ্ন অবস্থায় ড্যান্স করতে পারে। সিনেমাতে না হয় হচ্ছে তাই বলে আমাদের দেশে এভাবে প্রকাশ্যে মদে উন্মত্ত অধ্বনগ্ন নৃত্য। ছিঃ। অবিনাশ বুঝতে পারলো এই সকল ঘটনার কারনেই বিশ্বজুড়ে ব্যাভিচার বেড়ে যাচ্ছে। নারী-পূরুষ উভয়েরই চরিত্র ন্ষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আজ স্বামী স্ত্রি বিচ্ছেদের হিড়িক পাশ্চত্য দেশ সমূহের একটি প্রধান সমস্যা। ইংল্যান্ডে প্রতি ১০০ জন নারীর মধ্যে ৮৬ জন নারী বিয়ে ছাড়াই যৌন সম্পর্ক স্থাপন করছে। প্রতি ৩ জন নারীর একজন বিয়ের পূবেই সত্বিত্ব সম্পদ হারিয়ে বসে। আমেরিকার বিদ্যালয় সমূহে অশ্লীল ম্যাগাজিনের চাহিদা এত বেশি যে এগুলো অধ্যায়ন করে আমেরিকার স্কুল কলেজের নারীরা চরম যৌন উত্তেজনায় ভূগতে থাকে। ফলে ব্যাভিচারের পরিধি চরমে পৌছেছে। হাইস্কুলের শতকরা ৪০ জন ছাত্রী স্কুল ত্যাগ করার পূর্বেই চরিত্রভ্রষ্ট হয়ে পড়ে। অবাধ যৌনাচারে সমগ্র আমেরিকা ছেয়ে গেছে। আমেরিকার গড়ে ১ জন মানুষ ৮ জন মানুষের সাথে যৌন সম্ভোগের পর একজনের সাথে থাকার ব্যবস্থা শুরু করে। আজ আমেরিকা ধ্বংশের পথে এই সকল ঘটনা যদি আমাদের দেশেও ঘটতে থাকে তবে আমাদের দেশের যুবক-যুবতীও নষ্টের দোড়গোড়ায় দ্বারপ্রান্তে পৌছবে। ভাবতে ভাবতে অবিনাশ হঠাৎ করে উঠে দাড়িয়ে পড়ে। মেয়েটি ড্যান্স করতে করতে অবিনাশের দিকে এসে জড়িয়ে ধরতে যাবে আর অবিনাশ সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটিকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। মেয়েটি পড়ে যায়। সকলেই স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। অবিনাশ সোজা ঘর দিয়ে বেরিয়ে মেইন গেট খুলে বাড়ির বাইরে চলে যায়। হাটতে হাটতে সোজা থানায়।সেই ঘটনার পর থেকে সৈকত, জুয়েল, রুবেল, মনির সহ সাকিব কেউ অবিনাশের সাথে কথা বলে না। অবিনাশ পুলিশ নিয়ে ঘটনার স্থানে গেলেও কোন ক্রু পাই নাই। পরে থানার ওসি সাহেব মেসে এসে সাকিবকে প্রশ্ন করলে সাকিব অবিনাশের মাথা খারাপ বলে অভিহিত করলে ওসি সাহেব ঘটনার তদন্ত না করে থানায় ফিরে যাই।

সূর্য উঠেছে। চারিদিকে আলোকিত হয়ে পড়ছে। অবিনাশ এতক্ষন ধরে সূর্যের দিকে তাকিয়ে থেকে সূর্য উঠার দৃশ্য অবলোকন করছিলো। আর সেই দিনকার কথা ভাবতে ছিলো। অবিনাশ উঠে দাড়ায়। হাটতে শুরু করে রফিকের বাড়ির উদ্দেশ্যে। সে ভাবতে থাকে পৃথিবীটা এমন হয়ে পড়ছে কেনো? ব্রিটেনেও শতকরা ৮৬ জন যুবতী বিয়ের সময় কুমারী থাকে না। সত্বীত্ত যেনো এখন অতীতের একটি স্মৃতি। চীনে যৌন স্বাধীনতার দাবী সম্বলিত পোষ্টারে যার সাথে খুশি যৌন মিলনে কুণ্ঠিত না হবার আহ্বান জানানো হয়। ইউরোপে যৌন স্বাধীনতার দাবীতে পুরুষের মত নারীরাও নৈতিকতা হারিয়ে উচ্ছৃংখল ও অনাচারী হয়ে পড়েছে এবং সুযোগ পেলেই হন্যে হয়ে তৃপ্ত করছে যৌনক্ষুধা।এমনটি কেনো হচ্ছে? তাহলে মানুষ আর পশুর মধ্যে পাথর্ক থাকলো কোথায়? এ্ই পরিস্থিতির কি শেষ হবে না? মানুষ কি বুঝতে পারবে না সে পশূ থেকে আলাদা!
দু’ চোখে ঘুম। সারারাত জেগে যাত্রা দেখে ক্লান্ত অবিনাশ। হাটতে হাটতে কোনরকম রফিকের বাড়িতে এসে পৌছাই।রফিক অবিণাশকে দেখে বলে আয় আয় ঘরে আয় দোস্ত। কেমন লাগলো যাত্রা পালা? অবিনাশ কোন কথা না বলে ঘরে ঢুকতে যাবে। চোখে পড়ে পাশের ঘরের পর্দার আড়াল থেকে একটি মেয়ে লুকিয়ে অবিনাশকে দেখছে। অবিনাশ কোন কথা না বলে ঘরে ঢুকে পড়ে। বিছানায় শুয়ে পড়ে। রফিক বলে ‘কিরে। গোসল করে নে শরীর ফ্রেস লাগবে। ঘুম ভালো হবে।’ অবিনাশ বলে ঠিকই বলেছিস গোসল করে নিই। রফিকদের বাড়িটি গ্রামের পরিবেশে তৈরী। গোসলখানা বাইরে। একটি গামছা আর লুঙ্গি হাতে নিয়ে অবিনাস গোসলখানার দিকে যাইতে গিয়ে দেখে মেয়েটি আবারো লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছে। অবিনাশ ভাবতে লাগলো মেয়েটি আমাকে দেখছে কেনো? মেয়েটি কে? নিশ্চয় রফিকের বোন। কিন্তু রফিক তার বোনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় না্ই কেনো? মা ভাই বোন সকলের সাথেই তো পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। তাহলে এই মেয়েটি কে? আর সে আমাকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছেই বা কেনো?
( ধারাবাহিকভাবে চলবে)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: এই অবিনাশ কি আপনি নিজে?

১১ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১:০৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: যদি ভাবেন ভাবতে পারেন। তবে একজন লেখক সবসময়েএকটি চরিত্র কল্পনা করে। চরিত্রটির অনেকাংশে নিজের থেকে নেয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.