নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডাইনোসর প্রজাতিটি যদি প্রাকৃতিক বিপর্যযের মাধ্যমে ধ্বংশ না হতো তবে প্রকৃতিতে মানুষ নামের প্রানিটির রাম রাজত্ব হতো না।

০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৬

(নাস্তিকের বিচার চাই-পর্ব-৩)

আমাদের চারপাশে প্রাণের এত কোলাহল। কিন্তু কোথা থেকে এলো এত প্রাণ? কিভাবে শুরু হলো প্রাণের এই পথ চলা? সভ্যতার আদিকাল থেকে মানুষ এই প্রশ্ন করে চলেছে! আজ বিজ্ঞানের এই জয়জয়কারের যুগে এখনো কি সঠিক উত্তর আমরা পেয়েছি? পৃথিবীতে প্রাণের যে অস্তিত্ব আমরা দেখতে পাই তা কোথা থেকে এলো? প্রাণ কিভাবে জড় থেকে উৎপত্তি হলো অথবা কোথা থেকে এলো?

১৯৫২ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী স্ট্যানলি মিলার এবং তাঁর ছাত্র হ্যারল্ড উরে একটি যুগান্তকারী গবেষণার ফলাফল ঘোষণা করেন। কয়েকটি অজৈব পদার্থ- জল, হাইড্রোজেন, মিথেন ও অ্যামোনিয়ার মিশ্রণে বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ পাঠিয়ে মিলার এবং উরে অ্যামাইনো অ্যাসিডের মতো প্রাণ সৃষ্টির ভিত্তিপ্রস্তর গড়ে তোলন। এর থেকেই পৃথিবীতে প্রাণ উদ্ভবের প্রয়োজনীয় জৈব পদার্থ পৃথিবীর অজৈব পদার্থ থেকেই সৃষ্টি হয়েছে বলে বিশ্বাস জন্মে। এর পরে ১৯২৪ সালে রাশিয়ান বিজ্ঞানী এ. আই. ওপারিন জীবনের উৎপত্তি সম্পর্কে থিওরী দেন যে, আদি পৃথিবীর সাগর উত্তপ্ত ছিল (১০০০ সি.)। আদি পৃথিবীতে মিথেন গ্যাস, অ্যামোনিয়া ও পানি মিলে আদি সাগরে প্রচুর ঘন অ্যামোইনো এসিড উৎপত্তি হয়, যা মুরগীর স্যুপ (Chicken Soup) নামে পরিচিত। এই স্যুপ হইতে প্রোটিন এবং পর্যায়ক্রমে একটি আনুবীক্ষনিক এককোষী ব্যাকটটেরিয়া জাতীয় প্রাণীর উৎপত্তি ঘটে। উল্লেখ্য যে, আদি পৃথিবীতে অক্সিজেন না থাকায় এই স্যুপ-এর পচন নিরোধ করে। সেই এককোষী জীব হইতে মানুষ সহ পৃথিবী সমস্ত প্রাণীর উৎপত্তি লাভ করেছে । ১৯২৯ সালে বৃটিশ বিজ্ঞানী জে. বি. এস. হ্যালডেন জীবনের উৎপত্তি সম্পর্কে একই রকম মতবাদ দেন। বিশ্বজুড়ে সকল বিজ্ঞানী এই তত্ত্ব মেনে নেয়। জীবন পৃথিবীতে সৃষ্টি এমনটি প্রচার ডারউইনের বিবর্তনবাদকে আরো আপডেট করে।


চিত্র- আকাশ থেকে আসা উল্কা। যেখানে প্রানের সম্ভাবনা পাওয়া যায়। বামাবর্তী এ্যামাইনো এসিড পাওয়া গেছে।

কিন্তু ১৯৫০ সালে বিজ্ঞানী স্যার ফ্রেড হয়েল এ সকল তত্ত্বের বিপক্ষে আরেকটি বিতর্কিত মতবাদ হাজির করেন । তিনি বলেন, মহাকাশে আন্তর্নাক্ষত্রিক মেঘমণ্ডলী বা ‘ইন্টারস্টেলার ক্লাউড’ থেকেই জন্ম হয়েছিল প্রাণের। আমাদের সৌরমণ্ডল, মহাবিশ্বে পরিক্রমণের সময় যখন ওই মেঘমণ্ডলীর ভেতর দিয়ে যায়, তখন পৃথিবী সেই ‘প্রাণে’র দ্বারা সংক্রামিত হয়ে পড়েছিল। অনেকে বলেন এটা সম্ভব নয় কারন জীবনবাহক উল্কাপিন্ডদেরকে মহাকাশের শুন্যতা, তাপমাত্রার চরম অবস্থা এবং কয়েকটি বিভিন্ন ধরনের বিকিরণকে মোকাবিলা করতে হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হচ্ছে সূর্যের উচ্চ-শক্তিসম্পন্ন অতিবেগুনী রশ্মি যা জৈবিক অণুর কার্বন পরমাণুর বন্ধনকে ভেঙ্গে দেয়। তাই মহাকাশ থেকে অনুজীব পৃথিবীতে আসা কোনভাবেই সম্বব নয়। এই ধরনের তত্ত্বের কোনও সরাসরি প্রমাণ না থাকায় বিজ্ঞানী মহল একে কল্পবিজ্ঞান বলেই উড়িয়ে দেন। সকলে এ. আই. ওপারিন ও হ্যালডনের তত্ত্বের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন। কিন্তু বাধ সাধলো পরে। ১৯৬৯ সালের ২৮শে সেপ্টেম্বর। বিশাল একটি উল্কা এসে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার উত্তরে, মুরচিশান শহরে। ঐ উল্কাপিণ্ডের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল প্রায় ৯০ রকমের অ্যামাইনো অ্যাসিড। যা আদতে একটি জৈব পদার্থ। সঙ্গে সঙ্গে বিজ্ঞানী মহলে আড়োলন হযে পড়ে। তাহলে কি প্রাণ বহিরাগত? বিজ্ঞানী স্যার ফ্রেড হয়েল এর তত্ত্বের পক্ষে প্রচার প্রচারনা শুরু হয়ে যায়। ফ্রেড হোয়েলের পূর্বেও ১৯০৮ সালে দার্শনিক আরহেনিয়াস বলেছিলেন ‘প্রাণের বীজ’ মহাকাশে ঘুরে বেড়াতে-বেড়াতে পৃথিবীর কোলে আশ্রয় নিয়েছিল। আর তা থেকেই পৃথিবীতে প্রাণের জন্ম হয়েছিল। তখন আরহেনিয়াসের কথা কেউই মানেনি। আরহেনিয়াসের এই মতবাদটিকে বলা হতো “প্যান্সপার্মিয়া তত্ত্ব”। কিন্তু উল্কাপিন্ডে এ্যামাইনো এ্যাসিডের প্রমান “প্যান্সপার্মিয়া তত্ত্ব” ও “হোয়েল” এর তত্ত্বকেই স্বিকৃত দিতে থাকে সমগ্র বিশ্ব। ব্যপক গবেষনা শুরু হয়ে যায়। পরে আরও অনেক উল্কাপিণ্ড এবং ধূমকেতুর মধ্যেও অনুসন্ধান ও নানা রকমের জৈব পদার্থের সন্ধান খুজে পাওয়া যায।


চিত্র- ঝাকে ঝাকে উল্কাপিন্ড পৃথিবীতে এসে পড়েছে। লাখে লাখে পৃথিবী সৃষ্টির পর পরই।

আমরা জানি, পৃথিবীর জন্মের পর কয়েক কোটি বছর ধরে অনবরত এবং অবিশ্রান্ত উল্কাপাতের ঘটনা ঘটেছে আমাদের এই গ্রহে। তাহলে কি পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টির জন্য জরুরি জৈব পদার্থ উল্কাপিণ্ডরাই বয়ে এনেছিল কোনও দিন, কোনও কালে? শুরু হয়ে গেলো প্রাণের উৎস সন্ধানে নতুন করে বিজ্ঞানী মহলে গবেষনা। প্রাণ কি তাহলে বহিরাগত? ‘প্রাণের বীজ’ যদি উল্কাপিণ্ড বা ধূমকেতুর পিঠে চড়ে পৃথিবীর বুকে এসে থাকে তাহলে প্রচণ্ড শৈত্য, ভয়ঙ্কর মহাজাগতিক রশ্মি, শক্তিশালী মহাজাগতিক কণার ঝাপটা এই সবের মধ্যে কী ভাবে ‘প্রাণ’ তার অস্তিত্ব বজায় রেখেছিল এবং সাম্প্রতিক কালে এই ধরনের কিছু এক কোষী প্রাণী বা ব্যাকটেরিয়ার হদিশ মিলেছে, যারা ভয়ঙ্কর রকমের প্রতিকূল পরিবেশেও নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে পারে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, খুব পাতলা অ্যালুমিনিয়ামের আস্তরণই আশি শতাংশ অনুজীবকে তেজস্ক্রিয়তার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য যথেষ্ট ছিল। গ্লুকোজ এবং লবনের মতো উপাদানের উপস্থিতি তাদের টিকে থাকার হারকে বাড়িয়ে দেয়। দেখা গেছে ক্ষুদ্র ধূলিকণার আস্তরণের মধ্যে বসবাসকারী ব্যক্টেরিয়ার কলোনীকে সৌর বিকিরণ সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করতে পারে না। আর এই কলোনি যদি নুড়ি আকৃতির কোন প্রস্তর খন্ডের মধ্যে থাকে তবে সেটার অতিবেগুনী রশ্মি প্রতিরোধের ক্ষমতা বেড়ে যায় অনেক অনেক বেশি পরিমাণে। ফলে অনুজীবের জন্য তেজস্ক্রিয়তা কোন সমস্যা নয়।
১৯৬৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ধসে পড়া একটি গ্রহাণুর মধ্যে ডিএনএ ও আরএনএ-র ছাপ দেখে গবেষকরা এ ব্যাপারে অনেকটা নিশ্চিত৷ ঐ গ্রহাণুর ভেতর ভারী কার্বন পরমাণুর তৈরি বিশেষ নিউক্লিওবেজ-এর সন্ধানও পাওয়া গেছে৷ কার্বণ পরমাণুর এই বিশেষ ধরন কেবল পৃথিবীর বাইরে তৈরি হওয়া সম্ভব৷ গবেষণা দলের প্রধান ড. জিটা মার্টিন জানালেন, আমরা বিশ্বাস করি, গ্রহাণুর নিউক্লিয়বেজ থেকেই জেনেটিক কোডিংয়ের সূত্রপাত৷ ৩৮০ থেকে ৪৫০ কোটি বছর আগে পৃথিবী ও মঙ্গলে রীতিমতো গ্রহাণুর বৃষ্টি হতো৷ তবে প্রাণ বিকাশের উপযোগী পরিবেশ ছিল শুধু পৃথিবীতে৷ অ্যামেরিকান কেমিকেল সোসাইটির ২৩৫তম সম্মেলনে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক রোনাল্ড ব্রেসলাউ (Ronald Breslow) এক খবর প্রকাশ করেছেন। তিনি এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের স্নাতক ছাত্র মিন্ডি লেভিন (Mindy Levine) কর্তৃক যৌথভাবে পরিচালিত গবেষণায় এই ফলাফল বেরিয়ে এসেছে। চমকপ্রদ খবরটি হচ্ছে: বহির্জাগতিক কোন উল্কাই পৃথিবীতে জীবনের বীজ বহন করে নিয়ে এসেছিলো। জীবনের বীজ বলতে এখানে "বামাবর্তী অ্যামিনো এসিড" (Left-handed Amino Acid) কে বোঝানো হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, আমেরিকার নাসা (NASA), আমেরিকার নোবেল বিজয়ী ও ডিএনএ আবিস্কারক ওয়াটসন ও ক্রিক স্পিফিন হকিং প্রমুখ বিজ্ঞানীগণ ওপারিন এর থিওরী বিশ্বাস করেন না। ওপারিনের তত্ত্ব ভূল প্রমান করার পিছলেন বেশ কয়েকটি যুক্তি পাওয়া যায়। ১) সবচেয়ে সরলতম এককোষী আনুবীক্ষনিক ব্যাকটটেরিয়া ২৭টি মৌলিক পদার্থ দ্বারা গঠিত। একটি এককোষী জীব আপনা-আপনি উৎপত্তি হওয়া মানে পিনের আগার চেয়ে শততম সুক্ষ্মতম স্থানে ঐ ২৭টি মৌলিক একত্রিত সুনির্দিষ্ট রাসয়নিক বন্ড দ্বারা একত্রে আবদ্ধ হয়ে প্রোটিন, লিপিড, এনজাইম, ভিটামিন প্রভৃতি উৎপত্তি করতে হবে ও আরও সুনির্দিষ্ট পুণরায় রাসয়নিক বন্ড দ্বারা একত্রে আবদ্ধ হয়ে শক্তি উৎপাদনের জন্য ক্রেবচক্র, গ্লাই কোলাইসিস প্রভৃতি প্রক্রিয়া সক্রিয় হতে হইবে। যা আপনা-আপনি হওয়া মানে ছাপা খাতা হইতে শত শত ডিকশনারী বের হয়ে আসার মতোই।২) ওপারিন ধারণা করেছিলেন যে, আদি পৃথিবী অক্সিজেনবিহীন ছিল। কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানের গবেষণায় দেখা যায় তা কোন সময়ই অক্সিজেনবিহীন ছিল না । ওপারিন ধারণা করেছিলেন পৃথিবী উত্তপ্ত ছিল এবং সাগরে প্রচুর ঘন অ্যামোইনো এসিড হইতে প্রোটিন ও পরে জীবের উৎপত্তি লাভ করে। আধুনিক বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন তাপ ও পানি উভয়ই অ্যামাইনো এসিড হইতে প্রোটিন তৈরিতে মারাত্মক বাধা সৃষ্টি করে। ফলে আদি পৃথিবীতে মুরগীর সুপ্যের কোনো অস্তিস্ত ছিল না। ৩) আধুনিক বিজ্ঞানীরা প্রমাণ করেছেন অ্যামাইনো এসিড হইতে জীবের উৎপত্তি হয় না, অ্যামাইনো এসিড জীবের মুল উপাদান নয়; বরং নিউক্লিক এসিড বা ডিএনএ জীবের জীবনের মুল ভিত্তি; যা আপনা আপনি কোনোক্রমেই তৈরি হয় না। ৪) প্রকৃতিতে বা সাগরে ডানহাতি (Right-handed) ও বামহাতি (Left-handed) অ্যামাইনো এসিড সমান সংখ্যক দেখা যায়। কিন্তু জীবদেহে এর বিপরীত। জীবদেহ শুধুমাত্র বামহাতি অ্যামাইনো এসিড দ্বারা গঠিত। এতে সুস্পষ্ট প্রমাণ হয় যে, প্রকৃতিতে বিদমান বা আদি সাগরের অ্যামোনিয়া এসিড হতে কোনো ক্রমেই আদি এককোষী জীব তৈরি হয়নি; হলে জীবদেহ ডানহাতি ও বামহাতি অ্যামাইনো এসিড সমান সংখ্যক দেখা যেত। এ সকল গবেষনাই ওপারিনের গবেষনা ভূল বলেই প্রমান করে।তাছাড়া আদি পৃথিবী উত্তপ্ত ও অক্সিজেনবিহীন ছিল এবং পানিতে জীব উৎপত্তি লাভ করেছে যা; তার এই ধারণা সঠিক মনে করে-মিলার অ্যামাইনো এসিড তৈরি করেছেন; যা আদৌ সঠিক না, তা পরীক্ষাতে বিফল। এছাড়া স্টানলি মিলার শুধু মাত্র অ্যামোনো এসিড তৈরি করেছেন। জীবন শুধু অ্যামাইনো এসিড/প্রোটিন দিয়ে তৈরি না। তিনি এককোষী কোনোই অংশই তৈরি করেন নাই। এমনকি এ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা একবিন্দু কার্বোহাইড্রেড বা শ্বেতসার জাতীয় পদার্থ তৈরি করতে ব্যর্থ।


এক্সট্রিম্ফাইল ব্যাকটেরিয়া । ছবি সৌজন্যে নাসা


প্রিয় পাঠক তাহলে এতক্ষনের গবেষনা সংক্রান্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝলাম প্রাণ একটি এক্সট্রিম জীব ফাইল।এক্সট্রিম জীব ফাইল হিসেবে প্রাণ মহাবিশ্ব থেকে এসেছে। এখন আমরা যদি ভাবি আদম একটি এক্সট্রিম জীব ফাইল যা আল্লাহ আসমান থেকে পাঠিয়েছে। সেই এক্সট্রিম ফাইলকে খুললেই প্রকৃত ফাইল টি বের হবে। সেই ক্ষেত্রে কি সমস্যা থাকে? কিসের সমস্যা? বলুন ? আদম কি এই রকম হাত এইরকম পা এই রকম দেহ নিয়ে এসেছিলো? (মাসুম বাচ্চা ‘লাফাঙ্গা ব্লগার’ যেমন বলে ৯০ ফুট আদম) এমনটি কি বলা আছে আল কোরআনে? আল কোরআন কি আদ্যৗ গভীর ভাবে পড়ে কিছু বোঝার চেষ্টা করেছেন! লক্ষ্য করুন একটি আয়াত। ৭:১১"আর আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, এরপর আকার-অবয়ব, তৈরী করেছি।…." 'We initiated your creation (khalaqa), and then we shaped you…' (7:11) তাহলে আমাদের তৈরী করা হলো কিরুপে। এক্সট্রিম ফাইল রুপে। দেখুন এই আয়াতে একটি time gap আছে। সৃষ্টি শুরুর পরে ধাপে ধাপে আকার-অবয়ব দেয়া হয়েছে। এমন না যে রেডিমেড মানুষ তৈরী হলো। এই আয়াত নিয়ে যদি একটু গভিরভাবে চিন্তা করি , তাহলে দেখি , মানুষের যখন আকার-অবয়ব দেয়া হচ্ছিল তখন তারা জীবিত ছিল। এটা এই ইঙ্গিত করে যে প্রথম জীবন (first life) কাদামাটি (খনিজ পদার্থ) থেকে শুরু হওয়ার পরে এই যে আকার-অবয়ব দেয়া । মানুষকে যে একেবারে রেডিমেড তৈরি করা হয়নি , একটা time gap যে ছিল তা কোরানের আয়াতে আরো পরিস্কার। একটা কথা পরিস্কার যে মানুষকে সৃষ্টি করার পর মানুষের এই দেহ গঠন কাঠামো তৈরী হয়। তার মানে অনুজীব রুপে প্রাণ বাইরে থেকে আসাটাই অনেকাংশে যুক্তিযুক্ত।
(তাহলে আদমের আকাশ থেকে পড়া নিয়ে লাফাঙ্গা মাসুম বাচ্চাদের এত অট্টহাসের কি আছে? নাস্তিকদের হাসাহাসি দেখলে আমার বড় হাসি পাই। বিশেষ করে কিছু লাফাঙ্গা টাইপের নাস্তিক আছে যাদের অত্যাচারে থাকাই যাই না। একটু শান্ত করে কিছু পড়বো সেই পড়ার সুযোগ পাই না। ঠুস করে এমন এক কমেন্ট করে বসে। ওদের স্রষ্টা রাসুল নাই বলে যেনো আমাদেরও নেই। মানুষের অনুভূতীতে আঘাত দিতে এরা খুব পারদর্শী।)


চিত্র- এক্সট্রিমফাইল জলভল্লুক, মাইক্রোস্কোপে। ছবি সৌজন্যে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি


আদমকে বেহেস্ত হতে পাঠানোর কিছুটা গুরুত্বপূর্ন জিঙ্গাসার উত্তর তাহলে মিলে যাচ্ছে। পৃথিবীর বাইরে থেকে প্রাণের আর্বিভাবের মাধ্যমে সেই ‘এক্সট্রিমফাইল জীব’ই মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বুকে প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়েছিল? এবং সেই প্রাণ থেকেই জগতে এত জীব। বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ বর্গকিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কোটি কোটি জীব—এদের প্রত্যেকের আছে আলাদা আলাদা বডি-সিস্টেম; এদের জীবনধারণ-পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন এবং পৃথিবীর প্রতিবেশগত ভারসাম্য (ecological balance) রক্ষায় প্রতিনিয়ত এরা পালন করে যাচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এহেন কোটি কোটি জীব দৈবক্রমে সৃষ্টি হয়ে গেছে এবং এ-সৃষ্টির পেছনে কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য ক্রিয়াশীল নেই—এমনটি দাবী করা কি নিতান্তই অযৌক্তিক নয়? বস্তুত, কোনো জীব নিজেকে নিজে সৃষ্টি করেনি বা নিজের প্রচেষ্টার ফলে অস্তিত্বে আসেনি। জীবনের মতো একটি জটিল জিনিস দৈবক্রমে সৃষ্টি হয়েছে বলে ভাবাও অসম্ভব। ব্যাপারটি এরকম ! ভাবুন একটি ভাংড়ি পট্টি। চারিদিকে লোহা লক্কড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে । লোহা লক্কড় চারিদিকে অসংখ্য পরিমান। হঠাৎ একটি ঝড় এলো । বিরাট ঝড়। ঝড় শেষে দেখা গেলো একটি বোয়িং বিমান উড়ে গেলো। ঝড়ে সেই লোহা লক্কড় বিমান হয়ে গোলো। হ্যা সেই লোহা লক্কড় বিমান হয়ে গেলো। হা.হা.হা.হা,হা. আপনা আপনি প্রাণ সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি এমনি।


চিত্র- ডিএনএর ডিজাইন অদ্ভুদরাকেমর এবং জটিল। যেনো কেউ যেনো সাজিযে দিয়েছে। আপনা আপনি আদ্যৗ কি সম্ভব?

বিবর্তনবাদের একজন কট্টর সমর্থক ও গবেষক রিচারড ডকিন্স নিজেও কোষের জটিল ডিজাইন দেখে এক ধরনের ডিজাইনারের সম্ভাবনার কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু তার থিওরি অনুসারে এই ডিজাইনার হল প্রাচীন সময়ে মহাবিশ্বের অন্য কোন স্থানে সৃষ্টি হওয়া কোন ধরনের সভ্যতা(!) যারা ডারউইনের বিবর্তন অনুসারেই বিবর্তিত হয়ে অত্যন্ত উন্নতি লাভ করে বুদ্ধি ও প্রযুক্তিতে। তার মতে এই সভ্যতাই আমাদের গ্রহে প্রাণের ডিজাইন করে প্রাণের বীজ বপন করে গেছেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে আমাদের প্রাণের ডিজাইনার সমস্যার সমাধান ডকিন্স করে ফেলেছেন। কিন্তু সেই উন্নত সভ্যতা যারা নাকি আমাদের তথাকথিত ডিজাইনার তাদের আবির্ভাব কোথা থেকে হল বা হতে পারে সে সম্পর্কে আর তিনি কোন মন্তব্যে যাননি। কি অদ্ভুদ ব্যাপার ভিন গ্রহের প্রানীরা মানুষের ডিজাইন করেছে অথচ ভীন গ্রহের প্রাণীদের ডিজাইন কে করেছে এ বিষয়ে কোন নিদীষ্ট তথ্য তিনি দেন নি। একটিবারের মতো তিনি ভাবতে চেষ্টা করেন নি যে একটি হায়ার ডাইমেনশনাল সুপার ইন্টেলেকচুয়েল পাওয়ার এই সৃষ্টি কারুকাজ করতে পারেন খুবই সহজেই। তবে মূল ব্যাপারটি হল বিবর্তনবাদের অন্যতম একজন গবেষকও যে প্রাণের মাঝে বুদ্ধিমান ডিজাইনের ব্যাপারটি উড়িয়ে দেননি এটাই বা আমাদের কম কি!

প্রিয় পাঠক, একটি ব্যাকটেরিয়া একটি প্রাণী কোষের থেকে অনেক বেশি সরল কিন্তু তবুও এর গঠনকে একটি অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও জটিল যন্ত্রের সাথে তুলনা দেওয়া যায়। এমন একটি সূক্ষ্ম ও জটিল যন্ত্র যা তৈরি করা এখনও মানুষের আয়ত্তের বাহিরে। কারন শুধুমাত্র এর একটি ডিএনএ অনুই প্রচণ্ড রকমের জটিলতা ধারণ করে থাকে। সমগ্র ব্যাকটেরিয়া কোষের মধ্যে এই ডিএনএই সবচেয়ে বেশি সূক্ষ্ম ও জটিল এবং কোষের বাকি অংশের সম্মিলিত জটিলতাও ডিএনএ এর জটিলতার তুলনায় নগণ্য। ডিএনএর জটিলতা সম্পর্কে পরবর্তীতে বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে। যাই হোক, ব্যাকটেরিয়ার এই সূক্ষ্ম যন্ত্রের মত জটিলতা দেখলে এটাই মনে হয় যে এটা খুবই বুদ্ধিমান কেউ প্ল্যান করে তারপর ডিজাইন করেছে। না হয় ধরেই নিলাম কোন একটি সরলতম কোষ থেকে ব্যাকটেরিয়ার উৎপত্তি হয়েছে তবুও এর সূক্ষ্ম ও জটিল যন্ত্রের মত ডিজাইন নির্দেশ করছে কোন ধরনের অত্যন্ত বুদ্ধিমান ডিজাইনার, ইনভেন্টর ও মোডিফায়ারের দিকে। এই ধরনের জটিল ডিজাইন আসলে নিয়ন্ত্রিত বিবর্তনের দিকেই নির্দেশ করছে। অর্থাৎ মহাকাশ থেকে আসা সেই এক্সট্রিম ফাইল জীব বিবর্তন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষে পরিবর্তিত বা রুপান্তরিত হয়েছে। অথাৎ পৃথিবী থেকে উপাদান সংগ্রহ করে তার নিজ দেহ ধারন করে এবং প্রকৃতির বিবর্তন নামক একটি নির্দেশনায় একটি পরিকল্পনায় প্রক্রিয়াটি তার কাযক্রম শেষ করে। এই যেমন ধরেন ডাইনোসর প্রজাতিটি যদি প্রাকৃতিক বিপর্যযের মাধ্যমে ধ্বংশ না হতো তবে প্রকৃতিতে মানুষ নামের প্রানিটির রাম রাজত্ব হতো না। বিবর্তন কোনভাবে হয়ে থাকলে অবশ্যই কোন না কোন ধরনের বুদ্ধিমান সত্তা দ্বারা পরিচালিত । অথবা ধরে নিতে হবে যে বিবর্তন নামের এই প্রক্রিয়াটির নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা আছে!!! সে একটি নিদীস্ট লক্ষ্যে পরিচালিত।


চিত্র - প্যান্সপার্মিয়া যা স্রষ্টার দান। এই পৃথিবীতে আমাদের আগমন।


ইউটিউবে কিছু নাস্তিককেই মাঝে মাঝে দেখি আদম সৃষ্টি জান্নাতে হয়েছে এবং জান্নাত থেকে আদমকে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ব্লগের কিছু (মাসুম বাচ্চা ) লাফাঙ্গা মার্কা নাস্তিক তাদের ব্লকে উপহাস করে লিখেছে “৯০ ফুট আদম আসমান থেকে লাফাইয়া পড়েছে।” এই সকল প্রসঙ্গ তোলে আর হাসাহাসি করে।৯০ হাত আদম লাফাইয়া পড়েছ” বিজ্ঞান কে আর কিছুদিন সময় দেন না দ্যখেন বিজ্ঞান নাস্তিক্যবাদ কে কোথায় নিয়ে যায়। অন্ধকার গহ্বরে নোংরা নর্দমায় আপনাদের সকল তত্ত্বকেই ফেলে দবে। ওরা আসলে আল কোরআনকে বোঝার চেষ্টা করে না। বুজতে পারে না ১৪০০ বছর পূর্বের মানুষের সাথে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন নিয়ে কথা বলা যায় না। ফলে আল্লার রুপক আলোচনা। আল্রার এই রুপক আলোচনা নাস্তিকদের হাসির খোরাক যোগায়। কিন্তু নাস্তিকরা ভাবে না তাদের হাসি অন্যের হাসিরও কারন হতে পারে। “তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাজিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিতনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশ্যে তন্মধ্যকার রূপকগুলোর। - সুরা আলে ইমরান-৭ ”

মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৪৫

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যাদের পাওয়ার দরকার তারা পেয়েছে।যারা আদম থেকে খোজাখুজি করে তারা কোন কালেই পাবে না।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:০৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আদম একটা সূচনা। একটা রুপক। আল কোরআনে ইসাঃ (আঃ) তাকেও আবার আদম বলা হচ্ছে। আদম থেকে শুরু প্রলয় বা ধ্বংশের মাধ্যম শেষ। আবার আদম দিয়ে শুরু। এভাবে জগতে বহু আদম এসেছে। আমাদের এই জেনারেশনটা এই আদম থেকে এসেছে। তাই আমরা এই আদমের বংশধর। আদম প্রথম মানুষ না প্রথম সিলেকশন। এখানে থেকেই আমাদের এত শত মানুষ নবী রাসুল। তারপর মহাপ্রলয় বা গ্রহানুর আঘাত বা বিচারদিবস। সেই দিনেই ঈসা আঃ এর উথ্থান। আল কোরআন বলে-ঈসা কেয়ামতের নির্দশন। পরবর্তী আদম হিসেবে ইসা আাঃ এর শুরু। নতুন জেনেটিক সিলেকশন। আবার রাউন্ড পরিক্রমা মানুষের.।

আদম থেকেই খুজতে হবে। মানুষের গতিময়তা এখানেই। আদম একটি সুচনা আদম প্রথম মানুষ নয়।

২| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই সুরাটা যখন নাজিল হয় তখন কোরান নামে কোন কিতাব ছিল না,ছিলো কিছু আয়াত।তা হলে আল্লাহ কোন কিতাবের কথা বলেছেন।কিতাব বলতে তখন ছিল ইহুদি ও খৃস্টানদের কিছু কিতাব।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৪

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: রাসুল (সাঃ) কে দেয়া হয়েছিলো ফুরকান। কোরআন একটি দীর্ঘমেয়াদি বিষয়। সেটি অনেক সময় পর।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ফুরকান কোরআনের একটি অংশ মাত্র।

৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২১

*আলবার্ট আইনস্টাইন* বলেছেন: নাস্তিকদের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতি আছে। যেমন,

১/ অযৌক্তিক নাস্তিকঃ ধর্মের রীতিনীতি, চিহ্ন, আকিদাহ, নবীদের নিয়ে সঠিকভাবে কথা না পেরে হাসাহাসি করে। এজন্য এরা অযৌক্তিক।

২/ চুলকানিযুক্ত নাস্তিকঃ ধর্মের নাম গন্ধ সহ্য করতে পারেনা। যেখানেই ধর্ম সেখানেই তাদের উস্কানি চুলকানি কদর্যরূপে ধরা পড়ে।

৩/ সম্মোহনী নাস্তিকঃ এরা বানিয়ে বানিয়ে ধর্মের নামে মিথ্যা বলে। সম্মোহনী শক্তি ব্যবহার করে ধোঁকা দেয়।

৪/ জ্ঞানপাপী নাস্তিকঃ যেভাবেই হোক না কেন ধর্মের বিরুদ্ধে কুযুক্তি হাজির করবে। সৃষ্টিকর্তা নিয়ে বেফাঁস কথা বলবে।

৫/ ফালতু নাস্তিকঃ এরা ফালতু টাইপের। ধর্মকে তুচ্ছ জ্ঞান করে। কথায় শক্ত যুক্তি নেই।

৬/ উদার নাস্তিকঃ এরা উদার প্রকৃতির। নিজে ধর্ম না মানলেও অন্যদের শ্রদ্ধা করে, সম্মান করে।

আরও এরকম উদাহরণ দেওয়া যায়।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ঠিক ই বলেছেন।

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের সাথে কেউ পারবে না। ডাইনোসরও না। পৃথিবীর মধ্যে মানুষই সেরা। মানুষের উপরে কেউ নেই।

৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:৪৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: তাহলে বলতে চাচ্ছেন বিবর্তনবাদের কথা কোরআন সমর্থন করে!

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ৭:১১"আর আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, এরপর আকার-অবয়ব, তৈরী করেছি।…." 'We initiated your creation (khalaqa), and then we shaped you…' (7:11) তাহলে আমাদের তৈরী করা হলো কিরুপে। এক্সট্রিম ফাইল রুপে। আল কোরআন কখনই বিবর্তন সমর্থন করে না। ওরা তো বলে আপনা আপনি হয়ে গেছে। আপনা আপনি কিছু হয়? একটি কোষের যে জটিলতা সাজানো যে প্যাটান! ডিএন এর যে কোডিং এগুলো আপনা আপনি হয়? হয়তো খালাকা শব্দের অর্থ বিকশিত করা তবে কাছাকাছি কোন ভাবে স্রষ্টার সানিধ্যে প্রানি জগৎ সৃষ্টি। স্রষ্টার নির্দেশনায়......

৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

বিটপি বলেছেন: মূত্রমনাদের ওয়েবসাইট থেকে যে ব্লগ প্রকাশিত হয়, তার একটার শিরোনাম ছিল এরকম, "মানব ক্লোনিংয়ে নতুন সাফল্য, স্রষ্টাকে পরাজিত করার দ্বারপ্রান্তে মানুষ"

বলি এদের জ্ঞানবুদ্ধি মানুষের বুকের দুধ খেয়ে নাকি কুকুরের মূত্র খেয়ে হয়েছে?

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আসলে স্রষ্টা কি এরা বোঝেই না! ৩ মাত্রিক মানুষ এরা। হায়ার ডাইমেনশনাল স্রষ্টাকে এরা উপলদ্ধি করার মতো ক্ষমতাই রাখে না। এই কারনে আল কোরআন বলে -“হে মানুষ তোমরা কি নিশ্চিত তোমাদের উপর আমি প্রস্তরখন্ড আঘাত করিব না?” লুত আঃ এর সম্প্রদায়ের মতো এই মানুষ জাতির কোন কোন সম্প্রদায়ের উপর আজাব আসছে।

সুরা হা মিম সিজদায় ১২ নং আয়াত “অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্তাকাশে পরিণত করলেন এবং প্রত্যেক আকাশের নিকট তার কর্তব্য ব্যক্ত করলেন। আর আমি নিকটবর্তী আকাশকে সুশোভিত করলাম প্রদীপমালা দ্বারা এবং তাকে করলাম সুরক্ষিত।এ সব পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।” ১৩ নং আয়াতে বলা হচ্ছে। “এর পরেও যদি ওরা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তবে (ওদেরকে) বল, আমি তো তোমাদেরকে এক ধ্বংসকর শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করেছি; যেরূপ শাস্তির সম্মুখীন হয়েছিল আ’দ ও সামূদ;”।

আদ ও সামুদ জাতির মতো আমাদের মানুষের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

নাস্তিকের বিচার আল্লাই করবে ভাই।

৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৩

নতুন বলেছেন: তাহলে আপনি বিবর্তনের ফলে আজকের মানুষ এটা ইসলাম সম্মত বলছেন?

প্রিয় পাঠক তাহলে এতক্ষনের গবেষনা সংক্রান্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝলাম প্রাণ একটি এক্সট্রিম জীব ফাইল।এক্সট্রিম জীব ফাইল হিসেবে প্রাণ মহাবিশ্ব থেকে এসেছে। এখন আমরা যদি ভাবি আদম একটি এক্সট্রিম জীব ফাইল যা আল্লাহ আসমান থেকে পাঠিয়েছে। সেই এক্সট্রিম ফাইলকে খুললেই প্রকৃত ফাইল টি বের হবে। সেই ক্ষেত্রে কি সমস্যা থাকে? কিসের সমস্যা? বলুন ? আদম কি এই রকম হাত এইরকম পা এই রকম দেহ নিয়ে এসেছিলো? (মাসুম বাচ্চা ‘লাফাঙ্গা ব্লগার’ যেমন বলে ৯০ ফুট আদম) এমনটি কি বলা আছে আল কোরআনে? আল কোরআন কি আদ্যৗ গভীর ভাবে পড়ে কিছু বোঝার চেষ্টা করেছেন! লক্ষ্য করুন একটি আয়াত। ৭:১১"আর আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, এরপর আকার-অবয়ব, তৈরী করেছি।…." 'We initiated your creation (khalaqa), and then we shaped you…' (7:11) তাহলে আমাদের তৈরী করা হলো কিরুপে। এক্সট্রিম ফাইল রুপে। দেখুন এই আয়াতে একটি time gap আছে।

আপনি বিবর্তনকে মেনে নিয়েছেন কারন আসলেই বির্বতনের পক্ষে যেই প্রমান আছে সেটাকে অস্বীকার করার উপায় নাই। তাই এর সাথে ধর্মের কাহিনির মিল খুজতে চাচ্ছেন।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৪

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমরা কখনও ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের মিল খুজতে চাইনা। আপনাদের মতো নাস্তিকদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েই অনেকে কোরানের সাথে বিজ্ঞানের মিল খুজে বেড়ায়। আর আপনি বলঝছন আমি বিবর্তনবাদকে মেনে নিয়েছি এটাও ঠিক বলেন নাই। আমার মূল বক্তব্যটা হয়তো বুঝতে পারেন নি। আমরা যে বিষয়টা তুলে ধরতে চেয়েছি । পরমআত্মা অথাৎ এই জগৎ একটি প্রান তার নিজস্ব বুদ্ধিমত্ত্বা আছে। আবার এই পৃথিবীর যে সকল প্রাণ তাদের প্রাণের সকল সমস্টি যে জীবাত্মা তার নিজস্ব বুদ্দিমত্ত্বা দ্বারা জগতের প্রাণের ডিজাইন অনুসারে এক একটি বডি স্টাক্চার নির্মান এবং বিবর্তন পরিবর্তন পরিবর্ধন, বা বিভিন্ন শাখা প্রশাখা সৃষ্টির মাধ্যমে একটি এক্সট্রিম ফাইলকেকে পৃথিবীর বুকে সংযোজন বিয়োজন বিবর্তন, পরিমুদ্রন বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করে শেষ প্রাণ মানুষ পর্যায়ে উর্ত্তিন করেছেন।

আপনারা যে বির্বতনবাদে বিশ্বাস করেন। আমরা সেই বিবর্তন বিশ্বাস করি না ভাবতেও পারি না। এত সুক্ষ কর্মকান্ড আপনা আপনি হতে পারে না। নিশ্চিত রুপে সৃষ্টি করা। একটি বডি স্টাকচার গঠনের ক্ষেত্রে বা তার অপারেটিং সিষ্টেম বা আত্মার অথবা জিন কোডিং এর ক্ষেত্রে সুক্ষ ভাবনা চিন্তার ব্যাপার ছিলো। প্রতিটি প্রাণীর অপারেটিং সিস্টেম বা তোর কোডিং আপনা আপনি হযে উঠে নাই। একজন নির্মাাতা আছে। র‌্যান্ডমলি এত সুক্ষ হতে পারে না।

আমরা বিবর্তনবাদের কথা বলি না। বলি নির্মান বাদ।

৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০২

জলকামান বলেছেন: 5 কোটি বছর পরের কথা। মানুষেরা সব যুদ্ধ করে ধ্বংস হয়ে গেছে। নতুন প্রজাতি সেটা আবিষ্কার করে বললো ব্যাটা হোম সেপিয়েন্সরা যদি আন্তপ্রজাতি সংগ্রাম না করতো তাহলে তো আমরা প্রাকৃতিক বাছাই এর মাধ্যমে বিবর্তিত হতাম না
আমার শেষ কথা হলো যে যেকোনো উন্নত জীব একইরকম কথা বলবে

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ৫ কোটি বৎসর পরে চলে গেছেন! আপনারা ভালোই পারেন! মানুষেরা যুদ্ধ করে শেষ হওয়া লাগবে না। আসছে আল্লার গজব মানুষের জন্য। ডাইনোসরের মতো ভাগ্য বরণ করতে হবে কিনা ভেবে দেখুন? আল কোরান বলে “ উহারা কি জানে সেই আঘাতকারী কি?” সেই দিন উহারা কিছুই করিতে পারিবে না।” মানুষের অহংকার চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে যাবে বলেই আল কোরান বলে “ হে মানুষ তোমরা কি নিশ্চিত যে তোমাদের উপর প্রস্তরখন্ড নিক্ষিপ্ত করবো না।” আপনাদের সমর্থনকারী জাতিস্বত্তা যারা আপনাদের মতো কাফেরদের সমর্থন দেয় সেই সকল জাতিস্বত্ত্বা সেই দিন ধ্বংশ হবে । আর আমরা যারা চরম অপমান সহ্য করে তার পক্ষেই থাকবো তাদেরকে তিনিই রক্ষা করবেন। এই প্রতিশ্রতি তিনিই দিয়েছিন। নিশ্চয় তিনি ভঙ্গ করেন না তার অঙ্গিকার।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সেই দিনের গ্রহানুর আঘাত ঠেকানোর জন্য প্রস্তুতি নেন। দেখুন ক করা যায়। মিসাইল বানিয়ে দেখুন গ্রহানুর গতিপথ বদল করা যায় কিনা? “ সেই দিন উহারা কিছুই করিতে পারিবে না” । দেখি আপনাদের দৌড় ঝাপ কতদুর যাই।

৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৮

জলকামান বলেছেন: 200 বছর পরের কথা। হিস্টোরি অবসারভিং মেশিন বানানো হয়ে গেছে। এবার সবকিছুর রহস্য ভেদ করা বাকি। হটাত করে মেশিন খারাপ হয়ে গেলো আর ধার্মিকরা প্রচার করতে শুরু করলো,"এটা প্রকৃতি বিরোধী কাজ এজন্য এমনটা হয়েছে।"

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আল কোরআন বলে “ উহারা তো শুধু অনুমানেই বিশ্বাসী” অতএব কোন কল্পনা অনুমান নিয়ে আমরা আলোচনা করতে চাই না। গাজাখুরী.........

১০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩১

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমরা কখনও ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের মিল খুজতে চাইনা। আপনাদের মতো নাস্তিকদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েই অনেকে কোরানের সাথে বিজ্ঞানের মিল খুজে বেড়ায়। আর আপনি বলঝছন আমি বিবর্তনবাদকে মেনে নিয়েছি এটাও ঠিক বলেন নাই। আমার মূল বক্তব্যটা হয়তো বুঝতে পারেন নি। আমরা যে বিষয়টা তুলে ধরতে চেয়েছি । পরমআত্মা অথাৎ এই জগৎ একটি প্রান তার নিজস্ব বুদ্ধিমত্ত্বা আছে।

ভাই একজন নাস্তিক হইলে তার উপরে খেপে যেতে হবে নাকি?
আপনার বিশ্বাসের সাথে এক না হলেই মানুষ খারাপ হয়ে যায় না। B-))

আর মহাবিশ্বের নিজস্ব বুব্ধিমত্তা আছে এটা কি ইসলাম সম্মত? আমি যতটুকু জানি সৃস্টিকতার হুকুমেই সব কিছু হয়। মানুষই সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রানী এবং মহাবিশ্বের কেন্দ্রভুত কোন বুদ্ধিমত্তা আছে সেটা ইসলাম সম্মত সেটা আপনার কাছেই শুনলাম।

আপনারা যে বির্বতনবাদে বিশ্বাস করেন। আমরা সেই বিবর্তন বিশ্বাস করি না ভাবতেও পারি না। এত সুক্ষ কর্মকান্ড আপনা আপনি হতে পারে না। নিশ্চিত রুপে সৃষ্টি করা। একটি বডি স্টাকচার গঠনের ক্ষেত্রে বা তার অপারেটিং সিষ্টেম বা আত্মার অথবা জিন কোডিং এর ক্ষেত্রে সুক্ষ ভাবনা চিন্তার ব্যাপার ছিলো। প্রতিটি প্রাণীর অপারেটিং সিস্টেম বা তোর কোডিং আপনা আপনি হযে উঠে নাই। একজন নির্মাাতা আছে। র‌্যান্ডমলি এত সুক্ষ হতে পারে না।

আমরা বিবর্তনবাদের কথা বলি না। বলি নির্মান বাদ।


মহাবিশ্বে যতগুলি গ্রহ আছে তার মাঝে যদি পৃথিবিতেই শুধু মানুষ থাকে, প্রানের উদ্ভব হয় তবে এটা কোন ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন হতে যাবে?

আর দুনিয়াতে প্রানী জগতে হাজারো জিনিস আছে যেটা দিয়ে বোঝা যায় দুনিয়া ট্রায়াল এবং এরর এর মাঝে এই পযন্ত এসেছে একক কোন ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন এর পেছনে নাই।

এখন আপনি যদি বলতে চান যে গ্রহানুর আঘাতে ডাইনাসোর বিলুপ্ত হবে সেটাই গ্রহানুটা সৃস্টকতা অনেক বছর আছে ছেড়ে দিয়েছিলো এবং আরো একটা মানুষের জন্য ছেড়ে রেখেছে যেটা আরো কয়েক বছর বা কয়েক শত বছর পরে দুনিয়াতে আঘাত করবে এটাও সৃস্টিকতার ডিজাইন করা তবে আর কোন কথা নাই ভাই :-B

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ভাই একজন নাস্তিক হইলে তার উপরে খেপে যেতে হবে নাকি? আপনার বিশ্বাসের সাথে এক না হলেই মানুষ খারাপ হয়ে যায় না। আমি তো ক্ষেপে যাই নি। কোন কারনেই না। আমার কোন আচরনে ক্ষ্যাপা মনে হয়।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: শুনবেন না কেনো? পরম আত্মা সম্পর্কে জানেন না? পরম আত্মা বা জগতের আত্মা। আসলে ধর্ম সম্পর্কে আপনি কিছুই জানেন না! স্রষ্টা কিচুই করেন না । তিনি শুধু বলেন হও। সেন্টার অপারেটিং সিস্টেম একটা আছে যাকে পরমআত্মা বলে। জগৎ সেখান থেকেই পরিচালিত হয়। অনেক ফেরেস্তা আছে এগুলোও অপারেটিং সিষ্টেম বা রুহু। এরাও জগৎ পরিচালনায় ভুমিকা রাখে স্রষ্টা যতটুকু ইনফরমেশন এদের দেয় এরা ততটুকুই করতে পারে। জগতে প্রতিটি ক্ষেত্রেই তথ্য দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

প্রতিটি গ্যালাক্সি দেখেন এদের এক একটি অপারেটিং সিষ্টেম । এরাও প্রাণ।

১১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৩

নতুন বলেছেন: আরেকটা কথা জিঙ্গাসা হইলো ডাইনাসোরের কথা কোরান, হাদিস বা অন্য কোন ধর্ম গ্রন্হ্রে নাই কেন বলতে পারেন?

কারন হইলো মানুষের জ্ঞানে তারা ডাইনোসর দেখেনাই। এবং ফসিল দেখেনাই। তাই মুনুস্য জ্ঞানে যেই তথ্য নাই সেই তথ্য ধর্ম গ্রন্হেও নাই। কারন মানুষের জ্ঞান থেকেই ধর্ম গ্রন্হ এসেছে।

০৩ রা নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: মানুষের জ্ঞানে তারা ডাইনোসর দেখেনাই। এবং ফসিল দেখেনাই। তাই মুনুস্য জ্ঞানে যেই তথ্য নাই সেই তথ্য ধর্ম গ্রন্হেও নাই। কারন মানুষের জ্ঞান থেকেই ধর্ম গ্রন্হ এসেছে। এখানেই বা থেমে যাচ্ছেন কেনো? আমরা মানুষেরা বিজ্ঞানের জ্ঞানে আরো আরো জ্ঞানি গুনি হই না কেনো? এত তাড়াতাড়ি এত প্রশ্নের উত্তর চান কোনো? আপনি তো জানেন আল কোরানে মানুষ সৃষ্টির আগে একটি প্রাণী শ্রেণী ধ্বংশ করার কথা বলা হয়েছে। যারা শুধু ধ্বংশাধ্বংশী করতো হানাহানি করতো। ফেরেস্তারা তাদের ধ্বংশ করলো। এখানে জ্বীন বা শয়তান বা রুপক অর্থ ডাইনোসর নাকি আর একটু গবেষনা করি। এত তাড়া কিসের রে ভাই?

১২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্য এড়িয়ে গিয়ে ভালো করেছেন। আপনার বুদ্ধি আছে।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি যে আসলে কি বোঝাতে চেয়েছিলেন আমি বুঝতেই পারি নি। তো এড়িয়ে না গিযে কি করবো।?

১৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:১৭

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আল কোরআন কখনই বিবর্তন সমর্থন করে না। ওরা তো বলে আপনা আপনি হয়ে গেছে। আপনা আপনি কিছু হয়? একটি কোষের যে জটিলতা সাজানো যে প্যাটান! ডিএন এর যে কোডিং এগুলো আপনা আপনি হয়? আপনি বিবর্তন থিউরিটা সম্পর্কে না বুঝে এই লিখাটি লিখেছেন ও আমার মন্তব্যের উত্তর দিয়েছেন। বিবর্তন কখনোই বলে না কিভাবে প্রাণের সৃষ্টি হয়েছে, পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টি হওয়ার পর সে প্রাণ বিভিন্ন প্রজাতিতে কিভাবে কনভার্ট হয়েছে তার ব্যাখ্যা করে বিবর্তন।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বিবর্তন প্রাণ সৃষ্টির বিষয়টা বলে না বলেই প্রাণের আবির্ভাব সম্পর্কে আমি এ লেখাতে বলেছি। বিবর্তন এই কনভার্ট করার বিষয়টি সম্পর্কে কিছু লিখিনি। সেটাও আমার লেখার বিষয় ছিলোনা।

সম্ভবত আমার লেখাটিও আপনি পড়েন নাই। না পড়েই অযথা মন্তব্য করেছেন। আমার লেখার বিষয়টি ছিলো প্রাণ কিভাবে আর্বিভাব হয়েছে। আর বিবর্তনের এই জটিল প্রক্রিয়া আপনা আপনি হতে পার না। এখানে ইন্টেলেকচুলেয় হায়ার ডাইমেনশনাল কোন স্বত্ত্বার হস্তক্ষেপ ছিলো।

১৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪৬

জলকামান বলেছেন: এর অর্থ হচ্ছে আল্লা cosmos ঠিকভাবে সৃষ্টি করতে পারেনি। পারলে বার বার এসে সবকিছু ঠিক করতে হতো না। একবার cosmos বানালেন, আবার একবার পৃথিবী বানালেন, তারপর আবার জীবন সৃষ্টি করলেন, আবার ডাইনোসর ফুটালেন। cosmos programming টা ঠিকমতো করতে পারেননি তিনি। তারচেয়ে বিজ্ঞানীদের বক্তব্য বেশি গ্রহণযোগ্য, কারণ এখানে হয় cosmos নিজেই সৃষ্টি হয়েছে নয়তো কেউ ফিজিক্সের সব নিয়ম একদম পারফেক্ট প্রোগ্রামিং করেছেন, যার ফলে সেইসব সূত্র থেকে ধাপে ধাপে সবকিছু হয়েছে। বারবার এসে হাত লাগাতে হয়নি।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৪১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আসলে আপনি আলবার্ট আইনস্টাইনের নাস্তিকদের তালিকাটা আগে দেখা উচিত ছিলো। ৫ নং ফালতু নাস্তিকঃ এরা ফালতু টাইপের। ধর্মকে তুচ্ছ জ্ঞান করে। কথায় শক্ত যুক্তি নেই।

আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে মন চাইছিলো না। তারপরও এ্যানসার করলাম। কারন আপনি কোরআন সম্পর্কে কিছু জানেন ই না। না জেনে নাস্তিক হয়েছেণ। কিছুটা হলেও জানতে হয়। আল কোরআন বলে “কুন ফাইয়াকুন”। যার অর্থ আল্রাহ যখন হও বলেন আর তখনই হয়ে যায়।

জগতের কোন কিছু তাকে সৃষ্টি করা লাগেনি সব আপনা আপনি হয়েছে। একের পর এক সব ধারাবাহিক ভাবে সৃষ্টি হয়েছে। আর আপনি সুত্রের কথা বলছেন । সুত্র আল্লাই পাঠিয়েছেণ। আল কোরআন বলে “ বিধান তাহার । বিধান ও তাহারা আমারই কাছে প্রত্যাবর্তিত হইবে” । বিধান অর্থ নিয়ম। পদার্থের নিয়ম অাল্রাই নির্ধারন করে দিয়েছেণ। এবং বিধান এবং আমরা আল্লার কাছে প্রত্যাবর্তিত হইবো।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আল্লার কাছে প্রত্যাবর্তিত হবো! কথাটি শুনে আপনার হাসি আসছে তাইতো? আল্রা কি আপনি বোঝেন না! হায়ার ডাইমেনশনাল কোন কিছু যেখান থেকেই এই ত্রিমাত্রিক জগৎ এসেছে।

ভাইজান পদার্থবিজ্ঞানের নিয়ম নীতিগুলো আসলে কী, এবং এর উদ্ভব কীভাবে ঘটতে পারে? বলণতে পারেন? এটা এখনো বিজ্ঞানীদের গবেষণার পর্যায়ে। শূন্যতার মধ্যে যদি কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন ঘটে তবে কোয়ান্টাম বলবিদ্যার সূত্রগুলোই বা আসলো কোত্থেকে?’। ‘কে নাজিল করল এই সব নিয়ম?’ খুব স্বাভাবিক প্রশ্ন? সাধারন শুন্যতা কি করে সৃষ্টির সকল নিয়ম কানুন পেলো? স্পেসশূন্যতা এবং সময়শূন্যতার যে পরমশূন্য অবস্থা থেকে আমাদের এই মহাবিশ্ব ‌এসেছে সেই শূন্যতা থেকে মহাবিশ্বের উৎপত্তি তো বিজ্ঞানের কিছু সূত্র মেনেই আসতেছে। তাহলে এই শুন্যতা কি করে এই সকল নিয়ম কে নির্ধারন করে দিতে পারে! তাতে মহাকর্ষ, কিংবা কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মত রীতি গুলো বলবত থাকে কি করে? ঐগুলো কি এমনি এমনি সেই শুণ্যের আদলে বসে গেছে? এমনি অসংখ্য প্রশ্নের সঠিক উত্তর বিজ্ঞান আজো পর্যন্ত দিতে ব্যার্থ। আমাদের এই মহাবিশ্বের জন্য এমন ফাইন টিউন্ড নিয়মই বা নির্ধারিত হলো কি করে? এটাও কি সর্ম্পূণ কাকতলীয়!

বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আন্দ্রে লিন্ডের চিরন্তন স্ফিতী তত্ব এসে ইনফ্লেশন এর আদি কারন কে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুললো। তার মতে নিদীষ্ট সময় পর পর এই ইনফ্লেশন ঘটে। তার তত্ত্ব অনুযায়ী এ ধরনের স্ফীতি অবিরামভাবে স্ব-পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে প্রতি মূহুত্ত্ইে তৈরী করছে নতুন নতুন মহাবিশ্ব। আন্দ্রে লিন্ডের মতে মহাবিশ্ব ধ্বংশের পর কিছু একটা থেকে যায়। সেই থেকে যাওয়া বিষয়বস্তু পরবর্তীতে আরেক মহাবিশ্বে ট্রান্সফার হয়। তিনি তার লেখায় বলেন ‘মহাবিশ্ব যদি কখন ধ্বংশ হয়ে যাইও জীবনের মূল সত্ত্বাটি
হয়তো টিকে থাকবে অন্য কোন মহাবিশ্বে অন্য কোন ভাবে।’ বুঝলেন আমারা আল্রার কাছে প্রত্যাবর্তিত হবো নতুন সৃষ্টির জন্য্।

১৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩৭

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: শুনবেন না কেনো? পরম আত্মা সম্পর্কে জানেন না? পরম আত্মা বা জগতের আত্মা। আসলে ধর্ম সম্পর্কে আপনি কিছুই জানেন না!

ভাই আমিতো অবশ্যই জানিনা তাই তো এতো জিঙ্গাসা মনে। আপনার মতন সব জানতে পারলে তো ভালোই হতো।

আপনি তো জানেন আল কোরানে মানুষ সৃষ্টির আগে একটি প্রাণী শ্রেণী ধ্বংশ করার কথা বলা হয়েছে। যারা শুধু ধ্বংশাধ্বংশী করতো হানাহানি করতো। ফেরেস্তারা তাদের ধ্বংশ করলো। এখানে জ্বীন বা শয়তান বা রুপক অর্থ ডাইনোসর নাকি আর একটু গবেষনা করি। এত তাড়া কিসের রে ভাই?

এই ভাবে মিলিয়ে নিলে অবশ্যই সব কিছুই মিলে যাবে ;)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আর এই যে, কতক মানুষ কতক জিনের আশ্রয় নিত, ফলে তারা জিনদের আত্মম্ভরিতা বাড়িয়ে দিয়েছে।

৭.
وَأَنَّهُمْ ظَنُّوا كَمَا ظَنَنتُمْ أَن لَّن يَبْعَثَ اللَّهُ أَحَدًا

তারা (জ্বিনেরা) ধারণা করত, যেমন তোমরা মানুষেরা ধারণা কর যে, মৃত্যুর পর আল্লাহ তা’আলা কখনও কাউকে পুনরুত্থিত করবে না।

৮.
وَأَنَّا لَمَسْنَا السَّمَاء فَوَجَدْنَاهَا مُلِئَتْ حَرَسًا شَدِيدًا وَشُهُبًا

আর আমরা আকাশের খবর নিতে চেয়েছিলাম, অতঃপর সেখানে দেখতে পেয়েছি যে, কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিন্ড দ্বারা আকাশ পরিপূর্ণ।

৯.
وَأَنَّا كُنَّا نَقْعُدُ مِنْهَا مَقَاعِدَ لِلسَّمْعِ فَمَن يَسْتَمِعِ الْآنَ يَجِدْ لَهُ شِهَابًا رَّصَدًا

আমরা (পূর্বে) আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শ্রবণার্থে বসতাম। এখন কেউ সংবাদ শুনতে চাইলে সে জলন্ত উল্কাপিন্ড ওঁৎ পেতে থাকতে দেখে।

১০.
وَأَنَّا لَا نَدْرِي أَشَرٌّ أُرِيدَ بِمَن فِي الْأَرْضِ أَمْ أَرَادَ بِهِمْ رَبُّهُمْ رَشَدًا

আমরা জানি না (এই পরিবর্তিত অবস্থার মাধ্যমে) পৃথিবীবাসীদের অকল্যাণই চাওয়া হচ্ছে, না তাদের পালনকর্তা তাদের কল্যাণ সাধন করার ইচ্ছা রাখেন।

ভাই জান আপনার কি মনে হয় এই আয়াতে আল্রাহ অদৃশ্য এক জ্বীন নামক প্রাণীর কথা বলেছেন। কেউ কেউ শয়তার বা খারাপ হিসেবে মিনিং করেছেন। শয়তান তো মানুষের মাঝে বিচরন করে। আকাশের খবর আমরা নিচ্ছি। আমরা মানুষেরা। তাহলে কাদের সম্পর্কে বলেছে আর কোরআনের আয়াতে। আসলে এক্ষেত্রে খারাপ কোন প্রাণী ব্যবহার করতে আল কোরানে এই শব্দটি প্রয়োগ করা হয়েছে। আয়াতটিতে বলা হচ্ছে গ্রহানুর বেল্টে এত গ্রহানু কিছু অংশ যখন তখন পৃথিবীর দিকে ধাবিত হতে পারে। এদের স্রষ্টা কি এদের মঙ্গল চাই? খারাপ মানুষ যাদেরকে জ্বীন বলা হচ্ছে।

আসলে জ্বীন শব্দটি একটি রুপক শব্দ। বিভিন্ন সময় আল আবার কখনও খারাপ অর্থে ব্যবহত প্রাণিদের জ্বীন বলা হচ্ছে। পৃথিবীর বুকে যে একবার ধ্বংশলীলা চলেছে। তা ধর্মীয় গ্রন্থে প্রমানিত। শুধু প্রমান করার বাকী ডাউনোসরের সাথে আরো কোন খারাপ প্রাণী ছি না কি সেই ডাইসোসরেরা। অপেক্ষা করুন বিজ্ঞান সব বলে দেবে।

১৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আর এই যে, কতক মানুষ কতক জিনের আশ্রয় নিত, ফলে তারা জিনদের আত্মম্ভরিতা বাড়িয়ে দিয়েছে।

৭.
وَأَنَّهُمْ ظَنُّوا كَمَا ظَنَنتُمْ أَن لَّن يَبْعَثَ اللَّهُ أَحَدًا

তারা (জ্বিনেরা) ধারণা করত, যেমন তোমরা মানুষেরা ধারণা কর যে, মৃত্যুর পর আল্লাহ তা’আলা কখনও কাউকে পুনরুত্থিত করবে না।

৮.
وَأَنَّا لَمَسْنَا السَّمَاء فَوَجَدْنَاهَا مُلِئَتْ حَرَسًا شَدِيدًا وَشُهُبًا

আর আমরা আকাশের খবর নিতে চেয়েছিলাম, অতঃপর সেখানে দেখতে পেয়েছি যে, কঠোর প্রহরী ও উল্কাপিন্ড দ্বারা আকাশ পরিপূর্ণ।

৯.
وَأَنَّا كُنَّا نَقْعُدُ مِنْهَا مَقَاعِدَ لِلسَّمْعِ فَمَن يَسْتَمِعِ الْآنَ يَجِدْ لَهُ شِهَابًا رَّصَدًا

আমরা (পূর্বে) আকাশের বিভিন্ন ঘাঁটিতে সংবাদ শ্রবণার্থে বসতাম। এখন কেউ সংবাদ শুনতে চাইলে সে জলন্ত উল্কাপিন্ড ওঁৎ পেতে থাকতে দেখে।

১০.
وَأَنَّا لَا نَدْرِي أَشَرٌّ أُرِيدَ بِمَن فِي الْأَرْضِ أَمْ أَرَادَ بِهِمْ رَبُّهُمْ رَشَدًا

আমরা জানি না (এই পরিবর্তিত অবস্থার মাধ্যমে) পৃথিবীবাসীদের অকল্যাণই চাওয়া হচ্ছে, না তাদের পালনকর্তা তাদের কল্যাণ সাধন করার ইচ্ছা রাখেন।

ভাই জান আপনার কি মনে হয় এই আয়াতে আল্রাহ অদৃশ্য এক জ্বীন নামক প্রাণীর কথা বলেছেন। কেউ কেউ শয়তার বা খারাপ হিসেবে মিনিং করেছেন। শয়তান তো মানুষের মাঝে বিচরন করে। আকাশের খবর আমরা নিচ্ছি। আমরা মানুষেরা। তাহলে কাদের সম্পর্কে বলেছে আর কোরআনের আয়াতে। আসলে এক্ষেত্রে খারাপ কোন প্রাণী ব্যবহার করতে আল কোরানে এই শব্দটি প্রয়োগ করা হয়েছে। আয়াতটিতে বলা হচ্ছে গ্রহানুর বেল্টে এত গ্রহানু কিছু অংশ যখন তখন পৃথিবীর দিকে ধাবিত হতে পারে। এদের স্রষ্টা কি এদের মঙ্গল চাই? খারাপ মানুষ যাদেরকে জ্বীন বলা হচ্ছে।

আসলে জ্বীন শব্দটি একটি রুপক শব্দ। বিভিন্ন সময় আল আবার কখনও খারাপ অর্থে ব্যবহত প্রাণিদের জ্বীন বলা হচ্ছে। পৃথিবীর বুকে যে একবার ধ্বংশলীলা চলেছে। তা ধর্মীয় গ্রন্থে প্রমানিত। শুধু প্রমান করার বাকী ডাউনোসরের সাথে আরো কোন খারাপ প্রাণী ছি না কি সেই ডাইসোসরেরা। অপেক্ষা করুন বিজ্ঞান সব বলে দেবে।

১৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:০৩

জলকামান বলেছেন: আমি নাস্তিক না আবার আস্তিক ও না। যেটায় 100% হবার চান্স আছে বিশ্বাস করার দরকার পড়ে না, যেমন সূর্য আছে এটা বিশ্বাস করলে বা না করলে কিছু যায় আসে না। যেটা হবার চান্স একের বেশি তাতে কোনটা হবে সেটা কেবল আন্দাজ করা যায়,বিশ্বাস করলেই যে সেটা হবে এটা ফালতু ব্যাপার। আর যেগুলো মনগড়া গল্প সেগুলো তো আনন্দ দেওয়ার ব্যাপার। যেমন আল্লা বলেন কিভাবে? মানুষের মতো না অন্য কিছু নিয়মে। cosmos সৃষ্টি হবার আগে তিনি কিভাবে কথা বলতে পারেন। কথা বলার জন্য মুখ দরকার হয়, সেটা কি আল্লার আছে। তাহলে সেটার সৃষ্টি হলো কিভাবে সেটা কি কোরানে লেখা আছে। না আল্লার কথা বলা এটা রূপক অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। আল্লার মনটা কি মানুষের মতো কিছু না এটাও রূপক অর্থে ব্যবহৃত। আল্লা কতবার হও বলেছেন। আল্লার energy কতো। আল্লা কত নম্বর ডাইমেনশন এ কিভাবে থাকেন....ইত্যাদি ইত্যাদি।

০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আল্লা বলেন অন্য রকম নিয়মে। আপনি কি অডটোরি হেলুসিনেশন সম্মন্ধে কিছু জানেন? ঠিক অনুরুপ প্রক্রিয়ায় স্রষ্টা মানুষের সাথে কথা বলেন। কেবলমাত্র রেডিও ফ্রিকোয়িন্সে হিসেবে শব্দ মানুষের কানে বাজে । আল্রা যাকে বোঝাতে চান সেই শুধু বুঝতে পারে। অনেক সময় জাগ্রম স্বপ্নের মাধ্যমে ভয়েস ট্রান্সফার করা হয়। মানুষ কন্ঠস্বরটা বুঝতে পারেন। ক্ণ্ঠস্বর শোনার পরে মানুষ স্বাভাবিক হয়ে পড়ে।

০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বিগব্যাংগের পূর্বে কিছু একটা ছিলো অথবা বিগব্যাং ইনফ্লেশনের কারন নয়। বরং ইনফ্লেশনের কারনে বিগব্যাং ঘটেছিলো এই অভিমত থেকে বিজ্ঞানী অন্দ্রে লিন্ডে বিগব্যাং এর বেশ কিছু সমস্যা খুজে পান। আন্দ্রেলিন্ডে তার “The Self-Reproducing Inflationary Universe” প্রবন্ধে তার লেখাতে বিগব্যাং থিওরি সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিগব্যাং এর সমস্যা খুজতে গিয়ে বলেন-
something is wrong with this theory. The fourth problem deals with the timing of the expansion. In its standard form, the big bang theory assumes that all parts of the universe began expanding simultaneously. But how could all the different parts of the universe synchronize the beginning of their expansion? Who gave the command? আন্দ্রেলিন্ডের প্রশ্নটি অতীব গুরুত্বপূর্ন। কি করে মহাবিশ্বের সকল অংশ একই সাথে সকল দিকে সমান ভাবে সম্প্রসারিত হতে পারে? শুরুর সময়কালটি সত্যিই একটি গুরুত্বপূণ বিষয়! সমানভাবে সম্প্রসারিত হতে গেলে নিশ্চয় এর একটি নির্দেশনা ছিলো। একটি কমান্ড ছিলো’ যা সম্প্রসারন ঘটার সময়কাল নির্ধারণ করে দিয়েছিলো। যে কমান্ড বা আদেশ মহাবিশ্বকে তার ক্ষুদ্র প্লাঙ্ক লেন্থ থেকে ১০(৩৫) সেকেন্ডের মধ্যে বাড়িযে দিয়েছিলো ১০(২৬) গুনিতক হারে।
একটি আদেশ বা একটি কমান্ড। সেই কমান্ডের সাথে সাথে মহাবিশ্ব সকল দিক থেকে সমান ভাবে বর্ধিত হতে শুরু করে এবং তা চোখেরে পলকেই মহাবিশ্ব টা হয়ে পড়ে। একটি কমান্ড বা আদেশ বা হও শব্দ। আর সৃষ্টি শুরু। আসলে স্রষ্টা নিজেই হায়ার ডাইমেনশন থেকে ত্রি-মাত্রায় বিকশিত হয়েছে। নিজেকে বিকশিত করেছেন। তারপর থেকে আর কোন কিছু করা লাগে নাই আপনা আপনি ত্রি মাত্রায় বিকশিত হয়েচে। বিজ্ঞানী এ্যালেন গুথের মতে আমাদের চোখের পলক ফেলতে যে সময় লাগে তার চেয়ে ঢের কম সময়ে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়ে গিয়েছিলো। (আমার আদেশ চোখের পলকের ন্যায়-আলকোরআন)। এত কম সময়ে এই সম্প্রসারন কিভাবে ঘটতে পারে?

০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আল্লার এনার্জি কতো? আল্রা কত নাম্বর ডাইমেনশন এ কিভাবে থাকেন এ প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নাই। জানতেও চাই না। এম থিওরিতে হায়ার ডা্ইমেনশন নিয়ে চিন্তা করতেও নিষেধ করা হয়েছে। কারন ত্রিমাত্রার মানুষের মস্তিস্কের ধারন ক্ষমতার একটি সীমা থাকে। আপনি দয়া করে এবার থামেন।

জ্ঞান অর্জন করে জ্ঞানই আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দিবেন। একটা সময় আমিও আপনার মতো ছিলাম। কিন্তু আফসোস! আল্রা আমাকে ক্ষমা করুক।

১৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৮

জ্যাকেল বলেছেন: পৃথিবীতে বাঘ, সিংহ থেকে শুরু করে ভয়ানক সব প্রাণি টিকে আছে। এরা খাবারের যুদ্ধে নিজের সন্তানও হত্যা করতে পারে। এ কারণেই এরা পশু। এখন বানর, শিম্পাঞ্জি, ওরাংওটাং, গরিলা প্রাইমেটস'র দিকে লক্ষ্য করুন। এদের সাথে আমাদের অনেক সাদৃশ্য আছে। কিন্তু একটা জায়গায় এসে বিশাল গ্যাপ হয়ে যাচ্ছে। সেটা হলো বুদ্ধিমত্তা। আমরা বৃদ্ধাংগুলির ব্যবহার করতে পারি সবচেয়ে বেশি। এর মানে কি দাঁড়াচ্ছে? আমাদের হিসাবটা ঠিক পশুদের সাথে খাপে খাপে যায় না। আমরা পশু থেকে আলাদা, আমাদের সত্ত্বা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটা বুঝতে রকেট সায়েন্স দরকার নাই, কমন সেন্স যথেষ্ট।
আমি কমন সেন্স থেকেই বুঝতে পারছি, আমাদের পুর্বপুরুষ আসমান থেকে জমীনে প্রেরিত। তখন থেকেই আমরা আগুনের ব্যবহার করছি, চাষবাষ করছি, মানে সভ্যতার সূচনা হয়েছিল।

০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১৪

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সত্যিই চমৎকার একটি কমেন্ট করেছেন। এ জন্য বারে বার আপনার ধন্যাবাদ প্রাপ্তি।

বাইবেলে আদমের যে সময়কাল দেওয়া হয়েছে ঠিক সেই সময়কাল থেকেই কিন্তু আধুনিক মানুষের সূচনা। মানুষ সভ্য হতে শুরু করেছিলো। মানুষের এই সভ্যতা কি আপনি বলতে চান আপনা আপনি। না ভাই। এটা সম্পূর্ণ আল্রার অবদান। মানুষকে রুহ দেওয়া হযেছিলো। এমন কিচু মানুষের মস্তিক্কে প্রয়োগ করানো হয়েছিলো যা দ্বারা মস্তিস্কের বিকাশ হয়েছিলো।

মানুষ সভ্যতা বিকশিত করাটা সর্ম্পূন ভাবে আল্রার কৃতিত্ব। আল কোরআন পড়ুন। অাল কোরআনে বলছে “হে মানুষ আমি তোমাকে লিখিতে শিখিয়াছে।” আজ আপনি মানুষ লিখেছেন এটি স্রষ্টা ফেরেস্তা পাঠিয়ে কোন নবী রাসুলের মাধ্যমে মানব জাতিকে শিখিয়েছে। হাইরোগ্রাফিক্স শব্দের অর্থ বোঝেন। পবিত্র বর্ণমালা। মিশরীয়রা জানে দেবতারা আকাশ থেকে এসে মানুষকে লিখতে শিখিয়ে গেছে। বিভিন্ন চিত্র ব্যবহারের কারণে হেরোডোটাস সহ প্রাচীন গ্রিসের বহু বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ মনে করতেন, এগুলো ছিল ঈশ্বরের পবিত্র লিপি। কারণ, হায়ারোগ্লিফ শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ হায়ারো (পবিত্র) ও গ্লাইফো (লিখা) থেকে। প্রাচীন মিশরীয় ভাষায় হায়ারোগ্লিফকে 'মেদু নেতজার' নামে ডাকা হতো, যার অর্থ 'দেবতাদের শব্দ'। কারণ বিশ্বাস করা হতো যে লেখা সরাসরি দেবতাদের কাছ থেকে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছে।

আল কোরআন বলে “আমি তোমাদের কথা বলিতে শিখিয়েছি” । মানুষের ইতিহাস হয়তো অতদুর পাবেন না কিন্তু ইতিহাস ইঙ্গিত দেবে এটিও একটি প্রক্রিয়ার সৃষ্টি। উপরমহলের সমর্থন ছিলো। মানব দেহে কথা বলানোর জন্য কেমিক্যেল প্রয়োগ করা হয়েছে। অধ্যাপক ফোলি বলছেন, "কথা হচ্ছে একধরনের শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া। এটা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই আমরা শব্দ তৈরি করে থাকি।"
"এফওএক্সপিটু নামের একটি জিন আছে। স্তন্যপায়ী প্রায় সকল প্রাণীর শরীরেই আছে এই জিন। কিন্তু মানবদেহে যেটি আছে সেটি এর রূপান্তরিত জিন," বলেন অধ্যাপক ফোলি।"জিনের এই রূপান্তর গবেষণা করেও বোঝা যায় কেন মানুষ কথা বলতে পারে, কিন্তু শিম্পাঞ্জি পারে না। কথা বলা ও ভাষার বিকাশে এই জিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কারণ যেসব মানুষের শরীরে এই জিনটি রূপান্তরিত অবস্থায় থাকে না, তাদের কথা বলতে অসুবিধা হয়।"
"কথা বলার জন্য আমাদের বক্ষ এবং উদরের মাঝখানে যে ঝিল্লির পর্দা সেটি অন্যদের থেকে আলাদা। আমাদের কাছাকাছি যে প্রাণী, অর্থাৎ বানর বা এইপ, যারা কথা বলতে পারে না, তাদের ঝিল্লির তুলনায় আমাদের ঝিল্লিতে নার্ভের সংখ্যা বহুগুণে বেশি।" এসব নার্ভের অর্থ হচ্ছে "আমাদের স্পাইনাল কর্ড এইপের স্পাইনাল কর্ডের চেয়ে মোটা এবং আমাদের ভার্টিব্রাল কলামও একটু বেশি প্রশস্ত। নিয়েন্ডারথালরা যারা বিলুপ্ত হয়ে গেছে, যারা ছ'লাখ বছর আগেও পৃথিবীতে বেঁচে ছিল, তাদের দিকে তাকালে দেখা যাবে যে তাদের স্পাইনাল কলামও প্রশস্ত ছিল। অতএব মানুষ সৃষ্টিটাও পরিকল্পিত। মানব দেহে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে কেমিক্যাল প্রয়োগ করে মানুবের জীনের পরিববর্তন পরিবর্ধ ন করা হয়েছে। এই কথা বলাটাও ফেরেস্তারা (দেবতা বলতো পুর্বে) মানবজাতিকে শিখিয়ে দিয়ে গেছে। আল কোরআনের কথাই সত্য হবে। গবেষনা চলুক।

প্রথম যে মানুষ নগর সভ্যতা গড়েছিলো বা ভেবেছিলো দেখুন সে ছিলো আল্রার কোন নবী। সে বা কোন রাজার নির্দশনায় নগর সভ্যতা গড়াতে ফেরেস্তার হাত আছে। দেখুন কবে কখন প্রথম চাষ করা হয়েছিলো। যিনি চাষ করেছিলো তিনি হয়তো আল্লার নবী ছিলো। ফেরেস্তা তাকে শিখিয়েছিলৈা কিভাবে চাষ করতে হবে। আসলে মানবজাতির সমস্তটা আল্রা হতে প্রাপ্ত। আল্লার সাবির্ক সহয়তা আজ আমাদের এই মনুষথ্যবাদ। নুহু আঃ নৌকা বানাতে শিখিয়েছিলো।

মানুষের মস্তিস্ককে বিকশিত করতে বারেবার নিউরোট্রান্সফার করা হয়েছে। মানুষের মস্তিক্সের উন্নত হবার কারুকাজ আল্লার তরফ থেকে করা হয়েছে হয়তো আমরা বুঝিনি। আল কোরআন পড়ুন আল কোরআনেকে বোঝার চেষ্টা করুন । বুঝতে পারবেন। আল্রাই এই মানবজাতিকে ফেরেস্তাদের মাধ্যমে এই অবস্থায় নিয়ে এসেছে। সকল প্রশংসা আল্রার। সমস্তটাই অভিজ্ঞতাবাদের মাধ্যমে ঘটেছে। আর মস্তিস্কের ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কেমিক্যেল প্রয়োগ। যা আল্লা শিখিয়েছে আমরা তাই পেয়েছি।

১৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:১৩

নতুন বলেছেন: তাহলে ভীন গ্রহের থেকে এসে দুনিয়ার প্রানীদের জেনেটিক্যালী মডিফাই করে মানুষ সৃস্টি করা হয়েছে?

আর একটা প্রশ্ন আগের দিনে তারা মানুষকে গাইড করতো অথবা তাদের কাছে সৃস্টিকতার ওহী আসতো এখন আসেনা কেন?

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি কি সারাটি জীবন ধরে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে যাচ্ছেণ নাকি লেখাপড়া শেষ করে কর্মজগতে প্রবেশ করেছেন? ঠিক তেমনি মানবজাতির জীবনে ওহী হলো লেখাপড়া। শেষ ওহি আসবে ইসা আঃ এবং কেয়ামত বা প্রলয়। মানবজাতির উপর স্রষ্টার ব্যপক ধ্বংশলীলা। এ্যাস্টিরয়েডের আঘাত। কিছু মানুষ কিছু সভ্যতা টিকে থাকবে সেখান থেকে নতুন সভ্যতার শুরু। তারপর থেকে মানুষের চুড়ান্ত বিজয়। মানুষ মহাকাশে চারিদেকে ছড়িয়ে যাবে। মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহে বসতি গড়বে। আন্ত মহাবিশ্ব মানব সভ্যতা গড়ে উঠবে।

ধণ্যবাদ ভালো থাকুন।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি কি এটিই বলেছি? না পড়ে কমেন্ট করেন কেনো? অথবা তামাশা করেন কেনো?

যদিও ভীন গ্রহে প্রাণী আছে। সেটা আল কোরআন স্বিকৃতী দেয়। আমিও বলি। কিন্তুু এ ক্ষেত্রে আমি সেটা বলি নাই। আমি বলেছি ফেরেস্তা বা রুহু যুগে যুগে পৃথিবীতে এসেছে। তারাই মানব জাতিকে শিক্ষা দিয়েছে।

ফেরেস্তা রা রুহু। হায়ার ডায়মেনশন কোন জগৎ থেকে আসা প্রাণী। যারা এ ত্রি মাত্রিক জগতে এসে প্রয়োজনে ত্রি-মাত্রায় রুপ ধারন করতে পারে।

আর স্রষ্টা চুড়ান্ত। হায়ার ডাইমেনশনাল জগতের উধ্বে আছেন। তার ডাইমেনশন টা এমনি যা চিরন্তন সৃষ্টি বিহীন। মূল কারন।

২০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:১০

জ্যাকেল বলেছেন: নতুন বলেছেন: তাহলে ভীন গ্রহের থেকে এসে দুনিয়ার প্রানীদের জেনেটিক্যালী মডিফাই করে মানুষ সৃস্টি করা হয়েছে?

আর একটা প্রশ্ন আগের দিনে তারা মানুষকে গাইড করতো অথবা তাদের কাছে সৃস্টিকতার ওহী আসতো এখন আসেনা কেন?


ভাইসাহেবকে বলি- আপনি অভিজ্ঞ মানুষ, এইসকল বিষয় নিয়া আপনার আলোচনা আমি উপভোগ করি। এখন খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে প্রশ্ন বের করতে থাকলে সেইটা কিছুটা বিরক্তিকরই বটে।

আর লাবলু সাহেব, না জেনে ফেরেশতাদের ভীনগ্রহের প্রাণি সাব্যস্ত করাও উচিত না। ফেরেশতারা রশ্মির/আলোর তৈরি এর বাইরে তথ্য নেই বললেই চলে। তাদের একদিন আমরা স্বচোখে দেখতে পারব, এটা আশা করাই যায়। তখন আরো আলোচনা করা যাবে, নয় কি? :)

২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ফেরেস্তাদের দেখা আদৌ কি সম্ভব? যদি তারা ত্রিমাত্রিক রুপ ধারন না করেন। ফেরেস্তাদের আমি ভীন গ্রহের প্রনী বললাম কখ্ন। পড়ুন পড়ে কথা বলুন।

২১| ২২ শে নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:০৯

জ্যাকেল বলেছেন: লেখক বলেছেন: ফেরেস্তাদের দেখা আদৌ কি সম্ভব? যদি তারা ত্রিমাত্রিক রুপ ধারন না করেন। ফেরেস্তাদের আমি ভীন গ্রহের প্রনী বললাম কখ্ন। পড়ুন পড়ে কথা বলুন।
এই যে-

২২ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি অবাক হচ্ছি! ভীন গ্রহ আর হায়ার ডাইমেনশনাল জগৎ আপনি এক করেন কি করে? আপনি কি হায়ার ডাইমেনশনাল জগৎ বলতে কি বুঝিয়েছি আপনি বুজেছেন? উচ্চ মাত্রা বলতে কি আপনি নিশ্চয় বোঝেন?

আপনি নিশ্চয় ষ্ট্রিং থিওরির এম তত্ত্ব সম্পর্কে মোটামুটি ধারনা রাখেন। জানেন তো স্ট্রিং থিওরি মতে আমাদের এই জগৎ ১১ মাত্রার। এই যে ত্রি মাত্রার জগৎ আপনি দেখছেন এটি মনুর্ষ জগতের জন্য। আর এই ভিতরে লুকিয়ে আছে আরে ৭ টি মাত্রা। এই ৭ টি মাত্রাকে বলা হয় অন্তবর্তী জগৎ যা জড়িয়ি পেচিয়ে থাকা আতিক্ষুদ্র বাড়তি মাত্রা আকারে আছে। এদের সম্পর্কে এম তত্ত্ব কি বলছে অর্ন্তবতী জগতের এসব মাত্রাসমূহের প্যাচ নিয়ন্ত্রিত হয় কিছু গানিতিক সুত্র মেনে। অর্ন্তবতী জগতের আকার আকৃতিই বিভিন্ন ভৌত ধ্রুবক, যেমন ইলেক্ট্রনের চার্জ ও মৌলিক কনিকাসমূহের মিথস্ক্রিয়া ইত্যাদির মান নিয়ন্ত্রন করে। এসব বাড়তি মাত্রা চাইলেই ইচ্ছামতো বেঁকে পেচিয়ে থাকতে পারে না।” এই অর্ন্তবতী জগৎটাই হায়ার ডাইমেনশন জগৎ। আামি এই জগৎকেই ফেরেস্তাদের জগৎ বলেছি। এই জগৎ থেকেই নিয়ন্ত্রিত হয় এই ত্রিমাত্রার জগতের সমস্তকিছু।

ফেরেস্তারা তৈরী নূর বা রেডিয়েশন দিয়ে। বা ইলেকট্রনের মতো এনার্ঝিটিক কিছু দিয়ে। যা ওয়েভ বা রেডিয়েশনের মতো আলো বা এনার্জি দিয়ে। আর ফেরেস্তার বাস্তবিক চেহারা নিয়ে যে সব গল্প আছে এগুলো ভাই রুপক অর্থেে বোঝানো হয় তার শক্তি বা ক্ষমতার প্রতিক অর্থে। তবে আল্লা রাব্বুল আলামিন ই ভালো জানেন।

আমি ফেরেস্তাদের এমন মাটি পানির গ্রহের বাসিন্দা বলি নাই। ভুল বুঝবেন না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.