নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।
‘ যাহারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাহাদের চিত্ত প্রশান্ত হয় ; জানিয়া রাখ, আল্লাহর স্মরণেই চিত্ত প্রশান্ত হয়; 'সুরা রাদ : আয়াত-২৯
আল কোরানের বর্নিত এই চিত্তটা আসলে কি? এই চিত্তটা প্রশান্ত হয় কি কারণে? নামাজ বা স্রষ্টার প্রতি ভক্তিভাব বা প্রাথর্না মানুষের অন্তরে এক জাতীয় হীমশীতলতা সৃষ্টি করে! প্রকৃত ধার্মীক মানুষেরা এটা উপলদ্ধি করে। কিন্ত এর পিছনে কি কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাক্ষা আছে? হ্যা আছে! ১৯৯৭ সালে বিজ্ঞানীরা মানব মস্তিষ্কের একটি নির্দিষ্ট জায়গা চিহ্নিত করতে সমর্থ হন, যার সাথে মানুষের তীব্র আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতার সম্পর্ক রয়েছে, যা ‘God Spot’ নামে গণমাধ্যমে পরিচিতি পায়! ‘God Spot’ আধ্যাত্ববাদ সৃষ্টি করে। মানুষ যখন প্রার্থনায় বা ঈশ্বর-চিন্তায় মগ্ন থাকে তখন মস্তিষ্কের কিছু রাসায়নিক যৌগের ক্ষয়িত হয়ে একটি অভুতপূর্ব উপলদ্ধি বোধ সৃষ্টি করে ? রাসায়নিক যৌগের ক্ষয়িত হয়ে মস্তিষ্কে সৃষ্টি করে এমন কোনো পরিবেশ, যা চিরবিরাজমান সেই উচ্চতর সত্ত্বার উপলব্ধির জন্য একান্ত অনুকূল? মানুষ যখন মসজীদ, গীর্জায় প্রার্থনায় বসে তখন তার মনে একটা অপরাধবোধ উৎপন্ন হয়। কতক বৈজ্ঞানীক বলছেন মানুষের মস্তিষ্কে বিধাতার বিন্দু (‘God Spot’) বা আধ্যাতিকতার কেন্দ্র রয়েছে এবং তার অবস্থান হল মস্তিষ্কের টেম্পোরাল লোব কেন্দ্রে। এই লোবের সাথে সংযোগ রয়েছে সম্মুখ করটেক্সের যা মানুষের অনুভুতি কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। সুখের বিষয় এই যে স্রষ্টায় বিশ্বাসী না হলেও তাঁকে (স্রষ্টাকে) নিয়ে ভাববার মত বিশেষ স্থান মানুষের মস্তিস্কে রয়েছে। মানুষকে আধ্যাতিকতায় মগ্ন করার জন্যে মস্তিস্কে রয়েছে এন্টিনা। বিজ্ঞান বলছে এই টেম্পোরাল লোবই মানুষের মনোজগত হিসেবে কাজ করে; আর উপরের সার্বিক আলোচনা থেকে পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে যে, মানুষের এই মনোজগতে স্রষ্টাকে নিয়ে ভাববার একটা পরিবেশ রয়েছে, যা স্রষ্টাকে সংযুক্ত করে তার সৃষ্টির সাথে। মহান স্রষ্টা সম্ভবত সৃষ্টির প্রাক্কালে মানুষের মস্তিকে এঁকে দিয়েছেন এই বিশেষ কেন্দ্র।
গড স্পট কি? এর সঠিক ব্যাক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে একটি ইংলিশ ম্যাগাজিনের ব্লগে C E Clark লিখেন
“ A large community of neurotheologists, neurologists, and psychologists from all over the world are now involved in studying how the brain is affected during prayer and meditation।
There has been interest in and studies of how religion affects the brain since the 50s, but one important new technological advance that is available to researchers now is neuro-imaging of a living, working brain.
Even back in the 50s and 60s, scientists knew that a person’s brain waves change when they meditate or pray, but they were unable to determine exactly which regions of the brain turn on, or off, and which brain circuits become active when people believe they are in contact with God. Neuro-imaging of the brain has changed that and now it is possible to determine which parts of the brain are involved during meditation and/or prayer, and which areas become quiet.
David Wulff of Wheaton College in Massachusetts is quoted by Sharon Begley in The Daily Beast, as saying, ‘”Spiritual experiences are so consistent across cultures, across time and across faiths, that it "suggest[s] a common core that is likely a reflection of structures and processes in the human brain."’
সত্যিই খুব আশ্চর্যজনক বিষয় হলো মানুষ প্রাথনা করবার পর তার মস্তিস্কের ওয়েভ পরিবর্তন ঘটে মানুষের ব্রেনের ভিতরেও এর পরিবর্তান হয় । ব্রেইন স্ক্যান করে দেখা গেছে মানুষের ব্রেনের উপর প্রাথনার প্রভাব পড়ে। প্রাথনা করবার পর মানুষের ব্রেন ওয়েভ কেমন যেনো সৌন্দর্যময় হয়ে ওঠে। নীচের চিত্রটির দিকে লক্ষ্য করুন প্রাথনার আগের ব্রেনের স্ক্যানে লাল চিহিৃত জায়গা টি নেই কিন্ত পরের প্রার্থনার পর স্ক্যানকৃত চিত্রে লাল চিহিৃত জায়গা টি দেখা যাচ্ছে।
১৯৯৪ সাল অবধি আমেরিকান সাইক্রিয়াটিক এসোসিয়েশন শক্ত ধর্মানুভূতিকে মানষিক বৈকল্য বলে উল্লেখ করত; কিন্তু এখন তারা বিশ্বাস করেন যে, ধর্ম মানুষের মনে সুস্থতা আনয়ন করে। ধর্মীয় কোন আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যামে আমরা যখন গভীর আরাধনায় মগ্ন হই তখন তা আমাদের মস্তিস্কের টেম্পোরাল লোবের ক্রিয়াকর্মে প্রতিফলিত হয়।
মানুষের মস্তিস্কে স্রষ্টার বসার একটা জায়গা আছে এ বিষয়ে সন্দেহ অনেকটা বাস্তবায়নের পথে। মানুষের মস্তিস্ক যে কিছু একটা গ্রহণ করে বর্হিজগৎ থেকে সেটাও নতুন নয়। এ ব্যাপারে নিউইয়র্কের গবেষক ডি স্কট বলেন 'I have often thought a similar theory, that perhaps the mind receives signals from elsewhere. Like a TV picking up its signal giving us clues or an image of something'.. –(D. Scott newyork) মানুষের মন কিছু একটা গ্রহণ করে। ঘুমের সময় চলে তার সেই অফুরন্ত সম্পদ ডাউনলোড। যা সম্পূর্ণ ভাবে প্রকৃতি প্রদত্ত। আসলে মানুষের মস্তিস্ক কি ডাউনলোড করে এটাই এখন মূল প্রশ্ন? এ বিষয় টা নতুন করে আবার সামনে চলে আসে যে এ মানুষ আসলে প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন কোন কিছু নয় এক এবং ঐক্যবদ্ধ। যা উপলদ্ধির অগম্য। এই ঐক্যবদ্ধতা ঘুমের সময় ঘটে। জাগ্রত অবস্থায় মানুষকে নিজস্ব ইচ্ছাশক্তিধীন প্রানী মনে হলেও প্রকৃতির সাথে তার ঐক্যমিল ঘুমের সময়।
মানুষ আসলে প্রকৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন নয়। সমগ্র প্রকৃতিটা এক ঐক্যবদ্ধ এক একটি প্রাণ।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪
ফেনা বলেছেন: চমতকার পোষ্ট। লাইক দিলা। প্রিয় পোষ্টে রাখলাম।
ভাল থাকবেন সতত।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৩
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭
রাজীব নুর বলেছেন: কিছু বুঝলাম না।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি এ বিষয়টি নিয়ে পূনাঙ্গভাবে একটি প্রবন্ধ লিখতেছি। স্পষ্টভাবে প্রকাশ থাকবে সমস্ত বিষয়। হয়তো ক্ষুদ্র আকারে স্বল্পসময়ে লিখেছি । তাই আপনি বুঝতে পারছেন না।
২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আর যদি আপনি নাস্তিক হন তাহলে আপনাদের জন্য বলি আপনারা অনেক সময় যা ভূল বলে জানতেন তাই আমি ঠিক বলে চালাচ্ছি তাই অনেক সময় স্তম্ভিত হয়ে যাচ্ছেন। সহজ বিষয় বোঝার চেষ্টা করেও বুঝতে পারছেন না।
৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী
২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সবজান্তা শমসের আলী হতে চােই না তবে যতটুকু প্রয়োজন সুন্দর মানুষ হওয়ার জন্য ততটুকুই জানতে চাই।
৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৪
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: জ্বি ভাই, ফিজিক্স না বুঝেই যে কিনা হকিংকে বুঝায় সে কোন শমশের সেটা সেদিনই বুঝেছি
২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এটা তো হগো ফ্যাশান। জ্ঞানী হইতে গেলে নাস্তিক হতে হয়। জ্ঞান যেনো্ সব ওদের বাপের সম্পত্তি। হালার গবেট গুলো এখনও বোঝেনা ওদের দিন শেষ……… তারপর ছাগলের মতোন ভ্যা ভ্যা করে।
ভাইজান মাদ্রাসায় পড়েছিতো! তাই ফিজিক্স কেনো কোন কিছুই বুঝি না। আপনাগো কাছ থেকে সব বোঝার চেষ্টা করি। তবে একটা কথা। আমার কাছে ফিল্টার আছে আপনার ভালো জ্ঞানগুলো আমি গ্রহণ করি আর অনুমানলাব্ধ বা কল্পনাপ্রসূত অথবা স্রষ্টার প্রতি বিদ্বেষ বশত জ্ঞানপাপী জ্ঞান আমি বর্জন করি। সেটা আপনি হোন আর ষ্টিফেন ডাব্লিউ হকিংই হোক।
বোবার কোন শত্রু নেই। তাই আমি আপনার সাথে তর্ক বাড়িয়ে শত্রুতা বাড়াতে চাই না। আমি কিছু কিছু ব্লগারদের এড়িয়ে চলি। কারন ওরা বুঝলেও বলবে তালগাছ আমার। আর তাছাড়া তাদের এড়িয়ে চলা আল কোরআনে নির্দেশ আছে। আল কোরআন বলে “ হে মুহাম্মদ তুমি তাকে যতই নসীহত কর সে বুঝিবে না কারন আমি তার দুচোখে পর্দা দিয়েছি সে শুনিবে না কারন দু কানে পর্দা দিয়েছি। “ আরো কিছু কিছু ক্ষেত্রে বলা হয়ে ছে “ উহাদের অন্তরে ব্যাধিগ্রস্থ” আল কোরআন এদের মানসিক ব্যাধিগ্রস্থ বলছে। স্রষ্টাকে বোঝার বা উপলদ্ধি করবার মতো যোগ্যতা তারা পাই নাই। হয়তো এদের ডিএনএ গঠন অসম্পুর্ণ।
তাই আামি এই শ্রেনির ব্লগারদের মন্তব্য উত্তর দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষ্প্রয়োজন মনে করি। পরবর্তীতে কোন মন্তব্য করলে উত্তর দেওয়া নিষ্প্রয়োজন ভাববো।
তবে সর্বোপরি এ কথাই সত্যি আমাদের বর্তমান বিজ্ঞান পিপড়ার অবস্থানে আছে । ঢাকায় থেকে লন্ডন নামক শহর আছে ভাবতেও পারে না।
৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০০
বক বলেছেন: কাল্ব এবং আকল।
কাল্ব সম্ভবত আত্মার সাথে সর্ম্পকিত। আর আকল সম্ভবত মস্তিস্কের সাথে সর্ম্পকিত।
এই মহাবিশ্ব আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন কে ধারন করতে পারে না - কিন্তু মূমিনের কাল্ব আল্লাহ পাককে ধারন করতে পারে.
আপনার গবেষনায় এটি একটু ভেবে দেখবেন।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কালব ও আকল সম্পর্কিত কোন লেখা থাকলে লিংক টা দিবেন। আপনাকে ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম!
সমস্যা হল ধার্মিকের জ্ঞান থেমে গেছে কিছূ আচার স্বর্বস্বতায়!
ফলে চিরন্তন সত্যজ্ঞানোদঘাটনে তারা ভীষন পশ্চাদপদ!
প্রকৃতির একটা ভাইটাল অংশ তা থেকে বিচ্যুত হওয়াই বরং অসঙ্গত ছিল।
প্রকৃিতর খুব কম অংশই উদঘাটিত হয়েছে।
তবে সামনে ধীরে ধীরে তা হবে এবং তখনই ব্যাপক মানুষ আবার ধর্মপ্রবণ হবে।
এটা ওয়েবের মতো! আন্দোলিত হয় সময়ের আবর্তনে।
ভাল লাগল পোষ্ট।
+++