নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।
জগৎ আপনা আপনি সৃষ্টি হয়। সহজ ভাষায় বলতে পারেন জগতেরই ইচ্ছাশক্তি জগৎকে সৃষ্টি করে। কারন হিসেবে এখন প্রশ্ন করা যেতে পারে - সৃষ্টির উপাদান কোথা থেকে এলো? স্রষ্টা এবং সৃষ্টির উপাদান দুটি যদি দুই বিষয় হয়ে থাকে স্রষ্টার একত্ব থাকে না। দ্বিচারী এই তত্ব মেনে নেওয়া যায় না। অতএব এ সকল উপাদান এমন কোন মহাশক্তি হতে এসেছে এবং সেই উপাদান তার ইচ্ছাশক্তির বলে নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করে। যা আবার ধ্বংশের পর সেই স্থানেই ফিরে যাবে। (যদিও আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে আমার ‘স্থান’ শব্দটি উল্লেখ করা উচিত হয় নাই)।
বিশিষ্ট বিজ্ঞানী শন ক্যারল লস এ্যাঞ্জেলস টাইমস্ এর সাথে একটি সাক্ষাতকারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছিলেন। আমি আপনাদের সুবিধার স্বাথে সাক্ষাৎকার টি তুলে ধরলাম। সাক্ষাৎকারে তিনে বলেন “ আপনি যদি বিশ্বাস করে নেন যে মহাবিস্ফোরনের মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে এবং এর আগে কিছুই ছিলো না, তাহলে সমস্যাটা ব্যাক্ষা করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। পর্দাথবিজ্ঞানে এমন কোন সুত্র নেই যাতে বলা হয়েছে, মহাবিশ্বকে নিম্ন এনট্রপি থেকে শুরু হতে হবে এবং ধীরে ধীরে এনট্রপির পরিমান বাড়তে থাকবে। কিন্তু বাস্তবে মহাবিশ্ব এমন আচরনই করেছে। আমার অনেক স্মার্ট কলিগ ঠিক এ কথাটাই বলেন। তারা বলেন “তুমি এটা নিয়ে কেনো চিন্তা করছ? আদি মহাবিশ্ব ছোট ছিলো এবং তার এনট্রপি ছিলো খুব কম, এটাই তো সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত”। কিন্তু আমি এটা মনে করি এটা এক ধরনের প্রেজুডিস। আমাদের মহাবিশ্বে বিষয়টা এরকম, এ কারনে আমরা মনে করি এটাই প্রাকৃতিক তথা স্বাভাবিক, অন্য কথায় এটাই প্রকৃতির নিয়ম। হ্যা, পর্দাথবিজ্ঞানের বর্তমান সুত্রগুলো দিয়ে এর ব্যাক্ষা করা সম্ভব না। কিন্তু আমি বলতে চাচ্ছি, বিষয়টা ধ্রুব সত্য বলে মেনে নেওয়া উচিত নয়। এক প্যাকেট কার্ড নিয়ে প্যাকেট থেকে সেগুলো বের করলে হয়তো দেখা যাবে, সবগুলো ক্রমান্ময়ে সাজানো আছে। কিন্তু, এক প্যাকেট কার্ড থেকে দৈবভাবে কিছু কার্ড নিলে এটাই স্বাভাবিক যে, সেগুলো অগোছালো হবে। নিম্ন এনট্রপির সাথে উচ্চ এনট্রপির সংর্ঘষটাও এখানে। কার্ডেও প্যাকেট খুললে সবগুলো কার্ড সাজানো অবস্থায় দেখা যায়। এটা দেখে আপনি আশ্চার্যান্বিত হন না। কারন এটা নয় যে, সাজানো অবস্থায় থাকাই স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক। বরং মূল কারন হচ্ছে, কার্ডের প্যাকেট কোন বদ্ধ ব্যবস্থা নয়। প্যাকেটটাও এ থেকে বড় কোন ব্যবস্থা থেকে এসেছে যে ব্যবস্থায় একটা কারখানা ছিলো আর সে কারখানাতেই কার্ডগুলো সাজানো হয়েছে। তাই আমি মনে করি, এর আগে আরেকটি মহাবিশ্ব ছিলো যা আমাদের তৈরী করেছে। এক কথা, আমরা সেই বৃহৎ মহাবিশ্ব থেকে বেরিয়েছি। এটা বৃহত্তর কোন স্থান-কাল থেকে এসেছে যাকে আমরা পর্যবেক্ষন করতে পারি না। উচ্চ এনট্র্রপির কোন বৃহত্তর স্থানের অতি সামান্য এক অংশ থেকে আমাদের এই মহাবিশ্ব এসেছে। আমাদের এই মহাবিশ্ব বৃহত্তর কোন স্থান-কাল থেকে উদ্ভুত। উচ্চ এনট্রপির বৃহত্তর স্থানের অতি সামান্য অংশ থেকেই আমাদের এই মহাবিশ্ব এসেছে। আবার সকল জড়জগৎ ধ্বংশ হলে মুল সত্ত্বা উচ্চ এনট্রপিতে ফিরে যাবে।”।
শন ক্যারলের উপলদ্ধিবোধ নিয়ে আলোচনা করলাম। কারন উচ্চ এনট্র্রপির বৃহত্তর কোন স্থান কাল বিষয়টি ভাবতে গেলে ভাবনা থেমে যায়। তাহলে এজগৎ কোথা থেকে এসেছে? উচ্চ এনট্র্রপির বৃহত্তর কোন স্থান কাল থেকে। আল কোরানে তিনি বলছেন “তিনি গুপ্ত এবং তিনিই ব্যাক্ত (প্রকাশ্য)”। এজগতে যা কিছুই দেখা যায় আবার যা কিছু দেখা যায় না তাই তিনি। আমি মনে করি উচ্চ এনট্র্রপির বৃহত্তর কোন স্থান কাল একটি চেতনা মাত্র। এবং সেই চেতনা হতে উদ্গত এই জগৎ সৃষ্টির শুরুতে শুধু চেতনাই ছিলো যা পরবর্তীতে নিজ ইচ্ছাশক্তিতে নিজেই নিজেকে এরুপে সৃষ্টি করেছে। কিন্তু এই রুপ স্থির নয়। একটি নিদীষ্ট সময় পর তা ধ্বংশ হবে এবং ঠিক আগের উচ্চ এনট্র্রপির বৃহত্তর কোন স্থান কালে পরিনত হবে। আল কোরআন বলে “আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সমস্ত কিছুই ধ্বংশশীল” (২৮:৮৮)
ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং তার “ গ্রান্ড ডিজাইন” বইতে পদার্থের সুত্রসমূহ নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছেন। হকিং তার বইটির নিয়মের নীতি শিরোনামের ২য় অধ্যায়টিতে পদার্থবিজ্ঞানের সুত্র বলতে কি বোঝায়, কিভাবে সেগুলো উদ্ভুত হতে পারে সে সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যপক আলোচনা করেছে। তাদের প্রশ্ন ছিলো নিয়মগুলো কিভাবে উদ্ভুত হলো? তিনি প্রসঙ্গমতে এই নিয়মগুলোকে জগতের পরিচালক বা ইশ্বর বলে অভিহিত করেছে।
তাহলে এখন আমরা আসি আল কোরআনের আয়াতে। আল কোরআন নিয়মগুলো নিয়ে কি বলে? আল কোরআন বলে “ বিধান তাহার এবং তাহারই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হইবে।”(২৮:৮৮) বিধান শব্দের অর্থ নিশ্চয় বুঝছেন? বিধান বা বিধি বা নিয়ম বা সুত্র। এটাকে পদার্থের সুত্র, জগৎ পরিচালনার নিয়ম যাই বলুন না কেনো সেটা আল্ল্রার। বিধান এবং আমরা বলতে বস্তুর উপাদান তার কাছে প্রত্যাবর্তিত হবো। আল কোরআন আমাদের দুটি বিষয় তুলে ধরলো। আমরা দুটি জিনীষ পেলাম । আমরা বলতে বস্তু সকল যা শক্তিতে পরিনত হয় এবং বিধান বলতে জ্ঞান বা সুত্র যা অদৃশ্য বিষয় এক আমরা এবং দ্বিতীয়টি বিধান বিধি। শক্তি এবং জ্ঞান তার কাছে প্রত্যাবর্তিত হবে। এক সর্বশক্তিমান এবং দ্বিতীয়টি সর্বজ্ঞানী। অতএব জগৎ সৃষ্টিতে দুটি উপাদান ব্যবহার হয়েছে। শক্তি ও সুত্র। সুত্রই পদার্থের পরিচালক। দৃশ্য এব্ং অদৃশ্য। অদৃশ্য জগৎই দৃশ্যমান জগতকে পরিচালনা করে। কম্পিউটার নির্মানে যেমন ০ এবং ১ কোডিং ব্যবহার হয় ঠিক তেমনি এই জগতের সৃষ্টিতে শক্তি ও জ্ঞান নামক কমান্ড ব্যবহার করা হয়েছে। শক্তি এবং জ্ঞানের পূর্বে ছিলেন তিনি “আল্লার সত্ত্বা”। আল্লার সত্ত্বাটি কি? একটি চেতনা। “আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সমস্ত কিছুই ধ্বংশশীল, বিধান তাহার এবং তাহারই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হইবে।”(২৮:৮৮) সর্ম্পন্ন আয়াতটি পড়লে বোঝা যায় আমরা যা কিছু দেখি যা সমগ্র জগৎ তা ধ্বংশশীল। চিরন্তন বলে যা থাকবে তা আল্লার সত্ত্বা বা চেহারা বা একটি চেতনতা। এবং সেই সত্ত্বার কাছে আমরা অথাৎ আমাদের জীবনের মুল সত্ত্বাটি ফিরে যাবে। লক্ষ্য করুন আধুনিক বিজ্ঞান ঠিক একই কথা বলছে। আধুনিক বিজ্ঞানের মতে “জীবনের মূল সত্ত্বাটি টিকে থাকে”। আন্দ্রে লিন্ডে তো কথায় কথায় নিজেই বলেছেন ‘মহাবিশ্ব যদি কখন ধ্বংশ হয়ে যাইও জীবনের মূল সত্ত্বাটি হয়তো টিকে থাকবে অন্য কোন মহাবিশ্বে’ অন্য কোন ভাবে।’ অন্য কোন মহাবিশ্বে বা অন্য কোনখানে বলতে লিন্ডে কি বুঝিয়েছেন? তাহলে মহাবিশ্ব কি আবার সৃষ্টি হবে?
মহাবিশ্বর সৃষ্টি এবং ধ্বংশ নিয়ে আল কোরআন কি বলে? আল কোরআন এ বিষয়ে বলছে “যিনি আদিতে সৃষ্টি করেন তিনি আবারও সৃষ্টি করিবেন” (২৭:৬৪) তাহারা কি লক্ষ্য করে না কিভাবে আল্লাহ যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীকে সৃষ্টি করিয়াছেন তিনি অনুরুপ সৃষ্টি করিতে সক্ষম। তিনি উহাদের জন্য স্থির করিয়াছেন একটি কাল। ইহাতে কোন সন্দেহ নাই।” (১৭:৯৯) “সেইদিন আকাশকে গুটাইয়া ফেলিব যেভাবে গুটানো হয় লিখিত দফতর, যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সূচনা করিয়াছিলাম, সেইভাবে পূনরায় সৃষ্টি করিবো।” (২১:১০৪) এই আয়াাত গুলো দিয়ে প্রমানিত হয় এই মহাবিশ্ব একটি সময়ের চক্রে সৃষ্টি করা হয়েছে। এবং তিনি এই মহাবিশ্ব আবারও সৃষ্টি করিবেন। আল কোরআন বলছে মহাবিশ্ব আবার সৃষ্টি হবে। তাহলে কিভাবে? বিধান অথাত সুত্র বা ফমূলা তার নির্দেশ কি একই রকম হবে? কিন্ত প্রশ্ন হলো যদি তাই হয় তাহলে সৃষ্টির পূর্বের বিধান বা বস্তুগত নিয়ম কি প্রতিষ্ঠিত থাকে? নাকি পরবর্তী মহাবিশ্বের বিধান (পদার্থের সুত্র) সমূহের পরিবর্তন ঘটে? আবার যে সৃষ্টি হবে সেটা কি এরকম হবে নাকি অন্য রকম হবে?
২৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:২৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সংশয় আছে নাকি?
২৯ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: নাকি মুক্তমনারাই জ্ঞানী? বুঝলাম আপনি মুক্তমনা নামক আবাল দের পক্ষে! তাই আমাকে উপহাস করলেন।
২| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:২৬
কানিজ রিনা বলেছেন: আল্লাহ্ বলেন হও আর হয়ে যায়। এইটাই
কাকতালীয়। এমনি এমনি হয়ে যায় আকাশ
মন্ডলে ঘুর্নায়ন পদ্ধতীতে যত গ্যাসীয় পদার্থ
ঘুরতে ঘুরতে মহাশুন্যে একটি জ্যোতিস্ক তৈরি
হতে পারে এই হোল এমনি তৈরি হওয়া
কাকতালিও বা আল্লাহ্ বলেন হও আর ওমনি
হয়।
মহাবিশ্ব্যে আমাদের সৌরমন্ডলে পৃথিবী অতি
ক্ষুদ্র একটা গ্রহ। ধরে নেই আমরা পৃথিবীর
যত প্রানী আছি সবই জীবানু। আমরা অতি
ক্ষদ্র। আমাদের গায়ের চামড়ায় যেমন জীবানু
থাকে আমরাও অমন পৃথিবীর জীবানু।
মহাবিশ্ব্যে মিলিয়ন মিলিয়ন ছায়া পথ গ্ল্যালাস্কী
রয়েছে সুচ্ছৃংখ্যল পদ্ধতিতে গতিপথ অবলম্বনে।
এটা মানুষের জ্ঞান পরিধির বাইড়ে। নিজেদের
সৌরমন্ডলের গ্রহগুল আজও জয় করতে
পারিনাই বা অপারক। আজও আমরা আমাদের
পৃথিবীর সাগরের ছাব্বিশ মাইল তলদেশে
পৌছাতে পারনাই। সুন্দর বিশ্লেশন বিজ্ঞানের
তত্ব্য দিয়ে লিখাছেন অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সত্যিই আমি দুঃখিত। ১ দিন পর আমাকে আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হলো, সত্যিই আমি দুঃখিত। তাছাড়া একই লেখা আমার অজান্তে দুইবার প্রিন্ট হওয়ায় আমার লেখার ভাবমূতী ক্ষুর্ন হয়েছে এবং লেখার বিষয়বস্তু অবোধগম্য হয়ে পড়েছিলো। তা্ই আমি আজ এডিট করে সংশোধন করলাম।
কানিজ রিনা বলেছেন: আল্লাহ্ বলেন হও আর হয়ে যায়। এইটাই কাকতালীয়। এমনি এমনি হয়ে যায় আকাশ
মন্ডলে ঘুর্নায়ন পদ্ধতীতে যত গ্যাসীয় পদার্থ ঘুরতে ঘুরতে মহাশুন্যে একটি জ্যোতিস্ক তৈরি হতে পারে এই হোল এমনি তৈরি হওয়া কাকতালিও বা আল্লাহ্ বলেন হও আর ওমনি হয়।
এখানে আদেশ বা কমান্ডের প্রসঙ্গ আসছে এই কারনেই যে কেউ আদেশ না করলে মহাবিশ্ব এতটা সুক্ষভাবে বেড়ে উঠতে পারে না। এত সুন্দর ভাবে সকল দিক দিয়ে সমভাবে একই সাখে সম্প্রসারন ঘটতে পারে না। আন্দ্রে লিন্ডের ভাষায় “The fourth problem deals with the timing of the expansion. In its standard form, the big bang theory assumes that all parts of the universe began expanding simultaneously. But how could all the different parts of the universe synchronize the beginning of their expansion? Who gave the command?” আন্দ্রে লিন্দের এই প্রশ্ন আমাদের নতুন এক চিন্তার সম্মুখিন করে তোলে। মহাবিশ্ব সৃষ্টির জন্য একটি আদেশ এর প্রয়োজন ছিলো। সুক্ষ সমন্ময় এর জন্য প্রয়োজন ছিলো এই আদেশ। নইলে এতটা সুক্ষভাবে মহাবিশ্ব সকল দিক দিয়ে সমানভাবে সম্প্রসারিত হতে পারে না।
অতএব একটি কমান্ডিং প্রকিয়া এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির মূল কারন। যদি কমান্ডিং প্রক্রিয়ার কথা ভাবতে হয় সেক্ষেত্রে মহাবিশ্ব এর বাইরে অবস্থিত বিশাল শুন্যতায় মাঝে অতিলৌকিকিক কোন চেতনার উপস্থিতি আমাদের স্বীকার করতে হবে। যার কমান্ডিং সিষ্টেম কোয়াস্টাম দ্যেদুল্যময়তা সৃষ্টি করে। হয়তো আমরা সেই চেতন সত্ত্বাকে উপলদ্ধি করতে পারছি না বলেই তার অস্তিত্ব স্বীকার করি না। “তাহারা যে বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে নাই –তাহা অস্বীকার করে”( আল কোরআন 10:39)।
“সেই মহান সত্ত্বা আকাশসমূহ ও পৃথিবী সমূহকে সৃষ্টি করিয়াছেন অতি সুক্ষ সমতায়। তিনি যখন আদেশ করেন হও, অমনি হয়ে যায়।(৬.৭৩) লক্ষ্য করুন আয়াতটিতে। যেখানে বলা হচ্ছে একজন মহান সত্ত্বা সুক্ষ সমতার ভিত্তিতে আকাশসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। সুক্ষ সমতা বা ফাইন টিউনিং এর কথা বলা আছে।
http://www.somewhereinblog.net/blog/islamlablu/30166546
http://www.somewhereinblog.net/blog/islamlablu/30167061
http://www.somewhereinblog.net/blog/islamlablu/30168810
লক্ষ্য করুন আয়াতটিতে সৃষ্টির কথা বলা আছে। পরবর্তীতে বলা হয়েছে “হও”। হও বলার কারনে সৃষ্টি বিষয়টি আত্মপ্রকাশ করেছে। সৃষ্টি হয়েছে পুর্বেই শুধু মাত্র অনস্তিত্ব অবস্থায় ছিলো। উচ্চ এনট্রপির বৃহত্তর কোন স্থান-কালের (এক্ষেত্রে স্থান-কাল বলা ঠিক নয়) অভ্যন্তরের সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্টি হওয়া বিষয়টিই অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বশীল হয়। যেমন ধরেন আপনি দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করছেন। আপনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন সকলে একটি সারিতে দাড়িয়ে আছে। রেফারী বাশি বাজালো আর আপনারা সকলে দৌড় শুরু করলেন। এক্ষেত্রে কমান্ডটি অনুরূপভাবে মহাবিশ্বকে সকল দিক দিয়ে সমানভাবে সম্প্রসারিত করেছে।
এবার আসি ‘হও’ শব্দটি কি করে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করতে পারে। আপনি হয়তো ষ্ট্রিং থিওরি সম্পর্কে যথেষ্ট অবগত আছেন? ষ্ট্রিং থিওরিতে প্রতিটি কনা এক একেকটি ষ্ট্রিং বা তার। এবং প্রতিটি ষ্ট্রিং একটি সুর বা আওয়াজ। কুন ফাইয়াকুন বা হও শব্দটি একটি আওয়াজ। এই আওয়াজটি প্রকাশিত করতে কতটি ষ্টিং বা কনা’র দরকার?
এ ব্যাপারে আমার একটি লেখা আসছে “ কুন ফাইফাকুন এবং ষ্ট্রিং থিওরি”।
“এই লোকদের সামনে সে অবস্থা এসে গেছে, যাতে খোদাদ্রোহিতা হতে বিরত রাখার বহু শিক্ষাপ্রদ উপকরণই নিহিত রয়েছে এবং এমন পূর্ণতাপ্রাপ্ত বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিও (বৈজ্ঞানিক আবিস্কার) রয়েছে যা উপদেশ দানের পূর্ণমাত্রায় পূরণ করে।” (৫৪:৪-৫ ‘আল-কোরআন)
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:৩০
শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন:
স্টিফেন হকিং এর উপরোক্ত কথার অর্থ, পৃথিবীর পদার্থ থেকেই আমরা সৃষ্টি হয়ে-পদার্থের শক্তি ব্যবহার করে টিকে আছি এবং পদার্থেই মিসে যাব। আমরা সর্গে যাব এমন নয়। পৃথিবী একদিন তার স্থান পরিবর্তন করতে পারে। তাই বলে ২/৩ হাজার বছর পূর্বের মানুষদের কথার সাথে জোর করে সেটা মেলানোর চেষ্টা করা অহেতুক হবে। এইসব দিকের ভাবনাগুলোকে নিরপেক্ষভাবে আরো গভীরে গিয়ে ভেবে দেখতে পারেন।
আপনি নিজের মন মত ঘুরিয়ে পেচিয়ে যেভাবে সেই তালগাছই আমার বলে,এক ধরনের আবেগ ও ইগুর গন্ডি পার হতে পারছেন না সেটা লেখার মধ্যে স্পষ্ট প্রকাশ পাচ্ছে।
এগুলো স্টিফেন হকিং এর সাথে মিলছেনা। ধর্মগুলোকে যেমন মানুষেরা ভূল বুঝে ব্যবহার করে সমাজে ধংশ সাধন করে আসছে তেমনি আপনার ভূল যুক্তিগুলোও বিভ্রান্তিকারক।
সবার কাধে বসে নিরপেক্ষ হয়ে নতুন কিছু লৌকিক আলোকপাত করুন,একজনের কাধে চেপে স্বপ্নের জগতে বিশ্বাসী হয়ে আত্নাকে তৃপ্তি দেওয়াটা অহেতুক হবে। ধন্যবাদ।
২৯ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৪১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সত্যিই আমি দুঃখিত। ১ দিন পর আমাকে আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হলো, সত্যিই আমি দুঃখিত। তাছাড়া একই লেখা আমার অজান্তে দুইবার প্রিন্ট হওয়ায় আমার লেখার ভাবমূতী ক্ষুর্ন হয়েছে এবং লেখার বিষয়বস্তু অবোধগম্য হয়ে পড়েছিলো। তা্ই আমি আজ এডিট করে সংশোধন করলাম।
স্টিফেন হকিং এর উপরোক্ত কথার অর্থ, পৃথিবীর পদার্থ থেকেই আমরা সৃষ্টি হয়ে-পদার্থের শক্তি ব্যবহার করে টিকে আছি এবং পদার্থেই মিসে যাব। আমরা সর্গে যাব এমন নয়।
আপনি মনে হয় নতুন মুক্তমনা। আল্লা মুক্ত মন। কিন্তু আমরা যুক্তমনা। অথাৎ আমরা আল্লাযুক্ত চিন্তা চেতনা করি তাই আমরা যুক্তমনা। অথাৎ আল্লাযুক্ত মনা। আপনি কি ভাইজান আমার লেখাটা সম্পূর্ণ পড়েছেন? নাকি না পড়েই মুক্তমনা প্রকাশ ঘটালেন। আমরা লেখার এক অংশে বলেছি -“আন্দ্রে লিন্ডে তো কথায় কথায় নিজেই বলেছেন ‘মহাবিশ্ব যদি কখন ধ্বংশ হয়ে যাইও জীবনের মূল সত্ত্বাটি হয়তো টিকে থাকবে অন্য কোন মহাবিশ্বে’ অন্য কোন ভাবে।’ অন্য কোন মহাবিশ্বে বা অন্য কোনখানে বলতে লিন্ডে কি বুঝিয়েছেন? তাহলে মহাবিশ্ব কি আবার সৃষ্টি হবে?” বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ইনেফ্লেশন তত্ত্বের জনক আন্দ্রে লিন্ডে বলছেন “জীবনের মূল সত্ত্বটি টিকে থাকে। এবং এমন হতে পারে জীবনের মূল সত্ত্বাটি টিকে থাকবে অন্য কোন মহাবিশ্বে। জীবনের মূল সত্ত্বা বা চেতনাটিই নতুন করে সৃষ্টি করতে পারে। যেখান থেকে শেষ সেখান থেকেই শুরু। যদি তাই হয় তাহলে জীবনের মুল সত্ত্বার মধ্যে আপনার সত্ত্বাটিও রয়েছে।
অাপনি যে কম্পিউটারে এই লেখাটি ওপেন করেছেন সেই পিছির একটা আই পি এ্যাডর্রেস আছে। মোবাইলের যেমন একটি নাম্বার আছে ঠিক তেমনি প্রতিটি মানুষের একটি আইডি আছে। জেনেটিক কোড সংক্রান্ত একটু লেখা পড়া করেন বুঝবেন প্রতিটি মানুষে স্বতন্ত্র একটি বিষয় ধারন করে। সেই মাষ্টার মাইন্ড আইডি থেকে আপনার আইডি টা রিপ্লেই করা খুব কঠিন নয়।
৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:০৫
কানিজ রিনা বলেছেন: শক্তির বিন্যাশ নাই, শক্তি অবিন্যাশী, তেমন
আত্বার বিন্যাশ নাই আত্ব্যা অবিন্যাশী।
আল্লাহ্ সারা মহাবিশ্বব্যপী সমান ভাবে বিস্তির্ন
বা নিহিত। আমি যদি বলি আল্লাহ্ ম্যাগনেট
আর আমরা লোহ খন্ড তাতে যদি আমরা
আত্ব্যার শক্তি দিয়ে ম্যাগনেটে আকর্শন ঘটাতে
পারি লোহ খন্ড ম্যাগনেট দ্বারা শক্তি অর্জন
করতে সক্ষম। এটা আমার মনের অভিব্যক্তি
যেমন প্রেমে পরম। পরমে পৌছাতে প্রেম
করতে হবে। যাক এসব কথা।
শক্তি অবিন্যাশী মহা বিজ্ঞানী আইনস্টাইন,
মহানাস্তিক জ্যোতীর বিজ্ঞানী এনথনিফ্লু,নিউটন
আর্থার এরিংটন আরও অনেক বস্তুবাদী
দার্শনিক বিজ্ঞানীর পর্যালচনায় একমত হয়ে
বিগব্যাং বিস্ফোরন সুনিয়ন্ত্রিত সুপরিকল্পিত
সুনিপুন সত্বার কোন সেই শক্তি যার নিয়ন্ত্রন
শুধুই মহাপরিকল্পত এক শক্তি।
কোরআন ভিত্তিক বিজ্ঞান দর্শন বিজ্ঞানী ডাক্তার শমসের আলির বই গুল সংগ্রহ
করার অনুরোধ রইল। ধন্যবাদ।
৩০ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি যদি বলি আল্লাহ্ ম্যাগনেট আর আমরা লোহ খন্ড তাতে যদি আমরা আত্ব্যার শক্তি দিয়ে ম্যাগনেটে আকর্শন ঘটাতে পারি লোহ খন্ড ম্যাগনেট দ্বারা শক্তি অর্জন করতে সক্ষম। এটা আমার মনের অভিব্যক্তি যেমন প্রেমে পরম। পরমে পৌছাতে প্রেম করতে হবে। যাক এসব কথা।
আপনার কথাই সত্য। প্রকৃত সত্য জ্ঞান তো আল্রাহ ছাড়া অন্য কেউ দিতে পারে না। শুধু জ্ঞান নয় আল্লার প্রেমে পাগল ব্যক্তিরা স্বয়ং আল্লাহতে মিশে যায়। আল্লাহ এ ব্যাপারে কোরানে বলেন ‘আমি তো তার হয়ে যায় তার সমস্ত কিছু তখন আমার দায়িত্বে”। আল্লার সাথে মানুষের যখন মিলন ঘটে তখন আল্লাই তার কমান্ড বোর্ড দখল করে নেয়। সেই মানুষটি যখন যা ইচ্ছা করে প্রকৃতি সেই বিষয়টি বাস্তবায়ন ঘটায়।
শক্তি অবিন্যাশী মহা বিজ্ঞানী আইনস্টাইন, মহানাস্তিক জ্যোতীর বিজ্ঞানী এনথনিফ্লু,নিউটন আর্থার এরিংটন আরও অনেক বস্তুবাদী দার্শনিক বিজ্ঞানীর পর্যালচনায় একমত হয়ে বিগব্যাং বিস্ফোরন সুনিয়ন্ত্রিত সুপরিকল্পিত সুনিপুন সত্বার কোন সেই শক্তি যার নিয়ন্ত্রন শুধুই মহাপরিকল্পত এক শক্তি।
আমি তো পূবেই আপনাকে বলেছি এ সংক্রান্ত বিষয়ে। তারপরও আবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করি। “সেই মহান সত্ত্বা আকাশসমূহ ও পৃথিবী সমূহকে সৃষ্টি করিয়াছেন অতি সুক্ষ সমতায়। তিনি যখন আদেশ করেন হও, অমনি হয়ে যায়।(৬.৭৩) এখন প্রশ্ন হলো আল্রা হও বললেন আর হয়ে গেলো ঠিক সেরকমটি নয়। এই হও কে হওয়াতে হয়। আল্লার হও বলা মানে আল্লা হতে কিছু উপাদান বের হয়ে যাওয়া। সেই উপাদান নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করে। নিজেকে কিভাবে সৃষ্টি করে? আল্রার ইচ্ছাপ্রকাশ বাস্তবায়ন করার জন্য আছে “পবিত্র আত্মা”। তার ইচ্ছা সে বাস্তবায়িত করে।
এ ব্যাপারে আমার একটি লেখা আসছে “ কুন ফাইফাকুন এবং ষ্ট্রিং থিওরি”। লেখাটি আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে। একটু ধৈয্য ধরুন।
৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:২২
শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ,মাষ্টার মাইনড আইডিয়া সৃষ্টিকর্তার থেকে পাওয়ার জন্য।
০১ লা আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ,মাষ্টার মাইনড আইডিয়া সৃষ্টিকর্তার থেকে পাওয়ার জন্য।
আপনি কি বোঝেন কম নাকি ইচ্ছা করেই ভূল বোঝার চেষ্টা করলেন। আমি লিখেছে “সেই মাষ্টার মাইন্ড আইডি থেকে আপনার আইডি টা রিপ্লেই করা খুব কঠিন নয়।” মাষ্টার মাইন্ড আইডিয়া কোথায় পাইলেন? ও বুঝলাম এই কথা বলে আপনি আমাকে উপহাস করলেন!
৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩
ঢ্যাঙা মোস্তাফা বলেছেন: লেখক বলেছেন: নাকি মুক্তমনারাই জ্ঞানী? বুঝলাম আপনি মুক্তমনা নামক আবাল দের পক্ষে! তাই আমাকে উপহাস করলেন।
ভুল হইছে। আপনে তো মহাজ্ঞানী দেখা যায়।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১০:৪০
ঢ্যাঙা মোস্তাফা বলেছেন: আফনে তো বেজায় জ্ঞানী দেহি।