নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।
বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এ্যালেন গুথ মহাবিশ্বের এই সুনিয়ন্ত্রিত সম্প্রসারণ হার দেখে স্তম্ভিত হয়ে বললেন “এই সম্প্রসারনের হার এতটাই সুনিয়ন্ত্রিত, যেখানে ভুলের সম্ভাবনা ১/১০^৫৫। এত সুক্ষ এবং সুনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা বা বা প্রক্রিয়া কোনো হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা হতে পাওয়া অসম্ভব। বিগব্যাং যদি হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো অনিয়ন্ত্রিত ঘটনা হতো তবে এই প্রক্রিয়া এতটা সঠিক এবং উপযুক্ত ভাবে চলতে পারতো না। তাই বলা যায় এটি অবশ্যই একটি নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়া।” মহাবিশ্বে মহাজাগতিক বসতু সমূহের অবস্থান এবং এদের মধ্যে দূরত্ব পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্বর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কসমিক বল দ্বারা নক্ষত্রগুলোর মধ্যকার দূরত্ব পৃথিবীতে প্রাণের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা রেখেছে। কসমিক বল দ্বারা নক্ষত্রগুলোর মধ্যকার দূরত্ব এমনভাবে বিন্যস্ত করা হয়েছে যা পৃথিবীকে মানুষের জীবনধারনের উপযোগী করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অতি গুরুতবপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। মহাজাগতিক বস্তু সমূহের মধ্যকার দুরত্ব যদি কিছু কম হোাতো তবে মহাকষীয় আকর্ষন, তাপমাত্রা ইত্যাদির ব্যপক পরিবর্তন ঘটতো। আর যদি মহাজাগতিক বসতু সমূহের মধ্যে দুরত্ব কিছুটা বেশি হতো তবে বস্তুগুলো সুপারনোভা অবস্থায় ছড়িযে ছিটিয়ে যেতো। ফলে গ্রহানুগুলো একত্রীত হতে পারত নাা এবং আমাদের পৃথিবীর মতো গ্রহ তৈরী হওয়ার জন্য প্রযোজনীয় ঘনত্বে পৌছাতে পারত না। এই প্রসঙ্গ নিয়ে বিশিষ্ট বিশিষ্ট মহাকাশ বিজ্ঞানী জর্জ গ্রিনস্টেইন বলেন “ যদি তারকাগুলোর মধ্যবর্তী দূরত্ব কিছুটা কম হতো তবে astrophysics খুব একটা পরিবর্তন হতো না। পদার্থ বিদ্যার নিয়ম, যেসব নক্ষত্র, নেবুলা ইত্যাদির মধ্যে ক্রিয়াশীল সেসব ও খুব একটা পরিবর্তন হতো না। শুধুমাত্র ছোট খাট কিছু পরিবর্তন হতো। যেমন, রাতে ঘাসের মেঝেতে শুয়ে রাতের যে আকাশটা দেখি তা কিছুটা উজ্বল দেখাত। আর আরেকটি ছোট্ট পরিবর্তন হতো। তা হচ্ছে, রাতের এই আকাশ আরো উজ্জল দেখাত আর আরেকটি ছোট পরিবর্তন হতো তা হচ্ছে, রাতের এই উজ্জল আকাশ দেখার জন্য আমি বা আপনি কেউই থাকতাম না।”
বিজ্ঞানীরা যে কোন নক্ষত্রের জন্য একটি নির্দীস্ট দুরত্ব নির্ধারন করেন যে স্থানটি অক্সিজেন হাইড্রোজেন এর সমন্ময়ে পানি উতপাদনের একটি পারফেক্ট স্থান এবং যেখানে পানি তরল অবস্থাায় থাকতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা ধারনা করেন। যে স্থানটির তাপমাত্রা স্বচ্ছ এবং একটি সুক্ষ সমন্মিত নিরাপদ বাসযোগ্য স্থান হিসেবে অনুমান করে থাকেন । বিজ্ঞানীরা সেই স্থানটির নামকরণ করেন “গোল্ডিলকস্ জোন”। কোন নক্ষত্র থেকে ঠিক এতটুকু দুরত্বই প্রাণ বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ন অথচ আমাদের সৌরজগত এবং সত্যি করে বলতে কি আমাদের পৃথিবী ঠিক সেই স্থানেই পড়েছে।
আমাদের অস্তিত্বকে সম্ভব করতে কিছু মৌলিক ধ্রুবককে সুক্ষ সন্নিবেশ করা হয়েছে। মহাবিশ্বের এই ধ্রুবকগুলোর যদি একটু বদলানো যায় তাহলে এই মহাাবিশ্বের ব্যপক পরিবর্তন হতো। অনেক সময় এটা জীবন বিকাশের জন্য অযোগ্য হয়ে যেতো। আমরা এক্ষেত্রে পরমানুর গঠন এর উপর চোখ বুলালে দেখতে পারবো আরেকটি জটিল বিষয়। পরমানুর গঠন উপাদানগুলোর উপর সক্রিয় রয়েছে সবল নিউকিক্লয় বল। নিউক্লিয় বল দুটি প্রোটনকে আকষর্ণ করে। কিন্তু তড়িত দুম্বকিয় শক্তি তাদের এক হতে বাধাার সৃষ্টি করে। আর এই কারনে পরমানু এক এক্যবদ্ধ হয়ে আকৃতি গঠন করে। কিন্তু এই দূবর্ল নিউক্লিয় বল আরো বেশি দূবর্ল হতো তবে মহাবিশ্বের সব হাইড্রোজেন হিলিয়ামে পরিনত হতো। ফলে মহাবিশ্বে কোন তারা দেখা যেতো না আর যদি দূবর্ল বল আরো বেশি সবল বা শক্তিশালী হতো তবে সুপারনোভার বিস্ফোরন তার বাইরের আবরনকে ছিন্ন করে ছুড়ে দিতে পারতো না। ফলে জীবন বিকাশের জন্য ভারী মৌল তৈরী হতো না। আরেকটি অলৌকিক বিষয় হলো মানবদেহ গঠনের নিমিত্তে প্রয়োজনীয় উপাদান কার্বন। এই ছয় প্রোটন বিশিষ্ট কার্বন নিউক্লিয়াস এবং অন্যান্য ভারীমৌল বিশিষ্ট গঠিত হলো ? হ্ইাড্রোজেন, হিলিয়াম এবং অল্প কিছু লিথিয়াম নিয়ে আদি মহাবিশ্ব বিবর্তিত হয়ে এই মহাবিশ্বে রুপান্Íরিত হয়েছে আসলে আদি মহাবিশ্বের বলগুলোকে ঠিক এমনটিই হতে হয়েছে যেমনটি হলে আদি মৌল সমূহ থেকে ভারী সমূহ গঠিত হতে পারে। আদি বল সমূহ যেভাবে নক্ষত্র গঠন করলো। আর সেই নক্ষত্রই ছিলো ভারী মৌলসমূহের রান্না করবার চুল্লি। আদি নক্ষত্রগুলোকে এমন ভাবে গঠিত হতে হয়েছে যে তার মধ্যে কিছু কিছু নক্ষত্র জীবনচক্র শেষ করে সুপারনোভা আকারে বিস্ফোরন ঘটে এবং ভারী মৌল বিস্ফোরন হতে ছিটকে বেরিয়ে পড়ে। এবং সেই ছিটকে বেরিয়ে পড়া ভারী মৌলগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে জমাট বেধে গ্রহ উপগ্রহ গঠন করে।
কার্বন যাকে বলে প্রানের মূল উপজীব্য। সেই কার্বন অনেকটা অলৌকিক প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি। নক্ষত্র গুলোর মধ্যে ফিউশন বিক্রিয়ায় কার্বন গুলোর উতপত্তি। বিশেষ করে ফ্রেড হয়েল কার্বন তৈরীর এ প্রক্রিয়া দেখে অসম্ভব বলেই ঘোষনা করেন। নক্ষত্রগুলোর কেন্দ্রে কার্বন অণুগুলো সৃষ্টি হয় দুটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায়। প্রথমত ২ টি হিলিয়াম অনু একত্রীত হয়ে ৪ টি প্রোটন ও ৪ টি নিউট্রন বিশিষ্ট অস্থিতিশীল বেরিলিয়াম অনুর সৃষ্টি হয়। তখন এটি ৩য় হিলিয়াম অনুর সাথে যুক্ত হয়ে ৬ টি প্রোটন ও ৬ টি নিউট্রন বিশিষ্ট কার্বন অনুর সৃষ্টি করে।এই পদ্ধতিতে ১ম অবস্থায় উৎপন্ন হওয়া বেরিলিয়াম অনু পৃথিবীতে প্রাপ্ত বেরিলিয়াম অনুর চেয়ে ভিন্ন ধরনের। কারন আমাদের পর্যায় সারণীতে প্রাপ্ত বেরিলিয়াম অনু একটি অতিরিক্ত নিউট্রন ধারন করে। নক্ষত্রগুলোর মধ্যে প্রাপ্ত এই অস্বাভাবিক বেরিলিয়াম অনু বিজ্ঞানীদের ধাঁধায় ফেলে দেয়। কারন এটি অতিমাত্রায় অস্থিতিশীল। এতোটাই যে এটি তৈরি হওয়ার ১/১০^১৫ বা ০.০০০০০০০০০০০০০০১ সেকেন্ডের মধ্যে বিভাজিত হয়ে যায়। তাহলে এই বেরিলিয়াম অনু কিভাবে কার্বন অনু সৃষ্টি করে, যখন তৈরি হওয়ার সাথে সাথেই ভেঙ্গে যায়? তাহলে কি কাঁকতলিয় ভাবে হিলিয়াম অনু বেরিলিয়াম অনুর সাথে যুক্ত হয়ে কার্বন তৈরি করে? কিন্তু বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে তাও তো সম্ভব নয়। কারন ২ টি অনু আলাদা ভাবে যুক্ত হয়ে ০.০০০০০০০০০০০০০০১ সেকেন্ডের মধ্যে যুক্ত হয়ে পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারে না। একটি জটিল এবং প্রায় অসম্ভব এক পদ্ধতিতে নিউক্লীয় ফিউশন বিক্রিয়া দ্বারা কার্বন গঠিত হয়। এই বিক্রিয়াটি একটি নির্দিষ্ট হারে এবং নির্দিষ্ট শক্তিতে ঘটে থাকে। সৌভাগ্যক্রমে, এই রেজোন্যান্স খুবই অল্প সময়ের মধ্যে ঘটে থাকে। নক্ষত্রগুলোর মধ্যে Double Resonance এর মতো একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটে থাকে। প্রথমত ২ টি হিলিয়াম অনু যুক্ত হয়ে বেরিলিয়াম অনু গঠিত হয়। এরপর ১/১০^১৫ সেকেন্ডের মধ্যে এটি ৩য় আরেকটি হিলিয়াম অনুর সাথে যুক্ত হয়ে কার্বন অনুর সৃষ্টি করে। জর্জ গ্রিনস্টেইন ব্যাখ্যা করেন কেন এই Double Resonance অতি অসাধারন একটি প্রক্রিয়া। তিনি বলেন
“There are three quite separate structures in this story—helium, beryllium, and carbon—and two quite separate resonances. It is hard to see why these nuclei should work together so smoothly… Other nuclear reactions do not proceed by such a remarkable chain of lucky breaks…It is like discovering deep and complex resonances between a car, a bicycle, and a truck.
বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং তার “গ্রান্ড ডিজাইন” বইতে বলেছেন “তাহলে এসব কাকতাল থেকে আমরা কি বুঝবো? ভাগ্যক্রমে মৌলিক নিয়মসমূহের খুটিনাটির যে মিলন সেটা পরিবেশ উদ্ভুত চলকসমূহের ভাগ্যক্রমে মিলে যাওয়া থেকে আলাদা। একে তো এটাকে ্এত সহজে ব্যক্ষর্তা করা সম্ভব নয়। তার উপর এতে গভীর ও ভৌত ও দার্শনিক ইঙ্গিত নিহিত আছে। আমাদের মহাবিশ্ব এবং তার আইনসমূহ দেখে মনে হয় যেনো একেবারে নকশা অনুযায়ী দর্জির হাতে কেটে এমনভাবে বানাানো যেমনটা হলে এখানে জীবনের অস্তিত্ব সম্ভব হবে। এবং যেখানে এই নকশা থেকে বিচ্যুতির কোন অবকাশ নেই। ব্যাপারটার ব্যাক্ষা সহজ নয়। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন আসে এটা এমন কেনো?”
চলবে (পর্ব - ৪)
২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তিনি মহান যিনি আমাদের পৃথিবীকে বাসেযাগ্য করেছেন আমাদের জন্য। অন্তহীন কৃতজ্ঞতা তাঁর প্রতি
+++++++++
২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: তিনি মহান তার তুলনা নেই।
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩২
সাইদু১১ বলেছেন: পৃথিবী ঘুরে না পৃথিবীকে কেন্দ্র করে গ্রহ নক্ষত্র ঘুরে?
২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: হঠাত এ প্রশ্ন কেনো ভাই? পৃথিবীই তো ঘোরে।
৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১২
মেরিনার বলেছেন: @সাইদু১১
At a time when it was held that the Earth was the centre of the world and that the Sun moved in relation to it, how could any one have failed to refer to the Sun's movement when talking of the sequence of night and day? This is not however referred to in the Qur'an and the subject is dealt with as follows:
Sura 7, verse 54:
“(God) covers the day with the night which is in haste to follow it . . .”
Sura 36, verse 37:
“And a sign for them (human beings) is the night. We strip it of the day and they are in darkness.”
Sura 31, verse 29:
“Hast thou not seen how God merges the night into the day and merges the day into the night.”
Sura 39, verse 5:
“. . . He coils the night upon the day and He coils the day upon the night.”
The first verse cited requires no comment. The second simply provides an image. It is mainly the third and fourth verses quoted above that provide interesting material on the process of
interpenetration and especially of winding the night upon the day and the day upon the
night. (Sura 39, verse 5)
'To coil' or 'to wind' seems, as in the French translation by R. Blachère, to be the best
way of translating the Arabic verb kawwara . The original meaning of the verb is to 'coil' a
turban around the head; the notion of coiling is preserved in all the other senses of the word.
What actually happens however in space? American astronauts have seen and
photographed what happens from their spaceships, especially at a great distance from Earth,
e.g. from the Moon. They saw how the Sun permanently lights up (except in the case of an
eclipse) the half of the Earth's surface that is facing it, while the other half of the globe is in
darkness. The Earth turns on its own axis and the lighting remains the same, so that an area
in the form of a half-sphere makes one revolution around the Earth in twenty-four hours
while the other half-sphere, that has remained in darkness, makes the same revolution in the
same time. This perpetual rotation of night and day is quite clearly described in the Qur'an. It
is easy for the human understanding to grasp this notion nowadays because we have the idea
of the Sun's (relative) immobility and the Earth's rotation. This process of perpetual coiling,
including the interpenetration of one sector by another is expressed in the Qur'an just as if
the concept of the Earth's roundness had already been conceived at the time which was
obviously not the case. [page#109, The Bible, The Qur'an and Science By Dr. Maurice Bucaille.]
view this link
৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: তথ্যবহুল ও শ্রমসাধ্য পোস্ট। চতুর্থ পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
ধন্যবাদ।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: প্রথম পর্ব পড়ুন
http://www.somewhereinblog.net/blog/islamlablu/30166546
দ্বিতীয় পর্ব পড়ুন
http://www.somewhereinblog.net/blog/islamlablu/30167061
ধন্যবাদ আপনাকে।
৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩০
মোঃ আক্তারুজ্জামান ভূঞা বলেছেন: আচ্ছা ধরা যাক, শুধু মানুষের জন্য যদি মহাবিশ্ব সৃষ্টি করা হয়ে থাকে পৃথিবীর তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রী সে. হলেও তো কোনো ক্ষতি ছিল না। কারণ সৃষ্ট মানুষ ১০০ ডিগ্রী সে. তাপমাত্রা সহ্য করতে পারতো। সৃষ্টিকর্তা তাদের সেভাবেই সহনীয় করে বানাতেন। আরেকটা বিষয় হচ্ছে মানুষ বানিয়ে তাদের রঙতামাশা দেখাই যদি সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ এগুলো সৃষ্টি করেছেন কেন? এগুলো মানুষের কি কাজে লাগবে?
আচ্ছা পৃথিবী সূর্যের চারিদিকে ঘুরে। মহাকর্ষ শক্তির প্রভাবে ঘুরে। না ঘুরলে কি হইতো? হ্যান হইতো, ত্যান হইতো, প্রাণ ধারণের উপযোগী পরিবেশ থাকতো না, মানুষ বা প্রাণী সৃষ্টি হইতো না, আপনিও এই পোস্ট প্রসব করতেন না, আমিও প্রশ্ন জানতে চাইতাম না। তাহলে শুধুমাত্র মানুষের জন্যই যদি সৃষ্টিকর্তা এই সীমাহীন ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করে থাকেন, মানুষগুলোকে এমন লোভী, নিষ্ঠুর, পর সম্পদ হরণকারী, পরদেশ দখলকারী, যুদ্ধবিগ্রহ লাগিয়ে রাখার মানসিকতা সম্পন্ন করে বানানো হলো কেন? এত সুক্ষ্ম হিসাব নিকাশের মহাবিশ্ব মানুষের কি কাজে লাগবে?
২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আরেকটা বিষয় হচ্ছে মানুষ বানিয়ে তাদের রঙতামাশা দেখাই যদি সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ এগুলো সৃষ্টি করেছেন কেন? এগুলো মানুষের কি কাজে লাগবে?
“একসময় ভাবা হত মানব জেনোমের ৯৮% কোন কাজের না, মানে ফালতু মাল (junk DNA or junk element)। এই ৯৮ সংখ্যা টা এসেছে ডিএনএ’র যেই অংশ প্রোটিন তৈরি করতে পারেনা তার পরিমান থেকে। আমরা যদি সম্পূর্ণ ডিএনএ কে একটা বড় সুতার মত ধরি, তবে সুতার কিছু অংশ থেকে প্রোটিন তৈরি হবে আর বেশিরভাগ অংশ থেকে হবেনা। ডিএনএ’র যেই অংশ প্রোটিন তৈরি করে তাকে বলে জিন, বা প্রোটিন কোডিং ডিএনএ। এই অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারন প্রোটিন তৈরি না হলে কিছুই করতে পারতোনা কোন জীব, এমনকি একটি কোষ। তাহলে মানুষের এই ৯৮% নন-কোডিং ডিএনএ’র কি কোন কাজ নাই?
সম্প্রতি দেখা গেছে এই নন-কোডিং ডিএনএ গুলো অনেকাংশই অনেকগুলি প্রাণীতে সংরক্ষিত। ভ্রূণ থেকে আমাদের হাতের আঙুল তৈরির সময় একটা রেগুলেটরি জিন গুচ্ছ কাজ করে, যার নাম হক্স ডি (HoxD)। এই হক্স ডি জিনগুলির এক্সপ্রেশান নির্ভর করে নন-কোডিং ডিএনএ সিকোয়েন্সের উপর। দেখা গেছে এই নন-কোডিং ডিএনএ সিকোয়েন্সগুলির কয়েকটির মিল সরীসৃপের সিয়োন্সের সঙ্গেও আছে (স্তন্যপায়ীর কথা বাদই দিলাম)। এই এলাকার নন-কোডিং ডিএনএ’র কোন সমস্যা বিকৃত আঙুল তৈরি করবে।” ভাইজান এখন আমাদের বিজ্ঞান স্বীকার করে নন কোডিং ডিএনএর সিকোয়েন্স এর উপর ডিপেন্ড করছে কোডিং ডিএনএর কার্যক্রম। ভাইজান মহাবিশ্বের সমস্ত বস্তুই একটি ভারসাম্য এর উপর দাড়িয়ে আছে। এই মানুষ উৎপাদিত হবার জন্য মহাবিশ্বকে অনেকগুলো পদক্ষেপ নিতে হয়েছে।“একসময় ভাবা হত মানব জেনোমের ৯৮% কোন কাজের না, মানে ফালতু মাল (junk DNA or junk element)। এই ৯৮ সংখ্যা টা এসেছে ডিএনএ’র যেই অংশ প্রোটিন তৈরি করতে পারেনা তার পরিমান থেকে। আমরা যদি সম্পূর্ণ ডিএনএ কে একটা বড় সুতার মত ধরি, তবে সুতার কিছু অংশ থেকে প্রোটিন তৈরি হবে আর বেশিরভাগ অংশ থেকে হবেনা। ডিএনএ’র যেই অংশ প্রোটিন তৈরি করে তাকে বলে জিন, বা প্রোটিন কোডিং ডিএনএ। এই অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারন প্রোটিন তৈরি না হলে কিছুই করতে পারতোনা কোন জীব, এমনকি একটি কোষ। তাহলে মানুষের এই ৯৮% নন-কোডিং ডিএনএ’র কি কোন কাজ নাই? সম্প্রতি দেখা গেছে এই নন-কোডিং ডিএনএ গুলো অনেকাংশই অনেকগুলি প্রাণীতে সংরক্ষিত। ভ্রূণ থেকে আমাদের হাতের আঙুল তৈরির সময় একটা রেগুলেটরি জিন গুচ্ছ কাজ করে, যার নাম হক্স ডি (HoxD)। এই হক্স ডি জিনগুলির এক্সপ্রেশান নির্ভর করে নন-কোডিং ডিএনএ সিকোয়েন্সের উপর। দেখা গেছে এই নন-কোডিং ডিএনএ সিকোয়েন্সগুলির কয়েকটির মিল সরীসৃপের সিয়োন্সের সঙ্গেও আছে (স্তন্যপায়ীর কথা বাদই দিলাম)। এই এলাকার নন-কোডিং ডিএনএ’র কোন সমস্যা বিকৃত আঙুল তৈরি করবে।” ভাইজান এখন আমাদের বিজ্ঞান স্বীকার করে নন কোডিং ডিএনএর সিকোয়েন্স এর উপর ডিপেন্ড করছে কোডিং ডিএনএর কার্যক্রম। ভাইজান মহাবিশ্বের সমস্ত বস্তুই একটি ভারসাম্য এর উপর দাড়িয়ে আছে। এই মানুষ উৎপাদিত হবার জন্য মহাবিশ্বকে অনেকগুলো পদক্ষেপ নিতে হয়েছে তার মধ্যে এই সমস্তু নক্ষত্র গ্রহ িউপগ্রহ গ্যালাক্সি সৃষ্টি। তার এবারের সৃষ্টির ফর্মূলা টি ঠিক এমনটিই। এতকিছু সৃষ্টি করা হয়েছে মহাবিশ্বের টাইমিং কম্পোজিশন করবার জন্যে। আমি পূর্বেই বলেছি মহাবিশ্বের নক্ষত্র গ্যালাক্সি গ্রহ উপগ্রহের দুরত্বের উপর নির্ভর করেছে মানুষের জীবনীকাল। সময়ের ধারাপাত। মানুষদের জীবনের গতিপ্রকৃতি মহাজাগতিক গতি প্রকৃতি নিয়ন্ত্রনে নির্ধারনে এত কিছুর প্রয়োজন ছিলো।
আর আপনি বলছে মানুষকে অন্য ভাবে বানালেও পারতো তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রী সে. হলেও তো কোনো ক্ষতি ছিল না। কারণ সৃষ্ট মানুষ ১০০ ডিগ্রী সে. তাপমাত্রা সহ্য করতে পারতো। মানুষকে অন্যরকম বানাতে চাইলেও তিনি পারতেন। কেবলমাত্র সুত্রটি পরিবর্তন করে দিতে হতো। আল কোরআরন বলছে-“ আমি ইচ্ছা করলে তোমাদের আকৃতি পরিবর্তন করি দিতে পারতাম”। তিনি ইচ্ছা করলে অন্যভাবে সৃষ্টি করে দিতে পারতেন। শুধু মাত্র সুত্রটি পরিবর্তন করতে হতো। আলকোরআনের ভাষায় সুত্র বলতে বিধান বলা হয়ে থাকে। এইবার এই মহাবিশ্বকে এই সুত্র এই বিধানে সৃষ্টি করা হয়েছে। অতএব এবার যেভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে আমরা সেই প্রসঙ্গে আলোচনা করবো।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৩
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: তাহলে শুধুমাত্র মানুষের জন্যই যদি সৃষ্টিকর্তা এই সীমাহীন ব্রহ্মাণ্ড সৃষ্টি করে থাকেন, মানুষগুলোকে এমন লোভী, নিষ্ঠুর, পর সম্পদ হরণকারী, পরদেশ দখলকারী, যুদ্ধবিগ্রহ লাগিয়ে রাখার মানসিকতা সম্পন্ন করে বানানো হলো কেন? এত সুক্ষ্ম হিসাব নিকাশের মহাবিশ্ব মানুষের কি কাজে লাগবে?
আল কোরআনটা যদি কখনও পড়তেন বা বুঝবার চেষ্টা করতেন তবে আমাকে এরকম প্রশ্ন করতেন না। আজ আপনি এ প্রশ্ন করছেন? অথচ আল কোরআনের বর্ণনা মতে পৃথিবীর সৃষ্টির শুরুতে মানুষ সৃষ্টির পর্যায়ে ফেরেস্তারা আল্লাহকে এ প্রশ্ন করেছিলেন। আল্লাহ এ প্রশ্নের উত্তরে ফেরেস্থাদের বলেছিলেন ‘তোমরা যা জান না আমি তা জানি”।
ভাইজান এসকল প্রশ্নের উত্তর আল কোরআনে দেওয়া আছে। আল্লাহ এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুইটি দিকপাল নিয়ে। ভালোত্ব আর মন্দত্ব হলো এই দুই দিকপালের ধারা। এই দুই দিকপালের দন্দ এর মধ্য দিয়েই মহাবিশ্ব পরিক্রমন করে। যারা ভালোত্ব এর পক্ষে তারা আগামীতে সুখ ভোগ করবে (বেহেস্ত পাবে) যারা অপরাধের পক্ষে তারা দুঃখ ভোগ (দোজখ পাবে) করবে। আর এই কারনে ভালো মন্দ দুই শ্রেণির মানুষ ই আছে এই দুনিয়ায়। কিন্তু আপনি শুধুমাত্র নিষ্ঠুর, পর সম্পদ হরণকারী, যুদ্ধবিগ্রহ লাগিয়ে রাখার মানসিকতা সম্পন্ন মানুষকেই দেখলেন কেনো? এই পৃথিবীতে মহৎ,ত্যাগি, সম্পদ বন্টনকারী, যুদ্ধরোধকারী মানসিকতা সম্পন্ন মানুষেরাও আছে।
৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫০
বাবাজান বলেছেন: সুন্দর ও মিউজিয়াম গুলোতে রেখে দেওয়ার মতো, স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখার মতো একটি পুস্ট দিয়েছেন আপনি,, দারুন বিশ্লেসন মূলক পুস্ট,, যাদের সাধারন জ্ঞানের অভাব তাদের কিভাবে বিজ্ঞান বুঝাবেন...? মানে এই আগের মন্তব্যে যে গাধাটা গাধার মতোই প্রশ্ন করেছে, তার কথা বল্লাম ।।
২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ঠিকই কইলেন, কিছু কিছু গাধা আছে যাদেরকে বোঝানো যাইনা। হ্যা কিছু কিছু গাধা!
৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০৮
বাবাজান বলেছেন: তার উত্তর হচ্ছে আল্লাহর নিদর্শন, মানে তিনি পরকালে মানুষকে যে জান্নাত দান করবেন, আর তিনি যে বড়ই শক্তিশালী কুদরত ওয়ালা, এটা বুঝানোর জন্যই, সব সৃষ্টি করেছেন,, তিনি দেখান যে তিনি শুন্যের উপর ভাষিয়ে রাখতে পারেন, বির্য থেকে মানুষ বানাতে পারেন, তার কুদরতের কোনো শেষ নেই,, আর মানুষের তামাশা দেখার জন্য বা অন্যের ক্ষতি সাধন বা খারাপ কাজ করার জন্যই তিনি মানুষকে বানাননি, তামাশা দেখার জন্য বানাননি, তামাশা কিছু মানুষ, করে, সবাই করেনা, যেমন আমরা আস্তিকরা, বিশ্বাস করি, তামাশা করিনা, কিন্তূ, প্রশ্নকারী নাস্তিক একজন যে তামাশা করে, আর স্রষ্টা ভালোর বিপরিত মন্দ রেখেছেন, ভালো করতে বলেছেন, আর মন্দ করতে নিষেধ করেছেন, ব্যস, উত্তর দেয়া হলো। মানলে ভালো মানো, আর না মানলে, জাইরামি বা মন্দ কইরোনা, এই নির্দেশ দেবো, তবে ভালো না করলে সে মন্দ ছাড়া আর কি করবে..?
আর কেউ যদি চায় শুধু ভালো থাক মন্দ না থাক, তাহলে তাই কি হয়ে যাবে ? যা প্রাচিন থেকে হয়ে আসছে, সে নিয়ম ভঙ্গ করা কোনো নাস্তিকের বাবার ক্ষমতা নেই, সে যতো দিন বেচে থাকবে ততোদিন সে হয়তো ভালো করবে না হয় মন্দ করবে, মাঝখানে থাকা সম্ভব কি করে..? মনে রাখতে হবে মানুষকে বানানো হয়েছে এমন করে যে ভুল করবে, অতপর সেই ভুলের মধ্যেই থাকবেনা, বরং ফিরে আসবে । যে স্রষ্টার বিধান না মানবে সে মন্দকেই বেছে নিবে, স্রষ্টার এই ভালো ও মন্দ দুই প্রকার বিধানের যেকোনো একটি বিধানেই সে থাকবে ও তার কর্মানুযায়ী ফল পাবে । ভালো মানলে ভালো ফল, আর মন্দ মানলে মন্দ ফল
২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: হ ভাইজান, কিছু কিছু নাস্তিক আছে যারা নিজেগো বেপক জ্ঞানী মনে করে। সত্য প্রকাশ হয়ে যাবার ভয়ে তাগো গাঁ জ্বলে যাই। তাগো গাঁ জ্বলে ফোসকা পড়ে যাই।
হেরা মনে করে’ জ্ঞানী হইতে গেলে নাস্তিক হইতে হয়। তাগো গাঁ জ্বলে ফোসকা পড়ে যাই।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১১
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: