নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।
এই মহাবিশ্বের প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রতিটি স্থানে একটি চূড়ান্ত ভাবে একটি পরিকল্পনার প্রভাব স্পষ্ট। কে যেনো গানিতিক নিয়ম একটি রুল একটি মহাজাগতিক পান্ডুলিপিতে পূনাঙ্গ ভাবে পরিস্ফুটিত করে রেখেছে। যার মাঝে একটি ্উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে। আর সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি। তাহলে উদ্দেশ্যটা কি? আধুনিক বিজ্ঞানের চুড়ান্ত কিছু গবেষনা প্রমান করে দিচ্ছে সেই উদ্দেশ্যটি হলো এই পৃথিবীর অবস্থিত প্রানীকূল নিদীষ্ট করে বললে মানুষ।এই মানুষ সৃষ্টি করার জন্য সমগ্র মহাবিশ্বটাকে সৃষ্টি করা হয়েছে সুপরিকল্পিত, নিয়মতান্ত্রিক ও নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। সমগ্র বিশ্বজগতে বিদ্যমান রয়েছে পরিকল্পনার সুস্পষ্ট ছাপ। আলকোরআন বলে- “আল্লাহ যর্থাথরুপে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন। এতে নিদর্শন রয়েছে ইমানদার সম্প্রদায়ের জন্যে।(২৯:৪৪)” আধুনিক বিজ্ঞান স্পষ্টভাবে আবিস্কার করতে সক্ষম হয়েছে যে এই মহাবিশ্বটা সুক্ষ থেকে সুক্ষতম নিয়ম শৃংখলা ভারসাম্যতার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত। যার একবিন্দু এদিক ওদিক হলে মহাবিশ্ব নামের এই সিষ্টেমটা মানুষের জন্য বাসযোগ্যতা দুরের কথা মুহুত্বের মধ্যে অচল হয়ে ধ্বংশ হয়ে যেতো। অত্এব এটি যে একটি উন্নত চেতনার উচ্চমার্গিয় পরিকল্পনার ফসল তা নিশ্চিত। মানুষের জন্য বাসযোগ্য মহাাবিশ্বটা দৈব্যক্রমে সৃষ্টি হয়েছে এই চিন্তা করাটাও রিতীমতো অসম্ভব। এবার আসি আমরা সকল গ্রহমন্ডলী এবং সৌরজগত নিয়ে একটু আলোচনায়। এই সৌরজগতটিও একটি নিয়ন্ত্রিত ও সুক্ষ সমন্ময়ের ভারসাম্যে তৈরী। এ কারনে আল কোরআন বলে “এবং তোমাদের সেবায় নিয়োজিত করেছেন সূর্যকে এবং চন্দ্রকে সর্বদা এক নিয়মে এবং রাত্রি ও দিবাকে তোমাাদের কাজে লাগিয়েছেন।(১৪:৩৩)
বিজ্ঞানীরা আমাদের সৌরজগত এবং গ্রহ উপগ্রহের একটি মডেল তৈরী করে দেখেছেন আমাদের সৌরজগতের প্রতিটি গ্রহ উপগ্রহের ভর এবং অবস্থান সুক্ষ পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্যর্পূন। আর এই ভর এবং অবস্থানের নিত্যতা ১৪০০ কোটি বতসরের সৌরব্যবস্থার সাম্যতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমীকা পালন করেছে। নক্ষত্রবিদ্যা থেকে জানা যায় সৌরজগতের গ্রহ উপগ্রহের অবস্থান ও ভর এতটাই পারফেক্ট যে এই পারফেক্টনেসই পৃথিবীর বুকে প্রাণ উতপাদনের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। এবং এই সৌরব্যবস্থার উপর নির্ভর করে থাকে আমাদের পৃথিবীর নিরাপত্তা। অন্যান্য গ্রহগুলোও পৃথিবীকে নিরাপত্তা দিচ্ছে। এবং তাদের অবস্থানের উপর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নির্ভরশীল। যেমন ধরি বৃহস্পতি গ্রহটি। বৃহস্পতি গ্রহটি যেনো সৌর পরিবারে মা এর মতো দায়িত্¦ পালন করে চলছে। এই গ্রহটি এমন একটি অবস্থানে অবস্থান করছে যে এই গ্রহটির বর্তমান অবস্থান অন্যান্য গ্রহগুলোকে তাদের অবস্থানে থাকতে সাাহায্য করছে। পৃথিবীর উপর বৃহস্পতি গ্রহের প্রভার এতটাই বেশি যে তার অবস্থানের উপর পৃথিবীর প্রাণ সৃষ্টির কৃতিত্ব নির্ভর করে। এই গ্রহটি যদি না থাকতো তবে পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টির শুরুতেই তা ধ্বংশলীলাতে নিপতিত হতো। বৃহস্পতি গ্রহের সৃষ্ট চুম্বকীয় ক্ষেত্র উল্কা এবং ধূমকেতুগুলোর গতিপথ বদল করে আমাদের সৌরব্যবস্থার প্রবেশে বাধার সৃষ্টি করে এবং আমাদের পৃথিবীকে এসব উল্কা এবং ধূমকেতুর হাত থেকে রক্ষা করছে। বৃহস্পতিগ্রহের আরেকটি গুরুত্¦পূর্ন কাজের কথা উল্লেখ করেন নক্ষত্রবিদ জর্জ ওয়েদারহিল তার How Special Jupiter Is” আর্টিকেলে তিনি বলেন “Without a large planet positioned precisely where Jupiter is, the earth would have been struck a thousand times more frequently in the past by comets and meteors and other interplanetary debris. If it were not for Jupiter, we wouldn't be around to study the origin of the solar system.” এই সৌরজগতের সৃষ্টিশীলতা দীর্ঘস্থায়ীত্ব এখন প্রশ্ন সাপেক্ষ। আধুনিক বিজ্ঞান গবেষনা করে পাচ্ছেন যে এই সৌরজগত এর প্রতিটি বস্তু এর অবস্থান ভর এতটাই সুক্ষ এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ করে নির্মিত। এ্ই পৃথিবীর প্রাণ সৃষ্টিতে সৌরজগতের প্রতিটি গ্রহ উপগ্রহের অবস্থান ছিলো পারফেক্ট এবং নিয়ন্ত্রিত যদি কোন কারনে সৌরজগতের কোন গ্রহ উপগ্রহের অবস্থান একটু পরিবর্তিত হতো তবে প্রাণ সৃষ্টি হওয়া অসম্ভব হয়ে যেতো। আমাদের পৃথিবী এবং এর উপগ্রহ চন্দ্রের মধ্যে যে সৌর ব্যবস্থা বিদ্যমান তা সৌরজগতের ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমীকা পালন করছে। এই দুটির অনুপস্থিতে বৃহস্পতি গ্রহের আকর্ষন শক্তি শুক্র ও বুধ গ্রহের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করত। এই অধার্কষণ শক্তি শুক্র ও বুধ দুটি গ্রহের মধ্যে দুরত্ব ক্রমান্¦য়ে কমিয়ে আনত। ফলে একসময় বুধ সৌরজগত হতে ছিটকে যেতো শুক্রগ্রহের কক্ষপথ পরিবর্তিত হতো। The Astronomical Journal এর ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাসের সঙ্কলনে বলা হয় Our basic finding is nevertheless an indication of the need for some sort of rudimentary "design" in the solar system to ensure long-term stability” আল কোরআন বলে “ তিনি তোমাদের কল্যাণের জন্য রাত ও দিন ও সূর্য এবং চন্দ্রকে বশীভূত করে রেখেছেন।এবং সমস্ত তারকাও তারই হুকুমে বশীভূত রয়েছে। যারা বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগায় তাদের জন্য রয়েছে এর মধ্যে প্রচুর নিদর্শন। (আল নাহল-১২)
সূর্য সহ মহাজাগতিক সৌরজগত একটি গতিতে ঘুরছে। এই পরিক্রমনের গতিটিও একটি পারফেক্সনেস মেনে সুক্ষ হিসাবের আওতায় গতিশীল। যদি এই গতিটি একটু এদিক ওদিক হতো তবে এই পৃথিবীর মধ্যে কোন ভাবেই প্রাণ উতপাদন হতো না।
বিগব্যাং এর পর থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টির প্রতিটি পর্যায়ে এক পরিকল্পনাকারীর সুষ্ঠ পরিকল্পনার দ্বারা এই মহাাবিশ্ব নিয়ন্ত্রিত। প্রতিটি পদক্ষেপই একটি নিয়ম দ্বারা নির্ধারিত। সৃষ্টির শুরু থেকে একটি উদ্দেশ্য ছিলো প্রাণীজগত এবং মানুষ। এবং এই মানুষ সৃষ্টির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের কারনে সৃষ্টিকূলে এতটা সুশৃংখলা নির্ধারিত রয়েছে। যদি মানুষ সৃষ্টিই ¯্রষ্টার উদ্্েদশ্য না হতো তবে প্রতিটি ক্ষেত্র্ইে এতটা সুক্ষ সমন্ময় থাকতো না। সুগভীর পরিকল্পনার ছাপ এতটা প্রকট আকারে দেখা দিতো না। গুরুত্বপূর্ন বিষয় হচ্ছে বিগব্যাাংগ এর সৃষ্টি হয়েছে একটি বাসযোাগ্য পৃথিবীর জন্য, যা মানুষের বসবাসের উপযোগী। বর্তমানের আধুনিক বিজ্ঞান প্রমান করতে সক্ষম হয়েছে যে বিগব্যাংগ বা মহাবিস্ফোরনটিও ছিলো হিসেবের নিত্যতা এবং সুক্ষসমন্ময় দ্বারা গড়া একটি মহত পরিকল্পনা। বিগব্যাংগ ঘটেছিলো একটি নির্দীষ্ট গতিতে। বিগব্যা্গং ঘটার পরে মহাবিশ্বটি সম্প্রসারিত হতে থাকে। ষ্ট্যার্ন্ডাড বিগব্যা্গং মডেল অনুসাওে এক মহাক্ষুদ্র আদি ঘনায়িত শক্তি পিন্ড মহাগর্জন করে এক মহাবিস্ফোরনের মাধ্যমে ১০-৪৩ সেকেন্ড সময়কালে সৃষ্টি করে এই মহাবিশ্ব। সৃষ্টির সময় মহাবিশ্ব ১০-৩২ শ কেলভিন উত্তপ্ত অবস্থায় ছিলো। অকল্পনীয় শক্তির ঘনায়নে থাকা অবস্থায় এক মহাবিস্ফোরনের সাথে সাথে আশ্চার্য রকম গতিতে মহাসম্প্রসারন হতে শুরু করে। যা আজো পযর্ন্ত সেই মহাসম্প্রসারন চলছে। সেই মহাসম্্প্রসারনটি একটি নির্দীষ্ট গতিতে ঘটেছে বলেই চরম উত্তÍপ্ত মহাবিশ্বটি গ্যালাক্সি, নক্ষত্র গ্রহ পৃথিবী সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়। যে গতিতে মহাবিশ্বটি সম্প্রসারিত হয়েছে তা পারফেক্ট ছিলো বলেই মহাবিশ্ব, পৃথিবী এবং মানুষ সৃষ্টি হতে পেরেছে।
বিশিষ্ট পর্দাথবিজ্ঞানী পল ডেভিস বিগব্যাংগের পর মহাবিশ্ব যে গতিতে সম্পসারিত হচ্ছে তা নিয়ে চমকপ্রদ এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার মতে সম্প্রসারনের গতিটি ১০০% পারফেক্ট ছিলো। তার হিসাবমেেত সেই গতিবেগের কোটি ভাগের ১ ভাগ যদি কম বেশি হতো তবে এই (habitable universe) বাসযোগ্য বিশ্বজগত সৃষ্টি হতো না। এ প্রসঙ্গে পল ডেভিস বলেন “ সুক্ষভাবে হিসেব-নিকেশ করে দেখা যাচ্ছে যে বিগব্যাং এর পর বিশ্বজগতের সম্প্রসারনের গতির মাত্রা ছিলো ঠিক ততোটুক্ইু যে মাত্রায় সম্প্রসারিত হওয়া শুরু করলে বিশ্বজগত তার নিজস্ব মাধ্যাকর্ষন-শক্তির কবল থেকে মুক্ত হয়ে অনন্তকালের জন্য সুশৃংখলভাবে ম্প্রসারিত হতে পারে। সম্প্রসারণের গতিবেগ সামান্যতম কম হলে এ বিশ্¦জগত ধ্বংশ হয়ে যেতো। আবার গতিবেগ সামান্যতম বেশি হলেও বিশ্বজগতেরর সবকিছু বহু আগেই বিশৃংখলভাবে ছড়িযে ছিটিয়ে অদৃশ্য হয়ে যেতো।,,,,,,,, স্পষ্টতই বিগ ব্যাং কোনো সাধারণ বিস্ফোরন ছিলো নাা, ছিলো সুক্ষভাবে পরিকল্পিত একটি বিশাল - W.R.Bird, The Origin of Species Revisited, Nashville: Thomas Nelson, 1991; originally published by Philosophical Library in 1987, p.405-406) পল ডেভিসের ভাষায় “সাধারন বিস্ফোরন ছিলো না, ছিলো সুক্ষভাবে পরিকল্পিত একটি বিশাল বিস্ফোরন” বলতে কি বুঝিয়েছিলেন? আসলে পাঠক বিস্ফোরনের গতিবেগের ্উপরই নির্ভর করেছিলো সম্প্রসারনের গতিবেগের হার। বিস্ফোরনের গতিবেগ যদি কম হতো তবে সম্প্রসারণের হার হতো কম গতিতে ফলে আইনষ্টাইনের রিলেটিভিটি সুত্র অনুযায়ী মহার্কষ আকর্ষনের কারনে বস্তু সমূহ সম্প্রসারিত হতে থাকলেও সৌরজগতের নির্মানের আগেই পুরো মহাবিশ্ব পূনরায় আবার সংকুচিত হয়ে মিশে যেতো। আর যদি বিস্ফোরনের গতিবেগ বেশি হতো তবে সমস্ত কিছু এলোপাথালি ভাবে ছড়িযে ছিটিয়ে যেতো। অতিরিক্ত সম্প্রসারণের কারনে বস্তুকনাগুলো একে অপরকে আকর্ষন করে সৌর জগত, তারকারাজি, ছায়াপথ এসব গড়ে উঠার সুযোাগ পেত না। এ্ই সকল বিভিন্œ প্রাপ্ত তথ্য থেকে এতটুকু নিশ্চিত হওয়া যায় যে এই সম্প্রসারনের হার ঠিক ততটুক্ইু যতটুকু হলে মহাবিশ্ব নিজের মহাকর্ষ আকর্ষন শক্তি অতিক্রম করতে পারে। আর এই কারনেই পল ডেভিস বলেছেন মহাাবিশ্ব একটি পরিকল্পনার ফসল। এটাকে সৃষ্টি করা হয়েছে হঠাত ঘটে যাওয়া কোন ঘটনার ফল নয়।
“(বিগ ব্যাং-এর পর) বিশ্বজগত সম্প্রসারিত হতে শুরু করেছিলো ক্রিটিক্যাল মাত্রার (critical rate of expansion) খুবই কাছাকাছি গতিতে। ঠিক ওই মাত্রায় সম্প্রসারিত হওয়া শুরু করেছিলো বিধায়, বিশ্বজগত শুরুতেই ধ্বংস হয়ে যাবার পরিবর্তে সুশৃঙ্খলভাবে সম্প্রসারিত হতে শুরু করে। আজো—বিগ ব্যাং-এর দশ হাজার মিলিয়ন বছর পরেও—বিশ্বজগত সম্প্রসারিত হচ্ছে ক্রিটিক্যাল গতির কাছাকাছি গতিতেই। প্রশ্ন হচ্ছে: কেন? কেন এ-বিশ্বজগত ওই গতিতে সম্প্রসারিত হতে শুরু করেছিলো? যদি, বিগ ব্যাং-এর এক সেকেন্ড পরে সম্প্রসারণের মাত্রা কোটি কোটি কোটি ভাগের একভাগও কম হতো, তবে আমাদের এ-বিশ্বজগত বর্তমান অবস্থায় পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস হয়ে যেত!”-(দেখুন: Stephen W Hawking, A Brief History of Time, Bantam Books, April, 1988, p.121) পল ডেভিস বলছেন: “এমন ধারণা মনে স্থান দেয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখা খুবই কঠিন যে, বিশ্বজগতের বিদ্যমান কাঠামো—যা কিনা ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম পরিবর্তনের ব্যাপারেও স্পর্শকাতর—যত্নের সঙ্গে চিন্তা-ভাবনা করেই অস্তিত্বে আনা হয়েছে …।”-(দেখুন: Paul Davies, God and the New Physics, New York: Simon & Schuster, 1983, p.189) একই ধরনের সিদ্ধান্তে উপনীত হতে দেখা যায় জর্জ গ্রিনস্টেইনকেও (George Greenstein)। আমেরিকার এই জ্যোতির্বিদ প্রফেসর তার The Symbiotic Universe নামক গ্রন্থে বলছেন: “(বিশ্বজগতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা) বিভিন্ন সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করবার পর, তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের মনে যে-চিন্তার উদয় হয় তা হচ্ছে: (বিশ্বজগত সৃষ্টির পেছনে) নিশ্চয়ই কিছু অতিপ্রাকৃতিক এজেন্সির (some supernatural agencies)—বা মাত্র একটি এজেন্সির—হাত আছে।”-(দেখুন: Hugh Ross, The Fingerprint of God, 2nd ed., Orange, CA: Promise Publishing Co., 1991, p.114-115) আর আল কোরআন বলে “তিনিই সপ্ত আকাশকে সুসমঞ্জস ভাবে বিন্যস্ত করে সৃষ্টি করেছেন! মমতাবানের সৃজন ক্রিয়ায় তুমি লেশমাত্র ত্রুটি খুঁজে পাবে না। আবার তাকিয়ে দেখ! কোনো ত্রুটির সন্ধান পাচ্ছ কি? বারবার তাকিয়ে দেখ! প্রতিবার তোমার দৃষ্টি তোমার উপরই নিপতিত হবে—হতবিহ্বল হয়ে, পূর্ণভাবে পর্যুদস্ত হয়ে।” 67:3-4)
পর্ব - ২
আগামীতে ৩য় পর্ব প্রকাশিত হবে....।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১ম পর্বটি পড়ুন।
http://www.somewhereinblog.net/blog/islamlablu/30166546
২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৬
সেলিম৮৩ বলেছেন: এর পরও অবিশ্বাসীরা বলবে, অাপনার কথা ঠিক অাছে; কিন্তু অামারা ঈমান অানবোনা।
ওরা কেয়ামতের ময়দানে বলবে, অামাদের অাবার দুনিয়ায় পাঠাও, ভালো কাজ করে অাসবো। অামরা বুঝতে পারেনি।
অাল্লাহপাক ভালই জানেন, এরা চরম মিথ্যাবাদী, এদের অাবার যদি দুনিয়ায় পাঠাতাম তবে ঐ একই কাজ করে অাসবে।
ভাই, অাপনার পোষ্ট ঈমানদারদের ঈমানকে অারো মজবুত করবে। পক্ষান্তরে, অবিশ্বাসী, বেঈমান, নাস্তিকরা অহংকার প্রদর্শন করে নানা রকম ত্যনাপ্যাচানো শুরু করবে।
একটু পরেই অাপনার ব্লগে এই কপালপোড়াদের অহংকারের বহিঃপ্রকাশ দেখতে পাবেন।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। নাস্তিকদের ত্যানাপ্যাচানো প্রথম পর্ব থেকেই চলছে। আমিও প্রস্তুত আছি। মোক্ষম জবাব দেওয়ার জন্য আমি তৈরী। আল্লাহ ভরসা। ১ম পর্বটি পড়ুন।
http://www.somewhereinblog.net/blog/islamlablu/30166546
৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪
মিঃ বলদ বলেছেন: দারুণ পোষ্ট। এই পোষ্ট নুপেল পাওয়ার যোগ্য!
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। বুঝলাম না আপনি ভালো বললেন না গালি দিলেন?
১ম পর্বটি পড়ুন।
http://www.somewhereinblog.net/blog/islamlablu/30166546
৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৩৭
কানিজ রিনা বলেছেন: ধুর বলদা, আপনি একজন দারুন গরু,
এই লেখাটায় নোবেল প্রাপ্ত বিজ্ঞানীদের
তত্থই তুলে ধরা হয়েছে। কোরআন বিজ্ঞান
সম্পর্কীত মহাবিশ্ব সৃষ্টির যথপযুগী প্রমানিত
জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞানী ডাক্তার সমশের আলির তত্থও
মিলে যায়। ঠিক একই ভাবে। অসংখ্য
ধন্যবাদ।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। বুঝলাম না আপনি ভালো বললেন না গালি দিলেন?
১ম পর্বটি পড়ুন।
http://www.somewhereinblog.net/blog/islamlablu/30166546
৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৪:০৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনার আগের পোষ্টে কমেন্টের জবাবের সাথে বর্তমান পোষ্টের ভাষা পরষ্পর বিরোধী।
আপনি বলছেন মহাাবিশ্বের সবকিছু একটি নিখুত পরিকল্পনার ফসল। ১০০% পারফেক্ট।
আর ব্লগার নতুন যখন ত্রুটিগুলো চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল,
লক্ষ কোটি স্পার্ম থেকে ১টা স্পামে` মানুষ জন্মায় সেটা কোন নিয়ন্ত্রিত ঘটনা না...
পুরুষের লক্ষকোটি স্পাম` থাকালেও কোটি মানুষ সন্তান হয় না। কোটি সন্তান ভ্রুনতেই নস্ট হয়ে যায়, কোটি সন্তান মায়ের পেটেই মারা যায়, কোটি জন্মাের সময় মারা যায়.. কোটি মানুষ বিকলাঙ্গ হয়... ভাগ্যবান ভ্রুনটিও ভিন্ন ত্রুটির নিয়ে জন্ম হয়। এটা কখনোই ডিভাইন ডিজাইন নয়। .... এটা নিয়ন্ত্রিত তো নয়ই .... এটা কোটি বার চেস্টার ফল....
তখন আপনি পাস কাটিয়ে বলেন - "ঐ স্পামটা ওভাবেই পুর্ব নির্ধারিত ছিলো"
এখন কাহিনী সুরু করেছেন মহাাবিশ্বের সবকিছু নিখুত। ১০০% পারফেক্ট।
এখুনি এক ডজন খুত দেখিয়ে দিলেও বলবেন "ওসব ওভাবেই পুর্ব নির্ধারিত ছিলো"
তাহলে আপনার সাথে তর্ক করে কি লাভ?
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:১৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধরুন বাংলাদেশের বিখ্যাত এক বিস্কুট ফ্যাক্টরীতে বিস্কুট উৎপাদন হয়। লক্ষ লক্ষ বিস্কুট তৈরী হচ্ছে সেখানেও উতপাদন কালে একটা দুইটি নষ্ট হয়ে যায়। তাহলে একটা দুইটি ভ্রুন নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারনে আপনি সকল সিষ্টেমটাকেই বাতিল বলেন কেনো? টোটালটাকেই ধরেন না কেনো?
একজন রিক্সা্ওয়ালা কেনো রিক্সাওয়ালা হলো? কেনো সে কোটিপতি হতে পাইলো না। আপনি হয়তো বলবেন রিক্সাওয়ালাটি কোটিপতি হতে চেষ্টা করে নি। আবার প্রশ্ন আসে কেনো সে কোটিপতি হবার চেষ্টা করলো না? আপনি হয়তো বলবেন কোটিপতি হবার ইচ্ছা ছিলো না।.......। যদি তাই হয় তাহলে বলতে হয় সকলে এক রকম নয়। মানুষের মধ্যে পার্থক্য থাক্
তাহলে আমি বলবো লক্ষ কোটি স্পার্ম থেকে একটি স্পার্ম এ কেনো শিশু জন্ম নিলো? অন্যেরা ব্যর্থ্ হলো কোনো? সকলে তো একই রকম ছিলো। আসলে সকলে একউ রকম ছিলো না। যে্ই স্পামটি যোগ্য ছিলো সেই জাইগোট রুপে সন্তান রুপে সৃষ্টি হযে থাকে। ঐ লক্ষ কোটি স্পাম এর মধ্যেে একটিকে কে নির্ধারণ করে? কেনো সে নির্ধারিত হয়? তাহলে এটা মেনে নিতে হয়। ঐ স্পামটা নির্ধারিত ছিলো আর আরেকভাবে বললে যোগ্য ছিলো? তাহলে আমার প্রশ্ন ঐ স্পামটি যোগ্য কেনো হলো? অন্যেরা কেনো যোগ্য হলো না?
ভাইজান আর দৌড়ায়েন না। একটু থামেন। শিশু উতপাদেনের গভিরের বিষয়টি আপনার জানা উচিত। আসলে একটি স্পামকে সৃষ্টি করা হয়ে থাকে।
MEIOSIS বিভাজনের মাধ্যমে CHROMOSOME এর গুনাগুন শুধু মাত্র অঙ্কুরিত ব্যক্তিটা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকেনা বরং এটা বংশানুক্রমিক ভাবে ও বংশধরদের মধ্য দিয়ে ও গড়াতে থাকে। MEIOSIS এর কারখানার মধ্যেই সিদ্ধান্ত এসে যায় পিতৃ-মাতৃ প্রজনন কোষ হতে উৎপন্ন ব্যক্তিটির গুনাগুন কিরুপ হইবে।
এই কারখানার মধ্য দিয়েই বাছাই হতে থাকে ৭০ ট্রিলিয়ন ধরনের বিভিন্ন গুনাবলী সম্বলিত GENETICS MATERIALS এর CHROMOSOME এর মধ্য হতে কোন গুনাবলী সম্বলীত GENETICS MATERIALS এর CHROMSOME টি উৎপন্ন ব্যক্তিটির ভাগে পড়তে চলেছে। হ্যাঁ এটা বড় মারাত্মক ব্যাপার ই বটে। এই কারখানার মধ্য দিয়েই নিরুপিত হয়ে যায় উৎপন্ন ব্যক্তিটি একজন আইনষ্টাইন আসতেছে নাকি একটা উন্মাদ আসতেছে। এই কারখানার মধ্য দিয়েই জীব জগতের বৈশিষ্টের বৈচিত্রতা প্রকাশিত হয় ও এর মধ্য দিয়েই DNA এর GENETICS MATERIALS এর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে প্রানী জগতের বংশ ধারার মধ্যে বিবর্তন ধারাও চলতে থাকে। অদ্ভুত ব্যাপার হল এগুলী সবই আমাদেরই ব্যাপার বটে কিন্তু এটা আমাদের হস্তক্ষেপ বা নিয়ন্ত্রনের একেবারেই বাইরে, এবং সম্পূর্ণ দৃষ্টির বাইরে এক অদৃশ্য জগতের কারখানা। আমরা যেন সেখান থেকে কোন এক অদৃশ্য হস্তের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ।
মেনে নিতে হবে আপনাকে। আজ হোক আর কাল। আর একই সন্তানের দুটি সন্তান কেউ কোটিপতি হলো আর কেউ কেরানী হলো? কেনো? কারন দুজনে এক রকম নয়? ঠিক তেমনি স্পাম গুলো এক রকম নয়। তার মধ্যে যে যোগ্য সেই মানুণ হয়। স্পামের সেই যোগ্যতা কে তাকে দিলো যে সে লক্ষকোচি স্পামের মধ্যে উেইন করলো।
ধনী গরীব কেনো হয়ে সুস্থ বা বিবলাঙ্গ কেনো হয়ে থাকে সে সকল প্রশ্ন জান তে গেলে আপনাকে ইসলামমের সুশীতল ছায়াতলে প্রবেশ করতে হবে। হিম শীতল আত্মাকে নিয়ে মারেফতের গভীরে গেলে আপনি বুঝবেন বিকলাঙ্গ শিশু, সুস্থ শিশু কেনো হয়? কেনো ধনী হয়ে থাকে আর কেনো গরীব হয়ে থাকে। সকল প্রশ্নের উত্তর ব্লগে দেওয়া যায় না।
প্রকৃতি একটি সিনেমা। এবং এই সিনেমায় আমরা একজন অভিনেতা এবং দর্শক।
৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:৫০
কেমিক্যাল রিয়াদ বলেছেন: ১। সৃষ্টিকর্তা আছে না নাই - সেই প্রশ্ন পরে আসবে, আসল প্রশ্ন হচ্ছে - ধর্মগুলো সত্য নাকি মিথ্যা ? ইসলাম ধর্মে এত বেশি কন্ট্রাডিকশান বিদ্যমান যে তা জানার পর কোন সুস্থ মস্তিষ্কের লোক এই ধর্মে বিশ্বাস করতে পারে না । আমার হিসাবে সেরা কন্ট্রাডিকশানগুলো হচ্ছেঃ আসমা বিনতে মারওয়া, বানু কুরাইজা, গনিমতের মাল, সাফিয়া ইত্যাদি ।
২। এক কালে মানুষ মনে করত সবকিছু আমাদের জন্যই সৃষ্টি, সব গ্রহ নক্ষত্র আমাদের কেন্দ্র করে ঘুরছে । এখন যদি কেউ একইরকম মনে করে তাহলে তাকে বলতেই হয় - No you are not in the center of the universe. মানুষ একটি ক্ষুদ্র গ্রহে অতি ক্ষুদ্র প্রাণের স্পন্দন - মহাবিশ্বের ক্রিয়া দেখলে এমনটাই মনে হয় ।
৩। "আমি নিজেকে কিছুতেই বোঝাতে পারি না একজন মহাপরক্রমাশিল সৃষ্টিকর্তা তার সুনিয়ন্ত্রিত ও সুপরিকল্পিত কর্মের মাধ্যমে এমন অণুজীব তৈরি করেছেন যা জীবন্ত শুঁয়োপোকার ঘারে বসে তাকেই কামরে খায় । " - চার্লস ডারইন । এই কথাটির তাৎপর্য কতটুকু এবং কি পরিমান গ্যান ও গভীর উপলব্দি থাকলে এই ধরনের কথা বলা সম্ভব তা আপনার বোঝা উচিত ।
৪। সব ধর্মই একটি জায়গায় গিয়ে থেমে যায় - সৃষ্টিকর্তাকে কে বানিয়েছেন । ইসলাম ধর্মে এর অনেকগুলো উত্তর আছে । ছোটদের জন্য উত্তর - "এই কথা বললে ঈমান থাকবে না।" বড়দের জন্য - "আপনাকে শুরুতেই এটা ধরে নিতে হবে যে সৃষ্টিকর্তা কোন সৃষ্টি নন ।" ভাল । এবার আপনি বলুন - ডিম আগে নাকি মুরগি আগে ? ডিম আগে কারন দুটি বস্তুর কোনটিকে যদি আগে আসতেই হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই জটিলতর জিনিস পরে আসবে । Less complex thing comes first. যে কাঠমিস্ত্রি চেয়ার বানিয়েছেন তার মস্তিষ্ক অবশ্যই সেই চেয়ারের থেকে অধিক কমপ্লেক্স । আমরা এমন কিছু বানাতে পারব না যা আমাদের মস্তিষ্ক বা কনশাসনেসের চেয়ে বেশি কমপ্লেক্স । তাহলে এই মহাবিশ্বের ক্রিয়া প্রক্রিয়া ও সৃষ্টিতত্ত্ব যতটা না জটিল নিসন্দেহে তার চেয়ে অধিক জটিল সৃষ্টিকর্তার কনশাসনেস । আমাদের আগে ভেবে দেখা উচিত ঐ কনশাসনেস কোথেকে এল ? মহাবিশ্ব এমনি এমনি হতে না পারলে এই জটিল শাশ্বত কনশাসনেস কিভাবে কোন কারন ছাড়াই সর্বদা বিরাজমান ? বুঝতেই পারছেন আমার কাছে সৃষ্টিকর্তার ধারনা কতটা অগ্রহণযোগ্য । "You just got the universe in free" এবং "একজন infinite complexity'র মহান সত্তা চিরকাল বিরাজমান ছিল ও থাকবে" - এই দুটি কথার মধ্যে প্রথমটি সন্দেহাতীতভাবে কম গাঁজাখুরি মনে হয় আমার কাছে ।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি বাচ্চা শিশুর মতোন কথা বলছেন। আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন আমি মনে করি না! তবে গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নের উত্তর আমি দিবো।
"আমি নিজেকে কিছুতেই বোঝাতে পারি না একজন মহাপরক্রমাশিল সৃষ্টিকর্তা তার সুনিয়ন্ত্রিত ও সুপরিকল্পিত কর্মের মাধ্যমে এমন অণুজীব তৈরি করেছেন যা জীবন্ত শুঁয়োপোকার ঘারে বসে তাকেই কামরে খায় । " - চার্লস ডারইন ।
“একসময় ভাবা হত মানব জেনোমের ৯৮% কোন কাজের না, মানে ফালতু মাল (junk DNA or junk element)। এই ৯৮ সংখ্যা টা এসেছে ডিএনএ’র যেই অংশ প্রোটিন তৈরি করতে পারেনা তার পরিমান থেকে। আমরা যদি সম্পূর্ণ ডিএনএ কে একটা বড় সুতার মত ধরি, তবে সুতার কিছু অংশ থেকে প্রোটিন তৈরি হবে আর বেশিরভাগ অংশ থেকে হবেনা। ডিএনএ’র যেই অংশ প্রোটিন তৈরি করে তাকে বলে জিন, বা প্রোটিন কোডিং ডিএনএ। এই অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারন প্রোটিন তৈরি না হলে কিছুই করতে পারতোনা কোন জীব, এমনকি একটি কোষ। তাহলে মানুষের এই ৯৮% নন-কোডিং ডিএনএ’র কি কোন কাজ নাই?
সম্প্রতি দেখা গেছে এই নন-কোডিং ডিএনএ গুলো অনেকাংশই অনেকগুলি প্রাণীতে সংরক্ষিত। ভ্রূণ থেকে আমাদের হাতের আঙুল তৈরির সময় একটা রেগুলেটরি জিন গুচ্ছ কাজ করে, যার নাম হক্স ডি (HoxD)। এই হক্স ডি জিনগুলির এক্সপ্রেশান নির্ভর করে নন-কোডিং ডিএনএ সিকোয়েন্সের উপর। দেখা গেছে এই নন-কোডিং ডিএনএ সিকোয়েন্সগুলির কয়েকটির মিল সরীসৃপের সিয়োন্সের সঙ্গেও আছে (স্তন্যপায়ীর কথা বাদই দিলাম)। এই এলাকার নন-কোডিং ডিএনএ’র কোন সমস্যা বিকৃত আঙুল তৈরি করবে।”
ভাইজান এখন আমাদের বিজ্ঞান স্বীকার করে নন কোডিং ডিএনএর সিকোয়েন্স এর উপর ডিপেন্ড করছে কোডিং ডিএনএর কার্যক্রম। ভাইজান মহাবিশ্বের সমস্ত বস্তুই একটি ভারসাম্য এর উপর দাড়িয়ে আছে। এই মানুষ উৎপাদিত হবার জন্য মহাবিশ্বকে অনেকগুলো পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। এইযে শুয়োপোকা বা তার সৃষ্টিকে আপনি বা আপনার ডারউইন অবহেলা করছেন যা সত্যিই দুঃখজনক। এই শুয়োপোকা অবশ্যই সৃষ্টির ভারসাম্য রক্ষায় প্রয়োজন। আল কোরআন বলে“ উহারা যে জ্ঞান অর্জন করে নাই তাহা অস্বীকার করে”।
এখন আসুন চোখ রাখি প্রজাপতির সৃষ্টি-প্রক্রিয়ার দিকে। এক্ষেত্রে ডিম ফুটে প্রথমে বের হয় শুঁয়াপোকা (caterpillar)। এরা প্রথমে গাছের যে-কোনো একটি নিরাপদ ডাল বেছে নেয়। এরপর গাছের ডালের সঙ্গে নিজেদের বেধে রাখে ওই একই রকমের সূতার মতো আঠালো পদার্থ ব্যবহার করে! এই শুঁয়াপোকাই পরিবর্তিত হয়ে পরে পূর্র্ণাঙ্গ প্রজাপতি হয়। তবে, এই পরিবর্তন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবার সময়, শুঁয়াপোকাগুলো নিজেদের শরীর থেকে নিঃসৃত সূতার মতো আঠালো পদার্থ দিয়ে, নিজেদের শরীরের চারিপাশে কোকুন (cocoon) সৃষ্টি করে। কোকুন সৃষ্টির গোটা প্রক্রিয়াটি শেষ করতে এরা সময় নেয় তিন থেকে চারদিন। এ-সময়ে প্রতিটি শুঁয়াপোকা হাজার হাজার ডিগবাজী খায় (কোকুন সৃষ্টির খাতিরে) এবং গড়ে নয়শত থেকে দেড় হাজার মিটার লম্বা আঠালো সূতা উৎপাদন করে–(সূত্র: Larousse Dictionary and Encyclopedia, vol.П, p.5734)। এই কোকুনের ভেতরে থেকেই শুঁয়াপোকা রূপান্তর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রজাপতিতে পরিণত হয়।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে: মা গুঁটিপোকা তার নিজের ডিমগুলোকে সংরক্ষণ করবার কৌশল কোথা থেকে শিখলো? ছোট্ট শুঁয়াপোকাই বা কীভাবে জানলো যে, তাকে গাছের ডালের সঙ্গে নিজেকে বেধে রাখতে হবে এবং নিজের শরীরের চারপাশে কোকুন সৃষ্টি করতে হবে?
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: “…যুলুম ও ঔদ্ধত্যের কারণে তারা তা মানতে অস্বীকার করে, যদিও তাদের অন্তর (এ-সত্যকে) গ্রহণ করে নিয়েছিল…”–(সুরা আন-নামল; আয়াত-১৪)।
“সব ধর্মই একটি জায়গায় গিয়ে থেমে যায় - সৃষ্টিকর্তাকে কে বানিয়েছেন । ইসলাম ধর্মে এর অনেক গুলো উত্তর আছে । ছোটদের জন্য উত্তর - "এই কথা বললে ঈমান থাকবে না।" বড়দের জন্য - "আপনাকে শুরুতেই এটা ধরে নিতে হবে যে সৃষ্টিকর্তা কোন সৃষ্টি নন ।-----------------------মহাবিশ্বের ক্রিয়া প্রক্রিয়া ও সৃষ্টিতত্ত্ব যতটা না জটিল নিসন্দেহে তার চেয়ে অধিক জটিল সৃষ্টিকর্তার কনশাসনেস । আমাদের আগে ভেবে দেখা উচিত ঐ কনশাসনেস কোথেকে এল ? মহাবিশ্ব এমনি এমনি হতে না পারলে এই জটিল শাশ্বত কনশাসনেস কিভাবে কোন কারন ছাড়াই সর্বদা বিরাজমান ?"
আমি তো আপনাকে পূবেই বলেছি আপনি ছোট্ট বাচ্চা শিশুর মতো কথা বলেন!আমি যদি অাপনাকে প্রশ্ন করি উত্তর মেরুর পিছেনে কোন মেরু আছে? আপনি অবশ্যই বলবেন উত্তর মেরুর পিছনে উত্তর মেরুই রয়েছে। বোকার মতো প্রশ্ন? প্রতিটি বিষয়ের চুড়ান্ত শেষ আছে।আপনি কি বলতে চান আমরা যারা আছি আমাদের মৃত্যুর মধ্যে দিয়েই সব শেষ হয়ে যায়? ভাইজান আপনি ডারউইন যুগের মতো কথা বলছেন এখন বিজ্ঞান অনেক আপডেট। ভাইজান আমাদের মৃত্যুর পর সব শেষ হয়ে যায় না এনার্জি রুপে কিছুটা প্রকৃতির মাঝেই থেকে যাই। মহাবিশ্ব ধ্বংশের পর কি সব শেষ হয়ে যায় না মহাবিশ্ব শুন্য পরিমান এনার্জিতে পরিনত হয়ে যায়। এবং সেই এনার্জি আগামী মহাবিশ্ব বানানোর প্রক্রিয়া হয়ে দাড়ায়। এসকল আমার কথা নয়? আধুনিক বিজ্ঞান ও আল কোরআনের কথা।আন্দ্রে লিন্ডের ভাষায় “The fourth problem deals with the timing of the expansion. In its standard form, the big bang theory assumes that all parts of the universe began expanding simultaneously. But how could all the different parts of the universe synchronize the beginning of their expansion? Who gave the command?” আন্দ্রে লিন্দের এই প্রশ্ন আমাদের নতুন এক চিন্তার সম্মুখিন করে তোলে। মহাবিশ্ব সৃষ্টির জন্য একটি আদেশ এর প্রয়োজন ছিলো। সুক্ষ সমন্ময় এর জন্য প্রয়োজন ছিলো এই আদেশ। নইলে এতটা সুক্ষভাবে মহাবিশ্ব সকল দিক দিয়ে সমানভাবে সম্প্রসারিত হতে পারে না। অতএব একটি কমান্ডিং প্রকিয়া এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির মূল কারন। যদি কমান্ডিং প্রক্রিয়ার কথা ভাবতে হয় সেক্ষেত্রে মহাবিশ্ব এর বাইরে অবস্থিত বিশাল শুন্যতায় মাঝে অতিলৌকিকিক কোন চেতনার উপস্থিতি আমাদের স্বীকার করতে হবে। যার কমান্ডিং সিষ্টেম কোয়াস্টাম দ্যেদুল্যময়তা সৃষ্টি করে। হয়তো আমরা সেই চেতন সত্ত্বাকে উপলদ্ধি করতে পারছি না বলেই তার অস্তিত্ব স্বীকার করি না। “তাহারা যে বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে নাই –তাহা অস্বীকার করে”( আল কোরআন 10:39)। একটি কমান্ড একটি পরিকল্পনা মহাবিশ্ব নির্মানের উপযুক্ত কারন। “সেই মহান সত্ত্বা আকাশসমূহ ও পৃথিবী সমূহকে সৃষ্টি করিয়াছেন অতি সুক্ষ সমতায়। তিনি যখন আদেশ করেন হও, অমনি হয়ে যায়।(৬.৭৩)
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:০০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বিশিষ্ট বিজ্ঞানী শন ক্যারল লস এ্যাঞ্জেলস টাইমস্ এর সাথে একটি সাক্ষাতকারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছিলেন। তিনি বলে ছিলেন- আপনি যদি বিশ্বাস করে নেন যে মহাবিস্ফোরনের মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে এবং এর আগে কিছুই ছিলো না, তাহলে সমস্যাটা ব্যাক্ষা করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। পর্দাথবিজ্ঞানে এমন কোন সুত্র নেই যাতে বলা হয়েছে, মহাবিশ্বকে নিম্ন এনট্রপি থেকে শুরু হতে হবে এবং ধীরে ধীরে এনট্রপির পরিমান বাড়তে থাকবে। কিন্তু বাস্তবে মহাবিশ্ব এমন আচরনই করেছে। আমার অনেক স্মার্ট কলিগ ঠিক এ কথাটাই বলেন। তারা বলেন “তুমি এটা নিয়ে কেনো চিন্তা করছ? আদি মহাবিশ্ব ছোট ছিলো এবং তার এনট্রপি ছিলো খুব কম, এটাই তো সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত”। কিন্তু আমি এটা মনে করি এটা এক ধরনের প্রেজুডিস। আমাদের মহাবিশ্বে বিষয়টা এরকম, এ কারনে আমরা মনে করি এটাই প্রাকৃতিক তথা স্বাভাবিক, অন্য কথায় এটাই প্রকৃতির নিয়ম। হ্যা, পর্দাথবিজ্ঞানের বর্তমান সুত্রগুলো দিয়ে এর ব্যাক্ষা করা সম্ভব না। কিন্তু আমি বলতে চাচ্ছি, বিষয়টা ধ্রুব সত্য বলে মেনে নেওয়া উচিত নয়। এক প্যাকেট কার্ড নিয়ে প্যাকেট থেকে সেগুলো বের করলে হয়তো দেখা যাবে, সবগুলো ক্রমান্ময়ে সাজানো আছে। কিন্তু, এক প্যাকেট কার্ড থেকে দৈবভাবে কিছু কার্ড নিলে এটাই স্বাভাবিক যে, সেগুলো অগোছালো হবে। নিম্ন এনট্রপির সাথে উচ্চ এনট্রপির সংর্ঘষটাও এখানে। কার্ডেও প্যাকেট খুললে সবগুলো কার্ড সাজানো অবস্থায় দেখা যায়। এটা দেখে আপনি আশ্চার্যান্বিত হন না। কারন এটা নয় যে, সাজানো অবস্থায় থাকাই স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক। বরং মূল কারন হচ্ছে, কার্ডের প্যাকেট কোন বদ্ধ ব্যবস্থা নয়। প্যাকেটটাও এ থেকে বড় কোন ব্যবস্থা থেকে এসেছে যে ব্যবস্থায় একটা কারখানা ছিলো আর সে কারখানাতেই কার্ডগুলো সাজানো হয়েছে। তাই আমি মনে করি, এর আগে আরেকটি মহাবিশ্ব ছিলো যা আমাদের তৈরী করেছে। এক কথা, আমরা সেই বৃহৎ মহাবিশ্ব থেকে বেরিয়েছি। এটা বৃহত্তর কোন স্থান-কাল থেকে এসেছে যাকে আমরা পর্যবেক্ষন করতে পারি না। উচ্চ এনট্র্রপির কোন বৃহত্তর স্থানের অতি সামান্য এক অংশ থেকে আমাদের এই মহাবিশ্ব এসেছে। আমাদের এই মহাবিশ্ব বৃহত্তর কোন স্থান-কাল থেকে উদ্ভুত। উচ্চ এনট্রপির বৃহত্তর স্থানের অতি সামান্য অংশ থেকেই আমাদের এই মহাবিশ্ব এসেছে। আবার সকল জড়জগৎ ধ্বংশ হলে মুল সত্ত্বা উচ্চ এনট্রপিতে ফিরে যাবে। আলকোরআনও ঠিক এমনই কথা বলছে। আল কোরআন বলে “আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সমস্ত কিছুই ধ্বংশশীল। বিধান তাহার এবং তাহারই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হইবে।”(২৮:৮৮) যার অর্থ দাড়ায় চিরন্তন একটি সত্ত্বা যা কখনও ধ্বংশ হয় না এবং তারই নিয়ম দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই সকল কিছু। এবং আমাদের জীবনের মূল সত্ত্বাটি উচ্চ এনট্রপির বৃহত্তর স্থানে প্রত্যাবর্তিত হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের মেনে নিতে হয় এ মহাবিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে আরেকটি বিষয়বস্তু ছিলো যা আমাদের তৈরী করেছে। এক কথা, আমরা সেই বিষয়বস্তু থেকে বেরিয়েছি। উচ্চ এনট্র্রপির কোন বৃহত্তর স্থানের অতি সামান্য এক অংশ থেকে আমাদের মহাবিশ্ব এসেছে’ যাকে আমরা পর্যবেক্ষন করতে পারি না।”
০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:২১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আনেদ্র লিন্ডে নিজেই বলেছেন চিরন্তন মহাবিশ্ব যদি কখন ধ্বংশ হয়ে যাইও জীবনের মূল সত্ত্বাটি হয়তো টিকে থাকবে অন্য কোন মহাবিশ্বে অন্য কোন ভাবে অন্য কোন ভাবে।ভাই জান সমস্তু কিছু হারায় না ফিরে আসে অন্য রুপে অন্য ভাবে।শুধু তাই নয়। আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের চূড়ান্ত কিছু সীদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে চক্রাকার মহাবিশ্ব নামক একটি তত্ত্ব। পল স্টেইনহার্ট ও নেইল টুরকের চক্রাকার মহাবিশ্ব নামক একটি তত্ত্বে বলেছেন এই মহাবিশ্ব বারে বার সৃষ্টি এবং ধ্বংশ হয়। ষ্ট্রিং তাত্তিকদের উদ্ভাবিত মেমব্রেন এই সৃষ্টি ও ধ্বংশের কারন। তারা তাদের “ঊহফষবংং টহরাবৎংব” বইয়ের মাধ্যমে এসকল তথ্য জানিয়েছেন। তাদের মতে এ মহাবিশ্বের কোন শুরু নেই শেষ ন্ইে। এ এক চলমান বিষয়, অনন্ত, অফুরন্ত। সৃষ্টি এবং ধ্বংশের চক্রে আবদ্ধ। এই মহাবিশ্ব যেমন একদা সৃষ্টি হয়েছিলো এবং আবারও তা হবে; শুরু করবে নতুন চক্রের। আজ থেকে ট্রিয়ন বছর পর আবারও শুরু হবে নতুন চক্রের। ঘটবে নতুন সূচনা। একেকটি চক্র একেকবার মহাবিশ্বকে সৃষ্্িট এবং ধ্বংশ করে। শুধু টিকে থাকে একটি চিরন্তন সত্ত্বা। মহাবিশ্ব সৃষ্টির পর ধ্বংশ হয় কিন্তু ধ্বংশের পর জীবনের মূল সত্ত্বাটি ধ্বংশ হয় না। তা টিকে থাকে অন্য কোন মহাবিশ্ব সৃষ্টি হওয়ার মধ্য দিয়ে। তাই যদি হয়ে থাকে তাহলে এ বিষয়টি মেনে নিতে হয় মহাবিশ্ব ধ্বংশের পর একটি বিষয় টিকে থাকে যা চিরন্তন যা কখনও ধ্বংশ হয় না। টিকে থাকে চক্রের পর চক্র ধরে। যাকে আমরা অভিহিত করি সৃষ্টির মূল কারন আদি কারন। সেই আদি কারন আসে উচ্চ এনট্রপির বৃহত্তর কোন কিছু থেকে যা আমাদের উপলদ্দির অগম্য। উচ্চ এনট্রপির বৃহত্তর স্থানের অতি সামান্য অংশ থেকেই আমাদের এই মহাবিশ্ব এসেছে।
অতএব যেহেতু আমরা ত্রিমাত্রিক এই পৃথিবীতে লোয়ার এনট্রপির স্থান কালের প্রাণী তাই আমাদের সেই উচ্চ এনট্রপির বৃহত্তর কোন কিছু সম্পর্কে চিন্তা করার মতো শারিরীক সক্ষমতা আমাদের নেই। আমরা পারি না সেই নিরাকার মাত্রা সম্পর্কে ধারনো করতে। আমাদের কাছে এসকল চিন্তা করা পাপ। যা চিরন্তন তা নিয়ে প্রশ্ন করার বোকামী বলে আমরা মনে করি।
আর আপনি কনশাসনেস নিয়ে প্রশ্ন করছেন? কনসাস কেবল মাত্র বস্তু অভ্যন্তরে সৃষ্টি হয়। উচ্চ মাত্রার এনট্রপির কনসাস সংক্রান্ত ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা অনুমান বলা যেতে পারে। এক্ষেত্রে স্রষ্টার কনসাস নয় উইল ফোর্স বা ইচ্ছা শক্তি যা কমার্ন্ডিং প্রক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং সৃষ্টি হয়। আর সৃষ্টির উপাদান স্রষ্টা হতেই। স্রষ্টা নিজেই এই স্থান কালে ত্রিমাত্রিক রুপে বিরাজিত। “আমি গুপ্ত আমিই ব্যাক্ত” –আল কোরআন
৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:১৩
কেমিক্যাল রিয়াদ বলেছেন: লেখক বলেছেন - "আপনি বাচ্চা শিশুর মতোন কথা বলছেন। আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন আমি মনে করি না! তবে গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নের উত্তর আমি দিবো।"
যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করে তার আচরণ বাচ্চা শিশুর মত অবশ্যই নয়। শুধুমাত্র এই একটি কথা দ্বারাই আপনার গ্যানের গভীরতা নিরুপন করা যায় । আপনার নির্বোধ আচরণে আহত হয়ে বাকি পোস্টটুকু পড়লাম না, তর্ক-আলোচনা করতে হলে অবশ্যই অন্যের পারসপেকটিভকে মূল্যায়ন করতে হয় ।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ২। এক কালে মানুষ মনে করত সবকিছু আমাদের জন্যই সৃষ্টি, সব গ্রহ নক্ষত্র আমাদের কেন্দ্র করে ঘুরছে । এখন যদি কেউ একইরকম মনে করে তাহলে তাকে বলতেই হয় - No you are not in the center of the universe. মানুষ একটি ক্ষুদ্র গ্রহে অতি ক্ষুদ্র প্রাণের স্পন্দন - মহাবিশ্বের ক্রিয়া দেখলে এমনটাই মনে হয় ।
ভাইজান আমার এই পোষ্টে কোথাও কি দেখেছেন আমি লিখেছি আমাদের পৃথিবীটা সমস্ত কিছুর কেন্দ্রে আছি! বলি নাই। মহাবিশ্বের ক্রিয়া দেখে মনে হওয়া না হওয়ার কিছু নেই। যেটা পরিক্ষীত সত্য। সেটাই বড় কথা। আমার এই পোষ্টে মনে হওয়া না হওয়া সংক্রান্ত কিছুই বলি নাই। যা কিছু ফ্যাক্ট বা প্রমানিত বিষয় তাই বলেছি। বাচ্চা শিশু বলাতে আমি দুঃখিত। কিন্ত এককালে মানুষ এটা বলতো বলে যে ধর্ম মিথ্যা এমনটা ভাবা কি ছেলেমানুষি নয়? আর বাচ্চা শিশুরাও অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন করে বসে।
বাকীটুকু না পড়লে ভাববো আপিনি হেরে গেছেন। আসুন ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে।
১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ১ম পর্বটি পড়ুন।
http://www.somewhereinblog.net/blog/islamlablu/30166546
৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:২৩
টমাটু খান বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে
১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১ম পর্বটি পড়ুন।
http://www.somewhereinblog.net/blog/islamlablu/30166546
৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩
আসমা সুলতানা বলেছেন: অনেক ভালো লেগেছে
১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
১ম পর্বটি পড়ুন।
http://www.somewhereinblog.net/blog/islamlablu/30166546
১০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:১৯
নতুন বলেছেন: ধনী গরীব কেনো হয়ে সুস্থ বা বিবলাঙ্গ কেনো হয়ে থাকে সে সকল প্রশ্ন জান তে গেলে আপনাকে ইসলামমের সুশীতল ছায়াতলে প্রবেশ করতে হবে। হিম শীতল আত্মাকে নিয়ে মারেফতের গভীরে গেলে আপনি বুঝবেন বিকলাঙ্গ শিশু, সুস্থ শিশু কেনো হয়? কেনো ধনী হয়ে থাকে আর কেনো গরীব হয়ে থাকে। সকল প্রশ্নের উত্তর ব্লগে দেওয়া যায় না।
প্রকৃতি একটি সিনেমা। এবং এই সিনেমায় আমরা একজন অভিনেতা এবং দর্শক।
ভাই গোপন গিয়ান এখন আর মানুষ খুব একটা চায় না। কারন সত্য আলোর মতন... সেটাকে রেখে ঢেকে রাখার দরকার নাই।
মারেফতের গভীরে ভন্ডামীই আছে আর কিছুই নাই।
আমি লক্ষ কোটি তীর মেরে ১টি লক্ষভেদ করতে পারলেন সেটাকে আপনি ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইন বলতে পারেন... বলতে পারেন যে ঐ ১টি তীরই লক্ষভেদ করবে সেটা সৃস্টিকতা` লিখে রেখেছেন এবং এই প্রকৃয়া ১০০% নিখুত...
কিন্তু আমাদের মতন যারা মারেফতের গোপন ছলনায় ভুলে না তারা এটা যৌক্তিক ভাবে দেখবে এবং বলবে যে এটা স্রেফ লক্ষকোটি বাবের চেস্টা করলে একবার লাগতেই পারে.... এতে অলৌকিক শক্তির প্রভাব আমরা দেখি না।
আর দুনিয়া এগিয়ে নিয়ে এসেছে যারা যৌক্তিক ভাবনা করে তারা। ধামিকেরা শুধুই বিজ্ঞানীদের আবিস্কার কে তাদের বইতে আবিস্কার করে আসছে।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি লক্ষ কোটি তীর মেরে ১টি লক্ষভেদ করতে পারলেন সেটাকে আপনি ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইন বলতে পারেন... বলতে পারেন যে ঐ ১টি তীরই লক্ষভেদ করবে সেটা সৃস্টিকতা` লিখে রেখেছেন এবং এই প্রকৃয়া ১০০% নিখুত...
“যারা বুদ্ধি-বিবেক ব্যবহার করে তাদের জন্য আকাশ ও পৃথিবীর ঘটনাকৃতিতে, রাত্রদিনের অনবরত আবর্তনে, মানুষের প্রয়োজনীয় ও উপকারী সামগ্রী নিয়ে সাগর দরিয়ার চলমান জলযানসমূহে, বৃষ্টিধারার মধ্যে, যা আল্লাহ বর্ষণ করেন ওপর থেকে তারপর তার মাধ্যমে মৃত ভূমিকে জীবন দান করেন এবং নিজের এই ব্যবস্থাপনার বদৌলতে পৃথিবীতে সব রকমের প্রাণী ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেন, আর বায়ু প্রবাহে এবং আকাশ ও পৃথিবীর মাঝখানে নিয়ন্ত্রিত মেঘমালায় অসংখ্যা নিদর্শন রয়েছে।--সূরা আল বাক্বারাহ (১৬৪)”
বারেবার যুক্তিতর্ক কেনো করতে আসেন বুঝিনা? “ আমি বুঝিনা আমায় বোঝায় কোন শালা”-----এই প্রকৃতির মানুষ হলে তো আমাদোর কিছু করার থাকে না। মায়াদের ঐতিহাসিক ধর্মগ্রন্থ পোপেল ভু তে বলা আছে যে ইশ্বর বলেছেণ “ মানুষের অস্তিত্ব ও সজ্ঞার জন্য প্রয়োজনীয় যা কিছু আমরা সৃষ্টি করেছে তা থেকে আমরা কোন গৌরব বা সম্মান পাবো না।”--- ভাইজান মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ এবং মানুষের জন্যই এত কিছু তারপরও কিছু কিছু লোক অন্ধ থাকে। কেনো অন্ধ থাকে সত্যিই বুঝি না?
বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এ্যালেন গুথ মহাবিশ্বের সম্প্রসারনে নিখুত রুপায়ন দেখে বলেন “এই সম্প্রসারণের হার এতটাই নিয়ন্ত্রিত, যেখানে ভুলের সম্ভবনা ১/১০^৫৫ । এত সূক্ষ্ম এবং সুনিয়ন্ত্রিত ব্যাবস্থা বা প্রক্রিয়া কোনো হঠাৎ ঘটে যাওয়া ঘটনা হতে পাওয়া অসম্ভব। বিগ ব্যাং যদি হঠাৎ ঘটে যাওয়া কোনো অনিয়ন্ত্রিত ঘটনা হতো তবে এই প্রক্রিয়া এতটা সঠিক এবং উপযুক্ত ভাবে চলতে পারত না। তাই বলা যায় এটি অবশ্যই একটি নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়া”
আমাকে উত্তর দিন তো গ্রহগুলোর সপ্রসারন হার নিখুত হলো কিভাবে? গ্রহ নক্ষত্র গুলোর মধ্যে দূরত্ব এত নিখুত হলো কিভাবে? বিগব্যাং এর সম্প্রসারণ হার এত নিখুত হলো কিভোবে? মধ্যাকর্ষন শক্তি এতটা নিখুত হলো কিভাবে? পৃথিবী সূযের দুরত্ব, চাঁদ সুর্য পৃথিবীর দুরত্ব নিখুত হয়ে কি করে, কি করে অলৌকিক ভাবে কার্বন অনু তৈরি হয়। (অতিকায় নক্ষত্রগুলোর কেন্দ্রে অলৌকিক নিউক্লিয় বিক্রিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি হয়। যদি এমন বিক্রিয়া না ঘটত তবে এই মহাবিশ্বে কার্বন বা অন্য পদার্থের সৃষ্টি হোতো না। ফলে কোনো জীবনেরও উৎপত্তি হোতো না। ----এই বেরিলিয়াম অনু কিভাবে কার্বন অনু সৃষ্টি করে, যখন তৈরি হওয়ার সাথে সাথেই ভেঙ্গে যায়? তাহলে কি কাঁকতলিয় ভাবে হিলিয়াম অনু বেরিলিয়াম অনুর সাথে যুক্ত হয়ে কার্বন তৈরি করে? কিন্তু বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে তাও তো সম্ভব নয়। কারন ২ টি অনু আলাদা ভাবে যুক্ত হয়ে ০.০০০০০০০০০০০০০০১ সেকেন্ডের মধ্যে ) কিভাবে এত নিখুত ও নিয়ন্ত্রিত সম্ভব?
আচ্ছা না হয় আমি মানলাম ইন্টালিজেন্ট ডিজাইন বাজে কথা কিন্তু এই মহাবিশ্বটা কেনো আমাদের জন্য ফাইন টিউন্ড্। কেনো এতটাই নিখুত এই প্রাণ বিকাশের জন্য? কেনো আমাদের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ? ভাইজান সকলেএটা একটা চান্স। এই কথাটা আর বলেন না। এই সব ফাকা বুলি শুনতে শুনেতে বিরক্ত! লক্ষ কোটি মহাবিশ্বে প্রান আছে এসবও আর বলেন না। প্রমান করুন ২/১টি গ্রহে গিয়ে প্রাণি খুজে বের করে বলেন আমরা পেয়েছি! না পাওয়া পযর্ন্ত অযথা চেচায়েন না।
এই চান্স এর ধুয়া তুলে স্রষ্টাকে অস্বীকার করতে চান? করুন! তবে এটি চান্স নয়। নির্ধািরিত।
“একসময় ভাবা হত মানব জেনোমের ৯৮% কোন কাজের না, মানে ফালতু মাল (junk DNA or junk element)। এই ৯৮ সংখ্যা টা এসেছে ডিএনএ’র যেই অংশ প্রোটিন তৈরি করতে পারেনা তার পরিমান থেকে। আমরা যদি সম্পূর্ণ ডিএনএ কে একটা বড় সুতার মত ধরি, তবে সুতার কিছু অংশ থেকে প্রোটিন তৈরি হবে আর বেশিরভাগ অংশ থেকে হবেনা। ডিএনএ’র যেই অংশ প্রোটিন তৈরি করে তাকে বলে জিন, বা প্রোটিন কোডিং ডিএনএ। এই অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারন প্রোটিন তৈরি না হলে কিছুই করতে পারতোনা কোন জীব, এমনকি একটি কোষ। তাহলে মানুষের এই ৯৮% নন-কোডিং ডিএনএ’র কি কোন কাজ নাই?
আপনাকে কে বললো ঐ একটি স্পামএ কারেনে শিশু উতপাদন হয়? অন্য স্পামগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এমন কি হতে পারে না ঐ একটি স্পাম পরিস্ফুটিত করেতে লক্ষ কোটি স্পম এর দরকার ছিলো?
…যুলুম ও ঔদ্ধত্যের কারণে তারা তা মানতে অস্বীকার করে, যদিও তাদের অন্তর (এ-সত্যকে) গ্রহণ করে নিয়েছিল…”–(সুরা আন-নামল; আয়াত-১৪)।
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সম্প্রতি দেখা গেছে এই নন-কোডিং ডিএনএ গুলো অনেকাংশই অনেকগুলি প্রাণীতে সংরক্ষিত। ভ্রূণ থেকে আমাদের হাতের আঙুল তৈরির সময় একটা রেগুলেটরি জিন গুচ্ছ কাজ করে, যার নাম হক্স ডি (HoxD)। এই হক্স ডি জিনগুলির এক্সপ্রেশান নির্ভর করে নন-কোডিং ডিএনএ সিকোয়েন্সের উপর। দেখা গেছে এই নন-কোডিং ডিএনএ সিকোয়েন্সগুলির কয়েকটির মিল সরীসৃপের সিয়োন্সের সঙ্গেও আছে (স্তন্যপায়ীর কথা বাদই দিলাম)। এই এলাকার নন-কোডিং ডিএনএ’র কোন সমস্যা বিকৃত আঙুল তৈরি করবে।”
ভাইজান এখন আমাদের বিজ্ঞান স্বীকার করে নন কোডিং ডিএনএর সিকোয়েন্স এর উপর ডিপেন্ড করছে কোডিং ডিএনএর কার্যক্রম। তাহলে লক্ষ কোটি স্পাম এর মধ্যে থেকে একটি স্পাম থেকে একটি শিশু তৈরী হয়। আমি যদি বলি লক্ষ কোটি স্পাম এর সম্মিলিত প্রচেষ্টাই একটি শিশুর উতপন্ন এর কারন। আপনি প্রমান করুন আমি ভূল বললাম।
আপনার মন্তব্য লিখুন
১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৩২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: মারেফতের গভীরে ভন্ডামীই আছে আর কিছুই নাই।
“চূন খেয়ে মুখ পুড়েছে-দই দেখে ভয় পায়” আসলে আপনার দুই একজন ধর্মব্যবসায়ীর সাথে পরিচয় হয়েছে বলে সত্যবাদী প্রকৃত ধার্মিকদের চিনতে পারেন না। তাই মারেফত নিয়ে এ রকম নোংরা কথা বলছেণ। মারেফত শব্দের অর্থ হয়তোবা আপনি বোঝেন না।
আচ্ছা ভাই পর্দাথবিজ্ঞানের কথা সবার সাথে আলোচনা করা যায় না। যারা পর্দাথবিজ্ঞান বোঝেনা বা স্বল্প শিক্ষিত মানুষের সামনে পদার্থবিজ্ঞান আলোচনা করা যেমন বোকামী ঠিক তেমনি ধর্মের গভীরের জ্ঞান হলো মারেফত। আসলে আপনার সাথে আলোচনার কিছু নেই। আপনি বোঝেন না।
১১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯
নতুন বলেছেন: ভাইজান মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ এবং মানুষের জন্যই এত কিছু তারপরও কিছু কিছু লোক অন্ধ থাকে। কেনো অন্ধ থাকে সত্যিই বুঝি না?
এটা ইশ্বরের লীলা, এটা বুঝতে পারলে তো লক্ষকোটি তীর মেরে একটা লাগাতে পারাটা ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইন মনে হতো না আপনার কাছে।
আমাকে উত্তর দিন তো গ্রহগুলোর সপ্রসারন হার নিখুত হলো কিভাবে? গ্রহ নক্ষত্র গুলোর মধ্যে দূরত্ব এত নিখুত হলো কিভাবে? বিগব্যাং এর সম্প্রসারণ হার এত নিখুত হলো কিভোবে? মধ্যাকর্ষন শক্তি এতটা নিখুত হলো কিভাবে? পৃথিবী সূযের দুরত্ব, চাঁদ সুর্য পৃথিবীর দুরত্ব নিখুত হয়ে কি করে, কি করে অলৌকিক ভাবে কার্বন অনু তৈরি হয়। (অতিকায় নক্ষত্রগুলোর কেন্দ্রে অলৌকিক নিউক্লিয় বিক্রিয়ার মাধ্যমে সৃষ্টি হয়।
এটা বুঝতে হলে সেই তীরের কাহিনি বুঝতে হবে.... এই একটা মানুষের যোগ্য পৃথিবি বানাতে কতগুলি অযোগ্য গ্রহ সৃস্টি হয়ে আছে... সেটার হিসাব করলে তখন ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইনটা অন্যরকম লাগে..
আর ফাইনটুইন সৃস্টিকতা` করবেন কেন? ফাইনটুইন মানুষ করে কান সে নিখুদ বা ১০০% পারফেক্টনা...তাই আস্তে আস্তে তার জিনিসের সমস্যাগুলি সারিয়ে তুলে ভালো জিনিস বানাবে...
আচ্ছা ভাই পর্দাথবিজ্ঞানের কথা সবার সাথে আলোচনা করা যায় না। যারা পর্দাথবিজ্ঞান বোঝেনা বা স্বল্প শিক্ষিত মানুষের সামনে পদার্থবিজ্ঞান আলোচনা করা যেমন বোকামী ঠিক তেমনি ধর্মের গভীরের জ্ঞান হলো মারেফত। আসলে আপনার সাথে আলোচনার কিছু নেই। আপনি বোঝেন না।
মারেফতের গোপন কথা রাসুল সা: কখন কাকে শিক্ষা দিয়েছিলো? কিভাবে মারেফতের শুরু?
আল্লাহ বলেন নবী/রাসুলরা কিছুই গোপন করেন না.... আর আপনি বলবেন রাসুল সা: গোপন জ্ঞান দিয়েছিলেন?
"কোন কিছু গোপন করা নবীর কাজ নয়৷"
(সূরা আলে ইমরান: আয়াত:১৬১)
"হে রাসূল! তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার প্রতি যা অবর্তীণ করা হয়েছে তা সকলের নিকট পৌঁছে দাও৷ আর যদি তা সঠিকভাবে পৌঁছে না দাও তাহলে রিসালাতের দায়িত্বকেই পালন করলে না৷"
(সূরা মায়িদা: আয়াত: ৬৭)
১৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এই একটা মানুষের যোগ্য পৃথিবি বানাতে কতগুলি অযোগ্য গ্রহ সৃস্টি হয়ে আছে...
হঠাৎ করে এ্যালিক ফন দানিকেন এর একটি বিখ্যাত উক্তির কথা মনে পড়ে গেলো- এ্যালিক ফন দানিকেন তার বইতে লিখেছিলেন “ আগেকার দিন লোক যাজক সম্প্রদায়কে বলতো গোড়া আর বিজ্ঞানীদের বলতো প্রগতিশীল। কিন্তু সেই যুগ হয়েছে বাসী । বহুকাল হল যাজকশ্রেনী হয়েছে প্রগতিশীল আর বিজ্ঞানীরা হয়েছে গোড়া। নেহাত দায়ে না ঠেকলে তারা বেকে বসে না।”
বারে বার বারে বা কেনো ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন বলছেন! আমি বুঝিনা। আমি ফাইন টিউনিং এর কথা বলছি। কেনো পৃথিবীটা এমন হলো? প্রকৃতির একটি নিদীষ্ট লক্ষ্য ছিলো। একটি বিষয় হতে হবে। আর প্রকৃতির এই হতে হবে বাসনাটা প্রকৃতির অভ্যন্তরেই ছিলো। এই রকম হতে গেলে যত পৃথিবী হতে হবে ধ্বংশ করতে হবে ততটাই হবে এবং ধ্বংশ হবে।
শন ক্যারল এর বক্তব্য মতো “আমরা সেই বৃহৎ মহাবিশ্ব থেকে বেরিয়েছি। এটা বৃহত্তর কোন স্থান-কাল থেকে এসেছে যাকে আমরা পর্যবেক্ষন করতে পারি না। উচ্চ এনট্র্রপির কোন বৃহত্তর স্থানের অতি সামান্য এক অংশ থেকে আমাদের মহাবিশ্ব এসেছে। ” ---সেই বৃহত্তর এ্যানট্রপির একটি অংশ যার সাথে ছিলো এক কমান্ড। এই কমান্ড এর ভিতর নির্ধারিত ছিলো মহাবিশ্ব কে কিভাবে সৃষ্টি হতে হবে! মহাবিশ্বটাই স্বয়ং প্রকৃতি।
অন্যভাবে যদি বলি তবে আল্লাহ সৃষ্টি করেন নাই। আল্লাহ নিজেই জেকে সৃষ্টি করেছেন ত্রিমাত্রিক রুপে। অথাত এই প্রকৃতি নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করেছে। প্রকৃতির সেলফ সিষ্টেম নিজেই নিজেই নিজেকেই আপনা আপনি তৈরী করে। আর সুত্রগুলো ছিলো সৃষ্টির ফমুলা। আলকোরআর বলে “ বিধান আমার’ আমার কাছেই তোমরা প্রত্যাবর্তন করবে”।
একটি মহাবিশ্বকে সৃষ্টি করতে যদি অসংখ্য মহাবিশ্ব সৃষ্টির প্রয়োজন পড়ে তাহলে তাই। স্টিফেস ডব্লিউ হকিং বলছেন“ প্রকৃতি নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করেছে । আমরা সেই প্রকৃতিরই একটি অংশ।”
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আচ্ছা ভাই পর্দাথবিজ্ঞানের কথা সবার সাথে আলোচনা করা যায় না। যারা পর্দাথবিজ্ঞান বোঝেনা বা স্বল্প শিক্ষিত মানুষের সামনে পদার্থবিজ্ঞান আলোচনা করা যেমন বোকামী ঠিক তেমনি ধর্মের গভীরের জ্ঞান হলো মারেফত।
ইতিপূর্বেই আমি আপনাকে বলেছি মারেফত শব্দের অর্থ টা কি? গোপন ঠিক নয় গভীরের জ্ঞান। ধর্মীয় জ্ঞানের একটি অংশ হিসেবে মহাকাশবিদ্যা এবং জীববিদ্যা একটি অংশ ছিলো যুগ যুগ ধরে। যে বিষয় গুলো সাধারণ লোকের সামনে আলোচনা করা হতো না। এখন ও ফিজিক্সের আলোচনা সভাতে সাধারণ জনগনকে দাওয়াত করা হয় না যারা ফিজিক্স সম্পর্কিত জ্ঞান রাখে তাদেরকেই বিশেষ করে যারা ফিজিক্স বোঝে।
আল্লাহ নিজেই নিজেকে সৃষ্টি করেছেন। এই কঠিন কথাটিকেই মেনে নেওয়া উচিত এবং ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে ফিরে আসা উচিত। এসব নিয়ে তর্ক করে লাভ কি?
১২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৯
নতুন বলেছেন: রাসুল সা: যেই শিক্ষা প্রকাশ্যে দিয়েছে বলে কোথাও উল্লেথ নাই। সেটা তো গোপন জ্ঞান।
আর ২৫০ বছর পরে সংগ্রহ করা হাদিসের ভরসা আপনি করেন না। কিন্তু সুফিইজম/তাসাউফের প্রচার কবে থেকে শুরু হয়েছে?
সৃস্টিকতা` নিজের রুপে মানুষ তৌরি করেছেন, ধ্যানের মাধ্যমে সৃস্টিকতার উপস্থিতি পাওয়া যাবে... তার সত্যা আর সৃস্টিকতার সত্তায় বিলিন হয়ে যাওয়া যাবে... ( মনসুর হাল্লাজ) অলৌকতা অজ`ন করা যাবে... এই রকমের কথা বাতা`গুলি রাসুল সা: প্রকাশ্যে প্রচার করেনাই।
মারোফত/সুফিইজম/তাসাউফ যে রাসুল সা: ই শিক্ষা দিয়েছিলেন সেটা কি ভাবে বিশ্বাস করেন?
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:১২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ইসলাম সম্পর্কে আগে জানার চেষ্টা করুন। বোঝার চেষ্টা করুন। সকল ক্ষেত্রে নেগেঠিভ নিবেন না পজেটিভ নিতে শিখুন দেখবেন কোন সমস্যা নেই। ইসলামে শরীয়ত, মারেফত, হকীকত, তরিকত। এই ৪ ট বিষয় আছে। শরীয়ত তো বোঝেন। নামাজ রোজা হজ্ব যাকাত ধমীয় অনুশাসন মেনে চলাটাই শরীয়তের গুনাবলী। বা শরীয়ত এটকেই বলে। মারেফত হলো গভীরের জ্ঞান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা। সেই জ্ঞান মহাকাশবিদ্যা, জীববিদ্যা কিংবা যেকোন বৈজ্ঞানিক আলোচনা মারেফতের মধ্যে পাড়ে। এবার আসুন হকীকত। যার অর্থ হলো অধিকার সংক্রান্ত জ্ঞানাবলী। যেমান নাগরিক হিসেবে মানুষের রাষ্ট্রের প্রতি কি অধিকার, পিতার প্রতি সন্তানের কি অধিকার, সন্তানের প্রতি পিতার কি অধিকার, নারী হিসেবে কতটা অধিকার রাষ্ট্রের কাছে দাবী রাখে। মা হিসেবে কি অধিকার কিংবা সর্বশক্তিমান স্রষ্টা মানুষের প্রতি কি অধিকার রাখে সেই সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা হলো হকীকত। আর তরীকত হলো পথ। অথাৎ স্রষ্টার প্রতি দায়িত্বপালনে মানুষ কোন পথে যাবে। তরিকত হলো বিভিন্ন জনের মতামত বা অভিমত।
সুফিবাদ হলো এমনই একটি পথ। যে পথে স্রষ্টার সন্ধান করা হয়। এসকল গভীরের ব্যাপার ভাই এগুলো ব্লগে হয় না। তারপরও আমি আপনাকে বোঝাতে সক্ষত হলাম না। তো যাই হোক। আপনাকে বলি। আর পারলাম না।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বিজ্ঞান দিয়ে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। কারন আমাদের প্রাযুক্তিক জ্ঞান, পরীক্ষন, পর্যবেক্ষেণ দ্বারা মহাবিশ্বের সকল প্রশ্নের উত্তর জানা সম্ভব নয়। দর্শণ প্রয়োজনানুসারে এসেই যাই। একটি কথা ভেবে দেখেন আধুনিক বিজ্ঞানের অন্যতম প্রসিদ্ধ একটি বিষয় যা দিয়ে সমস্ত সমস্যার সমাধান করা সম্ভব বলে যেখানে বাঘা বাঘা বিজ্ঞানী ঘোষনা দিয়েছেন অথচ সেই এম তত্ব ষ্ট্রিং থিওরির ই একটি শাখা। ষ্ট্রিং থিওরি মূলত প্রতিষ্ঠিত গনিত এর উপর ভিত্তি করে আর দর্শন প্রতিষ্ঠিত যুক্তির উপর।
আমি পূর্বেই বলেছি এই মহাবিশ্বটা বৃহত্তর কোন স্থান-কাল থেকে এসেছে যাকে আমরা পর্যবেক্ষন করতে পারি না। উচ্চ এনট্র্রপির কোন বৃহত্তর স্থানের অতি সামান্য এক অংশ থেকে আমাদের মহাবিশ্ব এসেছে। সেই উচ্চ এ্যানট্রপি বা নিরাকার মাত্রার ক্ষুদ্র একটি অংশ হলো আল্লাহর সত্তা।আল্রাহর সত্ত্বা হতেই এই মহাবিশ্ব। সত্যি কথা বলতে কি এই মহাবিশ্বটা একটি মায়া। ( আপনি হয়তো আধুনিক বিজ্ঞানের হলোগ্রাফিক ইউনিভার্স থিওরি সম্পার্কে অবগত। মাইকেল ট্যালবটের দি হলোগ্রাফিস ইউনিভার্স বই টি পড়লে বুঝতে পারবেন। যদিও এটি এখন পযর্ন্ত হাইপোথিসিস)। মহাবিশ্বটি উৎপন্ন হলো আল্লাহর সত্তার একটি কমান্ডিং প্রক্রিয়ায়। এই কমান্ডিং প্রক্রিয়ার জন্য যে বানী বা আদেশ জারী করা হয় সেটিই বিধান সৃষ্টি করে। এই বিধান বা নিয়মকেই পর্দাথবিজ্ঞানের সুত্র বলা হয়। এই মহাবিশ্বটির সাথে আল্লাহর সত্ত্বার একটি যোগাযোগ বিধানকে ঘিরে। বিধানই আল্লাহর সকল কিচু নিয়ন্ত্রনকারী।মহাবিশ্ব আল্লাহর বানীকে ধারন করে।
মানুষ মহাবিশ্বের একটি অংশ। সেই হিসেবে মহাবিশ্বের সাথে মানুষের একটি যোগ সুত্র থাকে।বিশেষ করে ঘুমের সময় মানুষের মহাচৈতন্যের সাথে সম্পৃক্ততার পূন: প্রতিষ্ঠা পায়।যা মানব দেহের স্মৃতির যোগসুত্রের মাধ্যমে মানবদেহ প্রকৃতিরই একটি অংশ হয়ে ওঠে। তারপরও মানুষ প্রকৃতির মতো কারন আল্লার সত্ত্বা প্রকৃতির মধ্য দিয়ে স্বয়ং মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এমনকি মানুষের নিয়ন্ত্রন আল্লার সত্বা গ্রহণ করতে পারে। এবার সুফীবাদ নিয়ে বলি । সুফীবাদ একটি পথ। এটি বৌদ্ধধর্মের নির্বান তত্ব দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।আসলে সত্যি করে কি সুফীবাদের দেখানো পথে স্রষ্টাকে পাওয়া সম্ভব।এগুলো আপনাকে কিভাবে বোঝাবো? যারা ধার্মিক বিশেষ করে যারা নামাজ পড়ে তাদের কাছে জিঙ্গাসা করবেন অনেকে নামাজ শেষে এক মানসিক প্রশান্তি বা শীতলতা উপলদ্ধি করে।এটা আপনি না মানলেও যারা নামাজ পড়ে বিশেষ করে যারা একাগ্রতার সাথে থাকে তাদের মধ্যে এই শীতলতা কাজ করে। নামাজ মানুষের আত্মিক প্রশান্তি এনে দেয়। নামাজ মানুষের হার্টের ইলেকট্রম্যাগনেটিক ওয়েভকে নিয়ন্ত্রন করে।ঠিক তেমনি ধ্যান বা অত্যাধিক নামাজের মাধ্যমে আল্লার সত্ত্বার সাথে যোগাযোগ ঘটে।
১৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৬
বিবেক ও সত্য বলেছেন: মুসলমানদের একটি অংশ আল্লাহর আইন কায়েমের প্রচেষ্টায় তাদের জীবন-অর্থ-সম্পদ ব্যয় করে থাকে। মানুষ আল্লাহর সৃষ্টি, তার সৃষ্টিতে তার আইন চলবে, এতে তো কারো আপত্তি থাকার কথা নয়। সমগ্র মানবজাতীর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ, সুতরাং তার আইন সবার জন্য কল্যাণকর হবে এটাই স্বাভাবিক।
কিন্তু আল্লাহর আইনের নামে নির্দিষ্ট কিছু মানুষের আইন রচনা করে জাতীর উপর চাপিয়ে দেয়া সবচেয়ে বড় প্রতারনা ও ঠকবাজী ছাড়া কিছু নয়।
কুরআনকে বলা হয় আল্লাহর আইনের পুস্তক। যদি যুক্তির খাতিরে ধরেই নেই যে কুরআন সৃষ্টিকর্তার বানী তথাপিও রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য আল্লাহর আইন পাওয়া যায় না্ ।কারন আল কুরআনে মাত্র ১০% আইন আছে।
আর আল্লাহর আইনের নামে যে রাষ্ট্র হবে তাতে মুসলমানদের যেই ফেরকা ক্ষমতাই যাবে সেই ফেরকার মনমত হাদিস থেকে বাকি ৪0% আইন রচিত হবে। লক্ষ লক্ষ হাদিস বানোয়াট হওয়াই এ ৪০% আইনও মানবরচিত।
এরপর বাকি ৩০% আইন ক্বিয়াস তথা রাষ্ট্রপরিচালনাকারী হুজুরদের তৈরি আইন যার গ্রহণযোগ্যতার জন্য বলা হয়ে থেকে কুরআন-হাদিস সামনে রেখে তৈরি।
বাকি ২০% হবে রাষ্ট্রপরিচালনাকারী হুজুরদের ইচ্ছামত। কুরআনে বলেছে
”আর তোমরা আনুগত্য কর তোমাদের সরকারের(উলিল আমর এর)”
প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর আইনের কোন অস্তিত্ব নেই। যারা আল্লাহর আ্ইনের নামে নির্দিষ্ট কিছু মোল্লাদের আইন কায়েম করতে চেষ্টা করে সেটা চরম হীনতা ও প্রতারনা।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: হ্যা আপনার ব্লগে গেলাম এবং আপনাকে দেখলাম অথাত আপনার কিছু লেখালেখি পড়লাম পড়ে বুঝলাম ধর্মের প্রতি আপনার অগাধ ঘৃনা ! কিন্তু স্রষ্টার প্রতি আপনার এত গোস্মা কেনো ভাই?
আপনার বক্তব্য মতে আল কুরআনে মাত্র ১০% আইন আছে।হ্যা 10% আইনই মানুষের জন্য যথেষ্ট।আর মানুষের প্রতিই আপনার এত উন্নাসিকতা কেনো? আপনি তো নিশ্চয় জানেন আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করে আদমকে নাম শিক্ষা দিলেন।যে নাম শিক্ষার বলে বলীয়ান হয়ে ফেরেস্তারা আদমের কতৃত্বকে স্বীকার করেছিলো।
ভাইজান, আপনি কি বেঝেন নাম শিক্ষার অর্থ। নিশ্চয় বোঝেন না।অর্থ টা মহাজগতের একমাত্র প্রানী মানুষ যারা জ্ঞান-বিজ্ঞানে গুনে গুনিত।আর এই জ্ঞান বিজ্ঞান মানুষকে সকলের থেকে স্বতন্ত্র করেছে।আসলে মানুষকে সৃষ্টির পর মানব এমন এক প্রোগ্রামিং মানবদেহে লোড দেওয়া হয়েছিলো যে প্রোগামিং বংশ পরম্পরায় মানব যে জ্ঞান সমূহ অর্জন করছে সেটা সেই নাম শিক্ষা জাতীয় প্রোগ্রামিং এর একটি অংশ।বংশ পরম্পরায় আমরা যে জ্ঞান সৃষ্টির শুরুতে অর্জন করেছি তার বর্হিপ্রকাশ ঘটছে নির্দীষ্ট সময় সময় পর পর।তো মানুষের সকল বৈজ্ঞানিক জ্ঞান আল্লাহ প্রদত্ত।আল্লাহ প্রদত্ত সকল জ্ঞান যা মানুষের প্রয়োজনেই উদ্ঘাটিত। একটি সত্য প্রকাশিত হবার জন্য যতটি মিথ্যা প্রকাশিত হওয়ার দরকার ছিলো ততটি মিথ্যা প্রকাশিত হবে। আসলে মানুষের জ্ঞান সময়ের ধারাবাহিকতায় ধাপে ধাপে অগ্রসর হচ্ছে। আল কোরআন বলে “ প্রত্যেকটি সংবাদ প্রকাশের নির্দীষ্ট সময় রয়েছে।”
ভাইজান, বিবেক আপনারই আছে আর আমাদের নেই।যদি তাই হয় তাহলে আল কোরআনটা ভালো ভাবে পড়ুন। শুধু ধর্ম বিরোধী কথা বলা জন্য যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই পড়লেই হবে না। নিরপেক্ষ ভাবে পড়ুন। স্রষ্টার প্রতি এত গোস্মা কেনো ভাই?
পজেটিভ দেখা শিখুন না এত নেগেটিভ কেনো?
১৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৮
বিবেক ও সত্য বলেছেন: প্রথমে কিছু কথা বলে রাখা প্রয়োজন। কুরআন স্রষ্টার বানী কিনা তার পক্ষে সবচেয়ে বড় প্রমান হবে যে কুরআন প্রণেতা যেটিকে প্রমান হিসাবে দাবি করেন সেটি, অন্য প্রমান থাকলে সেগুলো হবে তার পরিপূরক।তাই আমি কুরআন স্রষ্টার হওয়ার পক্ষে কুরআনে দাবি করা প্রমান নিয়ে আলোচনা করেছি,কুরআনের দাবি করা প্রমানই সবচেয়ে বড় ও মুখ্য প্রমান হওয়ার কথা অথচ কুরআনের অনসরণকারীরা তাদের আলোচনায় এ প্রমানকে খুব কমই উপাস্থাপন করে থাকে এবং অন্য কিছু প্রমান আনে যার বেশিরভাগের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব নয়। জন্মগতভাবে মুসলিম হওয়াই ইসলামের প্রতি অনুরাগ থাকে তার কারনে উক্ত প্রমানগুলোর সত্যতা যাচাই-বাছাই না করে অন্ধভাবে বিশ্বাস করে থাকে।
যারা আমার লেখার জবাব দিতে চান তাদের প্রতি অনুরোধ যে কুরআনের সত্যতার পক্ষে আরো প্রমান থাকলে তা নিয়ে অবশ্যই আলোচনা হতে পারে,তবে তা আলাদা পোষ্টে। কারন একসাথে সবগুলো বিষয়ে আলোচনার সুত্রপাত করলে কোনটিই ঠিকমত আলোচিত হয় না।কুরআনের সত্যতার পক্ষে সবচেয়ে বড় প্রমান নিয়ে আমি আলোচনার সুত্রপাত করলাম। যারা জবাব দিবেন তাদেরকে এ দু’টি প্রসঙ্গের মধ্যে থাকার অনুরোধ করছি।আমার এখানে দেয়া যুক্তি খন্ডিত হলেই আমি কুরআনের পক্ষের অন্য প্রমানের ব্যপারে আলোচনায় যাবো।
আল কুরআন সৃষ্টিকর্তার বানী বলে দাবি করা হয়। এটাকে যারা সৃষ্টিকর্তার বানী হিসাবে বিশ্বাস করে তারা নিরেট উত্তারাধিকার সুত্রে পাওয়া ধর্মের প্রতি অন্ধভাবে বিশ্বাস করে থাকে।কুরআন তার সত্যতার পক্ষে মাত্র দু’ধরনের প্রমানের দাবি করে:
১. কুরআনের অনুরুপ আয়াত বা সুরা কেউ আনতে পারবে না।
২. মানবরচিত পুস্তক হলে এতে অনেক অসঙ্গতি থাকত।
কুরআনের চ্যালেঞ্জ এর দূর্বলতা:
কোন সৎ সাহস নিয়ে চ্যালেঞ্জ করলে সে ব্যক্তি তার চ্যালেঞ্জে এর জবাব দাতাদের সাদরে গ্রহণ করবে এবং সুন্দরভাবে জবাব দেয়ার সুযোগ করে দেবে-এটাই স্বাভাবিক। আর যদি কেউ ভন্ডামিমূলক চ্যালেঞ্জ করে থাকে তাহলে সে ব্যক্তি চাইবে না যে যারা চ্যালেঞ্জ এর জবাব দেয়ার যোগ্যতা রাখে তারা সর্বসম্মূখে তার চ্যালেঞ্জ এর জবাব দিয়ে তার মুখোশ খুলে ফেলুক।
সে তার বোকা ও অন্ধ অনুসারীদের বোঝাবে যে তার চ্যালেঞ্জ কেউ গ্রহণ করতে পারেনি, অথচ সে নিজে যে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে বাধা দেয় তা তো আর তার অন্ধ অনুসারীরা জানে না। তার অন্ধ অনুসারীরা তাকে পরম শ্রদ্ধার সাথে বিশ্বাস করে, এটাই তার ভন্ডামি টিকিয়ে রাখার প্রধান পূজি।
কুরআনের অন্ধ বিশ্বাসিরা মনে করে যে কুরআনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে কেউ পারেনি, অথচ বহু লোক কুরআনের চ্যালেঞ্জ এর জবাব দিয়েছে। যারা কুরআনের অন্ধ বিশ্বাসি তারা তো সে জবাবগুলো পড়ে দেখে না। ইসলাম ধর্মে বিশেষঞ্জ বলে যারা পরিচিত তারা কিভাবে ডাহা মিথ্যা কথা বলে যে ১৪00 বছর পার হয়ে গেল অথচ কুরআনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে কেউ পারেনি।
কুরআনের চ্যালেঞ্জ এর জবাব প্রকাশ্য দিতেও কুরআনের বিশেষজ্ঞ বলে পরিচিতরা বাধা দেয়।কেউ কুরআনের চ্যলেঞ্জ এর জবাব দিতে আসলে তখন তথাকথিত কুরআন বিশেষজ্ঞরা কুরআন অবমাননা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ইত্যাদি বলে চিৎকার শুরু করে।প্রায় প্রত্যেক ধর্মীয় নেতা তার অনুসারীদের ও সাধারণ মানুষদের ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টি করে এক অরাজকতা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালায়। এভাবে তারা চায় যে মানব রচিত কুরআনের আসল সত্য যাতে প্রকাশ না পায়, সত্য যেন সাধারণ মানুষের সামনে চলে না আসে, এতে তাদের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে তাদের ধর্ম ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে না। কুরআনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণকারিকে হত্যা কর,ফাসি চাই্ ইত্যাদি্ হুমকি-ধমকি দিয়ে তাদেরকে দূরে রাখে ।এটাই প্রমান করে কুরআনের মিথ্যা চ্যালেঞ্জ।
কুরআনের চ্যালেঞ্জ এর জবাব:
প্রথম চ্যালেঞ্জ: কুরআনের অনুরুপ আয়াত বা সুরা কেউ আনতে পারবে না
১. প্রথম কথা হল কুরআন যদি সকল মানুষের বিধান হয় তাহলে এর পক্ষে যে প্রমান থাকবে তা এত সহজ হবে যে সকল শ্রেনীর মানুষ বুঝতে পারে। উপরোল্লিখিত প্রমানদ্বয়ের একটিও সর্বসাধারনের জন্য নয়,কারন কোন কথাটি কুরআনের অনুরুপ বা অনুরুপ নয় তা একজন সাধারন অশিক্ষিত মানুষ বোঝার কথা নয়, একইভাবে একটি পুস্তকের সামগ্রিক বক্তব্য থেকে সঙ্গতিপূর্ণ কথা ও অসঙ্গতিপূর্ণ কথা পার্থক্য করা ও বুঝতে পারা সর্ব সাধারণের পক্ষে সম্ভব নয়।
বিশ্বজাহানের সৃষ্টিকর্তা কোন পুস্তক দিলে তার প্রমান এত জটিল কিছু দিবেন যা সকল শ্রেণীর মানুষের জন্য উপযোগি নয়,তা হতে পারে না, তা হতে পারে কোন বেকুফ কর্তৃক। আমার সৃষ্টিকর্তা এমন বেকুফ নন।
২. কুরআনের অনুরুপ আয়াত বলতে কি বুঝানো হয়েছে কুরআন নিজেও তা পরিস্কার করেনি। কোন লেখাকে আপনি শ্রেষ্ঠ বললে আপনাকেই বলতে হবে তা কোন কোন বৈশিষ্টের আলোকে তা অন্য থেকে শ্রেষ্ঠতর।কুরআনের কোথায়ও সে কথা পরিস্কার করে বলা হয়নি।
৩. একই লেখার মূল্যায়ন একেকজনের কাছে একেকরকম হযে থাকে।যে লেখা কোন একজন বিশেষজ্ঞের কাছে অতি উচ্চমানের তা আবার অন্য একজন বিশেষজ্ঞের কাছে তার মান সাধারণ।সুতরাং এমন কিছুকে প্রমান হিসাবে উপাস্থাপন করা উচিত নয় যা নিয়ে সাধারণত সকল মানুষ ঐক্যমতে পৌছতে পারে না।
মনে করুন কবি নজরুল দাবি করল যে তার কাছে স্রষ্টার পক্ষ থেকে বাণী আসে। প্রমান হল তার কাছে যে কবিতা বা প্রবন্ধ আছে তার অনুরুপ আর কেউ রচনা করতে পারবে না।তার কবিতা বা প্রবন্ধের সাহিত্য মান, অলঙ্কার এত উচ্চে যে তার অনুরুপ কারো পক্ষে রচনা সম্ভব নয়।
অপরপক্ষে মনে করুন কবি রবিন্দ্রনাথও একই ধরনের দাবী করল।রবীন্দ্রনাথের অনুসারীরা তার রচনাকে স্রষ্টার বাণী মনে করে আর অপরপক্ষে কাজী নজরুলের অনুসারীরা তার রচনাকে স্রষ্টার বাণী মনে করে। উভয় পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে বিতর্ক হলে উভয় পক্ষের কাছে বিশাল যুক্তির ভান্ডার থাকে।বাস্তব সত্য কথা যেহেতু উভয়ের লেখারই সাহিত্য মান আছে, তাই উভয়ের অনুসারীদের সকল কথা ফেলে দেয়ার মত নয়।সুধী পাঠকদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন যে নজরুল ও রবীন্দ্রনাথের অনুসারীরা যদি তাদের নিজ নিজ নেতা/কবির সাহিত্য মান নিয়ে বিতর্ক করে সেই বিতর্ক কি শেষ হওয়ার। এ ধরনের বিতর্ক কি বুদ্ধিমত্তার কাজ?
সুতরাং প্রমান হিসাবে এমন কিছুকে উপাস্থাপন করা বোকাদের দ্বারাই সম্ভব। আমার সৃষ্টিকর্তা এত বোকা নন, তাই আমি কুরআনকে স্রষ্টার বলে অন্ধভাবে মানতে পারি না।
৪. উপরোল্লিখত যুক্তিই বলে যে কুরআনের সত্যতার প্রমান হিসাবে কুরআনের অনুরুপ সুরা আনতে বলার দাবিটাই প্রমান করে যে হাজার বছর আগে রচিত কোন স্বল্প বুদ্ধির লোক কর্তৃক এমন দাবি। আজকে কেউ যদি কোন বই এনে স্রষ্টার হিসাবে মিথ্যা দাবি করে, সে প্রমান স্বরুপ কোন কিছু উপাস্থাপন করলেও কমপক্ষে এমন বোকামিমূলক দাবি না করে বরং এরচেয়েও চাতুর্যপূর্ণ কৌশল অবলম্বন করতে পারবে।সুতরাং কুরআনের অনুরুপ সূরা আনার কোন প্রয়োজন নেই। তথাপিও মানসিক স্বান্তনার জন্য নিম্নে কুরআনের অনুরুপ আয়াতের দৃষ্টান্ত দিচ্ছি।
যারা নিরপেক্ষ মনে বিবেচনার ক্ষমতা রাখে এবং সত্য গ্রহণে আপোষহীণ তাদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন যে নিম্নোক্ত দৃষ্টান্ত কুরআনের অনুরুপ হয় কিনা তা বিবেচনা করা:
কুরআনের সূরা আসর:
সময়ের/যুগের কসম। নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তবে তারা ব্যতিত যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে, এবং সৎ কাজ করেছে, পরস্পর পরস্পরকে সত্যের ও ধৈয্যের উপদেশ দিয়েছে।
অনুরুপ সুরার উদাহরণ:
জ্ঞানের কসম।নিশ্চয়ই রবিন্দ্রনাথের অনুসারীর বোকার স্বর্গে আছে।তবে তাদের মধ্যে থেকে তারা বাদে যারা অনুতপ্ত হয়ে নজরুলের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করল, এবং ভাল কাজ করল,পরস্পর পরস্পরকে ভাল কাজের ও রবীন্দ্রনাথের অনুসারীদের সকল সমালোচনার মোকাবেলায় এবং নজরুলের আদর্শ বাস্তবায়নের পথে ধৈর্য ধারনের উপদেশ দিল।
উপরোক্ত দৃষ্টান্তটি দিয়েছে যারা নিরপেক্ষ মনে চিন্তা করে তাদের বিবেচনার সুবিধার্থে। কেউ যদি আমার দেয়া অনুরুপ সূরার দৃষ্টান্ত নিয়ে যে কেউ বিতর্ক উথ্থাপন করলে আমি সে অর্থহীন বিতর্কে জড়াবো না। কারন আমি আগেই বলেছি যে এমন প্রমানের দাবিটিই বোকামিমূলক আর এ নিয়ে বিতর্ক করলে এক অসীম বিতর্ক হবে।
৫. আমি একটি কিছু রচনা করে দাবি করলাম যে আমার রচনার সমতুল্য আর কারো রচনা নয়, এরপর বিতর্ক ও ঝগড়া শেষে বললাম যে যারা আমার রচনাকে শ্রেষ্ঠতম মানল না তাদের কথা ঠিক নয়,তাদের যুক্তি ঠিক নয় আমার যুক্তিই ঠিক আর আমার রচনাই শ্রেষ্ঠ।এরপর প্রচার করে বেড়ালাম যে আমার রচনার শ্রেষ্ঠত্ব কেউ খন্ডন করতে পারেনি, আমার এমন দাবি দেখে বুদ্ধিমান লোকেরা দূর থেকে হাসা ছাড়া আর কি করবে বলূন?
দ্বিতীয় প্রমান: মানবরচিত পুস্তক হলে এতে অনেক অসঙ্গতি থাকত:
কুরআন দাবি করছে এতে অসঙ্গতি নেই, অথচ বাস্তবে কুরআনে বহু অসঙ্গতি রয়েছে।কযেকটি অসঙ্গতি নিম্নে তুলে ধরছি:
ক. কুরআন দাবি করছে এ পুস্তক অতি সহজ, বাস্তবে ইহা অতি সহজ নয়।অতি সহজ বলতে সর্বসাধারণ সরাসরি বুঝতে পারবে।অথচ তাফসির ছাড়া কে্উ বুঝতে পারে না। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, শিক্ষিত লোকদেরই বুঝতে বেগ পেতে হয়। আল কুরআন সহজ না কঠিন
খ. কুরআন দাবি করছে এর কথা গুলো অতি সুস্পষ্ট, পরিস্কারভাবে বিশ্লেষিত। বাস্তবে এর বেশিরভাগ বিধানই অস্পষ্ট।যেমন-কুরআনে বলা হয়েছে এতে সকল কিছুর বর্ননা রয়েছে, বাস্তবে সকল কিছু বলতে কি বুঝানো হয়েছে তা পরিস্কার কর হয়নি।
গ. কুরআন নাকি মানুষের জীবন বিধান বিস্তারিতভাবে দেয়া আছে, অথচ বাস্তবে কুরআনের মাত্র ১৫% আইন-কানুন ও বিধি-বিধান সংক্রান্ত।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কুরআনের চ্যালেঞ্জ এর জবাব প্রকাশ্য দিতেও কুরআনের বিশেষজ্ঞ বলে পরিচিতরা বাধা দেয়।কেউ কুরআনের চ্যলেঞ্জ এর জবাব দিতে আসলে তখন তথাকথিত কুরআন বিশেষজ্ঞরা কুরআন অবমাননা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ইত্যাদি বলে চিৎকার শুরু করে।প্রায় প্রত্যেক ধর্মীয় নেতা তার অনুসারীদের ও সাধারণ মানুষদের ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টি করে এক অরাজকতা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালায়। এভাবে তারা চায় যে মানব রচিত কুরআনের আসল সত্য যাতে প্রকাশ না পায়, সত্য যেন সাধারণ মানুষের সামনে চলে না আসে, এতে তাদের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে তাদের ধর্ম ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারবে না। কুরআনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণকারিকে হত্যা কর,ফাসি চাই্ ইত্যাদি্ হুমকি-ধমকি দিয়ে তাদেরকে দূরে রাখে ।এটাই প্রমান করে কুরআনের মিথ্যা চ্যালেঞ্জ।
ধর্মটাতো বিশ্বাসের ব্যাপার। বিশ্বাসই এখানে ফ্যাক্টর। তবে এই বিশ্বাসের পক্ষে কিছুটা প্রমান বা নির্দশন আল্লা মুমিনদের দেন যেনো তারা সেই প্রমান দিয়েই কাফেরদের সাথে তর্ক করতে পারে। আল কোরআন বলে -“এই লোকদের সামনে সে অবস্থা এসে গেছে, যাতে খোদাদ্রোহিতা হতে বিরত রাখার বহু শিক্ষাপ্রদ উপকরণই নিহিত রয়েছে এবং এমন পূর্ণতাপ্রাপ্ত বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিও (বৈজ্ঞানিক আবিস্কার) রয়েছে যা উপদেশ দানের পূর্ণমাত্রায় পূরণ করে।” (৫৪:৪-৫ ‘আল-কোরআন)।
তবে কোন কিছু প্রমান করা সম্ভব নয় কখনই। স্রষ্টা নিজেই চান না মুমিন বান্দারা ১০০% প্রমান করুক। কারন যদি এটা ১০০% প্রমান হয়ে যায়। তবে দোজখে আপনাদের মতো বলদদের জায়গা দেবে কি করে?
তবে স্রষ্টা নেই এমন টি কেউ প্রমান করতে পারবে না। যদি কেউ স্রষ্টা নেই বলে নোংরা ভাষায় মন্তব্য করে অথবা স্রষ্টার বিরেুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য করে তবে সত্যিই সেটা অন্যায় বা অপরাধ বলে গণ্য করা হয়।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: অপরপক্ষে মনে করুন কবি রবিন্দ্রনাথও একই ধরনের দাবী করল।রবীন্দ্রনাথের অনুসারীরা তার রচনাকে স্রষ্টার বাণী মনে করে আর অপরপক্ষে কাজী নজরুলের অনুসারীরা তার রচনাকে স্রষ্টার বাণী মনে করে। উভয় পক্ষের অনুসারীদের মধ্যে বিতর্ক হলে উভয় পক্ষের কাছে বিশাল যুক্তির ভান্ডার থাকে।বাস্তব সত্য কথা যেহেতু উভয়ের লেখারই সাহিত্য মান আছে, তাই উভয়ের অনুসারীদের সকল কথা ফেলে দেয়ার মত নয়।সুধী পাঠকদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন যে নজরুল ও রবীন্দ্রনাথের অনুসারীরা যদি তাদের নিজ নিজ নেতা/কবির সাহিত্য মান নিয়ে বিতর্ক করে সেই বিতর্ক কি শেষ হওয়ার। এ ধরনের বিতর্ক কি বুদ্ধিমত্তার কাজ?
আপনার সাথে কি ধর্মের বিষয়ে আলোচান করা যায়? মনে হয় যায় না। কারন আপনি অন্যদের সম্মান দিয়ে কথা বলতে পারেন না। আপনি আল কোরআনের সাথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গ্রন্থ আর কাজী নজরুলের গ্রন্থের তুলনা করেন। স্রষ্টা কি এ বিষয়টি আসলে অাপনি বুজতে পারেন নি। একুট লেখা পড়া করেন ভাই। অল্প বিদ্যা ভয়ংকর।
আপনি যে সকল যুক্তি তুলে ধরেছেন সেগুলো যুক্তির মধ্যেই পড়ে না। বাচ্চা শিশুর মতো কথা বলেন।
১৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯
নতুন বলেছেন: সুফিবাদ হলো এমনই একটি পথ। যে পথে স্রষ্টার সন্ধান করা হয়। এসকল গভীরের ব্যাপার ভাই এগুলো ব্লগে হয় না। তারপরও আমি আপনাকে বোঝাতে সক্ষত হলাম না। তো যাই হোক। আপনাকে বলি। আর পারলাম না।
ভাই হাল ছাইরেন না। আমি দুক্ষিত আপনাকে বিরক্ত করে থাকি তার জন্য।
মারেফাত গভীর জ্ঞান মানলাম<<<
কিন্তু এতে এমন কি গোপন কথা আছে যেটা এতো গোপনে আলোচনা করতে হবে?
সৃস্টিকতার আকৃতি মানুষের মতন... তিনি নিজের আকৃতিতেই মানুষ বানিয়েছেন...এটা তারই একটা খেলা...
হাজারো এলোমেলো ভাবনা আছে এই গোপন জ্ঞানে....
আপনার মতে কোথায় গেলে সহী মারেফাতের শিক্ষা নিতে পারবো? মানে কারা আসল মারেফাতের পথে আছে?
দেওয়ানবাগ, আটরশি, চরমোনাই, মাইজভান্ডার, বাউলরা?
সাপের বিষ নামানোর মন্ত্রে আসলে কি আছে ভালো করে শুনে দেখেছেন? এটা মা মনসার কথা, অনেক গালাগালী, অনেকের দোহাই দেওয়াই আছে.... কিন্তু অনেকের বিশ্বাস এই মন্ত্রপড়েই সাপের বিষ নামে...
কিন্তু আসল বিষয় হইলো ৯৫% সাপের কামড়ে মানুষ মরেনা....তাই ওঝা ৯৫% সফল... বাকি ৫% সে অন্যর উপরে দোষ চাপিয়ে দেয়....
তেমনি... মারেফাতের শিক্ষা প্রতিটা পীর আউলিয়ার মাঝেই আলাদা.... ( ফিজিক্সির থিউরি কিন্তু একটাই এটা দেশ বা গোষ্ঠি ভেদে পাল্টে যায় না)
আপনি হাদিসে বিশ্বাস করেন না কারন এটা পরে সংকলিত করা হয়েছে.... তেমনি মারেফাত কবে থেকে শুরু? এটা কিভাবে আপনি রাসুল সা: এর সেখানো জ্ঞান বলে প্রমান করতে পারবেন?
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১০
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সৃস্টিকতার আকৃতি মানুষের মতন... তিনি নিজের আকৃতিতেই মানুষ বানিয়েছেন...এটা তারই একটা খেলা...
আল কোরআনে ‘সৃষ্টিকর্তার আকৃতি মানুষের মতন’ এই কথাটা কোথাও বলা নেই। এ সংক্রান্ত আলোচনা করাই ঠিক না।
এটা বাইবেলের বক্তব্য। এটি একটি রুপক বক্তব্য।
হাজারো এলোমেলো ভাবনা আছে এই গোপন জ্ঞানে....
আপনার মতে কোথায় গেলে সহী মারেফাতের শিক্ষা নিতে পারবো? মানে কারা আসল মারেফাতের পথে আছে?
দেওয়ানবাগ, আটরশি, চরমোনাই, মাইজভান্ডার, বাউলরা?
ভাই আমি এব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে পারবো না। আপনাকে বাইবেলের একটি স্ত্রোত বলি ! মাবুদ বললেন “ আমি বলচি আমাকে ডাক, আমি তোমদের জবাব দেবো এবং এমন মহৎ ও গোপন বিষয়ের কথা বলবো যা তুমি জান না” ----- সত্যি কথা বলতে কি মারেফতের জ্ঞান আসলে আল্লাহর তরফ থেকে আসে।
তেমনি মারেফাত কবে থেকে শুরু? এটা কিভাবে আপনি রাসুল সা: এর সেখানো জ্ঞান বলে প্রমান করতে পারবেন?
সকল জ্ঞানই আল্লাহ হতে প্রাপ্ত। আর মারেফত কোন জ্ঞান নই। আপনি আসলে মারেফত কি বুঝতে পারলেন না। শরীয়ত, মারেফত, হকীকত, তরিকত সম্পর্কে বোঝেন না। শরীয়ত, মারেফত, হকীকত, তরিকত যুগে যুগেই ছিলো।
২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সাপের বিষ নামানোর মন্ত্রে আসলে কি আছে ভালো করে শুনে দেখেছেন? এটা মা মনসার কথা, অনেক গালাগালী, অনেকের দোহাই দেওয়াই আছে.... কিন্তু অনেকের বিশ্বাস এই মন্ত্রপড়েই সাপের বিষ নামে...
কিন্তু আসল বিষয় হইলো ৯৫% সাপের কামড়ে মানুষ মরেনা....তাই ওঝা ৯৫% সফল... বাকি ৫% সে অন্যর উপরে দোষ চাপিয়ে দেয়....
এসব ছোটখাটো কুসংস্কারের ঘটনার জন্য আপনি স্রষ্টাকে দোষারোপ করবেন কেনো? এরা ব্যবসায়ী সকল ক্ষেত্রে এদের ব্যবসা। এরা ধর্মকে নিয়েও ব্যবসা করে। এসকল ধর্ম ব্যবসয়ায়ীদের জন্য অনেক নবী রাসুল ওলি আউলিয়া হত্যা হয়েছে। যিশু খ্রীষ্টকে তার ধর্ম প্রচার থামায়ে দিতে হয়েছিলো।
আপনি কি মনে করছেন এ সকল ধর্ম ব্যবসায়ীদের ধর্ম ব্যবসার বিরুদ্ধে নতুন করে আবার ঈসায়ী আন্দোলন জাগবে না? অবশ্যই জাগবে। ধৈয্য ধরুন। সেই বিচারের দিন ঘনায়িত। আল্লা মানব জাতিকে রক্ষা করবেন।
১৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:০২
নতুন বলেছেন: তেমনি মারেফাত কবে থেকে শুরু? এটা কিভাবে আপনি রাসুল সা: এর সেখানো জ্ঞান বলে প্রমান করতে পারবেন?
সকল জ্ঞানই আল্লাহ হতে প্রাপ্ত। আর মারেফত কোন জ্ঞান নই। আপনি আসলে মারেফত কি বুঝতে পারলেন না। শরীয়ত, মারেফত, হকীকত, তরিকত সম্পর্কে বোঝেন না। শরীয়ত, মারেফত, হকীকত, তরিকত যুগে যুগেই ছিলো।
আপনিও তো বোঝানোর চেস্টা করছেন না। আপনি যদি বলেন যে কারা আসল মারেফাতের অনুসারী তবে তাদের কাছথেকে বিষয়টা শেখার চেস্টা করতে পারি। কিন্তু আপনি কোন মন্তব্য করবেনা।
সত্যি কথা বলতে কি মারেফতের জ্ঞান আসলে আল্লাহর তরফ থেকে আসে।
যদি সরাসরি আল্লাহের তরফ থেকেই আসে তবে পীর/মুশেদ ধরার কি দরকার? ( রাসুল সা: কোন পীরের কাছে যাননাই নিজেই ধ্যান করেছেন সৃস্টিকতাকে বোঝার জন্য )
২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সত্যি কথা বলতে কি মারেফতের জ্ঞান আসলে আল্লাহর তরফ থেকে আসে।
যদি সরাসরি আল্লাহের তরফ থেকেই আসে তবে পীর/মুশেদ ধরার কি দরকার? ( রাসুল সা: কোন পীরের কাছে যান নাই নিজেই ধ্যান করেছেন সৃস্টিকতাকে বোঝার জন্য )
রাসুল সাঃ এর শিক্ষক ছিলেন জীবরাইল (আঃ) তিনিই তাকে শিখিয়েছেলেন। রাসুল (সাঃ ) সরাসরি আল্লাহর সান্নিধ্যে শিখেছেন।
আপনিও তো বোঝানোর চেস্টা করছেন না। আপনি যদি বলেন যে কারা আসল মারেফাতের অনুসারী তবে তাদের কাছ থেকে বিষয়টা শেখার চেস্টা করতে পারি। কিন্তু আপনি কোন মন্তব্য করবেনা।
কারো বিরুদ্ধে কোন মন্তব্য করবো না। কাউকে ছোট করাবো না। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো। প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে মারেফতের জ্ঞান জানা যায়। এ ক্ষেত্রে সঠিক সত্য জানার জন্য নিজের প্রজ্ঞাই যথেষ্ট। পীর শব্দের অর্থ হলো শিক্ষক। সেই হিসেবে আপনি যদি কাউকে শিক্ষক মনে করে কিছু শিখতে চান তাতে দোষের কি? তবে কোন ধর্ম ব্যবসায়ীর পাল্লাই পড়ে নিজেকে অনুতপ্ত করবেন না।
১৭| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫
নতুন বলেছেন: কারো বিরুদ্ধে কোন মন্তব্য করবো না। কাউকে ছোট করাবো না। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো। প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে মারেফতের জ্ঞান জানা যায়। এ ক্ষেত্রে সঠিক সত্য জানার জন্য নিজের প্রজ্ঞাই যথেষ্ট। পীর শব্দের অর্থ হলো শিক্ষক। সেই হিসেবে আপনি যদি কাউকে শিক্ষক মনে করে কিছু শিখতে চান তাতে দোষের কি? তবে কোন ধর্ম ব্যবসায়ীর পাল্লাই পড়ে নিজেকে অনুতপ্ত করবেন না।
কোয়ান্টাম ফিজিক্স বা স্ট্রিং থিউরির মতন জিনিসও যদি বিশ্বের বিভিন্ন পীরের ( শিক্ষক) কাছে শিখতে যান তবে সেটা মুটামুটি একই জিনিসই শিখতে পারবেন....
কিন্তু দেশে যত পীর আছে তাদের সবাই বিভিন্ন মারেফতি তরিকায় শিক্ষা দেয়..... তবে রাসুল কোনটা শিখিয়েছেলেন?
কোনটা প্রকৃত মারেফাত???? << বাজারে যখন ৯৯% ভ্যাজাল এই মারেফাতে... তখন এটাকে কিভাবে এমন পিউর মনে করেন?
২১ শে নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কোয়ান্টাম ফিজিক্স বা স্ট্রিং থিউরির মতন জিনিসও যদি বিশ্বের বিভিন্ন পীরের ( শিক্ষক) কাছে শিখতে যান তবে সেটা মুটামুটি একই জিনিসই শিখতে পারবেন
পীরের কাছে কোয়ান্টাম ফিজিক্স বা স্ট্রিং থিউরি শিখবেন কেনো? পীরের কাছে শিখবেন আপনি ধর্মতত্ত্ব।
আর ধর্মব্যবসা থেমে যাবে ভাই। ভেজাল থাকবেনা । প্রকৃত সত্য জেগে উঠবে। সত্য মিথ্যা যাচাই করবে আল কোরআন।
১৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০২
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: কোয়ান্টাম ফিজিক্স বা স্ট্রিং থিউরির মতন জিনিসও যদি বিশ্বের বিভিন্ন পীরের ( শিক্ষক) কাছে শিখতে যান তবে সেটা মুটামুটি একই জিনিসই শিখতে পারবেন
পীর অথ` শিক্ষক তাইনা<< তাই আমি বলেছি যদি বিশ্বের সব দেশের/ভাষার শিক্ষকের কাছে কোয়ান্টাম ফিজিক্স বা স্ট্রীং থিউরি পড়তে যান তবে তারা একই জিনিসই সেখাবে.... এই জিনিসের তরিকা একটাই...দুইটা না... কারন এটা গোপন জ্ঞান না তাই এতে বিষয়ের মাঝে পাথ`ক্য নাই।
কিন্তু আমাদের দেশের ৫০ পীর ৫৫ রকমের তরিকা অনুসারে আপনাকে মারেফাত শিক্ষা দেবে...
আপনি এতো ভালো বিজ্ঞান বোঝেন কিন্তু মারেফাতের নামে যেই সব জ্ঞান আমাদের পীরেরা শিক্ষা দিচ্ছে তার যে কোন ভিক্তি নাই সেটা বোঝেন না???
বিজ্ঞানের তত্ব হিসেবে একটা জিনিস দাড় করতে কত কাঠখড় পোড়াতে হয় বিজ্ঞানীদের সেই বিষয়ে অবশ্যই আপনার ধারনা আছে....
কিন্তু এই সব মারেফাতী তত্বগুলি শুধুই পীর তার বাবাপীর/দাদাপীর/বড়পীরের কাছে গোপনে শিখেছে এটাই রেফারেন্স!!!!!!!!!!
কোন জানাল`/পেয়ার রিভিউং/পেপার/আটিকেল` বা গবেষনার নাই... !!!!!!!!!!!!!!!! আছে শুধুই বিশ্বাস এবং গোপনীয়তা
যে কোন পীর হক মাউলা আমার কাছে গোপন জ্ঞান আছে....
আর ধর্মব্যবসা থেমে যাবে ভাই। ভেজাল থাকবেনা । প্রকৃত সত্য জেগে উঠবে। সত্য মিথ্যা যাচাই করবে আল কোরআন।
আপনার এইকথাটা খুবই সত্য.... ধম`ব্যবসা কমে যাচ্ছে...ভেজালের কদর কমে যাচ্ছে...প্রকৃত সত্য জেগে উঠছে.... কিন্তু এই সবই হচ্ছে মানুষ বিজ্ঞানের আলোতে আসছে তাই ধমের অন্ধকার দুর হচ্ছে।
ভালো থাকবেন সব সময়...
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনিও ভালো থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৫
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।