নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের জন্য মহাবিশ্ব সৃষ্টি। এটা এখন বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত। মহাবিশ্বটি পরিকল্পিত সৃষ্টি। (পর্ব-১)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮



আমি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করিয়াছি নির্ধারিত পরিমাপে। (সুরা কামার:৫০-৫১) “সেই মহান সত্ত্বা আকাশসমূহ ও পৃথিবী সমূহকে সৃষ্টি করিয়াছেন অতি সুক্ষ সমতায়।” (৬.৭৩) সুধী পাঠক, লক্ষ্য করুন উপরোক্ত দুটি আয়াতে। দুটি আয়াতেই এই মহাবিশ্বটির ‘ফাইন টিউনিং’ এর বিষয়টি উল্লেখ করছে। যার অর্থ দাড়ায় মহাবিশ্বে সমস্তকিছু একটি নির্ধারিত পরিমাপে। সুক্ষভাবে একটি হিসেবের অনুশাষনে বদ্ধ। যার প্রতিটি সুত্র প্রতিটি পরিমাপ অতি সুক্ষ সমতায় সৃষ্টি। আমরা ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে এতদিন ধরে জেনে এসেছি আল্লাহ মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন মানুষের জন্য। এই মানূষ সৃষ্টি না করলে তিনি মহাবিশ্ব সৃষ্টি করতেন না। ধর্মীয় ভাবে জানা এসকল তথ্যা অথবা আল কোরআনের এই সুক্ষ সমতা নির্ধারিত পরিমাপের কথাটি কিন্তু মিথ্যা নয়! ইদানিং আমাদের এই মহাবিশ্ব নিয়ে গবেষনা করে পাওয়া গেছে মহাবিশ্বের যাবতীয় সুত্র থেকে, বিগবিংগের শুরু থেকে কসমিক বলের সাম্যতা, আমাদের ছায়াপথে সৌরজগতের অবস্থান, মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ, সৌরজগতে গতিবিধি, পৃথিবীর গতি, পৃথিবীর সাথে চাদের সম্পর্ক, সূর্য থেকে পৃথিবীতে প্রাপ্ত আলোর পরিমান, পৃথিবীর বুকে গ্যাসের আস্তরণ সহ মহাজাগতিক জটিল সকল হিসাবে নিকাশ যেনো এক সুত্রেই বাধা যার একটু এদিক ওদিক হলেই এই পৃথিবীতে প্রাণ উতপাদন সম্ভব হতো না। এরকম অসংখ্য হাজার হাজার বিষয়গুলো এক ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষের বসবাসের ্উপযোগী হয়ে উঠেছে। এর একটু এদিক ওদিক হলে এই পৃথিবীতে প্রান উতপাদন হতো না। এতগুলো বিষয় এক ঐক্যবদ্ধ হয়ে যে সৌভাগ্যময় অবস্থার সৃষ্টি করেছে এই পৃথিবীতে এটা কোন কাকতলীয় বা এ্যাকসিডেন্ট এর ফল হতে পারে না। মহাবিশ্ব এতটা নিয়ন্ত্রিতভাবে এক্সপ্রোসান কেমন করে হলো? কেমন করেই বা এতটা সুক্ষসমন্ময়। এখন আমাদের এই সুক্ষসমন্ময় বা ফাইন টিউনিং বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা দরকার।

মাইকেল বিহে, উইলিয়াম ডেম্বস্কি ও জর্জ এসিলস প্রমুখ বিজ্ঞানী মিলে একটি তত্ব দাড় করালেন যার নাম দিলেন “ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন আর্গুমেন্ট”। তারা অভ’তপূর্ব কিছু চিন্তা চেতনা ছডিয়ে দিলেন বিজ্ঞানী মহলে। তাদের তত্ব মতে আমাদের এই মহাবিশ্ব এমন কিছু চলক বা ভ্যারিয়েবল সুক্ষ সমন্ময়ের সাহায্যে ফাইন টিউনিং করে তৈরী হয়েছে যে এর একচুল এদিক ওদিক হলে আমাদের মহাবিশ্ব তৈরী হতো না, তৈরী হতো না কার্বনভিত্তিক নান্দনিক প্রাণের স্পন্দন। প্রান সৃষ্টি করবেন এমন চিন্তা মাথায় রেখে ঈশ্বর বিশ্বব্রক্ষান্ডকে এতটাই নিখুত এতটা সুসংবদ্ধ করে সৃষ্টি করেছেন। মহাবিশ্বটা পরিকল্পিত ভাবে ডিজাইন করেই সৃষ্টি। পরবর্তীতে প্রাণ সৃষ্টি করবেন এমন চিন্তা মাথায় রেখে ইশ্বর মহাবিশ্ব সৃষ্টি শুরু করেছিলেন। এটা কোন কাকতলীয় এর ফল নয়। ফাইন টিউনিং যে একটি ফ্যাক্ট এটা বিজ্ঞান মহল স্বীকার করে। যার অসংখ্য প্রমান ও নিদর্শন বিদ্যমান। জগতের এমন অসংখ্য সুক্ষ সমন্ময় দেখে নাসার জোতিবিদ প্রফেসর জন ও কিফ এর মতে“ আমরা মানবজাতি পরিকল্পিত ভাবে সৃষ্টি করা একটি জাতী। যদি এই মহাবিশ্ব সঠিকভাবে তৈরী না হতো তাহলে আমাদের অস্তিত্বই থাকতো না। এসব দেখে আমার মনে হয় এই মহাবিশ্¦ মানুষের সৃষ্টি ও বসবাসের লক্ষে তৈরী করা হয়েছে।” ফাইন টিউনিং এর গ্রহণযোগ্যতা সর্বক্ষেত্রে সর্বসময়। এখন পযর্ন্ত এমনে কোন পেপার নাই যাতে ফাইন টিউনিং এর বিপরীতে গুরুত্বপূর্ণ কোন তথ্য কেউ সরবরাহ করতে পেরেছে। ফাইন টিউনিং আছে এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কেউ কোন প্রশ্ন করতে পারে নাই। ষ্টিফেন ডব্লিউ হকিং “The laws of science, as we know them at present, contain many fundamental numbers, like the size of the electric charge of the electron and the ratio of the masses of the proton and the electron. … The remarkable fact is that the values of these numbers seem to have been very finely adjusted to make possible the development of life.” বিট্রিশ জোর্তিবিদ পল ডেভিস বলেন “There is now broad agreement among physicists and cosmologists that the Universe is in several respects ‘fine-tuned’ for life” তিনি আরো বলেন “the laws [of physics] ... seem themselves to be the product of exceedingly ingenious design…. The universe must have a purpose." বিট্রিশ গনিতবিদ প্রফেসর রজার পেনরোজ বলেন :‘:‘There has got to be fine tuning. This is fine tuning, this is incredible precision in the organisation of the initial universe.’’ তিনি আরো বলেন - ““I would say the universe has a purpose. It's not there just somehow by chance." " ইন্টালিজেন্ট ডিজাইন এর পক্ষে অসংখ্য বিজ্ঞানীর মতামত ও যুক্তি হাইপোথিসিসটিকে আরো গ্রহণ যোগ্য করে তুলছে।

স্যার মার্টিন রীস এর লিখিত দি সিক্স নাম্বার নামের এ্কটি বই আরো বেশি আড়োলন করে তুলেছে। তিনি তার বইতে ্উল্লেখ করেছেন। এই মহাবিশ্বের কতিপয় ধ্রুবক এর মান এমন কেনো? এতটাই রহস্যময় যে এই ধ্রুবকের মান এমন হওয়ার দরকার ছিলো মানুষের আর্বিভাবের জন্য। যদি এমন না হয়ে অন্যরকম হতো তবে এই মহাবিশ্বটাকে আমরা যেভাবে দেখছি সেভাবে হয়তো দেখা হতো না। ধ্রুবক গুলোর মান এমন না হলে প্রানের নান্দনিক স্পন্দন হতো না এই পৃথিবীতে! এ্ই বিষয়বস্তুু নিয়ে ফাইন টিউনিং বিশারদদের খোলামেলা বক্তব্য। যেমন ধরুন এই পৃথিবী। যেখানে আমাদের বসবাস। যা সূর্য থেকে ১৪৭,৫৯৭,৮৭০,৭০০ মিটার অথবা ১৫ কোটে কিলোমিটার দুরে অবস্থিত থেকে সুর্যকে কেন্দ্র করে ্উপবৃত্তাকার পথে ঘুরছে। উপবৃত্তাকার পথে ঘুরতে গিয়ে কোনভাবেই সূর্য পৃথিবীকে কাছে টেনে নিচ্ছেনা। পৃথিবী কোনভাবেই তার কক্ষচ্যুত হচ্ছে না। বরং সূর্য থেকে পৃথিবীর দুরত্¦ বরাবর একই রয়েছে। সূর্য ও পৃথিবীর জন্¥ থেকেই দুজনেই ্একই দুরত্বে অবস্থান করছে। যদি সৃষ্টির শুরুতে সূর্য থেকে পৃথিবীর দুরত্ব কিছুটা কম হতো। যদি কোন কারনে সূর্য থেকে পৃথিবী ১% কাছে অবস্থান করতো তাহলে এই পৃথিবী সূর্যের অত্যাধিক তাপ ও চাপের কারনে জ্বলে পুড়ে শুক্র গ্রহের রুপ ধারণ করতো। ফলে কখনই বায়ুমন্ডল সৃষ্টি হতো না। আর বায়ুমন্ডল সৃষ্টি না হলে কোনভাবেই এই পৃথিবীতে প্রাণ উতপাদন সম্ভব হতো না। আর যদি পৃথিবী সূর্য হতে ১% দুরে অবস্থান করতো তাহলে সূযের তাপ ও চাপ এর অভাবে পৃথিবী হিম শীতল হয়ে মঙ্গল গ্রহের মতো তুষারাচ্ছন্ন হয়ে পড়তো। ফলে প্রাণ উতপাদনের প্রতিটি শর্ত্ই ভঙ্গ হতো। পৃথিবীর নির্ধারিত অবস্থান প্রান উতপাদন ও জীবনের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এই অবস্থানের কারনে সূর্যের পর্যাপ্ত আলো এই পৃথিবীকে টিকিয়ে রেখেছে। টিকিয়ে রেখেছে বৃক্ষমন্ডলী এবং প্রানীকুল। এ যেনো সুক্ষ এক সমন্ময় আর মহাপরিকল্পনার ফসল। নির্ধারিত একটি অবস্থান যে অবস্থানের কারনে পৃথিবী আজ প্রাণময়।পৃথিবীর অবস্থান যেমন প্রাণীকুলের অস্তিত্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি পৃথিবীর আয়তন এর উপরও ডিপেন্ড করে মহাজাগতিক এবং প্রাণময় হিসেব নিকেশ। যেমন ধরি পৃথিবী ও তার মধ্যাকর্ষণ শক্তি। এই মধ্যাকর্ষন শক্তির পরিমান নির্ধারিত হয়েছে পৃথিবীর আয়তন এর উপর। পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তি যদি নির্ধারিত ধ্রুবকের চেয়ে ০.১% বেশি হতো তবে অত্যাধিক মধ্যাকর্ষন ্এর চাপের কারনে পৃথিবীর বুকে কোন ভাবেই বায়ুমন্ডল সৃষ্টি হওয়া সম্ভব হতো না আবার যদি পৃথিবীর মধ্যাকর্ষন শক্তি যদি নির্ধারিত ধ্রুবকের চেয়ে ০.১% কম হতো তবে পৃথিবীকে ঘিরে বায়ুমন্ডলের বলয় তৈরী না হয়ে বরং তা মহাশুন্যে উড়ে হারিয়ে যেতো। ফলে বায়ুমন্ডলের এই অভাবে পৃথিবীর বুকে কখনই ঘটতো না কার্বন ভিত্তিক নান্দনিক প্রাণের মহাযাত্রা। আমেরিকান ভূতত্ত্ববিদ ফ্রাংক প্রেস এবং সিলভার তাদের গবেষনার মাধ্যমে প্রাপ্ত ডাটার উপর ভিত্তি করে বলেন “পৃথিবীর আয়তন একে জীবনধারনের উপযোগী করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যদি পৃথিবীর আয়তন কিছুটা কম হতো তবে এটি এর বর্তমাান বাযূমন্ডল ধরে রাখতে পারত না। কারন এর অভিকষিয় শক্তি গ্যাস সমূহকে ধরে রাখার ক্ষেত্রে যথেষ্ট হতো নাা। আবার যদি এর ভর কিছুটা বেশি হতো তবে এর শক্তিশালী অভিকর্ষীয় আকর্ষন শক্তির দ্বারা এটি বেশি পরিমান গ্যাস (ক্ষতিকর গ্যাস সমূহ) বায়ুমন্ডলে ধারণ করত। পৃথিবীর আকৃতি এবং অভ্যন্তরের পদার্থ সমহের উপরও প্রাণীকুলের অস্তিত্ব নির্ভরশীল। এইগুলো যদি এক বিন্দু এদিক ওদিক হতো তাহলে কোনভাবেই এ পৃথিবীতেই প্রানিকুলের আবির্ভাব ঘটতো না।

“আর আমি আসমানকে সৃষ্টি করেছি একটি সুরক্ষিত ছাদরূপে, কিন্তু তারা তার নিদর্শনাবলী থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখে । (সুরা আম্বিয়া- ২১ ঃ ৩২-আল কোরআন) । পৃথিবীতে জীবণ বাঁচিয়ে রাখার জন্য এর চারপাশের বায়ুমন্ডলের পরিবেশ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে । আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে পৃথিবীর চারিপাশের বায়ুমন্ডল ঐ সমস্ত অক্ষতিকারক এবং প্রয়োজনীয় রশ্মি, দৃশ্যমান আলো, অতি বেগুনী রশ্মি এবং বেতার তরঙ্গ সমুহকেই শুধুমাত্র পৃথিবীতে প্রবেশ করতে দেয় । উল্লেখ্য পৃথিবীতে জীবণ বাঁচিয়ে রাখার জন্য এই সমস্ত দ্রব্যগুলির বিকীরণের উপস্থিতি অনস্বীকার্য। অতি বেগুনী রশ্মি যার আংশিক পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে প্রবেশ করতে পারে, এর উপস্থিতি উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষন এবং অন্যান্য জীবণ বেঁচে থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুর্য্য থেকে বিকীরিত অতি বেগুনী রশ্মির অধিকাংশ অংশই পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের ওজন স্তরের মাধ্যমে পরিশোধিত হয়ে শুধুমাত্র সীমিত এবং জীবনের জন্য প্রয়োজনীয় অতি বেগুনী রশ্মির আংশিক বর্ণচ্ছটা পৃথিবীতে এসে পৌঁছে । এই বায়ুমন্ডলের সাথে (ভ্যান এ্যালেন বেল্ট) The Van Allan Belt নামে একটি চুম্বকীয় ক্ষেত্র রয়েছে । যেটা একই ভাবে সমস্ত ক্ষতিকারক বিকীরণের বিপরীতে রক্ষাকবচ বা ঢাল হিসাবে কাজ করে । বিশেষ করে যে সমস্ত বিকীরণ পৃথিবীর জীবনের জন্য মারাত্মক হুমকী স্বরুপ । The Van Allan Belt পৃথিবী রক্ষাকারী দূর্গ হিসেবে কাজ করে। এই বুহ্য মহাবিশ্ব থেকে আসা সূর্য এবং অন্যাান্য নক্ষত্র থেকে আসা ক্ষতিকর রেডিয়েশন থেকে রক্ষা করে। এই The Van Allan Belt মহাবিশ্ব থেকে আসা মাত্র ০.১ % রেডিয়েশন পৃথিবীতে প্রবেশ করতে দেয় এবং বাকী অংশ রেডিয়েশন তা মহাশুল্যে ফেরত পাঠায়। গামা রে, এক্স রে সহ এমন ভয়াবহ ক্ষতিকর রেডিয়েশন যদি ফেরত না পাঠাতো তবে এই পৃথিবীতে প্রাণীকুল এর আর্বিভাব কোনভাবেই সম্ভব হতো না। প্রধানত সুর্য্য এবং বিভিন্ন নক্ষত্র থেকে ক্রমাগত বিকীরিত হচ্ছে তা পৃথিবীর জীবনের জন্য মৃত্যুকুপ স¦রূপ । যদি পৃথিবীর চারপাশে ভ্যান এ্যালেন বেল্ট না থাকত তবে সুর্য্যরে মধ্যে প্রতি মুহুর্তে যে বিভিন্ন রাসায়নিক গ্যাসের মহাবিস্ফোরণ ক্রমাগত ঘটে চলেছে এবং বিভিন্ন শক্তি নির্গত হচ্ছে, তা মূহুর্তেই পৃথিবীর জীবন ধ্বংস করে দিতে পারতো । ডঃ হাগরস্ ভ্যান এ্যালেন বেল্ট সম্পর্কে মন্তব্য করতে যেয়ে বলেছেন যে ‘প্রকৃতপক্ষে আমাদের পৃথিবীর ঘনত্ব পৃথিবীর সৌরমন্ডলে যে কোন গ্রহ উপগ্রহগুলোর চেয়ে সব থেকে বেশী । পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলের বৃহত নিকেল ও লৌহ স্তর এই চু¤¦কীয় ক্ষেত্রের জন্যই সৃষ্টি হয় বা হচ্ছে । এই চুম্বকীয় ক্ষেত্রই ভ্যান এ্যালেন বিকীরণ ঢাল বা রক্ষাকবচ তৈরী করে । যা পৃথিবীকে সমস্ত ধরনের বিস্ফোরনের ক্ষতিকারক বিকীরণের হাত থেকে রক্ষা করে বা করছে । The Van Allan Belt নামক এই প্রানীকূল রক্ষাকারী বুহ্যটি পৃথিবী হতে ১০০০ কি:মি: পযর্ন্ত বিস্তৃত যা পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ চুম্বক ক্ষেত্র দ্বারা প্রভাবিত। পৃথিবীর অভ্যন্তরস্থ ভাগ বা এর কেন্দ্রের Iron Core (আইরন কোর) চুম্¦ক ক্ষেত্র তৈরীতে গুরুত্বর্র্পূণ ভূমীকা রাখে। এই চুম্বক ক্ষেত্রটি পৃথিবীর কেন্দ্রের চুম্বকীয় ধাতু লোহা নিকেল দ্বারা সৃষ্টি হয়। এই Iron Core টির দুটি অংশ আছে Outer Core এবং Inner Core। Inner Core কঠিন পর্দাথ দ্বারা তৈরী এবং Outer Core তরল পদার্থ। এ দুটি লেয়ার পরস্পর বিপরীত দিকে ঘুরতে থাকে এবং তাদের এই ঘুর্ননের কারনে ভূচুম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরী হয়। এই চুম্বকীয় ক্ষেত্র বায়ুমন্ডলের স্তরকে ধরে রাখে এবং মহাজাগতিক কসমিক রেডিয়েশন হতে পৃথিবীকে প্রাণীকুল এবং বৃক্ষজগতকে রক্ষা করে। পৃথিবীর অভ্যন্Íর ভাগ সুষম তাপীয় ইঞ্জিন ব্যবস্থা জধফরড়ধপঃরারঃু দ্বারা পরিচালিত। যদি এই তাপীয় ব্যবস্থা কিছুটা ধীর গতিতে চলতো তবে কোনভাব্ইে ওৎড়হ ঈড়ৎব সৃষ্টি হতো না। আর যদি এই তাপীয় ব্যবস্থা কিছুটা দ্রুতগতিতে হতো তবে এই পৃথিবীতে প্রতিদিন ভূমীকম্প ও অগ্নুপাত হতো। এবং প্রতিদিনের ভূমীকম্পের ফলে পৃথিবীতে প্রাণীকুলের টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে উঠতো। প্রাণীকূলের বিনাশ ঘটতো।


পাঠক একটু গভীর ভাবে ভেবে দেখুন এই পৃথিবীটা একটু সুক্ষসমন্ময়ের উপর দাাড়িয়ে। যার একচূল এদিক ওদিক হলে এই পৃথিবীর উপর কোনভাবেই প্রানের আর্বিভাব ঘটতো না। পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ ও পৃথিবীর সর্ম্পক টি জটিল এবং একটি গানিতিক হিসাবের নিয়ন্ত্রনে। আমরা জানি পৃথিবী ও চাঁদ একে অন্যকে আর্কষণ করে। এবং এই আর্কষনের কারনে পৃথিবীতে জোয়ার-ভাটা ঘটে। |পৃথিবী থেকে চাঁদের গড় দূরত্ব ৩,৮৪,৪০১ কি.মি. সর্বনিম্ম দূরত্ব ৩,৬৩,২৯৭ কি.মি. সর্বোচ্চ দূরত্ব ৪,০৫,৫০৫ কি.মি. ) এতটা দুরে থেকে আর্কষন এবং প্রভাবিত করে। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ যদি তার অবস্থান থেকে কিছুটা নিকটবর্তী হতো তবে নদী-সমুদ্রের পানি নিমজ্জিত করে রাখতো। আর সমগ্র পৃথিবীজুড়ে যদি পানি আর পানি এর অথই নিমজ্জিত থাকতো তবে কি পৃথিবীতে প্রানের আর্বিভাব ঘটতো ? ঘটতো না। প্রানের এই নান্দনিক আয়োজন অকালেই ভ্রম বলে পরিগনিত হতো। আর যদি চাঁদ কিছুটা দুরে সরে যেতো তবে এই পৃথিবীটা মরুভূমীতে পরিনত হতো। মেঘচক্র বৃষ্টিচক্র বাধাগ্রস্ত হবার কারনে পৃথিবীর মাাটির পূর্ণবিকাশ ঘটতো না ফলে পাথরময় বালুকাময় একটি প্রাাণসৃষ্টির অনুপযুক্ত একটি গ্রহ বলেই পৃথিবী বিবেচিত হতো। আর তা যখন হয় নাই তাহলে আমাদের এটা মেনে নিতে হবে এই চাঁদের অবস্থানটিও মহাপরিকল্পনাকারীর পরিকল্পনার গানিতিক রুপায়নেরই ফসল। আর এ্ই কারনেই সম্ভবত আল কোরানে বলে “নিশ্চয়ই আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর সৃজন ক্রিয়ার এবং দিন রাতের অনুবর্তনে অন্তদৃষ্টিসম্পন্ন জনদের জন্য বার্তা রয়েছে। যারা দাড়িয়ে বসে ও শুয়ে আল্লাহ সমন্ধে ভাবে এবং আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর সৃজন সম্বন্ধে চিন্তা করে। তাদের কথা হলো; হে আমাদের প্রতিপালক তুমি এর কোনোকিছুই অর্থবর্জিতভাবে সৃষ্টি করনি। তুমি তো সকল ত্রুটি ও সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত! তুমি আমাদেরকে আগুনের যন্ত্রনা থেকে রক্ষা কর!” (২১:১৬-১৭)

পর্ব - ১
আগামীতে ২য় পর্ব প্রকাশিত হবে....।

সুত্র:
‘মেহেদী আনোয়ার’ এর সকল ব্লগ - “মহাবিশ্ব এবং মানুষ”
হারুন ইয়াহিয়া “A chain of miracles by Harun Yahya.

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৮

নতুন বলেছেন: পাঠক একটু গভীর ভাবে ভেবে দেখুন এই পৃথিবীটা একটু সুক্ষসমন্ময়ের উপর দাাড়িয়ে। যার একচূল এদিক ওদিক হলে এই পৃথিবীর উপর কোনভাবেই প্রানের আর্বিভাব ঘটতো না।

প্রানের উদ্ভব সম্ভব এমন গ্রহের সংখ্যা এই মহাবিশ্বে কত সেটার একটা আনুমানিক হিসাব আছে.... সেই সংখ্যাটা কত জানেন?



On 4 November 2013, astronomers reported, based on Kepler space mission data, that there could be as many as 40 billion Earth-sized planets orbiting in the habitable zones of sun-like stars and red dwarf stars within the Milky Way Galaxy. 11 billion of these estimated planets may be orbiting sun-like stars.

https://en.wikipedia.org/wiki/Rare_Earth_hypothesis

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমরা পুরাতন জ্ঞানের মানুষ পুরাতন চিন্তা চেতনা নিয়ে থাকি তাই আমরা নতুন চিন্তা চেতনা নিয়ে ভাবতে ভয় পাই। কারন আল কোরআন বলে “ উহারাতো অনুমানেই বিশ্বাস করে” আরেকটি আয়াতে বলে “ উহারা যা জানে না তাহা অস্বীকার করে”।

তো ভাইজান অনেক পৃথিবী থাকতে পারে। তবে সেটা এই সকল নিয়ম মেনেই। তবেই আমরা ঐ সকল পৃথিবীতে গিয়ে বসবাস করতে পারবো। কারন যে মানুষের জন্য এত কিছু সৃষ্টি করেছে সেই মানুষ এর জন্য যে আরো পৃথিবী সৃষ্টি করা হয় নাই এটা তো ভাবা যায় না। তাই না?

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: “ উহারাতো অনুমানেই বিশ্বাস করে” ঐ সকল গ্রহে যে প্রাণ আছে সেটা অনুমান নয় প্রমান থাকতে হবে। অনুমান তো অনুমানই। প্রমান আছে কি? না নাই। অতএব আমরা কোন অনুমান মানি না।

২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:১৬

মেহেদী রবিন বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন ভাই আপনি। কষ্ট করে পোস্টটি লিখে শেয়ার করায় আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পড়তে এত ভালো লাগছিলো, শেষ হয়ে যাওয়াতে খারাপই লেগেছে

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:১৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: পড়তে এত ভালো লাগছিলো, শেষ হয়ে যাওয়াতে খারাপই লেগেছে।

একবারে লেখাটি শেষ করতে পারলাম না বলে দুঃখিত। লেখাটি অনেক বড় হওয়াতে পর্ব করতে হলো। ৩/৪ দিনের মধ্যে আবার ২য় পর্ব শেয়ার করবো। ইনশাল্লাহ তখন ভালো লাগবে।

৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৬

তট রেখা (১) বলেছেন: এক কথায় চমৎকার। আর সমালোচনাকারীদের জন্য এই আয়াত টিই যথেষ্ট।

صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لاَ يَرْجِعُونَ (18
তারা বধির, মূক ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না। ( সুরা বাকারাঃ আয়াত নং-৮)

৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

তট রেখা (১) বলেছেন: এক কথায় চমৎকার। আর সমালোচনাকারীদের জন্য এই আয়াত টিই যথেষ্ট।

صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لاَ يَرْجِعُونَ (18
তারা বধির, মূক ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না। ( সুরা বাকারাঃ আয়াত নং ১৮)

৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫

আহা রুবন বলেছেন: ঈমান হল বিশ্বাস নির্ভর। মুসলমান হতে গেলে নির্দ্বিধায় কিছু বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে। প্রমাণ চাওয়া চলবে না। কেননা কিছু প্রমাণ করতে চাইলে তাকে আগে অবিশ্বাস করতে হবে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: “এই লোকদের সামনে সে অবস্থা এসে গেছে, যাতে খোদাদ্রোহিতা হতে বিরত রাথার বহু শিক্ষাপ্রদ উপকরণই নিহিত রয়েছে এবং এমন পূর্ণতাপ্রাপ্ত বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিও (বৈজ্ঞানিক আবিস্কার) রয়েছে যা উপদেশ দানের পূর্ণমাত্রায় পূরণ করে।” (৫৪:৪-৫ ‘আল-কোরআন’)

৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি বলছেন - সূর্য থেকে পৃথিবীতে প্রাপ্ত আলোর পরিমান, পৃথিবীর বুকে গ্যাসের আস্তরণ পৃথিবীজুড়ে পর্যাপ্ত পানি পৃথিবীতে প্রানের আর্বিভাব ঘটতো না। এই পৃথিবীটা মরুভূমীতে পরিনত হতো। পাথরময় বালুকাময় একটি প্রাাণসৃষ্টির অনুপযুক্ত একটি গ্রহ বলেই পৃথিবী বিবেচিত হতো।

যাক, তাহলে বিজ্ঞান ভিত্তিক ভাবে মেনে নিচ্ছেন পৃথিবী নামক গ্রহে প্রানের আর্বিভাব ঘটেছিল, আরোপিত হয়নি।
অর্থাৎ -
শতকোটি, প্রায় ৫শ কোটি বছর আগে পৃথিবী নামক গ্রহে প্রানের আবির্ভাব
প্রথমে এমাইনো এসিড+পানি
তারপর জীবানু সদৃস্য প্রান
এককোষি জীব
এরপর এমিবা
তারপর স্পঞ্জ আকৃতির সামুদ্রিক ... জীব
এরপর গিরিগিটির মত হয়ে ডাঙ্গায় উঠা
তারপর আরো কোটি কোটি বছর বিবর্তিত হওয়ার পর স্তন্যপায়ী জীব
এরপর বহুকটি বছর বিবর্তিত বিকাশিত হয়ে বিভিন্ন প্রজাতিতে ভাগহয়ে এসেছে। কিছু টিকে আছে। অধিকাংশই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
৫০ কোটি বছর আগে ডাইনাশোর জাতীয় প্রানী রাজত্ত্ব করে ১২ কোটি বছর আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে, খাদ্যাভাবে।
মানুষ জাতীয় প্রানীর আবির্ভাব মাত্র আড়াই কোটি বছর আগে।
আর মাত্র ১০ হাজার বছর আগে মানুষ কিছুটা সভ্য হতে সুরু করে, ছোট ছোট সমাজ গঠন করে, টেক্সটাইল, পাথরাস্ত্র, আগুন জালাতে শিখে। তারপর চাকার আবিষ্কার .. ব্যাবহার।

এরপর ছোট ছোট উপাসনা, সুর্যকে, চন্দ্রকে অগ্নিকে .. পরে অগ্যাত ঈশ্বরকে মুর্তি বানিয়ে পুজা .. সেটাই ধর্মে পরিনত হওয়া ..। বড় ধর্মগুলোর আবির্ভাব আরো অনেক পরে সুরু হয় ৬ হাজার বছর আগে হিন্দুইজম, ইব্রাহিম-মুসার ইহুদিজম, পুর্ব প্রান্তে কনফুসিয়াসসিজম, চালু হয়। এরপর বৌধ্যিজম। দুহাজার বছর আগে জিসাস খ্রাইস্টের খ্রীষ্টান।
ইসলাম আসে মাত্র সেদিন, দেড় হাজার বছর আগে। .....

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আগেকার যুগে রুপকথার গল্প বলে দাদা দাদীরা শিশুদের মনোযোগ আকর্ষনের চেষ্টা করতো। আর এখন আপনারা অনুমানের গালগল্প দিয়ে কিছু নীতিভ্রষ্টা মানুষ এর স্নেহা ভাজন হওয়ার তাগিদে একটা গল্প ফেদেছেন আর সেই গল্প যারা শুনতে চাইবে না তাদেরকে নিয়ে উপহাস করবে।

“এককোষী জীব থেকে শুরু করে উদ্ভিদজগত, কীটপতঙ্গ থেকে শুরু করে সামুদ্রিক প্রাণী, এবং পাখী থেকে শুরু করে মানুষ—পৃথিবী পূর্ণ হয়ে আছে অগুনতি জীবন দ্বারা। একমুঠো মাটি নিয়ে গভীরভাবে তাকান, দেখবেন, বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের কতো বিচিত্র প্রাণের ছড়াছড়ি সেখানেও! ওই একই কথা খাটে বাতাসের ক্ষেত্রেও। জীবন ধারনের জন্য যে-বাতাস বুকের মধ্যে টেনে নেয়া ছাড়া আপনার কোনো গত্যন্তর নেই—সেই বাতাসেও ভেসে বেড়াচ্ছে কতো বিচিত্র সব প্রাণ!! আপনার ত্বকের কথাই ধরুন। কতো অসংখ্য জীবিত সৃষ্টিই না সেখানে দিব্যি বেঁচে-বর্তে আছে। ওদের নামও আপনি জানেন না, না আপনি ওদের খালি চোখে দেখতে পারেন। সকল জীবিত প্রাণীর অন্ত্রে (intestines) বাস করে লক্ষ লক্ষ ব্যাকটেরিয়া বা এককোষী জীব। এরা হজমে সাহায্য করে। পৃথিবীতে যতো মানুষ আছে, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি আছে পশু-পাখি। যদি আমরা উদ্ভিদজগতের কথাও বিবেচনা করি, তখন দেখি যে, পৃথিবীর সর্বত্র জীবনের ছড়াছড়ি। এই যে বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ বর্গকিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কোটি কোটি জীব—এদের প্রত্যেকের আছে আলাদা আলাদা বডি-সিস্টেম; এদের জীবনধারণ-পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন এবং পৃথিবীর প্রতিবেশগত ভারসাম্য (ecological balance) রক্ষায় প্রতিনিয়ত এরা পালন করে যাচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। এহেন কোটি কোটি জীব দৈবক্রমে সৃষ্টি হয়ে গেছে এবং এ-সৃষ্টির পেছনে কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য ক্রিয়াশীল নেই—এমনটি দাবী করা কি নিতান্তই অযৌক্তিক নয়? বস্তুত, কোনো জীব নিজেকে নিজে সৃষ্টি করেনি বা নিজের প্রচেষ্টার ফলে অস্তিত্বে আসেনি। জীবনের মতো একটি জটিল জিনিস দৈবক্রমে সৃষ্টি হয়েছে বলে ভাবাও অসম্ভব। তাহলে? ”

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এরপর ছোট ছোট উপাসনা, সুর্যকে, চন্দ্রকে অগ্নিকে .. পরে অগ্যাত ঈশ্বরকে মুর্তি বানিয়ে পুজা .. সেটাই ধর্মে পরিনত হওয়া ..। বড় ধর্মগুলোর আবির্ভাব আরো অনেক পরে সুরু হয় ৬ হাজার বছর আগে হিন্দুইজম, ইব্রাহিম-মুসার ইহুদিজম, পুর্ব প্রান্তে কনফুসিয়াসসিজম, চালু হয়। এরপর বৌধ্যিজম। দুহাজার বছর আগে জিসাস খ্রাইস্টের খ্রীষ্টান।
ইসলাম আসে মাত্র সেদিন, দেড় হাজার বছর আগে। .....


ভাই জান মানুষ মাত্রই শিক্ষাপ্রিয় প্রানী। একটি শিশু স্কুল থেকে শুরু করে শিক্ষা অর্জন করতে। শেষঅবধি সে মাষ্টার্স করে। ঠিক অনুরুপভাবে মানব জাতিকে শিক্ষিত করতে নীতিভ্রষ্টা অপরাধী শ্রেণির অগাধ আগমনের এবং অাধিপত্য রোধ করতে যুগে যুগেই মহামানবেরা পৃথিবীতে এসেছে। মানবজাতিকে নতুন করে জ্ঞান দিয়ে শিক্ষিত করেছে আর আধিপত্য খর্ব করেছে। তাদের মৃত্যুর পর নীতিভ্রষ্টা মানুষদের আগমান আবার বেড়েছে ফলে আবার মহামানবেরা পৃথিবীতে এসেছে। এভাবে মানবজাতির এই সুন্দর পৃথিবীতে নীতিভ্রষ্টাদের রোধ করতে পৃথিবীদের নীতি নিয়ে এসেছে নীতিবান মহামানবেরা। মানুষ এঁর জ্ঞান বৃদ্ধির সাথে সাথে ধর্ম বোধ উত্তোরত্তর উন্নত হয়েছে।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি মুসলিম আমার ধর্মগ্রন্থ কোরান। আল কোরানের দৃষ্টিভঙ্গি বিবর্তণবাদকে মেনে নিতে অস্বীকার করছে না আবার স্বীকারও করছে না। তবে আপনি যেভাবে বিবর্তণবাদের পক্ষে যেভাবে গাইছেন তাতে মনে হচ্ছে সব নির্দেশ প্রাপ্তি ব্যাতিরেকে হয়ে গেছে। এ যেমন বিশাল এক ঝড়ে দুনিয়ার সব লোহা লক্কর সব এক হয়ে একটি বোয়িং বিমান তৈরী হয়ে গেলো আর অপনি সে বিমানে কমিউনিষ্ট অধ্যূষিত রাষ্ট্রে বেড়াতে গেলেন।

আল কোরআন মনে “ তিনি যখন ইচ্ছা করেন তখন বলেন হও”। অতএব আল্লাহর সৃষ্টি বিষয়টি নিয়ে আপনার কৌতুহল থাকতে পারে আমরা কৌতুহল দেখাচ্ছি না। বিবর্তণবাদ একটি রুপকথার গল্প যদি এককোষি প্রাণী হতে ধারাবাহিকভাবে এই মানুষ সৃষ্টি হয়ে থাকে তবে সেটাও এই প্রকৃতির নির্দেশে প্রাণের নব নব উতপাদন। প্রকৃতি নির্দেশনা পায় ‘স্রষ্টা’র হও জাতীয় কমান্ডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।

কমান্ডিং প্রক্রিয়া বোঝেন। আপনার দেহের ভিতর যে আাপনি আছেন সে কমান্ড করে আপনার হাতকে যে আপনার পিটে মশা। আর আপনার হাত গিয়ে মশাটি মারে। কমান্ড এ ক্ষেত্রে ফ্যাক্টর। সৃষ্টি সকল বিষয় প্রোগ্রামিং কৃত। সুত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। আর প্রোগ্রামিং বিষয়টি প্রানি উতপাদন করেছে পৃথিবীতে। আর প্রান উতপাদন করতে মহাবিশ্নের যা কিছু দরকার ছিলো সেটাও তিনি নির্ধারন করে দিয়েছেন। অতএব আপনি যেভাবে বিবর্তনবাদের কথা বলন সেটা অনুমানের গল্প বা রুপকথার গল্প।

আর আমরা যেভাবে বির্বতনের কথা বলি সেটা স্রষ্টার নির্দেশে একের পর এক ধারাবাহিক ডিএনএ পরিবর্তন। ফল নব সৃষ্টির প্রচেষ্টার লক্ষ্য ছিলো মানুষ।

৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৫

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: “ উহারাতো অনুমানেই বিশ্বাস করে” ঐ সকল গ্রহে যে প্রাণ আছে সেটা অনুমান নয় প্রমান থাকতে হবে। অনুমান তো অনুমানই। প্রমান আছে কি? না নাই। অতএব আমরা কোন অনুমান মানি না।

ধম` কবে প্রমানিত সত্য হইলো? :)

রাসুল সা: বলেছেন যে তার কাছে সৃস্টিকতা বানী পাঠিয়েছে.... এবং তিনিই এই মহাবিশ্বের সৃস্টিকতা...
সবাই বিশ্বাস করে নিয়েছে... << এখানে প্রমান তো ধমে` বিশ্বাসীদের দরকার নাই।

বরং বিজ্ঞানিদের কাজই হলো প্রমান করা নিয়ে.... তারা অনুমান করে গবেষনা করতে থাকবে যতক্ষন না প্রমান মেলে....

উপরে হাসান ভাই ভালো পয়েন্ট খেয়াল করেছেন....<< :)

যদি সৃস্টকতা চাইবেনই তবে তিনি তো চাদের মতন জায়গাতেও প্রানের সৃস্টি করতে পারেন... কেন তিনি এতো কস্ট করে সূয`+পৃথিবির গল্ডিলক তৌরি করেন।

পৃথিবিতে ১টি সন্তান জন্ম নিতে গিয়ে আরো ৪টি সন্তান ভ্রুন বা তার আগেই চলে যায়...বিকলাঙ্গ হয়... << সৃস্টি এতোই নিখুদ ভাবে চলছে না।

বরং বিবত`নের ফলে যে জীবনের অবস্তা পরিবত`ন হচ্ছে তা দিন দিন আরো স্পস্ট হচ্ছে মানুষের কাছে।

আর একটা কথা একটা বইতে সৃস্টির সব কিছুই বলা আছে... তারা এই সব আবিস্কার ঐ বই পড়ে করতে পারছেনা।

কিন্তু মহাবিশ্বের রহস্য আবিস্কার করছে অভিসপ্ত এবং বিপথগামীরা(ইহুদি/নাসারা/কাফেররা) ... আর মুমিনরা কোন থিউরি আবিস্কারের পরেই বইতে সেটা ১৪০০ বছর আগেই লেখা ছিলো তা খুজে পায় কেন?

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বরং বিজ্ঞানিদের কাজই হলো প্রমান করা নিয়ে.... তারা অনুমান করে গবেষনা করতে থাকবে যতক্ষন না প্রমান মেলে.... হ্যা নতুন ভাই যখন আপনাদের প্রমান মিলবে তখন বলবেন....... ( এখন বললে সেটা রুপকথার গল্প মনে হয় । ও সরি আপনারাতো আবার অনুমানেই বিশ্বাস করেন। সাইন্স ফিকশন এখন আপনাদের নতুন রুপকথার গল্প। কল্পনায় স্বপ্নভ্রম।
আর যদি অসংখ্য পৃথিবী থেকেই থাকে আনন্দের কি আছে? আল কোরআন তো বলে তিনি অসংখ্য পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।
“ আল্লাহই সৃষ্টি করিয়াছেন সপ্ত আকাশ এবং অনুরুপ সংখ্যক পৃথিবী। উহাদের মধ্যে নামিয়া আসে তাহার নির্দেশ: যাহাতে তোমরা বুঝিতে পারো যে আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান এবং জ্ঞানে আল্লাহ সবকিছুকে পরিবেষ্টন করিয়া আছেন” (৬৫:১২)

যদি সৃস্টকতা চাইবেনই তবে তিনি তো চাদের মতন জায়গাতেও প্রানের সৃস্টি করতে পারেন... কেন তিনি এতো কস্ট করে সূয`+পৃথিবির গল্ডিলক তৌরি করেন।

হ্যা তিনি চাইলে পারতেন। আল কোরআন তিনি ঠিক এমনটিই কথা বলছেন তিনি বলছেন“ আমি চাইলে মানুষের আকৃতি পরিবর্তন করে দিতে পারতাম”। হ্যা ভাই তিনি ইচ্ছা করলে পারতেন। ভাইজান আপনি যেভাবে বললেন “তাকে এত কষ্ট করে” সত্যি বলতে কি তাকে কষ্ট করতে হয় না। শুধু কমান্ডিং প্রক্রিয়া ঘটাতে হয়। সৃষ্টিটি আপনা আপনি হয়। শুধুমাত্র সুত্রটি শুধু পরিবর্তন করতে হতো সেটিও কমান্ডিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে । “আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সমস্ত কিছুই ধ্বংশশীল। বিধান তাহার এবং তাহারই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হইবে।”(২৮:৮৮) লক্ষ্য করুন ভাইজান “ বিধান তাহার” অথাত সুত্রগুলো তার এবং এই বিধান দ্বারাই সমস্ত কিছু চলছে।

বরং বিবত`নের ফলে যে জীবনের অবস্তা পরিবত`ন হচ্ছে তা দিন দিন আরো স্পস্ট হচ্ছে মানুষের কাছে।
আপনাদের বিবর্তনবাদ বাতিল বলে গণ্য করেছে ডিএনএ বিজ্ঞান। আমাদের সৃষ্টিতত্ব প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা বিবর্তন মানতে পারি সেটা স্রষ্টার নির্দেশনায় ডিএনএ পরিবর্তন ঘটে যার পূনাঙ্গ লক্ষ্য ছিলো প্রাণ উতপাদন এবং মানুষ সৃষ্টি।

কিন্তু মহাবিশ্বের রহস্য আবিস্কার করছে অভিসপ্ত এবং বিপথগামীরা(ইহুদি/নাসারা/কাফেররা) ... আর মুমিনরা কোন থিউরি আবিস্কারের পরেই বইতে সেটা ১৪০০ বছর আগেই লেখা ছিলো তা খুজে পায় কেন?
ইসলামের ইতিহাস হয়তো আপনার জানা নেই। আর ইহুদী নাছারাদের কথা বলছেন ওরা তো আমাদের ভাই। ওদের সাথে আমাদের সমস্যা আর থাকেবে না। আমাদের যখন জ্ঞান ছিলো তখন ওদের কিছু ছিলো না। আমাদের যখন সম্পদ দেওয়া হলো তখন জ্ঞান ওদেরকে দিয়ে দেওয়া হলো। এতে দুঃখ পাওয়ার কি আছে? ওদের দিছে জ্ঞান আর আমাদের দিছে সম্পদ। সম্পদ কি বোঝেন সকল মুসলিম রাষ্ট্রতে কেবলমাত্র খনিজ সম্পদ দেওয়া আছে। আল কোরআন ইহুদী নাছারাদের সম্পর্কে
বলছে “ উহারা যদি আমার কথামতো চলিত তবে আমি উহাদের পদতল হতে এবং আসমান হতে রিজিক প্রেরন করিতাম”। ভাইজান পদতলের রিজিক মানে কি বোঝেন? পদতলের রিজিক মানে খনিজ। আর আসমান থেকে রিজিক মানে আগামীতে মানুষ মহাবিশ্ব থেকে অনেক কিছু সরবরাহ করবে যেগুলো অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব।

পৃথিবিতে ১টি সন্তান জন্ম নিতে গিয়ে আরো ৪টি সন্তান ভ্রুন বা তার আগেই চলে যায়...বিকলাঙ্গ হয়...

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: পৃথিবিতে ১টি সন্তান জন্ম নিতে গিয়ে আরো ৪টি সন্তান ভ্রুন বা তার আগেই চলে যায়...বিকলাঙ্গ হয়...

জগতের সমস্তটােই নির্ধারিত। লক্ষ কোটি স্পার্ম থেকে ১ স্পার্ম এর মাধ্যমে একটি মানুষ জন্ম নেয় সেটি নিয়ন্ত্রিত এবং নির্ধারিত । ডিএনএর ধারাবাহিকতায় তা উল্লেখ থাকবে সে আইনষ্টাইন হবে না পাগল হবে।

CHROMOSOME এর মধ্যে হাজার হাজার GENE রয়েছে,যারা একদিকে যেমন আমাদের জীবনটাকেও অনবরত পরিচালনা করে আবার এর মধ্যদিয়ে বংসগত গুনাগুন ও রোগ ব্যাধিও আমরাো পুর্ব পুরুষ হতে গ্রহন করে থাকি, ঠিক একই ভাবে আবার এই আমরাই আমাদেরই পরবর্তি বংশধরদের মধ্যেও পাঠিয়ে থাকি। যেহেতু আমাদের জীবনের প্রারম্ভের সর্ব প্রথম সৃষ্ট কোষ ZYGOTE নামক মাত্র একটি DEPLOID কোষের মধ্য দিয়ে শুরু হয়। মাত্র একটি MALE GAMATE (পুং প্রজনন কোষ) কোষ দ্বারা মাত্র একটি FEMALE GAMATE (স্ত্রী প্রজনন কোষ) FERTILIZED হওয়ার মাধ্যমে, সেই প্রজনন কোষ দ্বয় নিজেরাই DIPLOID কোষ হতে HAPLOID কোষে পরিণত হয় ।পিতৃ ও মাতৃ ক্রোমোছমের GENETIC MATERIALS এর মধ্যে RECOMBINATION ঘটিয়ে, GROSS OVER করিয়ে GENETIC MATERIALS ঠিক তদ্রুপ ভাবেই পিতৃ ও মাতৃ ক্রোমোছমের GENETIC MATERIALS এর সমস্ত গুনাগুন মিশ্রিত করিয়া ফেলা হয়। মিশ্রনের পর পিতৃ মাতৃ HOMOLOGUE CHROMOSOME দ্বয়ের পূর্বের গুনাগুন আর থাকেনা। পিতা মাতার DIPLOID CHROMOSOME, HAPLOID CHROMOSOME এ পরিণত হয়ে যায়।
তাহলে দেখলেনতো, কত বড় কৌশল, চতুরতা, দক্ষতার সংগে ও পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রেখে আমাদেরই পিতৃ-মাতৃ GENETIC MATERIALS গুলীর মিশ্রন বা আদান প্রদান সম্পন্ন করে ফেলা হল! এখানে কোথায় কার সংগে কিসের আদান প্রদান করা হল তা এ পর্যন্ত কারো লক্ষ্য করবার সাধ্যি হয় নাই।অত্যধিক গোপনীয়তা বজায় রেখে এই কাজটি সম্পন্ন করা হয়। এই GENETIC MATERIALS এর আদান প্রদানের মাধ্যমেই CHROMATID গুলীর গুনাবলী বা ভাগ্য তথা এর থেকে উপাদিত ব্যক্তির ভাগ্য এখানেই সকলের অজান্তেই নির্ধারিত হয়ে বসে থাকল। অতএব আপনার আমার ভাগে কী পেলাম বা কী হতে বঞ্চিত হলাম দুনিয়ার কেউই তা জানতে সক্ষম হয়না।
অথচ এই আদান প্রদানের সময় আপনার আমার ভাগে কী পড়ল তার উপরই নির্ভর করতেছে, আপনি আমি একজন আইনষ্টাইন হব নাকি একজন DOWN’S SYNDROME এর মত একটি স্থায়ী দুরারোগ্য ব্যাধি গ্রস্থ রোগী হব নাকি, একজন সুস্থ মানুষ হয়ে জন্মাব নাকি একজন CANCER রোগ গ্রস্থ হয়ে জন্মাব।কিন্তু কেনো একজন মানুষ আইনষ্টাইন হয়ে ওঠে আর কেনই বা আরেকজন প্রতিবন্ধি হযে জন্মায় এসব প্রশ্ন চলে আসে!?
আবার লক্ষ্ লক্ষ পূরুষ বীজের মধ্য হতে একটি বীজ একটি মানুষকে নিধ্য্রন তরাটা কি প্রকৃতির নিয়ন্ত্রিত নয়? এরপর় জগাখিচুড়ী ধরনের মিশ্রনের মধ্য দিয়ে উৎপাদিত ১টি পুরুষ ও ১টি স্ত্রী CHROMADID এরই ৭০ ট্রিলিয়নের মত VARIATION এর PROBABILITIES এর মধ্য দিয়ে পার হয়ে যেকোন একটিতে পরিণত হতে হয়। অর্থাত একটি পিতৃ ও একটি মাতৃ CHROMATID হতে সৃষ্ট একজন ব্যক্তিকে ৭০ ট্রিলিয়ন প্রকারের বিভিন্ন ধরণের মানুষের মধ্য হতে মাত্র যে কোন একজনই সম্ভাবনা থাকে। এর মধ্য হতে RANDOMLY নির্বাচিত হয় আপনি কোন মানুষটি হতে চলেছেন।লক্ষ লক্ষ্ পুররুষ বীজের একটি হতে অথাত এটি নিয়ন্ত্রিত এবং ভাগ্য বিষয়টি অথাত জীবনটা কেমন হবে তার ব্লুপ্রিন্টটা নির্দ্ধারিত হয়ে এসেছে পিতৃ-মাতৃর উতপাদন কোষ MEIOSIS বিভাজনের সময় যা সম্পূর্ন গুপ্তপ্রক্রিয়ায় গুপ্ত এক নির্দেশের ধারাবাহিকতায় GENETIC MATERIALS এর TRILLION TRILLION প্রকারের মিশ্রন ঘটে নির্ধারন করে ভাগ্য।

এই মিশ্রনটি আপলা আপনি ঘটে যেনো এক গোপন পরিকলাপনার ফসল।

৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭

নতুন বলেছেন: বরং বিবত`নের ফলে যে জীবনের অবস্তা পরিবত`ন হচ্ছে তা দিন দিন আরো স্পস্ট হচ্ছে মানুষের কাছে।
আপনাদের বিবর্তনবাদ বাতিল বলে গণ্য করেছে ডিএনএ বিজ্ঞান। আমাদের সৃষ্টিতত্ব প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। আমরা বিবর্তন মানতে পারি সেটা স্রষ্টার নির্দেশনায় ডিএনএ পরিবর্তন ঘটে যার পূনাঙ্গ লক্ষ্য ছিলো প্রাণ উতপাদন এবং মানুষ সৃষ্টি।

ভাইজান একটু পড়াশোনা করেন তবে বুঝতে পারবেন যে বত`মানের মুসলিম বিজ্ঞানিরাও এই ব্যপারটা স্বীকার করছে..
( তারা বলছেন যে প্রানের উদ্ভব হয়েছে বিবত`নের মাধ্যমেই কিন্তু মানুষ সৃস্টিকতা` পাঠিয়েছেন পরে...

https://www.youtube.com/watch?v=F5fN7s7Ds9I

Dr. Rana Dajani is a Jordanian molecular biologist, working principally in biological studies at Hashemite University. She conducts genome-wide studies concerning diabetes and cancer in the ethnic populations of Jordan, and also researches stem cells and bioinformatics. She has also found herself at the forefront of discussions of evolutionary theories in the Muslim world.

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০২

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বিবর্তনবাদ একটি হাইপোথিসিস। এটাকে নিয়ে কৃতিত্বের কি আছে? আমি বুঝি না। রুপকথার গল্প নিয়ে েএত বাড়াবাড়া করার কি আছে? প্রমান আছে কি? অসংখ্য মিসিং লিংক আছে যেগুলোর কোন সামঞ্জস্যতা বিবর্তনবাদীরা দিতে পারে নাই।

ভাই আপনি যে বিবর্তনের কথা বলছেন সেই বিবর্তণ মুসলিম বিশ্ব মানে না। তবে মুসলিম বিশ্বের অনেকেই এখন বিবর্তন মানে সেটা আপনাদের নাস্তিকদের বিবর্তণবাদের মতো নয়। যে বিবর্তণ এর মধ্যে সৃষ্টার উপস্থিতি থাকে সেই বিবর্তণ বাদ মানে।

ভাইজান অযথা গাল গল্প করে কি করবেন? পড়াশোনা আপনারও করা উচিত। একটা হাইপোথিসিস সহজেই বিশ্বাস করে নিলেন। অথচ এই যে প্রকৃতি যে স্বয়ং ইশ্বর এর অংশ তাকে মানতে পারলেন না। (“তিনিই আদি তিনিই অন্ত, তিনি ব্যক্ত তিনিই গুপ্ত”-৫৭:৩। )। আপনি তো জিনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পর্কে জানেন। মানুষের যে কোন সেলের একটি জিন পরিবর্তন করে অন্য রকম বানানো সম্ভব। এই জিন পরিবর্তন আপনাআপনি ঘটে না। পরিবেশ পরিবর্তন করে মিউটিশন ঘটিয়ে। কিন্তু সেই পরিবেশ সৃষ্টি করার করার মতো একটি মিউটেশন ঘটার মতো অবস্থান সৃষ্টি করতে হবে। আর এই মিউটেশন ঘটানোর মতো পরিবেশ স্বয়ং প্রকৃতি ঘটিয়েছে কারন প্রকৃতির একটি লক্ষ্য ছিলো? সেটা মানুষ সৃষ্টি।

আল কোরানে একটি বিষয় উল্লেখ করা আছে আপনি নিশ্চয় দেখেছেন। (ইসা আঃ) জন্ম নেওয়া প্রসঙ্গে। “ ইসার সৃষ্টি আর আদমের সৃষ্টি একই রকম”...। বিষয় টি বোঝার চেষ্টা করুন ইসার সৃষ্টি যেমন মেরীর গর্ভে ঘটেছিলো আদমের সৃষ্টির জন্য এমনই একটি গর্ভের প্রয়োজন ছিলো। আর সেই গর্ভে জন্মেছিলো আদম। কিন্ত আদমের নাম শিক্ষাসমূহ জনিত কোন জিন তার ভ্রুন এ প্রবেশ করানো হয়েছিলো যার ফলশ্রতিতে মানুষ পশু থেকে একটু ভিন্ন রুপে সৃষ্টি হয়েছে।

সমস্ত জিনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রক্রিয়ার বিবর্তনের ধারাবিাহিকতা সৃষ্টি করার দরকার ছিলো। তাই।

৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

নতুন বলেছেন: উনার বক্তব্যটাও দেখুন...

https://www.youtube.com/watch?v=DPuoGVlCjZ0

১০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫

নতুন বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=g66o9Pkyq08

১১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪২

নতুন বলেছেন: জগতের সমস্তটােই নির্ধারিত। লক্ষ কোটি স্পার্ম থেকে ১ স্পার্ম এর মাধ্যমে একটি মানুষ জন্ম নেয় সেটি নিয়ন্ত্রিত এবং নির্ধারিত । ডিএনএর ধারাবাহিকতায় তা উল্লেখ থাকবে সে আইনষ্টাইন হবে না পাগল হবে।

লক্ষ কোটি স্পার্ম থেকে ১টা স্পামে` মানুষ জন্মায় সেটা কোন নিয়ন্ত্রিত ঘটনা না...

পুরুষের লক্ষকোটি স্পাম` থাকালেও কোটি মানুষ সন্তান হয় না। কোটি সন্তান ভ্রুনতেই নস্ট হয়ে যায়, কোটি সন্তান মায়ের পেটেই মারা যায়, কোটি জন্মাের সময় মারা যায়.. কোটি মানুষ বিকলাঙ্গ হয়...

এটা ডিভাইন ডিজাইন না.... এটা নিয়ন্ত্রিত না.... এতা কোটি বার চেস্টার ফল....

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: একজন রিক্সা্ওয়ালা কেনো রিক্সাওয়ালা হলো? কেনো সে কোটিপতি হতে পাইলো না। আপনি হয়তো বলবেন রিক্সাওয়ালাটি কোটিপতি হতে চেষ্টা করে নি। আবার প্রশ্ন আসে কেনো সে কোটিপতি হবার চেষ্টা করলো না? আপনি হয়তো বলবেন কোটিপতি হবার ইচ্ছা ছিলো না।.......। যদি তাই হয় তাহলে বলতে হয় সকলে এক রকম নয়। মানুষের মধ্যে পার্থক্য থাক্

তাহলে আমি বলবো লক্ষ কোটি স্পার্ম থেকে একটি স্পার্ম এ কেনো শিশু জন্ম নিলো? অন্যেরা ব্যর্থ্ হলো কোনো? সকলে তো একই গতিতে ছিলো। একই রকম ছিলো। তাহলে এটা মেনে নিতে হয়। ঐ স্পামটা নির্ধারিত ছিলো আর আরেকভাবে বললে যোগ্য ছিলো? তাহলে আমার প্রশ্ন ঐ স্পামটি যোগ্য কেনো হলো? অন্যেরা কেনো যোগ্য হলো না?

ভাইজান আর দৌড়ায়েন না। একটু থামেন। শিশু উতপাদেনের গভিরের বিষয়টি আপনার জানা উচিত।

MEIOSIS বিভাজনের মাধ্যমে CHROMOSOME এর গুনাগুন শুধু মাত্র অঙ্কুরিত ব্যক্তিটা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকেনা বরং এটা বংশানুক্রমিক ভাবে ও বংশধরদের মধ্য দিয়ে ও গড়াতে থাকে। MEIOSIS এর কারখানার মধ্যেই সিদ্ধান্ত এসে যায় পিতৃ-মাতৃ প্রজনন কোষ হতে উৎপন্ন ব্যক্তিটির গুনাগুন কিরুপ হইবে।

এই কারখানার মধ্য দিয়েই বাছাই হতে থাকে ৭০ ট্রিলিয়ন ধরনের বিভিন্ন গুনাবলী সম্বলিত GENETICS MATERIALS এর CHROMOSOME এর মধ্য হতে কোন গুনাবলী সম্বলীত GENETICS MATERIALS এর CHROMSOME টি উৎপন্ন ব্যক্তিটির ভাগে পড়তে চলেছে। হ্যাঁ এটা বড় মারাত্মক ব্যাপার ই বটে। এই কারখানার মধ্য দিয়েই নিরুপিত হয়ে যায় উৎপন্ন ব্যক্তিটি একজন আইনষ্টাইন আসতেছে নাকি একটা উন্মাদ আসতেছে। এই কারখানার মধ্য দিয়েই জীব জগতের বৈশিষ্টের বৈচিত্রতা প্রকাশিত হয় ও এর মধ্য দিয়েই DNA এর GENETICS MATERIALS এর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে প্রানী জগতের বংশ ধারার মধ্যে বিবর্তন ধারাও চলতে থাকে। অদ্ভুত ব্যাপার হল এগুলী সবই আমাদেরই ব্যাপার বটে কিন্তু এটা আমাদের হস্তক্ষেপ বা নিয়ন্ত্রনের একেবারেই বাইরে, এবং সম্পূর্ণ দৃষ্টির বাইরে এক অদৃশ্য জগতের কারখানা। আমরা যেন সেখান থেকে কোন এক অদৃশ্য হস্তের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ।

মেনে নিতে হবে আপনাকে। আজ হোক আর কাল।

১২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৯

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আগেকার যুগে রুপকথার গল্প বলে দাদা দাদীরা শিশুদের মনোযোগ আকর্ষনের চেষ্টা করতো। আর এখন আপনারা অনুমানের গালগল্প দিয়ে কিছু নীতিভ্রষ্টা মানুষ এর স্নেহা ভাজন হওয়ার তাগিদে একটা গল্প ফেদেছেন আর সেই গল্প যারা শুনতে চাইবে না তাদেরকে নিয়ে উপহাস করবে।

দাদীরা আলাদিনের জাদুর মাদুরে চেপে ঘুরে বাড়ানোর কাহিনি আপনার কাছে রুপকথা.... কিন্তু ৭ আসমান জমিন বোরাকে করে ঘুরে বেড়ানো বিশ্বাস যোগ্য?

হারকিউলিস/হেরার সত্রুতা আপনার কাছে রুপকাথা কিন্তু আঙ্গুল দিয়ে চাদ দুই টুকরা করা বিশ্বাস্য??

আমরা কোনটাকে সত্য আর কোনটাকে রুপকথা বলে বিশ্বাস করবো? :)

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:০০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: দাদীরা আলাদিনের জাদুর মাদুরে চেপে ঘুরে বাড়ানোর কাহিনি আপনার কাছে রুপকথা.... কিন্তু ৭ আসমান জমিন বোরাকে করে ঘুরে বেড়ানো বিশ্বাস যোগ্য?

অাল কোরান পড়ুন দেখেন, সেখানে লিখা আছে উহা “সত্য স্বপ্ন” ছিলো। সত্য স্বপ্ন যার অর্থ রুপক অর্থে
মানবজাতিকে কিছু ইনফরমেশন দেওয়া।

হারকিউলিস/হেরার সত্রুতা আপনার কাছে রুপকাথা কিন্তু আঙ্গুল দিয়ে চাদ দুই টুকরা করা বিশ্বাস্য??

রাসুলের ইশারায় চাঁদ দ্বিখন্ডিত বলা হয়। কিন্তু মূল বিষয়টি সেদিন রাসুল মক্কা বাসীকে দেখাতে চেয়েছিলো কিভাবে কিয়ামত সূচনা হবে।আমাদের জানা মতে রাসুল সা: সেদিন মক্কাবাসীদের ডেকে জড়ো করেছিলেন কিয়ামতের নিদর্শন দেখানোর জন্যে। যার অর্থ দাড়ায় কিয়ামত কিভাবে হবে? সেদিন কি হয়েছিলো চাদেঁর বুকে? এই প্রশ্ন আজ আমাদের মাঝে প্রশ্ন সৃষ্টি করে কিয়ামত কিভাবে হবে? আসলে পাঠক’ সেদিন চাঁদের বুকে বিশাল এক প্রস্তরখন্ড আঘাত করেছিলো। যার আঘাতের কারনে চাদ দ্বিখন্ডিত হয়েছিলো। “বিজ্ঞান অবহিত করেছেন যখন কোন পাথরখন্ড বা গ্রহানূ মহাশূন্য থেকে চাঁদেও মধ্যাকর্ষনের কারনে তার পৃষ্ঠের দিকে সবেগে ছুটে আসতে থাকে তখন চাঁদেও কোন বায়ুমন্ডল না থাকায় এরা বিনা বাঁধায় এতো প্রচন্ড গতিতে চন্দ্রপৃষ্ঠে আঘাত হানে যে পতিত স্থানে কল্পনাতীত ধাক্কায় Fusion পদ্ধতিতে পারমানবিক বোমার মত ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ঘটে । ফলে ব্যাপক তাপের সৃষ্টি হওয়ায় পতিত স্থানে মুহুর্তেই বিরাট অগ্নি গোলকের সৃষ্টি হয়। অগ্নিগোলকের প্রচন্ড তাপে চাঁদেও শক্ত কঠিন মাঠি, পাথর সব গলে গিয়ে উত্তপ্ত লাভায় পরিনত তয়। পরবর্তীতে ঐ লাভা সৃষ্ট গর্তেও কিয়দংশ পূর্ন করে থাকে। এই অবস্থায় পাথরখন্ড বা গ্রহানু অথবা ধুমকেতু চন্দ্রপৃষ্ঠে পতিত হওয়ার কারনে যদি প্রচন্ড ধাক্কায় প্রতিক্রিয়ায় পতিত স্থান থেকে কোন বড় শক্ত পাথরখন্ড বা একটা পাহাড়খন্ড দলাবদ্ধ অবস্থায় মহাকাশের দিকে উৎক্ষিপ্ত হয়, তাহলে ঐ উৎক্ষিপ্ত মাটির দলাটিও Fusion পদ্ধতি লাভ করে পারমানবিক বোমার মতো প্রচন্ড অগ্নিগোলক সৃষ্টি করে মহাশুন্যে জ্বলতে থাকবে এবং ধাক্কায় Trust প্রাপ্ত উধ্বগতি শেষ হওয়া মাত্রই চাঁদের মধ্যার্কষন বলের আর্কষনে আবার চাঁদের দিকে ফিরে আসবে। *(কুরআন কিয়ামত পরকাল-মুহাম্মদ আনোয়ার হুসাইন) উল্লেখিত র্বণনায় প্রমানস্বরুপ বহু চিহ্ন ইতোমধ্যেই বিজ্ঞানীরা সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। এ ধরনের একটি গর্তকে বলা হয় Tsioik Ovskh যার ব্যাস হচ্ছে প্রায় ১৫০ মাইল। গভীরতা ও হাজাার হাজার ফুট। আমরা পূর্ণচন্দ্র রাতে এর বুকে ওপর কালো গর্তেও মত যে দাগটি দেখতে পাই যা ‘মৃত সাগর’ নামে পরিচিত, এর ব্যাস প্রায় ১০০০ মাইল। ভাবতে পারেন কত বড় আঘাতের চিহ্ন বুকে ধারন করে অসহায় চাঁদটি আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে? অতএব আমরা তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে এক প্রকার নিশ্চিত হতে পারি যে মক্কায় চন্দ্র সম্পর্কে যে দৃশ্যের অবতারণা করা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট হয়ে উঠে যে একটি বড় ধরনের পথরখন্ডই চন্দ্রপৃষ্ঠে পতিত হয়েছিলো এবং আল্লাহ তায়ালা তার নবীর মাধ্যমে মক্কাবাসীকে এ দৃশ্য অবলোকন করায়ে বুঝাতে চেয়েছেন যে পৃথিবীর ধ্বংশ অনুরুপ কোন এক ব্যবস্থায় ঘটানো হবে। একটি পাথর খন্ডের আঘাতে।
১৯৬৯ সালে এ্যাপোলো -১১ নামের একটি মার্কিন মহাকাশযানে মানুষ সর্বপ্রথম চাঁদে অবতরন করে। এর আগেও চাঁদ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণার জন্য এ্যাপোলো-১০ নামের রকেট চাঁদে পাঠানো হয় চাঁদের সর্বাধিক ছবি তুলে আনার জন্য। ঐ সময়ে চাঁদের যেই ছবি এলো, এতে দেখা যায় চাঁদের বুকচিরে একটি ফাঁটল বিদ্যমান। ফাঁটলটি লম্বায় ২০০ [কিঃমিঃ] এর ও বেশি এবং চওড়ায় ৩ [কিঃমিঃ] বিজ্ঞানীগণ এর নাম দিয়েছেন "হাইজিনাস রিলী"। এই "হাইজিনাস রিলী"র মাটি ও পাঁথর গবেষণা করে বিজ্ঞানীগণ আবিষ্কার করলেন যে, এই ভাঙ্গা ও জোড়া লাগার ঘটনাটি ১৪০০ বছরেরও পুরোনো।

১৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

প্রত্যয় প্রকাশ বলেছেন: পুরা লেখাটাই উদ্ভট,বিদঘুটে আর কাল্পনিক কথা বার্তা। যাই হোক এটা সত্যি আমাদের পৃথিবী প্রাণ সৃষ্টির একটা উত্তম জায়গায় অবস্থান করছে। মুলত এই কারণেই প্রাণ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তার মানে তো এই নয় মহাবিশ্বের কোথাও প্রাণ সৃষ্টি হবে না। মহাকাশ গুলো এখনো এক আলোকবর্ষ অতিক্রম করতে পারে নি,সেখানে আমরা কীভাবে এত গর্ব নিয়ে বলতে পারছি শত শত দূরের আলোকবর্ষে কোনো গ্রহে প্রাণ সৃষ্টি হয় নাই???
২) পৃথিবীর এইসব আয়োজন দেখে মনে হতে পারে এই সব কিছু বুঝি মানুষের জন্য তৈরী। এটা অত্যন্ত ভুল কথা মানুষের তৈরী দুর্যোগ ছাড়া অন্য কোনো দুর্যোগে যদি পৃথিবীর সকল প্রাণ ধ্বংস হয়েও যায়, তারপরেও পৃথিবীতে নতুন করে প্রাণ সৃষ্টি হবে, মানুষ যেহেতু ফূড চেইনে সবার উপরে সে হেতু বরং মানুষ না ও আসতে পারে। পৃথিবীর প্রাণিকূল এখন পর্যন্ত পাচ পাচবার গণবিলুপ্তির মুখে পড়েছে। মিলিয়ন বছর আগে যখন এসব গণবিলুপ্তি হয়েছিল তখন মানুষের সৃষ্টিও হয় নাই। পৃথিবীতে মানুষের সৃষ্টি হয়েছে কারণ দয়া করে Aves আর সরীসৃপের বিরাট অংশ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। যদি সত্যি সত্যি আসমানি খোদা থাকত, তাহলে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে নানান কিসিমের প্রাণ সৃষ্টি হওয়া তিনি দেখতেন না। তিনি সবার আগে মানুষ সৃষ্টি করে তারপর বাকি প্রাণি সৃষ্টি করতেন। এটা হল খোদা না থাকার একটা প্রমাণ। আর যদি খোদা থেকেও থাকেন তাহলে তিনি কেমন খোদা যিনি আর্কিওপটেরিক্স টি রেক্সের মত অবলা প্রাণিকুলকে ধবংসই করে দিলেন। তিনি তো একটা ভয়াবহ তম মার্ডারার। যাই হোক যদি এখন আরেকটা গ্রহাণু ডায়ানোসোরের মত মানুষকে বিলুপ্ত করেও দেয়, তারপরেও পৃথিবীতে পররাণ থাকবে, কারণ পৃথিবী সেই হরাইজেন্টাল জোনে অবস্থান করে যেখানে প্রাণ স্পৃষ্টি হতে বাধ্য।
৩)ইন্টেলিজ্যাণ্ট ডিজাইন যে একটা অপবিজ্ঞান, এই ধরনের কথা বিজ্ঞান সংস্থাগুলো প্রায় সময় বলে আসছে। আর আপনার দেওয়া উদাহরণ গুলোর কোনো রেফারেন্স আপনি উল্লেখ করেন নাই। প্রসঙ্গত যুক্তরাষ্ট্রের আদালত ইন্টেলিজ্যান্ট ডিজাইন আর বিবর্তনবাদ এই দুইটার মধ্যে কোনটা স্কুলে পড়ানো হবে এই রায়ে আদালত বিবর্তনবাদের পক্ষেই রায় দেন। যেখানে আমেরিকা ক্যাথলিক চার্চের একটা শক্ত ঘাটি। এতসব প্রমাণ থাকা সত্তেও কিভাবে মানুষ আইডি কে আকড়ে ধরে বাচতে চায় আমার বুঝে আসে না।(আমাদের বাংলাদেশের উচ্চমাধ্যমিক এর জীববিজ্ঞান বইতেও বিবর্তনবাদ পড়ানো হয়, ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন নয়)
৪) এবার আসি কোরান শরীফ নিয়ে ভ্রান্ত বিশ্লেষণ নিয়ে। এখানে সুরক্ষিত ছাদ বলতে ওজোন স্তরকে আল্লাহ কোনোকালেই বুঝায় নাই। তিনি বুঝিয়েছেন আলোর যে বিচ্ছুরণের ফলে যে ধবধবে সাদা আকাশ দেখা যায় তাকে। এবং আকাশকে তিনি কঠিন পদার্থ ভেবেছেন।গ্যাসীয় নয়। আপনি যদি কোরান শরীফে আকাশ সংক্রান্ত আয়াত গুলো পড়েন তাহলে দেখবেন মহান আল্লা মানব জাতিকে উদ্দেশ্য করে চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন, "হে মানবজাতি তোমরা কী দেখ না আমি আকাশকে এমনভাবে তঐরী করেছি যেখানে কোনো ছিদ্র ই নাই।।অন্যখানে আবার চ্যালেঞ্জ করে বলেছেন হে মানবজাতি তোমরা কী দেখছ না এই আকাশ কখনোই টলায়মান নয়। এই খানে তুমি কোনো ফাটল দেখতে পাও কী? এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় অদৃশ্য খুটি দিয়া আকাশকে সেট করে রাখার কথাও বলা হয়েছএ যা আকাশকে যে আল্লাহ কঠিন পদার্থ ভেবেছেন তার প্রমাণ। কারণ গ্যাসীয় পদার্থের সাথে এই সব কথা কখনো যায় না।
৫) এর কোনো কিছুই অর্থবর্জিত ভাবে তুমি সৃষ্টি কর নি। নিশ্চয়ই::: এইডস রোগের ভাইরাস, প্লেগ রোগের ভাইরাস, ইবোলা ভাইরাস,জিকা ভাইরাস, কলেরার ব্যাকটেরিয়া, এইগুলো উদ্ভাবনের পিছনে একেবারে গভীরতম অর্থই তো আছে। তাই না????

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: 1।এটা সত্যি আমাদের পৃথিবী প্রাণ সৃষ্টির একটা উত্তম জায়গায় অবস্থান করছে। মুলত এই কারণেই প্রাণ সৃষ্টি হয়েছে।আপনাকে ধন্যবাদ অন্তত স্বীকার করলেন। হ্যা এ্ই পৃথিবীর এমন পরিকল্পনা এই পৃথিবীতে প্রান উতপাদন কারন।এখন পযর্ন্ত তো আমরা মহাবিশ্বের কোথাও প্রাণ খুজে পাই নাই।যদি কখনও পাওয়া যায় তাতে আল কোরআনের সাথে সাংর্ঘষিক নই। কারন আল কোরআন তো বলে তিনি অসংখ্য পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন।“ আল্লাহই সৃষ্টি করিয়াছেন সপ্ত আকাশ এবং অনুরুপ সংখ্যক পৃথিবী। উহাদের মধ্যে নামিয়া আসে তাহার নির্দেশ: যাহাতে তোমরা বুঝিতে পারো যে আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান এবং জ্ঞানে আল্লাহ সবকিছুকে পরিবেষ্টন করিয়া আছেন” (৬৫:১২)
2.আসলে আপনি কখনও কোরআন পড়েন নাই। আর যদি কখনও কোরআন পড়তেন তাহলে এই কথা বলতেন না। কারন যেভাবে প্রাণি সৃষ্টির কথা বলে সেই সৃষ্টি চিন্তায় ধ্বংশলীলাটা জরুরী ছিলো। যাকে বলা হয়।আপডেট।যেমন ধরেন মোবাইল কোম্পানী আপডেট মোবাইল তৈরী করে পুরানো মডেল গুলো ব্ন্ধ করে দিচ্ছে।আল কোরআনে বারবার ধ্বংশলীলার কথা বলা আছে। যখনই দেখা গেছে সৃষ্টি বিপথে হচ্ছে তখনই সেই সৃষ্টি ধ্বংশ করে সেখান থেকে শুধু এক জোড়া উন্নত জাতের সৃষ্টি দুরে কোথাও নিয়ে গিয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মাধ্যমে অন্য সকল সৃষ্টি ধ্বংশ করে ফেলা হয়েছে। এই ধ্বংশলীলা এক কোষি এ্যামিবা থেকেই চলেছে। এবং ধ্বংশলীলা নিয়ন্ত্রিতভাবেই ঘটেছে।
বিজ্ঞানীরা ধারনা করেন, এই ভূমন্ডলে শুধু মাত্র এককোষী প্রাণী (PROKARYOTES) এর অস্তিত্ব বিদ্যমান ছিল এক বিলিয়ন (১,০০০,০০০,০০০) বৎসরের উর্ধকাল যাবৎ।এদের বংশ বিস্তার হয় কোষ সরাসরি বিভাজন ( BINARY FISSION) পদ্ধতির মাধ্যমে। এরপর যখন বহু কোষ জাতীয় প্রাণীর (EUKARYOTES)আবির্ভার হতে থাকল তখন এই BINARY FISSION পদ্ধতি রুপান্তরিত হয়ে মাইটোছিছ ও মীওছিছ পদ্ধতিতে পরিণত হয়ে যায়।সেই সময় থেকেই ‍পৃথিবীতে প্রাকৃতিক বিপর্যয় আর প্রানীর আপডেট। আপনি সিমবায়োসিস হাইপোথিসিস পড়ুন। বুঝবেন। বিবর্তনটা আসলে আপনারা যেভাবে বলছেন সেভাবে ঘটে নাই।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৪

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: 3. আমি তো ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনের মার্কেটিং করতে নামি নাই। আমি ফাইন টিউনিং এর বিষয়ে বলছি। ফাইন টিউনিং বিষয়টি একটি ফ্যাক্ট। আপনি না মানলে কি হবে বাঘা বাঘা বিজ্ঞানী স্বীকার করে নিয়েছে একটি একটি ফ্যাক্ট। আর আমেরিকায় স্কুলে যে ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন আর বিবর্তনবাদ নিয়ে মামলা পর্যায়ে গেছে এটাইতো একটা বড় ব্যাপার যে বিবর্তনবাদের মতো রুপকথার গল্পের বিরুদ্ধে অন্তত একটি তত্ব দাড়াতে পেরেছে।
এবার আমি বলি ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন চার্চের সহায়তায় মামলা চালিয়েছিলো। তারা বাইবেলের সহায়তা নিয়ে মামলার বিষয়ব্স্তু করেছিলো তাই মামলাতে হেরেছিলো। যদি তারা আলকোরআনের সার্বিক সহয়তা নিতো। তবে ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইনই জয়ী হতো। কারন মানুষ সৃষ্টি সংক্রান্ত বিষয়ে আল কোরআন বিবর্তবাদের আংশিক সিমবায়োসিস এর আংশিক এবং ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন গ্রহন করে। ইন্টেলিজেন্ট ডিজািইনের প্রবক্তাগণ যদি চার্চ এর সাবির্ক সহায়তা ব্যাতিরেকে সকল ধর্মের সার্বিব সহায়তা নিতো তবে চালসৃ ডারউইনের বিবর্তনবাদ রুপকথার গল্প বলে মিউজিয়ামে চলে যেতো।
4. কিছুক্ষন আগেই আমি বলেছি আপনি কোরআন পড়েন নাই মানুষের মুখে মুখে শুনে আওড়াচ্ছেন অথবা পড়েছেন কোরআনের ভূল ধরার জন্য।উপলদ্ধি করার জন্য নয়।1400 বতসর পূর্বে আল কোরআন নাজিল হয়েছিলো। আপনি কি বোঝেন না সেই আল কোরআনে ততকালীন সময়ের মানুষের জন্য কথা বলা হয়েছিলো।আপনাদের বোধগম্যটা ছিলো সর্ম্পূণ ভূল। আলকোরআনে আসমান বলতে নভোমন্ডল বলা হয়েছে। এবং বিভিন্ত সময় বিভিন্নভাবে আসমানকে বোঝানো হয়েছে।যেমন যখন পৃথিবীর প্রসঙ্গে আসছে তখন বায়ুমন্ডলকেই আসমান বলা হয়েছে। এবং সেটিই ছাদ যা ভ্যান এ্যালেন বেল্ট দ্বারা সুরক্ষিত।আবার যখন ভূমন্ডল বোঝানো হচ্ছে তখন গ্যালাক্সি নক্ষত্র সৌরজগত সব এই ভূমন্ডলের মধ্যেই রয়েছে।সেখানে নভোমন্ডল বলতে আলাদা প্রতি মহাবিশ্ব যার উপর ভিত্তি করে এই পৃথিবী পরিচালিত। স্রেফ বাংলা ভাষায় স্বর্গ ও মত্য।যেখানে আল কোরানে সরাসরি বলা হয়েছে আসমানকে তিনি সম্প্রসারন করা হয়েছে আর ভূমীকে করা হয়েছে প্রসারনশীল। সেখানে আপনি ছিদ্র বলছেন কেনো? এখানে ছিদ্র বলতে আপনি যা বুঝছেন তা ঠিক তা নয় তার অথ “খুত” । যেখানে কোন খুত নাই। অথাৎ সুক্ষসমন্ময় দ্বারা গাথা। আপনি আলকোরআন পড়েছেন ভূল ধরার জন্য সেই কারনে আপনার মধ্যে এত সংশয়। অদৃশ্য খুটি বলতে আপনি কসমিক স্ট্রিং এর কথা আপনি ভূলে যাবেন না আর ডার্ক এর্নাজি নামক অদৃশ্য সমূদ্রকে আপনি ভূলে যাবেন না।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৩৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি যেমন আল্লাকে বুঝতে পারেন নি তেমন এই প্রকৃতিকে বুঝতে পারেন নি। আল্লার নাম যেমন রাহিম যার অর্থ দয়ালূ ঠিক তেমন আল্লার নাম কাহালু কঠোর। ধ্বংশের মধ্যে দিয়েই সৃষ্টি সম্ভব।

অনেক গভীর অর্থ আছে? আল কোরআন বলে “ উহারা যা জানে না তা অস্বীকার করে” ভাই সমস্ত কিছু একটু সুক্ষ সম্মন্ময় দ্বারা নির্ধারিত এই পৃথিবীতে শুধু প্রান আর প্রাণ এর আধিক্য পৃথিবীর ভারসাম্য এর জন্য ক্ষতিকর কিনা আমি আপনি বুঝবো কি করে? প্রকৃতির কাজ প্রকৃতিকে করতে দিন না।

আল কোরআন বলে “ হে মানুষ তুমি কি নিশ্চিত যে তোমাদের উপর প্রস্তর খন্ড নিক্ষিপ্ত করিবো না” হ্যা ভাই পৃথিবীর পাশ্ববর্তী কক্ষপথে এ্যাষ্টিরোয়েড বেল্ট থেকে একটি গ্রহানু যদি এ পৃুথিবীতে আঘাত হানে। তবে? মানুষের স্রষ্টার প্রতি উন্নাসিকতা ঠিক নয়!

১৪| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:২৩

নতুন বলেছেন: এই কারখানার মধ্য দিয়েই বাছাই হতে থাকে ৭০ ট্রিলিয়ন ধরনের বিভিন্ন গুনাবলী সম্বলিত GENETICS MATERIALS এর CHROMOSOME এর মধ্য হতে কোন গুনাবলী সম্বলীত GENETICS MATERIALS এর CHROMSOME টি উৎপন্ন ব্যক্তিটির ভাগে পড়তে চলেছে। হ্যাঁ এটা বড় মারাত্মক ব্যাপার ই বটে। এই কারখানার মধ্য দিয়েই নিরুপিত হয়ে যায় উৎপন্ন ব্যক্তিটি একজন আইনষ্টাইন আসতেছে নাকি একটা উন্মাদ আসতেছে।

এই কারখানা ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইন অনুসারে চলে না ভাইজান<<< ৭০ ট্রিলিয়ওন গুনাবলী এক সাথে রাইখা ঝাকাঝাকি করলে কয়েকটা গুনাবলী মিশে কিছু একটা তৌরি হয়....

এই কয়েকটা ভালো শিশু হইতে হলে হাজার হাজার স্পাম নস্ট হয়, হাজার ভ্রুন নস্ট হয়, হাজার শিশু বিকলাঙ্গ হয়.... ( সেটা কেন হয় যদি সবই ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইনে চলে?))

বিশ্সে ২০% দম্পতির সন্তান ধারনে সমস্যা হয়, ৬০%-৭৫% নারী জীবনে এক/একাধিক বার সন্তানধারনের চেস্টায় বিফল হয়... আর বিকলাঙ্গ শিশুর সম্পকে আপনিও জানেন.....

এই গুলি কিন্তু আপনার ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইনের সাইড ইফেক্ট যেটা নিয়ে আপনারা চিন্তা করেন না। এবং বলেন সবই সৃস্টিকতার মহান কারিগরীতেই চলে....



অফটপিক <<
আপনি যেহেতু MEIOSIS, CHROMOSOME এর কামকাজ বোঝেন তবে একটা প্রশ্ন...

যদি সৃস্টকতা` এই মাওসিস এর মাধ্যমেই কাজ গুলি সম্প`ন করে থাকে.... তবে ঈসা আ: কিভাবে কুমারী মায়ের সন্তান হইলো? ঐ নারী কিভাবে পুরুষ শিশুর জন্ম দিলো যেখানে মাওসিসের মাধ্যমে নারী শিশুই হবার কথা?

http://www.somewhereinblog.net/blog/neoblog/30091517

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বলেছেন: হ্যা ভাই বুঝলাম কিন্তু ঝাকাঝাকি টা প্রতিবার েএকই নিয়মে চলবে? নাকি? তাহলে কেনোই বা ঝাকাঝাকি করার কারনে একেকবার একেকরকম হয় কেনো? আপনি জানেন তো একটি মেশিন কোন কাজ করলে সে প্রতিবার একই রকমভাবে কাজটি সমাপ্ত করে। কিন্তু মানুষের এই ক্ষেত্রে এই ব্যাতিক্রমটি কেনো? কেনো পিতৃ মাতৃ ক্রোমোজম থেকে কখন পিতার জিন বেশি নেয় কখনও মাতৃ জিন বেশি নেয়। আর কেনোই বা সে একেক বারে একেক ভেরিয়েশন বা একেকভাবে জিন নির্ধারন করে? কিসের মোহমায়ায় এই কারখানা ৭০ ট্রিলিয়ন ধরনের বিভিন্ন গুনাবলী সম্বলিত GENETICS MATERIALS যাচাই বাছাই করে।পিতৃ মাতৃ CHROMOSOME এর মধ্য হতে কোন গুনাবলী সম্বলীত GENETICS MATERIALS এর নির্ধারন একটি অদৃশ্য প্রক্রিয়ায় ঘটে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এই কয়েকটা ভালো শিশু হইতে হলে হাজার হাজার স্পাম নস্ট হয়, হাজার ভ্রুন নস্ট হয়, হাজার শিশু বিকলাঙ্গ হয়.... ( সেটা কেন হয় যদি সবই ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইনে চলে?))

বিশ্বে ২০% দম্পতির সন্তান ধারনে সমস্যা হয়, ৬০%-৭৫% নারী জীবনে এক/একাধিক বার সন্তানধারনের চেস্টায় বিফল হয়... আর বিকলাঙ্গ শিশুর সম্পকে আপনিও জানেন.....

এই গুলি কিন্তু আপনার ইন্টিলিজেন্ট ডিজাইনের সাইড ইফেক্ট যেটা নিয়ে আপনারা চিন্তা করেন না। এবং বলেন সবই সৃস্টিকতার মহান কারিগরীতেই চলে....


ভাই এইডা কি কন আফনে? সমস্তটাই নির্ধারিত তাই। স্পাম নষ্ট হওয়া, ভ্রুন নষ্ট হওয়া এগুলোও নিয়ন্ত্রিত বা নির্ধারিত।বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নেয় সেটাও নির্ধারিত। ভাইজান আপনি যেভাবে কথা বলছেন তাতে বলছেন পৃথিবীতে শুধু মানুষ জন্ম নেবে,কেনো পোকামাকড় জন্ম নেয়? ভাইজান বিকলঙ্গ সাইড এফেক্ট সমস্তটাই নির্ধানিত। নিশ্চয় এর পিছেনের কোন কারন আছে।
আপনি আগে খোজেন কেনো মানুষ ধনী হয়, কেনো মানুষ রিক্সাওয়ালা হয়? কেনো রাজা হয় কেনো ফকির হয়? সেই সুত্রে বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নেয় এসকলোর কারণ আছে। কারন জানতে গেলে ইসলামের সুশিতল ছায়াতলে আসতে হবে। এবং মারেফতের গোপন বিষয় গুলো জানতে হবে।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: যদি সৃস্টকতা` এই মাওসিস এর মাধ্যমেই কাজ গুলি সম্প`ন করে থাকে.... তবে ঈসা আ: কিভাবে কুমারী মায়ের সন্তান হইলো? ঐ নারী কিভাবে পুরুষ শিশুর জন্ম দিলো যেখানে মাওসিসের মাধ্যমে নারী শিশুই হবার কথা?
ভাইজান এই প্রশ্নের উত্তর দিবো কি করে? অলৌকিকতা বলে একটি বিষয় আছে।আপনি তো সেটা মানেন না। জগত নিয়মের মধ্যে দিয়ে পরিচালিত হলেও নিয়মের বাইরে অথাত অনিয়মেও কিছু ঘটনা ঘটে।জিনেটিক পরিবর্তন হয় মিউটেশনের মাধ্যমে আর সেই মিউটেশন ঘটার কোন পরিবেশ তৈরী হয়ে গেলে ক্রোমোজোম পরিবর্তন ঘটে। ঘটতেই পারে।
“এর পরও অবিশ্বাসীরা বলবে, অাপনার কথা ঠিক অাছে; কিন্তু অামারা ঈমান অানবোনা।” ভাই আপনি যদি এই জাতীয় ব্যক্তি হয়ে থাকেন তবে আপনার সাথে আলোচনা থেকে দুরে থাকতে চাই। কারন আল কোরান বলে “ হে মুহাম্মদ তুমি তাকে যতই নসীহত কর সে বুঝিবে না কারন তার দুচোখে পর্দা দিয়েছে দুকানে পর্দা দিয়েছি। আল কোরআন”
ভাইজান এই শ্রেণীর মানুষের ডিএনএ গত ভাবে অপূর্ণাঙ্গ। কারন স্রষ্টাকে উপলদ্দি করবার মতো যোগ্যতা এবং ক্ষমতা এদের দেওয়া হয় নাই। আপনি যদি এরকম মানুষ হন তাহলে আমাকে মাফ করবেন, আমি সরি।

১৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:১০

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: দাদীরা আলাদিনের জাদুর মাদুরে চেপে ঘুরে বাড়ানোর কাহিনি আপনার কাছে রুপকথা.... কিন্তু ৭ আসমান জমিন বোরাকে করে ঘুরে বেড়ানো বিশ্বাস যোগ্য? অাল কোরান পড়ুন দেখেন, সেখানে লিখা আছে উহা “সত্য স্বপ্ন” ছিলো। সত্য স্বপ্ন যার অর্থ রুপক অর্থে মানবজাতিকে কিছু ইনফরমেশন দেওয়া।

ভাই কোন আয়াতে লিখা আছে যে উহা সত্য স্বপ্ন ছিলো? আমি এখনো পাইনাই তাই যদি আপনি আয়াতের নম্বারটা দিতেন তবে পড়ে নিতাম।


রাসুলের ইশারায় চাঁদ দ্বিখন্ডিত বলা হয়। কিন্তু মূল বিষয়টি সেদিন রাসুল মক্কা বাসীকে দেখাতে চেয়েছিলো কিভাবে কিয়ামত সূচনা হবে।আমাদের জানা মতে রাসুল সা: সেদিন মক্কাবাসীদের ডেকে জড়ো করেছিলেন কিয়ামতের নিদর্শন দেখানোর জন্যে। যার অর্থ দাড়ায় কিয়ামত কিভাবে হবে? সেদিন কি হয়েছিলো চাদেঁর বুকে? এই প্রশ্ন আজ আমাদের মাঝে প্রশ্ন সৃষ্টি করে কিয়ামত কিভাবে হবে? আসলে পাঠক’ সেদিন চাঁদের বুকে বিশাল এক প্রস্তরখন্ড আঘাত করেছিলো। যার আঘাতের কারনে চাদ দ্বিখন্ডিত হয়েছিলো। “বিজ্ঞান অবহিত <<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<<< আল্লাহ তায়ালা তার নবীর মাধ্যমে মক্কাবাসীকে এ দৃশ্য অবলোকন করায়ে বুঝাতে চেয়েছেন যে পৃথিবীর ধ্বংশ অনুরুপ কোন এক ব্যবস্থায় ঘটানো হবে। একটি পাথর খন্ডের আঘাতে।
১৯৬৯ সালে এ্যাপোলো -১১ নামের একটি মার্কিন মহাকাশযানে মানুষ সর্বপ্রথম চাঁদে অবতরন করে। এর আগেও চাঁদ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণার জন্য এ্যাপোলো-১০ নামের রকেট চাঁদে পাঠানো হয় চাঁদের সর্বাধিক ছবি তুলে আনার জন্য। ঐ সময়ে চাঁদের যেই ছবি এলো, এতে দেখা যায় চাঁদের বুকচিরে একটি ফাঁটল বিদ্যমান। ফাঁটলটি লম্বায় ২০০ [কিঃমিঃ] এর ও বেশি এবং চওড়ায় ৩ [কিঃমিঃ] বিজ্ঞানীগণ এর নাম দিয়েছেন "হাইজিনাস রিলী"। এই "হাইজিনাস রিলী"র মাটি ও পাঁথর গবেষণা করে বিজ্ঞানীগণ আবিষ্কার করলেন যে, এই ভাঙ্গা ও জোড়া লাগার ঘটনাটি ১৪০০ বছরেরও পুরোনো।

যাক এই মন্তব্যে আপনার বিরাট গিয়ানের পরিধি সম্পকে অবগত হইলাম :)

আপনি পড়ালেখা করে কিছু jargon শিখেছেন যা আপনার মন্তব্যে ব্যবহার করেন। এবং মনগড়া ব্যক্ষা তৌরি করেন বিজ্ঞানীদের মতামত বলে চালিয়ে দেন। ভাল...

চাদ দ্বীখন্ডিত হওয়া সম্পকে হাসিদও আছে যে চাদ দুইটুকরা হয়ে পাহাড়ের দুই পাসে চলে গিয়েছিলো। আরেক কাহিনি আছে ভারতেও একজন এটা দেখে মুসলমান হয়েছিলো। এমন অনেক কাহিনি আছে এটাকে দুইটুকরা হয়েছিলো প্রমান করতে...

আমরা পূর্ণচন্দ্র রাতে এর বুকে ওপর কালো গর্তেও মত যে দাগটি দেখতে পাই যা ‘মৃত সাগর’ নামে পরিচিত, এর ব্যাস প্রায় ১০০০ মাইল। ভাবতে পারেন কত বড় আঘাতের চিহ্ন বুকে ধারন করে অসহায় চাঁদটি আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে? অতএব আমরা তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে এক প্রকার নিশ্চিত হতে পারি যে মক্কায় চন্দ্র সম্পর্কে যে দৃশ্যের অবতারণা করা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট হয়ে উঠে যে একটি বড় ধরনের পথরখন্ডই চন্দ্রপৃষ্ঠে পতিত হয়েছিলো এবং আল্লাহ তায়ালা তার নবীর মাধ্যমে মক্কাবাসীকে এ দৃশ্য অবলোকন করায়ে বুঝাতে চেয়েছেন যে পৃথিবীর ধ্বংশ অনুরুপ কোন এক ব্যবস্থায় ঘটানো হবে। একটি পাথর খন্ডের আঘাতে।

এটা আপনার কল্পনা...কোন বিজ্ঞানিক বিষয় না...সেটা দিয়েই আপনি নিশ্চিত হলেন??? :)

ঐ সময়ে চাঁদের যেই ছবি এলো, এতে দেখা যায় চাঁদের বুকচিরে একটি ফাঁটল বিদ্যমান। ফাঁটলটি লম্বায় ২০০ [কিঃমিঃ] এর ও বেশি এবং চওড়ায় ৩ [কিঃমিঃ] বিজ্ঞানীগণ এর নাম দিয়েছেন "হাইজিনাস রিলী"। এই "হাইজিনাস রিলী"র মাটি ও পাঁথর গবেষণা করে বিজ্ঞানীগণ আবিষ্কার করলেন যে, এই ভাঙ্গা ও জোড়া লাগার ঘটনাটি ১৪০০ বছরেরও পুরোনো।

আর এই বিষয়ে পুরাই মিথ্যা না বললেই পারতেন.... এটা কোন বিজ্ঞানিগন আবিস্কার করেছে তার রেফারেনন্স দিতে পারবেন না। কারন এই দাবী পুরাই বানোয়াট...

https://sservi.nasa.gov/?question=evidence-moon-having-been-split-two

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনার লিংক দেখে সত্যিই হাসি পেলাম। আচ্ছা ভাই আপনি শুধু ধর্মের বিরোধীতা করার জন্য যতটুকু জানা প্রয়োজন। ততটুকুই জানেন। এর বেশি গেয়ান আপনার নাই। আচ্ছা বলেন তো ভাই-১৪০০ বৎসর পূর্বে চাদেঁ যে ফাটল আছে সেটা কি রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সা:) জানতেন নাকি? আর যাই হোক অপনার সাথে এত বেশি তর্ক করার ধৈয্য আমার নেই। কারন আপনি আমাকে মিথ্যাবাদী বলে অভিহিত করছেন। চাদঁ সম্পর্কে বহু ব্লগ আছে, বহু বই আছে পড়ুন জানতে পারবেন। নীম্নে আমি চাদেঁ যে ফাটল আছে সেই ফাটল এর চিত্রটি আপনাকে দেওয়া হলো। আর আপনাকে পুর্বের কমেন্টে আমি বলেছিলাম রাসুল সেদিন মক্কাবাসীদের কিয়ামতের নির্দশন দেখাইতে লোক জড়ো করেছিলেন। এবং সেইদিন চাদেঁর বুকে বিশাল গ্রহানুর আঘাত করেছিলো কিয়ামত কিভাবে হয়েছিলো মানব জাতিকে জানানোর জন্য....................আর আপনি বললেন আমি মিথ্যাবাদী। চার্দের বুকে যে অসংখ্য গ্রহানুর আঘাত সেই চিত্র আপনাকে পাঠালাম আপনি দেখে নিবেন। আর আপনি জানতে চেয়েছেন আমি চাঁদ সংক্রান্ত এ সকল তথ্য কোথায় পেয়েছি? ললেন্স ফিৎরেজ নামক এক রাশিয়ান চনদ্র বিজ্ঞানীর “চাদের বুকে মানুষ” বইতে উলে¬খ করেছেন এ সকল তথ্য। বইটি কলিকাতা থেকে কিনেছিলাম বহু পূর্বে।

আর মানুষের অতি অহংবোধ আর সৃষ্টার প্রতি উন্নাসিকতা মানুষের ক্ষতির কারন হতে পারে। আকাশ থেকে প্রস্তর খন্ডের আঘাত হতে পারে। মানুষের এ ঔদ্ধর্তে্ব কারনে ঘটতে পারে চাঁদের মতো এরকম ভয়াবহ ঘটনা এই পৃথিবীতে। আল কোরআন বলে “ হে মানুষ তোমরা কি নিশ্চিত যে তোমাদের উপর প্রস্তরখন্ডে আঘাত করিবো না?”

ভাই’ মহাবিচারের দিন আসছে’ আল্লা আপনাদের মতো আহংকারীদের উপলদ্ধি করতে দিবে সেই স্বাদ।
“ তোমরা কি উহা নির্ভয় হইয়াছো যে যিনি আকাশে রহিয়াছেন তিনি তোমাদেরকে সহ ভ’মীকে ধ্বসাইয়া দিবেন . অনন্তর উহা আকস্মিকভাবে থরথর করে কাপিঁতে থাকিবে অথবা তোমরা কি নির্ভয় হইয়াছো যে যিনি আকাশে রহিয়াছেন তিনি তোমাদের উপর কংকাবাহী ঝঞ্চা প্রেরণ করিবেন? তখন তোমরা জানিতে পারিবে কিরুপ ছিল আমার সতর্কবানী। উহাদের পূর্ববতীরাও অস্বীকার করিয়াছিলো ফলে কিরুপ হইয়াছিলো তাহার শাস্তি। (৬৭:১৭,১৮,১৯ )

http://www.techtimes.com/articles/94397/20151012/cracks-opening-in-the-moon-and-its-our-fault-astronomers-say.htm
http://files.abovetopsecret.com/images/member/476fb973f929.png
http://www.jafariyanews.com/2k8_news/march/22moon_crack.jpg

১৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:০৩

নতুন বলেছেন: মিথ্যাবাদী বলার জন্য দুখি:ত... আমি ঠিক ঐভাবে বলতে চাইনি।

আমি যেই লিংক দিয়েছি তাতে হাসি আসতেই পারে। কারন নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন যে তারা এখনো এমন কোন কিছু পায়নাই যাতে চাদ টুকরো হয়েছিলো তা প্রমান হয়।

তার তিনি একটা কথা বলেছেন<<<
NASA scientist Brad Bailey said, "My recommendation is to not believe everything you read on the internet. Peer-reviewed papers are the only scientifically valid sources of information out there. No current scientific evidence reports that the Moon was split into two (or more) parts and then reassembled at any point in the past

Peer-reviewed papers are the only scientifically valid sources of information out there

শুধুই বিজ্ঞানিরা প্রমান করেছে বললেই সেটা হয় না। তার পেছেনে অবশ্যই বিভিন্ন জানালে প্রকাশিত পেপার থাকে...

আরেকটা প্রশ্নের উত্তর দেন নাই।<<< মেরাজ যে সত্য স্বপ্ন ছিলো তা কোন আয়াতে আছে???

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৪৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ভাইজান, আপনারে কে কইছে’ চাদ দ্বিখন্ডিত হয়েছিলো ? আল কোরআনে সুরা কামার এ ১ম আয়াতে বলে“ কেয়ামত আসন্ন চন্দ্রবিদীর্ন হয়েছে।( সুরা কামার-১ আলকোরআন) বির্দীন বা ফেটে যাওয়া।

আর আপনি বলছেনে চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয়েছিলো! আর হাদীছ এর ভিত্তি আপনি বললেন চাঁদ দ্বিখন্ডিত বলছেন। ভাইজান রাসুল সা: এর মৃত্যুর ২৫০ বৎসর পর হাদীস সংগ্রহ করা হয়। হাদীস সংগ্রহে রাসুল এর অনুমোদন ছিলো না। ৪ খলিফা হাদীস সংগ্রহ করেন নাই বা হাদীসের প্রচলন ঘটান নাই। আমরা মুসলমানেরা সহী এবং অসহী নিয়ে আমরা হাদীস গ্রহণের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করি। আর আপনি হাদীসের উপর ভিত্তি করে এসব কথা বলেন।

মুসলমানের ধর্মগ্রন্থ আলকোরআন। হাদীস রাসুল এর মুখনিঃসৃত বানী কিন্তু দীর্ঘদিন পর সংগ্রহ করার কারনে সহী অসহী নিয়ে একটা সংশয় থেকে যায়। তাই মুসলমানেরা সচরাচর আল কোরআন যা বলে সেটাই মেনে নেয়।

চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয়েছিলো এগুলো ভুল ধারনা গ্রহানুর আঘাতে চাদ ফেটে গেছিলো এবং দীঘদিন ধরে গলিত লাভা সেই ফাটল জোড়া লাগিয়েছে। একটি চিত্র পাঠালািম .........দেখেন বড় বড় গ্রহানুর আঘাত আছে চাদেঁর বুকে এবং এবং তারই পাশ দিয়ে চাদের ফাটল।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:৫২

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: Click This Link

১৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৭

নতুন বলেছেন: ভাই এইডা কি কন আফনে? সমস্তটাই নির্ধারিত তাই। স্পাম নষ্ট হওয়া, ভ্রুন নষ্ট হওয়া এগুলোও নিয়ন্ত্রিত বা নির্ধারিত।বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নেয় সেটাও নির্ধারিত। ভাইজান আপনি যেভাবে কথা বলছেন তাতে বলছেন পৃথিবীতে শুধু মানুষ জন্ম নেবে,কেনো পোকামাকড় জন্ম নেয়?

সবই যদি অলৌকিক ভাবে নিদ্ধারিত হয়ে থাকে তবে তো আর কথা নাই। তবে কেন কস্টকরে এতো পদ্ধতীর কথা চিন্তা করা।

ভাইজান বিকলঙ্গ সাইড এফেক্ট সমস্তটাই নির্ধানিত। নিশ্চয় এর পিছেনের কোন কারন আছে।
আপনি আগে খোজেন কেনো মানুষ ধনী হয়, কেনো মানুষ রিক্সাওয়ালা হয়? কেনো রাজা হয় কেনো ফকির হয়? সেই সুত্রে বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নেয় এসকলোর কারণ আছে। কারন জানতে গেলে ইসলামের সুশিতল ছায়াতলে আসতে হবে। এবং মারেফতের গোপন বিষয় গুলো জানতে হবে।

মানুষ ধনী হয়/রিক্সাওয়ালা হয় কারন সে চেস্টা করে না। তাই.... রিক্সাওয়ালা দোয়া করে কিন্তু তার রিজিক বাড়ে না কিন্তু ইহুদী/কাফের বিলগেডস এর সম্পদ বাড়ে....

কেন বাড়ে??????????????&gt;< কারন তিনি তার জন্য কাজ করেন.... আর রিক্সাওয়ালা কিছুই করেনা....উপরের দিকে চেয়ে থাকে...

আমাদের দেশেও ফুটপাতে ব্যবসাকরে এখন কোটিকোটি টাকার মালিক....তাদের কাহিনি গুলি শুনে দেখবেন...তারা কতটুকু রিজিক পেয়েছিলো উপর থেকে.... না কি তারা তাদের কাজ দিয়ে এইগুলি অজ`ন করেছে।


আপনাদের একটা লাইন ভালো লাগে....

আল কোরান বলে “ হে মুহাম্মদ তুমি তাকে যতই নসীহত কর সে বুঝিবে না কারন তার দুচোখে পর্দা দিয়েছে দুকানে পর্দা দিয়েছি। আল কোরআন”
ভাইজান এই শ্রেণীর মানুষের ডিএনএ গত ভাবে অপূর্ণাঙ্গ। কারন স্রষ্টাকে উপলদ্দি করবার মতো যোগ্যতা এবং ক্ষমতা এদের দেওয়া হয় নাই।
:)

যুক্তি কথায় এই লাইন নিয়ে এসে বলেন যে বোঝার ক্ষমতা নাই... :)

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: মানুষ ধনী হয়/রিক্সাওয়ালা হয় কারন সে চেস্টা করে না। তাই.... রিক্সাওয়ালা দোয়া করে কিন্তু তার রিজিক বাড়ে না কিন্তু ইহুদী/কাফের বিলগেডস এর সম্পদ বাড়ে....

কেন বাড়ে??????????????&gt;< কারন তিনি তার জন্য কাজ করেন.... আর রিক্সাওয়ালা কিছুই করেনা....উপরের দিকে চেয়ে থাকে...

আমাদের দেশেও ফুটপাতে ব্যবসাকরে এখন কোটিকোটি টাকার মালিক....তাদের কাহিনি গুলি শুনে দেখবেন...তারা কতটুকু রিজিক পেয়েছিলো উপর থেকে.... না কি তারা তাদের কাজ দিয়ে এইগুলি অজ`ন করেছে।


দোয়া করলে সম্পদ বাড়ে’ ----এইডা আবার কে কইলো? কই পাইলেন আপনি? তইলে ভাগ্যটা কি? ভাইজান এইডাই তো খেলা! দোয়া তে তদবীর বাড়ে যদি আপনার ভাগ্যতে উল্লেখ থাকে আপনার দোয়ার কারনে ঘটনাটি ঘটবে। সত্যিই বলতে কি সমস্তটাই লিখিত। সময় একটি ধাপে ধাপে টিউনিংকৃত। মহাজাগতিক বস্তুুর অবস্থানের উপর সময় নির্ধারিত হয়। আর সেই সময় পরিবেশ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে মানবজীবনের উপর প্রভাবিত করে। দোয়াতে কোন কিছুই হয় না। জগত সময় এবং নিয়ম দ্বারা নির্ধারিত। এর ভিতর অলৌকিক কিছু বা দোয়া যদি ঘটে তবে সেই অলৌকিকতা বা দোয়া সময়ের ধাপে ধাপে নির্ধারিত ছিলো।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:২৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমাদের দেশেও ফুটপাতে ব্যবসা করে এখন কোটিকোটি টাকার মালিক....তাদের কাহিনি গুলি শুনে দেখবেন...তারা কতটুকু রিজিক পেয়েছিলো উপর থেকে.... না কি তারা তাদের কাজ দিয়ে এইগুলি অজ`ন করেছে।
ভাইজান আমার কথা তো সেইটাই। মানুষ তার যোগ্যতা ভিত্তিক রিজিক পায়। এটা অর্জনের ব্যাপার। মানুষ হাজারো যোগ্যতা থাকলে হয় না পরিবেশ বা প্রকৃতির সমর্থন থাকতে হয়। অর্জন করার মতো যোগ্যতা তার থাকতে হবে অথাৎ তার ভাগ্যে থাকতে হবে। তবেই রিজিক তার কাছে আসবে।

কেনো মানুষের জীবনে দুঃখ আসে কেনো সুখ আসে এটা বুঝতে গেলে আপনাকে মারেফতের গভীরে যেতে হবে। সুখ দুঃখের কারন আপনি বুঝবেন। আগে মুসলিম হন। আপনিতো নাস্তিক কিভাবে এই গভীরে যাবেন। বৌদ্ধ ধর্ম আপনাকে সেই সম্পর্কে জানাতে পারবে।

১৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৯

প্রত্যয় প্রকাশ বলেছেন: 1।এখন পযর্ন্ত তো আমরা মহাবিশ্বের কোথাও প্রাণ খুজে পাই নাই।যদি কখনও পাওয়া যায় তাতে আল কোরআনের সাথে সাংর্ঘষিক নই। একই সাথে আপনি অন্য প্রাণ খুজে পান নাই বলে পৃথিবীতে মানুষের উৎপত্তি নিখুতভাবে পরিকল্পিত বলছেন আবার অন্য কোথাও প্রাণ পাওয়া গেলে কিভাবে কোরানের সাথে তা গুলিয়ে ফেলবেন তাও আগে থেকে ফিক্সড করে রেখেছেন। এই দ্বৈত নীতির অর্থ কী??? যদি এমন হত প্রত্যেকটা গ্রহেই প্রাণ আছে তাহলে সৃজনবাদীরা ঈশবরের দোহাই দিয়ে অনেক কিছু বলার মুখ থাকত। তারা বলতে পারত "দেখ প্লুটো একেবারে ঠাণ্ডা কিন্তু সেখানেও প্রাণ আছে, অথবা দেখ বুধ একেবারে গরম কিন্তু সেখানেও প্রাণ আছে। এসব কিছুই উনার ইশারা। আমি দেখেছি তারা একটা সম্ভাবনার ম্যাথ কষে হিসাব বের করে যেখানে গ্রহ গুলোতে প্রাণ সৃষ্টির সম্ভাবনা তারা দেখায় দশমিক অনেকগুলো শুণ্য তারপর একটা এক। এভাবে তারা বলতে চায় যেহেতু অনেকগুলো শুণ্য প্রাণ সৃষ্টির সম্ভাবনাও শুণ্য। কিন্ত আসলে তারা যেটা বুঝে না তা হল অনেকগুলো শুণ্যের পরেও তাদেরকে একটা এক রাখতে হয়, যার অর্থ হল লক্ষ গ্রহের মধ্যে একটাতে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাদের ম্যাথ গুলো থেকেই আসলে ব্যাখ্যা করা যায় পৃথিবীতে প্রাণ থাকা কোনো আচানক ব্যাপার নয়। বরং সম্ভাবনার হিসাবে এটা সঠিক। বিজ্ঞানীরা প্রাণ এর জন্য সবসময় বলে আসছেন হরাইজেন্টাল জোনের কথা। কোনো গ্রহ যদি হরাইজেন্টাল জোনে পড়ে, তাহলে সেখানে প্রাণ থাকার সম্ভাবনা ধুপ করে অনেক বেড়ে যাবে। এবং কেপলার প্রজেক্ট এধরনের অনেক গ্রহ খুজে পেয়েছে যারা হরাইজেন্টাল জোনে অবস্থান করে। কিন্তু যেহেতু গ্রহগুলো কয়েকশ আলোকবর্ষ দূরে তাই আপাতত মহাকাশ যান পাঠানো সম্ভব নয়। এবং প্রত্যেকটা গ্রহের হরাইজেন্টাল জোনকে মুর্খের চোখ দিয়ে দেখি তাহলে ঘনঘন হতবাক হওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। কিন্তু আমাদের নক্ষত্র যেখানে লিক্ষাধিক, গ্রহ যেখানে কোটি সেখানে কোনো এক গ্রহ চিপায় চুপায় হরাইজেন্টাল জোনে পড়া এতটাই কী বিষ্ময়কর??? আপনি চাদের দুরত্ব নিয়েও বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এটা ও খুব একটা বিষ্ময়ের ব্যাপার নয়। উপবৃত্তের ম্যাথ যারা জানে তারা আসলে বিষয়টা ক্লিয়ারলি ব্যাখ্যা করতে পারে। পৃথীবী থেকে কোনো কিছুকে একটা নির্দিষ্ট বেগে যদি ছুড়ে মারা হয় তাহলে বস্তুটা উপবৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকবে। সকল গ্রহের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। যদি সত্যি সত্যি মরুভূমি থাকত, তাহলে প্রাণ সৃষ্টি হত না। তো না হলে হত না। মহাকালের এতে কী আসে যায়? কিন্তু চাদের কারণে যদি গোটা পৃথিবী জলমগ্ন থাকত, তাহলে কী প্রাণ সৃষ্টি হত না??? অবশ্যই হত; তবে তা থাকত জলে। টিকট্যালিকের মত যেমন মধ্যবর্তী প্রজাতি দেখা যায়, তেমনি হয়ত মৎস্য মানব দেখা যেতেও পারত। তবে বিবর্তন সর্বদাই উদাসীন। কি হবে না হবে সেটা কেওই জানে না। তাহলে এইসব কিছুর মধ্যে পরিকল্পনা ঠিক কোথায়??? কোরান বলছে সবকিছুর মধ্যেই আল্লাহর নির্দেশনা আসে। তাহলে কী শুকর বা কুকুর প্রজাতি( যা থাকলে ফেরেশতা আসে না) র মধ্যেও আল্লাহর নির্দেশনা আসে??? ইহা জানার আমার খুব ইচ্ছা।

2.////যেভাবে প্রাণি সৃষ্টির কথা বলে সেই সৃষ্টি চিন্তায় ধ্বংশলীলাটা জরুরী ছিলো। যাকে বলা হয়।আপডেট।যেমন ধরেন মোবাইল কোম্পানী আপডেট মোবাইল তৈরী করে পুরানো মডেল গুলো ব্ন্ধ করে দিচ্ছে।আল কোরআনে বারবার ধ্বংশলীলার কথা বলা আছে। যখনই দেখা গেছে সৃষ্টি বিপথে হচ্ছে তখনই সেই সৃষ্টি ধ্বংশ করে সেখান থেকে শুধু এক জোড়া উন্নত জাতের সৃষ্টি দুরে কোথাও নিয়ে গিয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মাধ্যমে অন্য সকল সৃষ্টি ধ্বংশ করে ফেলা হয়েছেআপনার এই মোবাইলের এই হিসাব টা কী এখানে সত্যিই খাটে??? ডিভাইস গুলো আপডেট তখনি করে যখনি তাদেরকে প্রতিযোগীতার কোনো বাজার ধরতে হয়। যেমন নোকিয়া বিরাট একটা সময় ধরে নিজেদের কোনোরুপ পরিবর্তন না করেই একইভাবে চলে আসছিল, কিন্তু যেই স্যামসাং আইফোন সিম্ফনীর আবির্ভাব ঘটল, তখন নোকিয়া নিজেদের পাল্টানোর তোড়জোড় শুরু করে। এখন আইফোন আর স্যামসাং দুইদিন পরপর তাদের সেট আপডেট করে। কারণ প্রতিযোগীতার বাজারে তারা প্রায় সমান। কিন্তু মহান আল্লাহকে কেন বারবার আপডেট করতে হচ্ছে??? কিছু প্রজাতি ধবংস করতে হচ্ছে?? আমরা কী ধরে নিব তাহলে মহান আল্লাহকে অন্য কোনো সত্তার সাথে কম্পিটিশনে নামতে হচ্ছে??? / যখনই দেখা গেছে সৃষ্টি বিপথে হচ্ছে/ এই কথার অর্থ কী?? আর্কিওপটেরিক্স, টি রেক্স, টিকট্যালিকের মত অবলা, অসহায় প্রাণি কিভাবে বিপথে যেতে পারে??? ওদের কী কোনো বোধ বুদ্ধি ছিল??? তিনি তো সব জানতেন। তাহলে তিনি তাদেরকে সৃষ্টিই বা করলেন কেন?? নির্মমতার সাথে ধবংসই করে দিলেন কেন??? (গ্রহাণুর সাথে বাতাসের সংঘর্ষে পৃথিবী ঢেকে গিয়েছিল কালো অন্ধকারে। সুর্যের অভাবে গাছ খাদ্য তৈরী করতে না পারায় বড় বড় প্রাণিগুলো মারা গিয়েছিল খাদ্য এবং অক্সিজেনের অভাবে। অনেক প্রজাতির মাত্র বাচ্চা জন্ম নিয়েছে। সে অবস্থায় তথাকথিত খোদার আপডেট নির্মমতায় সোজা

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: //“এখন পযর্ন্ত তো আমরা মহাবিশ্বের কোথাও প্রাণ খুজে পাই নাই।যদি কখনও পাওয়া যায় তাতে আল কোরআনের সাথে সাংর্ঘষিক নই। একই সাথে আপনি অন্য প্রাণ খুজে পান নাই বলে পৃথিবীতে মানুষের উৎপত্তি নিখুতভাবে পরিকল্পিত বলছেন আবার অন্য কোথাও প্রাণ পাওয়া গেলে কিভাবে কোরানের সাথে তা গুলিয়ে ফেলবেন তাও আগে থেকে ফিক্সড করে রেখেছেন। এই দ্বৈত নীতির অর্থ কী???//

ভাইজান এইডা আবার কি বলেন? এই মহাবিশ্ব ফাইন টিউনড এইডা একটা ফ্যাক্ট। প্রমানিত সত্য। এখানে অসংখ্য মহাবিশ্ব এবং প্রাণ খুজে পাওয়ার সাথে এর সাংর্সিয়কতা কি পেলেন আমি জানি না? আধুনিক বিজ্ঞান আজ পযর্ প্রমান করতে পারে নাই অন্য কোথাও প্রাণ আছে কি না? যদি এখন ভেবে থাকেন আছে তাহলে সেটা অনুমান বা ডারউইনের বিবর্নবাদের মতো রুপকথার গল্প হয়ে গেলো।

আর যদি প্রাণ থেকে থাকে তাহলে কি আল কোরআন মিথ্যা হয়ে গেলো? অথবা মহাবিশ্বটা ফাইন টিউনড এটা কি মিথ্যা হয়ে গেলো? কারন আল কোরআন অসংখ্য প্রাণি সম্পর্ কোন মন্তব্য করে নাই। তবে আল কোরআনে বলা আছে “আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন সপ্ত আসমান ও অনুরুপ সংখ্যক পৃথিবী”। আরবীতে সপ্ত বা সাত শব্দের অর্ বহু বা অসংখ্য। তার মানে অসংখ্য পৃথিবী আছে। এখন আমি অথবা আপনি প্রশ্ন করতে পারি অসংখ্য পৃথিবী যেহেতু আছে সেইহেতু প্রাণ অবশ্যই আছে।প্রাণ যদি না থাকবে তবে পৃথিবী থাকবে কেনো? আবার এটাও বলতে পারি পৃথিবী আছে এবং সেই পৃথিবীতে আমরা বাস করবো। এই পৃথিবী থেকে আমরা ছড়িয়ে যাবো সেই পৃথিবীতে।এটা নিশ্চিত করে বলা যায় না।আল কোরআন বলে নাই অন্য কোন গ্রহে মানূষ ছাড়া প্রাণী সৃষ্টি করি নাই আবার এটাও বলে নাই প্রাণ সৃষ্টি করেছি। অতএব প্রাণ থাকা না থাকার সাথে কোন সাংঘষিক কিছু নেই।তাছাড়া এখন পযর্ আমাদের উদ্ঘাটিত এবং উপলদ্ধিজাত জ্ঞান বলছে যে প্রান শুধু আমাদের গ্যালাস্কিতে আছে। অতএব এখানেই থাকি না। অনুমানলবদ্ধ জ্ঞান আর সাইন্স ফিকশন থাক না হয়। থাক না ডারউইনবাদের মতো নতুন কোন রুপকথার গালগপ্প। সায়েন্স ফিকশনের কল্পনা বিলাশ। বিজ্ঞান চাই প্রমান। প্রমানের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখন পর্যন্ত আমরাই সেরা আমরাই শেষ্ঠ।“মানুষ গুরুর নিষ্ঠা যার সর্ব সাধন সিদ্ধ তার”। মানুষ এর শ্রেষ্ঠত্ব স্বীকার করুন।মানুষকে তার যোগ্য সন্মান দেওয়া শিখুন।

হরাইজেন্টাল জোন নিয়ে এত চিতকার চেচামেচির কি আছে? হরাইজেন্টাল জোনে প্রান থাকতে পারে এই ধারনার উপর ভিত্তি করে ফাইন টিউনিং বিষয়টা অস্বীকার করাটা কি বোকামী নয়। আপনাদের সমস্যাটাই হলো এই যে গাছে কাঠাল গোফে তেল! ধরুন কেপলার প্রজেক্ট এর মাধ্যমে নয় সরাসরি নভোযান পাঠিয়ে হরাইজেন্টাল জোনে অবস্থিত গ্রহে খোজ নিয়ে জানতে পারলেন কোথাও কোন প্রাণী নেই তখন আপনি কি বলবেন? অথবা জানলেন কোন প্রাণি নেই কিন্ত এমন সুন্দর পৃথিবীর মতো গ্রহ আছে যেখানে একটু পরিবর্তন করতে পারলে মানুষ বসবাস করতে পারবে এবং নক্ষত্র থেকে নক্ষত্র পযর্ন্ত মানুষের বিচরন ক্ষেত্র হবে। তখন দীঘদিন ধরে যে ভীনগ্রহে প্রাণী আছে বলে বিশাল জল্পনা কল্পনা করলেন মানুষকে কল্পনা বা রুপকথার গল্প শোনালেন। তখন কি করবেন? মানুষকে ঠকালেন মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিলেন, মানুষই শ্রেষ্ঠ সেই শ্রেষ্ঠত্বের পথ থেকে বিচ্যুতি ঘটালেন তখন তার জবাব কি দিতে পারবেন?

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪২

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: //পৃথীবী থেকে কোনো কিছুকে একটা নির্দিষ্ট বেগে যদি ছুড়ে মারা হয় তাহলে বস্তুটা উপবৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকবে। সকল গ্রহের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। যদি সত্যি সত্যি মরুভূমি থাকত, তাহলে প্রাণ সৃষ্টি হত না। তো না হলে হত না। মহাকালের এতে কী আসে যায়? কিন্তু চাদের কারণে যদি গোটা পৃথিবী জলমগ্ন থাকত, তাহলে কী প্রাণ সৃষ্টি হত না??? অবশ্যই হত; তবে তা থাকত জলে। টিকট্যালিকের মত যেমন মধ্যবর্তী প্রজাতি দেখা যায়, তেমনি হয়ত মৎস্য মানব দেখা যেতেও পারত। তবে বিবর্তন সর্বদাই উদাসীন। কি হবে না হবে সেটা কেওই জানে না। তাহলে এইসব কিছুর মধ্যে পরিকল্পনা ঠিক
কোথায়???//


আল কোরআন বলে “হে মুহাম্মদ তুমি তাকে যতই নসীহত কর সে বুঝিবে না। কারন তার দুচোখে পরদা দিয়েছে দুকানে পর্দা দিয়েছি।সে বুঝিবে না সে শুণিবে না”---- এই শ্রেণীর মানুষেরা ডিএনএ গত সমস্যায় আক্রান্ত। তাদের জিনে কিছু প্রব্রেম আছে। তাদেরকে ধর্ম বোঝানো যাই না। এত কিছু শুনলেন এত কিছু জানলেন বুঝলেন-পৃথিবী থেকে সুরযের দূরত্ব যার উপর নির্র করে প্রাণ এর শর্ত। পৃথিবী থেকে চাদের দুরত্ব, পৃথিবীর মধ্যাকষণ, ভ্যান এলেন বেল্ট এর নিরাপত্তা, বৃহস্পতিগ্রহ দ্বারা পৃথিবীর রক্ষা কবচ।মহাবিশ্বের সম্প্রসারন হার এত নিখুত হলো কিভাবে? গ্রহ নক্ষত্রগুলোর মধ্যে দুরত্ব এত নিখুত হলো কিভাবে? কিভাবে মহাবিশ্বের বিগব্যাং নামক বিস্ফোরনটি এতটাই নিখুত হলো? এত কিছু জানার পরেও আপনি বলছেণ এইসব কিছুর মধ্যে পরিকল্পনা ঠিক কোথায়???
আপনি বলছেন পৃথীবী থেকে কোনো কিছুকে একটা নির্দিষ্ট বেগে যদি ছুড়ে মারা হয় তাহলে বস্তুটা উপবৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকবে। পৃথিবী থেকে না হয় আপনি ছুড়ে মারলেন। কিন্তু মহাবিশ্ব সৃষ্টির ক্ষ্রেত্রে যে বিস্ফোরনের দরকার ছিলো তার আদেশ করেছিলেন কে? বিস্ফোরনটি এতটি নিখুত হয়েছিলো কি করে? বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আন্দ্রে লিন্ডে এই বিস্ফোরন সম্পরকে এবং ষ্ট্যান্ডার্ড বিগব্যাংগ মডেলের সমস্যা হিসেবে চতূর্থ সমস্যাটি তুলে ধরে বলেছেন- “something is wrong with this theory. The fourth problem deals with the timing of the expansion. In its standard form, the big bang theory assumes that all parts of the universe began expanding simultaneously. But how could all the different parts of the universe synchronize the beginning of their expansion? Who gave the command?” বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আন্দ্রে লিলন্দে সংশয় প্রকাশ করছেন এতটা নিখুত ভাবে সকল বস্তু এক্ই সাথে সমান তালে সম্প্রসারণ ঘটলো কি করে? কে আদেশ করেছিলো এই বিস্ফোরনের। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ষ্টিয়েফন ডব্লিউ হকিং যখন বস্তুর গঠন এবং এর মধ্যের ইলেকট্রনের ইলেকট্রিক চার্জ এবং প্রোটনের ভরের সামঞ্জস্যতা এবং সুক্ষ সমন্ময় দেখে যখন বলেন-ÒThe laws of science, as we know them at present, contain many fundamental numbers, like the size of the electric charge of the electron and the ratio of the masses of the proton and the electron. … The remarkable fact is that the values of these numbers seem to have been very finely adjusted to make possible the development of life” আর য়খন বিশিষ্ট গনিতবিদ এবং বিজ্ঞানী প্রফেসর রজার পেনরোজ জগতের একটি উদ্দেশ্য এবং এ জগতেএর একটি লক্ষ্য দেখতে পেয়ে জোরকদমে বলেন-‘There has got to be fine tuning. This is fine tuning, this is incredible precision in the organisation of the initial universe.’ তিনি আরো বলেন - “I would say the universe has a purpose. It's not there just somehow by chance." তখন আপনি বলেন স্রষ্টার পরিকল্পনাটি কোথায় আমি তো দেখতে পেলাম না? স্রষ্টার প্রতি এত গোস্মা কেনো ভাই? তাহলে আল কোরআনের বর্ননা মতের সেই অন্ধ বধির প্রকৃতির মানুষদের দলের মধ্যে একজন মানুষ কি আপনি নিজেই?

১৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:১১

প্রত্যয় প্রকাশ বলেছেন: ফসিল হয়ে গিয়েছিল) মুসলিমরা তো কোরবাণি দেওয়ার সময় প্রাণির কষ্ট না হওয়ার জন্য সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা অনুসরণ করে। তো তাহাদের খোদা এত নির্মম হইল কেন??? শুধু তাই না। মজার বিষয় হল খোদা তার প্রথম উদ্ভাবন ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস কেও রাখলেন সর্বশেষ আপডেট ভার্সন মানুষ ও রাখলেন। মাঝখানের সরীসৃপ গোত্রের উপর তার এত ক্ষোভ কেন কে জানে? এছাড়াও আরো একটা ব্যাপার দেখা গেল যতগুলো ধবংসযজ্ঞ হয়েছে, সবগুলোতেই স্থলের বৃহৎ বৃহৎ প্রাণিরা বিলুপ্তির স্বীকার। স্থলের বড় বড় প্রাণিদের উপরেই খোদা র এত গোস্বা কেন কে জানে? /বিবর্তনটা আসলে আপনারা যেভাবে বলছেন সেভাবে ঘটে নাই/ বিবর্তনটা ঠিক কীভাবে ঘটেছে সেসম্পর্কে যদি কোনো গ্রহণযোগ্য লিঙ্ক আপনি দিতেন, তাহলে আমি উপকৃত হতাম।

. 3)/// ফাইন টিউনিং বিষয়টি একটি ফ্যাক্ট। আপনি না মানলে কি হবে বাঘা বাঘা বিজ্ঞানী স্বীকার করে নিয়েছে একটি একটি ফ্যাক্ট// সত্যিই? নিশ্চয়ই তারা আপনাকে এটা কানে কানে বলে নাই। লিঙ্কটা দেন দেখি। এবার আমি নোবেল বিজয়ী পদার্থবিদ স্টিভেন ওয়েনবার্গ এর একটা লেখা দেখাচ্ছি। তিনি বলছেন " আমাদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা একটা বিষয়ে স্থিরনিশ্চিত যে মূল প্রাকৃতিক সূত্রাবলীর কোনো ব্যতিক্রম হয় না – অন্যভাবে বললে, অলৌকিক কিছু ঘটে না। যা ঘটে তাকে কোনো না কোনো প্রাকৃতিক সূত্র দিয়ে ব্যাখ্যা করা সম্ভব – আজকে সে সূত্র না জানা থাকলে কালকে তা আবিষ্কৃত হবেই। সেখানে অধিকাংশ ধর্মই দাঁড়িয়ে আছে এই ধরণের কিছু অলৌকিকতার ওপর – যেমন মৃত যীশুর বেঁচে ওঠা বা কোনো এক দেবদূতের মহম্মদের কাছে এসে উপদেশ পড়ে শোনানো – এ সবই বাস্তব বা লৌকিকতার ঊর্ধ্বে। এই সব অলৌকিক গল্পকথারা বিজ্ঞানের চোখে রূপকথার পরীর গল্পের মতই শোনায় – আর আমরা আজকের দিনে রূপকথায় বিশ্বাস রাখি না। আমরা এমন কি বুঝে গেছি যে মনুষ্যজাতি হাজার হাজার বছরের ক্রমবিবর্তনের ফসল – প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে একটু একটু করে পরিবর্তিত হতে হতে এই অবস্থায় এসেছে।
এই অবস্থায় আমি পরম কিছু সূত্র ছাড়া আর কোথাও তো কোনো সৃষ্টিকর্তার নকশা থাকার সম্ভাবনা দেখতে পাই না – বাকি সবই তো প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরী। এই পরম সূত্রগুলোকে বলা যেতে পারে শেষ ও পরম সত্য – যার ওপর ভিত্তি করে সমগ্র প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক শক্তিগুলো পরিচালিত হয়। আমরা সেই সূত্রগুলো এখনো সঠিকভাবে জানি না বটে, কিন্তু এটুকু অনুধাবন করার মত জায়গায় পৌঁছেছি যে এর মধ্যে জীবন বা জীবের কোনো বিশেষ ভূমিকা নেই। রিচার্ড ফেইনম্যান বলেই গেছেন –
“এই সুবিশাল বিশ্বব্রম্ভান্ড দেখে ও তার সূত্রগুলো বুঝে ওঠার পরে এটা মেনে নেওয়া খুবই শক্ত যে ঈশ্বর মহাবিশ্ব সৃষ্টিই করেছেন মানুষের ভাল-মন্দ বিচারের জন্য।”"
লিঙ্কAn intelligent design
ইন্টেলিজেন্ট ডিজািইনের প্রবক্তাগণ যদি চার্চ এর সাবির্ক সহায়তা ব্যাতিরেকে সকল ধর্মের সার্বিব সহায়তা নিতো তবে চালসৃ ডারউইনের বিবর্তনবাদ রুপকথার গল্প বলে মিউজিয়ামে চলে যেতো আমি বলি কী বাংলাদেশেই যেহেতু বিবর্তনবাদ পড়ানো হয়। আপনারাই কেস করে দেন। কোরানের সহায়তায় জিতে যেতে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি কী বলেন?
4. আপনারা যদি এক কোরান শরীফের প্রতিটা শব্দের সাতটা করে মিনিং খুইজা বাইর করেন। তাহলে পৃথিবী জুইড়া যে ২০ টা কোরান আছে সবগুলো মিলা তো মিলিয়ন মিলিয়ন অর্থ বের হবে। আচ্ছা ছিদ্র মানে না হয় আপনার হিসাবে খুত হইয়া গেল। কিন্তু তিনি যে আকাশে ফাটল দেখা যাওয়ার কথা বলেছেন সেটার কী মিনিং হবে? জানতে চাই?

5) /// ভাই সমস্ত কিছু একটু সুক্ষ সম্মন্ময় দ্বারা নির্ধারিত এই পৃথিবীতে শুধু প্রান আর প্রাণ এর আধিক্য পৃথিবীর ভারসাম্য এর জন্য ক্ষতিকর কিনা আমি আপনি বুঝবো কি করে? প্রকৃতির কাজ প্রকৃতিকে করতে দিন না।/// কিন্তু পৃথাবীর মানুষ ইতোমোধ্যে ম্যালেরিয়া রোগের জীবাণু ধ্বংসের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তাহলে কী সেটা অনুচিত হচ্ছে???

আল কোরআন বলে “ হে মানুষ তুমি কি নিশ্চিত যে তোমাদের উপর প্রস্তর খন্ড নিক্ষিপ্ত করিবো না” আদৌ আল কোরানে এ কথা বলা হয়েছে কিনা সেটা আমি দেখতে চাই। এটা কোথায় আছে জানালে উপকৃত হতাম????

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: //খোদা তার প্রথম উদ্ভাবন ব্যাক্টেরিয়া, ভাইরাস কেও রাখলেন সর্বশেষ আপডেট ভার্সন মানুষ ও রাখলেন। মাঝখানের সরীসৃপ গোত্রের উপর তার এত ক্ষোভ কেন কে জানে? এছাড়াও আরো একটা ব্যাপার দেখা গেল যতগুলো ধবংসযজ্ঞ হয়েছে, সবগুলোতেই স্থলের বৃহৎ বৃহৎ প্রাণিরা বিলুপ্তির স্বীকার। স্থলের বড় বড় প্রাণিদের উপরেই খোদা র এত গোস্বা কেন কে জানে? /বিবর্তনটা আসলে আপনারা যেভাবে বলছেন সেভাবে ঘটে নাই/ বিবর্তনটা ঠিক কীভাবে ঘটেছে সে সম্পর্কে যদি কোনো গ্রহণযোগ্য লিঙ্ক আপনি দিতেন, তাহলে আমি উপকৃত হতাম।//


ভাইরাস কেনো বানাইলেন তা নিয়ে আপনার হতাশা দেখে ভীষন টেনশনে পড়ে গেলাম। এতই য়খন হতাশা তখন আপনার ভাবার দরকার ছিলো শয়তান কেনো আল্লাহ বানাইলেন? এইডা ভাবলেন না কেনো? এইডা যদি জিগাইতেন তাও তো বলতে পারতাম শয়তান না বানাইলে আল্লাহ দোজখ বানাইতেন কি করে? আর দোজখ না বানাইলে আল্লাহ আপনাগো মতো মানুষগো সেখানে ফেলাইতেন কি করে? তয় ভাইরাস কেনো বানাইছে তাতো আমি পূবেই বলেছি। একই কথা বারেবার ভাল্লাগে না। আবারো বলি প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় স্রষ্টাকে যা কিছু দরকার ছিলো তাই বানিয়েছেন। এখন আমাদের বিজ্ঞান প্রকৃতির ভারসাম্য সম্পর্কে যথেষ্ট অবগত। তাই গ্রীন হাউজের ইফেক্ট সম্পর্কে আন্দোলন হয়। আন্দোলন হয় রামপালে বিদ্যুত প্রকল্প নিয়ে। এইগুলো আসলে আপনার মূল জিঙ্গাসা নয়! আপনার মূল জিঙ্গাসা হলো খোদাই কেনো গোস্মা করে স্থলের বৃহত বৃহত প্রাণীর বিলূপ্ত ঘটালেন?
ভাইজান আপনি আসলে খুব বেশি লেখাপড়া করেন নাই! স্রষ্টার বিরুদ্ধে গালিমন্দ করতে, কি করে ধর্মের ভুল খোজা যায় অথবা কি করে অন্যের অনুভূতীতে আঘাত হানা যাই সেই সকল নির্ধারিত বিষয়গুলো নিযেই লেখাপড়া করেছেন। নিরেপেক্ষভাবে জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করেন নাই। আর যদি করতেন তবে আমাকে এই লজ্জাজনক প্রশ্নটি করতেন না। আপনার এই প্রশ্নটি নিয়ে আমার এই পোষ্টের ৩য় পর্বে বিশদ আলোচনা করবো। এখন আপনাকে বলি আপনার এই বিষয়টি আসলে ফাইন টিউনিং এর মধ্যেই পড়ে। যদি ততকালীন সময়ে গ্রহানুর আঘাতে ডাইনোসর প্রজাতি বা বৃহত সরীসৃপ প্রজাতি ধ্বংশ না হতো তবে আজ পৃথিবীর বুকে মানুষ নামক প্রাণিটির অবাধ বিচরণ ঘটতো না। কোন ক্রমেই মানুষ তার প্রজাতি বৃদ্ধি করতে পারতো না।স্তন্যপায়ি শ্রেণির বিরুদ্ধে মানুষ যুদ্ধ করে টিকে গেছে কিন্তু বৃহত শ্রেণির বিরুদ্ধে যুদ্ধে করে কখনই মানুষ টিকতে পারতো না। যেহেতু প্রকৃতি একটি নিদির্ষ্ট লক্ষ্যে পরিচালিত হয়েছে সেহেতু প্রকৃতির টার্গেট ছিলো মানুষ প্রজাতিকে কিভাবে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত করা যায়। আর সেই কারনে ডাইনোসর শ্রেনির এমন বিলুপ্তি।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: অবাক হলাম এই কারনেই যে নাস্তিক বিজ্ঞানী ষ্টিভেন ওয়েনবার্গ এবং রিচার্ড ফাইনম্যান এর কিছু বক্তব্য তুলে ধরে এমন ভাব দেখালেন যে রুপকথার গালগল্প নামক একটি হাইপোথিসিস বিবর্তনবাদ যেনো প্রমান করেই ফেলেছে যে বানরের থেকে মানুষ হয়ে গেছে। ভাইজান আপনারা বিবর্তনকে যেভাবে বলেন তাতে বোঝা যায় মানুষ ১০০ তলা বিল্ডিং বানাতে পারলে তো বানরের ১০ বিল্ডিং বানানোর কথা। কিন্তু জ্ঞানের বিবর্তন টা কেনো শুধু মানুষের ক্ষেত্রে ঘটলো। এ থেকেই বোঝা যায় মানুষের ডিজাইনটা ছিলো সর্বশ্রেষ্ঠ এবং মানুষের দেহ কাঠামোতে এমন কোন প্রোগ্রামিং ছিলো যাতে মানুষ শ্রেষ্ঠতর শুধু তাই নয় মানুষের দৈহিক গঠন কাঠামোর সহনশীলতা এবং স্বাচ্ছন্দবোধ মানুষকে এ পর্যায়ে উন্নীত করেছে। এমন অসংখ্য বিষয় আছে অনেক ফসিল বিবর্তনের বিপক্ষে, অসংখ্য প্রমান আছে যা বিবর্তেনকে হাস্যোরসের উপাদান বানিয়ে রেখেছে। তো যাই হোক বিবর্তনবাদ ছাড়া তো আর কোন হাইপোথিসিস পড়েন নাই। পড়বেনই বা কেনো? পড়লে খারাপ নীতিহীন মানুষদের রামরাজত্ব কায়েম থাকবে না। একটু গভীরে ভেবে দেখুন মানুষ শ্রেণি সৃষ্টিতে
শুধুমাত্র বিবর্তণবাদ দিয়ে পূর্ণবিন্যাস ঘটানো সম্ভব নয়। “সিমবায়োসিস” নামের একটি হাইপোথিসিস আছে। যেটা ভার্সিটির জীন-ডিএনএ অনুষদের, অনুজীব অনুষদের ছাত্ররা পড়ে। সেটা পড়ে দেখুন বুঝবেন প্রাণ সৃষ্টির শুরুতে যে বিষয়টি ঘটেছিলো সিমবায়োসিস এর মিউচারইজম সে কথাটাই বলছে।প্রাণিজগত সৃষ্টির ক্ষেত্রে বিবর্তনবাদ যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনি সিমবায়োসিস হাইপোথিসিস টাও তেমনি গুরুত্বপূর্ণ এবং ইন্টালিজেন্ট ডিজাইন এর মানুষ এর গঠন কাঠামোর নান্দনিকতাও তেমনি গুরুতবপূর্ন। আসলে এই তিনটি বিষয়কে এক ঐক্যবদ্ধ করলেই প্রাণীজগত সৃষ্টির পূনাঙ্গ ধারনা পাওয়া যায়।শুধু এককভাবে আপনাদের বিবর্তনবাদ নিয়ে মাঠে নামলে মনে হয় রুপকথার গালগল্প এ যেনো যাদুম্ন্র।
এবার আসি আপনার বিজ্ঞানী ষ্টিভেন ওয়েনবার্গ এবং রিচার্ড ফাইনম্যান এর উল্লেখিত উদ্ধৃতি সম্পর্কে। তারা দুজনেই প্রকৃতির সৃষ্টি সম্পর্কে পরম সুত্রগুলো নিয়ে মন্তব্য করেছেন। “এই অবস্থায় আমি পরম কিছু সূত্র ছাড়া আর কোথাও তো কোনো সৃষ্টিকর্তার নকশা থাকার সম্ভাবনা দেখতে পাই না – বাকি সবই তো প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরী। এই পরম সূত্রগুলোকে বলা যেতে পারে শেষ ও পরম সত্য – যার ওপর ভিত্তি করে সমগ্র প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক শক্তিগুলো পরিচালিত হয় ” । ওয়েনাবার্গ এবং ফাইনম্যান প্রকৃতির সুত্রগুলো নিয়ে উদ্ধৃতি করেছেন।প্রকৃতির সুত্রগুলোই জগত পরিচালনা করে বলে তাদের অভিমত। ওয়েনাবার্গ এবং ফাইনম্যান প্রকৃতির সুত্রগুলো নিয়ে জানতে পারলো মাত্র কিছুদিন আগে আর আমাদের আল কোরআন ১৪০০ বতসর পূর্বে এই মানবজাতিকে একই কথা জানিয়েছেন। আল কোরআন বলে “বিধান তাহার এবং তাহারই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হ্বে।(২৮:৮৮) আয়াতটি আমাদের আলোচনা বিষয়- বিধান বা নিয়ম ফমূলা তার। তারই নিয়ম যা দ্বারা সকল কিছু প্রতিষ্ঠিত। সেই বিধান বা নিয়ম এবং আমাদের জীবনেরমূল সত্তাটি চিরন্তন স্বত্তাটির নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে। যে বিধান বা নিয়মের দ্বারা এই প্রকৃতি পরিচালিত হয় সেই বিধান স্বয়ং তার। এবং সমস্তটাই তার নিকট প্রত্যাবর্তিত হবে। তাহলে বিধান বা নিয়মটা কি? যা আল্লাহর আদেশ বা কমান্ড বা সৃষ্টির ইচ্ছা প্রকাশ। একটি সুত্র বা ফর্মূলা অথবা সৃষ্টির পদ্ধতি। তাহলে সত্যি কি আমরা আল্লাহর কাছে ফিরে যাবো? এমনই এক প্রকার কথা লস এঞ্জেলস টাইমস এর সাথে সাক্ষাতকারে বিশিষ্ট বিজ্ঞানী শন ক্যারল বলেছে “এর আগে আরেকটি মহাবিশ্ব ছিলো যা আমাদের তৈরী করেছে। এক কথা, আমরা সেই বৃহত মহাবিশ্ব থেকে বেরিয়েছি। এটা বৃহত্তর কোন স্থান-কাল থেকে এসেছে যাকে আমরা পর্যবেক্ষন করতে পারি না। উচ্চ এনট্রপির কোন বৃহত্তর স্থানের অতি সামান্য এক অংশ থেকে আমাদের মহাবিশ্ব এসেছে।”
একটা সময় এই বেশ কিছুদিন আগেও অনেক বিজ্ঞানীই বিবর্তন বাদের পক্ষে কথা বলতেন। কিন্ত বিবর্তণবাদের উপর প্রথম ধাক্কাটি দিলোই ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন। তাই বিবর্তনবাদের পক্ষে কথা বলতে এখন অনেক বিজ্ঞানীই সতর্ক থাকে। আধুনিক বিজ্ঞান বা আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান স্রষ্টার পক্ষেই কথা বলছেন।বিশেষ করে পল ডেভিস এর বিখ্যাত গ্রন্থ “গড এন্ড দি নিউ ফিজিক্স” বেরুনোর পর থেকে। রজার পেনরোজের “শ্যাডোস অফ মাইন্ড” বইটির পর থেকে। বিজ্ঞানী হিউস এর “সিক্স নাম্বার বইটি বেরুনোর পর থেকে। আধুনিক বিজ্ঞান ক্রমশই ধর্মের পক্ষেই যাচ্ছেন এবং ইশ্বরকে খুজে পাচ্ছেন। আপনারা একদিন দেখবেন আপনাদের বিবর্তণবাদের মাংশটুকু খেয়ে নিয়েছে এবং হাড্ডিটা আপনাদের জন্য রেখে দিয়েছেন। আপনাদের রসনা বিলাসের জন্য।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:০১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি আরো কিছু অসংলগ্ন প্রশ্ন করেছেন তার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন মনে করলাম না। একটি কথা মনে রাখবেন কারো বিশ্বাসের অনুভূতীতে আঘাত দেওয়ার চেষ্টা করবেন। আর একটি বিষয় ভুলে যাবে যে জ্ঞানী হতে গেলেই নাস্তিক হতে হবে। জ্ঞান শুধু আপনাদের নাস্তিক শ্রেণির আছে ঠিক তা নয়। জীব বিজ্ঞানে ও পর্দাথবিজ্ঞান এ স্রষ্টার প্রতি ভালবাসা স্বরুপ যে জ্ঞান বিপ্লব জেগে উঠেছে তা মামলা হামলা করে কতদিন ঠেকায়ে রাখবেন?

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ভাই’ মহাবিচারের দিন আসছে’ আল্লা আপনাদের মতো আহংকারীদের উপলদ্ধি করতে দিবে সেই স্বাদ।

“ তোমরা কি উহা নির্ভয় হইয়াছো যে যিনি আকাশে রহিয়াছেন তিনি তোমাদেরকে সহ ভ’মীকে ধ্বসাইয়া দিবেন . অনন্তর উহা আকস্মিকভাবে থরথর করে কাপিঁতে থাকিবে অথবা তোমরা কি নির্ভয় হইয়াছো যে যিনি আকাশে রহিয়াছেন তিনি তোমাদের উপর কংকাবাহী ঝঞ্চা প্রেরণ করিবেন? তখন তোমরা জানিতে পারিবে কিরুপ ছিল আমার সতর্কবানী। উহাদের পূর্ববতীরাও অস্বীকার করিয়াছিলো ফলে কিরুপ হইয়াছিলো তাহার শাস্তি। (৬৭:১৭,১৮,১৯ )

শপথ আকাশের এবং আঘাতকারীর। তুমি কি জান সেই আঘাতকারী বস্তুটি কি? উহা একটি প্রজ্জলমান জোতিষ্ক। (৮৬:১-৩)

“আমি ধ্বংশ করিয়াছিলাম আদ, সামুদ ও রসবাসী ও উহাদের অর্ন্তবতীকালীন বহু সম্প্রদায়কে। আমি উহাদিগের প্রত্যেককে দৃষ্টান্ত দ্বারা সতর্ক করিয়াছিলাম এবং অবাধ্যতার জন্য ইহাদিগের সকলকেই আমি সম্পূর্ণরুপে ধ্বংশ করিয়াছিলাম” (আল কোরআন ২৫: ৩৫-৩৯)

২০| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৬ দুপুর ২:০৩

রানার ব্লগ বলেছেন: বিজ্ঞান নির্ভর একটা পোস্ট দিয়েছেন এর জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু ভাই বেহুদা একটা প্রথিষ্ঠিত সত্য নিয়া হুদাই ত্যানা পেচাচ্ছেন। আর কোরানের আয়াত দিয়া কি বুঝালেন আপনি যা বলেন তাই ঠিক, এমনও হতে পারে ওই আয়াত গুল আপনাকে বা আপনাদের মতো বেহুদা ত্যানা প্যাচানিদের উদ্দেশ্যে নাজিল হইছে। সবসময় নিজেই সঠিক এই ধ্যান ধারনা থেকে বের হয়ে আসেন, লাভ আপনারই। আমার না।

পৃথিবী সৃষ্টি এবং ধংস এর অন্তর্বর্তীকালীন সময় যা যা ঘোটবে বা ঘটিয়াছে তা সকলই মানব সভ্যতাকে সেইভ করার জন্যই নয়, আল্লাহ্‌তালার উদ্দেশ্য বোঝার ক্ষমতা আমাদের কারো নাই। যদি মানব সভ্যতার উদ্দেশ্যেই সব কিছু হতো তবে মানব সভ্যতা সৃষ্টির আগে এই সব প্রানের সৃষ্টির কোন দরকার ছিল না, তিনি সোজাসুজি মানুষ বানিয়ে পৃথিবিকে এক নিমিষেই মানুষ থাকার মতো পরিবেশ বানিয়ে দিতে পারতেন, মনে রাখবেন আল্লাহ্‌ পারেন না এমন কিছি নাই। সন্দেহ করতে চাইলে করতে পারেন। ওয়টা নিয়ে আমি চিন্তিত না, কারন আমার বিশ্বাস আমার কাছে হিমালয়ের মতো সবল ও দৃঢ়। তিনি প্রতিটি কার্যক্রম একটা নিদৃষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়েছেন।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: “এই লোকদের সামনে সে অবস্থা এসে গেছে, যাতে খোদাদ্রোহিতা হতে বিরত রাখার বহু শিক্ষাপ্রদ উপকরণই নিহিত রয়েছে এবং এমন পূর্ণতাপ্রাপ্ত বিজ্ঞানসম্মত যুক্তিও (বৈজ্ঞানিক আবিস্কার) রয়েছে যা উপদেশ দানের পূর্ণমাত্রায় পূরণ করে।” (৫৪:৪-৫ ‘আল-কোরআন)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.