নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে বীজ মহাবিশ্ব সৃষ্টির কারন!

২০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:২৭


Standard model of Big Bang তত্ত্ব অনুযায়ি প্রচন্ড ক্ষমতার এক অজ্ঞাত উৎস হতে সুক্ষ সময়কালে বিশাল শক্তির সমাগম ঘটে। সেই শক্তি এক মহাসুক্ষ বিন্দুতে অবস্থান করে। যার দৈঘ্য ১০(৩৩) অথাৎ ১এর পিঠে ৩৩টি শুন্য বসিয়ে যে সংখ্যাটি পাওয়া যায় তা দিয়ে এক সেঃমিঃ কে ভাগ করলে যে সংখ্যাটি পাওয়া যায় তার সমান। আর সময় লেগেছিলো ১০(৪৩) সেকেন্ড। ১ এর পিঠে ৪৩টি শুন্য বসিয়ে যে সংখ্যাটি দিয়ে ১ সেকেন্ডকে ভাগ করলে যে সময়কাল পাওয়া যায় তার সমান। সেই মহাক্ষুদ্র আদি ঘনায়িত শক্তি পিন্ড মহাগর্জন করে এক মহাবিস্ফোরনের মাধ্যমে ১০(৪৩) সেকেন্ড সময়কালে সৃষ্টি করে এই মহাবিশ্ব। সৃষ্টির সময় মহাবিশ্ব ১০(৩২) কেলভিন উত্তপ্ত অবস্থায় ছিলো। অকল্পনীয় শক্তির ঘনায়নে থাকা অবস্থায় এক মহাবিস্ফোরনের সাথে সাথে আশ্চার্য রকম গতিতে মহাসম্প্রসারন হতে শুরু করে। যা আজো পযর্ন্ত সেই মহাসম্প্রসারন চলছে। Standard model of Big Bang তত্ত্ব মহাবিশ্ব সৃষ্টি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের মতবাদ। কিন্তু ইদানিংকালে বিজ্ঞানীদের মনে উদয় হয়েছে অনেক প্রশ্ন। বিগব্যাংঙ্গ এর পূবে কি ছিলো? বিগব্যাং এর কারন কি? এই মহাবিশ্ব এত ক্ষুদ্র থেকে এত বিশাল রুপ ধারণ করল কি করে ? শক্তি পেলো কোথায়? এই শুন্যতার মাঝে এই বিশাল পরিমান বস্তুু জমা হলো কি করে? এগুলোই বা এলো কোথা থেকে? এতটা বর্ধিত হবার জন্য এই বিষ্ফোরন ঘটার শক্তি পেলো কোথা হতে? এ সকল বিভিন্ন প্রশ্ন বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন চিন্তার আনয়ন করে। অথবা ফ্লাকচুয়েশনের স্থায়ি হয় খুবই সামান্য সময় এবং ভারচুয়ার কনিকাটির ভর হয় গরমিলে তাহলে ১৩০০ কোটি বৎসরের এই মহাবিশ্ব টিকে থাকে কিভাবে? এবং এত বিশাল হয় কি করে? এসকল অসংখ্য প্রশ্ন বিগব্যাংগ এর কারন খুজতে বিজ্ঞানীদের মাঠে নামায়। বিগ ব্যাং এর প্রমিত মডেল প্রশ্নের সম্মুখিন হয়ে নিরুত্তর হয়ে থাকে। ষ্টার্ডাড বিগ ব্যাং মডেল অনুসারে অতি উত্তপ্ত অবস্থা থেকে যদি মহাবিশ্বের উৎপত্তি হয়ে থাকে তবে এটি সবচেয়ে বেশি হলে ১০ টি কনিকা তৈরী করতে পারে না। কিন্তু মহাসম্প্রসারনের চুড়ান্ত পরিনতি তাকে এত বিশালত্বের পরিমাপে বর্ধিত করলো কি করে? এখন পযর্ন্ত আমাদের জ্ঞাত জ্ঞান সে প্রশ্নের উত্তর দিতে অক্ষম! এমনকি ষ্টার্ন্ডাড বিগ ব্যাং তত্ত্ব এই সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হয় নাই। এ ব্যাপারে আন্দ্রেলিন্ডের একটি লেখা তুলে ধরলাম...
Why is the universe so big?
If one takes a universe of a typical initial size given by the Planck length and a typical initial density equal to the Planck density, then, using the standard big bang theory, one can calculate how many elementary particles such a universe might encompass. The answer is rather unexpected: the entire universe should only be large enough to accommodate just one elementary particle or at most 10 of them. It would be unable to house even a single reader of Scientific American, who consists of about 1029 elementary particles. Obviously,
something is wrong with this theory. The fourth problem deals with the timing of the expansion. In its standard form, the big bang theory assumes that all parts of the universe began expanding simultaneously. But how could all the different parts of the universe synchronize the beginning of their expansion? Who gave the command?
যে কনিকা মাত্র ১০ টি কনিকা উৎপাদন করতে পারে না সে কি করে এত বিশাল মহাবিশ্ব হতে পারে? মহাবিশ্বের সকল অংশ কি করে একযোগে সম্প্রসারিত হতে পারে? আন্দ্রে লিন্ডের এই প্রশ্নের সাথে আরেকটি প্রশ্ন সম্পৃক্ত করেছিলেন সেটি হলো এই সম্প্রসারনের আদেশ করেছিলেন কে? আধুনিক বিজ্ঞান সংশয় নিয়ে বিজ্ঞান গবেষনা করেন তাই তাদের সংশয় থাকে কিন্তু বিশ্বাসের দৃষ্টিকোনে বিজ্ঞান গবেষনা করলে আদেশ দাতার সন্ধান পেতে তাদের একটি প্রশ্নের জন্ম দিতে হতো না। যিনি বস্তুর আদি কারন এবং চুড়ান্ত শক্তির উৎস তিনিই আল্রাহ এবং সৃষ্টির আদেশ দাতা। আল কোরআন বলে“ আমি যখন কোন কিছু সৃষ্টির ইচ্ছা পেষন করি তখন বলি ‘হও’ আর অমনি তা হয়ে যায়”। আরেকটি আয়াতে বলছে “আমার আদেশ চোখের পলকের ন্যায়”। আল কোরআনের এই আয়াতটিও প্রমানিত। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী এ্যালেন গুথ বলেন একটি বিকর্ষণ মূলক শক্তি মহাবিশ্বকে তার ক্ষুদ্র প্লাঙ্ক লেন্থ থেকে ১০(৩৫) সেকেন্ডের মধ্যে বাড়িযে দিয়েছিলো ১০(২৬) গুনিতক হারে। আমাদের চোখের পলক ফেলতে যে সময় লাগে তার চেয়ে ঢের কম সময়ে। এই স্বল্প সময়েই আসলে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছিলো। যা কিছু সৃশ্টি হওয়ার তা এই সময়কালেই হয়েছে পরবর্তী সময়কাল ছিলো শুধুমাত্র মহাবিশ্বের বয়সপ্রাপ্তি।

সূধী পাঠক, এ্যালেন গুথ ধারনা করলেন কিছু কিছু সময় মধ্যাকর্ষন শক্তি শুধু ধ্বনাত্বক চাপই সৃষ্টি করে না ঋনাত্বক চাপও সৃষ্টি করে। আর এই ঋনাত্বক চাপ সৃষ্টির জন্য মহাবিশ্বের শুরুতে একটি মেকি ভ্যাকুয়ামের প্রয়োজন ছিলো। আর এই মেকি ভ্যাকুয়ামের ঋনাত্বক চাপ মহাবিশ্বকে এত দ্রুত বর্ধিত করে প্রসারিত করে দিতে পেরেছে। এই মেকি ভ্যাকুয়ামের তীব্র বির্কষন মূলক শক্তির মান আর্কষন শক্তির ৩ গুন। সুপ্ততাপের মাধ্যমে অতিরিক্ত শক্তির যে যোগানটা এসেছিলো সেটাই দিয়েছিলো বির্কষন মুলক ধাক্কা। এই তীব্র বিকর্ষন তৈরী হয়েছিলো বলেই মহাবিশ্ব এতটা দ্রুত সম্প্রসারিত হতে পেরেছিলো। যে ধাক্কা বা শক্তি মহাবিশ্বকে তার ক্ষুদ্র প্লাঙ্ক লেন্থ থেকে ১০(৩৫) সেকেন্ডের মধ্যে মহাবিশ্বকে বাড়িয়ে দিলো ১০(২৬) গুনিতক হারে। বিকষণমূলক কোন পদার্থ থেকে এই ইনফ্লেশন ঘটতে পারে যে পদার্থকে ইনফ্লেশনের বীজ বলা যেতে পারে। ইনফ্লেশনের এই প্রাথমিক বীজ আসতে পারে আনুবীক্ষনিক আকারের কোন পদার্থ থেকে। যে বীজ মহাবিশ্ব সৃষ্টির কারন। এ্যালেন গুথ তার গবেষনায় দেখিয়েছিলেন মাত্র এক আউন্স ওজনের একটি ভর থেকে ইনফ্লেশন যাত্রা শুরু করতে পারে যার ব্যাস হতে পারে একটি প্রোটনের চেয়েও একশত কোটি গুন ছোট কিছু। এ্যালেন গুথের বক্তব্যই সঠিক য্খন জানা যায় ফ্লাকচুয়েশনের স্থায়ি হয় খুবই সামান্য সময় এবং ভারচুয়ার কনিকাটির ভর হয় গরমিলে তাহলে ১৩০০ কোটি বৎসরের এই মহাবিশ্ব টিকে থাকে কিভাবে? সেই সমস্যার সমাধান খুজতে গিয়ে দেখা যায় এ্যালেন গুথের গানিতিক হিসাবই সঠিক। কারন ফ্লাকচুয়েশন টিকে থাকে তার ভরের উপর। ভর যত বড় হবে ফ্লাকচুয়েশনের স্থায়িত্ব তত কম হবে। অথাৎ ফ্লাকচুয়েশনের মাধ্যমে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়ে ১৩০০ কোটি বৎসর টিকে থাকতে হলে শুরুতে তার ভর হতে হবে ১০(৬৫) গ্রাম যা ইলেকট্রনের ভর এর প্রায় ১০(৩৮) গুন ছোট। এ্যালেন গুথের বক্তব্য যেনো আল কোরআনের প্রতিফলিত রুপ। মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছে আনুবিক্ষনিক আকারের বিকর্ষনমূলক সৃষ্টির এক বীজ থেকে। এবং সৃষ্টির এই বীজটি স্বয়ং আল্লাহ হতে উদ্ভুত। চূড়ান্ত কোন শক্তির উৎস (আল্লাহর সত্ত্বা) হতে উদ্ভুত বীজ স্থান কালরুপে আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছে যা আমরা দেখছি মহাবিশ্ব রুপে। বীজটি সম্প্রসারনের কারন আল্লাহর সম্প্রসারনকারী ইচ্ছা। আল কোরআনে বলে “আমি আকাশমন্ডল সৃষ্টি করেছি আমার শক্তি বলে এবং আমিই মহাসম্প্রসারণকারী। আর ভূমী! আমি উহাকে বিছাইয়া দিয়াছি। আমি কত সুন্দর প্রসরণকারী” (৫১.৪৭-৪৮)। অথাৎ আধুনিক বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের গবেষনার ফসল “বিগব্যাং তত্ত্ব” ক্ষুদ্র একটি আয়াতের দ্বারা উল্লেখ করা হয়ে গেছে। অথাৎ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই আয়াতের দ্বারা বোঝাচ্ছেন তিনি শক্তির আধার হতে মহাবিশ্বের উদ্ভব ঘটিয়েছেন। এবং এই মহাবিশ্বকে শক্তিদ্বারা সম্প্রসারণ ঘটিয়ে এত বিশাল করে তুলেছেন। তাহলে এ শক্তি কোথা থেকে এলো?

এই প্রশ্নের উত্তর উপরোক্ত আয়াতেই উল্লেখিত। “আমার শক্তি” অথাত আল্লাহর শক্তি। আল্লাহর শক্তি বলে আসমানকে সম্প্রসারন করা হয়েছে। কিন্ত আল্লাহ শক্তি কোথা থেকে পেলেন? এই প্রশ্নের উত্তর আল কোরআন দেয়। আল কোরআন বলে “তিনি সর্বশক্তিমান এবং সর্বজ্ঞানী”। অথাত আল্লাহ নামক এক মহাশক্তিমান উৎস হতে এ শক্তির আবির্ভাব ঘটেছিলো। ‘আসমান’ বলতে এখানে সমগ্র মহাবিশ্বের সীমারেখা বোঝানো হচ্ছে এবং এর অভ্যন্তরস্থ অসীম শুন্যতাকে বোঝানো হচ্ছে। যার অর্থ দাড়ায় মহাবিশ্বের সীমারেখার মধ্যে এমন কোন অদৃশ্য কিছু লুকায়িত আছে যার কারনে মহাবিশ্বের সীমারেখা সম্প্রসারিত হচ্ছে। পরবর্তী আয়াতে বলা হচ্ছে “ভূমীকে তিনি বিছাইয়া দিয়েছেন এবং তিনিই সুন্দর প্রসারণকারী”। ভূমী বলতে এখানে বোঝানো হচ্ছে বস্তুসমূহ। যে বস্তুসমূহ মহাকর্ষ বলের কারনে এক ঐক্যবদ্ধ থাকছে। উদাহরনস্বরুপ বলা যায় গ্যালাক্সি সমূহ। অসংখ্য নক্ষত্রসমূহ গ্যাস মহাজাগতিক ধুলীকনা নিয়ে একটি গ্যালাক্সি এক ঐক্যবদ্ধ থাকছে। কিন্ত একটি গ্যালাক্সি থেকে আর একটি গ্যালাক্সির দূরত্ব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রসারনের এক সুন্দর জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত এটি। কিন্তু ভূমীকে বিছিয়ে দেওয়া বলতে কি বোঝানো হয়েছে? খুবই সহজ! অনস্তিত্ব একটি ক্ষুদ্র বস্তুর প্রকৃত অস্তিত্বে অস্তিত্ববান হওয়া। অথবা সর্বশক্তিমান কোন উতস হতে উদ্ভুত মহাবিশ্বের সমস্ত বস্তুসমূহ ক্ষুদ্র একটি বস্তুরুপে আত্মপ্রকাশ করে একটি বিস্ফোরনের মাধ্যমে মহাজাগতিক সীমারেখার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। সহজে বলা যায একটি ইচ্ছাশক্তি সকল বস্তুসমূহকে ক্ষুদ্র আকারে প্রকাশ ঘটিয়ে এক বিস্ফোরনের মাধ্যমে মহাজাগতিক সীমারেখার মধ্যে বিছিয়ে দিয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে কানাডার ফিজিক্স এন্ড এ্যাষ্ট্রোনমি ডিপার্টমেন্ট এর বিজ্ঞানীগন ‘কিভাবে এই মহাবিশ্ব নাস্তি থেকে প্রকাশিত হলো, কিভাবে এতবড় হলো’ এই বিষয়বস্তু নিয়ে গবেষনা শুরু করেন। বিখ্যাত সায়েন্স ম্যাগাজিন Physics-Astronomy ‘ গত ২৫ নভেম্বর ২০১৫ তে উক্ত রিসার্চ এর গবেষকদের মধ্য থেকে ওয়াটারলু ইউনির্ভানিটির প্রফেসর মির ফজল এর সাক্ষাতকার গ্রহন করেন। ম্যাগাজিনটির সংবাদের কিছু অংশ তুলে ধরলাম---
A group of scientists led by Prof Mir Faizal, at the Dept of Physics and Astronomy, at the University Of Waterloo, Canada, has positively applied the theory to the very creation of existence itself. Prof Mir Faizal: “Virtual particles contain a very small amount of energy and exist for a very small amount of time. However what was difficult to explain was how did such a small amount of energy give rise to a big universe like ours?”
Prof Mir used some mind-bending mathematics and two current theories:
• The Minimum Length Scale – a size so infinitesimally small that space and time cease to exist.
• Doubly Special Relativity – which takes advantage of the massive energies available just after the birth of the universe.
Under Inflation Theory the minute energies and lifetime of the virtual particle become infinitely magnified, finally resulting in our 13.8 Billion-year-old universe. Just to make things more complex Dr Mir says we have been trying to answer the question ‘how did the universe come from nothing?’ all wrong. According to the astonishing findings, the question is irrelevant as the universe STILL is nothing. Dr Mir Faizal said: “Something did not come from nothing. The universe still is nothing, it’s just more elegantly ordered nothing.” He also added that the negative gravitational energy of the cosmos and the positive matter energy of the cosmos essentially balanced out and generated a zero sum.
বিজ্ঞানীদের বক্তব্য ও তাদের গবেষনা থেকে এটা বোঝা যায় এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির জন্য একটি শক্তির প্রয়োজন ছিলো আর এই শক্তিই এই মহাবিশ্বকে বিকর্ষনমূলক শক্তিরুপে এত বিশাল রুপে সম্প্রসারণ ঘটিয়েছে, সৃষ্টি করেছে সীমারেখা। আরেকটি শক্তি আকর্ষনমূলক শক্তিরুপে মহাবিশ্বের সকল বস্তুসমূহের খন্ড খন্ড প্রতিচিত্র সৃষ্টি করেছে। সৃষ্টি করেছে আলাদা আলাদা সত্ত্বা, আলাদা আলাদা গ্যালাক্সি। মহাকর্ষ বল যা কাজ করছে বস্তুর উপর অথাৎ মহাবিশ্বের দৃশ্যময় সকল বস্তু এক ঐক্যবদ্ধ থাকছে মহাকষ নামক এক শক্তির কারনে। কিন্তু মহাবিশ্বের পিছনে আরো একটি শক্তি কাজ করছে যা বিকর্ষনমূলক। সেই বিকর্ষনমূলক শক্তিই মহাবিশ্ব এর সম্প্রসারনের কারন। মহাবিশ্ব সম্প্রসারনের পিছনে কি আদৌ কোন শক্তি কাজ করেছিলো? হ্যা। আধুনিক বিজ্ঞানের বর্তমান উদ্ঘাটিত তথ্য উপাত্ত দ্বারা এটা প্রমানিত হচ্ছে যে মহাবিশ্ব সম্প্রসারনের পিছনে কাজ করছি একটি গুপ্ত শক্তি। তারা দীর্ঘদিন ধরে উপলদ্ধি করতে লাগলেন মহাকর্ষের টানে বস্তুর প্রসারনের হার কমে কিন্ত তা না ঘটে, ঘটছে ঠিক তার উল্টাটা। অথাৎ আমাদের এই মহাবিশ্বটা একটি বিস্ফোরনের কারনে চারিদিকে ছুটে যেতে থাকে। কিন্তু বস্তুর অভ্যন্তরস্থ মহাকর্ষের প্রভাবে বস্তুর ছুটে যাওয়ার প্রবনতা কমে যাওয়া উচিত সেই সুত্রে এই মহাকর্ষের প্রভাবে মহাবিশ্বের প্রসারনের হার ধীরে ধীরে কমে যাওয়া উচিত। কিন্তু কোন রহস্যময় শক্তির প্রভাবে এই মহাকর্ষ বলকে পাশ কাটিয়ে বস্তুর ক্রমশ প্রসারণই ঘটছে। ব্যাপক পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ ও গবেষনার একপর্যায়ে বিজ্ঞানীরা এই সীদ্ধান্তে উপনীত হন এই সমগ্র মহাবিশ্বের ৭৩% অংশজুড়ে গুপ্ত একটি শক্তি বিদ্যমান। বিজ্ঞানীরা যার নামকরণ করলেন “ডার্ক এনার্জি” এবং এই গুপ্ত শক্তিই মহাকর্ষ বলকে পাশ কাটিয়ে মহাবিশ্ব প্রসারণের কারন।

সুধী পাঠক, আধুনিক বিজ্ঞানের এসকল তথ্য যদি সত্য হয়ে থাকে তবে এটা আমাদের মেনে নিতে হয়। আল কোরআন ই আমাদের সবচেয়ে সঠিক তথ্য দিচ্ছে এবং একথা অনস্বীকার্য যে আল কোরআনই আমাদেরকে সঠিক সত্য পথ দেখাচ্ছে জ্ঞানচক্ষু রুপে। “আমি আকাশমন্ডল সৃষ্টি করেছি আমার শক্তি বলে এবং আমিই মহাসম্প্রসারণকারী। আর ভূমী! আমি উহাকে বিছাইয়া দিয়াছি। আমি কত সুন্দর প্রসরণকারী” (৫১.৪৭-৪৮)। আল কোরআনও আমাদের এক্ষেত্রে দুটি শক্তির কথা বলছে। প্রথম আয়াতে বলা হচ্ছে আমি আকাশমন্ডল সৃষ্টি করেছি আমার শক্তি বলে। অথাৎ মহাবিশ্বের সীমা বর্ধিত হচ্ছে একই কারনে মহাবিশ্বের যে অসীম শুন্যতা (বিজ্ঞানীদের ভাষায় ডার্ক এনার্জি) তার অভ্যন্তরস্থ সীমা বেড়ে যাচ্ছে। হয়তো এই অসীম শুন্যতা নামক ডার্ক এনার্জি মহাবিশ্বের সীমা রেখার বাইরে আসমান নামক কোন অদৃশ্য এনার্জিটিক বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে আলকোরআন বলে ‘আর ভূমী! আমি ইহাকে বিছিয়ে দিয়েছি। আমি কত সুন্দর প্রসারনকারী।’ অথাৎ প্রথম আয়াতের আসমান কে সম্প্রসারন করার সাথে ভূমীর কোন সম্পৃক্ততা নেই। ভূমীকে বিছিয়ে দিতে আল্রহকে অন্য কোন শক্তিকে ব্যবহার করতে হয়েছে। যার কারনে তিনি বলছেন তিনি কত সুন্দর প্রসরনকারী। আলকোরআন এর মতে আসমানের সম্প্রসারন এবং ভূমীর প্রসরন দুটি দুই বিষয় হলেও দুটি একই সাথে সামন্জস্যপূণ। সমতা রেখে চলছে ফলে মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ ঘটছে। এক্ষেত্রে কানাডার পর্দাথবিজ্ঞানী মীর ফজল এর উক্তিই সত্য “The negative gravitational energy of the cosmos and the positive matter energy of the cosmos essentially balanced out and generated a zero sum”.


মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মাথা ঘুরায়। :(

২| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৯:৪৩

বিদ্যুৎ চমক বলেছেন: ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে, সময় নিয়ে পড়তে হবে, প্রিয়তে রেখে দিলাম।

২১ শে জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:




পদার্থ ছিল, স্পেস ছিল ধরে নিয়ে বাকীটুকু ভাবতে হবে; পদার্থ কিভাবে এলো, স্পেস কেন ছিলো, মানুষ তা বের করতে সক্ষম হবে না।

২১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। মানুষ অনেক কিছুই বের করতে সক্ষম হবে না। আত্মা সম্পর্কে আল কোরআন বলে “ হে মুহাম্মদ উহারা তোমাকে আত্মা সম্পর্কে প্রশ্ন করে তুমি বল আত্মা একটি আদেশ ঘটিত ব্যাপার এসম্পর্কে তোমাদের সামান্যই জ্ঞান দেওয়া হয়েছে।”
আসলে সত্য কথা হলো মানুষকে যে বিষয়ে যতটুকু জ্ঞান দেওয়া হয়েছে মানুষ ঠিক ততটুকুই জানবে। মানুষের গবেষনা ততটুকুই এগুবে।

৪| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: ধুর কত আগ্রহ নিয়ে পড়ছিলাম, ঢুকিয়ে দিলেন ধর্ম।

২১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমাদের ফেরেস্তারা যুগে যুগে আমাদের এই পৃথিবীতে আসে এবং এসেছে। মানবজাতিকে শিক্ষা দিতে ফেরেস্তাদের আল্লাহ ব্যবহার করেছেন। ফেরেস্তারা প্রাকৃতিক একটি সৃষ্টিশীল বিষয়। এখন ফেরেস্তাদের আগমনের খবর শুনে কেউ যদি বলে তারা এলিয়ান অথবা ভীন গ্রহের প্রানী সেটা তাদের অজ্ঞতা। হ্যা তারাও প্রানী তাদের থাকার একটি স্থান আছে। প্রাচীন মিশরীয় ইতিহাস বলে দেবতারা (ফেরেস্তা) আকাশ থেকে এসে মানবজাতিকে লিখন পদ্ধতি শিখিয়ে গেছে। আর সে কারনে তারা তাদের লিখন পদ্ধতির নাম দিয়েছিলো “ হাইরোগ্রাফিক্স” বা “পবিত্র বর্ণমালা”। আর আল কোরআন বলে “ হে মানুষ আমি তোমাদের লিখিতে শিখিয়েছি যা তোমরা জানো না” । অথাৎ মানুষকে আল্লাহ লিখতে শিখিয়েছে। আল্লাহ এই মানবজাতিকে ফেরেস্তাদের মাধ্যমে অনেক কিছু শিখিয়ে শিখিয়ে এই পর্যায়ে এনেছে।
আবদুল্রাহ আল আসিফ; আপনি এলিক ফন দানিকেন পন্থি মানুষ তাই আপনাকে বলছি। অজ্ঞতা নিয়ে বেশিদিন থাকবেন না্‌ । আবেগ মানুষের প্রকৃত জ্ঞান থেকে দুরে রাখে।

৫| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১০:৪৯

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: ধুর কত আগ্রহ নিয়ে পড়ছিলাম, ঢুকিয়ে দিলেন ধর্ম।

৬| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ১১:০১

বিবেক ও সত্য বলেছেন: আল কোরআনে বর্নিত আসমান আর আধুনিক বিজ্ঞানের মহাবিশ্ব এক জিনিস নয়। সংক্ষেপে এতটুকু বললাম।

২১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:৪১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: দুঃখ পেলাম এই কারনে যে আপনাকে কি বলবো? আপনিতো কখন আল কোরআন পড়েননি।
আল কোরআনে বর্নিত আসমান আর আধুনিক বিজ্ঞানের মহাবিশ্ব এক জিনিস নয় এটা আপনি বুঝলেন কি করে? আপনি তো কখনও আল কোরাান পড়েন নি? আর পড়লেও বোঝেন নাই। কারন আল কোরআনের বিভিন্ন রুপক অর্থগুলো প্রকৃত অর্থ বলে ধরে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করবেন। কারন আপনার মধ্যে বিশ্বাসবোধ নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.