নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরজ আলী মাতুব্বর ’র গালগপ্প! আর কতদিন চলবে?

১২ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২


বাংলাদেশের একজন দার্শনিক নামে পরিচিত ঘড়ামি আরজ আলী মাতুব্বর তার একটি বইতে প্রশ্ন করেছিলেন “যদি বলা হয় যে ইহারা ঈশ্বরের সৃষ্টি’ তবে পরমেশ্বর স্থান কে সৃষ্টি করিলেন কোন স্থানে থাকিয়া ‘কাল’ কে সৃষ্টি করিলেন কোন কালে এবং ‘শক্তি’ কে সৃষ্টি করিলেন কোন শক্তির দ্বারা?” পাঠক আরজ আলী মাতুব্বর এর প্রশ্নের উত্তর খুব সহজ্ইে দেওয়া যায়। স্থান ও কাল একটি সৃষ্ট বিষয়। আর শক্তি তিনি যে শক্তিকে সৃষ্টি করার কথা বলছেন? সেই শক্তি সৃষ্ট কোন বিষয় নয়। শক্তি স্বয়ং আল্লাহ হতে উদ্ভুত। আল কোরআন বলে “আল্লাহ সর্বশক্তিমান ও সর্বজ্ঞানী” অতএব আমাদের এটা মেনে নিতে হয় চূড়ান্ত কোন শক্তির উতস (আল্লাহর সত্ত্বা) হতে উদ্ভুত শক্তিই স্থান কালরুপে আত্মপ্রকাশ ঘটিয়েছে যা আমরা দেখছি মহাবিশ্ব রুপে। কাল এবং স্থান একটি সৃষ্টিশীল প্রক্রিয়ামাত্র। আরজ আলী মাতুব্বর এর প্রশ্নের উত্তর ইদানিং কালের আধুনিক বিজ্ঞান দিতে প্রস্তুত। বিশিষ্ট বিজ্ঞানী শন ক্যারল লস এ্যাঞ্জেলস টাইমস্ এর সাথে একটি সাক্ষাতকারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছিলেন যার সাহায্যে আরজ আলী মাতুব্বরের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া সম্ভব।
তিনি বলে ছিলেন- আপনি যদি বিশ্বাস করে নেন যে মহাবিস্ফোরনের মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়েছে এবং এর আগে কিছুই ছিলো না, তাহলে সমস্যাটা ব্যাক্ষা করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। পর্দাথবিজ্ঞানে এমন কোন সুত্র নেই যাতে বলা হয়েছে, মহাবিশ্বকে নিম্ন এনট্রপি থেকে শুরু হতে হবে এবং ধীরে ধীরে এনট্রপির পরিমান বাড়তে থাকবে। কিন্তু বাস্তবে মহাবিশ্ব এমন আচরনই করেছে। আমার অনেক স্মার্ট কলিগ ঠিক এ কথাটাই বলেন। তারা বলেন “তুমি এটা নিয়ে কেনো চিন্তা রছ? আদি মহাবিশ্ব ছোট ছিলো এবং তার এনট্রপি ছিলো খুব কম, এটাই তো সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত”। কিন্তু আমি এটা মনে করি এটা এক ধরনের প্রেজুডিস। আমাদের মহাবিশ্বে বিষয়টা এরকম, এ কারনে আমরা মনে করি এটাই প্রাকৃতিক তথা স্বাভাবিক, অন্য কথায় এটাই প্রকৃতির নিয়ম। হ্যা, পর্দাথবিজ্ঞানের বর্তমান সুত্রগুলো দিয়ে এর ব্যাক্ষা করা সম্ভব না। কিন্তু আমি বলতে চাচ্ছি, বিষয়টা ধ্রুব সত্য বলে মেনে নেওয়াও উচিত নয়। এক প্যাকেট কার্ড নিয়ে প্যাকেট থেকে সেগুলো বের করলে হয়তো দেখা যাবে, সবগুলো ক্রমান্ময়ে সাজানো আছে। কিন্তু, এক প্যাকেট কার্ড থেকে দৈবভাবে কিছু কার্ড নিলে এটাই স্বাভাবিক যে, সেগুলো অগোছালো হবে। নিম্ন এনট্রপির সাথে উচ্চ এনট্রপির সংর্ঘষটাও এখানে। কার্ডেও প্যাকেট খুললে সবগুলো কার্ড সাজানো অবস্থায় দেখা যায়। এটা দেখে আপনি আশ্চার্যান্বিত হন না। কারন এটা নয় যে, সাজানো অবস্থায় থাকাই স্বাভাবিক এবং প্রাকৃতিক। বরং মূল কারন হচ্ছে, কার্ডের প্যাকেট কোন বদ্ধ ব্যবস্থা নয়। প্যাকেটটাও এ থেকে বড় কোন ব্যবস্থা থেকে এসেছে যে ব্যবস্থায় একটা কারখানা ছিলো আর সে কারখানাতেই কার্ডগুলো সাজানো হয়েছে। তাই আমি মনে করি, এর আগে আরেকটি মহাবিশ্ব ছিলো যা আমাদের তৈরী করেছে। এক কথা, আমরা সেই বৃহৎ মহাবিশ্ব থেকে বেরিয়েছি। এটা বৃহত্তর কোন স্থান-কাল থেকে এসেছে যাকে আমরা পর্যবেক্ষন করতে পারি না। উচ্চ এনট্র্রপির কোন বৃহত্তর স্থানের অতি সামান্য এক অংশ থেকে আমাদের মহাবিশ্ব এসেছে। এটা এমন এক বিষয় যা নিয়ে চিন্তা করার যথেষ্ট কারন আছে”। পদার্থবিজ্ঞানী শন ক্যালর তার “ফ্রম ইটারনিটি টু হেয়ার” গ্রন্থে মহাবিশ্ব সৃষ্টিকে তার দৃষ্টিতে গানিতিক ভাবে সুন্দরভাবে বুঝিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন ডিসিটার স্পেসে (যেখানে ভ্যাকুয়াম এনার্জি লুকিয়ে থাকে) কোয়ান্টাম দোদুল্যময়তার কারনে অসম বুদবুদ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে মহাবিশ্ব সৃষ্টির এক প্রক্রিয়া। তিনি দেখিয়েছেন ডিশিটার স্পেস থেকে ফলস্ ভ্যাকুয়াম কিভাবে মহাবিশ্বকে বিচ্ছিন্ন করছেন। নিম্নে ”ফ্রম ইটারনিটি টু হেয়ার” গ্রন্থ থেকে সেই চিত্রটিই তুলে ধরলাম।


শন ক্যালর এর চিত্রে ডি-শিটার স্পেস থেকে সম্প্রসারিত বুদবুদের মাধ্যমে শিশু মহাবিশ্বকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবার বিষয়টি দেখা যাচ্ছে।

বিশিষ্ট বিজ্ঞানী শন ক্যারল তার বক্তব্যে আরজ আলী মাতুব্বরের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। আমাদের এই মহাবিশ্ব বৃহত্তর কোন স্থান-কাল থেকে উদ্ভুত। উচ্চ এনট্রপির বৃহত্তর স্থানের অতি সামান্য অংশ থেকেই আমাদের এই মহাবিশ্ব এসেছে। আলকোরআনও ঠিক এমনই কথা বলছে। আল কোরআন বলে “আল্লাহর সত্তা ব্যতীত সমস্ত কিছুই ধ্বংশশীল। বিধান তাহার এবং তাহারই নিকট তোমরা প্রত্যাবর্তিত হইবে।”(২৮:৮৮) যার অর্থ দাড়ায় চিরন্তন একটি সত্ত্বা যা কখনও ধ্বংশ হয় না এবং তারই নিয়ম দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই সকল কিছু। এবং আমাদের জীবনের মূল সত্ত্বাটি উচ্চ এনট্রপির বৃহত্তর স্থানে প্রত্যাবর্তিত হবে। “সেই মহান সত্ত্বা আকাশসমূহ ও পৃথিবী সমূহকে সৃষ্টি করিয়াছেন অতি সুক্ষ সমতায়। তিনি যখন আদেশ করেন হও, অমনি হয়ে যায়।(৬.৭৩) এ ক্ষেত্রে আমাদের মেনে নিতে হয় এ মহাবিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে আরেকটি বিষয়বস্তু ছিলো যা আমাদের তৈরী করেছে। এক কথা, আমরা সেই বিষয়বস্তু থেকে বেরিয়েছি। উচ্চ এনট্র্রপির কোন বৃহত্তর স্থানের অতি সামান্য এক অংশ থেকে আমাদের মহাবিশ্ব এসেছে’ যাকে আমরা পর্যবেক্ষন করতে পারি না। ”
সুধী পাঠক তাহলে আমরা সহজেই আরজ আলী মাতব্বর এর প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যায়। তিনি যে প্রশ্ন করেছেন “ঈশ্বর কোন স্থানে থেকে স্থান সৃষ্টি করেছেন”? কোন কালে থেকে কাল সৃষ্টি করেছেন”? আসলে এই মহাবিশ্ব এসেছে যেখান থেকে সেখানে স্থান কাল বলে কিছু নেই। যা আমাদের উপলদ্ধির অগম্য। শুধুমাত্র ঈশ্বর থেকে বেরোনো মাত্রই স্থান কালে পরিনত হয়। আরজ আলী মাতব্বর এর প্রশ্ন ছিলো “কোন শক্তি হতে ইশ্বর শক্তি সৃষ্টি করেছেন” এই প্রশ্নের উত্তরতো শন ক্যারল পূর্বেই দিয়েছেন। বৃহত্তর কোন এ্যানট্রোপির ক্ষুদ্র একটি অংশ থেকে আমরা এসেছি। এককথায় আমরা বলতে পারি আল্লাহ হতে বেরিয়ে আসা “আল্লার সত্ত্বা” ক্ষুদ্র অংশ যার পরিবর্তিত বিবর্তিত রুপ বিগ ব্যাংগ রুপে সমগ্র মহাবিশ্ব সৃষ্টির কারন। বাস্তবিক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে বিচার করলে দেখা যায় সব সময় কিছু না কিছু ছিলো এবং আমাদের মহাবিশ্ব ও তার অর্ন্তভুক্ত সকল কিছুই সেই কিছুর বিবর্তিত অবস্থা মাত্র ?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১:২৬

আব্দুল্লাহ্ আল আসিফ বলেছেন: আল্লাহই মহাবিশ্ব, মহাবিশ্বই আল্লাহ। আমরা এর অংশ। আল্লাহ মহাবিশ্বে সমস্ত শক্তি , অদ্বিতীয় সমষ্টি। আল্লাহ হলো শক্তি , কোরানে বলা সার্কাজম প্রিয় কোনো সত্ত্বা নয়।
আপনি যে আল্লাহর কথা বলতে চাচ্ছেন (কোরানে মোহাম্মদ যে আল্লাহর কথা বলেছে) তার সাথে কিন্তু বুদ্ধিমান এলিয়েনের খুব মিল আছে । খায় না, ঘুমায় না বংশবিস্তারও করে না। চেয়ারে বসে থেকে কথা বলে, ইবাদত চায়, প্রশংসা চায়। এই সব ক্লু ধরে মহাবিশ্বে খোঁজ চালালে কোরানের আল্লাহকে একদিন খুঁজে পাওয়া যাবে ।।।

১২ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: # আমি আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না বলে দুঃখিত। প্রথমেই বলে রাখি আপনি যখন পানি খান তখন কি আপনি বলেন অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন খাচ্ছেন। নিশ্চয় এটা বলবেন না! ঠিক তেমনি এই জগৎকে আমি সরাসরি আল্লাহ বলবো না, বা বলতে পারি না। বরং এই মহাবিশ্ব আল্লাহ হতে এসেছে। অথাৎ এই মহাবিশ্বের বাইরে আল্লাহর আলাদা একটা অস্তিত্ব আছে। যা নিরাকার। আমাদের উপলদ্ধির অগম্য।
# এক্ষেত্রে আমি আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না। কারন আপনি তো দেখি এলিক ফন দানিকেনের ভাষায় কথা বলছেন। আসলে আপনি যে কথা বলতে চাচ্ছেন সেই এলিয়ান মহাবিশ্ব সৃষ্টি করতে সক্ষম নয়। আমি সেই আল্লাহর কথা বলছি। যিনি মালিক। মহাবিশ্ব সৃষ্টির উপাদানের মালিক। যে উপাদান আবার তার কাছে প্রত্যাবর্তিত হয়।
ধন্যবাদ।

২| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:০৭

পুলক ঢালী বলেছেন: কোন যুক্তিতর্ক দিয়েই ধর্মকে প্রতিষ্ঠা করা যাবেনা । ধর্ম শুধু বিশ্বাসের ব্যাপার, বিশ্বাস করলে ধর্ম আছে, বিশ্বাস না করলে ধর্ম কোথাও নাই।

৩| ১২ ই জুলাই, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

সবুজ২০১২ বলেছেন: যে যাই বলুক না কেন তাতে কি মহান চিরঞ্জীব আলালাহ তা'আলার কিছু আসে যায়?গাধার দলসারা জীবন তর্কই করে যাবে আর খালি হাতে জাহান্নামে যাবে; ওহ্ এরা তো আবার জান্নাত বা জাজান্নামে বিশ্বাসও করে না.....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.