নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নূহ আঃ এর সময়কার প্লাবন কি সমগ্র পৃথিবীর উপর নাকি কতিপয় সম্প্রদায়ের উপর আপতিত হয়েছিলো ? প্লাবনের স্বপক্ষে প্রমান। নূহ (আঃ) নৌকা প্রাপ্তি!

০১ লা জুন, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৫

বর্তমানে পশ্চিমা মানুষদের কাছে প্রচার আছে খ্রীষ্টপূর্ব একবিংশ দ্বাদশ শতাব্দীতে যে প্রলয়কান্ড হয়েছিলো তাতে সমগ্র পৃথিবীর মানুষ ধ্বংশ হয়ে গিয়েছিলো শুধু মাত্র নুহ আঃ (নোয়া) এর পরিবার ব্যতীত। এমনকি সকল প্রানী জগৎ বিনাশ হয়েছিলো। সমগ্র পৃথিবীতে কোন প্রানী বা মানুষ ছিলো না শুধুমাত্র নূহ আঃ এর নৌকায় যে সকল প্রানী তুলে নেওয়া হয়েছিলো তারা ব্যতিরেকে। এককথায় বলা যায় সকল প্রানী জগৎ শেষ হয়েছিলো। এ ধারনা খ্রীষ্টান ইহুদী এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু মুসলিম সমাজের মধ্যেও এ ব্যাপারটা প্রচলিত আছে। তৎকালীন বনী ঈসরাইল বংশধরদের মুখ নিঃসৃত এ সকল বানী সকলেই মেনে নিয়েছিলো। কিন্তু সবচেয়ে মজার ব্যপার হচ্ছে আমাদের এ ধারনা সম্পূর্ণ ভাবে সঠিক কিনা এব্যাপরে এখন প্রশ্ন দেখা দেয়। এমনকি এর গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে যেমন প্রশ্ন এসে যায় ঠিক তেমনি এর বাস্তবতাও বলে অন্য কথা।
এ ব্যাপরে বাইবেলের একটি স্ত্রোতে পাওয়া যায় “ তখর ইশ্বর নোয়াকে বলিলেন’ আমার গোচরে সকল প্রানীর অন্তিম কাল উপস্থিত, কেননা তাহাদের দ্বারা পৃথিবী দৌরাত্বে পরিপূর্ন হয়েছে। আর দেখ আমি পৃথিবীর সহিত তাহাদিগকে বিনষ্ট করিব। তুমি গোফর কাষ্ট দ্বারা এক জাহাজ নির্মান কর, সেই জাহাজের মধ্যে কুঠুরী নির্মান করিবে ও তাহাদের ভিতরে ও বাহিরে ধুনা দিয়ে লেপন করিবে। এ প্রকারে তাহা নির্মান করিবে। জাহাজ দীর্ঘ ৩০০ হাত এবং প্রস্থ ৫০ হাত এবং উচ্চতায় ৩০ হাত হইবে। আর তাহার ছাদেঁর এক হাত নিচে বাতায়ন প্রস্তুত করিয়া রাখিবে আর জাহাজের পার্শ্বে দাড় রাখিবে ও তাহা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা হইবে। ------(বাইবেল আদি পুস্তক ৫ঃ১৩-১৬) ।
সুধী পাঠক, এ ব্যাপারে আল কোরান এর বর্ননার সাথে একটু মিলিয়ে নিই। আল কোরআনেই পাওয়া যায় প্লাবন শুধুমাত্র নূহ আঃ এর সম্প্রদায়ের উপর। “আমি তো নূহকে তাহার সম্প্রদায়ের নিকট পাঠাইয়াছিলাম । সে বলিয়াছিল আমি অবশ্যই তোমাদের জন্য প্রকাশ্য সতর্ককারী, যেন তোমরা আল্লাহ ব্যতীত অপর কিছুর ইবাদত না কর। আমি তো তোমাদের জন্য এক মর্মন্তুুদ দিবসের শাস্তি আশংকা করি। (আল কোরআন -১১:২৫) উপল্লোখিত আয়াতে নিশ্চিতই বোঝা যাচ্ছে আল্লাহ নূহ (আঃ) কে তাহার সম্প্রদায়ে কাছে পাঠানো হয়েছিলো তাদের উপর মর্মšত্তদ দিবসের শাস্তি আসবে সম্প্রদায়ের উপর। আল্লাহ বলেন “নূহকে আমি প্রেরণ করিয়াছিলাম তাহার সম্প্রদায়ের প্রতি এই নির্দশন সহ। তুমি তোমার সম্প্রদায়কে সতর্ক কর তাহাদের প্রতি মর্মন্তুুদ শান্তি আসিবার পূর্বে। সে বলিয়াছিলো হে আমার সম্প্রদায় । আমি তো তোমাদের জনূ স্পষ্ট সতর্ককারী এই বিষয়ে যে ‘ তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর ও তাহাকে ভয় কর এবং আমার আনুগত্য কর। তিনি তোমাদের পাপ ক্ষমা করিবেন এবং তিনি তোমাদের কে অবকাশ দিবেন এক নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত নিশ্চয় আল্লাহ কর্তৃক নিধারিত কাল উপস্থিত হইলে উহা বিলম্বিত হয় না। যদি তোমরা ইহা জানিতে” --- (আল কোরআন ১১: ১-৪)। নূহ (আঃ) এর সম্পর্কিত বিষয়ে আল কোরআনে উল্লেখ আছে -“ উহাদের নূহ এর বৃত্তান্ত শোনাও। সে তাহার সম্প্রদায়কে বলেছিলো ‘ হে আমার সম্প্রদায়! আমার অবস্থিতি ও আল্লাহর নিদর্শন দ্বারা আমার উপদেশদান তোমাদের নিকট যদি দুঃসহ হয় তবে আমি তো আল্লাহর উপর নির্ভর করি। তোমরা যাহাদেরকে শরীক করিয়াছ তৎসহ তোমাদের কর্তব্য স্থিও করিয়া নাও। পরে যেনো কতর্ব্য বিয়য়ে তোমাদেও কোন সংশয় না থাকে আমার সম্বন্ধে তোমাদেও কর্ম নিষ্পন্ন করিয়া ফেল এবং আমাকে অবকাশ দিও না। অতঃপর তোমরা মুখ ফিরিয়ে লইলে লইতে পারো, তোমাদের নিকট আমি তো কোন পারিশ্রমিক চাই নাই, আমার পারিশ্রমিক আছে আল্লাহর নিকট, আমি তো আত্বসমর্পনকারীদের আর্ন্তভুক্ত হইতে আদিষ্ট হইয়াছি। আর উহারা তাহাকে মিথ্যাবাদী বলে, অতঃপর তাহাকে ও তাহার সঙ্গে যাহারা তরনীতের ছিলো তাহাদেরকে আমি উদ্ধার করি এবং তাহাদেরকে নিমজ্জিত করি। সুতরাং দেখ, যাহাদেরকে সতর্ক করা হইয়াছিলো তাহাদের পরিনাম কি হইয়াছিলো।” (১০/৭২-৭৪ আল কোরআন)

সমগ্র আল কোরআন চুলচেরা বিশ্লেষন করলে কোথাও একটি আয়াত পাওয়া যাবে না যেখানে বলা আছে সমগ্র পৃথিবী জুড়ে প্লাবন হয়েছিলো। বাইবেলে উল্লেখিত “ তখর ইশ্বর নোয়াকে বলিলেন’ আমার গোচরে সকল প্রানীর অন্তিম কাল উপস্থিত, কেননা তাহাদের দ্বারা পৃথিবী দৌরাত্বে পরিপূর্ন হয়েছে। আর দেখ আমি পৃথিবীর সহিত তাহাদিগকে বিনষ্ট করিব।” অথচ কোরআন বলে “আমি তো নূহকে তাহার সম্প্রদায়ের নিকট পাঠাইয়াছিলাম । সে বলিয়াছিল আমি অবশ্যই তোমাদের জন্য প্রকাশ্য সতর্ককারী, যেন তোমরা আল্লাহ ব্যতীত অপর কিছুর ইবাদত না কর। আমি তো তোমাদের জন্য এক মর্মন্তুুদ দিবসের শাস্তি আশংকা করি।” উপরোক্ত দুটি আয়াত পর্যালোচনা করলে স্পষ্ট প্রতিয়মান হয় যে আল কোরআনের নূহের সম্প্রদায় আর বাইবেলের সমগ্র দুনিয়া।

অথচ বন্যার ঘটনাটি পরীক্ষা করে এমন কোন চিহ্ন পাওয়া যায় নি যে সেকালে সমগ্র পৃথিবীতে জুড়ে বন্যা হয়েছিলো। কিন্তু বিভিন্ন ফসিল, প্রতœতত্ব প্রাপ্ত তথ্য থেকে এটি অনুমেয় যে একটি প্লাবন সেকালে ঘটেছিলো। কিন্তু সেটা সমগ্র পৃথিবী জুড়ে নয়। বিশেষ কওে মেসোপটমেয়িা ও মিশরের কিছুু অংশে অথাৎ ইরাক, সিরিয়া, ইরাক, তুরস্ক, আরব, মিশরের সামান্য কিছুগুলোতে এ বন্যা হয়েছিলো। আমরা ঐতিহাসিকভাবে ইতিহাস প্রাপ্ত যে জ্ঞান পেয়েছি তাতে জানা যায় সে সময়কাল মিশরে প্রাচীন রাজত্বের পর মধ্যবর্তী যুগ শেষ হয়ে মধ্য রাজত্বের শুরু হয়। অথচ অথচ সেই রাজত্বেও যুগে প্লাবন? ইতিহাস কোন ভাবেই সেই প্রমান দিতে পারছেনা। বৃহত্তর মিশরের ইতিহাসে প্লাবনের তেমন কোন চিহ্ণ পাওয়া যায় নাই। সুতরাং ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করলে পাওয়া যায় বাইবেলের বর্ননার সাথে আধুনিক জ্ঞানের প্রাপ্ত তথ্যের সর্ম্পূণ বিরোধী। আধুনিক ঐতিহাসিক পেক্ষাপট ও আমাদের প্রাপ্ত জ্ঞান সমগ্র দুনিয়ার বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে আল কোরআনের তথ্যজ্ঞানকে স্বীকার করে নেয়। তবে একথা সত্য যে বাইবেলের ও আলকোরানের নবী রাসুল সম্পর্কে অনেক তথ্য আমরা ধর্মগ্রন্থ থেকে প্্রাপ্ত। আমাদের ঐতিহাসিক তথ্য ও পুরাতত্বেও জ্ঞান এতই স্বল্প যে তা দিয়ে ধর্মগ্রন্থগুলোর প্রাপ্ত তথ্যের সত্যাসত্য খুব বেশি প্রমান করা সম্ভব নয়। বন্যার ঘটনাটি ঐতিহাসিকভাবে এমন কোন চিহ্ন রেখে যাইনি পক্ষান্তরে আধুনিক জ্ঞানেও এমন কোন তথ্য নেই যা দ্বারা ধর্মগ্রন্থগুলো বর্ননা সমালোচনা করা যেতে পারে। তারপরও প্রাপ্ত তথ্য থেকে এতটুকু প্রমান করা সম্ভব যে বন্যাটি সমগ্র দুনিয়া জুড়ে হয় নাই। হয়েছিলো কয়েকটি সম্প্রদায়ের উপর অথবা পাশ্ববর্তী কিছু এলাকা জুড়ে। তাহলে বাইবেলের এই অতিরঞ্জিত শব্দ প্রয়োগের কারণ সংযোজন ও বিয়োজন।

এ বিষয় টি প্রখ্যাত লেখক ডাঃ মরিস বুকাইলি তার আল কোরআন, বাইবেল ও বিজ্ঞান বইতে এ বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট গুরুত্বর্পূন কিছু তথ্য দিয়েছেন। তিনি বাইবেলের বর্ননা নিয়ে যথেষ্ট যুক্তিখন্ডন করেছেন। তিনি লিখেছেন “আধুনিক জ্ঞানের দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করলে দেখা যায় যে, প্লাবন বিষয়ে বাইবেলের বর্ণনা নিুবর্ণিত কারনে আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়। কারন “(ক ) ওল্ড টেষ্টামেন্টে প্লাবনটি বিশ্বব্যাপী হয়েছিলো। (খ) ইয়াহভিষ্ট বর্ণনায় প্লাবনের কোন সময়কাল উল্লেখ করা হয় নি; কিন্তু স্যাকারডোটাল বর্ণনায় সময় উল্লেখ করা হয়েছে যখন ঐরুপ কোন বিপর্যয় ঘটা আদৌ সম্ভব নয়। স্যাকারডোটাল বর্ণনায় সুষ্পষ্টরুপে বলা হয়েছে। জেনেসিসের পঞ্চম অধ্যায়ে বর্ণিত শেজরনামা (স্যাকারডোটাল পাঠ থেকে গৃহীত এবং এ গ্রন্থেও প্রথম দিকে উধৃত থেকে) দেখা যায় যে আদমের ১০৫৬ বছর পরে নূহের জন্ম হয়েছিলো। সুতরাং আদম সৃষ্টি হওয়ার ১,৬৫৫ বছর পরে বন্যা হওয়ার কথা। পক্ষান্তরের জেনেসিসের (১১,১০-৩২) একই স্যাকারডোটাল পাঠে প্রদত্ত ইব্রাহীমের শেজরনামা থেকে দেখা যায়, যে ঈব্রাহীম বন্যার ২৯২ বছর পরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আমরা বাইবেল থেকে জানতে পারি যে ইব্রাহীম মোটামুটি খৃষ্টর্পূব ১৯৫০ সালে জীবিত ছিলেন। তাহলে বন্যাটি খৃষ্টপূর্ব একবিংশ বা দ্বাদশ শতাব্দীতে হয়েছিলো বলে স্থির করা যায়। এ হিসাব বাইবেলের প্রাচীন সংস্করনের প্রদত্ত তথ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ন কিন্তু এখন প্রাচীন ঘটনাবলীর কালানুক্রম সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ধারনা পাওয়া সর্বজন গ্রাহ্য হযে যাওয়ার ওল্ড টেষ্টামেন্টের স্যাকারডোটাল পাঠের লেখকগণ যে কাল্পনিক সন-তারিখ দিয়েছিলেন তা বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। ফলে বাইবেলের পরবর্তী সংস্করণ থেকে ঐ সন তারিখ গায়েব করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যে সম্স্ত শেজরনামা এখনও গায়েব করা হয়নি তার ভিত্তিতে হিসাব করলেই ঐ মারাত্বক ভুল অতি সহজেই ধরা পড়ে। অথচ এ ক্ষেত্রে কুরআনে কোন ধারাবাহিক কোন বর্ণনা নেই। নেই কোন সময়কাল। বিভিন্ন সুরায় নূহের জনগনের উপর আপতিত শাস্তির কথা বলা হয়েছে। সুতরাং ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোন থেকে বিচার করলে দেখা যায় যে প্লাবন সম্পর্কে বাইবেলের বর্ণনা আধুনিক জ্ঞানের সম্পূর্ণ বিরোধী। আর বাইবেলের পাঠ যে মানুষের হাতেই রদবদল হয়েছে, একই বিষয়ে দুটি পাঠ থাকা থেকেই তার আনুষ্ঠানিক প্রমান পাওয়া যায়।

সুধী পাঠক, এখন আমাদের ভাবতে হবে আল কোরআন যেহেতু আমাদের বলছে প্লাবন হয়েছিলো নূহের সম্প্রদায়ের উপর। এবং প্রতœতাত্তিক গবেষনায় এখনও প্রমানিত হয়নি যে সমগ্র দুনিয়া জুড়ে প্লাবন হয়েছিলো। সেহেতু সমগ্র দুনিয়া জুড়ো প্লাবনের বিষয়টি গুজব বা অতিরঞ্জিত বলেই ধরে নিতে পারি। আমাদেরকে এটাই মানতে হবে প্লাবনটা আসলেই মধ্যপ্রাচ্য ও অফ্রিকার কিছু এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো। তবে একটি বিষয় এখনও গুরুত্বপূর্ন বলে বিবেচিত যে মিশরের কিছু অংশে সম্ভবত প্লাবন হয়েছিলো। বিভিন্ন পুথিপত্রে এ বিষয়ে কিছু বক্তব্য আছে। সঠিক সত্যটা আল্লাই জানে। তবে যেহেতু মুসলিম সমাজের ধর্মগ্রন্থ আলকোরআনে যেহেতু নূহের জনপদ ধ্বংশের কথা বলছে অতএব অতি আধুনিক এবং সংরক্ষনকারী ধর্মগ্রন্থ বলে সেটাই মেনে নেয়া আমাদের জন্য উচিত।


নূহু আঃ এর সময়কার প্লাবন সম্পর্কে বর্তমান আধুনিক বিজ্ঞান যথেষ্ট প্রমান পেয়েছে। শুধু তাই নয় নূহু আঃ এর সময়কার সেই নৌকারও সন্ধান পেয়েছে চীনা ও তুর্কি প্রতœতাত্তিক দল। তার তুরস্কের অদুরে ১২০০০ ফুট উচুতে আরারাত পবর্তমালাতে খুজে পেয়েছে। কার্বন টেষ্টিং এবং অন্যান্য সকল প্রতœতাত্তিক নির্দশন দ্বারা প্রমানিত হয় যে সেই নৌকা টি প্রায় ৪৫০০ বৎসর পূর্বে।
আমি এখানে ন্যশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেল এর নিউজ এর কিছু অংশ তুলে ধরলাম।

চিত্রের ঐ স্থানটি তুরস্কের আরারাত পবর্তমালার। গবেষক দল ওখানেই নূহ আঃ এর সেই নৌকা পাওয়া গেছে। কাঠ পরীক্ষা করে দেখা গেছে সেখানে অসংখ্য পশু ছিলো। যা প্লাবন যুগের নৌকা।
{http://news.nationalgeographic.com/news/2010/04/100428-noahs-ark-found-in-turkey-science-religion-culture/}
Noah's Ark Location in Turkey a Secret
The team claims to have found in 2007 and 2008 seven large wooden compartments buried at 13,000 feet (4,000 meters) above sea level, near the peak of Mount Ararat. They returned to the site with a film crew in October 2009.
Many Christians believe the mountain in Turkey is the final resting place of Noah's ark, which the Bible says protected Noah, his family, and pairs of every animal species on Earth during a divine deluge that wiped out most of humanity.
"The structure is partitioned into different spaces," said Noah's Ark Ministries International team member Man-fai Yuen in a statement. "We believe that the wooden structure we entered is the same structure recorded in historical accounts. ... "
The team says radiocarbon-dated wood taken from the discovery site—whose location they're keeping secret for now—shows the purported ark is about 4,800 years old, which coincides roughly with the time of Noah's flood implied by the Bible.

{http://news.nationalgeographic.com/news/2010/04/100428-noahs-ark-found-in-turkey-science-religion-culture/}
"Noah's Ark" Found in Right Country, on Wrong Mountain?
Another reason scholars are skeptical of the latest Noah's ark discovery claim is that Genesis—the first book of the Bible—never specifies which peak the vessel supposedly landed on in Turkey.
"The whole notion is odd, because the Bible tells you the ark landed somewhere in Urartu,"—an ancient kingdom in eastern Turkey—"but it's only later that people identified Mount Ararat with Urartu," said Jack Sasson, a professor of Jewish and biblical studies at Vanderbilt University in Tennessee.
Stony Brook's Zimansky agreed. "Nobody associated that mountain with the ark" until the tenth century B.C., he said, adding that there's no geologic evidence for a mass flood in Turkey around 4,000 years ago. (See "'Noah's Flood' Not Rooted in Reality, After All?")

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৩৩

মঞ্জুরুল পার্থ বলেছেন: কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে..
যদি ধরেও নিই নূহ (আ) এর সময় মহাপ্লাবন শুধু সম্প্রদায়ের উপর এসেছিল, সেক্ষেত্রে
১। নূহ (আ)কে পাশের সম্প্রদায়ে হিজরত করে চলে যাওয়ার হুকুম দেওয়া হলো না কেন? যেমন: লূত (আ), মহানবী (সা) কে দেওয়া হয়েছিল?
২। যদি পাশের জাতিতেই যাবেন, প্রাণীদের নৌকায় তোলার প্রয়োজনীয়তা কেন ছিল? পাশের সম্প্রদায়ে অবশ্যই সেসব প্রাণী বিদ্যমান ছিল
৩। Sea Level Rule অনুসারে, ৪০ দিন আসমান জমিন থেকে ক্রমাগত পানি উদগরিত হলে এটা সম্ভব নয় যে, পানি শুধু এক এলাকাতেই থাকবে..
৪। দূর-দূরান্তের মিথোলজিতে (সুমেরীয়, নরিশ, অস্ট্রেলিয়ান) এই গল্প জায়গা পেলো কিভাবে?
৫। নূহ (আ) কে কেন মানবজাতির দ্বিতীয় পিতা বলা হলো? (তিরমিজি ৩২৩০-৩১)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.