নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমরা কি গনতান্ত্রিক ব্যাবস্থার জন্য যোগ্য।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:০৫



পার্ট ০১।
পার্ট ১:
২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ছিল আমার প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগের অভিজ্ঞতা। ভোটের পরদিন সকালে, নাস্তার জন্য ভবেরচর বাস স্ট্যান্ডে গেলাম। সেখানে নির্বাচনের দুজন প্রার্থী ছিলেন— একজন জয়ী, অন্যজন পরাজিত। ভবেরচর স্ট্যান্ডে আমাদের ভবেরচর এবং পাশের বাউশিয়া ইউনিয়নের লোকজনের সমাগম ঘটে।

আমার ইউনিয়নের জয়ী মেম্বার প্রার্থী পরাজিত প্রার্থীকে কটাক্ষ করে বললেন, “আমি ৭০০ ভোট পেয়ে মেম্বার হয়েছি, আর আপনি ১২০০ ভোট পেয়েও মেম্বার হতে পারেননি।” কথাটি তখন মজার লাগলেও, এখন এটি আমার কাছে উদ্বেগের কারণ। এই পরিস্থিতি দেখে মনে হলো, আমাদের এলাকার জনগণের ইচ্ছা পূর্ণ মাত্রায় প্রতিফলিত হচ্ছে না। গজারিয়া ও মুন্সীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে গজারিয়ার ভোটার সংখ্যা কম থাকায়, প্রার্থীরা মুন্সীগঞ্জকেই উন্নয়নের মূল কেন্দ্রবিন্দু মনে করেন। তাদের ধারণা, গজারিয়ার ভোট ছাড়াই তারা নির্বাচনে জয়ী হতে পারবেন। ব্যাপারটি কিন্তু সত্যি।

মনে করেন মুন্সীগঞ্জ উপজেলার ৬ জন ভোটার আর গজারিয়াতে ৪ জন ভোটার। মুন্সীগঞ্জ এর ৬ জন ভোটার যদি এক প্রার্থীকে ভোট দেয় আর আমরা সেই প্রার্থীর বিপক্ষে ভোট দেই তাহলে নির্বাচনে কে জিতবে সেটা আপনারা বুঝতাছেন।

পার্ট ০২।




==> গনতান্ত্রিক সিস্টেম এর জন্য আমারা যোগ্য না। গ্রাম এলাকায় অনেকে ৫০০ বা ১০০০ টাকার বিনিময়ে ভোট বিক্রি করে। কম ভালো লোকেরা ভোট কেন্দ্রে যায়। ভালো লোকেরা মনে করেন সরকারি চাকরির জন্য হউক বা ইনকাম করার জন্য হউক, নিদিষ্ট দিনে ভোট দিতে যেতে পারেন না। যেমন আমার আব্বু একজন সরকারি অফিসার। নির্বাচনের সময় ছুটি পান নি। তাই তিনি ভোট দিতে পারেন নি। আমার নানী পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের একজন স্টাফ। তার উপর ভোটের ডিউটি পড়তো। তাই তিনিও নিজের ভোট কেন্দ্রে গিয়ে একবার ভোট দিতে পেরেছেন। সেটা অবসরে যাবার পর।

বাকি থাকে গাজ্ঞাখোর, গুন্ডা বদমাইশগণ। মানে নেতার সাঙ্গো পাঙ্গো। এরা কাদের ভোট দিতে যাইবে এটা সেটা আপনারা ভালো বুজেন। মনে করেন ৮০ জন ভালো মানুষ আছে। তার মধ্যে ৬ জন বাড়িতে। তারা ভালো মানুষকে ভোট দিলো। বাকি ২০ জন পচা প্রার্থীকে ভোট দিবে এটাই স্বাভাবিক।

==> মনে করেন একজন লোক। যিনি ১০০ টা মেয়ের সম্ভ্রম নষ্ট করছে। সে এমপি হইছে। সে কিভাবে নারী সুরক্ষায় আইন পাশ করবে? যে ভূমিদস্যু সে কিভাবে ভূমি উন্নয়ন আইন পাশ করবে? যে মাফিয়া, সে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হলে কি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারবে? আমি আগেই বলেছি ভালো মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার সময় পায় না। সেই কারনে চোর বাটপার, পন্যে ভেজালকারী, পাতি মাস্তান ভোট কেন্দ্রে যাওয়া সময়, সুযোগ ও সাহস পায়। যেটার সুফল খারাপ প্রার্থীরা নেয়।

==> আমরা যদি গনতান্ত্রিক সিস্টেম এর যোগ্য না হই, তাহলে এই সিস্টেম এর যোগ্য কারা? ইউরোপবাসী, জাপানী, যুক্তরাষ্ট্রের মত ভদ্রলোকেরা গনতান্ত্রিক সিস্টেমের জন্য যোগ্য।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:১২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


আমি প্রথম ভোট দিয়েছিলাম ১৯৯৬ সালে।
আমার প্রার্থী জিতেছিলেন।

এরপর আবার ভোট দিই- ২০০১ সালে ।
আমার প্রার্থীর ভরাডুবি হয়।
সর্বশেষ ভোট দিই ২০২৪ সালে।
আমার প্রার্থীর এবারও ডাব্বা কাইত!

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র কি এটাই বুঝে না। ২০০৮ সালে যখন একদল বস্তিবাসী কে প্রার্থী থেকে টাকা নেয়ার বিনিময়ে ভোট দিতে দেখি তখন ভাবতাম গরীব শ্রেণী গণতন্ত্র বুঝে না। কিন্তু এখন দেখি শিক্ষিত শ্রেণী গণতন্ত্র বুঝে না। এর জন্য দায়ী হচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। শিক্ষা ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক সিস্টেম কিভাবে সকল মতের মানুষের অধিকার রক্ষা করে তা নিয়ে চ্যাপ্টার ইনক্লুড করতে পারতো। সংবিধান নিয়ে চ্যাপ্টার ইনক্লুড করতে পারতো। তাহলে শিক্ষিত মানুষ বুঝতে পারতো গনতন্ত্রের সুফল।

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:১৭

বিষাদ সময় বলেছেন: খুব ভাল একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.