নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমাম সাহেবের গল্প: প্রযুক্তির সাথে ধার্মিকতা

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৩২


একদিন, বিটিভির একটি বিজ্ঞাপন নাটিকা দেখেছিলাম। নাটিকাটি একজন তরুণ ইমামের গল্প বলছিল। বয়সে হয়তো ২১ বা ২২, তার দাড়ি, টুপি এবং পরিপূর্ণ ইসলামিক বেশভূষা। ইমাম সাহেবকে দেখা যায় ইন্টারনেট অফিসে। তিনি সেখানে ব্রডব্যান্ড লাইনের জন্য আবেদন করতে যান। পরে, ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়ার পর, তিনি বিদেশী ক্লায়েন্টের সাথে অনলাইনে কথা বলেন। সেই মুহূর্তে, ইন্টারনেট অফিসের কর্মীরা বিস্মিত হয়ে জানতে পারে যে ইমাম সাহেব আসলে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার!

এই দৃশ্যটি আমার মনে গভীর প্রভাব ফেলে। মসজিদের ইমামগণ আমাদের সমাজে সাহসী ও পরিশ্রমী হিসেবে পরিচিত। তাদের ধৈর্যশক্তি প্রশংসনীয়। তারা হতাশা সহজে গ্রাস করেন না। অথচ, আমরা অনেকেই সামান্য ব্যর্থতায় হতাশ হয়ে পড়ি। আপনি কি কখনো শুনেছেন কোনো মাদ্রাসার ছাত্র প্রেমে ব্যর্থ হয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়েছে? কিংবা কোনো মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়েকে ইভ টিজিংয়ের শিকার হতে দেখেছেন? আমরা বাস্তবে এমন কিছু দেখি না, কিন্তু অনেকেই শোনা কথায় কান দিয়ে ভুল ধারণা তৈরি করে।

একদিন আমি হাঁটছিলাম, তখন সেই নাটিকার ইমামের কথা মনে পড়লো। আমার মনের ভেতর হঠাৎ একটি গল্পের জন্ম নিলো। গল্পটি এমন—একটি ছোট্ট মসজিদ, যা একটি বিস্তৃত কৃষি জমি পেরিয়ে, নদীর ধারে অবস্থিত। এই মসজিদের ইমাম একজন তরুণ। তিনি মাদ্রাসায় পড়াশোনার সময় কম্পিউটার সার্ভিসিং শিখে ফেলেন। ধীরে ধীরে, তিনি একজন দক্ষ প্রোগ্রামার হয়ে উঠেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে কাজ করেন এবং ফাইবারের মাধ্যমে নিয়মিত অর্ডার সম্পন্ন করে ডলার আয় করেন।




তার এমন প্রতিভা এবং দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও, তিনি ঢাকায় গিয়ে বড় চাকরি বা উন্নত জীবনযাপনের পথে যাননি। ইমামতি করেই তিনি শান্তিতে আছেন। অতিরিক্ত জটিল জীবনে পা রাখতে চান না। তিনি নিজেকে এবং তার সম্প্রদায়কে ভালোবাসেন এবং সেবামূলক কাজ করতে আনন্দ পান। হতে পারে, ভবিষ্যতে তার নাতি বাংলাদেশের একজন শীর্ষ ব্যবসায়ী হয়ে উঠবে। হয়তো ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, এবং অন্যান্য প্রযুক্তি পণ্যের যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা স্থাপন করবে।



এই গল্পটি আমাদের শেখায় যে, যে কোনো পেশার মানুষ তার বিশ্বাস ও ধর্মীয় জীবনের সঙ্গে প্রযুক্তি ও আধুনিকতার সমন্বয় করে সফল হতে পারে। সমাজে যারা নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন, তারা একদিন আমাদের সামনে উদাহরণ হয়ে দাঁড়াবেন।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৫০

সোনাগাজী বলেছেন:


আপনি ভাবের চরে একটি আধুনিক মসজিদ করার জন্য চাঁদা তোলেন; ওখানে কম্প্যউিটিং'এ ফ্রি-ল্যান্সিং শিখাবেন।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:১১

নাহল তরকারি বলেছেন: ভাই সাব। দরকার হলে চাঁদা দিবো। চাঁদা তুলবো না।

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:১৯

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: আপনি ভুল বাংলায় লিখেন তাও ভালো, এ আই দিয়ে গল্প লিখে পোস্ট করবেন না, দিগদারি লাগে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:১২

নাহল তরকারি বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:০৩

অধীতি বলেছেন: ইভটিজিং এর ক্ষেত্রে বোরকা, বোরকা ছাড়া, শালীন-অশালীন, মাদ্রাসা-স্কুল এগুলো কেউ বিচার করেনা। প্রচুর মাদ্রাসার ছাত্র প্রেমে স্যাকা খেয়েছে, পরে দাড়িটুপি ছেড়ে দিয়ে জেনারেল হয়েছে। কিছুদিন আগেও এরকম এক মসজিদের খতিবের সংবাদ দেখছিলাম।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:১২

নাহল তরকারি বলেছেন: তাই.....।

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

নতুন বলেছেন: ইমাম সাহেবের গল্প: প্রযুক্তির সাথে ধার্মিকতা


দেশের মানুষ যত বেমি প্রযুক্তির কাছে যাবে তত ধর্ম থেকে সরে যাবে। বুঝতে পারবে যে ধর্মের নামে মোল্লারা কত মিথ্যা, অযৌক্তিক জিনিস প্রচার করে যাচ্ছে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৫০

নাহল তরকারি বলেছেন: দেশের মানুষ যত বেশী প্রযুক্তিতে আসক্ত হবে, তত বেশী ধর্ম থেকে সরে যাবে। তা ঠিক। কিছু কিছু মোল্লারা আবল তাবল কথা বলে ঠিক, কিন্তু ধর্ম থেকে সরে আসা ঠিক না। এতে করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৫১

আজব লিংকন বলেছেন: ফাইবার নিয়ে কিছু বিতর্ক আছে। আমার অনেক বন্ধু ফাইবারে ডলার ইনকামকে হারাম কামাই মনে করে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৩

নাহল তরকারি বলেছেন: ফাইবারের মুসলিম ভার্সন বানাতে বলেন। তাহলে এতে মুসলিম বিশ্ব উপকৃত হবে।

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬

আজব লিংকন বলেছেন: ওরা পিওর ইসলামিক। একজন ব্যাংক জব ছাইড়া দিসে। ব্যাংক সুদ কারবারি এই লজিকে। হেগোরে আমার মতো পাপী বুঝানোর মতো অওকাত রাখে না।

৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:১৪

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: দেশের মানুষ যত বেশী প্রযুক্তিতে আসক্ত হবে, তত বেশী ধর্ম থেকে সরে যাবে। তা ঠিক। কিছু কিছু মোল্লারা আবল তাবল কথা বলে ঠিক, কিন্তু ধর্ম থেকে সরে আসা ঠিক না। এতে করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।

ভুল ধারনা। এই ভুলটা ভাংতে হলে দেশের বাইরে গিয়ে বিদেশিদের সাথে মিশতে হবে।

ইউরোপের অনেক দেশেই ধর্মের প্রভাব খুবই কম এবং তারাই বিশ্বের সবচেয়ে কম দূনিতিগ্রস্থ দেশ।

মানবতা মানুষকে ভালো বানায়। ধর্ম না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.