নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(৫)
একটা বয়স পেরোলেই,সবাই আত্মবিশ্বাস,নিশ্চয়তার একটা মুখোস পরে,সময়ে সেই মুখোস পরা মুখটাই হয়-আমাদের আসল চেহারা।ছোট বেলায় যখন কাঁদতাম,ছুটে আসতো কেউ না কেউ সান্তনার কথা বলতে বলতে,জীবনের নানান স্তর পার হয়ে এটুকু জানি,হাসি ভরা মুখে যতটুকু না পাওয়া যায়,কান্না ভঁরা মুখে তার চেয়ে পাওয়া যায়,অনেক বেশি।বয়সে মানুষ কান্না হারায় ধীরে ধীরে,যেটুকু থাকে-সেটা বাথরুমের একাকীত্বে।মানুষের সামনে আমরা হাসিভঁরা মুখের অন্য এক মানুষ-শুধু ছেলেমেয়েদের সামনে ছাড়া।আসল চেহারাটা লুকোনো থাকে স্বসময়,ভঁয় কেউ যদি দূর্বলতার সূযোগ নেয়।মনের ঝড়ো আবহাওয়ার থেকে সরে যাওয়ার একটাই উপায়-ঘুম,ওটাই সবচেয়ে ভাল ওষুধ।
আবার দেখা হলো জেকবের সাথে,তবে এবার আমার পচ্ছন্দের জায়গায় পার্ক ডেস ইয়াক্স ভাইভসে,এক সময়কার বেশ নামকরা একটা রেস্তোরা,তবে সরকারী পরিচালনায় এখন তার জৌলুষ তেমনটা আর নেই।কিছুদিন আগে Finanicial Times এর এক সাংবাদিকের সাথে ওখানে দুপুরের খাবারে একবারই যাওয়ার সৌভাগ্য হয় আমার।
মার্টিনি অর্ডার দিলাম,তবে ওয়েটার আনলো সিঞ্জানো।ঠিক করলাম রেস্তোরার বাইরের বাগানটায় স্যান্ডউইচ খেতে খেতে গল্প করবো।জেকবের সিগারেট খেতে কোন অসুবিধা হবে না,বাগানে বসে,দেখা যায় লোকজনের আসা যাওয়া,তা ছাড়া পরিবেশটাও বেশ চ্মৎকার।
বেশী ভড়ং না করে যতটুকু সম্ভব মনের কথাগুলোই বলবো,তবুও প্রথম কথাগুলো
ছিল(কাজ,আবহাওয়ার খবর নিয়ে),তার পর আরম্ভ হলো “নাইট ক্লাব কেমন লাগলো”/ “যাইনি,আজকে যাব”।আমি জিজ্ঞাসা করলাম,তাকে কি কেউ পরকীয়া প্রেমের গুজবের কাহিনী দিয়ে ব্ল্যাকমেল করছে?
জেকব খুব একটা অবাক হয় নি,শুধু বললো-প্রশ্নটা কি একজন বন্ধুর-না একজন সাংবাদিকের?
এ মুহুর্তে আমি একজন সাংবাদিক,তবে গুজবটা সত্যিও হলেও,কাগজের পক্ষ থেকে এটুকু আশ্বাস দিতে পারি,আমরা সাহায্য করতে চাই।কারও ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে নোংরামির ঢিল ছোড়ার ইচ্ছা কাগজের নাই,বরং ঐ ব্ল্যাকমেলারদের আদালতে আনাটাই কাগজের একমাত্র ল্কখ্য।
“অস্বীকার করছি না,এক বন্ধুর বৌ এর সাথে আমার অবৈধ সম্পর্ক ছিল।বলা যায় অনেকটা সেটা বন্ধু্র উস্কানিতে,দুজনেই সংসারের যাঁতাকলে এতই হাঁপিয়ে ছিলাম,যে নতুন একটা জানালা খুঁজছিলাম।বুঝতে পারছো,কি বলতে চাচ্ছি আমি”?
মহিলার স্বামীর উদ্যোগে,ঠিক বুঝলাম না।মনে পড়লো,কদিন আগে স্বামীর সাথে যৌনসঙ্গমে,
বার বার সেই চরম সুখের নতুন রাজ্যে পৌঁছানোর কথা।
তা সম্পর্কটা কি এখনও চলছে?
“না,কারও তেমন একটা উৎসাহ নাই আর।তবে হ্যা,আমার বৌ সবকিছুই জানে,অনেক সময় চাইলেও,কিছু ঘটনা লুকানো সম্ভব হয় না।নাইজেরিয়ার কয়েকজন লোক এই পরকীয়া সম্পর্কের কিছু ছবি জোগাড় করে আমাকে ব্ল্যাকমেল করার চেষ্টা করছে,তবে মনে হয় না ওটা নতুন কোন খবর”।
ওর বৌ ওকে ডিভোর্স করার ধমকটাও দেয় নি!
“বৌ খেপে ছিল কটা দিন,তারপর আর বাড়াবাড়ি করেনি।বৌ এর বিরাট পরিকল্পনা সংসার,ভবিষৎ নিয়ে,বিশ্বস্ততা সেটার একটা অংশ না।ভাবে ভঙ্গীতে ঈর্ষা যে একেবারেই ছিল না তা নয়,তবে সেটা বোধ হয় নাটক করা ছাড়া আর কিছু না।আমার স্বীকারোক্তি শোনার প্র তার পরিকল্পনার ব্যাস্ততায় ফিরে যেতে সময় লাগেনি”।
জেকব আর আমার জগতটা একেবারেই আলাদা,ওর জগতের বৌদের মনে কোন ঈর্ষা নাই,স্বামীরাই উদ্যোগ নিয়ে বৌদের পরকীয়া সম্পর্কের আয়োজন করে দেয়।কোন কিছু তো বাদ পড়ে নি?
“তোমার কি মনে হয় না,সময়ে সব কিছু সয়ে যায়”।
কোন সন্দেহ নাই,বদলে যায় অনেক কিছুই-তবে সেটা হয়তো তোমাকে ঠেলে দিতে পারে আরো খারাপ অবস্থায়।সেই অবস্থা আমার মনে,আমার কারও সাক্ষাৎকার নেয়ার কথা,এখন আমি নিজেই সাক্ষাৎকার দিতে ব্যাস্ত হয়ে গেছি।
জেকব বললো, “নাইজেরিয়ান ব্ল্যাকমেলাররা জানে না,অর্থ মন্ত্রলায়ের সাহায্য নিয়ে তাদের সব কথাবার্তা রেকর্ড করা হয়ে গেছে।আমাকে ওরা ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করছিল,এ ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না”?
পত্রিকার লেখাটা হয়তো জঞ্জাল ছাড়া আর কিছু হবে না,সিড়ি ধরে উপরে ওঠার স্বপ্নটা,স্বপ্নই থেকে যাবে।নতুন লেখার আর কিইবা আছে-পরকীয়া প্রেম,ব্ল্যাকমেল,দূর্নীতি,এই তো।
সবই সুইজারল্যান্ডের শ্রেষ্ঠত্ব আর গুনের উদহারণ।
“তোমার প্রশ্ন কি শেষ হয়ে গেছে?এখন কি অন্য কিছু নিয়ে আলাপ করা যাবে”?
হ্যা,আমার প্রশ্ন করা শেষ,আর কি আলাপ করতে চাও?
“প্রশ্ন করতে পার,কেন তোমার সাথে দেখা করার ইচ্ছা হলো,আবার?কারণটা কিন্ত তেমন কিছু না,আমার জানার খুব ইচ্ছা ছিল,তুমি কি সুখী?তুমি কি ভাবছো জানি না,হয়তো ভাবছো তোমার সাথে একটা যৌন সম্পর্ক তৈরী করার জন্যে,আমি অস্থির হয়ে গেছি।সেটা কিন্ত ভুল,আমরা এখন আর সেই বাঁধন হারা কৈশোরে নেই।অফিসের শরীর খেলা যে আমি পচ্ছন্দ করিনি তা না,এখানে তো সেটা সম্ভব না।তা হলে,কেন এখানে দেখা করার কথা বললাম”?
আবার সেই পুরোনো প্রশ্ন,আমি কি সুখী?জেকব কি জানে না,এ ধরণের প্রশ্নটা অশোভনীয়।তবে ওর যদি নিজের সমন্ধে কিছু বলার ইচ্ছা থাকে,আমার শুনতে আপত্তি নাই।জেকবকে দেখে মনে হচ্ছিল তার চারপাশে ছড়ানো অহংকার,উন্নাসিকতার একটা বাতাস,সেটা একেবারেই অসহনীয় ছিল আমার কাছেল।
জেকব,হয়তো তুমি একটা যৌন সম্পর্ক করার চেষ্টা করছো,তবে আমার উত্তরটা হবে, “না”।
জেকব অবাক হয়ে মাথা নাড়ছিল।কিছুটা অবজ্ঞা করেই তাকে লেকের শান্ত পরিবেশটার কথা বললাম,চারপাশে একটা নিস্তব্ধতা-জেকব বললোঃ
“তুমি কি ভাবছো জানি না,তবে তোমার সুখ অসুখের প্রশ্নে,আমি নিজের মানসিক অবস্থাটা বোঝার চেষ্টা করছি।আমার নিজের যন্ত্রনা হতাশা ভঁরা চেহারাটা খুঁজছি,তোমার মধ্যে।তুমি হয়তো মানসিকভাবে ক্লান্ত,ভাবছো হতাশা,যন্ত্রনা এগুলো কি কথা-কিন্ত তোমার অজান্তেই ঐ অজানা মানসিক ধ্বংস,ভেঙ্গে তছনছ করছে তোমাকে”।
আমিও একই কথা ভাবছিলাম দুপুরের খাবারের সময়,নির্যাতিত মন আশ্রয় খুঁজে একে অন্যতে।
“হয়তো আমি ও ভাবছিলাম,তুমি যা ভাবছো”,বললো জেকব, “শুধু পার্থক্য এটুকুই যে আমার সমস্যাটা মনগড়া না।আমার জীবনটা ছড়ানো মানুষের মাঝে,মানুষের প্রভাবে আমার উত্থান পতন।মানসিক চিকিৎসার সাহায্য নেয়ার কথা যে ভাবিনি তা না,তবে ওখানেই হবে আমার রাজনীতির জীবনের সমাপ্তি,তা ছাড়া আমার বৌকে কোনভাবে রাজী করাতে পারিনি”।
বোঝা গেল,জেকব বৌ এর সাথে মোটামুটি সবকিছুই আলোচনা করে,আমারও কি উচিত স্বামীর সাথে মনের কথাগুলো খুলে বলা!বিস্তারিত সব কিছু শুনলে,তার মনের অবস্থাটা কি হবে,কি জানে?
“জীবনে কম ভুল করিনি”,আবার বলা আরম্ভ করলো,জেকব “সময় ছিল যখন চারপাশের ঝড়,যন্ত্রনাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে কষ্ট হতো না,এখন জানি,সেটা আমার বোঝার ভুল,ঐ উপেক্ষা করে যাওয়া।এখন হতাশা যন্ত্রনাগ্রস্ত মানুষকে দেখলে তাকে বোঝার চেষ্টা করি,জানতে চাই কি ভাবে তারা সমস্যার সমাধান করছে।বুঝতেই পারছো,আমার সাহায্য দরকার,ও ছাড়া আর কোন উপায় নাই”।
ও তা হলে-জেনেভার হাল্কা রোদ্দুরে কোন প্রেমের গল্প,যৌনসঙ্গমের খেলার প্রস্ততি নেই।
জেকবের তার সমস্যা নিয়ে কারও সাথে কথা বলতে চাচ্ছে,এটুকুই-আর কিছু না।
জেকবের চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম,তার বোঝায় কোথাও একটা ভুল আছে
-আমি বেশ সুখী,তার একজন মানসিক চিকিৎকের দরকার।বৌকে দিয়ে জীবনের সব কিছু নিয়ন্ত্রন করাটা কি ঠিক?তা ছাড়া ডাক্তাররা রুগীর সমস্যা কোনদিন কারও কাছে জানায় না,আইনতও সেটা দন্ডনীয়।আমার এক বন্ধু মানসিক চিকিৎসা চর্চা করে এখন বেশ ভালই আছে,জেকব কি চায় বাকী জীবনটা এই হতাশার অন্ধকারে কাটিয়ে দিতে?এটাই তার ভবিষ্যতের স্বপ্ন?
বারে বারে ঘুরে ফিরে তাকাচ্ছিল জেকব,আড়ি পেতে কেউ কিছু শুনছে নাকি?অবশ্য চারপাশটা আমার দেখাই ছিল,রেস্তোরার পাশে কয়েকজন গাঁজা বিক্রিতে ব্যাস্ত লোক ছাড়া আর কেউ ছিল না,তাদের আগ্রহ থাকার কথা না আড়ি পেতে কারও কথা শোনার।
মনের কথা বলে জেকব কিছুটা হাল্কা হয়ে গেছে তখন।দুঃখ করে-দুঃখ বাড়িয়ে কি লাভ?জেকবের দরকার একটু হাসি,একটু আনন্দ।ওর দরকার হয়তো সিনেমায় যাওয়া,নৌকা বিহার,ওর দরকার আনন্দের আকাশট খুঁজে নেয়া।
“তুমি যা ভাবছো ঠিক তা না,হয়তো ওটা তোমার বোঝার ভুল”,কিছুটা হতবাক সুরেই বললো জেকব।
প্রতিদিন হাজার হাজার কিশোরী-বয়স হতে না হতেই মেকআপ,লিপষ্টিকের ছোঁয়া দিয়ে নিজেদের বদলে দিতে চায়,কিশোরী থেকে রমনীতে।মেয়েরা ব্যাবহার করে অলৌকিক সব ক্রীম যা তাদের বদলে দেবে অপূর্ব এক সুন্দরীতে।শোনা যায় বয়স্ক দম্পতিদের হিমালয়ের এভারেষ্টে গিয়ে বিবাহ বার্ষীকি পালনের অভিযানের কথা।নানান ধরণের বইপত্রিকায়,মাসাজের খেলনায় ছড়ানো,সত্যি মিথ্যায় ভরা একগাদা সার্থকতার কাহিনী।বিশেষজ্ঞদের অভিমতে এই যৌনতার স্রোতে ভেসে যাচ্ছি আমরা অন্যপথে-সব মিলিয়ে অন্যভাবে বুড়িয়ে যাচ্ছি আমরা।
এটা করা যাবে না,ওটা করা যাবে না-এটা মানায় না এ বয়সে,আমাদের জীবনের নিয়ন্ত্রণটা এখন যেন অনন্য কারও হাতে।
কোনটা সঠিক,কোনটা ভুল বিচার করার মত আত্মবিশ্বাস আমাদের থাকা উচিত।তোমার কি মনে হয় না,আমি সমালোচনার সম্মুখীন হই না?কিন্ত আমি সেগুলো এড়ানোর চেষ্টা করি,
ঐ নিন্দার স্রোতে বাঁধা দিয়ে মানসিক অবনতি আর লাভটা কি?আমি ভান করি,যেন কোন কিছুই আমার কানে আসে নি।
আমার আসার উদ্দেশ্য ছিল,পরকীয়া প্রেমের বেশ জটিল কাহিনীর সাথে,ব্ল্যাকমেইল,দূর্নীতির
স্বাদ ভঁরা মুখরোচক একটা লেখার মশলা খোঁজার জন্যে।তুমি সেটা এত সুন্দর ভাবে সমাধান করলে-অবশ্যই সেটা প্রশংসনীয়।
আবার বসলাম,জেকবের মুখটা আমার হাতে ধরা,সে যেন হঠাৎ চলে না যায়।আলতো একটা চুমু দিলাম ঠোঁটে,একটু ইতস্তত করলেও,জড়িয়ে ধরে জেকবও চুমুতে হারিয়ে গেল।
ক্ষনিকের আবেগের স্রোত আমার হতাশা,যন্ত্রনা,ভাঙ্গন একপাশে সরিয়ে নিয়ে গেল আমাকে আনন্দের নতুন এক আকাশে।
বিজ্ঞ মনে হচ্ছিল,নিজেকে-এ ভাবে মানসিক অবস্থাকে আয়ত্বে আনা যে সম্ভব,সেটা ছিল আমার চিন্তার বাইরে।আমার মন জুড়ে নতুন এক ক্ষমতা-যা ধ্বংস করে দিতে পারে দালান কোঠা,পিরামিড,সব কিছুই।সব কিছুই আমার নিয়ন্ত্রনে,সকালে যা ছিল একেবারেই অসম্ভব,
এখন সেটা তেমন আর অসাধ্য মনে হচ্ছে না।ভালবাসার দেশটায় ফিরে গেছি আবার,
অচেনা কিছু সময়ের জন্যে।বাতাসের ঝড়ো সুর আমাকে আর বিচলিত করছে না আর, বিধাতার আর্শীবাদে,ফিরে পেলাম নিজেকে আবার।
হাজারটা বছর কেটে গেছে এই চুমুর ফাঁকে-আলতো করে চুলে বিলি কাটছিল জেকব,দুজনের চোখের সমুদ্রে হারিয়ে গেছি আমরা দুজনেই।তবে কিছুই নেই সেখানে,শুধু হতাশা,আর ঐ চোখ ভঁরা হতাশার স্রোত,আমাকে আরও বিপন্ন করছে।
আরও ঘণ্টাখানেক আলাপ চললো-পুরোনো জেনেভার পরিবর্তন,যেন কোন কিছুই বদলায়নি জীবনে,আমরা সেই পুরোনো দুজন।দুপুরের খাবারে দুজন,চুমুর জোয়ারে কিছুক্ষণ এক হয়ে ছিলাম।এখন দুজন অচেনা মানুষ আবার কিছু একটা নিয়ে আলাপ আলোচনায় ব্যাস্ত হয়ে গেছে,কোন লজ্জাবোধ নেই,হেঁটে যাব আমরা আবার আমাদের প্রতিদিনের হতাশায়।জেকবের কাছে কি ক্ষমা চেয়ে নিব,ও ভাবে আবেগে ভেসে যাওয়াটা হয়তো ঠিক হয়নি,কিন্ত কেন,
ওটাতো শুধুই একটা চুমু!
হয়তো বলা যাবে না,বিজয়ীর মালাটা আমার গলায়,তবে হতাশার দানবটাকে আয়ত্বে আনার একটা আনন্দ তো আছেই।বাড়ীতে সবই সেই পুরোনো-আগে একটা চরম মানসিক টানাপোড়েনে ছিলাম,এখন বেশ কিছুটা ভাল বোধ করছি।ভাবছি জেকব কোনিগের উদহারণ অনুসরণ করলে কেমন হয়,স্বামীকে মনের কথাগুলো যদি বলি,হয়তো তার সাহায্য কাজে
লাগতেও পারে।
তবে কি হবে সেটা তো জানা নেই,দরকার কি ঝামেলা বাড়িয়ে,আমি তো নিজেই জানি না আমার সমস্যাটা কোথায়,অন্য কেউ আমাকে আর কিই বা বুঝবে?শুরু হয়ে গেল মনের যুদ্ধটা,এই হতাশা কটা টেবলটের ছোঁয়ায় বদলে যাবে!এটা কোন শারীরিক অসুখ না,এটা আমার তৈরী করা একটা, “দুঃখের রাজ্য”।
০০০০০০০
০৭ ই জুন, ২০২২ রাত ২:১৭
ইল্লু বলেছেন: কি করা যায় বলুন,ধন্যবাদ
২| ২৩ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: মোটামটি।
০৭ ই জুন, ২০২২ রাত ২:১৬
ইল্লু বলেছেন: এক পা এক পা করে এগোচ্ছি,এক সময় হয়তো বলে ফেলবেন, 'ভালই'।
ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মে, ২০২২ দুপুর ১২:২২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: একটু পড়লাম ভালো লাগলো কিন্তু অনেক বড় গল্প পড়তে পারলামনা।