নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(২)
এটা অবিশ্বাস্য নিশ্চয়?এটাও কি সম্ভব,সারা পৃথিবীর পুরুষদের মধ্যে আমি এমন একজন বিয়ে করলাম,যে একমাত্র নিষ্কলুষ মানুষ।মদ খেয়ে মাতাল হয় না,বন্ধুবান্ধবদের সাথে সময় কাটিয়ে রাতে না ফেরার কথা ভাবে না,সংসার,বাড়ীঘর ছাড়া ওর জীবনে আর কিছুই নাই।এটা স্বপ্নই হয়তো,দুঃস্বপ্নগুলো জড়িয়ে না থাকলে,তা ছাড়া আমার প্রতিশোধটা আছে।ঐ সব স্বাবলম্বনের কথা, “আশা”, “আত্মবিশ্বাস”,আসলে আর কিছুই না শুধু কথার কথা।তথাকথিত জ্ঞানী মানুষেরা হয়তো নিজেরাই খুঁজে বেড়ায় উত্তর তাদের জীবনে,আর সব কানঝালানো কথা,বলে মানুষের প্রতিক্রিয়া বিচার করে।
ক্লান্ত হয়ে গেছি এধরণের একঘেয়েমীতে,এটা কি বেঁচে থাকা,এটাই কি জীবন,হয়তো এটা আমার কোন এক মানসিক রোগের লক্ষন।হয়তো সত্যি সত্যিই আমার কোন মানসিক সমস্যা আছে,ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম।
আজকের দুপুরের খাবারটা এক বন্ধুর সাথে হওয়ার কথা,গেলাম এক জাপানী রেস্তোরায়,
অচেনা আমার,জাপানী খাবার আমার খুবই পচ্ছন্দ,বেশীর ভাগ জাপানী রেস্তোরা মোটামুটি জানা আমার।বন্ধুর কাছে খাবারের যথেষ্ট প্রশংসা শুনলাম,ওর কথামত হতাশ হবো না কোনভাবেই।কাজের থেকে একটু দূরে,বাসে যেতে সময় খুব একটা কম লাগেনি।দুটো বাস বদল করে,জিজ্ঞাসাবাদ করে পৌছালাম,পচ্ছন্দের রেস্তোরায়।চেহারা,আসবাবপত্র একেবারেই সাধারণ,তবে খাবারের স্বাদ নিঃসন্দেহে জেনেভার জাপানী রেস্তোরার ভাল রেস্তোরাগুলোর দলে।
বন্ধু বললো, “আগে প্রায়ই একটা রেস্তোরায় যেতাম,খাবারটা আহামরি তেমন কিছু ছিল না,জাপানী দূতাবাসের এক বন্ধু আমাকে এই রেস্তোরার নামটা জানায়।প্রথম দেখায় আমিও যে বেশ হতাশ হইনি তা না,তবে খাবারের স্বাদে আমার ধারণাটা বদলে যেতে সময় নেয় নি।স্বামী স্ত্রী দুজনে মিলে দোকান চালায়,আর খাবারে ছড়ানো আছে তাদের আন্তরিক অনুভুতি”।
রেস্তোরায় গেলে,বেশীর ভাগ সময় আমি একই ধরণের খাবার অর্ডার দেই,কোন ঝুঁকি নিতে রাজী নই।আমার বন্ধু মানসিক চিকিৎসার ওষুধ খাচ্ছে,ওসব নিয়ে কথা বলার কোন ইচ্ছা ছিল না আমার,ধীরে ধীরে আমিও তলিয়ে যাচ্ছি মানসিক হতাশায়,যদিও সেটা মেনে নিতে রাজী নই।ভাবছিলাম মানসিক্তা,হতাশা এসব নিয়ে কোন আলোচনা ক্রবো না,তবে শেষ্মেষ ওসব বিষয়েই আলোচনা আরম্ভ হলো।জিজ্ঞাসা করলাম,কেমন আছে সে।“আগের চেয়ে অনেকটা ভাল”,উত্তর দিল সে, “যদিও ওষুধটা কাজ করতে একটু সময় নেয়।তবে জীবন স্বাভাবিক হয়ে আসে,ফিরে আসে রং রস,কোন সন্দেহ নাই এ ব্যাপারে”।
দুঃখজনক হলেও সত্যি মানুষের মানসিক যন্ত্রনা,কান্নাও এখন চিকিৎসা বিদ্যার বিরাট উর্পাজনের আরেকটা পথ।জিজ্ঞাসা করলাম খবরের কাগজের মানসিক হতাশার উপরে একটা লেখার আলাপ আলোচনায় তার পক্ষে কি যোগ দেয়া সম্ভব? “কোন অসুবিধা হবে কেন?আজকাল ইন্টারনেটে অনেকেই তো ব্যাক্তিগত সমস্যা নিয়ে প্রায়ই আলাপ আলোচনা করে”।
কি আলোচনা করে তারা?
“নানান ওষুধের ক্ষতির প্রভাব।কেউ জানতে চায় না,অসুখের উপসগ্র,উপসগ্রগুলো কি সক্রামক,হঠাৎ করে আসে মানসিক অস্থিরতা,একঘেয়েমী,যার অস্তিত্ব ছিল না কোথাও”।
“শুধু খাওয়া,এটুকুই”।
“না,না,ওষুধের সাথে সাথে মানসিক ব্যায়ামও আছে,তবে সেগুলো কেমন কাজ করে,ও বিষয়ে সন্দেহ আছে অনেক।আমি তখনই ভাল হলাম,যখন নিজেকে বোঝাতে সক্ষম হলাম,আমার একটা সমস্যা আছে,তার চিকিৎসা দরকার”।
কিন্ত এটা কি তোমাকে সাহায্য করে না,যখন তুমি জানতে পার একা নও তুমি মনের এ যুদ্ধে।মানসিক অশান্তি,হতাশা এগুলোর আলোচনা কি অন্য মানুষদের সাহায্য করবে না”?
“একেবারেই ভুল ধারণা,তুমি যদি নরক থেকে বের হয়ে আস,সেখানে কি হচ্ছে,না হচ্ছে এটা নিয়ে কে ভাবতে চায়”?
কেন তুমি এ সমস্যা নিজের মধ্যে আটকে ছিলে,এতদিন।
“জান,আমি বিশ্বাস করিনি কোনদিন,আমি মানসিক অসুস্থতায় ভুগতে পারি।কেন না,অন্যান্য বন্ধুদের সাথে আলোচনা করলেই,সবাই বলতো একই কথা জীবনে এত সমস্যা আছে যে,
মানসিক অসুস্থতায় ভোগার সময় কোথায়।ওটা অযথার চিন্তার ফস্ল,সময়ে কেটে যাবে,ও সব দুঃশ্চিন্তা”।
আমিও নিজেকে তাই বলছি।জিজ্ঞাসা করলামঃতবুও এটা নিয়ে একটা লেখা বা ব্লগ কি সাহায্যকর হবে না,হয়তো মানুষের চিন্তাধারাটা বদলে দিতে পারে চিকিৎসার ব্যাপারে।
যদিও আমার কোন মানসিক হতাশা নাই,হয়তো সে বলতে পারে,ঐ অনুভুতিগুলো কি,কেমন?বর্ননা দিতে পারে,অন্যের বোঝার জন্যে।
বন্ধু বেশ একটু বিব্রত হয়ে গেল,ঠিক বুঝে উঠতে পারছিল না আমার উদ্দেশ্যটা।
“অনেকটা ফাঁদে পড়ে যাওয়া এক পাখীর অনুভুতি।জানা তোমার,তুমি ফাঁদে পড়ে গেছ,তবে কিছু করার নেই,শুধু বসে বসে সময় গোনা…”।
ওটাই ছিল আমার অনুভুতি দিন কয়েক আগে।একগাদা ফিরিস্তি দেয়া আরম্ভ করলো সে,তার ভাষায় “ঐ নরক”,যাদের দেখা,শুধু তারাই বোঝে যন্ত্রনাটা।বিছানা ছেড়ে ওঠাই বিরাট একটা যুদ্ধ হয়ে দাঁড়ায়,তখন।হতাশার ধাঁধাঁ নিয়ে ঘোরার কোন মানে হয় না,পৃথিবীর অনেক লোকই ভুগছে একই যন্ত্রনায়।সামনের চমৎকার খাবারগুলোর দিকে মন ফেরানোর চেষ্টা করলাম,কিন্ত খাবারগুলোয় যেন স্বাদ গন্ধ ছিল না তখন।
আমার বন্ধু অবশ্য থেমে ছিল না,বলে যাচ্ছিল তার কথা, “ঔদাসিন্য।ভান করে সবাইকে দেখানো সুখের একটা চেহারা,কোন সময় ভান করা দুঃখী ভাব,ভান করা যৌনসঙ্গমে চরম সুখের সীৎকার,ভান করা নীরস বিষয়ে আনন্দ দেখানো,ভান করে দেখানো বেঁচে থাকার আনন্দ।তারপর দেখা দেয় সেই অজানা লাল দরজা,ও দরজা খুলে ঢুকলে,ফিরে আসার উপায় নেই আর।থমকে যায় সবকিছু,কেননা অভিযোগ করা মানেই তুমি যুদ্ধ করে যাচ্ছ,হেরে যাও নি তুমি।তুমি হয়ে যাও,একটা র্নিজীব পদার্থ আর সকলের কাছে লুকানো অদ্ভুত একটা চরিত্র।খুব একটা সহজ না,সেটা”।
তোমার মতে হতাশা,মানসিক অসুস্থতার কারণ কি?
“যাই হউক,এমন কিছু না,তবুও এত প্রশ্ন কেন?তুমিও কি হতাশায় ভুগছো”?
না,না,ও সব কিছু না!
আলোচনার বিষয়টা বদলানো দরকার।আলোচনা আরম্ভ হলো রাজনীতিবিদদের নিয়ে,কদিন পর একজনের সাক্ষাৎকার নেয়ার কথা,আমার।ছোটবেলার বন্ধু,বরং প্রেমিক বলাটাই হয়তো মানানসই,অবশ্য তার হয়তো আমাকে মনে নেই আর।হয়তো মনে নেই চুমুর কথাটা,আমার স্তন নিয়ে খেলা করার পর্ব।
আমার বন্ধু আলোচনা করতে করতে বেশ কিছুটা উত্তেজিত হয়ে গেছে তখন।আমি আলোচনা,অনুভুতিকে অন্য এলাকায় নিয়ে একটু নীরব হয়ে ছিলাম।
ঔদাসিন্য।না ঐ অবস্থায় পৌছায়নি আমি এখনও।এখনও আমি অভিযোগ করি কথায় কথায়।তবে হয়তো আমিও হারিয়ে ফেলবো অভিযোগ করার শক্তিটা,হতে পারে কয়েক মাসে,কয়েক ঘন্টায় বা কয়েক দিনে।মনে হচ্ছে ধীরে ধীরে আত্মাটা ছেড়ে যাচ্ছে এই শরীরের আস্থানা ছেড়ে।
আত্মাটা ছুটে যাচ্ছে কোন এক অজানায়,কোন এক “সুরক্ষিত” জায়গায়,যেখানে তাকে যুদ্ধ করতে হবে না,রাতের ভঁয় পাওয়া মনটাকে।আমি যেন নেই আর জাপানী রেস্তোরায়,সুস্বাদু খাবারগুলো নেই আমার সামনে,আমি একটা চলচিত্রের দৃশ্য দেখে যাচ্ছি,দেখার ইচ্ছে না থাকলেও,থামানোর উপায়টা জানা নেই আমার।
ঘুম ভেঙ্গে দেখি আমি নাটকের সেই পুরোনো দৃশ্যে,হাতমুখ ধোঁয়া,কাপড়চোপড় পরে কাজের প্রস্ততি,ছেলেমেয়েদের ঘুম থেকে ওঠানো,সকলের নাস্তা তৈরী করা,হাসির একটা মুখ যা সবাইকে বলে দিবে,কি সুন্দর,সুখের এই জীবনটা।প্রতিটা মুহুর্তে,প্রতিটা চাহনীতে বিরাট একটা পাথ্র নেমে আসছে যা আমারই অজানা,আমি একটা জন্ত,যার জানা না কি ভাবে সে আটকে আছে ফাঁদে।
আজকাল খাবারে খুব একটা স্বাদ পাইনা,অযথার একটা হাসি আছে আমার মুখে,
কারও কোন প্রশ্ন না থাকে যেন,আমার কান্নার শক্তিটাও নেই র,বাইরের আলোতেও নেই উজ্জলতা।
গতকাল বন্ধুর সাথে আলাপে কোন লাভ হয়নি,ডুবে যাচ্ছি ঔদাসিন্যে,অভিযোগের ক্ষ্মতা নেই আর।কেউ কি খেয়াল করছে,আমার মনের ব্দল?হয়তো না,আমিও স্বীকার করতে নারাজ,তবে কোন একটা সাহায্য দরকার আমার।
এটা আমার সমস্যাঃআগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত,লাভাকে তার পুরোনো জায়গায় ফেরানো কি সম্ভব?নতুন গাছ লাগাও,ঘাসগুলো কেটে দাও,ভেড়া ছেড়ে দাও ঘাস খাওয়ার জন্যে।
এমনটা হওয়ার কথা না,সারাটা জীবন চেষ্টা করে গেছি,সবাইকে খুশী করার জন্যে।হঠাৎ এই অভাবিত বদল,এখন কি আর কিছু করার নেই,হয়তো ওষুধ খাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই।আজকে লেখা আরম্ভ করবো,মনোবিদ্যা,মানসিক সমস্যা,সামাজিক সাহায্য নিয়ে।
এমন না যে আমার মন আঁটকে আছে কোন চিন্তায়,বের হয়ে মনকে আয়ত্বে আনা দরকার।ভাবি না কাজের মহিলার কোন খুঁত খুঁজে বের করতে,সকালে আসে আটটায় আর ফিরে যায় সেই বিকেল পাঁচটায়,কাপড়চোপড় পরিষ্কার করা,ইস্ত্রী করা,বাজারটাও করতে হয় তাকে,রাগধ্মক ওগুলোর সুযোগ কোথায়?ছেলেমেয়েদের রাগ করাও হয় না কোন কারণে,যদি একটা দাগ থেকে যায় তাদের মনের খাতায়।
কাজে যাওয়ার সময় দেখলাম প্রতিবেশী আবার তার গাড়ী ধোঁয়ায় ব্যাস্ত।গতকালই তো লোকটা গাড়ী পরিষ্কার করলো,কৌতুহল দমন না করতে পেরে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম,কেন গাড়ী পরিষ্কার করছে আবার।
“ঠিকমত পরিষ্কার হয়নি গতকালকে”,সকালের শুভেচ্ছা জানিয়ে উত্তর দিল লোকটা, পরিবারের কুশল জিজ্ঞাসা করলো,এমন কি আমার পোষাকটারও প্রশংসা করতেও ভুললো না।
গাড়ীটা Audi,জেনেভার আরেকটা নাম Audiর দেশ।গাড়ীটা ঝকঝকে তকতকে মনে হলো যদিও,তবে কয়েকটা আবছা ময়লা জায়গায় আঙ্গুল দিয়ে বোঝালো আবার পরিষ্কার করার যুক্তিটা।কথা না বাড়িয়ে না করে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম,মানুষ কি খোঁজে জীবনে?
“খুব সহজ কথা,দেনা শোধ করা,বিরাট একটা বাগানের বাড়ী কেনা।রোববার ছেলেমেয়েসহ দুপুরের খাবারে বাইরে যাওয়া,হৈহুল্লোড় আনন্দ করা,আর অবসরের পর সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়ানো”।
সত্যিই এটাই কি শুধু মানুষের জীবনের চাওয়া?এজন্যে মানুষ ছুটে বেড়ায় সারা জীবন।এ পৃথিবী বিরাট একটা সমস্যায় ভুগছে,সেটা এশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ না।কাগজ অফিসে যাওয়ার আগে সাক্ষাৎকারটা নেয়া দরকার-জেকবের,আমার স্কুল বেলার প্রেমিক।সেটা ভেবে মনে যে উচ্ছাসে ভঁরা ছিল,তা না,কেন জানি কোন কিছুতেই উৎসাহ পাচ্ছি না আর।
সরকারী নিয়ম,আইনকানুন নিয়ে অনেক বক্তৃতা শুনলাম,এমন না যে শোনার খুব একটা ইচ্ছা ছিল,তবু শুনতে হয়,হলো।জেকবকে অপ্রস্ততকর কটা প্রশ্ন করলাম কয়েকটা,রাজনীতির মারপ্যাঁচে উত্তরটা এড়িয়ে গেল সে।বয়সে জেকব আমার চেয়ে বছর খানেকের ছোট,তবে দেখে মনে হচ্ছিল প্রায় বছর পাঁচেক ছাড়িয়ে গেছে সে আমাকে।
জেকবকে দেখে ভালই লাগলো,সে জানতে চাইলো না,আমি কেমন আছি,জানতে চাইলো না স্কুল জীবনের পরে বদলগুলো।জেকব শুধু বলে যাচ্ছিল তার জীবনের লক্ষ্য,তার এগিয়ে যাওয়ার গল্পকথা।আমি যেন জ্ঞানহীনের মত আটকে আছি আমার পুরোনোয়,সেই কিশোরী, যে দাঁতের Brace লাগিয়েও অন্যান্য মেয়েদের ঈর্ষার পাত্র।ক্লান্ত হয়ে গেলাম অনেকটা, কানটাকে নিয়ে গেলাম অন্যদেশে।
নতুন তেমন কিছু ছিল না তার কথায়,সেই পুরোনো প্রতিশ্রুতি,আয়কর কমানো হবে,আইন শৃঙ্খলার উন্নতি হবে,সীমান্ত পার হয়ে আসা ফরাসীদের থামানো দরকার(তারা নাকি সুইসদের চাকরী থেকে বঞ্ছিত করছে)।তবে কে না জানে ওগুলো প্রতিশ্রুতিই।
ঘন্টা আধেক পরে আরও কিছু প্রশ্ন করলাম,এই অনীহা কি আমার মানসিক অবস্থার প্রকাশ।না,মনে হয়,রাজনীতিবিদদের সাক্ষাৎকারের চেয়ে বিরক্তিকর তেমন কিছু নেই।হয়তো ভাল হতো,যদি কোন খুনখারাপীর ঘটনার খব্র নেয়ার জন্যে যেতে হতো,আর যাই হউক খুনীদের মধ্যে মেকী ভাব নেই।
অন্যান্য দেশের রাষ্ট্র প্রতিনিধিদের তুলনায় আমাদের প্রতিনিধিরা,একেবারেই রসকসহীন,
তাদের ব্যাক্তিগত জীবন কে আর জানতে চায়।এখানে কেলেঙ্কারীর কারণ দুটোঃড্রাগস আর জালিয়াতী।আর ঐ ছড়ায় এক পাতা থেকে আরেক পাতায়,তা ছাড়া পত্রিকায় আর্কষনীয় তেমন কিছু একটা আর থাকে না।
কার কাছে কি যায় আসে,রাজনীতিবিদদের প্রেমিক আছে কি না,তারা বেশ্যাখানায় যায় কি না?তারা কাজ করে যাবে,র্নিবাচনের প্রতিশ্রুতিতে,যতদিন কোন অপকর্ম,জালিয়াতি না করলেই হলো,আর আমরা সবাই যেন শান্তিতে থাকি।এ দেশের প্রেসিডেন্ট বদলায় বছরে বছরে,তবে জনসাধারণের র্নিবাচনে না,বেছে নেয়া হ্য়,কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে।যদিও বছরের পর বছর আলোচনা হচ্ছে গনভোটের কথা নিয়ে।
সুইস জনসাধারণ সিদ্ধান্ত নিতে খুব ভালবাসে,ময়লা ফেলার ব্যাগের রং,অস্ত্র নিয়ে বেড়ানোর অধিকার,মসজিদের মিনারের সংখ্যা,কাউকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়া হবে কি না,আরও সব এটা ওটা।
“একটু সময় দিতে হবে,স্যার”,জেকবের একজন র্নিবাচন সহকারী এসে বললো।এর মধ্যে বারকয়েক ব্যাঘাত ঘটে গেছে,এই সাক্ষাৎকারে।বেশ নম্রভাবে জেকব সহকারীকে বললো,
পরের সাক্ষাৎকারের সময়টা বদলে নেয়ার জন্যে।আমাদের পত্রিকাটা বের হয় ফরাসী ভাষায়, সুইজারল্যান্ডের নামকরা পত্রিকাগুলোর মধ্যে একটা।জেকব সাধ্যমত চেষ্টা করলো আমাকে তার বক্তব্যগুলো বোঝানোর জন্যে,আমিও তাকে বিশ্বাস করার ভান করে গেলাম।
এক্সময় উঠে বললাম,লেখার জন্যে বিষয়বস্ত যা যা সংগ্রহ করা দরকার,হয়ে গেছে,তারপর ধন্যবাদ দিয়ে ফিরে যাওয়ার প্রস্ততি নিলাম।
“আর কিছু দরকার নেই তোমার”?
অবশ্যই আছে,কিন্ত আমার তো সেটা বলার দরকার নাই।
“যদি আপত্তি না থাকে,কাজের পরে দেখা করো”।
বুঝিয়ে বললাম,কাজের পরে ছেলেমেয়েকে স্কুল থেকে নিয়ে যেতে হবে আমাকে।
ভাবছিলাম,হাতের বিয়ের আংটিটা অন্ততঃ তাকে বলে দিবে, “সময় হারিয়ে গেছে সময়ের খাতায়,পুরোনোটা হারানো এখন”।
“ঠিক আছে সময় হলে,দুপুরের খাওয়া হোক,একদিন”।
রাজী হলাম,খুব সহজেই যেন প্রলুদ্ধ হয়ে গেলাম।সান্তনা দিলাম নিজেকে,এমনটা তো হতেই পারে হয়তো বিশেষ কিছু বলার আছে জেকবের,কোন গোপনীয় তথ্য,যা হয়তো সম্পাদকের চোখে আমাকে পদ্দোনতিতে সাহায্য করবে।জেকব এক ফাঁকে উঠে হঠাৎ দরজাটা বন্ধ করে দিল,তারপর আমাকে জড়িয়ে ধরে পাগলের মত চুমু খাওয়া আরম্ভ করলো।আমিও অজান্তেই বেসামাল হয়ে গেছি তখন,থেমে থাকিনি,চুমু খাওয়া আরম্ভ করলাম,অনেকগুলো দিন হারিয়ে গেছে যদিও সেই কৈশোর ছাড়িয়ে।জেকব,যাকে হয়তো একসময় ভালবাসতাম,বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপককে বিয়ে করে সুখে সংসার করছে।আমিও তো বিবাহিত,স্বামীর আছে বাবা মার কাছ থেকে পাওয়া প্রচুর সম্পত্তি,তা ছাড়া সে বেশ কর্মঠ,আর আমার ভালবাসায় পাগল।
ভাবছিলাম ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিব জেকবকে,বলবো আমরা তো এখন আর কৈশোরে নেই,তবে আঁটকে দিল মন,বললো থাক না এটা এমন কি আর ক্ষতি হবে।শুধু নতুন একটা জাপানী রেস্তোরা খুঁজে পাইনি আমি,খুঁজে পেলাম অবৈধ একটা সম্পর্ক।নিয়ম ভাঙ্গলাম, আকাশটা ভেঙ্গে পড়েনি মাথায়,এত সুখী নিজেকে মনে হয়নি কখনও।নতুন করে স্বাধীনতার স্বাদ পেলাম যেন,সাহসের মাত্রাটা বেড়ে গেছে আমার,এটাই যেন স্বপ্ন ছিল সেই কৈশোর থেকে।
আচমকা হাটু গেড়ে বসে আমি জেকবের প্যান্ট খুলে তার লিঙ্গটা মুখে নিয়ে চোষা আরম্ভ করলাম,সে আমার চুলটা আকড়ে ধরে মাথাটাকে ছন্দে ছন্দে টেনে নাড়াচাড়া আরম্ভ করলো।
মিনিট খানেকের মধ্যে তার লিঙ্গ স্কাঙ্খলন করলো একগাদা বীর্য।
“চমৎকার,তুমি সত্যিই অভাবনীয়”।
০০০০০০০
©somewhere in net ltd.