নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
I am drunk,officer.punish me when I am sober.(Zahir ud din Muhammad,Babur)
এই লেখাটি গত সেপ্টেম্বর মাসে শুরু করেছিলাম জুলাই ও আগস্ট এর ঘটনাবলী নিয়ে, কিন্তু শেষ করতে পারি নি কারন গত দুই মাসে প্রতিদিন পরিস্থিতি বদলেছে সাথে বদলেছে আমার লেখার সাবজেক্ট। তাই বিশদ বিবরন নয় বরং আমার ভাবনাচিন্তা লিপিবদ্ধ করার জন্যই এই লেখা।
যা দেখলাম এবং ভাবলাম
আমার দেখা সবচেয়ে বড় ঘটনা জুলাই আপরাইজিং, জুলাই আপরাইজিং কেন হয়ছিলো সেটা আপনারা সবাই জানেন। কিন্তু বাঘের ঘরেই যেমন ঘোগ এর বাসা তেমনই ঘটনার পেছনেও ঘটনা থাকে। ঘটনা পেয়াজের মত একটার পর একটা পরত সবাই আলাদা আবার সবাই মিলেই পেয়াজ আবার এই পরস্পর বিচ্ছিন্ন আবার এক পেয়াজকে আবার একাধিক লেয়ারের খোসা দিয়ে একসাথে জোড়া দিয়ে রাখা হয়। এই প্রসঙ্গে কৌতুহলীরা ক্যারল অ্যান ডাফির ভ্যালেন্টাইন কবিতাটি পড়ে দেখতে পারেন। যেখানে তিনি প্রেমিকাকে গোলাপ এর বদলে পেয়াজ দিয়ে ভালোবাসতে অথবা খুন করতে চাচ্ছেন।
স্বৈরাচার পতনের পর সবার আগে যে ঘটনাটি চোখে পড়ে সেটি হচ্ছে পুলিশের উপর হামলা,যেহেতু গত ১৫ বছরে পুলিশ ছিলো সবচেয়ে দৃশ্যমান 'সরকার' তাই পুলিশের উপর ভয়ংকর ক্ষোভ থাকাটাই স্বাভাবিক এমনকি আমার এলাকায় স্বৈরাচার পতনের বহু আগেই এক পুলিশ কর্মকর্তাকে গনবিক্ষোভ এর মুখে প্রত্যাহার,আমাদের এলাকায় বদলি হবার জন্য ৮ অংকের ঘুষ লেনদেন, নারী কেলেঙ্কারি এসব তো একদম ওপেন সিক্রেট, কিন্তু সন্তানসম এক পুলিশ কর্মকর্তার কোন খোজ না পেয়ে আমার মা এর জায়নামায এ বসে কান্নাও বাস্তব। কিন্তু এই বাস্তবতা কেউ স্বীকার করবে না(অন্তত এখন)।
চাকুরীতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করা নিয়ে দীর্ঘ দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে আন্দোলন হচ্ছে। কেন এটি যৌক্তিক অথবা কেনইবা এটি অযৌক্তিক সেটি নিয়ে পক্ষে বা বিপক্ষে তেমন জোরালো কোন যুক্তি দেখিনা (কেউ যুক্তি দিতে চাইলে সেই যুক্তি অবশ্যই গবেষনা নির্ভর এবং উপাত্ত দ্বারা সমর্থিত হতে হবে), স্বৈরাচার বলেন ৩০ এর পর নাকি মানুষ বল* ও বোকাচো* হয়ে যায়(২০১৮ সালে) যদিও ১৯ সালে তিনিই নির্বাচনী অঙ্গীকারনামায় বয়সবৃদ্ধি সংক্রান্ত অঙ্গীকার করেন, তেমনি হুট করে স্বৈরাচারের সহযোগী থেকে ফেরেশতা হয়ে যাওয়া আমলা বলেন নিচে বাড়ালে উপরেও বাড়াতে হবে অর্থাৎ অবসরের বয়স ৬৫ করতে হবে যেন ক্যান্ডিল্যান্ডের সব ক্যান্ডি উনারা খেয়ে শেষ করতে পারেন।
স্বৈরাচার আমলে আর্থিক খাত নিয়ে চাপা ফিসফাস সেই ১৬/১৭ সাল থেকেই ছিলো ২৩/২৪ সাল নাগাদ যেটি কোলাহল এ রুপ নেয়। বর্তমান ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতায় আসার পর এ নিয়ে হম্বি তম্বি করলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ দেখছি না,এই উপদেষ্টা মন্ডলীর দুজন উপদেষ্টা আমার সরাসরি শিক্ষক তাই বিষয়টি আমার জন্য অতিরিক্ত হতাশার। ইরানের মত নিষেধাজ্ঞা জর্জর দেশেও যেখানে সাধারন জনগন পুজিবাজারে প্রবেশ করে দেশ ও নিজের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে পারে সেখানে বাংলাদেশে পুজিবাজার লুটপাটের একটা সুপার মার্কেট।
ব্লগে এটাই আমার শেষ লেখা তাই কিছুটা অগোছালো মনে হয়ে থাকলে ক্ষমা চাই।
আরেকটা কথা বলতে চাই, ব্লগার সোনাগাজীকে অনেকেই যুক্তি তথ্য উপাত্তের সাহায্যে কাউন্টার না করে অহেতুক আক্রমন করেন যেটি খুবই হতাশাব্যঞ্জক। আশা করি সেটি বন্ধ হবে।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৭
এইচ তালুকদার বলেছেন: ১০ বছর ব্লগিং করলেও,লিখেছি খুব কম। আর যেসব লেখা আমি লিখেছি তার প্রত্যেকটি অনেক সময় নিয়ে যথেষ্ট তথ্য উপাত্ত দিয়ে লিখেছি। ভবিষতে এরকম সময় দেয়া সম্ভব নয় বলেই বললাম শেষ লেখা।
ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৮:৩৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ১০ বছরের ব্লগিং লাইফ আপনার, হুট করেই এটা আপনার শেষ ব্লগ বলে ঘোষণা দিয়ে দিলেন!!!
ব্লগটা কি তাহলে ধীরে ধীরে মারাই যাবে?