ভয়ের কিছু নেই।বাংলাদেশে কখনো চিরস্থায়ী ফ্যাসিবাদ ও মৌলবাদ কায়েম সম্ভব নয়।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:১৩

জুলুম জিনিসটা খুবই খারাপ। শেখ হাসিনা আমৃত্যু ক্ষমতায় থাকার লোভে দেশে এক নায়কতন্ত্র কায়েম করেছেন। তিনি এমন ভাবে সরকার ও প্রশাসন সাঁজিয়েছিলেন যে, অধিকাংশ বাঙালী ধরেই নিয়েছিল হাদিনার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এর পতন সম্ভব নয়। কিন্তু ঐযে কথায় আছে বাঘের বল ১২ বছর। আমরা জোর করে ক্ষমতায় চিরস্থায়ী হতে চাওয়া একজনের নির্মম পতন দেখেছি। পতনের ১ ঘণ্টা আগেও আমরা কল্পনা করিনি ফ্যাসিবাদের পতন হবে। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক ছিলনা। যতই হাসিনার মেয়াদ স্থায়ী হচ্ছিল ততই প্রকৃত আওয়ামী লীগ তথা তৃণমূল এর ত্যাগীরা বঞ্চিত হয়ে অযোগ্য দুর্নীতিবাজরা নেতৃত্ব গ্রহণ করছিল। ভয়াবহ আকার ধারণ করছিল লুটপাট, টাকা পাচার ও দূর্নীতি। ফলে শেষ পরিণতি নির্মম পতন।

এই পতন মূলত জনতার ঐক্যের কাছে। ঘৃণ্য জামায়াত শিবির এই বিজয়ের কৃতিত্ব নিচ্ছে নির্লজ্জের মত। আন্দোলনের আগে দেশের মানুষ যদি বুঝতে পারত নেপথ্যে জামায়াত তাহলে কখনোই তারা জীবন বাজি রেখে রাজপথে আসতনা। সমন্বয়কদের যারা জাশি পরিচয় দিচ্ছে তারা তখন যদি নিজের পরিচয় প্রকাশ করত এই আন্দোলন ও বিজয় মাঠে মারা যেত। এদেশের মানুষ এর মনে ১৫ বছর ধরে যে ক্ষোভ জন্ম নিয়েছে তা ভয়ংকর রূপে ব্লাস্ট হয়েছে জুলাই বিপ্লবে।

সরকার বদলের পর মৌলবাদীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বাংলাদেশে ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্টার স্বপ্ন দেখছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ১০০ এর বেশি শিবির জানার পর দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে তাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। সাধারণ ছাত্রছাত্রীর মুখোশ পরে শিবিরের পোলাপান যে আন্দোলন করেছে তা সাধারণ ছাত্রছাত্রীর ও দেশের সাধারণ মানুষের কৃতিত্ব। হাসিনার পতনের পর সারাদেশে মৌলবাদীদের তান্ডব, মদজিদ দখন, জঙ্গিবাদ প্রচার, বিশ্ববিদ্যালয়ের হল দখল, মাদ্রাসা দখল, সং্খ্যালঘুদের নির্মম নির্যাতন, ঘরবাড়ি দোকান লুটপাট, গণপিটুনি দিয়ে মানুষ হত্যা, বিচার বহির্ভূত হামলায় ২ মাস যেতে না যেতেই দেশের সাধারণ মানুষের মনে তিক্ততা জন্ম নিতে শুরু করেছে।ড: আসিফ নজরুল এর ভন্ডামি উন্মোচিত হয়ে গেসে। ড: ইউনুছ উপদেষ্টা প্রধান থেকে সরে দাড়ালেই দেশের সাধারণ মানুষ নতুন সরকারের জন্য আন্দোলন করবে। এক পর্যায়ে নির্বাচন হবে ও বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসবে। ইতোমধ্যে দখলবাজি নিয়ে দল-শিবিরের মারামারি শুরু হয়ে গেসে।

এই দেশের সাধারণ ছাত্র জনতা ফ্যাসিবাদ কিংবা ধর্মান্ধতা ও মৌলবাদ মানবেনা। বিদ্রোহ করবেই। তাই ফ্যাসিবাদের পতনের পর যদি মৌলবাদীরা বাংলাদেশের নাম, জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত ও সংবিধান পরিবর্তন এর স্বপ্ন দেখে তবে আমি নিশ্চিত আরও একটি বিপ্লব হবে।আর সে বিপ্লবে ফ্যাসিবাদের মত মৌলবাদ এরও ভয়ংকর পতন হবে।

বাংলাদেশ মডারেট মুসলিম বেশি। এরা ধর্মান্ধতা পছন্দ করবেনা।

১৬ টি +০/-০