নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
♠ঘুমন্ত শহরে, রূপালী রাতে, স্বপ্নের ও নীল চাদর বিছিয়ে, কষ্টের শীতল আবরন জড়িয়ে আমি আছি, আছি, তোমার স্মৃতিতে ভালবাসার সরল বাধন ছিড়ে, চলে গেছ এই হৃদয়টাকে ভেঙ্গে তুমি আমি একই শহরে তবুও একাকী ভিন্ন গ্রহে। মনে পরে সেই নিয়ন জ্বলা রাতে, অনন্ত প্রেম দিয়েছি উজার করে, নিঃসঙ্গ নিশি পথিক পেছনে ফেলে পথ হেটেছি বাধা দুটি হাতে। দূর আধারের ভালবাসায় হারাতে, ছুটে ছিলাম সেই রূপালী রাতে।♠
সবাই জানেন চট্টগ্রাম আউলিয়াদের শহর। একারণেই চট্টগ্রামের ৯৭% মানুষ খুবই ধর্মপ্রাণ। এখানে রয়েছে ১২ আউলিয়ার মাজারের সাথে আরো শত শত ছোট বড় মাজার। আমার নানু বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়ায়।এই পৌরসভায় একজন বিখ্যাত আওলিয়ার মাজার। উনার নাম "হযরত শাহচান্দ আউলিয়া"। এসব মাজারে প্রতিবছর ওরশ হয়। ওরশ মানে মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ওয়াজ ও জিকিরের আয়োজন।
ওরশ এর কথা বলছিলাম। এই ওরষ গুলোর সবচেয়ে নস্টালজিয়া বিষয় হলো: ওরশ উপলক্ষে মেলা বসত। আর সারারাত ওয়াজ আর জিকিরের পর ফজরের নাম শেষ খাওয়ানো ও বিতরণ করা হলো অমৃত স্বাদের ওরশ বিরিয়ানি। এই ওরশ বিরিয়ানির স্বাদ যদি আপনি জীবনে একবার হলেও গ্রহণ করেন, তবে আমি নিশ্চিত যে - অন্য কোন আখনি বিরিয়ানি আপনার ভালো লাগবেনা।
তখন স্কুলে পড়তাম। ক্লাস এইটে। প্রেম বিষয়টি রিয়েলাইজ করা মনে হয় ক্লাস এইট থেকে শুরু। অর্থাৎ ক্লাস এইটের ছাত্র/ছাত্রীরা প্রেমে পড়তে পারে। নানু বাড়ি বাড়িতে বেড়াতে যাইতাম ওরশ উপলক্ষে। তখন ছোট ছিলাম। ফলে ছাগু ও কাঠমোল্লাদের ভণ্ডামি গুলো ধরতে পারতাম না। যাই হোক রাত্রি ১০ টার দিকে ওরশ উপলক্ষে মেলাই গেলাম। আম্মু ৫০ টাকা দিসিল। আমার খালামনিরা ৫ বোন। ১ মামা। খালাতো ও মামাতো ভাই বোনদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। মেলায় দেখা হয় আমার চেয়ে ১ বছরের ছোট মামাতো বোনের বান্ধবীর সাথে। একটি মেয়ে নেচারালি কত সুন্দর সুন্দর হয় ও তার জ্বলন্ত প্রমাণ। তেমন বেশী কথা হয়েছে তা নয় তবে এক প্রকার কেমিস্ট্রি ক্রিয়েট হয়েছিল। আজ এই পোস্টটি লেখার সময় রিয়েলাইজ করছি সেই কেমিস্ট্রিকে " ফার্স্ট সাইট অফ লাভ বলে"।
প্রকৃতির মাধুরী দিয়ে গড়া গ্রাম্য মেয়েটির দৈহিক ও বাহ্যিক সৌন্দর্য আমাদের অনেক ফার্স্ট ক্লাস ফ্যাশন মডেলের সৌন্দর্যকে হার মানায়।
সেদিন কেমিস্ট্রি হওরার পর মামাতো বোনকে কনভিন্স করে মেয়েটির বাড়ি গিয়েছিলাম। সে অসাধারণ মচমচে 'ফুলঝুড়ি' পিঠা খেতে দিয়েছিল। কি অতুলনীয় ফ্লেভারাস সে পিঠা না খাওয়াইয়া বুঝানো সম্ভব নয়।
সবাই স্মৃতিচারণ মূলক পোস্ট দিয়েছেন। মেয়েটি এখন আমার ফ্রেন্ডলিস্টে আছে। তার ছেলে মেয়েরা স্কুলে পড়ে। যে ফুলঝুরি পিঠা দেখতে পাচ্ছেন সে পিঠা সে নিজে বানিয়ে ফেবুতে আপলোড দিয়েছে। আর পিঠা দেখে আমি ফিরে গেলাম ২০ বছর অতীতে। আসলেই শৈশব ও কৈশোরের মতো সৌন্দর্য আর কিছুই নেই।
[এই পোস্টটি প্রতিযোগিতার জন্য নয়। খুব বেশী অসুবিধা ও ঝামেলা না থাকলে আমি ব্লগে প্রতিদিন একটি করে পোস্ট লিখি। এটি আমার ১৮৫ তম পোস্ট। ১ম ও ৩য় ছবি 'মৃত্তিকা'। চচট্টগ্রাম আসলে ওদের ওরশ বিরিয়ানি টেস্ট করতে পারেন। ৩০% অরিজিনাল অরশ ফ্লেভার প্সবেন ]
০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:১১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমি চাই আমার সব প্রিয় ব্লগার আমাদের গ্রামের মসজারের বার্ষিক ওরশে আসুক। ওরশ বিরিয়ানির ভুড়ি ভোজ হোক। সাথে জমজমাট আড্ডা।
২| ০৮ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:২৫
ধুলো মেঘ বলেছেন: ওরশের বা ওয়াজের বিরিয়ানী সময়ে রান্না হয়, সময়ে খাওয়া হয় - এইজন্য স্বাদ লাগে। মোড়ে মোড়ে গলিতে যেসব বিরিয়ানী রান্না হয়, তা একদিন রান্না করে তিনদিন খাওয়ায়। তিন দিন পরে যা রয়ে যায়, তা আবার পরেরদিনের নতুন বিরিয়ানিতে এ্যাড করে দেয়, তাই আসল স্বাদ পাওয়া যায়না।
০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:১৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কথাটি পুরাপুরি সত্য নয়।
মোড়ে মোড়ে অলিতে গলিতের বিরিয়ানির কথা জানিনা, তবে 'মামুনারে? চাঁটগাইয়া হানা চলিবুনা? ' নামক একটি বিরিয়ানির দোকানে রাত ১০ টার পর গেলে ওরশ বিরিয়ানি পাবেন না। এর আগেই শেষ হয়ে যায়।
৩| ০৮ ই জুন, ২০২৩ সকাল ১০:১৮
আমি সাজিদ বলেছেন: মৃত্তিকা চট্রগ্রামের কোথায়?
০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:১৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এটা ক্যাটারিং সার্বিস। এটি চট্টগ্রামের দেওয়ান হাটে।
৪| ০৮ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:০১
মোগল সম্রাট বলেছেন:
ওরশ চট্রগ্রামের ঐতিহ্য । বহু বছর আগে বোয়ালখালী থানায় কোন এক মাজারের ওরশে গিয়েছিলাম। মাজারের পীর/আউলিয়ার নামটা মনে নাই্। বিরানি খাইছিলাম মনে আছে।
তবে কোন এক চিপায় কে বা কারা গাঞ্জা টানছিলো তা দেখলাম না। খালি গাজার উৎকট গন্ধ পাচ্ছিলাম। তখন ভাবছিলাম এমন পবিত্র জায়গায় কারা উহা সেবন করে?
ওরশের কোন ম্মৃতি বলতে এই টুক।
০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:১৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ওরশের সাথে গাজার একটা নিবিড় সম্পর্ক আছে। মাইজভাণ্ডারীর মাজারের নাম তো শোনেছেন। চট্টগ্রামের ফটিক ছড়িতে। ওখানে আমার ফুফুর শ্বশুর বাড়ি। প্রতিবছর ওরশে আমি যাই। ওখানে আমার এক কলেজ মেয়ে বন্ধু আছে রীয়া নাম। ওর সাথে মিলে গাজা টানি ওদের ছাদে। সেই লেভেলের ফীল।
৫| ০৮ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:০৫
রাজীব নুর বলেছেন: ওরশ করে সমাজের কি কি উপকার হয়?
আজকাল ক্লাসের ফাইভ সিক্সের ছেলেয়ে প্রেম ট্রেম করছে।
এই বয়সে এসে আমি অনুভব করি, ধবধবে ও ঝরঝরা সাদা ভাতের চেয়ে সুন্দর আর কিছু নাই।
০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:১৯
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সমাজের কোন উপকার হয়না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:২২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আসলেই শৈশব ও কৈশোরের মতো সৌন্দর্য আর কিছুই নেই।
একদিন ওরশে যেতে হবে বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য।