নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
♠ঘুমন্ত শহরে, রূপালী রাতে, স্বপ্নের ও নীল চাদর বিছিয়ে, কষ্টের শীতল আবরন জড়িয়ে আমি আছি, আছি, তোমার স্মৃতিতে ভালবাসার সরল বাধন ছিড়ে, চলে গেছ এই হৃদয়টাকে ভেঙ্গে তুমি আমি একই শহরে তবুও একাকী ভিন্ন গ্রহে। মনে পরে সেই নিয়ন জ্বলা রাতে, অনন্ত প্রেম দিয়েছি উজার করে, নিঃসঙ্গ নিশি পথিক পেছনে ফেলে পথ হেটেছি বাধা দুটি হাতে। দূর আধারের ভালবাসায় হারাতে, ছুটে ছিলাম সেই রূপালী রাতে।♠
ব্লগে আমাকে কিছু ব্লগার পছন্দ করেন কিছু ব্লগার অপছন্দ করেন। অবশ্য এতে আমি মহা খুশি। একজন মানুষ কখনই সকলের পছন্দের হতে পারেনা।যে সবাইকে খুশি করে চলে তার মধ্যে বিরাট সমস্যা আছে। সে ফেক ও ডাবল ফেসিং হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। আমার প্রতিটি লেখা সাম্প্রদায়িক ও ধর্মান্ধ মানসিকতার লোকদের বিপক্ষে। আমি ৭ জনকে ব্লক করছি সম্প্রতি। কারণ এরা নিজেদের আমার প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করিয়ে নিজেদের সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী হিসেবে পরিচয় করিয়েছে। না হলে ধর্মান্ধতা সাম্প্রদায়িকতা মৌলবাদের বিপক্ষে লিখলে তাদের জ্বলবে কেন?
কালো বা ফর্সা বলে কিছু নেই।প্রতিজনই মানুষ। গায়ের রঙ কালো হলেই হীনমন্যতায় ভোগার কিছু নেই। কনফিডেন্ট লেভেল হাই হলে ও উচ্চ শিক্ষিত হলে একটি কালো রঙ এর মেয়েকেও অতুলনীয় লাগে ছবিটি তার প্রমান। কালো মেয়েদের বিয়েতে পন বেশী দেয়া লাগে। কালো মেয়ে জন্ম দেয়া যেন একটি অপরাধ। ছবিতে মাহি।
অধিকাংশ মৌলবাদী নারী স্বাধীনতার বিপক্ষে। তারা চায়না ওরা চাকুরী করুক। কয়েকদিন আগে তারেক জিয়া কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট দিলে তাদের শরীক দল জামাতের নোংরা মানসিকতার কর্মীরা গালাগালি শুরু করে, শাহাবাগী বলে তিরস্কার করে। শেষ পর্যন্ত তারেক জিয়ার পেজ থেকে এডমিন পোস্টটি ডিলিট করে জামাতিদের খুশী করে চরম সাম্প্রদায়িক মানসিকতার বহি:প্রকাশ ঘঠায়।এই নোংরা মৌলবাদীরা নারীদের দাসী বানিয়ে রাখতে চায়। তাদের জন্য এই পোস্ট।
রাতে খাবারের পর, বারান্দায় গিয়ে সিগারেট খাচ্ছি, হঠাত দেখি সামনের বিল্ডিং এর রেলিং এ একটা কালো বিড়াল। অন্ধকারে চোখ গুলো জ্বলছে। বউ বললো 'আজকে বিপদ হতে পারে, আয়াতুল কুরসি পড়,কালো বিড়ালে জ্বিন ভর করে। অমঙ্গল হবে।' হেসে উত্তর দিলাম। তুমি একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, আধুনিক মেয়ে।এগুলো বিশ্বাস কর? সাদা বা লাল বিড়াল লোকে পছন্দ করে কালো বিড়াল কে অমঙ্গলের প্রতিক মনে করে।কি অদ্ভুত!
ছোট বোন সামিরা খান মাহি ফেসবুকে একটা ভিডিও আপলোড করেছিল। সেখানে সে বলেছে - "অন্যান্য কালারের মত ব্ল্যাক ও একটা কালার, ড্রেস কিনতে গেলে, গাড়ি কিনতে গেলে ব্ল্যাক চুজ করে, অথচ কালো মানুষের ক্ষেত্রে যত সমস্যা! কালোতে কি সমস্যা! কোরান শরীফ এর অক্ষরের কালারও কিন্তু কালো। কালো সাদা দিয়ে মানুষের সৌন্দর্য নির্ধারণ করা বন্ধ হোক '
সৌন্দর্য বলতে কে কি বুঝে আমি জানিনা। আমার কাছে সবচেয়ে বেশী সুন্দর সে, যার সাথে আমি কথা বলতে, আড্ডা দিতে, সিগারেট শেয়ার করতে, মন খারাপের কারণ শেয়ার করতে কমফোর্ট ফীল করি।যার সাথে একান্তই নিজের ব্যাক্তিগত বিষয় গুলো শেয়ার করতে সিকিউর ফীল করি। আমাদের দেশে একজন মানুষকে মূল্যায়ন করা হয় রূপ সৌন্দর্য এবং আর্থিক অবস্থা দিয়ে। অথচ সে পৃথিবীর সেরা মানুষ যার মনে হিংসা নেই। যে স্রষ্টার সকল সৃষ্টিকে ভালোবাসে। আমাদের দেশের লোকজন গায়ের রঙ কে সৌন্দর্যের নির্ধারক মনে করে। গায়ের রঙ ফর্সা হলে সুন্দর ভাবা হয়, ফর্সা না হলে কালো বলা হয়।কি লোটলোকী কারবার!
"এই যে সুন্দর মানে গায়ের রং সাদা বা ফর্সা হতে হবে, এই ধারণা মূলত এসেছে আমাদের কলোনিয়াল লিগেসি থেকে। কারণ ভিক্টোরিয়ান সৌন্দর্যের যে সংজ্ঞা তাতে গায়ের রং খুব গুরুত্বপূর্ণ। গায়ের রং সাদা হবে, নাক চোখা হতে হবে। চোখ নীল হলে আভিজাত্য আরো বাড়ে। এবং সৌন্দর্যের ধারণার ক্ষেত্রে আমরা কখনো কলোনিয়াল লিগেসি থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করিনি, বরং সেটা ক্রমে আরো বিস্তৃত হয়েছে।"
সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, "মিশ্র জাতিগোষ্ঠী হবার কারণে এ অঞ্চলের মানুষের শারীরিক বৈশিষ্ট্য সকলের একই রকম নয়। গায়ের রং এবং উচ্চতার বিচারে যেমন পার্থক্য আছে, তেমনি অমিল আছে চোখ ও নাকের আকৃতিতেও।আর দ্রাবিড় শংকর জাতি হওয়ার কারণে, এ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষের গায়ের রং বাদামী বা গাঢ় কালো।প্রথমত সেজন্যই যাদের গায়ের রং উজ্জ্বল মানে যারা দেখতে ফর্সা, তারা শতশত বছর ধরেই সমাজে কদর পেয়ে আসছেন।"
ওহে মৌলবাদী আমাদের দেশের অধিকাংশ মেয়ে কালো। যে সমাজ বা দেশ কালো বলে একটি মেয়েকে চরম অপমান করে, তিরস্কার করে, তারা যদি পড়ালেখা করে নিজের পায়ে না দাঁড়ায়, নিজে রোজগার না করব তবে এই দেশের গায়ের রঙ দিয়ে সৌন্দর্য নির্ধারণকারীরা ওদের এত অপমান করবে যে ওরা সহ্য করতে না আত্নহত্যা করতে বাধ্য হবে।
২৩ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এরা বুঝে না যে, সুন্দর কালো হয়, সুন্দর ফর্সা হয়, সুন্দর শ্যামলা হয়। একজন স্মার্ট কনফিডেন্ট মেয়ে মাত্রই সুন্দর।
২| ১২ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:১৯
নতুন বলেছেন: ভাই ফরশা নারীদের দেখতে ভালো লাগে এটা অস্বীকার করার উপায় নাই।
আমি দুনিয়ার মোটামুটি সকল জাতী/বর্ন/দেশের মানুষদের কাছ থেকেই দেখছি কর্ম জীবনে।
এটা অস্বীকার করার উপায় নাই যে ফরসাদের দেখতে কালোদের চেয়ে আর্কষনীয় লাগে। তাই যদি কেউ ফরশা নারীদের পছন্দ করে তাকে খারাপ মানুষ বলা উচিত না।
যদিও জীবন সঙ্গীনী বানাতে ভালো মনের মানুষ খোজা উচিত। হেলেন অফ ট্রয়ও পরকিয়া করে ছিলো, স্বামী সন্তান নিয়ে সুখী ছিলো না। তাই সুন্দরী হলেই সব কিছু ঠিক হবে সেটা ঠিক না।
আরেকটা জিনিস হলো কনফিডেন্স। সমাজের উচিত নারীদের ককনফিডেন্স বাড়ানোর জন্য কাজ করা। সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে কালো মেয়েরা হীনমন্যতায় ভোগে। যেমনটা সাচু ভাই উপরে বলেছেন। সবাইকে শারিরিক সৌন্দয্যের জন্য বিচার না করে ব্যক্তিত্বের উপরে নজর নেওয়া উচিত।
আরেকটা ব্যাপার হইলো যদি মেয়েরা কালো রং নিয়ে হিনমন্নতায় না ভোগে তবে রং ফরসাকারী কসমেটিকসের বিক্রি কমে যাবে। তাই এই ব্যবসার সাথে জড়িতো সবাই এই বিষয়টা জিইয়ে রাখতে চায়।
২৩ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: একটি মেয়ে ফর্সা কিন্তু মানসিকতা কুৎসিত তাহলে সঙ্গী হিসেবে পেলে পুরা লাইফটাই হেল।
৩| ১৩ ই মে, ২০২৩ ভোর ৬:৪৯
কামাল১৮ বলেছেন:
ছেলে হোক বা মেয়ে হোক গুনগত বৈশৈষ্ট হলো আসল বৈশিষ্ট।
২৩ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সহমত।
৪| ১৩ ই মে, ২০২৩ সকাল ৯:২৫
ধুলো মেঘ বলেছেন: কালো মেয়েদের কনফিডেন্স বাড়বে কি করে? কোন মুভি বা মিডিয়া কালো মেয়েদের প্রমোট করেনা। মহাভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র দ্রৌপদীর গায়ের রঙ ছিল কালো। কিন্তু কালো বলেই তার আকর্ষণ কিন্তু কম ছিলনা। তাকে বিয়ে করার জন্য স্বয়ম্বর সভায় প্রায় সব রাজ্যের রাজপুত্রদেরই আগমন ঘটেছিল। তাকে পাওয়ার জন্য পান্ডবপুত্র অর্জুনকে খুব কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়।
কিন্তু মিডিয়ার দৈন্যতা দেখুন। এ পর্যন্ত মহাভারত নিয়ে যে কয়টি মুভি ও সিরিয়াল তৈরি হয়েছে, তার একটাতেও কিন্তু দ্রৌপদী চরিত্রে কোন কালো মেয়েকে নেয়া হয়নি। কারণ তাতে কালো মেয়েদের মার্কেট ভ্যালু একটু বেড়ে যেত - যেটা মিডিয়ার জন্য ক্ষতিকর হত। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া দেশের সিনেমায় খুব একটা গ্রহণযোগ্যতা পায়নি তার গায়ের রঙয়ের জন্য। অথচ সে খুবই ট্যলেন্টেড একজন অভিনেত্রী।
২৩ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সাদা চামড়া নিয়ে রমরমা বানিজ্যের নির্মম দৃষ্টান্ত ফুটিয়ে তুলেছেন মন্তব্যে।
৫| ১৩ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: কালো সাদা নিয়ে আমি কোনোদিন ভাবি নাই।
ঠিক তেমনি হিন্দু মুসলমান নিয়েও আমি কোনো দিন ভাবি নাই। আমার কাছে মানুষের আসল পরিচয় সে 'মানুষ'। এই মানুষ সাদা না কালো। অথবা হিন্দু না মুলসমান সেটা কোনো বড় বিষয় না।
২৩ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নেই।
৬| ১৩ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৩
শাওন আহমাদ বলেছেন: আমার দেখা অধিকাংশ কালো মেয়েরাই গুণবতী এবং আমার ক্রাশ খাওয়া ১০০ জনের মধ্যে ৯৯ জনই কালো। সবাই আলোকিত হোক নিজের ভেতরের আলো দিয়ে বাইরের রঙ দিয়ে নয়।
২৩ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কালো মেয়েরা ভালো মানুষ হয়।
৭| ১৩ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:২৭
মৌন পাঠক বলেছেন: কন্যে দায়গ্রস্থ পিতা
এর পরে আসে কৃষ্ণ বর্ণের দায়গ্রস্থ পিতা
২৩ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কি নির্মম!
৮| ২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:১২
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: একটি মেয়ে ফর্সা কিন্তু মানসিকতা কুৎসিত তাহলে সঙ্গী হিসেবে পেলে পুরা লাইফটাই হেল।
আমি সেটা বলেছি। যে হেলেন অফ ট্রয়ও স্বামী সন্তান ছেড়ে প্রেমিকের হাত ঘরে ঘর ছেড়েছিলো।
ভালো মানুষ খুজে বিয়ে করা জ্ঞানী মানুষের কাজ। সুখী জীবন যাপন করতে পারবে তারা।
কিন্তু ফর্সা মানুষ দেখতে সুন্দর লাগে এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নাই। তাই কাউকে এই পছন্দের জন্য খারাপ চিন্তার মানুষ বলা যাবেনা।
২৩ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:২৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ঠিক।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কালো মেয়েরা মুলত হীনমন্যতার কারণে নিজেকে অসুন্দরভাবে। অনেক কালো মেয়ে আছে বেশ সুন্দর। কারণ সৌন্দর্য বলতে শুধু গায়ের রঙ বুঝায় না। ব্যক্তিত্বের কারণে এই সৌন্দর্যকে আরও বাড়ানো যায়। কিন্তু আমাদের সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে কালো মেয়েরা হীনমন্যতায় ভোগে। এই মেয়েদের ভালো গাইড প্রয়োজন যেন তারা হীনমন্যতায় না ভোগে। আসলে সুস্থ সবল যে কোন মানুষই সুন্দর (ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে)। শারিরিক সৌন্দর্যের সাথে ব্যক্তিত্বের মিশ্রণ ঘটাতে জানতে হবে। তাহলেই মানুষ আকৃষ্ট হবে।