নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
♠ঘুমন্ত শহরে, রূপালী রাতে, স্বপ্নের ও নীল চাদর বিছিয়ে, কষ্টের শীতল আবরন জড়িয়ে আমি আছি, আছি, তোমার স্মৃতিতে ভালবাসার সরল বাধন ছিড়ে, চলে গেছ এই হৃদয়টাকে ভেঙ্গে তুমি আমি একই শহরে তবুও একাকী ভিন্ন গ্রহে। মনে পরে সেই নিয়ন জ্বলা রাতে, অনন্ত প্রেম দিয়েছি উজার করে, নিঃসঙ্গ নিশি পথিক পেছনে ফেলে পথ হেটেছি বাধা দুটি হাতে। দূর আধারের ভালবাসায় হারাতে, ছুটে ছিলাম সেই রূপালী রাতে।♠
কয়েকদিন ধরে হোমপেজে অনেকের চোখে পড়ে থাকবে যে, একটি বাংলা নাটকে "হিমুর" চরিত্রে অভিনয় করেছে মোশাররফ করিম। মোশারফ করিম একজন শক্তিমান অভিনেতা কোন সন্দেহ নেই। তবে কিছু কিছু চরিত্র আছে যা অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা ফুটিয়ে তুলতে অক্ষম। হুমায়ূন আহমেদ এর উপন্যাসের দুই জনপ্রিয় ও নন্দিত চরিত্র 'হিমু ও মিসির' আলীকে বাস্তবে পরিপূর্ণ ভাবে ফুটিয়ে তুলা সম্ভব বলে মনেও হয়না।এই চরিত্র গুলোকে শুধু উপন্যাসে মানায়। কেউ সেসব চরিত্রে অভিনয় করতে গেলে পারফেকশন আসবে বলে মনে হয়না।
দেশ টিভিতে হিমুকে নিয়ে একটি নাটক প্রচারিত হয়েছিল। নাটকটির নাম - আমি হিমু হতে চাই। নাটকে হিমু উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি চরিত্র থাকলেও, ('বাদল, বড় চাচা, বড় আপা' ইত্যাদি") কোথায় যেনো অসম্পূর্ণ। হিমু পড়তে আমার কখনো এক/দুই রাতের বেশী সময় লাগেনি।।বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন সময়ে কখন 'হিমু আসবে' অপেক্ষায় থাকতাম। আমি আসলে উপন্যাস পড়ি না। শুধু হিমু ও মিসির আলী পড়তাম।
মোশারফ করিমকে হিমু সাঁজে একটুও মানায়নি মনে হলো। এমনকি হিমু নামক যে চরিত্রটি আমাদের নস্টালজিক করে, মনের মধ্যে হিমু স্টাইলে জীবন অতিবাহিত করার জন্য আবেগাক্রান্ত করতো সে হিমুর সাথে, হিমুকে নিয়ে নির্মিত নাটকের হিমু চরিত্রটি অনেক অনেক অমিল। অনেকে চেষ্টা করার পরও হুমায়ুন আহমেদ এর মতো লিখতে পারেন নি। কিছু কিছু সাহিত্যিক ২য় বার জন্ম নিবেন না। হিমু ও মিসির আলীর মতো চরিত্র গুলো কেউ জন্ম দিতে পারবেন না।
আর এসব অসাধারণ অতুলনীয় অকল্পনীয় চরিত্রে কেউ অভিনয় করতে গেলে তা ভুল হবে। কিছু কিছু চরিত্র শুধু হুমায়ুন আহমেদ এর উপন্যাসেই মানায়। অন্য কেউ লিখতে গেলে, সৃষ্টি করতে গেলে, সে চরিত্রে অভিনয় করতে গেলে তা যে কিছুই হয়না যারা নাটকটি দেখেছেন তাদের বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে এটা সত্য কেউ যদি হুবহু হিমুর মতো অভিনয় করতে পারে অবশ্যই আমি খুব উপভোগ করবো।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: উপন্যাসের চরিত্র গুলো পারফেকটলি ফুটিয়ে তোলা আসলে বেশ কঠিন।
২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- হুমায়ূন ফরিদি মিসির আলি হিসেবে অভিনয় করেছিলেন। আমার মনে হয় একমাত্র হুমায়ূন ফরিদিই মিসির আলি হিসেবে মানানসই ছিলেন, আর কেউ নয়।
- হিমুকে ফুটিয়ে তোলা কার পক্ষে সম্ভব হবে এখনো মাথায় আসছে না। তবে মোশারফ করিম যত ভালো অভিনেতাই হোক হিমু হয়ে উঠতে পারবে না। পাঠকের মাথায় হিমুর যে ছবি আছে সেটা মোশারফ করিমএর সাথে যায় না।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হুমায়ুন ফরিদী আসলে একজন লেজেন্ড ও কিংবদন্তী অভেনেতা। যেকোনো চরিত্রের মধ্যে ডুবে গিয়ে চরিত্রটিকে জীবন্ত করে তুলতে তার জুড়ি নেই।
৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৭
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: হিমু , মিসির আলী , শুভ্র.... এরা উপন্যাসে থাকলেও কল্পনায় নিজের মতো করে তৈরী করেছি। এদেরকে সেলুলয়েডে আটকালেও কল্পনার মত হবে না।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আপনার সাথে সহমত পোষণ করছি।
৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: মশাররফ করিমকে একটুও মানায় নি।
আমার মনে হয় হিমু চুরিত্র টি আমি পারফেক্ট ভাবে করতে পারবো।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আপনি আইনার সামনে দাঁড়িয়ে প্রথমে প্রাকটিস করুন। তারপর পারফেকশন আনুন। তারপর ভিডিও করে ইউটুবে আপলোড দিন। তারপর ব্লগে শেয়ার করুন। আমরা দেখি।
৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৪
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: হিমু অসাধারণ অতুলনীয় চরিত্র নয়, একটি জগাখিচুড়ি চরিত্র। সুন্দরভাবে আবোলতাবোল বলে যেকোনো ভালো অভিনেতাই হিমুর ভালো অভিনয় করতে পারার কথা।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আপনার সাথে দ্বিমত পোষণ করছি।
৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১২
রানার ব্লগ বলেছেন: কালজয়ী যে কোন চরিত্র কে ফুটিয়ে তোলা কঠিন।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন।
৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪১
বাকপ্রবাস বলেছেন: কেমন যেন খাপছাড়া মনে হচ্ছিল মোসাকে
১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হ্যাঁ মানায়নি, মোশারফ হিমু পড়ছে বলে মনে হয়না। স্ক্রিপ্ট পড়ে অভিনয় করার চেষ্টা করেছেন ফলে পারফেকশন আসেনি।
৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
হুমায়ন বেঁচে থেকে হিমু চরিত্রের জন্য অভিনেতা নির্বাচন করলে সঠিক হতো; বাকিদের গুলো ভালো হতেও পারে/নাও পারে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: উনি তো কিছু কমন অভিনেতা অভিনেত্রীর বাইরে যেতেন না।
৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২১
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আসাদুজ্জামন নূর মনে হয় একবার হিমুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন । যদিও হিমুর চরিত্র হলো মিশেল একটি চরিত্র তবুও কেন যেন কাউকেই মানায় না এই চরিত্রে !!
১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫২
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আসাদুজ্জামান বাকের ভাই চরিত্রটি অতুলনীয়।
১০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫০
নেওয়াজ আলি বলেছেন: মোশারফ করিম এমনিতে অভিনয়ের ভিতর অভিনয় করে
২০ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:১২
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আসলে হুবুহু হিমুর মতো অভিনয় করা সম্ভব নয়।
১১| ২০ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ৩:২৮
সোনাগাজী বলেছেন:
এই চরিত্রে অভিনয় কি বন্ধ করে রাখার দরকার?
২০ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: না করলে পারফেক্টলি করবে। শুধু শুধু হিমু চরিত্রে অভিনয় করার নামে ম্যাও প্যাও করা দরকার কী ?
১২| ২০ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২২
বিটপি বলেছেন: একটা চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে হলে আপনাকে দেখতে হবে যে ঐ চরিত্র দিয়ে আপনি কি প্রতিষ্ঠিত করতে চান। সঞ্জয় লীলা বানসালী একজন রনবীর সিংকে দিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত ক্যারেক্টারের দুটি চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছিলেন - বাজিরাও পেশওয়া এবং আলাউদ্দিন খিলজি। এর মধ্যে খিলজি চরিত্রটি হল একজন দুশ্চরিত্র, কাপুরুষ, লম্পট মুসলিম সুলতানের যার নজর বিধর্মী নারীদের দিকে বেশি যায় - যুদ্ধ বা রাজনীতির চেয়ে যে কিনা মদ আর নারীর নেশায়ই বেশি ডুবে থাকতে পছন্দ করে। বীরত্বের বদলে প্রতারণাই যার যোগ্যতা।
অপরদিকে বাজিরাও হল একজন বীর মারাঠা রাজা যার বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে মুসলিম নারীও তার প্রতি আকর্ষিত হয়। তার লোভ না আছে নারীতে, না আছে রাজত্বে। অন্যান্য অসহায় রাজাদের সাহায্যে তিনি বিনা স্বার্থে এগিয়ে আসেন।
একই অভিনেতা কিভাবে এই বিপরীতমুখী চরিত্র পারফেক্টলি ফুটিয়ে তুলতে পারলেন? কারণ এখানে পরিচালকের একটি বড় লক্ষ্য ছিল। আর তা হল হিন্দু চরিত্র আর মুসলিম চরিত্র কিরকম তা যাতে দর্শকদের মনে একদম গেঁথে যায় - সেটা নিশ্চিত করা। পরিচালক সঞ্জয় লীলা বান্সালী এই হিসেবে আমার কাছে এক অসাধারণ পরিচালক। উনি জানেন কাকে দিয়ে কি করে নেয়া যায়।
আমার এতগুলো কথা বলার উদ্দেশ্য হল এই যে, কোন অভিনেতা পারবেনা চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে। একজন যোগ্য পরিচালক পারবে অভিনেতার কাছ থেকে চরিত্রকে বের করে আনতে।
২০ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কটি চরিত্রের মধ্যে ডুবে যাওয়া ছাড়া সে চরত্র হুবুহু ফুটিয়ে তোলা অসম্ভব।
১৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৩
নতুন বলেছেন: একটা ছবি/নাটক তৌরির আগেই সেটা পরিচালকের মাথায় থাকে।
তিনিই চরিত্রের জন্য অভিনেতা ঠিক করেন। তাকে দিয়েই চরিত্রটা ফুটিয়ে তুলতে হয়।
হিমু, মিসির আলি খুবই জনপ্রিয় চরিত্র সবার নিজের মতন করে একটা কাহিনি তৌরি করে সেটার কাছা কাছি যাওয়ার জন্য পরিচালকের অনেক মুন্সিয়ানা দরকার।
২০ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন নতুন ভাই।
১৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: চলার পথে মানুষ কাউকে কাউকে অনুসরন করে বা কেউ কেউ কারো অনুকরনে সেভাবে নিজেকে গড়ে তুলতে চায় । তবে যে যত চেষ্টাই করুন না কেন কেউ কারো মত শতভাগ একই রকম হতে পারেনা।
কারন, একেক জন মানুষ আকৃতি-প্রকৃতি-স্বভাবে একেক রকম । কেউ কারো মত নয়।
২০ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৯
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হিমু যদি হুমায়ুন আহমেদ হিমু বা মিসির আলী বানাতেন তবে পারফেকশন আসতো। তিনি হয়তো জানতেন এই চরিত্র গুলো নাটক সিনেমায় ফুটিয়ে তুলা সম্ভব নয়, তাই বানান নি।
১৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: আসলে হিমু চরিত্রটা এমন যে মানুষ সেটা সত্যিকার ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারবে না ।
২০ শে নভেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সঠিক।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩০
শায়মা বলেছেন: না সম্ভব না।
শুধু হিমু কেনো দেবদাস, শ্রীকান্ত, ধ্রুব, অমিত কারো চরিত্রেই কখনও কেউ সঠিকভাবে অভিনয় করতে পারবে না। কারণ আমরা যখন কোনো উপন্যাস পড়ি তখন আমাদের একেক জনের মনে একেক রকম চেহারা ভেসে ওঠে। তা বেশিভাগ সময় লেখকের কল্পনায় না মিলতে পারে।
আমি মনে মনে ভাবতাম পার্বতী একটু গুল্লু গাল্লু চেহারার মেয়ে। আমার বোন ভাবতো পার্বতীর চেহারাটা বোকা বোকা আর সিনেমার ঐ পরিচালক ভাবলো পার্বতী ছিপছিপা বেতসলতার মত।