নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জামাত শিবির,ধর্মান্ধ মোল্লা ও একটি নির্দিষ্ট ধর্ম বিদ্বেষী মুক্ত ব্লগ।আপনার প্রতি আমি কেমন ব্যাবহার করব তা আপনার আচরণের উপর নির্ভর করবে।সত্য মিথ্যা যাচাই না করে অন্যের কথার উপর ভিত্তি করে যদি আমার উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন,তাহলে আমার বন্ধু হওয়ার দরকার নেই।

মোহাম্মদ গোফরান

♠ঘুমন্ত শহরে, রূপালী রাতে, স্বপ্নের ও নীল চাদর বিছিয়ে, কষ্টের শীতল আবরন জড়িয়ে আমি আছি, আছি, তোমার স্মৃতিতে ভালবাসার সরল বাধন ছিড়ে, চলে গেছ এই হৃদয়টাকে ভেঙ্গে তুমি আমি একই শহরে তবুও একাকী ভিন্ন গ্রহে। মনে পরে সেই নিয়ন জ্বলা রাতে, অনন্ত প্রেম দিয়েছি উজার করে, নিঃসঙ্গ নিশি পথিক পেছনে ফেলে পথ হেটেছি বাধা দুটি হাতে। দূর আধারের ভালবাসায় হারাতে, ছুটে ছিলাম সেই রূপালী রাতে।♠

মোহাম্মদ গোফরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী বিদ্বেষীদের পক্ষে বাংলাদেশের মেয়েদের থামানো কি সম্ভব?

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৪


ছবিতে তানজিয়া জামান মিথিলা।


ফ্যাশন দুনিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ও বিশ্ব নন্দিত আসর 'প্যারিস ফ্যাশন উইক'। ঐতিহ্যবাহী প্যারিস ফ্যাশন উইকের এবারের আয়োজন বেশ জমকালো। করোনাকালীন পৃথিবীর অনেক জনপ্রিয় ফ্যাশন শো এর আয়োজন বাতিল করতে হয়েছিল। ২০২২ এর আসর যেমন ছিল জমজমাট তেমন পোশাকের ডিজাইনের ভিন্নতা। পৃথিবীর যে সব বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনাররা রঙ নিয়ে খেলেন তারা অপেক্ষা করে থাকেন এই প্যারস ফ্যাশন উইকের জন্য। ফেব্রিক, নকশা, ম্যাটেরিয়াল ও কাটের ব্যবহার রীতিমতো দ্বিধায় ফেলে দেয় ফ্যাশন বোদ্ধাদের।পৃথিবীর বিখ্যাত সব মডেল, বিখ্যাত সব ফ্যাশন ডিজাইনার আর ফ্যাশন বোদ্ধা ও ফ্যাশন সচেতনদের এই মিলনমেলা সত্যি অসাধারণ।

প্যারিস ফ্যাশন উইকে যারা যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে ভারতের বিখ্যাত নায়িকা দীপিকাও ছিলেন। দীপিকার অনেকগুলো বিশেষত্বের মধ্যে একটা হলো ওকে যেকোন পোশাকে মানায়। গোটা দুনিয়ার বিখ্যাত ফ্যাশন ব্রান্ড লুই ভিতোঁর ব্রান্ড এম্বাসাডর হওয়া কতোটা সম্মানের বলার অপেক্ষা রাখেনা।

এইবার বাংলাদেশের একজন র‍্যাম্প ও ফ্যাশন মডেলও প্যারিস ফ্যাশন উইকের মঞ্চ আলোকিত করেন। ওর নাম তানজিয়া জামান মিথিলা। ওর ক্যাটওয়াক কতো অসাধারণ তা ওর র‍্যাম্পে হাঁটা যারা দেখেছে তারাই শুধু অনুধাবন করতে পারবেন। প্যারিসের বিখ্যাত ফ্যাশন ব্রান্ড পিয়েতু কতুরের ড্রেস প্রদর্শন করে মিথিলা।

দীপিকাদের মতো দুনিয়া কাঁপানো সেলিব্রিটিরা যেখানে হেটে সম্মানিত অনুভব করে সেখানে পৃথিবীর সেরা সেরা সেলিব্রিটি মডেলদের সাথে যখন বাংলাদেশেরও একজন থাকে তখন তা সত্যি বাংলাদেশকে গর্বিত করে।বাংলাদেশের নারীরা আসলে সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। শত প্রতিবন্ধকতা ওভারকাম করে জয়/সম্মান ছিনিয়ে আনা ঠেকানো নারী বিদ্বেষী কথিত হুজুরদের পক্ষে সম্ভব নয়। পৃথিবীর বুকে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র উড়ানোব যে জয়যাত্রা শুরু হয়েছে তা বিরামহীন ভাবে চলবে।একজন বোরখা পড়া মেয়েকে দেখলাম কাঁধে বক্স ঝুলিয়ে পান সিগারেট বিক্রি করছে। সবাই তার কাছ থেকে কিনছেও। দৈনিক লাভ ৪০০ টাকা।তার ভাস্য রক্ত চোষা গার্মেন্টস এ চাকরির চেয়ে এটা অনেক ভালো। নারী রিক্সা ওয়ালা, চাওয়ালা, ভ্যান ওয়ালা, ট্যাক্সি ওয়লা থেকে শুরু করে এভারেস্ট এর চূড়া কিংবা প্যারিস ফ্যাশন উইকের মঞ্চ সবখানে নারীবিদ্বেষী দের উচিত জবাব দিচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ইহা অতি পজিটিভ একটি দিক।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:





মোল্লারা বোধ হয় এগুলো দেখতে পায় না!!! ;)

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইকে বোরখা পড়া মেয়েদের ক্যাটওয়াক এটা প্রমাণ করে যে, ফ্যাশন মানে হলে পৃথিবীর যে মানুষ যে পোশাক পড়ে কমফোর্ট বা যে পোশাক যার জন্য মানানসই তাই ফ্যাশন।

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:






হালিমা এডেনের সাহস আছে!!!! বিকিনি কন্টেস্টের মাঝেও হিজাব!!!

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আসলে এসব কনটেস্ট এ ফ্যাশন ডিজাইনাররা নিজ নিজ পোশাক প্রদর্শন করে। বিকিনি নাকি বোরখা তা মূখ্য নয়।

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: দেখুন, সবারই মা-বোন-স্ত্রী রয়েছে সুতরাং কেউ "নারী বিদ্বেষী" কিভাবে হতে পারে তা আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্কের বাইরে। আর আমি ঐ ধারনার সাথে একমত কখনোই পোষণ করি না বা কো ধরনের তর্কে বা আলোচনায় যেতে ইচ্ছুক নই।

আপনি যাদের নাম উল্লেখ করেছেন, তাদের চেয়েও যোগ্যতাসম্পন্ন এবং সুশ্রী মেয়ে বাংলাদেশেই রয়েছে তবে তারা সবাই হয়তো ফ্যাশন উইকে গিয়ে ওভাবে হাটতে চাইবেন না বা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন না। মডেলিং, অভিনয় সবার জন্য নয়। শালীনতা বজায় রেখে যেকোন কাজ করা যেতে পারে। আমাদের দেশের সমাজটা মূলত রক্ষণশীল, মুসলিম প্রধান দেশ এখানে এটা নিয়ে দ্বিমত থাকার অবকাশ নেই। পাশ্ববর্তী দেশে চলচ্চিত্র, গান-বাজনা যতটা সামাজিকভাবে স্বীকৃত এবং সমাদৃত আমাদের দেশে ততটা নয় তার কারনও ঐ রক্ষণশীলতা।

ব্যক্তি স্বাধীনতার বিষয়টা কখনো কখনো সামাজিক মূল্যবোধের সাথে সাংঘার্ষিক হতে পারে আর সমস্যা সেখানেই। নারীর স্বাধীনতার ভাবনা যেন শুধু পোশাকে আর নগ্নতায় আটকে না থাকে, নারীরা তাদের যোগ্যতা, মেধা-মনন দিয়ে এগিয়ে আসুক, শরীর-স্বর্বস্ব ধারনা থেকে বেরিয়ে আসুক, জ্ঞান-বিজ্ঞানে নিজেদের মেধার পরিচয় রাখুক দেশের পতাকা তুলে ধরুক এটাই চাওয়া।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ইফতেখার ভাই,
দেখুন আমি চা ওয়ালি নারীর কথা বলেছি, এভারেস্ট জয় করা নারীর কথা বলেছি। আমি প্যারিস ফ্যাশন উইকে বাংলাসেশী এক মেয়ের কথা উদহারন হিসেবে টেনেছি। ফ্যাশনের মঞ্চে নগ্নতা বলে কিছু। এসব মডেলদের যদি আপনি বোরকা পড়ে র‍্যাম্পে হাটতে বলেন তাও পারবে আবার শর্টস পড়ে হাটতে বললেও পারবে।

কেউ যদি ফ্যশনের জন্য কোন ড্রেস পড়ে কিন্তু মগজে নগ্নতা নেই তা নগ্নতা নয়। বরং কেউ হিজাব পড়ল কোন মন ও মগজে অপবিত্রতা ও নোংরা চিন্তাভাবনা। আমি মনে করি তাই নগ্নতা।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: নারী কে কেউ জোর করে হিজাব বা ওয়েস্টার্ন না পড়াক এটাই চাওয়া।

৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৩

নতুন বলেছেন: পুুরুষেরা চায় নারীরা তাদের কথামত চলুক।

একজন অর্থনৈতিক ভাবে স্বনির্ভর নারীর চেয়ে আরেকজন সল্পশিক্ষিত নারীকে নিয়ন্ত্রন করা খুবই সহজ।

তাই অনেক পুরুষেরা চায়না নারী স্বনির্ভর হউক, বেশিরভাগই আবার ধর্মকে ব্যবহার করে নারীকে নিয়ন্ত্রনের জন্য।

পুরুষরা যখন নারীদের নিজেদের সমান ভাবতে শুরু করবে তখন এই নারী বিদ্বেষ থাকবেনা।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে দ্বিমত হওয়ার কোন অবকাশ নেই।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: নারীরা অর্থনৈতিক ভাবে স্বাধীন হলে হুজুররা তাদের কৃতদাসী বানাবে কি করে?

৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৭

কামাল৮০ বলেছেন: থামাতে পারবেনা কিন্তু বিলম্বিত করবে।বাংলাদেশ পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন কোন দেশ না।বিশ্বের সাথে চলতে না পারলেও পিছে পিছে চলতে হবে।উল্টোদিকে চললে ধ্বংস হয়ে যাবে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধর্মান্ধ নারী বিদ্বেষীরা আমাদের নারীদের শিক্ষা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন করে গৃহ বন্দী করে রাখতে চায়।এদের এসব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।

৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০০

সোনাগাজী বলেছেন:


৩২ বছর বাংলাদেশ চালায়েছেন ২ জন নারী; এখনো লাখ লাখ কিশোরী মেয়ে 'চাকরাণী ও ঝি" হয়ে আছে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: খালেদাজিয়া বুঝেনা মৌলবাদীদের নিয়ে ক্ষমতায় গেলে এই নারী বিদ্বেষীরা একদিন তাঁকেই দুনিয়া থেকে বোমা মেরে উড়িয়ে দিবে।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বি এন পি পন্থিরা এখন বিএনপি করে নাকি জামাত করে বলা কঠিন।

৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সামুতে নারী বিদ্বেষী কে কে আছে?

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১৭

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ব্লগার সোনাগাজী, রাজীব নূর, নূর মোহাম্মদ নূরু, মোহাম্মদ গোফরান, কামাল ৮০, হাসান কালবৈশাখী, রানার ব্লগ, নতুন, শূন্য সারমর্ম প্রমূখ।

৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৫

সোনাগাজী বলেছেন:



বেগম জিয়াকে এনেছিলো ও চালায়েছে মিলিটারী ও ব্যুরোক্রেটরা; উনি লোভে পড়ে এসেছিলেন; জামাতও লাভবান হয়েছিলো, দেশকে ডুবায়ে গেছেন। শেখ হাসিনার সাথেও মানুষের কোন ধরণের বন্ধন নেই আজ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মিলিটারী দের নিয়ে কিছু বললে বিম্পি জামাতের জ্বলে

০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: শেখ হাসিনা যাদের আপন মনে করেন তাদের অধিকাংশই প্রতারক

৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:৪৬

মেহরাব হাসান খান বলেছেন: প্রশ্নের উত্তর পেলাম কই!

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৪৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কামাল৮০ বলেছেন: থামাতে পারবেনা কিন্তু বিলম্বিত করবে।বাংলাদেশ পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন কোন দেশ না।বিশ্বের সাথে চলতে না পারলেও পিছে পিছে চলতে হবে।উল্টোদিকে চললে ধ্বংস হয়ে যাবে।

১০| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৩:০৪

শার্দূল ২২ বলেছেন: গোফরান ভাই আপনি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লেখেন সেটা আমার ভালো লাগে। কারণ আমাদের ধর্মের সুন্দর দুটো চোখ ছিলো, ৪শত বছর পর কিছু মানুষ মিলে সেই ধর্মের চোখ কানা করে দেয়, সেই থেকে গত ১১শত বছর আমাদের ধর্ম অন্ধ হয়ে গেছে। যদিও জন্মগত অন্ধ না হলে চক্ষু দানে নতুন চোখ লাগানো যায় তো সেই চক্ষু দিতে যারা কোরাণ এবং মেধার ব্যবহার করে ধর্মের অন্ধত্বতা গুছানোর চেষ্টা করছে তাদের কে এক শ্রেনী ধর্মের ঠিকাদার কাফের মুশরিক নাষ্তিক ট্যাগ লাগিয়ে ধর্ম থেকে দুরে ঠেলে দিচ্ছে। যেমন দিয়েছিলো ইসলামের স্বর্নালী যুগে, নামি দামি জ্ঞানি গুনি ডাক্তার গানীতবিদদের তখনকার মোল্লারা কাফের মুশরিক ফতোয়া দিয়ে ইসলাম জগৎ থেকে বের করে দেয় আর সেই সব গুনি জ্ঞানি মানুষ গুলোর আবিষ্কার কে কাজে লাগিয়ে মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে অন্য দেশ ধর্ম জাতি। দুনিয়াতে একটা দেশ আপনি দেখাতে পারবেনা যে তারা কাপড় খুলে আর পেছিয়ে দেশ মানুষের ভাগ্য বদল করেছে। কিংবা ফ্যাশন শোতে ক্যাট ওয়াক করে । যতগুলো দেশে আজ উন্নতির শিখরে তা শুধু আবিষ্কার, প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং তার ব্যবহার।

দেশের বা ধর্মের মুখ উজ্জল হোক সেটা আমিও চাই সবাই চায়। কিন্তু দেশের নাম ছড়ানোর কি আর কোন সুন্দর দিক নেই? ফ্যশন শো নিয়ে আমার সমস্যা নেই। কারো খোলা শরীর নিয়েও আমার সমস্যা নেই আবার সুবিধাও নেই। একটা শ্রেনী যেমন মুর্খের সামনে টান মেরে কাপড় খুলে ফেলে দেয় আবার সেই মুর্খরাই এক বস্তা কাপড় এনে নারীকে জড়িয়ে পেছিয়ে নিঃশ্বাস বন্ধ করে দেয়। কাপড় খোলা আর পরাতে দেশের ধর্মের কিছু আসে যায় না । বিশ্বের সিংহভাগ মানুষ মেনে নিয়েছে যে কিছু মানুষ দুনিয়াতে থাকবে তারা শুধু কাপড় খুলবে আর পড়বে। আর আমরা আমাদের লজ্জা নিবারণে ব্যস্ত থাকবো।

গোফরান ভাই মানুষের কি হয়ে গেলো বলেনতো? পোষাক যদি বুঝে তো তার আবার স্বাধীনতা কি? পোষাকের আবার স্বাধীনতা কিভাবে হয়? পোষাকের সাথে একটা শব্দই শুধু যায় সেটা হলো শালীনতা।

দেশে গেলে শুনি অনেকেই ইউরোপ আমেরিকার উপমা দেয়,এখানে নাকি নারীকে মুল্যায়ন করে ,স্বাধীনতা দেয়। এরাই নাকি একমাত্র নারীর সঠিক মুল্যায়ন করে। একদম ভুল, সারা আমেরিকায় ডেমোক্রেটের তমুল জনপ্রীয়তার মধ্যেও শুধু মাত্র হিলারী নারী হবার কারণে হেরেছে। ঠিক ৪ বছর পর ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে জো বাইডেন ক্ষমতায়। এই দেশে কোন পুরুষ নারীকে উচ্চ ক্ষমতায় দেখতে চায়না। এই দেশে নারী স্বাধীনতা শুধু বিছানায়। একটা নারী রাত দুপুরে খালি গায়ে যেখানে সেখানে যার তার ঘরে বিছানায় যেতে পারবে সেই নিশ্চয়তা নিরাপত্তা পুলিশ দিবে। কিন্তু সেই নারী সমাজের উচ্চ আসনে বসে সেই পুরুষ পুলিশকে নিরাপত্তার জন্য পিছনে হাটাতে পারবেনা।

শরীর আর কাপড় খোলা ছাড়া কি নারীর আর কোন কাজ নেই,? নারী কি এতটাই পন্য হয়ে গেলো? কেন ভুলে যায় মানুষ এই নারীর সংসারের সমাজে দেশের কত রকম ভুমিকা রাখে সেটা কি তারা জানেনা? যাদের অবদানে এই পৃথিবী আজ প্রযুক্তির শিখরে সেই মানুষ গুলের শিশুকালের হাতে খড়ি কিন্ত এই মা নারীটাই। এভাবে আমাদের চারপাশে কোটি কোটি নারী আছেন যারা পোষাকের শালীনতা রেখেই দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। কোন ডাক্তার ইন্জিনিয়ার মেয়েকে দেখবেননা পোষাক নিয়ে আন্দোলন করে রাস্তায় বসে আছে। সেই সব শালীন নারী গুলো নিরবে সংসার সমাজ দেশ নিয়ে ভেবে কাজও করে যাচ্ছে। তারা না হাটছে ফ্যাশন শো এর উচু আইলে না ব্লাউজ খুলে বসে আছে রাস্তায়।

এই ব্লগেই দেখেননা। যারা সত্যি মেধাবী তারা কি করছে। এখানে সাহিত্য চর্চা করছে। গল্প কবিতা দিয়ে নীরবে আমাদের মনের খোরাক দিয়ে যাচ্ছে শালীনতায় থেকে। তাদের দেখবেননা কাপড় খুলে পোচ কিংবা পোষ্ট দিচ্ছে।

সব শেষে বলি - কাপড় খোলা আর পেছানো নিয়ে বসে থাকবেননা। সমাজে দুটো মুর্খ পরিবার থেকে কিছু গাধা গাধি বেড়িয়ে আসবে ।কিছু কাপড় খুলে আর কিছু কাপড় পেছিয়ে। এদের কাধে বোঝা তুলে দেন ,ওদের কাধে নিয়ে হাটবেননা।

শুভ কামনা

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৪৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কিছু সময় পরে উত্তর দিচ্ছি ব্রাদার।

১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৩:১৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
নারী বিদ্বেষী?
আমার দাদা মেয়েদের শিক্ষার জন্য জমিদানসহ , স্কুলের প্রতিষ্ঠার জন্য অগ্রনী ভুমিকা রেখেছিলেন। সব আমার মা সহ সব চাচীরা চাকুরী করেছেন , তিনি বাঁধা দেননি। তবে পোশাক এবং চলাফেরায় রেস্টিকশন ছিল।
তবে হ্যাঁ, আমার মা চাচী ফুফুরা যে বাড়ির থেকে বের হতেন তাদের মাথায় এমনিতেই নিজেদের সন্মান এবং সেই পরিবারের সন্মান মাথায় ছিল। এই জিনিসটা এমনিতে আসেনা।

বলা বাহুল্য, আমার দাদা বাপ চাচা নারী বিদ্বেষী ছিলেন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৫০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সবার মা বোন আছে। সবার জন্ম একজন নারীর গর্ভ থেকে। এদের প্রতি ছোটলোক গুলো কিভাবে বিদ্বেষ পোষণ করে বুঝে আসেনা।

১২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৩:২৪

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
আমার ছোটফুফু প্রেগন্যান্ট অবস্থায় একটা গার্লস স্কুলের শিক্ষকতা করেন গেছেন বিনা বেতনে, কারণ হুট করে ঐ স্কুলে শিক্ষক সংকট দেখা দেয়। দাদা বাঁধা দেন নি। দাদার মাথায় নারী শিক্ষা বড় ব্যাপার ছিল। তিনি নিজেও শিক্ষক ছিলেন।
আমার দাদা এলাকায় 'পীর সাহেব' নামেই পরিচিত ছিলেন এবং আছেন। দাদার লম্বা দাঁড়ি ছিল, টুপি পরতেন, নামাজ পড়তেন, পড়াতেন। মাওলানা নুরুল ইসলাম। এক নামেই পরিচিত। ৭১ সালে বসত বাড়ি পুড়িয়ে দেয় পাক হানাদাররা।


বলা বাহুল্য, আমার দাদা নারী বিদ্বেষী ছিলেন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৫২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আগে এতো ভয়াবহ অবস্থা ছিলোনা। এখন হুজুরগো ওয়াজ আর সোস্যাল মিডিয়ার এক্টিভিটিজ দেখলে মনে হয় নারীর জন্ম হয়েছে আসবাব পত্রের মতো বোরখা পরে গৃহিওবধু হয়ে অবস্থান করার জন্য।

১৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৮

অপ্‌সরা বলেছেন: এই লাল জামাটা আমার অনেক ভালো লেগেছে তাই + :)

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১৬

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন:
ড্রেসটি পড়ে মিথিলা রানী সাঁজছে প্যারিস ফ্যাশন উইকের মঞ্চে।

১৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০১

অপ্‌সরা বলেছেন: শার্দূল আর ইফতেখার ভাইয়ার কমেন্টেও + আর প্লাস তোমার ৭ নং উত্তরে হা হা হা :D

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: তাঁদের মন্তব্যের কয়েকটা লাইনের ক্ষেত্রে আমার কিছু বক্তব্য আছে। ইফতেখার ভাইকে অলরেডি প্রতিউত্তর দিয়েছি। শার্দুল ভাই কে বাসায় ফিরে দিব।

আপনার মন্তব্যের ২য় অংশঃ বুঝতে হবে। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.