নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
♠ঘুমন্ত শহরে, রূপালী রাতে, স্বপ্নের ও নীল চাদর বিছিয়ে, কষ্টের শীতল আবরন জড়িয়ে আমি আছি, আছি, তোমার স্মৃতিতে ভালবাসার সরল বাধন ছিড়ে, চলে গেছ এই হৃদয়টাকে ভেঙ্গে তুমি আমি একই শহরে তবুও একাকী ভিন্ন গ্রহে। মনে পরে সেই নিয়ন জ্বলা রাতে, অনন্ত প্রেম দিয়েছি উজার করে, নিঃসঙ্গ নিশি পথিক পেছনে ফেলে পথ হেটেছি বাধা দুটি হাতে। দূর আধারের ভালবাসায় হারাতে, ছুটে ছিলাম সেই রূপালী রাতে।♠
ছবিতে যাকে দেখতে পাচ্ছেন ওর নাম 'মিথিলা'। দেশের জনপ্রিয় আন্তর্জাতিক মানের ফ্যাশন মডেল। ঈদ এবং পূজায় ফটোশ্যুট এর একটা উৎসব চলে।ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি বেশ রমরমা থাকে। ছবিটি মিথিলা ইনস্টাগ্রামে আপলোড দিসে দেখে পূজা নিয়ে একটা স্মৃতি ব্লগে শেয়ার করতে ইচ্ছা হলো। একজন এর পোষ্ট পড়ে খারাপ লাগলো। মডেলরা নাকি লেন্স পড়ে চোখ গুলো কুকুরের মতো করে। মডেলদের প্রতি কতোটা হিংসা বিদ্বেষ ঘৃণা থাকলে এমন কটাক্ষ করতে পারেন একজন মানুষ! অথচ সত্যটা হলো মডেলরা পোশাকের সাথে মানানসয় মেকাপ নিয়ে থাকে। ফ্যাশন ডিজাইনার ও ফ্যাশন ডিরেক্টর এর দিক নির্দেশনা অনুসারে একজন মডেলকে গেট আপ নিতে হয়/সাঁজতে হয়। বিনিময়ে দেয়া হয় মজুরি বা অনারিয়াম। আরেকজন বললেন বিনোদন জগতের সেলিব্রিটি দের যারা তারকা বলে তারা বলদ। তারাকা মানে হলো রিমার্কেবল। কোন নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে যখন কেউ নাম করেন তখন তাকে তারকা হিসেবে সম্বোধন করি। শুধু মাত্র ভিন্ন ধর্মের বা ভিন্ন মতাদর্শের হওয়ার কারণে হিংসা বিদ্বেষ পোষণ করা নিন্দনীয় ও নোংরা।
তখন আমি এইচ এস সি প্রথম বর্ষের ছাত্র।সে সময়ের ঈদ/পূজার আনন্দটা এখন নেই। ছোটদের কাছে হয়তো আছে। যত বড় হই আমরা যেন আনন্দের পরিমাণ কমে যায়। আমার এক হিন্দু কলেজ বন্ধু ছিল। ওর নাম মুক্তা রয়।পূজা আসলেই ওর কথা আমার মনে পড়ে। কিছু শিল্প আমার আয়ত্বে আছে। তার মধ্যে একটি হইল 'আমি খুব ভালো ঢোল বাজাতে পারি'। কনজার্ভেটিভ ফ্যামিলি না হওয়ায় প্রতিবছর মুক্তাদের পাড়ার পূজা মন্ডপে যাওয়া আমার কখনো মিস হয়না। এখনো যাই। ৭মী ৮মী ৯মী তিন দিন সন্ধ্যার পর আমি যাবই ওদের মন্ডপে। পূজায় ঢোলের তালের সাথে নাছ আমার অসাধারণ লাগে। আমি ঢোল বাজানো শিখেছিলাম মুক্তার কাছ থেকে। একটি মেয়ে এতো অসাধারণ ভাবে ঢোল বাঁজাতে পারে ওকে না দেখলে বিশ্বাস হতোনা। আমার সব বন্ধুরা একটা ক্ষেত্রে সবার থেকে আলাদা। তা হলো হিংসা - বিদ্বেষ - মুক্ত অসাম্প্রদায়িক। পৃথিবীর কোন ধর্ম অন্য ধর্মকে অসম্মান করার শিক্ষা দেয় না। শুধু হিন্দু বা মুসলিম হওয়ার জন্য যারা কাউকে আঘাত করে তারা আসলে জঙ্গি।
এই মুক্তা রয় এর প্রতি প্রেমে পড়ার (যদিও সে আমার পরিবারের সদস্যের মতই, এবং বন্ধুত্ব খুবই পবিত্র) কারণ হলো না বলা পর্যন্ত পৃথিবীর কারও পক্ষে সে হিন্দু না মুসলিম(পড়ুন লবালছা) আইডেন্টিফাই করা অসম্ভব। পূজার সময় ও এতো সুন্দর করে শাড়ি পড়ে উপরে দেয়া মিথিলার মতো দেখায়। এতো ক্লাসি করে সাঁজে যে দেখেই ক্রাশ না খাওয়ার কোন অপশনই নেই। মুক্তার সাথে পূজার সময় ঘুরতে যাওয়া আমি কখনোই মিস করিনি। কাল ওর সাথে দেখা হবে প্রতিবছরের মতো। ওর সাথে চা-বিড়ি খাওয়ার মতো নস্টালজিয়া অনুভূতি আর কিছুই হতে পারেন।
হিন্দু ভাই বোনদের জানাই "শারদীয় দুর্গা পূজার শুভেচ্ছা "
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আপু এটা আইস টুডে মেগাজিনের ফটোশ্যুট। মিথিলা আপলোড দিসে ইনস্টাতে। শাড়ির ডিজাইন দেখে মনে হচ্ছে প্রিয়ালির হবে।
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হাতের উপর যেটা রাখছে ওটা আরেকটা শাড়ি। জাস্ট স্টাইলিং এর জন্য।
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৫
অপ্সরা বলেছেন: প্রিয়ালি কি চিটাগং এর শাড়ি শপ?
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: না।ঢাকার।
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৫
অপ্সরা বলেছেন: আরে এটা তো আমাদের পিংক সিটিতে।
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: প্রিয়ালি এবং রঙ বাংলাদেশের শাড়ি সত্যি সুন্দর।
৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঢাক, ঢোল, তবল- এগুলো বাজানো বেশ কঠিন কাজ। আমার অবশ্য খুব ইচ্ছে বাঁশি আর বেহালা বাজানো শিখব।
০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০২
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: যে শিল্পটা আপনি রপ্ত করতে চান সে শিল্পের প্রেমে পড়তে হবে প্রথমে।
৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আমি বেশ কয়েক বার পূজায় গেছি।
কয়েক বার আমি পূজার সময় প্রায় সারা রাত নারায়ণগঞ্জের প্রায় সবকটি পূজামন্ডপে গিয়ে দেখেছি।
যদিও ইসলাম এটি সমর্থন করে না।
এখন অবশ্য যাওয়া হয়না, তবে সেটি ইসলামের কারণে নয়। বরং গরম, হাঁটার কষ্ট ও একঘেয়েমির জন্য।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৪১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ দস্যু ভাই।
আসলে ইমানটা তো হৃদয়ে। শিরক টা না করলেই হইল।রাসুল সঃ তো অনেকবার ইহুদিদের দাওতাত গ্রহণ করেছেন, দাওয়াত দিয়েছেন।
পূজায় ভিড় এর মধ্যে হাটতে পেইন। আমি তো হাটিনা। মুক্তার সাথে ঘুরি গাড়িতে। ও বিভিন্ন মন্ডপে যায়। আমি শুধু ওদের মন্ডপে যাই। চট্টগ্রামের জেমসন হলে প্রচন্ড ভিড় থাকে। অন্য পূজা মন্ডপ গুলোতে তেমন ভিড় সহ্য করতে হয়না।
৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:০৯
কামাল৮০ বলেছেন: বহুবার পূজার সময় কলকাতায় ছিলাম।দুর্গা পূজা কলকাতায় দেখার মতো।গনেশের বড় পূজা হয় দিল্লী।দক্ষিন ভারতে হয় হনুমানের পূজা।সব পূজাই দেখা।
গান বাজনার প্রতি আকর্ষণ ছিলো।গানের স্কুলে,নাচের স্কুলে ভর্তি হয়েও ধর্যের অভাবে শেষ করা হয় নাই।তবে আপনা গুরুর মতো গুরু পেলে হয়তো কিছুটা উন্নতি হতো।
পূজা আসছে হয়তো মুর্তি ভাঙ্গা শুরু হবে।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৩১
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বাঙালী বড় উৎসব প্রিয়। ফলে কলকাতার পূজা ভারতে বেশ আকর্ষণীয়। পূজা উপলক্ষে কত শত বিলিয়ন টাকার বিজনেস কলকাতায় হয় তার সঠিক হিসেব জানিনা। আসলে কোন কিছু শিখতে হলে লেগে থাকতে হবে। হাল ছাড়া যাবে না। লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই। আবশ্যই প্রিয় বন্ধু যদি গুরু হয় তবে শেখা সহজ হয় অনেক।
৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩৪
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ধমান্ধ আর ধর্ম ব্যবসা দুইটি দুই ব্যাপার। তবে দেশ ধর্মান্ধ দ্বারা কতোটুকু ক্ষতিগ্রস্ত জানি না, ধর্ম ব্যবসায়ী দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত এটি চিরন্তন সত্য। বিশ্বে যতো ধর্ম আছে সব ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করার লোকজন আছে। কবর নিয়েও ব্যবসা করার লোকজন আছে। সংখ্যালঘু ধর্ম ব্যবসা ভয়ংকর।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ ঠাকুর মাহমুদ ভাই। মন্তব্যের বক্তব্যের সাথে সহমত জানাচ্ছি।
৮| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৭
বিটপি বলেছেন: কেবল মনের ভেতরের ঈমানের দোহাই দিয়ে মন্ডপে যাওয়াকে জাস্টিফাই করা যাবেনা। কুরআনে মূর্তিপূজাকে শয়তানের কাজ বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে এবং এসব থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। তার বিন্দুমাত্র ঈমান আছে, সে সম্প্রীতি দেখাতে প্রয়োজনে চার্চে যাবে, কিন্তু মূর্তিপূজা হয় - এরকম কোন অনুষ্ঠানের ধারে কাছেও যাবেনা। পূজা করতে তো আর যাইনা - এরকম অজুহাতে কুরআনের আদেশ অগ্রাহ্য করা যাবেনা।
ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কেউ পুজা করছে আমি সেখানে গেলে আমি হিন্দু হয়ে যাব এটা আসলে আমি বিশ্বাস করিনা।
৯| ০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩২
নতুন বলেছেন: ধর্মের দিক থেকে অন্য ধর্মের অনুস্ঠানে যোগ দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা খুবই যৌক্তিক একটা বিষয়।
আপনি যখন সব ধর্মের মানুষের সাথে চলবেন তখন আপনি ধর্মের বিধান কম মানতে শুরু করবেন।
মানুষ যদি ধর্মের বিধান না মানে আস্তে আস্তে প্রভাব হারাবে।
তাই যারা কট্টর ধর্মিক তারা ধর্ম মতে ঠিকই বলে। কিন্তু যারা ধর্ম কম মানে তারা সকল ধর্মের মানুষের সাথে চলতে পছন্দ করে। এরাই পরিবর্তন আনবে।
বর্তমান সমাজে কিছু ধর্মব্যবসায়ীরা মানুষের মাঝে বিভেধ তৌরি করছে নিজেদের সুবিধার জন্য।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০৯
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধর্মব্যবসা একটা জঘন্য কাজ।
১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৩৪
বিটপি বলেছেন: পূজা মন্ডপে গেলে আপনি হিন্দু হয়ে যাবেন না - খুবই সত্যি কথা। কিন্তু কুরআনের আদেশ মানতে অস্বীকার করা কুফুরী। তাহলে আপনি কুরআনের নিষেধ অগ্রাহ্য করলেন। মানে কাফের হয়ে গেলেন। এটা তো মানবেন?
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:০৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আপনি চিটাগাং কখন আসবেন আসবেন বলে তো আসলেন না।
১১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৪
বিটপি বলেছেন: চিটাগাং তো আমি প্রায়ই যাই। আমি বছরে যতবার চিটাগাং যাই, অতবার নিজের গ্রামের বাড়িও যাইনা।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমার সাথে দেখা করেন না কেন তাহলে?
১২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৬
বিটপি বলেছেন: ব্লগের কারো সাথে আমি দেখা করিনা। এটা পরিচয় গোপন রাখার জায়গা - গোপন থাক। দেখা হয়না তো কি? সব কথাই তো বলা হয়।
০৫ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৪০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হুম এনোনিমাস।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৩
অপ্সরা বলেছেন: এই শাড়ি দেখে আমি মুগ্ধ!!
একদম পূজা পূজা শাড়ি।
তবে দুইটা শাড়ি মনে হচ্ছে।
হাতের উপরেরটা বাদ দিলে বাকী শাড়িটা সুন্দর!
কাদের শাড়ি এটা?