নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
♠ঘুমন্ত শহরে, রূপালী রাতে, স্বপ্নের ও নীল চাদর বিছিয়ে, কষ্টের শীতল আবরন জড়িয়ে আমি আছি, আছি, তোমার স্মৃতিতে ভালবাসার সরল বাধন ছিড়ে, চলে গেছ এই হৃদয়টাকে ভেঙ্গে তুমি আমি একই শহরে তবুও একাকী ভিন্ন গ্রহে। মনে পরে সেই নিয়ন জ্বলা রাতে, অনন্ত প্রেম দিয়েছি উজার করে, নিঃসঙ্গ নিশি পথিক পেছনে ফেলে পথ হেটেছি বাধা দুটি হাতে। দূর আধারের ভালবাসায় হারাতে, ছুটে ছিলাম সেই রূপালী রাতে।♠
রাজশাহীর একটি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ভাত রান্না করার চিত্র।
বিঃদ্রঃ পোস্টে মাল্টি/ছাইয়া/হিংসুক/নিন্দুক/গালিবাজ কমেন্ট করলে ডিলিট করে দেয়া হবে।
সারাদিন পুরা শহরে থেমে থেমে গুটি গুটি বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির মাজেই বেঁচে থাকার তাগিদে যন্ত্রের মতো কাজ করছে মানুষ। বৃদ্ধ রিক্সাওয়ালা রিক্সা নিয়ে বের হয়ে গেসে ফজরের নামাজের পরেই। সিএনজি চালক, পাঠাও চালক, দোকানী, দিনমজুর, ব্যবসায়ী,কেউ থেমে নেই। সবাই হাড্ডি ভাঙ্গা পরিশ্রম করছে পরিবারের মুখে ২ বেলা খাবার তুলে দেয়ার জন্য। ধর্মে নাকি আছে মানুষ যখন পরিবারের জন্য রোজগারের জন্য ঘর থেকে কাজ করতে বের হয়, তখন বের হওয়ার পর থেকে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত নাকি প্রার্থনা হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়। হওয়াটাই যৌক্তিক। কাজ করে প্রিয় মানুষের মুখে, পরিবারের মুখে দুবেলা খাবার তুলে দেয়ার মতো পূন্যের কাজ আর কিছু হতে পারে না।
প্রতিদিনের মতো নগরীর জিইসি মোড়ে আজও টঙ এ চা-বিড়ি খাচ্ছি। আমি নিজেও খেটে খাওয়া।পাশেই একজন হিন্দু মধ্য বয়ষ্ক ভদ্রলোক, যিনি একটি হসপিটালের ইনচার্জ।বন কলা খাচ্ছেন। স্বাভাবিক ভাবে যে কেউ যে কোন কিছুই খেতে পারেন নিজ পছন্দ মতো। কিন্তু খারাপ টা লাগলো যখন, তার আরেক সহকর্মী এসে ওনাকে বললেন, ভাই আপনি যান, বিল আমি দিচ্ছি, আমি লাঞ্চে ভাত খাবো, আপনি চাইলে আমার সাথে খেতে পারেন। মৃদু হেসে ভদ্রলোক না না আমি তো দুপুরে খাইনা বলে চলে গেলেন। এর পর সহকর্মীকে টঙ ওয়ালা জিজ্ঞেস করলেন,
ভাই ১১০০ টাকা বাকি ওনার। আজ ১২ তারিখ। আপনাদের বেতন দেয়নি?
দিসে তো। বেতন ৪ তারিখেই দিসে।
তারপর টং ওয়ালে উদ্দেশ্য করে সহকর্মী ভদ্রলোক যা বললেন তা আমার খুব খারাপ লাগছে। ভদ্র লোকের বেতন ২৫০০০ টাকা। একটি মাত্র ছেলে। ছেলেটির বয়স ৫ বছর।জন্মের ৫ মাস থেকে কোন একটা অসুখে ভোগসে। প্রদীপ সাহেবের উপর মা-বাবা স্ত্রী-সন্তান-উনি মিলে ৫ জনের ভরণপোষণের রেসপনসেবলিটি। তিনি কোন দিন দুপুরে ভাত খান নি, এই কারণে নয় যে, তার খেতে ইচ্ছা করেনা, তিনি ১ টি ডাইনিস এর সাথে একটা চা ও একটা কলা খেয়েই লাঞ্চ করছেন। কখনোই ৩০-৩৫ টাকার বেশি বিল উঠান না। ৪২ দিনে উক্ত টঙ এ প্রদীপ সাহেবের মোট বকেয়া ১১০০ টাকা।
যে মানুষটি পরিবারের বাকি চারজনের মুখে তপ্ত দুপুরে গরম ভাত তুলে দিতে নিজে অভুক্ত থাকেন তিনি মানুষ নন। তিনি দেবতা। এরকম লক্ষ লক্ষ দেবতা আছেন গরীব রাস্ট্র গুলোতে। তাদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। আমি নিজেই খেটে খাওয়া। সকাল ১০ টায় বের হই। বাসায় ফিরতে রাত ৯ টার পর হয়ে যায়।
তাই এই খেটে খাওয়া মানুষ গুলো কে বড্ড ভালোবাসি। বড্ড সম্মান করি।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৫৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সঠিক বলেছেন। হিরণ ভাই এর সাথে ফেবুতে এড হয়েছি। ফেবুতে আগে ফেক আই ডি ছিল। এখনো কিছু আছে। কিছু হিজড়া ছেলে হয়ে মেয়ে সাঁজে। এতো নিচু মানের লোক নিজের পুষ্টি নিজে ক্ষয় করে।
২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এক মাত্র পিতা মাতাই পারেন সন্তান্দের জন্য এমন ত্যাগ
ত্যাগ স্বীকার করতে। এজন্যই বলে কু সন্তান যদিও হয়,
কু-পিতা- মাতা কভূও নয়।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সবকিছুতে কূ আছে। এই যে মানুষের পেছনে যারা কুকুর লেলিয়ে দেয়, কুকুরের মতো কামড়ায় এরা কারা তাহলে?
৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পরিবারের জন্য খরচ করাটা এক ধরণের সদকা।
অনেক মানুষ কষ্টে আছে কিন্তু তারা অন্যকে বুঝতে দেয় না।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এই মানুষ গুলোই অন্য মানুষকে কষ্ট দেয়, পেছনে লাগে, পাগলা কুকুরের মতো কামড়ায়।
৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:২৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আবার!!
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ২৭ দিন পর নিরুপায় হয়ে। ১ জনে ১৮ টা ক্যাচাল করার উদ্দেশ্যে মন্তব্য করছে লাস্ট পোস্টে। এখন ব্লক করা যায়না। অযাচিত মন্তব্য মুছে দিলে, নাম উল্লেখ করে পোস্ট দেয়।
৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:১৮
কামাল৮০ বলেছেন: সবাই মিলে খেতে হবে।যা আছে তা সবাই ভাগ করে খাবে।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ক্যান্সার ক্যান্সার কিংবা এইডস নয়, বাঙালির দুরারোগ্য ব্যাধি হিংসা। হিংসায় কুকুরকেও ছাড়িয়ে গেসে বহু আগে।
৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৯
ইমরোজ৭৫ বলেছেন: আহারে.........। বাংলাদেশের মানুষের কত কষ্ট।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মানুষের উপর অত্যাচার করে মানুষ পশুতে রূপান্তরিত হওয়ার ফলে এতো কষ্ট।
৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: জীবন যাপনের লাগামহীন ব্যয় বৃদ্ধিতে আমজনতার বেঁচে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত কত কিছু যে ত্যাগ করতে হচছে তা তারাই জানে যারা এরকম সীমিত রোজগারে সংসার চালায়।
তবে দেশের কর্তা ব্যক্তিরা ও তাদের আর্শিবাদ প্রাপ্তরা এর সাথে একমত নাও হতে পারে। কারন, তাদের কাছে আছে আলাদীনের আশ্চর্য প্রদীপ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:১৯
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মালিকের মজুর ঠকানো তথা কম মজুরি প্রদান কম দায়ী নয়।
৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৪
শাওন আহমাদ বলেছেন: বেচে থাকা এবং বাচিয়ে রাখাটাই এক প্রকার যুদ্ধ।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: যুদ্ধাপরাধী বিচার হবেই হবে।
৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: একটা পরিবার চালানো আর একটা রাষ্ট্র চালানো সমান কথা। তাই যারা নিজের সুখ, ইচ্ছে-অনইচ্ছেকে বিসর্জন দিয়ে পরিবারের ঘানি টেনে তাদের মুখে হাসি ফুঁটাচ্ছে তাদের প্রতি আমার রেসপেক্ট সবসমই ছিল।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমি একটা পরিবার চালাই। ১৩ টা পরিবারকে চলতে ভুমিকা পালন করি। আলহামদুলিল্লাহ। শত ভাগ সেক্রিফাইস তো কেউ করতে পারেনা। নিজে নিঃস্ব হয়ে অন্যকে সহযোগিতা করা যায়না।
সম্মান জানাই সে মা কে যিনি নিজে ভাতের মাড় খেয়ে সন্তানকে ভাত খাওয়ান।
সম্মান জানাই সে বাবাকে যিনি সন্তানের দুধ কেনার টাকা বাঁচাতে হেটে অফিস যান হেটে বাড়ি ফিরেন।
মি টু রেসপেক্ট দেম এলট। ♥️
১০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২২
আখেনাটেন বলেছেন: এরকম অসংখ্য প্রদীপেরা হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে পরিবারের মুখের এক টুকরো হাসির জন্য নিজেকে বিসর্জন দিয়ে চলেছে প্রতিনিয়ত। এই সামান্য বা এর চেয়েও কম বেতনে ঢাকা-চট্রগ্রামের মতো শহরে ৫/৬ সদস্য নিয়ে কীভাবে পরিবারগুলো টিকে আছে সেটাই বিস্ময়। অসাম্য সমাজে মারাত্মকভাবে জেঁকে বসছে। মাথাপিছু আয় আর কংক্রিটের জঞ্জাল দিয়ে এটা নিরুপণ করা যাবে না। নেতা-পলিসি মেকারদের এ নিয়ে যদিও মাথা ব্যথা নেই...আপনি বাঁচলে বাপের নাম...সবই ধান্ধা....
অট: পোস্টে বিদ্র: অংশটি কী লেখা জরুরি? পোস্টটি এমনিতে ভালো ছিল...আরো আলোচনা হতে পারত....অনেক সাধারণ ব্লগারই হয়ত ঐ লাইনের জন্য এই লেখা এড়িয়ে গিয়েছে।
*চট্রগ্রামের জিইসি মোড়ে একসময় অনেক সময় কাটিয়েছি...পাশের জামান হোটেলে প্রায় খাদক হিসেবে ঢু দিতাম....এখনও কি হোটেলটি আছে?
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: জুলুমবাজ মালিকরা যখন শ্রমিক ঠকানোতে ব্যস্ত, হিংস্রতা যখন সমাজকে ছিড়ে খাচ্ছে, দারিদ্রতার নির্মম অভিশাপে কোটি প্রদীপ যখন দেবতার ভুমিকায় অবতীর্ণ ঠিক তখনি পাহাড় কেটে বানানো বিশাল দালান থেকে ২ থেকে ৩ কোটি টাকা মূল্যের এপার্টমেন্ট কিনছে এলিট ক্লাসের লোকজন। একজন অভুক্ত আরেকজন পাহাড়ের উপর বানানো লাক্সারিয়াস বিলাসবহুল দালানের উপর হ্যালিপেড ওয়ালা এপার্টমেন্টে ঘুমাচ্ছে।
৮১ টা পোস্টের মধ্যে ৮১ টাই মৌলিক। ৫ দিন আগে সেফ হওয়া একটা নিক যে কিনা ব্লগের সব ইতিহাস জানে সে আমার এটার আগের পোস্টে ১৮ টা অপ্রাসঙ্গিক ও ট্যাগিং করে মন্তব্য করে। ব্লগে এখন ব্লক করা যায়না,কমেন্ট মুছে দিসি দেখে আবার আমার নাম উল্লেখ করে ১ টি নিক প্রত্যক্ষ ভাবে দুইটি পোস্ট দিসে, অন্য একটি নিক থেকে পরোক্ষ ভাবে আরেকটা পোস্ট দিসে। ব্যক্তি আক্রমণ করে গোটা ত্রিশের কাছাকাছি মন্তব্য করছে। সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে বাসায় ফিরে ক্লাসলেস ক্যাচাল করার শক্তি পাইনা দেখে একান্তই নিরুপায় হয়ে বিঃদ্রঃ লিখতে বাধ্য হয়েছি।আমার উপর দেশের কটা পরিবার নির্ভরশীল।
সে ঐতিহ্যবাহী জামান আজও আছে।তবে খাবারের মান কমেছে। আরও একটি জামান হোটেল হয়েছে ইফকো কমপ্লেক্সে। ওটার খাবার আন্তর্জাতিক মানের।
আরেকবার চট্টগ্রামে আসলে আপনার সাথে জামানে চা খেতে খেতে আড্ডা দিতে পারলে ধন্য হতাম। প্লিজ আসুন।
১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৫৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমার মনে হয়েছে ব্যাক্তি আক্রমণ করে করা ৩ টি পোস্ট এবং ১৮ টি মন্তব্যই একই ব্যক্তির। যে একেক সময় একেক রূপ ধারণ করে। গিরগিটির মতো রঙ পালটায়।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩৫
নূর আলম হিরণ বলেছেন: দেশের জীবনযাত্রার ব্যয় অনেক বেড়ে যাচ্ছে, মানুষের দুর্ভোগও সাথেসাথে বাড়ছে। শিশুরা শুধু নয়, সব বয়সের মানুষ প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছে না। মানুষের কর্মক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।