নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বীয় স্বত্ত্বার সহিত সত্যের সন্ধানে সর্বদা সচেষ্ট
ঘুম ভাঙার পর থেকেই রমিজ আলির মেজাজটা চরম খিটখিটে হয়ে আছে। ঘরের দরজায় পা ছড়িয়ে বসে মনে মনে নিজের ভাগ্যের চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করছে সে। অবশ্য তার জন্য যথেষ্ঠ কারণও আছে। ঘুম ভাঙার পর বিড়ি ধরিয়ে নাক-মুখ দিয়ে ধোঁয়া বের করা তার দীর্ঘ দিনের অভ্যাস, অথচ আজ সেটা করতে পারেনি। ঘুমানোর সময় বিড়ির প্যাকেটটা রেখেছিলো পট্টি মারা ছিঁড়ে যাওয়া শার্টের পকেটে, আর শার্টটা ছিলো জানালার ধারের দড়িতে ঝুলানো। কিন্তু ভোর রাতের এক পশলা বৃষ্টি জানালা দিয়ে ঢুকে শার্ট সহ বিড়ি গুলোকে ভিজিয়ে একাকার করে ফেলেছে। বহু চেষ্টা করেও একটাতেও আগুন ধরাতে পারেনি সে। তারপর থেকেই বিড়ির নেশাটা যেন আরো চেপে বসেছে। কিন্তু পকেটে কানাকড়িও নাই যে বিড়ি কিনে ধরাবে। কাশেমের দোকান থেকে বাকি নেওয়ার কথা ভেবেছিলো একবার কিন্তু গত পরশুর চালের দামটা এখনো দেওয়া হয়নি, তাই নতুন করে বিড়ি চাইতে গেলে একগাদা কথা শুনতে হবে। এখন উপায় একটাই, রিকশাটা নিয়ে বের হয়ে একটা ভাড়া মেরে তারপর সেই টাকা দিয়ে বিড়ি খাওয়া।
কিন্তু সেখানেও একটু সমস্যা আছে! গত দুইদিনের জমার টাকাটা সে মহাজনকে দিতে পারেনি। আর টাকা সে দিবেই বা কি করে, জমার টাকা দিলে তো ঘর ভাড়ার টাকায় কম পড়ে যেত!
অবশ্য এগুলো ভেবে তো আর লাভ নাই, তাকে যেতেই হবে আবার মহাজনের কাছে। বলে কয়ে রিকশাটা নিয়ে বের হতেই হবে আজ, তারপর না হয় তিন দিনের জমার টাকা একসাথে চুকিয়ে দিবে সে। মুখ-হাত ধুয়ে এসে বউকে ডাক দিলো,
-রাজিয়া, ও রাজিয়া! ভাত দেও, বাইর হমু এখন।
-ভাত নাই!
-ভাত নাই মানে?!
-এহ্, লাটসাহেবের কথা দেখ! ভাত মুনে হয় চাইলেই পাওয়া যায়! ভাত নাই মানে ভাত নাই, এমনেই যান!
-ক্যান? হেই দিনই না দেড় কেজি চাইল আইনা দিলাম! সব শ্যাষ?
-দেড় কেজি চাইলে আর কয় দিন চলবো আপনেই কন দেহি? বাড়িত মানুষ চাইর জন, দুই দিন যে চলসে হেইডায় তো মেলা! ঘরের তো কুনো খবরই লন না, খালি খাই খাই!!
বউয়ের কথা শুনে মেজাজটা আরো খারাপ হয়ে গেল! ভাবছে দু-চার ঘা লাগিয়েই দিবে নাকি! এমনিতেই বিড়ির জন্য মনটা আকুপাকু করছে, তার উপর ভাত নিয়ে বউয়ের এমন খ্যাচ খ্যাচ করা কথা-বার্তা! অবশ্য কথা গুলো ফেলে দেওয়াও যায় না। ছোট মেয়ে, বৃদ্ধ মা, বউ আর সে নিজে এই নিয়ে তার সংসার। বউ যে কিভাবে দেড় কেজি চাল দিয়ে দুই দিন চালালো সেটা ভেবেই অবাক হলো রমিজ আলি।
তবে যাই হোক, শালার দিনটাই খারাপ! ভাবতে ভাবতে গামছাটা ঘাড়ের উপর নিয়ে বের হয়ে গেল সে গ্যারেজের উদ্দেশ্যে। আর সেই সাথে ঠিক করে নিলো যে করেই হোক মহাজনের হাতেপায়ে ধরে রিকশাটা নিয়ে একটা ভাড়া মেরেই এক কাপ ধোঁয়া ওঠা চা, একটা বিড়ি আর দুইটা নোনতা বিস্কুট খাবে। চা-বিড়ি-বিস্কুটের কথা মনে হতেই জিভে জল চলে আসলো তার, মনটাও খুশি খুশি হয়ে গেল। জোর পায়ে গ্যারেজের দিকে রওনা হলো সে।
গেদু মহাজন বরাবরের মতো তার বিশাল ভুড়িটায় হাত রেখে জলচৌকির উপর বসে আছে। চৌকির পাশ ঘেঁষে দাড়িয়ে চিঁ চিঁ করে বললো সে,
-কাকা, রিকশাডা এট্টু বাইর করমু।
-আঁ? কি কইলি?
-ইয়ে মানে রিকশাডা এট্টু বাইর করবার কথা বলসিলাম আরকি!
-রিকশা বাইর করবি ভালা কথা, তা গত দুই দিনের ট্যাকা কৈ? ট্যাকা না তোর কাইলই দাওয়ার কথা আছিলো? এহন যা ভাগ, ট্যাকা নিয়া আয় আগে তারপর কথা!
মনে মনে এরকমটিই ভেবেছিলো রমিজ আলি। আর এ ধরণের ব্যবহার এর আগেও দেখেছে সে, জানে কি করতে হবে। গেদু মহাজন যখন বলেছে টাকা ছাড়া রিকশা দিবে না তখন একটাই উপায়, দুই পা চেপে ধরে কান্নাকাটি করা। সেটাই করলো সে,
-কাকা, এইবারই শ্যাষ! আর ইরাম হবে না, কথা দিলেম কাকা!
- যা ভাগ তো, মাগি মাইনসের মতো কান্দিস না!
- কাকা, আপনে ভাগায়া দিলে কৈ যামু! পরিবারের সবাই না খায়া আছে কাকা! এইবার ক্ষমা করে দ্যান, আইজ সন্ধ্যায়ই সব ট্যাকা দিয়া দিমু।
এমন সময় গেদু মহাজনের একমাত্র মেয়ে জামাই গ্যারেজে এসে উপস্থিত হলো। জামাইকে দেখে গেদু মহাজন একটু অস্বস্তিতে পড়ে গেল! সকাল সকাল একজন তার পা ধরে পড়ে আছে জামাইয়ের সামনে ভাবতেই লজ্জা পেয়ে গেল সে। ঠাস করে পা টা ঝাড়া দিয়ে আপদ বিদায় করার জন্য বললো,
-যা যা, আইজ নিয়া যা, তয় এর পর থিকা এমন করলে আমার সামনেও আর আইবিনা হারামজাদা! আর সন্ধ্যায় গুইনা গুইনা তিন দিনের ট্যাকা তো দিবিই।
রমিজ আলি ভেবেছিলো আজ সহজে পার পাবে না। কিন্তু জামাইয়ের উসিলায় কাজটা একেবারে সোজা হয়ে গেল। এখন তার ইচ্ছা করছে জামাইয়ের পা ছুয়ে একবার সালাম করে। কিন্তু কাজটা মনে হয় ঠিক হবে না। তাই মাথা নিচু করে সালাম দিয়ে হন হন করে গ্যারেজের পিছন দিকে চলে গেল সে। রিকশাটা নিয়ে বের হতে হবে তাড়াতাড়ি, বেলা বাড়ছে।
মোড়ের মাথায় যেতেই একটা ভাড়াও পেয়ে গেল। মনটা খুশি হয়ে উঠলো রমিজ আলির। রেলগেট পর্যন্ত গেলেই ২০ টাকা, এক কাপ চা, বিড়ি আর নোনতা বিস্কুটের জন্য যথেষ্ঠ। দ্রুত প্যাডেলে চাপ দিয়ে এগিয়ে চললো তার রিকশা। শহরের ব্যাস্ত রোড, এই সকাল বেলাতেও কার, মাইক্রো, রিকশা, অটো রিকশা আর মানুষের ভিড়ে গিজ গিজ করছে। সবাই যে যার কাজের উদ্দেশ্যে ছুটছে। রমিজও ছুটছে রেলগেটের উদ্দেশ্যে.....অবশেষে রেলগেট আসলো, পেলও সে ২০টা টাকা। রেলগেটে মতির মায়ের দোকানে সে প্রায়ই বসে। ভালো চা বানায় মতির মা, দুধ-চিনি বেশী বেশী দেয়। আর নোনতা বিস্কুট গুলাও অন্য দোকানের চেয়ে বড় বড় রাখে। রিকশাটা সাইড করে রেখে সে দিকেই পা বাড়ালো রমিজ আলি। বাঁশের তৈরি মাচানের উপর বসে হাঁক ছাড়তে যাবে সে....কিন্তু হঠাৎ কি যেন হলো!
মনে পড়ে গেল বাড়িতে থাকা ছোট্ট মেয়ে, বউ আর বৃদ্ধ মায়ের কথা। সেই সন্ধ্যা রাতে দুমুঠো ভাত খেয়ে ঘুমিয়েছে ওরা। ওর মতো ওরাও কিছু খাইনি, মেয়েটা হয়তো মায়ের আঁচল ধরে ঘ্যান ঘ্যান শুরু করে দিয়েছে। দুমুঠ ভাত পেলেই খেয়ে-দেয়ে খেলতে বের হবে পাড়ায়। মতির মাকে চা বানানোর কথা বলতে যেয়েও বলতে পারলো না সে। ঘুরে হাটা ধরলো আবার রিকশার দিকে, আবার ভাড়া মারতে হবে। সন্ধ্যার মধ্যে তিন দিনের জমার টাকা, চাল আর এক-আধটু তরকারী নিয়ে ঘরে ফিরতে হবে তাকে। তার আপন মানুষ গুলো সারাদিন না খেয়ে থাকবে আজ, সে কিভাবে এক কাপ চা,নোনতা বিস্কুট আর বিড়ি খেয়ে বিলাসিতা করতে পারে!
রেলগেটে রিকশা নিয়ে দাড়িয়ে চাতক পাখির মতো এদিক ওদিক তাকাচ্ছে রমিজ আলি, যদি একটি প্যাসেঞ্জার জোটে....।।
[এমনি শত শত রমিজ আলি প্রতিদিন আমাদেরকে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে এই শহরে, এই দেশে। কিন্তু আমরা কি কখনো তাদের মনের কথা, অন্তরের ব্যাথা জানার চেষ্টা করি? তারা আমাদের কাছে শুধুই রিকশাওয়ালা, তাদের নাম থাকতে নেই। "এই খালি" বলে ডাক দিলেই এরা হাজির হয় বহন করার জন্য। তুই/তুমি ছাড়া এদের সাথে কথা বলা যায় না। আবার দুই টাকা বেশী চাইলে ঠাস করে চড় কসাতেও বিবেকে বাধে না! এটাই আমাদের সভ্যতা, আমাদের ভদ্র সমাজের শিষ্ঠাচার]
১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:১২
মাগুর বলেছেন: যান্ত্রিক সভ্যতায় আমাদের ভেতরের মানুষটি কোথায় যেন হারিয়ে গেছে আরমান ভাই
আসলেই, সবাই আমরা বড্ড বেশি স্বার্থপর
২| ১৩ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:৪৬
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: এমনি শত শত রমিজ আলি প্রতিদিন আমাদেরকে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে এই শহরে, এই দেশে। কিন্তু আমরা কি কখনো তাদের মনের কথা, অন্তরের ব্যাথা জানার চেষ্টা করি? তারা আমাদের কাছে শুধুই রিকশাওয়ালা, তাদের নাম থাকতে নেই। “এই খালি” বলে ডাক দিলেই এরা হাজির হয় বহন করার জন্য। তুই/তুমি ছাড়া এদের সাথে কথা বলা যায় না। আবার দুই টাা বেশী চাইলে ঠাস করে চড় কসাতেও বিবেকে বাধে না! এটাই আমাদের সভ্যতা, আমাদের ভদ্র সমাজের শিষ্ঠাচার
এরপর আর কিছুই বলার থাকেনা। আর বলবই বা কোন মুখে এমনটা তো আমিও করি।
১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৩
মাগুর বলেছেন: আমি-আপনি-আমরা সকলেই এমনটি করি। আসলেই আমাদের বলার মতো কিছু নাই
৩| ১৩ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:২৭
আমিই মিসিরআলি বলেছেন: অক্ষর মালায় কঠিন বাস্তবতা +++++++++
১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৫
মাগুর বলেছেন: অক্ষরমালা দিয়ে তাদের সেই কঠিন বাস্তবতার কিছু চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তবে বাস্তব আরো নির্মম ভাই।
প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
৪| ১৩ ই মে, ২০১৩ ভোর ৬:২৩
নীল-দর্পণ বলেছেন: একদম শেষ প্যারায় এসে অন্যরকম হয়ে গেলো।
বিষাদ মাখা ভাল লাগা
১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৩
মাগুর বলেছেন: বাস্তব এমনই বিষাদমাখা
ধন্যবাদ নীল-দর্পণ, সময় পেলে মাঝে মাঝে এসে ঘুরে যাবেন।
৫| ১৩ ই মে, ২০১৩ ভোর ৬:২৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: রামজ মিয়ার কষ্টের জীবন মন ছুয়ে গেল। ওদের জীবনের নিরাপত্তা কতটুকু ।কত অনিশ্চয়তা নিয়ে তারা বেচে থাকে। শুভসকাল ।পোস্টে +++
১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৩
মাগুর বলেছেন: ওদের জীবনের পদে পদে অনিশ্চয়তা আর শঙ্কার ছায়া।
শুভ দুপুর সেলিম ভাই, প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
৬| ১৩ ই মে, ২০১৩ সকাল ৮:৩৫
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন: এমনি শত শত রমিজ আলি প্রতিদিন আমাদেরকে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে এই শহরে, এই দেশে। কিন্তু আমরা কি কখনো তাদের মনের কথা, অন্তরের ব্যাথা জানার চেষ্টা করি? তারা আমাদের কাছে শুধুই রিকশাওয়ালা, তাদের নাম থাকতে নেই। "এই খালি" বলে ডাক দিলেই এরা হাজির হয় বহন করার জন্য। তুই/তুমি ছাড়া এদের সাথে কথা বলা যায় না। আবার দুই টাকা বেশী চাইলে ঠাস করে চড় কসাতেও বিবেকে বাধে না! এটাই আমাদের সভ্যতা, আমাদের ভদ্র সমাজের শিষ্ঠাচার
অক্ষর মালায় কঠিন বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি।
বিষাদ মাখা ৮ম ভাললাগা জানবেন।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++
১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৮
মাগুর বলেছেন: ধন্যবাদ শোভন ভাই, বিশেষ ধন্যবাদ লেখাটি শেয়ার করার জন্য।
৭| ১৩ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬
বাংলার হাসান বলেছেন: খুব সুন্দর করে বাস্তব তুলে ধরেছেন। +++++
১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৮
মাগুর বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই। আপনাদের কমেন্ট আমাকে নতুন লেখার প্রেরণা যোগায়।
৮| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালও লাগল। জীবনের কঠিন একটি বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলেছেন।
যারা রিক্সা ড্রাইভারদের সাথে তুই তোকারী করে, তারা সামাজিক প্রানী হিসেবে অসুস্থ।
১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:২১
মাগুর বলেছেন: রিকশাচালকদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা যেন কিছু মানুষের জীবনের অপরিহার্য অংশ! খুব অবাক হই এ ধরণের মানুষ নামের অসুস্থ প্রাণী গুলোকে দেখলে!
৯| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৮
s r jony বলেছেন:
দারুন লেখায় +++++++++
১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৪
মাগুর বলেছেন: ধন্যবাদ জনি ভাই
১০| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
শেষ প্যারা পড়ে আর কিছু মন্তব্য করার প্রয়োজন দেখছিনা। তবে আমার পরিচিত তিনজন আছেন যারা আমাকে খুব ভালোবাসে কিন্তু কেন আমি সেটা নিজেও বুঝিনা।
১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
মাগুর বলেছেন: আমি অনেক রিকশাচালকদের চিনি যাদের বাস্তব জীবন এর চেয়েও নির্মম! প্রায়ই তাদের সাথে চা খেতে খেতে আড্ডা দিই, তাদের গল্প শুনি....দেখি। জীবনের সাথে যুদ্ধ করে তারা যেভাবে বেঁচে আছে দেখলেই অবাক লাগে!
১১| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬
হাসান মাহবুব বলেছেন: টাচি লেখা।
১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫
মাগুর বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই।
১২| ১৩ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭
মঈনউদ্দিন বলেছেন: চমৎকার
১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬
মাগুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
১৩| ১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: স্তব্ধ , কিচ্ছু বলার নেই ।
রমিজ আলীদের এই দুঃখ দুর্দশাময় জীবনেই আবার মরার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে আসে হরতাল ।
১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮
মাগুর বলেছেন: আসলেই কিছু বলার নেই আমাদের। তবে কিছুটা করণীয় তো থেকেই যায়। হরতাল রোখার মতো সামর্থ্য আমাদের নেই। তবে সাধ্যমত ভালো ব্যবহার টুকু করা আমাদের দ্বায়িত্ব।
১৪| ১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০০
কালোপরী বলেছেন: হুম
১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
মাগুর বলেছেন:
১৫| ১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬
সোহাগ সকাল বলেছেন: মন খারাপ করা গল্প। অনেক ভালো লিখেছেন।
[এমনি শত শত রমিজ আলি প্রতিদিন আমাদেরকে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে এই শহরে, এই দেশে। কিন্তু আমরা কি কখনো তাদের মনের কথা, অন্তরের ব্যাথা জানার চেষ্টা করি? তারা আমাদের কাছে শুধুই রিকশাওয়ালা, তাদের নাম থাকতে নেই। "এই খালি" বলে ডাক দিলেই এরা হাজির হয় বহন করার জন্য। তুই/তুমি ছাড়া এদের সাথে কথা বলা যায় না। আবার দুই টাকা বেশী চাইলে ঠাস করে চড় কসাতেও বিবেকে বাধে না! এটাই আমাদের সভ্যতা, আমাদের ভদ্র সমাজের শিষ্ঠাচার]
১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:১৮
মাগুর বলেছেন: ধন্যবাদ সোহাগ ভাই।
১৬| ১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৪০
হান্টার১ বলেছেন: কঠিন বাস্তবতা, ঘটনা সত্য কিন্তু মুদ্রার উল্টা পিঠ ও থাকে, আমরা সামান্য মানুষ রাও ওদের হাতে জিম্মি থাকি, ভালো হল একটা গল্পের প্লট পেলাম। শুভ কামনা রইল
১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:২১
মাগুর বলেছেন: মধ্যবিত্ত শ্রেণী রিকশাচলকদের হাতে মাঝে মাঝেই জিম্মি হয়। আর অদ্ভুত হলেও সত্যি একজন নিম্ন মধ্যবিত্ত হয়েও আমি এটা সমর্থন করি। কারণ এর জন্য দায়ী আমাদের মতো নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণী। এ নিয়ে পরবর্তীতে অবশ্যই লিখবো।
আপনার লেখারও আশায় থাকলাম
শুভকামনা।
১৭| ১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:১০
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: একজন আরমান বলেছেন:
এমনি শত শত রমিজ আলি প্রতিদিন আমাদেরকে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে এই শহরে, এই দেশে। কিন্তু আমরা কি কখনো তাদের মনের কথা, অন্তরের ব্যাথা জানার চেষ্টা করি?
কেউ করি না। সবাই আমরা বড্ড বেশি স্বার্থপর।
১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:২১
মাগুর বলেছেন: হ্যাঁ মামুন ভাই, আমরা বড্ড বেশি স্বার্থপর
১৮| ১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:১১
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: অসাধারন বস
ভাললাগা রইল....
১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:২২
মাগুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, ধন্যবাদ
১৯| ১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:০৭
স্বপনবাজ বলেছেন: ভালও লাগল। জীবনের কঠিন একটি বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলেছেন।
১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৪
মাগুর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে স্বপনবাজ।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনই এরকম কঠিন বাস্তবতা দিয়ে পূর্ণ।
২০| ১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩১
নাজমুল হাসান ০০১ বলেছেন: অনেক ভাল লাগছে ভাই আপনের লেখা, অনেক বাস্তবধর্মী লেখা লিখছেন।
পোস্টে আমার ১৫ তম ভালোলাগা রাইখা গেলাম।
১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৮
মাগুর বলেছেন: ধন্যবাদ নাজমুল ভাই। সবসময় চেষ্টা করি লেখার মধ্যে নিজের সামর্থ্য দিয়ে বাস্তবকে তুলে ধরতে। আর আপনাদের মন্তব্য প্রেরণা হিসাবে কাজ করে।
মাঝে মাঝে আসবেন আমার ব্লগে
২১| ১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
সজীব বিশ্বাস বকুল বলেছেন: সুশীল সমাজের তকমা লাগিয়ে চলছে উচু নিচুর বিভেদ।কেউই আর মানুষ না হয় ধনী গরীব নয়ত হিন্দু মুসলমান।সব ভুলে একই আলিঙ্গনে আবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।মানুষ হিসেবে সবাই গর্ববোধ করবে।
অনেক সুন্দর লেখনী আপনার ।ধন্যবাদ
১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৯
মাগুর বলেছেন: সহমত বকুল ভাই। ।সব ভুলে একই আলিঙ্গনে আবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। মানুষ হিসেবে সবাই গর্ববোধ করবে।
ধন্যবাদ আপনাকেও
২২| ১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৪
বোকামন বলেছেন:
ভাই মাগুর,
রমিজদের ঘাম শুকিয়ে যায়, ওদের পরিবার ক্ষুধা আলিঙ্গন করে একই ঘরে বাস করে... আর এভাবেই চলে যায় দিন মাস বছর....
ভদ্র সমাজের শিষ্ঠাচার ! ওইটা ভদ্র সমাজেই থাক !
আমরা ভদ্রতা করতে চাই না, ভাই মনে করে বুকে জড়িয়ে রাখতে চাই ....
রমিজ আলিদের নিয়ে আপনার বাস্তব ভাবনার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।
১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৫০
মাগুর বলেছেন: আমরা ভদ্রতা করতে চাই না, ভাই মনে করে বুকে জড়িয়ে রাখতে চাই।
সহমত ভাই বোকামন। ধন্যবাদ আপনাকে, মাঝে মাঝে সময় পেলে আসবেন
২৩| ১৪ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪০
সোহানী বলেছেন: হা এখানে রিক্সা চালক রমিজ আছে, গার্মেন্টস কর্মী শাহিনা আছে, কাজের মেয়ে রহিমা আছে, ভ্যান চালক রহমত আছে, ধোলাইখালের গ্যারেজ মেকানিক কিশোর রানা আছে....... সবাই আছে এবং সবার একটি করে গল্প আছে আর সেই গল্প একই কাহিনী। সেই গল্পের কাহিনী কখনই বদলাবে না যতক্ষন রাস্ট্র ওদের দিকে তাকাবে না। +++++++++
১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৫২
মাগুর বলেছেন: সহমত সোহানী আপু। রাষ্ট্রের কাছে নাগরিক হিসাবে আমাদের যে মৌলিক অধিকার সেগুলোর কথা আমরা সবাই ভুলেই গেছি। সে কথা এখন শুধু বই-পত্রেই দেখা যায়।
২৪| ১৪ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৩
রুপ।ই বলেছেন: ভালো লেগেছে, কি হাড় জির জিরে দেহ নিয়ে গাট্টাগোট্টা আমাদেরকে বয়ে বেড়ায়। অথচ তাদেরকে ৫ টাকা বেশী ভাড়া দিতে আমাদের রাগ হয়।
১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
মাগুর বলেছেন: আসলেই তাই। যেখানে সমাজের নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্তরাই সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে সেখানে তাদের নিয়ে ভাবার যেন কেউ নাই
২৫| ১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:২০
বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
এমিরেটস এয়ারে এর ভারা গাল্ফ এয়ারের থিকা ২০০ ডলার বেশি - নো প্রব!
ট্যাক্সি ক্যাব অলায় ৫০ টাকা আবদার করছে - ঠিক আছে মামা
রিক্সা ওয়ালায় দুই টেকা বিশি চাইছে - তোমাগো লোভ বাইরা গেছে।
বোকামন বলেছেন: আমরা ভদ্রতা করতে চাই না, ভাই মনে করে বুকে জড়িয়ে রাখতে চাই ....
১৪ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৭
মাগুর বলেছেন: আসলেই তাই ভাই। কেএফসি, ফ্রাইডেতে বসে আমরা দেড়শো টাকার মুরগি ৮০০-৯০০ টাকা দিয়ে কিনে খেতে পারি কিন্তু রিকশাওয়ালা ২/৫ টাকা বেশী চাইলেই নাখোশ!!
২৬| ১৫ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:২০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: অনেক মন ছুয়ে যাওয়া লেখা , সত্যি ই বাইরে ডিনারে গেলে, রেন্ট এ কার এর হায়ার করলে, ৫০০ /১০০ বকশিস দিতে পারি, রিকশাওালার বেলায় খুচরা ১ টাকা ফেরত চাই ......।।
ডায়েট করি , জিম এ যাই খেতে চাইলে ও পারি না , কিন্তু বাসার বুয়া কে এই বেলা র ভাত টুকু দিতে চাই না , রেফ্রিজারেটর এ রেখে দেই পরের বেলা আর রান্না করতে যেন না হয়
১৯ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০
মাগুর বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা আপু। কমেন্টে চরম সত্য কিছু কথা বলেছেন। আমরা নিজের জন্য সব করতে পারি কিন্তু অন্যের জন্য সামান্য ভালো ব্যবহারটুকু বরাদ্দ রাখি না
২৭| ১৯ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪
দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: ২০ তম প্লাস ভাই।
আপনি এতো ভালো লেখেন সেটা জানতাম। তবে এই ধরনের লেখাও এতো ভালো লেখেন ধারণা ছিল না।
আমার ব্লগ পাতায় আসবেন।
১৯ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২
মাগুর বলেছেন: আপনাদের প্রশংসা শুনে ইদানিং সত্যি সত্যি মনে হচ্ছে ভালো লিখি
দাওয়াত গ্রহণ করলাম, অবশ্যই যাবো
২৮| ২৭ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪
মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পের শুরুটা দারুন, বর্ননা চমৎকার আর শেষটা মন ছুঁয়ে গেলো । আমাদের আশেপাশেই ওরা আছে, কিন্তু আমরা দেখতে পাইনা ।
শিরোনামটা চমৎকার হয়েছে । গল্পে প্লাস++
২৮ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:০৩
মাগুর বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই আপনার বিশ্লেষনী কমেন্টের জন্য।
এধরনের মন্তব্য দেখলে নতুন লেখার অনুপ্রেরনা পাই
২৯| ০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৫
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পের শুরুটা দেখে আন্দাজ করতে পারি নাই শেষে বিবেকের কাছে এমন একটা প্রশ্ন রেখে যাবেন।
শুরুর বর্ণনাটা খুব সুন্দর ভাবে দিয়েছেন। পুরো লেখাটাই ভালো লেগেছে।
নিজের ক্ষেত্রে বলতে পারি রিকশাওয়ালাদের তুমি বলা তো দূরের কথা তুই বলিনি আজ পর্যন্ত। বরং তাদের ন্যায্য ভাড়ার চেয়ে বেশীই দিয়েছি বরাবর !
আপনার লেখার ধরণ ভালো লেগেছে মাগুর । মামুন ভাইয়ের গল্প সংকলনের পোষ্ট থেকে আপনার এই গল্পের লিঙ্ক পেলাম ।
০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ১:৩৭
মাগুর বলেছেন: ধন্যবাদ অপর্ণা আপু।
এরকম মন্তব্য নতুন লেখার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরনার কাজ করে।
রিকশাচালকরা আমাদের মতো মানুষদের নিত্যদিনের অবলম্বন হলেও তাদের ভূমিকাটা যেন আমরা অস্বীকার করে আসছি!
মাঝে মাঝে আসবেন সময় পেলে। শুভ কামনা আপনার জন্য।
৩০| ১২ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:১৯
দ্য ইলিউশনিস্ট বলেছেন: ভালো লাগলো।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:২০
মাগুর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই মে, ২০১৩ ভোর ৪:৩৫
একজন আরমান বলেছেন:
এমনি শত শত রমিজ আলি প্রতিদিন আমাদেরকে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে এই শহরে, এই দেশে। কিন্তু আমরা কি কখনো তাদের মনের কথা, অন্তরের ব্যাথা জানার চেষ্টা করি?
কেউ করি না। সবাই আমরা বড্ড বেশি স্বার্থপর।