নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাস্কর্য না মূর্তি?
ভাস্কর্য বিরোধীতায় সরব এক পক্ষ। যাদের নেতৃেত্ব আছে হেফাজতে ইসলাম নামের এক দল। অতিসম্প্রতি হেফাজতের আমির বাবুনগরী সাহেব বললেন- যদি কোথাও কোনো ভাস্কর্য হয়, যে দলই করুক, টেনেহিঁচড়ে ফেলে দেব! এ প্রসংগে তিনি প্রধানমন্ত্রীর বলা মদীনা সনদ অনুযায়ী দেশ চলবে এই ঘোষনার কথাও মনে করিয়ে দেন। শুরুতেই তাই মদীনা সনদ সম্পর্কে পরিষ্কার ধারনা নেয়া প্রয়োজন।
মদীনা সনদ কি?
৬২২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪শে সেপ্টেম্বর রাসুল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনা নগরীতে হিজরত করেন। এসময় সেখানে বসবাসরত বনু আওস এবং বনু খাজরাজ সম্প্রদায় দুটির মধ্যে ছিল গোষ্ঠীগত হিংসা-বিদ্বেষ।তাই কলহে লিপ্ত এ দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি স্থাপন ও মদিনায় বসবাসরত সকল গোত্রের মধ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নবী মুহাম্মাদ সা: একটি সনদ বা সংবিধান প্রণয়ন করেন যা ইতিহাসে মদিনার সনদ নামে পরিচিত।
কি আছে এতে?
মদিনা সনদের মূল বিষয়বস্তু সম্পর্কে উইকিপিডিয়াতে মোট ১৪টি ধারা দেয়া আছে।
সবচে মজার বিষয় এর কোনটিতে ভার্স্কয নিয়ে কোন কথা নেই!
মদীনা সনদের ধারার মূল বিষয়বস্তু সমূহ:
1. সনদপত্রে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়সমূহ একটি জাতি গঠন করবে;
2. যুদ্ধ বা হানাহানি শুরু হবার মতো তীব্র বিরোধ তৈরি হলে বিষয়টি আল্লাহ এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ন্যস্ত হবে;
3. কোনো সম্প্রদায় গোপনে কুরাইশদের সাথে কোনো প্রকার সন্ধি করতে পারবে না কিংবা মদিনা বা মদিনাবাসীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে কুরাইশদের কোনো রূপ সাহায্য-সহযোগিতা করতে পারবে না;
4. মুসলিম, খ্রিষ্টান, ইহুদি, পৌত্তলিক ও অন্যান্য সম্প্রদায় ধর্মীয় ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে, কেউ কারো ধর্মীয় কাজে কোনো রকম হস্তক্ষেপ করতে পারবে না;[৬][৭][৮]
5. মদিনার উপর যে কোনো বহিরাক্রমণকে রাষ্ট্রের জন্য বিপদ বলে গণ্য করতে হবে এবং সেই আক্রমণকে প্রতিরোধ করার জন্য সকল সম্প্রদায়কে এক জোট হয়ে অগ্রসর হতে হবে;[৯]
6. অমুসলিমগণ মুসলিমদের ধর্মীয় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য থাকবে না;[১০]
7. রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার ব্যবস্থা থাকবে;
8. অসহায় ও দুর্বলকে সর্বাবস্থায় সাহায্য ও রক্ষা করতে হবে;
9. সকল প্রকার রক্তক্ষয়, হত্যা ও বলাৎকার নিষিদ্ধ করতে হবে এবং মদিনাকে পবিত্র নগরী বলে ঘোষণা করা হবে;
10. কোনো লোক ব্যক্তিগত অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবেই বিচার করা হবে, তার কারণে অপরাধীর সম্প্রদায়কে দায়ী করা যাবে না;
11. মুসলমান, ইহুদি ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরা পরস্পর বন্ধুসুলভ আচরণ করবে।
12. রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার থাকবে রাষ্ট্রপ্রধানের এবং তিনি হবেন সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সর্বোচ্চ বিচারক;
13. মুহাম্মদ-এর অনুমতি ব্যতীত মদিনাবাসীগণ কারও বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে না;
14. মুসলমানদের কেউ যদি অন্যায় কিংবা বিশ্বাসঘাতকতা করে তবে সবাই মিলে তার বিরুদ্ধে যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, নিজ সন্তান বা আত্নীয় হলেও এ ব্যাপারে তাকে ক্ষমা করা যাবে না।
এত বড় বড় মানুষ এত বড় বড় পদে বসেও কি তবে বিভ্রমে আছেন?
ইসলামের প্রথম কথা ইক্বরা। জ্ঞানাজর্নের সেই ধর্মে কি আজ তবে অজ্ঞানতার জয় জয়কার? চলুন জেনে নিই ভার্স্কয আর মূর্তির মৌলিক জ্ঞানে কি বলা হয়েছে।
সংগা:
ভাস্কর্য (ইংরেজি: Sculpture) যার আরবী প্রতিশব্দ হলো তামাসিলা (ভাস্কর্য) । ত্রি-মাত্রিক শিল্পকর্মকে ভাস্কর্য বলে।অর্থাৎ, জ্যামিতিশাস্ত্রের ঘণকের ন্যায় ভাস্কর্যকে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং গভীরতা সহ ত্রি-মাত্রিক হতে হবে। বিশ্বের সর্বত্র বিভিন্ন ধরনের, বহুমূখী আকৃতির ভাস্কর্য দেখতে পাওয়া যায়। রেনেসাঁ এবং আধুনিককালে এটি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হয়েছে। পুতুল, মুখোশ, মাটির জিনিসপত্র ভাস্কর্যের উদাহরণ।
মূর্তি (ইংরেজি: idolate) মূর্তি (যা বিগ্রহ নামেও পরিচিত) বলতে দেবতার প্রতিমাকে বোঝায়। যার আরবী প্রতিশব্দ আসনাম।শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হল “অবয়ব”। মূর্তি দেবতার প্রতিনিধি। সাধারণত পাথর, কাঠ, ধাতু অথবা মাটি দিয়ে মূর্তি নির্মাণ করা হয়।মুর্তি পূজকরা মূর্তির মাধ্যমে দেবতার/স্রস্টার পূজা করে থাকেন। মূর্তিতে দেবতার আবাহন ও প্রাণপ্রতিষ্ঠা করার পরই সেই মূর্তিকে পূজার যোগ্য মনে করেন। ধর্মীয় সংস্কার বা শাস্ত্রের নির্দেশ অনুযায়ী নির্দিষ্ট দেবতার মূর্তি নির্মিত হয়ে থাকে।অর্থাৎ প্রতিমা হল মানুষ যার প্রতিকীকে সামনে রেখে আরাধনা উপাসনা করে, ইহকালে-পরকালে মঙ্গল চায়, ধর্মীয় বিধি মেনে পূজা করে ইত্যাদি।
ভাস্কর্যর ইতিহাস:
খ্রীষ্ট-পূর্ব ৩৩০০-১৭০০ সালে প্রতিষ্ঠিত সিন্ধু সভ্যতায় প্রথম ভাস্কর্যের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বর্তমান পাকিস্তানের মহেঞ্জোদাড়ো এবং হরপ্পায় দেখা গিয়েছিল। পরবর্তীতে হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের উত্তরণে ভারতে ব্রোঞ্জ ধাতু ও পাথরে খোদাই করে সৃষ্টি করা হয় ভাস্কর্যগুলো। সমধিক পরিচিত দেব-দেবীদের মূর্তি ভাস্কর্য আকারে তৈরী করে মন্দির কিংবা উপাসনালয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। তন্মধ্যে ইলোরা এবং অজন্তা'য় পাথরের ভাস্কর্যগুলো বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ ভাস্কর্য শিল্পকলা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে।
মুসলিম দেশে ভাস্কর্য:
সবচেয়ে বেশি ভাস্কর্য রয়েছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র খ্যাত পাকিস্তানে। সেখানে জিন্না মিউজিয়ামে জিন্নাহর একটি ভাস্কর্য রয়েছে। বেনজির ভুট্টো থেকে শুরু করে সম্প্রতি এরতুগ্রুলের ভাস্কর্যও স্থাপিত হয়েছে।
তুরস্কের কামাল আতাতুর্ক, মাওলানা রুমি সহ অনেকের ভাস্কর্য রয়েছে। ব্রিজম্যান আর্ট গ্যালারিতে ওসমানিয়া খেলাফতের সময়কার পেইন্টিং আছে যেখানে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ছবি আঁকা হয়েছে। ইরান, ইরাক, মরক্কো ও তুরস্কে শতাধিক ভাস্কর্য রয়েছে। মানুষের ভাস্কর্য আছে কুয়েত, কাতার ও দুবাইয়েও । সৌদি আরবে স্ট্যাচু অব লিবার্টির রেপ্লিকা প্রদর্শন করা হয়েছে। জেদ্দা মিউজিয়ামে অনেকগুলো ভাস্কর্য রয়েছে। এছাড়া ইরানের শীর্ষ আলেমদের ফতোয়া মোতাবেক তাজিমের সঙ্গে কিছু আঁকা ও ভাস্কর্য নির্মাণ জায়েজ। সম্ভবত আফগানিস্তান ছাড়া সকল মুসলিম দেশেই ভাস্কর্য রয়েছে।
ভাস্কর্যের ক্ষেত্রে যে বিধিনিষেধ ছিল না তার ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত রয়েছে। আবু বকর (রাঃ) এর শাসনামলে আমর বিন আসের মিশর অভিযানে ফারাও ও স্ফিংস ভাস্কর্য অক্ষত ছিল। সাদ বিন আবি ওয়াক্কাসের ইরাকে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সময়ও কোনো মূর্তি ভাঙ্গা হয় নি।
মুসলমানদের তীর্থস্থান খ্যাত সৌদি আরবের জেদ্দাতেই আছে দুই দুইটি মূর্তি! একটি উটের ‘মূর্তি’, আরেকটি মুষ্টিবদ্ধ হাত সদৃশ ‘মূর্তি’।
যুগল ভাস্কর্য -এসব নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।
ইরান, মিসর, ইরাকের জাদুঘরে অসংখ্য ভাস্কর্য এবং প্রাচীন শাসক ও দেব-দেবীর মূর্তি তো রয়েছেই, সেসব দেশে উন্মুক্ত স্থানে রয়েছে অনেক ভাস্কর্য। ইরানে আছে একটি বিশাল স্বাধীনতাস্তম্ভ, যার নাম ‘আজাদী’।
এ স্থাপত্যটির ডিজাইনার হোসেন আমানত একজন মুসলমান। মাশহাদ নগরীতে ভাস্কর্য সংবলিত নাদির শাহ সমাধিসৌধটি পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়।
পিরামিডের জন্য দুনিয়াজোড়া খ্যাতি মিসরের। পাথরের তৈরি মূর্তি সংবলিত গিজা পিরামিড সারা দুনিয়ার পর্যটকদের অতি প্রিয়। কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে মাহমুদ মোখতারের বিখ্যাত ভাস্কর্য ‘মিসরের রেনেসাঁ’।
ইরাকেও আছে অনেক ভাস্কর্য। বাগদাদ বিমানবন্দরের সামনে ডানার ভাস্কর্যটি সবার নজর কাড়ে। বাগদাদের পাশে আল-মনসুর শহরে আছে মনসুরের একটি বিশাল ভাস্কর্য। আছে অনেক সাধারণ সৈনিকের ভাস্কর্য। সাদ্দাম হোসেনের বিশাল আকারের ভাস্কর্যটি মার্কিন আগ্রাসনের পর ভেঙে ফেলে সাদ্দামের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, যারা মার্কিন বাহিনীর মদতপুষ্ট।
পারস্যের কবি শেখ সাদী। উনি হচ্ছেন সেই মানুষ যার ‘নাত’-এ দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা মিলাদে সব সময় পাঠ করে থাকেন ‘বালাগাল উলা বি কামালিহি কাশাফাদ্দুজা বি জামালিহি’- এই শেখ সাদীর মাজারের সামনেই তার একটি মর্মর পাথরের ভাস্কর্য আছে।
ইসলামি রাষ্ট্র ইরানে অবস্থিত কবি ওমর খৈয়াম ও মহাকবি ফেরদৌসির ভাস্কর্য নিয়ে কারো সমস্যা নেই। তেহরানে অজস্র মানুষের প্রতিকৃতি সম্বলিত ‘মূর্তি’ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা নেই সিরিয়ার ন্যাশনাল মিউজিয়ামের ‘মূর্তি’ নিয়েও। সব সমস্যা শুধু বাংলাদেশে।
গোটা ইসলামী শাসনের যুগে সারাবিশ্বে অগণিত ভাস্কর্য তৈরি হয়েছে। এটি নিষিদ্ধ হলে নির্মাণ হতো না। এবং ইসলামের যখন জয়জয়কার সেই খোলাফায়ে রাশেদার সময়েও বিজয়ের পর কোন ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলার ইতিহাস পাওয়া যায় না। বরং এ বিষয় রাসূল সা: এর নির্দেশ খুব স্পষ্ট - রাসূলুল্লাহ (সা.) ও খোলাফায়ে রাশেদিনের চিরাচরিত নিয়ম ছিল, যখন কোনো সেনাবাহিনী প্রেরণ করার প্রয়োজন হতো, তখন যুদ্ধ সম্পর্কিত বিভিন্ন নসিহত, দিকনির্দেশনার পাশাপাশি একথা অবশ্যই বলে দিতেন যে, ‘যুদ্ধকালীন সময়ে বা যুদ্ধের পর কোনো মন্দির-গীর্জা-উপাসনালয় ভেঙে ফেলবে না। ’ -মুসান্নাফ আবি শায়বা : ৩৩৮০৪
যার প্রমাণ পাই সারা বিশ্বেই। মিশর জয়ের পর কোন পিরামিড বা ভাস্কর্য ভাঙ্গা হয়নি। আজো তারা সগর্বে দাড়িয়ে থেকে সেই সত্যেরই প্রত্যায়ন করছে।
মূর্তি এবং ভাস্কর্য নিয়ে খাজা সোহেল আরমান চিশতীর কবিতাটা খূব তাৎপর্যপূর্ণ:
মূর্তির কোন ক্ষমতা নেই পাপ ও পুণ্যের।
মূর্তির ক্ষমতা নেই মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জায় অথবা শিক্ষালয়ে শিশু বলাৎকারের।
মূর্তির ক্ষমতা নেই স্বামীর কাছ থেকে স্ত্রীকে ছিনিয়ে নিয়ে ইজ্জত হননের।
মূর্তির ক্ষমতা নেই দুর্বলের মুখের অন্ন কেড়ে ভুরি ভোজনের।
মূর্তির ক্ষমতা নেই মৃত নারীর লাশের সহিত যৌন সঙ্গমের।
মূর্তি কি কখনো কাউকে দিয়েছে হাত ছানি?
পূজো কর আমায়, ঈশ্বর মানো আমায়
অথবা শুনিয়েছে কি ধর্ম বা অধর্মের কোনও বাণী?
করেনি আঘাত তোমার প্রতি,
তোমার ধর্মের প্রতি কেউ।
পূজারীর মূর্তি?
সে তো দেব-দেবী
অথবা ভগবানের কোনো কল্পিত ছবি।
ভাস্কর্য?
সে তো তুলে ধরে একটি জাতির ইতিহাস-
ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সব-ই ।
ভাস্কর্যকে মূর্তি বলে
কেন জ্বালছো আগুন অবুঝ মনে?
সেতো নিষ্পাপ, নিষ্প্রাণ,
শিল্পী সত্ত্বার শিল্প কর্ম
কেন সেথায় বসাচ্ছো ফতোয়ার ছুরি
কলঙ্কিত করছো ধর্ম?
মূর্তি জ্ঞানে কেহ পুঁজিলে তারে
পাপ সে তো পূজারীর, মূর্তির নহে।
পূজিলে মূর্তি, যদি পাপে ভরে পূজারীর দেহ
সে পাপ একান্তই পূজারীর
যার বোঝা বইবে না অন্য কেহ।
তবে তোমার কেন জ্বলছে এতো?
কেন হানছো আঘাত অন্যের স্বাধীনতায়
সু-বুদ্ধি নেই কি একটুও মাথায়?
ভাস্কর্যকে মূর্তি বলা চলে না। ভাস্কর্য আর মূর্তি এক জিনিস নয়। শব্দগত ভাবেই নয়, ভাবগত ভাবেও নয়। মূর্তি হলো সেই উপাদান যাকে স্রষ্টার প্রতিরুপ বা সমতুল্য মনে করে পূজা করা হয়। যেমন ক্বাবাতে ছিল হোবল, উজ্জা, লাত, মানাত ইত্যাদি।
প্রতিমাকে পূজা করা হয়, তার কাছে প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া প্রতিমাকে ভাগ্যবিধাতা, রিজিকদাতা, শক্তিদাতা, এমনকি হুকুমদাতার আসনেও বসানো হয়। এবং কোরআনেও দুটো আলাদা শব্দেই তামাসিলা (ভাস্কর্য) ও আসনাম (মূর্তি) বলেই সত্য প্রকাশ করা হয়েছে ।
ইসলাম ধর্ম ভাস্কর্য নির্মাণ বা প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে, এমন কোনও বক্তব্য নেই। বরং আল কোরআনে মূর্তিপূজা নিয়ে যে আয়াতগুলো রয়েছে, সেখানে শুধু মূর্তি বা ভাস্কর্য অর্থে শব্দটি ব্যবহৃত হয়নি। ‘মূর্তিপূজা’ করার অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। অর্থাৎ আল কোরআনের অবস্থান মূর্তি বা ভাস্কর্য নয়, মূর্তিকে পূজা করার বিপক্ষে। অনেকে যেভাবএক কথায় বলছেন ‘ভাস্কর্য নিষিদ্ধ’। আল কোরআনে এভাবে কোথাও লেখা নেই ‘ভাস্কর্য নিষিদ্ধ’। বরং উল্টো অনুমোদন পাওয়া যায় - সুলাইমান আ: সর্ম্পকিত সূরা সাবাহর রানী বিলকিসের বৃত্তান্ত ময় সূরা সূরা সাবায়। সূরা সাবায় কি বলেছে?
يَعْمَلُونَ لَهُ مَا يَشَاء مِن مَّحَارِيبَ وَتَمَاثِيلَ وَجِفَانٍ كَالْجَوَابِ وَقُدُورٍ رَّاسِيَاتٍ اعْمَلُوا آلَ دَاوُودَ شُكْرًا وَقَلِيلٌ مِّنْ عِبَادِيَ الشَّكُورُ
“তারা সোলায়মানের ইচ্ছানুযায়ী দুর্গ, ভাস্কর্য, হাউযসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণ করত। হে দাউদ পরিবার! কৃতজ্ঞতা সহকারে তোমরা কাজ করে যাও। আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পসংখ্যকই কৃতজ্ঞ।”
They worked for him as he desired, (making) arches, images, basons as large as reservoirs, and (cooking) cauldrons fixed (in their places): "Work ye, sons of David, with thanks! but few of My servants are grateful!"
সূরা সাবা, আয়াত-১৩
সূরা সাবার ১৩ নম্বর আয়াতের তামাসিলা (ভাস্কর্য) এবং সূরা ইব্রাহিমের ৩৫ নম্বর আয়াতের আসনাম (প্রতিমা পূজা)—এই দুটি শব্দের অর্থকে বিকৃত করে যারা একই অর্থে মূর্তিকে ভাস্কর্য বানাতে চাচ্ছেন, তাদের বলবো অনুগ্রহ করে কোরআনের শব্দের অর্থকে ভুল ব্যাখ্যা করবেন না। বরং খেয়াল করুন এই আয়াতে দুর্গ, ভাস্কর্য, হাউযসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির উপর স্থাপিত বিশাল ডেগ নির্মাণে উৎসাহ দেয়া হয়েছে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতার শর্তে।
প্রকৃতপক্ষে আল কোরআনে কিছু ঘটনার মাধ্যমে মূর্তিপূজার বিপক্ষে বলা হয়েছে। যেমন, সুরা আল আম্বিয়া: “যখন সে তার পিতা ও তার সম্প্রদায়কে বললো, এই মূর্তিগুলো কী, যার পূজায় তোমরা রত রয়েছ!’ সে বললো: ‘তোমরা নিজেরা ও তোমাদের পিতৃপুরুষরাও রয়েছে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে।” (৫২-৫৪)। অথবা সুরা আল আরাফ: “তখন তারা এমন এক সম্প্রদায়ের কাছে গিয়ে পৌঁছাল, যারা স্বহস্ত নির্মিত মূর্তিপূজায় নিয়োজিত ছিল। তারা বলতে লাগলো, ‘হে মুসা, আমাদের উপাসনার জন্যও তাদের মূর্তির মতোই একটি মূর্তি নির্মাণ করে দিন।’ তিনি বললেন, ‘তোমাদের মধ্যে বড়ই অজ্ঞতা রয়েছে।” (১৩৮)।
এই সুরার ১৩৯ থেকে পরবর্তী আয়াতগুলো পড়লে স্পষ্টতই বোঝা যায়, হজরত মুসার (আ.) সম্প্রদায় গরুর মূর্তি তৈরি করে তার পূজা করলে ওই পূজার বিষয়ে আল্লাহ হজরত মুসার (আ.) সম্প্রদায়কে সতর্ক করেছেন। এখানে শুধু পূজা ছাড়া শুধু মূর্তি বা ভাস্কর্য নিষিদ্ধ তা বলা হয়নি।
তবে সুরা হজের ৩০নং আয়াতের অনেকের বাংলা অনুবাদ: ‘তোমরা মূর্তিদের অপবিত্রতা থেকে বেঁচে থাকো এবং মিথ্যা কথন থেকে দূরে সরে থাকো’ পড়লে মনে হতে পারে মূর্তিপূজা নয়, মূর্তিও বর্জনীয়। কিন্তু ওই আয়াতের পূর্বের ও পরের আয়াতগুলো পড়লে সুস্পষ্টভাবে বোঝা যাবে, মূর্তিদের বলতে এখানে সেই মূর্তিদের কথা বলা হয়েছে, যাদের পূজা করা হয় এবং আল্লাহ তার সঙ্গে ওই মূর্তিদের শরিক করতে নিষেধ করেছেন। ওই মূর্তিদের বলতে এখানে ভাস্কর্য বোঝানো হয়নি। আর সেই কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মুজীবুর রহমান ওই আয়াতের অনুবাদ করেছেন: ‘তোমরা বর্জন কর মূর্তিপূজার অপবিত্রতা’ [তাফসির ইবনে কাসীর, চতুর্দশ খণ্ড (ঢাকা : তাফসির পাবলিকেশন কমিটি, ২০০৫), ৪৫৩]।
উপর্যুক্ত আয়াত থেকে ভাস্কর্য ইসলামে বৈধ এবং মূর্তিপূজা অবৈধ তা স্পষ্ট। কারণ আল্লাহ পূর্বের আয়াতগুলোয় মূর্তিপূজা করতে নিষেধ করলেও সূরা সাবার তের নং আয়াতে নিজেই কৃতজ্ঞতা সহকারে দুর্গ, হাউজসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং চুল্লির ওপর স্থাপিত বিশাল ডেগের পাশাপাশি ভাস্কর্য নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখতে বলেছেন। প্রশ্ন হতে পারে, আল্লাহ ভাস্কর্য নির্মাণ অব্যাহত রাখতে নির্দেশ দিচ্ছেন, সেখানে উলামারা ভাস্কর্য নিষিদ্ধ এ কথা বলার কে! এখানে ‘ওয়াতামাছিল’ শব্দটি পূজার জন্য নির্মিত নয় এমন ভাস্কর্য অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে (অবশ্যই এই বিষয়টি বোঝার জন্য পণ্ডিত হওয়ার দরকার নেই। সাধারণ জ্ঞান বলে নবী সুলাইমান (আ.) নিশ্চয় পূজা করার জন্য কোনও ভাস্কর্য নির্মাণ করবেন না। আর সেই ভাস্কর্যকে আল্লাহ স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নও আসে না। সুতরাং এই ভাস্কর্য যে পূজার জন্য নির্মিত হয়নি তা স্পষ্ট)। হজরত সুলাইমান (আ.) ভাস্কর্য নির্মাণ করেছিলেন, সেটি মহান আল্লাহ আল কোরআনে স্বীকৃতি দিয়েছেন। হজরত মুসা (আ.) অথবা ইব্রাহিম (আ.)-এর ক্ষেত্রে যে মূর্তি নির্মাণ করা হয়েছিল, তা উপাসনার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল বলে মহান আল্লাহ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং ওইগুলো পরিত্যাগ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু হজরত সুলাইমান (আ.)-এর ভাস্কর্য পূজার জন্য নির্মিত হয়নি বলে আল্লাহ ওই ভাস্কর্য নির্মাণকে আল কোরআনে স্বীকৃতি দিয়েছেন। বস্তুত আল কোরআনে ভাস্কর্য বিষয়ে দুই ধরনের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট হয় যে, যদি ভাস্কর্য উপাসনার জন্য নির্মিত হয় অথবা উপাসনার জন্য ব্যবহৃত হয়, তাহলে তা অবশ্য নিষিদ্ধ। কারণ তখন সেটি অবশ্যই আর ভাস্কর্য থাকে না। দেব-দেবীর মূর্তিতে পরিণত হয়। আর যদি হজরত সুলাইমান (আ.)-এর মতো সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বা স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত হয়, তাহলে সেটি মূর্তি নয়, ভাস্কর্য হিসেবে বিবেচিত হয়। অনেকে হয়তো খোঁড়া যুক্তি দিয়ে বলতে পারেন, হজরত সুলাইমান (আ.)-এর সময় ভাস্কর্য নির্মাণের অনুমতি ছিল; হজরত মোহাম্মদ (সা.) -এর সময় তা বৈধ নয়। তাদের এ ধরনের বক্তব্য আল কোরআনের অস্তিত্বকেই প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
কারণ আল কোরআনের প্রায় অধিকাংশ অংশজুড়ে প্রাচীন ইতিহাস, নবীদের সময়ের দৃষ্টান্ত নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এবং ওই আলোচনার মাধ্যমে মুসলিমদের জন্য করণীয় ও বর্জনীয় সম্পর্কে বলা হয়েছে। মুসলিমরা যদি এভাবে নিজেদের স্বার্থের প্রয়োজনে আল কোরআনে বর্ণিত নবীদের সময়ের ঘটনা তাদের জন্য প্রযোজ্য নয় বলতে থাকেন তাহলে ইসলামের অস্তিত্বই বিপন্ন হবে। কারণ ইসলাম ধর্ম মতে, ইসলাম হজরত মোহাম্মদ (সা.) প্রবর্তিত ধর্ম নয়। হজরত আদম (আ.) ইসলাম ধর্ম প্রবর্তন করেন এবং পরবর্তী সময়ে নানা জাতি-জনপথে আগমনকারী নবীদের মাধ্যমে তা বিকশিত হয়ে সর্বশেষ নবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) -এর মাধ্যমে তা পরিপূর্ণতা পায়। তাই পূর্ববর্তী নবীদের সময়ের ঘটনাও মুসলিমদের জন্য অনুসরণীয়। আল্লাহ নিজেই মোহাম্মদ সা: কে ইব্রাহিমের ধর্ম অনুসরনের নির্দেশ দিয়েছেন। তাই এই আয়াত সুলাইমান আ: এর জন্য, আমাদের জন্য নয় এমন বলার সুয়োগ, অধিকার, বা সাহস কোনটাই থাকা উচিত নয়।
আল কোরআনে মূর্তিপূজার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে অনেকে বলেন, যদি ভাস্কর্য তৈরি করা হয় তাহলে মুসলিমরা মূর্তিপূজায় ফিরে যেতে পারে; যেমন গিয়েছিল হজরত মুসার (আ.) সম্প্রদায়, ইব্রাহিম আর এর পরের প্রজন্ম কাবায় তিনশত ষাটটি মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছিল। তাদের জন্য বলছি, সে সম্ভাবনা একেবারেই নেই। কারণ হজরত মোহাম্মদ (সা.) সর্বশেষ নবী। এরপর আর কোনও নবী আসবেন না। পূর্ববর্তী নবীর উম্মতরা মূর্তিপূজায় ফিরে যায়। কারণ পরবর্তী নবী প্রেরণের জন্য আল্লাহ ওই রকম প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিলেন। কিন্তু আল কোরআনের ক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা নেই। কারণ সুরা হিজরে আল্লাহ নিজেই আল কোরআন তথা ইসলাম ধর্মের হেফাজত করবেন বলে ঘোষণা করেছেন। তাই কেয়ামত পর্যন্ত ইসলাম কখনও বিলুপ্ত হবে না এবং নতুন নবীও আর আসবে না।
আর ভাস্কর্য নির্মাণ করলে যদি মুসলিমরা মূর্তিপূজায় ফিরে যেতো, তাহলে ইরানে বছরের পর বছর বিদ্যমান থাকা ভাস্কর্যের প্রভাবে ইরানে একজনও মুসলিমের অস্তিত্ব থাকার কথা নয়। অন্যদিকে হজরত মোহাম্মদ (সা.) -এর অবস্থান শুধু মূর্তিপূজার বিপক্ষে ছিল না। তিনি আগুন, বাতাস, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র, গাছ, কুয়া প্রভৃতির ইবাদত সম্ভব নয়–তাও বলেছেন। এবং কোন বিশ্বাসী বা মুসলমান সে সব করে না। যদি কেউ করে সে আর মুসলিমদের অর্ন্তভূক্ত থাকে না।
প্রসঙ্গক্রমে বলতে ইচ্ছে হচ্ছে যে, হযরত মোহাম্মদ (সা: )সহ ইসলাম ধর্মের আদি অনুসারীরাতো মূর্তির মধ্যেই ছোটবেলা থেকে বড় হয়েছিলেন। হযরত মোহাম্মদ (সা: ) কাবা ঘরে যেতেন যেখানে ছিল অনেক মূর্তি। সুখে-দুঃখে তখন কাবাই ছিল সেই অঞ্চলের লোকজনের একমাত্র ভরসার স্থান। অথচ বাল্যকালে তিনি কোনো মূর্তি ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন বলে শোনা যায় না।
আরবের মুসলিম ইতিহাস পড়লে দেখা যায়, কাবা ঘরকে একাধিকবার পুনর্গঠন করতে হয়েছিল। একবার কাবা মেরামতের পর ‘হাজরে আসওয়াদ’ উঠিয়ে কে সেটাকে নির্ধারিত স্থানে পুনঃস্থাপন করবে এই নিয়ে যখন মুল গোত্রের নেতারা একমত হতে পারছিল না এবং প্রায় সংঘাত পর্যায়ে চলে এসেছিল তখন বলা হল, পরবর্তী যে ব্যক্তি কাবা ঘরে প্রবেশ করবে আমরা তার পরামর্শ মেনে নিব। সেই পরবর্তী ব্যক্তিটি হলেন তখনকার মোহাম্মদ (সা: )। তিনি বিচক্ষণতা দিয়ে বললেন, কালো পাথরটি একটি চাদরের মাঝখানে রাখা হোক এবং চার গোত্র প্রধান সেটা বহন করে নিয়ে যাক।তিনি নিজে পাথরটি স্ব-স্থানে বসিয়ে দিয়ে- এভাবেই তিনি রক্তাক্ত সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান করে দিলেন।
তখন কি তিনি কাবার মূর্তিগুলো দেখে মুখ ফিরেয়ে নিয়েছিলেন কিংবা তিনি কি দাবি করেছিলেন যে, আমি সমাধান দিব, তোমরা যদি মূর্তি ভেঙে ফেল?
হিজরতের পর মদিনাতে গিয়ে হযরত মোহাম্মদ (সা: ) ‘মসজিদে নবুবী’ স্থাপন করেন। যেখানে ইহুদি-খ্রিস্টান ও পৌত্তলিক পূজকসহ সকলের প্রবেশের অধিকার ছিল এবং একই স্থানে মুসলমানেরা নামাজ পড়তেন। এই মসজিদে বসেই বিভিন্ন ঘটনা ও দ্বন্দ্বের বিচার-মীমাংসা করতেন নবী (সা: )। এটাই ছিল তাঁর দপ্তর। অন্য ধর্মে বিশ্বাসীদের নিজদের মধ্যে মীমাংসায় পৌঁছে দিতে তিনি সেই ধর্ম বা গোত্রের বিচক্ষণ ব্যক্তিদের মতামতও নিতেন।
এছাড়া সেই মদিনা মসজিদে বসে তিনিসহ অন্যান্য মুসলমানেরা জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মোকাদ্দাস মুখি হয়ে নামাজ পড়তেন। এরপর যখন তাঁর উপর নির্দেশ এল, (সূরা ২ / ১৪২-১৪৪) তিনি কেবলা ঘুরিয়ে মক্কায় অবস্থিত কাবা ঘরের দিকে মুখ করে নামাজ পড়তে শুরু করলেন। বাস্তবতা হল, তখনো কিন্তু কাবা ঘরের মধ্যে চন্দ্র দেবতা আল্লাহ সহ ৩৬০টি মূর্তি ছিল। মূর্তি থাকা অবস্থায় কেবলা কাবামুখী হয়েছিল এবং মক্কা বিজয়ের আগ পর্যন্ত প্রায় আট বছরেরও অধিক সময় মূর্তিসহ কাবামুখী হয়ে নামাজ পড়েছেন নবীর নেতৃত্বে সে সময়কার মুমিনেরা।
স্বভাবতই মনে হতে পারে, মূর্তির অবস্থান কাবাতে থাকলেও মনের চিন্তা ছিল আল্লাহ কিংবা আল্লাহর পবিত্র ঘর কাবার প্রতি। এখানেই প্রশ্ন এসে যায়, আজ কেন মূর্তি দেখে আমদের ধর্মীয় ইমান ও বিশ্বাস স্থির থাকতে পারে না। কীসের এত ভয়?
আমরা জানি একবার হযরত মোহাম্মদ (সা: ) একবার হজ্জ করার উদ্দেশ্য নিয়ে মক্কা অভিমুখে রওনা হন। কিন্তু কুরাইশদের বাধার কারণে হজ্জ না করে মদিনাতে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। ফিরে যাবার আগে ‘হুদাইবিয়ার সন্ধি’ নামে মক্কাবাসীদের সঙ্গে একটি সন্ধি করেছিলেন তিনি। সেই সন্ধি মোতাবেক পরের বছর তিন দিন মক্কায় অবস্থান করে মুসলমানেরা হজ পালন করেছিল। তখনও কিন্তু ৩৬০টা মূর্তি ছিল কাবা ঘরে। তারা কিন্তু মূর্তি পূজা করেন নি। বা তা সে হিসেবে গণ্যও হয় নি। খুব সহজ সমাধান আছে ইসলামে এই বিষয়ে- ইন্নামাল আমালু বিন নিয়াত। কর্মফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। তবে আর এক দ্বিধা কেন?
মূর্তি ও মূর্তিপূজা সম্পর্কে মহান আল্লাহর কিছু বাণী
মহান আল্লাহ বলেনঃ তোমরা তো আল্লাহকে বাদ দিয়ে মূর্তির পূজা করছো আর মিথ্যা বানাচ্ছো। নিশ্চয়ই আল্লাহ ছাড়া তোমরা যাদের উপাসনা করো, তারা তোমাদের জন্য রিযিক দানের কোন ক্ষমতা রাখে না। তাই আল্লাহর নিকট রিযিক তালাশ করো আর তাঁরই ইবাদাত করো এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। তাঁরই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে। [সূরা আনকাবুত, আয়াত ১৭]
মহান আল্লাহ বলেনঃ আর ইব্রাহিম বলল, দুনিয়ার জীবনে তোমাদের মধ্যে পরস্পরিক ভালোবাসার জন্যই তো তোমরা আল্লাহকে ছাড়া মূর্তিদেরকে গ্রহণ করেছো। তারপর কিয়ামতের দিন তোমরা একে অপরকে অস্বীকার করবে এবং পরস্পর পরস্পরকে অভিশাপ দিবে, আর তোমাদের ঠিকানা হবে জাহান্নাম আর তোমাদের জন্য থাকবে না কোন সাহায্যকারী। [সূরা আনকাবুত, আয়াত ২৫]
মহান আল্লাহ বলেনঃ সে ব্যক্তি অপেক্ষা অধিক বিভ্রান্ত কে, যে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে যা কিয়ামত দিবস পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দিবে না। আর তারা তাদের ডাক সম্বন্ধে অবহিতও নয়। যখন কিয়ামতের দিন মানুষকে একত্রিত করা হবে, তখন তারা তাদের শত্রু হয়ে দাঁড়াবে এবং তাদের উপাসনাকে অস্বীকার করবে। [সূরা আহকাফ, আয়াত ৫-৬]
এসকল আয়াতে পরিষ্কার বলা হচ্ছে উপাস্য হিসেবে নির্মিত মূর্তির কথা। ভাস্কর্যের কথা নয়। আরবী শব্দ তামাসিলা (ভাস্কর্য) এবং আসনাম (প্রতিমা পূজা)—এই দুটি শব্দের অর্থকে বিকৃত করে যারা একই অর্থে মূর্তিকে ভাস্কর্য বানাতে চাচ্ছেন, তাদের বলবো অনুগ্রহ করে কোরআনের শব্দের অর্থকে ভুল ব্যাখ্যা করবেন না।
সাম্প্রদায়িকতার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে পবিত্র কোরআন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘ধর্মের ব্যাপারে জোরজবরদস্তি নেই। ভ্রান্ত মত ও পথকে সঠিক মত ও পথ থেকে ছাঁটাই করে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। ’ -সূরা বাকারা :২৫৬
সুতরাং ‘তোমাদের ধর্ম তোমাদের জন্য, আমাদের ধর্ম আমাদের জন্য। ’ -সূরা কাফিরুন : ৫
একে অন্যের ধর্ম পালন করতে গিয়ে কেউ কোনোরূপ সীমা লঙ্ঘন কিংবা বাড়াবাড়ি করবে না। অন্য কেউ যদি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করেও ফেলে তবে ভুলেও যেন কোনো ইমানদার এ ধরনের হীন ও জঘন্য কাজের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত না করে। এ বিষয়টিই নসিহতস্বরূপ মুমিনদের উদ্দেশে আল্লাহতায়ালা বলছেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যেসব দেবদেবীর পূজা-উপাসনা করে, তোমরা তাদের গালি দিও না। যাতে করে তারা শিরক থেকে আরো অগ্রসর হয়ে অজ্ঞতাবশত আল্লাহকে গালি দিয়ে না বসে। ’ -সূরা আনআম: ১০৮
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলমান যদি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অধিকার ক্ষুন্ন করে কিংবা তাদের ওপর জুলুম করে, তবে কেয়ামতের দিন আমি মুহাম্মদ ওই মুসলমানের বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে লড়াই করব। ’ –সুনানে আবু দাউদ : ৩০৫২
ইসলামের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘যারা মানুষকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ডাকে, সাম্প্রদায়িকতার জন্য যুদ্ধ করে, সংগ্রাম করে এবং জীবন উৎসর্গ করে তারা আমাদের দলভুক্ত নয়। ’ -সুনানে আবু দাউদ : ৫১২৩
তবে প্রকৃত আলেমরা আজো আছেন। তারা উলামায়ে ছু’ দের অন্যায় দাবীর প্রতিবাদে সমাবেশ ও করছেন। ভাস্কর্য স্থাপনকে মূর্তি স্থাপনের সঙ্গে তুলনা করে এটাকে শিরক সংস্কৃতি বা বিজাতীয় সংস্কৃতি বলে আখ্যা দেওয়াকে মামা বাড়ির আবদার বলে মনে করে বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোট।
গত ২২ নভেম্বর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের পক্ষে এ কথা জানান সভাপতি হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান। তিনি বলেন, ‘মূর্তি বা ভাস্কর্য মানেই শিরকের উপকরণ নয়।’
হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান বলেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতি বিজাতীয় সংস্কৃতি নয়, এটি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি। এ সংস্কৃতিতে যেসব জিনিস শিরক বা আল্লাহর সঙ্গে অংশীবাদিতার মিশ্রণ ছাড়াই পালিত হয়ে আসছে, সেটিকে হঠাৎ করে শিরক সংস্কৃতি বলা নোংরা রাজনীতি ছাড়া কিছুই নয়। বুখারি শরিফের শুরুতেই রয়েছে—বিখ্যাত হাদিস, “ইন্নামাল আমালু বিন্নিয়্যাত (নিয়তের উপর কাজ নির্ভরশীল)"।
মূর্তি বা ভাস্কর্য মানেই শিরকের উপকরণ নয়। হযরত আয়শা (রা.)-এর ঘরে ঘোড়ার ছোট মূর্তি রাখা ছিল (সূত্র: বুখারি শরিফ-কিতাবুল আদাব)। কই, রসূল (সা.) তাকে তো নিষেধ করেননি। এই ছোট পুতুল বা মূর্তি পূজার জন্য ছিল না; বরং খেলার জন্য ছিল। তাই রসূল (সা.) নিষেধ করেননি। একইভাবে যেসব ভাস্কর্য সৌন্দর্য্য চর্চা ও রুচিশীলতার পরিচয় বা ঐতিহাসিক কোনও ঘটনার স্মৃতিফলক হিসেবে স্থাপিত হয়, তা ইসলামি শিক্ষানুযায়ী নিষিদ্ধ নয়।’
তিনি বলেন, ‘ভাস্কর্য, প্রতিমা পূজা, মূর্তি—এক জিনিস নয়। পবিত্র কোরআনের সূরা সাবার ১৩ নম্বর আয়াতে ভাস্কর্য নির্মাণের উল্লেখ করে বলা হয়েছে—“উহারা সুলায়মানের ইচ্ছানুযায়ী প্রাসাদ, ভাস্কর্যসদৃশ বৃহদাকার পাত্র এবং সুদৃঢ়ভাবে স্থাপিত ডেগ নির্মাণ করিতো। আমি বলিয়াছিলাম, হে দাউদ-পরিবার, কৃতজ্ঞতার সঙ্গে তোমরা কাজ করিতে থাক। আমার বান্দাদের মধ্যে অল্পই কৃতজ্ঞ”।
প্রতিমা পূজার ব্যাপরে পবিত্র কুরআনের সূরা ইব্রামিমের ৩৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে—“স্মরণ কর, ইব্রাহিম বলিয়াছিলেন, হে আমার প্রতিপালক, এই নগরীকে নিরাপদ করিও এবং আমাকে ও আমার পুত্রগণকে প্রতিমা পূজা হইতে দূরে রাখিও।” সূরা সাবার ১৩ নম্বর আয়াতের তামাসিলা (ভাস্কর্য) এবং সূরা ইব্রাহিমের ৩৫ নম্বর আয়াতের আসনাম (প্রতিমা পূজা)—এই দুটি শব্দের অর্থকে বিকৃত করে যারা একই অর্থে মূর্তিকে ভাস্কর্য বানাতে চাচ্ছেন, তাদের বলবো অনুগ্রহ করে কোরআনের শব্দের অর্থকে ভুল ব্যাখ্যা করে মাঠ গরম করার চেষ্টা করবেন না। কারণ এ দেশের মানুষ আপনাদের ‘৭১ সালেও চিনতে ভুল করেনি, এখনও করবে না। ১৯৫২ সালের ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনার, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে নির্মিত জাতীয় স্মৃতিসৌধ, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে নির্মিত শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ এবং সাত জন বীরশ্রেষ্ঠের নামে স্থাপিত স্মৃতি ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে যখন বাংলাদেশের মুসলমানরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, তখন তারা কেউই সেখানে ইবাদতের নিয়তে বা প্রার্থনার নিয়তে যান না। সেখানে জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শহীদদের ত্যাগের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয় মাত্র।’
মূতি বা ভাস্কর্য মাত্রই শিরকের উপকরণ নয় দাবি করে সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি আরও বলেন, ‘যেটি যে উদ্দেশ্যে বানানো হয়, সেটিকে সেভাবে বিবেচনা করতে হবে। হযরত মা আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) রাসুল (সা.) এর প্রিয় স্ত্রী ছিলেন। তার কয়েকটি পুতুল ছিল বলে হাদিসে স্পষ্ট উল্লেখ পাওয়া যায়। তিনি তার বান্ধবীদের সঙ্গে এসব পুতুল নিয়ে খেলা করতেন। কই, মহানবী (সা.) তো তাকে শিরক বলে এসব পুতুল নিয়ে খেলতে বারণ করেননি। আবার এসব পুতুল শিরকের উপরণ এমন কথাও কখনও বলেননি। রাসুল (সা.)-এর বাসগৃহে পুতুলের অবস্থান স্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছে, পুতুল বা ভাস্কর্য মাত্রই শিরকের উপকরণ নয়। কট্টর ওয়াহাবিপন্থী হুজুররাও এটি জানেন, প্রাণীর ভাস্কর্য মানেই শিরক নয়। সৌদি আরবের জেদ্দার মূল কেন্দ্রে “দি ফিস্ট” নামে একটি ভাস্কর্য আছে, এটি একটি মুষ্টিবদ্ধ হাতের ভাস্কর্য। আরও আছে ঘোড়ার ও মাছের ভাস্কর্য; একইভাবে মুসলিম অধ্যুষিত সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান, ইন্দোনেশিয়া ও মিশরে রয়েছে ঘোড়া ও অন্যান্য জীবের ভাস্কর্য। সুতরাং বলা যায়, ভাস্কর্য জীবের হোক বা জীব দেহের কোনও অংশের হোক, তা যদি শিরক বা পূজার উদ্দেশ্যে নির্মিত না হয়, তবে এতে দোষের কিছু নেই।’
চরমোনাই পীর মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এবং হেফাজতের নেতা মামুনুল হককে উদ্দেশ করে মাওলানা জিয়াউল হাসান বলেন, ‘আমরা বলবো, আপনাদের দেশবিরোধী এই সব আন্দোলন বাস্তবায়নের জন্য জনগণের মেনডেট নিয়ে সংসদে গিয়ে বিল উত্থাপন করে তা পাশ করুন।’
ইসলামী জোটের সভাপতি বলেন, ‘ধর্মের নাম নিয়ে সরল মানুষকে বিভ্রান্ত করা এবং গুজব রটিয়ে তাদের রাজপথে নামিয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করা ধার্মিকতার লক্ষণ নয়। এ ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে যেকোনও সরকার ব্যবস্থা নিতে পারে। তাছাড়া মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন, “তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করবে না, কারণ ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করে (ইতিপূর্বে) অনেক জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে।”
আমরা আশা করবো প্রকৃত ইসলামী স্কলারগণ এগিয়ে আসবেন। এবং সত্য জ্ঞানের আলোয় জাতিকে আলোকিত করবেন। আর সরকার মহোদয় প্রয়োজনে এই বিষয়ে উন্মুক্ত বাহাসের আয়োজন করতে পারেন। যা প্রয়োজনে টিভিতে লাইভ হবে। এবং যুক্তি তর্ক তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনের মাধ্যমে পক্ষ বিপক্ষ উভয়েই তাদের মত তুলে ধরবেন। এবং বিজয়ী পক্ষের মতই গ্রহণযোগ্য বলে উভয় পক্ষ এবং সরকার ও দেশবাসী মেনে নেবেন।
ছবি কৃতজ্ঞতা : গুগল
তথ্য সূত্র ও কৃতজ্ঞতা:
অন্তর্জাল সহ
https://bn.wikipedia.org/wiki/à¦à¦¾à¦¸à§à¦à¦°à§à¦¯
https://www.banglanews24.com/opinion/news/bd/577278.details
https://bn.wikipedia.org/wiki/মদিনার_সনদ
২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার আবেগটুকু অনুভব করেই বলছি,
আমরা কি সত্যি নবীজিকে চিনি? ধারন করতে পেরেছি?
খোদ আরবের কি অবস্থা বলুনতো?
নবীজির ছিটেফোটাও কায়েম হয়েছে যার কুল কায়েনাত তার অনুগত হয়েছে
অথচ কি দূর্ভাগ্য দেখুন নামধারী মুসলমানরাই এক হতে পারছে না? তাদের মাঝেই সেই চেতনার
বিকাশ থেমে গেছে। আজ বিশ্ব ব্যাপি লাঞ্চিত, বঞ্চিত শোষিত জাতি মুসলমানরাই।
আমি কোরআনের আয়াতকে বেইজ করেই বাকী আলোচনা করার চেষ্ট করেছি- এর প্রকৃত স্বরুপ সন্ধানে।
আপনার কাছে যদি যথাযথ তথ্য থাকে দয়া করে উপস্থাপন করুন।
সূরা সাবার আয়াত রদ হয়েছে কিনা? বা তার মর্মাথ ভিন্ন কিছু কিভাবে বুঝিয়ে দিলে আমিও হয়তো বুঝতে পারবো।
ভাস্কর্য আর মূর্তির সাথে ঘুষ আর সুদের যে উপমা দিলেন তাকি যথাযথ হলো?
নিজেই ভাবুন।
২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩
শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল পোস্ট ।
একজন ভাস্কর্য শিল্পী হিসাবে আমার কখনো মনে হয়নি এসব পুজোর জন্য বা পুজো করা যায় অথবা উচিত । আমাদের মানসিক অবস্থান বাবুনগরির লেভেলে গেলে তা হতে পারত । আমরা ইতিহাস , সময় , বিশেষ ঘটনাকে মানুষের মধ্যে জাগিয়ে রাখতে , নগর সৌন্দর্য বর্ধন এবং মানুষের ভেতরে শিল্প বোধ শিল্প চেতনা জাগরুক করবার লক্ষে ভাস্কর্য নিজ উদ্যোগে বা ব্যাক্তিগত অর্থায়নে , সরকারি অর্থায়নে করে থাকি ।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় শাহ আজিজ ভায়া
হুম। আত্মার জাগরণ হোক সকলের। পুথিগত বিদ্যা আর আক্ষরিক অনুবাদের জড়তা থেকে বেরিয়ে আসুক আলেম সমাজ।
জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হোক সকলে।
৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৩
আমি নই বলেছেন: তবে প্রকৃত আলেমরা আজো আছেন। তারা উলামায়ে ছু’ দের অন্যায় দাবীর প্রতিবাদে সমাবেশ ও করছেন। ভাস্কর্য স্থাপনকে মূর্তি স্থাপনের সঙ্গে তুলনা করে এটাকে শিরক সংস্কৃতি বা বিজাতীয় সংস্কৃতি বলে আখ্যা দেওয়াকে মামা বাড়ির আবদার বলে মনে করে বাংলাদেশ সম্মিলিত ইসলামী জোট।
ভাই, আপনার প্রকৃত আলেমদের সভাপতি জনাব মাওলানা জিয়াউল হাসান সম্প্রতি নিউজ২৪ এর একটি টক শোতে কাবা শরিফকে ভাস্কর্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আপনিও কি একমত যে কাবা শরিফ একটি ভাস্কর্য এবং মুসলমানরা একটি ভাস্কর্যের তাওয়াফ করে?
২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমার জানা নেই এমন কথা তিনি বলেছেন কিনা?
আর সকলের সকল বিষয়ে যে কমপ্লিট নলেজ থাকবে তাওতো নয়।
কাবা কি? কয়জন বোঝে? কাবার হাকিকত কি? কয়জানে অনুভব করে।
তারপরো ভুল আমি বললেও যথাযথ ধরিয়ে দিলে স্বীকার করে নেব।
কিন্তু উত্তেজিত না হয়ে আসুন মুক্ত মনে মুক্ত জ্ঞানের দিকে ধাবিত হই।
৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনেকদিন পর ভাল একটি প্রসংগ তুলে ধরেছেন।
সুন্দর ভাবে গুছিয়ে বলেছেন। ভাল লাগলো।
তবে আফগানিস্তানে জঙ্গি চরমপন্থিরা অনেক স্থাপনা ভেঙ্গে ফেললেও এখনো বেশ কিছু ভাষ্কর্য আছে।
এটা সৌদিয়ারবে।
রিয়াদ হোটেল ইন্টারকনের সামনে, লিবার্টি ভাষ্কর্যের আদলে
২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভায়া
ভাস্কর্য গুলোর ছবি দেয়ায় আবারো ধন্যবাদ।
জ্ঞানের জয় হোক।
সত্যের জয় হোক
আমরা মুক্তির আলোকিত পথ যেন চিনতে পারি।
৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:১৬
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ ভায়া
৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৭
এভো বলেছেন: সৌদী আরব সহ বিশ্বের সব মুসলিম প্রধান দেশে ভাষ্কর্য আছে । এই ভাষ্কর্য গুলোকে যদি দেশের টিভি চ্যানেল গুলোতে দেখানো হয় ,তাহোলে জনগণের কাছে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে । এটা খুবই সহজ পদ্ধতি জনগণকে সঠিক তথ্যটা জানানোর । আমরা আশা করবো অতি শ্রীঘ্রই দেশের টিভি চ্যানেল গুলো এই উদ্দোগ নিবে । ধন্যবাদ
২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। ভাল কথা বলেছেন।
আমাদের প্রচলিত বোধের মাঝে যে কত ধারনা, আর আরোপিত ভাবনা মিশে আছে ইয়ত্তা নেই।কিন্তু তাকেও সইতে পারে কই?
'চ্যানেল আই'র উপস্থাপক ও সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নুরুল ইসলাম ফারুকীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
অথচ উনি আমাদের চিরদিনের শোনা আর ভাবনার সত্য গুলোতে ঘুরে ঘুরে দেখাচ্ছিলেন।
ইসলামী টার্ম আর নর্মসের অনেক অনেক ইস্যু দারুন ভাবে উঠৈ আসছিল উনার ধারাবাহিকে।
একসময় ইংরেজী শিক্ষা হারাম ফতোয়া ছিল
মাইকে আজান নাজায়েজ ফতোয়াও পেরিয়ে এসেছি
এখনো টিভি সিনেমা নাজায়েজ ফতোয়ায় আটকে আছে-
বিজ্ঞান সাধনা, চর্চা তো দিল্লি দূর অস্ত।
মুক্তি হোক বদ্ধ চেতনার।
৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সৌদি আরবের অনেক জায়গা আমার দেখা হয়েছে মানুষের ভাস্কর্য চোখে পড়েনি। তবে মক্কাসহ বিভিন্ন জায়গায় ইসলামী নির্দশন দেখেছি। দেশে মোল্লাদের একটা গ্রুপ ভাস্কর্যের পক্ষে কেন
২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কোরআনে সূরা সাবায় আল্লাহ সোলায়মান আ: কে অনুমতি দিয়েছেন ভাস্কর্য নির্মানে। আয়াতটা লেখায় উল্লেখ আছে।
তাই এখানে মোল্লাদের পক্ষ নেয়া হবেনা বিষয়টা । বরং তারা কোরআনের পক্ষে।
৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ। অনেক পরিশ্রম করেছেন।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সোনা ভাই
যেখানে আল্লাহ বলছেন - কৃতজ্ঞতা সহকারে কাজ করে যা্ও, সেখানে তারা অবৈধ বলছে!!!
সূরা সাবার আয়াতকেও অনেকে বলতে চাইছে- ঐটা ঐ নবীর জন্য, আমাদের জন্য নয়!
তো আমাদের জন্য না হলে তো না বললেও চলতো! নয় কি?
আমরাতো ফাইনাল ভার্সন!
তারমানেতো এই না আগের ভার্সনের সব বাতিল! বরং আরো বেশি আপগ্রেডেড।
ভাল থাকুন।
৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১২
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
প্রিয় বিদ্রোহী ভৃগু ভাই,
বিনিত নিবেদন এই যে, আপনাকে কাউন্টার দিয়ে ভাস্কর্য - মূর্তি বিষয়ে আজ রাতে একটি পোস্ট দিতে চাই। আপনার যথাযথ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি ও অনুমতি কামনা করছি।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভাই, অনুমতি পেলে ব্লগের মাঠে দেখা হবে।
নিবেদক,
ঠাকুরমাহমুদ
২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উরিব্বাস!
ভুই পাইসি ভায়া!
না বিষয়টা আমার কাউন্টার না হয়ে হোক সমাধান সূচক।
আমি কোরআনের আয়াতের উপর বেইজ করে একটা সত্যের স্বরূপ সন্ধানে নেমেছি।
চাইলে আপনিও সে পথের দিশা দিতেই পারেন।
এটা কোন ইউক্লিডিয় স্বত:সিদ্ধ নয়। যুক্তিপূর্ণ ভাবনার অবতারনা মাত্র।
ভায়ার কথায় আবাহনি মোহামেডান গন্ধ পাইতাছি
হা হা হা
আপনার যুক্তিপূর্ণ পোষ্টের অপেক্ষায় - - -
১০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪০
এভো বলেছেন: সৌদী আরবের জেদ্দায় কিছু ভাষ্কর্যের ছবি , আরো ভাষ্কর্যের ছবি গুগোল করলেই দেখতে পাবেন , ধন্যবাদ
২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
পোষ্ট ভারী হয়ে যাবার ভয়ে অনেক ছবি বাদ দিয়েছি।
মন্তব্যে দিয়ে পোষ্টের দাবী পূর্ণ করায় কৃতজ্ঞতা
ভাল থাকুন
১১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: দারুন এক পোষ্ট দিয়েছেন।
এই পোষ্ট টি স্টিকি করা যেতে পারে।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর
১২| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩
আমি নই বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমার জানা নেই এমন কথা তিনি বলেছেন কিনা?
ইউটিউবে দেখতে পারেন: youtube.com/watch?v=Mg1WCbIls4U
আর সকলের সকল বিষয়ে যে কমপ্লিট নলেজ থাকবে তাওতো নয়।
কাবা কি? কয়জন বোঝে? কাবার হাকিকত কি? কয়জানে অনুভব করে।
তারপরো ভুল আমি বললেও যথাযথ ধরিয়ে দিলে স্বীকার করে নেব।
কিন্তু উত্তেজিত না হয়ে আসুন মুক্ত মনে মুক্ত জ্ঞানের দিকে ধাবিত হই।
ভাই আমি উত্তেজিত হচ্ছিনা, সামুতে যে কয়জন ব্লগারের লেখা শুরু থেকে পড়া হয় তাদের একজন আপনি, তাই এটা মানতে কষ্ট হচ্ছে যে আপনি একজনকে একটা স্বীকৃতি দিচ্ছেন অথচ তার সম্পর্কে ভাল ভাবে জানেনই না? (উনার এমন মনগড়া কথা আরো আছে)
কাবা কি? কয়জন বোঝে? কাবার হাকিকত কি? কয়জানে অনুভব করে
আমার মত নামে মুসলমানদের ক্ষেত্রে এটা ১০০% সঠিক কিস্তু এজন আলেম যদি কাবা কি এটাই না জানেন তাইলে ওনাকে তো আলেম বলাই ঠিক হবেনা।
আপনার পোষ্টের অনেক বিষয়েই দ্বিমত আছে, লিখতে গেলে অনেক লিখতে হবে আর আমি গুছিয়ে লিখতে পারিনা তাই ঠাকুরমাহমুদ এর পোস্টের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জেনে প্রীত হলাম আপনি আমার লেখা শুরু থেকৈ পড়েন।
এ জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা রইল
এটা ভাল বলেছেন -একজন আলেম যদি কাবা কি এটাই না জানেন তাইলে ওনাকে তো আলেম বলাই ঠিক হবেনা।
কিন্তু সমস্যা হলো আমাদের মাইন্ড সেট।
যে কারণে সুভাষ দত্ত অনেক সালাম পেয়েছেন। দাড়ি টুপি আর পাঞ্জাবী দেখলেই আমাদের ধারনায় আলেম বা মওলানা বিশ্বাস করার প্রবণতাতেই তারা এটার পূর্ন অপব্যবহার করছে।
হুম। আমি ঠাকুর মাহমুদ ভায়ার পোষ্টের অপেক্ষায়- তবে প্রতিযোগীতায় নয়- জানার তৃষ্ণায়
১৩| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫০
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত পরিশ্রমী বিশ্লেষণধর্মী পোস্টের জন্য।
যদিও ধর্মব্যবসায়ীরা কোন যুক্তির ধার ধারেনা।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া
হুম। ব্যবসায়তো চাই শুধু লাভ
কবে যে মুক্ত হবো অন্ধ, জ্ঞানপাপী আর মূর্খদের কবল থেকে মালিকই ভাল জানেন।
১৪| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সময় নিয়া এই জ্ঞানী পোষ্ট দেখতে হইবো, তারপরে মন্তব্য করমু। আপাততঃ জানান দিয়া গেলাম। ঘরে-বাইরে প্রচন্ড ব্যস্ততার মইদ্দে দিয়া যাইতাছি।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হাজিরায় কৃতজ্ঞতা
ব্যস্ততা শেষ হলে আপনার বিজ্ঞ মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম- সত্যের স্বরূপ সন্ধানে যা সহায়ক হবে বলেই দৃঢ় ভাবে আশা করছি।
ভাল থাকুন
১৫| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৩
নতুন বলেছেন: ভাস্কর্য আর মূর্তি নিয়ে ঝামেলার মুল কারন তো ব্যবসা।
নতুন নতুন ইসু তৌরি করতে না পারলে ধর্মব্যবসায়ীদের মুরিদানেরা মটিভেটেড থাকবেনা তাই তারা এই রকমের বিতর্ক তৌরি করে।
আপনি যতটা কস্ট করে এই লেখা লিখেছেন তারা এটা পড়ে বুঝতে পারবেনা আর বুঝলেও মানতে চাইবেনা। কারন তাতে তাদের লাভ নাই। ঝামেলা বেশি হলে তাদের লাভ বেশি।
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে না পারলে এরা এক সময়ে আমিশ জাতীতে পরিনত হবে সেটা তারা বুঝতে পারছেনা।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অজ্ঞতার চেয়ে বড় পাপ আর নেই।
যে ধর্মের শুরু ইক্বরা দিয়ে, তাদের অনুসারীদের দুরবস্থা দেখে আল্লাহও বোধকরি তিতি বিরক্ত!
কোরআন বারবার বলছে এই গ্রন্থ তাদের জন্য যারা জ্ঞানী, আর তারা জ্ঞানের অংশ বাদ দিয়ে অন্ধ অনুকরন আর আচার সর্বস্বতায় লিপ্ত! সেই অবিশ্বাসী কোরাইশদের মতো- যারা বলতো আমরাতো আমাদের পূর্ব পুরুষের অনুসরন করছি!
যথার্থ বলেছেন। বোঝার জন্য যে মুক্ত মনে তথ্য উপলব্ধি করা দরকার সেটা না জাগা পর্যন্ত হেদায়েত বা বুঝ লাভ করা কঠিন বৈকি!
আমিষরাতো তাদের রাষ্ট্রীয় ভব্যতা, মানবাধিকার আর নাগরিক অধিকারের স্থানে নূন্যতম অধিকার ভোগ করে, তারা তা থেকেও বঞ্চিত হবে।
১৬| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
গুরুত্বপুর্ণ একটি বিষয়ে মুল্যবান তথ্য সম্বলিত সচিত্র একটি পোষ্ট ।
মুর্তি ও ভাস্কর্যের প্রকৃত বিবরণ , কোনটি দিয়ে কি বুঝায় , কোনটিকে
কি অবস্থায় ও কি কারনে পরিহার করতে হবে আর কোনটিকে
সযত্নে পরিচর্যা করতে হবে সে সম্পর্কে পবিত্র কোরান শরীফের
প্রাসঙ্গিক আয়াত সমুহের উদ্ধৃতি ও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা/ বিরবন
উল্লেখ করে প্রকৃত সত্যের স্বরুপ তুলে ধরেছেন তা এক কথায়
অসাধারণ হয়েছে । ভাস্কর্য নির্মাণ ও স্থাপন সম্পর্কে অনেকের
বিভ্রান্তি নিরসনের জন্য পোষ্টটির বহুল প্রচার প্রয়োজন ।
মুল্যবান পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।
শুভেচ্ছা রইল
২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রিয় ড। এম এ আলী ভায়া
আপনার মূল্যায়নে পরিশ্রম স্বার্থক হলো। আর প্রিয়তে নিয়ে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করলেন।
অনেক অনেক শুভকামনা
১৭| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৬
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কোরান হাদিস দেখে কোন সিদ্ধান্তে আসা যাবে না।দেশ কোরান হাদিস মত চলে না।পৃথীবির কোন দেশই না।
সংবিধানের আলোকে সমস্যার সমাধান করতে হবে।নয়তো অরাজকতা শৃষ্টি হবে।সেটা করো জন্যই মঙ্গলজনক হবে না।
পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম।এই জন্য ধন্যবাদ
২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দেশ চলেনা ঠিকাছে, কিন্তু বিশ্বাসী সম্প্রদায় তাদের বিশ্বাস অনুপাতে চলবে এটাই স্বত:সিদ্ধ।
কিন্তু সেই বিশ্বাসের জন্য যা বলা হয়েছে তা উপলব্ধি না করে যখন অন্ধের মতো ভুলকে আকড়ে ধরে থাকে তখনই বেশি সমস্যা হয়। চলমান নেতৃত্বকে মানার কথা্ও উলিল আমরকে অনুসর করার আদেশের মাধ্যমে বিবৃত। এখন না বুঝলেই তো ঝামেলা।
সংবিধান বা বর্তমান রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোতে অনুগত্যও তো বিশ্বাসেরই একটা বড় অংশ।
আপনি জানতে পেরেছেন জেনে প্রীত বোধ করছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
১৮| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম সবার মন্তব্য গুলো পড়তে।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভায়া
১৯| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: এক কথায় দুর্দান্ত। তবে আরও সময় করে কমেন্টে ফেরার চেষ্টা করবো...
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় দাদা
অনুপ্রানীত হলাম
অপেক্ষায় রইলাম বিস্তারিত আলোচনার
২০| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫০
মরুর ধুলি বলেছেন: প্রথমেই কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার মন্তব্যের প্রতিউত্তর প্য়ার জন্য। আপনার প্রতিউত্তর ভাল লাগল।
আলোচনা যদি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী কারো সাথে হতো তাহলে আরো ভাল লাগতো। দুঃখজনক হলো, আলোচনা বা বিতর্ক হচ্ছে এমনসব ব্লগারদের সাথে যারা নিজেদেরকে মুসলমান দাবী করেন (নাম দেখে অন্তত তাই মনে হয়) আবার ভাস্কর্যের বৈধতা প্রমাণে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেন যদিও ভাস্কর্য তৈরী বৈধ বা জায়েজ এই মর্মে সরাসরি কুরান-হাদীস কিংবা ইজমা-কিয়াসের কোন দালিলীক সত্যতা উনারা পেশ করতে সক্ষম এখনো হননি। এটা একজন ইমানদার মুসলমানের জন্য একদিকে যেমন দুঃখ-হতাশাজনক অন্যদিকে লজ্জাজনকও বটে।
জনাব আমি আপনার চাতুরতায় হতভম্ব না হয়ে পারিনি। কেননা আপনি আমার মন্তব্যের যথাযথ প্রতিউত্তরতো করেননি বরং কৌশলে আমার প্রতি কিছু প্রশ্ন ছঁড়ে দিয়েছেন। বস্তুত, মন্তব্যের প্রাসঙ্গিক উত্তর এড়িয়ে গেলে আলোচনা ধারাবাহিক রাখার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা। তাই, আমি প্রথম মন্তব্যে আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আশা করি তদানুযায়ী যথাযথ উত্তর প্রকাশ করে আলোচনা ধারাবাহিক রাখতে ও প্রাসঙ্গিক সমাধানে পক্ষপাতিত্বহীন ভূমিকা রাখবেন।
তারপর আমি সূরা সাবার আয়াত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনায় আসবো ইনশাআল্লাহ।
আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাস্কর্যের বৈধতা প্রমাণে নিজেদের উপস্থিতি জানান দেন যদিও ভাস্কর্য তৈরী বৈধ বা জায়েজ এই মর্মে সরাসরি কুরান-হাদীস কিংবা ইজমা-কিয়াসের কোন দালিলীক সত্যতা উনারা পেশ করতে সক্ষম এখনো হননি
<< ভুল বললেন। সরাসরি কোরআনের আয়াত সমূহ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি কি মনোযোগ দিয়ে পুরো পোষ্টটি পড়েছেন? পড়লে তো এমন কথা বলার কোন স্থান নেই।
জনাব আমি আপনার চাতুরতায় হতভম্ব না হয়ে পারিনি।
<< দু:খজনক ভাবে আপনি মন্দ শব্দ ব্যবহার করেছেন যা শোভন নয়। প্রজ্ঞা আর চতুরতার পার্থক্য বুঝতে হবে আগে।
আপনার শব্দচয়নে আমিও হতভম্ব।
অবশ্যই আমি পক্ষপাতহীন ভূমিকায়। তবে আপনাকেও শব্দচয়নে মতপ্রকাশে শালীন হতে হবে। আমি কোন সিদ্ধান্ত দেই নি। বরং শিরোনমটাই খেয়াল করুন স্বরূপ সন্ধানে ব্রতী হয়েছি।
এখন সত্যের জন্য পবিত্র কোরআনের যে আয়াত ভিত্তি এ আলোচনা তা নিয়ে আলোচনা করুন। এবং অন্য যে সকল আয়াত উল্লেখ হয়েছে সে সব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করুন- স্বাগতম।
দেখি আমরা সত্যের কাছে পৌঁছতে পারি কিনা।
২১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫৫
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অনেক বড় লেখা, তবে
সময়োপযোগী সুন্দর লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।
...............................................................................................
ভাস্কর্যের রুপ মানুষের কৃষ্টি ও সৃষ্টির পরিচয় বহন করে
তবে তা পুজার জন্য করে থাকলে পাপ হতে পারে ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম চেষ্টা করেছি ছোট রাখতে। ্ওয়ার্ডে আরো ৩/৪ পাতা হয়েছিল। কেটে ছেটে এতটুকুতে পেরেছি।
অনেক ধন্যবাদ অনুভবে।
সেটাই ভাস্কর্য ইতিহাস ঐতিহ্য এবং কৃষ্টির মাধ্যম মাত্র। পূজা বা আরাধনার নয়।
আর যারা পূজা বা আরাধনা করে তা তাদের বিশ্বাস- সেখানেও আঘাত করার অধিকার আমাদের নেই।
কোরআন এবং হাদীসে স্পষ্ট নিষেধ করা আছে এ বিষয়ে। তাদের হিসাব আল্লাহই করবেন।
আমরা নিজেদের সংশোধন এবং জ্ঞানাজর্নে ব্রতী হলেই আমাদের জাতিগত কল্যান হবে।
২২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৩:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার লেখায় প্রয়োজনীয় কোন বিষয়ে সঠিক ধারণা আছে বলে মনে হয় না।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার বোঝার বিষয় নিয়ে কি ধারনা আছে?
না কবিতা না প্রবন্ধ কোনটাই বুঝতে পারেন না! কি আর করা! কিপ ট্রাই অন
২৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৯
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল ভাই,
গতকালকেই আপনার লেখা পড়েছিলাম। সময়ের অভাবে মন্তব্য করতে পারি নি। আজকে ফিরে আসলাম।
বেশ সময় নিয়ে এই লেখা লিখেছেন সেটা পড়েই বুঝা যাচ্ছে। কাছাকাছি বেশ কিছু টপিক নিয়ে এসেছেন জাস্টিফাই করার জন্য। একটা কবিতাও দেখলাম। আমি এটার উপর একটা পোস্ট দেব। তবে প্রথমেই পোস্টের নিয়ে আলোচনা করা যাকঃ
১। আপনি লেখার শুরুতেই মদিনার সনদ নিয়ে এসেছেন। বলেছেন মদিনার সনদে নাকি ভাস্কর্য বা মূর্তি বিষয়ক কিছু নেই। আমি তো থাকলেই বরং বেশি অবাক হতাম। এটা মিস করলেন কিভাবে আপনি? মদিনার সনদ হয়েছিল ইয়াথ্রীব/মদিনাতে বসবাসরত সম্প্রদায়দের সাথে মুসলিমদের। ইয়াথ্রীব/মদিনাতে তো বেশিরভাগই ছিল ইয়াহুদী যারা আমাদের মতো নিরাকার স্রষ্টাই বিশ্বাসী । আমরা আল্লাহ বলি, ওরা বলে জিহোভা। নিরাকার সৃষ্টিকর্তার অবয়ব দেয়া ইয়াহুদী ধর্মে ইসলামের মতোই ১০০% নিষিদ্ধ। এদের সাথে চুক্তিতে কি মূর্তি বা ভাস্কর্য নিয়ে কি আসা দরকার আছে?
# মদিনা সনদের সূত্র এখানে অপ্রয়োজনীয়।
২। মহানবী শেষ হজ্জের সময় মুসলিমদের বলে গেছেনঃ
“আমি তোমাদের জন্যে যা রেখে গেলাম যদি তা তোমরা ধরে থাক, তবে তোমরা কখনই বিচ্যূত হবে না, তা হল- আল্লাহর কিতাব ও আমার সুন্নাহ।” -আল মুয়াত্তা, মালিক ইবনে আনাস, ৪৬/৩।
অন্য মতে- “আমি তোমাদের জন্যে যা রেখে গেলাম যদি তা তোমরা ধরে থাক, তবে তোমরা কখনই বিচ্যূত হবে না, তা হল- আল্লাহর কিতাব।” -সহীহ মুসলিম ১৫/১৯, নাম্বার ১২১৮; ইবনে মা’যা ২৫/৮৪; আবু দাউদ ১১/৫৬।
উনি কি কোথাও বলে গেছেন সৌদি আরব বা তুরস্ক বা ইরান'কে ফলো করো?
কুরআন হাদিস না খুজে এইসব দেশ খুজে কি লাভ?
# কোন দেশ কে কি কোথায় করলো সেটা ১০০% অপ্রয়োজনীয় এই লেখায়।
৩। ভাস্কর্য এবং মূর্তি যাই বলি না কেন মূল ব্যপার হলো এটা প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি।
পরিষ্কার উদাহরণ দিচ্ছি।
কালী বা দূর্গার অবয়ব বানিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পুজা করে দেখে এটা মূর্তি।
তাহলে শীবলিঙ্গ কি? এটাতে কি পূজা দেয়া হয় না? এটা কে কি বলবেন? মূর্তি?
আর্কিটেকচার থিওরি মোতাবেক পূর্ন অবয়ব হচ্ছে মূর্তি। তাহলে তো শীবলিঙ্গ মূর্তি না।
যদি এটা মূর্তি না হয়ে তাহলে এটা ভাস্কর্য। এখন বলুন এই ভাস্কর্য কি ইসলাম সমর্থন করে?
৪। এইদেশের মানূষজনের দ্বিমুখী নীতি দেখলে বেশ অবাক হতে হয়।
সৌদি আরবে কাজের মেয়েদের যৌনি নির্যাতন এর কাহিনী নিয়ে মানুষ এদের পশুর চেয়েও অধ্ম বলে।
আবার যখন দরকার পরে ভাস্কর্য না মূর্তি নিয়ে আলোচনায় সৌদি আরবে কি আছে সেটা উদাহরণ টেনে নিয়ে আসে।
কোন দেশের পশুর চেয়ে অধ্ম লোকজন কি করেছে সেটা দেখার কি? আপনার কি পশুর চেয়ে অধম মানূষজন কি করেছে সেটা কেন ফলো করবেন?
# সুবিধাবাদী মতো লোকজনের মতো তালগাছটা শুধুই আমার কন্সেপ্ট সৌদি আরবের উদাহরণ টেনে নিয়ে আসা।
আরো অনেক বিষয় আছে আমি যেইগুলি পোস্টে আরো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করবো।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
আপনার মন্তব্য পাঠে মনে হলো কেবল বিরোধীতার খাতিরেই বিরোধিতা।
অথবা অভিনিবেশে পাঠের অভাব।
১। মদীনা সনদের কথা কেন বলেছি-তাই ধরতে পারেন নি। বাবুনগরী সাহেব ভাস্কর্য বিরোধীতায় মদীনা সনদকে টেনে এনে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন -দেশ চলবে মদীনা সনদ অনুযায়ী। তাই সে প্রসংগে সনদ খুঁজে দেখলাম সেখানে ভাস্কর্য নিয়ে কিছু আছে কিনা? আপনিও স্বাক্ষ্য দিলেন নেই। যেহেতু ইহুদীরা নিরাকার একশ্বেরবাদী। তাহলে উনার দুটো দাবীর সমন্বয়ের পরিপূরকতার চেষ্ট ভুল এটাই ছিল প্র্রতিপাদ্য।
২। অবশ্যই এ কথা সত্য। এবং সন্ধান কিন্তু কোরআন হাদীসেই করা হয়েছে। সূরা সাবা সহ অসংখ্য সূরার উল্লেখের পরও যদি বলেন কোরআনে খোঁজা হয়নি বিষয়টা ভুল হলো না?
কোন দেশে কি করলো এটা উল্লেখের কারণ আপনি একাই মুসলিম নন। একাই বিজ্ঞ নন। বিশ্বের অপরাপর মুসলিম দেশের তুলনামুলক তথ্য হিসেবে আলোচনায় উল্লেখ হয়েছে। কারণ তাদের মাতৃভাষা আরবী। এবং তা তারা আরো ভালই বোঝার কথা নয় কি? সুতরাং এটা শতভাগ প্রয়োজনীয়।
৩। হা হা হা । খুব খেলো যুক্তি হয়ে গেলো না। পরিষ্কার বলা হয়েছে ভাস্কর্য কৃষ্টি, সংস্কৃতি এবং স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মিত হয়। তাতে প্রার্থনা বা পূজার কোন উদ্দেশ্য থাকে না। বা কেউ করে না।
মা কালী বা মা দূর্গা বা শিবলিঙ্গ সবই কিন্তু ধর্মীয় বিশ্বাস সম্পৃক্ত। এবং পূজার উদ্দেশ্যেই নির্মিত। তাই তা মূর্তি। ভাস্কর্য কোন ভাবেই নয়। লিঙ্গের পূর্ন অবয়বই শিবলিঙ্গ ধারন করে। তাই এটা ভাস্কর্য নয় পূজ্য মূর্তিই বটে।
সূরা সাবার আয়াত নিয়ে আলোচনা করুন। যেখানে আল্লাহ ঘোষনা দিয়েছেন ভাস্কর্য নির্মানের। এবং কৃতজ্ঞতার সাথে তা করতে উৎসাহিত করছেনে। সরাসরি আয়াত থেকেই উল্লেখ করা। তা বৈধ না নিষেধ সেখানেই তো স্পষ্ট করা নয় কি?
৪। এটা ভাল বলেছেন। দ্বিমূ-খি নীতিতে বেশ এগিয়ে তারাই যারা স্বার্থপর এবং মূর্খ। সৌদি আরব আলোচনার আসে কারণ ইসলামের জন্মস্থান সেটি। তারা যেমন পশুর চেয়ে অধম- আপনার দেশেও কওমী গুলোতে বলাৎকার কারী শিশুকামীরা্ও তারচে জঘন্য। অথচ তারা সেই ভন্ডরাই ইসলামের লেবাস গায়ে চড়িয়ে -ধর্মের কথা বলছে, ইমামতি করছে! তো এবার বলেন কাকে ফলো করবেন?
এখানেই আল্লাহ দিয়েছেন সমাধান জ্ঞান এবং তাক্ওয়ার পথের। যেখানে আপানকে কোন অন্ধ অনুসরন বা আবেগ থেকে বেরিয়ে এসে চলতে হবে সূক্ষ্ণতর সতর্কতায়।
একটা আগে প্রেসক্লাবের সামনে দেখলাম ইবতেদায়ী মাদ্রাসার আন্দোলনে এক নারী মাইক হাতে শ্লোগান দিচ্ছেন। পুলকিত হলাম । যে নারীকে তারা ঘরের বাইরে যেতে না দিতে হাজারো বাহানা খোঁজে আজ প্রয়োজনে তারা এক সাথে রাজপথে শ্লোগান দিচ্ছে! এভাবেই সময়ের প্রয়োজনে সত্যের রুপ বদল কিন্তু সুবিধাবাদীতা নয়, বরং সময়ের সাথে এগিয়ে যা্ওয়া।
যুক্তিপূর্ন আলোচনায় স্বাগত:
শুভেচ্ছা রইল
২৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১৮
এমেরিকা বলেছেন: কাবাঘর অবশ্যই একটি ভাস্কর্য, মসজিদে নববী একটি ভাস্কর্য, হোয়াইট হাউজ একটি ভাস্কর্য, মিশরের পিরামিড একটি ভাস্কর্য - এগুলো কেবল ভাস্কর্য নয়, ঐতিহ্যও। কিন্তু মানুষের প্রতিকৃতিকে এগুলোর সাথে গোলানো কি সুস্থ মস্তিষ্কের কাজ?
সবাই ইনিয়ে বিনিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করছে সৌদি আরবে ঊটের মূর্তি আছে, তাই প্রাণীর মূর্তি বানানো জায়েজ। কিন্তু হাদীসে যে স্পষ্ট নিষেধ করা আছে - সেটা কেউ আমলে নিচ্ছেনা।
আরবরা কি ইসলাম পরিপূর্নভাবে মানে? তাহলে তাহলে তারা একটা অন্যায় কাজ করলে আমাদের জন্য তা জায়েজ হবে কোন যুক্তিতে?
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: না ভাই ইনিয়ে বিনিয়ে কোঝানোর কিছু নেই
আপনি কি পুরো পোষ্টটা পড়েছেন?
সূরা সাবার আয়াত অর্থসহ উল্লেখ করা আছে।
যেখানে কোরআনের আয়াতে সরাসরি অনুমোদন আছে সেখানে হাদীস যাবার আর প্রয়োজন থাকে কি?
ইসলামের জন্য আরব অনারব কোন বেইজ নয়। তাক্ওয়া ই হলো মূল মাপকাঠি।
২৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৯
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অনেক পরিশ্রমী বিশ্লেষণধর্মী পোস্টে ++।
ব্লগার নীলাকাশের মন্তব্য পড়ে মনে হলো আপনার মদিনা সনদ নিয়ে লেখার প্রাসঙ্গিকতা মোটেই বুঝতে পারেন নি। পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে তিনি মন্তব্য করলেই বরং আমরা তার কাছ থেকে প্রাসঙ্গিক যুক্তির আশা করতে পারি।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্লাসে
হুম, তাই মনে হলো। এবং প্রতিমন্তব্যে তাই বলেছি।
সেই প্রাসঙ্গিক আলোচনা পোষ্টকে সমৃদ্ধ করে।
শুভেচ্ছা রইল
২৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫৯
আমি সাজিদ বলেছেন: নীল আকাশের ২৩ নম্বর মন্তব্য বেশ যুক্তিসঙ্গত
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তেইশ নম্বরের প্রতিমন্তব্যে তা খন্ডন করা হয়েছে।
২৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০১
নীল আকাশ বলেছেন: মনে হচ্ছে আমার মন্তব্যটা বুঝতে পারেন নি। আমি বলেছি ভাস্কর্য এবং মূর্তি নিয়ে লেখায় # মদিনা সনদের সূত্র এখানে অপ্রয়োজনীয়। কারণ যিনি এই সনদ মেনে দেশ চালাবেন বলেছেন তার জ্ঞান হচ্ছে" লাকুন দিনুকুম অলইয়াদিন" পর্যন্ত। রাজনৈতিক কাজে যারা ধর্মকে ব্যবহার করে তাদের জ্ঞান নিয়ে ইসলামিক আলোচনা করে কি লাভ?
নিচের সহী হাদিসতা নিশ্চয়ই পড়েছেন?
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (তাবূক যুদ্ধের) সফর থেকে প্রত্যাগমন করলেন। আমি আমার কক্ষে পাতলা কাপড়ের পর্দা টাঙিয়েছিলাম। তাতে ছিল (প্রাণীর) অনেকগুলো ছবি। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন এটা দেখলেন, তখন তা ছিঁড়ে ফেললেন এবং বললেনঃ ক্বিয়ামাতের দিন সে সব মানুষের সবচেয়ে কঠিন আযাব হবে, যারা আল্লাহ্র সৃষ্টির (প্রাণীর) অনুরূপ তৈরী করবে। ‘আয়িশাহ (রাঃ) বলেনঃ এরপর আমরা তা দিয়ে একটি বা দু’টি বসার আসন তৈরী করি। (বুখারী পর্ব ৭৭ অধ্যায় ৯১ হাদীস নং ৫৯৫৪; মুসলিম ৩৭/২৬, হাঃ ২১০৭)
http://ihadis.com/search/5954
এখন কোন অবয়ব যদি আল্লাহ্র সৃষ্টির (প্রাণীর) অনুরূপ হয় তাহলে সেটা পরিত্যাজ হবে। মূর্তি বা ভাস্কর্য বাদ দিন।
এটা কি ভুল না ঠিক সেটা বলুন।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি আগে বলুন যে কোন সমস্যা সমাধানে আগে কোনটা?
কোরআন
হাদীস
ইজমা
কিয়াস?
২৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২১
নীল আকাশ বলেছেন: রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই যারা এসব ছবি-মূর্তি তৈরি করে, ক্বিয়ামতের দিন তাদের কঠিন শাস্তি দেয়া হবে। তাদের বলা হবে তোমরা যেসব ছবি-মূর্তি তৈরি করেছ তাতে আত্মা দান কর’ (বুখারী হা/৫৯৫১)।
http://ihadis.com/search/5951
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছবি-মূর্তি ভেঙ্গে টুকরা টুকরা করে দেয়ার জন্য কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন
(মুসলিম, মিশকত হা/১৬৯৬; বাংলা মিশকাত ৪র্থ খণ্ড, হা/১৬০৫ ‘জানাযা’ অধ্যায়)। হাদিসের মানঃ সহিহ হাদিস।
এবার উপরের হাদিসগুলি এক জায়গায় করেনঃ
১। ক্বিয়ামাতের দিন সে সব মানুষের সবচেয়ে কঠিন আযাব হবে, যারা আল্লাহ্র সৃষ্টির (প্রাণীর) অনুরূপ তৈরী করবে।
২। ভেঙ্গে টুকরা টুকরা করে দেয়ার জন্য কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এখন বলুন, যদি কোন অবয়ব আল্লাহ্র সৃষ্টির (প্রাণীর) অনুরূপ হয়, তাহলে রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সেটা কি করতে বলেছেন? রাখতে বলেছেন, না ভেঙ্গে টুকরা টুকরা করে দিতে বলেছেন?
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হাদীস সমূহে যাবার আগে এ বিষয়ে কোরআনের যে আয়াত সমূহ উল্লেখ আছে এবং যে পয়েন্ট অব ভিউতে তা বিশ্লেষিত হয়েছে তা নিয়ে আপনার মন্তব্য আশা করছি।
কারণ সবার আগে কোরআন
কোরআনে না পা্ওয়া গেলে হাদীস
তাতেও না পা্ওয়া গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে ইজমা ও কিয়াসের অনুমোদন আছে।
তাই আমরা মূল আয়াত সূরা সাবার ১৩ নয় আয়াত নিয়েই আলোচনা শেষ করি আগে। তাই মনে হয় উত্তম এবং শ্রেয়। নয় কি?
২৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৯
নীল আকাশ বলেছেন: কুরআন এবং হাদিস একে অপরের সম্পূরক। কুরআনের আয়াত হাদিস দিয়ে পরিষ্কারভাবে বুঝা যায়।
আপনার কি ধারণা, যেটা হাদিস পরিষ্কার করে বলে দেয়া আছে সেটা কুরআনের সাথে কনফ্লীক্ট করবে?
আপনি তো বলেছেন সবার আগে কোরআন, অথচ পবিত্র কুরআন শরীফে তো পরিষ্কারভাবে লেখা আছেঃ
১) "তোমার নিকট যা ওহী আসে, তুমি তাঁরই অনুসরন করো, আল্লাহর নির্দেশ আসা পর্যন্ত তুমি ধৈর্য ধারণ করো ৷ বস্তুতঃ তিনিই হলেন উওম নির্দেশ দাতা " (সুরা ইউনুস ১০: ১০৯ )
২) "কোন রসুল আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত কোন নির্দেশ আনতে পারেন না ৷ (সুরা আর রাদ ১৩ :৩৮)
৩) " রাসুল নিজে থেকে কোন কথা বলেন না ৷ নিশ্চয়ই এটা ওহী ব্যতিত আর কিছু নয় ৷( সুরা আন নাজম ৫৩ : ৩ ও ৪ )
৪) আপনি যদি আমার নামে কোন কথা বানিয়ে বলতেন , তাহলে ডানহাত ধরে ফেলতাম ৷ তারপর আমি অবশ্যই তাঁর হৃদযন্ত্রের রগ কেটে দিতাম " (সুরা হাক্বাহ ৬৯ : ৪৪,৪৫,৪৬)
সুতরাং শুধু কুরআন মানি, শুধু কূরআনে কি আছে, সেটা বলা কি ঠিক?
আল্লাহ তো নিজেই বলে দিয়েছন উনার নবী / রাসূল কে অনুসরণ করতে।
উনার কথার সাক্ষ্য তো আল্লাহ দিয়েছেন। আপনি কেন সেটা এভয়েড করবেন।
সুরা সাবার এই আয়াত তো নাযিল হয়েছে হযরত সুলাইমান আলাহিস ওয়াসাল্লাম এর ঘটনা নিয়ে।
অথচ আমাদের রাসূল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম যেখানে নিজেই হাদিসের মাধ্যমে সরাসরি সাহাবীদের নির্দেশ দিচ্ছেন।
তাহলে এখানে দুইটা আঊটকাম স্পষ্ট-
১) সুরা সাবা'র সেই আয়াত সুনির্দিষ্ট শুধু সেই ঘটনার জন্যই
২) আল্লাহ রাসুল মুহাম্মাদ আলাহিস ওয়াসাল্লাম কুরআন শরিফের ঐ আয়াত জানতেন না বা মানেন নি। (নাউজুবিল্লাহ)
তা না হলে উনি কুরআন শরীফে থেকে পৃথক কনফ্লীক্টিং বানী দেবেন কেন? (নাউজুবিল্লাহ)
পবিত্র কুরআন শরীফে অনেক কিছুই আছে যা আগের উম্মতদের জন্য হালাল করা হলেও আমাদের জন্য হারাম।
আমাদের জন্য একসাথে চারজন স্ত্রীর বেশি গ্রহণ করা হারাম।
অথচ হযরত দাউদ আলাহিস ওয়াসাল্লাম কতজন বিয়ে করেছিলেন সেটা তো আপনি নিজেই জানেন। আগের উম্মতদের সবাই চারজনের বেশি স্ত্রী গ্রহণ করতেন।
আপনি কিভাবে সুনিশ্চিত হচ্ছেন শুধু উপরের সুরা সাবার আয়াতই আমাদের মানতে হবে অথচ যেখানে আমাদের রাসুল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম এর সরাসরি নির্দেশ আছে ভেঙ্গে ফেলার।
কাবাশরীফের ভিতরের অবয়বগুলি শেষ পরিনতি কি হয়েছিল নিয়েও বাকি অংশ আপনি লেখেনি।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাই আমার সংশয় হচ্ছে আপনি মনোযোগের সাথে পোষ্টটি পড়েছেন কিনা?
কারণ আপনি যে আয়াত গুলো উল্লেখ করেছেন তা কোনভাবেই বিষয় সংশ্লিষ্ট বলে বোধগম্য হচ্ছে না। কেবলই মন্তব্য আকারে
কলেবরে বড় হচ্ছে মাত্র।
শুধু কুরআন মানি কোথাও বলিনি বা দাবী করিনি। তাই মূল কথাকে আউট ট্র্যাকে নেয়ার কোন প্রয়োজন নেই।
আমি স্পষ্ট ৪টি বিষয়েরই উল্লেখ করেছি যা রাসূল সা: অনুমোদিত
১। কোরআন
২। হাদীস
৩। ইজমা
৪। কিয়াস
আপনার সরলীকৃত দুইটা আউটকামের ফলাফল কিন্তু ভয়ংকর টার্ন নিতে পারে। যদি কোরআনের আয়াতকে কেবলই সম সাময়িক বিবেচনায় ফেলে দেন নিজ বুদ্ধিতে তাহলে কিন্তু নিজেই - ১৪০০ বছর পরে কোরআনের ভ্যালিডিটি কে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেললেন, নয় কি? তাই খুব সতর্কতার সাথে আলোচনা কাম্য।
হাদীস সংগ্রহ ও সংকলন নিয়ে ভুয়া মফিজ ভায়া ও কা_ভা ভাইয়ের নীচের মন্তব্যটি দেখে নিন অনুগ্রহ করে।
আমার পয়েন্ট অব ভিউ খুব স্পষ্ট করে লেখা । দুটো শব্দের শব্দগদ অর্থ ও বিশ্বাসগত ব্যবধান পরিষ্কার -
ভাস্কর্য আর মূর্তি দুটো ভিন্ন বিষয়; যেমনি অর্থে তেমনি বিশ্বাসে।
স্মৃতি স্মারক হিসেবে, ইতিহাস ঐতিহ্য হিসেবে এবং তথ্য সূত্র হিসেবে ভাস্কর্য বিবেচ্য
আর উপসনা, আরাধনা বা পূজার নিমিত্তে মূর্তি তৈরী হয়। যাতে তীব্র বিশ্বাস নিয়েই তাকে পূজ্য মানা হয়।
কিন্তু কোন ভাস্কর্যকেই কেউ পূজ্য মানে না। বা সে জন্য তৈরীও হয় না।
আপনি চার বিয়ের প্রসংগ আনলেন- জানতো ভাই - আজকের দিনে চারবিয়ে করতে? পারবেন? না কোন মেয়ে রাজী হবে?
দরিদ্র, অসহায় আর নির্যাতীত ব্যতিত!
৩০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২১
নীল আকাশ বলেছেন: আগের উম্মতদের সবাই চারজনের বেশি স্ত্রী গ্রহণ করতেন।
- লাইনে টাইপিং মিসটেক হয়েছে।
আগের উম্মতদের সবাই চারজনের বেশি স্ত্রী গ্রহণ করার সুযোগ থাকতো।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: টাইপো হতেই পারে। সমস্যা নেই
৩১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৪
নীল আকাশ বলেছেন: আমি ভাস্কর্য বা মূর্তি কি বা সেটার পার্থক্য কি জানতে চাইনা। জানার কোন আগ্রহও নাই।
ইসলাম যেটার পারমিশন দেয়া হয়েছে সেটা হালাল, আর যেটা ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে সেটা হারাম।
ব্যাস, এরচেয়ে বেশি কিছু আমার বা কোন মুসলিমেরই দরকার নেই।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এখন সদ্ধিান্ত আপনার। আপনি যেভাবে নেবেন তাই সই।
কিন্তু সার্বজনীনতার জন্যই উন্মুক্ত আলোচনা। যাতে জানা -অজানার ব্যবধান কমেেএবং একটা সুন্দর সমাধান বেরিয়ে আসে।
আপনার দরকার না থাকতে পারে, সেটা আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয় - মুসলিমতো বিশাল বৃহত্তর সমাজ।
সেটা তাদের ঠিক করে নিতে দিন।
ইজমা কিয়াস বিধানতো তাই বলে। নয় কি?
৩২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৬
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি লেখায় সব কিছু বাদ দিয়ে হযরত সুলাইমান আলাহিস ওয়াসাল্লাম এর ঘটনা নিয়ে এসেছেন।
ঠিক আছে এবার তাহলে চলুন দেখি, হযরত সুলাইমান আলাহিস ওয়াসাল্লাম এর উম্মতদের নিয়ে পবিত্র কুরআন শরীফে দেয়া আছেঃ
"আমি মেঘ দিয়ে তোমাদের জন্য আরামদায়ক ছায়ার ব্যবস্থা করেছিলাম, তোমাদেরকে উপর থেকে মান্না এবং সালওয়া পাঠিয়েছিলাম—“তোমাদেরকে ভালো এবং পবিত্র যা কিছু খেতে দিয়েছি, সেটা খাও। আর ওরা আমার উপর কোনোই অন্যায় করেনি, বরং ওরা নিজেদের সাথেই অন্যায় করছিল। [সুরা বাকারাহ ৫৭]
আমরা রাসুল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম এর উম্মতরা কেন সেই মান্না ও সালওয়া পাইনা সেটা ব্যাখ্যা করুন?
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি ভুল উদাহরন দিলেন!!
মান্না সাল্ওয়া সুলাইমান আ: এর উম্মতদের দেয়া হয়নি। তা দেয়া হয়েছিল মূসা আ: এর উম্মতদের।
রাসূল সা: এর যারা প্রকৃত উম্মত হতে পেরেছে তারা এরচে বেশি সম্মানীত জিনিষ লাভ করেন।
যে জন্যে খোদ ঈসা আ: আবার এসে উম্মতে মোহাম্মদী হবেন।
৩৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: নীল আকাশ ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আল্লাহ আপনাকে নেক হায়াত দান করুন
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ৩২ নয় মন্তব্যেই তো উনি বিশাল ভুল রেফারেন্স দিলেন!
ভুলের জন্য ধন্যবাদ
আপনাকেও ধন্যবাদ উনার নেক হায়াত কামনা করে শুভকামনা জানিয়েছেন।
মুসলমানরা তো এমনই হবে। সকলে সকলের কল্যান কামনা করবে।
আমার জন্য তাইলে নকে হায়াতের দোয়া নেই নাকি?
হা হা হা
৩৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ব্লগে আলোচনা বেশীরভাগ সময়েই ট্র্যাকলেস হয়। মূল পয়েন্টগুলি বাদ দিয়ে সবাই আশপাশ দিয়ে ঘোরাঘুরি করে। আগেও অনেকবার দেখেছি। হাদিস নিয়ে অনেক কন্ট্রোভার্সি আছে, যেটা কুরআন শরীফ নিয়ে নাই। কুরআনে যদি স্পষ্ট নির্দেশনা থাকে, তাহলে হাদিস দেখা আমার মতে ততোটা গুরুত্বপূর্ণ না। ২৩নং মন্তব্যের ২নং পয়েন্টেই দেখলাম দুই ধরনের হাদিস আছে।
যাইহোক আমার মতে, আলোচনা যদি করতেই হয়, তাহলে কয়েকটা পয়েন্টে করা উচিতঃ
১। সূরা সাবা
২। কর্মফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল
৩। হযরত আয়শা (রা.)-এর ঘরে ঘোড়ার ছোট মূর্তি রাখা ছিল (সূত্র: বুখারি শরিফ-কিতাবুল আদাব)
৪। হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) এর কয়েকটি পুতুল ছিল বলে হাদিসে স্পষ্ট উল্লেখ পাওয়া যায়।
একটা বিষয় সবাইকে মনে করিয়ে দিই। ৬৩৪ খৃষ্টাব্দে সিরিয়া মুসলিম শাসনে আসে। সিরিয়ার বিখ্যাত একটা জনপদ ছিল পালমিরা। সেখানে প্রচুর ভাস্কর্য ছিল। কেউ সেগুলি ভাঙ্গে নাই। এই কিছুদিন আগে আই এস কুত্তারা সেগুলো ধ্বংশ করেছে। ভাস্কর্য যদি অনৈসলামিক হয়, তাহলে সেগুলো এতোদিন অক্ষত ছিল কিভাবে?
আমি ব্যক্তিগতভাবে হেফাজত বলেন আর সম্মিলিত জোট বলেন, কারও কথাতেই ভরসা করি না। এরা সবাই আমার কাছে ধান্ধাবাজ বলেই মনে হয়। আল্লাহ আমাকে জ্ঞান দিয়েছেন, আর গুগল ব্যবহারের ক্ষমতা দিয়েছেন। ফলে, সারা দুনিয়ার নামকরা ইসলামী স্কলারদের মতামত আমি পেতে পারি চাইলেই। কাজেই ধান্ধাবাজদের উপরে ভরসা করার কোনও যৌক্তিকতা নাই।
আপনার আলোচনা আমার কাছে যুক্তিযুক্ত-ই মনে হয়েছে। আমার উল্লেখিত চারটা পয়েন্টে সুনির্দিষ্ট আলোচনা যদি কেউ করতে পারে, সু-স্বাগতম। আমার মনে হয়, এতে আপনিও আপত্তি করবেন না। কারন, আবজাব কথা বলে সময় নষ্ট করার কোন মানে হয় না।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন মন্তব্যে অন্তহীন কৃতজ্ঞতা।
মূল পয়েন্ট অব ফোকাসকে দারুন ভাবে তুলে ধরায় ধন্যবাদ।
ব্লগে আলোচনা বেশীরভাগ সময়েই ট্র্যাকলেস হয়। মূল পয়েন্টগুলি বাদ দিয়ে সবাই আশপাশ দিয়ে ঘোরাঘুরি করে।
এখানেও তাই দেখছি।
যাক ব্যাপারস না। প্রজ্ঞাতো অর্জনের বিষয়। আমরা শুধু দোয়া করতে পারি।
আপত্তি থাকারতো কথাই নেই। বরং সেটাই চাইছি। সত্যের স্বরূপ সন্ধানে আলোচনা তো সেটাই হওয়া উচিত।
৩৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৬
নীল আকাশ বলেছেন: ভুয়া মফিজ ভাই,
হাদিস নিয়ে অনেক কন্ট্রোভার্সি আছে, - এটা একটা সর্ম্পণূ ভুল কথা বলেছেন।
এটার দুইটা বিষয় হতে পারেঃ
১। ভুল বা জইয়ীফ হাদিস দেখে।
২। সুনির্দিষ্ট একটা হাদিসের আগে পিছে কিছু না পড়ে শুধু একটা বাক্য দেখে সিদ্ধান্ত নেয়া।
কেউ যখন লেখায় ধর্মীয় বিষয় নিয়ে লিখবেন তখন আলোচনা ধর্মীয় আলোকেই হওয়া উচিত।
আমি কোথাও ভাস্কর্য বা মূর্তি নিয়ে স্পেছেফিক কোন সিদ্ধান্ত দেই নি। ইসলাম কি বলেছে সেটা উল্লেখ করেছি।
"কোন অবয়ব যদি আল্লাহ্র সৃষ্টির (প্রাণীর) অনুরূপ হয় তাহলে সেটা পরিত্যাজ হবে"। মূর্তি বা ভাস্কর্য বাদ দিন।
এটা সহী হাদিসে আছে।
কোন সহী হাদিস উপযুক্ত সনদ থাকার পরেও যদি কেউ না মানেন তাহলে আমার বলার কিছু নেই।
ধন্যবাদ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভূয়া মফিজ ভায়া নীচে উত্তর দিয়েছেন।
৩৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: @ নীল আকাশঃ মহানবী (সাঃ) পৃথিবী থেকে বিদায় নেন ৬৩২ খৃষ্টাব্দে। আর সবচাইতে সহী হাদিস প্রণেতা ইমাম বুখারী (রাঃ) হাদিস সংগ্রহের কাজ শুরু করেন আনুমানিক ৮২০ খৃষ্টাব্দে (মহানবী (সাঃ) এর বিদায়ের প্রায় ২০০ বছর পরে)। কতোজন সাহাবীর কাছ থেকে উনি সরাসরি হাদিস সংগ্রহ করেন বলে আপনার ধারনা? মানুষের বৈশিষ্ট্যই হলো, কথা যতোবেশী কান ঘুরবে, ততোই সেটা পরিবর্তিত হবে। সেভাবেই অনেক হাদিস পরিবর্তিত হয়েছে, আর সে'কারনেই কন্ট্রোভার্সির সূত্রপাত। ভালো কথা, কন্ট্রোভার্সি মানে 'বিতর্ক'। সেজন্যেই অনেক হাদিস বিতর্কিত। হাদিস থেকে আপনি গাইড লাইন নিতে পারেন, তবে এটাকে কোরআন শরীফের মতো নির্ভরযোগ্য মনে করতে পারেন না। মনে রাখতে হবে, কোরআনের সংরক্ষক স্বয়ং মহান আল্লাহ, হাদিসের না।
কাজেই চট করে এটা একটা সর্ম্পণূ ভুল কথা বলেছেন। এমন সিদ্ধান্তে চলে আসা বুদ্ধিমানের লক্ষণ না।
আমি না বুঝে কিছু বলি না। কাজেই আমার যে কোনও কথার গভীরে না গিয়ে শ্যালো চিন্তা থেকে চট করে কোন কনক্লুশানে আসা ঠিক না। এখানে প্রাসঙ্গিকতা হলো, মূর্তি/ভাস্কর্য নিয়ে; সেটার পরিপ্রেক্ষিতেই আমার ওই কথা বলা। আমি ঢালাও ভাবে সব হাদিস নিয়ে বলি নাই। আমার আগের কমেন্টেই আমি একটা হাদিসের কথা বলেছি (কর্মফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল)। সেটা নিয়ে কোনও বিতর্ক তো নাই!! আপনার জানার কথা, বিতর্কিত হাদিসের উদাহরন বহু আছে।
কোন হাদিস ঠিক, কোন হাদিস সন্দেহজনক.......সেটা যাচাইয়ে বিভিন্ন বিশ্বখ্যাত আলেমদের ব্যাখ্যার সাথে সাথে নিজেদের জ্ঞান-বুদ্ধিও কাজে লাগাতে হবে। আল্লাহ আমাদের ওটা দিয়েছেন কাজে লাগানোর জন্যই। ভালো কথা, আমার উত্থাপিত চারটা পয়েন্টের পয়েন্ট বাই পয়েন্ট ব্যাখ্যা আশা করছি আপনার কাছ থেকে।
আশাকরি আমার অবস্থান পরিস্কার করতে পেরেছি। পরিস্কার না হলে আবার জিজ্ঞেস করবেন। আমার দিক থেকে কোন অসুবিধা নাই।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সুন্দর করে বলেছেন। ধন্যবাদ আলোচনা সুষ্ঠু গতিশীলতা বজায় রাখায়।
হুম কথা সেটাই চট করে এটা একটা সর্ম্পণূ ভুল কথা বলেছেন। এমন সিদ্ধান্তে চলে আসা বুদ্ধিমানের লক্ষণ না।
জ্ঞান-বুদ্ধিও কাজে লাগানোর জায়গাটাতেই হাজার বছরের পেছনে পরে আছে নামধারী, পোষাক ধারী মুসলমানরা।
ফলে সারা বিশ্ব থেকেও ক্রমশ: ব্যাকফুটেই হাটছে। কে বোঝাবে- ইলম, আকল, হিকমাহর বাংলা গুলো অনুভব করলেই অনেক কিছু সহজ হয়ে যায়।
৩৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: মানুষ যেই ধর্মেরই হোক না কেন প্রতিটা মানুষ একটি সভ্য ও উন্নত দেশের নাগরিক হতে চায়। সভ্যতা ও উন্নয়নের মুল শর্ত হচ্ছে সেই দেশে জনগনের সকল অধিকার বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না। দুঃখজনকভাবে ভারতীয় উপমহাদেশ এই মুল শর্তের বাইরের একটি দেশ। অসততা, দুর্নিতি, ধনী গরীব বৈষম্য, ন্যায় বিচারের অনুপস্থিতি এই উপমহাদেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিরাজ করছে কিন্ত সেসব সমস্যা বাদ দিয়ে রাস্ট্রের মুল সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছে এখন ধর্মীয় কিছু আচার অনুষ্ঠান । তাও যদি ধর্মীয় বিধানের আলোকে কর্মের প্রতি দৃষ্টি দেয়া হত তাহলেও তা অনেকখানি যৌক্তিক হত , মানবিক হত । কিন্ত কর্মের কোন আলোচনা কোথাও দেখি না। ধর্মীয় কিছু আচার, অনুষ্ঠানই এখন হয়ে দাড়িয়েছে আলোচনার মুল বিষয়বস্তু।
ভাস্কর্য বা মুর্তি দ্বন্দও আমার কাছে সেই রকম একটি অহেতুক , পুরোপুরি আজাইরা একটা ইস্যূ যার সাথে রাস্ট্র , দেশ ও জনগনের স্বার্থের সাথে কোন সম্পর্কই নাই।
আর শেখ মুজিবের ভাস্কর্য নির্মান প্রসঙ্গে এই ইস্যূ এখন অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন ইস্যূ হয়ে দাড়িয়েছে। এর এই বিষয়ে ধর্মকে টানাটানি করাই প্রচন্ড বিরক্তিকর বলে মনে হচ্ছে।সরকার মুর্তি , ভাস্কর্য যাই বানান না কেন গনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত হয়ে এসে বানাক , তাতে কোন আপত্তি নাই। জবরদখল করে ক্ষমতাা দখলকারীদের কোন কাজের প্রতিই কোন প্রকার সমর্থন নাই।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
নির্বাচিত সরকার! সেতো আকাশ কুসুম।
সমস্যার রকমফের দেখুন- সেই সরকারের সাথেই হাত মিলিয়ে কওমী জননী খেতাব দিয়েছিল -এই বিরোধী গ্রুপ!
কে জানে কোন স্বার্থে টানাটানি পড়েছে- এখন পুরাই রিভার্স।
এটা ভাল বলেছেন- এই উপমহাদেশে মৌলিক বিষয়গুলোকে ইগনোর করে -ষ্টান্টের বেশি ব্যবহার হয়
তা যেমন রাজনীতিতে তেমনি ধর্মে। তেমনি জ্ঞান চর্চায়!
কোন ইসলামী দলকে দেখলাম না মিথ্যার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে। অথচ তারাই জানে মিথ্যা পাপের জননী।
ঘুষের টাকায় মসজিদে টাইলস দান করলে কোন বাপের বেটা ইমাম দেখলাম না ফিরিয়ে দিতে!
সুদখোর, সূরা মাউন মতে সালাত অস্বীকার কারী বাড়ী্ওয়ালা, মসজিদ কমিটির বিরুদ্ধে কোন উচ্চস্বর আজো উঠতে দেখি না!
ইসলামে মূল বিষয় যখন ফোকলা হয়ে যাচ্ছে এবং মসজিদ, মাদ্রাসা গুলোতে বলাৎকারের মতো জঘন্য পাপের মহামারী চলছে- সেখানে তাদের স্পিকটি নট আচরন! অতীব দু:খজনক।
৩৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন: সরকার মুর্তি , ভাস্কর্য যাই বানান না কেন গনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত হয়ে এসে বানাক , তাতে কোন আপত্তি নাই। জবরদখল করে ক্ষমতাা দখলকারীদের কোন কাজের প্রতিই কোন প্রকার সমর্থন নাই। এইটা কি কইলেন! গণতান্ত্রিক সরকার আইসা যদি মদ, জুয়া, ঘুষ.......ইত্যাদি ইত্যাদি সব চালু কইরা দেয় তাইলেও আপত্তি নাই!!
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
হালাল ট্যাগিং লাগাইয়া দিলেই বাজিমাত
৩৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: ভুয়া মফিজ ভাই, গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হইয়া আসুক আগে, তারপর অন্য কথা । মদ, জুয়া উন্নত, অনুন্নত সব দেশেই আছে। ভন্ডদের দেশে থাকে অপ্রকাশ্যে । তয় ঘুসের ব্যপারে জিরো টলারেন্স।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
”গনতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হইয়া”- ইহাতো যাদুঘরের বিষয় বোধকরি
অথবা গবেষকদের গবেষনার বিষয়!!!
ভন্ডদের দেশে থাকে অপ্রকাশ্যে - সহিহ কথন
৪০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " আপনার বোঝার বিষয় নিয়ে কি ধারনা আছে? না কবিতা না প্রবন্ধ কোনটাই বুঝতে পারেন না! কি আর করা! কিপ ট্রাই অন "
-ট্রাই করার মতো কিছু নেই; অনেক ব্লগার আপনাকে চেনেন, কিন্তু ওঁরা আপনার লেখা পড়ে দেখন না; এমনিতেই কমেন্ট করেন।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
তাইতো কি বিষম সুমস্যা! ট্রাম্প কাকুর কাছে শেষ বেলায় নারিশ দিতে হপে দেকচি।
তারা মনে হয় ঐ চানাচুরের বিজ্ঞাপন দেখেছে- আমিতো এমনি এমনি খাই
৪১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @নীল আকাশঃ
উইকি পিডিয়ার তথ্য অনুসারে, ( যদি আপনি উইকি পিডিয়ার তথ্য মানতে রাজি হন ) নবীজি (সাঃ) জীবদ্দশায় ইসলামী রাষ্ট্রের প্রশাসনিক বহু কাজকর্ম লিখিতভাবে সম্পাদনা করা হতো। বিভিন্ন এলাকার শাসনকর্তা, সরকারী কর্মচারী এবং জনসাধারনের জন্য বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে লিখিত নির্দেশ প্রদান করা হতো। তাছাড়া রোম, পারস্য প্রভৃতি প্রতিবেশী দেশসমূহের সম্রাটদের সাথে পত্র বিনিময়, ইসলামের দাওয়াত এবং বিভিন্ন গোত্র ও সম্প্রদায়ের সাথে চুক্তি ও সন্ধি লিখিতভাবে সম্পাদন করা হতো। আর ইসলামের নবীর আদেশক্রমে যা লেখা হতো তাও হাদীসের অন্তর্ভুক্ত।
ইসলামের নবীর মৃত্যুর পর বিভিন্ন কারণে হাদীস সংকলনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
কুরআন মাজীদের সাথে হাদীস সংমিশ্রণ হওয়ার আশংকায় কুরআন পুর্ণ গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত হাদীস লিপিবদ্ধ করতে কেউ সাহস পায়নি।
আবূ বকরের আমলে কুরআন মাজীদ গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ হলে সাহাবীগণ হাদীস লিপিবদ্ধ করার ব্যাপারে আর কোন বাধা আছে বলে অনুভব করেননি। হিজরী প্রথম শতাব্দীর শেষভাগে সাহাবি ও তাবেয়ীগণ প্রয়োজন অনুসারে কিছু হাদীস লিপিবদ্ধ করেন।
অতঃপর উমাইয়া খলিফা উমর ইবনে আব্দুল আযীয হাদীস সংগ্রহের জন্য মদীনার শাসনকর্তা আবু বকর বিন হাজম সহ মুসলিমবিশ্বের বিভিন্ন এলাকার শাসনকর্তা ও আলিমগণের কাছে একটি ফরমান জারী করেন যে, আপনারা মহানবী হাদীসসমূহ সংগ্রহ করুন। কিন্তু সাবধান! মহানবী এর হাদীস ব্যতীত অন্য কিছু গ্রহণ করবেননা। আর আপনার নিজ নিজ এলাকায় মজলিস প্রতিষ্ঠা করে আনুষ্ঠানিকভাবে হাদীস শিক্ষা দিতে থাকুন। কেননা, জ্ঞান গোপন থাকলে তা একদিন বিলুপ্ত হয়ে যায়। এই আদেশ জারীর পর মক্কা, মদীনা, সিরিয়া, ইরাক এবং অন্যান্য অঞ্চলে হাদীস সংকলনের কাজ শুরু হয়।
কথিত আছে যে, প্রখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম ইবনে শিহাব যুহরী সর্বপ্রথম হাদীস সংগ্রহ এবং সংকলনে হাত দেন। কিন্তু তার সংকলিত হাদীসগ্রন্থের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর ইমাম ইবনে জুরাইজ মক্কায়, ইমাম মালিক মদীনায়, আবদুল্লাহ ইবনে আব্দুল ওয়াহহাব মিসরে, আব্দুর রাজ্জাক ইয়েমেনে, আবদুল্লাহ ইবনে মুবারক খুরাসানে, এবং সূফিয়ান সাওরী ও হাম্মাদ ইবনে সালমা বসরায় হাদীস সংকলনে আত্ননিয়োগ করেন।
এ যুগের ইমামগণ কেবল দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় হাদীসগুলো ও স্থানীয় হাদীস শিক্ষাকেন্দ্রে প্রাপ্ত হাদীসসমূহ লিপিবদ্ধ করেছিলেন। তাদের কেউই বিষয়বস্তু হিসেবে বিন্যাস করে হাদীসসমূহ লিপিবদ্ধ করেননি।
হাদীস প্রসঙ্গে আমি যা বিশ্বাস করি তা হচ্ছে - আমি মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর কোন কথা বা কাজকে অবিশ্বাস করছি না, বা তাঁর অসম্মান হয়, এমন কোন কিছুতেও আমার সমর্থন নেই। কিন্তু তাঁর মুখের বানী অন্যের মুখে যখন প্রকাশিত হবে বা অন্য কেউ যখন তার মুখের কথা বলবেন, তখন সেখানে ভুল হতে পারে। যদিও অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষা করে হাদীস যুক্ত করা হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে। কিন্তু এতে কোন ভুল থাকতে পারবে না এটা বিশ্বাস যোগ্য নয়। কারন মানুষ মাত্রই ভুল। এটা মানুষের স্বভাব।
কোরান শরীফের ব্যাপারে আল্লাহপাক নিজে বলেছেন - আমিই (আল্লাহ) কোরআন অবতীর্ণ করেছি। আর অবশ্যই আমি এর সংরক্ষক। (সুরা : হিজর, আয়াত : ৯)
এই আয়াত দ্বারা বুঝা যায়, আল্লাহ নিজে কোরান শরীফ হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন। আর কোরান শরীফ সেই কারনেই অবিকৃত আছে বলে আমরা মনে করি। তাছাড়া কোরআন নাজিলের সূচনা ৬১০ সালে। জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়বস্তু নিয়ে নাজিল হয়েছে খণ্ডে খণ্ডে, দীর্ঘ ২৩ বছরে। কোরআন পরিপূর্ণ রূপ পায় ৬৩২ সালে। কোরআনের প্রথম পঙক্তিমালাই বদলে দেয় নবীজীর (স.) জীবন। এরপর নবীজী (স.) ও সাহাবীদের জীবন আবর্তিত হয় আল্লাহর কালাম এই কোরআনকে ঘিরেই। তাই কোরআনের প্রতিটি আয়াত বিশুদ্ধভাবে সংরক্ষণে প্রচেষ্টার কোনও কমতি ছিল না।
কোরআনের আয়াতাংশ, আয়াত, সূরা—যখনই যা নাজিল হতো, তখনই নবীজী (স.) তা নিজে বার বার তেলাওয়াত করতেন এবং উপস্থিত সাথিদের শোনাতেন। সাহাবীরা তা বার বার তেলাওয়াত করে মুখস্থ করে ফেলতেন। আর কাতিব অর্থাৎ লিপিকররা তা লিপিবদ্ধ করতেন। বিভিন্ন পর্যায়ে ৪০-এর অধিক সাহাবী কোরআন লিপিবদ্ধ করার দায়িত্ব পালন করেছেন।
নাজিলের সূচনা থেকেই মক্কায় নবীজীর (স.) সরাসরি তত্ত্বাবধানে সাহাবীরা মুখস্থ করা ও লেখার মাধ্যমে কোরআন সংকলন ও সংরক্ষণের কাজ শুরু করেন। কোরআন লিখে রাখার কাজে মোটা কাগজ, চামড়া, পাথরখণ্ড, জন্তুর হাড় ও খেজুর পাতা ব্যবহার করা হয়। আলী ইবনে আবু তালিব, উবাই ইবনে কাব, আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ, জায়েদ বিন সাবিত (রা.) কোরআন লিপিবদ্ধকারী হিসেবে বিশেষ খ্যাতিলাভ করেন। জায়েদ বিন সাবিতকে নবীজী (স.) তার সামনে বসেই কোরআন লিপিবদ্ধ করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কোনও আয়াত নাজিল হলেই তিনি তাকে ডেকে নিয়ে তেলাওয়াত করে শোনাতেন। আয়াতটি কোন সূরার কোন আয়াতের আগে বা পরে কোথায় বসাতে হবে, সে-সম্পর্কে নির্দেশনা দিতেন। জায়েদ সেভাবে লিপিবদ্ধ করে শুদ্ধতা যাচাইয়ের জন্যে তা আবার নবীজীকে (স) পড়ে শোনাতেন। এভাবে পুরো কোরআন সূরা আকারে বিন্যস্ত, লিপিবদ্ধ ও মুখস্থ করার নির্ভুল প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন হয় নবীজীর (স.) জীবদ্দশাতেই।
অতএব কোরান নিয়ে কোন সংশয় নেই। কিন্তু এমন হাজারো হাদীস আছে যা আমাদের মহানবী সাঃ এর ইন্তেকালের পর সংরক্ষিত হয়েছে। আমি আবারও বলছি মহানবী সাঃ এর পূর্ন শ্রদ্ধা, ভালোবাসা রেখে জানাচ্ছি, তাঁর বক্তব্যের ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। সন্দেহ আছে যারা তার হয়ে এই বক্তব্য পরবর্তীতে আমাদেরকে জানিয়েছেন। তাছাড়া মহানবীর নামে প্রচুর মিথ্যে কথা এক সময় প্রচলিত হয়েছে।
তবে আমরা ধারনা করি অনেক হাদীসই সঠিকভাবে সংরক্ষিত হয়েছে। কিন্তু হাদীসের সত্য মিথ্যা নিয়ে সন্দেহ করা যাবে না, এমন কোন নিয়ম আছে কি না আমার জানা নেই। তাছাড়া হাদীসে শতভাগ বিশ্বাস করতে হবে - এমন কোন কথা কোরানে লেখা আছে বা নবী (সাঃ) বলেছেন বলে আমার মনে হয় না। হাদীসে শতভাগ বিশ্বাস না করলে ইমান থাকবে না, এই সম্পর্কিত যদি কোন আয়াত থাকে তাহলে জানাবেন।
আর ভাস্কর্য আর মুর্তি নিয়ে যে দন্দ্ব আছে, এই ব্যাপারে সঠিক ফতোয়ার অভাব আছে বলে মনে করি। এই বিষয়ে আমাদের সকলকেই আরো পড়াশোনা করতে হবে। আমরা কেউ যদি মনে করি, ধর্ম বিষয়ে আমার জ্ঞান অন্যের চাইতে সেরা, সেটা নিঃসন্দেহে একটি বিপদজনক ব্যাপার।
আমি অনুরোধ করব, আলোচ্য সুরা সাবার শুধু মাত্র একটি আয়াত না পড়ে আশেপাশের আয়াত গুলোও পড়ে দেখতে ও তাফসির পড়তে। আমার কাছে এই তাফসির সাইটি ভালো লেগেছে। https://www.altafsir.com/
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
দারুন তথ্যপূর্ন মন্তব্যে পোষ্ট সমৃদ্ধ হলো।
মাওলানা আকরম খার বটিা খুঁজছি। এই বিষয়ে দারুন রেফারেন্স বুক হিসেবে তথ্য পেলাম সিনিয়র এক শুভাকাংখীর কাছ থেকে।
কাল আমাদের লাইব্রেরীতে খোঁজ করবো।
হুম সঠিক ফতোয়ার অথবা তা না জানা র কারনেই অমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এটাতো শাস্ত্রেরেই কথা যে তালেব বা সন্ধানে থাকে সেই জ্ঞানী। আর যে মুহুর্তে সে ভাবে তার জ্ঞান পূর্ন সে মূর্খদের কাতারে নেমে যায়। এবং অবশ্যই সেটা নিঃসন্দেহে একটি বিপদজনক ব্যাপার।
তাফসির সাইটটি লিংক দেয়ায় ধন্যবাদ। সময় করে পড়তে হবে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা রইলো।
৪২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
স্থিতধী বলেছেন: ভৃগুদা, লেখাটা চমৎকার এবং আপনার চেষ্টাও প্রশংসনীয়। তবে যাদের যুক্তি ও বোধ দিয়ে বোঝানোর এই চেষ্টা, তাঁরা আসলে এসবে বোঝার লোকনা। তাঁরা আমার ও আপনার থেকে চালাক চতুর রাজনৈতিক ক্ষমতার ফায়দা লোটার দল । তাই ১৫ নং কমেন্টের ব্লগার নতুন ভাইয়ের সাথে আমি একমত।
ভুয়া মফিজ ভাইয়ের যুক্তি গুলোর সাথেও আমি সম্পূর্ণ একমত । ব্লগার এমেরিকার মতো আরো কিছু লোকেরা ধর্মের বিষয়ে যুক্তি ও মগজকে পায়ের গোড়ালির কাছে রেখে দিয়ে চলে আসতে বলে। কিন্তু মফিজ ভাইয়ের মতো আমিও বলতে চাই, আমি আল্লাহর দেওয়া মগজ কোরআন ও হাদিসের বাণীর মর্ম উদ্ধারের সময় হাটুর তলায় রাখতে রাজি নই। যেমন বুখারি শরীফের রেফারেন্স দিয়েই আপনি জনালেন যে আয়শা (র) ঘরে ঘোড়ার মূর্তি পুতুল ছিলো এবং এ নিয়ে রাসুলের কোন আপত্তি ছিলোনা। আবার ব্লগার নীল আকাশ সেই বুখারির রেফারেন্স দিয়েই বলছেন যে আয়শা (র) প্রাণীর অবয়বের ছবির পর্দা রাখায় নবী তা ছিড়ে ফেলেন। তাহলে এখন তো আমাদের ভাবতেই বসে যেতে হয় তাইনা, যে বুখারীর কোন হাদিস টাকে এখন তাহলে সত্য রূপে মানবো? দুটোকেই? দুটোই সত্য হলে তখন এ নিয়ে মোদ্দা কথা কি দাড়ালো? প্রাণীর মূর্তি ঠিক আছে কিন্তু প্রাণীর ছবিওয়ালা পর্দা ঠিক নাই? আবার বুখারী থেকেই রেফারেন্স দিয়ে ২৮ নং কমেন্টে ব্লগার বলছেন যে যারা ছবি-মূর্তি তৈরি করে কিয়ামতের সময় তাঁরা কঠিন শাস্তি পাবে । এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে গেলো যে বোধহয় গত বই মেলাতেই এই ব্লগার যে গল্প কাহিনীর বই লিখেছেন তার প্রচ্ছদে আল্লাহর সৃষ্টির অনুরূপ একটি নারীর মুখ আঁকা হয়েছিলো এবং সেই প্রচ্ছদ তৈরি করেছিলো সামুর আরো দুজন ব্লগার। লেখক হিসেবে ২৮ নং কমেন্টের ব্লগার সেই প্রচ্ছদ অনুমোদন করে বইটি সেভাবেই প্রকাশের অনুমতি দিয়েছেন। ২৮ নং মন্তব্যের প্রথম হাদিসটি সেই লেখক ব্লগার কি তখন জানতেন না? জানা থাকলে তিনি কি করে আরো দুজন ব্লগার সহ নিজেকে কেয়ামতে এতো কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবার ঝুকিতে ফেললেন? এই কাজের জন্য বোধ করি তিনি ইতিমধ্যেই তওবা করে ফেলেছেন বাকি দুজন প্রচ্ছদ শিল্পী ও প্রকাশক সহ।
এভাবে করে শুধু হাদিসে জোড় দিতে গেলে অনেক রকমের অমিল কিন্তু চলে আসে আসলে। যেমন ব্যাভিছারের শাস্তি হিসেবে পাথর মেরে মেরে খুন করে ফেলা কে (রযম) অনেকই বৈধতা দিতে চায় বুখারীর ই একটি হাদিসের উপর ভিত্তি করে। অথচ কুরআনে ব্যাভিছারের শাস্তি হিসেবে রযমের উল্লেখ নেই। সেখানে বলা আছে সাক্ষী যোগাড় করে অভিযোগ প্রমাণ হবার পর বেত্রাঘতের কথা। তারপরও হাদিস ও খলিফা উমর (র) উছিলা দিয়ে অনেক মুসলিম রযম এর শাস্তি দিতেই আগ্রহী এ ক্ষেত্রে । ইসলামের আরো অনেক বিষয়ের মতো আলেমরাও এ নিয়ে এক মত নন।
পৌত্তলিকদের সাথে মিলে যায় এমন কোন কিছুই মুসলিমদের করা মানায়না বলে আরেকটি হাদিস আছে বলে জানি। তথাপি, নবী করীম মক্কা বিজয়ের পরেও হজ্জের সময় কাবার কালো পাঁথরে চুমু খেয়েছেন যা কিনা মক্কার পৌত্তলিকরাও নিয়মিত করে এসেছে তাঁর পূর্বে । ফলে কট্টরপন্থী উমর (র) রাসূলের এই কাজটিকে মন থেকে মেনে নিতে পারেন নি। নিমরাজি মানসিকতা নিয়ে তিনিও কালো পাঁথরে চুমু খেয়ে গিয়েছেন এবং বুখারীর রেফারেন্স এ বলেছেন ;
Al-Bukhārī reports that ʿUmar – Allāh be pleased with him – came to the Black Stone (performing ṭawāf, circumambulation), kissed it, and said, “I know that you are a stone, you do not cause benefit or harm; and if it were not that I had seen Allāh’s Messenger – peace and blessings of Allāh be upon him – kiss you, I would never have kissed you.”
Al-Bukhārī, Al-Ṣaḥīḥ, Chapter on what has been said about the Black Stone.
তাঁর মানে যদি রাসুল কে পাঁথরে চুমু খাওয়ার এ কাজটা তিনি না করতে দেখতেন তবে তিনি কখনোই এ পাঁথরে চুমু খেতেন না যেহেতু মক্কার পৌত্তলিকরাও পূর্বে এই কাজটি করতো, আর তাই এটি শিরকের মতোই একটি কাজ তাঁর নিজের বিবেচনায় । তথাপি যেহেতু আল্লাহর নবী এই চুমু খাওয়ার কাজটি করেছেন তাই তিনিও করবেন যদিও তিনি জানেন যে এই পাঁথরের কোন অলৌকিক মাজেজা নেই।
আসল কথা হলো , মুখস্থ বিদ্যার মতো করে যারা ধর্ম বা যেকোন রকমের মতবাদ কে অনুসরণ করতে চায় তাঁদের সাথে যুক্তির বা সহজ বোধের আলোতে আসার চেষ্টা করা বেশীরভাগ সময় ই পণ্ডশ্রম হয়। স্বাধীন বাংলাদেশ হচ্ছে সব ধর্ম- বর্ণের বাংলাদেশীদের দেশ। এখানে আইন ও সংবিধান হবে বাংলাদেশীদের কথা চিন্তা করে, তাঁদের সার্বিক মঙ্গলের জন্য। কোন একটি ধর্মের মানুষের মন মর্জি রক্ষা করার জন্য বাংলাদেশের আইন কানুন সংবিধান পরিবর্তনের প্রশ্নই আসেনা। তাঁদের বাড়াবাড়ি কে প্রশ্রয় দেয়া মানেই হচ্ছে বাংলাদেশকে পুনরায় পাকিস্তান ই শুধু নয়, অপ পাকিস্তানে তৈরি করা। ইতিমধ্যে আমরা আমাদের স্বাধীনতার একটি মৌলিক উপাদান গণতন্ত্র সম্পূর্ণ হারানোর পথে, এখন গোঁদের উপর বিষফোঁড়ার মতো সেখানে ধর্মান্ধদের ক্ষমতার লোভে হুমকি ধ্মকি লাফ ঝাপ কে লাই দেয়ার পরিণাম কি হবে তা বোধশক্তি থাকা সকলেই জানেন।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া
২৮ নং মন্তব্যের প্রথম হাদিসটি সেই লেখক ব্লগার কি তখন জানতেন না? জানা থাকলে তিনি কি করে আরো দুজন ব্লগার সহ নিজেকে কেয়ামতে এতো কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবার ঝুকিতে ফেললেন? এই কাজের জন্য বোধ করি তিনি ইতিমধ্যেই তওবা করে ফেলেছেন বাকি দুজন প্রচ্ছদ শিল্পী ও প্রকাশক সহ।
বলেন কি? আশা করি তারা শীঘ্রই তওবা সম্পন্ন করে নিজের যুক্তির সপক্ষে থাকবেন।
রজম নিয়ে যা বলেছেন দারুন সত্যি। একই রকম দেখা যায় হিল্লা বিবাহের বিধানে।
অথচ কোরআনে সরাসরি উল্লেখিত আয়াতকে ইগনোর করে হাদীসের সূত্রে।
অবশ্য এখন প্রশ্নগুলো উঠছে এটা ভাল লক্ষন। কারণ আগে আরবী জানা লোক কম ছিল! যা বলতো তাই অন্ধ বিশ্বাস করতো।
স্রেফ সূরা মাউন দিয়েই দেখুন- কয়টা মসজিদে কয়জান নামাজী মিলে?
অথচ লোকতো পোষাকি লোকতে দলে দলে!
আর পাথরে চুমু খাবার হাকীকত যদি বলি- পোষাকি মোল্লারা কল্লাও নিয়ে নিতে পারে। সেই প্রেম কে অনুভব না করে।
সেই সত্যকে না জেনে। না মেনে।
ইসলাম একটা সপ্রাণ ধর্ম। নিত্যতায় যার প্রকাশ বিকাশ। অথচ তাকে সেই যে উমাইয়া আব্বাসীয় দ্বন্ধে প্যাচে ফেললো, কারবালায় তা ষোলকলা পূর্ণ হলো। এবং তারপর সেই ধারা আর প্রশাসনীক ক্ষমতায় আসল ইসলাম চলে গেল সূফিদের একান্ত নিভৃত চর্চায়। যুগে যুগে কালোত্তীর্ণ ইমাম যখন ঈমানের ঝলকে সেই বাতিকে উজ্জল করে গেছেন শতকে শতকে।
আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। সত্য জ্ঞান আর প্রেমের মাঝে ধর্মের সারাৎসার অনুভবের দিশা দিন।
শুভকামনা রইল
৪৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভ্রাতা, আপনার এই পোস্ট পর্যবেক্ষণে আছে, আমি পুরোটা পড়ে আমার মতামত জানাতে চাই।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হোয়াট এ সারপ্রাইজ!!!!!!!!!!
পুরা একবছর দশ মাস পর!!
উকে ভায়া। পরি+অব+ঈক্ষন শেষ হলে বিস্তারিত মতামতের অপেক্ষায়।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আর আবারো নিয়মিত হবেন কায়মনোবাক্যে এই আশাই করছি।
৪৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪২
ঈশ্বরকণা বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,
আপনি এই লেখাটা লিখেছেন দেখে অবাক হলাম ।
এই লেখায় আপনি অনেক বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছেন মূর্তি বা স্থাপত্য-র পক্ষে । কিন্তু সব আলোচনা বা যুক্তি অর্থহীন হয়ে গেছে এ সম্পর্কে কোনো ইসলামিক স্কলারদের কোনো ফতোয়ার কথা বলেননি দেখে । লেখায় যারা তাদের মতামত দিচ্ছেন তারাও কমনসেন্স আর্গুমেন্ট করছেন নিজেদের মতো করে কোনো ইসলামিক ফতোয়ার কথা না বলেই। মূর্তি বা স্থাপত্য বানানো নিষিদ্ধ কিনা সেগুলো নিয়ে কিন্তু ফতোয়া আছে ইসলামিক স্কলারদের।কুরআন হাদিসের ভিতিত্তে খুব যুক্তিপূর্ণ ফতোয়াই আছে । এই ফতোয়াগুলোর ভিত্তি হলো বুখারী এবং মুসলিম শরীফের সহীহ হাদিস যা হজরত আয়িশার (রাঃ) একটি কুইল্ট করে আঁকা ছবি নিয়ে । যা দেখে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) খুবই রাগ করেছিলেন এবং নিজের হাতে দেয়াল থেকে সেই ছবিটা ছিড়ে ফেলেছিলেন । যারা প্রাণীর ছবি আঁকবে তাদের ব্যাপারে আল্লাহর বিধানও সেই একই হাদিসে বলা হয়েছে । হজরত আয়িশা (রাঃ) পূজা /উপাসনার জন্য দেয়ালের সেই সুতার কাজ করে প্রাণীর ছবি এঁকে ছিলেন সেটা নিশ্চই সত্যি না । উনি সুতোর কাজে প্রাণী এঁকেছিলেন নান্দনিক ভেবেই তবুও রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সেটা নিজে হাতেই ছিড়ে ফেলেছিলেন আর সেই প্রসঙ্গে প্রাণীর ছবি আঁকলে কি হবে সেটার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন । তাই উদ্দেশ্য যাই হোক সেটার মারপ্যাঁচ দিয়ে মানুষ বা প্রাণীর মূর্তি বা ভাস্কর্য আঁকার কোনো সুযোগ ইসলাম অনুমোদন করে না।এই ব্যাপারগুলো আর আর ভিতিত্তে দেওয়া ফতোয়াগুলো আপনার লেখায় থাকলে লেখাটাকে পরিপূর্ন বলা যেত। এখন কিন্তু যাচ্ছে না সেটা বলা।
এ প্রসঙ্গে আরেকটা কথা ,আল্লাহ কুরআনে প্রাক মুহাম্মদ (সাঃ)যুগের অনেক উদাহরণ দিয়েছেন রাসূলের (সাঃ)উম্মতকে অনেক কিছু জানাতে।অনেক নবী রাসূলদের উদাহরণ দিয়েছে অনেক কিছু ব্যাখ্যা করতে। কিন্তু সেগুলো সবই যে মুহাম্মদ (সাঃ)এর জন্য করণীয় বা হালাল সেটা বলেনি।একটা উদাহরণ দেই।যেমন, হজরত সুলাইমানের (আঃ)স্ত্রী এবং উপপত্নী ছিল অনেক । কিন্তু রাসূলকে (সাঃ)তার নয়জন স্ত্রীর বাইরে কোনো স্ত্রী গ্রহণ করতে আল্লাহ কুরআনে নিষেধ করেছেন । সহীহ হাদিস থেকে আমারা জানি রাসূলুল্লাহর (সাঃ) আগে ইহুদিদের রোজা রাখার সময় রাতে খাওয়া দাওয়া নিষিদ্ধ ছিল । আমাদের ক্ষেত্রে সেই বাধা নিষেধ নেই । হজরত দাউদ (আঃ) একদিন পরপর রোজা রাখতেন কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সেটা নিরুৎসাহিত করেছেন সাহাবীদের দ্বীন সহজ করার জন্য । তাই আগের নবীদের বা উম্মতের জন্য যেগুলো হালাল ছিল সেগুলোর সবই রাসূলের (সাঃ) উম্মতের জন্য হালাল সেটা ভাবার কিন্তু কাৰণ নেই । দ্বীন পালনে অনেক নিয়ম নীতিই রাসূলের (সাঃ) জন্য পরিবর্তিত হয়েছে । একটা সহি হাদিসে বলা হয়েছে এমনকি কি যদি মুসাও (আঃ) রাসূলের জামানায় বেঁচে থাকতেন তাহলে তাঁরও রাসূলের (সাঃ) বিধান মেনে চলতে হতো। তাই অন্য নবীদের নিয়ম নীতি নয়, রাসূল (সাঃ) যে সব নীতি তার উম্মতের জন্য বলে গেছেন সেগুলোই হবে মুসলিমদের জন্য বিধান। অন্য কোনো যুক্তি দিয়ে কিন্তু হাদিসের কথার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই ।
আপনি এ'রকম আরো যুক্তি দিয়েছেন কিন্তু সেগুলো আপনার লেখাটাকে অনেক দুর্বল করে ফেলেছে । সেগুলো থেকে চাঁদগাজীর মন্তব্যটি (২২ নং) আপনার লেখা সম্পর্কে সঠিক মনে হবার সুযোগ করে দিয়েছে । মনেই হচ্ছে অনেক বিষয় দিয়ে আপনার পজিশন জাস্টিফাই করতে গিয়ে আপনি পুরোই গুবলেট করে ফেলেছেন বিষয়টা । একটাই উদাহরণ দেই আপনার লেখা থেকে বিষয়টা নিয়ে আপনার অস্পষ্টতা নিয়ে । আপনি কাবা ঘরের পুনঃগঠনের সময়কার হজরে আসওয়াদের ব্যাপারটা টেনে যে উদাহরনটা দিয়েছেন আর বলেছেন, " তখন কি তিনি কাবার মূর্তিগুলো দেখে মুখ ফিরেয়ে নিয়েছিলেন কিংবা তিনি কি দাবি করেছিলেন যে, আমি সমাধান দিব, তোমরা যদি মূর্তি ভেঙে ফেল?" আপনি সিনিয়র একজন ব্লগার হিসেবে একটু বুঝেসুঝে যদি এই লাইনগুলো লিখতেন তাহলে খুব ভালো লাগতো । যে সময় এই ঘটনাটা ঘটে ছিল তখন কি রাসূল (সাঃ) নবুয়ত পেয়েছিলেন ? কুরআনের মূর্তি ভাঙার আইনগুলো নাজিল হয়েছিল ? মক্কা ইসলামিক রাষ্ট্র ও শাসনের অধীনে ছিল ? আপনার কি মনে হয় সেই অবস্থায় "তোমরা যদি মূর্তি ভেঙে ফেল" এই কথা বলার সুযোগ ছিল কোনো ? আপনার এই দুর্বল যুক্তি দেখে অবাক হয়েছি বলাই বাহুল্য । পুরো লেখাতাই এরকম দুর্বল গাঁথুনির । আপনি আপেলের সাথে আপেলের তুলনা না করে আপেলের সাথে কমলা লেবুর তুলনা করার যুক্তিতে মূর্তি আর ভাস্কর্য সম্পর্কে ইসলামের মূল বিষয়গুলো আলোচনায় না এনে কিছু অপ্রাসঙ্গিক বিষয় আলোচনা করে মূর্তি আর ভাস্কর্যের পক্ষে বলেছেন বলেই মনে হয়েছে । এইটুকু পড়ে লেখাটা আর শেষ করতে ইচ্ছে করলো না ।
শেষে একটা কথা বলি, এখনকার সৌদি রাজার কাজ দিয়ে কি ইসলামের প্রাকটিস করা যাবে ? ধরেন, এই যে ক্রাউন প্রিন্স এমবিএস সৌদি আরবের শাসনের বিরোধিতা করার জন্য আমেরিকার সাংবাদিক খাশোগিকে কসাইয়ের মতো কেটে বস্তাবন্দি করার আদেশ দিয়েছিলো তার সেই নীতিও কি আমাদের মুসলিম বলে অনুসরণ করতে হবে ? বা ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর মুখে ফেলে ইসরাইলিদের স্বার্থ দেখতে হবে সৌদি প্রাকটিস অনুযায়ী?সৌদি আরবের জেদ্দা এয়ারপোর্টে মূর্তি বা ভাস্কর্য কি আছে সেগুলো দিয়ে কি হাদিসের নিয়মনীতির বাইরে কিছু করার সুযোগ আছে? ইসলামের নীতি এখান থেকে কিছু ওখান থেকে কিছু পছন্দমতো পালন করার বিরুদ্ধেই কিন্তু কুরআনে হুঁশিয়ারি দেয়া আছে । ভাস্কর্য বলতে আপনি যদি বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনের শাপলা ফুলের কথা বলেন সেটা ঠিক আছে । কিন্তু সেটা যদি মানুষ বা প্রাণীর আকৃতি হয় সেটা যে নিষিদ্ধ তা সহীহ হাদিসে (বুখারী মুসলিম) পরিষ্কার ভাবেই বলা আছে ।ইসলামিক স্কলারদের ফতোয়াতেও সেটাই বলা আছে ।কমসেন্স আর্গুমেন্ট করে সেটার বাইরে কিছু বলার সুযোগ মনে হয় নেই।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভায়া
বিশাল মন্তব্যে আপনার অনুভবকে আপনি প্রকাশ করেছেন।
”এইটুকু পড়ে লেখাটা আর শেষ করতে ইচ্ছে করলো না - তো শেষ না করলে তো কোন বিষয়ের পূর্ন
রুপটা বোঝা্ও যায় না।
যাই হোক আমার পয়েন্ট অভ ভিউটা ভূয়া মফিজ ভায়া সংক্ষেপে দারুন ভাবে প্রকাশ করেছেন -
মূল প্রসংগ হলো -
১। সূরা সাবার আয়াতের ক্লিয়ারেন্স -
২। কর্মফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল
৩। হযরত আয়শা (রা.)-এর ঘরে ঘোড়ার ছোট মূর্তি রাখা ছিল (সূত্র: বুখারি শরিফ-কিতাবুল আদাব)
৪। হযরত আয়েশা সিদ্দীকা (রা.) এর কয়েকটি পুতুল ছিল বলে হাদিসে স্পষ্ট উল্লেখ পাওয়া যায়।
যার উপর ভিত্তি করে এই সকল ইস্যুতে ভাঙ্গা/হত্যার মতো কট্টর পথে না হাটার কোন সুযোগ আছে কিনা তাই অনুভবের চেষ্টা। ইসলামের মৌলিক ভিত্তি সত্য চর্চা, মিথ্যা না বলা, বিজ্ঞানের চর্চা, ঘুষ দূর্নীতি প্রতিরোধ, সামাজিক দারিদ্র দূরিকরণ, মানবতার সেবা, এই সকল বিষয়ে শুন্য মাত্রায় অবস্থান করে ভাস্কর্যর মতো বিষয়ে তাদের জোশ দেখে বিষয়টির স্বরূপ সন্ধানের উদ্দেশ্যে আমার মতো করেই সাজিয়েছি। আপনার যদি শক্তিশালী তথ্য, যুক্তি বা উপাত্ত থাকে অনুগ্রহ করে উল্লেখ করুন।
তাতেই আমার সহ সবার উপকার হবে।
সউদরা মুসলমান কিনা তাইতো চিন্তার/গবেষনার বিষয়। তাদের অনুসরনের তো প্রশ্নই ওঠে না। আর এ বিষয়ে বিদায় হজ্বের ভাষনেই স্পষ্ট নির্দেশনা আছে- আরব-অনারবে কোন শ্রেষ্ঠত্ব নাই তাক্ওয়া ব্যাতিত।
আমিতো সে কথাই আলোচনার সূত্রপাত করেছি- প্রথমে কোরআনে খুঁজব, না পেলে হাদীসে, না পেলে ইজমা , কিয়াসে
তাই উত্তেজিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার/দেয়ার কিছু নেই।
আমি মনে করেন কিছুই বুঝি না। আপনি অনেক বোঝেন। এখন আপনার দায়িত্ব নয় কি আমাকে বোঝানের? নাকি অবজ্ঞা আর ক্রিটিসিজমেই দায় শেষ হয়!
যাই হোক
যদি আগ্রহী হোন, তবে উল্লেখিত আয়াতের আলোকে, নিয়তের উপর নির্ভর করে সাধারন সৃষ্টি হিসেবে ভার্স্কয করা যায় কিনা তার যৌক্তিক আলাপে স্বাগত। যেমনটা বলেছেন শাপলার কথা।
কাফের, মুশরিক, বা মূর্খ বলাতে/শোনানোতে না নিজের উৎকর্ষ না অন্যের।
”কমসেন্স আর্গুমেন্ট করে সেটার বাইরে কিছু বলার সুযোগ মনে হয় নেই।”
- তাহলে ইজমা কিয়াস কি বাতিল বলতে চাইছেন?
৪৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সুন্দর আলোচনা হচ্ছে। আশা করি নীল আকাশ ভাই ও ব্লগার ঈশ্বর কনা এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করবেন।
তবে, হযরত আয়শার ঘরে যে একটি পুতুল ছিলো, সেই ব্যাপারে ব্যাখ্যা জানতে পারলে ভালো লাগত। তাছাড়া মক্কা জাদুঘরে অনেক ছোট ছোট প্রানীর মুর্তি আছে যা দিয়ে মুলত ইসলামের বিভিন্ন সময়ের ঘটনা সমুহ বুঝানো হয়েছে।
ভিডিওটি দেখুন।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম আলোচনা চলুক।
তবে আউট অফ ট্র্যাকে না ঘুরলেই বহুত ফায়দা হবে
ইসলাম সেতো পরশ মানিক তারে কে পেয়েছে খুঁজি?
পরশে তাহার সোনা হলো যারা তাদেরই মোরা বুঝি!
তবে আমাদের নিজের ইতিহাসের দিকে তাকালেই যে সাধারন সত্যটা বুঝতে পাই, তার আলোকেই বলা যায়
আরবীয় ইতিহাসেও ক্ষমতার প্রভাব অনেক বেশি ম্যানিপুলেট করেছে সত্যকে।
যার জন্য দেখি রাসূল সা: প্রেমি সাহাবাগণ নির্বাসিত জীবন যাপন করেছেন! বা ক্ষমতার বৃত্তের বাইরে সূফি পথে নিজেদের আবৃত করে লুকিয়ে রেখেছেন।
এখন সত্যকে কেউ খুঁজতে চাইলে সেইরকম নির্মোহ দৃষ্টিতেই খুঁজতে হবে- আবেগের উর্ধে, অন্ধ বিশ্বাসের খোলস ভেঙ্গে, প্রচলিত বোধ আর বিশ্বাসের পর্দাকে সতর্কতায়, সচেতনতায় উল্টে পাল্টে, সাথে আধ্যাত্বজ্ঞানের গভীর সাগরে অবগাহনের জ্ঞান, প্রজ্ঞা আর সাহস ও সৌভাগ্য।
চলুক সত্যের স্বরূপ সন্ধান।
৪৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৪
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ইসলামিক দৃষ্টিকোন থেকে ভাস্কর্য এর ব্যপারে আমি নিজে ও অনেক দন্দ্বে ছিলাম। আপনার পোস্ট এবং বিজ্ঞ অনেক ব্লগারের খন্ডিত বিশ্লেষণ থেকে কিছুটা হলে ও পরিস্কার হওয়া গেল। কিন্তু কথা হচ্ছে উচ্চ আদালতের নিকট থেকে থেমিস দেবীর মুর্তি অপসারণ করার পর দেশে আবার ভাস্কর্য নিয়ে কেন উওেজনা তৈরি হল? যেখানে প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছিলেন- আদালতের সামনে থেমিস দেবীর মুর্তি তিনি নিজেও পছন্দ করেন নী।
কিছুদিন আগে এক ভাইয়ের ফেসবুকে পোস্ট দেখলাম- তরুন প্রজন্মকে মুক্তিযাদ্ধের ধারনা দিতে সরকারী সব প্রতিষ্ঠানর শেখ মুজিবের ভাস্কর্য থাকা প্রয়োজন। সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানর শিক্ষার মান নিয়ে যেখানে হাজারো প্রশ্ন, ইউনিভার্সিটি হলগুলোর থাকা-খাওয়া, গবেষনা বেহাল দশা, সেখানে শিক্ষার মান না বাড়াতে বাজেট বৃদ্ধি না করে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য নির্মান করা কতটা যুক্তিযুক্ত ? আর ক্ষমতার পালাবদলের সাথে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর যদি শাহজালাল হতে পাড়ে, ভাষানী নব থিয়েটার যদি শেখ মুজিব হতে পাড়ে তাহলে আওয়ামী লীগ কালকে ক্ষমতা ছাড়লে সরকারী অর্থে নির্মিত এই ভাস্কর্য গুলো যে কালকে থাকবে এর কি কোন নিশ্চয়তা আছে?
বাংলাদেশের সামাজিক অবস্হা বিবেচনা করে ভাস্কর্য নিমার্ন ও সৌন্দর্য বৃদ্ধির ইত্যাদি কতটা জরুরী? যেখানে ঢাকার শহরে ধুলাবালির জন্য হাঁটা যায় না, যেখানে সেখানে ময়লা, নদী দূষন, খাল ভরাট, ট্রাফিক যাম, বাসগুলোর বেহাল দশা সেখানে ভাস্কর্য কি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে? বিভিন্ন দেশের ভাষ্কর্যের সুন্দর, যে ছবি গুলো দিলেন এই মানের স্হাপনা বাংলাদেশে কি বানানো সম্ভব নাকি এমন শিল্পি আছে ?
দেশের স্বার্থ, উন্নয়ন জলে দিয়ে এই ধরনের ভাস্কর্য নির্মান করলে যাদের পকেট ভরবে কানাডার বেগমগঞ্জে বাড়ি হবে, এমন কিছু অতি উৎসাহী ব্যক্তিবর্গ শেখ মুজিবের এবং মুক্তি যুদ্ধের চেতনা বেঁচে এইগুলো নির্মান করতে চাইছে। পৃথিবীর একমাএ দেশ উওর কোরিয়ায় যাদের দৈনন্দিন জীবন, ধর্ম, উৎসব সবকিছুতেই তাদের নেতা কিম ইল সং জীবনী থেকে প্রেরনা নেওয়া হয়, দেবতার সাথে তুলনা করা হয়। বংগবন্ধু শৌচাগার বানানোর পরে, বাংলাদেশ সেই পথে হাঁটছে কিনা সন্দেহ কিন্তু থেকেই যায়?
ভাস্কর্য নিয়ে নিচের প্রতিবেদনটি দেখতে ভুলবেন না।
https://youtu.be/0k5_ZvXs6Tc
৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি সমসাময়িক বাস্তবতার এক নিরেট সত্য।
যে খেলাফত কওমি জননী উপাধি দিয়েছিল! আবার কঠিন শত্রু তেতুল হুজুর কি মন্ত্রে তাদের অতি আপনারজন হয়েছি
তারাই ভাল জানে। আবার এখন কেনইবা হুমকি ধামকির পথে হাটছে সে রাজনৈতিক বিশ্লেষন না হয় কোন রাজনৈতিক পোষ্টে হবে।
খিচুরী বিতরন শিক্ষা, ঘাষ চাষ শিক্ষা, ভবন দেখার জন্য কোটি কোটি টাকার বিদেশ সফল প্রকল্প- সবই বেগমগঞ্জীদের প্রয়াস।
দেশ, জনতার স্বার্থ কে কবে ভেবেছে?
না সরকার? না রাজনীতিবিদ? না সো কলড সুশীল সমাজ! না ধার্মিক নেতৃত্ব!!!!
আমি শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোন বিবেচনায় ভাবতে চাইছি- একটা সময়ানুগ ইজমা বা কিয়াসের পথ কি আছে কিনা খুঁজতে।
বা ঠিক কোন কারণে এটাকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা উচিত তারও যৌক্তিক বিশ্লেষন খুঁজতে।
এর বিপরীতে পবিত্র কোরআনের অনুমোদনকে কেউ কেউ বলতে চাইছে কেবলই ঐ সময়ের জন্য-!!
এই যুক্তিতেই আবার কেউ যদি বলে বসে -কোরআন তো ১৪০০ বছর আগের প্রেক্ষাপটে- এখন তা কি গ্রহণযোগ্য? তাকে কি যুক্তি দেবেন ঐ ভাবুকরা! ভাবনার বিষয়।
আমরা জানি কোরআন চিরন্তন।
তাই এর ঘটনা, বর্ণনা, শিক্ষ সবই চিরন্তন।
তাই সুলাইমান আ: এর মাধ্যমে আমরা ভার্স্কয নির্মানে যদি এগিয়েও যাই নীলাকাশ ভাইর যুক্তি মতে- উনার মতো সাবার রানী বিলকিস কে ১০১ তম বিবি করার কথা ভাবতেও পারবো না। যদিও ইসলামে চার বিয়ে অনুমোদিত- কিন্তু বাস্তবতায় একটি মাত্র বিবি নিয়েই আমরা হিমশিম খাই! তাই বাতুল প্রসংগ কেবলই ঘোরেল উপস্থাপন মাত্র।
লুটপাটের মহোৎসবের কথা আর কি বলবেন? সকল ইস্যুতেই মহাসমারোহে চলছে।
আর সবচে বড় বিষয় হৃদয়ে যদি জায়গা না হয়- ইট পাথরের কি ক্ষমতা আছে চেতনা জাগ্রত রাখার?
কে বাঝোবে কাকে???
৪৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ২:০২
মরুর ধুলি বলেছেন: আলোচনা চলতে থাকুক।
দেখা যাক সত্যের উন্মেষ ঘটে কিনা।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনিও অংশ নিন।
শানিত যুক্তি, তথ্য, উপাত্ত আর ভাবনা নিয়ে
আমিও অপেক্ষায় - - -
৪৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৪:৫৮
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
আমি মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর কোন কথা বা কাজকে অবিশ্বাস করছি না, বা তাঁর অসম্মান হয়, এমন কোন কিছুতেও আমার সমর্থন নেই। কিন্তু তাঁর মুখের বানী অন্যের মুখে যখন প্রকাশিত হবে বা অন্য কেউ যখন তার মুখের কথা বলবেন, তখন সেখানে ভুল হতে পারে। যদিও অনেক পরীক্ষা নিরিক্ষা করে হাদীস যুক্ত করা হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে। কিন্তু এতে কোন ভুল থাকতে পারবে না এটা বিশ্বাস যোগ্য নয়। কারন মানুষ মাত্রই ভুল। এটা মানুষের স্বভাব।
সম্পূর্ণ সহমত। পঞ্চাশ বছর পূর্বের ইতিহাসের কোনটি সত্য কোনটি মিথ্যা তা নিয়েই মানুষ দ্বিধাবিভক্ত - আর মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর ওফাতের কয়েকশত বছর পর তার বাণী কোনোরূপ রূপান্তরিত বা বিচ্যুত না হয়ে অন্যদের মুখে সম্পূর্ণ ত্রুটিবিহীন ভাবেই বর্ণিত হয়েছে এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়।
কিছু কিছু হাদিসের কারণেই বিভক্তি ঘটেছে মুসলিম বিশ্বে, সৃষ্টি হয়েছে অনেক দল-উপদল। তার মানে এক দল আরেকদলের গৃহীত কিছু হাদিস অথবা তার ব্যাখ্যা সঠিক বলে গ্রহণ করছে না। এই হাদিসের অপব্যাখ্যা ও ভুল ব্যাখ্যার কারণেই ধর্মের দোহাই দিয়ে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, প্রতারণা, জুলুম, নারী নির্যাতনের মতো ঘটনাও ঘটছে কিছু ধার্মিকদের হাতেই। যে এই সকল মন্দ কাজে লিপ্ত ব্যক্তিদেরও কিন্তু এই সকল অপকর্মের স্বপক্ষে ব্যাখ্যার অভাব নেই। তার মানে হচ্ছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ ধর্মীয় বিধিবিধান ও হাদীসকে নিজের মতোই কাস্টমাইজ করে ফেলেছে।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম সম্পূর্ণ সহমত।
আমাদের নিজের ইতিহাসের দিকে তাকালেই যে সাধারন সত্যটা বুঝতে পাই, তার আলোকেই বলা যায়
আরবীয় ইতিহাসেও ক্ষমতার প্রভাব অনেক বেশি ম্যানিপুলেট করেছে সত্যকে।
যার জন্য দেখি রাসূল সা: প্রেমি সাহাবাগণ নির্বাসিত জীবন যাপন করেছেন! বা ক্ষমতার বৃত্তের বাইরে সূফি পথে নিজেদের আবৃত করে লুকিয়ে রেখেছেন।
এখন সত্যকে কেউ খুঁজতে চাইলে সেইরকম নির্মোহ দৃষ্টিতেই খুঁজতে হবে- আবেগের উর্ধে, অন্ধ বিশ্বাসের খোলস ভেঙ্গে, প্রচলিত বোধ আর বিশ্বাসের পর্দাকে সতর্কতায়, সচেতনতায় উল্টে পাল্টে, সাথে আধ্যাত্বজ্ঞানের গভীর সাগরে অবগাহনের জ্ঞান, প্রজ্ঞা আর সাহস ও সৌভাগ্য নিয়ে।
৪৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৩৩
ডাব্বা বলেছেন: সমস্যাটি মূলত ভাষার। তাই ভাষাতেই এর সমাধান পাওয়া উচিত।
মূর্তির ইংরেজি স্টাচিউ(statue) এবং statue'র বাংলা মূর্তি।
মূর্তির প্রতিশব্দ বা synonym হচ্ছে ভাস্কর্য, প্রতিমা, শিলারুপ, বিগ্রহ, দেহ, শরীর, ইত্যাদি। যেমন মা এর প্রতিশব্দ মাতা, গর্ভধারিণী, আম্মা, জন্মদায়িনী, জন্মদাত্রী, জননী, ইত্যাদি।
Statue'র synonym(প্রতিশব্দ) sculpture, idol, figure, effigy(কুশপুত্তলিকা), bronze, carving ইত্যাদি। ঠিক যেমন laugh এর synonym হচ্ছে guffaw, smile, grin, roar, LOL(laugh Out Loud), giggle, ইত্যাদি।
এর মানে কি এই দাঁড়ায়না যে মূর্তির প্রতিশব্দ বা synonym হচ্ছে ভাস্কর্য। ভাস্কর্যের প্রতিশব্দ বা synonym হচ্ছে মূর্তি।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার ভাষাগত সমাধানে একমত হলেও আরেকটা প্রসংগ রয়ে যায়।
ভাস্কর্য কোন পূজার উদ্দেশ্যে নির্মিত হয়না, মূর্তির ক্ষেত্রে যা হয়। তার নির্মানই হয় পূজা বা উপাসনার উদ্দেশ্যে।
দুই বাংলার বাঙালীর মতো মৌলিক পার্থক্য তাই রয়েই যায়।
ধন্যবাদ ভাষাতেই সমাধান প্রচেষ্টায়।
শুভেচ্ছা রইল
৫০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:০৭
আমি নই বলেছেন: ভাই আর একবার আসলাম, আপনি অনেকবার সুরা সাবাহ এর আয়াত এর কথা বলতেছেন যেখানে ভাস্কর্য বানানোর কথা স্পষ্ট ভাবেই বলা আছে। আমি একটু কনফিউজড, আমরা জানি প্রতিটা আয়াত নাযিলের পেছনে একট কারন ছিল, আপনি কি এই আয়াতটি নাযিলের পেছনের কারনটি জানেন? জানলে একটু জানান প্লিজ, এমনো তো হতে পারে যে শুধু মাত্র প্রানহীন বস্তুর ভাস্কর্যর অনুমোদনই দেয়া আছে।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভায়া।
খুবই যৌক্তিক প্রশ্নে ধন্যবাদ।
নাযিল হওয়ার সময় কাল-
কোন নির্ভরযোগ্য রেওয়ায়াত থেকে এর নাযিলের সঠিক সময়-কাল জানা যায় না। তবে বর্ণনাধারা থেকে অনুভূত হয়, সেটি ছিল মক্কার মাঝামাঝি যুগ অথবা প্রাথমিক যুগ। যদি মাঝামাঝি যুগ হয়ে থাকে তাহলে সম্ভবত সেটি ছিল তার একেবারে প্রথম দিককার সময়। তখনো পর্যন্ত জুলুম নিপীড়নের তীব্রতা দেখা দেয়নি এবং তখনো কেবলমাত্র ঠাট্টা, তামাশা, বিদ্রূপ , গুজব ছড়ানো এবং মিথ্যা অপবাদ ও প্ররোচনা দেবার মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলনকে দমিত করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছিল।
বিষয়বস্তু ও কেন্দ্রীয় আলোচ্য-
এ সূরায় কাফেরদের এমন সব আপত্তির জবাব দেয়া হয়েছে যা তারা নবী (সা) মের তাওহীদ ও আখেরাতের দাওয়াতের এবং তার নবুওয়াতের বিরুদ্ধে বেশীরভাগ ক্ষেত্রে ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ ও অর্থহীন অপবাদের আকারে পেশ করতো। কোথাও এ আপত্তি গুলো উদ্ধৃত করে তার জবাব দেয়া হয়েছে আবার কোথাও সেগুলো কোন আপত্তির জবাব তা স্বতস্ফূর্তভাবে প্রকাশ হয়ে গেছে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে জবাব গুলো দেয়া হয়েছে বুঝাবার পদ্ধতিতে এবং আলোচনার মাধ্যমে স্বরণ করিয়ে দেবার ও যুক্তিপ্রদর্শনের কায়দায়। কিন্তু কোথাও কোথাও কাফেরদেরকে তাদের হঠকারিতা খারাপ পরিণতির ভয় দেখানো হয়েছে। এ প্রসংগে হযরত দাউদ (আ), হযরত সুলাইমান (আ) ও সাবা জাতির কাহিনী এ উদ্দেশ্যে বর্ণনা করা হয়েছে যে, তোমাদের সামনে ইতিহাসের এ দুটি দৃষ্টান্তই রয়েছে- একদিকে রয়েছে হযরত দাউদ (আ) ও হযরত সুলাইমান (আ)। আল্লাহ তাদেরকে দান করেছিলেন বিপুল শক্তি এবং এমন গৌরব দীপ্ত শান-শওকত, যা ইতিপূর্বে খুব কম লোককে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এসব কিছু পাওয়ার পরও তারা অহংকার ও আত্মম্ভরিতায় লিপ্ত হননি। বরং নিজের রবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার পরিবর্তে তার কৃতজ্ঞ বান্দায় পরিণত হন। অন্য দিকে ছিল সাবা জাতি। যখন আল্লাহ তাদেরকে নিয়ামত দান করলেন, তারা অহমিকায় স্ফীত হয়ে উঠলো এবং শেষে এমনভাবে ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো যে, এখন কেবল তাদের কাহিনীই দুনিয়ার বুকে রয়ে গেছে। এ দুটি দৃষ্টান্ত সামনে রেখে স্বয়ং তোমাদেরকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে যে, তাওহীদ ও আখেরাতে বিশ্বাস এবং নিয়ামতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রবণতার ভিত্তিতে যে জীবন পড়ে ওঠে তা বেশী ভালো, না সেই জীবন বেশী ভালো যা গড়ে ওঠে কুফর ও শিরক এবং আখেরাত অস্বীকার ও বৈষয়িক স্বার্থ পূজার ভিত্তিতে।
৫১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২২
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল,
ব্যস্ত থাকার কারণে ফিরতে দেরি হয়ে গেল।
প্রথমেই আমি শ্রদ্ধেয় ব্লগার ঈশ্বরকণা ভাইকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আমি যেই বিষয়গুলি নিয়ে এসেছি সেটা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা দেবার জন্য। আমি সবার বুঝার জন্য এবার পরিষ্কারভাবে তিনটা পয়েন্ট নিয়ে এসেছি। এবং দাবী মতো শুধুমাত্র কুরআন শরীফের আলোকেই!
আপনি যেহেতু শুধু কুরআন শরীফের আয়াত নিয়ে আলোচনা করতে চাইছেন, নীচের আলোচনা শুধুমাত্র কুরআন শরীফের আয়াত নিয়েই করা হবে।
১। "আমি মেঘ দিয়ে তোমাদের জন্য আরামদায়ক ছায়ার ব্যবস্থা করেছিলাম, তোমাদেরকে উপর থেকে মান্না এবং সালওয়া পাঠিয়েছিলাম—“তোমাদেরকে ভালো এবং পবিত্র যা কিছু খেতে দিয়েছি, সেটা খাও। আর ওরা আমার উপর কোনোই অন্যায় করেনি, বরং ওরা নিজেদের সাথেই অন্যায় করছিল। [সুরা বাকারাহ ৫৭]
মান্না ও সালওয়া নিয়ে মন্তব্য করার সময় আমি হযরত সোলাইমান আলাহিস ওয়াসাল্লাম নাম এনেছিলাম কারণ আপনার লেখায় উনার নাম উল্লেখ আছে। এরা কওমে ইয়াহুদী, এই কওমের মধ্যে শুধুমাত্র এরা দুইজন নবী ছাড়াও আরো অনেক নবী এবং রাসূল এসেছেন। একদম স্পেছিফিকভাবে বললে এরা অবশ্যই হযরত মুসা আলাহিস ওয়াসাল্লাম এর উম্মত। এখন থেকে আমি আপনার কথামতো সেটাই ব্যবহার করবো।
কিন্তু আমার পয়েন্ট’টা কি আপনি ধরতে পেরেছেন?
হযরত মুসা আলাহিস ওয়াসাল্লাম এর উম্মতরা যদি মান্না ও সালওয়া পেয়ে থাকেন, তাহলে এখন কেন আমরা হযরত নবী করীম সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম এর উম্মতরা এইগুলি পাচ্ছি না?
যেহেতু পবিত্র কুরআনের একজায়গায় এইগুলি একজন নবীর উম্মত’কে পাঠানোর কথা বলা হয়েছে, হযরত সোলাইমান আলাহিস ওয়াসাল্লাম’কে নিয়ে অবর্তীন একটা আয়াত যেহেতু আপনি বলছেন সর্বকালে প্রযোজ্য, তাহলে এই মান্না ও সালওয়াও আসাও তো সর্বকালে প্রযোজ্য হবে একই যুক্তিতে।
মান্না ও সালওয়া পৃথিবীর মানুষের কাছে আসা কি বন্ধ হয়নি? পবিত্র কুরআন শরীফে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকার পরেও?
২। একাধিক বিয়ের ব্যাপারটাও আপনি এড়িয়ে গেলেন কেন? হযরত নবী করীম সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম এর উম্মতরা চার বিয়ের বেশি করতে পারে না। কিন্তু পবিত্র কুরআনেই উল্লেখ আছে হযরত সোলাইমান আলাহিস ওয়াসাল্লাম একাধিক বিয়ে করেছিলেন। আপনার কথা মতো কুরআন শরীফে একজায়গা কিছু থাকলে সেটা সর্বত্র একই থাকবে।
এখন তাহলে বলুন উম্মতে মোহাম্মাদীর জন্য আল্লাহ এই ব্যতয় কেন ঘটালেন? আমরা কেন আগের বিভিন্ন নবীদের উম্মতদের মতো শতাধিক বিয়ে করার পারমিশন পাচ্ছি না। করবো কি করবো না সেটা বিবেচ্য নয়।
কেন আল্লাহ উম্মতে মোহাম্মাদীর জন্য এই বিয়ের সংখ্যার পারমিসিবল সংখ্যা পরিবর্তন করেছেন? আপনার যুক্তি মতো সেটা তো হবার কথা না। আপনি তাহলে এটার ব্যাখ্যা দিন।
৩। "আমার প্রেরিত ফেরেশতাগণ সুসংবাদ নিয়ে ইব্রাহীমের কাছে আগমন করল, তখন তারা বলল, আমরা লুতের জনপদের অধিবাসীদেরকে ধ্বংস করব। নিশ্চয় এর অধিবাসীরা অপরাধী।" (২৯:৩১)
হযরত লুত আলাহিস ওয়াসাল্লাম এর উম্মতদের শেষ পরিনতি কি হয়েছিল সেটা নিশ্চয় জানেন।
সমকামিতার অভিযোগে এদের পুরোপুরি ধংশ করে দেয়া হয়েছিল। তাহলে এখন পাশ্চাত্য দেশগুলিতে সমকামিতা উম্মতে লুতের চেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
তাহলে কেন আল্লাহ এদের আসমানী গজব দিয়ে পুরোপুরি ধংশ করে দিচ্ছে না?
আপনার যুক্তিতে যদি কুরআন শরীফের একজায়গায় কোন আয়াত থাকে সেটা সব উম্মতদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
এবার তাহলে বলুন কেন আল্লাহ এখন তার আসমানী শাস্তির প্রয়োগ করছেন না?
আগে যা ঘটেছিল তার সাথে কি এখন যা হচ্ছে তার ব্যতয় ঘটছে না?
অথচ আপনার সুরা সাবা আয়াত এর যুক্তি মতো সেটা হবার কথা না।
আশা করছি এই প্রশ্নগুলি ধর্মীয় আলোকেই উত্তর পাবো আপনার কাছ থেকে।
শুভ কামনা।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শুভ সকাল।
১। আপনি ভুল স্বীকার করলে ছোট হবেন না। বরং কওমে ইহুদী বলে মূসা আ: এর স্থলে সুলাইমান বলেছেন এমন যুক্তি হাস্যাস্পদই হবে। না আমার কথা মতো কেন ব্যবহার করবেন, বরং কোরআনে যে সত্য যেভাবে আছে সেভাবেই বলুন।
হ্যা আপনার প্রশ্নটা বুঝেছি। নিতান্তই বালক সুলভ প্রশ্ন। কারণ কেন বন্ধ হয়েছে তা কিন্তু ঐ সুরাতেই বলা আছে।
তাদের আসমানি খাদ্য জমা করে রাখতে নিষেধ করা হয়েছিল, কিন্তু তারা জমা করে রাখত। আবার একসময় তারা মান্না ও সালওয়ার পরিবর্তে আল্লাহর নিয়ামতের খাবার হ্ওয়া সত্ত্বেও তা একই স্বাদের হ্ওয়ায় তারা একঘেয়ে অনুভব করছিল। এবং পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাকার খাবার দেওয়ার জন্য দাবি জানায়। এতে তারা বিনা পরিশ্রমের আসমানি খাদ্য হারায় ও আল্লাহর শাস্তির উপযোগী হয়।এবং রসনা তৃপ্তির জন্য নেয়ামত ত্যাগ করতে চাইলে আল্লাহ তা বন্ধ করে দেন।
সুতরাং উম্মতে মোহাম্মদী কেন পেলনা -বা পায় না এই টাইপ প্রশ্ন ”অনেক” সীমাবদ্ধতাকে উন্মুক্ত করে দেয় বৈকি!
২।মোটেই এড়িয়ে যাইনি। বরং বলেছি চারটি বিয়ে দূরে থাক - বর্তমানে একটিইতো করতে মানুষ হিমশিম খায়। বাস্তবতাকে অ্স্বীকার করে তো চলা যায় না। আদম আ: এর সময় ভাইবোনের ক্রস বিয়ের বিধান যে জন বৃদ্ধির বাস্তবতায় এখন এক বিয়েও সেই চলমান প্রয়োজনের বাস্তবতারই প্রমাণ । উম্মতে মোহাম্মদীর পারমিসিবল চার সংখ্যাই কি পরম বাস্তব? আপনি কি মানছেন? তবে তো আপনি আপনার মতেই ধর্ম চ্যুত! আপনি কি ইসলামী বিধান বলেই চারটি বিয়ে করবেন?
বরং কোরআনে কিন্তু পরিস্কার বলা আছে -একটি বিয়ের কথাই
” আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।
সুরা নিসা- ৩-৪
কি বলা হয়েছে আর কি বুঝতেছেন ভেবে দেখুন। কত শর্ত, প্রয়োজনের আপেক্ষিকতা আর শেষ মেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত- সব মিলিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। বিয়ে চারটি না একটি। বা কার্যকারণ সূত্র কি!
সুলাইমান আ: এর সময়ের প্রয়োজনে জনসংখ্যা বৃদ্ধির যে বিধান, তা তো অস্থাবর বস্তুর বিধানের জন্য প্রযোজ্য নয়।
আর বিয়ের বিধানের সাথে তো এই ভাস্কর্য বিধান কিভাবে তুল্য? বরং কেবলই মূল টপিক থেকে দূরে সরে যাবারএক লুপ নয়তো?
৩। আল্লাহর বিচার সংক্রান্ত বিধান আর মানুষের যাপিত জীবনের বিধানের মিশিয়ে ফেললেতো সমস্যা। আগে দিনের খোদায়ী শাস্তির যে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা ছিল- তা বন্ধে যে শেষ নবীর আবেদনেই আল্লাহ তা বন্ধ করেছেন। কোরআনে সেই শাস্তি মাফের দোয়াও শিখিয়েছেন - আল্লাহ বান্দাদের দোয়া করতে শিখিয়ে দিয়ে বলেন, ‘পরওয়ারদেগার, আমরা যদি বিস্মৃত হই কিংবা ভুল করে ফেলি, তাহলে তুমি আমাদের পাকড়াও কোরো না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৬)
রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের মনের অবাস্তব কল্পনা-জল্পনা ক্ষমা করে দিয়েছেন যতক্ষণ না তারা তা মুখে বলে দেয় বা বাস্তবে রূপায়িত করে।’ (মুসলিম, হাদিস : ১২৭)
৭. সমূলে ধ্বংস হওয়া থেকে সুরক্ষা : রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমার পালনকর্তা বলেছেন, হে মুহাম্মদ, কোনো বিষয়ে আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তা আর বাতিল হয় না। আপনার উম্মতের ব্যাপারে আমি এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে তাদের আমি দুর্ভিক্ষ দিয়ে ধ্বংস করব না এবং তাদের দুনিয়া থেকে ধ্বংস করে দেয় এমন কোনো বহিরাগত শত্রু চাপিয়ে দেব না।’ (মুসলিম, হাদিস : ২৮৮৯)
আ্ল্লাহ সার্বভৌম ক্ষমতার বিধান আর মানুষের বস্তুগত, যাপিত জীবনের আপেক্ষিক বিধান কে তুলনা কি ভাবনার সীমাবদ্ধতাকেই প্রকাশ করছে না। ভেবে দেখুন।
৫২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০০
ফটিকলাল বলেছেন: অসাধারন পোস্ট
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল
৫৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮
নীল আকাশ বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কা_ভা ভাই এবং ভুয়া মফিজ ভাইঃ
সহী হাদীস চিহ্নিত করা নিয়ে একটা পোস্ট দেয়া হয়েছে। হাদীস নিয়ে আপনাদের প্রশ্নগুলির উত্তর সেখানে দেয়ার চেষ্টা করেছি।
ধন্যবাদ।
***কাবা শরীফের ভিতরে অবস্থিত সকল অবয়বকে মহানবী নিজের উপস্থিতিতেই ভেঙ্গে ফেলেছেন। এটার উপর আরেকটা লেখা আসবে ইনশা আল্লাহ।
ধন্যবাদ।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম
৫৪| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪০
নীল আকাশ বলেছেন: সহী হাদীস চিহ্নিত করা নিয়ে সেই পোস্ট দেখে আসুন এখান থেকেঃ
সর্বশ্রেষ্ঠ নবী এবং রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সহী হাদীস কিভাবে চিহ্নিত করবেন?
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ
৫৫| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৯
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: অনেক বড় পোস্ট। পড়লাম। কুরআন-হাদীসের ব্যাপারে আমার জ্ঞান নিতান্তই সীমিত, বরং বলা যায় একেবারেই নেই। তাই আমি কুরআন-হাদীসের ব্যাখ্যা নিয়ে যুক্তিতর্কে যেতে চাই না। মূর্তি আর ভাস্কর্য নিয়ে আলোচনায় অনেক যুক্তিতর্ক হয়েছে; হয়ত আরও হবে। আমার প্রশ্ন শুধু ভৃগু ভাইয়ের কাছে নয়, সবার কাছে। সেটা হচ্ছে- যেহেতু পোস্টের উদ্দেশ্য হলো এটাই বোঝানো যে ভাস্কর্য তৈরী ইসলামে নিষিদ্ধ বা অননুমোদিত নয়, তাহলে ভৃগু ভাই বলুন তো, কাল যদি বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব নবী করিম হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ভাস্কর্য বানিয়ে কোন চৌরাস্তায় বা অন্য কোন স্থানে রাখা হয় তাতে আপনার অনুমোদন আছে কি না? বা আপনি যেসব মুসলিম দেশের ভাস্কর্যের উদাহরণ টেনেছেন সেসব দেশের ইসলামি স্কলাররা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বা ন্যূনতম কোন সাহাবীর (রাঃ) ভাস্কর্য তৈরীতে অনুমোদন দেবেন কি না?
ব্যস আমার আর কোন প্রশ্ন নেই।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাই খুব সহজ ভাবে ভাবুন-
মানুষের মৌলিক সমস্যা গুলো নিয়ে তাদের নিরবতা, আর এই অপ্রযোজনীয বিষয় নিয়ে তাদের জোশ দেখেই এ ভাবনার অবতারনা। যেখানে এটাকে খুবই লোয়ার লেভেলে রেখে জাতিগত উন্নয়নে, মানবতার উন্নয়নে ভাবার কথা, কোরআনেরও আদেশ যেখানে মানবতার সেবার, উন্নয়নের, সেখানে তাদের অতি ক্ষুদ্র ইস্যুতে অতি জোশ সন্দেহজনক। তা কতটা ঈমানী আর কতটা অন্যকোন পারপাস সার্ভ করার। অলরেডি বলা শুরু হয়েছে যে বলাৎকারের অভিযোগ আড়াল করতেই ভাস্কর্য ইস্যুতে হুহুংকার!
নইলে দেশে মিথ্যাচার, ঘুষ, দূর্নীতি, দারিদ্রতা, অনুন্নয়ন, শিক্ষায় পশ্চাদপদতা এসব নিয়ে এই বিশাল শক্তি অনেক কিছু করার আছে। এবং কোরআনেও তা নির্দেশ দেয়া আছে। অথচ তারা উদাসীন। একসময় কওমী জননী যেমন তাদের ঈমানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে আবার ভাস্কর্যর মতো ক্ষুদ্র ইস্যুতে ঝাপিয়ে পড়ার জোশ্ও তাই ইশারা করে।
না ভাই। যেহেতু মোহাম্মদ সা এর কোন অফিসিয়াল ছবি নেই- এবং উনার তুল্য কোন চেহারা নেই, সেই নূর, সেই তাজাল্লি, সেই বাস্তবতা কোন শিল্প মাধ্যম দিয়েই পূর্ণ থেকে পূর্ণ তর প্রকাশ অসম্ভব, তাই চাইলেও সেটা বানানো অসম্ভব। এবং বাকী সাহাবায়ে কেরামগণের ক্ষেত্রেও ভক্তি দিয়ে তাই মানা হয়।
আর এই প্রবন্ধে মূল বিষয়টাই তুলে ধরতে চেয়েছি- যদি করতেই হয়, তবে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা সহকারে নির্মানের যে অনুমতি আছে- তাতে এটাকে কম গুরুত্ব বিবেচনা পাশে রেখে জাতিগত আসল কাজগুলোতে এগিয়ে যা্ওয়া যায়। জাতিগত বিভক্তি বা মুসলিম বা কাফের ট্যাগিংয়ের মতো চরমপন্থার অবস্থা সৃষ্টি করা অনুচিত। ইসলামে এরচে বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ অপূর্ণ রয়েছে যা করার জন্য এক জীবন যথেষ্ট নয়।
ব্যাস, এই টুকু যদি বুঝে থাকেন আমারো আর কোন কথা নেই
৫৬| ৩০ শে নভেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সুলিখিত পোষ্ট
চমৎকার বিশ্লেষণ।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ মনিরাপু
শুভেচ্ছা শুভকামনা সতত:
৫৭| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৩
ঈশ্বরকণা বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,
আপনার পোস্টটা পুরোটা আর মন্তব্যগুলো সব পড়েছি আপনার মন্তব্য দেখার পর । ইসলামের মৌলিক যে নিয়ম নীতিগুলো সম্পর্কে প্রতিষ্ঠিত সিন্ধান্ত আছে স্কলারদের সে সব বিষয় এই আধুনিক যুগে যৌক্তিক কি অযৌক্তিক সেই ধরণের যুক্তি তর্ক আমি সব সময়ই এড়িয়ে যেতে পছন্দ করি।আমি কোনো আইন মেনে চলতে পারি কি না পারি তার ওপর ভিত্তিতে করেতো আর ইসলামিক আইনকে সমালোচনা করা বা তা ভুল প্রমান করার জন্য যুক্তি দেয়া যায় না ! ইসলামে প্রাণীর মূর্তি বা ভাস্কর্য বানানো যাবে কি না সেটা নিয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত আছে মুসলিম স্কলারদের সব সময়ই । আপনি বিষয়টা প্রগতিশীল যুক্তি দিয়ে ইনভ্যালিড করতে চাইছেন বলেই মনে হলো । আপনার লেখায় কা _ভা-র দ্বিতীয় মন্তব্যটা আগেই দেখেছিলাম কিন্তু তার পরেও ভাবিনি আরেকবার মন্তব্য করার দরকার আছে আমার । কিন্তু আপনার মন্তব্যটা পড়ার পরে মনে হলো আপনার রিকোয়েস্টের পরে একটা মন্তব্য না করাটা অশোভনীয় হয়ে যায় । সেজন্যই এই মন্তব্য I
সবার আগে আপনার মন্তব্যের শেষ দিকে আপনার করা একটা কমেন্টের উত্তর দেই । আপনি আমার আগের মন্তব্যের সূত্র ধরে বলেছেন : ”কমসেন্স আর্গুমেন্ট করে সেটার বাইরে কিছু বলার সুযোগ মনে হয় নেই” তাহলে ইজমা কিয়াস কি বাতিল বলতে চাইছেন?
ম্যারাডোনার এই মৃত্যু সপ্তাহে আপনি ম্যারাডোনার চেয়েও বেশি ডজ দেবার চেষ্টা করেছেন এই মন্তব্য করে মনে হলো । আপনি নিশ্চই জানেন আমি সে রকম কিছু বলার ইঙ্গিতও করিনি আমার মন্তব্যে। ইসলাম নিয়ে আপনি লিখেন মাঝে সাঝেই । আপনারতো জানার কথা ইজমা কিয়াস করার জায়গা ব্লগ হতে পারে না ।সেগুলো করবেন ইসলামিক স্কলাররা । এখানে ভুয়া মফিজের পয়েন্টে বিতর্ক করে কি ইজমা কিয়াসের ফলাফল আশা করতে হবে ? এটা আমার নিজের মন্তব্য । এখান কুরআন থেকে আপনার ব্লগ কিয়াস, ইজমা করার লিমিটেশন সম্পর্কে বলি --সূরা নাহলের ৪৩ আয়াতে আল্লাহ কি বলেছেন আসমানী কিতাবের নিয়ম নীতি নিয়ে কোনো কিছুর সমাধানে ? "---অতএব জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞেস কর, যদি তোমাদের জানা না থাকে "(১৬:৪৩)। সূরা আম্বিয়ার ৭ নং আয়াতেও প্রায় একই কথা আছে তাই না ? মানে যারা দ্বীনের স্কলার তাদের কাছে জানতে চাইতে হবে দ্বীন নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকলে। আমি দ্বীনের স্কলার না তাই আমি সেই বিতর্কেই যেতে চাই না নিজের থেকে কিছু বলে । আপনার সেই জ্ঞান থাকলে ঠিক আছে । কিন্তু ব্লগে সেই দ্বীনের প্রশ্নের ফায়সালা খুঁজলে ভুল হবে I আপনি অনেকটা সেটাই করেছেন বেল মনে হয়েছে আমার সব সময়ই ।
আর স্বীকার করছি আমার মিডিল উইকেট আপনি উপরে ফেলেছেন "যদি আগ্রহী হোন, তবে উল্লেখিত আয়াতের আলোকে, নিয়তের উপর নির্ভর করে সাধারন সৃষ্টি হিসেবে ভার্স্কয করা যায় কিনা তার যৌক্তিক আলাপে স্বাগত। ---- কাফের, মুশরিক, বা মূর্খ বলাতে/শোনানোতে না নিজের উৎকর্ষ না অন্যের।" আপনি এই রকম লেখা লিখেছেন বলে আমি অবাক হয়েছি (বিরক্ত হয়েছি সেটা বললেও ঠিক আছে) কিন্তু আমার লেখার কোনো অংশেই মনে হয় আপনার মন্তব্যের শেষ শব্দগুলো ব্যবহার করিনি। মূর্তি বা ভাস্কর্য সম্পর্কে আমি যা বলেছি সেগুলো ইসলামিক স্কলারদের ব্যাখ্যা থেকেই বলেছি। আপনি সেই বিশ্লেষণ মানবেন কি মানবেন না সেটাও আপনার ব্যাপার আমার জোরাজুরির কোনো ব্যাপার সেখানে নেই। তাই "কাফের, মুশরিক, বা মূর্খ বলাতে/শোনানোতে না নিজের উৎকর্ষ না অন্যের" কথাগুলোর উল্লেখ দেখে অবাক হলাম । এখন আসুন ওয়ান বাই ওয়ান ভুয়া মফিজের পয়েন্ট যেগুলো আপনি আপনার মূল ইস্যু বা আর্গুমেন্ট ভেবেছেন সেগুলো নিয়ে একটু ভেবে দেখা যাক ।
কি বলেছেন যেন ভুয়া মফিজ প্রথম পয়েন্টে ?
১. সূরা সাবার তেরো নং আয়াতের কথা
আমি আমার মন্তব্যেই বলেছি রাসূলুল্লাহর দ্বীনের অনেক নিয়মই আগের নবীদের চেয়ে ভিন্ন।তাদের সময় অনেক নিয়ম ছিল যেগুলো রাসূলুল্লাহর (সাঃ)জন্য প্রযোজ্য নয়। সেটা এই পয়েন্টের উত্তরেই বলেছিলাম।আবার আরেকটা উদাহরণ দেই কুরআন থেকে। কুরআনে সূরা বাকারায় হজরত মুসার উম্মতের জন্য আল্লাহ সপ্তাহের পবিত্র দিন হিসেবে নির্ধারিত শনিবারের কথা বলেছেন,তাই না? সেই দিনে তাদের জন্য আল্লাহর কি নিয়ম ছিল? তাদের সারা দিন ছিল ইবাদতের জন্য অন্য কোনো কাজ সেদিন তাদের জন্য বৈধ ছিল না। হজরত মুসার জামানার কথা ভাবলে তিন/চার হাজার বছর আগে জীবন জীবিকা নির্বাহে মাছ ধরা একটা সাধারণ কাজ হবার কথা তাই না ? কিন্তু দেখুন নিষিদ্ধ সাবাথের শনিবারে নিরীহ মাছ ধরার জন্য জন্য তাদের কি কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হয়েছিল আল্লাহর গজব হিসেবে? সেই ভয়ংকর শাস্তির কথাও সূরা বাকারাতে বলা আছে তাই না? আবার দেখুন সূরা ‘জুমা’য় আল্লাহ ইসলামের পবিত্র দিনে কি নিয়মের কথা বলেছেন? জুমা নামাজের আগে (সারাদিন নয় শুধু) আজান পড়লে ব্যবসা বন্ধ করে নামাজে শরিক হতে। নামাজ শেষ করে আবার দুনিয়াদাড়ির মানে ব্যবসা বাণিজ্যে সামিল হতে তাই না ? তাহলে দেখুন দুই নবী আর তাদের উম্মতের ওপর একই বিষয়ে কত ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম নীতি ! এর ভিত্তিতেই তাই আমি বলেছিলাম হজরত সুলাইমানের (আঃ) সব কাজই রাসূলুল্লাহ আর তার উম্মতের জন্য প্রযোজ্য নাও হতে পারে। খুব সাধাৰণ একটা আর্গুমেন্ট! কিন্তু তবুও আপনি এই আয়াতকে আইন হিসেবে ধরে/ চিন্তা করে অনড় হয়ে রইলেন কেন সেটা আমি কিন্তু বুঝতে পারলাম না। আপনার এই দাবিকে (যেখানে এই আয়াত মুহাম্মদ(সাঃ)-এর উম্মতের জন্য ‘আদেশ’ বলা হয়েছে) গ্রহণযোগ্য প্রমান করতে অবশ্যই দলিল দেয়া দরকার ছিল। সেটা আপনি কিন্তু নিজের লেখায় বা আমার মন্তব্যের উত্তরে দিতে পারেননি। আর সেজন্যই আপনার এ'নিয়ে বলা কথাগুলো তর্ক হয়ে যাচ্ছে যৌক্তিক কোনো আলোচনা নয় (ব্লগ কিয়াস,ইজমার জায়গা নয় )।সেই দলিল আপনার কাছে সম্ভবত নেই কারণ এ’সম্পর্কে ইসলামিক স্কলারদের সিদ্ধান্তগুলো আপনার মতের বিপরীত। কিন্তু আমি কিন্তু আমার কথার পক্ষে কিছু শক্ত যুক্তি দিতে পারবো। আপনি দেখেন আমার কথা আপনার অনড় মনোভাবের চেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হয় কি না ?
হাদিস হলো কুরআনের ব্যাখ্যা।কুরআন যা বলছে সেটা সবার জন্য আরো বোধগম্য করে বলেছে হাদিসগুলো। এখন আপনার কথা অনুযায়ী এই আয়াত যদি রাসূলের (সাঃ)উম্মতের জন্য প্রযোজ্য হয় যেভাবে বলা আছে ঠিক সেভাবেই তাহলে সর্বসম্মতভাবে স্বীকৃত সহি এবং মুতাওয়াতির হাদিসসহ অনেক হাদিস বাতিল ঘোষণা করতে হবে যেগুলো মূর্তি, ভাস্কর্য আঁকার ও বানানোর বিরুদ্ধে আল্লাহর ভয়ানক সাজার কথা বলেছে (আমার মন্তব্যে উলেলখ করা হজরত আয়িশার (রাঃ) বলা হাদিসটাসহ এরকম দশ বারটা সহি হাদিসের দলিল মনে হয় আমি নিজেই দিতে পারবো । মন্তব্য একটা বড় পোস্ট হয়ে যাচ্ছে দেখে সেটা করলাম না) । কারণ এই আয়াতের সাথে সেগুলো সম্পূর্ণ কনফ্লিক্ট করে ইসলামিক জুরিসপ্রুডেন্সের বিরাট একটা অংশকে আপনি অমান্য করবেন যদি আপনি সেটা করেন। তাহলে কি এটা ভাবাই সমীচীন না যে এই আয়াত রাসূলুল্লাহর (সাঃ) উম্মতের জন্য কোনো আদেশ না, এই আয়াতের বিষয় হজরত সুলাইমানের (আঃ) ক্ষেত্রেই শুধু জায়েজ ছিল যেমন সপ্তাহের পবিত্র দিনের নিয়ম নীতি হজরত মুসা (আঃ) আর রাসূলুল্লাহর (সাঃ) উম্মতের জন্য ভিন্ন তেমন হজরত সুলাইমানের জ্বীনের "মূর্তি বা ভাস্কর্য " বানাবার ব্যাপারটা তার জন্যই জায়েজ ছিল অন্য নবী বিশেষ করে রাসূলুল্লাহর (সাঃ) উম্মতের জন্য নয় ।সূরা সাবার আয়াতের ক্লিয়ারেন্সের ব্যাপারটা ক্লিয়ার হলো এখন নাকি এখনো আগের কথাই বলবেন ? বললে কোনো অসুবিধে নেই কিন্তু একটা দলিল দেবেন --আমার সাথে ইজমা, কিয়াসের কথা বলে লাভ নেই ।আমি ইসলামিক কোনো স্কলার নই ।আমি নিজেকে ইসলামের স্টুডেন্ট হিসেবে ভাবতেই পছন্দ করি বেশি ।
এখানে কিন্তু কুরআনের আয়াত হাদিসের চেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য সেই সাধারণ শর্তের কথা বলে হাদিস এড়িয়ে যাবার সুযোগ নেই । কারণ কুরআনেই বলা হচ্ছে "হে ঈমানদারগণ, আল্লাহর আনুগত্য কর ও রাসূলের আনুগত্য কর, আর তোমরা তোমাদের আমলসমুহ ধ্বংস করো না" (৪৭:৩৩)। এখন আপনি বলেন এই যে সহীহ এবং মুত্তাফিকুন আলাই হাদিসটা বললাম যাতে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) স্বয়ং উম্মুল মুমেনীন হজরত আয়িশাকে (রাঃ) দ্বীনের আদেশ বললেন সেটা না মানলে কি রাসূলের (সাঃ)আনুগত্য করা হবে বা আমাদের আমল বৃদ্ধি পাবে ? আরো বলেন (আপনার কথা মতো) এই সব হাদিস আর কুরআনের আয়াত উপেক্ষা করে কুরআনের একটা আয়াতের দলীলহীন একটা ব্যাখ্যা আপনার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য হবে ? ভুয়া মফিজের দ্বিতীয় পয়েন্টে কি যাওয়া যায় এখন আলোচনার জন্য ?
২. কর্মফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল
এই সাধারণ প্রিন্সিপালটাকে আপনি আর ভুয়া মফিজ এতো স্পেসিফিক আলোচনায় পুষ করলেন দেখে অবাক হয়েছি বেজায় । আরেকটু ভাবার দরকার ছিল আপনাদের দুজনের । নিয়তের ওপর কর্মের ফল নির্ভর করবে তাতো বুঝলাম কিন্তু তাই বলে বিষয় সংক্রান্ত নিয়ম নীতিগুলো মানতে হবে না ? সেগুলো না মানলে কি শুধু নিয়তের কথা বললেই কেস ডিসমিস হয়ে যাবে ? তাহলে আপনার ইসলামিক রাষ্ট্রের আইন প্রয়োগ হবে কেমন করে ? ক্রাইম করে সবাইতো সহি নিয়ত ছিল বলবে ? বাংলাদেশের রুই কাতলা চোরদের জন্যতো আপনারা দুজন দরজা খুলে দিলেন দুর্নীতি আর ক্রাইমের !!অবাক করলেন আপনারা দুজন সিনিয়র ব্লগার । একটা উদাহরণ দেই I দেখুন, এই স্পেসিফিক কনটেক্সটে আপনি আর ভুয়া মফিজ কর্মের ফল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল সেই নিয়ম মানতে পারেন কি না ?? ধরেন আপনার এই পোস্ট পড়ে কোনো সহৃদয় চোর লক ভেঙে ঢুকে পড়লো ভুয়া মফিজের বাড়িতে । চিড়িয়াখানায় ঘুরে বেরিয়ে দিন কাটানো ভুয়া মফিজের বাড়ির টাকা পয়সা, ভাবীর গয়নাগাটি সব উধাও । চোরের সৎ নিয়ত আপনার ভাস্কর্য প্রজেক্টে সেই টাকা দিয়ে বাংলাদেশকে চেতনার রঙে রঙিন করা । নিয়ত খাস বুঝতেই পারছেন এখন কি ভুয়া মফিজ তার নিয়তের কথা শুনেই তাকে মহৎ ভেবে ছেড়ে দেবে না প্যাদানি দেবে ? পুলিশ ডাকলেই কিন্তু দুইনং পয়েন্ট আলোচনা বোধগম্য কারণেই বাতিল ! (বিদ্রোহী ভৃগু সেটা করেবন না । বছর খানেক আগে থেকেই ভুয়া মফিজ সামিনা, সামিহা বা শামছুন নামের কিছু মেয়ের কারণে দাম্পত্য সমস্যায় আছেন এখন ভাবি যদি মনে করেন এই ত্রিরত্নের কাউকে গয়নাগাটি দেবার জন্য ভুয়া এই চৌর্যবৃত্তির আয়োজন করেছে তাহলে বছর খানেকের পুরোনো সেই পারিবারিক কলহ আবার ভিসুভিয়াসের মতোই জ্বলে উঠতে পারে ! ) এখন কি হলো তাহলে আপনার সেকেন্ড পয়েন্টের ? সেটার ভ্যালিডিটি আলোচনার দরকার আছে আর ? তাই কর্মের ফল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল একটা সাধাৰণ প্রিন্সিপাল হলেও আইন কানুন মানতেই হবে নইলে ভুয়া মফিজ যেমন সৎ নিয়তের মাথা খেয়ে চোরকে প্যাদানি দিতে চাইবে সে’রকম মূর্তি বা ভাস্কর্য বানিয়েও তেমন আল্লাহর কাছ থেকে প্যাদানিই খেতে হবে সৎ নিয়ত দিয়ে পিঠের প্যাড বানালেও বাঁচা যাবে না। এতো গেলো দিন দুনিয়ার ঘটনার কথা । আপনার এই পয়েন্টের ইনভ্যালিডিটি কি কুরআনের আর হাদিসের কোনো ঘটনা দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাবে ? আশ্চর্যের ব্যাপার কি জানেন সেটাও কিন্তু যাবে ।
সূরা বাকারার ১৭৮ নং আয়াতটা 'দিয়া' বা নিহতের ক্ষতি পূরণ বা রক্তপণ সুম্পর্কে একটা আয়াত । এটা নাজিল হয়েছিল উহুদের যুদ্ধে যখন জেতার মুখে মুসলিম বাহিনী উপত্যাকার পাহারা ছেড়ে মক্কা বাহিনীকে আক্রমণে ব্যস্ত তখনকার ঘটনা নিয়ে । খালিদ বিন ওয়ালিদ সেই ফাক দেখে পেছন থেকে মুসলিম বাহিনীকে আক্রমণ করায় মুসলিম বাহিনী কিছুটা সময়ের জন্য হতবাক হয়ে যায় ।এই সময়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আহত হন । তাকে রক্ষায় মুসলিম বাহিনী মরিয়া হয়ে লড়ছে । সারা শরীরে সত্তুরটা আঘাতের চিহ্ন নিয়ে পাহাড়ের মতো রাসূলের সামনে দাঁড়িয়ে তালহা (রাঃ), রক্তাক্ত হজরত আলী (রাঃ), আবুবকর (রাঃ), উসমান (রাঃ) সবাই জীবন দিয়ে হলেও রাসূলুল্লাহকে (সাঃ) বাঁচানোর যুদ্ধে রত । ধুলার মেঘে ঢেকে গেছে রাসূলুল্লাহকে (সাঃ) ঘিরে রাখা অল্প একটু জায়গা। সেই ধুলির মধ্যে একজন অশ্বারোহীকে রাসূলের (সাঃ) দিকে এগুতে দেখে কিছু সাহাবী অশ্বারোহীকে রাসূলকে হত্যার ইচ্ছায় এগুতে থাকা মক্কার কেউ ভেবে আক্রমণ করে । হুজাইফা ইবনে ইয়ামান (রাঃ) চিৎকার করতে থাকেন সেটা দেখে যে সেই অশ্বারোহী তার বাবা । কিন্তু সেই ধুলাবালি আর হট্টগোলে সেই কথা কারো কানে না যাওয়ায় হজরত হুজাইফার পিতা নিজে মুসলিম বাহিনীর সদস্য হয়েও নিহত হন সাহাবীদের হাতেই। হত্যার অভিযুক্ত কারো নিয়তই খারাপ ছিল না । সবাই রাসূলকে বাঁচানোর যুদ্ধে নিজের প্রাণ বাজি রেখে লড়ছিলেন তখন । রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যুদ্ধের পরে এই অনিচ্ছাকৃত হত্যার কথা শুনেও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলেন । কারণ নিরপরাধ কোনো মুসলিমকে হত্যার শাস্তির বিধান হত্যাকারীর প্রাণহরণ। সেটা খোদায়ী বিধান। তার কিছু করার নেই । রাসূল (সাঃ) যখন পেরেশান ব্যাপারটা নিয়ে সেই সময় ওহী এলো "হে ঈমানদারগন! তোমাদের প্রতি নিহতদের ব্যাপারে কেসাস গ্রহণ করা বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তি স্বাধীন ব্যক্তির বদলায়, দাস দাসের বদলায় এবং নারী নারীর বদলায়। অতঃপর তার ভাইয়ের তরফ থেকে যদি কাউকে কিছুটা মাফ করে দেয়া হয়, তবে প্রচলিত নিয়মের অনুসরণ করবে এবং ভালভাবে তাকে তা প্রদান করতে হবে। এটা তোমাদের পালনকর্তার তরফ থেকে সহজ এবং বিশেষ অনুগ্রহ। এরপরও যে ব্যাক্তি বাড়াবাড়ি করে, তার জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব”(২:১৭৮)।এই আইনেই ফায়সালা হলো সেই হত্যাকাণ্ডের। অভিযুক্ত দরিদ্র সাহাবীদের জন্যও শাস্তির ‘দিয়া’বা রক্তপণ ধার্য করা হলো। হজরত হুজাইফা সবাইকে মাফ করে দিলেন রক্তপণ দেবার কষ্ট থেকে।তাহলে কুরআন আর হাদিসের মিলিত এই ঘটনা থেকে কি বোঝা গেলো? আইনের বাইরে গেলে কর্মের ফল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল বলে সাধারন নিয়ম আর কার্যকর থাকে না। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাই ধর্মীয় আইনে বলে। তাহলে যেখানে সহি হাদিসে প্রাণীর মূর্তি বা ভাস্কর্যের জন্য চরম শাস্তির বিধান ঘোষণা করা হয়েছে সেখানেও কর্মেরফল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল এই সব মাম্বোজাম্বো বলে ভাস্কর্য হালাল বলে প্রগতিশীল সাজবার কোনো সুযোগ আছে ? বলার সুযোগ কি আর থাকে ? বিদ্রোহী ভৃগু, বিদ্রোহ না করে ঠান্ডা মাথায় বলেন ? ভুয়া মফিজের সাথে আলোচনা করেই বলেন সেটাও ঠিক আছে ।
৩. ভুয়া মফিজের তিন আর চার নং পয়েন্ট
এই দুই পয়েন্টের মূল বক্তব্য একই তাই একসাথেই আলোচনা করি ঠিক আছে ? আপনাদের ইস্যুগুলোর গভীরতা দেখে কিন্তু আমি হতাশ। এই ব্যাপারগুলো অনেক আগেই ইসলামিক স্কলাররা (আমাদের হেঁজিপেঁজি মোল্লারা না কিন্তু যাদের দিনরাত শাপান্ত করা হয় ব্লগে ) সমাধান করেছেন । রাসূল (সাঃ) তার নবুওতের তেইশ বছরে আল্লাহর অনেক আদেশ নির্দেশনা, মুলিমদের করণীয় বর্জনীয়ের কথা সাহাবীদের বলেছেন।কিছু আদেশ নিদেশ, করণীয় বর্জনীয়ের কথা কুরআনের ওহীর মাধ্যমেই জানিয়েছেন।আবার কিছু আদেশ নিষেধ,করণীয় বর্জনীয়ের কথা হাদিসে কুদসীর মধ্যে দিয়ে জানিয়েছেন । মূল কথা হলো তেইশ বছরের বড় একটা সময়ে এসব জানিয়েছেন ।এক দিনে নয় কিন্তু । তাহলে এমন কি হতে পারে কিছু আগে বলা হাদিসের আদেশ নিষেধ বা প্ৰয়োজনীয়তা আর শেষের দিকে কার্যকর ছিল না ? এখন সেই সব হাদীসকে যদি এখন কেও কার্যকর বলে দাবি করে আর সেটার ওপর আমল করতে চায় তাহলে কেমন হবে ? বিদ্রোহী ভৃগু, হজরত আয়িশার (রাঃ) ঘরে ঘোড়ার ছোট মূর্তি রাখা ছিল, কয়েকটি পুতুল ছিল বলে হাদিসে স্পষ্ট উল্লেখ পাওয়া যায় বলে আপনারা যেই ইস্যুকে আঁকড়ে ধরতে চাইছেন সেগুলো তেমনি অকার্যকর কিছু বিষয় যা পরবর্তীতে পরিবর্তিত হয়েছিল নতুন নির্দেশনার ভিত্তিতে ।
বিদ্রোহী ভৃগু, হজরত আয়িশার (রাঃ) ঘরে ঘোড়ার ছোট মূর্তি রাখা ছিল, কয়েকটি পুতুল ছিল বলে হাদিসে স্পষ্ট উল্লেখ পাওয়া যায় বলে যে পয়েন্টার ওপর আপনি আপনার মূর্তি বা ভাস্কর্যের পক্ষের আর্গুমেন্টকে ভিত্তিদিতে চাইছেন সেটা নানা ভাবে ইসলামিক স্কলাররা ব্যাখ্যা করেছেন । আমি মনে হয় প্রায় দশজন ক্লাসিক আর কনটেম্পোরারি স্কলারের ব্যাখ্যা দেখলাম এ'ব্যাপারে যারা বলেছেন ওই পুতুলের ব্যাপারগুলো সে সময় জায়েজ ছিল কিন্তু এখন নেই । কিন্তু এই নিয়ে আমি একজন মাত্র স্কলারের ফতোয়াই সংক্ষেপে বলি লেখা বিস্ময়কর রকমের বড় হয়ে গেলো বলে। উনি হলেন সৌদি আরবের (আপনার লেখার প্রচুর সৌদি ভাস্কর্যের ফটোর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণও হলো তাহলে !) সাবেক প্রধান মুফতী শায়খ আবদুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায I এ নিয়ে ফতোয়ায় আব্দুল্লাহ বিন বায বলেছেন, “খেলনা-পুতুল থেকে বিরত থাকাই সর্বাধিক নিরাপদ। কেননা এখানে দু’টি সন্দেহযুক্ত বিষয় রয়েছে। (১) আয়েশার অনুমতি দেওয়ার ঘটনাটি ছবিমূর্তি নিষিদ্ধ হওয়ার এবং এগুলিকে নিশ্চিহ্ন করার সাধারণ নির্দেশের পূর্বের ঘটনা (২) অথবা এটি নিষেধাজ্ঞা বহির্ভূত একটি খাছ বিষয়। কেননা পুতুল খেলা এক ধরনের হীনকর কাজ। দু’টিকেই দু’দল বিদ্বান সমর্থন করেছেন। সেকারণ সন্দেহ থেকে বাঁচার জন্য এগুলি থেকে বিরত থাকাই উত্তম। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, ‘তুমি সন্দিগ্ধ বিষয় পরিত্যাগ করে নিঃসন্দেহ বিষয়ের দিকে ধাবিত হও’। তিনি আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি সন্দিগ্ধ বিষয়ে পতিত হ’ল, সে ব্যক্তি হারামে পতিত হ’ল’।
এই ফতোয়াটার মধ্যে দিয়ে কিন্তু কেন হজরত আয়িশার ঘরে পুতুল বা প্রাণীর ছোট মূর্তি ছিল সেটা বোঝা গেলো । তেইশ বছরের নবুয়তের জীবনে রাসূলের (সাঃ) কাছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন আদেশ নিষেধের নির্দেশনা এসেছিল আগেই বললাম । এখন দেখি কেন এই ফতোয়াটা গ্রহণযোগ্য । উম্মুল মুমেনিন হজরত আয়িশা (রাঃ) খুব অল্প বয়সে রাসূলের সহধর্মিনী হয়েছিলেন । বিভিন্ন মত অনুযায়ী তার বয়স তখন তেরো থেকে সতেরো /আঠারো বছর । তার রাসূলের সংসারে আসার শুরুর দিকে মাত্র হিজরত হয়েছে । সে সময় কিন্তু মূর্তি বা ভাস্কর্যের ব্যাপারে কঠিন কোনো নির্দেশনা আসেনি । রাসূল মদিনায় আসার সাত বছর পর হিজরী ৬৩০ সালে মক্কা বিজয় করেন । মক্কা বিজয়ের দিনই রাসূলুল্লাহ (সাঃ)কাবা ঘরের সব মূর্তি ভাঙার আদেশ দেন । তাহলে আমরা ধরে নিতে পারি মূর্তি ভাঙার আদেশগুলো সে সময়েরই । বিদ্রোহী ভৃগু যেমন বলেছেন, হোদায়বিয়ার সন্ধির পরেও কিন্তু মুসলিমরা হজ্বে গেছে মক্কায় কিন্তু রাসূল তাদের মূর্তি ভাঙা নিয়ে কিছু বলেননি । তাই সেই ধরে নেওয়াটা অস্বাভাবিক হবে না হয়তো । এখন আমার আগের মন্তব্যের হজরত আয়িশার (রাঃ) বলা (যেটা নীল আকাশও কালকের একটা লেখায় বলেছে) তাবুকের যুদ্ধের থেকে এসে রাসূলুল্লাহর (সাঃ) প্রানীর ছবি দেখে পর্দা ছিড়ে ফেলার যে হাদিসটা যেখানে প্রাণীর মূর্তি আঁকা সম্পর্কে কঠিন শাস্তির কথা বলা হয়েছে সেটা কখনকার ? আমরা কি জানি সেই হাদিসের সময় কাল ? হ্যা, জানি আর সেটা বিস্ময়করভাবে মক্কা বিজয়ের বছরেরই শেষের দিকের । তাবুকের যুদ্ধ হয়েছিল হিজরী ৬৩০ সালের অক্টবর মাসে । তাহলে সময়টাও কিন্তু মিলে গেলো । মদিনায় হিজরত করে আসার পর পর হজরত আয়িশার (রাঃ)পুতুল বা ঘোড়ার মূর্তি রাখাটা তাহলে ইমাম বাযের ফতোয়া বা ব্যাখ্যার মতোই “ছবিমূর্তি নিষিদ্ধ হওয়ার এবং এগুলিকে নিশ্চিহ্ন করার সাধারণ নির্দেশের পূর্বের ঘটনা “ হওয়াই বেশি সম্ভব I কিন্তু মূর্তি বা ভাস্কর্য আঁকা বা বানানো নিষিদ্ধ করার আইন আসে অনেক পরে মক্কা বিজয়ের সময়কালীন সময়ে । তাই সেই সময়ে রাসূলুল্লাহ (সাঃ)প্রাণীর আঁকা ছবি দেখে রাগ করে ছিড়ে ফেলেছিলেন আর সেই প্রসঙ্গেই এগুলো আকার বিষয়ে আল্লাহর শাস্তির কথা বলেছেন I স্বাভাবিক, খুবই স্বাভাবিক ঘটনা, কি বলেন বিদ্রোহী ভৃগু ? যেহেতু আল্লাহর সে বিধান অন্য কোনো আইনে রোহিত হয়নি তাই সেটাই এখনো কার্যকর থাকারই কথা ।
বিদ্রোহী ভৃগু, আপনার চারটা পয়েন্টের আলোচনার এই উত্তর আমার কাছে আছে । ইসলামিক স্কলারদের এই আর্গুমেন্টগুলোই আমি মনে করি মূর্তি বা ভাস্কর্য বিষয়ের আলোচনায় সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্যও। আমার আর কোনো বক্তব্য নেই এই ব্যাপারে । আপনি কোরানের আয়াতের ব্যাখ্যা, হাদিসের ব্যাখ্যা আর ইসলামিক স্কলারদের ফতোয়া আমি যা বললাম সেগুলো এক্সসেপ্ট করতেও পারেন নাও পারেন সেটা নিয়েও আমার কোনো বক্তব্য নেই । জ্ঞান গোপন করা হারাম । আমি যেটুকু ইসলামিক স্কলারদের আলোচনা থেকে জানি সেটা সবার সাথে শেয়ার করলাম যাতে জ্ঞান গোপনের দায়ে আল্লাহর কাছে অভিযুক্ত না হয়ে যাই সেই নিয়ত থেকে ।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার সুবিশাল মন্তব্যের জন্য প্রথমেই ধন্যবাদ।
ম্যারাডোনার ডজ বলে যে যুক্তি দেখিয়েছে- তাতে সকাল সকালই বেশ হেসে নিলাম।
ব্লগতো একটা মাধ্যম। আগে পাথরে লিখতো, গাছের বাকলে, প্যপারিসাে লিখতো, এখণ ব্লগে লিখে!
মাধ্যমের কোন দোষ নাই। অনুসন্ধানের জিগিষা আর গ্রহণ বর্জন এবং জাগ্রত চেতনার উপর সব নির্ভর করে।
অত জিলাপীর প্যাচে লাভ কি ভায়া? সহজ কথায় বলুন- েকারআনের আয়াত টা কি সঠিক? আয়াতটা আছে তো?
আর আয়াতের অনুবাদে যা বলা হয়েছে তা ঠীক তো?
ব্যাস। তাই যথেষ্ট!
মানা না মানা আপনার বিষয়।
আর বোঝার বিষয়টি আপেক্ষিক বটে। জ্ঞান, প্রজ্ঞা, অবস্থান অনুযায়ী ভিন্নতর হতেই পারে। যা সেই জ্ঞানী বা উলিল আমরদের কাছে গেলে সমাধান মিলে।
ছেলে মানুষী গল্পতো আর শক্তিশালী যুক্তি নয়।
কর্মফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল- এটাও কিন্তু সেই নবীরই বাণী। যে নবীর অন্য আরেক বাণীর শক্তিশালী দোহাই দিয়ে আলোচনায় বিরোধী পক্ষ হয়ে দাড়িয়ে আছেন।
আর ইনসিডেন্ট আর একসিডেন্টকে তো উদাহরণ করা যাবে না। সেটা দিয়ে এই হাদীসের জাস্টিফিকেশন করা যাবে না।
দূর্ঘটনার সাথে নিয়তের কি দায়?
কিন্তু ভাস্কর্যর আলোচনায় নিয়ত গুরুত্বপূর্ন। কোরআনের নিষেধ মূর্তি পূজা করায়। আপনি মুসলমান হয়ে তা কণোই করতে পারেন না। কিন্তু ভাস্কর্য কখনো্ই পূজার নিয়তে বানানো হয়নি। এই সহজ সরল সত্যটা বুঝতে তো ভঅই মুফতি হওয়া লাগে ।
না।
ঐ যে নজরুল শত বৎসর আগে বলে গেছেন- মানুষ এনেছে গ্রন্থ কিতাব, গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন!
মানুষৈর প্রয়োজনেই বিধান আল্লাহ নিজেই পাল্টেছেন লাখো লাখো বার, লাখ লাখ নবীর মাধ্যমে
আর সেই আল্লাহর দোহাই দিয়ে বলতে চাইছেন- সব অপরিবর্তনীয়! তাইতো আজ মুসলিম জাতি হাজার বছরের পিছিয়ে।
মূর্তি পূজার অনুবাদে আপনি যদি আক্ষরিক না নিয়ে যেহেতু কোরআনের নাযিল অনুপাতে এবং আরবী ভাষার বৈচিত্রে একটা শব্দের বহু অর্থ থাকে , বাংলাতেও আছে (হরিকে দেখিলে হরি...কত্থন।) অনুভবের গভীরে গিয়ে বস্তুবাদে অনুবব করে দেখুনতো।
বস্তুবাদের মোহাবিষ্টতার বিরুদ্ধে কি দারুন শক্তিশালী উচ্চারন। শুধু সম-সাময়িকতায় নয় চিরকালীন পূজিবাদ আর বস্তুবাদের বিরুদ্ধে মানবতাবাদের কি বলিষ্ট আহবান। দেখবেন কোরআনের সত্যতা, বৈচিত্র আর গভীরতায় বুদ হয়ে থাকবেন।
শুকরিয়া, আপনার শেয়ারের জন্য । আল্লাহ আপনাকে দায়মুক্ত করুন। ক্ষমা ও মুক্তি দান করুন।
৫৮| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: #ঈশ্বরকণা অসাধারণ মন্তব্য। জাজাকাল্লাহ খাইরান।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিজের মতামত্ও কিছু বলতে মানা নাই কিন্তু কবি
আমাদের জন্যও দোয়া কইরেন
৫৯| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৬
নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল ভাই,
আপমি ৫১. নাম্বার মন্তব্যতে পবিত্র কুরআন শরীফের চারটা বিষয় নিয়ে যা লিখেছি তার প্রতি উত্তরে আপনি যা লিখেছেন তার অর্থ হচ্ছে প্রতিটা জিনিস পরে পরিবর্তিত হয়েছে। আমি এটা জানতে চেয়েছি।
আমার সবগুলি মন্তব্যের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় এটাই। আগের আয়াত পরে আল্লাহ পরিবর্তন করেছেন।
কোন একটা আয়াতে যা আছে সেটা সব জায়গা বা সব উম্মতদের জন্য প্রযোজ্য নয়, কারণে সেটা পরে পরিবর্তিত হতে পারে, সেটা আপনি নিজেই স্বীকার করেছেন।
আর ঠিক তাই সুরা সাবা এক আয়াত নিয়ে আপনি সে একক সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সেটাও পরিবর্তিত হয়েছে।
আমার এই বিষয় নিয়ে আর কিছু বলার নেই।
শ্রদ্ধেয় ব্লগার ঈশ্বরকণা যা যা বলেছেন এর পর এই বিষয় নিয়ে আর কিছু বলার কথাও না।
ধন্যবাদ এবং শুভ কামনা।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আ্ল্লাহ সার্বভৌম ক্ষমতার বিধান আর মানুষের বস্তুগত, যাপিত জীবনের আপেক্ষিক বিধান কে তুলনা কি ভাবনার সীমাবদ্ধতাকেই প্রকাশ করছে না। ভেবে দেখুন।
আপনি ভুল স্বীকার করলে ছোট হবেন না। বরং কওমে ইহুদী বলে মূসা আ: এর স্থলে সুলাইমান বলেছেন এমন যুক্তি হাস্যাস্পদই হবে। না আমার কথা মতো কেন ব্যবহার করবেন, বরং কোরআনে যে সত্য যেভাবে আছে সেভাবেই বলুন।
হ্যা আপনার প্রশ্নটা বুঝেছি। নিতান্তই বালক সুলভ প্রশ্ন। কারণ কেন বন্ধ হয়েছে তা কিন্তু ঐ সুরাতেই বলা আছে।
তাদের আসমানি খাদ্য জমা করে রাখতে নিষেধ করা হয়েছিল, কিন্তু তারা জমা করে রাখত। আবার একসময় তারা মান্না ও সালওয়ার পরিবর্তে আল্লাহর নিয়ামতের খাবার হ্ওয়া সত্ত্বেও তা একই স্বাদের হ্ওয়ায় তারা একঘেয়ে অনুভব করছিল। এবং পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাকার খাবার দেওয়ার জন্য দাবি জানায়। এতে তারা বিনা পরিশ্রমের আসমানি খাদ্য হারায় ও আল্লাহর শাস্তির উপযোগী হয়।এবং রসনা তৃপ্তির জন্য নেয়ামত ত্যাগ করতে চাইলে আল্লাহ তা বন্ধ করে দেন।
সুতরাং উম্মতে মোহাম্মদী কেন পেলনা -বা পায় না এই টাইপ প্রশ্ন ”অনেক” সীমাবদ্ধতাকে উন্মুক্ত করে দেয় বৈকি!
আপনার প্রশ্ন আর আমার উত্তরে মৌলিক বিষয় এবং ভুলগুলোকে স্বীকার না করে পাশ কাটিয়ে - ”পরে পরিবর্তন হয়েছে” তত্ত্বের সহজ সরলীকরণে আপনি সন্তুষ্ট হলে স্বাগত । কিছু বলার নেই।
ভাল থাকুন।
৬০| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩১
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি ইসলাম ধর্ম বিষয়ক একটা লেখা দিয়েছেন কিন্তু সর্ম্পূণ লেখার ভিতরে আপনার বক্তব্যের সমর্থনে একটা ফতোয়াও এনে দিতে পারেন নি যেটা নিয়ে আলোচনা করা যেত। পুরোটাই আপনার লেখা, আপনার চিন্তাভাবনা।
এই বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত আছে মুসলিম স্কলারদের। আপনার যদি এই ফতোয়াগুলি এখানে নিয়ে এসে আলোচনা করতেন তাহলে আরো ফলপ্রসু আলোচনা হতো।
ধন্যবাদ।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি থাকেন ফতোয়া নিয়ে ভায়া
আমি সরাসরি কোরআনের আয়াত দিয়েছি? বলুন সেটা কোরআনে আছে কি নাই?
থাকলে তার অর্থ কি ঠিকাছে? না নাই?
ব্যাস। কিসসা খতম।
আরেক মন্তব্যে দেখুন শানে নুযুল আর তাফসিরও দেয়া আছে।
এখন দেশের মৌলিক সমস্যার কথা বাদই দিলাম- কারণ হুজুররা জন্মের আগে আর মরণের পরের জগত নিয়ে থাকে।
এই পৃথিবীতে কিভাবে চলবে, তার কথা আলোচনা নাই, অথচ ইসলাম পুরোটাই পূর্নতায় ভরপুর।
কোন দুর্যোগে,তারা এগিয়ে আসে না, অথচ হক্কুল ইবাদের কথা বারবার বলা, আসছে শীতে তারা শীতনিদ্রায়তেই থাকবে! দরিদ্র শীতার্থ মানুষের ভাবনা না ভেবে- তো তাদেরতো আমার আলেম বলতেও আপত্তি আছে। স্বলার বা অন্র বিশেষন তো বহুত দূর! কারণ কোরআনের অতি ক্ষুদ্র সুরা মাউনের অনুসারেই তারা বেদ্বীন!
যাকগে। ভাল থাকুন।
ল্বাকুম দ্বীনুকুম ওয়ালিয়া দ্বীন।
আস সালাম।
৬১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,
পরিশ্রমী লেখা এবং যৌক্তিক। পোস্টের আলোচনাও মার্জিত এবং জানা ও বোঝার মতো । আমি সেদিকে যাচ্ছিনে কিন্তু এই পোস্টটি যে ইস্যুতে লেখা হয়েছে সে সম্পর্কে একটা বিষয়েই বলতে চাই -
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করায় তাৎক্ষনিক ভাবে দেশের এখান ওখান থেকে অনেককেই আইনের আওতায় আনা হয়েছে। কোনও ছাড় দেয়া হয়নি। দুটি উদাহরণ দিচ্ছি -
১ ) ২০১৬ সালে দক্ষিণ চট্টগ্রামের মাধ্যমিক স্কুলের হাফ-ইয়ারলি পরীক্ষার জন্য তৈরি একটি প্রশ্নপত্রে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবকে স্থানীয় একজন বিএনপি নেতার সাথে তুলনা করা হয়েছে বলে ১৩ জন শিক্ষকের বিরূদ্ধে অভিযোগ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে পুলিশ ঐ ১৩ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহের মামলা দায়ের করে।
অভিযুক্ত শিক্ষকরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে, আদালত তা খারিজ করে তাদের জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়।
২ ) আবার অতি সম্প্রতি ( সেপ্টেম্বর '২০) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এসব তো নিভৃতে করা ছোট পরিসরে অবমাননা। তা হলে প্রকাশ্যে, হুংকারের সাথে যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করছেন , তাঁর ভাস্কর্য টেনে হিচড়ে নামাবেন বলেছেন তাদের বিরূদ্ধে রাষ্ট্রযন্ত্র সোচ্চার নয় কেন ? যে রাষ্ট্রযন্ত্রের সোচ্চার হবার কথা তারা তা না হয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় নিয়োজিত দলটির অঙ্গ-সংগঠনগুলোকে কেন প্রতিবাদ করতে দেশ জুড়ে রাস্তায় নামতে হচ্ছে প্রতিদিন ??????? উপরের উদাহরণের অভিযুক্তরা শক্তিহীন বলেই কি তাদের উপর আইনের খড়গ নেমে এসেছে ? আর এ বিষয়ে সুস্পষ্ট আইন থাকতেও এতোগুলো ছাত্র-যুব দলগুলো চিল্লিয়েও হেফাজতের লোক ক'জনকে এখনও কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারছেনা কেন ????
"দাল মে কুছ কালা হ্যায়" কিন্তু কোথায় ?????
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: "দাল মে কুছ কালা হ্যায়" কুছ না ভায়া বহুত কালা!
সেই ৫ মে। শাপলা চত্ত্বর। নারী নেতৃত্ব হারাম। তেতুল তত্ত্ব। রাতের ব্লাক আউট! তারপরই ৩৬০ ডিগ্রি ইউটার্ন!
অসাম্প্রদায়িক অভিহিত আওয়ামীলীগেরো!!
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ক্বওমী মা জননী উপাধি!
আম দুধের সূখ হারিয়ে গেল- তাদের নেতার মৃত্যুর পরই!
তারমাঝে দেশ জুড়ে মাদ্রাসা মসজিদে বলাৎকার আর ধর্ষনের খবরের বন্যা! আবার সরকারের জন্য সব অশুভ খবরের তথ্য প্রমাণে সয়লাব মিডিয়া । লুটপাট, খুন, ধর্ষন সহ হেন অপরাধ নেই যা করছে না। সেই সব অপরাধের বানের জলের মতো সব ভাসিয়ে নেয়া অবস্থায় ত্রিশংকু হাল - অতপর: ঈমানী জোশে - ঘুষ, দুর্নীতি, মিথ্যা, মোনাফেকী, সব বুক পকেটে ঢুকিয়ে ধর মার কাট প্রতিক্রিয়া
আবার আপনার পয়েন্টতো বিশাল ভাবনার বিষয়।
পান থেকে চুন খসলে যেখানে সাত হাত মাটি খুড়ে ধরে আনে - সেখানে রেসলারদের মতো
বিষয়টা সাজানো কিনা ভাবা যেতেই পারে
৬২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: @ইশ্বরকণাঃ আপনারা যারা ইসলামী বিষয়গুলোতে সুগভীর জ্ঞান রাখেন, তারা আরবীর বাংলা প্রতিশব্দগুলো ব্যবহার করলে আমাদের মতো কম জানাদের সুবিধা হয়, যেমন ইজমা-কিয়াস। এর মানে আমি জানি না। জানার জন্য আমাকে গুগল ঘাটতে হবে। কেন? বাংলা শব্দ ব্যবহার করতে সমস্যা কোথায়? আপনার ব্লগবাড়ি ভিজিট করে আর আমার কিছু পুরানো পোষ্টের থেকে উল্লেখ দেখে অনুমান করছি, আপনি আমার খুব পরিচিত একজন ব্লগারের মাল্টি (মাল্টি দোষের কিছু না )। সেক্ষেত্রে আপনার জানার কথা, আমি দেশে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ালেখা করেছি প্রধানতঃ। দীর্ঘ সময় ধরে ইংল্যান্ডে থাকি। এখন আমি যদি আমার লেখায় প্রচুর ইংলিশ ব্যবহার করি, সেটা কি ভালো দেখায়? ভেবে দেখতে অনুরোধ করছি।
আমার করা ২নং পয়েন্টে আপনার দেয়া যুক্তি নিয়ে কিছু কথা বলি। আমার বাড়িতে চোর চুরি করতে এসেছে, সেটাই একটা অন্যায় কাজ। এখানে চুরির পিছনে তার নিয়ত যতোই ভালো থাকুক, কিছু যায় আসে না। একটা খারাপ কাজ দিয়ে ভালো নিয়তকে জাস্টিফাই করা যায় না।
সূরা বাকারা'র ১৭৮ নাম্বার আয়াতটার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। দুঃখিত, আপনার যুক্তি মানতে পারলাম না।
'কর্মফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল' নিয়ে আপনার যুক্তিগুলো অতি-সরলীকরনের দোষে দুষ্ট। এই হাদিসের মাধ্যমে মহানবী (সাঃ) নিশ্চয়ই এমন কিছু বোঝাতে চান নাই। আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমি যেটা বুঝি, নিয়ত সৎ থাকতে হবে, কর্মও সৎ এবং সঠিক হতে হবে। শেষের দিকে আপনিও বলেছেন, আইনের বাইরে গেলে কর্মের ফল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল বলে সাধারন নিয়ম আর কার্যকর থাকে না। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাই ধর্মীয় আইনে বলে। সেক্ষেত্রে উদাহরন হিসাবে আপনার বর্ণিত ঘটনাগুলির সাথে এই হাদিস কতোটা সামন্জস্যপূর্ণ?
আপনার মন্তব্যে একজায়গাতে বলেছেন, তাহলে যেখানে সহি হাদিসে প্রাণীর মূর্তি বা ভাস্কর্যের জন্য চরম শাস্তির বিধান ঘোষণা করা হয়েছে সেখানেও কর্মেরফল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল এই সব মাম্বোজাম্বো বলে ভাস্কর্য হালাল বলে প্রগতিশীল সাজবার কোনো সুযোগ আছে ? বলার সুযোগ কি আর থাকে? এখানে আপনি একটা আলোচনাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছেন কিছু শব্দ আর বাক্য প্রয়োগের মাধ্যমে। এই পোষ্টে আমরা ঠিক-বেঠিক নিয়ে আলোচনা করছি। আমরা সবাই যেহেতু মুসলমান, কাজেই দিন শেষে ঠিকটাই মেনে নিব। তাই বলে আলোচনা করা যাবে না? জ্ঞান মানুষকে উদার হতে সাহায্য করে। মানছি, আপনি ইসলাম ধর্মের বিষয়ে তুলনামূলকভাবে একজন জ্ঞানী মানুষ। কিন্তু উদার হতে পারছেন কি? ইসলামের স্টুডেন্ট হিসাবে আপনি ইসলাম ভালো জানবেন, ফাইনান্সের স্টুডেন্ট হিসাবে আমি ফাইনান্স ভালো জানবো; এটাই স্বাভাবিক। আমার জানা বিষয়ে কেউ যদি কোন বালকসুলভ মন্তব্যও করে, আমি তার কাছে সঠিক জিনিসটা তুলে ধরবো, ''আপনার কাছ থেকে এমন পশ্ন আশা করি নাই'' জাতীয় তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য কিন্তু করবো না। কারন, সব বিষয়ে সবার জ্ঞান এক রকমের না। এছাড়াও লক্ষ্য করেছি, মন্তব্যের বিভিন্ন জায়গায় আপনি সূক্ষভাবে খোচা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। ব্যাপারটা আমার কাছে দুঃখজনক মনে হয়েছে!!!
৩নং পয়েন্টের আলোচনার ক্ষেত্রে বলি, আমি যতোটুকু জানি, ইসলামের নিয়ম-কানুনগুলো সব যুগেই সমানভাবে প্রযোজ্য। আপনি বলেছেন, মূল কথা হলো তেইশ বছরের বড় একটা সময়ে এসব জানিয়েছেন ।এক দিনে নয় কিন্তু । তাহলে এমন কি হতে পারে কিছু আগে বলা হাদিসের আদেশ নিষেধ বা প্ৰয়োজনীয়তা আর শেষের দিকে কার্যকর ছিল না? আপনি বলেছেন, ''তাহলে এমন কি হতে পারে'', সেই এমন কি'টা আসলে কি? ২৩ বছরে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে ১৪০০ বছরে কি অবস্থা হবে? যদি বলি, সে'সময়ে যে সকল মূর্তি উপাসনা বা এ'জাতীয় বিশেষ উদ্দেশ্যে বানানো হতো, সেগুলো ধ্বংস করা ঠিক ছিল। কারন, এর কোন ডেকোরেটিভ ভ্যালু ছিল না। কিন্তু এখনকার উদ্দেশ্য ভিন্ন!! এখানে আবার নিয়তের প্রশ্ন চলে এলো, স্যরি! আপনি বলেছেন, রাসূল মদিনায় আসার সাত বছর পর হিজরী ৬৩০ সালে মক্কা বিজয় করেন। এটা হিজরী সাল না, খৃষ্টাব্দ হবে মনে হয়। অষ্টম হিজরী। যাইহোক আমার প্রশ্ন, ইসলামের প্রাথমিক যুগেই মিশরসহ মধ্যপ্রাচ্যের অনেক এলাকা মুসলিম শাসনের অধীনে চলে আসে, যা সবই মক্কা বিজয়ের এ্যমিডিয়েট পরের ঘটনা। মিশর দখলে আসা শুরু হয় ৬৪১ সাল থেকে হযরত উমর (রাঃ) এর খিলাফতের সময়। তাহলে, সেখানকার মূর্তিগুলো তখন ভাঙ্গা হয়নি কেন? খলিফা উমর তেমন কোন নির্দেশ কেন দেন নাই? সত্যি বলতে, হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী সেটাই তো অবশ্য কর্তব্য ছিল তৎকালীন মুসলমানদের জন্য। সেগুলোর উপাসনা করা হতো না, সেজন্যে? আপনার বক্তব্য কি?
সন্দেহ থেকে বাঁচা নিয়ে যে কথা বলেছেন, সেই সূত্রে বলছি, এখনকার ভাস্কর্যগুলো তো নিঃসন্দেহে শুধুই ডেকোরেশানের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে স্থাপন করা হচ্ছে। আমার তো মনে হয় না, অদূঢ় ভবিষ্যতেও কোন মুসলমান এসব ভাস্কর্যকে পুজা করবে!! কাজেই সবাই নিঃসন্দেহ বিষয়ের দিকেই ধাবিত, নয় কি?
আপনি ৪৪ নং মন্তব্যে বলেছেন, ভাস্কর্য বলতে আপনি যদি বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনের শাপলা ফুলের কথা বলেন সেটা ঠিক আছে।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) জানতে আসা এক ব্যক্তিকে বলেছেন, আমি রাসুল (সাঃ)কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জীবন্ত কোন কিছুর প্রতিরুপ বানাবে, তাতে জীবন না দেয়া পর্যন্ত আল্লাহ তাকে শাস্তি দিবেন। তারপরে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) ওই ব্যক্তিকে বলেন, তুমি গাছপালা বা যার জীবন নাই, তেমন কিছু আকতে পারো। (ফতোয়া নং ৮২৮০৬)। এখন আমরা জানি, গাছপালারও জীবন আছে। এ'ব্যাপারে আপনার বক্তব্য একটু বলবেন কাইন্ডলী?
জ্ঞান গোপন করা হারাম। কাজেই আশা করছি, আমার প্রশ্নগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে আপনার কাছ থেকে আরো কিছু জ্ঞানগর্ভ আলোচনা পাবো। আবার বলবেন না যেন যে, এই সাধারন বিষয়গুলোও আপনি জানেন না!! আগেই স্বীকার করছি, ইসলাম সম্পর্কে আমার জ্ঞান অত্যন্ত সাধারন মানের। তবে ইদানিং ভাবছি ধর্মীয় বিষয়গুলোতে মুসলমান হিসাবে যতোটা সম্ভব জ্ঞান অর্জন করা যায়, করা উচিত। সামনে এই ইস্যুটা যখন চলেই এলো, ভাবছি…..এটা দিয়েই শুরু করা যাক! কি বলেন!!
@বিদ্রোহী ভৃগুঃ প্রচন্ড ব্যস্ততার কারনে ব্লগে সময় দিতে পারছি না ভায়া। আবার এই বিষয়ে আলোচনা করতেও মন চাইছে। নয়তো কতিপয় ব্লগারের মতো ''অসাধারন মন্তব্য বা লেখা। জাজাকাল্লাহ খাইরান।'' বলে ছেড়ে দিতে পারতাম।
সমস্যা হলো, এইসব ব্যাপারে মন্তব্য করতে গেলেও আমার মতোন ভুয়ার অনেক সময়ের দরকার হয়। জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাও সন্দেহাতীতভাবেই একটা বড় কারন!
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রচন্ড ব্যবস্থার মাঝেও সময় দেয়ায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
আমারো অফিসে রিনোভেশন কাজ শুরু হয়েছে ১ তারিখ থেকে। আপাদমস্তক বদল যাকে বলে! আপাতত
অফিস অন্য রুমে অস্থায়ী স্থানান্তর করে টেম্পু কাজ চালাচ্ছি।
তাই যথাসময়ে সব মন্তব্যের উত্তর দিতে পারছি না সময় মতো। আশা করি আপনি এবং বাকী সকলে
ক্ষমার্হ দৃষ্টিতেই দেখবেন।
৬৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩৩
মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: চমৎকার ব্লগ। খুবই মনোযোগ সহকারে পড়লাম। অত্যন্ত যুক্তি সহকারে লিখেছেন। সুরা সাবার ১৩ নং আয়াত দ্বারাই প্রমাণ হয় ইসলামে ভাস্কর্য অনুমোদিত।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সহজ জিনিষ সহজে বুঝলেই সহজ।নয়তো মহা জটিল।
লালন গুরুর কথা মনে পড়ে
" যে সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পূণ্যের আর নাই বালাই....
৬৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৭
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: বিশাল পোস্টের সুবিশাল জ্ঞান গর্ভ আলোচনা আপাতত অবলোকন করিতেছি। অন্তররসথ করার পর চেষ্টায় যাইবো কোন কিছু কমেনট করার।
আপাতত অবজারভেশনে রাখলাম ।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অপেক্ষায় রইলাম।
৬৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫০
এভো বলেছেন: আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) জানতে আসা এক ব্যক্তিকে বলেছেন, আমি রাসুল (সাঃ)কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি জীবন্ত কোন কিছুর প্রতিরুপ বানাবে, তাতে জীবন না দেয়া পর্যন্ত আল্লাহ তাকে শাস্তি দিবেন। তারপরে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) ওই ব্যক্তিকে বলেন, তুমি গাছপালা বা যার জীবন নাই, তেমন কিছু আকতে পারো। (ফতোয়া নং ৮২৮০৬)। এখন আমরা জানি, গাছপালারও জীবন আছে। এ'ব্যাপারে আপনার বক্তব্য একটু বলবেন কাইন্ডলী
==== গাছপালার কি জীবন নেই? শাপলা ফুলের কি জীবন নেই @ কমেন্ট নং ৬২
৬৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৫
কল্পদ্রুম বলেছেন: পোস্ট এবং কিছু মন্তব্য পড়লাম। দুইপক্ষের আলোচনাই যথেষ্ট উন্নত। তবে কয়েকটি পয়েন্টে মনে হচ্ছে বিতর্ক আরো অনেক সময় নিয়ে চলবে।এই ভাস্কর্য/মূর্তি নিয়ে ইসলামীক দলগুলো যতটা তেজস্বীভাব দেখাচ্ছেন সেটা যদি সমাজের অন্যান্য অন্যায়ের বিরুদ্ধেও দেখাতেন তাহলে ইসলামের সম্মানও আরো বাড়তো।দেশটাও আরো ভালো থাকতো।ভাস্কর্য/মূর্তি অনুমোদিত কি না সেটা নিয়ে সন্দেহ থাকলেও ইসলাম মতে যদি সেটা বে-আইনীও হয়, তাহলেও তো দায়টা যিনি বানাচ্ছেন তার উপর বর্তায়। পরকালে তিনি তার জবাবদিহি করবেন।এই দুনিয়াতে মূর্তি/ভাস্কর্যের মানুষের অথবা দেশের লাভ,ক্ষতি কোনটাই করার সুযোগ নেই।এর চেয়ে জীবন্ত মানুষের ইস্যুতে দলগুলো রাস্তায় নামলে তাদের কথা আরো মনোযোগ দিয়ে শুনতাম।
পোস্টটা প্রিয়তে রাখলাম শ্রদ্ধেয়।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই ভাস্কর্য/মূর্তি নিয়ে ইসলামীক দলগুলো যতটা তেজস্বীভাব দেখাচ্ছেন সেটা যদি সমাজের অন্যান্য অন্যায়ের বিরুদ্ধেও দেখাতেন তাহলে ইসলামের সম্মানও আরো বাড়তো।দেশটাও আরো ভালো থাকতো - এইটাই গুরুত্বপূর্ন কথা।
অনেকে বলছে পেইড হুংকার। অনেক নোংরা সত্য ক্রমাগত সামনে আসছিল । যা সরকার সহ অনেকের জণ্য বিব্রতকর
সে সব আড়াল করতেই ক্রিকেটের মতো পাতানো খেলা কিনা তাও প্রশ্ন উঠেছে।
জীবন্ত মানুষের ইস্যুতে দলগুলো রাস্তায় নামলে তাদের কথা আরো মনোযোগ দিয়ে শুনতাম।- সেটাতো তারা বিলকুল ভুলেই গেছে।
জন্মের আগে- আর মরণের পরের কিসসাতেই আটকে গেছে!
প্রিয়তে রাখায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ।
শুভেচ্ছা রইল
৬৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৬
মরুর ধুলি বলেছেন: আলোচনা চলছে, চলতে থাকুক। আলোচনায় অনেক কিছু জানা যায়, জ্ঞানের পরিধি বাড়ে।
আমি এই ব্লগটি পড়ার পরে কয়েকদিন চেষ্টা করে এবিষয় নিয়ে একটি ব্লগ লিখে চলছি। লেখাটি আপাতত শেষ পর্যায়ে প্রায়। সকলকে আমার ব্লগে আমন্ত্রন রইল, লেখাটি পড়ার জন্য। খুব চেষ্টা করবো আগামী কালকের মধ্যে শেষ করে রাতে পোষ্ট দেয়ার জন্য।
আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই ব্লগার জনাব বিদ্রোহীকে। কেননা তিনি এই ব্লগটি না লেখলে আমারটিও লেখা হতো না। পড়াশোনা করিনা অনেক আগে থেকে। আবার একটু বই-পুস্তকের কাছে যাওয়া হলো ওনার কারণে।
আমার হয়ে সকলকে আমন্ত্রন জানানোর জন্য অনুরোধ করছি জনাব বিদ্রোহীকে। আমার ব্লগ নতুন হওয়ায় হয়তো অনেকেই যাবে না।
ধন্যবাদ সকলকে।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার সুস্থতার জন্য শুভকামনা রইল।
কোভিড টেষ্ট করিয়েছেন কি?
দ্রুত করিয়ে নিন।
আপনার লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
৬৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৯
ফটিকলাল বলেছেন: অসাধারন পোস্ট।
কিন্তু এত বড় বড় কমেন্ট.....
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
হুম...
৬৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০০
রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলার ইসলাম জোকারদের হাতে।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বৃক্ষ তোমার নাম কি?
ফলেতে পরিচয়!
তারা তাদের কর্ম দিয়ে শুধু তাদের নাম নয়, সাথে ধর্মকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে! দু:খজনক।
৭০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১০
ঈশ্বরকণা বলেছেন: ভুয়া মফিজ ,
আমার মন্তব্য সম্পর্কে আপনার
-একটা আবিষ্কার
-একটা পুরস্কার
- কিছু তিরস্কার (মিলিয়ে) আমার মন্তব্য শুরু করতে হচ্ছে ।
আমাকে ইসলামের "সুগভীর জ্ঞান " -এর গুণী হিসেবে আবিষ্কারের জন্য জন্য আপনাকে বলবো চিন্তা করা "ধন্য" "বাদ" দিতেই হচ্ছে (স্যরি আপনার নিয়ত অনুযায়ী কর্ম ফল দেওয়া যাচ্ছে না বলে !)। আর আমার মাল্টি আবিষ্কারের ফলাফলহীন এস্পিওনাজ কাজ কারবারের জন্য আপনাকে 'মাসুদ বন্ড' বা "জেমস রানা" উপাধির পুরস্কারটা দেওয়াই যায় (নিয়ত অনুযায়ী কর্ম ফল ---হাহাহা)। খুশি মতো যে কোনো একটা গ্রহণ করুন । আমার "জ্ঞানগর্ভ" আলোচনার অপেক্ষার কথা জানানোর জন্য খানিকটা তিরস্কার করাই যায়।আমি শুরুতেই বলেছি আমার নিজের থেকে এই আলোচনায় জ্ঞানগর্ভ অংশগ্রহণের কোনো যোগ্যতা নেই।তাই আমি হাদিস, ইসলামিক স্কলারদের ওপিনিয়ন, ফতোয়ার কথাই শুধু বলছি । আপনার স্বযুক্তি দিয়ে যে হুলুস্থূল প্রশ্ন উত্থাপন আর আলোচনা করছেন সেটা আমার নিরীহ মাথায় কখনোই আসতো না সেটা স্বীকার করছি শুরুতেই ।
আরেকটা ব্যাপার আমি সাধারণ মানুষ।ইসলামী জ্ঞান বা আরবি ভাষায় দখলদারি একেবারেই নেই ।তাই আমার পোস্টে বা মন্তব্যে কোনো আরবি কথাবার্তা সাধারণত আমি ব্যবহার করি না।আপনি যে ইজমা, কিয়াস শব্দগুলোর কথা বলেছেন সেগুলো আমার মন্তব্যের উত্তরে পোস্ট দাতা বিদ্রোহী ভৃগুর আমদানি । আমার কোনো মালিকানা নেই ওসব বলার।আমার লেখাটাকে জাতে উঠাতে ভোকাবুলারিগুলো আমি ধার করেছিলাম বিদ্রোহী ভৃগুর মন্তব্যের উত্তর দেবার জন্য । আর আপনি আমাকেই বেইজ্যুতি করলেন সেই শব্দ ব্যবহারের দোষে --পোস্ট দাতা ভৃগুর বিদ্রোহী মনোভাবের বলি না হতে ! ব্লগে ছোট খাটো ব্লগারদের কোন বন্ধু নেই সাহায্য সহযোগিতা করার আরেকবার প্রমান করলেন আপনি I কি দুঃখ !!!
এখন আপনার কিছু টকঝাল মন্তব্যের উত্তর দেই ।
আপনার প্রথম ইস্যু নিয়ে আলোচনায় আমার মন্তব্যের উত্তরে আপনার কমেন্টে আমি বহুবিধ বিমূঢ় হয়েছি । প্রথমটা হলো, আপনি নিজেই বলেছেন 'কর্মফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল' এটাতো আমি বলিনি তাই না ? এই পোস্টে আপনি প্রথম মন্তব্যে কি কোনো শর্তের কথা বলেছেন এই ইস্যুতে । আপনার কথাটাই বিদ্রোহী ভৃগু পয়েন্ট বাই পয়েন্ট করে আমার মন্তব্যের উত্তরে বলেছেন পোস্টের মূল ইস্যু, তাই না ? আমি সেই শর্তহীন কথাটাই রেস্পন্ড করেছিলাম ইসলামী অনুশাসনের ব্রড ফ্রেমওয়ার্কে ।কিন্তু আপনার পরের মন্তব্যে আপনি একটা স্ট্রিং এটাচ্ড করে দিয়েছেন আগের বক্তব্যে ---"এখানে চুরির পিছনে তার নিয়ত যতোই ভালো থাকুক, কিছু যায় আসে না" বলে । যেই কথা আপনারা দুজন পোস্টের মূল বক্তব্য/ইস্যু বললেন সেটার থেকে পরে সরে আসলেন আপনি নিজেই । আমি কিন্তু স্ট্রিংলেস প্রথম শর্তের ব্যাপারেই উত্তর দিয়েছি । এখানে কি আমি ভুল করেছি না আপনার বক্তব্যে আপনি নতুন যোগ করেছেন কিছু ? ঘটনা বিমূঢ় হবার মতো না ? এই প্রথম চমক শেষ না হতেই দ্বিতীয় চমক । ভূয়া মফিজ, আপনিতো স্থায়ী নিবাস বিলেতের মহারানীর দেশের ইজ্জতহানি করেছেন আপনার আগের কথায় স্ট্রিং যোগ করে ! আপনাদের বিলেতের প্রায় জাতীয় ঐতিহ্য রবিনহুড ! তার মহৎ চরিত্রেরতো ইজ্জত মেরে দিয়েছেন আপনি "এখানে চুরির পিছনে তার নিয়ত যতোই ভালো থাকুক, কিছু যায় আসে না" বলে ! আপনার এই বক্তব্য শুনেতো এখন রবিনহুডের কাহিনীতে পরিবর্তন করার দায় চাপলো আদি লেখকের ! তার কবরভূত কঙ্কাল কি পারবে এই পরিবর্তন করে রবিনহুডকে জেলে ঢোকাতে ? এই সিরিয়াস প্রশ্নের উত্তর কিন্তু আপনি অবশ্যই দেবেন ! ইহা জরুরি । কিন্তু আমার মনে আপনার মন্তব্য পড়ার পর থেকেই ক্ষনে ক্ষনে জেগে উঠছে ভয়। আমাদের দেশে জাতির পিতা, জাতীয় নেতা, জাতীয় দিবসের বিরুদ্ধে কিছু বললেই জেল জরিমানা আর সরকারের রামপ্যাদানি জোটে । বিলেতের জাতীয় গর্ব রবিনহুডের বিরুদ্ধে আপনার মন্তব্যে চুরির অভিযোগ উঠে আসায় আপনার না দেশদ্রোহের দায়ে আবার জেল জরিমানা কিছু হয়ে যায় তা ভেবে বড়ই উদ্বিগ্ন আছি । আপডেট জানিয়ে নিরুদ্বেগ করবেন ।
এখন প্রথম ইস্যুর অন্যান্য ব্যাপার নিয়ে কিছু আলোচনা চলতে পারে কি বলেন ?
আমার মন্তব্যের উত্তরে আপনি মন্তব্য করেছেন "একটা খারাপ কাজ দিয়ে ভালো নিয়তকে জাস্টিফাই করা যায় না। --- আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমি যেটা বুঝি, নিয়ত সৎ থাকতে হবে, কর্মও সৎ এবং সঠিক হতে হবে।" আমি ভালো লিখতে পারি না সেটা না হয় মানলাম কিন্তু আমিতো এই কথাটাই আগের মন্তব্যে পরিষ্কার করে বলেছি! সেটা নিয়ে কঠিন করেতো কিছু বলিনি। একটা কাজ খারাপ হলে নিয়ত যাই হোক সেটা বিবেচ্য হবে না । ভাস্কর্য বা মূর্তি সেটা একটা খারাপ কাজ সেটাতো আমি সহীহ আর মুতাওয়াতির হাদিস আর দলিল দিয়েই বললাম ।আরেকটু ক্লিয়ার করি আমার কথাগুলো -- যেই কাজটার জন্য আল্লাহর কঠোর শাস্তির কথা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) স্বয়ং উম্মুল মুমেনিন আয়িশাকে (রাঃ) বলেছেন সেটা নিশ্চই খারাপ কাজ, মহৎ কিছু না তাই না ? সেটা যদি একমত হন তাহলে কিন্তু ভাস্কর্য বা মূর্তির ব্যাপারে আমার পজিশন আর "একটা খারাপ কাজ দিয়ে ভালো নিয়তকে জাস্টিফাই করা যায় না" আপনার এই কথাটার সাথে কোনো কনফ্লিক্ট নেই বলা যায় তাই না ? কিন্তু আপনি সূরা বাকারার আয়াত আর সেটার পেছনের ঘটনার সাথে একমত হননি জেনে একটু অবাক হলাম কারণ আপনার বলা কথাটারই আরো বিস্তৃত একটা উদাহরণ এই ঘটনা । আপনার কথা মত শুধু খারাপ কাজ দিয়ে ভালো নিয়তকে জাস্টিফাই করা যায় না আর আমি যে উদাহরণটা দিলাম সেখানে আমরা দেখছি নিয়ত ভালো, কাজও ভালো (অন্তত আপাতঃ দৃষ্টিতেও যেই কাজকে খারাপ বলার সুযোগ কম-- রাসূলকে (সাঃ) বাঁচাবার কাজে শত্রুকে হত্যা করাও জায়েজ তাই না) তেমন কাজ দুর্ঘটনাক্রমে হলেও সৎ নিয়ত কোনো কাজে আসবে না। সাহাবীদের জন্য রক্তপণ দেবার সিদ্ধান্তই হয়েছিল রাসূল (সাঃ) নিয়ত ভালো বলে তাঁকে বাচাবার কাজের হত্যাকেও (ইচ্ছাকৃত নয় মনে রাখবেন) কিন্তু কর্মফল হিসেবে সঠিক চিন্তা করেননি।এমনকি আল্লাহ সুবহানাতায়ালা স্বয়ং সাহাবীদের জন্য ক্ষমা বা রক্তপণ মওকুফ ঘোষণা করেননি অথচ সাহাবীদের নিয়ত সৎ ছিল,ঘটনা ঘটেছিলো দুর্ঘটনাবশতঃ রাসূলকে (সাঃ) রক্ষার চেষ্টা করতে।তাহলে স্বেচ্ছায় মূর্তি বানানোর কাজের (যেই কাজটা আল্লাহ শাস্তিযোগ্য বলেছেন বলে সহীহ আর মুতাওয়াতির হাদিস বলছে ) নিয়ত যতই সাধু হোক ( নান্দনিকতার দোহাই যদি দিতে চান) না কেন তার কর্মফল কাজের প্রকৃতি (আল্লাহর কাছে শাস্তিযোগ্য কাজ ) দিয়েই জাজ করা হবে সেটাই কি ঠিক না ? আপনার কথা আর কথা আর আমার কথায় তাহলে খুব বেশি পার্থক্য নেই তাই না ? তাহলে এই নিয়ে আর কোনো আলোচনা বা যুক্তি বা তর্কের কি দরকার আছে ? নেই মনে হয় ।
ও আপনিতো আবার শুরুতেই আমার উদাহরণ সরলীকরণ বলেছেন ! তাহলে হাদিসের একটা ঘটনা থেকে মাত্র একটা উদাহরণদিয়ে এই আলোচনার শেষ করি, ঠিক আছে ? এটা কিন্তু সহীহ এবং 'মুত্তাফাকুন আলাই' হাদিস (জাল বা জঈফ না ) ! প্রখ্যাত সাহাবী আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) থেকে একটা হাদিসের বর্ণনা আছে এমন :“ তিন জনের একটি দল নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর ‘ইবাদাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর স্ত্রীদের বাড়িতে আসল। যখন তাঁদেরকে এ সম্পর্কে জানানো হলো, তখন তারা ‘ইবাদাতের পরিমাণ কম মনে করল এবং বলল, নবী
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর সঙ্গে আমাদের তুলনা হতে পারে না। কারণ, তাঁর আগের ও পরের সকল গুনাহ্ ক্ষমা ক’রে হয়েছে। এমন সময় তাদের মধ্য হতে একজন বলল, আমি সারা জীবন রাতভর সলাত আদায় করতে থাকব। অপর একজন বলল, আমি সবসময় সওম পালন করব এবং কক্ষনো বাদ দিব না। অপরজন বলল, আমি নারী সংসর্গ ত্যাগ করব, কখনও বিয়ে করব না। এরপর রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদের নিকট এলেন এবং বললেন, “তোমরা কি ঐ সব লোক যারা এমন এমন কথাবার্তা বলেছ? আল্লাহ্র কসম! আমি আল্লাহ্কে তোমাদের চেয়ে বেশি ভয় করি এবং তোমাদের চেয়ে তাঁর প্রতি বেশি অনুগত; অথচ আমি সওম পালন করি, আবার তা থেকে বিরতও থাকি। সলাত আদায় করি এবং নিদ্রা যাই ও মেয়েদেরকে বিয়েও করি। [১] সুতরাং যারা আমার সুন্নাতের প্রতি বিরাগ পোষণ করবে, তারা আমার দলভুক্ত নয়।“এটা বুখারী শরীফের একটা সহীহ হাদিস I
এখন বলেন এই ঘটনার কোন জিনিষটা খারাপ ? সারা বছর ইবাদত বন্দেগীর নিয়ত খারাপ ? নাকি সারা রাত ইবাদত করা, সারা বছর রোজা রাখা খারাপ? আলাদা ভাবে দেখলে সবই ভালো। কিন্তু ইসলামের ব্রড ফ্রেমওয়ার্ক আর নিয়ম নীতির বিবেচনায় সৎ নিয়তের পরেও কর্মফল খারাপ হয়ে গেলো তাই না (রাসূলের (সাঃ) দলভুক্ত না হওয়া খারাপ তাই না ? নাকি ভালো বলবেন ?)। তাহলে আগের মন্তব্যে আপনার এক নং ইস্যুতে করা আমার উদাহরনটা আর কথাগুলো ঠিক আছে না ? তাহলে নিয়ত ভালো আর নান্দনিকতার দোহাই দিয়ে মূর্তি/ভাস্কর্য বানানোর কাজকে (আলাহর শাস্তি আর রাসূলের (সাঃ) নির্দেশনা, হজরত আয়িশার (রাঃ) হাদিস, উপেক্ষা করে) গ্রেট বলার সুযোগ আছে না নেই ? সেটা খুলে বলুন । এই আলোচনার তাই ইতি করা দরকার । আর আপনি যদি যেই কাজের জন্য আল্লাহর ভয়ংকর শাস্তির কথা বলে রাসূলুল্লাহ আমাদের জানিয়েছেন সেটাও "খারাপ কাজ " মনে না করেন তাহলেও এ’নিয়ে আপনার সাথে আলোচনা করার দরকার আছে বলে মনে করি না কারণ দ্বীনের নিয়ম নীতি, আদেশ নিষেধ সম্পর্কে যা রাসূল (সাঃ) বলেছেন যা সাহাবীরা অনুশীলন করেছেন বলে সহীহ আর মুতাওয়াতির হাদিসের মাধ্যমে আমরা জানি আর যেসব ব্যাপারে হাজার বছর ধরে ইসলামিক স্কলাররা একমত সেগুলোর গ্রহণযোগ্যতার ব্যাপারে আমি তর্ক করতে বা উল্টা যুক্তি দিতে খুব একটা স্বচ্ছন্দ্য বোধ করি না। আমি নিজের কোনো কথাও বলিনি । আপনি আমার বলা হাদিসের কথার সাথে দ্বিমত করতে চাইলে তাও পারেন সেটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই I
এই আলোচনার শেষ করার আগে আরো একটা কথা । স্যরি, আমার ব্যবহার করা শব্দে বা ব্যাক্যে আপনি আহত হয়ে থাকলে । আমি মুটামুটি শিওর ইংরেজি মিডিয়ামের ছাত্র হিসেবে "মাম্বোজাম্বো" কথাটাকেই আপনি তাচ্ছিল্য অর্থে ধরেছেন । সেটার একটা ব্যবহার সে’রকম হলেও আমি শিওর আপনি জানেন যে আরবান ডিকশনারিতে ‘মাম্বোজাম্বো’ কথাটার একটা মানে "কনফিউজিং"। আমি সেই অর্থেই কথাটা ব্যবহার করেছি । আপনি যেই মন্তব্যটা এ’প্রসঙ্গে কোট করেছেন সেটা আবার দেখলেই হয়তো পরিষ্কার দেখতে পাবেন কনফিউজিং কথাটা ‘মাম্বোজাম্বো’র বদলে চিন্তা করলে বাক্যের অর্থে কোনো পরিবর্তন হবে না। আরো একটা কথা, ইসলামের কোনো বিষয়ের ছাত্র নই আমি। প্র্যাকটিসিং মুসলিম হিসেবে ইসলাম নিয়ে জানতে পড়াশোনা করতে ভালো লাগে । আমি যা বলেছি সেটা ইসলামিক ক্লাসিকাল আর কনটেম্পোরারি স্কলারদের লেখাজোখা থেকেই বলা । তারা যা বলেন নাই ইসলাম সম্পর্কে সে নিয়ে আমার পেটেঁ বোমা ফুটালেও নিজের থেকে কোনো কথা বলার ক্ষমতা আমার নেই । আমি খোঁচা দেবার চেষ্টা করিনি আমার কথায় ।আমি আমার মন্তব্যেই বলেছি লেখাটা বিদ্রোহী ভৃগু লিখেছে বলে অবাক হয়েছি, বিরক্তও হয়েছি বলতে পারেন ।আমরা জন্ম দিনে মসজিদের হুজুরকে ডেকে মিলাদ দেই, আকিকায় হুজুরের স্বরণাপন্ন হই , মৃত্যু, জানাজা, চল্লিশা জায়েজ নাজায়েজ সব কাজ করতেই হুজুরদের খাতির করি, মূর্তি উদ্বোধনেও শিওর কোনো বিশাল বড় হুজুরকে ডাকা হবে I কিন্তু যখনি সেই হুজুররাই আবার ইসলামের কোনো আইনের ঠিক ফতোয়াগুলো বলে আর সেটা নিজের স্বার্থের বিরুদ্ধে চলে যায় তখন আমরা তেলে ও বেগুনে জ্বলে উঠি।এটাই আমার কাছে অতিপ্রগতিশীলতা মনে হয়।এটাই বিরক্ত লাগে । এই আলোচনায় সেই বিরক্তিটুকু খোঁচার মতো লাগলে আবারো স্যরি। আপনি আরেকটা মন্তব্য করেছেন আপনার মন্তব্যের একই অংশে ইসলামিক বিষয়ে আলোচনা সম্পর্কে । ইসলামের যে কোনো বিষয়েই আলোচনা চলতে পারে । স্কলারদের মতামত জানার ইচ্ছেয় তাদের ফতোয়া, ব্যাখ্যা এগুলোর এক্সচেঞ্জ করে আলোচনা চলতেই পারে কিন্তু ইসলামের আইনের নতুন ব্যাখ্যা দেবার ইচ্ছে নিয়ে ব্লগে আলোচনা ঠিক নয় বলেই আমার ধারণা ।আপনাদের কথাবার্তায় আমার ধারণা আপনারা সেটা করতে চাইছেন নিজের যুক্তি ও তর্ক দিয়ে তাই না? ওই দায়িত্ব কুরআন দ্বীনের জ্ঞান যাদের আছে তাদের হাতে দিয়েছে, সাধাৰণ মানুষের ওপর নয় । আমি বুঝতে ভুল করলে আমাকে বলবেন । এই আলোচনার ইতি এই মুহূর্তে এখানেই ।
আপনার বলা ৩নং পয়েন্টে আমার আলোচনার উত্তরে আপনি তীক্ষতার পরিচয় পেয়ে অবাক হইনি আপনার সারা আলোচনাতেই আমি সেটাই আশা করেছিলাম । আপনার তীক্ষ চোখ আমার মন্তব্যের তারিখের ভুল সনটা ঠিক ভাবেই লক্ষ্য করেছে । সেটা আমার লেখার ভুল ৬৩০ হিজরী না সেটা খ্রিস্টাব্দ হবে । ব্রাভো । কিন্তু এই আলোচনার শুরুতে আপনার আলোচনার সেই তীক্ষ্ণতা কোনো ছাপ নেই । বরং মনে হলো আপনি আমার আলোচনার ভুল ধরবার উদ্দেশ্যেই নিয়েই খুবই হালকা কথা বলেছেন । আসেন সেটা নিয়ে একটু আলোচনা করি । আমার একটা সাধাৰণ মন্তব্য " মূল কথা হলো তেইশ বছরের বড় একটা সময়ে এসব জানিয়েছেন ।এক দিনে নয় কিন্তু । তাহলে এমন কি হতে পারে কিছু আগে বলা হাদিসের আদেশ নিষেধ বা প্ৰয়োজনীয়তা আর শেষের দিকে কার্যকর ছিল না? " উল্লেখ করে আপনি কঠিন করেই বলেছেন ---"আমি যতোটুকু জানি, ইসলামের নিয়ম-কানুনগুলো সব যুগেই সমানভাবে প্রযোজ্য। আপনি আরো বলেছেন, ---সেই এমন কি'টা আসলে কি? আপনার মন্তব্যে ভড়কে যাইনি বলে মহা মিথ্যে বলা হবে । ভালোভাবেই গিয়েছি । এই মন্তব্যটা বা প্রশ্ন করাটা আপনার মতো ইসলাম প্র্যাকটিসিং চৌকষ ব্লগারকে কোনো মতেই মানায় না ! আপনিতো নিশ্চই জানেন ইসলাম এসেছিলো একটা প্যাগান কালচারের মধ্যে ? ইসলামের নীতিগুলো সবই একসাথে নাজিল হয়নি ---তেইশ বছরে নাজিল হয়েছে । সামাজিক অনেক প্যাগান প্রাকটিসই ইসলামে অনেক দিন ছিল তারপরে ইসলামিক নিয়ম দিয়ে সেগুলো রহিত করা হয়। যেমন পালক পুত্রকে পালক পিতার বংশগত নাম দেয়া হতো ! যায়িদ ইবনে হারিসা (রাঃ) যিনি রাসূলুল্লাহর (সাঃ) পালক পুত্র ছিলেন তাকে রাসূল (সাঃ)ইসলামপূর্ব যুগে নিজেই যায়িদ ইবনে মুহাম্মদ বলে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন । পালক পুত্রের পালক পিতার বংশগত নাম ব্যবহার কুরআনের আয়াতের মাধ্যমেই পরে রহিত হয় । আরবে প্রচলিত সুদের ব্যাপারটা বিদায় হজ্জে রাসূল চূড়ান্ত ভাবে নিষিদ্ধ করে দেন সেটা ইসলাম আবির্ভাবের প্রায় তেইশ বছর পরে। তাহলে মুসলিমদের জন্য আরবের অনেক অনেক আইন অনেক বছর ধরেই পরিবর্তিত হয়েছে ।এ'রকম আরো নিয়ম নিশ্চই আপনার এখন মনে পড়ছে তাই না ? নেশা জাতীয় দ্রব্যাদি পান করার নিয়মের কথা ভাবুন প্রথম কুরআনে বলা হয়েছিল তার মধ্যে মানুষের জন্য ভালো আর মন্দ দুই আছে । পরে নাজিল আয়াতে সেটাকে নিষিদ্ধ এবং অশ্লীলতার ধারে কাছে না যাবার আইন জারি হয় । এগুলোর মতো ছোটদের খেলার পুতুল, খেলার মূর্তি হয়তো ঘরে রাখার অনুমতি ছিল প্রাক ইসলামী যুগের প্রচলিত প্রথা অনুসারেই। কিন্তু মদিনা জীবনের কোনো সময়ে সেই প্রথা রহিত করা হয়। সেটাই আমি বলেছি আমার মন্তব্যে। এখানেতো ইসলামের একেশ্বরবাদীতার মূল নীতি এবং সে সম্পর্কিত নীতিগুলো চেঞ্জ হবার কথা বলিনি ।ওগুলো সব সময়ের জন্যই অপরিবর্তিত ভাবে প্রযোজ্য। কিভাবে, কোন পটভূমিকায় এসব পুরোনো সামাজিক রীতি নীতি বদলে নতুন আইন কানুন হতে পারলো ? তার প্রধান কারণ ছিল স্বাধীন ইসলামিক রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা ও ইসলামিক আইনের অনুসরণ। যার ফলে প্রাক ইসলামিক যুগের যে সব প্রথা মুসলিমদের জন্য প্রচলিত ছিল বা যেগুলো রহিত হয়নি মক্কা জীবনে সেগুলো দীর্ঘ সময় পরে মদিনা জীবনে পরিবর্তি হয় এবং ইসলামি শরীয়ত অনুযায়ী নতুন আইন জারি হয়।এই কথাটাই আমি বলেছি আমার মন্তব্যে । কোনো বিপ্লবী কথাবার্তা বা জটিল কিছুতো বলিনি । এই সরল আলোচনা শুনে আপনার ঐকিক নিয়মের মতো কঠিন প্রশ্ন মনে কিভাবে এলো সেটাইতো বুঝতে পারছি না যাহোক, আপনার প্রশ্নের উত্তর পেলেনতো "আমি যতোটুকু জানি, ইসলামের নিয়ম-কানুনগুলো সব যুগেই সমানভাবে প্রযোজ্য" আর "সেই এমন কি'টা আসলে কি?" প্রশ্নের । খুব কঠিন কিছু বলিনি বা বুঝতে চাই নি ।
এখন আসুন " সন্দেহ থেকে বাঁচা নিয়ে যে কথা বলেছেন, সেই সূত্রে বলছি, এখনকার ভাস্কর্যগুলো তো নিঃসন্দেহে শুধুই ডেকোরেশানের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে স্থাপন করা হচ্ছে। আমার তো মনে হয় না, অদূঢ় ভবিষ্যতেও কোন মুসলমান এসব ভাস্কর্যকে পুজা করবে!! কাজেই সবাই নিঃসন্দেহ বিষয়ের দিকেই ধাবিত, নয় কি?” আপনার এই বক্তব্য নিয়ে কিছু জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করা যাক ইসলামিক স্কলারদের বক্তব্যের ভিত্তিতে, হাহাহা----। সূরা সবার ১৩ নং আয়াতের হজরত সুলাইমানের (আঃ) জ্বীনদের মূর্তি/প্রতিমা বানাবার উল্লেখ করে সেটা যে যে সময়কার আইন কিন্তু রাসূলের (সাঃ) জামানায় হারাম সে নিয়ে তাফসীরে মারেফুল কুরআনে মাওলানা শফি জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেছেন ইসলামের ক্লাসিক স্কলারদের বক্তব্য, হাদিস, কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের উল্লেখ করে। এই আলোচনায় মাওলানা শফি বলেছেন, মূল হারাম বস্তু যেমন নিষিদ্ধ করা হয়েছে,তেমন তার উপায় এবং নিকটবর্তী সহায়ক উপকরণগুলোকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে ।যেমন মদ হারাম করার সাথে সাথে এর বহনের মজুরি ও তৈরী সবই হারাম ঘোষণা করা হয়েছে । একইভাবে মূল মহা অপরাধ হচ্ছে শিরক ও মূর্তিপূজা । একে নিষিদ্ধ করার সাথে সাথে যে সব ছোট ছোট কাজের মধ্যে দিয়ে মূর্তিপূজার শুরু হবার আশংকা থাকে সেসব পথে মানুষের যাতায়াত যাতে সহজ না হয় তাই সেসব পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং মূর্তিপূজার উপায় ও কাছের কারনগুলোকেও হারাম করে দেওয়া হয়েছে। এই নীতির ভিত্তিতেই প্রাণীদের ফটো ও নির্মাণ ও ব্যবহার হারাম করা হয়েছে । অনেক সহীহ ও মুতাওয়াতির হাদিস দিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা প্রমাণিত হয়েছে। তাহলে " সন্দেহ থেকে বাঁচা নিয়ে আপনার বক্তব্যের সন্তোষজনক উত্তর আমি না দিতে পারলেও মাওলানা শফি খানিটা দিয়েছেন মনে হয়, তাই না ? এখনো আপনার বক্তব্যে অনড় তাহলে চলুন হাদিসের থেকে কিছু জিনিস নিয়ে আপনার বক্তব্যের বিষয়ে আরো একটু আলোচনা করা যাক ।
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বলা একটা সহী হাদিসে বলা হয়েছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামত কায়িম হবে না যতক্ষন না দাউস গোত্রীয় রমনীদের নিতম্ব যুলখালাসা মূর্তির চারপাশে আন্দোলিত হবে" (সহীহ মুসলিম, ইফা, ৭০৩৪)।যুলখালাসা একটি মুর্তি ছিল, দাউস গোত্রীয় লোকেরা প্রাক-ইসলামী যুগে তাবালা নামের একটা জায়গায় এর পূজা করত। এটা আরবের একটা জায়গা । এখন কি আরবে কোথাও প্রকাশ্যে মূর্তি পূজা হয় ? কোথাও হয় না । কিন্তু এটা হবে । সেটাই রাসূলের (সাঃ)ভবিষ্যৎবাণী । এর কোনো আলামত আছে এখন ? শুরু হয়েছে মনে হয় তাই না । আরব আমিরাত বা দুবাইয়ে একটা নন মুসলিম টেম্পল বানাবার ঘোষণা কিন্তু কয়েক বছর আগেই দেওয়া হয়েছে । চিন্তা করবেন না আস্তে আস্তে মূর্তি পূজাও শুরু হবে। এখন " সন্দেহ থেকে বাঁচা নিয়ে যে কথা বলেছেন, সেই সূত্রে বলছি, এখনকার ভাস্কর্যগুলো তো নিঃসন্দেহে শুধুই ডেকোরেশানের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে স্থাপন করা হচ্ছে। আমার তো মনে হয় না, অদূঢ় ভবিষ্যতেও কোন মুসলমান এসব ভাস্কর্যকে পুজা করবে!! কাজেই সবাই নিঃসন্দেহ বিষয়ের দিকেই ধাবিত, নয় কি?” আপনার এই প্রশ্নের উত্তর আমার কাছে এক রকম, আপনার কাছে হয়তো এখন অন্যরকম কিন্তু আপনার মন্তব্যটা সম্পর্কে ভাবুন । ভেবে বলুন অদুর বা দূর ভবিষ্যতে আপনার প্রশ্নের উত্তর "না" হবার সম্ভাবনা কি আমাদের স্যেকুলার বাংলাদেশেও আছে ? একটা হিন্টস দেই ভাবনার ব্যাপারে বাংলাদেশের পহেলা বৈশাখ সেলিব্রেশনের মেলা টেলা নিয়ে একটু ভাবুন ---তার থেকে কি হতে পারে যুগ পরে সেটাও দূরদর্শিতার সাথে ভাবুন I আমি একটা সম্ভাবনার কথা চিন্তা করতে বলছি আপনাকে।আমাকে রেজাল্ট কি পেলেন ভাবনার বলবার দরকার নেই ।
এখন আসুন আপনার শেষ প্রশ্নটা দেখা যাক । এই প্রশ্নে কিন্তু আমার মনে হয়েছে একটা খোঁচা আছে আর তার চেয়েও বেশি আছে তাচ্ছিল্য।রাসূলুল্লাহ্র (সাঃ) অন্যতম সাহাবী ইবনে আব্বাস (সাঃ)সম্পর্কে আপনার প্রশ্নের ধরণ কিন্তু প্রশংসা করার মতো না । আপনি যেমন জানেন গাছের প্রাণ আছে হজরত আব্বাসেরও (রাঃ) সেটা জানার কথা । আপনি নিশ্চই একটা হাদিস শুনে থাকবেন --রাসূলুল্লাহকে (সাঃ)যখন প্রশ্ন করা হয় মৃত্যুর পরে মানুষকে আবার জীবন্ত কিভাবে করা হবে ? তখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) উত্তর দেন যেমন করে শীতের শুস্ক মরা গাছপালাকে বসন্তে সবুজ পাতা দিয়ে জীবন্ত করা হয় তেমন করেই মানুষের কঙ্কালের মধ্যেও প্রাণ সঞ্চার করা হবে । লক্ষ্য করুন গাছের যে প্রাণ আছে সেটাই হাদিসে বলা হচ্ছে মানুষের প্রাণ সঞ্চারের উদাহরণ দিতে গিয়ে । এই হাদিস নিশ্চই রাসূলের আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ সাহাবী হজরত আব্বাস (রাঃ) জানতেন। তাই গাছের প্রাণ আছে সেটা উনি জানতেন না মনে করার আপনার ধারণা মনে হয় ঠিক না । তাই উনার শিল্পীকে গাছের ছবি আঁকার কথা বলার নিশ্চই কোনো কারণ আছে । ইবনে আব্বাস (রাঃ) যে এই বিষয়ে অজ্ঞ ছিলেন না সেটা ভাববার অনেক কারণ আছে । আমার কাছে একটা ব্যাখ্যা আছে সেটা বলতে পারি।আমার ধারণা হজরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) লোকটাকে বোটানি শেখার মতো ইন্টেলিজেন্ট মনে করেনি তাই সেটা শেখাবার চেষ্টা না করেই সাধারণ ভাবে আমরা যেমন বলি গাছের ব্যাপারে তেমন করেই গাছকে প্রাণহীন বলেছেন। উত্তরটা পছন্দ হলো না আপনার ,স্যরি I দেখুন, আমি ইসলামিক স্কলার নই,তাই ইবনে আব্বাস (রাঃ) কেন ওভাবে উত্তর দিয়েছেন সেটা আমি বলতে পারবো না । আর আমার কাছে এর একটা ব্যাখ্যা আছে আর সেই ব্যাখ্যাটা যুক্তিগ্রাহ্যও মনে হয় । কিন্তু সেটা আমার ব্যক্তিগত ভাবনা ।তাই দলিল ছাড়া সেটা আপনাকে বলতে চাই না । কিন্তু হাদিসটা যখন বুখারী শরীফের তখন ফতহুল বারীতে আপনি এই প্রশ্নের একটা ব্যাখ্যা পেয়ে যাবেন যেহেতু ফতহুল বারী বোখারী শরীফের হাদিসের তাফসীর। ফতহুল বারী যাদের কাছে আছে ব্লগে তারা নিশ্চই আপনাকে এই হাদিসের ব্যাখ্যা বলতে পারবেন ।
আমার জ্ঞানগর্ভ রেস্পন্স থেকে (হাহাহা )আপনার যাই জ্ঞানার্জন হোক না কেন (আদৌ যদি হয়ে থাকে ) সেটার উত্তর দেবার বাধ্যকতা থেকে আপনি মুক্ত । আমি এই পোস্টে আর কোনো মন্তব্য করতে চাই না, শুধু পোস্ট লেখকের মন্তব্যের উত্তরটা দেব । এই বিষয়ে আমি যা বলেছি তার অতিরিক্ত আমার বলার মতো কোনো বক্তব্যও নেই বা আমার মন্তব্যের কোনো রেস্পন্স নিয়েও আমার আর আগ্রহ নেই। কারণ আমি এই মন্তব্যের উপরেই বলেছি ইসলামের প্রতিষ্ঠিত নিয়ম নীতি যেগুলো সহি ও মুতাওয়াতির হাদীস দিয়ে সমর্থিত সেগুলোর ভ্যালিডিটি নিয়ে আলোচনার কিছু নেই ব্লগে ।সেটা মানতে হবে। সেটা নিয়ে আলোচনার দাবিদার ইসলামের জ্ঞানে যারা জ্ঞানী শুধু তারাই। এখন আমাদের সেটার বিরোধিতা করার সুযোগ নেই। আর সূরা সাবার ১৩নং আয়াতের প্রতিমা/মূর্তি নির্মাণের ব্যাপারটা হজরত সুলাইমানের (আঃ) জামানায় গ্রহণযোগ্য ছিল কিন্তু রাসূলুল্লাহর (সাঃ ) নবূয়তে নিষিদ্ধ ।সেটাই সহি ও মুতাওয়াতির হাদিস, কুরআনের অন্যান্য আয়াত আর ইসলামিক স্কলারদের সর্বসম্মত মতামতের ভিত্তিতে স্থির সিদ্ধান্ত। মারেফুল কুরআনের আলোচনা উল্লেখ করে সেটা আমি বলেছি । সেটা নিয়ে আলোচনার কিছু নেই । তাই এখন শেষ করছি এই আলোচনার ।
ভালো থাকুন ।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভূয়া মফিজ ভায়া সময় করে উত্তর দেবেন আশা করি।
৭১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৯
ঈশ্বরকণা বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,
আপনার নিচের বক্তব্যে বিদ্রোহের ছোয়া আছে কিন্তু যুক্তিও আছে বলতে পারলে ভালো লাগতো কিন্তু সেটা বলা যাচ্ছে না দেখে খারাপ লাগাটাই বেশি হচ্ছে । আমি আগের মন্তব্যেই বলেছি আপনার কথাগুলোর সমর্থনে আপনি ইসলামিক স্কলারদের ব্যাখ্যা/দলিল দিতে পারছেন না বলে সেগুলো কুট তর্ক হয়ে যাচ্ছে ।যৌক্তিক আলোচনা হযে উঠতে পারছে না । আপনি বলেছেন :
অত জিলাপীর প্যাচে লাভ কি ভায়া? সহজ কথায় বলুন- কোরআনের আয়াত টা কি সঠিক? আয়াতটা আছে তো?
আর আয়াতের অনুবাদে যা বলা হয়েছে তা ঠীক তো?
ব্যাস। তাই যথেষ্ট!
মানা না মানা আপনার বিষয়।
আর বোঝার বিষয়টি আপেক্ষিক বটে। জ্ঞান, প্রজ্ঞা, অবস্থান অনুযায়ী ভিন্নতর হতেই পারে। যা সেই জ্ঞানী বা উলিল আমরদের কাছে গেলে সমাধান মিলে।
মনে হয় অন্যমনা হয়ে রেস্পন্স করেছেন আর তাই ঠিক প্রাসঙ্গিক থাকতে পারিনিনি আপনার বক্তব্য । কুরআনের আয়াতটা আপনি ঠিক বলেছেন ।অনুবাদ ঠিক আছে । কিন্তু যেটা আপনি সাপোর্ট করতে পারেন নি সেটা হলো এই আয়াতটা রাসূলের (সাঃ) নিজের জন্য আর তার উম্মতের জন্য মানার ক্ষেত্রে "আদেশ" কিনা । ইস্যুটা কিন্তু সেটাই তাই না ? সূরা সাবা-র এই কুরআনিক আয়াত তার সত্যসত্যি নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন নেই এখানে । তাহলে মেজর একটা ফল্ট থেকেই যাচ্ছে আপনার লজিকে । এখন আপনাকে বাইবেলের একটা ঘটনা বলি যেটা ম্যাথিউতে বলা হয়েছে । ঘটনাটা হলো হজরত ঈসা (আঃ) আর একজন ক্যানানিট (cananite) মহিলার ঘটনা । এই মহিলা হজরত ঈসার (আঃ) কাছে এসে কেঁদে কেঁদে বললো তার মেয়ের ওপর অশুভ আত্মা ভর করেছে তাকে বাঁচাতে । অনুসারীরাসহ সেখানে উপস্থিত সবার চোখই একজন উদ্ভ্রান্ত মা -র নিজের মেয়ের চরম সমস্যায় হজরত ঈসার (আঃ) কাছে আকুল হয়ে কেঁদে সাহায্য চাইছেন দেখে সজল হলো । কিন্তু হজরত ঈসা (আঃ) চুপ করে থাকলেন কোনো সাহায্য না করেই । সহচররা বললো, প্রভু এ’মহিলাতো কেঁদে মারা যাবেন আপনি তার মেয়েকে না বাঁচালে । হজরত ঈসা (আঃ) তখনকার পরিস্থিতির কথা ভাবলে অদ্ভুত উত্তর দিলেন " “I was only sent to the lost sheep of Israel.” হজরত ঈসা আসলে বলেন তাকে বনী ইসরাইলের জন্য পাঠানো হয়েছে ।তার জন্য নির্ধারিত আইন কানুন শুধু বনি ইসরাইলের জন্যই । এই কথাটাই কি কুরআন বলছে না যে সব নবীকেই তাদের জাতির জন্য পাঠানো হয়েছে আদেশ প্রত্যাদেশ দিয়ে ? একমাত্র রাসূলুল্লাহকে (সাঃ) পাঠানো হয়েছে সারা জাহানের জন্য কারণ তিনি খাতামুন নবীইন । তার পরে আর নবী নেই । সেজন্যই বিভিন্ন নবীকে ভিন্ন ভিন্ন আসমানী কিতাব আদেশ নির্দেশ দিয়ে পাঠানো হয়েছে যা তাদের জাতির জন্য উপযোগী । নইলে তোড়ার আদেশ নিষেধ দিয়েইতো আমরা চলতে পারতাম আলাদা করে আর কুরআন পাঠানোর দরকার হলো কেন ?
একমাত্র আল্লাহ এক ও তার শরিক নেই এই নীতি ছাড়া পালনীয় অন্য সব নীতিই ভিন্ন নবীর উম্মতের জন্য পরিবর্তিত হয়েছে । এমন কি হালাল হারামের বিধানও । এখন আপনি বলুন বনি ইসরাইলের অন্তর্ভুক্ত নয় বলে একজন ক্যানানিট মহিলাকে যেখানে হজরত ঈসা (আঃ) তার অনুশাসনের নীতির পরিপন্থী বলে সাহায্য করতে চাননি আর সেখানে আপনি হজরত সুলাইমানের (আঃ) জামানায় যা করা হতো তা রাসূলুল্লাহর (সাঃ) উম্মতদের জন্য প্রযোজ্য বা আদেশ বলতে চাইছেন ! যেই আয়াতের সাথে সাংঘর্ষিক সহি আর মুতাওয়াতির হাদিস আছে ! আপনার কি মনে হচ্ছে না এই আয়াতের বক্তব্য রাসূলুল্লাহর (সাঃ) উম্মতের জন্য পালনের ব্যাপারে কোনো ব্যাখ্যা থাকার কথা যাতে কুরআনের আয়াতের (৩৪:১৩) সাথে সর্বস্বীকৃত সহি, মুতাওয়াতির হাদিসের কনফ্লিক্ট না হয় সেজন্য ?
আপনার মন্তব্য "অত জিলাপীর প্যাচে লাভ কি ভায়া? সহজ কথায় বলুন- কোরআনের আয়াত টা কি সঠিক? আয়াতটা আছে তো?" এটা নিয়ে আমার একটা প্রশ্ন আছে সেটা বলি । আপনার একটা পোস্ট আছে ব্লগে "রাসুল আল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মি’রাজ বা উর্ধ্ব গমন : স্বচক্ষে খোদার দীদার লাভ ও সূরতে হাক্কী-র আত্মপ্রকাশ " শিরোনামে । শিরোনামের থেকেই লেখার বক্তব্যটা পরিষ্কার তাই আর কিছু বলছি না । এই পোস্টে আপনি বলেছেন রাসূল (সাঃ) মিরাজের রাতে আল্লাহকে স্বচক্ষে দেখেছেন ।খুবই বিপ্লবাত্মক কথাবার্তা এগুলো । কিন্তু আপনাকে যখন কেউ একজন সূরা 'আল আন আমের' ১০৩ নং আয়াত কথা বললো যাতে বলা হয়েছে -- "দৃষ্টিসমূহ তাঁকে পেতে পারে না, অবশ্য তিনি দৃষ্টিসমূহকে পেতে পারেন। তিনি অত্যন্ত সুক্ষদর্শী, সুবিজ্ঞ (No vision can grasp Him, but His grasp is over all vision: He is above all comprehension, yet is acquainted with all things.)"। এই আয়াতের সহজ অর্থ হলো কোনো মানুষ আল্লাহকে কখনোই এই জীবনে দেখতে পারবে না ।হজরত আয়িশার (রাঃ)মুত্তাফাকুন আলাই -বুখারী ও মুসলিম শরীফে আছে এমন একটা সহীহ হাদিসে এই ব্যাপারটা আরো পরিস্কার করে বলা হয়েছে "যে ব্যক্তি মনে করবে যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর রবকে দেখেছেন, সে ব্যক্তি মহা ভুল করবে। বরং তিনি জিবরীল (‘আঃ)-কে তাঁর আসল আকার ও চেহারায় দেখেছেন। তিনি আকাশের দিকচক্রবাল জুড়ে অবস্থান করছিলেন।" কুরআন ও সহীহ হাদিসের রেফারেন্স দেওয়ার পরেও আপনার পজিশন জাস্টিফাই করতে কুরআনের একটা আয়াত, সহি এবং মুত্তাফাকুন আলাই একটা হাদিসের কথাও কিন্তু আপনি তখন মানতে অস্বীকার করে মাম্বোজাম্বই বললেন । এখন কি তাহলে আপনার সেই পজিশন নিয়ে (মিরাজে আল্লাহকে স্বচক্ষে দেখা নিয়ে) আপনার মন্তব্যটা আপনাকেই করা যায় "অত জিলাপীর প্যাচে লাভ কি ভায়া? সহজ কথায় বলুন- কোরআনের আয়াতটা (সূরা 'আল আনআম: ১০৩) কি সঠিক? আয়াতটা আছে তো?" কি বলেন? আপনার এই পোস্ট আর সেই পোস্ট -এর কথাবার্তা দেখে মনে হচ্ছে মনের মাধুরী মিশিয়ে কুরআনের আয়াত ব্যাখ্যা করার একটা আপত্তিকর টেন্ডেন্সি আপনার আছে । সূরা সাবা-র ১৩ নং আয়াত নিয়ে মুতাওয়াতির হাদিসের নির্দেশ, ইসলামিক স্কলারদের হাজার বছরের সর্বসম্মত ব্যাখ্যা আর সিদ্ধান্তের বাইরে যেয়ে আপনি সেই আয়াতটা হুবুহু এক্সসেপ্ট করছেন কিন্তু মিরাজের সময় রাসূলের (সাঃ) আল্লাহকে স্বচক্ষে দেখার ব্যাপারে আপনার বক্তব্যের সাথে সাংঘর্ষিক কুরআনের আয়াত আবার আপনি মানতে চাইছেন না ! সেখানেও আপনার মনগড়া কথা কুরআনের আয়াতের চেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য বলছেন I আপনার কথা আর যুক্তি খুবই দ্বিমুখী এ'ব্যাপারে সেটা কি বুঝতে পারছেন?
আপনার পোস্টের বক্তব্যের ব্যাপারে আর কিছু বলার আসলে কিছু নেই ।কারণ কুরআনের আয়াতের ব্যাখ্যাতেও আপনি নিজের ভাবনাই চূড়ান্ত বলবেন ।তাই সে চেষ্টাও বাদ দিলাম । কিন্তু একটা কথা তবুও বলতেই হচ্ছে ।দাঁতের একটু ব্যাথা ছিল কদিন ধরেই । সেরেও যাচ্ছিলো ।কিন্তু আমার মন্তব্যের উত্তরে আপনার নজরুলের কবিতার যুক্তি শুনে বেকায়দা হাসতে গিয়ে ব্যাথাটা বেড়ে গেছে খুবই।ডেন্টিস্টের কাছে মনে হয় যেতেই হবে। এতো কিছু থাকতে কুরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা, হাদিসের আদেশ নিষেধ নিয়ে আলোচনা, সেগুলো মানা না মানার ব্যাপারে আপনার যুক্তি হলো নজরুলের কবিতা !!! কোনো ইসলামিক স্কলার, তাদের ব্যাখ্যা, হাদিস এগুলোর কথা মনেই এলো না আপনার পজিশন সাপোর্ট করতে !!! স্ট্রেঞ্জ ! তও ভালো 'বিদ্রোহী' কবিতা বা ''চল চল চল---" গানের সুরে মার্চ করতে করতে আপনার ব্যাখ্যা সাপোর্ট করতে বা আমাদের মানতে হবে সেটা বলেননি !! আপনার মন্তব্যের রসিকতায় যে আমার ডেন্টিস্টের কাছে যেতেই হচ্ছে তার ফি এখন কে দেবে ? বিকাশ রেডি করেন । করোনার এই সময়ে দাঁত ঠিক করতে ডেন্টিস্ট আমাকে এক্সট্রা চার্জ করবে বোঝাই যাচ্ছে । হাজার পঞ্চাশেকের বিল ব্লগে পাঠাচ্ছি কয়েকদিনের মধ্যেই ।
ধন্যবাদ ।
আরেকটা ধন্যবাদ ভুয়া মফিজের মন্তব্যের উত্তরে করা মন্তব্যটা মুছে আবার ঠিক মতো সেটা করার সুযোগ দেবার জন্য ।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
হাসলাম কারণ- একটা আলোচনার সূত্রপাতে কিছু তথ্য উপাত্ত তুলে ধরে উপসংহারে উগ্র মৌলাবদীতা পরিহারে এবং সুন্দর সমাধানে বাহাসের প্রস্তাব দেয়া ছিল। যাতে জাতি সংঘাতের পথে না হেটে একটা সুন্দর সমাধান পায়- যুক্তি-তর্ক, এবং সবার সমন্বয়ে একটা গ্রহণযোগ্য পূর্ণ সমাধান পাওয়া যায়।
মনে হয় চোখে পড়েনি।
তাই আপনি সহ অনেকে আক্রমনাত্বক ভাবে ঝাপিয়ে পড়েছেন- দৃষ্টিকটু ভাবে এবং যুক্তিহীন ভাবে। ভাবটা এমন আমিই ফতোয়া দিচ্ছি!!! সো এইটারে রেসলিংয়ের মতো যেমনে পারো কাইত করো
আমার মিরাজের পুরানো পোষ্ট খূঁজে আরেক তত্বকে তুলে ধরলেন আমার বিশ্বাসকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। ভাল । অনেক পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু মূলের কাছে যেতে পারেন নি এটাই দু:খ রইল!
আমি জানিনা আপনি কোরআনকে কি ভাবে অধ্যয়ন করেছেন? নেকির নিয়তে না অনুভব করতে।
কোরআনের পুরাটাকে যদি এক ফ্রেমে অনুভব করে থাকেন - পুরা সিনোপসিসটা স্পষ্ট পাবেন বলেই বিশ্বাস।
নবীজির আহবান, তার সপক্ষে উত্থাপিত বা প্রযোজ্য ঘটনাবলীর উপস্থাপনের মাধ্যমে দিকনির্দেশনা, যে জন্যে অনেক নবী রাসূল সা: গণের কাহিণী বিবৃত হয়েছে, বা অনেক শিক্ষামূলক কাহিনী (বাবা ছেলে বা মূসা আ: খিজির আ: এমন)- যার থেকে প্রকৃত শিক্ষা গ্রহণের জন্য; আদেশ, নিষেধ, দায়িত্ব, কর্তব্য উভয় কালের মুক্তি ও শান্তির পথনির্দেশ । এভাবে যখন খোলা চোখে বুঝতে চেয়ে আল্লাহর কাছে দয়া প্রার্থী হয়ে পাঠ করবেন- দেখবেন সব কত সরল, সহজ, সুন্দর।
হা হা হা
আবারো হাসালেন নজরুলের কাভ্য যুক্তি হজম করতে গিয়ে আপনার দাত নড়ে গেছে বলে!
আহা, বড়েই কষ্ট দাত ব্যাথার যাতনা। প্রার্থনা আর শুভকামনা রইল
প্রচলিত মোল্লা মৌলভির দলকে যদি সহিহ বলেন- তবে বলেন মুসলিম দেশ ঘুষ দুর্নীতির শীর্ষে কেন?
ধর্ষন বলাৎকার আর অন্যায় অপরাধে ভরপুর কেন? কোন একটা কিন্তুতো অবশ্যই আছে! নয় কি?
নবী সত্য, কেরাআন সত্য, হাদীস মেনে চলার দাবীও সত্য হলে- এই বৈপরীত্য কেন?
জ্ঞানে বিজ্ঞানে এত পিছিয়ে পড়া জাতিকে কি আল্লাহ তাঁর প্রতিনিধিত্বকারী জাতি বলেছেন? কখনোই নয়
আর যদি তাই হয় তবে - সেই প্রতিনিধি বা খলিফা হতে পারছে না কেন হাজার বছর ধরে?
সত্যতো একই আছে। এই কলেমা বা বাক্যই বদলে দিয়েছেলি আইয়ামে জাহেলিয়ার বর্বর আরবদের সুসভ্য নাগরিকে। বিশ্ব বিজয়ের মতো শক্তি ভিত তৈরী করে দিয়েছিল।
আজ তবে কি হলো?
নিজেই ভাবুন। কেন? কেন? কেন? মুসলিম নাম আজ ট্যাগিংয়ের স্বীকার। সেই সুন্নাত আজ প্রাকটিক্যালিী কেন মেলেনা কথিত আরেম সমাজের মাঝে! যাকে দেখেই মুসলিমতো ভক্ত হবেই অবিশ্বাসীরা্ও বিশ্বাস করবে- না সেই সঠিক। মানুষ এমনই হতে হয়।
সেই সত্য পেলে বাকী সব সহজেই পেয়ে যাবেন।
অনেক কষ্ট করেছেন। ভাল থাকুন। শুভকামনা রইল (যদি আমার শুুভকামনা অচ্ছুত টাইপ আপত্তি না থাকে হা হা হা
৭২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাপরে বাপ! আগে যখন এসেছিলাম তখন সাম্প্রতিক বিতর্ক ও পরিশ্রমী পোস্টটি পড়ে একটা মন্তব্য করবো বলে আশা প্রকাশ করেছিলাম। কিন্তু সেই সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এসে মন্তব্য ও প্রতি মন্তব্য পড়ে কমেন্ট করাটা ঠিক মহাসমুদ্রের মধ্যে সাঁতার কেটে তীরে পৌঁছানোর চেষ্টার মতোই হয়ে দাঁড়ালো। তবে পোষ্টটি ষোলোকলা উপভোগ্য। উভয় পক্ষের যুক্তি-পাল্টা যুক্তির গুলি ভীষণই সুন্দর হয়েছে। মূলত ধন্যবাদ দেব ব্লগার-@ নীল আকাশ,@ঈশ্বর কণা,@ ভুয়া মফিজ,@আহমেদ জী এস ভাইকে,@ কাল্পনিক ভালবাসা,@স্থিতধী, এবং পোস্টদাতা হিসেবে অবশ্যই আপনাকে। এমন আলোচনা সভার জন্য হাজারবার লগ ইন করা যায়। যদিও আলোচনা এখনও চলছে.... আমি রইলাম দর্শকাসনে।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভুই পাইছেন দাদা?
না না ভয় পাবার কিছু নেই। দৃষ্টি ভঙ্গি বদলে ফেলুন। নিজেকে সেই বিরাট শিশু ভাবুন।
মহা সমুদ্দুর দেখবেন- হাটুজল
হা হা হা
দর্শক না হয়ে অংশ নিয়ে ফেলুন -বিসমিল্লাহ বলে
শুভেচ্ছা রইল প্রিয় দাদা
৭৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫০
মরুর ধুলি বলেছেন: মুর্তি নাকি ভাস্কর্য- আসুন জেনে নিই প্রকৃত ইতিহাস।
Click This Link
৭৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: @ঈশ্বরকণাঃ চমৎকার সমাপনী বক্তব্য দিয়েছেন। আপনার মতো চমৎকার করে না পারলেও আমারও একটা দেয়া উচিত। ভদ্রতা বলে কথা, তাই না!!!
প্রথমেই বলি, আপনি বলার পরে চেক করে দেখলাম, আপনি যথার্থই বলেছেন। ইজমা, কিয়াস শব্দগুলো পোস্ট দাতা বিদ্রোহী ভৃগুরই আমদানি। সুতরাং সঙ্গতভাবেই আপনাকে অভিযোগ থেকে রেহাই দেয়া যায়। অভিযোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আর ব্লগে আমরা সবাই ব্লগার; ''ছোটখাটো ব্লগার'' বলে যেমন কিছু নাই, তেমনি ''চৌকস ব্লগার'' বলেও কিছু নাই।
আপনি বলেছেন, আমি সাধারণ মানুষ। ইসলামী জ্ঞান বা আরবি ভাষায় দখলদারি একেবারেই নেই। আবার আপনার ৫৭ নং বক্তব্যে আপনি বলেছেন, আমি নিজেকে ইসলামের স্টুডেন্ট হিসেবে ভাবতেই পছন্দ করি বেশি। তো সেখান থেকেই আমি ধরে নিয়েছিলাম যে, আপনি যেহেতু ইসলামের স্টুডেন্ট, সুগভীর জ্ঞান আপনার থাকাই উচিত, যদি না প্রশ্ন ফাস করে থাকেন!!!
রবিনহুডকে নিয়ে অযথা টেনশান করবেন না। ওই খৃষ্টান নাছারা ব্যাটা যাই করুক না কেন, কোন হাদিসই ওর জন্য কার্যকর না, কাজেই উদাহরন হিসাবেও টেকসই কিছু না। তাছাড়া ও বিলাতের কোন জাতীয় বীর টীরও না। ওই নামে একজন ছিল, বাকীটা মোটামুটি মিথ। কোন কিছুই তেমনভাবে প্রমানীত না। এটা নিয়ে অনেক বিতর্কও আছে। তাই সেসব নিয়ে কথা বলে সময় নষ্ট করার কোন মানে নাই।
আপনি বলেছেন, ভাস্কর্য বা মূর্তি সেটা একটা খারাপ কাজ সেটাতো আমি সহীহ আর মুতাওয়াতির হাদিস আর দলিল দিয়েই বললাম। ভাস্কর্য আর মূর্তি এক জিনিস না। মনে করেন, একটা রিকসা বানিয়ে কোন গোলচক্করে বসিয়ে দেয়া হলো। সেটা ভাস্কর্য হবে, মূর্তি না। একটা বিল্ডিংও ভাস্কর্য হতে পারে। তবে শুধু মূর্তি বললে বিষয়টা পরিস্কার। আপনি হাদিস আর ইসলামিক স্কলারদের রেফারেন্স দিয়ে অনেক কথাই বলেছেন। আমার বর্তমান অবস্থানটা পরিস্কার করি। তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে।
কোরআন শরীফ নিয়ে কোন কথা নাই। তবে, আল্লাহ পাক অনেক ব্যাপারেই কোরআনে কোন বিষয়কে প্রথমে শক্তভাবে নিষেধ করেন নাই। পরে আবার সেটাকে করেছেন। যেমন জুয়া খেলা। সূরা বাকারাতে (২:২১৯) আল্লাহ প্রাথমিকভাবে বলেছিলেন, জুয়ার কিছু ভালো দিকও আছে, কিন্তু খারাপের পরিমান বেশী (আমি হুবহু পুরোটা বলছি না, তাই রেফারেন্স দিলাম)। পরবর্তীতে সূরা মা‘য়েদাতে (৫:৯০-৯১) পরিস্কার করে বলেছেন, এটা শয়তানের কাজ। সুতরাং এটা থেকে দুরে থাকো। কিন্তু ভাস্কর্য নিয়ে এমন কিছুই বলেন নাই।
আসি হাদিসের কথায়। এ'ব্যাপারে আমার বক্তব্য ব্যাখ্যা করেছি ৩৬ নং মন্তব্যে। আমার কথা ঠিকমতো না বুঝেই দেখলাম কেউ কেউ 'এটা বিশাল গুনাহের কাজ' ইত্যাদি বলে সিরিয়াস হয়ে গেল! আপনাকে আরেকটু ব্যাখ্যা করি। মহানবী (সাঃ) এর মুখ-নিসৃত বানীর গুরুত্ব না বোঝার মতো নাদান বান্দা আমি না। তবে সেগুলো আমাদের কাছে সরাসরি আসে নাই, এসেছে হাত ঘুরে। মানছি, সহী হাদিস সংগ্রহকারীগন অনেক সাবধানতা অবলম্বন করেছিলেন। তারপরেও, দিন শেষে কারো না কারো কাছ থেকে শোনাই তো! কোরআন শরীফের বিশুদ্ধতা কি আসলেই হাদিস শরীফে আছে? কাজেই যেসকল হাদিস নিয়ে বর্তমানে জলঘোলা হচ্ছে বা সোজা কথায় বিতর্ক হচ্ছে, সেগুলিতে নিজের বিবেক-বুদ্ধি আমি কাজে লাগাতেই পারি। আবারও বলছি, যতোটুকু জ্ঞানই আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন, কাজে লাগানোর জন্যই দিয়েছেন। গোড়ামী করার জন্য না। আর জ্ঞানকে কাজে লাগানোর নির্দেশ আল্লাহই দিয়েছেন। তারপরেও ভাবছি এটা নিয়ে আরো পড়াশুনা করবো। দেখি, কনক্রীট কিছু পাই কিনা!!
এবারে তাহলে আসি আপনার নির্ভরতার আরেক স্থান ইসলামিক স্কলারদের ব্যাপারে। বর্তমানে দেশের স্কলারদের ব্যাপারে বলার কিছু নাই। ইনাদের কাজ-কারবার নিয়ে আস্ত একটা পোষ্ট দেয়া যায়। বর্তমানের মধ্যপ্রাচ্যের স্কলারদের কথা যদি বলি, সৌদি যুবরাজ এবং ইবলিশের ছোটভাই এমবিএস এর (যে কিনা সৌদি আরবের ভবিষ্যত বাদশাহ আর সেই সূত্রে ইসলামী জাহানের নেতা বনে যাবে) কোন কর্মকান্ড নিয়ে কোন স্কলার কি টু-শব্দ করেছে? করলেও হয়তো মিন মিন করে কিছু বলে থাকতে পারে, কোন মাধ্যম থেকে আমার কানে তো কিছু আসে নাই! এখন দু‘টা ফতোয়ার কাহিনী আপনাকে বলি। একদা ইসলামের ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু অটোমান সাম্রাজ্যে ফিরে যাই। ১৫১৫ সালে উলেমাদের শায়খ-আল-ইসলাম ফতোয়া দেন প্রিন্টিং প্রেস হারাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে অটোমান সুলতান প্রথম সেলিম প্রিন্টিং প্রেস ব্যবহারকারীদের জন্য মৃত্যুদন্ডের বিধান ঘোষণা করেন। আর ২০০০ সালে পাকিস্থান, আফগানিস্থান আর নাইজেরিয়ার আলেমগন ফতোয়া দেন, ভ্যাক্সিনেশান হারাম। ফলে বাচ্চাদের পোলিও টিকা দেয়াতে সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়া পরবর্তীতে সুদান আর ইন্দোনেশিয়াতেও ভ্যাক্সিনেশানের বিরুদ্ধে ফতোয়া দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এখন আপনি এনাদেরকে যদি স্কলার বলেন, বলতে পারেন। আপনার স্বাধীনতা। তবে আমি বলি না। এটা ঠিক, ভালো এবং জ্ঞানী আলেম নিশ্চয়ই আছেন, কিন্তু এনাদেরকে খুজে বের করার তরীকা আমার জানা নাই। কাজেই আলেম সমাজ তথা ইসলামিক স্কলারদের উপর আমার ভরসা কম। দুঃখিত।
আপনি বলেছেন, স্কলারদের মতামত জানার ইচ্ছেয় তাদের ফতোয়া, ব্যাখ্যা এগুলোর এক্সচেঞ্জ করে আলোচনা চলতেই পারে কিন্তু ইসলামের আইনের নতুন ব্যাখ্যা দেবার ইচ্ছে নিয়ে ব্লগে আলোচনা ঠিক নয় বলেই আমার ধারণা ।আপনাদের কথাবার্তায় আমার ধারণা আপনারা সেটা করতে চাইছেন নিজের যুক্তি ও তর্ক দিয়ে তাই না? ওই দায়িত্ব কুরআন দ্বীনের জ্ঞান যাদের আছে তাদের হাতে দিয়েছে, সাধাৰণ মানুষের ওপর নয়। স্কলারদের ফতোয়া আর মনোভাবের কয়েকটা মাত্র উদাহরন উপরে দিয়েছি। আরো বহু আছে। কাজেই এমন কোন কোন বিতর্কিত ক্ষেত্রে মহান আল্লাহ আমাদেরকে যেই জ্ঞান দিয়েছেন, তার উপরে কিন্চিৎ নির্ভর করাকে আপনি দোষনীয় মনে করছেন কেন বুঝে আসে না। এই জ্ঞানও তো আল্লাহ পাক-ই দিয়েছেন, নাকি?
একইভাবে মূল মহা অপরাধ হচ্ছে শিরক ও মূর্তিপূজা । একে নিষিদ্ধ করার সাথে সাথে যে সব ছোট ছোট কাজের মধ্যে দিয়ে মূর্তিপূজার শুরু হবার আশংকা থাকে সেসব পথে মানুষের যাতায়াত যাতে সহজ না হয় তাই সেসব পথও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং মূর্তিপূজার উপায় ও কাছের কারনগুলোকেও হারাম করে দেওয়া হয়েছে। এই নীতির ভিত্তিতেই প্রাণীদের ফটো ও নির্মাণ ও ব্যবহার হারাম করা হয়েছে । আপনার এই বক্তব্যে আমার কেন জানি মাথা ব্যাথার জন্য মাথা কেটে ফেলার প্রেসক্রিপশানের কথা মনে পড়ে গেল। এখনকার অনেক নিরীহ-দর্শন কাজ বা ব্যবস্থাই এ'ক্ষেত্রে বাদ দিতে হবে। ব্যাপারটা শেষে না আবার নন্দলালের কবিতার মতো হয়ে যায়! ওই যে……..নন্দলাল তো একদা একটা করিল ভীষণ পণ!!! এমনিতেই মন্তব্য বড় হয়ে যাচ্ছে, তাই এ'ব্যাপারে উদাহরনসহ আলোচনা করে আরো বড় করতে চাই না। অনেক কিছু বলতে হবে। সুতরাং মন্তব্য আর দীর্ঘায়িত না করি।
আপনার মতো আমিও এই পোষ্টে আর মন্তব্য করছি না। তবে, আমার ব্লগের ইতিহাসে এতো বিশাল বিশাল মন্তব্যসহ এতো দীর্ঘ আলোচনা ইতোপূর্বে কারো সাথেই করি নাই। এই আলোচনা থেকে আপনি কিছু পেলেন কিনা জানি না, তবে আমি আরো জানার আগ্রহ পেয়েছি। সেজন্যে আপনাকে ধন্যবাদ। আশা করছি, ভবিষ্যতে অন্য কোন বিষয়ে আলোচনা আপনার মূল নিকের সাথেই করতে পারবো।
ভালো থাকুন। সুস্থ আর সাবধানে থাকুন। করোনার টিকা প্রথম সুযোগে অবশ্য অবশ্যই নিয়ে নিবেন।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রিয় ভায়া , অতি ব্যবস্ততার মাঝেও আপনার দারুন সক্রিয় অংশগ্রহনে কৃতজ্ঞতা।
ঐযে একটা কথা আছে না- বিনা দলিলে আল্লাহ এক!
বিশ্বাস আর ভালবাসায় অনেকটাই এমন অনুভব বেশি সহায়তাকারী।
কুতর্ক আর কুযুক্তি শুধুই মানসিক অবসাদ আর উত্তেজনার খোরাক হয়।
অতি সহজ সরল সত্যটাও বুঝতে না চাইলে কাউকে বোঝানো অসাধ্য।
ভাস্কর্যের চেয়ে বেশি দরকারী হাজারো অনাচার জীবন যাপনে ওতপ্রোতভাবে মিশে গেছে।
মানুষের স্বাভাবিক মানুষ পরিচয়ের নূন্যতম মাপকাঠি হারিয়ে গেছে অনাচারের স্রোতে।
স্রেফ সূরা মাউন দিয়ে যদি সমাজকে চালুনি করি- এক দুজন নামাজী বা সালাত আদায়কারী পাওয়া কঠিনই
শুধু নয় দুস্করও বটে। অতচ দেশ ভরা মসজিদ, ইমাম, মওলানা, মুসল্লি।
দোষ কার? ধর্মের? কোরআনে? হাদীসের?
না।
মানুষের।
তাদের, যারা ইসলামী লেবাস ধারন করে প্রতিনিধিত্ব দাবী করছেন।
মসজিদের শহর ঢাকার তো দূর্নীতি চ্যাম্পিয়ন হবার কথা নয়।
মসজিদ মাদ্রাসায় বলাৎকারের মতো জঘন্য অপরাধতো কল্পনারও অতীত।
অথচ তাই সত্য।
মৌলিক এই জায়গাগুলো ঠিক হলে- আবার ফিরে আসবে তাদের সুদিন।
মানুষ বিনা প্রশ্নেই মেনে নেবে তাদের কথা। ভালবাসায়, আনুগত্যে।
আপনার জন্যেও অনেক অনেক শুভকামনা।
করোনায় সতর্ক থাকুন। টিকা ভাগ্য হবে কিনা জানিনা। তবে আপনি কিন্তু মিস করবেন না।
৭৫| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৩২
ফটিকলাল বলেছেন: পোস্টের চাইতে কমেন্ট গুলো আরো বেশী স্বতঃস্ফূর্ত।
এটাই তো আদর্শ ব্লগিংয়ের উদাহরন সুহৃদ।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া
আপনিতো ফাটিয়ে দিচ্ছেন।
সব দেখে শুনে মনে হচ্ছে আবার শুরু থেকে শুরু করি
অনেক অনেক শুভকামনা
৭৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৪
মরুর ধুলি বলেছেন: এতো দিন যারা ভাস্কর্য আর মূর্তি ভিন্ন ভিন্ন বলে বগল বাজাচ্ছিলেন তাদের সহিহ ছবক দিলেন দাদাদের আনন্দবাজার পত্রিকা । দুঃখজনক আমাদের দাদারাও বুঝ ভাস্কর্য আর মূর্তি এক জিনিস কিন্তু আমাদের ভাইজানেরা বুঝেনা। জেগে জেগে ঘুমালে যা হয় আর কি!
https://www.anandabazar.com/international/dhaka-high-court-ordered-to-protect-every-sheikh-mujibur-rahman-s-idol-across-the-country-1.1240301
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাই আনন্দবাজেরের বুঝে তো আমার বুঝ নয়। তারা গোলমালে আলুপোড়া দিতেই পারে- তানিয়ে ভাবনার সময় কই?
আমি বুঝি ভাস্কর্য আমার স্মৃতির স্মারক। পূজার নয়। আরাধনার নয়। উপাসনার নয়।
মূর্তি সনাতন ধর্মী ভাইদের বিশ্বাস। তাতেও আঘাত করার কোন অধিকার আমাদের নেই।
এবং কোরআন ও হাদীসে স্পষ্ট নিষেধ করা আছে- বিধর্মীদের নিয়ে কটুক্তি, বা তাদের পূজ্য বিষয় নিয়ে মন্দ কথা বলা নিয়ে।
কারণও বলা আছে।
তাই ধর্মের মৌলিক সমস্যার পাহাড়ে ডুবে থেকে এসব অতি তুচ্ছ বিষয়ে জজবা দেখানোতে জাতির বা ইসলামের কতটুকু কল্যান তা ভাবনার বিষয় বৈকি। ঘুষ, দূর্নীতি, অন্যায়, মিথ্যার বিরুদ্ধে জিহাদ করুন। দারিদ্র, এতিম অসহায়দের জন্য আজ ভিনদেশী এনজিও ভীরে স্রেফ এক মসজিদইতো আমি দেখি যথেষ্ট। যদি তা কোরআন আর সুন্নাহর আলোকে চলে। ঐ এলাকায় কোন দরিদ্র থাকার কথা নয়।
মসজিদ কমিটিতে ঘুষখোর, সুদখোর, দূর্নীতিবাজদের রেখে- তাদের আনুগত্য করে ইমামের চাকুরী কতটা ধর্ম স্বীকৃত বা সহিহ পদ্ধতি তা গবেষনার বিষয় বৈকি। অন্যায় অবৈধ দানে মসজিদে টাইলস, এসি লাগানো ধর্ম কতটা প্রতিষ্ঠিত হয় জানিনা, তবে ক্যটাগরাইজড হয়ে যাচ্ছে অজান্তেই। যে পূজির দাসানুদাস হয়, সে আর যাই হোক সাম্যের ধর্ম ইসলামের অনুসারী বা আদৌ সে মুসলিম কিনা তাইতো ভাবার বিষয়।
ভেবে দেখুন।
৭৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৪
সোহানী বলেছেন: ব্যাস্ততার কারনে তোমার এ চমৎকার লিখাটি মিস করে গেছি। ধন্যবাদ লিখাটির জন্য।
বিশাল মন্তব্য এর কিছু অংশ পড়েছি। যে যার দৃষ্টিভঙ্গী থেকে দেখছে এবং সেটাই স্বাভাবিক। ধর্ম নিয়ে ক্যাচালে যাই না, সেটা বিশ্বাস। সে যেভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চায় সেটা সেভাবেই প্রতিষ্ঠা পাবে।
আমার হাত নিশপিস করছিল এ নিয়ে আমার অবস্থান লিখার। কিন্তু তোমার লিখাই অমার চিন্তার প্রতিফলন। শুধু বলবো, ধর্মে অনেক ভালো কথা ভালো কাজের কথা বললেও আমরা সে দিকে ফিরেও তাকাই না। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে মাতামাতি করি। আর যে জাতি ভার্স্কয কি জিনিস তা বুঝে না? নাকি বুঝে ও না বোঝার চেস্টা করে। তারপরও বড় কথা যে যেভাবে তার ধর্ম পালন করবে সেটাতে বাধাঁ কেন দিবো! একটি দেশের ভার্স্কয সে দেশের সমসাময়িক কালচারকে রিপ্রেজেন্ট করে। সেটা ধ্বংস করে দিবো, আমরা কি এতোটাই ধর্মীয় অন্ধ?
দেশের সমসাময়িক ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি দেখে খুব অবাক হই। বিশ্ব চলছে বিজ্ঞান উন্মোদনায় আর আমরা চলছি ধর্মীয় উন্মোদনায়! দেশ কি তাহলে পিছনের দিকে হাটছে???
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে নভেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:২৯
মরুর ধুলি বলেছেন: পৃথিবীর ইতিহাসে যে মহামানবটির কথা-কাজ-চরিত্র নিয়ে শাতাব্দির পর শতাব্দি আলোচনা হয়েছে-হচ্ছে, যার সিরাত-সুরাত কোটি বনি আদমের আদর্শ, যার পদার্পন অন্ধকার বনি আদম সমাজকে নুরে নুরান্বিত করেছে, জ্যোতিময় করেছে পথহারা কোটি মানুষের হৃদয়-তিনি মহান নবি মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম। খোদ অনৈসলামিক স্কলারর্সগণও যার মহানভবতার কথা ও পৃথিবীর প্রতি যার অনুগ্রহের কথা অস্বীকার করেন না তিনি মহান নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম। ইসলামি শরিয়াতে মুর্তি কিংবা ভাস্কর্য স্থাপন যদি জায়েজ কিংবা বৈধতার লেশমাত্রও সমর্থন করতো তাহলে পৃথিবীব্যাপি মুসলিম দেশগুলোতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর হাজারো ভাস্কর্য দৃষ্টি কাড়তো।
মূর্তি ও ভাস্কর্যের আলোচনায় এর সংজ্ঞা বিভিন্ন মহল বিভিন্নভাবে দিয়েছেন, দিচ্ছেন। এগুলো এক না ভিন্ন ভিন্ন বস্তু তা নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে কিন্তু এতোদুভয়ই স্থাপন করা হারাম ও নিষিদ্ধ তাতে কোন স্কলারগণ দ্বিমত পোষণ করেননা। এখনো পর্যন্ত গ্রহণযোগ্য কোন আলেম বা মুফতি সাহেব ভাস্কর্য নিমার্ণকে হালাল বা জায়েজ বা বৈধ বলে ঘোষণা দেন নি।
তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়াও যদি হয় যে, মুর্তিকে পূজা করা হয় বলে তা অবৈধ আর ভাস্কর্যে পূজা করা হয়না বলে তা অবৈধ নয়। তাহলে আমি বলব ঘুষ আর সুদ দুইটাই ভিন্ন ভিন্ন বিষয় কিন্তু উভয়রই হুকুম শরিয়তে এক অর্থাৎ হারাম। ভাস্কর্য আর মূর্তি ভিন্ন ভিন্ন বস্তু হয়ে থাকলেও তাদের হুকুমও এক- অবৈধ এবং নিষিদ্ধ। এখন শরিয়ত না মানলে তারাতো বিভিন্ন ভাবে বৈধতার ছব্ক আমদানি করবেনই-এটা আর নতুন কি ?