নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তখন সদ্য তারুন্য ছুঁয়েছে।
উড়ু উড়ু মন। যা খুশি তাই করাতেই আনন্দ। যেখানে খুশি সেখানে যাওয়াতেই এডভেঞ্চার অনুভব। তাই টুইশানির ভাবী যখন বল্লেন উনারা দু সপ্তাহের জন্য গ্রামে যাবেন- আমিও যেন সাথে যাই....! মানা করার কোন কারণই ছিল না। সো পরদিন ব্যাগ এন্ড ব্যাগেজ রাতে লঞ্চের কেবিনে।
নতুন এলাকা। নতুন মানুষ। দারুন কাটলো দুটো দিন। তৃতীয় দিন ভোরে চমকে উঠলাম! স্বপ্ন দেখছি নাতো। এই পরী কই থেইক্যা আসলো! আবার আমার পায়ে সুড়সুড়ি দেয়! শীত ঘুমের ঘোর কাটতে সময় লাগলো বেশ। অত:পর পিট পিট করে ঘাপটি মেরে থাকা!
এবং আসামী রেড হ্যান্ড কট!
বেচারী লজ্জ্বায় ভুত! আমিতো ছাড়ছিনা। আমার ছাত্রী এসে পরে বাঁচাল। ওদের কাজিন। কালই ফিরেছে নানুবাড়ী থেকে। আমার কথা নাকি এত এত শুনেছে তাই দেখতে এসেছে। আমার মুগ্ধতার দৃষ্টি মনে হয় বেশ কড়াই ছিল। ছুটেই পালাল হাসতে হাসতে।
বেড়াতে আসা যেন অন্যমাত্রা পেয়ে গেল। আহা আজ সূর্যটা কি দারুন! শীতের কুয়াশা মোড়া ভোর যেন কোন স্বর্গীয় দৃশ্য। গাছ থেকে নামানো কাঁচা খেজুর রস যেন অমৃত! রান্না ঘরে বসেই বানানো পিঠে পুলি সাবার করছিলাম। আবার এলো অপ্সরা।
ভাবী ডেকে এনে পাশে বসালো। এত লজ্জ্বা পাচ্ছিস কেন। আয় বোস। মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম!
আহা এমন চুল আর চোখ আর মূখ দেখেই বুঝি জীবন বাবু লিখেছিলেন অমর কাব্য
চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা,
মুখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য; অতিদূর সমুদ্রের ’পর
হাল ভেঙে যে-নাবিক হারায়েছে দিশা
সবুজ ঘাসের দেশ যখন সে চোখে দেখে দারুচিনি-দ্বীপের ভিতর,
তেমনি দেখেছি তারে অন্ধকারে; বলেছে সে, ‘এতদিন কোথায় ছিলেন?’
মুগ্ধতায় ভেসে গেলে দিন রাত। সময় যেন পালাচ্ছে উসাইন বোল্টের দ্রুততায়।
একদিন রাতে সবাই মেহেদী লাগাবে হাতে। আমার আঁকা আকির সুনামে মেয়ে মহলে বেশ কদরী ছিলাম তখন। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হলো মেহেদী আঁকা। দু’জন শেষ হতেই যে হাত পাতলো - দেখে হার্টবিট মিস করলাম কয়েকটা।
ইতস্তত: ভাব দেখে ভাবী সম্মতি দিলেন- পরে হাতটা ধরলাম। শুরু হলো আঁকা...
উষ্ণতা, পূর্নতা, স্বপ্ন, সূখ এক মিশ্র তারুন্যানুভবে মাতাল
হঠাৎ তার বড় ভাই ঢুকলেন ঘরে। কেমন কেমন করে তাকালেন। একটু সরে নড়ে বসলেও কাজ চলতে থাকলো। গম্ভীর মূখ করে ঢুকে গেলেন বসার ঘরে। তারপর হঠাৎ করে ধপাস শব্দ! সবাই চমকে উঠে দাড়ালাম।
গিয়ে দেখি বিছানায় চিৎ হয়ে পড়ে আছেন। এক পা বিছানায় এক পা মাটিতে। বেহুশ হাল যেন। খালাম্মা খালুর দৌড়াদৌড়ি দেখে বিস্মিত হলাম। অপ্সরাকেই জিজ্ঞেস করলাম। কি হয়েছে? রাগ করেছে তোমাকে মেহেদী দিচ্ছি দেখে।
মাথা ঝাকিয়ে বললো -না। উনার উপর পরী এসেছে।
ধুর! বলে হেসেই উড়িয়ে দিলাম। এসব বাকোয়াস। জ্বিন, পরী, ভূত কিছু নেই।
ঠোটে আঙুল দিলো। না না জোরে এসব বইলেন না। আমি অবজ্ঞার হাসি হেসে দেখতে থাকলাম্
তাড়াতাড়ি জায়নামাজ নিয়ে এলো। আতর সুগন্ধি নিয়ে এলো। খালা নিজে অজু করে এলো তারপর তাতে নিজে ধরে ছেলেকে শুইয়ে দিয়ে আতর মেখে দিল। এরপরই শুরু হলো অদ্ভুত গোঙানী। ঘুরে ঘুরে দম নেবার মতো করে। যেন একবার উপরে উঠছে আবার নীচে নামছে এমন লয়। এরপরই হঠা; চীৎকার বাত্তি নিভায়া দে! সবাই একপাশে জড়সর হয়ে বসা। আমিও ভীরের মাঝে বসলাম। তামাশা দেখবো। কিন্তু বাত্তি নিভালে কেমনে কি?
তার দ্বিতীয় আদেশ দ্রুতই পালন করা হলো। এরপর নারী কন্ঠের উর্দু গজল শুরু হলো। সত্যি কন্ঠটা দারুন সুরেলা। আর বেশ নির্ভুল গাইছিল। অথচ ছেলেটা কিন্তু ফাইভ পাস। গ্রামে থাকে লেখাপড়া করেনি বললেই চলে। হিন্দিও বোঝেই না, বলবে কি! বেশ কিছুক্ষন গাওয়ার পর হঠাৎ সব চুপ! অন্ধকারে চোখ বড় বড় করে কিছু অনুভব করার দেখার চেষ্টা করছি।
হঠাৎ ধপাস শব্দ। যেন একতলা সমান উঁচু থেকে কোন বস্তা কেউ ফেললো।
ধুম ধাম! এর পরই তাঁর মায়ের চিৎকার - দোহাই আল্লা রাসুলের। দোহাই পীর আউলিয়ার আপনি আমার ছেলেরে ছাইড়া দেন।
আবার সেই গোঙাণী -সাথে মেয়েলী সুরে -না! তোর ছেলেরে নিয়ে যাব। তুই দাবী ছাড়!
বলা শেষ হতেই আবার ধুপ ধাপ। সাথে মায়ের কান্না। না। আমি দাবী ছাড়মু না। দোহাই দিতেই লাগলেন। আবার দারুন গজল চলতে লাগলো। তারপর হারিকেনটা উস্কে দিতেই হঠাৎ ছোটাছুটি। কেউ গ্লাসে নিয়ে আসছে, কেউ বোতল। ধরে ধরে ফু দিচ্ছে।
তাবিজ দিচ্ছে। কিন্তু কোন বিনিময় নিচ্ছে না।
এরপর স্পষ্ট দেখলাম হঠাৎ শুন্যে উঠে গেল আর তারপরেই ধপাস। বাত্তি নিভা। চিৎকার।
বেশ কয়েকবার আছাড় দেবার পর আবার গোঙানী। আমার মনে তাকে পরীক্ষা করার দারুন কৌতুহল। হারিয়ে যাওয়া ছোট ভাইটার খবর জানার জন্য প্রশ্ন করতে বল্লাম।
প্রশ্ন শুনে অনেকক্ষন চুপ থেকে আবার গোঙানী। তারপর বললো - নাই নাই...সীমার মাঝে নাই।
আরো কিছু জানতে চাইতে গেলে বাকীরা থামিয়ে দিল। তারপর সব স্বাভাবিক। বাতি জ্বেলে সবাই খেতে গেল। ঐ ভাইটা শুধু একরুমে একা চলে গেল।
পরদিন সকালে সব স্বাভাবিক। শুধু তার চেহারা দেখে চমকে গেলাম্ চোখে গভীর করে আঁকা সুরমা। কেমন যেন নূরানী একটা জেল্লা ঠিকরে বেরুচ্ছে। গায়ে ভুরভুরে আতর্ মাথায় টুপি । খালা বললেন যখনই আছর করে সাতদিন এই হালে থাকবে। নামাজ কাজা করবে না। সব সময় পবিত্র থাকবে। পরীটা নাকি তাকে নিয়ে যেতে চায়। খূব ভাল পরী কোন ক্ষতি নাকি করে না। উল্টো পরহেজগার বানিয়ে দেয়।
অপ্সসার বাকী কাহিনী তোলাই থাক। অলৌকিক এ অংশ টুকু আজো রহস্য হয়েই রইল।
যে পরিমাণ জোরে জোরে আছাড় দিয়েছে, এর একটা আছার খেলে কোন সুস্থ লোক সাতদিন বিছানা থেকে উঠতে পারবে না। আর নরমালী যে লোক একটা হিন্দি কথাও বোঝে না- সে কি করে অবলীলায় গজল গাইল?
আজো বুঝে আসলো না!
# কা_ভা ভাইয়ের ঘোষনা মতে আজ রাত বারোটায় অলৌকিক ঘটনা নিয়ে লেখা দেবার শেষ সময়। তই ঝটপট শেষ ট্রেনটায় উঠে পড়লাম আবারো
ছবি কৃতজ্ঞতা: গুগুল
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
পাগলের সূখ মনে মনে
দিনের বেলা তারা গোনে!
আপনার হ্যাপিনেস মোবারক হো
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৩
শোভন শামস বলেছেন: আপনার অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ সমৃদ্ধ, সিরিজ লিখে যান, ভাল লেগেছে।
এটা দিয়েই বেশ কয়েক পর্ব হবে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া - - -
কাভা ভাই অলৌকিক সিরিজ আয়োজন করাতেই সব স্মৃতির ঝাপি নেড়ে চেড়ে দেখার সুযোগ মিললো!
ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম্।
রাত বারোটায় লাষ্ট টাইম। তাই ঝড়েরর গতিতে শর্ট ফর্মে নামালাম আরকি
শুভেচ্ছা রইল
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৭
ওমেরা বলেছেন: এই পরী আমি ছিলাম না , আগেই বলে দিলাম । হতে পারে আমারই কোন বোন । তবে এটা আসল পরী।
আমি একটা গল্প শুনেছি , সেই ছেলেকে নিয়েই গিয়েছে । আমার ভালো মতো মনে নেই সেই গল্পটা ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
যাক কাজিন (বোনের বোন) পরি যখন চিনেছি তখন না হয়, আছড় করতেই হয়
হুম এমন অনেক গল্প শুনেছি, বাট এটা একদম নিজে কাছে থেকে দেখা।
পরে ওনাকে নরমাল হিন্দী দিয়ে টেষ্ট করছি, কিচ্ছু বোঝেনা, অথচ কি সাবলীল সুরেলা নারী কন্ঠে হিন্দি গজল
গেয়ে গেল!! বিস্ময়কর!
মনে পড়লে একসময় লিখেন।
৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৭
সাগর শরীফ বলেছেন: ভাল লাগল।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া
শুভেচ্ছা রইল
৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: শেষ ট্রেন হলেও গল্পে পরীর আসর আছে নিবে যাবে স্বর্গে
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
হা হা হা
তবে ঘুরে েএসে না হয় স্বগ্গের গপ্প কইবো খন
শুভেচ্ছা রইল ভায়া
৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫০
জুন বলেছেন: ভৃগু আমি কাল মন্তব্য করবো । এত রাতে এত ভুতের গল্প পড়লে
প্লাস দিয়েছি কিন্ত ।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অমা সেকিগো!
ভুত পেলে কই? এতো পরীর কাহিনী
তাও ভাল পরী। ছেলেকে দেখো কেমন নামাজী বানিয়ে দেয়
অকে। অপেক্ষায় রইলাম।
আর প্লাসের জন্য এত্তগুলান ধইন্যা
৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২০
মা.হাসান বলেছেন: ডাবল পরীর গল্প। শুধু মেহেদি লাগালেন, বিনিময় কিছু নিলেন না?
পরীর ঘটনা অনেক আছে। বেশির ভাগ ভুয়া। কিছু ঘটনা সত্য হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এইরে আপনি দুটোই দেখে ফেললেন
হা হা হা
মেহেদী লাগানো শেষ হবার আগেইতো পরীর আগমন ঘটে গেল!
বিনিময়ের গল্প সে আরেক মানবীয় বিশাল কাহিনী
হবে খন অণ্য কোন দিন অন্য কোন গল্পে
অনেক ধন্যবাদ ভায়া
শুভেচ্ছা অন্তহীন
৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি তো আসল পরীর গল্পটাই বললেন না। সেটা কি আপনার ঘাড়ে আসর হয়েছিলো? নাকি সেখানেই ইতি?
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভায়া আপনিও
সে আরেক ইতিহাস। আপাতত অলৌকিকতাতেই থাকুক
লৌকিক পরীর গল্প না হয় হবে আবার অন্য কোনদিন অন্য কোন গল্পে
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া
শরীরটা ভাল হয়েছে কি?
৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৯
যায়েদ আল হাসান বলেছেন: এত দারুণ করে লেখাটা সাজালেন কী করে?
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার ভাল লাগার দারুন প্রকাশে অনুপ্রেরণা হয়ে রইল
অনেক ধন্যবাদ ভায়া
শুভেচ্ছা রইল
১০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: গ্রামের অনেক ছেলেকেই পরীতে ধরতে দেখেছি।এক ছেলেকে দেখেছি তালগাছে উঠে বসে থাকতো,ডাকা ডাকি করলেও নেমে আসতো না।ঐছেলে তালগাছে উঠতে জানত।অন্য ছেলেদেরও পরীতে ধরত,কিন্তু যে তালগাছে উঠতে জানত না তাকে কখনো পরী তালগাছে উঠাত না।
আমি নিজেও অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে তালগাছে উঠতে পারতাম।
আমাকেও একবার পরীতে ধরে ছিল।যাত্রাদলে একজনকে দেখলাম কি সুন্দর বাঁশি বাজায়।মাথায় ভুত চাপল বাঁশি বাজানো শিখতে হবে।নিজেই বাঁশ কেটে তৈরি করলাম এক সুন্দর বাঁশি।কিন্তু ভাল বাজাতে আর পারি না।একজন বললো গভীর রাতে চেষ্টা করো পারবে।যেই কথা সেই কাজ।রোজ গভীর রাতে বাঁশি বাজাই।মা কিভাবে বিষয়টা জানতে পারে।সারা গ্রামে প্রচার করে দিল,আমার ছেলেকে পরীতে ধরেছে।ছোট খাট কবিরাজ দেখানো হল।আমি যত বলি পরী ফরী কেউ ধরেনি কিন্তু কেউ বিশ্বাস করে না।অগত্যা আমিও তাদের পথেই হাটতে শুরু করলাম।বানিয়ে বানিয়ে পরীর সাথে আমার সম্পর্কের কথা বলতে শুরু করলাম।গ্রামে আমার গুরত্ব অনেক বেড়ে গেল।পরে দেখলাম বাঁশি বাজানো আমার কম্ম না।বাঁশি বাজানো ছেড়ে দিলাম, পরীও আমাকে ছেড়ে দিল।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম . .
তালগাছে না হয় দক্ষতার ব্যাপার বুঝলাম, কিন্তু বাশঝাড়ে? বা মগডালের গল্পে কি বলবেন?
আমার বাঁশি গল্পে মজা পেলাম। এমনটাও অনেক হয়, প্রচলিত ধারার বাইরের কিছুকে এসব গল্পের আড়ােল ধামাচাপার চেষ্টা হয়!
বা কোন নারী ধর্ষিত হলেও ধামাচাপা দিতে জ্বিন পরীর গল্পও শুনেছি।
যাক বাবা অল্পতেই পরীর থেকে বেঁচে গেলেন হা হা হা
১১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: এই আধুনিক যুগে এসে জ্বিন পরী টরী আমি বিশ্বাস করতে পারবো না। স্যরি।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি কি মুসলিম?
তাহলে জ্বিন বিশ্বাস করতেই হবে। এটা । আল্লাহর ঘোষনা। সূরা জ্বিন আছে কোরআনে।
এছাড়াও আছে
"ওয়ামা খালাকতুল জিন্নাহ ওয়াল ইনসা ইল্লাহ লিয়া বুদুন" - আমি জ্বিন ও ইনসানকে সৃষ্টি করেছি আমার ইবাদতের জন্য।
এখন আপনি অবিশ্বাসী হলে বিশ্বাস না করেন নাই!
১২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৫৯
জোবাইর বলেছেন: ব্লগে এখন জ্বীন আর ভুতের যেই ছড়াছড়ি ভয়ে ব্লগেই আসি না । দূর থেকে আপনার পরীর পোস্ট দেখে সাহস করে ঢুকলাম। কারণ পরীরা সুন্দরী ও দয়ালু হয়। পরীর এ ধরনের কাহিনী লোকমুখে অনেক শুনেছি, তবে চোখে দেখি নাই। তবে আজকে আপনার নিজের অভিজ্ঞতা শুনে মনে হচ্ছে, আহা! জীবনে যদি কোনো পরীর সুনজরে পড়ার সৌভাগ্য হতো জীবনটাই পাল্টে যেতো।
ছবি ও বর্ণনা চমৎকার হয়েছে +++
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
দেখেন না, শেষ বেলায় ট্রেন মিস করিনি, আমিও দৌড়ে উঠে এলাম পরীেক সাথে নিয়ে
আহা! আর বইলেন না। লাল পরী নীল পরি কত্ত স্বপন দেখলাম!
কেউ আইলো না!
অনেক অনেক ধন্যবাদ
প্লাসে অনুপ্রানীত হলাম। শুভেচ্ছা অন্তহীন
১৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:১৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বিদ্রোহী ভৃগু ভাই,
ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া চলন্ত ট্রেনের জানালা দিয়ে যদি কোনো হলুদ ছোট বাড়িন আঙিনা থেকে শেফালী ফুলের ঘ্রাণ পেয়ে থাকেন - ধরে নিবেন এটি আমার বাড়ি, লক্ষ্য করলে আমাকে দেখতে পেতেন, আমি ঘরের জানালার পাশেই বসি। চলন্ত ট্রেন দেখতে আমার ভালোই লাগে।
আপনার যাত্রা শুভ হোক।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ!
দারুন করে দিলেন তো বাড়ীর ঠিকানা!
এখন ভানুর কৌতুকের মতো কইতে হয় একখান কথা আছে?
ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া কোন রুটে?
ঢাকা- চিটাগাং? না ঢাকা রাজশাহী?
রাজশাহী হইলে কথা নাই। ঢাকা চিটাগাং হইলে একখান কথা আছে !
হা হা হা
থাক ক্ষেমা দিলাম। বরং একদিন দাওয়াত দেন। যাতে আপনার সাতৈ জানালায় বসে ট্রেন দেখতে দেখতে এই গল্প করতে পারি
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া
শুভেচ্ছা অন্তহীন
১৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: ধ্যাত্তেরি কোথা থেকে কোথায় চলে গেল। ভেবেছিলাম রক্ত মাংসের অপ্সরা নিয়ে গল্প শুনব কবির মুখে- তা না মাঝখানে অশরীরী পরি এসে সব গুবলেট করে দিল!!!
আপনার গদ্য সাহিত্য যে কাব্যের মিশেল থাকবে সেটা আমার ধারনাতেই ছিল। লেখার গুনে পরির প্রতি মোহাবিষ্ট হলাম।
ভুতের ভয়ে ভুতকে দূরে সরাই- কিন্তু এ পরির কাছে যেতে মন চায়
অপ্সরার কথা বাকিটা কিন্তু লিখবেন... নাহলে আর কবিতা পড়ব না
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
এমন মওক্ষম জায়গায় জীবন বাবুকে না বসালেই বরং অন্যায় হতো, আর আবেগটুকু ফুটেও উঠতো না যথাযথ
তাই আরকি! কানে মূখে বলি-
আর এ কান্ড নিয়ে মহাকান্ড করেছিলাম গ্রাজুয়েশনে বাংলা পরীক্ষায়...
এক প্রশ্নের উত্তরে দেখি আমার ক’টি চরণ বেশ খেয়ে যায়। ব্যাস কোন এক কবি বলেছেন বলে লাগিয়ে দিলাম
নিজের কাঁচা চরণ অমা। বাংলায় পুরো কলেজে হাইয়েস্ট মার্ক হা হা হা
আহা পরীর স্বপ্নে কত রাত পরীময় হয়েছিল
লিয়েনার মতো শী’র সূখের ঝলক ছলকের পর কি আর দেশী অপ্সরায় মন ভরবে
১৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০০
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: ভদ্রলোকের উর্দু গজল গাওয়ার একটা সাইকোঅ্যানালাইসিস করবার চেষ্টা করা যেতে পারে। উর্দু গজল কি হামদ - নাত ছিল, নাকি মানবিক প্রেম - ভালোবাসা সংক্রান্ত ছিল, এটা লেখায় ক্লিয়ার করেন নি। যদি মানবিক প্রেম - ভালোবাসা সংক্রান্ত হয়ে থাকে, তবে হতে পারে যে উনি এই গজল অনেক আগে কোথাও শুনেছিলেন , সেটা তার মনের অবচেতনে লুপ্ত হয়ে ছিল। হয়তো তিনি কারো প্রেমে পড়ে ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলেছিলেন , ফলে তার মনের সুপ্ত কুঠুরি থেকে সেই গজল আবার বের হয়ে এসেছিল। যেমন, আমার জীবনে প্রেমের কনসেপ্টের সঙ্গে খুব ওতপ্রোতভাবে জড়িত নুসরাত ফাতেহ আলী খাঁ সাহেবের কাওয়ালি। মানে, ভেতরে রোমান্টিসিজম ভর করলেই আমি ওনার কাওয়ালির শায়েরিগুলো গুণগুণ করতে থাকি।
যাই হোক, আমাদের ব্রেইনের মেমোরি স্টোর করবার ক্ষমতা অদ্ভুত। কখন কোন জিনিসের ঘাতে প্রতিঘাতে কত পুরনো একটি স্মৃতি ফিরে আসে কেউ বলতে পারে না। আর প্রাক বৈবাহিক প্রেমকে যদি উনি অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করেন (যেমন অনেক প্রাকটিশিওনার মুসলিম করে), তবে তার প্রতিঘাতে আত্মগ্লানি থেকেও কিছুদিন কঠিন ধর্মীয় জীবন লিড করা সম্ভবপর হতে পারে।
সুন্দর গল্প লিখেছেন। আমার জীবনে পায়ে সুড়সুড়ি দেয়া কোন পরীর আবির্ভাব ঘটবার পূর্বেই নাড়া বেঁধে ফেললাম। আফসুস।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহ, রোমান্টিক মুহুর্তের আপনার সামনে থাকতে হয় তবে
কাওয়লী শোনা যাবে।
তবে যাই কন না কন, যেই আছাড় গুলো দিয়েছে, কোন সুস্থ মানুষের পক্ষে এ সহ্য করাও কঠিন!
ব্যাখ্যার চেষ্টায় সাধুবাদ!
হা হা হা
আহারে, এখন আর কি নাড়া বাঁধা পায়ে সুড়সুড়ি পাবার চেস্টা করুন
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা রইল
১৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯
আজাদ প্রোডাক্টস বলেছেন: একটা পরী পাইলে প্রথম পাতায় একসেস পাওয়ার জন্য একটা তাবিজ চেয়ে নিতাম।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একেবারেই ভীন্নধর্মী চাওয়া
কা_ভা (পরী) ভাইকে অনুরোধ করছি সানুগ্রহ দৃষ্টি দিতে
সবুরে মেওয়া ফলে ভাইজান।
আমরা কত কত সপ্তাহ পার করে,পরে পেয়েছি সেই অধিকার,
সেই হিসেবে খান্দানী অভিজ্ঞতা দিে যাচ্ছেন বলতেই পারেন হা হা হা
শুভেচ্ছা রইল
১৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:০৪
নতুন বলেছেন: অপ্সরাকেই জিজ্ঞেস করলাম। কি হয়েছে? রাগ করেছে তোমাকে মেহেদী দিচ্ছি দেখে।
আসল পরীর আছরের কথা বলেন ভাই। এই পরী কি আছর করেছিলো কিনা। কিভাবে এই পরীর আছর কাটলো। নাকি এই পরী ভাইজানকে নিয়ে গিয়েছিলো সেটা জাতী জানতে চায়।
পরী/জ্বীনের কাহিনির পছনে অবশ্যই কোন কাহিনি আছে। মানুষের মন অনেক কিছু করে, হিন্দি বা উর্দূ গান অনেকই মুখস্ত করতে পারে। উপরে নুরুলইসলা০৬০৪ ভাই তার পরীতে ধরার কথাই বলেছে।
দেশে অনেক খুনের ঘটনাও এই জ্বীন পরী পিশাচের উপরে চাপিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছে ।
রাতে বাইরে ডেকে নিয়ে মেরে ফেলে পিশাচ বা জ্বীনের নাম করেছে।
ধর্ষনের ঘটনায় বলতে না পরেরে বদ জ্বীনে আক্রমন করেছে এমন কথা বলেছে সমাজে।
মানুষিক ভাবে অসুস্থ নারীকে জ্বীনে ধরেছে নাম করে শারীরিক ভাবে নিযাতন করেচে।
জ্বীন পরীর সাহাজ্য সন্তান দেবার নাম করে গ্রামের স্ত্রীকে ব্লাকমেইল করে যৌন নিযাতন করেছে
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
আসল পরীর আছরতও থাকে হৃদয় জুড়ে অন্তবিহীন অনন্তে স্মৃতিতে, স্মরণে...
হুম। সেই সব তো আছেই কোন সন্দেহ নেই। একটু চালাক মানুষই শাহেদ টাইপই সাধারন মানুষদের প্রতারিত করতো জ্িবন পরী স্টাইলে। আমি নিজে দেখেছি গ্যাং রেপ ঘটনা ধামাচাপা দিতে মেয়েকে জ্বিনে ধরেছে বলে দুধ দিয়া গোসল করাইছে!
এইসব যেমন সত্য- একজন বিশ্বাসী হিসেবে আল্লাহর বানীকে অভিশ্বাস করতে পারিনা। তাই তারা আছে এটা বিশ্বাস করি।
হয়তো আমাদের মাত্রার বাইরেই তাদের বিচরণ। হয়তো কাদচিৎ ইনসিডেন্ট হয়ে যায়!
কিন্তু যেহেতু তারাও বিচারের অদীন তাদেরও আেইন বিধি বিধান মেনেই চলতে হয়।
১৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১২
জুন বলেছেন: ভাই ভৃগু আমি তো গতরাতে ভুতের গল্প ভেবে না পড়েই লাইক মাইক দিয়ে চলে গিয়েছিলাম । লাইক দিয়েছিলাম পাছে ভুত মাইন্ড করে । আজ গল্প পড়ে হাসতে হাসতে শেষ ।
মেয়েদের হাতে ছেলেদের মেহেদী লাগানোর কথা আজই প্রথম শুনলাম
আগে তো দেখতাম হাত দে্খে ভুত ভবিষ্যত বলার ছুতোয় গভীর মনযোগের সাথে ভুতেরা বসে আছে পরীদের হাত ধরে
তা আমাদের ব্লগের অপ্সরাকে বলছেন নাকি আপনার ডাবল পরীর গল্প
+
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
কি কান্ড দেখো দিকি
দেখলেতো জুনাপি, শুধু শুধু মিছে ভয় পেতে নেই।
হাত দেখার ছুঁতোও কম ছিল না। তবে অপ্সরার নৈকট্যে মেহেদী আল্পনা আঁকা বেশ কাজে দিয়েছিল বটে
মিস করছি অপ্সরাপুকে।
ব্যাস্ত মনে হয়!
প্লাসে অনেক অনেক ধইন্যা
১৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বর্তমান ইভেন্টে আমার পড়া সেরা অলৌকিক কাহিনি। আমি এ কাহিনিটা পূর্বাপর বিশ্বাস করি, কারণ, এরকম ঘটনার সাথে আমি পরিচিত। পীর-ফকিরিতে 'ভার' বলে একটা কথা আছে। আমার অলৌকিক সিরিজের কয়েকজন পাগল কিংবা মহাসাধক সিকোয়েলে এরকম কিছু 'ভার' ঘটনার উল্লেখ রয়েছে, যেগুলো বাস্তব থেকে নেয়া। যে-লোকের শরীরে তেমন শক্তি নেই, 'ভার'-এর সময় হাত দিয়ে শক্ত মাটি থাপড়ে দাবিয়ে গর্ত করে ফেলা, এমন কিছু বিষয়ে কথোপকথন করা যা ঐ লোকের কস্মিনকালেও জানার কথা না, এগুলো আমার নিজের সামনে ঘটতে দেখেছি। আমি সবচাইতে অবাক হয়েছিলাম, যা আমাকে এ বিষয়টা বিশ্বাস করতে বাধ্য করে, তাহলে হলো, স্বয়ং আমার মায়ের উপর একবার এরকম একটা 'আসর' হয়, যখন আমার বোনের অসুখের কারণে ফকীরী আসরের আয়োজন করা হয়। আমার মাও খুব তাজ্জব হয়েছিল, এবং ঘটনার পর সে কিছুই বলতে পারে নি যা ঘটে গেছে সে সম্পর্কে।
স্বাভাবিক অবস্থায় একজন মানুষ শূন্যে উঠে আছাড় খেয়ে পড়তে পারবে না। আমি জিনে বিশ্বাস করি বলেই এটা জিনেরই কাজ বলে আমার মনে হয়েছে।
অ্যাপার্ট ফ্রম দিস - যার হাতে মেহেদি লাগাচ্ছিলেন, তাকে এখনো মেহেদির আলপনা এঁকে দেন কিনা, বা তিনি আপনাকে, তা বলে দিয়েন। নইলে বরং ঐ অংশটাই ভৌতিক হয়ে উঠবে
সুন্দর লেখার জন্য অভিনন্দন।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার মূল্যায়নে টুপি খোলা অভিবাদন।
আমার জন্যে এ এক সেরা পাওনা।
আপনার ঐ সিরিজটা পড়েছি।
সত্যি কিছু কিছু ঘটনার আসলেই কোন ব্যাখ্যা নেই। যত যাই দিতে চেষ্টা করি সবই ভাসা ভাসা
আবার মাত্রার ভিন্নতাকে মেনে জ্ঞানের অন্য মাত্রায় দাড়ালে সবই দারুন ভাবে মিলে যায়।
আছাড়ের শব্দ কি বলবো ! রীতিমতো আতকে ওঠার মতো ছিল। অথচ দিনে তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম শরীরে কোথাও ব্যাথা নেই। হেসে বলেছিল কিসের ব্যাথা? আমিতো থ!
সে এক আরেক কাহিনি। লিখবো কোন এক সময়। চোখের জলে মেহেদীর দাগ মুছে যাবার করুনোপাখ্যান!!!
অনেক অনেক ধন্যবাদ, কৃতজ্ঞতা
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা অফুরান
২০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,
একেবারে মেহেদী লাগানোর মতোই কারুকাজময় লেখা।
তবে মনে হয় ------ হার্টবিট মিস করার মতো হাতে মেহেদী পড়াতে গিয়েই যতো বিপত্তি- আপনার হার্ট উল্টো পাল্টা চলেছে। রক্ত ছুটেছে ধাঁই ধাঁই করে শরীরে। বাস্তব পরীর হাত ধরে মোহগ্রস্থ হয়ে পড়ায় আশেপাশের সব কিছুই তখন নতুন মনে হয়েছে। চেতনাহীন হয়ে ভেসে গেছেন কল্পনার রাজ্যে আর তাতেই এইরকম পরীর জন্ম।
যদিও বলেছেন নিজ চোখে দেখা। বেনিফিট অব ডাউট সেখানেই।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার দারুন প্রশংসায় প্রীত বোধ করছি
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
হা হা হা
না ভায়া, সে ভেসে যাওয়াতে তো দুধে টক পরার মতো টুপ করে পড়লো ভাইয়ের পরী
তাই বেনিফিট অব ডাউট উল্টো হয়ে গেল
অন্ধকার ঘরে যতটুকু দেখা যায় আরকি! খুব করে চোখ বড় বড় করে চেয়ে ছিলাম।
আশ পাশের ঘরের ছিটেফোটা আলোতেও খুঁজছিলাম কোথাও ফাঁকি আছে কিন?
কিন্তু বিশ্বাস করুন যখন আছাড় গুলো মারছিল- অমা গো,
পিলে চমকে যাবার মতো! মাযের ত্রাহি চিৎকার ছেলেকে রক্ষায়! আঘাত থেকে বাঁচাতে
আর তার ভিনদেশি গজল! চেতনা তখন রিভার্সে চলে গেছিল
শুভেচ্ছা রইল
২১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহ! চমৎকার লাগলো গল্পটি। তবে মাঝে কাব্যটা দিয়ে একটু ভয় কম লাগলো। পোস্টটি দশম লাইক।
শুভেচ্ছা প্রিয় কবি ভাইকে।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
প্রিয় দাদাকে কি বেশি ভয় পাওয়াতে পারি ??
হা হা হা
দশম লাইকে কৃতজ্ঞতা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা সবসময়ের মতোই
২২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৫৪
ঢুকিচেপা বলেছেন: এই গল্পটা দারুণ হয়েছে। যেহেতু ঘটনার সাথে আপনি জড়িত তাই আশা করছি পরবর্তী পর্ব অবশ্যই পাব।
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এইরে .. সেরেছে
পরীর গল্প আনতে অপ্সরী চলে এসেতো দেখি ভারী ইয়ে হলো
হা হা হা
সিরিজ হবে না, কারণ অলৌকিক কিচ্ছাতো শেষ
হয়তো ভিন্ন কোন গল্প হয়ে ভিন্ন রুপে
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া
শুভেচ্ছা রইল
২৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৮
জাহিদ হাসান বলেছেন: ডোডো পাখির মত পরীরাও কি সব বিলুপ্ত হইছে? যদি একটা পাইতাম।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
হয়তো। নইলেতো পেয়েই যেতেন একখানা
শুভেচ্ছা
২৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৭
শায়মা বলেছেন: অপ্সরা!!! আছার মারা!! হা হা হা হা হা হা
ভাইয়া আছাড় মারা ভূত চাই একটা বন্দী করে রাখবো বোতলে।
কাউকে আছাড় মারার দরকার হলেই বোতল খুলে ছেড়ে দেবো তার গায়ে।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
বুদ্ধিটা ভালা!
যারে খুশি তারে আছাড় মারা যাবে
শুভেচ্ছা রইল
২৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৫৫
মিরোরডডল বলেছেন:
ভৃগু, পোষ্টের শেষে যে ছবি দেয়া হয়েছে, প্রশ্ন হচ্ছে এরকম সুপুরুষ হলে তাহলে কি পরী ধরে, নাকি পরী ধরলে এমন হ্যান্ডসাম হয়ে যায় । কোনটা ?
অনেকই গুড লুকিং ! পরী ধরলে যদি এমন হয়, তাহলে এ জগতের সকল পুরুষের ওপর পরীর আছর হোক
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ওয়াও
নজর আছে বটে!
নট ব্যাড এট অল। ভাইস ভার্সা যাই হোক, বিষয়টা যখন নজরওয়ালীর পছন্দ তবে তাই হোক
এ জগতে হায় সবে দেখী চায়
সিক্সপ্যাক বডি টাই
হৃদয়ের টান নেই কোন মান
চল মন ছয় টান-ই খাই
হা হা হা
২৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: পায়ে সুড়সুড়ি দেয়া প্রথম পরীটার কথা পড়তে বেশ মজাই পাচ্ছিলাম। কিন্তু আছাড় দেয়া অপ্সরাটার কান্ড দেখে তো আমি থ'!
তবে সে অপ্সরার বাড়ী বোধহয় ভারতের লক্ষ্ণৌ, হায়দ্রাবাদ কিংবা পাকিস্তানের কোন অঞ্চলে ছিল, নইলে এত সুন্দর উর্দু গজল গাইলো কিভাবে?
আপনি নিজেও তো মনে হয় কিছুটা স্পিরিচুয়াল পাওয়ারের অধিকারী। আধ্যাত্মিক বিষয় নিয়ে লেখা আপনার পোস্টগুলো কিছুটা সেরকমই ইঙ্গিত দেয়। আপনার কী মনে হয় সে অপ্সরার ব্যাপারে?
আর প্রথম পরীটার কোন আছর টাছর পড়েছিল কি আপনার উপর? পড়ে থাকলে তা কতদিন ধরে ছিল?
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রথমেই দু:খিত প্রিয় সিনিয়র
অফিসের চাপে খুব রাশ গেল... তাই সামুতে আসা হয়েছে কম! আর তাতেই উত্তরে দেরী
এটা দারুন ভাবনা। ঐ সব জায়গার না হলে অমন গজল হাইবেই বা কি করে!
এইরে অমন করে আটকে দিলে যে নড়তে পারিনা প্রিয় সিনিয়র এবার না হয় তোলাই থাক সে কথা।
হুম তা বলতেই পারেন। প্রথম জীবনে প্রথম অনুভবে প্রথম পরীর আছর কি আর না পড়ে পারে
ঝড়ের পূর্ব পর্যন্ত অনেক মুকুলই গাছে ধরে! থাকে না সব আর ঝড়ের পরে . . . .
২৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টের মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যগুলো না পড়েই আমি আমার মন্তব্যটা ছেড়ে দিয়েছি। পরে মন্তব্য পড়তে এসে দেখি, আমার মত আরো অনেকেরই দ্বিতীয় পরীর চেয়ে প্রথম পরীটাকে নিয়েই কৌতুহল বেশি! উদাহরণঃ মা.হাসান, কাল্পনিক_ভালোবাসা, নতুন, সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, আহমেদ জী এস প্রমুখের মন্তব্য।
রাত বারোটায় লাস্ট টাইম এর সময়সীমার মধ্যেই তো ট্রেনে উঠে বসেছেন। এবারে গল্পের ঝাঁপি খুলে বসুন! বিশেষ করে চোখের জলে মেহেদীর দাগ মুছে যাবার করুনোপাখ্যানটির অপেক্ষায় থাকলাম!
পোস্টে ত্রয়োদশ ভাল লাগা + +।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এক্কেবারে... সব্বাই খালি প্রথম পরীতেই আটকে গেছে
দেখুন দেখি কি কান্ড!!!
হা হা হা
হুম। ভূত ভায়া কি ভুতু হয়ে গেলো?
সবাইকে লেখিয়ে এখন লা পাত্তা! অ ভায়া সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন জলদি ভূতের আসরে!
দোয়া করুন অপেক্ষার প্রহর যে শীঘ্র শেস করতে পারি।
কৃতজ্ঞতা আর অন্তহীন শুভেচ্ছা প্লাসে এবং অনুপ্রেরণায়
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
এতদিনে নিজের এলাকা খুঁজে পেয়েছেন, হ্যাপি ব্লগিং