নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া এই দিনেই কারবালার মাঠে ইমাম হোসাইনকে নৃশংস ভাবে শহীদ করেই ক্ষান্ত হয় নি,
শিশু নারীদের যথেচ্ছ অপমান, কাফেলা লুট এবং শহীদদের মৃতদেহের সাথে কলজে কাঁপানো লাঞ্চনাময় ঘটনা ঘটায় যা ইতিহাসে বিরল, তাই ঘটিয়ে চেয়েছিল পৃথিবী থেকে ইমাম হোসাইনের নাম ও নিশান মুছে দিতে। এবং তাকেই (ইয়াজিদ) সবাই ভয় করবে, তার প্রশংসা করবে! স্মরণ করবে। এই ছিল কামনা. . . .
কিন্তু মাহাকাল স্বাক্ষী, আজ ১৪০০ বছর পরও মানুষ ইমাম হোসাইন আলাইহিচ্ছালামকেই মাথায় শিরোতাজ করে রেখেছে।
আজো সেই কারবালাতেই কোটি কোটি বণি আদম মাতম করে -হায় হোসাইন হায় হোসাইন! বলে। ভিক্ত আর প্রীতিতে স্মরণ করে প্রিয় নেতার নাম। আজো সেই দু:খে যাতনায় মাতম করে - হায় হেসাইন হায় হোসাইন। চোখের জলে বুক ভাসায়।
আর সেই নরাধম ইয়াজিদ! তাকে কেউ স্মরণ করে না। যদিবা করে ঘৃনা, অভিশাপ আর লানতের জন্য . . .
১৯৭১ এ যে ছয়দফার ভিত্তিতে মুক্তি আন্দোলনের পথ বেয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ! সেই মৌলিক মানবিক অধিকার আজ ৩০ লাখ শহীদের রক্তে ২ লাখ মা-বোনেরেইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত দেশেই ভুলন্ঠিত হয়, নেতৃত্বদানকারী দলের হাতেই!!!
সাতান্ন ধারা, গুম আতংক আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ভয়াবহতায় মানুষ যেন বোবায় ধরা!
গুমড়ে মরছে যাতনায় অথচ আ্ওয়াজ টুকু করতে পারছে না!
সেই সিরাজ শিকদার থেকে বুয়েটের আবরার, সিনহা ১৯৭৫ থেকে ২০২০।
ভিন্নমত দমনে দলনে সেই রক্ষী বাহিনী থেকে আজকের দলান্ধ পুলিশ। একই ষ্টাইলে চালিয়ে যাচ্ছে অত্যাচার। যেই জনতার ট্যাক্সের টাকায় তাদের বেতন ভাতা, তাদের সন্তানদের ভরণ পোষন, স্ত্রীর গয়না, চিকিৎসা সেই আমজনতার বুকেই চোখ বুজে মারছে বুলেট। চোখ বেঁধে তুলে নিচ্ছে! কোথায়? কে? কেউ জানছে না? যদিবা জানে সন্ধান মেলে না। যদিবা মেলে এপার নয় ্ওপার! অথবা নীরবতার ঐপার! মূখ না খোলার ওয়াদায় জীবন ফিরে পেয়ে - শত যাতনার মাঝেও চুপ মেরে রয়।
এই দিনের জন্যই কি ৩০ লাখ শহীদ হয়েছিলেন?
এই কি ছিল স্বাধীনতার চেতনা?
শুধু দলীয় লোকদের জন্যইকি বঙ্গবন্ধু লড়াই করেছিলেন?
না সাড়ে সাত কোটি বাঙালী উনার সাথে লড়াই করেছেন?
সবার শান্তি, সমৃদ্ধি, মুক্তি, বাক স্বাধীনতা, মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তার জন্য ছিল সে লড়াই।
সরকারের শক্তির মদমত্ততায় মনে হয়- হায় এইই ইতিহাসের শিক্ষা- যে ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না।
আজ মহররমের এই শোকের দিনে স্মরণ করি সকল শোহাদায়ে কারবালার পবিত্র শহীদ গণকে। উনাদের আত্মা প্রতি দরুদ ও সালাম্
স্মরণ করি বাংলাদেশের স্বাধীনতার সকল শহীদদের, পনেরই আগষ্টের সকল শহীদদের, তিরিশ মে'র সকল শহীদদের এবং যারা নিত্য বিনা কারণে নিজের জীবন বিসর্জন দিচ্ছেন অপশক্তির হাতে দেশে বা বিদেশে, সারা বিশ্বে যারা লড়ছে স্বাধীনতার জন্যে, সকল শহীদ আত্মার জন্য অন্তহীন দোয়া।
মুক্তি আসুক আমাদের দেশে, সারা বিশ্বে- মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার সু প্রতিষ্ঠিত হোক।
দ্বৈত্ব অনুভব
ম্রিয়মান চলমান (১)
মৃতদেহের চোখে দেখে যাই
সময় আসে সময় চলে যায়
থির মনি থির দিয়ে রয়
স্বৈরাচারের ব্লাক হোলে স্ব-দেশ!
ছয় দফায় ছিল মুক্তি আশ্বাস
স্বাধীনতার চেতনা -
বাক স্বাধীনতা, আত্ম মর্যাদা, স্বাতন্ত্র
আর সার্বভৌমত্বের জিয়ন কাঠি!
চেতনায় মিথ্যা! প্রভু কি জঘন্য মিথ্যাচারে
কেড়ে নেয় মানুষের মৌলিক অধিকার!
চলন্ত মৃতদেহের ভীরে আমিও চলি
‘জীবনের’ লোভে নপুংশক জীবনে!
অত:পর
কুচলে যায় অপদার্থ দেহ ডেঙ্গুতে,
করোনায় কিংবা অপঘাতে চলার পথে যেন পোকামাকড়!!!!
##
স্বপ্ন জাগরণ (২)
কুনতা কিনতের দ্রোহে
জেগে ওঠে অবচেতন, বজ্র নির্ঘোষে
বজৃমুষ্ঠি তুলে গলা ফাটিয়ে চিৎকার দেয়
স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক।
ট্যাংক, আধুনিক মারনাস্ত্র, ছররা গুলি
বুটের আওয়াজে খান খান ভেঙ্গে পড়া নিশুতির আঁধার
মায়ের বুকে মূখ লুকায় অবোধ শিশু
ক্রীতদাস পঙ্গপাল দেখে, ঠা ঠা করে হেসে ওঠে স্বাধীন আত্মা।
প্রতিদিন পল পল তিল তিল মরার নাম কি জীবন?
বেঁচে থাকা? ক্লীবতায়! প্রতিবাদহীন! প্রতিরোধহীন!
তেলাপোকার মতো হাজার বছর নয়
বীর বাঁচে মাথা উঁচু করে- হোক তা একদিন!
৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দু:খজনক!
মহাকাল নির্মোহ বিচার করে।
ইতিহাস বারবার প্রমাণ দিয়েছে। তবুও কে কবে মনে রাখে ইতিহাসের শিক্ষা?
২| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
ইসলাম ধর্ম প্রচারের সময়, মুসলমানেরা মদীনা ও মক্কার জমিদারী দখন করে "আবর সাম্রাজ্য" প্রতিষ্টাহ করে; ক্রমেই উহা আরবের বড় অংশ দখল করে; সাম্রাজ্য দখল নিয়ে কারবালায় যু্দ্ধ হয়েছে; ইহা ধর্মযুদ্ধ নয়, রাজ্য নিয়ে যুদ্ধ।
সিরাজ শিকদার ৩০০/৪০০ কৃষককে "জোরদার" ঘোষণা করে হত্যা করেছে ব্উ ও সন্তানদের সামনে; এসব কৃষকদের বউয়েরা পরে ভিক্ষা করেছে; আপনি সিরাজ শিকদারের সমর্থক?
৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি সব সময়ই আংশিক বোঝেন। নিজের ফিলটারের বাইরে সবই আপনার এন্টেনার উপ্রে দিয়া যায়!
ব্যাপার না। আমরা অভ্যস্ত!
কারবালা নিয়ে আপনার নূন্যতম ধারনা নেই। বা জাকির নায়েকের মতো ওহাবী ইয়াজিদি ধারনার অনুসারী মাত্র।
সিরাজ শিকদারের রাষ্ট্রীয় হত্যার প্রতিবাদ করা তার সমর্থক হয়ে যাওয়া নয়। যে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ যে কোন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের কর্তব্য।
৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: গাঁজা খেয়ে কিছু লোক রাস্তায় মাতলামি করবে
৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিজের আপনাজন হারানো বেদণাকে বুকে নিয়ে ভাবুন, দেকবেন দৃষ্টি ভঙ্গি বদলে যাবে।
আপনার সন্তান, স্বজন হারানো বেদনাকে ভালবেসে বুকে নিলে
তখন অন্যের ব্যাথায়ও মন কাতর হয়।
আর আহলে বায়াতকে ভালবাসা তো মুসলমানের ঈমানের অংশ।
শুভেচ্ছা রইল
৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, "সিরাজ শিকদারের রাষ্ট্রীয় হত্যার প্রতিবাদ করা তার সমর্থক হয়ে যাওয়া নয়। যে কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ যে কোন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের কর্তব্য। "
-আপনার গুহাতত্বের ন্যায়, অন্যায়গুলো পিগমী ও লিলিপুটিয়ানদের জন্য ভালো; আপনি স্বাভাবিক মানুষ থেকে একটু পেছনে আছেন।
৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যে নিজে পেছনে সে অন্য সবাইকে ভাবে পেছনে!
আপনার বোধ চেতনা নিয়ে আপনি বসে থাকুন। অন্যের বিরক্তির কারণ না হয়ে।
৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:০৩
রাজীব নুর বলেছেন: মহররমে সরকারী ছুটি পাওয়া যায়।
৩১ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
জ্বি। সরকারী ছুটি মেলে
৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫৮
শেরজা তপন বলেছেন: গদ্য আর কবিতার অপূর্ব মিশেলে দারুন একটা লেখা।
কবিতার শেষ চরণগুলি মনে গেথে গেল;
প্রতিদিন পল পল তিল তিল মরার নাম কি জীবন?
বেঁচে থাকা? ক্লীবতায়! প্রতিবাদহীন! প্রতিরোধহীন!
তেলাপোকার মতো হাজার বছর নয়
বীর বাঁচে মাথা উঁচু করে- হোক তা একদিন!
৩১ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় শেরজা তপন ভায়া
শেষ চরণগুলো মনে গেথে যাবার কথা জেনে লেখা সার্থক মনে হলো।
অন্তহীন শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল
৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:০৭
সাজিদ উল হক আবির বলেছেন: আপনার কবিতার শব্দচয়ন ও দ্যোতনা অসাধারণ। কিন্তু কে ইতিহাস কাকে বীর হিসেবে মনে রাখবে আর কাকে ভিলেন হিসেবে চিহ্নিত করবে - এ কেবল সময়ই বলে দেয়। এরশাদের পতনের পর থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রতি ৫ বছর পর পর বীরত্বের সংজ্ঞা ও বীরদের পরিচয়ও ফি নির্বাচনের পর বদলে যেত।
ঢাকার ইমামবাড়ায় গিয়েছিলেন তো হজরত? একবার এক গ্রুপ ট্যুরে আমার ইমামবাড়ায় যাওয়ার সুযোগ হয়। ইমামবাড়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন না, কিন্তু ওনার কন্যা আমাদের রিসিভ করেন। শরীর / মস্তক পর্দায় আবৃত, মুখমণ্ডল খোলা। ইংরেজি, বাংলা ও আরবির খুবই শুদ্ধ এবং স্পষ্ট উচ্চারণে তিনি শিয়া মতাদর্শের ব্যাপারে সংক্ষেপে আমাদের কিছু ধারণা দেন, এখন সে সমস্ত তথ্যের বেশীরভাগই ভুলে গেছি যদিও। কিন্তু উনার নিজস্ব মতাদর্শের ব্যাপারে আন্ডারস্ট্যান্ডিং আমার কাছে অনেক স্পষ্ট মনে হয়েছে। চেষ্টা করেছিলেন পর্যাপ্ত স্ক্রিপচার বেইজড রেফারেন্স ব্যবহার করে কথা বলবার।
একজন সুন্নি মুসলিম হিসেবে শিয়া মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি, এবং আশা করছি মধ্যপ্রাচ্য সহ সারা পৃথিবীতে সুন্নি - শিয়ারা আরও ঘনিষ্ঠ , আন্তরিকভাবে, ভালোবাসার সঙ্গে একে অপরকে গ্রহণ করতে পারবে একদিন।
শুভকামনা আপনার জন্যে! : )
৩১ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:২৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সাজিদ ভায়া
আসলে সত্য আর মিথ্যার তফাতে যুক্তিতে হেরে গিয়ে ট্যাগিংবাজি আজকের কালচার শুধু নয়
অতীত থেকেই চলমান।
তা কখনো অজ্ঞনতায়, কখনো অহমে, কখনো জাত্যাভিমানে তো কখনো রাজনীতির গুটিাজিতে!
অথচ মুসলমান মাত্রই এসব ফাঁদের একটাতেও পা দেবার কথা নয়!
অথচ তাই হয়েছে। তিনহাজার ইয়াজিদি অনুসারী যারা নামে মুসলিমও বটে- তারাই গোত্র, অহম আর প্রতিহংসার অনলে জ্বলা ইয়জিদের দাসানুদাস হলো কেবলই অর্থ, ক্ষমতা আর লোভের বিভ্রমে! নিজেরা জাহান্নামী হলো ইমামকে শহীদ করে।
ইয়াজিদ ভেবেছিল হত্যার মাধ্যমে সে বিজয়ী হয়েছে। অথচ মহাকালে সে তীব্র ভাবে পরাজিত, করংকিত এক আত্মা!
আর যাকে মিটিয়ে দিতে উনার দেহ মোবারকও মাটির সাথৈ মিটিয়ে দিয়েছে ঘোড়া চালিয়ে- মহাকাল তাকে পরম শ্রদ্ধায়, ভক্তিতে, শোকে চোখের জলে স্মরন করে মাথঅর তাজ করে রাখে।
যে প্রকৃত মুসলিম সে শিয়া সুন্নী বিভেদ বিশ্বাস করে না।
প্রেমিকেরা যেমন বিশ্বাস করে না প্রেমের তুল্যতায়।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল
৮| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৩০
জুন বলেছেন: আজ মহররমের দিনে স্মরণ করি সকল কারবালায় শহীদদের । উনাদের রূহের প্রতি দরূদ ও সালাম
+
৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৫
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
কারবালার শহীদদের জন্য অন্তর থেকে দোয়া করি। তারা সমগ্র পৃথিবীর মুসলিমদের পথ দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। আর হাসান (রাঃ) হোসাইন (রাঃ) তাদের জন্য রইলো অনেক অনেক ভালোবাসা।
সর্বশেষে বলতে চাই “উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই! নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান - ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।”
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৪৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: বেচেঁ থাকার অপর নাম এখন বোবা, অন্ধ হয়ে সেজে থাকা।