নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
*** বাঁধ ভাঙ্গার আওয়াজে প্রকাশিত ছোটগল্প - অতী্ন্দ্রিয়
মাথার পেছনে দুটো হাত আড়াআড়ি দেয়া। ঝিম মেরে বসে আছেন সাদিক সাহেব। দোল চেয়ারটায় বসলেও কোন দুলুনি নেই। যেন সব কিছু থমকে আছে। দু’পা ছড়িয়ে দিয়ে মর্নিওয়াক থেকে ফিরে সেই যে বসেছেন ওঠার নাম নেই।
বার কয়েক উঁকি দিয়েছেন মিসেস সাদিক, রুনু। সাদিক সাহেব আদর করে ডাকেন রুনি। অবাক চোখে দেখে চলে গেছেন নিত্যকার কাজে। বাবু দুটোকে স্কুলের জন্য তৈরী করতে হবে। সদিক সাহেবের নাস্তা। নিজের অফিসের প্রস্তুতি। সব প্রায় শেষ!
তবু নি:শব্দ বারান্দা।
হলো কি উনার? ভাবতে ভাবতে এগিয়ে এলো রুনি । কপালে হাত রাখতেই মাথা তুললেন সাদিক! অমা! একি! চোখ লাল টকটকে! উদভ্রান্ত চেহারা! ঘোর লাগা দৃষ্টিতে তাকায় মিসেসের দিকে!
যেন দূরের কাউকে প্রশ্ন করছেন এমনি ভাবে বললেন -আমরা কেন এত কিছুর পিছে ছুটছি? কন্ঠস্বর ফ্যাসফ্যাসে! যেন গলায় কিছু আটকে আছে! কি হয়েছে? শরীর খারাপ? ডাক্তার ডাকবো? দৌড়ে ফোনের দিকে যায় রুনি।
পাগলটাকে প্রায় দেখতেন হাটার সময়। অনেকেই দেখেন। আর দশটা সাধারন পাগলের মতোই। নিরবে বসে থাকে। বিরবির করে। কখনো তাকায় কারো দিকে। বাকী সময় নিজের মাঝেই যেন ডুবে থাকে। কারো সাতে পাঁচে নেই। এভাবেই দেখছেন দীর্ঘদিন থেকে।
গতকাল রাতে হঠাৎ দু:স্বপ্নটা দেখার পর থেকে মনটা প্রচন্ড বিক্ষিপ্ত সাদিক সাহেবের। । অসহায় যন্ত্রনায় সব কিছুর উপরই যেন রাগ ঝাড়তে ইচ্ছে করছিল। সকাল হাটতে এসে পথের পাশে পাথরটাতে সেই রাগেই জোরে লাথি মারতেই উড়ে গিয়ে লাগে সেই পাগলের গায়। চমকে চোখ মেলে তাকায় পাগল। দেখেও চলে যেতে উদ্যত হলেন তিনি। ফিরে তাকাতেই দেখলেন- হাত ইশারায় ডাকছো!
বিষয়টাকে গুরুত্ব না দিয়ে তবু চলেই যাচ্ছিলেন সাদিক সাহেব। আবারো হাত উঁচু করে ইশারায় ডাকলো। সাথে সাথে অদ্ভুদ একটা কান্ড ঘটলো। সাদেক সাহেব নি:শ্বাস টানতেই চারপাশে একটা দারুন খুশবু পেলেন। না। বডি স্প্রের গন্ধ নয়। নিজের বগলের কাছে নাক নিলেন! অদ্ভুত ভাবে তা গন্ধহীন! শরীরের নিজস্ব ঘ্রাণই। কিন্তু মাথা তুলে আবার জোরে শ্বাস নিতেই সেই মন মাতানো খুশবু!
খানিকটা ঘোরের মাঝেই যেন পা চালালেন পাগলের দিকে। যতই কাছে যাচ্ছেন গন্ধের তীব্রতা যেন বাড়ছে। ডানে বায়ে ভাল করে তাকলেন। অন্য কেউ কোন সুগন্ধী বা আতর দিয়ে হেটে যাচ্ছে কিনা? বাতাসে হয়তো সেই ঘ্রানই পাচ্ছেন! নাহ! আশে পাশে কেউ নেই। পাগলটার মূখে কি মিটিমিটি হাসি! দূর থেকেও এত পরিষ্কার চেহারা কিভাবে দেখতে পাচ্ছি। ভাবতে ভাবতেই কাছে চলে গেলেন।
পাগলটা চোখ তুলে তাকাল। অদ্ভুত স্বচ্ছ চোখ দুটো। অদ্ভুত রকম প্রশান্ত। অর্ন্তভেদী দৃষ্টিতে বেশিক্ষন চোখে চোখ রাখা যায়না এমন। আপনাতেই চোখ নেমে আসে সাদেক সাহেবের। একটা ট্যাকা দে! ক্ষনিকের জন্য হেসে উঠেন -আচ্ছা এই কহিনী। উনি বিশ টাকার নোট বাড়িয়ে দেন! না তার এক টাকাই চাই!
দশ, পাঁচ দুই...নাহ এক টাকা ছাড়া নেবে না। এক টাকা খুঁজেও পাচ্ছেন না!
খানিক বিরক্তির শেষ সময়ে ট্রাউজারের তলানীতে একটা কয়েন আঙুলে বাজে। কয়েনটা নিয়ে অনেক ক্ষন তাকিয়ে থাকে পাগল।
তোর মনে খুব অশান্তি!
কষ্ট সবার জীবনেই থাকে। এসব আটপৗড়ে যাপিত জীবনের অতি সাধারন কথায় কোন আছর হয়না সাদিক সাহেবের। শুনে যায়। হু হা করেন কেবল। সাধারন সাইকোলজিক্যাল প্রাকটিসে পাগলরা খুব সেয়ানা হয় জেনেছে। তারই প্রমান পেয়ে মনে মনে হাসতে থাকেন! পাগলের মুখেও মুচকি হাসি। সেকি মাইন্ড রিড করছে নাকি! বিস্মিত হন বেশ!
পরের জন্যে সব করলি মায়ের গয়নার ঋণ শোধ করবিনা? কথা শেষ না হতেই চমকে তাকায় সাদিক সাহেব? কে এ্ই লোক? কি করে সম্ভব এই কথা জানা? সেই কলেজের রেজিষ্ট্রেশনের সময় মায়ের সব গয়না খুলে দিয়েছিলেন! বাবার হাজারো মানা সত্ত্বেও। রুনিওতো জানেনা এই কথা।
বিস্ময় দেখেও কোন ভাবান্তর নেই পাগলের! বলে যায় আপন মনেই- ঋণ শোধ কর। ঋণ শোধ কর! মিথ্যা বলবিনা, নামাজ পড়বি, গরিবের সেবা করবি! সব ঠিক হয়ে যাবে।
আমি কি দুর্বল হয়ে যাচ্ছি। ভাবে সাদিক। হিপনোটাইজড! কিন্তু যা দেখছি শুনছি সবইতো সত্য! হুশ এবং সুস্থ হালতে।
এক চিমটি ধুলো নে! চমকে তাকায় পাগলের দিকে। দৃষ্টিতে আদেশ!
মন্ত্রমুগ্ধের মতো ধুলো তুলে হাতের তালুতে রাখে! দূর থেকেই ফু দিয়ে বললো- খেয়ে ফেল! বলায় এতটা ত্রস্ততা যেন অতি দ্রুত করতে হবে। নইলে কিছু একটা হয়ে যেতে পারে। দ্বিধায় চেয়ে থাকে তালুতে। ওদিকে তাড়া ! কি আছে কপালে! দেখিনা কি হয় ভেবে খাবার মতো হাতটা মূখে নেয় সাদিক।
শরীরের প্রতিটা পশম দাড়িয়ে যায়! কি খাচ্ছে? মুখে আঙুর এলো কোথা থেকে! এত স্বাদ! এত সুগন্ধ! আর চোখের সামনে যেন ছায়াচিত্রের মতো পুরো জীবনটা ভেসে যায়-
সেই মায়ের গয়না বেঁচা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন। প্রেম। বিয়ে! বাবার চলে যাওয়া। মায়ের গ্রামে থেকে যাওয়া! শহরে নিজের স্বার্থপরের মতো একাকী জীবন! নামকা ওয়াস্তে মায়ের খরচ পাঠানো! সন্তানদের জন্য সব সুখের আয়োজন! সব স্বপ্ন পূরনে অফিসে লাগামহীন দূর্নীতি! বেপরোয়া যাপিত জীবন! সমাজের সবার চোখে ঈর্ষনীয় সাফল্য!
হঠাৎ বদলে যায় সব দৃশ্যপট। সাদা কাফনে মোড়া এ কে? স্পষ্ট সদ্য কফিনে মোড়া মৃতদেহ দেখে চমকে ওঠে সাদিক!
ভয়েই হঠাৎ চোখ মেলেন সাদিক। আরেহ পাগলটা গেল কই? উঠে আশে পাশে তাকায়! খানিকটা দৌড়ায়! পার্কের এমাথা ও মাথা চষে ফেলে! নাহ! নেই। কোথাও নেই।
শুধু অদ্ভুত ঘ্রানটা রয়ে গেছে হাতের তালুতে!
নাহ! আজকেই ছুটি নিয়ে বাড়ী যেতে হবে। মায়ের প্রতি সত্যি অবিচার হয়ে গেছে। ভাবতে ভাবতে দোল চেয়ার ছেড়ে উঠে দাড়ায় সাদিক সাহেব! ক’দিন আগেও মাকে নিয়ে দু:স্বপ্ন দেখে ঘেমে নেয়ে উঠেছিল মাঝরাতে। গুরুত্ব দেয়নি। অতিরিক্ত প্রেসার, দুশ্চিন্তার ফল ভেবে এড়িয়ে গেছে!
কিন্তু আজ । বুকটা বারবার কেঁপে কেঁপে উঠছে! অজানা শংকায় অস্থিরতায় যেন পেয়ে বসেছে। দ্রুত হাতে মায়ের নাম্বারটা খুঁজত থাকে। কালেভদ্রে ফোন করে বলে কললিষ্টে নেই! তৃতীয়বার ডায়াল করতে গিয়ে সত্যি হার্টবিট বেড়ে যায়! কি হলো? মা ফোনটা ধরছেন না কেন? আবার ডায়াল করতে যাবেন- হাতের ফোনটা বেজে ওঠে ঠিক তখনই!
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আরেহ বিজন দা যে!!!!!!!!!!!
হ্যাপি নিউ ইয়ার
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্লানে অনুপ্রানীত করায়
শুভকামনা অফুরান
২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০২
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: এইখানে পড়ব না। পরে ম্যাগাজিন থেকে গল্পটা পড়া নাও হতে পারে। হাহাহা.... ম্যাগাজিন এখনো সংগ্রহ করিনি।।। খুব শীঘ্রই সংগ্রহ করবো। ধ
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:১৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হাহাহা
ভাল বলেছেন!
পাঠোত্তর মূল্যায়নের অপেক্ষায় রইলাম
শুভেচ্ছা অন্তহীন
৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৬
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: অপরাধবোধ এভাবেই এক সময় সামনে এসে দাঁড়ায়।
আহা মানুষের যদি বয়স না বাড়ত মৃত্যু না হতো তাহলে বেশীর ভাগ মানব দানবে পরিনত হতো।
গল্পে ++
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।
কিন্তু কারো কারো তা্ও জাগে না। মৃত্যুর শেষ মুহুর্ত আসার আগে!
অনুভবে আপ্লুত - বুবু
শুভেচ্ছা অফুরান
প্লাসে কৃতজ্ঞতা
৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: সাদিক আর রুনির গল্প ভালো লাগলো।
সব মানুষই কম বেশি পাপ করে, অন্যায় করে। কিন্তু সবার মধ্যে
পাপবোধ জাগ্রত হয় না।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাজীর নুর ভায়া
হুম। ভাল আত্মাদের অনুেশাচনা হয়... মন্দ আত্মারা মন্দতেই দৃঢ় রয়, পাপবোধ তাই জাগে না।
অন্তহীন শুভেচ্ছা রইলো
৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:২৪
রূপম রিজওয়ান বলেছেন: আপনার লেখা.....!!!!!!!!!!!!!!
বলার নেই কিছু! বিমোহিত!
+++++
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার মুগ্ধতায় আমি আপ্লুত!
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা রইল
প্লাসে কৃতজ্ঞতা
৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৫
বিজন রয় বলেছেন: কথা বলার সময় নেই, তাই শুধু প্লাস দিয়ে জলে গিয়েছিলাম।
কিছু মনে করবেন না।
সময় পেলে অবশ্যই কথা বলবো।
ভাল থাকুন সিনিয়র।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যাকে দেখেই আনন্দ তার প্লাসে আরো আনন্দ
নিশ্চয়ই। আপনাদের সুবিধা মতো সময়েই আসুন। অপেক্ষায় রইলাম
দুটো কথা শুনব বলে
অন্তহীন শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল
৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৮
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
সময়ের অভাবে ম্যাগাজিনটা এখনো শুরু করতে পারিনি।
তাই ব্লগেই পড়ে নিলাম।
এককথায় অসাধারণ । ++
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমিও সবটা শেষ করতে পারিনি। জানাপুর লেখা, কয়েকটা ভাল লাগার কবিতা আর
লেখায় চোখ বুলিয়েছি। পুরোটা পড়ে একটা রিভিউ করা অতি দরকার।
ভাল লাগা আর প্লাসে আন্তরিক ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা রইল
৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫৬
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: মানুষ অর্থ কড়ির পিছে ছুঁটে প্রকৃত নিজেকে হারিয়ে ফেলে কেহ কেহ গল্পের চরিত্রে সাদিক সাহেবের সব শেষে বোধগত হয় আবার কেহ সারা জীবন ভুলেই থাকে। একদিন ঠিকি চলে যায় সব কিছু ছেড়ে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম
চরম সত্য এটাই। কিন্তু বস্তু মোহে আজীবন এটা বুঝেও বুঝতে চায়না।
সব কিছুকে দখলের চেষ্টা, আমার আমার করে সর্বস্ব আকড়ে থাকার মোহ
কেবল মৃত্যুর মুহুর্তেই ফেরে হুশ- তখন আর সময় থাকে না।
অনেক ধণ্যবাদ ভায়া। শুভেচ্ছা রইল
৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:১২
জুল ভার্ন বলেছেন: সাদিক রুনির গল্প ভালো লেগেছে। তবে বর্তমান যান্ত্রিক সভ্যতায়, রোবোটিক জীবনে পাপবোধ আশা করা যায়না।
চমৎকার লেখনীর জন্য ধন্যবাদ।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:২৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধণ্যবাদ প্রিয় জুলভার্ন ভায়া
হুম। ভোগবাদী জীবন দর্শনে আশা করা বাতুলতা বৈকি!
যেখানে নিত্য মিডিয়ায় ভোগ আর স্বার্থপরতার চর্ছা অবিরাম
সেখানে ভাল মানুষি দূর বনে পালায় - - -
অনুপ্রানীত হলাম।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা
১০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫
ইসিয়াক বলেছেন: এক কথায় চমৎকার। অনবদ্য লেখনী।
শুভকামনা জানবেন শ্রদ্ধেয়।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল
১১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: ভাল লাগলো।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনুপ্রানীত হলাম
শুভেচ্ছা ভায়া
১২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৪
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভৃগু দাদা
আপনার লেখাটি ওই দিন রাতেই
পড়ে শেষ করেছি তাই এখানে
আর পড়লাম না।
গল্প সুখপাঠ্য হয়েছে তাতে
দ্বিমত নাই। শুভেচ্ছা রইলো।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভায়া
জেনে আনন্দিত হলাম ঐ দিনই পড়ে ফেলেছেন।
আমার সৌভাগ্য বটে।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল
১৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
মনে থাকার মতো কিছু নয়: না প্লট, না লেখার ষ্টাইল।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
১৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: মন দিয়ে পড়েছি।
ঘটনা চিত্তাকর্ষক।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
অনুপ্রানীত হলাম।
শুভেচ্ছা অন্তহীন
১৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: চমৎকার গল্প!
এরকম কিছু গল্প নিয়ে একখান গ্রন্থ হতে পারে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ লিটন ভায়া
হুম।
আপনাদের সবার শুভকামনা থাকলে ইনশাল্লাহ . .
শুভেচ্ছা অফুরান
১৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৩৭
শের শায়রী বলেছেন: ভায়ার কি অতীন্দ্রিয় ব্যাপার স্যাপারে ইন্টারেষ্ট আছে নাকি?
আমাদের বর্তমান সভ্যতায় আমরা মানবিক ব্যাপার গুলো আসলে ভুলে যাচ্ছি। আমাদের শৈশব আর বর্তমান তুলনা করলেই বুজতে পারি। সামনে সাদিকরা এইটুকুও ভুলে যাবে যেটুকু আপনি গল্পে উল্লেখ্য করছেন।
লেখায় ভালো লাগা এটা আপনার জন্য নতুন কিছু না ভাই, আগের মতই ভালো লাগা।
০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইন্টােরেষ্ট মানে ইন্টারেস্ট!
শুধু জানা নয়- দেখা, শোনা, উপলব্দি করা - তারপরই না শান্তি হা হা হা
হুম। বস্তুবাদের মোহজাল মানবতার কোমল অনুভূতি গুলোকে নিষ্প্রাণ করে দিচ্ছে।
কেবলই রোবোটিক যাপিত জীবনের পথে সভ্যতা!
আবেগ অনুভুতিও বুঝি বানিজ্যের বিশাল পূজি এখন... বিভিন্ন রিয়েলিটি শো দেখলে যে বাস্তবতা অনুভব করা যায়!
ভালবাসা আর ভাললাগা টুকুটুকুই যে প্রাণ
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ভায়া
১৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৬
মলাসইলমুইনা বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,
অতীন্দ্রিয় আর কোথায় এতো খুবই ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য অপরাধবোধের গল্প, হাহাহা !
আমাদের বড় বা ছোট ছোট চেপে যাওয়া ভুলগুলো এমন করেই কখনো কখনো লাভার মতো বের হয়ে আসে মনের ভেতরের সব জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ।কখনো কখনো জ্বলে পুড়ে সেই ছাই থেকে লোভী স্বার্থপর মনটা পরিশুদ্ধ হয়ে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে ওঠতে চায় যেমন আপনার গল্পের চরিত্র সাদেক সাহেবের হয়েছে । কিন্তু বেশির ভাগ সময়ই সেই ফিনিক্সের আর ওড়াটা হয়ে উঠেনা ।সাদেক সাহেবেরও মনে হয় তাই কি হলো হাতে ধরা ফোনটা বেজে ওঠার সাথে সাথে ? লেখাটা ভালো হয়েছে খুব। নতুন বছরের শুভেচ্ছা ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
অতীন্দ্রিয় ধাক্কায়তেই েতা জাগলো ই্ন্দ্রীয়গ্রাহ্য চেতনা
হুম। ফিনিক্স পাখিটা নড়েচড়ে সবারই, সবাই চাপা দিয়ে রাখে স্বার্থে, লোভে, মোহে ...
অনেক অনেক ধন্যবাদ। নববর্ষের শুভেচ্ছা আপার জন্যেও
১৮| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:১৮
করুণাধারা বলেছেন: মিলনমেলায় না যেতে পেরে যতটা আফসোস ছিল, তার চাইতে বেশি আফসোস ছিল ব্লগারদের লেখার সংকলন পড়তে পাবো না ভেবে। এখন আপনার গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগছে।
নিজের দিকে ফিরে তাকানোর আহ্বান- চমৎকারভাবে গল্পটিতে ফুটিয়ে তুলেছেন।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। আহা যদি আসতেন কি আনন্দই না হতো।
আফসোস আমাদেরও রয়েই গেল।
নিশ্চয়ই পাবেন ব্লগ সংকলন। মিটে যাবে সব আফসোস।
অনেক বেশি দরকার নিজের দিকে তাকানোটা। পৃথিবীটা সুন্দর হয়ে যেত, সবাই যদি অনুভব করতো।
অদ্ভুত এক মোহাবিষ্টতায় জুম্বি জীবন যাপন করছে অধিকাংশ- ক্ষুদ্র বাস্তবতায় বৃহৎ সত্যেক অস্বীকার করে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা অফুরান
১৯| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৩:৩১
সোহানী বলেছেন: যা বলার মলাসইলমুইনা ভাই বলে দিয়েছেন। আমি শুধু + দিয়ে যাই। গল্পে ভালো লাগা আর শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ কারন আমাদের ভাগ্যেতো আর বই জুটবে না....
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নাইমুল ইসলাম ভাইকে যা বলেছি তোমাকেও তাই বল্লাম হা হা হা
প্লাসের জন্য এত্তগুলান ধইন্যা
সেকি সেকি, ভাগ্যে ননা জোটার কি হলো?হয়তো একটু পরে পাবে এই যা!
জাদিদ ভাইকে বলো নিশ্চয়ই কুরিয়ারে পাঠীয়ে দেবে
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা
২০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৭:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
গল্পটি পাঠে মনে হল ম্যাগাজিন ধন্য হয়েছে।
নব বর্ষের শুভেচ্ছা রইল ।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৫০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উরিব্বাস!
প্রিয় ড: এম এ আলী আপনার ভালবাসায় ডুবাননোো মন্তব্যে লাজে ডুবে যাচ্ছি।
আপনার এত্ত ভাললেগেছে অনুভব করে অুপ্রানীত হলাম।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো
২১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৫২
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভুগু'দা কষ্ট নিবেন না।
সে কোন কিছুতেই হাসবে না।
কোন কিছু তে সে খুশী না।
এক মাত্র তিনি ছাড়া কে্উ কচুটিও জানেনা।
জনৈক দাদা সেদিন তাকে ধমক দিয়েছে
মাস্টারি না করার জন্য।
রামগরুড়ের ছানা হাসতে তাদের মানা,
হাসির কথা শুনলে বলে,
“হাসব না-না, না-না!”
রামগরুড়ের বাসা ধমক দিয়ে ঠাসা,
হাসির হাওয়া বন্ধ সেথায়
নিষেধ সেথায় হাসা।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ছড়ায় বলেছেন দারুন খাসা
এক্কেবারে বারুদে ঠাসা
বুদ্ধি সব হাটুর নীচে
ভাবে নিজে বড় বুদ্ধিজীবি সে
ছাড়ুন সে কথা
শুনি গল্প নিয়ে কথা
২২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৪০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,
ইতিমধ্যে কয়েকজন বলেছেন অতীন্দ্রিয় ব্যাপার। যৌবনের ডাকাবুকো স্বভাব, অপরাধ প্রবণতা জীবন সায়াহ্নে আমাদের দুর্বল করে দেয়। গল্পে চমৎকারভাবে মায়ের প্রতি এমনই একটি অবিচারের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। জীবন ভিত্তিক গল্পে ভালোলাগা।
প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞার কারণে নেট পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় আমরা বাসা থেকে ব্লগিং করতে পারছিনা। দ্বিতীয় পর্বে আজ চতুর্থ দিন নেট পরিষেবা অচল। কর্মস্থল থেকে সময় বুঝে একটু ঢুঁ মারা আর কি।
নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা প্রিয় কবি ভাইকে।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধনন্যবাদ প্রিয় পদাতিক দাদা
আপনার সংবাদ জেনে দু:খিত হবো কি? দু:খ যে এপার ওপার একই সাথে যেন গাথা!
সীমান্ত এলাকায় মোবাইল সেবা বন্ধ করেছে জানলাম! কি একটা অবস্থা ভাবুন।
নির্দেশনার চাপে দিশেহারা আমজনতা!
এত কষ্টের মাঝেও হাজিরা দিয়েছেনন- অশেষ কৃতজ্ঞতা
শীঘ্রই সচল হোক এই শুভকামনা রইল
২৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৫৪
জুন বলেছেন: ভৃগু গল্পটা পড়ে একটা ভাবগম্ভীরের সাথে এক ওজনদার মন্তব্য করার জন্য স্ক্রল করে নীচে নামছি সাথে সবার মন্তব্যগুলো পড়ছি। প্রিয় ব্লগার চাঁদগাজীর মন্তব্য পড়ার পর কি লিখবো সব গুলিয়ে ফেল্লাম
তবে এটা ঠিক আমাদের মাঝে আজকাল অনুশোচনা বা পাপবোধের বালাই নেই এটা সত্য। পাপ ছাড়েনা বাপেরে এসব প্রবাদ প্রবচন এই সব এই জমানায় রিসাইক্লিন বিনে পরে আছে ডিলিট বাটনে চাপ দেয়ার অপেক্ষায়।
+
+
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:১০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
ব্লাক হোলে সব সুত্র আউলায়ই ব্যাপার না!
জীবন বোধের আংশিক জ্ঞানই মানুষকে অমানুষ করে ফেলছে।
`আমি আর আমার' - ব্যাক্তি স্বার্থপরতার মোড়কে আটকে গেছে চেতনা।
পরিবার কি দেশ? জন্মদাত্রী মা কিংবা দেশমাতা একই হাল!
প্লাসে অনুপানীত হলাম জুনাপু
অনেক অনেক ধণ্যবাদ ওো নতুন বছরের শুভেচ্ছা
২৪| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,
মানুষের মনের কথাগুলো, ক্ষোভ- উপলব্ধি- চেতনা- চাওয়াগুলো কেন যে প্রায়ই অতীন্দ্রিয় ব্যাপার স্যাপারের মধ্যে দিয়েই তুলে ধরা হয়! এর বাইরে বাস্তব ঘটনাক্রমের ভেতর দিয়ে মানুষের এই মন মেজাজের এমন স্বরূপ কেন যে জবরদস্ত আসেনা!
বিদ্রোহী কেউ একজন তো তার লেখায়, কবিতায় অবিচার-অনাচার-বঞ্চনার- বৈষম্যের কথাই অকপটে বিধৃত করে যান, তবে আজ কেন তাকে অতীন্দ্রিয় কিছুর স্মরনাপন্ন হতে হলো ? বিস্মিত।
তবে সচরাচর যে সব পাপবোধ মানুষের মনে থেকেই যায় তেমন একটা পাপবোধ নিয়ে লেখাটি ভালো হয়েছে।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আহমেদ জি এস ভায়া!
হুম। যথাযথ ভাবনা বটে।
বিদ্রোহ যদি ইন্দ্রিয় গাহ্য হয় তার বিদ্রোহের চেতনা কিন্তু অতীন্দ্রিয়
তাই সময়ের প্রয়োজনে হয়তো এ স্মরণ
অনুপ্রাণীত হলাম্ । এটা একটা সিরিজের অংশ মাত্র।
বিদ্রোহের জন্য বিশাল ময়দান তো খোলা রইলই
২৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:২৮
ইউসুফ হাওলাদার শাওন বলেছেন: অহ শেষ হয়েও হলো না শেষ,
দুর্দান্ত লিখেছেন
এই গল্পের ২'য় পর্ব চাই
০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া
অনুপ্রানীত হলাম।
আপনার ২য় পর্বের প্রস্তাব ভাবনার বিষয় বটে।
শুভেচ্ছা রইল
২৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৫
এম এ হানিফ বলেছেন: শেষের পরেও রয়ে গেল অতৃপ্তি। মনে হল আরো কিছু কথা, আরো কিছু জানার রইল বাকী----
১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভ্রাত:
অন্তহীন শুভেচ্ছা জানবেন।
২৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৪৯
নীল আকাশ বলেছেন: লেখাটা বইতে পড়ে আসলাম। দারুন লিখেছেন।
বিবেকের কঠোর কুঠারাঘাত! তবে খুব কম মানুষেরই বিবেক সেই পর্যন্ত জাগ্রত থাকে।
সেদিন দারুন আড্ডা হয়েছিল। আপনার বইয়ের কাজ কতদুর হলো?
শুভ কামনা রইলো।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৫৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া
হুম অল্প সময়ে দারুনই বটে
আহা বারবার যদি এমন গেট টুগেদার হতো কতইনা মজা হতো
চলছে ভায়া, ঢিম তেতালে
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
বিজন রয় বলেছেন: +++++!!