নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সম্প্রতি কতৃৃত্ববাদী সরকার বা তার সমর্থক, সুশীল গং এক ভয়ংকর তাত্ত্বিক খেলা ব্যবহারিক ভাবে খেলছেন।
তারা `সরকার' বিরোধীতাকে `রাস্ট্র' বিরোধীতার তকমা দেয়ায় উঠে পড়ে লেগে আছেন। এবং বেশ সুফলও পাচ্ছেন।
সাথে মুক্তিযুদ্ধের মতো পবিত্র সার্বজনীন চেতনাকেও দলীয় বৃত্তাবদ্ধে আবদ্ধ করে ভিন্নমত বা ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আঘাত করতে নির্বিচার ব্যবহার করছেন। ফলে যে কোন প্রকার ভুল, অন্যায় বা অবিচারের প্রতিবাদ করতে গেলে তা সরকার বিরোধীতার বদলে তকমা দেয়া হচ্ছে রাষ্ট্র বিরোধিতার বা বানানো হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধীতা। রাষ্ট্রদ্রোহীতা বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংযোগের ফলে তা ব্যাপক ক্ষতিকর মাত্রা লাভ করছে।
যার প্রতিক্রিয়ায় মানুষের মতপ্রকাশের ক্ষেত্রগুলো ক্রমশ সংকুচিত হতে হতে প্রায় শুন্যে নেমে আসছে। যা একটা জাতির জন্য ভয়ংকর এক অশনিসংকেত। ভিন্নমতের দলন দমন নতুন কিছু নয়, কিন্তু ব্যাক্তির ভুল, বা প্রতিষ্ঠানের ভুল, সরকারের ভুলকে আড়াল করতে, বিরোধী মতকে ঠেকাতে রাষ্ট্রকে এবং মহান মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার নিন্দনীয় শুধু নয় অপরাধ বৈকি।
সাংবিধানিক ভাবে সকলের সকল সমান, ন্যায়সংগত অধীকারকে ত্রি-মাত্রার এক আবেগের আড়ালে কাবু করা হচ্ছে। মিথ্যা এবং অন্যায় ভাবে সরকার এবং রাস্ট্র সম্পর্কে মানুষের স্বল্প জানার সুযোগে তারা দুটোকে একে পরিণত করেছে। সাথে সার্বজনীন মুক্তিযুদ্ধকে দলীয় বৃত্তাবদ্ধে আবদ্ধ করে তার মহত মহান অবস্থানকে খেলো করে তুলছে।
বিষয়টি বোঝার আগে চলুন সরকার আর রাষ্ট্রের মাঝে ব্যবধানটা স্পষ্ট বুঝে নেই।
সরকার ইংরেজীতে Government. হলো কোনো দেশের সর্বোচ্চ সংস্থা ও কর্তৃপক্ষ যার মাধ্যমে দেশটির শাসন কার্য পরিচালিত হয়। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় সরকার জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি যেমন সংসদ সদস্যদের দ্বারা গঠিত হয়। সরকারের মৌলিক দায়িত্ব জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী দেশের নিরাপত্তা বিধান করা, সমাজের শান্তি বজায় রাখা, মানুষের জান-মাল রক্ষা করা এবং বিবাদের ক্ষেত্রে বিচারকার্য পরিচালনা করা। সরকার তার ওপর আরোপিত দায়িত্বসমূহ পালনের স্বার্থে রাজস্ব আহরণ করে এবং শাসনকার্য পরিচালনা ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য তা ব্যয় করে থাকে।
এই সরকার আবার আচরণ এবং কর্মপদ্ধতি অনুসারে বহুবিধ রকমের হয়ে থাকে।
নৈরাজ্যবাদী, কর্তৃত্ববাদী, সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র, গণতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, রাজতন্ত্র,সংকীর্ণ গোষ্ঠীতন্ত্র, ধনিকতন্ত্র, দিব্যতন্ত্র,সর্বনিয়ন্ত্রণবাদী সরকার, আইনানুগমনবাদী সরকার ইত্যাদি।
সংক্ষেপে সবার স্বরুপ জেনে নিন-
নৈরাজ্যবাদী – এটি এমন একটি রাজনৈতিক দর্শন যা রাষ্ট্রকে অপ্রয়োজনীয়, ক্ষতিকর ও অবাঞ্ছনীয় মনে করে এবং রাষ্ট্রহীন সমাজের সপক্ষে মতপ্রকাশ করে।
কর্তৃত্ববাদী সরকার – কর্তৃত্ববাদী সরকার কোনো প্রজাতন্ত্র বা যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রের সর্বময় কর্তৃত্বের সপক্ষে মতপ্রকাশ করে। এটি অনির্বাচিত শাসকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি ব্যবস্থা, যাঁরা কিছুটা ব্যক্তিগত স্বাধীনতা দিয়ে থাকেন।
সাংবিধানিক রাজতন্ত্র – এই জাতীয় সরকারে একটি রাজতন্ত্র বিদ্যমান; কিন্তু উক্ত রাজতন্ত্রের ক্ষমতা আইন বা ঘোষিত সংবিধানের দ্বারা সীমাবদ্ধ। উদাহরণ: যুক্তরাজ্য।
সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র – এই জাতীয় সরকারের ক্ষমতা আইন বা আনুষ্ঠানিক সংবিধান দ্বারা সীমাবদ্ধ এবং এই সরকার সংশ্লিষ্ট দেশের জনসংখ্যার একটি ক্ষুদ্র অংশ দ্বারা নির্বাচিত। উল্লেখ্য, প্রাচীন স্পার্টা ঘোষিতভাবে ছিল একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র; কিন্তু সেদেশের অধিকাংশ মানুষই ভোটদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকতেন। আবার প্রথম যুগের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ছিল গণতান্ত্রিক দেশ; কিন্তু ক্রীতদাসদের সেযুগে ভোটদানের অধিকার ছিল না।
গণতন্ত্র – গণতন্ত্র হল এমন একটি সরকার যা দেশের জনসংখ্যার বৃহত্তম অংশ দ্বারা নির্বাচিত। এই সরকার সাংবিধানিক রাজতন্ত্র বা সাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র দুইই হতে পারে। গণতন্ত্রের ব্যক্তির ভোটদানের অধিকার তার সামাজিক মর্যাদা বা সম্পদের উপর নির্ভরশীল নয়।
একনায়কতন্ত্র – একক ব্যক্তি স্বেচ্ছায় শাসিত দেশের সরকার। স্বৈরাচারী শাসক সাধারণত বলপূর্বক ক্ষমতা দখল করেন। (আরও দেখুন স্বৈরতন্ত্র ও রাষ্ট্রতন্ত্র)
রাজতন্ত্র – এমন ব্যক্তির শাসন যিনি শাসনক্ষমতা উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত হন।
সংকীর্ণ গোষ্ঠীতন্ত্র – একই স্বার্থবিশিষ্ট ছোটো ছোটো গোষ্ঠী বা পরিবারের শাসন।
ধনিকতন্ত্র – ধনবান শ্রেণির শাসন।
দিব্যতন্ত্র – ধর্মীয় নেতাদের শাসনতন্ত্র।
সর্বনিয়ন্ত্রণবাদী সরকার – এই জাতীয় সরকার সরকার ও ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নিজ কর্তৃত্ব আরোপ করে।
আইনানুগমনবাদী সরকার – এই জাতীয় সরকার আইনের শাসনকে চূড়ান্ত মনে করে; আইনমান্যকারীদের পুরস্কৃত করে ও আইনভঙ্গকারীদের কঠিন শাস্তি দেয়।
রাষ্ট্র কি? রাষ্ট্র ইংরেজি (state) স্টেট শব্দের পারিভাষিক শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ইংরেজি স্টেট শব্দটি মূলত ল্যাটিন স্ট্যাটাস শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ অবস্থা। যা কখনো আইনানুগভাবে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে এমন ব্যক্তিদের অস্তিত্ব থাকা, কখনো বা রাজার অবস্থা আবার কখনো বা প্রজাতন্ত্রের অবস্থা বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে
A state is a polity that is typically established as a centralized organisation. There is no undisputed definition of a state. Max Weber's definition of a state as a polity that maintains a monopoly on the use of violence is widely used, as are many others.
রাষ্ট্র বলতে এমন এক রাজনৈতিক সংগঠনকে বোঝায় যা কোন একটি ভৌগোলিক এলাকা ও তৎসংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণকে নিয়ন্ত্রণ করার সার্বভৌম ক্ষমতা রাখে। রাষ্ট্র সাধারণত একগুচ্ছ প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গড়ে ওঠে। এসব প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ভৌগোলিক সীমার ভেতর বসবাসকারী সমাজের সদস্যদের শাসনের জন্য নিয়ম-কানুন তৈরি করে।
ম্যাক্স ওয়েবারের প্রভাববিস্তারী সঙ্গানুযায়ী রাষ্ট্র হচ্ছে এমন এক সংগঠন যা নির্দিষ্ট ভূখন্ডে আইনানুগ বলপ্রয়োগের সব মাধ্যমের উপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ রাখে, যাদের মধ্যে রয়েছে সশস্ত্রবাহিনী, নাগরিক, সমাজ, আমলাতন্ত্র, আদালত এবং আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।
প্রায়োগিক দিক থেকে দেখতে গেলে, ম্যাক্স ওয়েবারের প্রভাবশালী সঙ্গানুযায়ী- এটি এমন একটি সংস্থা , নির্দিষ্ট এলাকার ভেতর আইনসিদ্ধ বলপ্রয়োগের ক্ষেত্রে যার রয়েছে একচ্ছত্র আধিপত্য। এমন কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট এলাকায় নিজস্ব আইনী আদেশ আরোপ করতে পারে, এমনকি যদি সেই কর্তৃপক্ষ আইনগতভাবে অপরাপর রাষ্ট্র দ্বারা, রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃত নাও হয় তবুও। উদাহরন হিসেবে সোমালিল্যান্ডের সোমালি অঞ্চলের কথা বলা যেতে পারে। বা ইসরাইলের কথা।
রাষ্ট্র হলো পূর্নতর, সমগ্র এক স্বত্তা, যা সকলের, সার্বজনীন, স্থায়ী, বিমূর্ত ভৌগলিক এক মৌলিক প্রতিষ্ঠান। যা সার্বভৌম সবার সব ধরনের আইন ও অধিকারের উৎস।
কিন্তু সরকার তা নয়। সরকার ও রাষ্ট্রের মৌলিক পার্থক্য গুলো দেখুন:
১. রাষ্ট্র হল সমগ্র আর সরকার হল এর একটি অংশ মাত্র।
২. অধ্যাপক গার্নার এর মতে,রাষ্ট্র যদি হয় জীবদেহ,তবে সরকার হল এর মস্তিষ্কস্বরূপ।
৩. সকল জনসমষ্টি নিয়ে রাষ্ট্র গঠিত;কিন্তু সরকার গঠিত হয় সমগ্র জনসমষ্টির একটি ক্ষুদ্র অংশ দ্বারা।
৪. রাষ্ট্র হল একটি সার্বভৌম প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক সংগঠন;কিন্তু সরকার হল এর মুখপাত্র মাত্র।
৫. রাষ্ট্র কম-বেশি চিরস্হায়ী,কিন্তু সরকার চির পরিবর্তনশীল।
৬. রাষ্ট্র একটি তত্ত্ব বিমূর্ত ধারণা এবং অস্তিত্ব কাল্পনিক। কিন্তু সরকার একটি বাস্তব প্রতিষ্ঠান।
৭.সকল রাষ্ট্র মূলত একই ধরনের,কিন্তু সকল রাষ্ট্রের সরকার একই রূপ নয়।
৮.রাষ্ট্র একটি ভৌগোলিক প্রতিষ্ঠান;কিন্তু সরকার তা নয়।
৯.রাষ্ট্র সবধরনের আইন ও অধিকারের উৎস;কিন্তু সরকার এর রক্ষক মাত্র।
১০.রাষ্ট্র সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী;সরকারের এরূপ ক্ষমতা নেই।
১১.রাষ্ট্র একটি মৌলিক প্রতিষ্ঠান;কিন্তু সরকার হল রাষ্ট্রের অন্তর্গত একটি প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন মাত্র।
রাষ্ট্র ও নাগরিক সমাজ
আধুনিক রাষ্ট্রের সাথে নাগরিক সমাজের সংযুক্ত-বিযুক্ত থাকা প্রসঙ্গে থমাস হব্স, জে. জে. রোসাও, ইমানুয়েল কান্ট এর মত ধ্রুপদী চিন্তাবিদেরা যেখানে রাষ্ট্র ও সমাজের পরিচয় নির্দিষ্ট করার কাজে মনোযোগ দিয়েছেন, সেখানে জি. ডাব্লুউ. এফ. হেগেল ও অ্যালেক্সিস ডি টোকভিল থেকে শুরু করে আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তাবিদেরা বরং দু’টি ভিন্ন ভিন্ন সত্ত্বা হিসেবে তাদের মধ্যকার সম্পর্কের স্বরূপ নিরূপণে মনোযোগ দিয়েছেন।
তাই নিশ্চি ভাবেই বলা যায় নাগরিক সমাজের অন্যতম দায়িত্ব রাষ্ট্র ও সরকারের দুটোরই সুষম ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য সচেতন কার্যক্রম পরিচালনা করা। যার উপর ভিত্তি করেই আইন, বিচার ও প্রশাসনিক কাঠামোর বাইরেও সুশীল সমাজ কনসেপ্ট গড়ে ওঠে। সচেতন নাগরিক সমাজ সরকারকে প্রশংসা, সতর্কতা এবং দিকনির্দেশনার মাধ্যমে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করবে। রাষ্ট্র নাগরিক সমাজের সার্বভৌম অধিকার নিশ্চিত করে সংবিধানের অনুসারে।
এখন সরকার যেহেতু রাষ্ট্রের পক্ষে দায়িত্ব পালন করে মাত্র, তাই তার সমালোচনাকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সমালোচনা বলা যাবে না। কারণ রাষ্ট্রই নাগরিক কে সেই অধিকার দিয়েছে। নাগরিকদের মধ্য থেকেই স্বল্প সময়ের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকার গঠিত হয়। আবার নাগরিক চাইলে সেই সরকার বদলেও দেয়া যায়।
তাই সরকারের সমালোচনা কখনোই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচারণ নয়। বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরোধীতা নয়।
কারণ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাই নাগরিককে সেই রাষ্ট্রীয় অধীকার দিয়েছে- নাগরিক সরকারের সমালোচনা করতে পারবে।
সরকারের সমালোচনা রাষ্ট্রের সমালোচনা নয়। রাষ্ট্রদ্রোহীতাও নয়। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপক্ষেতো নয়ই।
যদি সেই সমালোচনা দেশের মৌলিক নীতি, রাস্ট্রের বিরুদ্ধে এবং স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে না হয়।
আওয়ামীলিগ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নেতৃত্ব দিয়েছে তা যেমন ঐতিহাসিক সত্য, তেমনি মুক্তিযুদ্ধে সারা দেশের আপামর জনসাধারনই জীবন দিয়ে, সম্ভ্রম দিয়ে, ত্যাগের বিনিময়ে দেশকে স্বাধীন করেছে এটাও সত্য। গুটিকয় দেশদ্রোহী রাজাকার, আলবদর, আল শামস ছাড়া বাকী সাড়ে সাত কোটি বাঙালী স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্যই লড়াই করেছে। এবং তা অর্জন করেছে।
এখন এই স্বাধীন রাষ্ট্রে; যে পরাধীনতা, যে মুক্ত মতপ্রকাশে বাঁধা, যে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকার ক্ষোভে লড়াই করতে হয়েছিল, সেই অবস্থা যদি বিরাজ করে; নাগরিকের শতভাগ অধিকার আছে সেই সরকারের সমালোচনা করার। এটাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এটাই স্বাধীনতার চেতনা। তাই বর্তমানের আওয়ামীলিগ সরকারের ভুলকে ভুল বলাও নাগরিক অধিকার বৈকি। এবং তা কোনক্রমেই অন্য কোন ট্যাগিং করার সুযোগ নেই। বা করলেও তা মুল্যহীন।
এখন কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতার দম্ভে, প্রশাসনের অবৈধ ব্যবহার করে যদি তা দমন করে, করতে পারে কিন্তু ইতিহাসে তা কলংকিত অধ্যায় হিসেবেই চিহ্ণিত থাকবে। আর নাগরিক ক্ষোভ পুঞ্জভিুত হতেই থাকবে। সেই ক্ষোভের প্রকাশ কিরুপ হবে তা হয়তো সময়ই বলে দেবে। যেমন ৫২ তে প্রকাশ হয়েছে ৬৯ এর পথ বেয়ে একাত্তরে চূড়ান্ত রুপলাভ করেছে।
কারণ স্বাধীনতা মানুষের একান্ত মৌলিক অধিকার।
যুগে যুগে কালে কালে যারাই স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে চেয়েছে তারা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। তা ব্রিটিশ কলোনিয়াল পাওয়ারই হোক বা পাকি স্বৈরাচার বা স্ব-দেশী স্বৈরাচার!
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বিষয়টা পীড়া দিচ্ছে দীর্ঘদিন। মতপ্রকাশের রুদ্ধতায় বাস্তবতার সন্ধানে নামা
অথবা
কর্তৃত্ববাদীতার মূখোশ উন্মোচনও বলতে পারেন
শুভেচ্ছা অন্তহীন
২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র?
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মেজর সাবজেক্ট পল সাইন্সই ছিল।
কেন ভাই ভুল হইছে কোন?
৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মানুষ সাধারণত নিজেদের পুঁজি নিয়ে ব্যবসা করার সময় ভেবে চিন্তে করে। কিন্তু তেনারা সে ব্যবসাটাও ঠিক মত করতে পারলেন না। একটাই তেনাদের তৃপ্তি - তা হল এখন তেনাদেরকে নিয়ে সমালোচনা বা হাসিরও কেউ নেই...
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম
কর্তত্ববাদের সংগায় অবশ্য তেমনটাই বলে
আমজনতার হাল-
পড়েছ মোগলের হাতে
খানা খেতে হবে সাথে!
৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৬
জুল ভার্ন বলেছেন: সময়োপযোগী অসাধারণ সুন্দর একটি লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই। এই বিষয়ে অনেক কিছু বলার সুযোগ থাকলেও কেন বলা যাবেনা সেটাও আপনার পোস্টে লিখেছেন। তারপরও আমি একই বিষয় নিজের কিছু বক্তব্য আপনার সাথে শেয়ার করতে চাই।
বিংশ শতাব্দীর মতো অনেক দেশে সরাসরি সামরিক শাসন না থাকলেও, অনেক দেশে গণতান্ত্রিক-ভাবে নির্বাচিত সরকারগুলো সামরিক একনায়কদের মতোই আচরণ করছে। আমাদের দেশে বেসামরিক সরকার থাকলেও গণতন্ত্র কতটা কার্যকরী আছে সেটি নিয়ে অনেক প্রশ্নের উদয় হয়েছে।
একটি দেশে বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকলেও সে দেশে গণতন্ত কিভাবে বুঝবেন একটি দেশে গণতন্ত্র নেই?
প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন: গণতন্ত্রের মূল বিষয় হচ্ছে নির্বাচন। সে নির্বাচন হতে হবে এবং অবাধ ও স্বচ্ছ। যে দেশে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি এবং জবরদখল হয় সেটিকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলেনা। যেসব দেশে বেসামরিক একনায়কতন্ত্র আছে সেখানেও নিয়মিত নির্বাচন হয়।
কারণ তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে শাসকগোষ্ঠী তাদের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রাখে।
এখন নির্বাচনে কারচুপি শুধু জাল ভোটের মাধ্যমে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়না, এর নানা দিক আছে। নির্বাচনের সময় অধিকাংশ একনায়ক শাসক তাদের প্রতিন্দ্বন্দ্বিকে নানা কৌশলের মাধ্যমে নির্বাচনে অযোগ্য করে দেন। একটি সরকার নির্বাচিত হলেই গণতান্ত্রিক হয়না।
গণতন্ত্র না থাকলে এবং একনায়কতন্ত্রের আবির্ভাব হলে জনগণের মতামতকে সহিংসভাবে দমনের চেষ্টা করা হয়।
এর ফলে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলে।
'সিভিলিয়ান অটোক্র্যাট' বা 'বেসামরিক স্বৈরশাসক' বলে একটি কথা রাষ্ট্রবিজ্ঞানে চালু আছে। তাতে গণতান্ত্রিক সরকারের চরিত্র দেখে অনেক সামরিক শাসকও লজ্জা পায়।।
'দ্য ডিক্টেটর' নামের একটা কমেডি ফ্লিম দেখেছিলাম। এই চলচ্চিত্রে কাল্পনিক দেশ ওয়াদিয়ার স্বৈরশাসকের চরিত্রে অভিনয় করেন সাচা ব্যারন কোহেন। একটি দেশে একজন স্বৈরশাসকের পক্ষে কী কী নৈরাজ্য চালানো সম্ভব তা ঠাট্টা এবং তামাশাচ্ছলে চলচ্চিত্রটিতে তুলে আনেন পরিচালক।
যে দেশে গণতন্ত্র থাকেনা সেখানে শাসকগোষ্ঠী নিয়মিত নানা ধরণের নির্বাচন অনুষ্ঠান করলেও সেসব নির্বাচনের প্রতি মানুষের কোন আস্থা থাকেনা।
ভোটাররা ভোট প্রদানের ক্ষেত্রে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। তারা ভোট দেবার জন্য ভোট কেন্দ্রে যেতে চায়না। সংসদ হবে একদলীয়। সংসদে ক্ষমতাসীনদের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকে। সংসদে কার্যত কোন বিরোধী দল থাকেনা।
নিরাপত্তা বাহিনীর প্রভাব থাকে সীমাহীন। নিরাপত্তা বাহিনীগুলো নানা ধরণের আইন-বহির্ভূত কাজ জড়িয়ে পরে। কারণ, শাসক গষ্ঠী তাদের ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য নিরাপত্তাবাহিনীকে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন এবং সাধারণ মানুষকে দাবিয়ে রাখার কাজে ব্যবহার করে।
নির্বাচন কমিশন, সংসদ, বিচার বিভাগ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক প্রভাব থাকে। মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমও স্বাধীনভাবে কাজ করতে ভয় পায়।
এমনকি শাসকগোষ্ঠী ইন্টারনেটও নিয়ন্ত্রণ করে যাতে করে মানুষ সেখানে নিজেদের মতামত প্রকাশ করতে না পারে।
একনায়কতন্ত্রে দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ঘটে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ক্রয় করার জন্য এই দুর্নীতি ব্যবহার করা হয়।
এই ব্যবস্থায় দুর্নীতি এমন সুন্দরভাবে সাজানো হয় যে, সেটি অল্প কিছু ব্যক্তির উপর নির্ভর করে।
শাসকের অনুগত হবার বিনিময়ে তাদের দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেয়া হয়। ফলে তারা আরো ধনী হয়।
যদি কোন কারণে সন্দেহ হয় যে তারা শাসকের অনুগত নয়,তখন তাদের দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়।
পোস্টে লাইক।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন বিশ্লেষনী মন্তব্য পোষ্টের অলংকার হয়ে রইল।
প্রতিমন্তব্যে লাইক এত্তগুলান
অন্তহীন কৃতজ্ঞতা আর ধন্যবাদ
৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০২
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করা ভালো।
কিন্তু সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে রাষ্ট্রকে
আঘাত করাটা অপরাধ। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই বোঝে না
সরকার কী আর রাষ্ট্র কী? সমস্যাটা এইখানে।
প্রতিদিন সরকারের সমালোচনা করছে ‘প্রথম আলো’ ও ‘ডেইলি স্টার’সহ অন্যান্যরা।
সরকার তাতে বাধা দিচ্ছে না।
দেশের সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে মন্ত্রী-এমপিদের
ঢালাওভাবে গালিগালাজ করাটা সমালোচনার মধ্যে পড়ে না।
এটা কারও গণতান্ত্রিক অধিকারও হতে পারে না।
আমি অনেককে তা-ই করতে দেখেছি।
সমালোচনার একটা ভাষা আছে। এটা সবাই জানে না আর বোঝেও না।
আমার এই মন্তব্য পড়ে আপনি আবার মনখারাপ করবেন না।
আমি সমালোচনাকে মোটেও ভয় পাই না।
শেষকথা: সবাই যদি সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করতো
তাহলে দেশটা এতোদিনে সত্যি-সত্যি ইউরোপ হয়ে যেতো।
শুভসন্ধ্যা। আর শুভকামনা ভাই।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: না মন খারাপ করার কিছু নেই।
যেখানে মত প্রকাশের দ্বারই রুদ্ধ! যেখানে ভিন্নমতে গুম, দমন, পীড়ন বড় অস্ত্র
সেখানে সামান্য সমালোচনা আহত হলে কি চলে হা হা হা
মন্ত্রী এমপিরা যদি গালি খাওয়ার কাজ করে তখন কি করবেন?
আমেরিকায় তো দেখি ট্রাম্পের বারবী রবার পুতুল বানিয়ে রাস্তায় যাচ্ছে, পাবলিক দৌড়ে দৌড়ে গিয়
পশ্চাতদেশে লাথি মারছে। ফেসবুকে ভিডিওটা নিশ্চয়ই দেখেছেন।
সমালোচনার ভাষা তখনই সীমিত হয় যখন দায়বোধ একটিভ থাকে।
ব্যার্থতার পর ব্যার্থতায় যখন নির্লজ্জএর মতো গদি আকড়ে থাকে তখনই সমালোচনা সীমা অতিক্রম করে!
এটা ভাইস ভার্সা অনেকটা। আপনি দায় দেখালে আমি দায়বদ্ধ হই। আপনি ঔদ্বত্য দেখালে বাধ্য হয়েই জনতাকে অসহায় গালির পথে জাটতে হয়।
স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর এক রাজাকারের তালিকার দিকে তাকান।
প্রশাসনিক, তাত্বিক এবং তাথ্যিক যে বিষম বিভ্রাট সহ তা প্রকাশ হয়েছে তা কি কাম্য?
মুক্তিযোদ্ধা মায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারিক ট্রাইবুনালের আইনজীবি শুদ্ধ রাজাকার হয়ে গেছে!
এই যে ব্যার্থতা এর দায় কেউ স্বীকারে রাজি নয়। যে কোন ক্ষমতার মসনদ চাই। এই ক্রেজিনেসই তখন বিপরীত প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
সরকার যদি ন্যায়ানুগ, সত, দায়িত্ববান এবং আত্মসম্মান, আত্মমর্যাদাবোধ সম্পন্ন হতো
তাহলে আপনার কথঅ সত্যি হতে এতদিন্ লাগার কথা নয়।
শুভেচ্ছা অন্তহীন
৬| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
বর্তমান সরকার, মানে শেখ হাসিনার সরকার একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার এতে আমার সন্দেহ নেই। আপনার লেখায় অনেক ডেফিনেশন ইত্যাদি দিয়ে, ব্লগারগণকে রাষ্ট্র ও সরকার সমুহসমুহ বুঝতে সাহায্য করেছেন, ভালো।
কিন্তু শেখ হাসিনা ও বেগম জিয়া কেন ও কিভাবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রবেশ করে, কিভাবে বেগম জিয়া হবুরাজ্য চালিয়েছিলেন ও শেখ হাসিনা কিভাবে "একটি কর্তৃত্ববাদী সরকার " সরকার গঠন করার সুযোগ পেলেন? সেটা একটু ব্যাখ্যা করেন। এরা তো রাজনীতিবিদ ছিলেন না, এরা কোন শুন্যতার সুযোগ ধরে বাংলাদেশের রাজনীতির শীর্ষ থেকে দলকে জয়ী করলেন? সেটা ব্যাখ্যা করেন।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
সবতো একজন করলে হয় না। আপনারা ঐ সময়কে দেখেছেন।
আপনারা আপনাদের তথ্যভিত্তিক সত্র গুলো লিপিবদ্ধ করে যান। সত্য ব্যাখ্যা দিয়ে যান।
ইতিহাসে তাই মাইলফলক হয়ে থাকবে।
হুম সে প্রসংগ ভিন্ন। লেখা যেতেই পারে।
ভাল থাকুন।
৭| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
শেখ সাহেব ও তাজুদ্দিন সাহেব কি করে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে বিলীন হয়ে গেলেন, শেখ হাসিনা ও বেগম জিয়া রাজনৈতিক দল দুটোর শীর্সে থেকে শুরু করলেন? সেটা ব্যাখ্যা করেন।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট।
সমসাময়িক রাজনীতি এবং যুদ্ধোত্তর দেশে তো আপনারাই ছিলেন প্রথম সারির নাগরিক।
আপনারা ভাল বলতে পারবেন।
আর প্ররবর্তী প্রজন্ম হিসেবে আমরা কি আপনাদের কাছে প্রশ্ন রাখতে পারিনা?
আপনারা কি সেই দায় এড়াতে পারেন?
একজন সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে, প্রথম শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দেশ গঠনের তৎকালীন ব্যার্থতার দায় কি স্বীকার করেন?
৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
যারা ৫৫ হাজার রাজাকার নিয়ে আমাদের বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, সেই দল ২০০১ সালে বাংলাদেশের ক্ষমতায় ছিলো; তারা দেশ চালানোতে জাতির উপর কোন প্রকার প্রভাব পড়েছে কিনা?
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ২০০১ এতো বিএনপি ক্ষমতয় ছিল।
বিএনপি ৫৫ হাজারা রাজাকার নিয়ে আপনাদের বিপক্ষে যুদ্ধ করেছে??? কি বলছেন?
একাত্তরে তো বিএনপির জন্মই হয় নি!
হুম, জামায়াতের মতো জঘন্য দলের সমর্থন নিয়েছে এটা নিন্দার যোগ্য। তবে সত্য বললে সবার জন্য একই নীতিতে বলবেন । সেটাই নৈতিকতা।
আওয়ামীলিগ কি জামায়াতের সহেযাগীতা নেয় নি?
দু দলই এই অপরাধে সমান অপরাধী। বরং আওয়ামীলিগ বেশি অপরাধী কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী দল।
বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা একজন সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধা । বিএনপিতে সশস্ত্র মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যাও অন্যদলের চেয়ে বেশি।
তাই কেবল বিরোধীতার খাতিরে বিরোধিতা না করে স্পেসিফিক বলা উত্তম।
আর আপনি যে কারণ খুঁজছেন- এর অন্যতম কারণ হেলা এই অন্ধ স্তাবকতা। দলান্ধতা! নিজ দল হলে অপরাধ ঢেকে রাখা! কু-যুক্তি দিয়ে অপরাধ খন্ডনের অপচেষ্টা। এসব।
তাদের অপচেষ্টার জবাবেই জাতি কিন্ত আওয়ামীলিগকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনলো।
এখন কি হচ্ছে? কেন হচ্ছে?
৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
"কর্তৃত্ববাদী সরকার" প্রথমে ১৯৭৫ সালে শুরু হয়েছিলো, ১৯৮২ সালে শুরু হয়েছিলো, নাকি ১৯৯৬ সালে শুরু হয়েছিলো?
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
আপনিই বলুন।
ইত্যাদির নানা নাতির মতো প্রশ্ন করলেই হবেনা। উত্তরও মাঝে মাঝে দেয়া চাই
১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০১
চাঁদগাজী বলেছেন:
কয়েকটা প্রশ্ন করেছি, আপনি উত্তর দিয়েছেন, ধন্যবাদ।আমার মতে, রাজনীতি নিয়ে লেখা বেশ কঠিন ব্যাপার! আপনার পোষ্ট "বাংলাদেশ সরকারগুলো কেন কর্তৃত্ববাদী হলো", সেটা ব্যাখ্যা করতে পারেনি।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমার পোষ্টের টপিক তা ছিল না।
সরকার এবং রাষ্ট্র সম্পর্কে মানুষের অল্প জানার সুযোগ নিয়ে কিছু জ্ঞানপাপী কিভাবে মানুষকে,
নীতি নৈতিকাকে, গণতন্ত্রকে মোলেষ্ট করছে।
সরকারের ব্যার্থতার সমালোচনা রুদ্ধ করে দিতে রাষ্ট্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অপব্যবহার করছে।
"বাংলাদেশ সরকারগুলো কেন কর্তৃত্ববাদী হলো" এটা ভিন্ন টপিক হতে পারে লেখার।
সম্ভব হলে লিখে ফেলুন।
ধন্যবাদ
১১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি লিখেছেন, "সরকারের ব্যার্থতার সমালোচনা রুদ্ধ করে দিতে রাষ্ট্র এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অপব্যবহার করছে। "
-সরকারের সমালোচনা করে রাজনৈতিক দল; কিন্তু জামাত, বিএনপি ও জাপা সঠিক রাজনৈতিক দল নয়; জামাত জাতির বিপক্ষে যুদ্ধ করেছে; বিএনপি ও জাপার জন্ম কেন্টনমেন্টে।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এখানেই আসে ডকটেটর চেতনার কথা।
আপনিই যদি সব জাস্টিফাই করে দেন তবেতো জনমত মূল্যহীন। স্বৈরি মোনভাবের প্রকাশ!
আপনি সত্যকে তুলে ধরুন। চেতনাকে শানিত করুন। কর্ম এবং আচরণে মানুষের নৈকট্যে আসুন!
মাণুষকে তাদের পছন্দ অনুসারে বেছে নিতে দিন!
জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভাল এটাই তো হবার কথা!
সৈয়দ বাদী পোলা চুরি করলে কি তা জায়েজ?
বিএনপি চুরি করলে চুরি, আর চেতনার নাম দিয়ে ডাকাতি করলে তা বুঝি বৈধ??
বলীহারি! আমার ভুল ও ঠিক আর অন্যের ভুল জঘন্য এই বাজে চেতনা থেকে বের না হওয়া পর্যন্ত জাতিগত মুক্তি দূরপরাহত!
সকলের ভুলকে ভুল বলতে শিখতে হব।
১২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,
৫ নং প্রতিমন্তব্যে চমৎকার একটি কথা বলেছেন --- সমালোচনার ভাষা তখনই সীমিত হয় যখন দায়বোধ একটিভ থাকে।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আহমেদ জিএস ভায়
পাঞ্চ লাইনটা নজরে পরায় কৃতজ্ঞতা।
শুভেচ্ছা অন্তহীন
১৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:০৩
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
বিদ্রোহী ভৃগু ভাই,
আমরা বাংলাদেশে এক অন্ধকার কূপে পরে গেছি যেখান থেকে রেহায় নেই। কোনোভাবেই রেহায় নেই। আওয়ামী লীগ বিএনপি জামাতের সান্ডা পান্ডা এই দেশটাকে যেভাবে লুটে নিয়েছে আপনি কি বিস্বাস করেন বৃটিস সরকার এই দেশকে তাদের চেয়ে ০২% ও লুট করে নি - আপনার বিস্বাস হয়।
মাঝে মাঝে মনে হয় বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন কোন কারণে হয়েছে? ২০০ বছরে দেশ যা লুট হয়নি গত ৫০ বছরে তারচেয়ে হাজারগুণ বেশী লুটতরাজ হয়েছে।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ ভাই
হুম খুব বিশ্বাস করি।
২০০ বছরে দেশ যা লুট হয়নি গত ৫০ বছরে তারচেয়ে হাজারগুণ বেশী লুটতরাজ হয়েছে।
আর ৫০ বছলে যা লুট হয়েছে তার সবচে বেশী হয়েছে গত ১৫ বছরে! ৮০-৯০ ভাগই হবো বোধকরি!
হায় মানুষ! যক্ষের ধনের মতো লুট করছো কিন্তু ভোগ করতে পারছো না সিকি আনাও!
তবু লোভ গেলো না! কৃপনের ধণ বক্ষিলে খায় কথার মতো তাদের লুটের অর্থ সুইস ব্যাংকের ভল্টেই পঁচবে!
কিংবা অন্য কোন সহযোগীর ভাগারে!
আফসোস না করে ভায়া জাগুন। জাগান। আত্মার দায় থেকে। আমি সাধ্যমত চেষ্টা করেছি - ভাবনায়।
১৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫২
একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: ভালো লাগল লেখার কথাগুলো।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া
শুভেচ্ছা রইল
১৫| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশে রাজনীতি রাজনৈতিক দল পৃথিবীর যে কোন দেশ থেকে আলাদা।
চাদগাজী অনেকটা বলেছে,
সরকারের সমালোচনা করে রাজনৈতিক দল;
কিন্তু জামাত, বিএনপি ও জাপা সঠিক রাজনৈতিক দল নয়;
জামাত জাতির বিপক্ষে যুদ্ধ করেছে; ঘাতক বাহিনী তৈরী করে গণহত্যা চালিয়ে গেছে। পরাজয়ের আগে তালিকা করে দেশের শিক্ষিত মাথা সবাইকে খতম করে পালিয়েছিল। পরে ফিরে এসেও পুর্ব কর্মকান্ডের ভুল স্বীকার করেনি, অনুতপ্ত হয়নি।
তাদের আন্ডাবাচ্চারাও অনুতপ্ত নয় গর্বিত।
বিএনপি ও জাপার জন্ম কেন্টনমেন্টে।
রাষ্ট্রপ্রধান হত্যা করে পরে কু এর নামে হাজার হাজার সেনা হত্যা করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে কার্ফু দিয়ে সব রাজনীতি বন্ধ করে নিজের একটি রাজনৈতিক দল গঠন।
এরপর পলাতক নিষিদ্ধ আলবদরদের ডেকে এনে ব্যাকিং দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করন। তারপর কথিত বহুদলীয় গণতন্ত্র।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম
ভাই বুকে হাত দিয়ে বলুন এগুলো কেবলই কথার কথা নয়?
ক্ষমতার প্রয়োজনে আওয়ামীলীগ কি করে জামাতের সমর্থন নেয়?
এতদীর্ঘদিন ক্ষমতায় - কই জামায়ত নিয়েতো কার্যকরী কোন সিদ্ধান্তই হলো না!
বরং দুধের গাইয়ের মতো লাত্থি গুতা মেরে সবাই 'তার' দুধ খেয়েই চলছে!
ব্যাংক, হাসপাতাল, ব্যবসা প্রতিস্ঠান দখল আর ভয় দেখীয়ে আর্থিক সুবিধার কিচ্চা কাহিনীইতো শুনছি।
কেবলই কথার ফুলঝুড়ি! ইসলামী ব্যাংকের মালিকানার বা জামায়তী প্রতিষ্ঠােনর সাথে আচরনের কিচ্ছায় তো কথা কেবলই স্বার্থ আদায়ের মাধ্যম বলেই মনে হয়! নয় কি?
হয় ক্ষমা চাও নয় বিদায় হও - স্পষ্ট লাইনে দাড়িয়েছে কে কবে বলুনতো?
গতকালের প্রধানমন্ত্রীর আক্ষেপের কথাটা শুনেছেন আশা করি- তিনি বলছিলেন- আমার পিতার হত্যার পর একজন আোয়ামীলিগ নেতাও কি ছিল না পাশে দাড়ানোর! তিনি ভেবেই পাচ্ছেন না এত এত নেতা তখন কই ছিল??
জ্বলন্ত প্রশ্ন। বিএনপির তখনো জন্মই হয় নি। নৃশংস হত্যাকান্ড এবং তার পরো ক্ষমতায় আওয়ামীলীগই ছিল।
আগষ্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর...
দেশকে স্থিতীশীলতায় আনতে পারছিলনা। ক্যু পাল্টা ক্যু সব বাদ দিয়ে যিনি দেশকে স্থিতিশীল করলো নিজের যোগ্যতায় তার দিকেই আঙুল! একজন মুক্তিযুদ্ধার প্রতি আঙুল তোলার আগে আপনাদের চেতনা কি মৃত হয়ে যায়!!!! বলিহারি! চেতনা!
জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভাল মানেন তো? আর বিএনপি কর্ম খারাপ করেছে বলেইতো জনগন বিপুল উৎসাহে প্রথমবার ক্ষমতায় বসিয়েছীল!
কিন্তু কি হল ! যেই লাউ সেই কদু!
বরং তারচে ভয়ংকর। রাতের আঁধারে ভোট ডাকাতি হলো?
এটা কোন সুস্থ মানুষ সমর্থন করতে পারে? কোন অজুহাতেই নয়।
সেই ব্যাংকের লাভ কিন্তু মধূর মতো চেটে খাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। সো। একটু লজ্বা থাকা মানুষের জন ভাল। নয় কি?
বহুদলিয় গণতন্ত্রের মিনিমাম চর্চাটুকু তো হচ্ছিল। সরকারতো রাতের আঁধারে ভৌটের কম্মটা সেরে তার রাস্তাও বন করে দিল।
যে জন্যই আমি সংগা গুলো তুলে ধরেছি। কর্তৃত্ববাদীতা মানে ভৌটের অধিকার হরণ করা দল। অথচ ভোট ও ভাতের নেত্রী বলেই কত প্রচারণা দেখেছ এ জাতি!
জাতির দূর্ভাগ্য হিপোক্রেসি তারা বুঝতে দেরি করে।
১৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:০০
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আমাদের দেশে যা চলছে সেটা হলো illiberel democracy । এই illiberel democracy-র উত্থান নিয়ে সিএনএনের হোস্ট হার্ভার্ড গ্রাজুয়েট ফরিদ জাকারিয়া ১৯৯৭ সালে বিখ্যাত জার্নাল Foreign Affairs -এর “The Rise of Illiberal Democracy” নাম একটা আর্টিকেলে লিখেছিলেন । এই illiberel democracy তে সরকার গঠিত হয় যদিও নির্বাচনের মাধ্যমেই কিন্তু সেই নির্বাচনটা নিরপেক্ষ হয় না, হয় জালিয়াতিপূর্ণ। আর সেই নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা পাওয়া শক্তিও তাই কখনো গণতান্ত্রিক হতে পারে না । এ'রকম illiberel democracy-র সরকারের বৈশিষ্ঠ্য হলো সংখ্যাগরিষ্ঠতার (যা অর্জিত প্রশ্নবোধক নির্বাচনে) দাবির মধ্য দিয়েই এরা করাপশন করে (ব্যাপকভাবে সমর্থকদের অন্তর্ভুক্ত করে যাতে অভিযুক্ত করা সম্ভব না হয় এই করাপশন), বাক স্বাধীনতা (ফ্রি স্পিচ) ও সভা সমিতির অধিকার সংকোচন করে, (রাজনৈতিক) সংখ্যা লঘুদের নির্যাতন করে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে । যেহেতু এরা সংখ্যাগরিষ্ঠতার মোড়কে এ'সব করে তাই এগুলোকে এক কথায় অগণতান্ত্রিক বলে উড়িয়ে দেওয়াও সহজ হয় না (যেহেতু প্রচার মাধ্যম হাতের পুতুল থাকে)। আপনার আলোচনায় এই ক্যাটাগরিটাকে সহজেই অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন ।
১৯৯৭ সালে লেখা এই আর্টিকেলটা আমাদের দেশের জন্য মনে হয় এখন সত্যি হয়ে গেছে ।আমাদের নির্বাচিত সরকার আছে, নামে বাক ব্যক্তি স্বাধীনতা আছে, নির্বাচন আছে, কিন্তু গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য এই বিল্ডিংব্লকগুলো কোনোটাই কার্যকর অবস্থায় নেই ।তাই মনে হয় দেশে গণতন্ত্রও নেই, যতই দাবি করি না কেন । আমার কাছে ফরিদ জাকারিয়ার এই আর্টিকেলটার কথা কেন জানি আমাদের দেশের এখনকার অবস্থায় খুব প্রাসংগিক মনে হয় । মনে হয় আমাদের দেশেও উত্থান হয়েছে illiberel democracy-র। আপনার লেখা পড়তে পড়তে অনেক আগে পড়া লেখাটার কথা মনে হলো । অনেক তত্ত্ব ও তথ্যে লেখা খুব ভালো ও প্রাসংগিক হয়েছে । ব্রাভো ।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দারুন তথ্য সংযোজন করে লেখাটিকে সমৃদ্ধ করা কৃতজ্ঞতা।
হুম সংযোজন করে দিচ্ছি মূল লেখায়।
কষ্টা না হলে আর্টিকেলটার লিংক দিতে পারবেন ভায়া।
সত্য যে কালে কালে এভাবেই উ্চ্চারিত হয়। অক্ষরে অক্ষরে যেন মিলে গেছে ইলিবারের ডেমোক্রেসির সাতকাহন।
অনুপ্রানীত হলাম।
কৃতজ্ঞতা এবং শুভেচ্ছা অন্তহীন
১৭| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০০
সোহানী বলেছেন: যে দেশে শুধুমাত্র ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেবার কারনে সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠে পিটিয়ে মারা হয় সেখানে রাস্ট্রবিজ্ঞানের কোন সংজ্ঞায় মেলানো যায় তা খুঁজছি................।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুমমম
রাজা তুই ন্যাংটো বলার কেউ নেইতো তাই নতুন সংজ্ঞা খুঁজতে হয়!
নইলে এইরকম বিনাভোটে অনির্বচিত স্বৈরাচার কখনোই ক্ষমতায় থাকার কথা নয়।
সবাই শুধু মধু খোঁজে যে! আর আছে মিথ্যা আর মোনাফেকি!
উপরে এক অন্তরে আরেক- এই মোনাফেকি হয়ে গেছে এখন যোগ্যতা!!!!!!!!!!!!!!
দু:খজনক।
১৮| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:০৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দু দল সমান অপরাধী হয় কিভাবে?
একদল ফ্যাসিস্ট দলটিকে নিয়ে জোটবদ্ধ হলো। একাধিক শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীকে মন্ত্রীত্ব দিল। এরপর পরে ড.কামালের সাথে যাওয়ার সময় দেশ বিদেশ সব পক্ষ থেকে প্রবল নিন্দিত হলেও দাঁতে চেপে কান বন্ধ করে হলেও জামাতিদের জোটে রাখলো।
আরেক দল তাদের সাথে কোন জোট ফোট হয়নি, আলাপও হয় নি। শুধু হরতাল ডাকলে ঐ দলটিও হরতাল ডাকতো। আধা বেলা ডাকলে আধাবেলাই ডাকতো।
এটারে কি জোট বলা যায়?
দুই দল সমান অপরাধী
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাই কি আলজেইমার্সে আক্রান্ত
হা হা হা
নাকি পুরো আ্ওয়ামীলগিই!
কাকের মতো চোখ বন্ধ করে সাবান লুকিয়ে ভাবে কেউ দেখেনি!
ইতিহাসে সব লিপিবদ্ধ আছে। শুধু হরতাল সমর্থন !!!
১৯৮৬র জাতীয় বেঈমান গোষনার পর জামায়াতকে সাথে নিয়ে নির্ব
াচনে অংশ নেয়া থেকে শুরু করে ... ্এরপর আজমের সাথে দহরম মহরম, রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী জামায়াতের সমর্থন লাভের জন্য অধ্যাপক গোলাম আযমের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সমর্থন আদায় এবং জামায়াতকে তাদের পক্ষে আনার জন্য আওয়ামী লীগ ফন্দি-ফিকির - সে সময় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে জামায়াত নেতাদের মধুর সম্পর্ক দেখা যায়। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও গোলাম আযমকে তসবিহ, জায়নামাজ ও কোরআন শরীফ উপহার দিয়ে দোয়া নেন। এছাড়া ওই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী হামলায় যখন মতিউর রহমান নিজামীর মাথা ফাটে শেখ হাসিনা তার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিমকে পাঠান অবস্থা দেখতে
জনগণ কিন্তু ভোলে না। চেতনার মুখোশ উন্মোচিত হয় মাত্র।
না সমান বলা যায় না।
আ্ওয়ামীলীগ বেশি অপরাধী। কারণ মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী দল হিসেবে কোন ভাবেই যা করেছে তা উচিত হয়নি। জামায়াতের বিন্দুমাত্র সহযোগীতা্ও ঘৃনা ভরে প্রত্যাখ্যান কর উচিত ছিল।
১৯| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: মেজর সাবজেক্ট পল সাইন্সই ছিল।
কেন ভাই ভুল হইছে কোন?
মোটেও ভুল হয় নাই। বরং সুন্দর হয়েছে।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:২৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ ভায়া
২০| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫১
রাবেয়া রাহীম বলেছেন:
কমেনট দুইটা পড়ে হাসতেই আছি
মানুষ হুদাই ডরায়
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
আরে এইটা ডরের নাতো! ফানের
তবে হাসুন ভালা। হাসলে হার্ট ভালু থাকে।
২১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৪
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: শ্রদ্ধেয় কবি ভাই,
চমৎকার যুগোপযোগী লেখা। উপমহাদেশের রাজনীতির একটি ট্রেন্ডই হচ্ছে বিরোধীদের গায়ে দেশদ্রোহীর তকমা লাগিয়ে দেওয়া। ভারতবাসী হিসেবে আমরা অত্যন্ত গর্বিত যে মোদীজি এই মুহূর্তে বিশ্বের সর্বোচ্চ দাদা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পিছনে ফেলে বিরোধী জনমতকে দেশদ্রোহী বা জাতীয়তাবাদ বিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করার এক অবিংশবাদী নেতায় পরিণত হয়েছেন। গোটা ভারত এখন জাতীয়তাবাদের জয় গানে মুখরিত। কাজেই পূর্ববর্তী শাসকদের নির্বুদ্ধিতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উনি অত্যন্ত সুচারুভাবে বিজেপি জাতীয়তাবাদ হিন্দু রাষ্ট্রেকে পরিণত করতে পেরেছেন। এহেনো দেশের একজন নাগরিক হিসেবে মোদিজীর জয়গান না করে পারি না।
আপনারা ইতিপূর্বে অবগত হয়েছেন যে গোচোনা থেকেও যে স্বর্ণ আহরণ করা যায় তার যথাযোগ্য বৈজ্ঞানিক কৌশল বিজেপি/ মোদীজি দেশবাসীকে ইতিমধ্যে দিয়েছেন।নিন্দুকেরা অবশ্য তা নিয়ে ওনাকে যতই গালমন্দ করুন না কেন।আজ একবিংশ শতকে ভারতকে যথাযোগ্য পৌরাণিক যুগে থুরি হালফ্যাশনের আধুনিক যুগে পৌঁছে দিতে মোদিজীর এই কৌশলের কোন বিকল্প নাই।তাই দেশের উন্নয়ন, বেকার সমস্যা, জিডিপির নিম্ন গমন, সরকারি সম্পত্তি বিক্রয়, সরকারি সংস্থার বেসরকারিকরণ, বহুতল বাড়ির যন্ত্রপাতির উৎপাদন হ্রাস, পর্বতের মত তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য বিষয়কে নিয়ে যতই গালমন্দ করুন না কেন এক স্বপ্নের পৌরাণিক ভারত গড়ে রথে করে চাঁদে যেতে মোদীজির হাতকে শক্ত করুন।
সুতরাং প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যদি বৃহত্তর বন্ধু মোদীজিকে কিছুটা অনুকরণ করেন তা নিয়ে আপনাদের এতটা গালমন্দ করার কোন কারন দেখিনা।
সুতরাং লৌহমানব মোদিজি জয় হোক। ন্যাৎসিবাদ, ফ্যাসিবাদ শুধু ইউরোপে নয় ভারত সহ গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ুক।
(5 দিন নেট বন্ধ। সৌজন্যে এনআরসি।) যেকোনো ব্লগিং করার হিসেবে বন্ধ হয়ে গেছে। দেখি কবে নেট স্বাভাবিক হয়। কর্মস্থলে অবশ্য নেট আছে। এখন কাজের ফাঁকে একটুখানি সময় পেতেই ব্লগে ঢুকলাম।
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা প্রিয় কবি ভাইকে।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় দাদা
হুম। অন্ধত্ব আর উগ্রতাকে দারুন ভাবে ধর্ম আর কট্টর জাতীয়তাবাদের ক্যামোফ্লেজের মোড়কে ঢুকিয়ে
চলছে তান্ডব। কোথাও চেতনার নামে তো কোথাও ধর্মের নামে।
কোথাও অর্থের লোভে তো কোথাও ক্ষমতার অন্ধ মোহে
শিকার বরাবরই আমজনতা।
বিজেপির বিজ্ঞানীদের কেন নুবেল কমিটি খুঁজে পাচ্ছে না এ এক বিস্ময়্ !
সেকি কার ঘাড়ে কটা মাথা যে গালমন্দ করবে।
৫ দিন!!! কি বলছেন দাদা?
হুম সাতর্ক থাকবেন।
আপনার জন্যেও অনেক অনেক শুভকামনা
২২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪১
শাহিদা খানম তানিয়া বলেছেন: দেশের প্রতি ভালবাসার জায়গা থেকেই এমন একটি জ্ঞানগর্ভ লেখনী তৈরি হয়েছে নিশ্চিত। খুবই ভাল লেগেছে।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনুভব আর প্রকাশের চমৎকারীত্বে ভাললাগা
কৃতজ্ঞতা অন্তহীন
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল
২৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:১৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী জামায়াতের সমর্থন লাভের জন্য অধ্যাপক গোলাম আযমের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
ডাঁহা মিথ্যা।
বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী আওমিলীগের সদস্য নন। কখনো ছিলেন না।
উনি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থি ছিলেন (সম্মিলিত বিরোধী দলের)। উনি সংসদ ভবনে আসনে বসা সকল সংসদ সদস্যের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছিলেন। সিটে বসা
বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী জামায়াতের সমর্থন লাভের জন্য অধ্যাপক গোলাম আযমের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
ডাঁহা মিথ্যা।
বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী আওমিলীগের সদস্য নন। কখনো ছিলেন না।
উনি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থি ছিলেন (সম্মিলিত বিরোধী দলের)। উনি সংসদ ভবনে আসনে বসা সকল সংসদ সদস্যের কাছে ভোট প্রার্থনা করেছিলেন। সিটে বসা সংসদ সদস্যের একজন ছিলেন মাওলানা নিজামী।
উনি গোলাম আজমের কাছে কখনো যান নি। গোলাম আজম সংসদে আসবে কিভাবে?
শেখ হাসিনাকে নিয়েও মিথ্যাচার করে যাচ্ছে ছাগুরা।
শেখ হাসিনাকে গোলাম আযমকে তসবিহ, জায়নামাজ ও কোরআন শরীফ উপহার দিয়ে দোয়া নেন। ডাঁহা মিথ্যা কথা।
শেখ হাসিনাকে তসবিহ, জায়নামাজ ও কোরআন শরীফ উপহার দিয়েছিলেন নিজামি। নট গোলামআজম।
সেটাও সংসদ ভবনে, সংসদ সিটে বসা বিরোধীদলের সংসদ হাসিনা, সংসদ বিরোদী দলের নেতা, পদাধিকার বলে নিজামিরও নেতা। কারন নিজামিও সেখানে একজন সাংসদ। কোন এক উছিলায় নিজামী তসবিহ, জায়নামাজ ও কোরআন শরীফ উপহার দিয়েছিলেন নিজামি। হাসিনা কোরান থাকায় ফেলে দেন নি।
এটাকে কোন জোট বলে না। নিজামীরা হাসিনার পক্ষে কখনো কথা বলেনি। হাসিনা ও আওমিলীগের কেউ নিজামীদের পক্ষে বলেনি। বরং সে বছরের সবটা সময় হাসিনার দল গণআদালতে গোলাম আজমের ফাঁসির আয়োজন করে গেছে। ফাঁসির রায়ও দিয়েছে।
সে সময়কালে সংসদ ভবনের পরিস্থিতি র একটা চিত্র দেখুন।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সবই যদি মিথ্যে তবে সত্য কি হে!!!
হা হা হা
যাক ভাই আমরা কাহাবত জানি
কৃষ্ন করলে লীলা অন্যে করলে পাপ!
যে নির্বাচনে অংশ নেবে সে জাতীয় বেঈমান বলার ২৪ ঘন্টার মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ!
থেকে শুরু করে সবই মানুষ জানে।
ব্যাক্তিগত ভাবে আমি জামায়াতকে ঘৃনা করি- সে ভিন্ন প্রসংগ। কিন্তু রাজনীতির নোংরামী দেখে বীতশ্রদ্ধ!
আর বিষয়টা হলো বিচার মানি তালগাছ আমার আর ট্যাগিং বাজি দিয়ে সত্য ঢাকা যায় না।
তারপরো এ খেলা দেখে আসছি যুগ যুগান্ত!
যে দেশে জাতীয় বেয়াই রাজাকার- অবশ্য তিনি যুদ্ধাপরাধী নন
এই দেশে আর কার সাথে কি বলবেন !
ভাল থাকুন
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮
জাহিদ হাসান বলেছেন: ভালো লাগল। রাষ্ট্রবিজ্ঞান সম্পর্কে গভীর জ্ঞান লাভ করলাম। ধন্যবাদ।