নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একটা খবর।
সকলেই অবহিত প্রায়- তবু তথ্যসূত্র হিসেবে উল্লেখ করছি।
‘২ কোটি টাকা’ খরচ হবে বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে"
রাজধানীর হাতিরঝিলে তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের গড়ে তোলা বিজিএমইএর অবৈধ ভবনটি ভাঙতে দুই কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
১৫ তলা ওই ভবনের ধ্বংসাবশেষ বিক্রি করেই এই অর্থ উঠে আসবে বলেও ধারণা করছেন তারা। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের। তবে ধ্বংসাবশেষ বিক্রির টাকায় খরচ মেটাতে না পারলে বিজিএমইএর কাছ থেকে টাকা আদায় করা হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আদালতের রায়ে ভবন ধ্বংসের ব্যয় বিজিএমইএকে বহন করতে বলা হয়েছিল। তার উপর জোর দিচ্ছেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চাইছেন বিজিএমইএর বিদায়ী সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান।
এখন উঁচু এই ভবনটি কীভাবে ভাঙবেন, ব্যয়ের সংস্থান কীভাবে হবে, এখন সেই ছক কষছেন রাজউক কর্মকর্তারা
একটা ভবন নির্মান ছেলেখেলার কথা নয়। তার উপর যদি হয় হাইরাইজ- হ্যাপা আরও অনেক বেশি।
রাজধানীর বুকে এত বড় একটা সংগঠনের এত বড় একটা ভবন নিশ্চয়ই আলিফ লায়লার জিনি এক রাতে দাড় করায়নি!
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা রাজউক রয়েছে এর প্রধান শিখন্ডি হিসেবে। তাদের আবার রয়েছে ইমারত নির্মান বিধিমালা। দিস্তা দিস্তা বিধি-বিধান নিয়ম কানুনে ভরা সেই বিধিমালা সময়ে সময়ে আপডেটও হয়েছে। সকল নিয়ম সকল বিধান এবং গ্যাস, পানি, বিদ্যুত, পরিবেশ সহ কত কত অধিদপ্তরের সকল সনদ নিয়েইতো ভবনটির কাজ শেষ হয়েছে। নয়কি? তার উপর দেশের সর্ব প্রধান ব্যক্তি প্রধান মন্ত্রী। দুই দুইজন প্রধানমন্ত্রী ভবনটির ভিত্তি প্রস্তর আর উদ্ধোধনে উপস্থিত ছিলেন!
এত বিশাল সব কর্মযজ্ঞ সমাপ্ত হবার পর সবকিছু শেষে মনে হল ১৬ তলা ভবনটি বৈধ নয়?!!! এবং সমাধান হল- এটা ভেঙ্গে ফেলতে হবে।এ কি প্রহসন নয়! বছরের পর বছর লেগেছে এ ভবন দাড়াতে। জেলা প্রশাসনের অনুমতি থেকে শুরু করে শত শত বিধি বিধানের পথ পারি দিয়ে অনুমতি নিয়ে যে ভবন দাড়াল, তাতে ভবনের কি দোষ? অনুমতি যারা দিল তারা কি বিচারের আওতায় এসেছে? তাদের কি শাস্তি দেয়া হল? কি শাস্তি দেয়া হল?
এই ১৬ তলা ভবনটি মূলত আমাদের সমন্বয়হীনতার এক বড় উদাহরণ। আমাদের দূর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিক এক ছাপ্পা। আমাদের পরিকল্পনাহীন কর্মকান্ডের অনেক বাস্তবতার এক জ্বলন্ত উদাহরন।
আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে, রাজউকের বা এ নির্মানের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যকোন অধিদপ্তর বা ব্যাক্তি কারো কি কোন শাস্তি হয়েছে?
এই বিশাল কর্মযজ্ঞে স্তরে স্তরে অনুমোদন নিতে হয়েছে। প্লান পাস করাতে হয়েছে। গ্যাস, বিদ্যুত, পানি, পারিবেশ ছাড়পত্র নিতে হয়েছে। সকল ডকুমেন্টসইতো কোন না কোন কর্মকর্তা স্বাক্ষর করেছেন। তারা কি দেখে, শুনে, বুঝে তা করেন নি?
যদি করে থাকেন- তবে দূর্নীতির শাস্তি শুধু ভবনের কেন? জড়িত অন্য সকলে কি ধোঁয়া তুলসি পাতা হয়ে গেল?
ঘুষখোর ক’টা অফিসারের শাস্তি হয়েছে?
এই ভবন অনুমোদনে জড়িত কয় জনের জেল হয়েছে?
অনুমোদনে স্বাক্ষর দাতা কেউ কি শাস্তি পেয়েছে?
ইউটিলিটি এতগুলো সার্ভিসের কেউ কি সরকারকে অবহিত করেছিল?
অনুমতি দেবার আগে?
এর উত্তর সম্ভবন না।
আর আইনের এমন বালখিল্যতা কি তাদেরকে ভবিষ্যতে আরো বেশি দূর্নীতি করতে উৎসাহিত করবে না?
সবশেষে দু দুজন প্রধানমন্ত্রী ভবনটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন এবং উদ্ভোধনে উপস্থি ছিলেন! উনাদের কি উনাদেরর সংশ্লিষ্ট কোন অফিসার অবহিত করেছিলেন- ভবনটি অবৈধ! এটির ভিত্তি স্থাপন বা উদ্ভোধনে যাবেন না????
স্বভাবতই উত্তরটি মনে হয় না।
এক্ষনে ভাবা যেতে পারে দেশ এবং জনতার স্বার্থে অমাদের সম্পদের অপচয় রোধকল্পে বিকল্প কিছু চিন্তা করা যায় কিনা? সকলকে ভাবতে অনুরোধ করছি।
মৃত পদ্মা নিয়ে যদি বেঁচে থাকতে পারি
চুয়ান্ন অভিন্ন নদীর বুকে বাঁধ
তির তির জল প্রবাহে যদি বেঁচে থাকতে পারি
একটা ঝিলের জলের জলে আর কি এমন বাঁধা!
শত কোটি টাকায় তৈরী হল। বছরের পর বছর সরকারের সকল শাখা থেকে অনুমতি মিলল। কিভাবে? দুই সরকারের দুই প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেন!
আজ ভেঙ্গে ফেলার কথা হচ্ছে।
শাস্ত্রই বলে ভাঙ্গা সহজ, গড়া কঠিণ।মাথা ব্যাথা হলে মাথা কেটে ফেলি না কেউ। বরং সুস্থতার পথে হাঁটি।
রাষ্ট্রীয় এই অপচয় আমজনতার অর্থের অপচয়।
ঘামে, শ্রমে, প্রবাসীর রক্তপানি করা উপার্জিত অর্থের শ্রাদ্ধ!
নীতিহীন ঘুষখোর অফিসারদের পাপে আবারো আমজনতারই শাস্তি!
প্রশাসনের নাকে ডগায় তিল তিল করে গড়ে উঠলো!
কেউ কিছূ বললো না।
এখন সাজানো ভবনকে আরো দুই কোটি টাকা গচ্চ দিয়ে ভেঙ্গে দেয়ার আয়েজন।
আমরা আগাবো কবে?
কেবলি। ধ্বংস আর ভাংগাই চলছে! গড়বে কবে?
আমার প্রস্তাব- এর জন্য অভিনব শাস্তি বিধান করতে পারেন মাননীয় আদালত।
যেহেতু ভবন গড়া হয়ে গেছে,
যেহেতু দুই দুইজন প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন
যেহেতু আমজনতার রাজস্বের এক নিদারুন অপচয়ই হবে এটা ভাংলে -
আবার অন্যায়কেও প্রশ্রয় দেয়া যাবে না! সুতরাং দুইকুল রক্ষার এবং সম্পদের অপচয় না ঘটিয়ে আইন প্রতিষ্ঠায় অভিনব শাস্তি দেয়া হোক।
-# সমস্ত টাকা জমা দিতে হবে। পাশপাশি প্রতীকি শাস্তি বা জরিমানা হিসেবে
# মালিক পক্ষকে উল্লেখ যোগ্য রকম বড় অংকের জরিমানা করা। জড়িত সংস্থার উপর একটা বড় অংকের জরিমানা ধরা হোক।
আর এর সাথে জড়িত সকল সরকারী কর্মচারীদের জন্যও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক। যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অনুমোদনের আগে দশবার ভাবতে বাধ্য হয়।
# এই ভবনের অর্ধেক মালিকানা সরকারের হতে পারে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।
# এই ভবন এর আয়ের অর্ধেক সরকারী কোষাগারে নিয়মিত জমা হবে।
# এই শাস্তি ১২/২৪/৩৬ বছরের (র্নিধারিত সময়ের) জন্য চলবে।
# ভবনটিতে এই বিষয়ের দৃষ্টান্ত মূলক সতর্কতা নোটিশ দেযা যেতে পারে। যাতে মানুষ সচেতন হয়।
# বা প্রযোজ্য অন্য ভাল কিছু।
এই ভবনের আর্থিক মূল্য কত? নূন্যতম কয়েক হাজার থেকে লক্ষ কোটি টাকা। এত টাকারর এই বিশাল সম্পদকে ধ্বংস না করে- এটাকে নির্দশন মূলক শাস্তি প্রদান করা যেতে পারে কিনা? ভাবা যেতে পারে। যাতে শাস্তিও ভোগ হয় এবং সম্পদেরও অপচয় না হয়।
কারণ ভবনটি ভেঙ্গে ফেললে লাভ কিছুই হবে না। মালিক পক্ষের অর্থিক ক্ষতি ছাড়াও দেশের জন্যও এ এক বিরাট অপচয়।
যে দেশে বৃহৎ অংশের মানুষ মৌলিক অধিকার বঞ্চিত। পথ শিশুরা ফুটপাতে ঘুমায়! তাদের শিক্ষা নাই, অন্ত্র, বস্ত্র বাসস্থান নাই! লাখ লাখ মানুষ মানবেতন জীবন যাপন করে! সেখানে আইনের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ ধ্বংস করা অনুচিত।
দীর্ঘ সময় ধরে শত অন্যায় ঘটতে দেয়াইতো অন্যায়। এখন তসে অন্যায়ের ফল পূর্ণ হয়ে যাবার পর অন্যায়কারীদের বহাল তবিয়তে রেখে স্থাপনা ধ্বংসের মাধ্যমে অপচয় করা বেমানান শুধু নয় পাপ বলেই বোধ হয়
বিজিএমই ভবন নিয়ে আরো লেখা
বিজিএমইএ ভবনের সামনে পোশাকশ্রমিকদের অবস্থান
বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে হবে (রাজউক) এতদিন কোথায় ছিলো?
বিজিএমইএ ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পূণ অবৈধ হাইকোট, আগে কোথায় ছিল রাজউক?
আরো কারো চোখে পড়ে থাকলে মন্তব্যে যুক্ত করতে পারেন। কৃতজ্ঞত রবো।
ছবি : গুগল
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। সে সম্ভাবনাতো রয়েছেই।
আর ডিনামাইট ব্যবহােরর যে কথা শুনছি, তার প্রতিক্রিয়া কি ভেবেছে সংশ্লিষ্টরা?
যে পরিবেশের দোহাই আর ঝিলের পঁচা পূতিগন্ধময় জলের প্রবাগ বা সৌন্দর্য নষ্টের বাঁধা গ্রস্থ হবার কথা ভবন তৈরির পর চেতনায় জাগ্রত হল তাও কতটুকু রক্ষিত হবে?
হুম। রাষ্ট্রায়াত্ত করেও নিতে পারে অর্ধাংশের মিলকানা নিয়ে নিতে পারে
২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Excellent post
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ ভায়া
আপনার মতামত দিন।
আর সম্ভব হলে প্রযোজ্যদের কানে জল পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন।
কুম্ভকর্ণের মতো ভবন তৈরির পর যাদের আইনের কথ ামনে হয়- তারা যে উত্তম সমাধানের বদলে ধ্ভংসের পথে হাটবে এ আর অস্বাভাবিক কি?
তাই ঝাকি দিয়ে দেখূন ঘুম ভাঙগানো যায় কিনা?
৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:২৩
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এই ভবনটা সরকার বেকারদের জন্য কাজে লাগাতে পারে।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাল প্রস্তাবনা ।
কুম্ভকর্ণদের কানে জল দিন ভায়া- চেতনার জাগাতে!
নইলে তারাতো কেবলই ধ্বংসের উস্তাদ! গণতন্ত্র থেকে শুরু করে সকল কিছুতেই ভুল চর্চা !
৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বক্তব্য অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত । বিষয়টি সাংঘাতিক! তারপরে ধ্বংসস্তূপ বেঁচে টাকা; এটাও হাস্যকর লাগলো।
শ্রদ্ধা ও শুভকামনা জানবেন।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৪৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রিয় পদাতিক দা'
কি বলবো? মাথা হ্যাং হয়ে যায় তাদের চিন্তা ভাবনা আর পরিকল্পনা শুনে, পড়ে!
তাই মনের গহন খেদ থেকেই লেখা।
এ ভবনতো আলিফ লায়লার জিনি এসে এক রাতে বানিয়ে দেয়নি!
তবে?
এখন কেন ধ্বংসের চিন্তা।
একটা দেশের রাজস্বের এ কি নিদারুন অপচয় চেতনা!
প্রবাসীদের ঘাম রক্ত ঝড়ানো টাকা জিডিপির গর্ব করো! আর জনতার সম্পদের যাচ্ছে তাই অপচয়!!!!
জলহীন পদ্মার শুকনা বালীয়াড়িতেও জীবন চলছে!
তবে এই বদ্ধ জলাশয়ের দুর্গন্ধযুক্ত জলের রক্ষায় হাজার হাজার কোটি টাকার ভবন ভেঙ্গে ফেলা এক আত্মঘাত বৈতো নয়।
বিকল্প পাশ দিয়ে জল প্রবাহ সুনিশ্চিত করো।
আর সবচে বেশী প্রয়োজন যারা এই ভবনের অনুমতি প্রদানের জড়িত সকলকে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া
যাতে ভবিস্যতে এমন পরিকল্পনাও কেউ করতে সাহস না করে।
হা হতোম্যি!
উটের উল্টোপিটে স্ব-দেশ!
৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৫৭
করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন- পোস্টে প্রতি বাক্যে সহমত।
তো আপনি তো নদী রক্ষা নিয়ে অনেকগুলো পোস্ট দিয়েছিলেন, খাল রক্ষা নিয়ে দিয়েছিলেন কি না মনে নেই। কিন্তু খেয়াল করেছেন নিশ্চয়ই, ঢাকা শহরের অধিকাংশ খাল বন্ধ করে স্থাপনা গড়ে উঠেছে, জবরদখল। এগুলো ভাঙার উদ্যোগ কেন নেয়া হয় না তা সকলেই জানে। হাতিরঝিলে যারা এই স্থাপনা গড়ে ওঠার পারমিশন দিয়েছিলেন, দিনের পর দিন চোখ বুজে একে গড়ে উঠতে দিয়েছেন আজ এদের সবাইকে সবার বিরুদ্ধে কেন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না? আমাদের করের টাকায় এদের চাকুরী, অথচ তারা দায়িত্বে অবহেলা করে অন্যায় কাজ করে চলেছেন....... এমনই মিডিয়া!!! কেউ কোন অনুসন্ধানমূলক প্রতিবেদন দিল না, এত বছর ধরে এটা গড়ে ওঠার সময় কারা কারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন.....
আমি এটা ভেঙে ফেলার পক্ষপাতী নই, এতগুলো খাল বন্ধ করে যদি অনেক স্থাপনা বহাল তবিয়তে থাকতে পারে, তবে হাতিরঝিলের এক কোনায় এই স্থাপনাও রাখা যাবে। সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দিতে হবে অবশ্যই।
আমি রাজউকের শয়তানি নিয়ে একটা পোস্ট লিখতে চাচ্ছি। আপনার এই পোষ্টের লিংক দেয়া যাবে কি?
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার মন্তব্যে প্রশান্তি পেলাম।
হুম। মিডিয়ার কথা আর কি বলবো! দেখছি খুব কাছ থেকে!
মহাকালের কাঠগড়ায় সবচে াপরাধী য়দি কেউ চিহ্ণিত হয়, তো তার হবে মিডিয়া!
জনগণের বিপরীত স্রোতে, আত্মরক্ষার ধূয়া তুলে এভাবে একাত্তরেও বুজি নত হয়নি!
আজ স্বাধীন দেশে তারা দেশ, জনস্বার্থ, গণতন্ত্রের সাথে যেভাবে বেঈমানী করছে!
সেটাই। শত শত অন্যায়ে নিরব থেকে লোক দেখানো এই সম্পদ ধ্বংসের মহড়া আত্মঘাতি!
র্যাংগস ভবন ধ্বংসে প্রতিহিংসার কথা প্রচলিত! এখঅনেও কি তবে তাই!
কোন শুভংকরের ফাঁকি নেইতো!
কোন প্রভাবশালীর চাহিদা মাফিত চাঁদা না পাবার ক্ষেদ নেইতো!
আপনার পোষ্টের অপেক্ষা। অতি অবশ্য ব্যবহার করতে পারেন। এতো আমার জন্য সম্মানের।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:০৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এটা ভাঙার রায় হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন ফোরামে এই বিল্ডিং না ভেঙে অন্য কাজে(বিজিএমইকে বের করে দিয়ে) লাগানোর কথা অনেকেই বলেছেন। কিন্তু এটাকে এই সরকার স্রেফ একটা গোঁয়ার্তুমির পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন। অথচ এটা খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানের বিল্ডিং নয়! মুখটা খারাপ হয়, ওরে আমার আইন মান্যওয়ালারে...
আদালতের রায় টুইস্ট করে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল, প্রধান বিচারপতিরে বের করে দেয়া সরকার আবার আইনও মানে...
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
এটাই ! ভাসুরকে সম্মান দেখাতে স্কার্ট তুলে মাথায় কাপড় দেয়ার মতো তাদের আইন মান্যতার প্রেম!
ভড়ং দেখতে দেখতে আমরা নিরব বলেই তারা আজ এ পর্যায়ে!
ভারতে দেখুন ফেরদৌস স্রেফ একটা র্যালীতে যোগ দিতেই দেশ থেকে বের করে দিয়েছে!
আর আমাদের অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে তাদের নাক না শুদু হাত পা মাতঅ সব গলিয়ে প্রকাশ্যে হস্তক্ষেপ করলেও আমরা বের করা দূরে থাক প্রীত হই। দুদলে দৌড়ায় কার প্রতি অনুকম্পা ঝড়াবে!
মেরুদন্ড হীনতা এক জঘন্য স্তরে নামার প্রতিযোগীতায় সো কল্ড রাজনীতিবিদনা।
আর আমজনতার নিরবতা তাদের জল দিচ্ছে বৈকি!
আমাদের বর্তমান এবং ভবিস্যকে দৃঢ় করতে আমাদেরই জাগতে হবে।
কান্না কাটিতে কাজ হয়না। কারণ শাস্ত্রেই আছে লাতোকা ভূত বাতোছে নিতা মানতা!
৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২০
অনুভব সাহা বলেছেন:
সহমত
"এই ১৬ তলা ভবনটি মূলত আমাদের সমন্বয়হীনতার এক বড় উদাহরণ। আমাদের দূর্নীতির প্রাতিষ্ঠানিক একছাপ্পা। আমাদের পরিকল্পনাহীন কর্মকান্ডের অনেক বাস্তবতার এক জ্বলন্ত উদাহরন।"
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জ্বি। এটাই যথাযথ বাস্তবতা।
কোট করায় কৃতজ্ঞতা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা
৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন । সহমত জানাই। আমি এটা ভেঙে ফেলার পক্ষে না।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আত্মঘাতি বাঙালি কি এমনিতেই বলে???
দিনের পর দিন একটা অন্যায় হল।
তার ভিত আর উদ্ধোধন দুটোই হলো দেশের শির্ষ ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে!
এই ভাঙ্গা কি তাদেরও অপমান নয়?
তাদেরও ব্যর্থতা নয়?
তারা না জেনে শুনে একটা অবৈধ ভবন কিভাবে উদ্ধোধন করলেন?
অদ্ভুত উটের পিঠে স্ব-দেশ!!!
৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯
নীল আকাশ বলেছেন: ভাই,
কত কি যে আর দেখতে হবে এই দেশে?
কোন জায়গায় আইন বলে কিছু নেই। কারোও কোন অপরাধের বিচার হয় না।
কাকে অভিযোগ করব বলুন? এত অপরাধ করেও সবাই ঠিক ঠিক পার পেয়ে যাচ্ছে।
এই দেশে যেন জন্ম গ্রহন করাও বড় পাপ!!
ধন্যবাদ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।
জন্ম আমার আজন্ম পাপ!
এ কথাই বুঝি ষোলকলায় পূর্ণ হয় এমন বাস্তবতায়!
আবার এ অবস্থা থেকে উত্তোরনের দায়ও কিন্তু আমাদেরই। নয়তো সামনে হিরক রাজার চলমান বাস্তবতার চেয়েও কঠিন সময় রেখে যাবার দায়ে দায়ী হবো উত্তর প্রজন্মের কাছে।
জাগো বাহে! কুনঠে সবাই?
১০| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৫১
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেক আগে থেকেই আমি বলছি, না ভেঙে এটাকে একটা শিশু হাসপাতালে রুপান্তর করা হোক। বলি, তবে লাভ তো নাই। কে আর আমার/আমাদের কথা শুনবে!
এটা গড়া ছিল একটা ফাজলামো কাজ, আর ভাঙ্গা হবে ফাজলামোর চুড়ান্ত!
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কথা সেটাই
কে আর আমার/আমাদের কথা শুনবে!
না তারা নিজেরা ভাবতে পারে! শুভ সুন্দর আর কল্যানের কথা! না অন্যের টা শোনার মানসিকতা রাখে!
তাইতো দিনদিন অধ:পতনের চূড়ান্তে যাচ্ছি!
২০ মিনিটের পথ যাই দুই ঘন্টায়!
মৌলিক অধিকার লাভকে সৌভাগ্য ভাবতে হয়!
দু:খ জনক। অতীব দু:খজনক!
এর অবসান হোক। াবসান ঘটাতে হবে।
১১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: খুবই যুক্তিযুক্ত সুপারিশমালা।
সমস্যা হচ্ছে এদেশে আমজনতার কথা ক্ষমতাসীনদের কানে যায়না।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভায়!
হুম।
না তারা নিজেরা পারে। না অন্যের কথা শোনে।
আমজনতার বেতনভুক হয়েও তাইতো আমজনতার প্রতি মালিকের ব্যবহার করে!
আমজনতার আত্মজ্ঞান লাভ অতীব জরুরী। আত্মজ্ঞানে জ্ঞানী হলেই তারা বুঝবে তারা অবহেলিত হবার জন্য জন্মেনি। বরং এই আমজনতার ভিতের উপর দাড়িয়েই মন্দ লোকের দু:শাসন চলছে যুগের পর যুগ। আবার তা বদলানোর ক্ষমতাও আমজনতারই হাতে। আত্ম শখ্তিতে জাগলেই অন্ধকার পালীয়ে যাবে।
ঘটবে আলোর বিচ্ছুরন।
শুভ সুন্দরের প্রত্যাশা
১২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
১৬ তলা ভবনটি শত কোটি টাকায় তৈরী হল। বছরের পর বছর সরকারের সকল শাখা থেকে অনুমতি মিলল। কিভাবে?
সেই আমলে বড় বড় জিনিস শুধু মৌখিক অনুমতি নিয়েই সব হয়ে গেছে।
নেই রাজউক প্ল্যানপাস, পরিবেশ ছাড় পত্র কিছুই লাগেনি।
বিশাল নগরভবন, ফুলবাড়িয়ার বহুতল হকার্স মার্কেটগুলো সেসবকিছুই রাজউক প্ল্যানপাস, বা ছাড়পত্র বাদেই হয়েগেছে।
হাতিরঝিল বাকি খালি অংশটিও বরাদ্দ হয়েগেছিল তারেক-মামুনের ম্যারিয়ট হোটেল কমপ্লেক্স এর জন্য। কিন্তু টাইম পায় নি।
আমি কঠিনভাবে ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার বিরুদ্ধে।
ভবন ভাংতে ২ কোটি লাগলেও ভাংগার পর আবর্জনা সরিয়ে খালের রূপ দিতে আরো ১০০ কোটি খরচ হবে, লাগবে ৫-৬ বছর।
টাকা ও সময়ের মহা অপচয়।
ভবনের অর্ধেক কেন? সম্পুর্ন মালিকানা সরকারের হবে।
জমি সরকারের, ভবন অবৈধ। মালিকানা অর্ধেক হবে কেন?
আদালতও না করার কথা না।
ভবনটি কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারি স্পেশালাইজ হাসপাতাল করা যায়। তবে ভাড়া দেয়া ঠিক হবে না।
* পোষ্টে একজন মন্তব্য করেছে - 'এই দেশে জন্ম গ্রহন করাও বড় পাপ'
তাকে ধিক্কার জানানোর ভাষা পাচ্ছিনা।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেই সময়ের দোহাই আর ১২ বছর পর খাটেনা বোধকরি!
বলি আর কত???? এবার ক্ষ্যামা দিয়ে নিজের দোষ স্বীকারের মানসিকতা রাখূন!
ধন্যবাদ ভবন ভাঙ্গার মতো অর্থহীন কাজের বিরোধীতা করায়!
অর্ধেক বা পূর্ণ যাই হোক ভাংগার মতো অপচয় কোন মতেই কাম্য নয়।
দূর্নীতির শেকর বাকড়দের বহার তবিয়তে রেখে গাছের ফল ভাংগাতে দূর্ণীতি কমবে না বরং বাড়বে।
না জন্ম আমার আজন্ম পাপ বাক্যে ধিক্কার দেয়া অনুচিত।
বড্ড বেশী বাক্ষেপ আর যাতনার পরই হয়তো অভিমানে এ কথা বেরোয়।
বসবাসের অযোগ্য ১ম শহরে বসে দু:খবোধের বাক্যে সহমর্মিতা পেতেই পারে।
অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা
১৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০৬
রায়হান চৌঃ বলেছেন: আমি চাই, না ভেঙে এটাকে একটা সরকারী শিশু হাসপাতালে রুপান্তর করা হোক
শাস্তি হোক তাদের......... যারা নিয়ম ভেঙ্গেছে
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
যাই কিছু হোক তা দেশৈর চাহিদার, প্রয়োজেনর অগ্রিধকার ভিত্তিতে হোক
দূর্নীতির শিকড় কাবরদের শঅস্তির বাইরে রেখে দূর্নীতির ফল নষ্ট করেই তৃপ্তির ঢেকুর তোলার মতো বিলাসিতা আমাদের মানায় না।
তা কাজেও দেবে না।
শাস্তি হোক তাদের......... যারা নিয়ম ভেঙ্গেছে
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক জড়িত সকল পক্ষের!
১৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৫
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: সহমত পোষণ করছি। যারা ভবণ নির্মান ও সংশ্লিষ্ট কাজে সহায়তা করেছেন আই মিন অনুমোধ দিয়েছেন যারা তাঁদের শাস্তি আগে দিতে হবে। ঘোষখোরদের শাস্তি না দিলে দেশ বেশি দিন ঠিকবেনা....
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া।
হুম। ভবন নির্মানে যারা যারা সই করেছেন প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় আনা হোক।
সহমত।
১৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: সরকারকে পরামর্শ দেয়ার মতো দুঃসাহস করবো না
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:০৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
যেমন সময় তেমন বলেছেন বটে।
আমজনতার চাওয়া হিসেবে ভেবে নিন।
১৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:০৯
ল বলেছেন: জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ভিত্তিক পরামর্শে ১০০% স হ ম ত --
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়
শুভেচ্ছা অন্তহীন
১৭| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
'দু:খবোধের বাক্য' নয় কবি।
কিছু বাক্য আছে, কমন। যা দিয়ে ল্যাঞ্জা চেনা যায় সহজেেই।
উইন্ডোজ ৯৮ সেকেন্ড এডিশন আমল থেকে দেখে আসছি কিনা!
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা কি মনে করায়া দিলেন!
ডাব্লু আই এন প্রেস করে গিয়ে চা বানিয়ে নিয়ে এসে বসতাম! ততক্ষনে ডস থেকে উইেন্ডাজ মুড এক্টিভ হতো
৩.১ এর আমলের কথা বলছি
আহা কি সময় গেছে! ৩.৫ বা ৫.২৫ ফ্লপি ডিস্ক নিয়ে হাটতে হাটতে বুকটা অন্যরকম উচু হয়ে যেত!
যেন এই গ্রহেই আমরা সামথিং ভিআইপি
থিংক পজিটিভ ফিল পজিটিভ!
মন্দকে মন্দ দিয়ে নয় ভাল দিয়েই হোক প্রতিস্থাপন!
ভাল থাকুন নিরন্তর
১৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪৫
হাবিব বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। আপনার সাথে সহমত। আমি এ বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম, যখন ভাঙ্গার কথা উঠেছিলো তখন।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভায়া
সত্য ভাবনা সব সময় একই রকম হয়
শুভেচ্ছা
১৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ সময়োপযোগী মুল্যবান পোষ্টটির জন্য ।
এখানে প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য যে প্রায় ৬মাস পুর্বে এই ব্লগে
বিদেশে কর্মরত মেধাবী বিজ্ঞানীদেরকে দেশমুখী করার লক্ষ্যে একটি পর্যালোচনা শীর্ষক আমার একটি পোষ্টে বিজিএমই এর এই ভবনটি ভাঙা সংক্রান্ত কিছু বিষয় নিয়ে বেশ বড় একটি অংশ ছিল । সেখানে কামনা করেছিলাম বিষয়টি নিয়ে দেশের সচেতন কোন নাগরিক উচ্চ বাক্য হোক , অনেকদিন পরে আমার কামনার একটি অংশ আপনার মত গুনী এক কবি ও লেখকের কলমে সুন্দর করে আরো অনেক শক্তিশালী যুক্তি ও তথ্যমালা নিয়ে আবির্ভুত হয়েছে দেখে প্রফুল্য চিত্তে শ্রদ্ধাবনত হলাম । আমার সে পোষ্টে আপনি মুল্যবান মতামতও রেখেছিলেন । যাহোক, এখানে দেখলাম আপনি এ বিষয়ে কারো কোন লেখা থাকলে তার লিংক দেয়ার জন্য বলেছেন । সে প্রেক্ষিতে আমার অতি সাধারণ সে লেখাটির শীরোনাম ভিন্ন ছিল বলে তা আপনার লেখাটির সাথে বাহ্যত প্রাসঙ্গিক হনো বিবেচনায় লেখাটিতে থাকা প্রাসঙ্গিগ চিত্র সহ কথামালাগুলু এখানে এই মন্তব্যের ঘরে তুলে দিলাম ।
……………..
এটা অনস্বীকার্য যে বিদেশে কর্মরত বিজ্ঞানীরা মনঃকষ্টে ভুগলেও, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ,সমাজে হিংসা ও হানাহানি, ক্ষমতাবানের দৌরাত্ম্য, চরমপন্থা ও অসহিষ্ণুতা , অর্থিক অসচ্ছলতা , জীবনের নিরাপত্তা, মানুষের মধ্যে লোভ আর স্বার্থপরতা, বঞ্চনা ও বৈষম্যের অর্থনীতি, কালোটাকা ও অবৈধ সম্পদের ছড়াছড়ি প্রভৃতি বহুবিদ কারণে দেশে ফিরতে আগ্রহ বোধ করেন না । উন্নয়নের নামে প্রকৃতি, পরিবেশ ও গরিবের স্বার্থবিরোধী কাজ দেখে অনেকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হলেও দেশে এসে তাদের মেধা ও শ্রমকে কাজে লাগাতে পারছেন না । দেশে একদিকে চলছে বিলাসী ভবন নির্মাণ , যত্র তত্রভাবে মাথা তুলছে বেআইনীভাবে ব্যয়বহুল বহুতল ভবন, নির্মাণ শেষে বিবিধ কারণে তা ভেঙ্গে ফেলার বিশাল কর্মযজ্ঞও চলছে সমানতালে । এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যায় যে ঢাকার হাতীরঝিল প্রকল্প এলাকায় বেআইনীভাবে স্থাপিত বহুতল বিশিষ্ট বিজিএমইএ ভবন আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে এখন ভেঙ্গে ফেলার চুড়ান্ত পর্যায়ে আছে ।
রাজধানীর হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় পরিবেশের ক্ষতি করে বেআইনিভাবে প্রায় দুই দশক আগে গড়ে ওঠা ১৬ তলাবিশিষ্ট বিজিএমইএ ভবন ভেঙে ফেলার চূড়ান্ত রায় এসেছে। এই ভবনটি অবৈধ ঘোষণা করে তা ভেঙে ফেলতে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে বিজিএমইএর আপিলের আবেদনটি প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ খারিজ করে দিয়েছেন কয়েকমাস আগেই । এখন এটা নিষ্চিত যে ভেঙ্গে ফেলাই হবে । বিচারের রায়ে হাই কোর্ট বলেছিল, “বিজিএমইএ ভবনটি সৌন্দর্যমণ্ডিত হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যান্সারের মতো। এ ধ্বংসাত্মক ভবন অচিরেই বিনষ্ট করা না হলে এটি শুধু হাতিরঝিল প্রকল্পই নয়, সমস্ত ঢাকা শহরকে সংক্রামিত করবে।” যদিও বিজিএমইএর আইনজিবী ব্যারিস্টার রফিক আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিলেন এটা ভেঙে দিলে অর্থনীতিতে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। কারণ অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে গার্মেন্টস শিল্পের ওপরে।”
ভেঙ্গে ফেলার অপেক্ষায় হাতীর ঝিলের প্রান্তদেশে গড়ে উঠা বিজিএমই এ ভবন
আদালতের রায়ের প্রতি সম্মান দেখিয়ে ৬ মাসের মধ্যে বিজিএমইএ ভবনটি ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ( এখন সাবেক)। জানা যায় উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে ১০ বিঘার একটি প্লটে বিজিএমই এর নতুন ভবন নির্মাণ খুবই দ্রুততার সঙ্গে শুরু হবে ।
আদালদের বিজ্ঞ বিচারকদের প্রতি পুর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি তাদের রায় কার্যকরী হোক। আইনের প্রক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত সঠিক কাজটিই করেছেন । তবে কথা প্রসঙ্গে কিছু বিষয় এমনিতেই চলে আসে । বিজ্ঞ আদালত প্রাসঙ্গিক সকল বিষয়ই খুটিয়ে দেখেছেন বলে বিশ্বাস করি । বেআইনীভাবে পরিবেশের জন্য ঝুকিপুর্ণ ভবনের বিষয়ে যা প্রাপ্য বিজ্ঞ আদালত সে রকম রায়ই দিয়েছেন । এ রায়ের পরে আমরা এখন দুটি জলাজয়ের মাঝখানে এমন ভবন কিভাবে নির্মান করা হলো সে প্রসঙ্গে সচেতন জনতা হিসাবে কিছু আলোচনাতো করতেই পারি দায়িত্বে থাকা নগর পরিকল্পনাবিদদের বোধদয়ের জন্য ।
ভবন নির্মানের জন্য বেগুনবাড়ী খালের উপরে এ জায়গার মালিকানা সরকারী সংস্থা রপ্তানী উন্নয়ণ ব্যুরো বিজিএমইএকে হস্তান্তর করে বলে উল্লেখ দেখা যায় । রাজধানীর বুকে থাকা সংরক্ষিত জলাশয়ের এ জায়গার মালিকানা রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো পেলোও বা কিকরে !!! আর এর উপরে ভবন নির্মাণের জন্য তারা বিজিএমইকে তা দিলই বা কি করে!!!
সর্বোপরী সকলের চোখের সামনে দিয়ে এমন জায়গায় বেআইনীভাবে বিজিএমইএ বছরের পর বছর লাগিয়ে এত বিশাল আকারের নির্মানযজ্ঞ চালিয়েই বা গেল কিভাবে। রাজউক কেন, বা কি কারণে চোখ মুখ বন্ধ করে রেখেছিল এর নির্মানকালে। বিষয়টি বিজ্ঞ আদালতের কাছেও নিশ্চয়ই প্রশ্নের সন্মুখীন হয়েছিল ।
রাজুকের বিল্ডিং প্লান অনুমোদনের জন্য নীতিমালার কিছু প্রাসঙ্গীক বিষয় তুলে ধরা হলো নীচে ।
ঢাকা নগরীতে ভবন তৈরীর জন্য আগ্রহীদেরকে ভবনের ডিজাইন অনুমোদনের জন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয় । বিবিধ কারণে রাজুক কতৃক্ষের অনুমোদন প্রক্রিয়া অস্বাভাবিক বিলম্বিত হয় কারণ রাজুককে অনুমোদন প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু বিষয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে হয় ।
ভবন নির্মাণের জন্য প্রথমেই ভুমি ব্যবহার ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করতে হয়। এ সময় বেশ কিছু বিষয়ে আবেদন পত্রের সাথে তথ্য প্রদান করতে হয় । এ পোষ্টের আলোচনার জন্য প্রাসঙ্গীক গুরুত্বপুর্ণ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো :
ক) আবেদনকারী স্বাক্ষরিত ১৫সেমি ঔ ২০সেমি মাপের সাইট ম্যাপ ( মৌজা ম্যপ হতে হতে ) এর তিন কপি
খ) নির্মানের জন্য প্রস্তাবিত জমির অবস্থান
গ) ২৫০ মিটার ব্যসার্ধের মধ্যে জমিটির ব্যবহার
প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সম্বলিত প্রাথমিক আবেদন পাওয়ার পরে রাজুক সরজমিনে পরীক্ষা নিরীক্ষা পুর্বক সেই জায়গায় ভবন নির্মান করার জন্য যোগ্য মনে করলে আবেদনকারীকে ভবনটির বিস্তারিত ড্রইং ডিজাইন প্রনয়ন করে ২৪ মাস সময়ের মধ্যে দাখিলের জন্য অনুমোদন দেয়া হয় ।
ভবনটি যদি ১০ তলা বা ৩৩ মিটারের বেশী উচ্চতা সম্পন্ন হয় তাহলে নিন্মোক্ত ১০ টি সরকারী সংস্থা হতে মতামত বা ছাড়পত্র গ্রহন প্রয়োজন হয়ঃ
• Department of power division (DPDC) for electrical load requirement
• Water and sewage authority WASA for water consumption requirement
• Titas gas & Transmission authority for gas requirement
• Fire service for fire safety drawing clearance
• Civil aviation for building height permission
• Dhaka traffic control authority
• Dhaka City Corporation
• Department of environment
• DCC Ward Commissioner
• Dhaka Metropolitan Police (DMP)
সকল প্রয়োজনীয় বিষয়ে সন্তোষজনক মুল্যায়নের পর , রাজউক সংস্টিষ্ট কমিটির সদস্যগণ ভবনটির জন্য ড্রইং ডিজাইন অনুমোদন করে ডেভেলপার কোম্পানি বা আবেদনকারীকে অনুমোদন প্রদান করে।
যাহোক, বিজ্ঞ আদালত তাদের রায়ে বলেছেন ভবন নির্মানটি ছিল বেআইনী । তাতে পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে ভবনটির নির্মানের অনুমোদন পক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব ছিল, যে জন্য এটা রাজুক হতে অনুমোদিত হতে পেরেছিল । এ বিষয়ে দায়ীদের সম্পর্কে আদালতের রায়ে কি আছে তা জানা যায়নি । নিশ্চয়ই এ বিষয়গুলি বিজ্ঞ আদালতের দৃষ্টি এড়ায়নি ।
এখানে উল্লেখ্য যে, হাতির ঝিলে এখনো মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে থাকা ২লক্ষ ৬০ হাজার বর্গফুটের এই বিজিএমইএ ভবনটির বর্তমান মুল্য দাঁড়াতে পারে আনুমানিক প্রায় ২৬০ কোটি টাকা ( প্রতি বর্গফুট ১০০০০ টাকা হিসাবে) যা এখন আইনের বিধান বলে ধংস করে দেয়া হবে । দায়ত্বশীল সংস্থাগুলি সচেতন হলে এই ২৬০ কোটি টাকার ভবনটি নির্মিত হতোনা , এর জন্য এখন জাতিকে নতুন করে যে মুল্য দিতে হবে তা দিয়ে দেশের বাইরে থাকা হাজার হাজার বাংলাদেশী বিজ্ঞানীকে অনায়াসে উচ্চ পারিশ্রমিক ও সুযোগ সুবিধা দিয়ে দেশে এনে বিজ্ঞান সাধনায় নিয়োজিত করা যেতে পারে !!
এছাড়াও বিজিএমই এর জন্য নতুন ভবন নির্মানের জন্য যে অর্থ ব্যয় হবে তা দিয়ে ঢাকার বাইরে গার্মেন্টস পল্লী / শিল্প এস্টেট গড়ে তুলে রাজধানীর কেন্দ্র হতে পোশাক শিল্প কারখানাগুলিকে সরিয়ে নেয়া যেতে পারতো অনায়াসে । তাতে করে পোশাক শিল্প শ্রমিকদেরকে রাজধানী এলাকার ঘিঞ্জি বস্তিতে গাদাগাদি করে করতে হতোনা বসবাস , অপরদিকে ঢাকার রাজপথে পোশাক শিল্প মালিকদের হাজার হাজার গাড়ীর যানজট, কালো ধোয়া আর শব্দ দুষনের শিকার হতে বেঁচে যেতো রাজধানীবাসী ।
যদিও বিকল্প ভাবনার কোন সুযোগ এখন আর নেই এবং আদালতেরর রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতেই হবে তাই রায়ের বিষয়ে কিছু বলার কোন অবকাশ নাই। তবে দেশের সাধারণ নাগরিক হিসাবে কিছু প্রাসঙ্গীক ধারনাতো সকলের সাথে শেয়ার করে নেয়া যেতেই পারে ।
মানুষ বুদ্ধি খাটিয়ে যদি চাঁদে কিংবা মঙ্গল গ্রহে যেতে পারে, তাহলে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে বিজিএমই এর এই ভবনটিকে আরো দৃষ্টি নন্দন করে ঝিলের শোভা বর্ধনকারী ও পরিবেশ বান্ধব করার চিন্তা ভাবনা করার কোন সুযোগ আছে কিনা তা দেশের বিজ্ঞ আইনজ্ঞরা একটু ভেবে দেখতে পারেন ? ঝিলের পারের ছোট কিছু স্থাপনাকে সরিয়ে দিয়ে হাতির ঝিল ও বেগুনবাড়ী খালের মধ্যে পানি প্রাবাহের নালাকে একটু বাঁকা করে দিয়ে নিন্মের চিত্রের মত করে বইতে দেয়ার বিষয়টি স্টাডি করে দেখার বিষয়টিও বিজ্ঞ জনেরা ভেবে দেখতে পারেন । এতে করে লেকের জল প্রবাহে বড় কোন বাধা কিংবা নান্দনীকতা খুব একটা দৃস্টিকটু দেখাবে কিনা সে বিষয়ে দেশের বিজ্ঞ নগর স্থপতি ডিজাইনারগন একটু ভেবে দেখতে পারেন । এমনটি হলে শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ভবনটিকে অক্ষত রাখার বিষয়ে কোন বিধি সন্মত ব্যবস্থা নেয়ার অবকাশ এখনো বাকি আছে কিনা তা বিজ্ঞ জনেরা ভেবে দেখতে পারেন।
তবে এটা নিশ্চিত যে ক্ষতির দায়টা এখন নিতে হবে সাধারণ জনতাকেই , কারণ এটা নির্মান করা হয়েছে ব্যাংকে রক্ষিত জনগনের সঞ্চিত আমানতের অর্থ হতে। বিজিএমইএ এবার হয়তো শত শত কোটি টাকা ঋন নিবে নতুন আলীশান ভবন তৈরী করতে । বিজিএমইএ কোন শ্রমিকের সংগঠন নয়, এটা শ্রমিকের রক্ত চোষা গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন । লোনের টাকায় নতুন আলীশান ভবন তৈরী করে তা ভাড়ায় খাটিয়ে সংগঠন সদস্যদের সুবিধার ভাগ দিবে বাড়িয়ে , আর অন্য দিকে ভেঙ্গে ফেলা ভবনের জন্য গৃহীত ঋণের দায়মুক্তির তরে ধর্ণা দিবে ব্যাংকের দুয়ারে । তাদের দাবী মেনেও নেয়া হবে সহজে কারণ বিজিএমইএর সদস্যগনের বেশীর ভাগই দেশের বড় দু’দলের প্রভাবশালি খেলোয়ার । তা ছাড়াও বিজিএমইএ তাদের ক্ষতি পোষাবে বিবিধ প্রকারে পোষাক শ্রমিকদের সুযোগ সুবিধা টেনে ধরে ।
পানি প্রবাহের নালাকে একটু বাঁক নিয়ে সম্প্রসারণ করা সম্ভবপর যদি নাও হয় তাহলে ভারতের জয়পুরের মান সাগর লেকের মাঝখানে জালমহল প্রাসাদের মত একে লেকের মাঝে পানির বুকে রেখেই ঝিলের শোভা বর্ধন করার বিষয়টি ভাবা যেতে পারে, এর ফলে হয়ত বেঁচে যেতে পারে দেশের সম্পদ। দেশের সম্পদ অক্ষুন্য রাখার বিষয়ে সচেতন জনতাদের কিছু চিন্তাভাবনাতো থাকতেই পারে ।
ছবি : মান সাগর লেকে জালমহল প্যালেস জয়পুর, ভারত
একটি বানিজ্যিক ভবন যা রামপালের বিদ্যুত কেন্দ্রের মত করবেনা ধোয়া নিশ্বরণ, তাকে পরিবেশ বান্ধব করা কি খুবই কঠীন কিছু বিষয় । রামপালে নির্মাণাধীন দৃষ্টিনন্দন বিদ্যুত কেন্ত্রটির কথাই ভাবা যাকনা একটুখানি ।
পরিবেশবাদীদের মতে সুন্দরবনের নিকটে রামপালে কয়লা বিদ্যুত কেন্দ্র হলে তা সুন্দরবনকে করবে বিপন্ন যা দেশের সার্বিক পরিবেশের উপরই প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করে সকলেই । বিষয়টি সরকারও অনুধাবন করে কেন্দ্রটিকে সেখান থেকে না সরিয়ে বরং সেটিকে জায়গায় রেখে পরিবেশ বান্ধব করার জন্য উপযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন দেশবাসীকে ।
কিন্তু যদি দেখা যায় বিজিএমইএ ভবনের মত রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মান হওয়ার একযুগ পরে তার ঘন ধুয়ায় সুন্দরবনকে করছে বিপন্ন, তখন এই বিজিএমই ভবনের মত একে ভেঙ্গে ফেলার জন্য আদালতের এই রায়কে রেফারেন্স হিসাবে টানা হতে পারে যুক্তিসঙ্গতভাবে, তখন কারো কিছু বলার থাকবেনা সে কথাতো বলাই যায় । তবে ক্ষতি হবে বিবিধ প্রকারে ।
ছবি : রামপাল প্রকল্পের প্রস্তুতি শেষ, কাজ শুরুর অপেক্ষা
ছবি সুত্র: http://primenewsbd.com/news/110579
তাই বেআইনী ভাবে কোন ভবন কিংবা স্থাপনা যেন গজিয়ে উঠতে না পারে তা কঠোরভাবে তদারকির প্রয়োজন আছে , বেআইনি কোন স্থাপনা গড়ে উঠলে এর দায় দিতে হবে সংষ্লিষ্টদের ঘাড়ে । আর খেয়াল রাখতে হবে দেশের জাতীয় সম্পদ যেন নষ্ট না হয় অযোগ্যদের হাতে পরে , যারা কাজের সময় চোখ বুদে থাকে, পরে বিবিধ অযুহাত খুঁজে দায়মুক্তির তরে । মনে হয় তারা কোনদিন ভাবতে পারে নাই সরকারী খাল/লেক নিয়ে কোন একদিন জাতীয় পর্যায়ে হাতীর ঝিলের মত এমন সুন্দর প্রকল্প হতে পারে। হয়তবা মনে করেছিল পুরাটা লেকই তারা গিলে খাবে একে একে । সৌভাগ্য বা কারো কাছে দুর্ভাগ্যক্রমে হাতির ঝিল সৌন্দর্যকরণ প্রকল্পটি না হলে এটা কোনকালেই বেআইনী কিংবা ঢাকার পরিবেশের জন্য বিপন্ন বলে চিহ্নিত হত কিনা তাতে সন্দেহ জাগে ভীষণভাবে !!!
পোষ্টটি প্রিয়তে গেল
অনেক শুভেচ্ছা রইল
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অভিবাদন নিন প্রিয় ড. এম এ আলী ।
আপনার ঋদ্ধ সংযোজনা পোস্টকে পূর্ন করলো শুধু নয়, সমৃদ্ধ করলো।
অন্তহীন কৃতজ্ঞতা এত কষ্ট করে মূল্যবান তথ্য সমূহ সংযোজন করায়।
আমাদের দূর্ভাগ্য আমাদের নীতি নির্ধারনে মাথামোটা বা স্বার্থবাদীদের জয়জয়কার!
দেশ, বৃহত্তর স্বার্থ, আমজনতার কল্যান, সামষ্টিক সামগ্রিক কল্যানের বিষয় কখনো বড় হয়ে উঠতে দেখিনি এ পর্যন্ত!
মাননীয় আদালত আশা করি জাতীয় বৃহত্তর স্বার্ত চিন্তা করে রায় পুর্নবিবেচনা করবেন। এ যে করা যায় আমরা দেখেছি এর আগে! যুদ্ধাপরাধীর ফাসির রায়ের ক্ষেত্র।
আশাকরি ধ্বংস নয় ইনোভেটিভ পথে দেশ এবং জাতীয় কল্যানে সম্মানীত বিচারক এবং দেশের বিজ্ঞ সুশিল সমাজ এক হয়ে বিষয়টি নিয়ে জনমত তৈরী করবেন।
প্রিয়তে নিয়ে আমাকে কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছেন। শুভেচ্ছা অন্তহীন
২০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:০২
নীল আকাশ বলেছেন: বিদেশে বসে বড় বড় চাপা মেরে, বেহায়ার মতো দলীয় লেজুরবৃত্তি করে আর তুড়ি মেরে সব কিছু উড়িয়ে দেয়া খুব সহজ। দেশের প্রতি সত্যিকারের ভালোবাসা বুকে থাকলে দেশেই থাকা যায়। আমরা শত লাঞ্চনা আর বঞ্চনা সহ্য করেও এই দেশেই থাকি। আর কেউ কেউ বেহায়া আর স্বার্থপরের মতো দেশ থেকে পালিয়ে যেয়ে ব্লগে এসে দেশ প্রেম কপচায়। হায় সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ!!
সাধে কি বলেছি - কত কি যে আর দেখতে হবে এই দেশে?
ধন্যবাদ!
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৩৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
তা যা বলেছেন।
দেশপ্রেমের সাথে সত্যের সম্পর্ক নিবির। অনেকেই সত্য স্বীকার কে না। অন্ধত্ব দলীয় বা জ্ঞানের স্বার্থ বা প্রয়োজনে তাদের দৃষ্টিকে আবদ্ধ করে রাখে - ফলে তারা একমূখি দেখতে পায় শুধু।
সত্যি! বিচিত্র এই দেশ! তারচে বিচিত্র চেতনার দেশপ্রেমের হাল!
২১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
অসাধারণ একটি পোস্ট। পোস্টের আলোচ্য বিষয়ে সম্পূর্ণ সহমত। অনেক অনেক +++
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া
ছড়িয়ে দিন যাতে মাননীয় বিচারক মহোদয় সহ সকলের দৃষ্টিতে পড়ে এবং বিসয়টি পুন:বিবেচনার সুযোগ পায়!
ড. এম এ আলী ভায়ার রেফােরন্স একটা দারুন পয়েন্ট!
ধ্বংস নয় সৃষ্টিশীলতায় হোক সুন্দর সমাধান!
মৌলিক মানবিক অধীকার বঞ্ছিত হাজারো সমস্যার দেশে শত শত কোটি টাকা উড়িয়ে দেয়ার বিলাসিতা পাপ।
২২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:০৩
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ভবন না ভেঙে যারা এই ভবন অনুমোদনের সাথে জড়িত তাদের সকলকে দলমত নির্বিশেষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক | এই ভবনটি জনগণের কাজে লাগানো যায় কিনা এই বিষয়ে ভাবা উচিত |
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা
এই ভবন অনুমোদনের সাথে জড়িত তাদের সকলকে দলমত নির্বিশেষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা হোক |
এই ভবনটি জনগণের কাজে লাগানো যায় কিনা এই বিষয়ে ভাবা উচিত |
এই বোধটুকুন জেগে উঠূক আমাদের সম্মানীত মহোদয়দের মনে জ্ঞানে
২৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১৩
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: ভৃগুদা, পোস্ট পড়লাম। সুন্দর লিখেছেন। কর্তৃপক্ষের বোধদয় হোক।
আপনাকে একটা বিশেষ কারণে কমেন্ট করলামঃ
দুজন ব্লগার(র, র) সন্দেহ করছে ফ্লাডিং এর সাথে আমি জড়িত। আমি ওদের সাথে কাইজা করেছিলাম, তাই হয়তো সন্দেহ করছে। কিন্তু ওদের সন্দেহ সত্যি না, কোন প্রমানও নেই। আপনাকে একটু হিন্টস দিয়ে রাখলাম, বাঁকিটা পরে দেখা যাবে।
আপনি কি আমার নিকটা চেনেন? আমি কি সন্দেহ করার মত? লজ্জা, লজ্জা। সকালের নাস্তা না করে টাইপ করছি কম দুঃখে!
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। সেটাই কামনা।
বোধোদয় হোক।
আপনাকে সন্দেহ করার কোন যৌক্তিক কারণ আছে কি?
উপর মহল থেকে একটু আভাস পেয়েছি- আইপি সহ কট করা গেছে অপরাধীকে!
বিস্তারিত অনুসন্ধান চলছে!
আপনার কাছেও কোন তথ্য থাকলে শেয়ার করতে পারেন। সামুর বৃহত্তর কল্যানে।
আর যারা করছে তাদের হীন মানসিকতায় ঘৃনা।
কি লাভ ? তাদের হৃদয় বিবেক কি তাদের খোঁচায় না?
স্বার্থ কতদিনের? মরে গেলে সব শেষ। রয়ে যাবে শুধূ কর্ম আর ইতিহাস!
আশা করি তারা মন থকেই বদলে যাবেন।
আপনাকে নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি শেষ হোক।
২৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: সত্য কথা বলতে কি আপনি আমার মনের কথা গুলোই লিখেছেন।
১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া।
আশা করি আইনের বা রায়ের সংশোধনীর মাধ্যমে উনারা দেশ এবং জাতীয় স্বার্থে সম্পদের অপচয় না করেও আইন প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন।
অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।
২৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০৬
নীলপরি বলেছেন: যুক্তিগুলো খুব গুছিয়ে লিখেছেন । কিভাবে সমাধান সময় সেটাই দেখার ।
++
শুভকামনা
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ নীলপির
হুম। তাদের শুভ কল্যান আর সুন্দর সমাধানের বোধ জাগ্রত হোক।
২৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ,
খেদ থেকেই হোক আর যা থেকেই হোক, প্রচন্ডরকম যুক্তি নিয়ে লেখা। থ্যাংকস।
অবশ্য ভাঙার শাস্তিটা নির্বোধ ভবনটিকে বইতে হবে , এটাকে মাথা তুলে দাঁড় করানোর পেছনের মাথাগুলোকে ভাঙা যাবেনা কিছুতেই। এদের যদি শাস্তি হয় তবে তো দেশের আরও ক্ষতি।
তবে আমি মনে করি (একান্তই আমার ভাবনা) ভবনটি ভেঙে ফেললেই তার রেশ মানুষের মনে থাকবে দীর্ঘদিন। মানুষ যখনই হাতিরঝিলের এইদিকটা তাকাবে তখনই তার মনে পড়বে , অবৈধ কিছুর পরিনাম এমনটাই হয় শেষতক। তবে সাথে এটাও চাই, এই অপকর্মটির পেছনের সবাইকে পদমর্যাদার বাছবিচার না করে, বেঁধে এনে লাইন করিয়ে ভাঙা ভবনটির ইট-বালু-পাথর সরানোর কাজে লাগানো হোক দিনরাত। এতে শ্রমিক নিয়োগের পেছনে সরকারের খরচ সবটা বেঁচে যাবে। অবৈধ কাজের সাথে জড়িতদেরও একটা দুষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। মানুষজন তাদের ছবি তুলে ফেসবুক সয়লাব করে দেবে।
এরকমটা হলে মানুষ অনেকটা (সবটা নয় কিন্তু) সোজা হয়ে যাবে।
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আহমেদ জিএস ভায়া
পেছনের মাথা গুলো বহাল তবিয়তে রেখে যত শাস্তি ভবনের উপর!
দু:খটা সেখানেই।
আপনার একান্ত ভাবনায় বড় বাঁধা বাঙালীর গোল্ডফিস মেমোরী! তাই মনে হয়না তা খূব কার্যকর হবে। উল্টো উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ের মতো, আমজনতার অর্থের বিশাল শ্রাদ্ধই হবে কেবল! তাই ভিন্নধর্মী শাস্তির ভাবনা নিয়ে ভাবনা। যাতে সম্পদের অপচয় না করেই অপকর্মের শাস্তি হয় এবং তা নিদর্শন হয়ে থাকতে পারে ভবিষ্যতের জন্য।
" অবৈধ কাজের সাথে জড়িতদেরও একটা দুষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। মানুষজন তাদের ছবি তুলে ফেসবুক সয়লাব করে দেবে।
এরকমটা হলে মানুষ অনেকটা (সবটা নয় কিন্তু) সোজা হয়ে যাবে। " এমন আশাই রইল
২৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৪
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: প্রতিউত্তরে ধন্যবাদ।
আমাকে সন্দেহ করেছে উদাসী(রনি), আর রতন।
উদাসীর সাথে ধর্ম নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। আমাকে কমেন্ট ব্যানে রেখেছে, তার গত পোস্টটা আমাকে উদ্দেশ্য করেই লেখা। আচ্ছা? উদার উপর রাগ থাকলে আমি তো তার পোস্টেই ফ্লাডিং করবো। নাকি? নতুন নকিবের পোস্টে ফ্রাডিং করতে যাব কোন দুঃখে?
আরেক জন রতন। ও বিএনপি পন্থী (ছাত্রদল করতো)। একটা পোস্ট নিয়ে তার সাথে একটু কাইজা হয়েছিল। ওর ব্লগে একার ফ্লাডিং হয়েছিল। নতুন হওয়ায় ভাবছে ওটা আমি কাজ।
ফ্লাডিংকারির আসল নিক জানা গেলে সেটা প্রকাশ করা হোক। দেখা যাক গুটিবাজটা কে....
২০ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভিন্নমত থাকতেই পারে। কিন্তু তাতে কমেন্ট ব্যান বা কাইজ্জা করা একপ্রকার আওয়ামী স্বৈরাচারিতা বটে
হা হা হা
কথা সেটাই । বেশ কবারই নতুন নকিব ভায়ার পোষ্টেই ফ্লাডিং হয়েছে। তাতেই বোঝা যায় এটা ইসলাম বিদ্বেষী কারোরই করার কথা। যারা পছন্দ করেনা ব্লগে ইসলামী বিষয় আলোচিত হোক। যারা মনে করে মুক্ত মনা মানেই ইসলাম থেকে বের হয়ে যাওয়! এমনইতো সাধারন সূত্র বলে।
যাকগে। আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুন। মৃত্যুর পর তাদের কর্মতে মানুষের ঘৃনাই তারা পাবে স্মরনের বাজারে এ্ই নূন্যতম বোধটুকু ফিরুক। সেই শুভকামনা।
অনুসন্ধান চলছে। তদন্তের স্বার্থেই তা গোপন বটে (পুলিশি ষ্টাইলে )
২৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৬:২৯
নির্বাসিত বাঙালি বলেছেন: অদ্ভুত এক জাতি আমরা, হুটহাট সিদ্ধান্ত আমাদের রক্তে মিশে আছে। এখন হুজুগ উঠছে যেহেতু এটা ভাঙবেই। চেপে যান,দেখে যান। চাইলে আপনিও ডিনামাইট দিয়ে কিভাবে বিল্ডিং ভাঙা হয় গিয়ে দেখে আসতে পারেন।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম!
সে হালেই পুরা জাতি!
ভাল মন্দ, ন্যায় অন্যায়, চেতনা সবই দলান্ধতায় এক রঙা!
মন্দের ভাল সেই- "তামাশা" দেখে যাওয়া
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া
২৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:৩১
রায়হান চৌঃ বলেছেন: অদ্ভুৎ কিছু মানুষের বসবাস এই বাংলায় / ব্লগে। সমস্যা বা সমাধান বড় বিষয় নয়। যেন তাহাদের কাজ হলো কথায় কথায় রাজনীতি বাল, ছোল, লেজ,ধন, খুজে বেড়ানো।
আসলেই ১৯৭১ আমাদের কে বাংলাদেশী বীজ দেয় নাই, দিয়েছে কিছু ভীন দেশী বীজ
২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দৃষ্টি যখন এক পেশে, চেতনা যখন বৃত্তাবদ্ধ, জ্ঞান যখন স্বার্থান্ধতায় মাখা
তখনই এমন হয়!
জাতির ভবিষ্যতের জন্য খুবই ক্ষতিকর এক নোংরা বীজ আমরাও রেখে যাচ্ছি!
পরের মূখে ঝাল খাবার নেশা ভিনদেশী কৃপায় মসনদের মোহ না ছূটলে
আত্ম পরিচয় আর আত্মমর্যাদায় টনটনে না হলে এর বদল সুদূরপরাহত।
৩০| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৪৫
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনার সাথে অনেকাংশেই একমত, তবে পুরোপুরি নই। যেহেতু ভবনটি অবৈধ আর আদালতের রায়ও আছে, তাই ভেংগে ফেলাই উচিত। ভবনটি নিরাপদে ভাংগার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান রাউজক এবং অন্যান্য কনসার্নড সংস্থা (যাদের অনুমতি পেয়ে এই ভবন গড়ে উঠেছে) তাদেরই করা উচিত। সেইসাথে এইসব সংস্থার দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শাস্তির আওতায় আনা উচিত।
০১ লা মে, ২০১৯ বিকাল ৪:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। আপনার ভাবনাও মন্দ নয়।
তবে আমার পয়েন্ট অব ভিউ হলো আমাদের মতো গরিব দেশের শত কোটি টাকার মসম্পদ ভেঙ্গে আইন প্রতিষ্ঠার চেয়ে
প্রচলিত রাজনীতি মূলত যা অপ:রাজনীতি তার মাথঅ গুলো ঠিক হলে বরং আরো ভালো। এমন ভবন গড়েই উঠতো না।
অন্যায় করে পার পেযে যাবার রাজৈনিতক যে নোংরা শক্তি তা ভেঙ্গে দেয়া উচিত।
ব্যাংক লূটেরাদের একদিকে ক্ষমার নামে প্রহসনের পাশৈ ভবন ভেংগে আইন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা আরো বড় বেশী প্রহসন।
আর অপকর্মে জড়িত সকলকে বহাল তবিয়তে রেখে তা করা শ্রেষ্ঠ প্রহসন বৈকি!
ধন্যবাদ অনেক অনেক।
৩১| ০৬ ই জুন, ২০১৯ বিকাল ৫:১১
গরল বলেছেন: সহমত, তবে ভবনটি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও উদ্বোধন করেছিল তৎকালীন দুই প্রধানমণ্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা। এখানেই আমাদের দূর্ভাগ্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:১৫
এম.জে. রহমান বলেছেন: ১০০% একমত। রেঙ্কস ভবনের মতো ভাঙতে গিয়ে না আবার লাশ পড়ে , রাষ্ট্রায়ত্ত করে নিলেই হয় ।