নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুভ আবির্ভাব দিবসে ইমাম হোসাইন আ: এর পবিত্র করকমলে

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫৯

অসীম শুন্যতায় কেউ নেই, কিছু নেই
আপন প্রকাশের গোপন জ্বালা
চারিদিকে সৃস্টির ফিসফাস গুঞ্জন
কুন। ফাইয়াকুন।

আবির্ভাব হয় সৃস্টির
স্বত্বার। অনস্তিত্বে অস্তিত্বের;
জগতবাসি দেখে এক পবিত্র জনম-
অভিবাদন- হে ইমাম হোসাইন।

শানে হোসাইন বলেন প্রিয় হযরত খাজা মুঈনউদ্দিন –

“শাহ আস্ত হোসাইন, বাদশাহ্ আস্ত হোসাইন
দিন আস্ত হোসাইন, দিন পানাহ আস্ত হোসাইন
সারদাদ নাদাদ দাস্ত দার দাস্তে ইয়াযীদ
হাক্কাকে বিনায়ে লা ইলা আস্ত হোসাইন”

অনুবাদে অনুভবে বুঝে নেই বান্দা নাদান-

“জগতের সম্রাট হলেন হোসাইন, বাদশাহ হোসাইন,
ধর্ম হলেন হোসাইন, ধর্মের আশ্রয় দাতা হোসাইন,
দিলেন মাথা, না দিলেন হাত ইয়াযীদের হাতে
সত্য তো এই যে, লা-ইলাহার স্তম্ভ হোসাইন”

আপনি মহান অন্যতম অনন্যগুচ্ছে পবিত্র পাঞ্জাতন
গ্রহণ করুন এই নিবেদন জানাই গুনাহগার নাদান
মহাকাল কুর্নিশ করে স্মরনের মিনারে জপে ইয়া হোসাইন,২
শুভ জন্মদিনে সকলে জানায় অভিবাদন, জানাই অভিবাদন।

হে ইমামুল জান্নাতাইন, ইমামুশ শোহাদা
যুবকদের সর্দার, কারবালার পবিত্র প্রাণ
আত্মত্যাগের মহিমায় ভরপুর; শুভ জন্মদিনে
সালাত ও সালাম চরণে আপনার।


সংক্ষিপ্ত কিছু তথ্য:
আজ ৫ শাবান। ইমাম হোসাইন আ: এর জন্মদিন। উনার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে অধম গুনাহগারের সামান্য নিবেদন। ইমাম আল-হোসেইন ইবন আলী ইবন আবি তালিব (হুসেইন বানান-ও প্রচলিত) ৩/৫ শাবান ৪ হি. জন্ম গ্রহন করেন। তিনি ছিলেন ইসলামের খোলাফায়ে রাশিদীন-এর সর্বশেষ খলিফা ও ইমাম আলী ইবন আবি তালিব এবং হয়রত মোহাম্মদ সা : এর কন্যা ফাতিমা জাহরা-এর পুত্র ও হাসান ইবন আলী-এর কনিষ্ঠ ভ্রাতা। হোসেইন ইমাম হিসেবে ও আহল আল-বায়াত বা নবী পরিবারের সদস্য এবং আহল আল-কিসা* -এর সদস্য হিসেবে ইসলামের একজন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।

* হাদিস আল কিসা বা চাদরের হাদিস

হাদীসটিকে হাদীস আল-কিসা” (চাদরের হাদীস) বলা হয় , কারণ আয়াতে তাতহীর যখন নাজিল হচ্ছিল তখন মহানবী (সাঃ) এবং তার আহলে বাইতের সদস্যবর্গ একটি চাদর– দ্বারা নিজেদের আবৃত করে রেখেছিলেন ; এর মাধ্যমে তারা অন্য লোকদের হতে নিজেদেরকে পৃথক করে চিহ্নিত করেছিলেন । আরবী ভাষায় ঐ ধরণের চাদরকে‘ আবা’ বা‘ কিসা’ বলা হয় এবং অধিকাংশ হাদীসেই‘ কিসা’ শব্দ– দ্বারা ঐ অর্থ বুঝানো হয়েছে । এই কারণে তাদেরকে আসহাব আল-কিসা” এবং পাঞ্জাতন আলে আবা” হিসেবেও ভূষিত করা হয়”

প্রথমে আমরা হাদিস টি দেখি।
১ম বর্ণনা কারি হজরত আয়েশা (রাঃ)
একদিন মহানবী (সাঃ) তার একটি ছাপা চাদর নিয়ে ঘর হতে বের হলেন । এমন সময় হাসান (আঃ) তার নিকট আসলেন এবং মহানবী (সাঃ) তাকে কাছে নিলেন এবং চাদরের নিচে আবৃত করে নিলেন । তারপর হুসাইন (আঃ) আসলেন এবং মহানবী (সাঃ) তাকেও চাদরের নিচে আবৃত করে নিলেন । অতঃপর ফাতেমা (আঃ) কাছে আসলেন এবং তাকেও চাদর দিয়ে আবৃত করা হলো । সবশেষে আসলেন আলী (আঃ) এবং তাকেও চাদরের নিচে আবৃত করে নেয়া হল । অতঃপর তিনি (মহানবী সাঃ) এই পবিত্র আয়াতটি তেলাওয়াত করলেনঃ হে আহলে বাইত! আল্লাহ তো কেবল চাহেন তোমাদিগ হতে অপবিত্রতা দুর করতে এবং তোমাদিগকে সম্পূর্ণ রূপে পবিত্র করতে” (সূরাঃ আহযাব ৩৩) ।

২য় বর্ননা (বর্ননাকারি উম্মে সালমা (রাঃ)
তাবারী তার তাফসীর গ্রন্থে এই পবিত্র আয়াত সম্পর্কে উম্মে সালামা’ র নিম্নরূপ বক্তব্য উদ্ধৃত করেছেনঃ “যখন এই আয়াত, হে আহলে বাইত (নবী পরিবার)!.. নাজিল হল , মহানবী (সাঃ) আলী ,ফাতেমা , হাসান , এবং হুসাইন (তাদের সকলের উপর শান্তি বর্ষিত হোক)-কে তার নিজের কাছে ডাকলেন এবং তার চাদরের নিচে তাদেরকে আবৃত করলেন” ।

অন্য একটি হাদীসে উম্মে সালামা বলেছেনঃ তিনি তার চাদর– দ্বারা তাদেরকে আবৃত করলেন ।” এই হাদীসটি সুয়ূতিও তার তাফসীর গ্রন্থে উদ্ধৃত করেছেন এবং ইবনে কাসির তার তাফসীর গ্রন্থে একই ধরণের বর্ণনা লিপিবদ্ধ করেছেন ।

মহান আল্লাহ তা’আলা আহলে বায়াতের সদস্যদের, পাক পাঞ্জাতনের সদ্যসদের কত মর্যাদায় মর্যাদাবান ককরেছেন আল কোরআনে। উনাদের নামে আয়াত নাজিল হয়েছে। কিন্তু কিছু কিছু আলেম কেন এই মহা সত্য তুলে ধরছে না অবাক হয়ে ভাবি । ইয়াজিদি হিংসার অনল কি তবে এখনো কিছু পোষাকি আলেমদের মাঝে রয়ে গেছে?
কিন্তু তারা কি ভুলে যায়, যে নবীর মাধ্যমে মহা সত্য পেল, তাঁর কথা অমান্য করলে কি আর সেই সত্যে থাকা যায় না। পোষাকে নয়, আত্মার গহনে যে সত্যি আমরা সেই সত্য সন্ধানী। সবার জন্য শুভকামনা।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর পোষ্ট।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভায়া

পাক পাঞ্জাতনের দয়ার নজরে রাখুন আপনারে।

শুভকামনা সবসময়।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: 'অনস্তিত্বে ও পাঞ্জাতন' মানেটা ঠিক বুঝলাম না।
অভিবাদন- হে ইমাম হোসেন!
শুভক্ষণে খুব সুন্দর নিবেদন । নিবেদনে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। ++++


বিনম্র শ্রদ্ধা ও শুভকামনা রইল।

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় পদাতিক দা :)

সৃষ্টির পূর্বাবস্থার শুন্যতায় অনিস্তত্ব থেকে সৃষ্টি অস্তিত্বে আসার বোঝানো হয়েছে।

আর পাঞ্জাতন মানে পাঁচ। পাক পাঞ্জাতন মানে সেই পবিত্র পাঁচজন যাদের কথা পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে সূরা আহযাবের ৩৩ নং আয়াতে। তাঁরা হলেন হযরত মোহাম্মদ সা: , মা ফাতেমা, মাওলা আলী, ইমাম হাসান ও ইমাম হোসাইন।
কবিতার নীচে সেই বর্ণনার সার সংক্ষেপ দিয়েছে বোঝার সহজতার জন্যই।

অন্তহীন শ্রদ্ধা, শুভেচ্ছা আর শুভকামনা

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুন্দর প্রতি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাই।

শ্রদ্ধা ও শুভকামনা সতত।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভায়া :)

আপনার জন্যেও শ্রদ্ধা ও শুভকামনা অন্তহীন

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৪৯

আরোগ্য বলেছেন: ভৃগুদা আপনি সুরা আহযাবের ৩৩ নং আয়াতের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা নিয়ে তাফসিরকারকদের মাঝে মতপার্থক্য আছে। কেউকেউ বলেন আয়াতটিতে নবীজীর স্ত্রীদের উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে। আর যদি সরাসরি কোরআনের আক্ষরিক অর্থে বলি তবে নবীজীর গোটা পরিবারকে বুঝানো হয়েছে।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৮:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।
পার্থক্যের জেরেই তো আমরা বহুধা বিভক্ত।
অথচ এমটা হবার কথা ছিলনা। নবীজির নির্দেশো ছিলনা। কোরআনের নির্ধেশও নয়।

স্বার্থ লোভ, ক্ষমতার মোহ, ইয়াজিদি সংষ্কৃতি যখন চেতনায়, ঈমানে বাসা বাঁধলো
আমরা পথ হারালাম্ সত্যতো একটাই। আমরা সত্যের কাছে থাকতে চাই।
সত্য প্রত্যায়িত করবেন রাসূল সা:। তখন আপনি নি:শংকে চলতে পারবেন সেই পথে দৃঢ়তায়। নয় কি?

অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা সতত

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১০:৩১

নীল আকাশ বলেছেন: শুভ সকাল এবং সালাম ভাই,
আহলুল বায়াতের ব্যাপারে আমাদের রাসুল (সাল্লালাহু....।) একদম সুনির্দিষ্ট ভাবে মান্য করার জন্য আদেশ দিয়ে গেছেন।
যারা এই আদেশের বিপক্ষে যাবে তারা শেষ বিচারের দিন উনার উম্মাহ হিসেবে দাবী করতে পারবেন না।
কিন্তু আমি শুনেছি, দেওবন্দ এবং দেশের তাবলীগের লোকজন ইয়াজিদকে খুব উচ্চ আসনে বসিয়ে সম্মান করে।
কিন্তু এটা যে কত বড় পথভ্রষ্টতা সেটা কিছুতেই স্বীকার করে না।
দুর্দান্ত একটা বিষয় নিয়ে লেখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভ কামনা রইল!!

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া!

হুম। স্পষ্ট সত্যের ব্যপারে কোন দ্বিধা ঈমানের ঘাটতির লক্ষন বৈকি।

কারবালার পর ইয়াজিদের স্বৈরাচারিতার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয় আহলে বায়াত এবং আহলে রাসূল প্রেমিদের জীবনে বিভীষিকা নিয়ে এসেছিল দূরাচার! ইসলামের মৌলিক কর্ম- ধ্যান, গবেষনা এবং অনুধাবনকে দূরে সরিয়ে এক হরফে দশ নেকি তত্ত্ব নিয়ে মানুষকে সত্যানুভব, ভাবনার সক্ষমতা বৃদ্ধি সকল কিছু থেকে দূরে ঠেলে নিজের রাজকাজ নিরাপদ করতেই উঠেপড়ে লেগেছিল। বহু সাহাবাকে নির্বাসনে দিয়েছিল। যারা ছিলেন রাসুল সা: এর বিশ্বস্ত এবং অতি নিকটতর। খুতবা গুলো ছিল নবী বংশের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর হাতিয়ার! জঘন্য মিথ্যাচারিতায় ভরপুর সেই অপকর্মের ইতিহাসও এখন কারো কারো কাছে রেফারেন্স বটে!

তাদের জন্য লানত তো আল্লাহই দিয়েছেন যারা জেনে শুনে সত্য গোপন করে। সত্যের সাথে মিথ্যাকে মিশ্রিত করে।
আপনার জন্য অন্তহীন শুভকামনা।
দোজাহানের সর্দার ইমাম হোসাইন আ: এর অতি সামান্য করুনা দৃস্টিও এ অধমের জন্য পরম সৌভাগ্যের।

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৪১

আনু মোল্লাহ বলেছেন: আহলে বায়তের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা মুসমানদের অবশ্য কর্তব্য। আজকাল অনেক পণ্ডিতদেরকে তো দেখি ইয়াজিদকে নির্দোষ প্রমাণে ব্যস্ত আর ইমাম হোসাইন (রাঃ) অবদান ও ত্যাগকে খাটো করতে নিজেদের মগজের অপব্যবহার করছেন।

আপনাকে অনেক শ্রদ্ধা ও ভালবাসা জানাই প্রিয় বিদ্রোহী।
এই পোস্ট আপনার নাজাতের উসিলা হোক। ইমামের প্রতি ভালাবাসায় সিক্ত হোক সব মুসলমান।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যথার্থ বলেছেন প্রিয় আনু মোল্লাহ

অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুকরিয়া
আমিন সুম্মা আমিন। আপনার শুভ প্রার্থনায় কৃতজ্ঞ।
ইমামের প্রতি ভালাবাসায় সিক্ত হোক সব মুসলমান আমিন।

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুহাব্বাত যাদের অন্তরে রয়েছে, আহলে বাইতদের প্রতিও তারা শ্রদ্ধাপূর্ণ ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ। দ্বীনের জন্য পরিবার পরিজনসহ ইমাম হুসাইন রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর ত্যাগ তুলনাহীন। এ কুরবানির নজির নেই।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা জান্নাতুল ফেরদৌসে তাদের মর্যাদাকে সমুন্নত করুন।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।

তারা আমাদের প্রার্থনার মোহতাজ নন। বরং আমরাই তাদের দয়ার মূখাপেক্ষি!
তিনি জান্নাতে যুবকদের সর্দার। সর্দারের জন্য আমার অনুরোধ গ্রহণযোগ্য নয় বরং তার সুপারিশ আমার জন্য মুক্তির পাথেয়।

অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভায়া।

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৪২

নীলপরি বলেছেন: খুব সুন্দর লাগলো কবিতাটা ।সেই সাথে টীকাটাও পড়ে ভালো লাগলো ।
+++++

শুভকামনা

১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ নীলপরি :)

ভাললাগায় অনুপ্রাণীত হলাম। প্লাসে কৃতজ্ঞতা।

হুম। আমাদের এক প্রাণপ্রিয় স্বত্তা হলেন ইমাম হোসাইন। শোকাবহ বেদনাবিধূর এক মহাসত্য।
আত্মত্যাগের মহিমায় ভাস্বর।
উনার প্রতি সামান্য অর্ঘ্য দেয়ার তৌফিক দিয়েছেন তাতেই কৃতজ্ঞ।

অনেক অনেক শুভকামনা

৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রিয় কবি ভাই,
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর প্রতিমন্তব্যে।

দরূদ শরিফ আমরা কেন পাঠ করি? আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি আমাদের প্রেরিত সালাত ও সালাম এর মুখাপেক্ষী? 'সুবহানাল্লাহ', 'আলহামদুলিল্লাহ', 'আল্লাহু আকবার' এই তাসবীহাত আমরা কেন পড়ি? তিনি কি আমাদের নাপাক জবানে পঠিত তাসবীহ এবং সানার মুহতাজ?

কস্মিনকালেও নয়। এগুলো আমরা করি আমাদের নিজেদের জন্য। তাই নয় কি?

শুভকামনাসহ ধন্যবাদ আবারও।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জ্বি। যথার্থ বলেছেন্ । বিশ্বাস এমন স্বচ্ছ এবং গভীর হওয়াই বাঞ্চনিয়। ।

আমাদের সকল ইবাদত, রিয়াজত আমাদের মুক্তির জন্য। দয়া করে যদি আল্লাহ কবুল করেন।

শুভকামনা আপনার জন্যেও।

১০| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৩৫

বলেছেন: পোষ্টে শ্রদ্ধা -------------

কুন ফাইয়াকুন -------------------অর্থ :- তিনি (আল্লাহ) যখন কোন কিছু করতে চান , তখন তাকে শুধু বলে দেন 'হও' এবং হয়ে যায় ।(সূরা ইয়াসিন : ৮২).

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জ্বি ভায়া।
তিনি (আল্লাহ) যখন কোন কিছু করতে চান , তখন তাকে শুধু বলে দেন 'হও' এবং হয়ে যায়

এ অর্থেই ব্যবহৃত হয়েছে।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

১১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:১৯

আখেনাটেন বলেছেন: হাসান - হোসেনের নাম দেখলেই ছোটকালে পড়া মীর মোশাররফ হোসেনের 'বিষাদ সিন্ধু'র কথা মনে পড়ে।

অনেক কঠিন কঠিন পঙক্তি থাকলেও পড়তে খারাপ লাগে নি।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বিষাদ সিন্ধু ছিল আমাদের ইতিহাস পাঠের বর্ণমালা!
আবেগ, প্রেম আর ভালবাসায় গাঁথা ঐতিহাসিক ঘটনাপুঞ্জির এক সরল পাঠ।

ইমাম হোসাইন আ: এর সন্তানদের বন্দি দশার ঘটনা পড়ে নিজেকেই সেই অসহায় অবস্থায় অনুভব হতো।
ছোট্ট মনে কান্নার ঢেউ উঠতো! আর মনে হতো, বড় হলে ঈয়াজিদের বংশ নিপাত করে দেব! :-/

এখন বড় হয়ে বুঝি কত বেশি লোভ, মোহ আর অসহায়ত্বের শৃংখলে বাঁধা জীবন পদে পদে।
দেশি ইয়াজিদদের নিত্য শোষনে আমজনতা যেন কারবালার অসহায় জ্ঞাতী।

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া :)

১২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পাক পাঞ্জাতন নিয়ে মুল্যবান লিখাটি পাঠে মুগ্ধ বিমোহিত
এটা নিয়ে বিষদ কি আর বলব শুধু বলে যেতে চাই-

ওহী নূরীয়া মোস্তফা বানকে আয়া
ছবকো দরদে দ্বিল কি দাওয়া বানকে আয়া।
ওহী সুরুতীয়া আকাঁয়ে দোজাঁহা হযরত
মুহাম্মদ(সাঃ) বনকে আয়া
ওহী হযরত আলী কাররামাল্লাহু বানকে আয়া
ওহী মা ফাতেমা বানকে আয়া
ওহী হযরত ইমাম হাসান হযরত ইমাম
হোসাইন বানকে আয়া
ছবকো দরদে দ্বিল কি দাওয়া বানকে আয়া।

চলুন এবার তা্দের পরে দুরুদ ও ছালাম পাঠাই

আয় মেরে আহম্মদ কামলে ওয়ালে তুম পর লাখ ছালাম।।
মেরে আঁকা মক্কী মদীনে ওয়ালে তুম পর লাখ ছালাম।।
হকনে তুমকো মাহবুব বানায়া রুৎবা তুম্নে পহেলে পায়া
নূরে নবী হুকার আরশে চমকায়া রাবেব কে হুছেন-না-রে
তুম পর লাখ ছালাম।।তুম পর লাখ ছালাম।।

মেরে মাওলা আহম্মদ কামলি ওয়ালে তুম পর লাখ ছালাম।।
শেরে খোদাকি লাখোকি নূরে নজরহো
মা ফাতেমা কি লাখতে জিগার হো
হাছান হোসাইন কি ফুল তুম হো
বাগে আলীকে লা-লে-তুম পর লাখ ছালাম।।

আয় মেরে পাক পাঞ্জাতন ওয়ালে তুম সব পর লাখ ছালাম।।
তুম সব পর লাখ ছালাম, তুম সব পর লাখ ছালাম …..............

আপনি যতার্থই বলেছেন
আত্মার গহনে যে শক্তি আমরা সে সত্য সন্ধানী

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল, লেখাটি প্রিয়তে গেল

১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এয় মেরে আঁকা তুমি কবুল করো।
তোমারই মোহাব্বাতে ড. আলী ভায়ানে যে দরুদ ও সালাম পেশ করেছেন তা কবুল করো।
এর উসিলায় এই নাদানকে কবুল করো।

হে গহনানুসন্ধানী আপনার প্রতি বিশেষ ভালবাসা জানবেন।
পাক পাঞ্জাতনের মোহাব্বতে দয়ার ঝর্ণা আপনার উপর বর্ষিত হোক।
আহলে বায়াত প্রেমি সকলের উপর বর্ষিত হোক।
আদম আ: থেকে আজ পর্যন্ত সকল বিশ্বাসী, মুসলমান, মুমিন, আবদাল, আওতাদ, অলি, আউলিয়া গাউস কুতুব সহ আঠার সিড়ির সকলের উপর, সকল পূন্যাত্মাদের উপর এবং খাস করে তাজেদারে মদিনা, আঁকায়ে রাসুল মোহাম্মদ সা: এর পাক কদমে কবুল করো।। সারা বিশ্বের সকল অলি গণের উপর এবং খাস করে আমাদের পিতা, মাতা দাদা দাদী নানা নানী সহ সকল বুজুর্গ যারা পর্দা করেছেন সকলের রুহের উপর এ নেয়ামতের বরকত পৌঁছে দাও।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।


১৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৮:৫৬

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ , মহান রাব্বুল আলামীন আপনার দোয়া কবুল করুন ।
ছুম্মা আমীন

১২ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
কবুল কর হে পরোয়ার।
বরকতে করো ভরপুর
তুমিতো মহান রহিম ও রাহমান
তোমারই দয়ার মোহতাজ বান্দা নাদ্ন।

১৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ ভোর ৪:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আজকের এই জগত সংসারের ঘন দুর্দিনে সকলেই
আশ্রয় নেই পরম করুনাময় আল্লার কাছে, স্মরি তা্ঁকে
আর ছালাম ও দুরুদ পাঠাই তাঁর প্রিয়দের তরে
তিনি যেন তার প্রিয়দের ওয়াস্তে কবুল করেন
তাঁর দরবারে হাত তোলা সকল বান্দারে ।

শুনেছি পাপ যায় নবী নাম গায়া তবে তাই হোক ভা্য়া-

কেয়াশানে আহম্মদকা চামনমে জহুর হ্যায়
হর গুলমে হর সাজমে মোহাম্মদ কা নূর হ্যায়
আলী যেইছা দরবার নেহী
মুহাম্মদ যেইছা সরকার নেহি
হাছেন হোসেন যিন্‌কা পেয়ার নেহি
হাজারো মোমেন লাখো লাখো বরছ
এবাদত কঁরে ঈমানে কামেল নেহি,
মিলাতো আলী য্যয়ছা মোর্শেদ মিল গিয়া
মোর্শেদ যব মিল গিয়াতো রাছুল মিল গিয়া
রাছুল যব মিল্‌ গিয়াতো খোদে খোদা মিল্‌ গিয়া
ছাল্লে আলাইকা ইয়া রাছুলিল্লাহ্
ওয়া ছাল্লেমো আলাইকা হাবিব আল্লাহ।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ৭:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ! বাহ! বাহ!
ক্যায়া কেহ দিয়া :)

যিনি মুর্শিদ তিনি রাসূল
তাহাতে নেই কোন ভুল
লালন বলেনা এ কথা
কোরআনেতে কয়!

লালন গুরুর বানীতেও একই সত্যরুপ খুঁজে পাই!
ইয়াজিদি, ওহাবী, নজদীদের ভীরে সত্য করে হায় হায়
ইয়া নাফসি চেতনায় নিজের মুক্তি আশায়
জাগতে হবে আপনাতেই অন্য কোন উপায় নাই।

নিজের হিসাব দিতে হবে নিজের
নিজের মুক্তি তাও কেবলই নিজের
হতে পারো যদি রাহবার
পাবে তবে অন্যের ভার

আজ মন উল্লসিত, উদ্ভাসিত অনন্য অলোয়
পাক পাঞ্জাতন প্রেমি প্রাপ্তির খুশির;
জ্ঞানের আলো যাক ছড়িয়ে পলে পলে
মুক্তির সামিয়ানা তলে আসুক সকলে দলে দলে।

১৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৫

জুন বলেছেন: ইমাম হোসেন নামটি পড়তে গেলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে ফোরাতের তীরে তার করুন মৃত্যুর কাহিনী। বড়ই মর্মান্তিক ভৃগু। সুন্দর লেখায় ভালোলাগা রইলো।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। একদম সত্যিটাই বলেছেন জুনাপু।

ফোরাতের পানিতে নেমে
ফাতেমা দুলাল কাঁদে
অঝোর নয়নে রে . . . .

১৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:১৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: অনবদ্য নিবেদন !!

১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া :)

পাক পাঞ্জাতনের ফয়েজ ও বরকত আপনার উপর বর্ষিত হোক।
শুভকামনা অন্তহীন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.