নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাথার উপর গনগনে সূর্যটা সেই উপুর হয়েছেতো হয়েছেই। বিরামহীন উত্তাপ ঢালছে। খোলা চোখে তাকানো যায়না চারপাশে এমন ঝাঝাল রোদ। একটি পরিত্যক্ত বাস ছাউনির নীচে দাড়িযে রাজু। ভাঙ্গাচোরা হলেও বেশ খানিকটা জায়গা ছায়া করে আছে। একটা কুকুর জিভ মেলে বসে আছে। রাজুর দিকে একবার ফিরে দেখল। আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা নেই দেখে সেই যে ফিরেছে একমনে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে লকলকে জিভ বের করে।
রাজু চারপাশে তাকায়। একটু বাতাসও নেই। গাছগুলো থির দিয়ে আছে। গলাটা খটখটে শুকিয়ে গেছে। একটু পানি পেলে ভাল হতো। সকালে সেই যে শুকনো আলুভাজা আর কাঁচা লংকা দিয়ে চটকে কোন রকমে চারটে ভাত পেটে চালান করে বেরিয়েছে, এই অব্দি আর খাওয়ার কোন নাম নেই।
হাতে কপালের ঘাম মোছে। শুকনো ঠোট জিভ দিয়ে চেটে ভেজাতে চায়। নোনতা স্বাদে মূখটা বেঁকে যায়। চামড়ার ছাল ওঠা ঘড়ি দেখে। ৩টার উপরে বাজে। এ অফিস সে অফিস ঘুরছে সকাল থেকে। যেখানে যত বিজ্ঞাপন পায় কেটে নেয় রাজু। ঢু মারে সব জায়গায়। লাভ হয়না। মনে হয় লাভ হবেও না। তবুও নিরন্তর চেষ্টা চলে।
পেটটা মুচরে ওঠে। ভাঙ্গা টুলটার ধূল ঝেড়ে বসে পড়ে রাজু। এইতো ক'টা দিন। অথচ জীবনটা কেমন আমুল বদলে গেল। একটু ক্ষিদে পেলে কি হইচই। তোলপার কান্ডে ছূটে আসতেন মা। সবাইকে বকে নিজেই বাড়িয়ে দিতেন এটা সেটা। কোনদিন খাবার দেরী হয়েছে তো দশবার তাগাদ দিতেন। তারপর নিজেই এনে দিতেন টেবিলে। এখন - - -!!!
হঠাৎ কষ্টগুলো দলা পাকিয়ে ওঠে। কেমন যেন খারাপ লাগতে থাকে। ছেলেবেলার মতো ভিজে আসতে চায় দুই চোখ। কি যেন এক নিরব অভিমানে, ক্ষোভে নিজের উপরই নিজে ক্ষেপে ওঠে রাজু। কষ্টগুলো নিরুপায় দ্রোহে জ্বলতে থাকে। ক্ষুধার কষ্ট ভুলে যায়। ভুলে যায় চারপাশ। এই ভুল। ভুলের কোলেইতো বাড়ে যতো নষ্টের মহীরুহ। বিস্তার করে সাম্রাজ্রবাদী ঢালপালা। মুছিয়ে দেয় বিবেক, বোধ, নীতি নৈতিকতা, ভালমন্দ, আপন পর - - -। রাজুর ভেতর রাজু চীৎকার করে ওঠে। বাইরে আসেনা সে শব্দ। কেবল মাঝে মাঝে ঠোঁট দুটো কেঁপে ওঠে।
মাকে খূব কাছে পেতে ইচ্ছে করে রাজুর। মার কোলে ঝাপিয়ে পড়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে ইচ্ছে করে। উত্তাপ ঠিকরে আসা পিচ গলা রাজপথ। সাঁই সাই ছুটে চলা গাড়ী। দমকা গরম হাওয়া কিছুই ছুঁতে পারেনা তাকে। ছেলেবেলার মতো মার কোলে শুয়ে বলতে ইচ্ছে করে- মাগো, বিশ্বাস করো। আমি চাইনি। জানিনা কিভাবে যে কি হয়ে গেল? আমাকে তুমি অন্তত বিশ্বাস করো, মা। রাজু ফুঁপিয়ে ওঠে আপন মনে। রাজু ভুলে যায় মা সবার মায়ার বাঁধন কাটিয়ে চলে গেছে আজ ১৯ দিন। মাকেও হয়তো এতো আগে যেতে হতোনা! বোধহয় রাজুর জন্যই যেতে হলো। মনে সমস্ত ক্ষোভ দলা পাকিয়ে ওঠে। হঠাৎ একটা পাথর তুলে প্রচন্ড আক্রোশে ছুড়ে মারে। অল্পের জন্য কাঁচ বেঁচে যাওয়া গাড়ীর আরোহী যেতে যেতে ভীত বিস্মিত চোখে দেখে রাজুকে।
আত্ম অপরাধ রোধে আচ্ছন্ন রাজু দু:খ, কষ্ট হতাশায় তলিয়ে যায়। মাগো, বাবা আদমের রক্তই কি আমাদের প্রবঞ্চিত করে। বারবার গন্ধম গন্ধে ভুলে যাই সব। মা হাওয়ার উত্তর রক্তই কি নির্বোধ অভিমানে সব ভাসিয়ে নেয়। জ্ঞান, প্রজ্ঞা, সংযম সব ধুয়ে মুছে এ কোথায় দাড় করিয়ে দেয় মানবকে? হয়তো পৃথিবীর কেউ মানবেনা মা, কিন্তু তুমিতো জানো, আমি জানি, আল্লাহ জানে - - তুমি কত ন্যায় বিচারক ছিলে!
নষ্টালজিয়ায় ডুবে যায় রাজু। ভুলে যায় ক্ষুধা, ক্লান্তি, তাপ, সময়। সেদিন বৃষ্টি ভেজা ছিল। পুরো তিনদিন গুমোট করা মেঘলা দিনের শেষে ঝরঝর ঝরেছিল বর্ষা। কেউ দেখেনি সেদিন আকাশের চেয়ে গভীর র্বষায় ভিজেছিল দুটি মন চারটে চোখ। রাজু আর তার মা। হযরত উমর কাঁদেন নি। ছেলেকে শাস্তি দিয়ে, রাজুর মা পারেন নি। মা'তো। প্রেমিকার সাথে মিথ্যা ব্যাভিচারের অপবাদের শাস্তি বাস্তবায়নে রাজুর মাকে দিয়েই বাস্তবায়ন করানো হয়েছিল হীন হিংস্র জিঘাংসা চরিতার্থে। আর প্রিয়তমার অদ্ভুত নিরবতায়, তার বিস্ময়কর নিরবতায় রাজু কষ্ট পেয়েছিল তারচেও বেশী। সেই শত বেতের আঘাতে বাহ্যিক ওজন হয়তো ছিলনা। কিন্তু কে বুঝবে প্রতিটি আঘাতে দু'জনেই গুড়িয়ে গিয়েছিল মাটিতে। কি অন্তর্জ্বালা! কি নির্মম যাতনার কষাঘাত! কি অসহনীয় কষ্টের শাস্তির সে সময়টুকু।
মা'র দুপায় জড়িয়ে অঝোর কেঁদেঝিল রাজু। মাতো অজ্ঞানই হয়ে গেছিলেন। শুধু বলেছিলেন আর কখনো গন্ধম নেশায় ডুবিসনে বাবা! যা! যেদিকে দু'চোখ যায় চলে যা! মাও কি বিশ্বাস করেছিল তবে? রাজু হতবাক!
তারপর! ছেলে শোকে না এমন ঘটনার আঘাতেই অল্প ক'দিনের মাথায়ই রাজুর মা রাজুর পিতার ডাকে চলে গেলেন। রাজু তখনো পথে পথে ভাসছে। ভাসতে ভাসতেই হঠাৎ শোনে সে খবর। তারপর ছুটে যায়! কিন্ত ততক্ষনে দেরী হয়ে গেছে। কবর হয়ে গেছে মার। তারপরও কবরের বুক থেকেই এক মুঠো মাটি নিয়ে বিরবির করে- ফিহা খালকনা কুম, ওয়া ফিহা নুয়িদুকুম, ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম, তারাতান উখরা.... ছিটিয়ে দেয় মাটির বুকে। অঝোরে কাঁদে আর কাঁদে। ফোটা ফোটা চোখের জলে ভিজে আসে কবরের মাটি।
তীব্র হর্ণে ধরফর করে জেগে ওঠে রাজু । সেই টুলেই প্রচন্ড গরমে তন্দ্রচ্ছন্নতায় ক্লান্তিতে শুয়ে পড়েছিল রাজু। হঠাৎ খেয়াল হল তার চোখ দুটো জলে ভেজা। স্বপ্নর মতো ঘটা ঘটনাগুলো স্বপ্নে দেখে আবারো কেঁদেছে রাজু। উঠে বসে। চোখ মোছে শার্টের হাতা উল্টিয়ে।
এতক্ষনে ক্ষিধেটা আবার মোচর দিয়ে ওঠে। পকেট হাতড়ায় রাজু। গুড়ো পয়সা মিলিয়ে মোটে তেইশ টাকা। আরো চারদিন পর এক সম্পাদক লেখক সম্মনীর চারশ টাকা আনতে যেতে বলেছেন। এই চারদিন এ দিয়েই চলতে হবে। টাকা পয়সা আবার চালান করে দেয় পকেট। খানিকটা দূরে একটা সরকারী টেপ থেকে ফোটা ফোটা পানি পড়ছে। চারপাশে জমে থাকা পানিতে কয়েকটা পাখি ঠোট ভেজাচ্ছে। কেউ নেই চারপাশে। কেবল শুন্যতায় ঝাঁঝাল রোদ এক একাই খেলছে বাঁধানো চাতালে।
এগিয়ে যায় রাজু। পাখি গুলো ডানা ঝাপটে সরে যায়। রাজু ধীরে ধীরে টেপ ছাড়ে । প্রথম হাত ছোয়াতেই ছিটকে আসে হাত। রোদে যেন ফুটছে পানি। অনেকক্ষন ছেড়ে বসে থাকে। পারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঝড়ছে পানি। পাখি গুলো আবার লাফিয়ে লাফিয়ে একটু একটু করে কাছে আসে। কলে হাত দিয়ে রাজু পেট পুরে পানি খায়। তৃপ্তির একটা ঢেকুর তুলে বা হাতের হাতা উলটে মুখ মুছে আবার পথে নামে।
প্রতি পদক্ষেপে রাজুর মোহ শুকনো পাতার মতো গুড়ো গুড়ো হয়ে যায়। কোন মোহ নেই। কোন পিছুটান নেই। এখন রাজু এক। বন্ধনহীন । বেঁচে থাকার চেষ্টায় ছুটে চলে । হাতের ফাইল দিয়ে রোদকে আড়াল করে রাজু হাটতে থাকে গন্তব্যহীন গন্তব্যে।
( গল্পটা ইন্টার প্রথম বর্ষের দিকে লেখা। কাল পুরানো ফাইল ঘাটতে গিয়ে হঠাৎ নজরে এলো।
আপনাদের মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাদের করকমলে )
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমার প্রথম গল্প (সামুতে) প্রথম মন্তব্যে একটু বিশেষ ধণ্যবাদ
অনেক অনেক শুভেচ্ছা
২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪
ঋতো আহমেদ বলেছেন: পড়েছি। তখনই এতো পাকা হাত !! গল্প ভালো লিখেছিলেন ব্রো।
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নিজেই পড়তে পড়তে অবাক হয়ে ছিলাম। মজা লাগলো ! অনেকগুলো গল্প একষাথে লিখে ফাইরে রাখা!
ভাবলাম আপনাদের মূল্যবান মতামতে যদি পাশ করে যাই তবে শূধূ কবিতা নয় চলবে গল্পের আঁকাআঁকি
সত্যি বলছেন!
সাহসী হলাম।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একজন অসহায় মানুষের বেদনা কি চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন!
আরো গল্প লিখুন।
খুব....খুবই ভালো লাগলো।
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
অনেক অনেক অনুপ্রানীত হলাম ভায়া!
অনেক অনেক শুভেচ্ছা
৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৩
হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: চমৎকার লেখা!
নিরন্তর শুভকামনা!!
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধীরে ধীরে সত্যি মনে সাহস ফিরে পাচ্ছি! আপনাদের আন্তরিক মূল্যায়নে !
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল অফুরান।
৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:০৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে, কিছুটা ছেড়ে ছেড়ে পড়েছি, মায়ের অভাব পৃথিবীর বুকে অন্যকোন ভাবে শেষ হবার নয়।
সুন্দর লিখেছেন, রাজুর জন্য শুভকামনা রইল
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ছেড়ে ছেড়ে পড়লে অনেক কিছূ মিস করেছেন
অনেক ধন্যবাদ পাঠে এবং মন্তব্য।
শুভেচ্ছা রইল
৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১৭
রাকু হাসান বলেছেন: ভাইয়া ইন্টারের প্রথম দিকে হলেও মোটেওে খারাপ লেখা না । যথেষ্ট ভাল মনে হয়েছে ।
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কাল লালচে হয়ে যাওয়া কাগজের ভীরে যখন খুঁজে পেলাম আমারো তাই মনে হয়েছিল।
তাই সাহস করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
অনুপ্রানীত বোধ করছি।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা
৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনার গল্প লেখার হাত তো দারুণ ভৃগু ভাই! আপনি লিখেন না কেন?
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধণ্যবাদ ভায়া
হুম। ভাবছি কবিতার পাশাপাশি গল্পটাও চলুক।
ভাগ্যিস কাল রাতে পুরানো ফাইল ঘেটেছিলাম
আপনাদের শুভকামনা লয়ে তবে শুরু হোক পথ চলা
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা
৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৯
মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার লেখার হাত আপনার।
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া মামুন ইসলাম
প্রীত হলাম। সাহসী হলাম।
শুভেচ্ছা রইল
৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫২
কাইকর বলেছেন: বাহ ......সুন্দর লেখা
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধণ্যবাদ কাইকর
কৃতজ্ঞতা আর শুভেচ্ছা অন্তহীন।
১০| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১১
নতুন নকিব বলেছেন:
Excellent! +++
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
অনেক দিন পর ভায়া।
আগে জাতীয় দৈনিকে টুকটাক প্রকাশিত হতো। কিন্তু একসময় পুরাই হাইবারনেশনে চলে যাই!
পরে সামুতে এসে আবার ধীরে ধীরে লেখা কুড়ি মেলল!
গল্পকে একদম সাইড লাইনে বসিয়ে রেখেছিলাম!
কালকের পুরানো লেখাটা যেন ষ্ট্রাইকারের জার্সি কেড়েই নেবে মনে হচ্ছে
শুভেচ্ছা জানবেন।
১১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯
কল্পদ্রুম বলেছেন: ভালো লিখেছিলেন।
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া
অফুরান শুভেচ্ছা রইল
১২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩
সিগন্যাস বলেছেন: দীর্ঘদিন পরে আপনার গল্প পড়লাম । এক কথায় অসাধারণ । তবে রাজুকে কিছুটা নির্বোধ মনে হলো
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। দীর্ঘদিন ঠিক নয় - এই প্রথম গল্প দিলাম।
একদম শুরু সমসাময়িক বিষয়েই বেশী সময় কাটাতাম।
পরে মতপ্রকাশের ফারাক্কায় তা কনভার্ঠ করল কাব্য চর্চায়
কালকে পুরানো গল্প মনে হয় আবার ঝড় উঠাবে নতুন আঙ্গিকে।
যদি আপনাদের ভালবাসা আর ভাললাগা সাথে থাকে।
শুভেচ্ছা অন্তহীন
১৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল সুন্দর গল্প।
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর
খুব সরল কথায় দারুন অনুপ্রানীত করলেন।
শুভেচ্ছা অন্তহীন
১৪| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ইন্টার ফার্স্ট ইয়ারে এমন লেখনী? হ্যাটস অফ...
১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৫০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কৃতজ্ঞতার সাথে লজ্জ্বাও পেলাম ভায়া
আন্তরিক মন্তব্যে মুগ্ধ হলাম। সাহস পেলাম।
তখনকার ৫-৭ টা গল্প কালই খুঁজে পেলাম পুরোনো ফাইল ঘাটতে গিয়ে।
পড়ে মনে হল আপনাদের সাথে শেয়ার করি। টাইপ করতে সবচে বেশী কষ্ট হলেও
এখন মনে হচ্ছে কষ্ট সার্থক।
অনেক অণেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা
১৫| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:০৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,
আপনার গল্প সম্ভবত আর পড়িনি ।
পরে, মন্তব্যে দেখলুম আসলে এটাই নাকি আপনার প্রথম গল্প এই ব্লগে এবং তাও কচি বয়সের লেখা । বয়স সে সময়ে কচি হলেও ভাবনায় কিন্তু যথেষ্ঠ পরিপক্কতা ছিলো , এটা পরিষ্কার। একটি বাস্তব তুলে ধরেছেন যেখানে সন্তানের কৃতকর্মের ফল মাতা-পিতাকেই এক সময়ে বইতে হয় । ফতোয়ার এমন বাস্তবতা ঢের ঢের এই সমাজে এখনও আছে । এমনটা যে একজন ১৭/১৮ বছরের ছেলেকে নাড়া দিয়ে গেছে তাতে ঐ বাস্তবতারই ভয়াবহতার দিকটাই উঠে এসেছে ।
তবে এইখানটাতে একটু নজর দেয়া প্রয়োজন , এক জায়গায় বলেছেন - " রাজু ভুলে যায় মাকে নিজেই কবরে রেখে এসেছে আজ ১৯ দিন " । আবার শেষের দিকে বলেছেন - " ..ততক্ষনে দেরী হয়ে গেছে । কবর হয়ে গেছে মার ।"
মতামত জানতে চেয়েছেন । এর পরেও কি তার আর প্রয়োজন আছে ?
শুভেচ্ছান্তে ।
১৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:২০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আহমেদ জিএস!
প্রথম ক্রিটিকে স্বাগতম।
প্রথমে উল্লেখিত ১৯ দিন রাজুর বাস্তবতায় মার মৃত্যুর পরের উনিশ দিন।
আর পরের ততক্ষনে দেরী হয়ে গেছে অংশটা- নষ্টালজিয়ায় ডুবে স্বপ্ন ঘোরে তার সাম্প্রতিক অতীতের স্মৃতিচরনা
যা গল্পের কথকতায় গাথা। বারবার নিকট কষ্টঅতীতে স্বপ্নেই কেঁদে ওঠা, জেগে দেখা চোখ ভেজা!
তীব্র হর্ণে ধরফর করে জেগে ওঠা দিয়ে যা স্মৃতির সময়ে তন্দ্রাচ্ছনতার অনুভব, হিসেবে গল্পে মেনশন করা আছে।
অনেক অনেক শুভকামনা।
১৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩২
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি ও বন্ধনহীন।
১৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
সত্যি বন্ধনহীন হওয়া অনেক কঠিন। হতে পারলে সবচে মুক্ত মানুষ
পাঠে ও মন্তব্যে ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা
১৭| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১০
নীলপরি বলেছেন: বরাবরই অসাধরণ দেখছি । ++++
শুভকামনা
১৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:২২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ নীলপরি
মন্তব্যে প্রীত হলাম। শুভেচ্ছা অন্তহীন।
১৮| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ২:১৩
সুমন কর বলেছেন: আপনার গল্প আগে পড়িনি। আগের লেখা কিন্তু যথেষ্ট পরিপক্কতার পরিচয়। এবার কবিতার পাশাপাশি গল্পও চলুক।
১৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৭:২৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধণ্যবাদ সুমন দা
হুম এটাই প্রথম সামুতে গল্পো পোষ্ট
আপনারা পাশে থাকলে, উৎসাহে, সমালোচনায় আর ভালবাসায়
নিশ্চয়ই চলবে দুটোই পাশাপাশি
কৃতজ্ঞতা আর শুভেচছা অন্তহীন
১৯| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সুন্দর গল্প।
আপনি গুণী মানুষ।
মাঝে মাঝে বিভিন্ন কারনে আপনার উপর রাগ হলেও আপনাকে কখনোই ওদের মত ভাবি না।
১৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ হা.কা ভায়া
আমিও হয়তো অনেক সময় উনিশ বিশ বলে ফেলি -আপনি কিছু মনে করেন না অনুভব করি আপনার সহজাত উপস্থিতিতে।
এই ভিন্নতাই তো সমাজের বিশ্বের সৌন্দর্য! এক্স্ট্রীমিজমে শান্তি কই?
সহনশিলতায়, ধৈর্য্য, ঔদার্যে, ক্ষমায়, ভালবাসায়ইতো জীবন।
অনেক অনেক শুভকামনা
২০| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩০
রোকসানা লেইস বলেছেন: গল্প লেখা চলুক। এখনকার কথোপকতন গল্পের ভীড়ে একটু বর্ণনা রোদের তাপ বর্ষার জলের সাথে গল্পের কাহিনীর উঠানামা পড়তে বেশ লাগল।
১৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধণ্যবাদ রোকসানা লেইস
গল্পের গভীর পাঠে কৃতজ্ঞতা।
আপনাদের পাশে পেলে আশা করি এগিয়ে যেতে পারব- অনেক দূর না হোক কিছূদূর তো বটেই
অন্তহীন শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল
২১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর
খুব সরল কথায় দারুন অনুপ্রানীত করলেন।
শুভেচ্ছা অন্তহীন
ভালোবাসা নিরন্তর।
১৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৩৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা অফূরান
২২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:০৮
তারেক ফাহিম বলেছেন: রাজুর মত এমন অনেক শিক্ষিত বেকার আছে।
যারা সর্বদায় সার্টিফিকেটের বোঝাই বয়।
রাজুর জন্য একটাই কথা অঞ্জন দত্তের মতে।
সুদিন আসবে বলে আমি স্বপ্ন দেখে যাই, আর একটা করে দিন চলে যায়।
ভৃণ্ড ভাইয়া গদ্য লেখা দেখে ভালো লাগলো।
আপনার জন্য শুভকামনা।
১৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ তারেক ফাহিম
হুম। ভাল বলেছেন। অহ্জন দত্তের জীবন মূখিতা সত্যিই ভাললাগে।
গদ্যে আপনাদের ভালবাসা পেয়ে কৃতজ্ঞ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল
২৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১১
সাহসী সন্তান বলেছেন: গল্প দিয়া তো মোহ ধরাই দিলেন। আগামীতে এরকম দু'একটা গল্প মাঝেমাঝে না দিলে কিন্তু ঈদের পর হরতাল অবরোধের ডাক আসতে পারে। খুব খেয়াল কইরা। তবে কোন ঈদ সেটা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে...
আর শিকারী বেড়াল যে গোঁফ দেখলে চেনা যায় এই খাঁটি বাংলা প্রবাদটা আপনি আবারও প্রমাণ কইরা ছাড়লেন। সত্যিই গল্প অসাধারণ হইছে! আপনি আসলেই গুণী মানুষ!
গল্পে ভাল লাগা! শুভ কামনা ভৃগু ভাই!
অফটপিকঃ হাসান কালবৈশাখী'র মন্তব্যে লাইক! তবে আমার কৌতুহল হচ্ছে, উনি ওদের মত বলতে ঠিক কাদের মত বুঝিয়েছেন জাতি জানতে চায়!
১৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যি! আহা, শিহরিত হলুম ভায়া মন্তব্যে
এমন আন্তরিকতা পেলে হরতাল অবরোধের কোন সুযোগই দেওয়া হবে না!
স্বৈরাচারিতায় নয়, সৃষ্টিশীলতায়
এত্ত এত্ত প্রশংসায় সত্যিই লজ্জ্বা লাগছে! আর অই মেয়া ভাই- আফনে আমার গোফ দেখলেন কবে
বেড়াল যে শিকারী বুইঝা ফেললেন হা হা হা
আপনাদের সকলের অনুপ্রেরণায় সাহস বাড়ছেই ক্রমশ। সাথে সাথে দায়ও - - -
হা.কা ভাই ভাল জানেন। জাতির তৃষ্ণা নিবারণে সক্ষম একমাত্র হা.কা ভায়া
বিদ্র.: হাসান মাহবুবু যেমন হামা ভাই, হাসান কালবৈশাখী তেমনি হাকা ভাই!
দুষ্টুরা অন্যার্থে নেবেন না
২৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:০৬
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
এই লেখাই আপনার দুয়ার খুলেছে। আপনি তখনি খুব ভাল লেখতেন। এখন আর কি বলিব, সবাই জানে...
১৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
হুম। ভাল বলেছেন। ভাবছি ঐ সময়ের ডায়রীর লেখা গুলোকে গতি করিতে হইবে
আপনাদের অপরিসীম ভালবাসা লয়েই আছি ভায়া
অনেক অণেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা আর শুভকমানা অফুরান।
২৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬
চঞ্চল হরিণী বলেছেন: বয়সের তুলনায় যথেষ্টই ম্যাচিউর লেখা ভৃগু ভাই। তবে একটা ‘কিন্তু’ আছে। কিন্তুটা হল, আমাদের দেশে শরিয়া আইন বাস্তবায়নে দোররা মারা হয় বা বেত্রাঘাত করা হয় গ্রাম্য সালিসে । ব্যাভিচারের দোষে যদি অভিযুক্ত হয় তবে সেই শাস্তি কোনভাবেই শুধুমাত্র ছেলে পায় না। সমান বেত্রাঘাত মেয়েও পায়। বরং এমন দেখা গেছে, মেয়ের শাস্তি বেত্রাঘাত আর ছেলের শাস্তি জরিমানা এবং মেয়েকে বিয়ে করা। এমনকি মেয়েকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গেছে বা জবরদস্তি করা হয়েছে সেটা প্রমাণ হলেও ফতোয়ার শাস্তি থেকে মেয়ে রেহাই পায় না। সেক্ষেত্রে মেয়েটি ছেলের চেয়ে কম শাস্তি পেতে পারে কিন্তু কোনভাবেই একদম ছাড়া পাবে না। যদিও এমন নজির বাংলাদেশে কম। সমান শাস্তি এবং মেয়েকে বেশি বেত্রাঘাত করা এমন উদাহরণই অনেক বেশি। আর আপনার গল্পে দেখছি মেয়ের কোন শাস্তিই হয়নি। এমন নজির বাংলাদেশে একটিও নেই। কখনোই নেই । এমন ঘটলে পুরুষ শাসিত সমাজে শুধু ছেলের শাস্তি পাওয়ার মত অবাক বিষয়টি অনেক ফলাও করে মিডিয়ায় আসতো। আবার বেত্রাঘাত করা হলে প্রিয়তমার চুপ থাকার কোন কারণই নেই, আর নায়কেরও তখন অবাক হওয়ার কোন কারণ নেই। হ্যাঁ, প্রভাবশালী বাবা-মায়ের ভয়ে যদি প্রিয়তমা চুপ থাকে সেক্ষেত্রে বিচারটা ফতোয়া সালিসি হওয়ার কথা না, চেয়ারম্যান আঙ্গিনায় নায়ককে মেরেধরে হুমকি অথবা গ্রামছাড়া করার কথা। সেক্ষেত্রেও নায়ক প্রিয়তমাকে ভুল বুঝতে পারে না। কিন্তু এই গল্প তো শত বেত্রাঘাত করা ফতোয়ার শাস্তি। সেইদিক থেকে অথেনটিকতা হারিয়েছে গল্পটি।
তবে যাইহোক, রাজুর মনের গাম্ভীর্যপূর্ণ বর্ণনা এবং চারপাশের দৃশ্য বর্ণনায় কারুকার্যের ছোঁয়া আছে।যা একটি ভালো গল্পের বৈশিষ্ট্য । আর আহমেদ জী এস ভাই বলতে চেয়েছেন, আপনি তো মা-কে নিজ হাতে কবরে শোয়াননি, যেতে যেতে মায়ের কবর হয়ে গিয়েছিল, শুধু এক মুষ্ঠি মাটি তুলেছেন কবরের উপর থেকে। সেক্ষেত্রে মাত্র ১৯ দিন আগে নিজ হাতে মাকে কবরে শুইয়ে এসেছে- এই বাক্যটার একটু সম্পাদনা করলে ঠিক হয়ে যায়।
আপনার এই গল্পে যে বাক্যটা আমাকে ভীষণ ছুঁয়ে গেছে সেটি হল, ‘কেউ দেখেনি সেদিন আকাশের চেয়ে গভীর বর্ষায় ভিজেছিল দুটি চোখ চারটে মন’। আকাশের চেয়ে গভীর বর্ষায় ভিজেছিল- বারবার মোহগ্রস্ত হচ্ছি লাইনটির প্রতি। আবেগাক্রান্ত হচ্ছি । এর আগের বাক্যটি, ‘পুরো তিনদিন গুমোট করা মেঘলা দিনের শেষে ঝরঝর ঝরেছিল বর্ষা’- এটিও খুবই দক্ষ বাক্য।
আপনার ওই বয়সে আপনি গল্প লিখেছেন আর আমার ওই বয়সে আমি কবিতা লিখেছি । এখন আপনাকে দেখে আমারও ওগুলো থেকে কিছু পোস্ট করতে ইচ্ছে করছে।
১৫ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার অসাধারন বিশ্লেষনী মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা।
হুম। আপনি যা বলেছেন হয়তো তাই ঘটে। সমাজে তেমনটাই হয়। ব্যতিক্রম যে নেই তাতো নয়।
এ ঘটনায় তেমনি ঘটেছে আর শালিসটা ছিল অনেকটা পারিবারিক। বৃহৎ পরিবারে যেমনটা হয়- বাইরের মানুষের
চেয়ে তারা নিজেরাই নিজেদের সালিশ করে থাকে। তেমনি আরকি।
হুম। আহমেদ জিএস ভাইয়ের মন্তেব্যর যে সারাংশটুকু বুঝতে পারিনি-তা খুব সহজেই ধরে দেয়ায় আবারো কৃতজ্ঞতা।
সংশোধন করছি।
ভাল গল্পের কাতারে রেখেছন জেনে অনুপ্রানীত হলাম। আর ভাললাগার লাইনগুলো উল্লেখে পুলকিত বোধ করছি।
আর আপনার মাধ্যমে আহমেদ জিএস ভাইর প্রতি আবারো ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনার দারুন সব লিখনির অপেক্ষায়।
২৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫২
:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো লাগলো।
আপনি গল্পে ১০০ তে ৯৫ পাইছেন তার মানে লেটার মার্ক।
এবার জটপট আরম্ভ করে দিন ভাই।
১৬ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উরিব্বাস!
অনেক অণেক ভাললাগা @ হাসুমামা
শুভেচ্ছা আর শুভকমানা অফুরান
২৭| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৫
এ.এস বাশার বলেছেন: লেখায় মাদকতা আছে। অনুপ্রাণতি হলাম ভাই।
১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এ এস বাশার ভায়া
শুভেচ্ছা অন্তহীণ
২৮| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩০
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: লেখার ন্যারেটিভটা দারুন ছিলো।চুম্বকের মতো।
আপনি কি কোনো বই টই প্রকাশ করেছেন?
১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আরেহ উদা ভাই যে!!! কি সৌভাগ্য!!!
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভায়া!
নাহ বই বেরুয়নি এখনো!
অনুপ্রানীত হলাম অনেক অনেক
শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল অন্তহীন।
২৯| ২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: রাজুর বেদনা পাঠককেও স্পর্শ করে যায়!
"এই ভুল। ভুলের কোলেই তো বাড়ে যত নষ্টের মহীরুহ"। - চমৎকার বলেছেন কথাটা।
তরুণ বয়সের লেখা গল্প, কিন্তু বক্তব্যে পরিপক্কতার ছাপ সুস্পষ্ট। গল্পে ভাল লাগা + +।
২৬ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অপেক্ষার প্রহর শেষ হলো তবে
হা হা হা
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
পিতৃহীনতায় কৈশোর-তারুন্য কাটলে বোধকরি পরিপক্কতা একটু আগেই এসে যায়!
ভাল লাগা আর প্লাসে অনুপ্রানীত হলাম্
অন্তহীন শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল
৩০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৩৮
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: সখা!
এটা আপনি লিখেছেন? আমি যে কি ভীষন অবাক হয়েছি! পোস্টের প্রথম কলাইন পড়েও ভাবছি জলদিই প্যারাগ্রাফ শেষ হয়ে কোন কবিতা শুরু হবে! আসলে আপনাকে তো কবিতা লিখতেই দেখেছি সবসময়। আপনি যে গল্পও এত ভালো লেখেন জানা ছিলনা। পরে যখন জানলাম এটা বেশ আগের লেখা, আরো বেশি অবাক হলাম।
আমি হাইস্কুলে থাকতে পড়াশোনার জন্যে গল্প লিখতাম। খুব চেষ্টা থাকত ছোট ছোট ডিটেইল গল্পে অন্তর্ভূক্ত করার। নিখুঁত সেটিং, বাস্তবিক ক্যারেক্টার গঠনে মনোযোগ দিতে বলতেন শিক্ষকেরা। সেজন্যে চারিপাশের খুঁটিনাটি বিষয়গুলোকে টেনে আনার চেষ্টা করতাম। আপনার লেখাতেও সেই চেষ্টাটা চোখে পড়ল, আর পুরোন দিনের কথা মনে পড়ে গেল। জিভ বের করা কুকুর, কাঁচা লংকা, ভাঙ্গা টুল, গুড়ো পয়সা, ট্যাপের পানির কাছের পাখিগুলো! কত সব সূক্ষ্ম ব্যাপার! প্রথম প্রথম গল্প লেখা যে কি আনন্দের! একেকটি প্যারা লেখা, পেছনে গিয়ে আবারো পড়া এবং নতুনকিছু এড করা! খুবই আনন্দের ব্যাপার! নেশা ধরানো! ব্লগ লিখতে গিয়েও এই আনন্দটা অনুভব করি!
আমি যখন কম্পিউটার থেকে হুট করে পুরনো কোন লেখা হাতে পাই, দুধরণের কথা মনে হয়, ১) ছিইই কিসব স্টুপিড আজেবাজে লেখা লিখেছি! ২) ওমা! তখন এসব ডিটেইলস লিখেছিলাম! ভালো খারাপ দুটোই মনে হয়!
পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল একটা বয়সে এবং এখনো আমার সখা একান্তে একাকীত্বে, হতাশায় বহুবার কেঁদেছে! জীবনের সবচেয়ে অমূল্য ধন হয়ত কষ্টগুলোই সখা! আপনার যা কিছু ভালো, যা কিছু দর্শন, মহত্ত্ব কষ্টে পুড়েই এসেছে নিশ্চই!
সে যাই হোক, আপনার গল্প লেখার হাত আছে, সেই বয়সেই এমন লেখা! আরো যেসব পেয়েছেন ফাইল থেকে সেগুলো বের করুন মশাই। পড়তে চাই। আর নতুন নতুন গল্প চাই আপনার কাছ থেকে। না শুনব নাআআআ! আর হ্যাঁ বলে ভুলে গেলেও চলবে না। লেখালেখির এদিকটা আরো এক্সপ্লোর করতেই হবে আপনাকে। আরেহ সখি বলেছে! না মেনে যাবেন কোথায়? হাহা।
আর হ্যাঁ! নিচের প্রতিমন্তব্যটি অসাধারণ লাগল!
এই ভিন্নতাই তো সমাজের বিশ্বের সৌন্দর্য! এক্স্ট্রীমিজমে শান্তি কই?
সহনশিলতায়, ধৈর্য্য, ঔদার্যে, ক্ষমায়, ভালবাসায়ইতো জীবন।
ভীষন ভীষন ভালো থাকুন!
০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কি বলব? কিভাবে বলব?
সত্যি বারকয়েক পড়লাম মন্তব্যটা!
একটা রিনরিনে সূখ- উৎসাহের, অনুপ্রেরণার, সৃস্টিশিলতার বহু বহু দিন পর বয়ে গেল!
পুরানো লেখা দেখে মনের এক্সপ্রেষন শতভাগ সঠিক!
আমিও গল্পটা হাতে নিয়ে বেশ দ্বিধায় ছিলাম। তখন কাঁচা আবেগ! সামুতে দেব? কি দেব না?
যাক সখীর উচ্ছসিত প্রশংসা আর উৎসাহে সকল দ্বিধা ঝড়ে গেল রাজুর অনুভবে শুকনো পাতার মতো গুড়ো গুড়ো হয়ে!
আগুনে পড়ুেইতো সোনা খাঁটি হয়। কষ্টে পড়ুে হয় হৃদয় খাঁটি! অনুভবে কৃতজ্ঞতা।
আরেহ সখি বলেছে! না মেনে যাবেন কোথায়? হাহা।
সেতো বটেই ! মানতেই হবে!
খুঁটিনাটি বিশ্লেষনী মন্তব্যে টুপি খোলা অভিবাদন সখি
কৃতজ্ঞতা আবারো!
আর জনমজনমের শুভকামনাতো নিত্যতায়
নি:শ্বাসে বিশ্বাসে, দেহাতীত সত্যতায়
আত্মায় কইবে অনি:মেষ
এই শুভকামনার নেই কোন শেষ
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৩
রক বেনন বলেছেন: সুন্দর হয়েছে ভাই। ভালো লাগলো।