নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(আত্মানুসন্ধানী কাব্য সিরিজ)
আরোহ (১)
আত্মায় স্বত্ত্বায় লড়াই মুক্তির।
এগার দুয়ারী ছয় ভুবনে অখন্ড লড়াই
শেষ হলে- অবসন্নতার শেষ প্রান্তে-
দয়ায় মেলে পরমের অনুমতি: আত্মদর্শনের!
জীবাত্মা-জীবদেহে পরমের নামে অভূত চুক্তি-
সাধনায় লড়াই, বন্ধুতায়, পরষ্পরের;
শুভক্ষনে পরমের খোঁজে বেরিয়ে আসে বিজয়ী আত্মা -
উজ্জ্বল সবুজে সাদায় কম্পমান থরথর!
পতনের পূর্বে পূর্ন এক ফোটা জলকণা!
বিশ্বাস বাক্যের সুতোয় বেঁধে
অসীমের শুভ যাত্রার শুভারম্ভ
থিরদেহ পরে রয়- নিশ্চল, মৃতবৎ অপেক্ষায়।
ত্রি-মাত্রার বাঁধা পালকের মতো উবে যায়
গতি, সময়, স্থান যেন ইচ্ছে দাস।
শুন্যতার সীমা শেষ হয় দৃশ্যমানতায়
প্রথম আকাশে খুলেযায় দুয়ার স্বাগত: হে অতিথি ।
চোখ মুদে আসে সহসা সুতীব্র উজ্জ্বলতায়
ন-পীড়ক উজ্জ্বলালোকে চোখ পিটপিট।
যেন চৈত্রের খরদুপুরে রোদের পানে চাওয়ার চেষ্টা!
ক্ষনিক মাত্র। সয়ে এলে চেতনা মুগ্ধতায় অভিভুত।
অদৃশ্য দৃশ্যমান। জগৎসমূহের অধিপতির
অগণন জগতে কিঞ্চিতে অতিসামান্য দৃষ্টিবাঁধা সরে গেলে
কৃতজ্ঞতায় নত হয় শির শোকরান :
-ফাবি আইয়িআ লায়ি রাব্বিকু মা তুকাজ্জিবান।
নোট:
এগার দুয়ারী =মানব দেহের এগারটি/সাড়ে এগারটি গ্রহণ বর্জন পথ;
ছয় ভুবন = কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ, মায়া
ছবি ঋণ: গুগল
০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পাঠ করেছেন, তাতেই কৃতজ্ঞতা
আত্ম সন্ধানরে পথ যাত্রাকে কবিতায় বেঁধে রাখবার এক ছোট্ট প্রয়াস!
অনেক অনেক শুভকামনা রইল
২| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৪৬
সৈয়দ নূরুল ইসলাম বলেছেন: কবিতা ভাল হয়েছ। অসম্ভব ভাল লাগা রেখে গেলাম।
আপনার ব্লগেই আমার প্রথম মন্তব্য।
ভাল থাকুন নিরন্তর।
০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
প্রথম কমেন্ট হিসেবে একটা স্মরনীয় স্মারখ হয়ে রইল
অসম্ভব ভাললাগার কথা জেনে অনুপ্রানীত হলাম।
স্বাগতম ব্লগিংয়ে
অনেক অনেক শুভকামনা
৩| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:২৩
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার কবিতা, অনেক ভালো লাগল।
০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রমানিক দা'
শুভেচ্ছা শুভকামনা অন্তহীন
৪| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৬
শায়মা বলেছেন: কঠিন কঠিন হয়ে গেলো !
০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাই!
বলোকি!
আমাদের মানব দেহে জীবাত্মা রুপে বিরাজে। তারে সাধনায় মুক্ত করতে হয়। মুক্ত সেই আত্মা পরমাত্মার সন্ধানে ভ্রমণ উপযোগী হয়। তারই আরোহ পর্বের ১ম আরোহ ১ম আসমান পর্যন্ত ভ্রমন এই কবিতার উপজীব্য!
খূব সংক্ষেপে মূলাংশ গুলো টাচ করতে চেয়েছি।
এইবার একটু মেডিটেড হও। চোখ বন্ধ কর। আত্মাকে জাগ্রত কর। তারপর আবার পর
এইবার দেখৌ কত্ত সহজ হা হা হা
অনেক অনেক ধন্যবাদ শায়মাপু
শুভেচ্ছা অফুরান।
৫| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৩৫
কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: ুব ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যভাদ ও কৃতজ্ঞতা কবি হাফেজ আহমেদ
ভাল লেগেছে জেনে অনুপ্রানীত হলাম।
শুভেচ্ছা শুভকামনা আপনার জন্যেও
৬| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৪২
কানিজ রিনা বলেছেন: বিপুলও তরঙ্গরে সব গগনে উদ্বেগিয়া মহনকরি
একি আনন্দ তরঙ্গ। তাই দুলিছে দিনকর
চন্দ্র তারা চমকে কম্পিত চেতনা ধারা
আলোকে উজ্জলো জীবনে চঞ্চল একি
আনন্দ বিপুলও তরঙ্গরে। আকুল চঞ্চলও
নাচে সংশয়ও কুহুরী হৃদয়ও বিহঙ্গ।
আপনার কঠিন আধ্যাত্ববাদ ষড় ভূবন।
বেশ হয়েছে। ধন্যবাদ।
০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ!
দারুন মুগ্ধকরা কাব্যে আপনার মনের খূশিরই অনন্য প্রকাশ
অনেক অনেক ভাল লাগল।
আধাত্ববাদের সহজতাকে সবাই কেন যে কঠিন ভাবে!! এতো প্রকৃতির মৌলিক সুত্র সন্ধান!
বস্তুগত ভাবনায় মন মোহাবিষ্ট থাকে বলেই বুঝি আত্মার জ্ঞান কে বিস্ময়কর ঠেকে।
অনেক অনেক ধণ্যবাদ আর শুভকামনা
৭| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৫৩
সুমন কর বলেছেন: অর্থবহ। কিন্তু একটু কঠিনই হলো......
০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম!
ধন্যবাদ সুমনদা'। চেষ্টা করেছি যতটা সম্ভব সহজ সরল পরিচিত শব্দমালায় সাজাতে!
আধাত্ববাদের অনেক শব্দকে এডিট করে বাদ দিয়েছি সহজতার জন্য!
তারপরও কঠিন লাগলো বলে দু:খিত কবি !
সামনের সিরিজে আরও সহজতার চেষ্টা থাকবে। সহজবোধ্যতায় যেন তা নাচিয়ে তোলে মনকে
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা
৮| ০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
০৬ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ রাজীব নুর।
প্রকৃতির নিত্য সুত্র সন্ধান যাত্রায় সাথে থাকায় কৃতজ্ঞতা
শুভেচ্ছা জানবেন।
৯| ০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৭
আবু আফিয়া বলেছেন: ভাল লাগল, ধন্যবাদ
০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আবু সুফিয়া
শুভেচ্ছা
১০| ০৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৯
কানিজ রিনা বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,আসলে এটি রবীঠাকুরে গানের
কিছু কথা। আমি আধ্যাতীকতায় বিজ্ঞ নই
তবে নিজের অনুভবে বুঝি বিপুলও তরঙ্গে
ভাসতে পারলে ষড়ভূবন জয় করা খুব একটা
কঠিন বলে মনে হয়না। সেই তরঙ্গ আল্লাহ্
আত্বা প্রেম একই তরঙ্গে ঘুর্নয়ন তাইতো পরম।
তিনে মিলে এক হলে তরঙ্গে ভাসাটা সহজ।
শুধু এটুকুই বুঝি।
ঘূর্নয়মান পদ্ধতীতে মহাশূন্যে একটি জোতিস্ক
তৈরি হয় যেমন। ঠিক আল্লাহ্ আত্বা প্রেমে
তরঙ্গে মানুষ জোতিস্কর মতই উজ্জল হতে
পারে। নক্ষত্র গ্রহ কেউ নিজের ক্ষমতায়
আলোকীত কেউ অন্যের আলোয় আলোকীত।
আকাশ ভরা তারা বিশ্ব ভরা প্রান বিশ্ব্যয়ে
জাগে আমার প্রান। রবীন্দ্রনাথ,
দরবেশ সিরাজ সাঁই ডেকে বলেন লালনকে
কুতর্কের দোকান তুই খুলিশ নে আর,
মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার ভবে মানুষ গুরু
নিষ্ঠা যার।
নিরাকারে জোতির্ময় যে আকার সাকার
হইল সে।
চুরান্ত চালাক তুমি হে মোহাঃ প্রোপ্রান আছো
মিশিয়া পরমে পরমও জানিয়া। শ্রোদ্ধান্তে
শুভকামনা।
০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: গানটি রবী ঠাকুরের হওয়ায় তা আবেগের মাত্রা প্রকাশে বিন্দু মাত্র ভিন্নতা আনে নাই
আপনার আগ্রহ ভাল লাগে
চেষ্টা করলে নিশ্চয়ই সেই পরম সত্যলাভে সক্ষম হবেন
শুভকামনা রইল সবসময়
১১| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৩
পবন সরকার বলেছেন: ভালো লাগল।
০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:৩৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
অন্তহীন শুভেচ্ছা রইল
১২| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৪
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি সাধারণত আপনার এমন দর্শনভিত্তিক কবিতায় মন্তব্য করিনা। কেননা আমি সেভাবে বুঝতে পারিনা। কেউই তো সব ধরণের লেখার পাঠক হয়না, যাকে যা কাছে টানে তাই কেবল পড়ে। আমার দর্শন জ্ঞান কম সেই দোষ মাথা পেতে নিয়ে দূরেই থেকেছি।
কিন্তু আপনার বিভিন্ন পোষ্টে নানা পাঠকের একই হাল দেখে মনে হলো দোষ টা কি পাঠকের না লেখকের?
একজন লেখক বা কবির সার্থকতা এক বিশাল জনগোষ্ঠির সাথে সম্পর্ক গড়তে পারা। তাদের মনের একান্ত আপন কথাগুলোই সরল ভাবে বলে ফেলা। যা হয়ত তারা বোঝাতে চায়, কিন্তু গুছিয়ে লিখতে পারেনা। একজন লেখকেরই কেবল নিষ্প্রাণ অক্ষরে জীবন দান করার গুণ থাকে। লেখকের সে গুণ পাঠককে মানসিক প্রশান্তি দেয়। লেখার এই সরল ঢংকে আপন করে নেওয়া জটিল কিছু লেখার চেয়ে অনেক বেশি কঠিন। কেননা সেটা এমনভাবে সাজাতে হয় যাতে পাঠক কোন ব্যাখ্যা, অভিধান ছাড়াই সব বুঝে যায়। সখা, আপনাকে সেই কাঠিন্যের দিকে যাত্রা করতে হবে। নিজেকে লেখার ধরণটাকে ভাঙ্গা গড়ার খেলায় মাতুন। এক্সপেরিমেন্ট করুন। শুধু নিজেকে খোঁজার, প্রকাশের জন্যেই নয়, পাঠকের কথা ভেবে লিখুন। সেটা পাঠকের সাথে সাথে আপনাকেও ভীষন একটা পরিতৃপ্তি দেবে।
কাব্য নয় কবিকে নিয়েই মতামত দিলাম। আপনি ভীষন ট্যালেন্টেড একজন কবি, ব্লগে আমার আপন পরিচিত মানুষ, তাই এই কথাগুলো বলার প্রয়োজনীয়তা বোধ করলাম।
সখির সকল শুভকামনা রইল আপনার চলার পথে।
০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা সখি
আমি জানি বলেই কমেন্ট লিস্টে নাম দেখে চমকে গিয়েছিলাম। মতামত পড়ে অনুভব করলাম
হৃদ্যতা আন্তরিকতা আর শুভকামনার এক পশলা বৃষ্টি ছোঁয়া
শতভাগ সহমত।
কোন অজুহাত বা ব্যাখ্যা নয় ভাঙ্গা গড়ার খেলার পণ করলাম
সখির কথা গুলো মাথা পেতে নিনু
অন্তহীন শুভেচ্ছা আর শুভকামনা রইল
১৩| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৮
জাহিদ অনিক বলেছেন:
কঠিনেরেই বাসিলাম ভালো, তাই সাথে চলিলাম লয়ে জীবনের জঞ্জাল !
মৃত্যুর আগে মনে হয় নিজেকে খুজে পাব না আমি; আপনার কবিতার পরের সিরিজগুলো পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
জীবন তো আর ফিজিক্সের সূত্র না যে ফর্মুলা দিলাম আর সকল গতি থেমে যাবে কৃষ্ণবস্তুতে !
কবিতার ভাষা কিছুটা কঠিন বৈকি, হোক না সব কবিতা সবাই পড়বে কেন !
০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার আন্তরিক প্রকাশে ভাললাগা রইল।
কেন পাবেন না? খোঁজার মতো খুঁজলেই অবশ্যই পাবেন।
আপনা মাঝেই তো সকল প্রকাশ- খালি উঁকি দেবার দেরী টুকু
জীবন শুধু ফিজিক্স নয় ক্যামেষ্ট্রি, বায়োলজি সহ সকল সকল ফর্মুলার দারুন এক কম্বিনেশন
কাঠিন্যের দোষ মাথা পেতে নিয়ে সহজ সরল প্রকাশের দৃঢ় ইচ্ছা রইল
অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুভকামনা কবি
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৫
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আধ্যাত্মিকতা অতটা বুঝি না। তাই কবিতার ব্যাপারে ভালো বা মন্দ কোন মন্তব্য করতে পারলাম না।