নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বস্তুনিষ্ঠ, মানবতাবাদী, সত্য এবং ন্যায়পরায়নতার দৃষ্টি ভঙ্গিতে জর্জ মনবিয়ট, দ্য গার্ডিয়ানের কলাম লেখক তুলে ধরেছেন রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে, সূচির ভূমিকা, প্রত্যাশা এবং শূন্যতাগুলোকে।
যারা পড়েছেন তারাতো অবহিতই আছেন। যারা মিস করেছেন তাদের জন্য শেয়ার করা।
আমাদের বেশিরভাগ মানুষই রাজনৈতিক নেতাদের কাছ থেকে খুব বেশিকিছু আশা করে না। কিন্তু অং সান সু চির বেলায় আমরা আশা নিয়েই বিশ্বাস স্থাপন করেছিলাম। তার নামটি একসময় ছিল ভোগান্তির শিকার মানুষের মুখে ধৈর্য ও স্থিতিশীলতার ছাপ এবং স্বাধীনতার জন্য অনমনীয় সংগ্রামে সাহস ও দৃঢ় সংকল্পের প্রতিরূপ। তিনি ছিলেন আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে রোহিঙ্গা পরিভাষাটি ব্যবহার না করার আবেদনের মধ্য দিয়ে হামলার শিকার হচ্ছেন এমন মানুষের পরিচয় একেবারেই অস্বীকার করে বসেছেন তিনি। আমার বন্ধুরা নিজেদের কর্মজীবনকে উৎসর্গ করেছেন মিয়ানমারের সামরিক জান্তা কর্তৃক আরোপিত আটকাদেশ থেকে সু চির মুক্তি ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার ক্যাম্পেইনের জন্য। ১৯৯১ সালে শান্তিতে তার নোবেল জয়ের পর, ২০১০ সালে গৃহবন্দি অবস্থা থেকে চূড়ান্তভাবে মুক্তির পর এবং সর্বশেষ ২০১৫ সালে যখন তিনি ও তার দল সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল, আমরা আনন্দ-উৎসব করেছি।
এগুলোর কিছুই এখনও ভোলা যায় না। এমনকি ভোলা যায়নি ভোগান্তির শিকার হওয়া সু চির প্রতি অনেক নির্মমতা- যার মধ্যে রয়েছে তার নির্বাসন, শারীরিক হামলা এবং সামরিক জান্তা কর্তৃক তার পরিবারকে বিচ্ছিন্ন করার বিষয়গুলো। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তার কাছে যে উচ্চাশা ছিল তা বিশ্বাসঘাতকতায় রূপ নিয়েছে।
মিয়ানমারের মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে, যে কোনো মানদণ্ডেই তা গ্রহণযোগ্য নয়। সু চি একটা প্রতীকে পরিণত হয়েছিলেন, বর্তমানে তার ব্যবহার অদ্ভুত ঠেকছে। রোহিঙ্গাদের জাতিসংঘ নামকরণ করেছে ‘বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত সংখ্যালঘু’ হিসেবে, সু চি ক্ষমতায় আসার পরও এই বিশেষণের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
গণহত্যার শাস্তি ও গণহত্যা প্রতিরোধের সনদে পাঁচটি বিষয় উল্লেখ করা আছে, তার একটি এমন যে, যখন একটি জাতি, নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী অথবা জাতিগত বা ধর্মীয় কোনো গ্রুপকে পুরোপুরি বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার চেষ্টা নেয়া হয়, সেটাই গণহত্যা হিসেবে বিবেচিত হয়। স্পষ্টত প্রতীয়মান হচ্ছে রোহিঙ্গাদের প্রকাশ্যে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বড় ক্ষমতাশালী; কিন্তু সু চি তাদের ওপর কার্যকর কোনো নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারছেন না। আমি স্বীকার করি, তার কাজের সুযোগ সীমিত। কিন্তু যেহেতু বাস্তব ও আইনি কিছু পদক্ষেপ, যা তিনি এ গণহত্যা বন্ধে সরাসরি ব্যবহার করতে পারতেন, অথচ সম্ভব হচ্ছে না, তাই তার ক্ষমতার মধ্যেই থাকা একটি অস্ত্র অতি প্রাচুর্যের সঙ্গেই ব্যবহার করতে পারতেন আর তা হল কথা বলার ক্ষমতা। এই মোক্ষম অস্ত্রটি ব্যবহার না করে তিনি চুপ থাকছেন, স্বচ্ছ নথিভুক্ত প্রমাণকে অস্বীকার করছেন এবং বাধা দিচ্ছেন রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক সহায়তায়।
আমার সন্দেহ, ফেব্রুয়ারি মাসে জাতিসংঘ কর্তৃক প্রকাশিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে অমানবিক আচরণের রিপোর্টটি সু চি পড়েছেন কিনা। এতে যে অপরাধ প্রকাশ পেয়েছে, এককথায় তা রোমহর্ষক। রিপোর্টটিতে নারী ও মেয়েদের গণধর্ষণের বিষয় নথিভুক্ত হয়েছে, যে নারী-মেয়েদের অনেকে যৌন নিপীড়নের কারণে আহত হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত বরণ করতে বাধ্য হয়েছেন। এতে আরও দেখানো হয়েছে কী নৃশংসভাবে পরিবারের সদস্যদের সামনে শিশু ও বয়স্কদের গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
জাতিসংঘের রিপোর্টে শিক্ষক, বয়োবৃদ্ধ ও গোত্রীয় নেতাদের হত্যার সারসংক্ষেপ তুলে ধরা হয়। সেখানে হেলিকপ্টার থেকে বেপরোয়াভাবে অগ্নিবোমা নিক্ষেপ করে গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া এবং মানুষকে ঘরে বন্দি করে জীবন্ত পুড়িয়ে ফেলার বিষয়ও এসেছে। সর্বোপরি এক ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে সেনাসদস্যরা এমনভাবে প্রহার করেছে যে, তার সন্তান ওই সময়েই ভূমিষ্ঠ হয়ে মারা যায়। জাতিসংঘ প্রতিবেদনে মানুষকে ঘর থেকে বের করতে গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া, শস্যক্ষেত পুড়ে ফেলা, এমনকি পলায়নপর মানুষের নৌকায় গুলি করে হত্যার বিষয় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।
এটা তো মাত্র একটা রিপোর্ট। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গত বছর একই ধরনের নিপীড়নের একটি সংক্ষিপ্তসার প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, নৃশংস মানবতাবিরোধী অপরাধ করা হচ্ছে মিয়ানমার থেকে সংখ্যালঘু গোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্যই। এটা কল্পনা করাও কঠিন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ভয়ানক সন্ত্রাসের এ মাত্রা আরও তীব্র হয়েছে। বাংলাদেশে পৌঁছা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ব্যাপকহারে গণহত্যার খবর দিচ্ছেন। রোহিঙ্গাদের মাঝে অপুষ্টি বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। অন্তত ৮০ হাজার শিশু এর শিকার।
এগুলোর জবাবে অং সান সু চি এক সাক্ষাৎকারে এমন গণহত্যার জন্য কথিত বিদ্রোহীদের দায়ী করেছেন এবং তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন যে, সরকার যখন রোহিঙ্গাদের জন্য অনেক কিছু করছে, তখন কীভাবে তারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। তার এ বিস্ময় তিনিই সহজভাবে নিতে পারবেন, যিনি কখনও রাখাইন (আরাকান) রাজ্যের উত্তরাংশে ভ্রমণ করেননি।
এটা সত্য, কিছু রোহিঙ্গা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে এবং নিরাপত্তা বাহিনীর ১২ জন সদস্য প্রাণ হারানোর মধ্য দিয়ে গত মাসে সর্বশেষ গণহত্যা শুরু হয়েছে। আরসা নামক একটি গ্রুপের হামলা এ সহিংসতা উসকে দিয়েছে। তবে সেনাবাহিনী সুনির্দিষ্টভাবে জড়িত আরসার কাউকে বাদ দিয়ে গোটা জনসংখ্যার বিরুদ্ধে হামলা শুরু করেছে। এমনকি সহিংসতার প্রথম ১৫ দিনে অন্তত এক লাখ বিশ হাজার মানুষকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।
সু চি তার নোবেল বক্তব্যে বলেছিলেন, ‘যেখানেই ভোগান্তিকে এড়িয়ে যাওয়া হয়, সেখানেই সংঘর্ষের বীজ রোপিত হয়। ভোগান্তি মর্যাদার হানি করে, তিক্ততার জন্ম দেয় এবং রাগ-ক্ষোভ সৃষ্টি করে।’ যেসব রোহিঙ্গা ক্ষোভের বশে অস্ত্র হাতে নিয়েছে, তাদের রাগকে জনগোষ্ঠীটিকে নিশ্চিহ্নকরণে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
সু চি কেবল গণহত্যাকেই অস্বীকার করেননি, তিনি সামরিক বাহিনীকে নিন্দার হাত থেকে বাঁচাতে ঢাল হওয়ারও চেষ্টা করেছেন। এমনকি রোহিঙ্গাদের অস্তিত্ব অস্বীকার করতে তাদের রোহিঙ্গা না বলার জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন। এটা মূলত রোহিঙ্গাদের অস্তিত্ব অস্বীকার এবং তাদেরকে বাইরে থেকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করার সরকারের নীতিরই অংশ। সু চি তার ফেসবুকের ওয়ালে রোহিঙ্গা ধর্ষণের ঘটনাকে ‘ফেক রেপ’ বলেছেন। তিনি জাতিসংঘ মিশনকে সহায়তা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, এমনকি তার সরকার রোহিঙ্গাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছানো বন্ধ করে দিয়েছে।
সু চি এগুলো করছেন তার ভোট ঠিক রাখা, চীনকে খুশি রাখা এবং সামরিক বাহিনী যাতে তার ক্ষমতা কেড়ে না নেয়- এই সব কারণেই। একসময় তিনি বলেছেন, ‘ক্ষমতা দুর্নীতি করায় না; সেটি করায় ভয়। যারা ক্ষমতায় আছে তারা দুর্নীতি করে ক্ষমতা হারানোর ভয়ে।’ কিন্তু এখন ভয়ের কারণে অন্যদের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করছেন তিনি, যা একসময় নিজের জন্য দাবি করেছেন। তার প্রশাসন হয় কিছু বিষয় বাদ দিচ্ছে বা চুপ থাকতে চাচ্ছে- অথচ এই কর্মীরাই একসময় সু চির অধিকারের স্বীকৃতির জন্য সহায়তা করেছিলেন।
এ সপ্তাহে আমি নিজেকে খুঁজে পেয়েছি সু চির নোবেল শান্তি পুরস্কার বাতিলের একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করতে গিয়ে। আমি বিশ্বাস করি, নোবেল কমিটির উচিত নিজেদের দেয়া পুরস্কার ফিরিয়ে নেয়ার দায় কাঁধে নেয়া। যে মূলনীতির কারণে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়, পরবর্তীকালে তা ভঙ্গ করা হলে পুরস্কার ফিরিয়ে নেয়া উচিত। দয়া করে এ পিটিশনে স্বাক্ষর করুন। কারণ একজন নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী মানবতাবিরোধী অপরাধের দুষ্কর্মে এখন জড়িত।
সূত্র:view this link
ছবি: দা গার্ডিয়ান
অনুবাদ: শীর্ষিনউজ
লিংক : Sheersha news
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অনলাইন পিটিশন এখন সময়ের প্রয়োজন। এ বিষয়ে এক্সপার্ট গণ উদ্যোগ নিতে পারেন।
২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৬
কানিজ রিনা বলেছেন: করুনাধারার সাথে একমত। অসংখ্য ধন্যবাদ
মুল্যবান পোষ্টে।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা
৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৯
জাহিদ অনিক বলেছেন: সূচি এখন তার গদি টিকিয়ে রাখতে ব্যস্ত। নোবেল-টোবেল তার মাথা ব্যথা নেই।
সে এখন বৌদ্ধ এক্সট্রিমেস্টেদের মদদ দিতে ব্যস্ত। বার্মা মনে করে রোহিংগারা তাদের দেশের জনগণই না। তাদের নাগরিকত্ব নেই, ভোটাধিকার নেই । তারা মনে করে এরা বাংলাদেশের আদিবাসী অথচ শতশত বছর ধরে এরা বার্মাতেই বেড়ে উঠেছে
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। সূচির ভাবনা যাই হোক.. সুস্থ বিবেকবান বাকী বিশ্ব ভাবনার প্রতিফলন আছে লেখাটিতে।
ইতিহাসতো চাইলেই বদলানো যাবে না। তাই ঐতিহাসিক সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতেই নোবেল প্রত্যহারা একটা বিশাল চাপ, উদ্যোগ এবং একটা কার্যকর দৃষ্টিআকর্ষনী ভূমিকা রাখতে পারে।
৪| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩
প্রামানিক বলেছেন: রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান কি?
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রোহিঙ্গাদের তাদের মৌলিক মানবিক, রাষ্ট্রীয় নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়া।
৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:০৫
আবু তালেব শেখ বলেছেন: সুচি এখন ‘ক্ষমতার খায়েসে আবদ্ধ। আর কট্টর বৌদ্ধপন্হী।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তার কর্ম, বক্তব্য এবং আচরণ এখনো তাই প্রতিষ্ঠিত করেছে। অথচ একজন নোবেল লরিয়েট হিসেবে তার কাছে মৌলিক মানবিক যে প্র্যতাশা ছিল তা পদদলিত করছে। একজন সাধারন মানুষের বোধও হারিয়ে ফেলেছে বোধ করি।
৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২
চাঁদগাজী বলেছেন:
"মিয়ানমারের মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে, যে কোনো মানদণ্ডেই তা গ্রহণযোগ্য নয়। "
- মুসলমানদের নিয়ে পশ্চিমে যেই ভাবনার উদয় হয়েছে, তারপর "সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের" পরিচয় করানোর জন্য "মুসলিম" শব্দটির প্রয়োজন কেন হচ্ছে? শুধু "সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের" বললেই তো হয়! রোহিংগাদের নামের সামনে "মুসলিম" যোগ করায় তারা পশ্চিমের সাধারণ মানুষের কাছে ভয়ের ব্যাপার হচ্ছে কিনা ভেবে দেখার দরকার।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুসলিম শব্দটি ব্যবার ছাড়াই রোহিঙ্গাদের মৌলিক মানবিক, রাষ্ট্রীয় াগরিক অধিকারের লড়াই করা যায়। পাকিরা মুসলিম হবার পরও আমাদের মেরেছিল। সেখানে ধর্মের চেয়ে জাতি সত্বার লড়াই বড় ছিল।
রোহিঙ্গাদের লড়াই অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই । মানুষ হিসেবে অস্তিত্ব রক্ষার।
৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
সুচি'র সাথে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদের কোন বৈঠক হয়েছে কিনা জানা যায়নি।
০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মায়ানমারের রাস্ট্রদূতকে ৩ বার তলব করা হয়েছে।
বাহ্যত এটুকুই দৃশ্যমান।
দেখা যাক সামনে কি হয়।
৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৭
সুমন কর বলেছেন: চরম সত্য। আগে পড়িনি। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। +।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুমন দা।
পয়েন্ট এবং উপস্থাপনাটা খূব ভাল লাগল। তাই শেয়ার দেয়া।
আপনার মন্তব্যে শেয়ারিং সার্থক মনে হল।
ধন্যবাদ।
৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৮
সোহানী বলেছেন: আরে ভাই আম্রিকা সুচির পিছনে.. চীন দেয় তেল.......... ও তো ক্ষমতা টিকার চিন্তায়ই করবে!!! আম জনতার চিন্তা করার সময় কোথায়.... ক্ষমতায় গেলে সবাই এমনই করে............
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম।
দিন বদলের পথ খূঁজতে হবে। চোরের ভয়ে গেরস্থ সেধীয়ে গেলে চোরের তো বাড় বাড়বেই
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা
১০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৮
আবু তালেব শেখ বলেছেন: চাদগাজি ভাইয়ের কথাটা একেবারে ফেলে দেওয়ার মত না।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: একটা পয়েন্ট ঠিকাছে। বাবার বিশ্ব ব্যপী চরম সত্যকেও তো অস্বীখার করা যায় না। ইসলামোফোবিয়া ছড়ানো হচ্ছে, তাতে তাল দিচ্ছে কিছু কম জানা নামধারী, আবার দেখুন আজ পর্যন্ত কোন মিডিয়াই কিন্তু তাদের বুদ্দিষ্ট জংগী বলেনি!
কিন্তু মুসলমানদের স্বাধীনতার দাবীও জঙ্গী ট্যাগিং হয়েছে হয়। বসনিয়া, কাশ্মীর থেকে শুরু করে সার্বভৌম দেশ দখলেও তাদের অজুহাতের অভাব হয় না। কিন্তু -বিগত ৪০ বছরেও মিয়ানমার ভাগ্যবান বটে এই দিক দিয়ে... নয়!
১১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভালো দিক হলো গার্ডিয়ানের মতো পত্রিকায় রোহিঙ্গাদের পক্ষে কিছু একটা লেখা হয়েছে। ওদের নামের আগে মুসলিম বলা আর না বলায় কোনো তফাত নেই এখন, কারণ, সারা বিশ্ব এখন জানে যে রোহিঙ্গারা মুসলিম।
ভারত আর চীন সু কি'র পক্ষে, রোহিঙ্গাদের বিপক্ষে। মুসলিম বিশ্বের সবগুলো দেশই এক হয়ে রোহিঙ্গাদের পক্ষে সোচ্চার হতে পারলো না, আমরা অন্যদের কী বলবো?
তবে, সু কি'র নোবেল প্রাইজ ফিরিয়ে নেয়ার পক্ষে ভোট দিলাম।
বিশ্লেষণটা ভালো লেগেছে।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাল বলেছেন ।
যদিও নোবল কমিটি আজ বলেছে তাদের ফিরিয়ে নেয়ার কোন অপশন নেই। তারা কেবলই পূর্ববর্তী কর্মের উপর ভিত্তি করে নোবেল দিয়ে থাকে। এবং নোবেল পাবার পরবর্তী তার ভূমিকা মূল্যায়নের সুযোগ বা দায় নেই!
ভাল লাগা টুকু জর্জ মনবিয়ট সাহেবের অবদান
অনেক অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় ভ্রাতা
১২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যৌক্তিক বক্তব্য । পৃথিবীতে ইভিল এক্সিম বলে কোন রাষ্ট্র থাকলে সেটা উত্তর কোরিয়া নয় মিয়ানমার এত বর্বর রাষ্ট্র আর একটা ও নেই থুথু নিক্ষেপ আর মূত্র পাত করা উচিত অ সা সূকীর প্রতিকৃতিতে। আর তার নোবেল পুরস্কার সিজ করা উচিত। অসভ্য মহিলা একটা ।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বর্বর রাষ্ট্রই বটে...
আজকের খবরের অংশ বিশেষ দেখূন..
রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে মিয়ানমারের নেত্রী নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু চি যা-ই বলুন, বাস্তব অবস্থা কিন্তু ভিন্ন। কোনো বিদ্রোহী কিংবা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয়, স্থানীয় বৌদ্ধ তরুণরাই সেখানকার রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন চালাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে। তলোয়ার আর রামদা হাতে টহল দিচ্ছে সারাক্ষণ। তাদের সামনে পড়ার ভয়ে রোহিঙ্গারা নিজেদের ভিটেবাড়ি ফেলে পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে।
ইতিহাসরে আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হচ্ছেন সূচি! তার কর্মকান্ড দিয়েই।
১৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ইভিল এক্সিস হবে
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। ধন্যবাদ ।
১৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪০
জুন বলেছেন: আরাকান যে একসময় স্বাধীন রাজ্য ছিল সেটাই মায়ানমারের বর্তমান প্রজন্ম জানেনা মনে হয় বিদ্রোহী ভৃগু। তাদের যেই ইতিহাস গিলিয়ে দিয়েছে তার বাইরে তাদের জ্ঞ্যানের পরিধি খুবই সীমিত। জানার চেষ্টাও করে না বর্তমান দুনিয়ার এই উন্মুক্ত জ্ঞ্যান ভান্ডার থেকে। নাহলে তারা লিখে কি করে ইউ বাংলাদেশী পিপল নাউ গো ব্যাক বাংলাদেশ । । জনগনের কথা বাদই দিলাম কিন্ত তাদের নেতৃ নাকি বিদেশে পড়ালেখা করেছে তো তার তো জানা উচিত। উন্মাদ এক জাতি ।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তারা জ্ঞানপাপী।
জেনে শুনে সত্যকে অস্বীখার করে মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিতি করতে চাইছে। ধীক্কার একসময় তারাই ইতহিাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
এক্কবারে সঠিক বলেছেন- উন্মাদ এক জাতি।
১৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৯
মলাসইলমুইনা বলেছেন: গান্ধীকে শান্তিতে নোবেল না দেওয়া নোবেল কমিটির একটি বড় ভুল ছিল|নোবেল শান্তি কমিটির কেউ কোনো একটা ইন্টারভিউ-এ একথাটা বলেছিলেন বছর কয়েক আগে |আমি শিওর, সুকির নোবেল ফিরিয়ে না নিলে এই কথাটা এদের কাউকে আবার বলতে হবে |
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তারা দায় এড়াতে চাইছে তারা নোবেল পূর্ভ জীবন ষ্টাডি করে, বিধান অনুসারে। পরবর্তীতে কি করে তা পর্যবেক্ষন সম্ভব নায়...
নোবেল এর ঐতিহ্য রক্ষায়ই বিশেষ ক্ষেত্রে যে তা প্রয়োজন তা কি বলে দিতে হয়!!!
ধন্যবাদ
১৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৬
নীলপরি বলেছেন: নিউজটা পড়া ছিল না । পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সে জন্যেই শেয়ার করা
শেযার কােজ লাগল
অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা
স্বাক্ষরসুচির নোবেল কেড়ে নিতে ৩ লাখ ৬৫ হাজার মানুষের স্বাক্ষর
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১
করুণাধারা বলেছেন: আগে পড়া ছিল না, অনেক ধন্যবাদ গার্ডিয়ানের খবরের শেয়ার দেবার জন্য। আপনার পুরো পোস্ট পড়ে গার্ডিয়ানের লিংক থেকে পড়লাম কিন্তু শীর্ষ নিউজের লিংক কাজ করছে না।
সবশেষে পিটিশনের কথা বলা হয়েছে- সেটাতে সাইন করার উপায় কি? আমরা যেমন অনলাইনে সুন্দরবন আর কক্সবাজারকে ভোট দিতে পারতাম তেমন ব্যবস্থা করলে ভাল হত।