নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ ১২ ভাদ্র ১৪২৪ বঙ্গাব্ধ।
২৭ আগষ্ট ২০১৭ এমনই মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টি ভেজা একদিনে আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম
পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে গেছেন। আজ তার ৪১তম মৃত্যুবর্ষিকী।
১৯৭৬ সালে এই দিনে সকাল ১০টার দিকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ১১৭ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জাতীয় কবি। দীর্ঘদিন চেতনাহীন নির্বাক থাকার পর ৭৭ বছর বয়সে ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
দ্রোহ, প্রেম ও মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলাম সাহিত্যের সব শাখায় বিচরণ করেছেন। বাংলা ভাষা-সাহিত্যকে নজরুল দিয়েছেন অমিত তেজ। দিয়েছেন নতুন শক্তি ও পথচলা। গোটা বাংলা সাহিত্যে নজরুল এক ব্যতিক্রমী কবিপ্রতিভা। তৎকালীন চলমান সাহিথ্য ধারার বাইরে গিয়ে, চলতি সাহিত্য রীতির প্রবল প্রভাব বলয় ছিন্ন করে সম্পূর্ণ ভিন্ন ভাবধারার কাব্য ও সাহিত্য সৃষ্টি করেছেন নজরুল।
ধূমকেতুর মতো আবির্ভূত হয়ে সাহিত্যের সবকিছু যেন বদলে দিয়েছেন। শুধু সাহিত্য নয় পুরো জাতিকে দিয়েছে নতুন পথের দিশা। ‘চির উন্নত শির’ এই কবি আমাদের জাতীয় মর্যাদার প্রতীক।
অবিভক্ত ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে দুরন্ত এ শিশুটির জন্ম ১৮৯৯ সালে। কবিতা-গানে, প্রেমে-দ্রোহে সৃষ্টি সুখের উল্লাস এনে বিপুল সাড়া ফেলে দেয়া এই কবি এক সময় কঠিন রোগে আক্রান্ত হন।
১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে দৈনিক নবযুগে সাংবাদিকতা করার সময় কবি অসুস্থ হয়ে পড়েন। মস্তিষ্কের দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন বাক্যের জাদুকর এই চির অভিমানী কবি। তার অসুস্থতা সম্বন্ধে সুস্পষ্টরুপে জানা যায় ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে।
অসুস্থ কবিকে ১৯৭২ সালের ২৪ মে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর বাংলা সহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে সম্মানসূচক ‘ডক্টর অব লজ’ ডিগ্রি প্রদান করা হয়। ১৯৭৬ সালে কবিকে দেয়া হয় অমর একুশে পদক। এ বছর ২৯ মে রবিবার কবির জীবনাবসান ঘটে।
১৯৭৬ সালে এই দিনে কবির মৃত্যুর খবরে ঢাকার রাস্তায় সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে। লাখো মানুষ কবির জানাযায় অংশ নিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। মহান সে কবিকে তারই সৃষ্টি দিয়ে স্মরণ করছি হৃদয়ের গহন থেকে.....মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান - নজরুলের অমর আহবান আজও অমলিন: স্মরণ ক্ষনে সেই কাব্যেই জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি
গাহি সাম্যের গান-
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান,
নাই দেশ-কাল-পাত্রের ভেদ, অভেদ ধর্মজাতি,
সব দেশে, সব কালে, ঘরে-ঘরে তিনি মানুষের জ্ঞাতি।
‘পূজারী, দুয়ার খোলো,
ক্ষুদার ঠাকুর দাঁড়ায়ে দুয়ারে পূজার সময় হ’ল!’
স্বপন দেখিয়া আকুল পূজারী খুলিল ভজনালয়
দেবতার বরে আজ রাজা-টাজা হ’য়ে যাবে নিশ্চয়!
জীর্ণ-বস্ত্র শীর্ণ-গাত্র, ক্ষুদায় কন্ঠ ক্ষীণ
ডাকিল পান্থ, ‘দ্বার খোল বাবা, খাইনি ক’ সাত দিন!’
সহসা বন্ধ হ’ল মন্দির, ভুখারী ফিরিয়া চলে,
তিমির রাত্রি, পথ জুড়ে তার ক্ষুদার মানিক জ্বলে!
ভুখারী ফুকারি’ কয়,
‘ঐ মন্দির পূজারীর, হায় দেবতা, তোমার নয়!’
মসজিদে কাল শিরনী আছিল, অঢেল গোস্ত-রুটি
বাঁচিয়া গিয়াছে, মোল্লা সাহেব হেসে তাই কুটিকুটি!
এমন সময় এলো মুসাফির গায়ে আজারির চিন্
বলে ‘বাবা, আমি ভুকা-ফাকা আছি আজ নিয়ে সাত দিন!’
তেরিয়া হইয়া হাঁকিল মোল্লা – ‘ভ্যালা হ’ল দেখি লেঠা,
ভুখা আছ মর গো-ভাগাড়ে গিয়ে! নামাজ পড়িস বেটা?’
ভুখারী কহিল, ‘না বাবা!’ মোল্লা হাঁকিল – ‘তা হলে শালা
সোজা পথ দেখ!’ গোস্ত-রুটি নিয়া মসজিদে দিল তালা!
ভুখারী ফিরিয়া চলে,
চলিতে চলিতে বলে-
‘আশিটা বছর কেটে গেল, আমি ডাকিনি তোমায় কভু,
আমার ক্ষুদার অন্ন তা’বলে বন্ধ করনি প্রভু
তব মসজিদ মন্দিরে প্রভু নাই মানুষের দাবী,
মোল্লা-পুরুত লাগায়েছে তার সকল দুয়ারে চাবী!’
কোথা চেঙ্গিস্, গজনী-মামুদ, কোথায় কালাপাহাড়?
ভেঙে ফেল ঐ ভজনালয়ের যত তালা-দেওয়া-দ্বার!
খোদার ঘরে কে কপাট লাগায়, কে দেয় সেখানে তালা?
সব দ্বার এর খোলা রবে, চালা হাতুড়ি শাবল চালা!
হায় রে ভজনালয়,
তোমার মিনারে চড়িয়া ভন্ড গাহে স্বার্থের জয়!
মানুষেরে ঘৃণা করি’
ও’ কারা কোরান, বেদ, বাইবেল চুম্বিছে মরি’ মরি’
ও’ মুখ হইতে কেতাব গ্রন্থ নাও জোর ক’রে কেড়ে,
যাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই মানুষেরে মেরে,
পূজিছে গ্রন’ ভন্ডের দল! মূর্খরা সব শোনো,
মানুষ এনেছে গ্রন্থ;-গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোনো।
আদম দাউদ ঈসা মুসা ইব্রাহিম মোহাম্মাদ
কৃষ্ণ বুদ্ধ নানক কবীর,-বিশ্বের সম্পদ,
আমাদেরি এঁরা পিতা-পিতামহ, এই আমাদের মাঝে
তাঁদেরি রক্ত কম-বেশী ক’রে প্রতি ধমনীতে রাজে!
আমরা তাঁদেরি সন্তান, জ্ঞাতি, তাঁদেরি মতন দেহ,
কে জানে কখন মোরাও অমনি হয়ে যেতে পারি কেহ।
হেসো না বন্ধু! আমার আমি সে কত অতল অসীম,
আমিই কি জানি-কে জানে কে আছে আমাতে মহামহিম।
হয়ত আমাতে আসিছে কল্কি, তোমাতে মেহেদী ঈসা,
কে জানে কাহার অন্ত ও আদি, কে পায় কাহার দিশা?
কাহারে করিছ ঘৃণা তুমি ভাই, কাহারে মারিছ লাথি?
হয়ত উহারই বুকে ভগবান্ জাগিছেন দিবা-রাতি!
অথবা হয়ত কিছুই নহে সে, মহান্ উচ্চ নহে,
আছে ক্লেদাক্ত ক্ষত-বিক্ষত পড়িয়া দুঃখ-দহে,
তবু জগতের যত পবিত্র গ্রন্থ ভজনালয়
ঐ একখানি ক্ষুদ্র দেহের সম পবিত্র নয়!
হয়ত ইহারি ঔরসে ভাই ইহারই কুটীর-বাসে
জন্মিছে কেহ- জোড়া নাই যার জগতের ইতিহাসে!
যে বাণী আজিও শোনেনি জগৎ, যে মহাশক্তিধরে
আজিও বিশ্ব দেখনি,-হয়ত আসিছে সে এরই ঘরে!
ও কে? চন্ডাল? চম্কাও কেন? নহে ও ঘৃণ্য জীব!
ওই হ’তে পারে হরিশচন্দ্র, ওই শ্মশানের শিব।
আজ চন্ডাল, কাল হ’তে পারে মহাযোগী-সম্রাট,
তুমি কাল তারে অর্ঘ্য দানিবে, করিবে নান্দী-পাঠ।
রাখাল বলিয়া কারে করো হেলা, ও-হেলা কাহারে বাজে!
হয়ত গোপনে ব্রজের গোপাল এসেছে রাখাল সাজে!
চাষা ব’লে কর ঘৃণা!
দে’খো চাষা-রূপে লুকায়ে জনক বলরাম এলো কি না!
যত নবী ছিল মেষের রাখাল, তারাও ধরিল হাল,
তারাই আনিল অমর বাণী-যা আছে র’বে চিরকাল।
দ্বারে গালি খেয়ে ফিরে যায় নিতি ভিখারী ও ভিখারিনী,
তারি মাঝে কবে এলো ভোলা-নাথ গিরিজায়া, তা কি চিনি!
তোমার ভোগের হ্রাস হয় পাছে ভিক্ষা-মুষ্টি দিলে,
দ্বারী দিয়ে তাই মার দিয়ে তুমি দেবতারে খেদাইলে।
সে মার রহিল জমা-
কে জানে তোমায় লাঞ্ছিতা দেবী করিয়াছে কিনা ক্ষমা!
বন্ধু, তোমার বুক-ভরা লোভ, দু’চোখে স্বার্থ-ঠুলি,
নতুবা দেখিতে, তোমারে সেবিতে দেবতা হ’য়েছে কুলি।
মানুষের বুকে যেটুকু দেবতা, বেদনা-মথিত সুধা,
তাই লুটে তুমি খাবে পশু? তুমি তা দিয়ে মিটাবে ক্ষুধা?
তোমার ক্ষুধার আহার তোমার মন্দোদরীই জানে
তোমার মৃত্যু-বাণ আছে তব প্রাসাদের কোন্খানে!
তোমারি কামনা-রাণী
যুগে যুগে পশু, ফেলেছে তোমায় মৃত্যু-বিবরে টানি’।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যেচ্চারণ সবসময়ই চক্ষুশুলের কারণ!
জাতীয় কবির প্রতি শ্রদ্ধা
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২
ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: প্রিয় এবং জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি থাকল ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভ্রাত:
গাহি সাম্যের গান
মানুষের চেয়ে বড় কিছু নয়, নহে কিছু মহিয়ান!
হৃদয়ে হৃদয়ে পৌছে যাক এ অমর আহবানের জ্যোতি
৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা পোষ্ট দিয়েছেন, কৃতজ্ঞতা।
প্রিয় কবিবর জান্নাতবাসী হোক স্রষ্টায় কামানা।
নাম'টি রয়ে যাক অমর যতদিন আছে পৃথিবী। শ্রদ্ধাঞ্জলি হৃদয়ের গভীর থেকে।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
নজরুল স্ব-মহিমায় ভাস্বর!
আমরাই তাঁর স্মরণে, তাঁর সাহিত্য, তাঁর অনুভবে নিতে পারলে ঋদ্ধ হই।
শ্রদ্ধাঞ্জলি
৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
১৯০৮ সাল থেকেই কবি লেখা শুরু করেছিলেন; ২০১৭ সালে এসে, শতকরা ৪৫ জন বাংগালী উনার লেখা পড়তে পারেন না, আসলে দুর্ভাগা জাতি
২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম। আসলেই
নজরুলের চেতনার সামান্যটুকু্ও যদি জাতিগতভাবে ধারন করতে পারতাম, অনেক উচ্চস্তরে পৌছানোর আশা ছিল।
মানুষ, গাহি সাম্যের গান সহ মানবতাবাদী অসংখ্য লখেনি দিয়ে তিনি পথ চিনিয়েছেন- আমরা হাটছি না সে পথে।
কবির প্রতি অসীম শ্রদ্ধা
৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩
জাহিদ অনিক বলেছেন: নজরুলকে আমার বেশি ভাল লাগে বাবরী চুল আর তুবড়ি ছেটানো গানের গানের জন্য।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
মহা সময়ের মহানায়ক নজরুল
অসম্ভব প্রাণশক্তি আর চেতনার গভীর স্বচ্ছতায়ই পারে অমন লেখনি, গায়কী আর প্রাণময়তার প্রকাশ ঘটাতে।
যাতে ভরপুর ছিলেন নজরুল।
৬| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আজকের তারিখটি মৃত্যু ধরে নেই
জন্মেছি একই দিনে মৃত্যুর ঠিক নেই।
নার্গিস তার প্রথম প্রেম ,পরিনয় হয়নি
আমার প্রথম প্রেমও সফলতা পায়নি ।
জেলে গেছেন তিনি আমিও গিয়েছি
তার চেয়ে নই কম বিপ্লবি আমি ।
সাম্প্রদায়িকতার বেড়াজালে বন্দি আমি নই
সাম্যের জয়গান কি কম গাই আমি?
কবিগুরু তাঁর মতো আমারও খুব প্রিয়
সঙ্গে দুঃখভরা হৃদয়টামোর বিবেচনায় নিও
নাম যশ খ্যাতির সঙ্গে আরও পার্থক্য আছে
কবিগুরু কোনকিছু উৎসর্গ করে নি আমাকে।
এই দিনে মৃত্যু হলে মিলবে খাপের খাপ
মানুষ হয়ে মৃত্য হলে হবে না অনুতাপ...
শ্রদ্ধাঞ্জলী প্রিয় কবিকে ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ!
দারুন কাব্যে মুগ্ধতা।
আপনার মনোস্কামনা পূর্ন হোক।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা
৭| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:১৮
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: কবির রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধণ্যবাদ।
কবির চেতনালোকে আলোকিত হোক আমাদের মন মনন
শুভকামনা সবসময়
৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২০
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি থাকল এবং তাঁর স্মরণে ১টি কবিতা পোষ্ট করলাম।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:২৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
আমাদের সার্বিক উন্নতির জন্য নজরুল চর্চা বড় বেশি প্রযোজন।
কবির প্রতি অফুরান শ্রদ্ধাঞ্জলী
৯| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬
নীলপরি বলেছেন: খুব ভালো হয়েছে পোষ্ট ।
স্মরণীয় ও বরনীয় কবির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলী রইলো ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধণ্যবাদ নীলপরি
অমর তাঁর বাক্য কত ঋদ্ধ...
" হেসো না বন্ধু! আমার আমি সে কত অতল অসীম,
আমিই কি জানি-কে জানে কে আছে আমাতে মহামহিম।
হয়ত আমাতে আসিছে কল্কি, তোমাতে মেহেদী ঈসা,
কে জানে কাহার অন্ত ও আদি, কে পায় কাহার দিশা? "
শুভেচ্ছা অফুরান।
১০| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪
সুমন কর বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন দা।
কবির চেতনা ধারন করাই তাঁর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা...
তাই তাঁরই রচনায় স্মরিলাম তাঁরে
শুভেচ্ছা অনেক অনেক
১১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৯
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অসুস্থ না হলে নজরুল রবীন্দ্রনাথকে ছাড়িয়ে যেতেন। তখন রবীন্দ্রর চাইতে নজরুলের গুণগান বেশীই হত...
২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রকৃতি তার আপন নিয়মেই সব করে। তাই ভাবনাটা আপেক্ষিক বটে
হয়তো, হয়তো নয়, যেটুকু পেয়েছি তারই কতটুকু কদর আমরা করছি?
আমাদের শেখায়, চলায়, বলায়, চেতনায়, বিশ্বাসে????
যে নিরন্তন দ্রোহ ধূমকেতুর মতো আগমন ঘটাল তাঁর আমরা নিত্য আপোষকামীতায় পরাজিত হতে হতে কি নিত্য হত্যা করছিনা সেই চেতনার! তবে আর বেশি দিয়ে কি হবে!!!!!
নজরুল যা দিয়েছেন সেটুকুই পুরোটার কথা বাদই শুধু উল্লেখিত গাহি সাম্যের গানকেই যদি প্রকৃত ভালবেসে সামান্যতমও ধারন করি- তাই যথেষ্ট একজীবনে!
অনেক অনেক ধণ্যবাদ ভ্রাতা
শুভেচ্ছা অফুরান
১২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৩৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: কবিতাটা অনেক আগে পড়েছি। আজ আবার পড়লাম । গা'র লোম খাড়া হয়ে যায় !!
কবির জান্নাত বাস কামনা করছি।
২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জীবন্ত আত্মারা অনুভবে শিহরিত হয়
আপনার শিহরণ ছূঁয়ে গেল
অনেক অনেক ধন্যবাদ লিটন ভায়া
আবার এসো হে কবি, ঘুমঘোরে আচ্ছন্ন জাতিরে আবার জাগাো তোমার বিদ্রোহের বানীতে।
চেতনায় আজ বড় বেশী প্রয়োজন বিদ্রোহের...
ভীম কাড়ার ঐ ভিত্তি নাড়ার....
১৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:১৫
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: জাতীয় কবির ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালবাসা রইল !
২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আবার এসো হে কবি, ঘুমঘোরে আচ্ছন্ন জাতিরে আবার জাগাো তোমার বিদ্রোহের বানীতে।
চেতনায় আজ বড় বেশী প্রয়োজন বিদ্রোহের...
ভীম কাড়ার ঐ ভিত্তি নাড়ার....
১৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:২৭
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
কবিরর আত্না জান্নাতবাসী হওক...
লেখার শিরোনামে শ্রদ্ধাঞ্জলি বানান টা ঠিক করে নিন...
২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমিন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা
ঠিক করে দিয়েছি
১৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০৯
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
বাঙলা সাহিত্যের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে তাঁর সাহিত্য কর্ম, তিনি বিনে বাংলা অর্ধঙ্গ ।
মহান মানুষ এবং কবির জন্য গভীর শ্রদ্ধা এবং মাগফেরাত কামনা ।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:৫০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যথার্থ বলেছেন- বাঙলা সাহিত্যের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে তাঁর সাহিত্য কর্ম, তিনি বিনে বাংলা অর্ধঙ্গ ।
সহমত।
অনেক ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা অফুরান
১৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭
ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন:
শ্রদ্ধাঞ্জলি থাকল ।
২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:৫০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আবার এসো হে কবি, ঘুমঘোরে আচ্ছন্ন জাতিরে আবার জাগাো তোমার বিদ্রোহের বানীতে।
চেতনায় আজ বড় বেশী প্রয়োজন বিদ্রোহের...
১৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:১৯
ধ্রুবক আলো বলেছেন: তথ্য বহুল পোষ্ট। অনেক ধন্যবাদ।
বিদ্রোহী কবির জন্য শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সব সময়।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:০৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
বিদ্রোহী কবির জন্য শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সব সময়
অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা। শুভেচ্ছা অফুরান
১৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: শরীরটা গত কিছুদিন ভাল যাচ্ছিল না , সামুতে বিচরন ছিল অনেক কম সময় । তাই অনেক প্রিয় জনের পোষ্টের লেখা পাঠ হয়ে উঠনি সময় মত । আমার সবচেয়ে প্রিয় কবির উপর এমন সুন্দর লেখাটি পাঠ করা হয়নি বলে মনটা খারাপ লাগছে ।
কয়েকবার পড়লাম পোষ্ট টি । পড়ছিলাম আর চিন্তা করছিলাম কি লিখব , যা লিখতে চা্ই তার সবইতো লেখা হয়ে গেছে পোষ্টে ।
তাঁর নির্বাক হয়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে কবি খান মোহাম্মদ মইনুদ্দীনের লেখা যুগ স্রস্টা নজরুলে দেখেছিলাম নজরুল বলেছন নদী থেকে ঘড়া ঘড়া জল এনে দেখলাম তাতে তৃঞ্চা মিটেনা , তাই সাগর পানে চললাম , এর পর থেকে তিনি হয়ে গেলেন ধ্যান সাধনায় নির্বাক , তাঁর ধ্যান আর কোন ডাক্তার কবিরাজেও ভাঙ্গাতে পারেনি, নির্বাক হওয়ার আসল কারণটি গুপনই রয়ে গেছে । তার সৈনিক জীবনে যোগদানের কারণটিও এমনি গোপন রয়ে গেছে । কেন তিনি বৃটিশ বাহিনীর সৈনিক রেজিমেন্টে যোগ দিয়েছিলেন সে প্রশ্নের কোন উত্তর কেও তার কাছ হতে পান নি । এ বিষয়ে এখানে দুএকটি কথা বলে মন্তব্যের পাঠ শেষ করব ।
একসময় সকলেই বলত বাংগালী যোদ্ধা নয় কেবলি ভিতুর ডিম ।
সে সময় একটি লিখা ছিল এমন
‘কে বলে বাঙালী যোদ্ধা নয়?
কে বলে বাঙালী ভীতু!
জাতির এই কলঙ্ক মোচন করা একান্ত কর্তব্য—
আর তা পারে একমাত্র বাঙ্গলার যুবশক্তি
ঝাঁপিয়ে পড় সিংহ বিক্রমে!
বাঙ্গালী পল্টনে যোগ দাও’
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলছে দেশের সঙ্গে দেশের, সাম্রাজ্যের সঙ্গে সাম্রাজ্যের। ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দের শুরুর দিকে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে বাঙালি সৈন্য সংগ্রহের জন্য তরুণদের উদ্বুদ্ধকরণ ও জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কলকাতার বাড়ি-ঘর, অফিস-আদালতের দেয়ালে দেয়ালে উপরোক্ত প্রাচীরপত্র ছিল । প্রাচীরপত্রের এ লেখা নজরুলের দৃষ্টি এড়ায় নি। তিনি যুদ্ধে যাবার জন্য মনস্থির করলেন। কিন্তু কেন? ক্লাসে প্রথম হওয়া ছাত্র, রাজবাড়ি থেকে বৃত্তি, থাকা-খাওয়া ফ্রি, বোর্ডিং-ব্যবস্থা। এত সুযোগ-সুবিধার পরে সৈন্যদলে যাবার জন্য কেন সিদ্ধান্ত নিলেন! এর জবাব নজরুল-সখা খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন বিরচিত ‘যুগ স্রষ্টা নজরুল’ এ দেয়া হয়েছে -
‘কেন, কি কারণে তিনি স্বেচ্ছায় এই মৃত্যুর মুখে এগিয়ে গিয়েছিলেন, সে গোপন কথাটি তিনি কাউকে বলেননি। বহু চেষ্টা করেও তাঁর কাছ থেকে এ-কথাটি কেও বার করতে পারিনি। এ প্রসঙ্গ উত্থাপন করলেই তিনি প্রসঙ্গান্তরে চলে গেছেন অতি সুকৌশলে। এর ভেতরে কি গুঢ় রহস্য লুকিয়ে আছে, তা কে বলবে? তবে কিছুটা বুঝা গিয়েছিল তার কিছু গোপন কির্তি কলাপে।
নজরুল হঠাত্ যুদ্ধে চলে যাওয়ায় সবাই অত্যন্ত দুঃখিত হয়েছিলেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত লেটো নাচের দল এ সম্বন্ধে একটি গান লিখে নিজেদের দুঃখ প্রকাশ করে। গানটি ছিল
‘আমরা হয়েছি অধীন,
হয়েছি ওস্তাদহীন।
তাই ভাবি নিশিদিন
বিষাদ মনে।
নামেতে নজরুল ইসলাম
কে দিবে তার গুণের প্রমাণ,
না পাই তাঁহার সন্ধান
কোনখানে।
শুনেছি মনের খেদে
গেছেন লড়ায়ে
ভাই ভগ্নী-বন্ধু মাতা
সকলে ছাড়িয়ে।
নাহি কিছু চারা,
কেন্দে সবে সারা,
বহায় কেবল ধারা
দুনয়নে।’
প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ শুরুর প্রথমদিকে বাঙালিদের ফৌজে ভর্তি করানো হতো না। বাঙালিরা যুদ্ধে অপারগ ছিলেন—এমন কথা ভাবা যায় না, তবে ভারতের ব্রিটিশ গভর্নমেন্ট বাঙালির হাতে অস্ত্র দিয়ে তাঁদের বিশ্বাস করতে পারতেন না। বাঙালিদের কেরানিরূপে ব্যবহার করাই ব্রিটিশ গভর্নমেন্ট অনেক বেশি লাভজনক মনে করতেন। কিন্তু জোর বিতর্ক শুরু হলো। বিতর্কে সাড়া দিলেন বাংলার বুদ্ধিজীবি, সংবাদপত্র ও নেতৃবৃন্দ। বিষয়টি তাঁরা বাংলার সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষিতে বিবেচনা করলেন। শেষ পর্যন্ত ভারতের ব্রিটিশ গভর্নমেন্ট একটি বেঙ্গলি ডবল কোম্পানি গঠন করতে রাজি হলেন। শুরু হলো সৈন্য জোগাড়ের আহ্বান। যে আহ্বানে সাড়া দিলেন কাজী নজরুল ইসলাম।
অল্প সময়ের মধ্যে নায়েক থেকে হাবিলদার এবং পরে ব্যাটালিয়ান কোয়ার্টার মাস্টার হাবিলদার পদে উন্নীত হয়েছিলেন। নজরুলের সেনাসঙ্গীদের মধ্যে ছিলেন চট্টগ্রামের মহিবুুবুল আলম, মির্জাপুরের রণদাপ্রসাদ সাহা, কুষ্টিয়ার শম্ভু রায় ও কলকাতার মণিভূষণ মুখোপাধ্যায়, তারা সকলেই খ্যতিমান হয়েছেন পরবর্তী কালে ।
নজরুলের সৈনিক জীবন তাঁর সমগ্র জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। কি সাহিত্যিক জীবন, কি সংগীত জীবন, কি ব্যক্তি জীবন—পুরো জীবনের গুঢ়ার্থ নিহিত আছে তাঁর সৈনিক জীবনের মধ্যে। বাঙালি পল্টনের কয়েক হাজার তরুণের প্রমোদ ও স্ফূর্তির প্রাণচাঞ্চল্য ছিল। প্রাণবন্ত, হাসিখুশি, বহির্জগত সম্পর্কে অধিক কৌতূহলি নজরুল ছিলেন সকলের প্রিয়। কবিতায় গল্পে গানে রসিকতায় প্রাণখোলা উচ্চকণ্ঠ হাসিতে তিনি সবাইকে মাতিয়ে রাখতেন। সৈনিক জীবনের একটি অংশ রসদ ভাণ্ডারের তত্ত্বাবধানে থাকায় একধরনের গার্হস্থ্য দায়িত্ব নজরুলের নিজস্ব পড়াশোনা ও লেখালেখির পক্ষে অনুকূল হয়েছিল। এছাড়া ব্যান্ড মাস্টার কাছে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র শেখা, ছাউনির জনৈক পাঞ্জাবি মৌলবির কাছে ফারসি শেখা, স্বরলিপি দেখে রবীন্দ্রসংগীত তোলা, বিপ্লবী পত্র-পত্রিকা গোপনে পড়া, বেশ কয়েকটি বাংলা পত্রপত্রিকা চাঁদা দিয়ে গ্রাহক হয়ে নিয়ম করে আনানো ও পড়া—এসবেই তাঁর ছাউনির দিনগুলি ছিল নিশ্চিদ্র ও নিবিড়। উচ্চকণ্ঠ রসিকতায় যেমন সবাইকে মাতিয়ে রাখতেন, তেমনি গোপনে তিনি সংগ্রহ করতেন রাজদ্রোহমূলক কাগজপত্র, আনতেন নিষিদ্ধ পত্রিকা, সংবাদ রাখতেন আইরিশ বিপ্লব-রুশ বিপ্লবের। তাঁর কাগজপত্রের তলায় চাপা থাকত সিডিশান কমিটির রিপোর্ট। গোপনে তিনি পড়তেন সেসব, রাত জেগে লিখতেন তপ্তাক্ষর কবিতা, করুণ আত্মত্যাগের গল্প, নাটকীয় পত্রোপন্যাস। তাঁর ঘনিষ্ঠ সহকর্মীরা সন্ধান পেতেন না এইসব গুপ্ত সাধনার।
যে পাঞ্জাবি মৌলবির কাছে নতুন করে আরবি-ফারসির পাঠ নিচ্ছিলেন, তিনিই ফারসি কাব্যের সঙ্গে গভীর অন্তরঙ্গ পরিচয় ঘটিয়ে নজরুলের কাব্য রসবোধকে পরিণততর করে তুলতে সাহায্য করেছিলেন। সহকর্মীদের কেউ কেউ ছিলেন গুণী সংগীতজ্ঞ, কেউ কণ্ঠে, কেউ যন্ত্রে। তাঁদের সঙ্গে নজরুলের সান্নিধ্য ব্যর্থ হয়নি। অর্গান, ক্লারিয়োনেট, কর্নেট, ব্যাঞ্জো, তবলা—বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে নজরুলের পরিচয় ঘটে এবং অল্পবিস্তর বাজানো শেখেন। স্বরলিপি দেখে একটার পর একটা রবীন্দ্রসংগীত তুলে নজরুল তাঁর সংগীতভাণ্ডার ঋদ্ধ করে তুলেছিলেন। রবীন্দ্র ও শরত্-সাহিত্য ছিল তাঁর নিত্যদিনের সঙ্গী। যখনই সময় পেতেন তখনই পড়াশোনায় ডুবে যেতেন।
তাই মনে হয় সৈনিক না হলে আমরা কি এমন নজরুলকে পেতাম ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৯
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: কবি খামোখা চক্ষুশূল হননি।