নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সেই দিন হব শান্ত....

বিদ্রোহী ভৃগু

সকল অনাচার আর অনিয়ম জাগায় দ্রোহ.....

বিদ্রোহী ভৃগু › বিস্তারিত পোস্টঃ

জন্মান্তরবাদ : কেবলই বিশ্বাস? মিথ? বিজ্ঞান সম্মত? মিথ্যা নাকি সত্য!! -৩

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭


পূর্ববর্তী পর্বের লিংক সমূহ
জন্মান্তরবাদ : কেবলই বিশ্বাস? মিথ? বিজ্ঞান সম্মত? মিথ্যা নাকি সত্য!! -১

জন্মান্তরবাদ : কেবলই বিশ্বাস? মিথ? বিজ্ঞান সম্মত? মিথ্যা নাকি সত্য!! -২

প্রথম পর্বে এর প্রাথমিক ধারনা ও আলোচনা এবং ২য় পর্বে নাফস রুহ আত্মা নিয়ে বিভিন্ন ধর্মের আলোকে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়েছে।

জন্মান্তরবাদ এ মৌলিক আলোচনায় হিন্দু ধর্মে যেহেতু এটা স্বীকৃত এবং তারা অধিকাংশই মেনে চলে তাই সে পর্ব উহ্য রইল। কিন্তু যেহেতু ইসলাম এবং মুসলমানদের মাঝে এটা নিয়ে মতবিরোধ বেশি তাই ইসলাম ধর্মের আলোকে কোরআনের আয়াত এবং হাদীস নির্ভর এই দর্শনের আলোচনা নিয়ে এই পর্ব :

মৌলিক আলোচনা:

জন্মান্তরবাদ অর্থ হল এক জন্ম থেকে অন্য জনম। মৃত্যু বরনের পর আবার জন্ম গ্রহন করা, আবার জন্মের পর মৃত্যু বরন করা, এভাবে আত্মার মুক্তি বা জন্মচক্র থেকে মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত বারবার জীবন চক্রে জন্ম-মৃত্যুর মাধ্যমে গমনাগমনের উপর যে বিশ্বাস ও মতবাদ বা দর্শন রয়েছে, তাকেই জন্মান্তরবাদ বলে।
উল্লেখ্য যে, এই দর্শনে মৃত্যু হল স্থুল দেহ/রুপ ত্যাগ এবং জন্ম হলো নতুন দেহ/রুপ গ্রহন। আত্মা অবিনশ্বর। মৃত্যু বলতে শুধুই দেহ থেকে আত্মা বের হয়ে যাওয়াকে বুঝায় এবং জন্ম বলতে সেই বের হয়ে যাওয়া আত্মা আবার নতুন কোনো স্থুল দেহ/রুপ ধারন করে পৃথিবীতে আগমন করাকে বুঝায়।
আত্মার এই আসা যাওয়ার কারন হল তার বাসনা ও কর্ম। বাসনা পূরন ও কর্মের ফল ভোগ করার জন্যেই জীবাত্মা বার বার বিভিন্ন যোনী/মাধ্যমে আসা যাওয়া করে। কর্ম ভালও হতে পারে আবার মন্দও হতে পারে। ভাল কর্মের জন্যেও জন্ম গ্রহন করতে হয়, আবার খারাপ কর্মের জন্যেও জন্ম গ্রহন করতে হয়। যতক্ষন না পদার্থ বাসনা ত্যাগ করে অ-পদার্থ বা বস্তু থেকে অ-বস্তুতে যাবার যোগ্য হয়। বস্তু জগতে বস্তুগত দুর্বলতা ত্যাগ করে অবস্তু জগতের উপযোগী না হয়ে ওঠে।
খারাপ কর্মের ফল ভোগের জন্য জন্ম গ্রহনটা হয়তো সবাই বুঝে ও মেনে নেয়, কিন্তু ভাল কর্মের ফল ভোগের টা অনেকেই মানতে চায় না। এর কারন হল ভাল কর্ম সত্ত্বেও সেই জীবাত্মা বাসনা বা মোহ মুক্তি (কামনা, বাসনা, কিছু হতে চাওয়া, অতৃপ্ততা) থাকার ফলে সে অ-বস্তু জগতে প্রবেশাধিকার পায় না। এবং তা অর্জনের জন্যই তাকে চক্রাবর্তনে থাকতে হয়। সবাই এটাই জানে যে ভাল কর্মের ফলে ভাল পরিণামই মেলার কথা। কিন্তু নির্বান লাভ বা জন্ম-মৃত্যু বারন হয়ে মহামুক্তি লাভে তা যথেষ্ট নয়। নির্মোহ আত্মা হওয়া না পর্যন্ত তা চলমান থাকে।
ভাল কর্মের জন্যেও জন্ম গ্রহন করতে হয়, তখন যখন সেখানে বাসনা থাকে। যেমন কেউ ভাবল " আমি খাওয়াইলে আল্লাহ আমাকে উত্তম খাবার দিবে, আমি দান করলে আল্লাহ আমাকে অনেক ধনী বানাবে"। এরূপ ভাবার ফলে আল্লাহ সেই ব্যক্তির বাসনা পূরনের জন্যে তাকে আবার পৃথিবীতে পাঠাবে, তবে আগের চেয়ে উত্তমরূপে। এই বাসনাযুক্ত কর্মের জন্যে সে মূক্তি লাভ করবে না, তবে উন্নত জীবন লাভ করবে। তাই কেউ ধনীর ঘরে জন্ম গ্রহন করে, আবার কেউ গরীবের ঘরে। ভাল কর্ম তখনই মুক্তির কারন হবে যখন তা শুধুই আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হবে। তাই শাস্ত্রে উল্লেখ আছে যে, বাসনা থাকিতে জীবের আসা-যাওয়া (জন্ম-মৃত্যু) বারণ হবে না।

এবং এই দর্শনে আরেকটা উল্লেখযোগ্য বিষয় হল পুলসিরাত! পিতার কাছ থেকে মাতৃগর্ভে স্তানান্তরিত হওয়ার সবচে ঝুকিপূর্ণ পথ এবং কালকেই বোঝানো হয়। কোটি কোটি জীবাত্মার রেসে ভাগ্যবান মাত্র এক বা দুজন সেই রেহেম বা গর্ভে স্থান লাভ করে থাকে। এবং স্বর্গ জীবনের এক স্তরও মাতৃগর্ভকেও বোঝানো হয়। মায়ের গর্ভে সন্তানের কোন খাবার কোন কিছুর জণ্য ভাবতে হয়না। মায়ের কাছ থেকেই তা লাভ করে থাকে। যা স্বর্গীয় ধারনার অনুরুপ। আবার জন্মচক্রে এটাই বারযাখ বা কবর হিসেবেও অভিহিত হয়। কারণ চক্রের কারণেই বারবার এই অন্তরাল বা বারযাখ বা স্তর অতিক্রম করে ভবে আসতে হয়। সেই হিসাবে মুক্তিপিয়াসীদের কাছে এটা কবর তুল্য।

এই দাবী শুধু করলে।তো হবে না। চাই যথেস্ট তথ্য উপাত্ত, যুক্তি প্রমাণ। এই দর্শন চর্চায় জন্মান্তরবাদের প্রমান দেওয়ার চেষ্টা আছে কুরআন ও হাদিস থেকে। এ অংশে জন্মান্তরবাদের আলোচনা থাকবে। আর কুরআন হাদিস থেকে উদ্ধৃতি ও তার ব্যাখ্যা থাকবে। এতে তথ্য রয়েছে তাদের জন্য, যারা জন্মান্তরবাদ বিশ্বাস করে না ও যারা বিশ্বাস করে; কিন্তু বিশ্বাস দুর্বল।

আল্লাহ তায়ালা বলেন "কিরূপে তোমরা আল্লাহকে অবিশ্বাস করছ? অথচ তোমরা মৃত ছিলে, অতঃপর তিনিই তোমাদেরকে জীবিত করেছেন, পুনরায় তিনি তোমাদেরকে মৃত করবেন এবং পুনরায় তোমাদেরকে জীবিত করা হবে। তারপর তোমারা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করবে।" (Al-Baqara 2:28)
এই আয়াত নিয়ে একটু ভাবুন, আমরা মৃত ছিলাম (জন্মের আগের কথা, জীবত করা হল (জন্ম গ্রহন করলাম), আবার মৃত্যু বরন করব (মানে মরে যাবো), আবার জীবিত হবো (মানে হাসরে উঠবো)। আলেমরা এভাবেই ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেয় যে, আমরা মরা ছিলাম, এইবার জন্ম নিলাম, আবার হাসরে উঠবো। কাহিনী শেষ, জন্মান্তরবাদ বলতে কিছুই নেই।
কিন্তু একটু লক্ষ করুন, শেষে আল্লাহ বললেন 'তারপর তোমারা তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করবে।" প্রত্যাবর্তন অর্থ হল যেখান থেকে আসা, আবার সেখানেই ফিরে যাওয়া। মৃত্যুর পর জীবত হওয়া মানেই প্রত্যাবর্তন নয়। তাই আল্লাহ আগে জীবিত করার কথা বলেছেন, পরে প্রত্যাবর্তন করার কথা বলেছেন। অর্থাৎ আমাদের জীবত করার পর আবার আসতে হবে পৃথিবীতে। কারন আমরা পৃথিবীতেই ছিলাম। তা না হলে আল্লাহ 'প্রত্যাবর্তন' এর কথা উল্লেখ করতেন না।
অপর আয়াতে আল্লাহ বলেন: (হে নবী) তুমি বলঃ তোমাদের (নিরূপিত) শরীকদের মধ্যে এমন কেহ আছে কি যে প্রথমবারও সৃষ্টি করে এবং পুনরাবর্তন করতে পারে? তুমি বলে দাওঃ আল্লাহই প্রথমবারও সৃষ্টি করেন, অতঃপর তিনিই পুনর্বারও সৃষ্টি করছেন, অতএব তোমরা (সত্য হতে) কোথায় ফিরে যাচ্ছ? (Yunus 10:34)
এই আয়াতে দেখা যায় যে, আল্লাহ বললেন তিনিই প্রথমে সৃষ্টি করেছেন এবং তিনিই তা পুনরায় সৃষ্টি করছেন (চলমান) এবং করবেন। (আরবী ভাষায় বর্তমান কাল ও ভবিষ্যতকালের শব্দ একই)। অর্থাৎ আল্লাহ এখনও পুনরায় সৃষ্টি করছেন তার পুরনো ধ্বংস হওয়া সৃষ্টিকে। অর্থাৎ আল্লাহ এখনও মৃতদের জীবত করছেন। কিন্তু মোল্লারা ত বলে যে কিয়ামতের পর জীবিত করবেন এবং হাসরের মাঠে উঠাবেন। এখান থেকেও বুঝা থেকেও বুঝা মানুষের জন্ম ও মৃত্যু হচ্ছে বার বার। যা জন্ম থেকে জন্মান্তর পর্যন্ত চলতেছে।
এইবার অন্য একটি আয়াতের দিকে লক্ষ করুন। আল্লাহ বলেন "তিনিই মৃত হতে জীবন্তের এবং জীবন্ত হতে মৃতের আবির্ভাব ঘটান এবং ভূমির মৃত্যুর পর ওকে পুনরুজ্জীবিত করেন। এভাবেই তোমরা প্রত্যাবর্তন করবে। (Ar-Room 30:19)

এই আয়াতে আল্লাহ বললেন যে তিনি মৃত হতে জীবিত বের করেন এবং জীবিত হতে মৃতকে। এখান থেকেও বুঝা যায় যে জন্মান্তরবাদ সত্য। কারন আল্লাহ আগে এখানে মৃত্যের কথা বলছে, মৃত থেকে তিনি জীবত করেন। তিনি বলেন কি যে, অনস্তিত্ব থেকে তিনি জীবন বের করেন। যেন অন্য আয়াতে আল্লাহ স্পষ্টভাবে বলছেন যে, "তারা কি লক্ষ্য করেনা যে, কিভাবে আল্লাহ সৃষ্টিকে অস্তিত্ব দান করেন? অতঃপর পুনরায় সৃষ্টি করবেন।" (Al-Ankaboot 29:19)। এই আয়াতে অনস্তিত্ব থেকে সৃষ্টির কথা বলে দিয়েছেন। কিন্তু উপরের আয়াতে আল্লাহ মৃতের থেকে জীবনকে বের করার কথা বলেছেন। মানে প্রানী মরার পর আবার জীবন লাভ করবে। আর মৃতকে অস্তিত্বহীন বলা যায় না। যেহেতু আল্লাহ এখানে অস্তিত্ব থেকে প্রান বের করার বা পুনরায় সৃষ্টির কথা উল্লেখ করেছেন, সেহেতু বলাই যায় যে প্রানীর মৃত্যুর পর জীবন ও জীবনের পর আবার মৃত্যু আছে।
অন্য একটি আয়াতে আল্লাহ বলেন' (হে নবী) আপনি বলুনঃ তোমাদেরকে প্রথম যেভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে, তোমরা তেমনিভাবে ফিরে আসবে। (Al-Araf 7:29)

এই আয়াত ত একদম স্পষ্ট প্রমান বহন করে যে জন্মান্তরবাদ মহাসত্য। কারন আল্লাহ বলেছেন আমাদের প্রথম যেভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে, সেভাবেই আল্লাহর নিকট ফিরে যাবো। এখানে আল্লাহ আদম (আ) এর সৃষ্টির কথা বলেননি, বলেছেন আমাদের সবার কথা, কারন আয়াতে আল্লাহ বহুবচন শব্দ ব্যবহার করেছেন। আল্লাহ ত আমাদের মায়ের গর্ভে রেখে ধাপের ধাপে সৃষ্ট করেছেন তাঁর মহাকুদরতী পদ্ধতিতে। সুতরাং আমাদের প্রত্যাবর্তনও ঠিক এইভাবেই হবে, যেভাবে আমাদের জন্ম হয়েছে পৃথিবীতে। বিষয়টা খুবই সহজ। একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারবেন।
এব্যপারে অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেনঃ “যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টি করেছি সেভাবেই আমি সেটার পুনরাবর্তন ঘটাব”। [সূরা আল-আম্বিয়া: ১০৪]
এই আয়াত থেকেও বুঝা যায় মাতৃগর্ভের মাধ্যমে আবারও জন্মগ্রহন করার কথা। আমাদের আল্লাহ উলঙ্গ করে সৃষ্টি করেছিলেন, আবারও শিশুর বেশে উলঙ্গ হয়েই জন্ম গ্রহন করতে হবে মৃত্যুর পর। এই বিষয়টা আরো পরিস্কার করে দিয়েছেন রাসূল (স)। হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মহানবী (সাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, "কিয়ামতের দিন মানুষকে উলঙ্গ পদে, উলঙ্গ দেহে ও খাতনাহীন অবস্হায় কবর থেকে হাশরের ময়দানে একত্রিত করা হবে ।" (বোখারী-মুসলিম ।)
উপরে বর্নিত আয়াত যে জন্মান্তরবাদের ব্যপারেই নাজিল হয়েছে, তার প্রমান স্বরুপ অন্য আরেক হাদিসে আছে, নবী করিম (সাঃ) বলেছেন, " কিয়ামতের দিন তোমোদের উলঙ্গ পদে, উলঙ্গ দেহে ও খাতনাহীন অবস্হায় হাশরের ময়দানে একত্রিত করা হবে।"একথা বলে তিনি কুরআনের এ আয়াত পাঠ করলেন, 'প্রথমবার সৃষ্টি করার সময় আমি যেরূপ সূচনা করেছি , দ্বিতীয়বারও আমি তাদেরকে অনুরূপভাবে সৃষ্টি করব।'

আল্লাহ মানুষকে তার কর্মের ফল দিবেন। আর তার ফল দেওয়ার জন্যে ত পৃথিবীতেই আসতে হবে এটাই স্বাভাবিক। কারন সূরা যিলযালে আল্লাহ বলেন 'তুমি যা করবা তার বদলা পাইয়া'। অর্থাৎ আমি কাউকে ভালবাসলে ভালবাসা পাবো, আর কাউকে আঘাত করলে আঘাত পাবো। ভালাবাসা পাওয়ার জন্যে ত আমাকেমাকে পৃথিবীতেই আসতে হবে, আর আঘাত পাওয়ার জন্যেও তাই। অবশ্যই থাপ্পরের বিনিময় থাপ্পরই হবে, থাপ্পরের বিনিময়ে আগুন জ্বালানোর কোনো যুক্তিকতাই নাই। আর আল্লাহ ত অবিচারক নন, উনি সর্বোত্তম বিচারক। অবশ্যই তিনি আমাদের থাপ্পরের বিনিময়ে আগুনে জ্বালানোর মত বেইনসাফী করবেন না। আল্লাহ তায়ালা অন্য আয়াতে বলেনঃ "তোমাদের সকলকে তাঁরই দিকে ফিরে যেতে হবে, আল্লাহর ও‘য়াদা সত্য; নিশ্চয়ই তিনিই প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তিনিই পুনর্বার সৃষ্টি করবেন, যাতে এরূপ লোকদের যারা ঈমান এনেছে এবং ভাল কাজ করেছে তাদেরকে ইনসাফ মত প্রতিফল প্রদান করেন; (Yunus 10:4)

আমাদের সাথে যা ঘটে, তা আমাদেরই কর্মের ফল, কিন্তু একটি শিশু জন্ম থেকেই তবে কেন প্রতিবন্ধি হয়!!! অবশ্যই স্রষ্টা অবিচারক নন। অনেকেই বলে যে পরীক্ষার জন্য, কিন্তু পরীক্ষা ত সবার একই, তবে প্রশ্ন পত্র কেন ভিন্ন! একেকজনকে কেন একেকভাবে পরীক্ষা নিবেন!!! এটা কোন ধরনের ইনসাফ!!! এথেকেও বুঝা যায় জন্মান্তরবাদ সত্য এবং প্রভু নির্দোষ। উনি শুধু আমাদের কর্মের ফল প্রদান করেন ।যেমন আল্লাহ বলেনঃ 'তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে তাতো তোমাদেরই কৃতকর্মের ফল।' (Ash-Shura 42:30)
আবার কেন প্রানী পশু কূলে জন্ম গ্রহন করে মানুষ কেন মানব জনম হারিয়ে পশুকূলে যায়, সেটাও আল্লাহ কুরআনে স্পষ্ট ভাবেই বলে দিয়েছেন সূরা ত্বীনের মধ্যে। আল্লাহ বলেন : "অবশ্যই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সর্বোত্তম গঠনে। তারপর আমি তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি হীনদের হীনতম রূপে। তবে যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকর্ম করেছে, তাদের জন্য রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন পুরস্কার। সুতরাং এরপরও কিসে তোমাকে কর্মফল সম্পকের্ অবিশ্বাসী করে তোলে? আল্লাহ কি বিচারকদের শ্রেষ্ঠ বিচারক নন?"
আয়াত জন্মান্তরবাদ এর প্রমান বহন করে। মানুষের কুকর্মের জন্যেই তাকে আল্লাহ পশু কূলে পাঠান। অনেকেই এই আয়াতের ব্যখ্যা বলে যে যারা শনিবারের বিধি-নিষেধ পালন না করে মাছ শিকার করেছিল, তাদের আল্লাহ বানর বানিয়ে দিয়েছিলেন, তাই আল্লাহ এই আয়াত নাজিল করেছেন। কিন্তু এটা মিথ্যাচার। আল্লাহ বানরের ঘটনা কুরআনের অন্য জায়গায় আলোচনা করেছেন। আর কুরআন ত সর্বকালের জন্য ও সার্বজনীন। সূরা ত্বীনে আল্লাহ সেসব মানুষের কথাই বলেছেন, যাদেরকে পাপ কর্মের ফলে পশু কূলে স্থানান্তর করেছেন।

আত্মার এই আসা যাওয়ার শুরু কোথায়? কেন আমরা এই চক্রে আবদ্ধ হলাম। আল্লাহ কি দায়ী? না আমরাই দায়ী? সৃষ্টি তত্ত্বের শুরু নিয়ে গবেষনা কারীদের লিপিবদ্ধ বিবরনীতে পাওয়া যায় এর একটা আউটলাইন। এটিখলিলের লিখিত আত্মর্দশনে সত্য দর্শন এ পাই-
সৃষ্টির আদিতে বস্তুনচিয় সৃষ্টির পর আল্লাহ সমস্ত আত্মাকে একসাথে তৈরি করে সারিবদ্ধভাবে দাড় করিয়ে জিজ্ঞাস করলেন "আমি কি তোমাদের প্রভু নই?" (আলাসতু বিররাব্বকিকুম)। উত্তরে আত্মা (রূহ) বলল "না"। অতঃপর তাদের শাস্তি প্রদান করা হল, তারপর আবার পূর্বের ন্যায় জিজ্ঞাস করা হল 'আমি কি তোমাদের প্রভু নই?" এবারও তারা অস্বীকার করল, এভাবে কয়েকবার করা হলে তাদের শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে দুর্বল করা হল। তারপর আবার যখন তাদের জিজ্ঞাস করা হল 'আমি কি তোমাদের প্রভু নই?" তখন তারা বলল "হ্যা" (কালু বালা)। অত:পর আত্ম সমূহের মধ্যে প্রতিযোগীতা শূরু হল। সকলেই দেখাতে চায় সে আল্লাহর সবচে প্রিয়, সবচে বাধ্য, সবচেয়ে যোগ্য। এই প্রতিযোগীতার মাঝে আল্লাহ তাদের থামালেন। থাম। তোমাদের আমি বস্তুচক্রে পাঠাব পরীক্ষার জন্য। পৃথিবীতে তোমরা অল্পকাল অতিবাহিত করবে। যাতে প্রমাণ হবে তোমরা কে সত্যবাদী! তোমাদের জন্য সময়ে সময়ে পথ প্রদর্শক প্রেরণ করব। যারা তার অনুসরণ করবে তারাই মুক্তি লাভ করবে। আর এই স্বীকৃতি প্রদানের প্রমাণ করার জন্যেই প্রানীকূলকে পৃথিবীতে আসতে হল কর্মের মাধ্যমে তা প্রমান করার জন্য। আত্মার সেই জগতকেই 'গঞ্জে মুখ্ফি' বলা হয়। এটাই জন্ম গ্রহনের প্রথম স্ট্যাশন (নয় বাতনের প্রথম পর্যায়)।
আমরা সবাই জন্মের পূর্বে গঞ্জ জাতে গোপন ছিলাম স্রষ্টার সাথে। সেটাই মূলত আলমে আরওয়া/ ব্রহ্মলোক। আবার আমাদের আবার যে কোনো মূল্যে সেখানেই ফিরে যেতে হবে সাধনার দ্বারা। সেখানে পৌঁছাতে পারলে আর আমাদের জন্মমৃত্যু হবে না, তখনই আমাদের জন্মমৃত্যু চক্র মুক্ত হবো, পাবো আমরা জান্নাতুল ফিরদাউস। বৌদ্ধধর্ম মতে যাকে 'নির্বাণ' বলা হয়।
কিন্তু যতদিন আমরা সাধনায় পূর্ন সিদ্ধি লাভ করতে না পারব, ততদিন মৃত্যুর পর ফিরে যেতে হবে 'গঞ্জে মুখফি'তে। এভাবে বার বার আসা যাওয়া করতে হবে আমাদের। যাকে বলা হয় 'অরুজ-নজুল' ভাঙ্গা গড়ার খেলা। অরুজ মানে উপরে যাওয়া আর নুজুল মানে নিন্মে আসা। অরুজ এর নয়টি ধাপ, আবার নুজুলেরও নয়টি ধাপ। নুজুলের ধাপ গুলোকেই 'বাতন' বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ প্রতিটি প্রাণীকে পৃথিবীতে জন্ম নিতে নয়টি স্টেশন ভ্রমণ করে আসতে হয়, ইহাকেই 'নয় বাতন' বলা হয়। এই ধাপ গুলোর ব্যপারের আল্লাহ বলেনঃ "তিনি তোমাদের ক্রমে ক্রমে (পর্যায়ক্রমে বা ধাপে ধাপে) সৃষ্টি করেছেন।" (সূরা নূহঃ ৭১:১৪)।

নয় বাতন বা সুপ্ত/গুপ্ত (যা গবেষক ব্যাতিত সাধারনের ধারনার বাইরে) জানার এবং বোঝার সুবিধার্থে নামগুলো উল্লেখ করা হল নয়টি বাতনী বা সুপ্ত/গুপ্ত স্তরগুলো হলঃ ১.গঞ্জে মুখফি, ২.জামাদাত, ৩.নাবাদাত, ৪.হায়ানাত, ৫.নুতফা, ৬.আলক্বা, ৭.দায়রা, ৮.জনীন, ৯.তেফেলি।

গঞ্জে মুখফি হল বাতনের প্রথম ধাপ। গঞ্জে মুখফির জগতকেই গঞ্জে জাত বলা হয়। আর বাতনের শেষ ধাপ হলো 'তেফেলি'। হোক সে মানুষ কিংবা অন্য কোনো প্রানী, তাকে এই নয়টি ধাপ অতিক্রম করতেই হবে জন্ম নিতে হলে।

১.গঞ্জে মুখফি (গঞ্জে জাত বা আলমে আরওয়া বা রূহের জগত): সমস্ত প্রাণীর আত্মা এখানেই ছিল, আবার এখানেই চলে যাবে মৃত্যুর পর।
২.জামাদাত (অর্থাৎ ধাতু বা জড়): এটা দ্বিতীয় ষ্টেশন বা মঞ্জিল। গঞ্জে মুখফি হতে কুয়াশাকারে আত্মা পৃথিবীতে নেমে আসে।
৩.নাবাদাত (অর্থাৎ বৃক্ষ): কুয়াশাকারে নেমে এসে আত্মা কোনো বৃক্ষের উপর পতিত হয়।
৪.হায়ানাত (অর্থাৎ পশু): এটা চতুর্থ স্ট্যাশন। সেই বৃক্ষ যে পুরুষ প্রানী ভক্ষন করে, আত্মা তাঁর মস্তকে চলে যায় এবং সুপ্ত হয়ে থাকে।
৫. নোৎফা (অর্থাৎ মণি বা বীর্য): আত্মা সুপ্ত হয়ে মস্তকে মধ্যে অবস্থান করে। যদি বৃক্ষ বা বৃক্ষের ফল মানুষ খায় তবে আত্মা মানুষের মস্তকে, আর যদি অন্য কোনো প্রাণীতে ভক্ষ করে, তবে আত্মা সেই প্রানীর মস্তকে চলে যায় (বাবার মস্তকে থাকে)।
৬.আলক্ব (অর্থাৎ জমাট বাধা রক্ত বা ঝুলে থাকা): তারপর বীর্য বাবার মস্তক থেকে মাতৃ রেহেম বা গর্ভাশয়ে নেমে এসে জমাট বাধা রক্তের গঠন ধারন করে। সূরা আলাকে ২য়য় আয়াতে এই বিষয়ে উল্লেখ করেছেন।
৭. জনিন (অপরিনত শেকেল): মানে অপরিনত দেহ। অর্থাৎ তখন দেহের আকার ধারন করে ঠিকই, কিন্তু পূর্ন হয় না।
৮.দায়রা (অর্থাৎ পূর্ন শেকেল): সবশেষে দেহ পূর্নতা লাভ করে একটি পূর্ন আকৃতি ধারন করে ২৮০ দিনে। মানে ৯ মাস দশ দিনে। অনেকেই দশ মাস দশ দিনের কথা বলে থাকে, সেটা ভুল তথ্য।
৯. তেফেলি ( এটার অর্থ শিশু। এখানে অর্থ হবে তেলেফি কামেল বা পূর্ন বিকাশ): অবশেষে প্রানী শিশু আকারে জন্ম গ্রহন করে পৃথিবীতে আসে।

এব্যাপারে মহান আল্লাহ্ বলেন,
ﻓَﺈِﻧَّﺎ ﺧَﻠَﻘْﻨَﺎﻛُﻢْ ﻣِﻦْ ﺗُﺮَﺍﺏٍ ﺛُﻢَّ ﻣِﻦْ ﻧُﻄْﻔَﺔٍ ﺛُﻢَّ ﻣِﻦْ ﻋَﻠَﻘَﺔٍ ﺛُﻢَّ ﻣِﻦْ ﻣُﻀْﻐَﺔٍ ﻣُﺨَﻠَّﻘَﺔٍ ﻭَﻏَﻴْﺮِ ﻣُﺨَﻠَّﻘَﺔٍ ﻟِﻨُﺒَﻴِّﻦَ ﻟَﻜُﻢْ ﻭَﻧُﻘِﺮُّ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺣَﺎﻡِ ﻣَﺎ ﻧَﺸَﺎﺀُ ﺇِﻟَﻰ ﺃَﺟَﻞٍ ﻣُﺴَﻤًّﻰ ﺛُﻢَّ ﻧُﺨْﺮِﺟُﻜُﻢْ ﻃِﻔْﻼً - ‘
অতঃপর আমরা তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছি। এরপর বীর্য থেকে (নুফতা), জমাট বাঁধা রক্ত থেকে (আলক্বা) , এরপর পূর্ণ আকৃতি (দায়রা) ও অপূর্ণ আকৃতি বিশিষ্ট গোশতপিন্ড থেকে (জনিন), তোমাদের কাছে ব্যক্ত করার জন্যে। আর আমরা নির্দিষ্ট কালের জন্য মাতৃগর্ভে যা ইচ্ছা রেখে দেই, এরপর শিশু অবস্থায় বের করি (তেফেলি)। (সূরা হজ্জ ২২/৫)।

এভাবে দুনিয়াতে আসার পর আবার ফিরে যেতে হয় সেই গঞ্জমুখফিতে। এভাবেই চলতে থাকে আমাদের আসা যাওয়ার পালা। কিন্তু এই মার্তৃগর্ভের বা জঠরের যন্ত্রতা অনেক ভয়ানক। স্রষ্টার দয়ার ফলে জন্মের পর আমরা সেই যন্ত্রনাকে ভুলে যাই। এটাকেই গূড় বা কবরের আজাব বলে। মূলত মাতৃগর্ভটাই কবর। এই কবরের আজাব থেকে কারো মুক্তি নেই, এমনকি ওলী-আল্লাহ, গাউস কুতুবদেরও না, অবতাররাও এই যন্ত্রনা ভোগ করে মানব কূলে জন্ম নেন।

তাই সাধনার দ্বারা জন্ম মৃত্যুকে বারণ করে নির্বান লাভের মাধ্যমে ওলী আল্লাহ, সাধু, মনি-ঋষীগন এই কবরের আযাব থেকে চিরমুক্তি লাভ করিয়া স্রষ্টার সাথে মিলিত হন। এই স্তরকেই বাকা বিল্লাহর স্তর বলা হয়।

বাসনা থাকতে জীবের এই আসা যাওয়া বারণ হবে না। সে শত কোটি জনম এভাবেই ভ্রমন করতে থাকবে আর জঠরের যন্ত্রনা ভোগ করবে। জন্মমৃত্যু বারনের উপায় একটাই, সেটা হল বাসনাকে বর্জন করা। বাসনাই হল 'কাম'। কাম শুধু যৌনতাই নয়। আমাদের বাসনা থেকে মুক্তি লাভ করতে হবে, তবেই আমরা প্রকৃত মুক্তি লাভ করব। যাকে বলা হয় জন্মমৃত্যু বারণ বা নির্বান লাভ।
আসা যাওয়া শুধু মানব কূলেই নয়, পাপ কর্মের কারনে ৮৪ এর ফেরে পরে গিয়ে পশু কূলেও আসতে হতে পারে।

জন্মান্তরবাদ নিয়ে সবার একই প্রশ্ন... যদি বার বার পৃথিবীতে আসা যাওয়া করতে থাকি, তবে কি কিয়ামত হবে না? কবরের আযাব কি মিথ্যা? হাশর হবে না? পুলসিরাত হবে না? মিজানের পাল্লা হবে না? জান্নাত জাহান্নাম কি নেই?
কিয়ামত দ্বারা সবাই বুঝি এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড ধ্বংস হওয়াকে। কিন্তু এর হাকীকত কি? কিয়ামত এর হাকিকত হল.. মৃত্যুই কিয়ামত। এই দেহ হল বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড। যা আছে ব্রহ্মান্ডে তা আছে দেহভান্ডে। এই দেহেই রয়েছে চন্দ্র-সূর্য গ্রহ নক্ষত্র। এই দেহেই রয়েছে সাগর পাহাড়। এই দেহেই রয়েছে আরশ কুরসি লৌহ কলম।

কবর দ্বারা সাধারনত বুঝায় মানুষ মারা যাওয়ার পর যে গর্তে তাকে দাফন করা হয়ে, সেটাকেই। কিন্তু হাদিসে করবের আযাবের কথা বলা আছে সত্যি, তবে সেগুলো রূপক অর্থে। কারন অনেক মানুষ আছে, যাদের দাফন করা হয় না। তাহলে তাদের কবরের আযাব কিভাবে হবে? অথচ আল্লাহর রাসূল (স) এর হাদিস থেকে জানা যায় যে, সবারই কবরের আযাব হবে অথবা জান্নাতের বাগান হবে কবর। তবে ত হাদিস মিথ্যা হয়ে যায়। মূলত কবর হলো মাতৃগর্ভ। যেটা অনেক আগেই উল্লেখ করেছি। সবাইকে এই করব বা আলমে বারজাখ অতিক্রম করেই হাসরে উঠতে হবে।

হাসরের মাঠ দ্বারা বুঝায় পরিনামের মাঠ। হাসর মানেই পরিনাম। পৃথিবীই হাসরের মাঠ। আমরা সবাই এখন পরিনামের মাঠেই আছি। পূর্বের জন্মের কর্মফল পাচ্ছি সবাই। ভালর বিনিময়ে ভাল পাচ্ছি, খারাপের বিনিময়ে খারাপ প্রতিদান পাচ্ছি। তাই ত কেউ জন্ম থেকেই অন্ধ, নেংড়া, বোবা হয়, আর কেউ হয় সুদর্শন। কেউ রাজার ঘরে জন্ম নেয়, আর কেউ জন্ম নেয় ভিখারীর ঘরে। কেউ বা আবার পশুকূলে জন্মগ্রহন করে।

মিজান তথা দাঁড়িপাল্লা হল পাপ ও পূন্য পরিমাপের কুদরতী যন্ত্র। যেটার মাধ্যমে মানুষের কৃতকর্ম গুলো পরিমাপ করা হবে। পাপ ও পূন্য ধরা ছুয়া যায় না, এগুলো ত বস্তুই নয়। তবে দাঁড়িপাল্লায় পরিমাপের বিষয়টা নিশ্চয়ই অযৌক্তিক। কিন্তু না! আল্লাহ অযৌক্তিক কিছু বলতেই পারেন না। মিজান এর হাকীকত হল মানুষের বিবেক। বিবেক মানুষকে পাপ ও পূন্যের পরিমাপ করে। এটা কম বেশি বিবেকবান মানুষ সবাই বুঝে। তাই একই কর্মের জন্য কেউ পাপী আবার কেউ পূন্যবান হতে পারে এই বিবেকের কারনে। যার বিবেক যেটাকে পাপ বলবে, সেটা তারজন্য পাপই, আর বিবেক যেটাকে পূন্য বলবে, সেটা পূন্য বা সওয়াব।
জান্নাত ও জাহান্নাম এই দুনিয়ার মাঝেই।
কোথায় স্বর্গ কোথায় নরকে
কে বলে তা বহুদূর
মানুষেরই মাঝে স্বর্গ নরক
মানুষেতে সুর অসুর

তবে প্রকৃত জান্নাত মূলত একটাই। সেটা হল জান্নাতুল ফেরদাউস। যেটাকেই বলা হয় 'নির্বাণ লাভ' বা 'জন্ম-মৃত্যু বারন'। এবিষয় নিয়ে পরে বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করব।

বিষয়টি প্রতিটি অংশ এত ব্যপকতর যার স্রেফ সংক্ষেপ আউটলাইন টানার চেষ্টা করেছি। আর যতটা খোলাসা করে বলা সম্ভব সেটাও বললাম। বাকীটা নিজ নিজ গুরু বা নিজ নিজ গবেষনায় জেনে নিবেন। যদি সত্য জানার আগ্রহ থাকে। সত্য পাবার ইচ্ছা থাকে।

কাউকে জোর করে বিশ্বাস কারানোর জন্য এ লেখা নয়। একটা প্রচলিত দর্শন এবং তার পূর্ন একটা রুপ অনুসন্ধানে ব্রতী হয়ে যা পেয়েছি তাই সকলের জন্য উপস্থাপন করেছি। দ্বি-মত, ভিন্নমত, বহুমত থাকতেই পারে। তা নিয়ে বিষয় ভিত্তিক তাত্ত্বিক আলোচনা সু-স্বগত।


মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১

কাছের-মানুষ বলেছেন: আগের পর্বগুলো পড়েছি ।
লেখাটা বড় সময় নিয়ে পড়ব !

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা

সিরিজে উৎসাহ পাচ্ছি।

শুভেচ্ছা অফুরান

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


হিন্দু ধর্মই সবচেয়ে পুরাতন ধর্ম, ৫০০০ বছরের বেশী টিকে আছে, বাড়ছে; এবং উহার বর্তমান কার্যকলাপ অনুসারে বুঝা যাচ্ছে, এটা সবচেয়ে বেশীদিন টিকে থাকবে; কারণ, ইহা "চলিত সময়ের" সাথে সবচেয়ে বেশী তাল মিলাতে পারে, নিজকে বদলাতে পারে ও ইহার সঠিক কোন "বাঁধাধরা একক মহাশক্তি (খোদা, আল্লাহ)" নেই; মানুষ যাকে ভালো লাগে( শিব, কৃষন, বিষনু, গণেশ, ব্রান্ম ) নিজের পুজনীয় হিসেবে নিতে পারে, সবাকে পুজা করার বাধ্যতা নেই; কে কালী পুজা করবে, কে দুর্গা পুজা, কে মনসার পুজা করবে, সেটা নিজের চয়েস অনুসারে করতে পারে।

পুর্ন জন্ম ও "এস্ট্রোলোজীর মতন ভুল বিদ্যা হিন্দু ধর্ম চালু করেছিল আদি সময়ে, হয়তো ৫০০০ বছর আগে; তাদের পাশাপাশি "গ্রীক ধর্ম ও রোমান ধর্মের লোকেরা" ও ফারাওন রাজ বংশ পুর্ন জন্ম ও "এস্ট্রোলোজীকে বিশালভাবে প্রতিস্ঠিত করেছে। গ্রীক থেকে ও মিশর এগুলো আরবে প্রবেশ করেছে। গ্রীক ও রোমানেরা উন্নত জাতি হিসেবে নিজেদের প্রতিস্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে, তাদের ধর্মগুলো হারিয়ে গেছে।

হিন্দুরা ও আরবেরা গ্রীক ও রোমানদের মত শিক্ষিত হতে পারেনি, তাই "আত্মা, পুর্ন জন্ম ও "এস্ট্রোলোজীর" মতন ভুল বিদ্যা অনুসরণ করে চলছে।

এগুলো দর্শন নয়, এগুলো আদি বিদ্যা, যা ভুলের উপর প্রতিস্ঠিত, ৫০০০ বছর আগের ধারণা।

আজও হিন্দু বিয়েতে এস্ট্রোলোজীর'র প্রয়োগ ৯৫%. আজও তারা পুর্ণ জন্ম নিয়ে ব্যস্ত।

আত্মার নতুন ধাারণা হচ্ছে, ইহা মানুষের মগজের ও মেমোরীর মিলিত "ফাংশান"; মগজ মরে গেলে "ফাংশান" শেষ।

আপনি ৫০০০ বছর আগের আদি বিদ্যা নিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন, আপনার মৌলিক ভাবনাগুলো ভুল।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ। আদিরও প্রয়োজন আছে। আপনার কাছে না থাকলে নাই। আমার কাছে আছে। তাই খুঁজছি।
আমার মৌলিক ভাবনা গুলো না হয় আমারই থাক।

আপনিই না হয় শুদ্ধ ভাবনার পোষ্ট দিন। আমরা অপেক্ষায়।

শুভেচ্ছা

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৬

প্রািন্ত বলেছেন: চাদগাজী ভাই সবজান্তা। তিনি সব সময়ই অন্যের উপর নিজের আধিপত্ত বিস্তার করে চলতেই ভালবাসেন। হিন্দুধর্মের ভূল ধরার মত মগজ আপনার এখনও হয়নি চান্দু ভাই। আপনি বলেছেন- আজও হিন্দু বিয়েতে এস্ট্রোলোজীর'র প্রয়োগ ৯৫%. আজও তারা পুর্ণ জন্ম নিয়ে ব্যস্ত। এটা ১০০% সঠিক। সঠিক দিনক্ষণ দেখে হিন্দুদের বিবাহ পড়ানো হয়। কোন রেজিষ্ট্রির প্রয়োজন হয়না। এখানে শুধুই ধর্মীয় বিশ্বাস ও পরস্পর আস্থার বিষয়টি কাজ করে। তার পরেও হিন্দু সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদের হার কত সেটা আপনারা ভালই জানেন। আমাদের দেশে মুসলমান সমাজে বিবাহের জন্য মেয়ে দেখতে গিয়ে একেবারে বিয়ে পড়িয়ে বাড়িতে আনার মত ঘটনা আমার জীবনে বহু দেখেছি, এখনও দেখছি এবং যতদিন আছি দেখতে পাব। কিন্তু এদেশের মুসলমান সমাজে বিবাহ বিচ্ছেদের যে ঘটনাগুলো ঘটে তা মূলত সঠিক দিনক্ষণ ও অদূরদর্শি সিদ্ধান্তের কারণেই। লেখককে ধন্যবাদ একটা সুন্দর লেখা উপহার দেয়ার জন্য।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আলটিমেট আইডেন্টিটি ;)
উনার ভাবনা শিক্ষাই -উনার চেতনা গড়েছে। তাই কিছু বলার নেই।
স্ব-মূল্যায়নেই বড় ব্যাস্ত অন্যের পানে তাকানো সময় কই ;)

ধন্যবাদ সুন্দর লাগায় :)
শুভেচ্ছা


২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরা এমন কোন কমেন্ট না করি যাতে আলোচনা মূল ফোকাস ছেড়ে ভিন্ন ট্র্যাকে চলে যায়।
কেউই পালনে শতভাগ ঠিক নয়। জীবন যাপনের বোধের পরিবর্তনও অনেক বিষয়কে প্রভাবিত করছে। তাই অন্য আচরণগত বিষয়গুলো ভিন্ন পোষ্টে না হয় আলোচনা হতে পারে।

আশা করি বুঝতে পারছেন

৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


@প্রািন্ত ,

আমি হিন্দু ধর্মের কথা বলেছি, "আত্মা ও পুর্নজন্মের " মত বিশ্বাসের উৎপত্তির উৎসের কথা বলতে গিয়ে; এই ধারণাগুলো মানুষের আদি ধারণা, এস্ট্রোলোজীর (ভুল সায়েন্স) অংশ, সেগুলো ৫০০০ বছর আগের থেকে চলে আসছে; ফেরাওনরা, গ্রীক ও রোমানরা এগুলোকে তাদের ধর্মে স্হান দিয়েছিল; সেই সব ধর্ম নেই; কিন্তু হিন্দু ধর্ম ঠিকই আছে।

গ্রীক, রোমান ও মিশর থেকে এগুলো আরবে প্রবেশ করেছে; এটা আমার বক্তব্য।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আশা করি @প্রািন্ত আপনার বক্তব্য দেখেছেন । ধন্যবাদ

৫| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:

@প্রািন্ত ,
আপনি বলেছেন, "হিন্দুধর্মের ভূল ধরার মত মগজ আপনার এখনও হয়নি চান্দু ভাই। "

-আমি হিন্দু ধর্মের ভুল ধরিনি, আমি হিন্দু ধর্মের সামন্য বৈশিস্ঠ্য তুলে ধরে বলেছি যে, এই ধর্মটি সবচেয়ে বেশীদিন ছিল, ও বেশীদিন টিকে থাকবে; এটা ভুল ধরা?

৬| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪০

নীলপরি বলেছেন: বেশ ধৈর্য্য নিয়ে লেখাটা লিখছেন বুঝতে পারছি । ভালো লাগলো ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নীলপরি

ভাললাগায় কৃতজ্ঞতা, শুভেচ্ছা

৭| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৪

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: @প্রািন্ত , ভেবেছিলাম পোষ্টটিতে কমেন্ট করব না। কিন্ত মুসলমানদের নিয়ে আপনার চুলকানী দেখে কমেন্ট না করে পারছিনা। আপনারা দিনক্ষণ দেখে বিয়ে দেন সেজন্য বিবাহ বিচ্ছেদ কম? আপনাদের বিয়ে রেজিষ্ট্রি কয়টা হয়? স্বামী ভাত কাপড় দেয়না মেয়ে বাপের বাড়ীতে এসে থাকে , স্বামী আবার বিয়ে করে। এটা খুব সুন্দর ধার্মিক কাজ তাই না। যাদের বিয়ে রেজিষ্ট্রি হয়না সাধারনত, আবার তালাক?
আপনার একটি ভুল ধারনা আছে যে, রেজিষ্ট্রি করা মুসলিম বিয়ের শর্ত। আপনার সদয় অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, রেজিষ্ট্রি মুসলিম বিয়ের আবশ্যিক বিষয় নয়, এটা সরকারী বাধ্যবাধকতা। যা একজন নারীর তালাকের ক্ষেত্রে নুন্যতম প্রাপ্যতা নিশ্চিত করে আইনগতভাবে (বাস্তবে নাও হতে পারে, এবিষয়ে সমস্যা মনে করলে আইন ও বিচারবিভাগকে জানান)।এদেশে কত পার্সেন্ট হিন্দু বসবাস করে ? তারা কিভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের সংখ্যায় মুসলমানদেরকে অতিক্রম করবে? যেখানে বেশিরভাগ হিন্দু বিয়ে রেজিস্ট্রিই হয়না।

ইসলাম কোন বিষয় ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পৃথিবীতে আসেনি। কোন ভৌতিক বিশ্বাস ইসলামে নেই।এসেছে সবকিছুর সাম্যতা (সমান নয়)বজায় রাখার জন্য। মুসলিম বিয়েতে দেনমোহরের বিষয় আছে, যৌতুকের বিষয় নেই।আপনাদের মাঝ থেকে এ ভাইরাস মুসলমানদেরকে আক্রান্ত করেছে।

আপনার ধর্ম আপনার-আমার ধর্ম আমার।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হুম
সেইটাই আপনার ধর্ম আপনার-আমার ধর্ম আমার।

ভাল থাকুন

৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০২

কালীদাস বলেছেন: কোরআনে উল্লেখকৃত আত্মার আসা-যাওয়ার সাইকেলের ব্যাখ্যাটা আরও সহজবোধ্য করে দিলে ভাল হত!

আয়াত জন্মান্তরবাদ এর প্রমান বহন করে। মানুষের কুকর্মের জন্যেই তাকে আল্লাহ পশু কূলে পাঠান। অনেকেই এই আয়াতের ব্যখ্যা বলে যে যারা শনিবারের বিধি-নিষেধ পালন না করে মাছ শিকার করেছিল, তাদের আল্লাহ বানর বানিয়ে দিয়েছিলেন, তাই আল্লাহ এই আয়াত নাজিল করেছেন। কিন্তু এটা মিথ্যাচার। আল্লাহ বানরের ঘটনা কুরআনের অন্য জায়গায় আলোচনা করেছেন। আর কুরআন ত সর্বকালের জন্য ও সার্বজনীন। সূরা ত্বীনে আল্লাহ সেসব মানুষের কথাই বলেছেন, যাদেরকে পাপ কর্মের ফলে পশু কূলে স্থানান্তর করেছেন।

এই জায়গাটা বেশ কনফিউজিং। বাস্তবে পশুদের বা গাছের আত্মার কথার উল্লেখ কোরআনে তেমন দেখেছি বলে মনে করতে পারছি না। আরেকটু ব্যাখ্যা করতে পারেন?

আরেকটা জিনিষ, আমি শিওর না টপিকটা আজকের পোস্টের টপিকের সাথে যায় কিনা। কোরআন শরীফে কয়েক জায়গায় উল্লেখ আছে হজরত ঈসার (আঃ) মৃতদেহে প্রাণ সঞ্চারণের (অবশ্য আল্লাহপাকের হুকুমে)। সেটাকে কিভাবে খাপ খাওয়াবেন আপনার সিরিজে? বাইদ্যাওয়ে, একজন পুরান ব্লগার হিসাবে আশা করি আপনি জানেন আমি ধার্মিক মুসলিম।

চলুক সিরিজ :)

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সিরিজে নিয়িমত উৎসাহ দিয়ে পাশে থাকায়।
কৃতজ্ঞতা

আপনার গ্রীক ইতিহাসটা ঘেটে দেখেছি আসলেই দারুন। কিন্তু ইনসার্ট করেত গিয়েও থেমে গেছি পর্ব আরেকটা বেগে যায় বেল। তবে মূল পাঠে যুক্ত করে রেখেছি। ধন্যবাদ আপনাকে মনে করিয়ে দেয়ায়।

কোরআনে আসলে অধিকাংশই রুপকে খুব অল্প কথায় ব্যক্ত আপনি জানেন। তাই সংশ্লিষ্ট গুলার শুধু বলার চেস্টা করেছি। যেমন আসা যাওয়ার আরেকটা আয়াত ফস্কে গেছে এখইন মনে পড়েছ।
"তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করে কিভাবে হইবে পুনরুস্থান! তারা কি দেখে না মৃত জমিন কিভাবে অন্কুেরাদগম করে। এভাবেই হবে পূণরুস্থান বা পূর্নজনম।

শনিবারের আদেশ লঙ্ঘনের কাহিনী একলাইনে বিবৃত হয়েছে; বিস্তারিত তাফছিরে পাবেন। যাবুর কিতাবের আবৃত্তি শুনতে মাছেরাও নিকটস্থ বে তে জড়ো হতো। নবীর কন্ঠে আবৃত্তি শুনে চলে যেত। যারা মৎস শিকারী তারা সুযোগটা নিতে চাইল। বাক বিতন্ডার পর ঠিক হল শনিবার তারা মাছ মারবে না কিন্তু তারা বে তে আসার পর মাছের ফেরার পথ বন্ধ করে দেয়। যাতে মাছেরা ফিরে যেতে না পারে। পরে রবিবার তা শিকার করে। যারা শিকার করেছে এবং তারা প্রতিবাদ করেনি- তাদের উপর আল্লাহর আযাব হিসেবে হুকুম আসে তোমরা অধম বানর হয়ে যাও। এক্সেপশনাল পানিশমেন্ট হিসেবেই তা ছিল।

ঈসা আ: এর প্রাণ ফেরানো বা মৃতে প্রাণ দান ছিল বিশেষ নিদর্শন। তাতেও জন্মচক্রের ব্যাত্যয় ঘটেনা বটে। বিশেষ বিবেচনায় কোন বিষয়কে অনুমোদনের সূত্রে!
আর এইটার সমন্বয় করতে আরেকটা আয়াত আপনাকে সহজতা দেবে। যেখানে আল্লাহ বলছেন- বান্দা যখন আমার হয়ে যায়, আমি তার হয়ে যাই। আমি তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে, পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে চলে!
অর্থাৎ রবুবিয়াতের গুনে গুনান্বিত হবার ক্ষমতা মানুষকে দিয়েই আল্লাহ প্রতিনিধি বানিয়েছেন।
আর রবের সর্বোচ্চ ক্ষমতার কথা বলেছেন- তিনি যখন কোন কিছু চান বলে হও। অমনি তা হয়ে যায়।
প্রিয় বান্দাদের মাঝেও সেই শক্তির বিকাশ যুগে যুগে কালে কারে নিদর্শন হিসাবে দেখিযেছেন। বাকীরা তা অর্জন করবে কি করে। বিশ্বাসই যে নাই ;)
হুম। জানি।

৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



গবেষনায় কৃতজ্ঞতা! সতর্কতার সাথে এগিয়ে যান।

নিরন্তর ভাল লাগা।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা

সতকর্তার চাপ বেশ অনুভব করছি ;)

এ জন্যেই নবিজী বলেছিলেন মূর্খতার চেয়ে বড় পাপা আর নাই!
ভাল থাকুন।
শুভকামনা অন্তহীন

১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫০

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: জন্মান্তরবাদ নতুন কোন ধারনা নয়।
আদি কাল থেকেই এই ধারনা মানুষের মাঝে প্রতিষ্ঠিত আছে।
হিন্দু ধর্মে এই জন্মান্তরবাদের ভিত্তিতে মানুষকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছিল।
যাতে ভাল কাজ করে উচ্চ বংশে জন্ম নিয়ে সুফল পেতে পারে আবার খারাপ কাজ করলে নিম্ম বংশে জন্ম নিয়ে তার শাস্তি ভোগ করতে পারে।
আপনি কোরআন থেকে জন্মান্তরবাদ প্রমানের যে চেস্টা করেছেন সেটা যদি গ্রহনযোগ্য করতে হয় তাহলে দুটি বিষয় সংযোগ করতে হবে - ১। হিন্দু ধর্মেরমত ইসলামেও মানুষের উচ্চ ও নিম্ম বংশ তৈরী করতে হবে- যাতে জন্মের ভিত্তিতে সাস্তি ও পুরোষ্কার পেতে পারে।
২। জাহান্নামের আগুনে পোড়ার অনন্ত শাস্তির যত কথা কোরআনে আছে তার সব বাতিল করতে হবে - কারণ দুনিয়ার জীবনতো কিছুতেই অনন্ত হতে পারে না। জান্নাতে না হয় যাবে দুনিয়ার মোহ মুক্তির পর - কিন্তু অনন্ত জাহান্নামে মানুষ কেন যাবে?

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে - জন্মান্তরবাদের ভিত্তিতে তৈরী বংশক্রম আজকে হিন্দু ধর্ম থেকেই বাতিল হয়ে যাচ্ছে, আর কোরআন থেকে অনন্ত জাহান্নামের ধারনাও কিছুতেই বাতিল করা সম্ভব নয়।

আচ্ছা একটা প্রশ্ন রাখছি: একজন খুনি যদি কোন নিরপরাধ মানুষকে খুন করে তাহলে ন্যায় বিচার হিসেবে তারও খুনের কষ্ট ভোগ করা উচিত। এখন ধরুন একজন হিটলার যার হাতে নিহত মানুষের সংখ্যা কয়েক লাখ - তাহলে এই দুনিয়ার জীবনে তার প্রতি ন্যায় বিচার করতে হলে কয়েক লাখ বার জন্ম নিয়ে নিজে নিরপরাধ থেকে খুন হতে হবে (স্বাভাবিক মৃত্যু নয়)। আবার তাকে যারা খুন করবে তাদেরওতো এই পৃথিবীতে আবার জন্ম নিয়ে খুন হতে হবে স্বাস্তি পাওয়ার জন্য। তাহলে এই অনন্ত ক্রমবর্ধমান চক্র শেষ হবে কীভাবে?

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনকে ধন্যবাদ কাঙাল মুরশিদ ভাই।

না আমি কিছু প্রমাণের চেষ্টা করছি না বরং আলোচিত জ্ঞান ধারনা এবং বিশ্বাসের সমন্বয়ে সত্য খুঁজতে চাইছি।

১। হিন্দু ধর্মেরমত ইসলামেও মানুষের উচ্চ ও নিম্ম বংশ তৈরী করতে হবে- যাতে জন্মের ভিত্তিতে সাস্তি ও পুরোষ্কার পেতে পারে।
<< হিন্দু ধর্মেও কিন্তু বংশ গৌরবের স্থান নেই, ছিল না। যা পরবর্তীতে লোভী জ্ঞানপাপী মানুষের স্বার্থের কারণে সৃষ্ট! যেমন ইব্রাহিম আ: এর ধর্মে মূর্তি ছিল না, কিন্তু মাত্র ৫০০ বছরের ব্যবধানে তাতে ৩৬০টি মূর্তি প্রতিস্থাপিত হয়েছিল।
চর্যাপদে দোহারে বিস্ময়কর উচ্চারণ পাবেন যা আজকের দিনের মানবতাবাদীরা্ও উচ্চারণ করতে ভয় পায়! অথচ হাজার বছর আগেই তারা তীব্র শব্দাঘাতে সেই সব ভন্ডামীর প্রতিবাদ করে গেছেন। যারা ধর্মের লেবাস দিয়ে সাধারন মানুষকে প্রতারিত করে গেছে। ধর্মের মূল্য সত্য বললে যে তাদের পেটেও পাথর বাঁধতে হয়। সে কষ্ট করতে রাজি নয়। ব্যাস চলছে লেবাসী আর স্বার্থের জয়গান।
আর ইসলামে মানুষের যে সাম্যতার কথা আছে - তা আজকের সমাজে না শুধু অতীতেও সাহাবাদের কিছুকাল ছাড়া আর কোথাও দেখাতে পারবেন? নেই। আমরা সেই টার্ম ব্যবহার করছি স্বার্থ আর প্রয়োজনে। প্রকৃত জীবনাচারে পালনে সিকি ভাগও নেই ।
আবার ধরেই নিন পূর্ন সাম্যতাই প্রতিষ্ঠিতি - তার পরও চক্র অবিরতই থাকার কথা। কারণ চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌছার পথ লাভ!
পদার্থ থেকে অ-পদার্থে পৌছার কঠিন পথ! ম্যাটার থেকে এন্টি ম্যাটারে পৌছা! দেহ থেকে আত্মার জগতে সক্রিয় প্রত্যাবর্তন।


২। জাহান্নামের আগুনে পোড়ার অনন্ত শাস্তির যত কথা কোরআনে আছে তার সব বাতিল করতে হবে - কারণ দুনিয়ার জীবনতো কিছুতেই অনন্ত হতে পারে না। জান্নাতে না হয় যাবে দুনিয়ার মোহ মুক্তির পর - কিন্তু অনন্ত জাহান্নামে মানুষ কেন যাবে?
<< হুম । কোরআনের কোন কথাই বাতিল করতে হবে না। স্রেফ নিজেদের বোধকে প্রচলিত ভুলের বা চলমান ধারনার বাইরে মুক্ত আবহে আনতে হবে।
এটা সত্য দুনিয়ার জীবন অনন্ত হতে পারে না। কিন্তু বারযাখে আপনি পুন:প্রত্যাবর্তনের আগে কতকাল কাটাবেন তারতো নিশ্চয়তা নেই! ব্লাক হোলেই যদি আপনাকে সশরীরে ফেলে দেয় পরিণতি, শাস্তি , কষ্ট আর পুনরাবর্তন কাল হিসাব করুন ;)
সামনের পর্বে এই সময়কালের একটা সামান্য ধারনা আসছে। আশা করি দেখবেন।

ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা

১১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৭

মহা সমন্বয় বলেছেন: ধর্ম,নিজ বিশ্বাস,বিজ্ঞান এগুলা জগাখিচুরী পাঁকিয়ে যা পরিবেশন করা হয় এর নাম হচ্ছে অপবিজ্ঞান, দেখতে,শুনতে অনেক ভাল মনে হলেও মানব জাতির জন্য এসব অপবিজ্ঞান ক্ষতিকর।

২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

প্রত্যেকেই তার আপন জ্ঞান কক্ষে আবর্তনশীল :) এটা স্বাভাবিকও বটে। উত্তম েসই যে তুলনামূলক বিচার করে প্রকৃত সত্যকে ধারন করতে পারে।
ভাল থাকুন।

১২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৪

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: উত্তরের জন্য ধন্যবাদ।

বংশক্রমিক অবস্থা বা জন্ম কেন্দ্রীক বর্ণ প্রথা কে বা কেন করেছিল সেটা কিন্তু আমার বক্তব্য নয় - বরং আমার কথা হল জন্মের ভিত্তিতে সাস্তি পুরোষ্কার দিতে হলে এই ব্যাবস্থা খুবই জরুরী। কারণ এক জন্মে যে ভাল কাজ করবে পরের জন্মে সে উচ্চ বর্ণে জন্ম নেবে আর এক জন্মে যে খারাপ কাজ করবে পরের জন্মে সে নিম্ন বর্ণে জন্মাবে - তাহলেইতো জন্মের ভিত্তিতে স্বাস্তি পুরোষ্কার দেয়া সম্ভব - তাই না?? অথচ আপনি নিজেও জানেন ইসলাম বা হিন্দু ধর্মের শুরুতে এটা ছিল না বরং পরবর্তিতে স্বার্থান্বেসীরা এটার প্রবর্তন করেছে - তাহলে জন্মান্তরবাদও যে তাদেরই প্রবর্তিত বিষয় নয় তার নিশ্চয়তা কি??

আর একটা গুরুত্বপুর্ণ বিষয় - স্মৃতি। কোন অপরাধীকে যদি স্বাস্তি দিতে হয় তাহলে অবশ্যই তাকে তার অপরাধের কথা স্মরনে থাকতে হবে। কোন অরাধীর যদি ম্মৃতি ভ্রংশ ঘটে তাহলে দুনিয়ার যেকোন আদালত তাকে জেলের পরিবর্তে মানসিক হাসপাতালে পাঠাবে। অথচ পুনর্জম্মের ফলে আমাদের আগের সকল স্মৃতি বিলুপ্ত হয়। আজকে আমি যে অবস্থানে আছি তা যদি আগের জন্মের কোন অপরাধের কারণে স্বাস্তি হয়ে থাকে - তার কোন স্মৃতি কিন্তু আমার নাই।

যাই হোক, খুনের বিচারে খুন হওয়া সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান পেলাম না - একই ভাবে বলা যায় কোন বিজ্ঞানী যখন কোন চিকিৎসা বা অন্য কোন আবিষ্কারের মাধ্যমে লক্ষ কোটি মানুষের জীবন রক্ষা করেন - তখন কত জন্মে কত সুখ দিয়ে তার প্রতিদান দেয়া হবে - আবার সেই জন্মেও যদি তিনি আরো বহু মানুষের উপকার করেন তাহলে তার জন্য আবার কত জন্ম লাগবে - এভাবে পুরোষ্কারও কিন্তু ক্রমবর্ধমান অসীম চক্র হয়ে যায় - এর সমাধান কী??

আসল কথা হল - জন্মের ভিত্তিতে স্বাস্তি পুরোষ্কারের ধারনাসহ পুরো জন্মান্তরবাদ ধারনার সকল প্রয়োজনীয়তা বাতিল করে দিয়ে কোরআন বলেছে 'কোন ব্যাক্তিকে তার সাধ্যের অতীত দ্বায়িত্ব দেয়া হয় না।' এটাই আসল সত্য। দুনিয়াতে ধনী দরিদ্র বা সুস্থ অসুস্থ দেহ নিয়ে জন্মানোর মধ্যে সাধ্যের যে তারতম্য আছে তাকে আনুপাতি দ্বায়িত্ব দিয়ে ব্যালান্স করা হয়েছে। তাই জন্ম কোন পাপও না পুণ্যও না, জন্মের ভিত্তিতে মানুষ সাদা-কাল, নারী-পুরুষ, ধনী-দরিদ্র হয় - কিন্তু এর ভিত্তিতে মেধা, যোগ্যতা, সাফল্য-ব্যার্থতা এমনকি সুখ-দু:খ কোন কিছুই পরিমাপ করা যায় না। এ'জন্যই বাংলা প্রবাদ তৈরী হয়েছে: জন্ম হোক যথা তথা, কর্ম হোক ভাল। মানুষ তার জন্ম নয় বরং কর্মের জন্য দ্বায়ী।

আপনি অনন্ত অসীমের সাথে ব্ল্যাক হোলের সময়ের তুলনা করলেন দেখে বেশ আশ্চর্য লাগল। অসীমের সাথে যদি কার তুলনা করা যায় তাহলে কী সে আর অসীম থাকে?? এই দুনিয়া অর্থাৎ এই বিশ্ব জগত নিতান্তই ক্ষনস্থায়ী - আপনার ব্ল্যাক হোল সহ বিশ্বজগতের যা কিছু আছে এমনকি বিগ ব্যাং এর সুচনা থেকে বিগক্রাশে ধ্বংস পর্যন্তও যদি ধরেন তবুও তা ক্ষণস্থায়ী যার সাথে চিরস্থায়ীর কোন তুলনাই সম্ভব নয়। আর মানব আত্মার স্থায়ীত্ব জান্নাত বা জাহান্নাম দুটিতেই চিরস্থায়ী যা কোরআনে বহুবার বলা হয়েছে। সেটা এই বস্তু, সময়, স্থান ও শক্তির সমন্ময়ে গঠিত ক্ষণস্থায়ী জগতে কিভাবে সম্ভব?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ

জন্মের ভিত্তিতে সাস্তি পুরোষ্কার নাকি শাস্তি বা পুরস্কার হিসেবে জন্ম!!!

আগে নিশ্চিত হোন।

<অথচ আপনি নিজেও জানেন ইসলাম বা হিন্দু ধর্মের শুরুতে এটা ছিল না বরং পরবর্তিতে স্বার্থান্বেসীরা এটার প্রবর্তন করেছে - তাহলে জন্মান্তরবাদও যে তাদেরই প্রবর্তিত বিষয় নয় তার নিশ্চয়তা কি??

<< ইসলাম বা হিন্দুর আদি কতটুকু জানি?
ইসলামের প্রচলিত রুপকি নবীর প্রচলিত রুপের স্বরুপ?
মসজিদে এসি লাগানো, বিত্ত বিলাসের ডুবে যাওয়া ইসলাম কি প্রকৃত ইসলাম?
সূরা মাউনের চিরুনি ধরে টান দেন নির্মোহ হয়ে -মুসলামনইতো খুঁজে পাইনা ভাই! নিজেরে সহ!
মৌলিক আদেশ সমূহের চর্চা কই?

হিন্দুইজমের মৌলিক পাঠ যেমন তারা বিস্মৃত হয়েছে, ইব্রািহম আ: এর মাত্র ৫০০ বছর পর যেমন কাবায় ৩৬০টা মূর্তি স্থান করে নিয়েছিল তেমনি ইসলামের শৌলিক অবকাঠামো অনেক আগেই দুমড়ে মুচড়ে গেছে! খৌলসের উপর স্বার্থান্বেষীদের ইসলামের নাম নিয়ে আবরণ নিয়ে চলাই বর্তমান। এই সত্য বলতে গেলেই কাফের নাস্তিক মুরতাদ ফতোয়ার খড়গ!
ফলে কেউই সত্য খুঁজতে আগ্রহী নয়।

বস্তু দিয়ে যেমন অবস্তু ধারনা করা যায় না। আপনার প্রশ্নগুলো তেমনি আপনার প্রচলিত বোধকে আকড়ে ধরেই সত্যকে বুঝতে চাওয়ার চেষ্টা মনে হচ্ছে। আপনি নিজে ভ্যাকুয়াম না হলে যেমন নতুন কিছু ধারন করতে পারেন না। তেমনি জ্ঞানের জন্য মিনিমাম নির্মোহ না হলে সত্য ধরা দেবে না।
চেতনায় -এটলিষ্ট আচ্ছা খূঁজে দেখি মানসিকতাটুকুও যদি না রাখেন-কি করে অনুভব করতে পারবেন।

অসীম বলেছেন? অসীম কি?
পুথিগত সংগায় নয় অনুভবে বলুন। আল্লাহর একদিন আমাদের ১ হাজার বছর বা ৫০ হাজার বছর! অসীম কিন্তু রাখেন নি! খুব খেয়াল কৈরা!
বস্তু সয়ম স্থান শক্তির জগত থেকে পরিত্রানের পথটি কি?
সৃষ্টির সকল সৃস্টির চক্রাবর্তন আপনি মেনে নিলে মানব দেহের চক্রাবর্তনে আপত্তি কেন???
জানার অপেক্ষায় রইলাম

১৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: ইসলামের শিক্ষা যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্যই কোরআনকে সংরক্ষন করা হয়েছে এবং দেড় হাজার বছরেও এর কোন পরিবর্তন হয় নি। কোরআনে আল্লাহ নিজেই ঘোষণা করেছেন: আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক। (১৫:০৯) এই রকম সুরক্ষা আর কোন আসমানী গ্রন্থের উপর নাই। আর সেগুলি পৃথিবীতে প্রবর্তিতও হয়েছিল অনেক আগে - ফলে সেগুলির মধ্যে সত্য খুঁজতে গেলে বিভ্রান্তির সম্ভাবনাই বেশী।

হ্যা, যদি আপনি কোরআন বা এতে আল্লাহর দেয়া ঘোষণায় বিশ্বাসী না হন - তাহলেই কেবল অন্যত্র সত্য খোঁজার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। আর প্রচলিত ইসলাম দেখে বিতশ্রদ্ধ হলেওতো ফিরে যাওয়ার কথা কোরআনের কাছে - অন্যান্য ধর্মগ্রন্থ থেকে ধারনা নিয়ে তার আলোকে কোরআনের দুই চারটা লাইনের মাধ্যমে জন্মান্তরবাদ প্রতিষ্ঠার চেস্টা মুক্তমনে সত্যানুসন্ধানের নমুনা কি হতে পারে?

"জন্মের ভিত্তিতে সাস্তি পুরোষ্কার নাকি শাস্তি বা পুরস্কার হিসেবে জন্ম!!!" - কথা যেটাই বলুন না কেন, কয়েক লাখ মানুষের হত্যাকারীকে অথবা লক্ষ কোটি মানুষের জীবন রক্ষাকারীকে যদি জন্মান্তরবাদের দ্বারা পুন:পুন: জন্মের মাধ্যমে স্বাস্তি বা পুরোষ্কার দিতে যান তাহলে সেটা এক ক্রমবর্ধমান অসীম চক্রে পরিনত হবে - যার সমাধান আপনার লেখায় পেলাম না।

"সৃষ্টির সকল সৃস্টির চক্রাবর্তন আপনি মেনে নিলে মানব দেহের চক্রাবর্তনে আপত্তি কেন???" মানব দেহের চক্রাবর্তে কোনই সমস্যা নাই। আজকে আমর শরীর থেকে যে কোষটি মারা গেল সেটি মাটিতে মিশে গিয়ে তার উপদানগুলি আবার কোন গাছের শরীরে যেতেই পারে, সেখান থেকে কোন প্রানীর শরীরে এবং আবার সেই প্রানী বা গাছকে আহার হিসেবে গ্রহনের পর অন্য কোন মানুষের দেহেও তা যেতে পারে। এটাতো খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার।

প্রশ্নতো আত্মার চক্র নিয়ে। আত্মা কি পুন:পুণ: ফিরে আসে বিভিন্ন দেহে তার আগের জন্মের স্বাস্তি বা পুরোষ্কার পাওয়ার জন্য - না কি মানব জন্ম কেবল একবারই, সাস্তি পুরোষ্কার অন্য জগতে হবে - সেটাইতো মুল আচ্য বিষয় - তাই না?? আর পুরো কোরআন বার বার পড়েও মানব আত্মার পুণ:পুণ: পৃথিবীতে ফিরে আশার কোন সুত্র পাইনি। উল্টো পেয়েছি এমন কথা যে সেদিন অপরাধীরা বলবে আমাকে আর একবার দুনিয়ায় যাওয়ার সুযোগ দেয়া হোক যাতে আমি ভাল কাজ করে আসতে পারি - কিন্তু সে সুযোগ তাকে দেয়া হবে না।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আল্লাহ কোরআনের সংরক্ষক তা শতভাগ সত্যি!

কিন্তু সেই কোরআন কোনটি?

কাগজ কোরআন?
এটার বহু রকম ভার্স ইতোমেধ্য হয়ে গেছে। উসমান রা: এর সময়ের মূল কোরআন আর চলমান কোরআনে আয়াত সংক্যা এমনকি বিন্যাস সহ অনেক কিছূতেই বদল নিয়ে বিজ্ঞ মহলে বহুমত বিদ্যমান। নিজ দায়িত্বে েজেন নেবেন আগ্রহ থাকলে।
লাওহে মাঞফুজে যে কোরআন, যে কোরআনের প্রতিটি অক্ষর নজরুলের ভাষা জরিণ হরফে লেখা সোনালী হরফে লেখঅ সেই কোরআন দর্শন করুন। তা সুরক্ষিত। তাতে বিন্দুমাত্র বদল করার কারো সাধ্য নেই।


ভাই শুধু তর্ক বা কুতর্কের শেষ নাই।
হ্যা, যদি আপনি কোরআন বা এতে আল্লাহর দেয়া ঘোষণায় বিশ্বাসী না হন - আপনার প্রশ্ন পড়ে হাসলুম ঠোটের কোনে।
আচ্ছা আপনার বলায় বোধ হচ্ছে আপনি পরিপূর্ন ভাবেই তা ধারন করতে পেরেছন।
দয়া করে বলুন তো কোরআনের শুরুর প্রথম তিন র্বণের মানে কি?
কাঠমোল্লাদের মতো বলবেন না যেন -এর মানে আল্লাহই ভাল জানেন।
আল।লাহরই যদি জানার হতো তবে তা মানবের কিতাবে দিলেন কেন? দিয়েছেন যখন অবশ্যই তা কোন অর্থ বহন করে। আর সেই অর্থ সেই পাসোয়ার্ড না জানলে আপনার বাকী জ্ঞান তো কেবলই শুণ্য ভ্রম!!!! নয়িক ?

অসীম চক্র অসীম নয় সসীম তা কি দয়া করে দেখাবেন। দেখাতে পারলে মানুষও নতুন দিশা পাবে।

<< পুরো কোরআন বার বার পড়েও মানব আত্মার পুণ:পুণ: পৃথিবীতে ফিরে আশার কোন সুত্র পাইনি। উল্টো পেয়েছি এমন কথা যে সেদিন অপরাধীরা বলবে আমাকে আর একবার দুনিয়ায় যাওয়ার সুযোগ দেয়া হোক যাতে আমি ভাল কাজ করে আসতে পারি - কিন্তু সে সুযোগ তাকে দেয়া হবে না।
উপরে উল্লেখিত এত্তগুলা আয়াতও কি আপনার নজর এড়িয়ে গেল?
আর যা বলেছৈন তাওতো সত্যই। তাকে পূর্বরুপে ফিরার হাজার আকুতিতেও তাকে তাতে ফেরানো হবেনা। বরং সে নতুন চক্রেই চলতে বাধ্য হবে। অসীম চক্রে অপরাধ নিষ্কৃতি না হওয়া পর্যন্ত!
এর আরেকটা সহজ ক্লু পাবেন চোখ মেলে ভাবুন- আদম আ: এর কপালে মোহাম্মদ সা: এর নূর মোবারক কিভাবে আবদুল্লাহ র পেশানীতে আসলো?


১৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৫

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "ভাই শুধু তর্ক বা কুতর্কের শেষ নাই।"

হ্যা, এটাই আসল কথা। ব্লগিয় আলোচনায় সিদ্ধান্তে পৌছান খুবই কঠীন। বিশেষ করে পোস্ট দাতার পক্ষে মন্তব্যে কারির কথা মেনে নেয়াতো এক প্রকার অসম্ভব। কোরআনে বর্ণিত জান্নাত এবং জাহান্নাম দুটিতেই আর মৃত্যু নাই ঘোষণা করা হয়েছে একাধিক বার, জান্নাত এবং জাহান্নাম উভয় স্থানেই কৃতকর্মের স্মৃতি অক্ষুণ্ণ থাকবে সেটাও পরিষ্কার, কিন্তু তারপরও আপনি পুন:র্জন্ম সম্পর্কিত আয়াতকে কে পুন:পুন: জন্ম বা জন্মান্তরবাদ এবং তার মাধ্যমে আগের জন্মের সাস্তি/পুরোষ্কার হিসেবে দেখছেন। কারণ আপনি আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের ভিত্তিতে তারপর সেটা সাস্টিফাই করার জন্য কোরআন খুলেছেন। এই ধরনের পুর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পড়াশুনা করলে সাধারণত তার বিপরিত কোন সিদ্ধান্ত আসে না।

যাই হোক, আমি কেবলমাত্র আমার মতামতই দিতে পারি, আপনারমত জ্ঞানী লোকের সিদ্ধান্ত বদলানোর সাধ্যতো কার নাই।

আমার বিবেচনায় জন্মান্তরবাদের ব্যাবহারিক প্রয়োগের সাথে সমাজের উচু শ্রেণীর মানুষের স্বার্থের সংযোগ এত প্রবল যে খুব সহজেই বুঝা যায় এটা পরবর্তি সময়ে সার্থান্বেষী মহলের প্রভাবে ধর্মগ্রন্থগুলি সংযুক্ত হয়েছে। ড জাকির নায়েক এর এক বক্তৃতায় শুনেছিলাম যে হিন্দু ধর্মের মুল গ্রন্থ বেদেও জন্মান্তরবাদের কথা নাই বরং আছে মৃত্যুহীন স্বর্গ ও নরকের কথা।

জন্মান্তরবাদের ব্যাবহারিক প্রয়োগ হল রাজার ছেলে রাজা, পীরের ছেলে পীর, ব্রাক্ষ্মনের ছেলে ব্রাক্ষ্মন ইত্যাদি উচ্চ বংশের শ্রেষ্ঠত্ব টিকিয়ে রাখা। আবার দরিদ্র মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন চালানোরও এটা একটা মোক্ষম হাতিয়ার - যেহেতু আগের জন্মের অপরাধের সাস্তি পেতে হবে তাই চাড়ালের ঘরে জন্ম নিলে চাড়াল, মেথরের ঘরে জন্ম নিলে মেথরই থাকতে হবে। যদিও এই স্বাস্তি ভোগ কোন অপরাধের কারনে হচ্ছে তার কোন স্মৃতি কার থাকবে না।

এর বিপরিতে কোরআনের বক্তব্য খুবই পরিষ্কার। এই পৃথিবী একটা পরীক্ষা কেন্দ্র যেখানে প্রত্যেক মানুষ একবারই পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাবে। এখানে জন্মগত কারনে সামর্থের যে তারতম্য হবে তা ব্যালান্স করা হয়েছে দ্বায়িত্বের অনুপাত দিয়ে। অনেক বার বলা হয়েছে কার উপর তার সাধ্যের অতীত দ্বায়িত্ব চাপান হয় না। জন্মের ভিত্তিতে নয় বরং দুনিয়া এবং পরকালের মর্যাদা হবে কর্মের ভিত্তিতে। এই পরিক্ষার নির্ধারিত সময় শেষে মৃত্যুর মাধ্যমে যেতে হবে অন্য এক জগতে যেখানে ফলাফল দেয়া হবে - সাধ্যের অনুপাতে দ্বায়িত্ব পালনের ভিত্তিতে। পরীক্ষায় পাস ফেল যাই হোক জান্নাত বা জাহান্নামে আর মৃত্যু থাকবে না - বরং সেটা হবে চিরস্থায়ী শেষ পরিনতি।

সত্য খুব পরিষ্কার ভাবেই বলা হয়েছে সর্বশেষ আসমানী গ্রন্থে এবং এই দুনিয়াতেই তা স্বমহিমায় টিকে আছে দেড় হাজার বছর। যদি মানার ইচ্ছা থাকে তাহলে এই কোরআনই যথেস্ট। আর যদি ঘুরে বেড়ানোর ইচ্ছাই প্রবলতর হয় তাহলে সত্যানুসন্ধান বা অন্য যেকোন উছিলায় ঘুরে বেড়ান যেতেই পারে ধর্ম ও জ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় যতদিন খুশি - আর খুজে দেখা যেতে পারে বিশ্ব থেকে হারিয়ে যাওয়া মতবাদগুলির যথার্থতা। সিদ্ধান্ত আপনার পরিনতিও আপনাকেই ভোগ করতে হবে।

ধন্যবাদ।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমি কেবলমাত্র আমার মতামতই দিতে পারি, আপনারমত জ্ঞানী লোকের সিদ্ধান্ত বদলানোর সাধ্যতো কার নাই। জ্বি আমার কথাও তাই।
আগের উত্তরে অনেক গুলো প্রশ্ন ছিল। বাইপাস করে একটা কনক্লুশন টেনেছেন। ধন্যবাদ।

আমাদের জানাই আমাদের মুক্তির পথকে প্রশস্ত করবে। ইসলামে প্রথম আয়াত যে জন্যে ইক্বরা! বিসমে রাব্বিকালাজ্জি খালাক!

জ্ঞানের তাগিদে পদব্রজের সময়েই সুদূর চীনের যাবার উৎসাহ দেয়া হয়েছে।

যে যতটুকু অর্জন করতে পারে-ততটুকুই তার প্রাপ্তি।

ভাল থাকুন। আল্লাহ আপনার কল্যান করুন। শুভেচ্ছা

১৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫৮

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "দয়া করে বলুন তো কোরআনের শুরুর প্রথম তিন র্বণের মানে কি?
কাঠমোল্লাদের মতো বলবেন না যেন -এর মানে আল্লাহই ভাল জানেন।
আল।লাহরই যদি জানার হতো তবে তা মানবের কিতাবে দিলেন কেন? দিয়েছেন যখন অবশ্যই তা কোন অর্থ বহন করে। আর সেই অর্থ সেই পাসোয়ার্ড না জানলে আপনার বাকী জ্ঞান তো কেবলই শুণ্য ভ্রম!!!! নয়িক ?"

এই অংশের প্রতি আবার দৃস্টি ফেরাতে হল কারণ বিষয়টা একটু বেশী জরুরী।
আপনার বক্তব্য থেকে মনে হচ্ছে প্রথম তিন অক্ষর আলিফ, লাম, মীম এর অর্থ আপনি জেনেছেন।
প্রশ্ন হল - অর্থটা কি আপনি নিজে থেকে জেনেছেন বা নিজের সাধনায় উদ্ভাবন করেছেন না কি কার কাছ থেকে শুনেছেন।
আর সেই অর্থ কি এখানে লিখে জানানোরমত কিছু?
যদি হয় আমরা কি জানতে পারি তার গুপ্ত অর্থ আসলে কী যা নবী মুহাম্মদ(স) এবং সাহবী(রা)গনও জানতেন না??

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দৃষ্টি পড়ায়।

উত্তর না দিয়ে প্রশ্ন করেছেন। একটু আবদ্ধ দৃষ্টি থেকে খোলা চোখে চাইলেই প্রকাশীত অনেক তাফছির বা অনুবাদেই পাবেন এ নিয়ে বিশদ বিবরণ। পাতার পর পাতা ব্যাখ্যা।
আর একি বল্লেন?
তার গুপ্ত অর্থ আসলে কী যা নবী মুহাম্মদ(স) এবং সাহবী(রা)গনও জানতেন না??!!!!! বিস্মিত!

উনারা জানতেন না-এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন কিসের ভিত্তিতে? জানতে পারি?

বিষয়টা এমন হল যিনি প্রোগ্রাম কোড করেছেন -আপনি বলছেন তিনিই এ প্রাগ্রােমর মানে জানতেন না! !!!!!!
মহাবিস্ময়কর!

১৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: দু:খিত, আমি এ'যাবত যত অনুবাদ ও তাফসীর পড়েছি কোথাও এই বর্ণগুলির অর্থ করা হয়নি।
বরং সবগুলিতেই বলা আছে এর অর্থ এমকাত্র আল্লাহই ভাল জানেন।
যদি মুহাম্মদ(স) এবং সাহাবী(রা)গন এর অর্থ বলে যেতেন যেভাবে অন্য সব আয়াতের অর্থ বলে গেছেন তাহলে সেটা সকল অনুবাদ গ্রন্থেই থাকত। সেই দৃস্টিতেই বলেছি যে ওনারাও জানতেন না। কারণ জানলে তা গোপন করা সম্ভব ছিল না - কোরআনের কোন বক্তব্য গোপন করা নবী রাসুলতো নয়ই কোন মুসলমানের পক্ষেই সম্ভব নয় - তাই না??

অর্থটা কিন্তু আপনিও বল্লেন না - নিজে জেনেছেন না অন্য কার থেকে শুনেছেন তাও বল্লেন না।

"বিষয়টা এমন হল যিনি প্রোগ্রাম কোড করেছেন -আপনি বলছেন তিনিই এ প্রাগ্রােমর মানে জানতেন না! !!!!!!
মহাবিস্ময়কর!" - তাহলে কি আপনি বিশ্বাস করেন কোরআন মুহাম্মদ(স) এর নিজের তৈরী? আমরা কিন্তু জানি কোরআন আল্লাহর বানী, রাসুল মুহাম্মদ(স) সেটা আল্লাহর থেকে রিসিভ করে মানুষের কাছে পৌছে দিয়েছিলেন। পৌছে দেয়াটাই ওনার প্রধান দ্বায়িত্ব ছিল - সেটাও কোরআনেই অনেকবার বলা হয়েছে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঠিক এ কারণেই আমি কু-তর্ক এড়িয়ে যেতে চেয়েছি বারবার কারণ তা গন্তব্য থেকে ডিরেইলড করে ভিন্ন বিষয়ে চলে যায়।

আমি খুবই অবাক হলাম উপমাকে আপনি মৌলিকের সাথে গুলিয়ে ফেলেছেন দেখে!!!।
আমি বলেছি একজন প্রোগ্রামার যেমন তার কোডিং সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিবহাল- মোহাম্মদ সা: তারচে বেশি কোরআন সম্পর্কে অবহিত।
এটা মোহাম্মদ সা: এর লেখা কোথাও বলিনি! অথচ আপনার উপলদ্ধির ব্যার্থতায় আলাপ কোথায় চলে যাচ্ছে ভাবুন।

১৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: "এটা মোহাম্মদ সা: এর লেখা কোথাও বলিনি!"
ভাল, আমরা তাহলে একটা বিষয়ে একমত হলাম - কোরআন মুহাম্মদ(স) এর লেখা বা রচিত নয়। এটা আল্লাহর বাণী, মুহাম্মদ(স) তার বাহক মাত্র। তাহলে প্রথম তিন অক্ষরের কোডও মুহাম্ম(স) করেননি করেছেন আল্লাহ নিজে - ঠিক আছে?

এবার আসল কথায় আসুন - আমার উপলব্ধীর অবস্থা খুবই খারাপ, মানলাম - কিন্তু আপনি সরাসরি উত্তর না দিয়ে এত প্যাচাচ্ছেন কেন?

সরাসরি বলছেন না কেন ঐ তিন অক্ষরের অর্থ কি? আর সেটা আপনি কোথায় পেয়েছেন?

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রিয় ব্লগার ভ্রাতা,
আনার এই ষ্টাইলটা চেনা। মজ বাশার ভাইেয়র সাথে আপনার কনভার্সেশন এমনই ছিল।
আসেল এভাবে সমাধান আসে না। আপনি প্রকৃতই জিগীষা ধারন করলে যথাযথ উপায়ে সন্ধান করুন। অবশ্যই পূর্ণতা পেয়ে যাবেন।
সকল বিষয়ের কথা সবখানে বলা যায় না। ইশারা দেয়া যায়।
সাধারণ পাঠক্রম আর পোষ্ট ডক্টরাল পাঠক্রমের ব্যবধানের মতো। তাই তা যেখানে সেখানে মেলার নয়। বিশেষায়িত পরিবেশেই মিলবে। আপনি সত্যি আগ্রহী হলে খুঁজে নিন।

সদরুদ্দিন চিশতী রহ: এর অনুবাদ এবং তাফসীর গ্রন্থ বাজারে পাওয়া যায়। খূঁজে দেখে নিতে পারেন।

১৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: যা আশঙ্কা করেছিলাম তাই হল - মজ বাশার এর সুত্রে আপনিও ঐ পথে হাটছেন!!

দেখুন নেগেটিভ মার্কিং আছে এমন পরীক্ষায় কিছু কিছু প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেয়ে না দেয়া যেমন উত্তম তেমনি কোরআন গবেষণার ক্ষেত্রেও কিছু বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা না করাই নিরাপদ। আপনি যে প্রশ্ন করেছেন "আল্লাহরই যদি জানার হতো তবে তা মানবের কিতাবে দিলেন কেন?" এটাই সেই চিন্তা যা করার চেয়ে না করাই উত্তম। এবং যারা এই লাইনে চিন্তা শুরু করবে তাদের ব্যাপারে পরিষ্কার কথা কোরআনেই বলা আছে :

তিনিই আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছেন। তাতে কিছু আয়াত রয়েছে সুস্পষ্ট, সেগুলোই কিতাবের আসল অংশ। আর অন্যগুলো রূপক। সুতরাং যাদের অন্তরে কুটিলতা রয়েছে, তারা অনুসরণ করে ফিৎনা বিস্তার এবং অপব্যাখ্যার উদ্দেশে তন্মধ্যেকার রূপকগুলোর। আর সেগুলোর ব্যাখ্যা আল্লাহ ব্যতীত কেউ জানে না। আর যারা জ্ঞানে সুগভীর, তারা বলেনঃ আমরা এর প্রতি ঈমান এনেছি। এই সবই আমাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। আর বোধশক্তি সম্পন্নেরা ছাড়া অপর কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না। (Aali Imraan: 7)

সুতরাং প্রথম তিন অক্ষরসহ কোরআনের যেখানে যে কোড সেট করা হয়েছে তার ব্যাখ্যা নিয়ে কেবল তারাই অধিকতর চিন্তা করবে যাদের অন্তরে কুটিলতা আছে এবং যারা ফিৎনা বিস্তার করতে চায়।

"সকল বিষয়ের কথা সবখানে বলা যায় না।" - এটা আর একটা বাহানা। অথচ কোরআনের জ্ঞান গোপন করার কোন সুযোগই নাই। দেখুন আল্লাহ নিজেই বলে দিচ্ছেন -

নিশ্চয় যারা গোপন করে, আমি যেসব বিস্তারিত তথ্য এবং হেদায়েতের কথা নাযিল করেছি মানুষের জন্য কিতাবের মধ্যে বিস্তারিত বর্ণনা করার পরও; সে সমস্ত লোকের প্রতিই আল্লাহর অভিসম্পাত এবং অন্যান্য অভিসম্পাতকারীগণের ও। (২:১৫৯)
নিশ্চয় যারা সেসব বিষয় গোপন করে, যা আল্লাহ কিতাবে নাযিল করেছেন এবং সেজন্য অল্প মূল্য গ্রহণ করে, তারা আগুন ছাড়া নিজের পেটে আর কিছুই ঢুকায় না। আর আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের সাথে না কথা বলবেন, না তাদের পবিত্র করা হবে, বস্তুতঃ তাদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।(২:১৭৪)

আমাদের জন্য অনুসরনীয় বা মান্য হচ্ছে আল্লাহর নাজিল করা কিতাব এবং সেই কিতাবের সুস্পস্ট অংশ। অন্য অলীদের অনুসরণের ব্যাপারে পরিষ্কার নিষেধাজ্ঞা আছে - দেখুন:
তোমরা অনুসরণ কর, যা তোমাদের প্রতি পালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং তাকে বাদ দিয়ে অন্য অলীদের ( মুল আরবী শব্দ আউলিয়া যা অলীর বহুবচন) অনুসরণ করো না।

জন্মান্তরবাদেরমত এত বড় বিষয় যদি সত্য হত তাহলে কোরআনে তার সম্পর্কে দুই চারটা ইঙ্গিতপুর্ণ বাক্য থাকত না বরং উদাহরণসহ বিস্তারিত আলোচনা থাকত। নাম ধরে বলা হত ওমুকে এক জন্মে গাছ ছিল, ভাল ফল দেয়ার কারণে পরের জন্মে সে গরু হল, ভাল দুধ দেয়ার মাধ্যমে পরের জন্মে সে হল মানুষ - এই ভাবে। কিন্তু কোরআনে তা নাই - বরং এমন বহু কথা আছে যা প্রমান করে দুনিয়ায় মানুষের জন্য কেবল মাত্র একবার। অন্যান্য ধর্মের মুল গ্রন্থেও এইভাবে নাই - (ড জাকির নায়েকের গবেষণা)। এ'গুলিসব পরর্তি যুগে সংযুক্ত হয়েছে। আল্লাহর রহমতে কোরআনকে তারা বিকৃত করতে পারে নাই - তাই দ্বিতীয় স্তরের গ্রন্থ তাফসীর বা হাদীসগ্রন্থ বা সীরাত গ্রন্থ সেগুলিকেই টার্গেট করা হয়েছে। আর এর কারণও খুবই পরিষ্কার - পীরের ছেলে পীর, রাজার ছেলে রাজা, ব্রাক্ষ্মনের ছেলে ব্রাক্ষ্মন বানানোর জন্য এবং দরিদ্র নিম্ন শ্রেণীর মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন চালানোর জন্য জন্মান্তরবাদের চেয়ে মোক্ষম অযুহাত আর কিছুই নাই।

ধন্যবাদ।


০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
আপনাদের এই ভাবনাই ইসলামকে শেষ স্তরে ধর্ম বিশ্বাসে পরিণত করেছে। জ্ঞান অন্বেষাকে থামিয়ে দিতে বিভিন্ন আয়াতের অপব্যাখ্যার জুড়ি নেই। আর ফলে মুসলিম নামধারীরা তৃতীয় শ্রেনীর্ও নীচে নেমে গেছে। জ্ঞান, বিজ্ঞান, আবিস্কার, ক্ষমতা, সর্বক্ষেত্রে!
আফসোস তারপর্ও বুঝ না এনে অবুঝের অন্ধকারেই থাকতে ভালবাসেন।

আপনি যে আয়াত উল্লেখ করেছেন -
নিশ্চয় যারা গোপন করে, আমি যেসব বিস্তারিত তথ্য এবং হেদায়েতের কথা নাযিল করেছি মানুষের জন্য কিতাবের মধ্যে বিস্তারিত বর্ণনা করার পরও; সে সমস্ত লোকের প্রতিই আল্লাহর অভিসম্পাত এবং অন্যান্য অভিসম্পাতকারীগণের ও। (২:১৫৯)

এখানে কোন সত্য গোপনের কথা বলা হয়েছে। আহলে কিতাবীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে। তারা তাওরাত যাবুর এবং ইঞ্জিলে সেই সত্য পাবার পর্ও এবং জানার পরও গোপন করছে যারা সত্য স্বীকারে তাদের উদ্দেশ্যে বলা।
আর তাদের উদ্দেশ্যেও যারা জ্ঞানের সত্য জেনেও তা গুপ্ত রাখে (চর্চা না করা্ও গুপ্ত তারই শামিল) !! তো নিজেই কি অভিশপ্তদের মধ্যে গণ্য হয়ে যান না!!!!???/

আর এই আয়াত-
নিশ্চয় যারা সেসব বিষয় গোপন করে, যা আল্লাহ কিতাবে নাযিল করেছেন এবং সেজন্য অল্প মূল্য গ্রহণ করে, তারা আগুন ছাড়া নিজের পেটে আর কিছুই ঢুকায় না। আর আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের সাথে না কথা বলবেন, না তাদের পবিত্র করা হবে, বস্তুতঃ তাদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।(২:১৭৪)
এটা চলমান কাঠমোল্লাদের জন্যই শতভাগ প্রযোজ্য। না তারা নিজেরা জানে। আর যারা জানে তারা্ও কমিটিরি ভয়ে সথ্য গোপন করে। সত্য বলে না। আর তারা্ও গণ্য যারা সত্য সন্ধানে ব্রতি তো হয়ই না উপরন্তু সত্যের পথে বাঁধা হয়ে দাড়ায়! দুদিনের জীবনের মায়ায় বা লোভে ! তাদেরপরিণতি তো বলাই আছে।

অলিদের ব্যাপারে স্পস্ট মিথ্যাচার করলেন! আয়াত নং সহ দিন আমিও তথ্য সহ দেব।
বরং উলিল আমরকে অনুসরনের আদেশই দেয়া আছে।

জাকির নায়েক ইয়াজিদী ওহাবীদেরই মদদপুষ্ট এক চরিত্র মাত্র। সউদ সরকার যেমন ইহুদীদরে পুতুল সরকার! তাদের মাঝে ইসলাম খোঁজা আর গোবরে সুগন্ধ খোঁজার চেয়েও বৃথা!
আহলে বায়াতকে দমিয়ে রাখতেই ইয়াজিদ ১১ ইমামকে হত্যা করছে। ঐতহিাসিক সত্য। তাদের ধারাকক্রমে ক্ষমতার লোভে ইসলামের নাম এবং লেবাস বিক্রি হচ্ছে হাজার বছর ধরে।
জ্ঞান চর্চাকে তাই তারা তাদের স্বার্থেই অবদমিত করে রেখেছে। কিন্তু জ্ঞান তার স্ব-মহিমায় প্রকাশিত হয়, হচ্ছে, হবে।

আপনার বিষয়টাতে আগ্রহ থাকলে নিজে গবেষণা করুন। এবং যুক্তি, তথ্য, সূত্র, দিয়ে মিথ্যা প্রমাণ করুন। আমরা সে উদ্যোগে শতভাগ সাধূবাদ জানাবো।
অন্যথায় আমারতো দেখতে ইচ্ছে হবেই -দেখিনা কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা!


বিস্তারিত নীচের লিংকে পড়ুন।
http://zafrulmobin.blogspot.com/2015/08/Resurrection.html

ভাল থাকুন। সত্যের আলোয় আলোকিত হোন। ধন্যবাদ

১৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮

কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: শেষ থেকেই শুরু করি - পুনরায় তৈরী আর পুন:পুন: তৈরী কি এক কথা? কোরআনের যে আয়াতগুলি আপনি উল্লেখ করেছেন তার সবগুলিই পুনরায় তৈরী সংক্রান্ত। এবং নিশ্চয়ই মানুষকে পুনরায় তৈরী করা হবে যাতে তার এই জীবনের কাজের বিচার করা যায়। কিন্তু সেটা যে পুণ:পুন:সৃ্স্টি - একবার উদ্ভিদ, তারপর পশু, তারপর মানুষ - এর পক্ষে প্রমান কোথায়?

অনুসরনীয় এবং মান্য একমাত্র আল্লাহর কিতাব। দেখুন সুরা আল আরাফ আয়াত ৩ - সেখানে স্পস্ট ভাবেই অলিদের অনুসরন করতে নিষেধ করা হয়েছে। রাসুল(স), আউলিয়া, ইমাম, উলিল আমর সবার কাজ হল আল্লাহর কিতাব মানুষের কাছে পৌছে দেয়া এবং কিতাবের বিধান নিজে অনুসরণ করে দৃস্টান্ত স্থাপন। এর বাইরে নতুন করে কোন বিধান তৈরীর সুযোগ যেমন নাই তেমনি কিতাব বাদ দিয়ে অন্যকোন মানুষকে অনুসরনেরও সুযোগ নাই।

"এখানে কোন সত্য গোপনের কথা বলা হয়েছে। আহলে কিতাবীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে। " - নিশ্চয়ই, তখন আহলে কিতাব ছিল দুটি ইহুদী ও খ্রিস্টান - এখন তার সাথে যোগ হবে মুসলিম। তাই তাদের জন্য যেমন তাওরাত ও ইঞ্জিলের জ্ঞান গোপন করা বৈধ ছিল না তেমনি বর্তমানেও মুসলিমদের জন্য কোরআনের জ্ঞান গোপন করা বৈধ নয়। হ্যা এই অপরাধ হুজুরগনের মধ্যেও আছে স্বীকার করছি - কিন্তু আপনি যে পথে চলেছেন তার লোকদের যে নাই সেটা কি বলতে পারেন?

আর কোরআনের রূপকের অর্থ যে একমাত্র আল্লাহই জানেন সেগুলি নিয়ে যে অতিরিক্ত চিন্তা গবেষণা করা নিষেধ সেটাতো কোরআনের পরিষ্কার ঘোষণা। তারপরও যারা এগুলি নিয়ে বাড়াবাড়ি করে আপনি কি তাদেরই অনুসরণ করবেন??

"এবং যুক্তি, তথ্য, সূত্র, দিয়ে মিথ্যা প্রমাণ করুন।" - যুক্তি ইতিপুর্বেই অনেকগুলি দেয়া হয়েছে যা খন্ডনের উপায় নাই। আর তথ্যের মধ্যে সবচেয়ে বড় তথ্য আল্লাহর কিতাব কোরআন যাতে জন্মান্তরবাদের কথা নাই। যে বুঝতে চায় তার জন্য এই যথেস্ট - আর বুঝতে না চাইলে মানুষতো পারবেই না এমনকি আল্লাহও তাকে পথ দেখান না।

"কিন্তু জ্ঞান তার স্ব-মহিমায় প্রকাশিত হয়, হচ্ছে, হবে।" - নিশ্চয়ই, আর সেজন্যই দুনিয়া থেকে জন্মান্তরবাদেরমত মিথ্যা চেতনা হারিয়ে যাচ্ছে। হাজার বছর ধরে এই দর্শনের সবচেয়ে বড় অনুসারী হিন্দুরাই এখন আর সেই পথে হাটছে না, জন্মান্তরবাদের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত বর্ণ প্রথা এখন আর কেউ মানছে না। রাজার ছেলে রাজা, পীরের ছেলে পীর - ব্যাবস্থাও বিলুপ্ত প্রায়। মজ বাশার এরা তিন প্রজন্ম (নানা, পিতা) এই পথে চলার চেস্টা করছে, এ'রকম আরো কিছু বিভ্রান্ত মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে হয়ত আছে - কিন্তু সেটা সত্যের প্রকাশ নয়। পৃথিবীতে এখনও বহু পিশাচ সাধক, অগ্নিপুজক, ব্ল্যাক ম্যাজিশিয়ান আছে - তেমনি জন্মান্তরবাদও কিছু মানুষের মাঝে হয়ত আরো বহুদিন টিকে থাকবে - কিন্তু সত্যের মোকাবেলায় কখনই প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না - ইনশাআল্লাহ।

ধন্যবাদ

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পুনরায় আর পুন:পুন অনুভবের ব্যবধান।

উদ্ভিদ মানুষ পশু আপনি নিজে কি বোধহীন! আপনার গমনাগমন নিয়ে কি একটু্ও ভাবনে না? আপনি কি দিয়ে তৈরী! তার উৎস কি? আপনি বাবার বীর্ষ থেকে! বীর্য রক্ত থেকে! রক্ত কণিকা আপনার গৃহিত খাদ্য প্রাণীর মাংষ, উদ্ভিদের নির্যাস, জল, হাওয়া, দুধ, কলা, তেল, নানা উপাদানের থেকে! এখন আপনিই ভাবুন রুপান্তরের খেলায় কোথায় কোথায় ঘুরছেন না স্থির কোন কল্পিত ভাবনায় আপনার অবস্থান।
এই উদ্ভিদ, প্রাণের চক্রের বাইরে আপনি বেঁচে থেকে দেখানতো একদিন!
আপনার উৎস আপনিই খূঁজুন! চক্রের কথা ভূলেই খুঁজুন। পেলে আমাদের জানান। আমরা শিখে নেব। কোন হাইপোথিটিক ধারনা নয় । চক্রের নিত্যতার মতো সলিড তথ্য।

আপনি আবার মিথ্যাচার করলেন!???
আপনি বলেছেন- দেখুন সুরা আল আরাফ আয়াত ৩ - সেখানে স্পস্ট ভাবেই অলিদের অনুসরন করতে নিষেধ করা হয়েছে।
কি বলা হয়েছে ৩ নং আয়াতে?

اتَّبِعُواْ مَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلاَ تَتَّبِعُواْ مِن دُونِهِ أَوْلِيَاء قَلِيلاً مَّا تَذَكَّرُونَ (3
তোমরা অনুসরণ কর, যা তোমাদের প্রতি পালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহকে বাদ দিয়ে অন্য সাথীদের অনুসরণ করো না।
এখঅনে অলিদের বিরোধীতা কোথায় করা হয়েছে?
আল্লাহকে বাদ দিয়ে - ঐ সময়ে কি বিশ্বাস ছিল, মূর্তিপুজা এবং তাদের মূর্তিপূজক সাথীদের অনুসরন করতে মানা করা হয়েছে!
আপনারা কি না বুঝে নিজের মনে যা আসে তাই বসিয়ে দেয়া শুরু করেছেন? মিনিমাম সাধারন জ্ঞানটুকু তো দরকার ! নাকি?

অলিদের নিয়ে দূরের আয়াত বাদ দিন। একদম প্রথম সূরাতেই খুঁজুন-

اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ

অনুবাদ- আমাদের সরল সঠিক পথ [সীরাতে মুস্তাকিম] দেখাও। তোমার নিয়ামতপ্রাপ্ত বান্দাদের পথ।{সূরা ফাতিহা-৬,৭}
”ইহদিনাস সিরাতাল মুসতাকিম! “ সিরাতাল মুসতাকিম কারা -যাদের অনুসৃত পথে চলার জন্য প্রতিদিন পাঁচবার সালাতে কত কত বার প্রার্থনা করছেন!
একটু ভাবুন। তারপর বলুন।
আর তার নিয়ামত প্রাপ্ত বান্দা হলেন –

الَّذِينَ أَنْعَمَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ مِنَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ وَالصَّالِحِينَ

অনুবাদ-যাদের উপর আল্লাহ তাআলা নিয়ামত দিয়েছেন, তারা হল নবীগণ, সিদ্দীকগণ, শহীদগণ, ও নেককার বান্দাগণ।{সূরা নিসা-৬৯}
আরো অসংখ্য আয়াতে রয়েছে অলি আউলিয়া (অলির বহুবচন)গণের কথা!.।

★ হে মুমিনগণ! তোমরা অনুস্মরণ কর, আল্লাহ্ পাক এর, তাঁর রাসুল পাক (সাঃ) এর এবং তোমাদের মধ্যে যারা উলিল আমর (ন্যায় বিচারক) রয়েছে তাদের। [সুরা ৪ নিসা: ৫৯]

★ আল্লাহ পাক বলেন, “তোমরা সব আল্লাহওয়ালা হয়ে যাও”। (সূরা ইমরান-৭৯)

★ পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’য়ালা আরো বলেন,

إِنَّمَا وَلِيُّكُمُ اللّهُ وَرَسُولُهُ وَالَّذِينَ آمَنُواْ الَّذِينَ يُقِيمُونَ الصَّلاَةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَهُمْ رَاكِعُونَ

'' নিশ্চয়ই তোমাদের ওলি (বন্ধু) হলেন আল্লাহ এবং তাঁর রসুল আর ঈমানদার লোকেরা- যারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দিয়ে দেয়, এবং আল্লাহর প্রতি অনুগত বাধ্যগত থাকে।

وَمَن يَتَوَلَّ اللّهَ وَرَسُولَهُ وَالَّذِينَ آمَنُواْ فَإِنَّ حِزْبَ اللّهِ هُمُ الْغَالِبُونَ

আর যারা ওলি (বন্ধু) মানে আল্লাহকে এবং আল্লাহর রসুলকে আর ঈমানদার লোকদেরকে, তারাই আল্লাহর দল এবং আল্লাহর দলই থাকবে বিজয়ী '' ( সূরা আল মায়িদা,আয়াত-৫৫-৫৬)

★ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন,

أَلا إِنَّ أَوْلِيَاء اللّهِ لاَ خَوْفٌ عَلَيْهِمْ وَلاَ هُمْ يَحْزَنُونَ
মনে রেখো যারা আল্লাহর (ওলি) বন্ধু, তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে, না তারা চিন্তান্বিত হবে।

الَّذِينَ آمَنُواْ وَكَانُواْ يَتَّقُونَ

যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে এবং ভয় করতে রয়েছে।
لَهُمُ الْبُشْرَى فِي الْحَياةِ الدُّنْيَا وَفِي الآخِرَةِ لاَ تَبْدِيلَ لِكَلِمَاتِ اللّهِ ذَلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
তাদের জন্য সুসংবাদ পার্থিব জীবনে ও পরকালীন জীবনে। আল্লাহর কথার কখনো হের-ফের হয় না। এটাই হল মহা সফলতা।
(সুরা ইউনুছ আয়াত :৬২-৬৪)

★ নিশ্চয় আল্লাহ্‌ মুহসিনদের ভালবাসেন।’’ (সূরা আল-বাকারা:১৯৫)
★ আল্লাহ বলেন,

إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ

‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ তাওবাকারী ও পবিত্রতা অবলম্বনকারীদেরকে ভালবাসেন ।’’
(সূরা আল-বাকারা:২২২)

★ তাকওয়া সকল কল্যাণের মূল। তাই আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে খুবই ভালবাসেন। তিনি বলেন,

فَإِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِين
‘‘আর নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে ভালবাসেন।’’
(সূরা আল ইমরান:৭৬)

★ আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে আরো বলেন,

وَاللَّهُ وَلِيُّ الْمُتَّقِينَ
"ওয়াল্লাহু ওয়ালীউল মুত্তাকীন "

অর্থ - আর আল্লাহ্ মুত্তাকীদের (পরহেজগারদের) বন্ধু।
(সূরা জাসিয়া ৪৫:১৯)

অথচ কত ধৃষ্ঠাতায়, মূর্খতায় বলে দিলেন- আল্লাহর অলিদের অনুসরন করতে নিষেধ করা হয়েছে!!!!!!!!!!!!!

সো বাকী বিষয়ে কথা বলা বাতুলতা মাত্র।

একটা বিষয় নিয়ে বিশ্লেষনাত্বক আলোচনা হচ্ছে। তথ্য ভিত্তিক কার্যকর উপাত্ত সহ আলোচনায় স্বাগত।
বিভ্রান্তিকর, কনফিউজিং এবং স্ব-বিরোধী, মনগড়া ভাবনা নিয়ে কু-তর্কে অনাগ্রহী।

ভাল লাগলে সাথে থাকুন। মন্দ লাগলে ইগনোর করুন।
আমি কাউকে জোর করছিনা জন্মান্তর বিশ্বাস করতে। কাউকে মানাও করছিনা বিশ্বাস করতে। আমি নিজে খুঁজে ফিরছি আলটিমেট ট্রুথ কি? এবং অবশ্যই তা অন্ধ বিশ্বাসের সাথে নয়!
আল্লাহ অন্ধ বিশ্বাসীদের চফনদ করেন না। কারণ কোরআন হল জ্ঞানীদের জন্য গ্রন্থ। বারবার বলা হয়ছে।

অন্ধ অনুসারীদের চুমুর চেয়ে তার্কিক বিশ্বাসীর জন্য আল্লাহ বেশি ইশারা রেখেছেন। প্রশ্ন রেখেছেন ক্লু দিয়ছেণ্

এই গ্রন্থ তাদের জন্য যারা জ্ঞানী! যারা অনুসন্ধিৎসু!
তারা কি দেখে না এই মাহকাশ কিভাবে সৃজন করেছি।
কোন কিছুই আমি অনর্থক সৃষ্টি করিনি! - তো এর অর্থক বের করা বিজ্ঞানীর কাজ! তথ্য বিশ্লেষন করা আলেমের কাজ!

অন্ধ তেলায়াত নয়। অক্ষরে অক্ষরে নেকী সন্ধানকরা নয়।

ভাল থাকুন। খোদা হাফেজ।






২০| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৬

আহা রুবন বলেছেন: এই পর্বটি খুব ভাল লাগল। জানতে, ভিন্ন-চিন্তা (এত দিন যেভাবে চিন্তা করে এসেছি তার উল্টো বা অন্যরকম) করতে আমি ভালবাসি। সেটি আমার বিশ্বাসের বিপক্ষে হলেও। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শব্দের অর্থ একেবারেই বদলে যায় - কামিনী ও রমণী শব্দের উৎপত্তি যথাক্রমে যার সঙ্গে কাম ও রমণ করা যায়। কিন্তু আমরা নারীর প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহার করি। প্রায়ই রাজনীতিকরা বলে আপামর জনগণ, অথচ পামর অর্থ নিষ্ঠুর, পাষণ্ড কিন্তু ব্যবহৃত হয় সাধারণ (জনগণ) বোঝাতে, হতে পারে ভুল প্রয়োগ। প্রত্যেক ভাষারই একটি বৈশিষ্ট্য সময়ের সাথে সাথে বদলে যাওয়া। তাহলে আরবির প্রতিটি শব্দের অর্থ কি হুবহু দের হাজার বছর পূর্বের মতই আছে। সাধারণ বুদ্ধি বলে আল কোরান ঠিক থাকলেও আমাদের বোঝার ভিন্নতা সৃষ্টি হওয়া বোধ করি অসম্ভব নয়।

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ রুবন!

যথার্থ অনুভবব করেছেন। :)

সাথে থাকুন

২১| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে । ভাল করে পাঠ করে পরে আসব ।
শুভেচ্ছা রইল

০৩ রা মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অশেষ কৃতজ্ঞতা!

প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে আপ্লুত :)

শুভেচ্ছা অন্তহীন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.