নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চক্র মানে অবিরাম চলমানতা রুপ ভিন্নতায় সেই অবিচ্ছিন্ন চক্রে নিয়ত আবর্তিত হওয়া।
আমরা সকলেই ছোটকালেই পানি চক্র,
বায়ু চক্র, প্রাকৃতিক নানা চক্র সর্ম্পকে অবগত হয়েছি।
এবং বিনা বাক্যে মেনেও নিয়েছি। জ্ঞানের অংশ হিসেবেই।
কিন্ত যখন মানব চক্র বা মানব জীবনের প্রশ্ন আসে অধিকাংশই চেয়ারে নড়েচড়ে বসি।
বা নিজেদের প্রচলিত সাধারন জানাকেই চূড়ান্ত ভেবে আঁকড়ে থাকি নিজের বিশ্বাস! এক অনঢ় মূঢ়তা স্থবির করে রাখে ভাবনার জগত।
আমি নিজেও এক সময় এই দলেই ছিলাম। কিন্তু জ্ঞান পিপাসু হৃদয় তো থেমে থাকবার নয়। সত্যাসত্য নির্ণয়ে পীড়া থেকেই ব্যাপকতর জানার চেষ্টা এবং একটা স্তরে গিয়ে পূর্ণতর ধারনায় স্থিতু হতে হয়েছে। জ্ঞান-বিজ্ঞান, ধর্ম, বিভিন্ন ইজম, সাধারন প্রচলিত মিথ সকল কিছু থেকে নির্যাসের মতোই তুলে আনতে হয় জ্ঞানকে দুধ থেকে মাখন আর মাখন থেকে ঘি তোলার মত।
শক্তির অবিনশ্বরতাবাদ
শক্তির যে কোন রূপকে অন্য যে কোন রূপে রূপান্তরিত করা যায়, কিন্তু মোট শক্তির পরিমাণ একই থাকে। একে শক্তির অবিনশ্বরতাবাদ নীতি বা শক্তির নিত্যতা সূত্র বলা হয়। শক্তির অবিনশ্বরতাবাদ নীতিকে এভাবে বিবৃত করা যায়ঃ
শক্তির সৃষ্টি বা বিনাশ নেই, শক্তি কেবল একরূপ থেকে অপর এক বা একাধিকরূপে পরিবর্তিত হতে পারে। মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়।[১]
শক্তি একরূপ থেকে অন্য রূপে পরিবর্তিত হলে শক্তির কোন ক্ষয় হয় না। একটি বা একাধিক বস্তু যে পরিমাণ শক্তি হারায়, অন্য এক বা একাধিক বস্তু ঠিক একই পরিমাণ শক্তি পায়। নতুন করে কোন শক্তি সৃষ্টি হয় না বা কোন শক্তি ধ্বংসও হয়না। সুতরাং এই মহাবিশ্ব সৃষ্টির মুহূর্তে যে পরিমাণ শক্তি ছিল, এখনও ঠিক সেই পরিমাণ শক্তিই আছে।
আত্মা প্রকৃ্তপক্ষে কি?
আত্মা হচ্ছে জীবনী শক্তির এক চিন্ময় স্ফুলিঙ্গ যা প্রত্যেকটি দেহকে ক্রিয়াশীল করে, সেটিকে বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ সম্পাদনে সক্ষম করে, ঠিক যেমন ইলেক্ট্রন কণার স্রোত তামার তারের মধ্যে প্রবাহিত হবার সময় শক্-এর সৃষ্টি করে। দেহকে একটি গাড়ীর সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে, আর আত্মাকে তুলনা করা যায় গাড়ীটির চালকের সংগে। আত্মা সেই জীবনের এক স্ফুলিঙ্গ, যার উপস্থিতির ফলে দেহকে জীবন্ত বলে মনে হয়, আর যখন আত্মা দেহটি ছেড়ে চলে যায়, তখন আমরা বলি যে লোকটি ‘মৃত’।
আত্মার অস্তিত্বের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণ
(সূত্রঃ ভগবদগীতার সারতত্ব ছয় পর্বের প্রাথমিক পাঠক্রম )
আমারা কেবল জড় পদার্থ ও শক্তির সংগে সমন্বিতভাবে ‘বিজ্ঞান’ শব্দটিকে বুঝতে অভ্যস্ত। কিন্তু আরো এক উচ্ছতর মাত্রায় বিজ্ঞান রয়েছে, যা আত্মা ও অ-জড়, চিন্ময় শক্তি সম্বন্ধে আলোকপাত করে। আত্মা স্বরূপতঃ জড়াতীত, চিন্ময়, অপ্রাকৃত বস্তু। অন্য কথায়, আত্মা মূলগত ভাবেই জড় ইন্দ্রিয়ের প্রত্যক্ষণের পরিধির অতীত। জড়বিজ্ঞানের পরীক্ষা নিরীক্ষামূলক কলাকৌশলগুলি আত্মার অস্তিত্ব ‘প্রমাণ’ করার জন্য অপর্যাপ্ত, অনুপযুক্ত, ঠিক যেমন কানের দ্বারা আলোর অনুভব লাভের চেষ্টা বৃথা। কিন্তু অধ্যাত্ম-বিজ্ঞানের নিয়মবিধির অনুসরণের মাধ্যমে একে এক উচ্চতর বাস্তবতা বলে উপলব্ধি করা যায়। চরমে, সমগ্র পারমার্থিক সত্যই প্রকাশিত ও ‘প্রমাণিত’ হয় আভ্যন্তরিকভাবে, অনুভবের মাধ্যমে। তবু আত্মার উপস্থিতি উপলব্ধিতে নীচের বিষয়গুলি আমাদের সাহায্য করতে পারে।
১. সাধারণ জ্ঞান
যখন কেউ মারা যায়, আমরা বলি, “উনি চলে গেলেন।” এখন, কে চলে গেছেন? ব্যক্তিটির শরীর তো এখনো সেখানে শায়িত রয়েছে? সত্যটি হচ্ছে এই যে জীবনের উৎস আত্মা দেহটি ছেড়ে চলে গিয়েছে, এবং সেজন্য ব্যক্তিটিকে এখন বলা হচ্ছে মৃত।
২। স্বজ্ঞা-গত উপলব্ধি
আমাদের প্রত্যেকেরই একটি স্বজ্ঞাগত বোধ রয়েছে যে প্রকৃ্ত সত্তা বা ব্যক্তি, ‘আমি’ দেহ, মন ও বুদ্ধি থেকে আলাদা, পৃথক। আমরা বলি “আমার হাত,” “আমার মাথা” ইত্যাদি। এইভাবে আমরা দেহটির উপরের মাথার চুল থেকে শুরু করে পায়ের ডগা পর্যন্ত ‘আমার এটা, সেটা’ বলে অভিহিত করতে পারি। এটি নির্দেশ করছে যে ঐসব বস্তুগুলি কোনো একজনের, কোনো মালিকের। চোখ, কান বা মস্তিষ্ক হচ্ছে কেবল কতকগুলি যন্ত্র, যেগুলির মাধ্যমে “আমরা” দেখি, শুনি, অথবা চিন্তা করি। এইসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি নিজেরা কোনো কিছু করতে পারে না। এমনকি একটি মৃতদেহেরও মস্তিষ্ক রয়েছে, কান রয়েছে, চোখ রয়েছে কিন্তু সেগুলি অকেজো, ক্রিয়াশক্তিরহিত। চালক, অর্থাৎ আত্মা এই দেহ-রূপ যানটিকে পরিত্যাগ করেছে বলেই এইসব যন্ত্রের কাজকর্ম সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে গেছে।
৩. চেতনা (Consciousness)
জীবন্ত দেহে রয়েছে চেতনা। ঠিক যেমন সূর্য তার চতুর্দিকে তাপ ও আলোকরশ্মি বিকিরণ করে, তেমনি আত্মাও সমগ্র দেহে চেতনা পরিব্যাপ্ত করে- পায়ের ডগা থেকে মাথার চুল পর্যন্ত, সর্বত্র। দেহে পরিব্যাপ্ত এই চেতনাই আমাদেরকে চিন্তা, অনুভব বা চলাফেরা করতে সক্ষম করে। অতএব চেতনা হচ্ছে আত্মার লক্ষণ। চেতনার অস্তিত্বই একটি মৃত দেহের সঙ্গে জীবন্ত দেহের পার্থক্য সূচিত করে। এমন একটি যন্ত্র সহজেই তৈরী করা যেতে পারে, যেটির লেন্সে লাল আলো পড়া মাত্রই সেটি সাড়া দেয় ও তার থেকে এই তথ্য লেখা কাগজের টেপ বেরিয়ে আসেঃ “আমি লাল আলো দেখছি”, কিন্তু এই যান্ত্রিক সাড়া বা প্রক্রিয়ার মধ্যে কি সত্যি সত্যি কোনো অনুভবের স্পন্দন আছে, যা একটি চেতন জীব উপলব্ধি করে- যেমন কোনো মানুষের প্রভাতের রক্তিম সূর্যোদয় দেখে অনুভব করে? টমাস হাক্সলি যেমন যথার্থই বলেছেন, “এই বিশ্বে একটি তৃতীয় পদার্থ রয়েছে, অর্থাৎ চেতনা, যাকে আমি আদপেই কোনো জড় পদার্থ বা শক্তি বলে মনে করি না।” এই চেতনার অস্তিত্ব আত্মার অস্তিত্বকেই প্রমাণ করে।
৪। আসন্ন-মৃত্যুর অভিজ্ঞতা (N.D.E- Near Death Experience)
গবেষণায় সংগৃহীত তথ্যের দৃষ্টান্ত দ্বারা প্রদর্শিত হয় যে মন জড়ীয় মস্তিষ্ক ও দেহ হতে স্বতন্ত্র। এন.ডি.ই-র মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে দেহাতিরিক্ত অভিজ্ঞতা বা ও.বি.ই (আউট-অব-বডি এক্সপিরিয়েন্স), যেখানে বিভিন্ন মানুষ তাদের নিজেদের দেহ ও অন্যান্য দেহসংক্রান্ত ঘটনাবলীর কথা জানাচ্ছেন যা দেহাতীত কোন পটভূমিতে থেকে পর্যবেক্ষণ করা- তাদের গুরুতর অসুস্থতা, দৈহিক যন্ত্রণা বা অপারেশনের সময়, যখন তাদের দেহ থাকে অজ্ঞান বা ‘অচেতন’। এর আদর্শ দৃষ্টান্ত হচ্ছে, একজন হৃদরোগী শল্য চিকিৎসার পর কিঞ্চিৎ সুস্থ হয়ে অপারেশনকালীন সমস্ত ঘটনার আনুপূর্বিক বর্ণনা দিচ্ছেন, যেন বাইরে থেকে তিনি সেসব দেখেছেন। এইরকম অনুভবের সময় মেডিক্যাল অভিমত অনুসারে তার মস্তিষ্কের স্বাভবিক ক্রিয়াকলাপ বন্ধ হয়ে যায়- যন্ত্রে ব্রেন-ওয়েভের রেখাচিত্র বা গ্রাফের রেকর্ড থেকে তা স্পষ্ট বোঝা যায়, এবং ঐ রোগী তখন অজ্ঞান অবস্থায় থাকেন।
এন.ডি.ই নিয়ে পরিপূর্ণ বিজ্ঞানসম্মত, নিখুঁত গবেষণা করে বহু ব্যক্তি তাদের রিসার্চ-রিপোর্ট উপস্থাপন করেছেন। উদাহরণস্বরূপ, এমরি ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল স্কুলের প্রফেসর ও কার্ডিওলজিস্ট ডক্টর মাইকেল বি. স্যাবম্ প্রথমে এন.ডি.ই- সম্পর্কে ছিলেন অত্যন্ত সন্দিগ্ধ; কিন্তু ঐগুলির সত্যতা তদন্ত করে দেখার পর তিনি তাঁর মত পরিবর্তন করেন। কঠোর রিসার্চ-এর ভিত্তিতে ডক্টর স্যাবম্ লেখেন, “মানুষের মস্তিষ্ক যদি এই দুটি মৌলিক উপাদান দিয়ে নির্মিত হয়- ‘মন’ ও ‘মস্তিষ্ক’, তাহলে বহু মানুষের মৃত্যুকালীন অভিজ্ঞতার ঘটনা কি অত্যন্ত অস্থায়ী সময়ের জন্য হলেও মন ও মস্তিষ্কের বিচ্ছিন্নতাকেই প্রদর্শন করে না? এই দেহাতীত অভিজ্ঞতার জবানবন্দী আসলে প্রচলিত ধর্মীয় তথ্যের সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি সঙ্গগিপূর্ণ মনে হয়। সেই মন, যা শরীরস্থ মস্তিষ্ক হতে বিমুক্ত হয়ে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছে- সেটি কি আসলে মূলগতভাবে আত্মা হতে পারে, চরমে জড় শরীরের বিনাশের পরেও যার অস্তিত্ব থাকে অব্যাহত, ঠিক যেমন কিছু কিছু ধর্মীয় মতবাদে বলা হয়ে থাকে? আমার মনে হচ্ছে যে এই সব এন.ডি.ই-র রিপোর্টগুলি যে চরম প্রশ্নটিকে তুলে ধরেছে, এ হচ্ছে সেই প্রশ্ন।”
৫। পূর্বজন্মের স্মৃতি
বহু নিষ্ঠাবান গবেষক এই পূর্বজন্মের স্মৃতির উপর নিরপেক্ষ কঠোর ও নিয়মানুগভাবে বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন। আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার সাইক্রিয়াট্রির অধ্যাপক ইয়ান স্টিভেনসন শিশুদের দ্বারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কথিত তাদের পূর্বজন্মের স্মৃতির উপর ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন। শিশুদের দেওয়া তাদের পূর্ব জন্মের জন্মস্থান, তাদের পূর্ব নাম ও চেহারা, তাদের স্বজন-বর্গের ও অন্যান্য পরিচিতদের নাম পুনর্জন্মের সত্যতাকেই হুবহু সমর্থন করে। প্রফেসর স্টিভেনসন বহু সংখ্যক ঘটনার-বিবরণী একত্রিত করে সেগুলির সত্যতা যাচাইয়ে ব্রতী হন এবং সেই সাথে কোন প্রকার জালিয়াতি যাতে না হতে পারে সে ব্যাপারে তিনি কঠো সতর্কতা গ্রহণ করেন। তাঁর গবেষণা বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ উপস্থাপন করে যে চেতন আত্মা একটি জড় শরীর থেকে অপর একটি জড় শরীরে গমন করতে পারে, দেহান্তরিত হতে পারে। স্পষ্টতঃই, যখন একটি দেহের মৃত্যু হয় তখন তার মস্তিষ্কের কোষগুলি নষ্ট হয়ে যায়, এবং কোন রকম বাহ্যিক প্রক্রিয়ার সাহায্যেই সেগুলিকে আর অন্য আরেকটি মস্তিষ্কে প্রভাবিত করতে পারে না, সেইজন্য কখনই কোন মৃত মানুষের স্মৃতি কোনো শিশুর মস্তিষ্কে শারীরিকভাবে সঞ্চারিত হবার বা করবার কোনো সম্ভাবনাই নেই। সেজন্য একটি শিশুর পূর্বজন্মের স্মৃতিচারণ এটিই প্রমাণ করে যে ঐ দেহস্থ ব্যক্তি আগের জন্মে ঐ পূর্বেকার দেহটি ব্যবহার করেছে, যার কিছু স্মৃতি সে অভিব্যক্ত করতে পারছে। অতএব সরলার্থ হচ্ছে এই যে চেতন আত্মা অবশ্যই এমন একটি সত্তা যা দেহস্থ মস্তিষ্ক থেকে পৃথক।
স্থুল দেহ ও সূক্ষ্ম দেহ
(সূত্রঃ ভগবদগীতার সারতত্ব ছয় পর্বের প্রাথমিক পাঠক্রম )
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভগবদগীতায় বলেছেনঃ
অবিনাশী তু তদ্বিদ্ধি যেন সর্বং ইদং ততম্।
বিনাশং অবিনাশ্যস্য ন কিঞ্চিৎ কর্তুমর্হসি।।
“সমগ্র শরীরে পরিব্যাপ্ত রয়েছে যে অক্ষয় আত্মা, জেনে রেখো তাকে কেউ বিনাশ করতে সক্ষম নয়।” (ভ.গী.– ২/১৭)
ভগবদগীতা অনুসারে, আপনি এই দেহ নন। আপনি মন নন। আপনি বুদ্ধিও নন, আপনি মিথ্যা অহঙ্কারও নন। আপনি এই জড় দেহের সমস্ত জড় পদার্থের অতীত বস্তু। আপনি হচ্ছেন সেই চেতনা, সারা দেহে যা পরিব্যাপ্ত রয়েছে। আপনি হচ্ছেন চির অবিনাশী আত্মা। এরপর শ্রীকৃষ্ণ বলেন,
“ভূমিরাপোহনলো বায়ুঃ খং মনো বুদ্ধিরেব চ।
অহঙ্কারং ইতীয়ং মে ভিন্না প্রকৃতিরষ্টধা।।”
“ভূমি, জল, বায়ু, আকাশ, মন, বুদ্ধি এবং অহঙ্কার- এই অষ্ট প্রকারে আমার ভিন্না জড়া প্রকৃতি বিভক্ত।” (ভ.গী. ৭/৪)
এই উপাদানগুলি সর্বদাই পরিবর্তনশীল। স্থূল শরীর তৈরী হয়েছে উপরোক্ত প্রথম পাঁচটি উপাদান দিয়েঃ ‘ভূমি’ বলতে বোঝায় সমস্ত কঠিন পদার্থকে। জল বলতে বোঝায় সমস্ত তরল পদার্থ। অগ্নি হচ্ছে আলোক ও তেজ (তাপ)। বায়ু হচ্ছে সমস্ত গ্যাসীয় পদার্থ। আকাশ হচ্ছে শূন্যস্থান (ইথার) এবং শব্দ। স্থূল দেহে এই পাঁচটি পদার্থ রয়েছে।
সূক্ষ্ম শরীর তিনটি সূক্ষ্ম উপাদান দ্বারা গঠিতঃ মন, বুদ্ধি ও মিথ্যা অহংকার (ভ্রান্ত ‘আমি’ বোধ)। প্রকৃত অহঙ্কার হচ্ছে এই উপলব্ধিঃ ‘আমি চিন্ময় আত্মা, কৃষ্ণের নিত্য দাস’। মিথ্যা অহঙ্কার হচ্ছে মোহগ্রস্ত অবস্থায় এই রকম চিন্তা করা, “আমি এই দেহ।” সূক্ষ্ম দেহ ও স্থূল দেহ হচ্ছে চেতনার উপর জড়ীয় আবরণ। এইরকম সূক্ষ্ম এবং স্থূল দেহে বদ্ধ একটি জীবাত্মাকে বলা হয় ‘বদ্ধ জীব’। যিনি এইরকম আবরণ থেকে মুক্ত এবং ভগবদ্ধাম প্রাপ্ত হন, তাঁকে বলা হয় মুক্তাত্মা। তারপর শ্রীকৃষ্ণ বলেন,
অপরেয়মিতস্ত্বন্যাং প্রকৃতিং বিদ্ধি মে পরাম্।
জীবভূতং মহাবাহো যয়েদং ধার্যতে জগৎ।।
“হে মহাবাহো ! এই নিকৃষ্টা প্রকৃতি ব্যতীত আমার আর একটি উৎকৃষ্টা প্রকৃতি রয়েছে। সেই প্রকৃতি চৈতন্য-স্বরূপা ও জীবভূতা; সেই শক্তি থেকে সমস্ত জীব নিঃসৃত হয়ে এই জড় জগৎকে ধারণ করে আছে।” (ভ.গী. ৭/৫)
ভগবানের শক্তিরাজি (God’s Energies)
অপরা (নিকৃষ্টা) জড়া শক্তি পরা (উৎকৃষ্টা, চিন্ময়)শক্তি
(Inferior Material Energy) (Superior Spiritula Energy)
স্থূল উপাদান সূক্ষ্ম উপাদান চিন্ময় দেহ (আত্মা)
(Gross Elements) (Subtle Elelments)
১. ভূমী (Earth) ১. মন (Mind) ১. সৎ (Eternal)
২. জল (Water) ২. বুদ্ধি (Intelligence) ২. চিৎ (Full of knowledge)
৩. অগ্নি(Fire) ৩. মিথ্যা অহঙ্কার (False Ego) ৩. আনন্দ (Full of Bliss)
৪. বায়ু (Air)
৫. আকাশ (Ether)
অনুৎকৃষ্টা অপরা শক্তি (জড় বস্তু) এবং উৎকৃষ্টা পরা শক্তি (আত্মা) উভয়ই পরমেশ্বর ভগবানের অধীন। আত্মাই হচ্ছে জীবন। শরীরটি সবসময়ই মৃত। ঠিক যেমন আপনি যদি হাতে দস্তানা পরেন এবং আঙুলগুলি সঞ্চালন করতে থাকেন, তাহলে দস্তানাকে জীবন্ত বলে মনে হতে পারে। ঠিক তেমনি আত্মা শরীরকে সঞ্চালন করে। শরীরটি সবসময়ই মৃত, এমনকি যখন আত্মা ঐ দেহের মধ্যে অবস্থান করতে থাকে তখনও দেহটি মৃত, কেননা শরীরটি কেবল কিছু মৃত অচেতন জড় পদার্থ দিয়ে তৈরী- মাটি, জল, আগুন, বাতাস, আকাশ এবং মন, বুদ্ধি ও মিথ্যা অহঙ্কার।
(সূত্রঃ ভগবদগীতার সারতত্ব ছয় পর্বের প্রাথমিক পাঠক্রম )
আত্মা (ইংরেজি: spirit) হল কোন জীবের অংশ যা কোন শরীর নয়। দেহ যখন জীবিত থাকে, তখন এর ভেতরে একটি আত্মা থাকে। আর মৃত্যুর সময় আত্মা দেহ থেকে বেরিয়ে যায়।
খ্রিস্টানরা বিশ্বাস করে যে, স্বর্গে এবং নরকে আত্মা বাস করে।(দেখুন ১ তিমোথি ৩:১৬, ৪:১)
আধ্যাত্মিক বিশেষজ্ঞগণ বিশ্বাস করেন যে, আত্মা মানুষের সাথে কথা বলতে পারে এবং পৃথিবীর যে কোন জিনিসকে বদলে দিতে পারে। অনেক ধর্ম এ ধরনের আত্মার সাথে সকল অবস্থায় যোগাযোগ করতে নিষেধ করে (দেখুন লেভিটিকাস ১৯:৩১) কিন্তু কিছু ধর্ম আবার একে তাদের রীতিনীতির অংশ হিসেবে চর্চা করে।
ইহুদী ধর্মমত
তৃতীয় শতকের একটি চিত্র অবলম্বনে এজেকিয়েল স্বর্গাদেশ প্রাপ্ত হচ্ছেন।
হীব্রু ভাষার ruach ha-kodesh (Hebrew: רוח הקודש, যার অর্থ ‘পবিত্র আত্মা’ (অনেক জায়গায় ruaḥ ha-qodesh হিসাবে বর্ণান্তরিত হয়েছে) বাক্যাংশটি হিব্রু বাইবেল ও অন্যান্য পুস্তকে YHWH (רוח יהוה) এর আত্মা হিসাবে বর্নিত হয়েছে যার আভিধানিত অর্থ “পবিত্র স্থানে আত্মা” বা “পবিত্রতার আত্মা”। ইহুদীমতে পবিত্র আত্মা বলতে স্বর্গীয় ভাববাণী এবং জ্ঞানকে বুঝায়। জগাতের সকল সৃষ্টির উপর সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠত্বকে বুঝাতে পবিত্র আত্মা শব্দটি ব্যবহৃত হয়।[৩]
খ্রীস্টান ধর্মমত
সেইন্ট পিটারের ব্যাসিলিকায় রক্ষিত একটি তৈলচিত্রে পবিত্র আত্মাকে আগুনের লেলিহান শিখার মাছে পায়রা হিসাবে দেখান হয়েছে।
অধিকাংশ খ্রীস্টধর্মালম্বীদের মতে, পবিত আত্মা ট্রিনিটির তৃতীয় স্বর্গীয় স্বত্তা। স্বত্তা তিনটি হল, পিতা, পুত্র এবং পবিত্র আত্মা। পবিত্র স্বত্তার তিনটি দৃষ্টিভঙ্গিই ঈশ্বর হিসাবে উদ্ভাসিত। [৪][৫][৬] বাইবেলের নতুন টেস্টামেন্টে বর্ণিত দুইটি প্রতীক পবিত্র আত্মার সাথে সম্পর্কিত: একটি ডানাসহ পায়রা এবং আগুনের লেলিহান শিখা।
ইসলাম ধর্মমত
পবিত্র রূহ (আরবী ভাষায়:روح القدس উচ্চারন “রুহ আর কুদুস”, অর্থ, পবিত্র রূহ বা আত্মা) শব্দটি বেশ কয়েকবার পবিত্র কোরানে বর্নিত হয়েছে। যেখানে তাকে আল্লাহ্র র্বাতাবাহক হিসাবে বলা হয়েছে। ইসলাম ধর্মের পবিত্র আত্মার ধারনাটির সাথে বাইবেলের নতুন ও পুরাতন টেস্টামেন্টে বর্নিত পবিত্র আত্মার ধরনার সাথে মিল আছে। কিছু হাদিসের বর্ননা অনুসারে মুসলিমরা গ্যাব্রিয়েলকে (আরবী উচ্চারনে জীবরাঈল বা হযরত জীবরাঈল আ: কে পবিত্র আত্না হিসাবে মনে করেন। এছড়া শুধুমাত্র আত্মা (الروح আল-রূহ, ‘পবিত্র’ বা ‘গৌরবান্বিত’ বিশেষনটি ছাড়া শব্দটি ইসলামের ভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন প্রথম মানব হযরত আদম আ: কে আল্লাহ সৃষ্টি করার পর তার মধ্যে আত্মা প্রবেশ করিয়ে জীবন দান করেন বলে মুসলমানরা বিশ্বাস করেন। এছাড়াও ইসলামের অন্যান্য রাসুলগনও হযরত ঈসা আ: , হযরত মুসা আ: এবং হযরত ইব্রাহীম আ: বিভিন্ন উপায়ে পবিত্র আত্মা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন বলে এমন বর্নানা পাওয়া যায়। বাইবেলে বর্ণিত “পবত্রি ট্রিনিটি” ধারনাটি ইসলামে একেবারেই স্বীকৃতি দেয়া হয়নি বরং এধারনা সম্পূর্ণরূপে ইসলামবিরোধী এবং নিষিদ্ধ। একইভাবে অন্য কাউকে সৃষ্টিকর্তার সমতুল্য জ্ঞান করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।[৭][৮]
বাহাই ধর্মমত
বাহাই ধর্মে “মহাপবিত্র আত্মা” এর ধারনাটি বিদ্যমান। যাকে ঈশ্বরের অনুগ্রহ হিসেবে দেখা হয়। [৯] এ ধর্মে পবিত্র আত্মা হিসাবে ঈশ্বরের আত্মাকে বুঝায় যা বিভিন্ন নবী ও রাসুলদের নিকট উপস্থিত হয়েছিল। যাদের মধ্যে ছিলেন, ঈসা,মুসা, মুহাম্মদ ও বাহাউল্লাহ।[১০] বাহাই ধর্মমতে, পবিত্র আত্মা হল একটি ধারা বা মাধ্যম যার মধ্যদিয়ে সৃষ্টিকর্তার জ্ঞান তার রাসুলদের কাছে সরাসরি এসেছে। পবিত্র আত্মা বিভিন্ন ধর্মের রাসুলদের কাছে বিভিন্ন আকৃতিতে উপস্থাপিত হয়েছে, যেমন মুসার কাছে আগুনে ভস্মিভুত ঝোপের আকারে, জরথুষ্ট্রের কাছে পবিত্র আগুনের আকারে, যীশুর কাছে পায়রার আকারে, মুহাম্মাদের আছে জীবরাঈলের আকারে এবং বাহাউল্লাহর কাছে বেহেশতের হুর এর আকারে।[১১]
মানবাত্মা আল্লাহ তায়ালার এক বিস্ময়কর ও রহস্যময় সৃষ্টি। আত্মা দেহকে সঞ্জীবিত করে তোলে এবং দেহে গতি সঞ্চার করে। দেহ ছাড়াও আত্মা থাকতে পারে তবে আত্মা ছাড়া দেহ অচল। মানবদেহ আত্মার নির্দেশ পালনের হাতিয়ারস্বরূপ। হুকুম তামিল করার জন্য সে সদা প্রস্তুত। আত্মার দুটি প্রবৃত্তি রয়েছে। সুপ্রবৃত্তি এবং কুপ্রবৃত্তি। সুপ্রবৃত্তি মানুষকে ন্যায়, সৎ ও সঠিক পথ নির্দেশ করে। অন্যদিকে কৃপ্রবৃত্তি মানুষকে অন্যায়, অসৎ ও বিপথে পরিচালিত করে। কোরানে কারিমে মানবাত্মা বিষয়ে অনেক আলোচনা রয়েছে। ইসলাম মানুষের আত্মাকে সাধারণত তিন স্তরে বিন্যস্ত করে। ক. নফসে আম্মারা বা কুপ্রবৃত্তিমূলক আত্মা, খ. নফসে লাওয়ামাহ বা বিবেকতাড়িত এবং গ. নফসে মুতমাইন্না বা প্রশান্ত আত্মা। কোরানে কারিমের সুরা ইউসুফের ২৪ নম্বর আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে, ‘নিশ্চয় মানুষের মন মন্দকর্মপ্রবণ।’ দুনিয়ায় এমন অনেক কিছু রয়েছে, যা আপাতদৃষ্টিতে লোভনীয় ও আকর্ষণীয় বলে প্রতীয়মান। মানুষ সহজেই এ সবে আকৃষ্ট হয় এবং বিপথে পরিচালিত হয়। কিন্তু মানুষের বুদ্ধি-বিবেক বা সুআত্মা বিদ্যমান বিধায় সে হীন-নীচ-কদর্য পথ থেকে বিরত থাকতে সমর্থ হয়।
মানব আত্মা বা নফস মহান আল্লাহর এক বিস্ময়কর ও রহস্যময় সৃষ্টি। এসব বিষয় নিয়ে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা, গবেষণা ও অনুসন্ধান অহরহ চলছে। মানব জন্মের সাথে তার রূহ বা আত্মা কিভাবে দেহে সংযুক্ত হয় বা প্রবেশ করে তা অদ্যাপি অজ্ঞাত। আত্মা দেহকে সঞ্জীবিত করে তোলে এবং দেহে গতি সঞ্চার করে। অন্য দিকে দেহ ছাড়া আত্মার স্বরূপ অনুভূত হয় না বা জানা যায় না। দেহ-মন একীভূত হয়ে থাকলেও এদের মধ্যে কোনো অনিবার্য সম্পর্ক নেই- আত্মা মুক্ত স্বাধীন স্বতন্ত্র এবং স্বীয় বৈশিষ্ট্যে মহীয়ান। দেহ ছাড়াও আত্মা থাকতে পারে- তবে আত্মা ছাড়া দেহ অচল নির্জীব এবং নিরেট জড় পদার্থ মাত্র।
ক্রমশ:
সংকলন তথ্য সূত্র: অন্তর্জাল
সকল সাইট, সকল লেখক এবং সকল গবেষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
বিভিন্ন সময়ে বিচ্ছিন্ন ভাবে তথ্য সংগ্রহের ফলে সকল লিংক দিতে না পারায় দু:খিত।
কিছু পুরানো বই এবং যারা এ যাবত কাল এই জ্ঞান এবং ভাবনাকে চলমান রেখেছেন সকলের প্রতি শ্রদ্ধা !
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার ভাই
ধারাবাহিক করতে হয়েছে তথ্য অনেক বেশি বলে। পর্যাক্রেম আসছে।
ইসলাম মতের নামে আমরা যা জানি তাই কি প্রকৃত সত্য না আরো কিছু ভিন্নার্থ আছে সে বিষয়গুলোও উঠে আসবে।
উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জ্ঞান আর প্রকৃত সত্যের মাঝে কি আসলেই ব্যবধান আছে ? কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা চেস্টা করছি আলোকিত দৃষ্টিতে অনুভবের। সাথে আচে আপনাদের প্রাজ্ঞ মতামত।
আশা করি সিরিজে থাকবেন মূল্যবান মতামত নিয়ে।
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৫৯
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা পোষ্ট। অনেক বড় হলেও পড়লাম জানার ইচ্ছায়। গাড়ি আর মানুষ দিয়ে বুঝিয়েছেন সুন্দর করে। আত্মা আর পূর্বজন্ম নিয়েও আলোচনা ভালো লাগলো জানতে পেরে। আমি 'বাহাই' নামে কোনো ধর্ম আছে জানতামই না। আজ জানলাম।
সব মিলিয়ে ভালো একটি তথ্যজ্ঞান নির্ভর পোষ্ট।
পোষ্টে কৃতজ্ঞতা রেখে যাচ্ছি।
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
একজন আগ্রহী পাঠকই লেখকের প্রেরণা। অনেক কৃতজ্ঞতা ।
আরিএটা প্রথম পর্ব। ৪-৫টি সিরিজে শেষ করার চেষ্টা করব। আশা করি সাথে থাকবেন মূল্যবান মতামত নিয়ে।
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: হ্যা ভাই থাকবো সাথে। খুঁজে নেবো নিজ ইচ্ছায়। জানার আগ্রহেই বলছি।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২২
কালীদাস বলেছেন: লেখার ভালই ট্রাক চেন্জ করেছেন দেখা যায় অতি (বক) ধার্মিক দুচারজন বলদ নাস্তিক মনে করতে পারে কিন্তু
পোস্টের ব্যাপারে বলি। সুপাঠ্য ছিল লেখাটা। বিজ্ঞানের আর ধর্মের সৃষ্টি আর জীবনের চক্র সম্পর্কে ব্যাখ্যা মুটামুটি বিপরীতই বলা চলে। দুই ট্রাকেই পড়ি, কিন্তু বিশ্বাস বিশ্বাসের জায়গায়, গবেষণা গবেষণার জায়গায় রাখি। বাহাই ধর্ম নিয়ে বেশি কিছু জানিনা।
কন্টিনিউ করুন সিরিজ
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ কালীদাস দা
আমিতো জেনেশুনেই করেছি বিষপান! নিন্দার ভয় পেলে কি চলে?
ধন্যবাদ উৎসাহিত করায়। ৪-৫ পর্বে শেষ করার চেষ্টা করবো।
৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
"আত্মা হচ্ছে জীবনী শক্তির এক চিন্ময় স্ফুলিঙ্গ যা প্রত্যেকটি দেহকে ক্রিয়াশীল করে, সেটিকে বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ সম্পাদনে সক্ষম করে, ঠিক যেমন ইলেক্ট্রন কণার স্রোত তামার তারের মধ্যে প্রবাহিত হবার সময় শক্-এর সৃষ্টি করে। "
-ইলেক্ট্রন কণার স্রোত তামার তারের মধ্যে প্রবাহিত হবার সময় শক্-এর সৃষ্টি করে করে না, কারণ, তামা "কনডাকটর"; আপনি "শক" বলতে যা বুঝায়েছেন, সেটা হলো "আধা কনডাকটরের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময়, বাধা পেয়ে তাপ ও মেকানিক্যাল শক্তি উৎপন্ন করতে পারে; যেমন জীবিত প্রাণী, পানি ইত্যাদি"। আপনি ভুল লজিকের উপর ভাবনা গড়ে তুললে, পুরো ভাবনা ভুল হবে।
আপনি "আত্মা"কে বুঝতে গিয়ে, ইলেকট্রিক "শক"কের ধরণা দিচ্ছেন, যা সম্পর্কে আপনার ধারণা সঠিক নয়।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
উপমা সব সময় আক্ষরিক হয়না। বোধের সহজাতার জন্যেই বলতে হয়।
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। ভিন্নতায় ভাবনা বিকশিত হয়।
ভাল থাকুন
৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪০
চাঁদগাজী বলেছেন:
"শক্তির সংরক্ষণশীলতা নীতি
শক্তির যে কোন রূপকে অন্য যে কোন রূপে রূপান্তরিত করা যায়, কিন্তু মোট শক্তির পরিমাণ একই থাকে। একে শক্তির সংরক্ষণশীলতা নীতি বা শক্তির নিত্যতা সূত্র বলা হয়। শক্তির সংরক্ষণশীলতা নীতিকে এভাবে বিবৃত করা যায়ঃ
শক্তির সৃষ্টি বা বিনাশ নেই, শক্তি কেবল একরূপ থেকে অপর এক বা একাধিকরূপে পরিবর্তিত হতে পারে। মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়।[১] "
-আপনি কি "বস্তর অবিনশ্বরতা'কে", ভুল করে "শক্তির সংরক্ষণশীলতা" বলছেন? শক্তি যখন রূপান্তরিত হয়, মোট পরিমাণ এক থাকে না, "বস্ত" যখন রুপান্তরিত হয়, "মোট পারিমাণ এক থাকে"; আপনি এখানে ভুল করছেন।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
৬ নং কমেন্টে "বস্ত" না হয়েভবে "বস্তু" (পদার্থ)
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বুঝেছি
৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২৭
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: শক্তির যে কোন রূপকে অন্য যে কোন রূপে রূপান্তরিত করা যায়, কিন্তু মোট শক্তির পরিমাণ একই থাকে। একে শক্তির অবিনশ্বরতাবাদ নীতি বা শক্তির নিত্যতা সূত্র বলা হয়। শক্তির অবিনশ্বরতাবাদ নীতিকে এভাবে বিবৃত করা যায়ঃ
শক্তির সৃষ্টি বা বিনাশ নেই, শক্তি কেবল একরূপ থেকে অপর এক বা একাধিকরূপে পরিবর্তিত হতে পারে। মহাবিশ্বের মোট শক্তির পরিমাণ নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনীয়।[১]
আমরা জানি, শক্তি যখন এক রুপ থেকে অন্য যে কোন রুপে পরিবর্তিত হয় তখন তার রুপ বদলায়। যেমন বিদ্যুৎ শক্তি কে আলোক শক্তিতে রুপান্তরিত করা। হয়।
কিন্তু প্রাণ শক্তি যখন এক স্থানে থেকে আরেক স্থানে যায় তখন আপনার থিউরি অনুসারে তার রুপ পরিবর্তন হওয়ার কথা। যদি সেটি পরিবর্তন হয়ে থাকে তাহলে তার অবস্থা কি, সেটি পরিস্কার নয়।
তারপর আপনি পানি চক্রের উদাহরণ দিয়েছেন। পানি চক্রতেও পানির রুপ বদলায়:
যেমন সূর্য যখন তাপ প্রদান করে তখন পানি বাষ্পীভূত হয়, সেটি এখন সময় মেঘ মালায় পরিণত হয় এবং মেঘ থেকে এক সময় বৃষ্টি আকারে নিচে নেমে আসে। অর্থাৎ এক্ষেত্রেও একেকে সময় একক রুপ প্রদান করে। যদিও তার মৌলিকত্ব ঠিক থাকে।
কিন্তু আত্মা যখন স্থানান্তুরিত তখন নিশ্চয় তার রুপ বা অবস্থানগত পরিবর্তন হয়। সেটি আপনার বর্ণনায় অনুপস্থিত।
দেহকে একটি গাড়ীর সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে, আর আত্মাকে তুলনা করা যায় গাড়ীটির চালকের সংগে। আত্মা সেই জীবনের এক স্ফুলিঙ্গ, যার উপস্থিতির ফলে দেহকে জীবন্ত বলে মনে হয়, আর যখন আত্মা দেহটি ছেড়ে চলে যায়, তখন আমরা বলি যে লোকটি ‘মৃত’।
আপনার এখানেও বর্ণনায় গড়মিল আছে, দেহকে যদি একটি গাড়ির সঙ্গে তুলানা করি তাহলে আত্মাকে তুলনা করা যায় ফুয়েল বা জ্বালানির সঙ্গে। কারণ আমরা জানি গাড়িতে ড্রাইভার থাকলেও ফুয়েল না থাকলে সে গাড়ি অচল। ড্রাইভারের উপমা মস্তিকের সাথে তুলনা করতে পারতেন।
আত্মার অস্তিত্বের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণ
(সূত্রঃ ভগবদগীতার সারতত্ব ছয় পর্বের প্রাথমিক পাঠক্রম )
আমরা জানি ভগবদগীতা একটি ধর্মগ্রন্থ, বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ নয়।
৫। পূর্বজন্মের স্মৃতি
বহু নিষ্ঠাবান গবেষক এই পূর্বজন্মের স্মৃতির উপর নিরপেক্ষ কঠোর ও নিয়মানুগভাবে বহু পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন। আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার সাইক্রিয়াট্রির অধ্যাপক ইয়ান স্টিভেনসন শিশুদের দ্বারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে কথিত তাদের পূর্বজন্মের স্মৃতির উপর ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন। শিশুদের দেওয়া তাদের পূর্ব জন্মের জন্মস্থান, তাদের পূর্ব নাম ও চেহারা, তাদের স্বজন-বর্গের ও অন্যান্য পরিচিতদের নাম পুনর্জন্মের সত্যতাকেই হুবহু সমর্থন করে। প্রফেসর স্টিভেনসন বহু সংখ্যক ঘটনার-বিবরণী একত্রিত করে সেগুলির সত্যতা যাচাইয়ে ব্রতী হন এবং সেই সাথে কোন প্রকার জালিয়াতি যাতে না হতে পারে সে ব্যাপারে তিনি কঠো সতর্কতা গ্রহণ করেন। তাঁর গবেষণা বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ উপস্থাপন করে যে চেতন আত্মা একটি জড় শরীর থেকে অপর একটি জড় শরীরে গমন করতে পারে, দেহান্তরিত হতে পারে। স্পষ্টতঃই, যখন একটি দেহের মৃত্যু হয় তখন তার মস্তিষ্কের কোষগুলি নষ্ট হয়ে যায়, এবং কোন রকম বাহ্যিক প্রক্রিয়ার সাহায্যেই সেগুলিকে আর অন্য আরেকটি মস্তিষ্কে প্রভাবিত করতে পারে না, সেইজন্য কখনই কোন মৃত মানুষের স্মৃতি কোনো শিশুর মস্তিষ্কে শারীরিকভাবে সঞ্চারিত হবার বা করবার কোনো সম্ভাবনাই নেই। সেজন্য একটি শিশুর পূর্বজন্মের স্মৃতিচারণ এটিই প্রমাণ করে যে ঐ দেহস্থ ব্যক্তি আগের জন্মে ঐ পূর্বেকার দেহটি ব্যবহার করেছে, যার কিছু স্মৃতি সে অভিব্যক্ত করতে পারছে। অতএব সরলার্থ হচ্ছে এই যে চেতন আত্মা অবশ্যই এমন একটি সত্তা যা দেহস্থ মস্তিষ্ক থেকে পৃথক।
আমরা জানি প্রাণ একটি শক্তি সে কোন মেমরি নয়। সুতরাং সে যখন এক স্থান থেকে আরেক স্থানে স্থানান্তরিত হয় তখন তার সাথে স্মৃতি বহন করা অসম্ভব।
প্রফেসর স্টিভেনসন বহু সংখ্যক ঘটনার-বিবরণী লিপিবদ্ধ করে তুলণামূলক/সাক্ষাৎকারমূলক গবেষণা চালিয়েছেন। তুলণামূলক বা সাক্ষাৎকার মূলক গবেষণঅ বৈজ্ঞানিকভাবে সত্য বা প্রমাণিত নাও হতে পারে। এটি গবেষণার প্রথম ধাপ।
যদি একটি আত্মা আরেকটি আত্মার মধ্যে সঞ্চালিত হয় তখন সে কি মাধ্যম ব্যবহার করে সেটা অজানা।
স্থুল দেহ ও সূক্ষ্ম দেহ
(সূত্রঃ ভগবদগীতার সারতত্ব ছয় পর্বের প্রাথমিক পাঠক্রম )
ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভগবদগীতায় বলেছেনঃ
অবিনাশী তু তদ্বিদ্ধি যেন সর্বং ইদং ততম্।
বিনাশং অবিনাশ্যস্য ন কিঞ্চিৎ কর্তুমর্হসি।।
“সমগ্র শরীরে পরিব্যাপ্ত রয়েছে যে অক্ষয় আত্মা, জেনে রেখো তাকে কেউ বিনাশ করতে সক্ষম নয়।” (ভ.গী.– ২/১৭)
আত্মা ক্ষয় হয় আজ পর্যন্ত কেউ দাবি করেনি। আর ভগবদগীতার সারতত্ব ছয় পর্বের প্রাথমিক পাঠক্রমে আত্মা যে এক দেহ থেকে আরেক দেহে সঞ্চালিত হয় সে সম্পর্কে কোন ধারণা নেই। সেখানে বলা আছে আত্মা অক্ষয়। এটা সবাই জানে এবং প্রতিষ্ঠিত সত্য।
ইহা দ্বারা পুর্নজম্মাবাদ প্রমাণ করা যায় না। এটি শক্তির অবিনশ্বরবাদ সমর্থন করে।
সবচেয়ে বড় কথা হলো আত্মা যে এক দেহ থেকে আরেক দেহে কিভাবে সঞ্চালিত হয় সে সম্পর্কে আমরা অজ্ঞাত।
আত্মা কি মায়ের পেটে সরাসরি প্রবেশ করে নাকি মায়ের দেহে যে আরেক আত্মা আছে সেটির সাথে যুদ্ধ বা সন্ধি করে প্রবেশ করে সেটি অজনা। আমরা জানি এক আত্মা আরেক আত্মাকে সহজে মেনে নিতে পারে না।
আত্মা কি সন্তান যখন গর্ভে থাকে তখন প্রবেশ করে নাকি জন্ম লাভ করার সাথে সাথে প্রবেশ করে?
নোট: আপনি আত্মার পুর্ণজন্মবাদ বৈজ্ঞানিক ব্যাখা করতে গিয়ে ধর্মীয় মতবাদ পরিত্যাগ করতে পারেন নি। এটা আপনার মনস্তাত্ত্বিক দূর্বলতা।
পরিশেষে, আপনার জন্য শুভ কামনা রইল। পরবর্তীতে এ বিষয় লিখলে আশা করি আরো ভালো তত্ত্ব উপস্থাপন করবেন।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৫০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ বিস্তারিত মন্তব্যে!
সমস্য হল আপনি শুরুতেই একটা ষ্ট্যান্ড নিয়ে কথা গুলো ভেবেছেন তাই প্রকাশ হয়েছে মন্তব্যে!
আিম েকান এক আঙ্গিকে স্থির হয়ে ভাবছি না। বরং সত্যকে খোঁজার চেষ্টা করছি সকল আঙ্গিক মিলিয়ে। শুধূ বিজ্ঞান বা শুধু ধর্মে নয়। একটা সমন্বিত ফ্রেম আঁকার সামান্য চেস্টা করছি। এটা যার প্রথম পাঠ মাত্র। এখানে বেশির ভাগড়ই উদ্বৃতি। আমার মতামত সামান্যই ।
আমি সকল ভাবনা এবং প্রকাশিত জানা সত্য গুলোকে একত্রিত সংকলিত করে একটা আউটলাইন টানতে চাইছি!
আশা করি ১ম পর্বেই সিদ্ধান্ত সূচক না বলে অপেক্ষা করুন।
আর যেকোন ভুল ধরিয়ে দিলে স্বাগত! তবে কোট বা কোন মতবাদকে ডিফেন্ড করবো না। আমি শুধু তুলনামুলক আলোচনার স্বার্থেই তাকে সামনে আনছি। তর্ক করতে নয়। সেটা ভিন্ন বিষয়।
আশা করি বোঝাতে পেরেছি
ধন্যবাদ সাথে থাকায়
৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: খুবই জটিল বিষয়ে লেখার সুচনা করেছন।
সুচনা হিসেবে ভাল হয়েছে - অপেক্ষায় থাকছি পরিনতি দেখার জন্য।
আত্মার একটা সহজবোধ্য ব্যখ্যা হল : ঘুমালে যা থাকে না তাই আত্মা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন তিনি মানুষের আত্মাসমুহ তুলে নেন ঘুমের সময়, তারপর যাদের সময় শেষ হয়ে যায় তাদের রেখে দেন আর অন্যদের ফিরিয়ে দেন নির্দিস্ট সময়ের জন্য। অথচ ঘুমের সময় দেহে প্রান থাকে, অনুভুতি থাকে। মানুষ ঘুমের মধ্যেই মশা তাড়ায়, শীত লাগলে গায়ে কাঁথা টেনে নেয়, এমনকি স্লিপ ওয়াকিং এ আক্রান্ত ব্যাক্তি হাটা চলাও করতে পারে। তাহলে প্রান এবং আত্মা এক নয়। আশা করছি আপনার লেখায় এই বিষয়টিও সংযুক্ত হবে।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা
হুম ঘুমে আত্মার চলে যাবার বিষয়টি কোরআনে উল্লেখ আছে।
আত্মার বহুমািত্রকতা নিয়ে আমরা ভাবি কম। তাই জানাশোনাও কম। পাঁচ আত্মা পাঁচ প্রাণ বলে একটা কনসেপ্ট আছে।
জীবাত্মা পরমাত্মা মূল। জীবাত্মার আবার পাঁচটি বহুমাত্রিক ধরণ আছে। সংক্ষেপে মূল ট্রেকে থেকেই চেষ্টা করছি।
ধন্যবাদ সাথে থাকায়।
১০| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫১
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় কবি,
জটিল বিষয় নিয়ে যুদ্ধে অবতীর্ন হয়েছেন দেখছি।
ভালভাবে না পড়ে কোন মন্তব্য করতে পারছি না।
কালিদাস ভাই কিন্তু আগেই সতর্ক করে গেছেন- অতি (বক) ধার্মিক দুচারজন বলদ নাস্তিক মনে করতে পারে কিন্তু ।
ভাল থাকবেন।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
অনেক দিনের ভাবনা ছিল। কাল প্রিয় একজন বিষয়টা আলাপ করছিল। তার জন্যেই একটু এগিয়ে এসে ব্যাটিং করা আর কি হা হাহা
হুম। এ অনেক দিন থেকেই মোকাবেলা করছি।
যখন বক ধার্মিক বলে নাস্তিক আর নাস্তিক বলে মৌলবাদী মনে হয় ঠিক ট্রেকেই আছি! হা হাহা
শুভেচ্ছা অফুরান। আপনিও ভাল থাকুন।
১১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০০
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: আপনার পোস্ট মন্তব্য না করতে পারলে আমারই ভালো লাগে না!
তাই এ মন্তব্যটা করা!
পোস্টাটা মাঝামাঝি পর্যন্ত পড়েছি এবং অনুধাবন করেছি এই মুহূর্তে আমি এই পোস্ট সম্পর্কে মন্তব্য করার উপযুক্ত নই!
ভালোথেক ভৃগু ভাই!
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার আন্তরিকতা ছূঁয়ে গেল
আমরা সবাই ছাত্র-এই পৃথিবীর পাঠশালায়- সকলেই শিখছি! মনখুলে আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন।
শুভেচ্ছা অফুরান ভ্রাতা
১২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২০
রাতু০১ বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।
প্রতিটা শব্দই অর্থবাহক। প্রিয়তে রাখলাম। সময় নিয়ে পড়ব।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। প্রিয়তে রেখে কৃতজ্ঞতা পাশে বেঁধে নিলেন
আশা করি সিরিজে সবসময় পাশে পাব এবাবেই
শুভেচ্ছা
১৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২০
শামীম সরদার নিশু বলেছেন: সুন্দর পোস্ট অনেক উপকৃত হলাম। ভালবাসা নিবেন
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৩০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভায়া
সেইম টু ইউ
শুভেচ্ছা রইল অফুরান
১৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বেশ সময় নিয়ে পড়লাম। আরেকবার পড়তে হবে ------
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লিটন ভাই !
এসেছেন! খুশি হলাম
আশা করি সিরিজ জুড়েই পাশে পাব
শুভেচ্ছা
১৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৭
শামীম সরদার নিশু বলেছেন: আপনার জন্যও শুভকামনা সেই সাথে অফুরন্ত ভালবাসা। ভালবাসা নিবেন কি?
যাই হোক আমি সামুতে নতুন, আস্তে আস্তে পরিচিত হয়ে নিব।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
হুম বেশি করে পড়ুন, লিখুন, অংশগ্রহন করুন
একদিন সবাইকে ছাড়িয়ে যান।
শুভকামনা রইল
১৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫
নীলপরি বলেছেন: এই বিষয়টা আমার খুব পছন্দের । ভালো লাগলো । পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম ।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নীলপরি!
আপনার আগ্রহ আছে জেনে ভাল লাগল!
শুভেচ্ছা
১৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৩
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: জটিল বিষয়ের উপর অত্যন্ত জ্ঞানগর্ভ একটা পোস্ট, যা খুব প্রাঞ্জলভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমার কাছে এটি একটি ইন্টারেস্টিং বিষয়, তাই দীর্ঘ হওয়া সত্ত্বেও বেশ সময় নিয়ে পড়লাম।
আপনাকে সমর্থন করুন আর নাই-বা করুন, কয়েকজনের কমেন্ট, বিশেষ করে কালীদাস, চাঁদ্গাজী, সত্যের ছায়া, প্রমুখ ব্লগারগণ বেশ কিছু জটিল প্রশ্নের উত্থাপন করেছেন। আপনি ও-গুলো উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন, তবে আমি মনে করি ঐ পয়েন্টগুলোকে আরো অ্যাাড্রেস করা প্রয়োজন।
ইসলাম ধর্মমতে জিব্রাইল (আঃ)-কে যে কোনো কোনো জায়গায় 'আত্মা' বলা হয়েছে, তার সূত্র দিতে পারেন? বিষয়টা আমার কাছে নতুন।
ছোটো বেলায় মা-চাচিরা বলতেন- আত্মা হলো দম। শ্বাস। দম ফুরিয়ে গেলে মানুষটা মারা যায়। তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন।
মানুষের তো আত্মা আছে, জীবজগতের অন্যান্য প্রাণীদের আত্মা আছে কী? সেগুলোর উপর কোনো আলোকপাত থাকবে কি আগামী সিরিজে?
ব্রিলিয়ান্ট জব।
খুব ভালো লেগেছে। পরের সিরিজের অপেক্ষায় থাকলাম। শুভেচ্ছা।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই
আপনি খুব মনোযোগের সাথে পড়েছেন বুঝে কৃতার্থ বোধ করছি।
আর মন্তব্যের বিষয়ে একটু সামনে এগিয়ে যাবার মানসিকতায়ই হালকা যাচ্ছি। কারণ উত্তর গুলো সামনে আসবে আশা করছি।
তাই এই অক্ষমতাকে ক্ষমা সুন্দর চোখে দেখবেন বলেই আশা করছি।
জিব্রীল আ: কে রুহুল কুদস বলা হয়েছে। তাও সামনে আসছে। আশা করি ক্লিয়ার হয়ে যাবে সব প্রশ্ন। অনুগ্রহ করে যদি সাথে থাকেন।
সকল আত্মা সম্পর্কেই টাচ থাকবে। আত্মা চক্র, আবর্তন, সময়কাল সব কিছুই
ধন্যবাদ উৎসাহিত করায়
শুভেচ্ছা রইল
১৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৩
আহা রুবন বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। এ-বিষয়ে এখনই কিছু মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। অংশবিশেষ পড়ে ঠিকঠাক উপলব্ধি করা যায় না। শেষ করুন এক সাথে পুরোটা পড়লে বুঝতে সুবিধে হবে।
আগ্রহ কেড়েছে। শুভ কামনা রইল।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আহা রুবন
উপলব্ধির জন্য ধন্যবাদ। সাথে থাকুন সিরিজে।
তারপর না হয় হবে আলোচনার মহোৎসব
শুভেচ্ছা অসীম
১৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:১৭
মুন্সি পালোয়ান বলেছেন: জেনে রাখা ভালো।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:০২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
২০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭
ফারহানা হোসাইন বলেছেন: লিখাটা পড়লাম , অনেক কিছু জানার আছে, অনেক ভালো লেগেছে লিখাটা
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
আশাকরি সিরিজে সাথে পাব সব সময়
২১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: সিরিজের দ্বিতীয় লেখাটা দেখে প্রথমটায় এলাম। শুরুটা অবশ্যই আগ্রহ জাগানিয়া। এবার যাই দ্বিতীয়টা পড়ি গিয়ে।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
সিরিজে থাকুন আশা করি ভাল লাগবে
২২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৯
ধ্রুবক আলো বলেছেন: আবার পড়ে দেখতে হবে অনেক টা সহজ নয, তবে টপিক ভালো।
সিরিজে আছি,
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো
চেষ্টা করছি সহজিয়া প্রকাশে
শুভেচ্ছা
২৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:১৬
মহা সমন্বয় বলেছেন: সরি বিদ্রোহী ভাই, আপনার পোস্টের সাথে আমি দ্বীমত পোষণ করছি।
জন্মান্তরবাদ : কেবলই বিশ্বাস? মিথ? বিজ্ঞান সম্মত? মিথ্যা নাকি সত্য!!
এ শুধুই বিশ্বাস,মিথ,গোজামিল ইত্যাদি.. জন্মান্তরবাদ/আত্নার মোটেও বিজ্ঞান ভিত্তিক কোন প্রমাণ নেই। যা আছে সবই বিশ্বাস নির্ভর ব্যখ্যা বা বিশ্বাস নির্ভর গবেষণা আর অন্ধবিশ্বাসী কিছু বিজ্ঞানী এ জন্য দায়ী, নিজ নিজ বিশ্বাস টিকিয়ে রাখার জন্য এরা গোজামিল দিতে বরই উস্তাদ অথবা তারা মনের অজান্তেই নিজ নিজ বিশ্বাসের পক্ষে বিজ্ঞানের গোজামিল দিয়ে বিজ্ঞান নামের অপবিজ্ঞান রচনা করে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:০১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দ্বিমত ভিন্নমত হতেই পারেন।
সবাই একমত হলেতো পুরা বিশ্বেই শান্তি আর শান্তি বিরাজ করত
যাই হোক। নিজের অনুভব, বাস্তবতা, পরিণিত নিয়ে আরও ভাবুন (যদি ইচ্ছা হয়) সাথে আছৈ বহু ধর্মের সমন্বিত তথ্য উপাত্ত
আর বৈজ্ঞানিক ভাবেও ক্লিয়ার হোন আসলেই পরিণতির শেষ কি?
উত্তর যিদ পেয়েই থাকেন শেয়ার করুন। আমরাও জানি।
শুভেচ্ছা অফুরান
২৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০৭
মহা সমন্বয় বলেছেন: বিভিন্ন ধর্মের সমন্বিত তথ্য উপাত্ত নিয়ে বহু গবেষণা করে মনগড়া,কাল্পনিক কিছু বিষয় ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় নি। বিভিন্ন ধর্মের ভিন্ন ভিন্ন মত এমনকি একই ধর্মের সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী মত পাওয়া যায়। এ যেন বার রাজপুত্রের তের হাড়ি অবস্থা। উপায় অন্তর না দেখে অনেকেই একে বৈজ্ঞানীক ভাবে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করে নানা গুজামিলের সমন্বয়ে, যা অপবিজ্ঞান ছাড়া আর কিছুই নয়।
সত্যি বলতে কি, আত্না,পরকাল,জন্মান্তরবাদ,ভাগ্য ইত্যাদি বিষয়ে সঠিক কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ভবিষ্যতে কি হবে জানিনা। তবে এখন পর্যন্ত যতগুলো আত্নাধিক এবং অপবিজ্ঞানীয় ব্যাখ্যা পাওয়া গেছে তার সবই ভুল, মনগড়া,এবং কাল্পনিক বলে প্রমণা হয়েছে।
বিভিন্ন ধর্মের,বিভিন্ন মনিষীর না না গুরুগম্ভীর মতবাদ পাওয়া গেলেও, তা আপত দৃষ্টিতে অনেক আকর্ষণীয় মনে হলেও বাস্তবে তা ঠুনকো, মনগড়া এবং কাল্পনিক বিষয় ছাড়া আর কিছুই নয়।
এসব অত্নাধিক বিষয় নিয়ে এক সময় আমি নিজেও অনেক ফ্যান্টাসিতে ভুগতাম, কিন্তু বাস্তবতা দেখি সম্পূর্ণ ভিন্ন।
এ বিষয়ে আপনার গবেষণাকে সাধুবাদ জানাই।
২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এসব অত্নাধিক বিষয় নিয়ে এক সময় আমি নিজেও অনেক ফ্যান্টাসিতে ভুগতাম, কিন্তু বাস্তবতা দেখি সম্পূর্ণ ভিন্ন।
২৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: শক্তির অবিনশ্বরতাবাদ সম্পর্কে অল্প কথায় খুব ভাল বলেছেন।
আত্মা হচ্ছে জীবনী শক্তির এক চিন্ময় স্ফুলিঙ্গ যা প্রত্যেকটি দেহকে ক্রিয়াশীল করে, সেটিকে বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ সম্পাদনে সক্ষম করে, - আত্মা কী, এ নিয়ে অনেক ভারী ভারী জ্ঞানগর্ভ কথা শোনা যায়। অথচ আপনি কতটা সহজ করেই না বললেন এ কথাটা।
দেহ-আত্মার কথোপকথন নির্ভর আমার আজকের কবিতাটা পড়ে দেখতে পারেন।
একটু পরে আবার ফিরে আসার আশা রাখছি আপনার এ পোস্টে।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সিনিয়র
আশাকরি সিরিজটা সময় করে দেখে মূল্যায়ন করবেন।
দারুন লিখেছেন ! ঘুরে এলাম
অপেক্ষায়
২৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার লেখাটি সামহোয়্যারইন ব্লগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে শেয়ার করা হয়েছে।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক অপেক্ষার পর আপনার দর্শন পেলাম তাতেই খূশি!!
সাথে তো দারুন গিফ্ট নিয়ে এলেন
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ অফিসিয়াল পেইজে শেয়ারে।
সিরিজে আপনার মতামত পেলে খুশি হবো- তা ভিন্নতর হলেও
২৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি সব পর্বের সাথেই আছি। আমি মন্তব্য করব পুরোটা পড়ে নিয়ে। আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জেনে প্রীত হলাম।
অপেক্ষায়
২৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১
মোঃ নাজিমউদ্দিন বলেছেন: অনেক বেশি সেনসেটিভ বিষয় এই আত্মা। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এরকম একটা আপন ও দূর্লভ বিষয় নিয়ে লেখার জন্য । আশা করছি আরো বেশি ইনফোরমেটিভ হবে আপনার এর পরের লেখাটি। অপেক্ষায় থাকলাম।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উত্তর দিতে দেরি হোয়ায় দু:খিত!
কিছূটা কাজের চাপে যাচ্ছে সময়!
ধন্যবাদ ভাললাগা আর উৎসাহে।
৫ম পর্ব শীঘ্রই দেবার ইচ্ছে আছে!
২৯| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৬
মুসাফির নামা বলেছেন: আত্মার একটা সহজবোধ্য ব্যখ্যা হল : ঘুমালে যা থাকে না তাই আত্মা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন তিনি মানুষের আত্মাসমুহ তুলে নেন ঘুমের সময়, তারপর যাদের সময় শেষ হয়ে যায় তাদের রেখে দেন আর অন্যদের ফিরিয়ে দেন নির্দিস্ট সময়ের জন্য। অথচ ঘুমের সময় দেহে প্রান থাকে, অনুভুতি থাকে। মানুষ ঘুমের মধ্যেই মশা তাড়ায়, শীত লাগলে গায়ে কাঁথা টেনে নেয়, এমনকি স্লিপ ওয়াকিং এ আক্রান্ত ব্যাক্তি হাটা চলাও করতে পারে। তাহলে প্রান এবং আত্মা এক নয়। আশা করছি আপনার লেখায় এই বিষয়টিও সংযুক্ত হবে।
৯নম্বর মন্তব্যকারীর মন্তব্যটা তুলে ধরলাম।
যদিও আপনি ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে লেখতেছেন না,তথাপি আমি বলব আত্মার এই সংজ্ঞাটি মাথায় রাখবেনা।কারন জড় হলেও নিদিষ্ট ল' এর আলোকে গাড়ি, এরোপ্লেন সবই চলে,শুধু প্রার্থক্য এ্দের ইচ্ছা শক্তি নেই।
শেষ পর্যন্ত পড়ার আশা রাখি।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উত্তর দিতে দেরি হোয়ায় দু:খিত!
হুম। ধন্যবাদ।
শেষ পর্যন্ত থাকুন এবং গঠনমূলক আলোচনা সত্য উদ্ভাসিত হোক।
৩০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জ্ঞান আর প্রকৃত সত্যের মাঝে কি আসলেই ব্যবধান আছে? - এই ব্যবধান খোঁজায় (১ নং প্রতিমন্তব্য) প্রয়াসী হয়েছেন, সত্য অনুসন্ধানে ব্রতী হয়েছেন, এজন্য অভিনন্দন ও সাধুবাদ!
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় সিনিয়র
অভিনন্দন আর সাধূবাদে কৃতজ্ঞতা
শুভকামনা অন্তহীন
৩১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯
নতুন বলেছেন: অনেক দিনপরে ভালো একটা টপিক নিয়ে লেখা পেলাম... বিষয়টা নিয়ে ভাবতে মজাই লাগে...
আত্মা হচ্ছে জীবনী শক্তির এক চিন্ময় স্ফুলিঙ্গ যা প্রত্যেকটি দেহকে ক্রিয়াশীল করে, সেটিকে বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপ সম্পাদনে সক্ষম করে, ঠিক যেমন ইলেক্ট্রন কণার স্রোত তামার তারের মধ্যে প্রবাহিত হবার সময় শক্-এর সৃষ্টি করে। দেহকে একটি গাড়ীর সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে, আর আত্মাকে তুলনা করা যায় গাড়ীটির চালকের সংগে। আত্মা সেই জীবনের এক স্ফুলিঙ্গ, যার উপস্থিতির ফলে দেহকে জীবন্ত বলে মনে হয়, আর যখন আত্মা দেহটি ছেড়ে চলে যায়, তখন আমরা বলি যে লোকটি ‘মৃত’।
বিষয়টা হতে পারে আমাদের কম্পিউটারের মতন....
সপ্ফটওয়ার এবং হাডওয়ারের সাথে যখন বিদ্যুত খেলা করে তখন একটা কম্পিউটারকে জীবিত বলা যায়... কিন্তু বিদ্যুত না থাকলে তখন সেটা একটা লাশ...
কিন্তু আমরা জানি.... বিদ্যুত বা হাডওয়ার বা সপ্ফটওয়ার কোনটাই কিন্তু একক ভাবে জিবিত বলা যায় না বা জীবন জিনিসটার সাথে তারা সম্পকিত না...
হয়তো আমাদের জীবনটাও এমন.... শরীরটা হাডওয়ার যা তৌরি হচ্ছে পৃথিবির অনু/পরমানু দিয়ে.... সপ্ফওয়ার আমাদের মস্তিকে গড়ে উঠছে একটা প্রকৃয়ায়.... তেমনি বিদ্যুতের মতন কিছু একটা আছে যেটার উপস্হিতি এবং এই তিনের মিলিত অবস্তাই আমাদের কাছে জিবিত অবস্তা এবং অনুপুস্থিতিই মৃত....
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:২০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উত্তর দিতে দেরি হোয়ায় দু:খিত!
অনেক ধন্যবাদ
ভাল ব্যাখ্যা করেছেন। আমি আছি সবই আছে। আমি নাই কিছূ নাই!
শুভকামনা সবসময়
৩২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮
জেন রসি বলেছেন: সিরিজটা পড়া শুরু করলাম। যদিও এসব নিয়ে অনেক ঘাটাঘাটি করেছি একসময়। এবং সবশেষে মানুষের কল্পনাশক্তি, গল্প বলার ক্ষমতা দেখে অবাক হয়েছি! এ পোস্টে আত্মার ব্যাপারটাই মুখ্য য়ে এসেছে। এ বিষয়ে অভিজিত রায়ের একটা চমৎকার সিরিজ আছে। পড়া না থাকলে পড়ে দেখতে পারেন।
আত্মা নিয়ে ইতং-বিতং (১ম পর্ব)
আত্মা নিয়ে ইতং-বিতং (২য় পর্ব)
আত্মা নিয়ে ইতং-বিতং (৩য় পর্ব)
পরের পোস্টগুলো পড়ে মন্তব্য করব! আমি এমনিতেও পিছিয়ে গিয়েছি! হাহাহাহাহা
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
পড়েছি সিরিজটা!
অপেক্ষায় রইলাম।
৩৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: একটু ব্যস্ততার মধ্যে আছি অআমার নীজের কয়েটা প্রফেশনাল লিখা নিয়ে পেটের ধান্ধার কারণে । প্রিয়তে নিয়ে গেলাম, খুবই গুরুত্বপুর্ণ তাত্বিক বিষয় এটাকে পাঠ করব মনযোগ দিয়ে একটু সময় হাতে পেলে ।
অনেক শুভেচ্ছা রইল ।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:২৪
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সেই সময়ের অপেক্ষায় রইলাম! ধৈর্যের সাথে
আপনার মূল্যবান মতামত নিশ্চয়ই এটাকে আরো সমৃদ্ধ করবে।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৪০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ইসলাম ধর্মমতে মানুষের জীবনের সৃষ্টি আছে বিনাশ। আখেরাতে তারা অনন্ত অসীমকাল বেঁচে থাকবে।সফলতা আর ব্যর্থতা বলতে আখেরাতর সফলতা আর ব্যর্থতা বুঝায়।